Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Fraud Job Alert: মোটা মাইনের টোপ, মায়ানমারে বন্দি বহু ভারতীয়, সতর্কবার্তা বিদেশ মন্ত্রকের

    Fraud Job Alert: মোটা মাইনের টোপ, মায়ানমারে বন্দি বহু ভারতীয়, সতর্কবার্তা বিদেশ মন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোটা টাকার লোভনীয় চাকরি! ফাঁদে পা দিলেই কেল্লাফতে। ভায়া মায়ানমার হয়ে নিয়ে চলে যাওয়া হচ্ছে তাইল্যান্ডে (Thailand)। সিংহভাগ কর্মপ্রার্থীকে তার আগেই কার্যত বন্দি হতে হচ্ছে ভুয়ো চাকরি (Fraud Job) চক্রের এজেন্টদের হাতে। এ ব্যাপারে ভারতীয় কর্মপ্রার্থীদের সতর্ক করে দিল বিদেশ মন্ত্রক (MEA)। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি মায়ানমার থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৩২ জন ভারতীয় (Indian) কর্মপ্রার্থীকে।

    বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, কিছু আইটি কোম্পানি ডিজিটাল স্ক্যামিং এবং ভুয়ো ক্রিপ্টো কার্যকলাপে যুক্ত। তিনি বলেন, এই প্রতারকরা তাইল্যান্ডে চাকরি দেওয়ার নামে ভারতীয় শ্রমিকদের নিয়োগ করছে। তারা দুবাই, ব্যাংকক এবং ভারতীয় এজেন্টদের সঙ্গে কাজ করে কর্মী নিয়োগ করছে। তিনি বলেন, আমি ভারতীয় কর্মপ্রার্থীদের বলতে চাই, এই জাতীয় চাকরি নেওয়ার আগে চূড়ান্ত সতর্কতা অবলম্বন করুন। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, তাইল্যান্ডে যাওয়া যায় ভিসা অন অ্যারাইভাল স্কিমে। যার অর্থ, ওই ভিসা দিয়ে তাইল্যান্ডে যাওয়া যায়, তবে চাকরি করা যায় না। তিনি বলেন, তাই বলছিলাম, যে বা যিনি আপনাকে চাকরির অফার দিচ্ছেন, সেটি অবৈধ। তাইল্যান্ডে চাকরি দেওয়ার ছলে তাঁরা নিয়োগ করছেন ভারতীয় শ্রমিকদের। আমরা শুনছি সেখানে আইটি সেক্টর রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাইল্যান্ডে মোটা অঙ্কের টাকার ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের চাকরির টোপ দেওয়া হচ্ছে। দুর্ভাগ্যবশতঃ শ্রমিকরা সেই ফাঁদে পা দিচ্ছেন। পরে তাঁদের অবৈধভাবে সীমান্ত পার করানো হচ্ছে। মায়ানমারের মায়াওদ্দাদি এলাকা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, নিরাপত্তার গেরো আঁটোসাঁটো হওয়ায় ওই এলাকায় প্রবেশ করা খুবই কঠিন। তিনি জানান, তবুও সে দেশে আমাদের দূতাবাসকে ধন্যবাদ। আমরা সেখান থেকে বেশ কিছু ভারতীয়ের বন্দিদশা ঘোঁচাতে পেরেছি। এবং আমরা অন্যদেরও সাহায্য করার চেষ্টা করছি। তিনি বলেন, আমরা এখনও পর্যন্ত ৩২ জনকে উদ্ধার করেছি। আরও অন্তত ৯০ জন সেখানে আটকে থাকতে পারেন।

    আরও পড়ুন : হিন্দু মন্দিরে হামলায় উদ্বেগ প্রকাশ, ব্রিটিশ বিদেশ সচিবের সঙ্গে বৈঠক জয়শঙ্করের

    এদিকে, ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে মায়াওয়াদ্দি এলাকায় এখনও আটকে রয়েছেন ১৫০জন ভারতীয়। চাকরি প্রতারণা চক্রের খপ্পরে পড়ে আটকে রয়েছেন তাঁরা। এঁদের অধিকাংশই এসেছেন কেরল ও তামিলনাড়ু থেকে। সাইবার ক্রাইম কাজকর্ম করতে বাধ্য করা হচ্ছে তাঁদের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Defence MSME: এমএসএমই থেকে প্রতিরক্ষা সামগ্রী কেনার পরিমাণ ছুঁল সর্বকালীন রেকর্ড

