Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Monkey Pox: ফের মাঙ্কি পক্সে আক্রান্তের হদিশ, বিদেশ ফেরতদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ কেন্দ্রের

    Monkey Pox: ফের মাঙ্কি পক্সে আক্রান্তের হদিশ, বিদেশ ফেরতদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনার পরে এবার দেশে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে মাঙ্কি পক্স (Monkey Pox)। আরও এক মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত রোগীর হদিশ মিলেছে কেরলে (Kerala)। আর তারপরেই দেশের সমস্ত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিল কেন্দ্র সরকার। বিদেশ ফেরত সমস্ত যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।

    আরও পড়ুন: মাঙ্কি পক্সের পর এবারে চোখ রাঙাচ্ছে টোম্যাটো ফ্লু! কী এর উপসর্গ, জানুন…

    সোমবার বিমান বন্দরের আধিকারিক (Airport Authority), স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে মাঙ্কি পক্স সংক্রান্ত ইস্যুতে জরুরি বৈঠক করেন স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ বিভাগের (Ministry of Health and Family Welfare) আঞ্চলিক দফতরের প্রধানরা। তার পরেই কেন্দ্রীয় সরকার একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, বিদেশ থেকে দেশে ফিরলেই যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে। এর ফলে দেশে মাঙ্কি পক্স ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা কমবে। মাঙ্কি পক্স নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের নির্দেশিকা মেনে চলার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। অভিবাসন দফতরকেও এই বিষয়ে সতর্ক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ভারতে প্রথম মাঙ্কি পক্সে আক্রান্তের হদিস মিলল, ভয় কতটা?
      
    সোমবার সকালেই দেশে মাঙ্কি পক্সে দ্বিতীয় আক্রান্তের হদিশ মেলে। আর তারপরেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। ৩১ বছরের ওই ব্যক্তি এই মুহূর্তে কন্নুরের পারিয়ারাম মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি। এখন তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। গত সপ্তাহে আরব আমিরশাহি ফেরত আরও এক ব্যক্তির শরীরেও মাঙ্কি পক্সের ভাইরাস পাওয়া যায়। 

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে মাঙ্কি পক্স মূলতে পশুর শরীর থেকে মানুষের শরীরে সংক্রমিত হয়েছে। স্মল পক্সের মতোই লক্ষণ এই রোগের। যদিও স্মল পক্সের থেকে কম ক্ষতিকারক এই রোগ। সম্প্রতি মাঙ্কি পক্সকে অতিমারী ঘোষণা করেছে হু। 

    ইতিমধ্যেই ৫৮টি দেশে ৩৪১৭ টি মাঙ্কিপক্সের ঘটনা রিপোর্ট হয়েছে। মাঙ্কিপক্সের প্রভাব ক্রমশ একাধিক দেশে বেড়েই চলেছে। ওয়ার্ল্ড হেলথ নেটওয়ার্ক থেকে জানানো হয়েছে, বিশ্বজুড়ে কোনো পদক্ষেপ তৎক্ষণাৎ না নিলে মাঙ্কিপক্সের প্রভাব কমানো সম্ভব নয়। যদিও এই মুহূর্তে স্মল পক্সের তুলনায় মাঙ্কিপক্সের মৃত্যুর হার কম। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বিশ্বজুড়ে অনেক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। এই মুহূর্তে এই রোগের মোকাবিলার চেষ্টা চলছে সর্বত্র। এরই মধ্যে এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। ফলে এই মুহূর্তে মাঙ্কিপক্স অতিমারি ছাড়া আর কিছু নয় জানিয়েছে ওয়ার্ল্ড হেলথ নেটওয়ার্ক।

    ওয়ার্ল্ড হেলথ নেটওয়ার্ক থেকে জানানো হয়েছে যে, মাঙ্কিপক্সকে অতিমারি ঘোষণা করার প্রধান উদ্দেশ্য হল যাতে অধিকাংশ দেশগুলি এই ভাইরাসের প্রতি বিশেষ নজর রাখে ও এখন থেকেই পদক্ষেপ নিতে শুরু করে। উপযুক্ত পদক্ষেপ নিলেই এই ভাইরাসের ক্ষতির হাত থেকে রেহাই পাবে গোটা বিশ্ব। মাঙ্কিপক্সের উপসর্গগুলি নিয়েও জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতার প্রচার করার কথাও বলেছে ওয়ার্ল্ড হেলথ নেটওয়ার্ক। 

     

  • Sri Lanka Crisis: শ্রীলঙ্কা ইস্যুতে আজ সর্বদল বৈঠকের ডাক কেন্দ্রের

    Sri Lanka Crisis: শ্রীলঙ্কা ইস্যুতে আজ সর্বদল বৈঠকের ডাক কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কা ইস্যুতে (Sri Lanka Crisis) সর্বদলীয় বৈঠকে (All-Party Meeting) ডাক দিল কেন্দ্রীয় সরকার। আজ, মঙ্গলবার, হতে চলেছে সেই বৈঠক। বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) এবং অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman)। 

    অর্থনৈতিক মন্দায় ডুবে রয়েছে ভারতের প্রতিবেশি দেশ শ্রীলঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কায় বসবাসকারী তামিলদের স্বার্থে শ্রীলঙ্কা ইস্যুতে ভারতের হস্তক্ষেপের দাবি করেছে তামিলনাড়ুর প্রধান দুই রাজনৈতিক দল ডিএমকে (DMK) এবং এআইএডিএমকে (AIADMK)।

    আরও পড়ুন: আশ্রয় দেবে না ভারত, কোথায় যাবেন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া?  

