Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Bhojshala Hindu Temple: ভোজশালার সরস্বতী মন্দির ভেঙেও গড়ে উঠেছিল মসজিদ? 

    Bhojshala Hindu Temple: ভোজশালার সরস্বতী মন্দির ভেঙেও গড়ে উঠেছিল মসজিদ? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার ভোজশালা (Bhojshala) স্মৃতিস্তম্ভ প্রাঙ্গনে মুসলমানদের নমাজ পড়া স্থগিত চেয়ে আবেদন গ্রহণ করল মধ্যপ্রদেশ (Madhya pradesh) হাইকোর্ট। মধ্যপ্রদেশের ধর জেলায় রয়েছে ওই স্মৃতিস্তম্ভ। সম্প্রতি আদালত মধ্যপ্রদেশ সরকার, কেন্দ্রীয় সরকার ও ভারতের পুরাতত্ত্ব সংরক্ষণ বিভাগকেও (Archeological survey of India) সমন পাঠিয়েছে। মামলাটি করেছিল হিন্দু ফ্রন্ট ফর জাস্টিস (Hindu front for justice)।

    ভোজশালা কমপ্লেক্সে দেবী সরস্বতীর (saraswati) মন্দির ছিল বলে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দাবি। তাই হিন্দু সংগঠনটি ওই কমপ্লেক্সে সরস্বতীর মূর্তি স্থাপনের পাশাপাশি কমপ্লেক্সের শিলালিপির রঙিন ছবি তৈরির অনুরোধ জানায়। স্মৃতিস্তম্ভে থাকা পুরাকীর্তি এবং ভাস্কর্যগুলির রেডিওকার্বন ডেটিং (Radio Carbon dating) করার অনুরোধও জানানো হয়েছিল।  

    আরও পড়ুন : অযোধ্যা, মথুরা ও কাশী বিবাদের নিষ্পত্তি একসঙ্গে করা উচিত ছিল, মত উমা ভারতীর

    দেশে শিক্ষা প্রসারে উদ্যোগী রাজা ভোজ জ্ঞান ও প্রজ্ঞার দেবী সরস্বতীর মন্দির নির্মাণ করেছিলেন। পারমার বংশের এই রাজা শিক্ষা প্রসারে একটি কলেজও প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই কলেজটি ভোজশালা নামে পরিচিত। দূরদুরান্ত থেকে ছাত্ররা পড়তে আসত ভোজশালায়। সঙ্গীত, সংস্কৃত, জ্যোতির্বিদ্যা, যোগব্যায়াম, আয়ুর্বেদ ও দর্শনের পাঠ নিতে আসতেন পড়ুয়ারা। হাজার হাজার পড়ুয়া ও বুদ্ধিজীবীদের থাকার ব্যবস্থাও ছিল ভোজশালায়। সরস্বতীর মন্দির গড়ে উঠেছিল ধর জেলায়, ভোজশালা কমপ্লেক্সে। এই ধর জেলাই এক সময় রাজা ভোজের রাজধানী ছিল।

    হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, বর্তমান কামাল মাওলানা মসজিদ, যেটি মন্দির ধ্বংস করার পর নির্মাণ করেছিলেন মুসলিমরা, তাতে ভোজশালার প্রাচীন নিদর্শন রয়েছে। মসজিদে ব্যবহৃত খোদাই করা স্তম্ভগুলি ভোজশালায় ব্যবহৃত হয়। মসজিদের দেওয়ালে খোদাই করা পাথরের স্ল্যাবগুলিতেও এখনও মূল্যবাহ কারুকার্য রয়েছে। শিলালিপিগুলিতে সংস্কৃত ব্যাকরণের জ্ঞানও উৎকীর্ণ রয়েছে। কিছু শিলালিপিতে রাজা ভোজের পরবর্তীকালের শাসকদের প্রশস্তি খোদাই করা রয়েছে। রাজা ভোজ প্রতিষ্ঠিত মন্দিরের সরস্বতীর মূর্তিটি বর্তমানে রয়েছে লন্ডনের মিউজিয়ামে।

    আরও পড়ুন : ধাক্কা খেল মসজিদ কমিটি, জ্ঞানবাপী মামলায় বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    ইতিহাসবিদদের একাংশের দাবি, ১৩০৫, ১৪০১ ও ১৫১৪ সালে মুসলমান শাসকরা ভোজশালার মন্দির ও শিক্ষাকেন্দ্র ধ্বংস করে। ১৩০৫ সালে প্রথম ধ্বংসলীলা চালায় অত্যাচারী মুসলিম শাসক আলাউদ্দিন খিলজি। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে অস্বীকার করায় ভোজশালায় ১২০০ হিন্দু ছাত্র ও শিক্ষককে হত্যা করা হয়। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় মন্দির কমপ্লেক্স। পরবর্তীকালে হামলা হয়েছে আরও দুবার। তারও পরে নির্মাণ হয় কামাল মওলানা মাকবারা। এর ভিত্তিতেই ভোজশালাকে দরগাহ বলে দাবি করা হচ্ছে।

    ১৯৫২ সালে কেন্দ্রীয় সরকার ভোজশালা তুলে দেয় ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের হাতে। বর্তমানে কেবল বসন্ত পঞ্চমীতে সরস্বতী পুজোর দিন ভোজশালায় প্রবেশ ও পুজো করতে পারেন ধর্মপ্রাণ হিন্দুরা। ২০০৩ সালের এপ্রিল মাসে হিন্দুদের জন্য ভোজশালা খুলে দেওয়া হয়। তবে উপাসনার জন্য সম্পূর্ণ প্রাঙ্গণ পুনরুদ্ধারের জন্য পিটিশন দাখিল করা হয়।

