Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Sharad pawar: মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে লড়া উচিত মহা বিকাশ আঘাড়ি জোটের, মত পাওয়ারের

    Sharad pawar: মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে লড়া উচিত মহা বিকাশ আঘাড়ি জোটের, মত পাওয়ারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Election)। ওই বছরই হবে মহারাষ্ট্র (Maharasthra) বিধানসভার নির্বাচনও। এই বিধানসভা নির্বাচনে মহাবিকাশ অঘাড়ি (Maha Vikas Aghadi) জোটের তিন দলের একসঙ্গে লড়া উচিত। অন্তত এমনই মনে করেন এনসিপি (NCP) প্রধান শরদ পাওয়ার (Sharad Pawar)।

    গত বিধানসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্রের ক্ষমতায় আসে মহাবিকাশ আঘাড়ি জোট। জোটে শামিল তিন দল-শিবসেনা, এনসিপি এবং কংগ্রেস। বছর আড়াই মসৃণভাবে সরকার চলার পর সম্প্রতি দলে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন শিবসেনার বিধায়ক একনাথ শিন্ডে। কংগ্রেস এবং এনসিপি নয়, বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ার পক্ষে সওয়াল করেন শিন্ডে। পরে অনুগত বিধায়কদের নিয়ে প্রথমে বিজেপি শাসিত গুজরাটের সুরাটে চলে যান শিন্ডে। পরে মধ্যরাতের বিমান ধরে চলে যান বিজেপি শাসিত আরও এক রাজ্য আসামে। পরে বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ে সরকার গড়েন শিন্ডে। তাঁর সঙ্গেই চলে যান সিংহভাগ বিধায়ক। হাতে গোণা কয়েকজন বিধায়ক রয়ে গিয়েছেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে।

    আরও পড়ুন : ‘যাঁরা যেতে চাইছেন যান, নতুন শিবসেনা গড়ব’, হুঁশিয়ারি উদ্ধবের

    সম্প্রতি ঔরঙ্গাবাদ এবং ওসমানাবাদের নাম বদল হয়েছে। ঔরঙ্গাবাদের নাম হয়েছে শম্ভনজিনগর, আর ওসমানাবাদের নাম হয়েছে ধারাশিব। উদ্ধব ঠাকরের সরকারের আমলেই হয়েছে এই সিদ্ধান্ত। সেই প্রসঙ্গে পাওয়ার বলেন, এটা মহাবিকাশ আঘাড়ির কমন মিনিমাম প্রোগ্রামের অন্তর্ভুক্ত ছিল না। দু দিনের সফরে ঔরঙ্গাবাদে এসেছেন পাওয়ার। সেখানেই সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এই নাম পরিবর্তনের ব্যাপারে তাঁর মতামত দেন। বলেন, নাম বদলের সিদ্ধান্ত হয়ে যাওয়ার পরে আমি এটি জানতে পেরেছি।

    আরও পড়ুন : ডামাডোলের বাজারেও ঢালাও অর্থ-প্রস্তাব মঞ্জুর, মহারাষ্ট্রে হচ্ছেটা কী?

    ২০২৪ সালে মহারাষ্ট্র বিধানসভার নির্বাচন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তের তিনি বলেন, বিধানসভা নির্বাচনে তিন দলের জোট মহাবিকাশ আঘাড়ির লড়াই করা উচিত। তবে এটা যে নিতান্তই তাঁর ব্যক্তিগত মত, তাও জানান পাওয়ার। পাওয়ার বলেন, এনিয়ে আমি প্রথমে আমার দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলব। তার পরে কথা বলব বাকি জোট শরিকদের সঙ্গে। শিবসেনার বিদ্রোহ প্রসঙ্গে এনসিপি সুপ্রিমো বলেন, হিন্দুত্ব, এনসিপি এবং ফান্ডের অভাবের কথা বলে বিদ্রোহ ঘোষণা হয়েছে। তবে ঠিক কী কারণে অশান্তি, তা জানা যায়নি।

     

  • Ramnath Kovind: পাঁচ বছরের মেয়াদে রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ আটকে দিয়েছেন রাজ্যের ৩ বিল, স্বাক্ষর করেছেন ১৫৯টিতে

    Ramnath Kovind: পাঁচ বছরের মেয়াদে রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ আটকে দিয়েছেন রাজ্যের ৩ বিল, স্বাক্ষর করেছেন ১৫৯টিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাত্র পাঁচ বছরের কার্যকাল। সেই মেয়াদ শেষ হতে বাকি হাতে গোণা কয়েকটা দিন। এই পাঁচ বছরে রাষ্ট্রপতি (President) হিসেবে কী করলেন রামনাথ কোবিন্দ (Ramnath Kovind)? নয়া রাষ্ট্রপতি শপথ নিলেই অবসরে চলে যাবেন কোবিন্দ। শুরু অখণ্ড অবসর। এবার নিজের মতো করে সময় কাটাবেন তিনি। আসুন জেনে নেওয়া যাক, গত পাঁচ বছরে কী কাজ করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।  