    Defence MSME: এমএসএমই থেকে প্রতিরক্ষা সামগ্রী কেনার পরিমাণ ছুঁল সর্বকালীন রেকর্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের বি টু জি (B2G) পোর্টাল গভর্নমেন্ট ইমার্কেটপ্লেসে (Government eMarketplace), ক্ষুদ্র ও মাঝারি ও কুটীর শিল্পোদ্যোগ (MSME) এবং অন্যান্য সংস্থার কাছ থেকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের (Defence Ministry) প্রতিরক্ষা সম্পর্কিত বিভিন্ন পণ্য এবং পরিষেবা কেনার (Defence Procurement) পরিমাণ চলতি অর্থবর্ষে আগের বছরের তুলনায় প্রায় ২৫০ শতাংশ বেড়েছে। শনিবার মন্ত্রকের একটি বিবৃতি অনুসারে, জিইএম-এর মাধ্যমে চলতি অর্থবর্ষে ১৫,০৪৭.৯৮ কোটি টাকার পণ্য ক্রয় হয়েছে, যা সর্বকালীন রেকর্ড।
      
    মন্ত্রকের কথায়, পুরনো টেন্ডার প্রক্রিয়াকে পুনর্গঠন করতে এবং ডিজিটাইজেশনের মাধ্যমে সরকারি ক্রয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনতে ২০১৬ -র অগাস্ট মাসে শুরু হয়েছিল জিইএম। প্রতিষ্ঠার পর থেকে অল্প সময়ের মধ্যে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ডিজিটাল ড্রাইভের পথ অনুসরণ করেছে। প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও সাফল্য লাভ করেছে সরকারের এই পদক্ষেপ। 

    ২০২০ সালের মার্চ মাসে রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় ক্ষুদ্র, মাঝারি এবং কুটীর শিল্প মন্ত্রকের তৎকালীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ির দেওয়া তথ্য অনুসারে, ২০২০ অর্থবর্ষের মাঝামাঝি সময় অবধি প্রতিরক্ষা পাবলিক সেক্টর ইউনিটগুলিকে সরবরাহকারী মোট এমএসএমই বিক্রেতার সংখ্যা ছিল ১০,৫০৬। ২০১৯- এ সেই সংখ্যা ছিল  ৮,৬৪৩ এবং ২০১৮-এ ৭,৫৯১। ২০২১ সালের ডিসেম্বর নাগাদ সেই সংখ্যা বেড়ে ১২,০০০-এ পৌঁছয়। ফলস্বরূপ, এমএসএমই থেকে ডিপিএসইউ- র অর্থ সংগ্রহের পরিমাণ ২০১৯ অর্থবর্ষে ৪৮৪২.৯২ কোটি টাকা থাকলেও তা ২০২১ অর্থবর্ষে বেড়ে দাঁড়ায় ৫৪৬৩.৮২ কোটি টাকা।   

    ২০২০ সালে সরকার প্রতিরক্ষা অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া (DAP) ‘মেক প্রজেক্ট’ (Make Projects) চালু করে, যাতে সরকারি তহবিল এবং শিল্প তহবিল উভয়ের মাধ্যমেই প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের দেশীয়করণ এবং উন্নয়ন সম্ভব হয়। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ (Make in India) পোর্টাল অনুসারে, মেক  প্রকল্পগুলি প্রতিরক্ষায় এমএসএমইর ভূমিকাকে আরও জোরাল করতে সাহায্য করেছে। এই সংক্রান্ত প্রকল্পগুলির ৪০ শতাংশ অর্ডার ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্প সংস্থাগুলির জন্যে সংরক্ষণ করা হয়েছে। ১০০০ কোটি টাকার কাজ বরাদ্দ করা হয়েছে এমএসএমই সংস্থাগুলোর জন্যে।

    ইতিমধ্যে, জিইএম-এর সামগ্রিক ৪২.৩৫ লক্ষ বিক্রেতা এবং মন্ত্রকের ৬০,০০০ সরকারি বিভাগ মিলিয়ে প্রায় ২.৪০ লক্ষ কোটি টাকার কেনাবেচা হয়েছে। মোট বিক্রেতার সংখ্যার মধ্যে ৭.৭০ লক্ষই ক্ষুদ্র এবং ছোট উদ্যোগ থেকে আসা। জিইএমের তথ্য অনুসারে শুধুমাত্র ক্ষুদ্র এবং ছোট উদ্যোগের সংস্থাগুলিই ৫৬%  ব্যবসা করেছে এই পোর্টালে।