    সংসদের বাদল অধিবেশনের আগে এক বৈঠকে, ডিএমকে এবং এআইএডিএমকে সরকারের সামনে শ্রীলঙ্কা প্রসঙ্গ তুলেছিল। সেখানে বসবাসকারী তামিল জনজাতির পরিস্থিতির উন্নতিতে ভারত সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করে। ডিএমকে নেতা টিআর বালু এবং এআইএডিএমকে নেতা এম থাম্বিদুরাই তাঁদের দাবি সংবাদমাধ্যমকেও জানান।

    আরও পড়ুন: মালদ্বীপ ছেড়ে সিঙ্গাপুর পালালেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া, মেলেনি আশ্রয়, যাবেন কোথায়?       

    এর আগেই দ্বীপ রাষ্ট্রের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে ভারত। শ্রীলঙ্কার পড়ন্ত অর্থনীতির কথা মাথায় রেখেই ইতিমধ্যেই সে দেশকে ৩৮০ কোটি  মার্কিন ডলার দিয়ে সাহায্য করেছে মোদি সরকার। এছাড়াও জ্বালানি, খাবার, জামাকাপড়ের মতো ১৫০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ভারত থেকে শ্রীলঙ্কায় পাঠানো হয়েছে।    

    ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী এ বিষয়ে বলেন, “কোনও দেশের উন্নতি, শান্তি বজায় রাখতে, সবার আগে প্রতিবেশি দেশের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখা প্রয়োজন। আমরা শ্রীলঙ্কার গণতন্ত্র বজায় রাখার লড়াইয়ে তাদের পাশে আছি।”  

    তিনি আরও বলেন, “আমরা শ্রীলঙ্কা ইস্যুতে খুব সুক্ষ্মতার সঙ্গে নজর রাখছি। আমাদের শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সুসম্পর্ক ইতিহাস প্রাচীন। আমরা তা বজায় রাখব। কীভাবে এই সমস্যার সমাধান করা যায়, আমরা এখন সেটাই দেখছি।”

    শ্রীলঙ্কার আন্দোলন রবিবার শততম দিন পার করেছে। কিন্তু অবস্থার কোনও রকম উন্নতি হয়নি। গত সপ্তাহে বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের দখল নেয়। তারপরেই প্রাণ ভয়ে দেশ ছেড়ে মালদ্বীপ পালান রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষ। সেখান থেকে সিঙ্গাপুর পৌঁছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। এই মুহূর্তে দেশের পরিস্থিতি সামলাতে কার্যকরী রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে।  এই আর্থিক সংকটের জন্য সরকারের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করছেন শ্রীলঙ্কার সাধারণ মানুষ। আর্থিক মন্দার কারণে গত বছর থেকে দ্বীপ রাষ্ট্রের ২ কোটি ২০ লক্ষ মানুষ খাবার, জ্বালানি ও ওষুধের সংকটে ভুগছেন।   

        

  • Population Growth Row: দ্রুত বাড়ছে মুসলিম জনসংখ্যা, বদলে যাচ্ছে ভারতের ধর্মীয় মানচিত্র?

    Population Growth Row: দ্রুত বাড়ছে মুসলিম জনসংখ্যা, বদলে যাচ্ছে ভারতের ধর্মীয় মানচিত্র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে দ্রুত বাড়ছে মুসলিম (Muslims) জনসংখ্যা। ২০১১ সালের জনগণনা থেকেই এই তথ্য উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, অন্যান্য ধর্মীয় সম্প্রদায়ের (Religious Group) চেয়ে দ্রুত বাড়ছে মুসলিম জনসংখ্যা। সেই তুলনায় জন্মহার কম হিন্দু (Hindus), শিখ (Sikhs), জৈন (Jains) এবং বৌদ্ধদের (Buddhists)।  সম্প্রতি এনিয়ে সমীক্ষা করেন জেকে বাজাজ নামে এক ব্যক্তি। ‘সেন্টার ফর পলিসি স্টাডিজ’-এর পক্ষে সমীক্ষাটি করেন তিনি। তাতেই দেখা যায়, ভারতে দ্রুত বদলে যাচ্ছে ধর্মীয় মানচিত্র। মুসলিমদের বাড়বাড়ন্তের পাশাপাশি কমছে শিখ, জৈন এবং বৌদ্ধদের জন্মহার। একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাজাজ জানান, এটা একটা তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। এর সমাজতাত্ত্বিক ও রাজনৈতিক পরিণতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