    ভারতের রাষ্ট্রপতি পদটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো নয়। মার্কিন মুলুকে প্রেসিডেন্টই সব। আর ভারতে (India) রাষ্ট্রপতি পদটি আলঙ্কারিক। ব্রিটেনের মতো এখানেও প্রধানমন্ত্রীই সব। তবে আলঙ্কারিক হলেও ভারতে রাষ্ট্রপতির হাতে বেশ কিছু ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। সে যাই হোক, গত পাঁচ বছর ধরে এই পদে ছিলেন রামনাথ কোবিন্দ। এই পাঁচ বছরে তিনি স্বাক্ষর করেছেন ১৫৯টি বিলে। নিয়ম অনুযায়ী, কোনও একটি বিল সংসদের উভয় কক্ষে পাশ হওয়ার পর সম্মতির জন্য যায় রাষ্ট্রপতির কাছে। রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করলেই বিলটি আর বিল থাকে না, পরিণত হয় আইনে। তাঁর কার্যকালে রামনাথ কোবিন্দ স্বাক্ষর করেছেন ১৫৯টি বিলে। এগুলির মধ্যে রয়েছে গুজরাট কন্ট্রোল অফ টেটরিজম অ্যান্ড অর্গানাইজড ক্রাইম বিল ২০১৫।  

    আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতি পদে দ্রৌপদীকে সমর্থন করে বিজেপিকে বার্তা উদ্ধব ঠাকরের?

    এই পাঁচ বছরের মেয়াদের কোবিন্দ আটকে দিয়েছেন তিনটি স্টেট বিলও। এর মধ্যে দুটি বাংলার। এদের একটি হল, জেসপ অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড (অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড ট্রান্সফার অফ আন্ডারটেকিং বিল ২০১৬) এবং ডানলপ ইন্ডিয়া লিমিটেড(অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড ট্রান্সফার অফ আন্ডারটেকিং বিল ২০১৬)। বিল দুটিতে স্বাক্ষর করেননি রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতির সম্মতি মেলেনি তামিলনাড়ুর এমবিবিএস এবং বিডিএস কোর্স বিল ২০১৭-ও।

    আরও পড়ুন : দার্জিলিংয়ে হঠাৎ বৈঠকে মমতা-হিমন্ত! বিষয় কি রাষ্ট্রপতি নির্বাচন?

    নিয়ম অনুযায়ী, কোনও একটি বিল রাজ্য বিধানসভায় পাশ হয়ে যাওয়ার পর রাজ্যপালের সম্মতির জন্য সেটি পাঠানো হয় রাজভবনে। রাজ্যপাল বিলটি আটকে রাখতে পারেন অথবা রাষ্ট্রপতির সম্মতির জন্য বিলটি তিনি পাঠাতে পারেন রাষ্ট্রপতি ভবনে। বাংলার দুটি এবং তামিলনাড়ুর একটি বিলের ক্ষেত্রেও এমনটাই হয়েছিল। তিনটি বিলেই রাষ্ট্রপতির সম্মতি মেলেনি। কোবিন্দের হাতে শেষ যে বিলটি পাশ হয়েছে, সেটি হল ক্রিমিনাল ল’(মধ্যপ্রদেশ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল) ২০১৯। তাঁর আমলে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিলও আইনে পরিণত হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, ইউপি’জ মিনিমাম ওয়েজেস(অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল ২০১৭। এই আইনের মাধ্যমে ব্যাংকের মাধ্যমে মজুরি পাবেন উত্তর প্রদেশের শ্রমিকরা।

     

  • BSNL: বিএসএনএলের হাল ফেরাতে ১.৬৪ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা কেন্দ্রের

    BSNL: বিএসএনএলের হাল ফেরাতে ১.৬৪ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেডের (Bharat Sanchar Nigam Limited) হাল ফেরাতে ১.৬৪ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার। সাংবাদিক বৈঠকে বিষয়টি জানিয়েছেন টেলি কমিউনিকেশন মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw)। তিনি জানান, ফাইবার নেটওয়ার্ক বাড়ানোই এবার বিএসএনএলের (BSNL) মূল লক্ষ্য। 