     

     

  • Partha Chatterjee: পার্থর শুনানিতে প্রভাবশালী তত্ত্ব, SSKM-এ ডনের মত আচরণ করছেন পার্থ, সওয়াল ইডির

    Partha Chatterjee: পার্থর শুনানিতে প্রভাবশালী তত্ত্ব, SSKM-এ ডনের মত আচরণ করছেন পার্থ, সওয়াল ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পার্থর শুনানিতে প্রভাবশালী তত্ত্ব। হাসপাতালে পার্থ ডনের মত আচরন করছেন। ইডিকে ধমকাচ্ছেন। সওয়াল ইডির আইনজীবীর। রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে এসএসকেএম থেকে সরাতে চেয়ে ইডির আর্জি, শুনানি শুরুতেই কলকাতা হাই কোর্টে ইডি আইনজীবীর সওয়াল। এসএসকেএম হাসপাতালে গেলে ইডি অফিসারদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সহযোগিতা করছে না ইডির সঙ্গে।

    শনিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে তোলা হয় ব্যাঙ্কশাল আদালতে। তাঁকে দু’দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। কিন্তু ইডি সূত্রের খবর, পার্থকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করার যে নির্দেশ দিয়েছে নিম্ন আদালত, তাতে তারা ‘অসন্তুষ্ট’। নিয়ম মেনে শুনানি হয়নি বলে তাদের অভিযোগ। তাই নিম্ন আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ওই দিন রাতেই প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের কাছে দ্রুত শুনানির আর্জি জানানো হয়। রবিবার সকালে শুরু হয় শুনানি। 

    ইডির দাবি, আইনজীবী সওয়াল করেন স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতিতে হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশেই তদন্ত হচ্ছে। দু’দিন আগে ২১ কোটির বেশি টাকা এবং ২০টি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে। নিম্ন আদালতে জামিন বাতিল হয়েছে। সোমবার ফের আদালতে তোলা হবে মামলা। এই নির্দেশের পর এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসার নির্দেশ হয়। সেখানে ইডির কথা শোনাই হয়নি। অথচ, নিম্ন আদালতে তাঁকে তোলার আগে অন্য হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁরা ফিট সার্টিফিকেট দেয়। তারপরও চিকিৎসায় বাধা দেয়নি। তিনি বলেন, ‘‘কিন্তু বার বার নির্দিষ্ট একটি হাসপাতালেই কেন? এই হাসপাতালে চিকিৎসার নামে দুর্নীতি ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা হতে পারে।’’ 

    মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সুস্থ বলে জানিয়েছে আদালত। ইডির দাবি, “…নিজের পছন্দমাফিক হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার এক্তিয়ার এই মুহূর্তে তাঁর নেই। আসলে, অসুস্থ হওয়ার নাটক করছেন পার্থ।”

    এসএসকেএম রাজ্যের প্রভাবশালীদের জন্য সেফ জোন। মদন-অনুব্রতর উদাহরণ টেনে মন্তব্য বিচারপতির। মন্ত্রী পার্থের আইনজীবীকে এমনই বললেন বিচারপতি বিবেক চৌধুরী। পার্থর আইনজীবী দেবাশিস রায়ের দাবি, ইডি আইনজীবী আদালতকে সঠিক তথ্য দেয়নি। ইডি হাসপাতাল পরিবর্তন নিয়ে আলাদা আবেদন জানিয়েছিল। সেটা আগামিকাল সকাল সাড়ে ১০টায় বিচারক শুনানির জন্য রেখেছেন।

    এসএসসি মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় মন্তব্য করেছিলেন, এসএসকেএমে ভর্তি হওয়া যাবে না। ঘটনাচক্রে গ্রেফতারির পর সেই এসএসকেএমেই ভর্তি হন পার্থ। যা নিয়ে বাদানুবাদে জড়ালেন দু’পক্ষের আইনজীবীরা। ইডির আইনজীবী বলেন, ‘‘ওঁকে (পার্থ) সর্বোত্তম হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারি আমরা। এমস কল্যাণীতে নিয়ে যাব। সঠিক পরীক্ষা হবে।’’ তাঁর আগে, শুনানি চলাকালীন ইডির আইনজীবী শ্রীরাজুকে বিচারপতি চৌধুরী বলেন, ‘‘কার্ডিওলজি, নেফ্রোলজি, ইউরোলজি ও জেনারেল মেডিসিন দিল্লির এমসের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে দিয়ে করানো হোক।’’ পাল্টা ইডির আইনজীবী বলেন, ‘‘দিল্লি কেন, কল্যাণী এমসেও হতে পারে।’’