    আরও পড়ুন : হিন্দু ধর্ম সবচেয়ে সহনশীল, জানুন জুবের-জামিনকালে কী বলল আদালত

    সমীক্ষায় প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে বাজাজ দেখিয়েছেন, মুসলিম এবং ভারতের বাকি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের জন্মহারের ফারাক বিস্তর। ১৯৫১ থেকে ১৯৬১ সাল পর্যন্ত সময়ে মুসলিম জনসংখ্যা ছিল ০.২৪ শতাংশ। ২০০১ থেকে ২০১১ পর্যন্ত সেটা বেড়ে হয়েছে ০.৮০ শতাংশ। ১৯৫১ সালে ভারতে ৩.৪৭ কোটি মুসলিম ছিলেন। ২০১১ সালে সেটাই বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭.১১ কোটিতে। অর্থাৎ, সংখ্যাতত্ত্বের নিরিখে বৃদ্ধি হয়েছে ৪.৬ গুণ। তুলনায় অন্যান্য ধর্ম বেড়েছে ৩.২ গুণ। যা থেকে প্রমাণ হয় ভারতে ধর্মীয় ভারসাম্যহীনতা ক্রমশ বাড়বে। তিনি জানান, মুসলিম সম্প্রদায়ের সঙ্গে অন্যান্য ধর্মীয় সম্প্রদায়ের জন্মহারের ফারাক ১৯৯১ থেকে ২০০১ পর্যন্ত খানিকটা কমলেও পরের দশকে ফের বেড়েছে এক লপ্তে অনেকটাই।

    সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, ভারতীয় ধর্মীয় সম্প্রদায়গুলির জনসংখ্যা ২০০১ সালে ছিল ৮৪.২১ শতাংশ। পরের দশকে সেটাই কমে হয়েছে ৮৩.৪৮ শতাংশ। অথচ মুসলিম জনসংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। সমীক্ষার ফলেই স্পষ্ট, ভবিষ্যতে এর প্রভাব হবে মারাত্মক। সমীক্ষায় এটাও স্পষ্ট হয়েছে যে, যেসব মায়েরা কম সন্তান ধারণ করেন, তাঁরা সুশিক্ষিত। অন্যদিকে, যাঁরা বেশিবার গর্ভধারণ করেন, তাঁদের মধ্যে শিক্ষার হার কম। তাঁরা সুস্বাস্থ্যের অধিকারীও নন। সীমান্ত এলাকায় যে নিরন্তর ধর্মান্তকরণ চলছে, তারও প্রমাণ মিলেছে ওই সমীক্ষায়। দেখা গিয়েছে, অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত এলাকায় তফশিলি উপজাতির মানুষ দ্রুত খ্রিষ্টান ধর্মে দীক্ষিত হচ্ছেন। ২০০১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ওই রাজ্যে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা ১৯ শতাংশের কম থেকে বেড়ে হয়েছে ৩০ শতাংশেরও বেশি।

  • Vice President Polls: উপরাষ্ট্রপতি পদে বিরোধী প্রার্থী মার্গারেট আলভা, মমতাকে ফোনে পেলেন না পাওয়ার

    Vice President Polls: উপরাষ্ট্রপতি পদে বিরোধী প্রার্থী মার্গারেট আলভা, মমতাকে ফোনে পেলেন না পাওয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উপরাষ্ট্রপতি (Vice President) পদে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল বিজেপি (BJP)-বিরোধী জোট। ওই পদে কংগ্রেস (Congress) নেত্রী মার্গারেট আলভার (Margaret Alva) নাম ঘোষণা করা হয়েছে। উপরাষ্ট্রপতি পদে বিজেপির তুরুপের তাস পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তাঁর বিরুদ্ধেই লড়বেন আলভা। রবিবার এ কথা জানান এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার স্বয়ং।

    উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থী ঠিক করতে এদিন দুপুর তিনটে নাগাদ পাওয়ারের দিল্লির বাড়িতে বৈঠকে বসেন বিজেপি-বিরোধী ১৭টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। আশ্চর্যজনকভাবে ওই বৈঠকে তৃণমূলের কোনও প্রতিনিধি ছিলেন না। ছিলেন না আম আদমি পার্টির কেউও। তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, ২১ জুলাই শহিদ সমাবেশের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত থাকায় কেউ যোগ দিতে পারেননি ওই বৈঠকে।

    তবে এদিন পাওয়ারের বাসভবনে আয়োজিত ওই বৈঠকে প্রাক্তন রাজ্যপাল মার্গারেট আলভার নামেই শিলমোহর পড়ে। বর্ষীয়ান এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ার জানান, আমরা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু কনফারেন্সে ব্যস্ত থাকায় তাঁর সঙ্গে কথা বলা যায়নি। আমরা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছি। তিনিও শীঘ্রই মার্গারেট আলভাকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করবেন।