    আরও পড়ুন: ইউরোপের বৃহত্তম স্টার্টআপ সম্মেলনে বিশেষ স্বীকৃতি প্রদান ভারতকে

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, ৩৩ হাজার কোটি টাকার ঋণের বোঝা রয়েছে বিএসএনএলের মাথায়। সেই চাপ কমাতেও এই আর্থিক প্যাকেজ ব্যবহার করা হবে। এছাড়া বিএসএনএলের বন্ড বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এই বন্ড বিক্রি করে যে টাকা আসবে, সেই টাকা থেকে ঋণের কিছু টাকা মেটানোরও পরিকল্পনা রয়েছে। পাশাপাশি ফোরজি এবং ফাইভজি পরিষেবার জন্য স্পেকট্রামও বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। সেই সঙ্গে বিএসএনএল এবং ভারত ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক লিমিটেডের সংযুক্তিকরণের বিষয়েও অনুমোদন পাওয়া গিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে বরাদ্দ চেম্বার ছাড়লেন জগদীপ ধনখড়, কেন জানেন?

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “এই আর্থিক প্যাকেজের তিনটি লক্ষ্য রয়েছে। বিএসএনএলের পরিষেবার মান উন্নত করা, ঋণের বোঝা কমানো এবং ফাইবার নেটওয়ার্কের পরিধি বৃদ্ধি করা। প্যাকেজটিতে মোট ৪৩,৯৬৪ কোটি টাকার নগদ সহায়তা এবং ১.২০ লক্ষ কোটি টাকার অন্যান্য সহায়তা দেওয়া হবে।”  

    মন্ত্রী এদিন আরও জানান, “এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ভারতের ২৪,৬৮০টি গ্রামে এখনও কোনও মোবাইল নেটওয়ার্ক সংযোগ নেই। ভারত জুড়ে মোট ২৫,০০০টি প্রত্যন্ত গ্রামে মোবাইল নেটওয়ার্ক সংযোগ পৌঁছে দিতে ২৬,৩১৬ কোটি টাকা বিনিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।” 

    প্রসঙ্গত, সংস্থাটির হাল ফেরানোর জন্যে চার বছরের সময় বেঁধে দিয়েছে কেন্দ্র। ২০২৭ অর্থবর্ষের আগেই সংস্থাটিকে তার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। যদিও যাবতীয় পরিকল্পনা প্রথম দুবছরের মধ্যেই বাস্তবায়িত করা হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। 

    মন্ত্রী আরও বলেন, “বিএসএনএল এবং বিবিএনএলের (BBNL) সংযুক্তিকরণের পরে মোট ফাইবার নেটওয়ার্ক হবে ১৪ লক্ষ কিলোমিটার। আগামী দুবছরেই বিএসএনএলের আয় অনেকটা বাড়বে বলে আশা করছে কেন্দ্র।” 

     

  • India Vision 2047: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার ছক! ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্র করার ডাক জঙ্গিদের

    India Vision 2047: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার ছক! ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্র করার ডাক জঙ্গিদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিশানা করে নাশকতার ছক কষেছিল বিহারের দুই জঙ্গি। বৃহস্পতিবার পাটনা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পাটনা পুলিশ সূত্রে খবর, দুই অভিযুক্ত মার্শাল আর্ট শেখবার নাম করে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিত। এই দুই জঙ্গিকে তল্লাশি করে পিএফআই (PFI) এসডিপিআই (SDPI)-র বেশ কিছু গোপন কাগজপত্র বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। সেই কাগজ থেকেই পুলিশ জানতে পেরেছে ২০৪৭ সালের মধ্যেই ইসলাম শাসিত রাষ্ট্র হবে ভারত। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই কাজ করছে জঙ্গিরা।

    [tw]


    [/tw]

    গত মঙ্গলবার বিহারের দেওঘরে বিমানবন্দর উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi)। সেই সময়ে তাঁকে হত্যা করার পরিকল্পনা সাজানো হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। মোদির সফরের পনের দিন আগে থেকেই বিশেষ প্রশিক্ষণ নিয়েছিল ধৃত দুই জঙ্গি। জানা গিয়েছে, দুই জঙ্গির নাম আতহার পারভেজ এবং মহম্মদ জালালউদ্দিন। ফুলওয়ারি শরিফ এলাকায় তারা বেশ কিছুদিন ধরে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। গত ৬ এবং ৭ জুলাই মোদির উপরে হামলার পরিকল্পনা করতে বিশেষ মিটিং করেছিল দু’জনে। ফুলওয়ারি শরিফে তাদের ডেরায় তল্লাশি চালিয়েছে বিহার (Bihar) পুলিশ। সেখান থেকেই নানা কাগজপত্র উদ্ধার হয়েছে। সেখানে জঙ্গি সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার (PFI) বেশ কিছু বই পাওয়া গিয়েছে। তাদের কাগজপত্র থেকে জানা গিয়েছে, ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্র বানানোর পরিকল্পনা করেছিল ওই দুই জঙ্গি। 

