Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Centre plans: ২ লক্ষ কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয়! মুদ্রাস্ফীতি রুখতে দাওয়াই কেন্দ্রের

    Centre plans: ২ লক্ষ কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয়! মুদ্রাস্ফীতি রুখতে দাওয়াই কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি (Inflation) রুখতে আগামী এক বছরে অতিরিক্ত দু’লক্ষ কোটি টাকা খরচ করার কথা ভাবছে কেন্দ্র (Modi govt)। দুই সরকারি আধিকারিকের কথায়, কেন্দ্র সরকার ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে এই অতিরিক্ত ব্যয়ের কথা ভাবছে। এর ফলে সাধারণ মানুষকে ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধি থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা করা যাবে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত।

    সূত্রের খবর, সে জন্যই জ্বালানির উপর থেকে শুল্ক কমানোর কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Union Finance Minister Nirmala Sitharaman)। যার ফলে পেট্রলে আট টাকা ও ডিজেলে ছয় টাকা শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    তাতে পেট্রোলের দাম কমবে লিটার পিছু সাড়ে নয় টাকা। আর ডিজেলের দাম কমবে লিটার পিছু সাত টাকা। পাশাপাশি উজ্জ্বলা (Ujjwala scheme) গ্যাস সিলিন্ডারে (domestic LPG) ২০০ টাকা করে ভর্তুকির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সুবিধা পাওয়া যাবে বছরের ১২টি সিলিন্ডারের ক্ষেত্রে। এর ফলে ৯ কোটি গ্রাহক উপকৃত হবেন বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।

    নির্মলা ট্যুইটে জানিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় আবগারি শুল্ক পেট্রলের ক্ষেত্রে কমানো হচ্ছে ৮ টাকা প্রতি লিটার এবং ডিজেলে ৬ টাকা প্রতি লিটার। এর ফলে দেশে পেট্রলের দাম কমবে লিটারপ্রতি সাড়ে ৯ টাকা এবং ডিজেলের দাম কমবে লিটারে ৭ টাকা। এর ফলে বছরে ১ লক্ষ কোটি টাকা কোষাগার থেকে দেবে কেন্দ্র।

    করোনা (Covid-19) এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Ukraine Russia war) জেরে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামবৃদ্ধি (price rise) এমনিতেই সাধারণ মানুষের পকেটে চাপ বৃদ্ধি করছে। গত এপ্রিল মাসে ভারতের খুচরো মুদ্রাস্ফীতি (retail inflation) আট বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি, অন্যদিকে পাইকারি বাজারে মুদ্রাস্ফীতি (wholesale inflation) অন্তত ১৭ বছরে সর্বোচ্চে, যা আগামী দিনে বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভার নির্বাচনের আগে সরকারের জন্য একটি বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    রাশিয়া-ইউক্রেন (Ukraine) যুদ্ধের ফলে তেলের দাম আরও বাড়লে সরকার আরও ভর্তুকি দেওয়ার কথা ভাবছে বলে জানান ওই দুই আধিকারিক। কৃষিক্ষেত্রেও ভর্তুকি দেওয়া হতে পারে। এক্ষেত্রে সরকারকে ঋণ নিতে হলেও সাধারণ মানুষের কথা ভেবে সে ঝুঁকি নিতেও প্রস্তুত কেন্দ্র এমনই দাবি করেছেন আধিকারিকেরা।

  • BrahMos ER Missile: ৩৫০ কিমি দূরে লক্ষ্যভেদে সফল ব্রহ্মস,  এবার ভারতের লক্ষ্য ৫০০ কিমি

    BrahMos ER Missile: ৩৫০ কিমি দূরে লক্ষ্যভেদে সফল ব্রহ্মস, এবার ভারতের লক্ষ্য ৫০০ কিমি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুখোই-৩০ (Su-30 MKI) যুদ্ধবিমান থেকে এক্সটেন্ডেড রেঞ্জ ব্রহ্মস (Brahmos ER) মিসাইলের সফল পরীক্ষা করল ভারত। বৃহস্পতিবার বঙ্গোপসাগরে একদম নিখুঁত নিশানায় আঘাত হানে মিসাইলটি। বায়ুসেনার তরফে এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে।