     

  • Gautam Navlakha: যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ রয়েছে, এনআইএ আদালতে খারিজ নভলাখার জামিনের আবেদন

    Gautam Navlakha: যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ রয়েছে, এনআইএ আদালতে খারিজ নভলাখার জামিনের আবেদন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ রয়েছে। তাই সমাজকর্মী গৌতম নভলাখার (Gautam Navlakha) জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল এনআইএ-র (NIA) বিশেষ আদালত। আদালত জানিয়েছে, প্রাথমিক সাক্ষ্য প্রমাণে তাঁর বিরুদ্ধে ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। প্রকৃতিগতভাবে যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শুধু তাই নয়, তাঁর বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণও পাওয়া গিয়েছে। সোমবার এনআইএর বিশেষ আদালতের বিচারক রাজেশ জে কাটারিয়া (Rajesh J Katariya) নভলাখার জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন।

    এদিন জামিনের আবেদন খারিজের সময় আদালতের পর্যবেক্ষণ, আবেদনকারীর বিরুদ্ধে যেসব তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গিয়েছে, তার ভিত্তিতে এই মামলার সঙ্গে তাঁর যোগের প্রমাণ মিলেছে। চার্জশিট থেকে জানা যাচ্ছে, আবেদনকারীর বিরুদ্ধে যথেষ্ঠ প্রমাণ রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা যাচ্ছে, আবেদনকারী এই ঘটনার সঙ্গে খুব সম্ভবত জড়িত। তিনি জানান, এই অপরাধ প্রকৃতিগতভাবে খুবই সিরিয়াস। অপরাধের গুরুত্ব বিচার করে এবং প্রাথমিক সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে, তাঁকে জামিন দেওয়া যায় না। 

    ২০১৮ সালে গ্রেফতার করা হয় নভলাখাকে। ইউএপিএ আইনে এনআইএ গ্রেফতার করে তাঁকে। কেবল নাভলাখাকেই নয়, ওই মামলায় মোট ১৬ জনকে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। দেশ বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে ওই আইনে গ্রেফতার করা হয় তাঁদেরকে। পুলিশের অভিযোগ, ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পুণের এলগার পরিষদ কনক্লেভে উসকানিমূলক ভাষণ দিয়েছিলেন অভিযুক্তরা। করেছিলেন অর্থ সাহায্যও। পুলিশের আরও অভিযোগ, অভিযুক্তরা মাওবাদী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। নাভলাখাদের জ্বালাময়ী ভাষণের জেরেই ভীমা কোরেগাঁও যুদ্ধের দ্বিশত বার্ষিকীতে হিংসার (Bhima Koregaon violence) ঘটনা ঘটেছিল।

    আরও পড়ুন : নতুন আইএসআইএস মডিউলের খোঁজ, ছয় রাজ্যে তল্লাশি চালাল এনআইএ

    জানা গিয়েছে, নভলাখাকে প্রথমে গৃহবন্দি করে রাখা হয়। পরে পাঠানো হয় বিচার বিভাগীয় হেফাজতে। পরে নভি মুম্বইয়ের তালোজা কারাগারে বন্দি করে রাখা হয় এই সমাজকর্মীকে। এদিন নভলাখার হয়ে আদালতে সওয়াল করেন হর্ষবর্ধন আকোলকর এবং ওয়াহাব খান। তাঁদের দাবি, মিথ্যে অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে নভলাখাকে। তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তার সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্কই নেই। তাঁদের দাবি, তিনি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের শিকার। যদিও, আদালত গৌতমের জামিন খারিজ করে।
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Independence Day: স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী, প্রজাতন্ত্র দিবসে রাষ্ট্রপতি! জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পার্থক্য জানেন

    Independence Day: স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী, প্রজাতন্ত্র দিবসে রাষ্ট্রপতি! জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পার্থক্য জানেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৬ জানুয়ারি এবং ১৫ অগাস্ট। দু’টি দিনই ভারতের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রজাতন্ত্র দিবস এবং স্বাধীনতা দিবস। স্বাধীনতা দিবসের দিন লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রধানমন্ত্রী এবং ২৬ জানুয়ারি পতাকা উন্মোচন করেন দেশের রাষ্ট্রপতি৷ এই দু’টি দিনই জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান দেখিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। কিন্তু দু’টি দিন জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান দেখানোর পদ্ধতির পার্থক্য আছে।

    স্বাধীনতা দিবসের দিন পতাকা নীচে থেকে উপর পর্যন্ত তোলা হয়। লালকেল্লায় দেশের সম্মানে পতাকা উত্তোলন (Hoist) করেন প্রধানমন্ত্রী। জাতীয় পতাকা খুঁটির নিচের অংশে বেঁধে ওপরে ‘উত্তোলন’ করা হয়। এটি একটি স্বাধীন দেশ হিসাবে ভারতের উত্থান এবং ব্রিটিশ শাসনের অবসান চিহ্নিত করে। ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট ভারত স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে উঠে দাঁড়িয়েছিল। তাই স্বাধীনতা দিবসে নীচে থেকে পতাকা উত্তোলন করা হয়। যখন দেশ স্বাধীন হয় তখন ভারতে কোনও রাষ্ট্রপতি ছিলেন না ছিলেন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু।  