    আরও পড়ুন: শ্রীনগরে হামলার দায় নিল আইএস! জঙ্গিদের নিশানায় নিরাপত্তারক্ষীরা

    দুই অভিযুক্তের কাছে প্রশিক্ষণ নিতে ভিন রাজ্য থেকেও আসত অনেকে। বিগত দু’মাস ধরেই ভিন রাজ্য থেকে প্রশিক্ষণ নিতে আসার সংখ্যা অত্যধিক বেড়ে গিয়েছিল। অন্য রাজ্য থেকে যারা আসত তারা টিকিট বুকিং এবং হোটেলে ঘর ভাড়া নেওয়ার সময় নিজেদের নাম বদলে নিত বলে জানা যাচ্ছে। বিহার পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত জঙ্গি মহম্মদ জালালউদ্দিন ঝাড়খণ্ডের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার। জঙ্গি সংগঠন সিমির (SIMI) সঙ্গে যুক্ত ছিল অপর ধৃত জঙ্গি পারভেজ। বর্তমানে দু’জনেই পিএফআইয়ের সঙ্গে যুক্ত। আপাতত তাদের জেরা করছে বিহার পুলিশ।

  • IMD on isolated rain: স্থানীয়স্তরে ব্যাপক বৃষ্টি মাপার প্রযুক্তি দেশে নেই জানাল আইএমডি

    IMD on isolated rain: স্থানীয়স্তরে ব্যাপক বৃষ্টি মাপার প্রযুক্তি দেশে নেই জানাল আইএমডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবহাওয়া দফতরের (India Meteorological Department) কাছে বর্তমানে স্থানীয়ভাবে বিচ্ছিন্ন চরম বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়ার মতো প্রযুক্তি এখনও দেশে নেই বলে জানালেন  আর্থ সায়েন্সেস মন্ত্রকের সচিব, ডক্টর এম রবিচন্দ্রন (Dr M Ravichandran)। এ জন্যই অমরনাথে দুর্যোগের সম্মুখীন হতে হয়েছে তীর্থযাত্রীদের। গত 8 জুলাই জম্মু ও কাশ্মীরের গান্ডারবাল জেলার অমরনাথ গুহা মন্দিরের কাছে মেঘ ভাঙা বৃষ্টির ঘটনা ঘটেনি। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন,এটা স্থানীয়স্তরে ব্যাপক বৃষ্টির ফল। তাতেই হড়পা বানে ভেসেছে অমরনাথের একাংশ। পণ্ড হয়েছে এই তীর্থযাত্রার স্বাভাবিক ছন্দ। প্রাণহানি ঘটেছে তীর্থযাত্রীদের। ভারতীয় আবহাওয়া দফতরের (IMD) তরফে বলা হয়েছে, অমরনাথ গুহামন্দিরের কাছেই পর্বতের শিখরে মেঘ পুঞ্জীভূত হয়েছিল। সেখান থেকে বৃষ্টি নেমেছে। 

    আরও পড়ুন: গুহার উপরেই জমাট বাঁধা মেঘ! অমরনাথে আতঙ্ক

    সোমবার আর্থ সায়েন্সেস মন্ত্রকের সচিব (Secretary, Ministry of Earth Sciences), ডক্টর এম রবিচন্দ্রন বলেছেন যে এই ধরনের বিচ্ছিন্ন ভারী বৃষ্টির ঘটনার পূর্বাভাস দেওয়ার বিজ্ঞান “এই মুহূর্তে দেশে বিদ্যমান নেই”। তিনি বলেন, “যেমন ভূমিকম্পের ভবিষ্যদ্বাণী করার মতো কোনও বিজ্ঞান নেই, তেমনই বিচ্ছিন্নভাবে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আগাম জানানোর মতো কোনও প্রযুক্তি নেই। আমাদের এই ধরনের আবহাওয়ার ঘটনাগুলির প্রক্রিয়াটি বুঝতে হবে, কোনও দেশেরই এই ধরনের পূর্বাভাস দেওয়ার বিজ্ঞান নেই।” সচিব বলেন, মন্ত্রণালয় বর্তমানে ড্রোন নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে, আরও তথ্য সংগ্রহের জন্য সেগুলোকে স্বয়ংক্রিয় আবহাওয়া স্টেশন (AWS) হিসেবে ব্যবহার করা হবে। AWS ড্রোনটি  ২ কিমি পর্যন্ত এলাকার তাপমাত্রা, আর্দ্রতা এবং বৃষ্টিপাতের পরিমাণ সঠিকভাবে বলতে পারবে বলে ধারণা। 