    বায়ুসেনা জানিয়েছে, যুদ্ধবিমান থেকে এই মিসাইলের এক্সটেন্ডেড রেঞ্জ বা সম্প্রসারিত পাল্লার মিসাইলের পরীক্ষা এই প্রথম করা হল।  এখন ৩৫০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে সুখোই থেকে ব্রহ্মস মিসাইল নিক্ষেপে সক্ষম ভারতীয় বায়ুসেনা বলে জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। তারা জানায়, ব্রহ্মস এক্সটেন্ডেড রেঞ্জ ভার্সন (extended range version of BrahMos) সফলভাবে লক্ষ্যভেদ করেছে। এটা দেশের কাছে গর্বের।

    ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) তরফে জানানো হয়েছে, আগামীদিনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেবে এই নতুন স্ট্র্যাটেজি।  ভারত ও রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে তৈরি এই ব্রহ্মস মিসাইল প্রায় ২৯০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে আঘাত হানতে সক্ষম। শব্দের তিনগুণ গতিতে এটি ছুটতে পারে। এদিন যে এক্সটেন্ডেড রেঞ্জ মিসাইলের পরীক্ষা করা হল, তার পাল্লা বৃদ্ধি করে ৩৫০ কিলোমিটার করা হয়েছে।

    [tw]


    [/tw]

    এই সাফল্য একেবারে গেম চেঞ্জার, বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের। যুদ্ধের পরিস্থিতি বদলে দিতে পারে এই ক্ষেপণাস্ত্র। সম্প্রসারিত পাল্লায় এটি আঘাত হানতে সক্ষম। সমুদ্রের ওপর বিপক্ষের বড়সড় প্রতিরক্ষাকে ভেঙে দিতেই ব্রহ্মস বেশি কার্যকরী। জলে হোক বা স্থলে একেবারে পিনের মতো লক্ষ্যেও সঠিকভাবে আছড়ে পড়তে সক্ষম ভারতীয় বায়ুসেনার এই বিমান। এই মিসাইলের সঙ্গে সুখোই যুদ্ধবিমানের যুগলবন্দি ভারতীয় সেনার সামরিক শক্তিকে আরও পোক্ত করবে বলে মনে করা হচ্ছে। যুদ্ধ স্থলে হোক বা জলে, যেখানেই হোক না কেন, সেখানেই ব্রহ্মসের কার্যকারিতা প্রাসঙ্গিক।  

    এদিকে সূত্রের খবর, ভারত এর চেয়েও দূরপাল্লার মিসাইল তৈরি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রায় ৫০০ কিমি আঘাত হানতে পারবে এই মিসাইল। ব্রহ্মসের সফলতার পিছনে বায়ুসেনা ছাড়াও ভারতীয় নৌবাহিনী, ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (DRDO), হিন্দুস্তান এরোনটিক্স লিমিটেড (HAL) এর ভূমিকা ছিল। প্রসঙ্গত, গত ৯ মার্চ ভারত ভুলবশত একটি ব্রহ্মস মিসাইল ছুড়ে ফেলেছিল। রুটিন পরীক্ষার সময় সেটি পাকিস্তানে চলে যায়। এরপরই প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়ে দেন, এটি পরীক্ষার সময় নিয়মমাফিক কার্যপ্রক্রিয়া (SOP) বজায় রাখতে হবে। এই ব্রহ্মস জল, স্থল, আকাশে আঘাত হানতে সক্ষম।

  • Man hides gold in his wig: পটচুলের মধ্যে আনছিলেন সোনা , আটক দিল্লি বিমানবন্দরে

    Man hides gold in his wig: পটচুলের মধ্যে আনছিলেন সোনা , আটক দিল্লি বিমানবন্দরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উইগের তর ৩০ লক্ষ টাকা মূল্যের সোনাকে ধাতব পেস্ট আকারে নিয়ে আসছিলেন আবুধাবি থেকে আসা এক ব্যক্তি।  হঠাতই দিল্লি বিমানবন্দরের ৩ নং টার্মিনালে তাঁকে ঘিরে ধরেন কাস্টমসের অফিসারেরা।

    [tw]


    [/tw]
    কাস্টমস অফিসারদের তরফে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া হয়। যাতে দেখা যায়, কীভাবে ইন্দিরা গান্ধী বিমানবন্দরে ওই ব্যাক্তির কাছ থেকে   আনুমানিক ৬৩০ গ্রাম সোনা উদ্ধার করছেন কাস্টমস অফিসারেরা। ভিডিওয় দেখা যায়, সুন্দরভাবে চুল কামিয়ে ওই ব্যক্তির মাথায় সোনার পেস্ট ভর্তি প্যাকেটটি সেঁটে দেওয়া হয়েছে। ভিডিওটি ইতিমধ্যেই ভাইরাল। ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।

  • Gyanvapi Mosque: জ্ঞানবাপী মসজিদের কুয়োয় মিলল ‘শিবলিঙ্গ’! এলাকা ‘সিল’ করল আদালত