    আরও পড়ুন: দেশ বিভাজনের বিভীষিকা, এক যন্ত্রণার ইতিহাস

    অন্যদিকে প্রজাতন্ত্র দিবসে, জাতীয় পতাকা খুঁটির একদম শীর্ষেই বাঁধা হয় এবং স্বাধীনতা দিবসের মতো খুঁটির নীচের অংশে বাঁধা হয় না। সেটি শুধু ভাঁজ করা অবস্থায় থাকে। সেখান থেকে পতাকাকে মুক্ত করা হয়।  প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করা হয় ১৯৫০ সাল থেকে। ওই বছরের ২৬ জানুয়ারি ছিল প্রজাতন্ত্র দিবস। তত দিন ভারত স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠা পেয়ে গিয়েছে। তাই জাতীয় পতাকা সেদিন উপরেই বাঁধা থাকে। সেটির উন্মোচন (Unfurl) করা হয় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসাবে ভারতের ডানা মেলার প্রতীক ধরে। এটি একটি মুক্ত সময়কে ইঙ্গিত করে। ২৬ জানুয়ারী, ১৯৫০,  ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নেন এবং আনুষ্ঠানিক রাষ্ট্রপ্রধান হন। ওই দিন তিনিই পতাকা উন্মোচন করেন।  এরপর থেকেই প্রতিবছর স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী পতাকা উত্তোলন করেন আর প্রজাতন্ত্র দিবসে রাষ্ট্রপতি পতাকা উন্মোচন করেন।

  • RSS: কৃষিকে পেশা হিসেবে নিক পরবর্তী প্রজন্ম, মত আরএসএস সরকার্যবাহের

    RSS: কৃষিকে পেশা হিসেবে নিক পরবর্তী প্রজন্ম, মত আরএসএস সরকার্যবাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কৃষিকে (Farming) পেশা হিসেবে নিক পরবর্তী প্রজন্ম। এ ব্যাপারে তাদের কীভাবে উৎসাহিত করা যায়, তা কেন্দ্রকে দেখতে বললেন আরএসএসের (RSS) সাধারণ সম্পাদক দত্তাত্রেয় হোসাবলে (Dattatreya Hosabale)। দুদিন ব্যাপী ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন এগ্রিকালচারের (Agriculture) শেষ দিনে ভাষণ দিচ্ছিলেন দত্তাত্রেয়। সেখানেই তিনি কৃষিকে পেশা হিসেবে নেওয়ার কথা বলেন। দেশবাসীর একটা অংশের শহরমুখী হওয়ায় কৃষি শেষ হয়ে যাচ্ছে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। তাঁর মতে, এতে ভারতীয় সংস্কৃতি ও সভ্যতার ওপর প্রভাব পড়বে।

    দত্তাত্রেয় বলেন, ভারতে শহরে বাস করেন ৫২ শতাংশ মানুষ। এটা শুভ লক্ষণ নয়। যদি এভাবে গ্রামের লোকজন শহরে চলে যেতে থাকেন, তাহলে ভারতের কৃষি প্রধান দেশের তকমা ঘুঁচে যাবে। যার ব্যাপক প্রভাব পড়বে ভারতীয় কৃষ্টি ও সভ্যতার ওপর। আরএসএসের এই সরকার্যবাহ বলেন, তরুণ প্রজন্মকে কৃষিমুখী করে তুলতে হবে। দক্ষতা বাড়িয়ে এবং  তাদের ভালো ইনসেনটিভ দিয়ে কৃষিমুখী করে তুলতে হবে।

    আরও পড়ুন : ভারতকে উন্নতির শিখরে নিয়ে গিয়েছেন মোদি, মত আরএসএস নেতার

    এই সম্মেলনের আয়োজক ছিল ভারতীয় কিষান সংঘ, ভারতীয় অ্যাগ্রো-ইকোনমিক রিসার্চ সেন্টার ও ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ এগ্রিকালচার রিসার্চ। দত্তাত্রেয় বলেন, কৃষিতে চাষিদের আয় নিশ্চিত হওয়া উচিত। তাহলে উৎপাদন বাড়বে। খাদ্যশস্যের দাম থাকবে সাধারণ মানুষের নাগালে। তিনি বলেন, খাদ্যশস্যের দাম সাধারণ মানুষের নাগাল ছাড়িয়ে যাক, সেটা কাম্য নয়। কারখানাজাত সামগ্রীর দাম বাড়লে ক্ষতি নেই, তবে খাদ্যশস্য এবং খাদ্যসামগ্রীর দাম থাকা উচিত সাধারণের সাধ্যের মধ্যে।

    আরও পড়ুন :২০২৪ সালের মধ্যে ১ লক্ষ শাখা ! শতবর্ষ উদযাপনের আগে পরিকল্পনা আরএসএস-এর