    আরও পড়ুন: ভোট চাইতে রাজ্যে এসে বিবেকানন্দের ভিটে ঘুরে গেলেন রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু

    মৌসম ভবনের তরফে পরিষ্কার জানানো হয়েছে, অমরনাথে মেঘ ভাঙা বৃষ্টি হয়নি। স্থানীয়ভাবে ভারী বৃষ্টির জেরেই হড়পা বান এসেছে। এখনও নিখোঁজ বহু ভক্ত। ইতিমধ্যে সোমবার থেকে আবার শুরু হয়েছে অমরনাথ যাত্রা ৷ পহলগাঁও রুটে প্রথম বেসক্যাম্প নুনওয়ান এবং পবিত্র গুহার আগে শেষ বেসক্যাম্প পঞ্চতারনি থেকে এগিয়েছে পুণ্যার্থীদের যাত্রা ৷ অন্তত ৫ হাজার পুণ্যার্থী সোমবার দর্শন করেছেন পবিত্র গুহায় ৷ এই নিয়ে এ বার পবিত্র গুহায় পৌঁছলেন অন্তত ১ লক্ষ ২০ হজার পুণ্যার্থী ৷

  • BJP worker Killed: বিজেপি যুবনেতা খুনের ঘটনায় বাতিল সরকারি অনুষ্ঠান! শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার আর্জি মুখ্যমন্ত্রীর

    BJP worker Killed: বিজেপি যুবনেতা খুনের ঘটনায় বাতিল সরকারি অনুষ্ঠান! শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার আর্জি মুখ্যমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  বিজেপি (BJP) যুব মোর্চার (Yuva Morcha)  নেতাকে খুনের ঘটনায় শোকাহত কর্নাটকের (Karnataka) মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোম্মাই। নিহত নেতার স্মরণে বৃহস্পতিবার রাজ্যের বেশকিছু সরকারি অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়। বাসভরাজ বোম্মাই তাঁর সরকারের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। তার মধ্যে মূল ছিল ‘জনোৎসব কনভেনশন’। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল বিজেপির জাতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার। সেই অনুষ্ঠানও বাতিল করা হয়েছে।  

    মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কর্ণাটকের দক্ষিণ কন্নড় জেলায় কিছু অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতি বাইকে চড়ে পিছন থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে বিজেপি যুব মোর্চার কর্মী প্রবীণ নেত্তারুকে ( Praveen Nettaru)। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দক্ষিণ কন্নড় জেলার বেলারে গ্রামে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে ব্যাঙ্গালুরু এবং উদুপি থেকে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনীও পাঠানো হয়েছে। এদিকে বিজেপি নেতার হত্যার ঘটনা সামনে আসতেই দক্ষিণ কন্নড় জেলার বেশ কয়েকটি জায়গায় উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি নেতা কর্মীদের বচসা বাঁধে। দফায় দফায় বিক্ষোভ কর্মসূচীতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। কয়েকটি জায়গায় পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ার ঘটনা ঘটে। পাল্টা বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয়। অভিযুক্তদের ধরতে বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: কর্নাটকে কুপিয়ে খুন বিজেপি যুব মোর্চার নেতা

    বিজেপি নেতার মৃত্যুর ঘটনায় শোক প্রকাশ করে  মুখ্যমন্ত্রী জানান, যত দ্রুত সম্ভব দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হবে। তিনি আজ নিহত বিজেপি যুবকর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারেন। তবে এই ঘটনায় রাজ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জানান তিনি। উত্তেজনা না ছড়িয়ে তদন্তে সাহায্য করার কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী।

    পুলিশের প্রাথমিক সন্দেহ, বিজেপি নেতার খুনের সঙ্গে গত ১৯ জুলাই রাজ্যের অপর একটি খুনের ঘটনার যোগ থাকতে পারে। কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরাগা জ্ঞানেন্দ্র বলেছেন, সন্দেহভাজনরা কেরালা থেকে এসেছেন। “আমরা এসপির নেতৃত্বে পাঁচটি দল গঠন করেছি এবং তদন্ত চলছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ১০ জনকে হেফাজতে নিয়েছে  তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। দোষীরা শাস্তি পাবেই।”

     