    Gyanvapi Mosque: জ্ঞানবাপী মসজিদের কুয়োয় মিলল ‘শিবলিঙ্গ’! এলাকা ‘সিল’ করল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী মসজিদে (Gyanvapi Mosque) মিলল ‘শিবলিঙ্গ’ (Shivling)। অন্তত এমনই দাবি হিন্দু আবেদনকারী সোহন লাল আর্যের। তাঁর দাবি, এই মামলায় চূড়ান্ত প্রমাণ মিলেছে।

    বারাণসীর (Varanasi) কাশী বিশ্বনাথ মন্দির (Kashi Viswanath temple) সংলগ্ন জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে বহুদিন ধরে চলছে বিতর্ক। বিতর্কের অবসানে গড়া হয় কমিটি। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। শেষমেশ বারাণসী কোর্ট আর্কিওলজিক্যাল সোসাইটি অফ ইন্ডিয়াকে (ASI) দায়িত্ব দেয়। দিন আগে মসজিদ চত্বরে ভিডিওগ্রাফি করতে যান আদালত কর্তৃক নিয়োজিত কয়েকজন। মসজিদ কমিটি তাদের বাধা দেয় বলে অভিযোগ। পরে সুপ্রিম কোর্টে মসজিদ সার্ভের কাজ বন্ধ করার দাবি জানান প্রবীণ আইনজীবি হুজেফা আহমদি। কিন্তু অঞ্জুমান ইনতেজামিয়া মসজিদ কমিটির তরফে করা সেই আবেদন খারিজ করে শীর্ষ আদালত।

    হিন্দু সংগঠনের দাবি, এক সময় ওই এলাকায় ছিল শৃঙ্গার গৌরীর মন্দির (Shringar Gauri Temple)। সেখানে পুজোর আবেদনও জানিয়েছিলেন পাঁচ মহিলা। বছর খানেক আগে প্রার্থনার জন্য এলাকাটিতে প্রবেশের অনুমতিও দেওয়া হয়েছে। তাঁদের দাবি, ওই চত্বরে আরও দেবদেবীর মূর্তি রয়েছে। এপ্রিল মাসে এ বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেয় বারাণসী আদালত। দিন কয়েক ধরে চলছিল ভিডিও সার্ভের  (Videography survey) কাজ।

    মসজিদ কমিটির বাধার জেরে প্রথমে বন্ধ হয়ে গেলেও ফের শুরু হয় ভিডিওগ্রাফি সার্ভের কাজ। এদিন সেখানে শিবলিঙ্গের সন্ধান মিলেছে বলে দাবি হিন্দুদের আবেদনকারীর।

    আরও পড়ুন : উজ্জ্বয়িনী মসজিদ আদতে ছিল ভোজ আমলের হিন্দু মন্দির? প্রমাণ দেখাল প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ

    আর্য বলেন, যে এলাকায় ভিডিও সমীক্ষার কাজ হচ্ছিল, সেখানকার একটি কুয়োয় শিবলিঙ্গ মিলেছে। শিবলিঙ্গটি নন্দীর প্রতীক্ষায় রয়েছে। যে মুহূর্তে এই খবর ছড়িয়ে পড়ে, তখনই উপস্থিত জনতা হর হর মহাদেব ধ্বনি দিতে থাকে। ঘটনার পরে ম্যাজিস্ট্রেটকে এলাকাটি সিল করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, বিশ্বনাথ মন্দিরের গায়েই রয়েছে জ্ঞানবাপী মসজিদ। ইতিহাসবিদদের একাংশের মতে, বিশ্বেশ্বরের এই মন্দির বিদেশি হানাদারদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় বেশ কয়েকবার। ১৬৬৯ সালে মূল মন্দির দখল করে জ্ঞানবাপী মসজিদ (gyanvapi mosque) তৈরি করেন মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব। এখনও মসজিদের গায়ে হিন্দু দেবদেবীর প্রতিকৃতি দেখা যায় বলে দাবি হিন্দু সংগঠনের। অষ্টাদশ শতকে হিন্দুদের আবেগকে মান্যতা দিয়ে মসজিদের কাছেই আজকের বিশ্বনাথ মন্দিরটি তৈরি করেন মারাঠা রাজ্য মালওয়ার রানি অহল্যাবাই হোলকর।

    আরও পড়ুন : তাজমহল আসলে তেজো মহালয়া শিবমন্দির! জানেন কি এই বিতর্কের আসল কারণ?