    তবে এজন্য যেন কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত না হন। আরএসএস সরকার্যবাহ বলেন, কৃষিতে তাঁরা যে পরিমাণ বিনিয়োগ করবেন, সেই মূলধন যেন নষ্ট না হয়। তাঁদের আয় নিশ্চিতকরণ করতে হবে। তাঁর মতে, কৃষিতে আয় বাড়লে চাষিদের সম্মানও বাড়বে। তিনি বলেন, কেবল গরিব নন, ধনী চাষিও রয়েছেন। তবে সমাজে তাঁদের স্থান কোথায়? তিনি বলেন, কৃষিবিজ্ঞানী কিংবা কৃষি-অধ্যাপকদের সমাজে জায়গা রয়েছে, কিন্তু কৃষকদের সম্মান নেই কেন?  আমাদের এটা নিশ্চিত করতে হবে। স্নাতক স্তরে কৃষির ওপর একটা অধ্যায় রাখা উচিত বলেও মনে করেন এই আরএসএস নেতা। দত্তাত্রেয় বলেন, ভারতীয় পড়ুয়াদের কৃষির ভারতীয় পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে হবে। প্রায় ১২০০ বছর আগে ভারতীয় এক ঋষি বই লিখেছিলেন কৃষির ওপর। এর মধ্যে কৃষি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য রয়েছে। বিদেশি নয়, আমাদের দেশেই সমস্ত প্রযুক্তি ছিল। তিনি বলেন, আমাদের শুধু সেগুলো পুনর্বার পড়তে হবে।

     

  • Analytics Wing: প্রতারণা রুখতে বিশেষ অ্যানালেটিক উইং রাখার পথে রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংকগুলি

    Analytics Wing: প্রতারণা রুখতে বিশেষ অ্যানালেটিক উইং রাখার পথে রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংকগুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতারণা (Fraud) এবং ঋণখেলাপি (stressed borrowers) রুখতে পৃথক ডেটা অ্যানালেটিক উইং (Analytics Wing) রাখতে পারে রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংকগুলি। এর আগে ব্যাংকগুলিকে প্রতারণা এবং ঋণখেলাপি রোখার বিষয়ে সতর্ক করেছিল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। এবার নড়েচড়ে বসল ব্যাংকগুলি।    

    বিশেষজ্ঞদের একটি দল ডেটা অ্যানালেটিক উইং হিসেবে কাজ করবে। এই দলের মূল কাজ হবে ব্যাংকের যাবতীয় তথ্য খতিয়ে দেখা। ব্যাংকের আয় থেকে ঋণ কাদের দেওয়া হচ্ছে, কবে টাকা ফেরত আসছে সহ গ্রাহক পরিষেবা সবটাই পর্যালোচনা করে রিপোর্ট দেবে ব্যাংকের এই বিশেষ উইং। সেইমতো পদক্ষেপ নেবে ব্যাংকগুলি। ঋণগ্রহীতাদের ওপর কড়া নজর রাখা এবং ঠিক সময়ে ঋণের টাকা ব্যাংক-এর ভাঁড়ারে আসছে কিনা সেদিকেও খেয়াল রাখবে ডেটা অ্যানালেটিক উইং।  

    আরও পড়ুন: এবার ব্যাঙ্কনোটে দেখা যাবে রবীন্দ্রনাথ, কালামের ‘ওয়াটার মার্ক’?

    এক আধিকারিকের মতে, “এই ব্যবস্থায় ব্যপক উপকৃত হবেন সাধারণ মানুষ। এতে ব্যাংকগুলির আয় বাড়বে, এক নতুন মার্কেট পেতে পারে ব্যাংকগুলি। এমনকি প্রতিযোগীতার দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে যাবে এই বিশেষ উইংযুক্ত ব্যাংকগুলি।”

    আরও পড়ুন: দুমাসে দুবার! ফের রেপো রেট বাড়াল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, কতটা সমস্যায় মধ্যবিত্ত?

    আধিকারিক আরও জানান, “এই দল ব্যাংকের আয়, গ্রাহক পরিষেবা, কস্ট-রিস্ক এবং ম্যানেজমেন্ট, ঋণ নীতি, প্রতারণা রোধ সবদিকেই নজর রাখবে। এতে গ্রাহক পরিষেবায় এক নতুন মাত্রা আসবে। এমনকি ব্যাংক-এর ঋণ দেওয়া, বীমা, বিনিয়গের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতেও সাহায্য করবে এই দল।”

    প্রতিযোগীতার বাজারে ব্যাংকগুলিকে আরও উপযুক্ত করতে এবং ব্যবসাক্ষেত্রে আরও জোয়ার আনতে মূলত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

    এই বিশেষ উইং বড় বড় কর্পোরেট সংস্থাগুলির অ্যাকাউন্টগুলিকে পর্যালোচনা করবে এবং ঋণখেলাপিদের চিহ্নিত করবে। ফলে ব্যাংকের আয় বাড়বে এবং সমগ্র ব্যাংকিং প্রক্রিয়া অনেক বেশি সহজ হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। 

    নীরব মোদি-মেহুল চোক্সী প্রতারণা-কাণ্ডে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংককে (পিএনবি) ১৩,০০০ কোটি টাকার ক্ষতির মুখ দেখতে হয়েছিল। তার আগে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলির প্রায় ৯,০০০ কোটি টাকা পাওনা বাকি রেখে গোপনে দেশ ছেড়েছিলেন বিজয় মাল্য। একের পর এক প্রতারণার ঘটনা থেকে এবার সাবধান হয়েছে রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংকগুলি।   

      

     

  • Covid 19 Vaccine: বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, ঠিক কতটা জরুরি বুস্টার ডোজ? 