    ইডি আইনজীবীর দাবির প্রেক্ষিতে বিচারপতি চৌধুরীর মন্তব্য, ‘‘কল্যাণী এমসের উপর আমার ভরসা নেই।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘সেখানে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক আছে। আপনি ভুবনেশ্বর এমসে থেকে দেখুন।’’ যার পরে ইডির আইনজীবী জানান, তাঁদের কোনও আপত্তি নেই। তাহলে ভুবনেশ্বরে নিয়ে যেতে অনুমতি দিচ্ছেন না কেন? প্রশ্ন ইডির। 

    বিচারপতি জানান, আমি বলতে পারি না তাই এইমসের ডাক্তার বলবে। কাল দুটোর মধ্যে ব্যবস্থা করুন। নির্দেশ কোর্টের। তাদের পরীক্ষার ফল এসএসকেএম এর রিপোর্টের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে। আপনারা কেন্দ্রীয় সংস্থা এই ব্যবস্থা করতেই পারেন।  পরীক্ষা করে বেলা তিনটের সময় ফিরিয়ে দেব। সওয়াল ইডির। তবু ডাক্তারকে আনতে পারবেন না। কটাক্ষ পার্থর আইনজীবীর। 
    শেষে বিচারপতি বলেন, ‘‘আমি কোথাও নিয়ে যেতে দেব না। সেখানকার চিকিৎসকেরা এখানে আসুন। আপনিও কেন্দ্রের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেলকে বলুন।’’ খবর লেখা পর্যন্ত, রায়দান সাময়িক স্থগিত রেখেছেন বিচারপতি।

  • Modi in Germany:ঢোল বাজালেন প্রধানমন্ত্রী, তাল দিলেন গানে, জার্মানিতে হালকা মেজাজে মোদি

    Modi in Germany:ঢোল বাজালেন প্রধানমন্ত্রী, তাল দিলেন গানে, জার্মানিতে হালকা মেজাজে মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ঢোল বাজনে লাগা…” শহরটাও সেজে উঠেছে। বহুদিন পর আবার নিজেদের নেতাকে কাছে পেয়েছেন প্রবাসী ভারতীয়েরা। শেষ ২০১৭ সালের মে মাসে জার্মানে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর আবার বার্লিনে মোদি। 

    সোমবার তিনদিনের ইউরোপ সফরের শুরুতে জার্মানির রাজধানী বার্লিনে (Berlin) পৌঁছন তিনি। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানাতে রীতিমতো জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। একেবারে ভারতীয় সংস্কৃতি মেনেই শিল্পীরা নাচ,গান প্রভৃতি পরিবেশন করেন। পুণের শিল্পীরা তাঁদের ঐতিহ্যবাহী ঢোল ও তাশা বাজান। সেই বাজনা শুনে আর স্থির থাকতে পারেননি মোদিও। শিল্পীদের সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে ঢোল বাজাতে দেখা যায় তাঁকে। রাষ্ট্রপ্রধানের এমন আচরণে মুগ্ধ হয়ে যান সেখানে উপস্থিত দর্শক ও শিল্পীরা।

    [tw]


    [/tw]

    এই অনুষ্ঠানের আগেই জার্মানিতে বসবাসকারী ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের সঙ্গে মোদি দেখা করেন। তাঁদের সঙ্গে হাসি মুখে কথা বলতে দেখা যায় মোদিকে। ছোটদের সঙ্গে মন খুলে গল্প করতে দেখা যায় তাঁকে। একটি ছোট মেয়ের হাতে আঁকা নিজের ছবি দেখে মন ভরে যায় প্রধানমন্ত্রীর। তাঁর গাল টিপে আদরও করেন। আরেক খুদের গান শুনে মুগ্ধ মোদি। ছোট শিল্পীর দেশাত্মবোধক গানে তুড়ি দিয়ে তাল দিতেও দেখা যায় মোদিকে। হাততালি দিয়ে তাকে সাধুবাদ জানান। ছবিও তোলেন তার সঙ্গে। অনেকেই মোদির সঙ্গে সেল্ফি তোলেন। মোদি যখনই যেখানে পৌঁছন, তখনই উপস্থিত জনতা ‘মোদি মোদি’ স্লোগান তুলে তাঁকে স্বাগত জানান। “বন্দে মাতরম” (Vande Mataram), “ভারত মাতা কি জয়” (Bharat Mata ki Jai) ধ্বনিও শোনা যায়।