     

  • PM Kisan: ‘পিএম কিষান-এর টাকা ছেড়েছে কেন্দ্র, ব্যাঙ্কে ঢুকল কিনা দেখে নিন এভাবে

    PM Kisan: ‘পিএম কিষান-এর টাকা ছেড়েছে কেন্দ্র, ব্যাঙ্কে ঢুকল কিনা দেখে নিন এভাবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান। প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধির (Pradhan Mantri Kisan Samman Nidhi) ১১তম কিস্তির ২০০০ টাকা প্রদান করল কেন্দ্র। ‘ডিরেক্ট ব্যাঙ্ক ট্রান্সফার’-এর (Direct Bank Transfer) মাধ্যমে দেশের ১০ কোটির বেশি কৃষকের কাছে সবমিলিয়ে ২১ হাজার কোটি টাকা পৌঁছে যাবে।

    আপনি কি এই প্রকল্পের আওতায় পড়েন? তাহলে আজই আপনার অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যেতে পারে টাকা। যে কৃষকদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে তাঁদের অ্যাকাউন্টে একটি মেসেজ আসবে। তাহলেই বুঝতে পারবেন টাকা ঢুকল কি না। কিন্তু কোনও যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে কোনও কারণে যদি মেসেজ না ঢোকে তাহলেও নিরাশ হওয়ার কোনও কারণ নেই।

    প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধির দশম কিস্তির টাকা ১ জানুয়ারি পেয়ে গিয়েছেন কৃষকরা৷ এই প্রকল্পে বছরে তিনটি কিস্তিতে ২০০০ টাকা করে কৃষকদের আর্থিক সাহায্য করে থাকে কেন্দ্র সরকার ৷ হিসেব অনুযায়ী, বছরে ৬০০০ টাকা আর্থিক সাহায্য করা হয় কৃষকদের ৷ 

    আরও পড়ুন: মঙ্গলবার পিএম কিষান প্রকল্পের কিস্তির টাকা বিতরণ করবেন মোদি, জানুুন বিস্তারিত

    কী করে জানবেন আপনার অ্যাকাউন্টে প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধির টাকা ঢুকল কিনা?  

    ১) প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট pmkisan.gov.in-তে যেতে হবে।

    ২) ডানদিকের ‘Farmers Corner’-এ ‘Beneficiary Status’ ট্যাবে ক্লিক করুন। ‘Aadhaar number’, ‘Account number’ বা ‘Mobile number’ বেছে নিন। যে কোনও একটি বিকল্প বেছে নিয়ে সেইমতো আধার কার্ডের নম্বর বা অ্যাকাউন্ট নম্বর বা মোবাইল নম্বর দিন।
     
    ৩) তারপর ‘Get Data’-য় ক্লিক করুন।

    ৪) ব্যাস। তাহলেই আপনি জানতে পারবেন যে আপনার অ্যাকাউন্টে একাদশ কিস্তির ২,০০০ টাকা জমা পড়েছে কিনা। 

    এছাড়া পিএম কিষানের হেল্প লাইন নম্বরেও কল করা যেতে পারে। নম্বরদুটি হল 155261 / 011-24300606। 

    এবিষয়ে জেনে নিন আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। 

    কী করে জানবেন যে এই প্রকল্পে আপনি টাকা পাবেন কিনা?

    সুবিধাভোগীদের নামের তালিকা পঞ্চায়েতে গেলেই দেখা যাবে। সেখানেই দেখে নিতে পারবেন আপনার বা আপনার পরিবারের কোনও সদস্যের নাম সেই তালিকায় আছে কিনা। এছাড়া PIV-Kisan পোর্টালে Farmers Corner- এ গিয়েও দেখা যাবে।  

    একই জমিতে যদি আলাদা- আলাদা কৃষক পরিবারের নাম যুক্ত থাকে তাহলে কী আলাদা টাকা পাওয়া যাবে?

    হ্যাঁ। যদি তারা এই প্রকল্পের অন্যান্য যোগ্যতায় উত্তীর্ণ হতে পারেন, তাহলেই সেই জমির এক একজন মালিক বছরে ৬ হাজার টাকা করে পেতে পারেন।  

    এই প্রকল্পে কী ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের যাবতীয় তথ্য দেওয়া বাধ্যতামূলক? 