    আরও পড়ুন : মমতা আদিবাসী বিরোধী? পোস্টার সাঁটিয়ে প্রমাণ বঙ্গ বিজেপি-র

    ১৯৬৯ সালে আলভা প্রথম পা রাখেন রাজনীতির জগতে। যুক্ত ছিলেন কংগ্রেসের সঙ্গে। ১৯৭৪ সালের পর থেকে দীর্ঘ সময় তিনি ছিলেন রাজ্যসভার সদস্য। কেন্দ্রে মন্ত্রীও হয়েছিলেন। ১৯৯৯ সালে হয়েছিলেন লোকসভার সদস্য। সামলেছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকের পদও। এর পর আলভা অলঙ্কৃত করেন উত্তরাখণ্ড সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যের রাজ্যপালের পদও। সেই আলভাকেই উপরাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী করে বিজেপিকে মাত দিতে চাইছেন বিরোধীরা। বিরোধীরা উপরাষ্ট্রপতি পদে তাঁর নাম ঘোষণা করায় তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন মার্গারেট। ট্যুইট বার্তায় তিনি বলেন, আমি সম্মানিত।   তবে রাষ্ট্রপতি পদের মতো উপরাষ্ট্রপতি পদেও জয়ী হতে চলেছেন এনডিএ প্রার্থী জগদীপ ধনখড়। কারণ লোকসভা ও রাজ্যসভা সংসদের উভয় কক্ষেই বিজেপি সাংসদের সংখ্যা বেশি। সব মিলিয়ে সংসদের উভয় কক্ষে মোট সদস্য সংখ্যা ৭৮০। এর মধ্যে বিজেপিরই রয়েছে ৩৯৪। অথচ ম্যাজিক ফিগার ৩৯১। যা রয়েছে গেরুয়া ঝুলিতে।

    আরও পড়ুন : রাজ্যে ৩ থেকে ৭৭ হয়েছে বিজেপি। বাংলায় আগামী দিনে বাজিমাত করবে পদ্ম-ই। বললেন মিঠুন

     

  • Teesta Setalvad: আহমেদ প্যাটেলের নির্দেশেই মোদির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিলেন তিস্তা! দাবি সিটের

    Teesta Setalvad: আহমেদ প্যাটেলের নির্দেশেই মোদির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিলেন তিস্তা! দাবি সিটের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুজরাটের মোদি (Modi) সরকারকে বিপদে ফেলতেই প্রয়াত কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেলের নির্দেশে ষড়যন্ত্র করেছিলেন সমাজকর্মী তিস্তা শেতলবাদ (Teesta Setalvad)। আমেদাবাদের দায়রা আদালতে এমনটাই জানাল গুজরাট দাঙ্গার স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন টিম (SIT)। আদালতের কাছে জামিনের আর্জি জানান তিস্তা শেতলবাদ। আর সেই আর্জির বিরোধীতা করেই আদালতে হলফনামা পেশ করে সিট।  

    সিটের অভিযোগ, সমাজকর্মী তিস্তা অনেক বড় ষড়যন্ত্রের অংশ ৷ ২০০২ সালে গুজরাট হিংসার (2002 Gujarat Riots) পর প্রয়াত কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেল (Congress leader Ahmed Patel) বিজেপি সরকারকে ফেলে দেওয়ার চক্রান্ত করেছিলেন৷ তাঁর হয়ে কাজ করতেন তিস্তা। 

    আরও পড়ুন: তিস্তাদের বিরুদ্ধে সিট! ছয় সদস্যের বিশেষ দল গঠন গুজরাট সরকারের  

    গত ২৪ জুন গুজরাট হিংসা মামলায় নরেন্দ্র মোদিকে ক্লিনচিট দেয় দেশের শীর্ষ আদালত৷ পরদিনই গ্রেফতার হন মামলাকারী জাকিয়া জাফরির (Zakia Jafri) পক্ষে থাকা সমাজকর্মী তিস্তা শেতলবাদ৷ পাশাপাশি দুই প্রাক্তন আইপিএস আধিকারিক আর বি শ্রীকুমার এবং সঞ্জীব ভাটকেও গ্রেফতার করে গুজরাট পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে গুজরাট হিংসা মামলার প্রমাণ বিকৃত করার অভিযোগ ওঠে৷ এই তিনজনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৬৮ (জালিয়াতি) এবং ১৯৪ (ভুয়ো তথ্য দেওয়া) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: গ্রেফতার তিস্তা, জালিয়াতি ও ষড়যন্ত্রের মামলা রুজু

    সিট হলফনামায় এক প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষী উদ্ধৃত করে বলেছে, “তিস্তা শেতলবাদ আহমেদ প্যাটেলের হয়ে কাজ করতেন৷ তিনি কংগ্রেস নেতার থেকে গোধরা কাণ্ডের পর ৩০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন।” সিটের আরও দাবি, “সেই সময় দিল্লিতে ক্ষমতায় থাকা প্রভাবশালী জাতীয় রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত সাক্ষাৎ করতেন তিস্তা৷ সেই বৈঠকে গুজরাট হিংসা মামলায় বিজেপি নেতাদের ফাঁসানোর চক্রান্ত করা হত।” 

    আরেকজন সাক্ষীর দাবি অনুযায়ী সিট জানায়, ২০০৬ সালে শেতলবাদ এক কংগ্রেস নেতাকে প্রশ্ন করেন, কেন শুধু শাবানা আর জাভেদকে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে? তাঁকে কেন রাজ্যসভার সদস্য করা হচ্ছে না? সিটের দাবি, এই পরিস্থিতিতে তাঁকে জামিন দিলে, তদন্তে ব্যঘাত ঘটতে পারে। তিনি প্রমাণকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করতে পারেন। 
     

  • Sri Lanka Crisis: আশ্রয় দেবে না ভারত, কোথায় যাবেন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া? 