    অ্য়াঞ্জেলা মর্কেলের দীর্ঘ শাসন শেষ হওয়ার পর জার্মানির নতুন রাষ্ট্রপ্রধান হয়েছেন ওলাফ স্কোল্জ (Olaf Scholz)। তিনি জার্মানির চ্যান্সেলর নির্বাচিত হওয়ার পর মোদিই প্রথম বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধান যিনি সরকারি সফরে জার্মানি গেলেন এবং তাঁর সঙ্গে দেখা করলেন। সূত্রের খবর, এদিন দুই নেতার মধ্যে সরকারিস্তরের বিভিন্ন আলোচনা ছাড়াও অন্যান্য কথা হয়। দীর্ঘক্ষণ হালকা মেজাজে একসঙ্গে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় তাঁদের।

     

  • PM Modi: বিদেশে গেলে কেন নৈশ সফর পছন্দ করেন মোদি? কারণ জানলে চমকে উঠবেন

    PM Modi: বিদেশে গেলে কেন নৈশ সফর পছন্দ করেন মোদি? কারণ জানলে চমকে উঠবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদেশে গেলে অধিকাংশ সময়ই রাত্রিকালীন সফরই পছন্দ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। উদ্দেশ্য, সময় এবং অর্থ বাঁচানো। প্রথমত, রাতে সফর করলে দিনের বেলায় আরও বেশি করে কাজ করা যায়। দ্বিতীয়ত, এতে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সাশ্রয় হয় অর্থেরও, যা আদতে দেশেরই। কারণ প্রধানমন্ত্রীর সফরের যাবতীয় খরচ জোগায় কেন্দ্রীয় সরকার।

    প্রতিদিন প্রায় কুড়ি ঘণ্টা করে কাজ করেন মোদি। ভোটের সময় তাঁর কাজের সময়সীমা আরও বেড়ে যায়। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগেও সফর করতেন নৈশকালে অত্যন্ত পরিশ্রমী মোদি। যা বজায় রয়েছে এখনও।

    আরও পড়ুন : “এখনই বিশ্রাম নয়, আমার স্বপ্ন অনেক বড়…”, প্রবীণ সাংসদের কৌতুহল মেটালেন মোদি

    গত পনের দিন ধরে বিভিন্ন দেশ সফর (foreign tour) করে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী। চলতি মাসের শুরুতেই তিনি সফর করেছেন জার্মানি, ডেনমার্ক এবং ফ্রান্স (Modi 3-nation visit)। পরে বুদ্ধজয়ন্তীতে (Buddha Jayanti), একদিনের জন্য গিয়েছিলেন নেপাল (Nepal)। আগামী সপ্তাহে তাঁর যাওয়ার কথা জাপানে। তাঁর এই সফরসূচি একটু খুঁটিয়ে লক্ষ্য করলেই দেখা যায়, সময় এবং দেশের সম্পদ বাঁচাতে নৈশভ্রমণ করছেন প্রধানমন্ত্রী।

    মোদির আসন্ন জাপান (Modi in Japan) সফরের কথাই ধরা যাক। ২২ মে রাতে রওনা দেবেন তিনি। ২৩ মে ভোরে পৌঁছবেন টোকিওয়। সেখানে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা তাঁর। পরে দেখা করবেন প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে। পরের দিন যোগ দেবেন কোয়াড বৈঠকে। ওই রাতেই ফিরবেন ভারতে। জার্মানি ও ডেনমার্ক দু’দেশ মিলিয়ে মাত্র এক রাত কাটিয়েছেন। জাপান সফরের সূচিও তাই। সব মিলিয়ে এই পাঁচ দেশ সফরে মোদি রাত কাটিয়েছেন মাত্র তিনটি। বাঁচিয়েছেন দুদিন। যা ভারতের কোনও প্রধানমন্ত্রীকে করতে দেখা যায়নি বলে দাবি সংশ্লিষ্ট মহলের।

    আরও পড়ুন : “বিশ্রামের সময় নেই…”, যোগী-মন্ত্রিসভাকে কোন পরামর্শ দিলেন মোদি?