    হ্যাঁ। যেহেতু প্রকল্পের টাকা সরাসরি সুবিধাভোগীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকবে, তাই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য দেওয়া বাধ্যতামূলক। 

     

     

     

  • Char Dham yatra: “কোমর্বিডিটি থাকলে…”, চারধাম পুণ্যার্থীদের বিশেষ পরামর্শ উত্তরাখণ্ড প্রশাসনের

    Char Dham yatra: “কোমর্বিডিটি থাকলে…”, চারধাম পুণ্যার্থীদের বিশেষ পরামর্শ উত্তরাখণ্ড প্রশাসনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চারধাম যাত্রার প্রথম ছয় দিনের মধ্যে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই খবর সামনে আসার পরই শরীর পুরোপুরি সুস্থ না থাকলে চারধাম যেতে নিষেধ করলেন উত্তরাখণ্ডের স্বাস্থ্য অধিকর্তা শালিজা ভাট। অনেক উচুঁতে ওঠায় সোমবার আরও ৪ তীর্থযাত্রীর হৃদযন্ত্রে সমস্যা দেখা দেয়। এঁরা চারজনেই মারা যান। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ২০ ছুঁল।

    ভাট এদিন আরও জানান, চারধাম যাত্রা প্রতিটি ভারতীয়ের মনেই ভিন্ন রোমাঞ্চ নিয়ে আসে। যুগ যুগ ধরে ভক্তরা এই তীর্থপথে আসেন পুণ্য লাভ করতে। গত বছর করোনার কারণে চারধাম যাত্রা হয়নি। ব্যাহত হয়েছিল তার আগের বছরেও। এ বছর অক্ষয় তৃতীয়ার দিন ৩ মে শুরু হয়েছে চারধাম যাত্রা। চারধাম– কেদার, বদ্রী, গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী মানুষকে সবসময় টানে। তবে শরীর-স্বাস্থ্যের সঙ্গে আপোষ করে লাভ হয় না।  কেউ যদি যাত্রাকাল পিছোতে না চান তাহলে যাত্রা শুরু আগে চিকিৎসকের সম্মতি প্রয়োজন। পর্যটন দফতর থেকেই এই অনুমোদনপত্র চাওয়া হবে, বলে জানান ভাট। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ধান সিং রাওয়াত নিজে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। জরুরি অবস্থার জন্য অ্যাডভান্স সাপোর্ট অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

     

  • Cyclone Asani: স্থলের আরও কাছে ‘অশনি’, অন্ধ্রপ্রদেশে লাল সতর্কতা, রাজ্যের কোথায় কেমন বৃষ্টি?

    Cyclone Asani: স্থলের আরও কাছে ‘অশনি’, অন্ধ্রপ্রদেশে লাল সতর্কতা, রাজ্যের কোথায় কেমন বৃষ্টি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতিপথ বদল করে অন্ধ্র উপকূলের কাঁকিনাড়ার কাছে ডাঙা ছোঁবে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ (Asani)। মঙ্গলবার মৌসম ভবন (IMD) জানিয়েছিল, সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় (Cyclone) সমুদ্রেই থাকবে। স্থলভাগে প্রবেশ করবে না। কিন্তু এদিন আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শক্তিক্ষয় করে সাময়িক ভাবে স্থলে প্রবেশ করে, কিছুক্ষণ থেকে আবার সমুদ্রে ফিরে যাবে ‘অশনি’।

    বুধবার অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra pradesh) উপকূল জুড়ে এই মর্মে লাল সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে রওনা হওযা অধিকাংশ বিমান বাতিল (Flights cancelled) করা হয়েছে। বাতিল হয়ছে প্রায় ৪০টি ট্রেন (trains cancelled)। এমনকি পূর্বনির্ধারিত বোর্ডের পরীক্ষাও জরুরি পরিস্থিতিতে পিছিয়ে দিয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার। তবে মৌসম ভবন কিছুটা আশ্বস্ত করে জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় যখন স্থলভাগে প্রবেশ করবে তখন সেটির তীব্রতা কিছুটা কম থাকবে বলে বড় ক্ষয় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কম। মৌসম ভবনের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বুধবার সকালে অন্ধ্র উপকূলে ঢোকার কথা ‘অশনি’র। তারপর সেটি মছলিপুরম, নরসাপুর, ইয়ানম, কাঁকিনাড়া, টুনি হয়ে ফের সমুদ্রে ফিরবে।

    আবহাওয়া ব্যুরোর এক অধিকর্তা বলেন, ‘‘উপকূলের দিকে আপাতত ১২ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় এগোচ্ছে অশনি। তবে যত দ্রুত তার শক্তি ক্ষয় হওয়ার কথা ছিল, তা হয়নি।’’ তাঁর ব্যাখ্যা, ‘‘গত কয়েক ঘণ্টায় ঝড়ের আকৃতি ছোট হয়েছে তাতেই কিছুটা শক্তি সঞ্চয় করতে পেরেছে সেটি।’’ বুধবার সকালে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় ‘অশনি’ প্রভাবে বৃষ্টিও শুরু হয়েছে।