    Sri Lanka Crisis: আশ্রয় দেবে না ভারত, কোথায় যাবেন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও বিপাকে পড়ে গেলেন শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষে (Gotabaya Rajapaksa)। মালদ্বীপ থেকে আশ্রয়ের আশায় তিনি উড়ে গিয়েছিলেন সিঙ্গাপুরে (Singapore)। সেখান থেকে আশ্রয় চেয়েছিলেন ভারতে (India)। তবে বছর তিয়াত্তরের এই রাজনীতিবিদকে সটান না বলে দিয়েছে নয়াদিল্লি। তাই গোতাবায়ার পরবর্তী গন্তব্য কোথায়, তা জানা যায়নি।

    চিনা ঋণের ফাঁদে পড়ে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। দেশে দেখা দেয় আকাল। তার পরেই আছড়ে পড়ে জনরোষ। ভয়ে দেশ ছেড়ে মালদ্বীপ পালান শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া। সেখান থেকে উড়ে যান সিঙ্গাপুরে। তবে সেখানে তাঁর স্থায়ী ঠাঁই জোটেনি। সিঙ্গাপুরের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, সে দেশে প্রবেশে অনুমতি দেওয়া হয়েছে গোতাবায়াকে। তবে তাঁকে আশ্রয় দেওয়া হয়নি। ব্যক্তিগত সফরের জন্য সে দেশে গোতাবায়াকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আশ্রয় চাওয়ার জন্য কোনও আর্জি শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকেও করা হয়নি। সিঙ্গাপুরের তরফে তাঁকে আশ্রয় দেওয়াও হয়নি।

    আরও পড়ুন : মালদ্বীপ ছেড়ে সিঙ্গাপুর পালালেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া, মেলেনি আশ্রয়, যাবেন কোথায়?

    স্ত্রী এবং দুজন মিলিটারি সিকিউরিটি অফিসারকে নিয়ে দেশ ছাড়েন গোতাবায়া। ভায়া মালদ্বীপ হয়ে তিনি আপাতত রয়েছেন সিঙ্গাপুরে। সূত্রের খবর, সিঙ্গাপুরে গোতাবায়ার এক পক্ষকাল থাকার অনুমতি মিলেছে। সিঙ্গাপুর সরকার আর তা বাড়াতে চাইছেন না। ওই সূত্রেই জানা যাচ্ছে, শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেছিলেন ভারত সরকারের কাছেও। তবে তাঁকে মুখের ওপর না বলে দেওয়া হয়েছে। শ্রীলঙ্কাবাসীর বিপক্ষে যাক এমন কোনও সিদ্ধান্ত নিতে চায় না সাউথ ব্লক। তাই এই সিদ্ধান্ত বলে সূত্রের খবর।

    আরও পড়ুন : প্রবল বিক্ষোভের মুখে শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা জারি করলেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া

    এদিকে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মহিন্দা রাজাপক্ষে ও প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী বাসিল রাজাপক্ষকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত অনুমতি ছাড়া দেশ না ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে শ্রীলঙ্কার শীর্ষ আদালত। প্রাক্তন তিন আধিকারিক, যাঁদের মধ্যে দুজন প্রাক্তন সেন্ট্রাল ব্যাংক গভর্নর, তাঁদেরও আদালতের অনুমতি ছাড়া দেশ ছাড়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

    চলতি মাসের ২০ তারিখে নয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা দ্বীপরাষ্ট্রে। তিনিই রাজাপক্ষের কার্যকালের  মেয়াদ শেষ করবেন। এই সময়সীমার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রম সিংহে অন্তর্বর্তীকালীন রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তিনিই নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করতে পারেন। সেই প্রধানমন্ত্রীকে অবশ্য সাংসদদের দ্বারা অনুমোদিত হতে হবে।

     

  • Free Covid-19 Booster Dose: আজ থেকে শুরু বিনামূল্যে বুস্টার ডোজ প্রদান, জানুন বিস্তারিত

    Free Covid-19 Booster Dose: আজ থেকে শুরু বিনামূল্যে বুস্টার ডোজ প্রদান, জানুন বিস্তারিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ থেকে সমস্ত প্রাপ্তবয়স্কদের বিনামূল্যে কোভিড টিকার (Covid-19 Vaccine) বুস্টার ডোজ (Booster Dose) দেওয়া শুরু করেছে কেন্দ্র। দেশজুড়ে আগামী ৭৫ দিন চলবে এই কর্মসূচি। শুধুমাত্র সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতেই পাওয়া যাবে এই বুস্টার ডোজ। স্বাধীনতার ৭৫ তম বছর উপলক্ষে মোদি সরকারের ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ – এর অংশ হিসাবে নেওয়া হয়েছে এই কর্মসুচি। এখনও অবধি, ১৮-৫৯ বছর বয়সী ৭৭ কোটি দেশবাসীর মধ্যে ১ শতাংশেরও কম বুস্টার ডোজ নিয়েছেন। ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সের প্রায় ১৬ কোটি জনসংখ্যার প্রায় ২৬ শতাংশ মানুষকে বুস্টার ডোজ দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবা এবং ফ্রন্টলাইন কর্মীরা বুস্টার ডোজ পেয়েছেন।