  • Bakrid: খোলা জায়গায়  ‘কুরবানি’ না দেওয়ার আর্জি ইমামদের

    Bakrid: খোলা জায়গায় ‘কুরবানি’ না দেওয়ার আর্জি ইমামদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  ১০ জুলাই রবিবার পালিত হতে চলেছে বখরি ইদ বা ইদ-আল-আধা। মুসলিম সমাজের প্রধান দুটি উত্‍সবের অন্যতম হল এই বখরি ইদ। একে কুরবানির ইদও বলা হয়ে থাকে। এবছর ইদে খোলা রাস্তায় বা জনসমক্ষে কুরবানি না দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন ইমামরা। জুম্মার নমাজের পর তাঁরা এই আর্জি রাখেন সাধারণ মানুষের কাছে। কুরবানির কোনও ভিডিও তুলে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট না করারও আবেদন রাখা হয়েছে।  ইমামদের তরফে বলা হয়েছে, দেশের আইন মেনে এবং শান্তিপূর্ণভাবে কুরবানি দেওয়াটাই প্রকৃত ইসলামের কাজ। এমন কোনও কাজ করা উচিত নয়, যা অন্যের অস্বস্তির কারণ হতে পারে। 

    প্রসঙ্গত, হিজরি ক্যালেন্ডারের ১২তম ও শেষ মাস ধুল হিজার দশমতম দিনে পালিত হয় ইদ-উল-আধা। আকাশে নতুন চাঁদ ওঠার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন দেশে মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা এই উত্‍সব পালন করেন। গোটা বিশ্বের মুসলিমরা এদিন নতুন জামাকাপড় পরে, ভালো ভালো রান্না করে, বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয় পরিজনের সঙ্গে এই দিনটি কাটান। ইদের প্রার্থনার পরেই কুরবানি দেওয়া হয়ে থাকে। কুরবানি দেওয়া পশুর মাংস তিন ভাগে ভাগ করেন মুসলিমরা। একটা ভাগ গৃহস্থ নিজে রাখেন, অন্য ভাগে আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের মধ্যে ভাগ করে দেন এবং তৃতীয় ভাগটি দরিদ্রদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া হয়।

    বখরি ইদে ছাগল, উট বা অন্য কোনও পশুকে বলি দিয়ে সেই মাংস গরীবদের মধ্যে বিতরণ করে দেওয়ার প্রথা প্রচলিত আছে। ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে নিজের প্রিয় কিছু উত্‍সর্গ করাই হল কুরবানির ইদের মূল কথা। বকরি ইদ পালনের মধ্যে দিয়েই শেষ হয় মুসলিম ধর্মের অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য হজযাত্রা। আল্লাহের প্রতি আনুগত্য ও বিশ্বাস প্রদর্শনের উত্‍সব এটি। সত্যের পথে থাকতে সবকিছুরই বলিদান দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকার বার্তাই বকরিদের কুরবানির মাধ্যমে দেওয়া হয়। ইদের আগে মানুষের মধ্যে সেই ত্যাগের বার্তাই পৌঁছে দিতে চেয়েছেন দিল্লির ইমামরা।

  • Maharashtra Gujarat Flood: বন্যায় বিধ্বস্ত গুজরাট – মহারাষ্ট্র, মৃতের সংখ্যা ১০০-এর বেশি

    Maharashtra Gujarat Flood: বন্যায় বিধ্বস্ত গুজরাট – মহারাষ্ট্র, মৃতের সংখ্যা ১০০-এর বেশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রবল বৃষ্টি ও বন্যায় বিপর্যস্ত মহারাষ্ট্র (Maharashtra), গুজরাট (Gujarat)। সোমবার গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র-সহ অনেক জায়গায় ভারী বৃষ্টির কারণে জনজীবন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। বৃষ্টি ও বন্যার কারণে মহারাষ্ট্রে ৮৯ জন ও গুজরাটে ৬৪  জন প্রাণ হারিয়েছেন। ইতিমধ্যেই আবহাওয়া দফতর থেকে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: আসামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ১৮.৩৫ লক্ষ মানুষ, জলে ডুবে মৃত আরও পাঁচ

    প্রবল বর্ষণের ফলে মুম্বইয়ের পালঘাই (Palghai) জেলার ভাসাই (Vasai) এলাকায় ভূমিধস নামায় সেই মুহূর্তেই একজন প্রাণ হারায় ও দুজন আহত হন। এখনও উদ্ধারকার্য চালানো হচ্ছে। অনবরত বৃষ্টি হওয়ার ফলে অন্ধেরিতে ট্রেন চলাচলেও ব্যাঘাত ঘটেছে। রাস্তাঘাট জলমগ্ন থাকায় যাতায়াতকারীদেরও সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ৮৩৯-এর বেশি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এদিন বৃষ্টিতে সাময়িক বিরতি হলেও একাধিক গ্রামে যোগাযোগের রাস্তা এখনও প্লাবিত। বিভিন্ন নদীর জলস্তরও বেড়ে গিয়েছে। এছাড়াও কিছু কিছু বাঁধের জল ছাড়ার ফলে মহারাষ্ট্রের একাধিক গ্রাম রামটেক, উমরেদ, ভিভাপুরে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে।