    ঘূর্ণিঝড় অশনির জেরে পশ্চিমবঙ্গে বিপদের কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। তবে বুধবার থেকে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের পাঁচ জেলায় (পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং নদিয়া) বিক্ষিপ্তভাবে কয়েকটি জায়গায় ভারী বৃষ্টি (৭০ মিলিমিটার থেকে ১১০ মিলিমিটার) হতে পারে।  কলকাতা-সহ বাকিগুলি জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। তবে লাগাতার বর্ষণ হবে না। শুক্রবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

    অন্যদিকে, আগামিকাল বৃহস্পতিবার থেকে আগামী শনিবার পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। বিশেষত আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে বৃষ্টির প্রাবল্য বেশি থাকবে। আলিপুর আবহাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ায় উত্তরবঙ্গের পরিমণ্ডলে প্রচুর পরিমাণে দখিনা বাতাস ঢুকছে। তার প্রভাবেই উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলা দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে বৃষ্টি হবে। 

  • Gyanvapi Mosque Update: শিবলিঙ্গের পর এবার শেষনাগের দেখা মিলল জ্ঞানবাপী মসজিদে!

    Gyanvapi Mosque Update: শিবলিঙ্গের পর এবার শেষনাগের দেখা মিলল জ্ঞানবাপী মসজিদে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  জ্ঞানবাপী মসজিদ(gyanvapi mosque) এলাকায় মিলল শেষনাগের দেখা! অন্তত এমনই দাবি আইনজীবি অজয় কুমার মিশ্রের(ajay kumar Mishra)। তাঁর দাবি, ফনা উঁচিয়ে শেষনাগ(sheshnag) রয়েছে, এমন একটি ভাস্কর্যের হদিশ মিলেছে জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে। শুধু তাই নয়, হিন্দুদের আরও কয়েকটি দেবদেবীর মূর্তির সন্ধানও মসজিদ(mosjid) চত্বরে মিলেছে বলে দাবি ওই আইনজীবীর।

    কাশী বিশ্বনাথ মন্দির(kashi Viswanath temple) ভেঙে জ্ঞানবাপী মসজিদ তৈরি হয়েছে বলে দাবি হিন্দুত্ববাদী একাধিক সংগঠনের। বিশ্বেশ্বরের মন্দির ভাঙা হয়েছিল মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের আমলে। পরে রানি অহল্যাবাই মসজিদের অদূরে পুননির্মাণ করে বিশ্বনাথের মন্দির। যে মন্দির আজও ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছে।

    জ্ঞানবাপী মসজিদ যে মন্দির ভেঙেই নির্মাণ করা হয়েছিল, সেই দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয় হিন্দুত্ববাদী কয়েকটি সংগঠন। তার পরেই মসজিদ এলাকায় ভিডিওগ্রাফি করার নির্দেশ দেয় বারাণসী জেলা আদালত। তার ভিত্তিতে কাজ শুরু করে আদালত নিযুক্ত সংস্থা। ভিডিওগ্রাফির কাজ তদারকির জন্য নিয়োগ করা হয় অ্যাডভোকেট কমিশনার। অজয় কুমার মিশ্রকেই ওই দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে তাঁর বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ওঠে। যদিও সেই কারণ নয়, তথ্য ফাঁসের অভিযোগে পরে সরিয়ে দেওয়া হয় অজয় কুমারকে। দিন কয়েক আগে হিন্দু আবেদনকারী সোহন লাল আর্য দাবি করেছিলেন, জ্ঞানবাপী মসজিদ এলাকার ওজুখানার জলাশয়ে শিবলিঙ্গের প্রমাণ মিলেছে। তার পরেই আদালতের তরফে জলাশয়ে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলাশাসককে।

    আরও পড়ুন : জ্ঞানবাপী মসজিদের কুয়োয় মিলল ‘শিবলিঙ্গ’! এলাকা ‘সিল’ করল আদালত

    সোহন লালের পর এবার অজয় কুমারের দাবি, মসজিদ চত্বরে শেষনাগের প্রতিমূর্তির সন্ধান মিলেছে। এই মর্মে আদালতে রিপোর্টও জমা দিয়েছেন অজয় কুমার। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিরোধপূর্ণ এলাকায় ব্যারিকেডের বাইরে মন্দিরের পুরানো ধ্বংসাবশেষ মিলেছে। ওই মন্দিরে হিন্দু দেবদেবীর ভাস্কর্য ও পদ্মের নিদর্শনও রয়েছে। রয়েছে শেষনাগের পাথরের ভাস্কর্যও। নাগফনার দেখাও মিলেছে। মন্দিরে কয়েকটি স্ল্যাবও দেখা গিয়েছে। যা থেকে স্পষ্ট, এটি একটি ভবনের অংশ। সিঁদুর মাখানো চারটি মূর্তিও দেখা গিয়েছে। মন্দিরে নিত্য প্রদীপ জ্বালানো হত বলেও দাবি রিপোর্টে।