      আরও পড়ুন: করোনার সেকেন্ড এবং বুস্টার ডোজের মধ্যে সময় কমালো কেন্দ্র     

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক গত সপ্তাহে জানিয়েছে, করোনার দ্বিতীয় এবং বুস্টার ডোজের মধ্যে ব্যবধান ন মাস থেকে কমিয়ে ছ মাস করা হয়েছে। ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ অন ইমিউনাইজেশন (NTAGI)-র সুপারিশের পরই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। 

    আরও পড়ুন: শিশুদের মধ্যে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, স্কুল খোলা রাখার পক্ষেই সওয়াল চিকিৎসকদের   

    গত বছরের ১৬ জানুয়ারি দেশব্যাপী টিকাকরণ অভিযান শুরু হয়েছিল। প্রথম পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের টিকা দেওয়া হয়েছিল। ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ফ্রন্টলাইন কর্মীদের টিকা দেওয়া শুরু হয়। মার্চ মাস থেকে ৬০ বছরের বেশি বয়সি এবং ৪৫ বছরের উপরে কোমর্বিলিটির রোগীদের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছিল। সরকারি তথ্য অনুসারে, ভারতের জনসংখ্যার ৯৬ শতাংশকে কোভিড টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে, ৮৭ শতাংশ মানুষ উভয় ডোজই পেয়েছে। এই বছরের ১০ এপ্রিল থেকে ১৮ বছরের বেশি বয়সি সকলকে বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়। 

    বুস্টার ডোজ কর্মসূচিতে বাড়তি জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। গত বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেছিলেন, ‘ভারত স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষ উদযাপন করছে। আজাদি অমৃতকাল উদযাপনের আবহে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে ১৫ জুলাই থেকে পরবর্তী ৭৫ দিন দেশের সকল প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিককে বিনামূল্যে বুস্টার ডোজ প্রদান করা হবে।’

    এ যাবৎ শুধুমাত্র প্রথমসারির করোনা যোদ্ধা এবং ষাটোর্ধ্বদের বিনামূল্যে বুস্টার ডোজ (Coronavirus Booster Dose) দিত কেন্দ্র সরকার। বাকিদের টাকা দিয়ে নিতে হত বুস্টার ডোজ। শুক্রবার থেকে সব প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকই বিনামূল্যে বুস্টার ডোজ পাবেন। 

     

  • Mohan Bhagwat: ভারত এগোচ্ছে, প্রগতির ছবিও স্পষ্ট, জানালেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: ভারত এগোচ্ছে, প্রগতির ছবিও স্পষ্ট, জানালেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতি (Nation) এগোচ্ছে। প্রগতির সেই ছবি সর্বত্র দেখাও যাচ্ছে। এই ভাষায়ই ভারতের প্রগতির জয়গান করলেন আরএসএস (RSS) প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। শ্রী সত্য সাই ইউনিভার্সিটি ফর হিউম্যান এক্সিলেন্সের সংবর্ধনা সভায় যোগ দিতে গিয়ে একথা বলেন ভাগবত।

    এদিনের সভায় আরএসএস প্রধান বলেন, ভারতের প্রগতির চিহ্ন সর্বত্র। অতীতের শিক্ষার সঙ্গে অধ্যাধুনিক শিক্ষার মেলবন্ধনেই এটা হয়েছে। ১০-১২ বছর আগে কেউ যদি বলত, ভারত সমৃদ্ধির পথে এগোবে, তাহলেও কেউই এটা সিরিয়াসলি নিতেন না। ভাগবত মনে করিয়ে দেন, এটা এখনই শুরু হয়নি। শুরু হয়েছিল ১৮৫৭ সালে, যাকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। তিনি বলেন, এই যে উৎকর্ষ আমরা পেয়েছি, সেটা পেয়েছি আধ্যাত্মিকতা দিয়ে। কারণ বিজ্ঞান সৃষ্টি উৎস ব্যাখ্যা করতে পারেনি। আরএসএস সংঘচালকের মতে, যে বিজ্ঞান আছে, তাতে বহির্বিশ্বের পাঠ সম্পর্কে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। তাই সর্বত্রই দ্বন্দ্বের ছাপ স্পষ্ট।

    আরও পড়ুন : ২০২৪ সালের মধ্যে ১ লক্ষ শাখা ! শতবর্ষ উদযাপনের আগে পরিকল্পনা আরএসএস-এর