    মোদির ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, নয়ের দশকের গোড়ায় মোদি হোটেল খরচ বাঁচাতে দিনের বেলায় যাতায়াত করতেন। কোনও কারণে রাত হয়ে গেলে রাত্রিযাপন করতেন বিমানবন্দরে। তখন তিনি একজন সাধারণ মানুষ। আর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে কাজ এবং দায়িত্ব বেড়েছে তাঁর। তাই রাতে সফর করেন। এতে দিনের বেলায় বেশি কাজ করা যায়। সরকারি খরচে হোটেলেও থাকতে হয় না। তাই সময় এবং দেশের সম্পদ বাঁচে।

     

  • Uma Bharti on Gyanvapi: অযোধ্যা, মথুরা ও কাশী বিবাদের নিষ্পত্তি একসঙ্গে করা উচিত ছিল, মত উমা ভারতীর

    Uma Bharti on Gyanvapi: অযোধ্যা, মথুরা ও কাশী বিবাদের নিষ্পত্তি একসঙ্গে করা উচিত ছিল, মত উমা ভারতীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যায় তো পহলি ঝাঁকি হ্যায়, কাশী মথুরা বাকি হ্যায়! অযোধ্যায় রাম-জন্মভূমি বাবরি মসজিদ (Ram Janmabhoomi-Babri Masjid) মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) ঐতিহাসিক রায় ঘোষণার পর এই ধ্বনি গর্জে উঠেছিল দেশে। এবার কাশীর জ্ঞানবাপী (Gyanvapi mosque) ও মথুরার শাহি ইদগাহ মসজিদ (Shahi Idgah) নিয়েও উঠতে শুরু করেছে দাবি যে সেখানেও হিন্দু মন্দির ভেঙেই তৈরি করা হয়েছে মসজিদ।

    জ্ঞানবাপী মসজিদ যে মন্দির ভেঙেই তৈরি করা হয়েছিল, তা নিয়ে দাবি ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। এবার এই দাবি নিয়ে সরব হলেন বিজেপি নেত্রী উমা ভারতী (Uma Bharti)। বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদে শিবলিঙ্গ এবং শেষনাগের ভাস্কর্য পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি হিন্দুত্ববাদী একাধিক সংগঠনের। সেই প্রেক্ষিতেই উমার দাবি, কাশীতে বিশ্বনাথের মন্দির ভেঙেই তৈরি হয়েছিল মসজিদ। ১৯৯১ সালে সংসদে যখন উপাসনালয় আইন ’৯১ উত্থাপিত হয়, তখনই তিনি দাবি করেছিলেন কেবল রামমন্দির ইস্যুই নয়, কাশীর জ্ঞানবাপী এবং মথুরার মসজিদ বিবাদের সমাধান একসঙ্গে করা উচিত। একটি বৈদুতিন সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে একথা বলেন উমা।

    আরও পড়ুন : মন্দির ভেঙেই জ্ঞানবাপী মসজিদ! প্রমাণ মিলল ইতিহাসেও

    কাশী বিশ্বনাথ মন্দির চত্বরেই রয়েছে জ্ঞানবাপী মসজিদ। হিন্দুত্ববাদী একাধিক সংগঠনের দাবি, বিশ্বেশ্বরের মন্দির ভেঙেই তৈরি হয়েছে মসজিদ। হিন্দু-মুসলমান দুই ভিন্ন সম্প্রদায়ের আলাদা আলাদা দাবির মধ্যে মসজিদে সমীক্ষা চালানো হয় আদালতের নির্দেশে। দুটি সমীক্ষার রিপোর্ট ফাঁস হয়ে যাওয়ায় অনেক বড় বড় তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। জানা গিয়েছে, মসজিদের ওজুখানার জলাধারে রয়েছে শিবলিঙ্গ। মসজিদ চত্বরে রয়েছে শেষনাগও। মসজিদের দেওয়ালে হিন্দু দেবদেবীর মূর্তিও রয়েছে বলে দাবি হিন্দুত্ববাদী বিভিন্ন সংগঠনের।

    আরও পড়ুন : শিবলিঙ্গের পর এবার শেষনাগের দেখা মিলল জ্ঞানবাপী মসজিদে!