    আরও পড়ুন: জল সামান্য কমলেও, এখনও বন্যার কবলে ২১ লক্ষ আসামবাসী, মৃত ১৩৪

    প্রবল বৃষ্টির ফলে গুজরাটের অবস্থাও বেশ ভয়াবহ। বেশ কিছুদিন ধরেই প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে গুজরাটে। সেই কারণেই তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। রাজ্যের একাধিক বাঁধের মধ্যে ন্যারি (Nyari) বাঁধের অবস্থা উদ্বেগজনক। উপচে পড়ছে নদী। সরকারি সূত্রের খবর, গুজরাটের একাধিক এলাকা বন্যাপ্রবণ। বৃষ্টির কারণে নদী উপচে পড়লে বিশাল এলাকা বানভাসি হয়ে গিয়েছে। ৯ হাজারের বেশি লোককে অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে ও বন্যাপ্রবণ এলাকা থেকে ৪৬৮ জন মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রবল বর্ষণের ফলে ৩৮৮-এর বেশি রাস্তা জলমগ্ন থাকায় বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। 

    বড়সড় বিপর্যয়ের মুখে গুজরাট ও মহারাষ্ট্র। ভারী বৃষ্টিতে এই দুই রাজ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ১০০-এর বেশি মানুষ। জলমগ্ন হয়ে রয়েছে রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকা।  তবে শুধুমাত্র গুজরাট, মহারাষ্ট্র নয়, দেশের আরও কয়েকটি রাজ্যের অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে নাজেহাল অবস্থা।

  • Gyanvapi Row: শৃঙ্গার গৌরীর স্থলে পুজোর অধিকার চেয়ে আবেদন ৫ হিন্দু মহিলার, চলবে শুনানি

    Gyanvapi Row: শৃঙ্গার গৌরীর স্থলে পুজোর অধিকার চেয়ে আবেদন ৫ হিন্দু মহিলার, চলবে শুনানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাণসী জেলা আদালতে শুরু হয়েছে জ্ঞানবাপী মসজিদ মামলার (Gyanvapi Mosque Case)  শুনানি। এদিন দুপুর দুটোয় জেলার মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট এ কে বিশ্বাসের এজলাসে শোনা হয় আবেদনকারী পাঁচ হিন্দু (Hindu) মহিলা ভক্তের তরফে জ্ঞানবাপী চত্বরের মা শৃঙ্গার গৌরীস্থলে (Shringar Gauri)  পুজোআচ্চার জন্য আবেদনের পক্ষে যুক্তি।

    জুলাই মাসের চার তারিখে মুসলিম পক্ষের তরফে ৫১ দফা যুক্তি শুনেছিল আদালত। অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটিই দেখাশোনা করে জ্ঞানবাপী মসজিদ। ওই কমিটির আইনজীবী আদালতকে জানিয়েছিলেন, ব্রিটিশ আমলেও জ্ঞানবাপী মসজিদের জমিতে মন্দির গড়ার দাবি উঠেছিল। ১৯৩৬ সালে বারাণসী আদালতে সেই আবেদন জানানো হলেও, ওই মসজিদে নমাজ আদায়ের অধিকার বজায় থাকে ১৯৩৭ সালের রায়ে। তার পর থেকে মসজিদে নিত্য নমাজ পড়েন নমাজিরা।

    ২০২১ সালের অগস্টে পাঁচজন হিন্দু মহিলা জ্ঞানবাপীর মা শৃঙ্গার গৌরী এবং মসজিদের ভিতরের পশ্চিমের দেওয়ালে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তির অস্তিত্ব রয়েছে দাবি করে তা পুজোর অনুমতি চেয়ে দ্বারস্থ হয়েছিলেন বারাণসী দায়রা আদালতে। এর পর দায়রা আদালতের বিচারক রবিকুমার দিবাকর নিযুক্ত কমিটি মসজিদের ভিতরে সমীক্ষা ও ভিডিওগ্রাফির নির্দেশ দেয়। সেই ভিডিওগ্রাফির একটি ফুটেজ প্রকাশ্যে আসে। হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, তাতে দেখা গিয়েছে মসজিদের ওজুখানার জলাধারে শিবলিঙ্গ রয়েছে। যদিও মসজিদ কর্তৃপক্ষের দাবি, শিবলিঙ্গ নয়, ওজুখানার জলাধারে রয়েছে পুরানো ফোয়ারা।  