    Covid 19 Vaccine: বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, ঠিক কতটা জরুরি বুস্টার ডোজ? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  দেশজুড়ে ফের ফণা তুলছে করোনা (Covid 19)। সংক্রমণে লাগাম টানতে টিকাকরণে (Vaccination) গতি এনেছে কেন্দ্র। জোড় দেওয়া হচ্ছে বুস্টার ডোজে (Booster Jab)। কোভিড টিকার তৃতীয় ডোজকে বুস্টার ডোজ বলা হয়। ভারতে একে পূর্ব সতর্কতা ডোজও বলা হয়ে থাকে। দ্বিতীয় টিকা নেওয়ার ৯ মাসের মাথায় দেওয়া হয় এই বুস্টার শট। 

    চলতি বছর ১০ এপ্রিল থেকে বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু করেছে কেন্দ্র সরকার। প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের সময় যে টিকা দেওয়া হয়েছে, সেই টিকারই বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়ে থাকে। অর্থাৎ কেউ যদি কোভিশিল্ডের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নেন, তাহলে তিনি সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার টিকাই বুস্টার ডোজ হিসেবে পাবেন। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সবাই নিতে পারবেন এই বুস্টার ডোজ। 

    এপ্রিল মাসে প্রতি সপ্তাহে ১০-১৫ লক্ষ করে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে। তারপর চাহিদা খানিকটা কমলেও, মে-র দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে করোনা সংক্রমণ ফের বাড়তে শুরু করলে আবার বুস্টার ডোজের ঘাটতি দেখা দিতে শুরু করে। মে মাসের শেষ সপ্তাহে ২১.০৮ লক্ষ বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ঊর্ধ্বমুখী করোনারগ্রাফ, দেশজুড়ে ১৯৫ কোটি টিকাকরণ

    বিশেষজ্ঞদের মতে, কোভিডের দ্বিতীয় টিকার কারণে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের সাথে অনেকটাই লড়তে সক্ষম হয়েছে দেশ। কিন্তু এখন আবার সেই রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে শুরু করেছে। তাই চতুর্থ ঢেউকে প্রতিহত করতে বুস্টার ডোজ নেওয়া পরামর্শ দিচ্ছেন বিজ্ঞানীদের একাংশ। যদিও এনিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে।   

    আরও পড়ুন: বিমানে মাস্ক বাধ্যতামূলক, কেমন মাস্ক উড়ানে আদর্শ?

    কোনও কোনও বিজ্ঞানীর মতে এই মুহূর্তে করোনার যে ভ্যারিয়েন্টটি সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তার শক্তি খুব বেশি নয়। বুস্টার ডোজ এই দুর্বল ভ্যারিয়েন্টে নিজের ক্ষমতা দেখাতে খুব বেশি সক্ষম নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে শরীর নিজে থেকে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে নিতে পারে। অ্যান্টিবডি হ্রাস পাচ্ছে মানেই রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠবে না এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই।  
    রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠার নেপথ্যে থাকে টি-সেল এবং বি-সেল। টি-সেল রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতারই একটি অংশ। কোনও ভাইরাসে আক্রান্ত কোষকে মেরে ফেলতে সাহায্য করে এই টি-সেল। কেউ কেউ বলেছেন করোনার এই ভ্যারিয়েন্টের জন্যে বুস্টার ডোজের কোনও প্রয়োজন নেই। একমাত্র নতুন কোনও ভ্যারিয়েন্ট এলেই বুস্টার ডোজের কথা ভাবা যেতে পারে।   

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বুস্টার ডোজ এই মুহূর্তে তাঁদেরই প্রয়োজন যারা এখন অবধি করোনায় একবারও আক্রান্ত হননি। তাঁদের সেই রোগের কোনও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও গড়ে ওঠেনি। তাঁরা বুস্টার ডোজ নিতে পারেন। অল্প বয়স্কদের এখনই প্রয়োজন নেই বুস্টার ডোজ। বয়স্করা নিতে পারেন।  

    বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ আবার সমস্ত প্রাপ্ত বয়স্কদের বুস্টার ডোজ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, বুস্টার ডোজ নেওয়ায় কোনও ভয় নেই। বরং নেওয়া থাকলে অনেকটা নিশ্চিন্ত থাকা যায়। বুস্টার ডোজ নেওয়া থাকলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো খারাপ পরিস্থিতিতে যেতে পারে না এই মারণ ভাইরাস। জানাচ্ছেন, ৬০% রোগী ভর্তি আছে হাসপাতালে। তাঁদের মাত্র ৬% বুস্টার ডোজ নিয়েছেন। এক বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকের প্রশ্ন, কিছু দিনের মধ্যেই করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট হাজির হবে। তখন কেন হাসপাতালে বুস্টার ডোজ নিতে দৌড়ব? আগে থেকে নিয়ে কেন প্রস্তুত থাকব না? বুস্টার ডোজ ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে বাড়তি সুরক্ষা দিয়ে থাকে। বিশেষ করে যারা কোমর্বিলিটির রোগী, অর্থাৎ যাদের হৃদরোগ, ডায়েবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা আছে তাদের বুস্টার ডোজ নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন ডাক্তাররা। 

    ভেলোরের খ্রীষ্টান মেডিক্যাল কলেজের একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বুস্টার ডোজ হিসেবে কোভিশিল্ডই সবচেয়ে বেশি কার্যকরী। যদিও ভারতে এই মুহূর্তে সেই ব্যবস্থা নেই। অর্থাৎ আপনাকে প্রথম দুই ডোজে যে টিকা দেওয়া হয়েছে, সেই টিকাই দেওয়া হবে বুস্টার ডোজ হিসেবে। 

    বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এই মুহূর্তে যে টিকাগুলি দেওয়া হচ্ছে তা করোনার প্রথম ভ্যারিয়েন্টের জন্যে বানানো হয়েছিল। ভাইরাস এখন মিউটেশনের মাধ্যমে প্রকৃতি বদলেছে। তাই এই ভ্যারিয়েন্টে খুব বেশি কার্যকর হবে না এই টিকা বলে মত তাঁদের।
    তাই যাদের বিপদের আশঙ্কা সব থেকে বেশি একমাত্র তাঁদেরকেই বুস্টার ডোজ নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন এই বিশেষজ্ঞরা। 

     

     

     

     

     

     

     

     

     

     

     

     

     

  • Jammu-Kashmir: অমরনাথ যাত্রায় হামলার ছক বানচাল, কাশ্মীরে খতম তিন জঙ্গি

    Jammu-Kashmir: অমরনাথ যাত্রায় হামলার ছক বানচাল, কাশ্মীরে খতম তিন জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গিদমন অভিযানে বড়সড় সাফল্য পেল নিরাপত্তাবাহিনী। অমরনাথ যাত্রায় (Amarnath Yatra) হামলার ছক বানচাল করল কাশ্মীর পুলিশ। রবিবারের পর সোমবার রাতেও জঙ্গি দমনে অভিযান চালায় পুলিশ। এদিন গভীর রাতে শ্রীনগরের বেমিনা এলাকায় পুলিশের সঙ্গে গুলিযুদ্ধ হয় উপত্যকায় ঢোকা লস্কর-ই-তৈবা (Lashkar-e-Taiba) জঙ্গিদের।  

    দীর্ঘ লড়াইয়ের পর তিন লস্কর জঙ্গিকে গুলি করে খতম করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এর মধ্যে ২ জন পাক জঙ্গি। তৃতীয়জনের নাম আদিল হুসেন মীর। পুলিশ জানিয়েছে, আদতে অনন্তনাগ জেলার পহেলগামের বাসিন্দা হলেও ২০১৮ সাল থেকে পাকিস্তানে বসবাস ছিল। সংঘর্ষের সময় একজন স্থানীয় ও এক পুলিশকর্মী জখম হন। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত জঙ্গিদের কাছ থেকে বেশকিছু অস্ত্র-সহ গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে ।

    [tw]


    [/tw]

    আগামী ৩০ জুন থেকে শুরু হচ্ছে অমরনাথ যাত্রা। পুলিশ সূত্রে খবর, সেখানে হামলার ছক কষেছিল ওই জঙ্গিরা। জানা গেছে মৃত তিন জঙ্গি পাকিস্তান দিয়ে উপত্যকায় ঢুকেছিল। সোমবার রাতের এই অভিযানকে ‘বড় সাফল্য’ হিসেবে দেখছেন কাশ্মীরের আইজিপি বিজয় কুমার। তিনি জানান, পাকিস্তান থেকে দুই লস্কর জঙ্গি ভারতে এসেছিল। তাদের নিকেশ করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় উপত্যকায় নিহত পাঁচ জঙ্গি

    গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, ওই জঙ্গিদের গতিবিধির উপর নজর রেখেছিল পুলিশ। নিহত দুই লস্কর জঙ্গির একজনের পরিচয় জানা গিয়েছে। কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, পাকিস্তানের ফয়জলাবাদ এলাকার বাসিন্দা ওই জঙ্গির নাম আবদুল্লাহ গাজৌরি। পুলিশের অনুমান, নিকেশ হওয়া তিন জঙ্গিই ফয়জলাবাদের বাসিন্দা। এর আগেও সোপোর এনকাউন্টারে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছিল এই জঙ্গিরা। কিন্তু তখন কোনও কারণে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় তারা। খতম জঙ্গিদের কাছ থেকে দুটি একে–৪৭ রাইফেল, ১০টি ম্যাগাজিন, তাজা কার্তুজ, ওয়াই–এসএমএস ডিভাইস–সহ বেশ কিছু জিনিস উদ্ধার হয়েছে।

     

  • Jawaharlal Nehru: নেহরুর মানসিকতা ছিল ঔপনিবেশিক? বিস্ফোরক আরএসএস শিক্ষাবিদ

    Jawaharlal Nehru: নেহরুর মানসিকতা ছিল ঔপনিবেশিক? বিস্ফোরক আরএসএস শিক্ষাবিদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জহরলাল নেহরুর (Jawaharlal Nehru) ঔপনিবেশিক মানসিকতা (colonial mindset) ছিল। তাঁর মৌলিকতাও ছিল না। সেই কারণেই ভারত (India) অতীতে বিশ্বের সামনে নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছিল। দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বিষয়ে এই মত পোষণ করলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) সহযোগী ভারতীয় শিক্ষামণ্ডলের জাতীয় সম্পাদক মুকুল কানিতকর। একইসঙ্গে তিনি আশাবাদী, ২০২২ সালেই হৃত অ্যাকাডেমিক গৌরব পুনরুদ্ধার এবং বিশ্বের কাছে তার সংস্কৃতি উপস্থাপন করতে সক্ষম হবে ভারত।

    বৃহস্পতিবার দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে (Delhi University) তিনদিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক আলোচনাসভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দিচ্ছিলেন কানিতকর। বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে ওই সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছিল। আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল, ‘রিভিজিটিং আইডিয়াজ অফ ইন্ডিয়া ফ্রম স্বরাজ টু নিউ ইন্ডিয়া’। কানিতকরের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।