    এমতাবস্থায় একটি সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন উমা। তাঁর দাবি, জ্ঞানবাপী মসজিদ এলাকায় শুরু থেকেই মন্দির ছিল। মন্দির ভেঙে মসজিদ নির্মাণ করা হয়। তিনি বলেন, ১৯৯১ সালে সংসদে যখন উপাসনালয় আইন ’৯১ উত্থাপিত হয়, তখনই আমি দাবি করেছিলাম  কেবল রামমন্দির ইস্যুই নয়, কাশীর জ্ঞানবাপী এবং মথুরার মসজিদ বিবাদের সমাধান একসঙ্গে করা উচিত।  

    আরও পড়ুন : “ঐতিহাসিক তথ্যগুলিকে এখনই…”, জ্ঞানবাপী নিয়ে বড় মন্তব্য আরএসএসের

    মন্দির ভেঙে যে মসজিদ হয়েছে, তার প্রমাণ সাপেক্ষে যুক্তিও পেশ করেন উমা। তিনি বলেন, জ্ঞানবাপী মসজিদের পরিবর্তে সেখানে মন্দির ছিল। তাই আজও বিশ্বনাথ মন্দিরে নন্দীর মুখ জ্ঞানবাপী মসজিদের দিকে। মন্দির নির্মাণের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ উপায় বের করা উচিত। অযোধ্যা, মথুরা, কাশী একসঙ্গে বিবাদের নিষ্পত্তি করা উচিত ছিল বলে মনে করেন তিনি। জ্ঞানবাপী চত্বরে সমীক্ষায় যেসব তথ্য উঠে আসছে, তার পরে আর নতুন করে মন্দিরের অস্তিত্ব প্রমাণ করার দরকার নেই বলেও মনে করেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।

  • Rajasthan Political Crisis: রাজস্থানে ৮২ জন কংগ্রেস বিধায়কের ইস্তফা! আজ কি সনিয়ার সঙ্গে বৈঠক অশোক, সচিনের?

    Rajasthan Political Crisis: রাজস্থানে ৮২ জন কংগ্রেস বিধায়কের ইস্তফা! আজ কি সনিয়ার সঙ্গে বৈঠক অশোক, সচিনের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মরুরাজ্যের ‘পাইলট’কে হবেন সচিন (Sachin Pilot)? নাকি রাজস্থানের রাশ থাকবে গেহলটের (Ashok Gehlot)হাতে? এই দুই প্রশ্নে দ্বিধাবিভক্ত রাজস্থান কংগ্রেস (Rajasthan Congress)। ইতিমধ্যেই অশোক গেহলটের অনুগামী হিসেবে পরিচিত ৮২জন কংগ্রেস বিধায়ক স্পিকারের কাছে ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন। দলীয় সূত্রে খবর, সচিন পাইলটকে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মানতে নারাজ তাঁরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে মাঠে নামতে হচ্ছে কংগ্রেস হাইকমান্ড সনিয়া গান্ধীকে (Sonia Gandhi)। আজ, সোমবারই দিল্লিতে তাঁর সঙ্গে দেখা করার কথা অশোক গেহলট ও সচিন পাইলটের।

    আরও পড়ুন: মিলল সোনিয়ার সম্মতি, কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট পদে অশোক-শশী লড়াই?

    রাজস্থান বিধানসভায় ২০০জন বিধায়কের মধ্যে ১০৮ জন কংগ্রেসের। তাঁদের মধ্যে অনেকেই মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের অনুগামী। কংগ্রেস সূত্রে খবর, দলে গণতন্ত্র রক্ষার জন্যই কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব এখনও রাজস্থানের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করেনি। বদলে বিধায়কদের বৈঠকে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঠিক হবে বলেই জানিয়েছে। এই ব্যাপারে দলীয় বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করতে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে ও রাজস্থানের ইনচার্জ অজয় মাকেনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যদিও রাজস্থান কংগ্রেসের বিধায়কদের বিশ্বাস, হাইকমান্ড ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে। তাঁদের কাজ শুধু হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করা। 

    আরও পড়ুন: গোয়া ভোটে তৃণমূলের খরচ ৪৭ কোটি টাকা, বিজেপির প্রায় ৩ গুণ!

    দলের অন্দরে বিরোধ আটাকাতে সনিয়া প্রতিটি বিরোধী নেতার সঙ্গে আলাদা আলাদা করে কথা বলার নির্দেশ দিয়েছেন অজয় মাকেন ও মল্লিকার্জুন খাড়গেকে। আজই তাঁদের বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। ৭১ বছর বয়সী অশোক গেহলটের সঙ্গে রাজ্যের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলটের বিরোধের কথা সকলেরই জানা। ২০২০ সালে চরমে উঠেছিল ক্ষমতা নিয়ে সেই বিবাদ। উপমুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন সচিন। হুমকি দিয়েছিলেন দল ছেড়ে চলে যাওয়ারও। দলের অন্দরে খবর, বিরোধী বিধায়কদের ইস্তফার কথা শুনে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটকে ফোন করেন দলের পর্যবেক্ষক অজয় মাকেন ও সাংসদ কেসি বেণুগোপাল। জবাবে গেহলট বলেন, “আমি তো নিমিত্ত মাত্র! আমার হাতে কিছুই নেই।” যদিও পরে এই ফোনের কথা অস্বীকার করে কংগ্রেস।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Electric Scooter Fire: কেন পরপর আগুন লাগছে ইলেকট্রিক স্কুটারে? তদন্তের নির্দেশ কেন্দ্রের