    ভিডিওগ্রাফির কাজ শেষ হওয়ার পরেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মামলার শুনানির দায়িত্ব পায় বারাণসী জেলা আদালত। ১৯৯১ সালে সোমনাথ ব্যাস এবং রামরঙ্গ শর্মা নামে দুই আবেদনকারী জ্ঞানবাপী মসজিদে হিন্দুত্বের অধিকারের দাবিতেও একটি মামলা করেছিলেন। তার প্রেক্ষিতে ওই নির্দেশে বলা হয়েছিল, ১৯৯১ এর ধর্মীয় উপাসনাস্থল আইন অনুযায়ী জ্ঞানবাপী মসজিদ আবেদনকারী পক্ষকে দেওয়া সম্ভব নয়। সেখানে বর্তমান বন্দোবস্তই বহাল থাকবে। ওই আইনের ৪ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, ১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্টের আগে থেকে দেশে যেসব ধর্মীয় কাঠামো রয়েছে, তার চরিত্র কোনওভাবেই পালটানো যাবে না। যদিও হিন্দু পক্ষের আইনজীবী বিষ্ণু জৈন এবং হরিশঙ্কর জৈনের দাবি, ১৯৯১ সালের ওই আইন জ্ঞানবাপীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।

     

  • BJP on Hamid Ansari: হামিদ আনসারি এবং পাক চর এক মঞ্চে, ছবি প্রকাশ বিজেপির 

    BJP on Hamid Ansari: হামিদ আনসারি এবং পাক চর এক মঞ্চে, ছবি প্রকাশ বিজেপির 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার সাংবাদিকের বেশে ভারতে আসা পাক গুপ্তচর ইস্যুতে প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি (Vice President) হামিদ আনসারির (Hamid Ansari) বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাল ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP)।  

    সম্প্রতি প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে বিবৃতি জারি করে বলা হয়, “পাকিস্তানি সাংবাদিক নুসরত মির্জাকে চেনেন না প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি। ২০০৯ বা ২০১০ সালে সন্ত্রাসবাদ বা অন্য কোনও সম্মেলনে ওই সাংবাদিককে কখনও তিনি আমন্ত্রণ জানাননি।” আর এর পরেই প্রমাণ নিয়ে হাজির হয় বিজেপি। শুক্রবার একটি ছবি প্রকাশ করে বিজেপি দাবি করেছে পাক চর নুসরত মির্জার সঙ্গে একই মঞ্চে ছিলেন হামিদ আনসারি। পাক সাংবাদিক নুসরত মির্জা এর আগেই দাবি করেছেন, ইউপিএ ভারতের সরকারে থাকাকালীন তিনি পাঁচবার ভারতে এসেছিলেন এবং যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইকে পাচার করেছিলেন। এমনকি মির্জা এও দাবি করেন, হামিদ আনসারির আমন্ত্রণেই তিনি ভারতে এসেছিলেন। তাঁর সঙ্গে দেখাও করেছিলেন। এরপরই শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে একটি ছবি প্রকাশ করেন বিজেপি মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া (Gaurav Bhatia)। তাঁর দাবি, ২০০৯ সালের ২৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সন্ত্রাসবাদ দমন সংক্রান্ত একটি সম্মেলেনে একই মঞ্চে ছিলেন হামিদ আনসারি ও নুসরত মির্জা।     

    আরও পড়ুন: সত্য গোপন করছেন হামিদ আনসারি, দাবি প্রধানমন্ত্রীর সহ-জীবনীকারের
      
    নুসরত মির্জা আরও দাবি করেছিলেন, হামিদ আনসারি নাকি বেশ কিছু স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে আলোচনাও করেছিলেন। তবে সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন হামিদ আনসারি। গৌরব ভাটিয়া এদিন বলেন, “এরকম অনুষ্ঠানের আগে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার থেকে সবুজ সঙ্কেত নিতে হয়। তখন মুম্বই হামলার এক বছরও কাটেনি। তার মধ্যেই আইএসআই চরকে ভারতে আতঙ্কবাদ নিয়ে বক্তৃতা দিতে ডাকা হল?”  

    আরও পড়ুন: প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি পাক চরকে ভারতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন! বিস্ফোরক দাবি

    এদিকে বিজেপির সুরেই সুর মিলিয়ে আনসারির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন অল ইন্ডিয়া বার অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান আদিশ আগরওয়াল। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদ নিয়ে একটি সম্মেলনের আয়োজন করেছিল জামা মসজিদ ইউনাইটেড ফোরাম। সেই সম্মেলনের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। সেই সম্মেলনে সাংবাদিক মির্জাকে আমন্ত্রণ করার জন্যে উপরাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে তাঁর ওপর চাপ এসেছিল। তিনি রাজী না হওয়ায় উপরাষ্ট্রপতি কার্যালয় তাঁর ওপর রুষ্ট হয়।”

LinkedIn
Share