    আরও পড়ুন : অযোধ্যার পর কাশী? জ্ঞানবাপী নীতি ঠিক করতে বৈঠকে ভিএইচপি

    ওজুখানার জলাশয়ে শিবলিঙ্গের প্রমাণ মিলেছে বলে দাবি ওঠায় আদালতের নির্দেশে ব্যবস্থা করা হয়েছে কড়া নিরাপত্তার। তবে ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা যাতে পাঁচ ওয়াক্ত নমাজ পড়তে পারেন, সেই ব্যবস্থাও করতে প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।  

    আরও পড়ুন : কড়া নিরাপত্তায় ফের শুরু জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিডিওগ্রাফি সমীক্ষার কাজ

     

     

  • Gyanvapi Masjid: অ্যাডভোকেট কমিশনারের অপসারণের দাবি তুলল জ্ঞানবাপী মসজিদ কমিটি

    Gyanvapi Masjid: অ্যাডভোকেট কমিশনারের অপসারণের দাবি তুলল জ্ঞানবাপী মসজিদ কমিটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার আদালত নিযুক্ত অ্যাডভোকেট কমিশনারকে (Advocate Commissioner) সরনোর দাবি তুলল কাশীর আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি (Anjuman Intezamia Masjid committee)। শনিবার এ ব্যাপারে আদালতে আবেদনও জানিয়েছে তারা। আদালত অজয়কুমার মিশ্রকে অ্যাডভোকেট কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত করেছিল। তাঁর বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলা হয়েছে মসজিদ কমিটির তরফে।

    বারাণসীর কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের পাশেই রয়েছে জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi Masjid)। এখানে প্রতিদিন পাঁচবার নমাজ পড়েন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। মসজিদ পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি। ১৯৯১ সালে বারাণসীর দায়রা আদালতে মসজিদ নিয়ে কয়েকটি আবেদন করা হয়েছিল। একটি আবেদনে দাবি করা হয়েছিল, মসজিদটি যে জায়গায় রয়েছে, সেখানে আগে বিশ্বেশ্বরের মন্দির ছিলন(mosque in Varanasi)। পুজো করা হত শৃঙ্গার গৌরীর। মুঘল শাসকরা মন্দির ভেঙে মসজিদ তৈরি করে।

    তাই জ্ঞানবাপী মসজিদটি খালি করে তা হিন্দুদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতেই শুরু হয়েছে জ্ঞানবাপী-শৃঙ্গার গৌরী কমপ্লেক্সে সমীক্ষা ও ভিডিওগ্রাফির কাজ। এই কাজ তদারকির জন্য আদালত অজয়কুমার মিশ্রকে অ্যাডভোকেট কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত করে। তাঁর বিরুদ্ধেই পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছেন মসজিদ কমিটির লোকজন।

    মসজিদ কমিটির অভিযোগ, সমীক্ষা চালানোর সময় মসজিদের বাইরে দুটি আবছা কিন্তু সুস্পষ্ট স্বস্তিক চিহ্ন তাঁরা দেখতে পেয়েছিলেন বলে কমিশনারের দলের ভিডিওগ্রাফাররা দাবি করেন। সমীক্ষক দলের মতে, স্বস্তিক চিহ্নগুলি সম্ভবত প্রাচীনকালে তৈরি হয়েছিল।

    এই দাবির পরেই শুরু হয় বিক্ষোভ। বিক্ষোভের মুখে পড়ে সমীক্ষার কাজ বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। মসজিদ কমিটির দাবি, আদালত কমিশনার পক্ষপাতিত্ব করছেন। কমিটির তরফে জানানো হয়, আমরা কোর্ট কমিশনারকে সরানোর দাবি আদালতে জানিয়েছি। তিনি পক্ষপাতিত্ব করছেন। কোর্টে শুনানির পর যে রায় হবে, আমরা সেই মতো চলব।

     

  • Hyderabad Killing: স্ত্রী সুলতানাকে ইদের উপহার কিনে দিতে সোনার চেন বিক্রি করে দিয়েছিলেন নাগারাজু