    এদিনের অনুষ্ঠানে আরএসএস প্রধান বলেন, যদি আপনার ভাষা আলাদা হয়, তাহলে দ্বন্দ্ব। আপনার প্রার্থনার পথ যদি ভিন্ন হয়, দ্বন্দ্ব তাহলেও। আর দেশ যদি আলাদা হলে তো কথাই নেই, বিবাদ সেখানেও। তিনি বলেন, উন্নয়নের সঙ্গে পরিবেশেরও দ্বন্দ্ব রয়েছে, দ্বন্দ্ব রয়েছে বিজ্ঞানের সঙ্গে আধ্যাত্মিকতারও। গত হাজার বছর ধরে এই দ্বন্দ্বের মধ্যেই আবর্তিত হচ্ছে বিশ্ব। সৃষ্টির রহস্য উদ্ঘাটনে বিজ্ঞানের কাছে কোনও ব্যাখ্যা নেই বলেই মনে করেন ভাগবত। বলেন, ভারতীয় ঐতিহ্যের মধ্যেই রয়েছে এর উৎস। তিনি বলেন, মন, বুদ্ধি এবং শরীরের সংযোগ ফ্যাক্টর হল আত্মা। আত্মার সহায়তায় কাজ করে এই ত্রয়ী। অনুরূপভাবে, ভগবান মানুষ এবং তাঁর আগ্রহ, সমাজ এবং তার আগ্রহ, সৃষ্টি এবং তার আগ্রহের মধ্যে সমন্বয় সাধন করেন। তিনি বলেন, সবাইকে ভালোবাসুন, সবার সেবা করুন। এই শব্দবন্ধটির মধ্যে লুকোনো দর্শনটি হল, সবই এক। সংঘচালক বলেন, এই যে বৈচিত্র, তা একদিন শেষ হয়ে যাবে। প্রকৃতিও ধ্বংস হয়ে যাবে। কিন্তু প্রকৃতির উৎস রয়ে যাবে। সেটি অক্ষয়, অমর।

     

    বেঁচে থাকাটাই যে জীবনের সব নয়, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন ভাগবত। বলেন, স্রেফ খাওয়াদাওয়া, জনসংখ্যা বৃদ্ধি করাই মানুষের কাজ নয়, এগুলি পশুও করে। যোগ্যতমের উদ্বর্তনের তত্ত্ব কেবল জঙ্গলেই প্রযোজ্য। কিন্তু অন্যদের রক্ষা করাই মনুষ্যত্বের লক্ষণ। এদিনের অনুষ্ঠানে প্রাক্তন ক্রিকেটার সুনীল গাওস্কর, ইসরোর প্রাক্তন চেয়ারম্যান কে কস্তুরিরঙ্গন সহ কয়েকজনকে সম্মানিত করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে।

     

  • Mohammed Zubair: হিন্দু ধর্ম সবচেয়ে সহনশীল, জানুন জুবের-জামিনকালে কী বলল আদালত

    Mohammed Zubair: হিন্দু ধর্ম সবচেয়ে সহনশীল, জানুন জুবের-জামিনকালে কী বলল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু ধর্ম পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন এবং সহনশীল ধর্ম। এই ধর্মে যাঁরা বিশ্বাস রাখেন, তাঁরাও সহনশীলতার পরিচয় দেন৷ অল্ট নিউজের প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ জুবেইরকে (Mohammed Zubair) জামিন দিতে গিয়ে এই মন্তব্য করলেন দিল্লি আদালতের বিচারক। তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্রে বিরোধী মত থাকাটাও প্রয়োজন৷ তাই শুধুমাত্র কোনও রাজনৈতিক দলের সমালোচনা করার কারণে ১৫৩ (এ) বা ২৯৫ (এ)-র মতো গুরুতর ধারা প্রয়োগ করা উচিত নয়। তাই জুবেরের জামিন মঞ্জুর করছে আদালত।

    জামিনের আবেদন মঞ্জুর করার সময়ে আদালতের তরফে বলা হয়েছে, হিন্দু ধর্ম সবচেয়ে সহনশীল। তাই সরকারের বিরোধিতা করার সঙ্গে ধর্মের যোগ টেনে আনা একেবারেই উচিত নয়। ২০১৮ সালে জুবেইরের (Mohammed Zubair) একটি ট্যুইট ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছে, সেই মামলায় শর্তসাপেক্ষে জামিন দেওয়া হয়েছে জুবেইরকে। ব্যক্তিগত বন্ডে পঞ্চাশ হাজার টাকা দিতে হবে তাঁকে। দেশ ছেড়ে বেরতেও পারবেন না তিনি। আদালত জানিয়েছে, জুবেইরের ট্যুইটের ফলে কার আবেগে আঘাত লেগেছে, তার বিবরণ দিতে পারেনি দিল্লি পুলিশ। ট্যুইটের প্রভাব পড়েছে এমন কোনও ব্যক্তির বয়ানও আদালতে পেশ করতে পারেনি পুলিশ। 

    রায় দেওয়ার সময়ে পাটিয়ালা হাউস কোর্টের বিচারপতি বলেছেন, “সুস্থ গণতন্ত্রের জন্য বিরোধী কন্ঠস্বরের উপস্থিতি খুবই প্রয়োজন। কোনও রাজনৈতিক দলের সমালোচনা করলে সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ১৫৩এ বা ২৯৫এ ধারা কার্যকর করার মানেই হয় না।” প্রসঙ্গত, ধর্মের ভিত্তিতে অশান্তি তৈরির অভিযোগ দায়ের হয় ১৫৩এ ধারায়। ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগ দায়ের হয় ২৯৫এ ধারা অনুসারে। 