    আলোচনাসভায় নেহরুর মতাদর্শকে আক্রমণ করেন কানিতকর। বলেন, একবার নেহরুকে চিঠি লিখে মহাত্মা গান্ধী (Mahatma Gandhi) অনুরোধ করেছিলেন, উন্নয়ন যাতে একেবারে গরিব শ্রেণি পর্যন্ত পৌঁছয়, তার জন্য “গ্রাম স্বরাজ” বা স্বনির্ভর গ্রামকে মান্যতা দেওয়া হোক। এর জন্য গান্ধী ৬টি পয়েন্টে গোটা বিষয়টি ভেঙে বুঝিয়েছিলেন নেহরুকে। কিন্তু, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী সেই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেননি। কারণ, তাঁর মধ্যে কোনও নিজস্বতা ছিল না এবং তাঁর মানসিকতা ঔপনিবেশিক ছিল। আরেকটি সুযোগ হারিয়েছিল বাংলাদেশ গঠনের সময়। ভারত সেই সময় সহজেই এই উপ-মহাদেশে নিজের জন্য একটা জায়গা তৈরি করতে পারত।

    কানিতকর বলেন, ভারত বিশ্বের কাছে তার প্রকৃত শিক্ষার আত্মাকে উপস্থাপন করার সুযোগের বেশ কয়েকটি জানালা হারিয়েছে। কিন্তু এখন আর আমাদের এই সুযোগটি হাতছাড়া করা উচিত নয়। তিনি বলেন, বিবাদের সমাধান এবং ঘুরে দাঁড়ানোর পথ বাতলে দেওয়া হয়েছে সনাতন হিন্দু ধর্মেই। এগুলিকে একটি সামাজিক বিজ্ঞান তত্ত্বের আকারে উপস্থাপন করা প্রয়োজন। তাহলেই বিশ্ব আমাদের ভারতীয় সংস্কৃতি অনুসরণ করবে। কানিতকর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের গবেষণা ও অ্যাকাডেমিক কাজের মাধ্যমে বিশ্বের কাছে ভারতে সমৃদ্ধ সংস্কৃতি উপস্থাপন করা উচিত।

    আরও পড়ুন : “ঐতিহাসিক তথ্যগুলিকে এখনই…”, জ্ঞানবাপী নিয়ে বড় মন্তব্য আরএসএসের

    ভারতীয় শিক্ষাবিদরা তাঁদের স্বতন্ত্রতা হারিয়েছেন বলেও মনে করেন কানিতকর। তিনি বলেন, ভারতীয় শিক্ষাবিদরা তাঁদের স্বতন্ত্রতা হারিয়েছেন এবং ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হতে ব্যর্থ হয়েছেন। আরএসএসের সহযোগী ভারতীয় শিক্ষামণ্ডলের জাতীয় সম্পাদক বলেন, ১৮৩৫ সালের পরে ভারতীয় শিক্ষাবিদরা তাঁদের মৌলিকতা হারিয়ে ফেলেছিলেন এবং এখনও পর্যন্ত তা পুনরুদ্ধার করেননি। পোখরান পরীক্ষা ও দেশীয়ভাবে তৈরি জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপনাস্ত্রের পরীক্ষা ভারতীয় গবেষণার সত্যিকারের নিদর্শন। এর পরেই তিনি নিশানা করেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে।

    এদিনের অনুষ্ঠান বক্তৃতা দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে হতে হবে পরিবর্তনের চালিকাশক্তি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) ভারতকে আন্তর্জাতিক সম্মান এনে দিয়েছেন বলেও মনে করিয়ে দেন শাহ।

     

  • Nupur Sharma: ‘নূপুরকে ক্ষমা করে দিন,’ আবেদন জামাত উলেমা-ই-হিন্দের

    Nupur Sharma: ‘নূপুরকে ক্ষমা করে দিন,’ আবেদন জামাত উলেমা-ই-হিন্দের

    Prophet row: সাসপেন্ডেড বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) পাশে দাঁড়ালেন জমিয়ত উলেমা-ই-হিন্দ (Jamaat Ulama-e-Hind) প্রেসিডেন্ট সুহেব কাসমি। শান্তির বার্তা দিলেন সুহেব। ইসলামের রীতি মেনেই নূপুরকে ক্ষমা করে দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করলেন তিনি।

    পয়গম্বর মহম্মদকে নিয়ে প্রাক্তন বিজেপি মুখপাত্র নূপুরের মন্তব্য ঘিরে ইতিমধ্যেই দেশ-বিদেশে শুরু হয়েছে ব্যাপক বিতর্ক। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়েছে অশান্তি। পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে বিভিন্ন রাজ্যের প্রশাসন। বিভিন্ন মুসলিম সংগঠন নূপুরকে ক্রমাগত নিশানা করে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে শান্তির বার্তা দিলেন জমিয়ত উলেমা-ই-হিন্দ প্রেসিডেন্ট সুহেব কাসমি। রবিবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করেন কাসমি। দেশ জুড়ে যে অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তাকে সংগঠন সমর্থন করে না বলে সাফ জানিয়ে দেন তিনি। কাসমি বলেন, “এ ভাবে আইন হাতে তুলে নেওয়া উচিত নয়। ইসলামে বিশ্বাস থাকলে, নূপুর শর্মাকে ক্ষমা করে দেওয়া উচিত। নূপুর শর্মার মন্তব্য অবমাননাকর হলেও, শুক্রবারের নমাজের পর যে অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তার সঙ্গে একেবারেই একমত নই আমরা।”