    Hyderabad Killing: স্ত্রী সুলতানাকে ইদের উপহার কিনে দিতে সোনার চেন বিক্রি করে দিয়েছিলেন নাগারাজু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্ত্রীকে ইদের উপহার কিনে দিতে নিজের গলার সোনার চেন বিক্রি করে দিয়েছিলেন তেলাঙ্গানার খুন হওয়া হিন্দু যুবক। উপহার কেনার আগেই অবশ্য স্ত্রীর ভাইয়ের হাতে নৃশংসভাবে খুন হন ওই যুবক। কৃষ্ণবেশে স্বামীর একটা ছবিই আপাতত বুকে জড়িয়ে ধরে লাগাতার কেঁদে চলেছেন আসরিন সুলতানা ওরফে পল্লবী। এতদিন পতিগৃহে যাত্রা করতে না পারলেও, এখন পেরেছেন। যতদিন বাঁচবেন স্বামীর ভিটে ছেড়ে কোথাও নড়বেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বছর পঁচিশের ওই তরুণী।

    ভালবেসে মুসলিম সহপাঠীকে বিয়ে করেছিলেন তেলাঙ্গানার সারুরনগর এলাকার হিন্দু যুবক বছর ছাব্বিশের বিল্লাপুরাম নাগরাজু। বিয়ের পরে পরেই গা ঢাকা দেন নবদম্পতি। পাছে হিন্দু স্বামীর কোনও ক্ষতি তাঁর আত্মীয়রা যাতে না করতে পারেন, তাই নাম বদলে সুলতানা হয়ে যান পল্লবী। সম্প্রতি এলাকায় ফিরে কাজে যোগ দেন নাগরাজু। এর পরেই রাতের অন্ধকারে বাইকে চড়ে এসে তাঁকে নৃসংশভাবে কুপিয়ে খুন করে সুলতানার এক ভাই ও তার বন্ধু। সেদিনের সেই নৃশংসতার ছবি চোখের সামনে ভেসে ওঠে সুলতানার। তিনি বলেন, কয়েকটা মুহূর্তের মধ্যেই অন্তত ৩০-৩৫ বার লোহার রড দিয়ে আমার ভাই ও তার এক বন্ধু নাগরাজুর মাথায় আঘাত করছিল। সেই দৃশ্য দেখতে ভিড় জমে গিয়েছিল। সাহায্যের জন্য অনুনয়-বিনয় করলাম। সবাই খুনের দৃশ্য মোবাইল বন্দি করতেই ব্যস্ত। কেউ সাহায্য করল না আমাকে। চোখের সামনেই ছটফট করতে করতে মারা গেল আমার স্বামী।

    আরও পড়ুন : ভিনধর্মের যুবতীকে বিয়ে, প্রাণ গেল দলিত যুবকের, ধৃত স্ত্রীর ভাই সহ ২

    নাগরাজুর মৃত্যুর পরে স্বামীর ভিটেয় ফিরে এসেছেন সুলতানা। স্বামীর পরিবার তাঁদের বিয়ে মেনে না নেওয়াতেই তাঁরা ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন এদিক-সেদিক। নাগরাজুর মৃত্যুর পরে তাঁর শোকে কাতর পরিবারকে সান্ত্বনা দিতেই ভিটেয় ফিরেছেন সুলতানা। স্বামীর একটি ছবি বুকে নিয়ে কেঁদে চলেছেন অনর্গল। স্বামীকে নৃশংসভাবে খুন করলেও, তিনি যে স্বামীর ভিটে ছেড়ে কোত্থাও যাবেন না, কান্নাভেজা গলায় তা জানিয়ে দিয়েছেন ভিন ধর্মের ওই তরুণী।

    নাগরাজু যে তাঁকে কত ভালবাসতেন, কাঁদতে কাঁদতে বারবার সেকথাই বলছিলেন সুলতানা। তিনি জানান, তাঁকে ইদের উপহার কিনে দিতে চারমিনারে নিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছিলেন নাগরাজু। সেজন্য গলার দামি সোনার চেনটা মাত্র ২৫ হাজার টাকা বিক্রিও করে দিয়েছিলেন। সেই টাকা এনে তাঁর হাতে দিয়েওছিলেন স্বামী। তারপর…। হাউহাউ করে কেঁদে ফেলেন সদ্য বিধবা তরুণী। ওড়নার আঁচল দিয়ে কান্না রোধের নিষ্ফল চেষ্টাও করতে দেখা যায় তাঁকে।    

LinkedIn
Share