    আরও পড়ুন: জেলেই জুবের! ১৪ দিনের জেল হেফাজত অল্ট-নিউজের সহ-কর্ণধারের

    এরপরেই হিন্দু ধর্মের প্রসঙ্গ টেনে বিচারপতি বলেছেন, “সনাতন হিন্দু ধর্ম সবচেয়ে বেশি সহনশীল। হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষও একইরকম সহনশীল। সাধারণ মানুষ অনেক সময়েই দেব দেবীর নামে নিজের সন্তানদের নাম রাখে। এমনকী কোনও প্রতিষ্ঠানের নামের সঙ্গেও জড়িয়ে থাকে দেবতার নাম।” হিন্দুদের ভগবানের নামে কোনও প্রতিষ্ঠান বা শিশুর নাম রাখা হলে তা আইন ভাঙে না। যতক্ষণ না তার মধ্যে অপরাধ প্রবণতা থাকে। কোনও অসৎ উদ্দেশে এই কাজ হলে তা অপরাধ।

    সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) পরে পাটিয়ালা হাউস কোর্টেও জামিন পেলেন মহম্মদ জুবেইর। তবে বৃহস্পতিবার হাথরস আদালতে তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল বলে আপাতত মুক্তি পাবেন না তিনি। উত্তরপ্রদেশে নতুন করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে জুবেইরের বিরুদ্ধে। মোট সাতটি মামলা ঝুলছে তাঁর উপরে। সবক’টি মামলা খারিজ করতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন জুবেইর। সেই সঙ্গে জামিনের আরজিও জানিয়েছেন তিনি।

  • Ed Quizzes Sonia: টানা দু’ ঘণ্টা ইডি-র জেরা সোনিয়াকে, ফের তলব সোমবার

    Ed Quizzes Sonia: টানা দু’ ঘণ্টা ইডি-র জেরা সোনিয়াকে, ফের তলব সোমবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার টানা দু ঘণ্টা ধরে কংগ্রেসের (Congress) অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে (Sonia Gandhi) জেরা করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় (National Herald Case) জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বকে। শাসক দল বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস। এদিন দিল্লিতে শশী থারুর, মল্লিকার্জুন খাড়গে সব ৭৫ জন কংগ্রেস সাংসদকে আটক করে পুলিশ।

    ইডি সূত্রের খবর, এদিন সোনিয়াকে ঘণ্টা দুয়েক ধরে জেরা করেন ইডির আধিকারিকরা। পরে সোনিয়ার অনুরোধে এদিনের মতো জিজ্ঞাসাবাদ করা বন্ধ করে দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।  তবে তার আগে রেকর্ড করা হয় সোনিয়ার বয়ান। ইডি সূত্রে খবর, ২৫ জুলাই ফের ডাকা হতে পারে তাঁকে। এদিন সমন যাচাইকরণ এবং উপস্থিতিপত্রে স্বাক্ষরের মতো কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষে দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ শুরু হয় জেরা। ছেড়ে দেওয়া হয় দুটো নাগাদ।

    আরও পড়ুন : ইডির দফতরে হাজির সোনিয়া, কংগ্রেস কর্মীদের বিক্ষোভে উত্তাল সংসদ থেকে রাস্তা

    ন্যাশনাল হেরান্ড মামলায় জুন মাসেই ইডি তলব করেছিল গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে। তলব করা হয়েছিল সোনিয়া পুত্র তথা  কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকেও। বিদেশে থাকার জন্য নির্ধারিত দিনে ইডি দফতরে হাজিরা দিতে পারেননি রাহুল। পরে অবশ্য হাজিরা দেন। প্রায় পাঁচ দিন পঞ্চাশ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জেরা করা হয় রাহুলকে। লিপিবদ্ধ করা হয় তাঁর বয়ান। প্রায় একই সময়ে ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল সোনিয়ারও। কিন্তু করোনা সংক্রমিত হওয়ায় নির্ধারিত দিনে ইডি দফতরে হাজিরা দিতে পারেননি তিনি। হাসপাতালে ভর্তি থাকার সময়ই চেয়ে নেন বাড়তি সময়। সেই মতো বৃহস্পতিবার ইডি দফতরে হাজিরা দেন সোনিয়া। তারই প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে দিল্লি। বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন কংগ্রেস সাংসদরা।

    আরও পড়ুন : মেয়েকে নিয়ে ইডি দফতরে সোনিয়া, কংগ্রেসের প্রতিবাদে উত্তাল দিল্লি, প্রশ্নবাণে জর্জরিত নেত্রী

    প্রসঙ্গত, ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্রটি অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড থেকে প্রকাশিত হত। এর মালিক সংস্থা ছিল ইয়ং ইন্ডিয়ান প্রাইভেট লিমিটেড। জওহরলাল নেহরু প্রতিষ্ঠিত এই সংবাদপত্র নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে অনেক আগেই। তবে ২০১৪ সালে মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পরে বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় হইচই। যার মূল হোতা ছিলেন প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। সেই মামলারই তদন্ত চলছে। জেরা করা হয়েছে রাহুলকে। এবার জেরা করা হচ্ছে সোনিয়াকে।

     

LinkedIn
Share