    সমালোচনার মুখে পড়ে নূপুরকে ইতিমধ্যেই বরখাস্ত করেছে বিজেপি। তাদের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন কাসমি। তিনি বলেন, “নূপুর শর্মাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। ভারতে আইন রয়েছে। আমরা নিজের হাতে সেই আইন তুলে নেব না। রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখানো, আইনভঙ্গের অধিকার নেই আমাদের।” যে বা যাঁরা অশান্তি এবং হিংসা ছড়ানোয় যুক্ত, তাঁদের বিরুদ্ধে ফতোয়া জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানান কাসমি। আসাদউদ্দিন ওয়েইসি এবং মহম্মদ মাদানির বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: নূপুর শর্মা বিতর্কে অশান্তি, ঝাড়খণ্ডে মৃত ২, তপ্ত বাংলা, ভূস্বর্গে জারি কার্ফু

    শুধু তাই নয়, যে সমস্ত সংগঠন হিংসায় উস্কানি জুগিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নিতে সরকারকে আর্জি জানিয়েছে জামাত উলেমা-ই-হিন্দ। বর্তমান পরিস্থিতিতে জমিয়ত উলেমা-ই-হিন্দ এর প্রেসিডেন্টের এই বক্তব্য যে যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য, তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।

    হজরত মহম্মদকে নিয়ে নূপুরের বিতর্কিত মন্তব্যেরল পরই বিজেপির তরফ থেকে এক বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়, সব ধর্মকে সম্মানের চোখে দেখে বিজেপি। বলা হয়, “ভারতের ইতিহাসে সবসময়ে সব ধর্ম একসঙ্গে বিকশিত হয়েছে। কোনও ধর্ম বা ধর্মীয় ব্যক্তির প্রতি অসম্মানজনক মন্তব্য করার তীব্র নিন্দা করছে বিজেপি। এই ধরনের কার্যকলাপকে প্রশ্রয় দেয় না বিজেপি (BJP)।”  

     

  • PFI: পরিকল্পনা করেই পিএফআই-এর বিরুদ্ধে অভিযান! দেশে জঙ্গি-কার্যকলাপ রুখতে সক্রিয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

    PFI: পরিকল্পনা করেই পিএফআই-এর বিরুদ্ধে অভিযান! দেশে জঙ্গি-কার্যকলাপ রুখতে সক্রিয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ ও বেআইনি আর্থিক লেনদেন-সহ একাধিক অভিযোগে গত কয়েক দিন ধরে দেশ জুড়ে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার (PFI) বিভিন্ন দফতরে তল্লাশি চালাচ্ছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA)। বুধবার ভোর রাতে থেকে শুরু করে বৃহস্পতিবার সারা দিন ধরে চলে ব্যপাক ধরপাকর অভিযান। এই অভিযান আগে থেকে পরিকল্পনা করেই করা হয়েছে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর। দীর্ঘদিন ধরেই পিএফআই-এর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠছিল। দেশবিরোধী কার্যকলাপ রুখতে সক্রিয় হয়ে ওঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। 

    আরও পড়ুন: জঙ্গি-যোগ! পিএফআই কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার আর্জি দেশজুড়ে, তল্লাশি চালিয়ে কী পেল এনআইএ?

    বিশেষ সূত্রে খবর, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে আলোচনা করেই এই ধরপাকর অভিযান শুরু হয়। গত তিন চার মাস ধরে এই প্রক্রিয়া চলছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এই নিয়ে বারবার আলোচনা করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। তাঁর নেতৃত্বেই সারা দেশের ১৫ টি রাজ্যের ৯৩টি জায়গায় অভিযান চালায় ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সির (NSA) অফিসাররা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি আধিকারিকের কথায়, বৃহস্পতিবার অভিযানের সময়ও এ নিয়ে এক প্রস্থ কথা হয়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা, এনআইএ ডিরেক্টর জেনারেল দীনকর গুপ্ত, অজিত দোভাল ও উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের মধ্যে।  

    আরও পড়ুন: পিএফআই-এর বিরুদ্ধে বাংলা সহ ১০ রাজ্যে ইডি-এনআইএ যৌথ হানা, গ্রেফতার ১০০

    ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পরে তিনটি মুসলিম সংগঠন একত্রিত হয়ে এই সংগঠন তৈরি করা হয়। ২০০৬ সালে গঠিত এই সংগঠনের নাম ছিল ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ফ্রন্ট। পরবর্তী সময়ে মানিথা নীতি পাসারাই, কর্নাটক ফোরাম ফর ডিগনিটি সহ একাধিক সংগঠন মিলিত হয়ে পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া তৈরি করে। দেশবিরোধী ও সমাজবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গেই যুক্ত ছিল এই সংগঠন। বিভিন্ন রাজ্যে এই সংগঠনের শাখা রয়েছে।  কেন্দ্রের তরফেও এই সংগঠনের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারির প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে।বিভিন্ন সময়ে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে তল্লাশি চালিয়ে পিএফআই সদস্যদের কাছ থেকে অস্ত্র, বোমা, গানপাউডার,তলোয়ার সহ একাধিক জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে। কেরলে এই সংগঠনের বিস্তার সবচেয়ে বেশি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন আইএনএস বিক্রান্তের উদ্বোধন করতে কোচি যান, তখনই কেরল পুলিশ ও নিরাপত্তা আধিকারিকদের সঙ্গে পিএফআই নিয়ে তাঁর কথা হয় বলেও জানান ওই আধিকারিক।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

LinkedIn
Share