    Electric Scooter Fire: কেন পরপর আগুন লাগছে ইলেকট্রিক স্কুটারে? তদন্তের নির্দেশ কেন্দ্রের

    নয়াদিল্লি: একের পর এক ইলেকট্রিক বা বৈদ্যুতিক স্কুটারে আগুন (electric scooter fire) লাগার ঘটনায় নড়েচড়ে বসল কেন্দ্র (Modi Government)। কেন আগুন লাগছে, তার কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে, যে দুই সংস্থার স্কুটারগুলিতে আগুন লেগেছে, তাদের ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে।

    সাম্প্রতিককালে, একের পর এক বৈদ্যুতিক স্কুটারে আগুন লাগার অনেক ঘটনা সামনে এসেছে। সম্প্রতি পুণেতে একটি ওলা স্কুটার (ola electric scooter) পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। তবে ওই ঘটনায় কোনও হতাহতের তথ্য পাওয়া যায়নি। এর পর তামিলনাড়ুর ভেলোরে আরেকটি ঘটনা ঘটে। সেখানে বাড়ির ভিতরে চার্জ করার সময় একটি বৈদ্যুতিক স্কুটারে আগুন ধরে যায়। বাড়িতে ঘুমন্ত বাবা ও মেয়ের মৃত্যু হয় সেই ভয়াবহ ঘটনায়।

    তৃতীয় ঘটনাটিও তামিলনাড়ুর। সেখানে প্রথমে ইলেকট্রিক স্কুটার থেকে ধোঁয়া বের হয় এবং পরে আগুন ধরে যায়। এসব ঘটনার পর মানুষের মনে কোথাও একটা বৈদ্যুতিক গাড়ি নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। যে সময় সরকার ভারতে আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে বৈদ্যুতিক যানবাহন (electric vehicles) কেনার পরামর্শ দিচ্ছে, তখন বৈদ্যুতিক স্কুটারগুলিতে আগুন লাগার ঘটনা সামনে আসার ফলে বৈদ্যুতিক যানবাহন বিক্রির ক্ষেত্রে বড় প্রভাব পড়তে পারে, এটা আঁচ করেই সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে কেন্দ্র। 

    আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে পরিবহণ মন্ত্রক। ঘটনার তদন্তভার প্রতিরক্ষা গবেষণা শাখার সেন্টার ফর ফায়ার, এক্সপ্লোসিভ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট সেফটির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পাশাপাশি, যে দুই সংস্থার বৈদ্যুতিক স্কুটারে আগুন লেগেছে সেই ওলা ইলেকট্রিক (ola electric) ও ওকিনাওয়া স্কুটারের (okinawa scooter) জবাব তলব করা হয়েছে। জানতে চাওয়া হয়েছে, কেন তাদের স্কুটারে আগুন লেগেছে, তা বিশদে ব্যাখ্যা করতে।

    বিশেষজ্ঞদের মতে, আগুন লাগছে স্কুটারের ব্যাটারি প্যাকে। তাঁদের ব্যাখ্যা, গ্রাহকরা উচ্চ তাপে বৈদ্যুতিক স্কুটার ব্যবহার করেন। ৪০-৫০ কিমি প্রতি ঘণ্টায় এই গাড়ি চললে ব্যাটারি গরম থাকে। এছাড়া চার্জ দেওয়ার সময়ও এই ব্যাটারি বেশ গরম হয়ে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, এই ব্যাটারি চালিত দুই চাকার এবং চার চাকার গাড়িগুলি কঠোর নিরাপত্তা পরীক্ষার পরে বাজারে আনার অনুমতি দেওয়া উচিত। 

  • Jk forest fire: দাবানলের আঁচে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ, কাঁপল কাশ্মীরের পুঞ্চ

    Jk forest fire: দাবানলের আঁচে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ, কাঁপল কাশ্মীরের পুঞ্চ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দাবানলের(forest fire) আগুনের আঁচ ল্যান্ডমাইনে (landmine)। প্রবল বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চ(poonch) এলাকা। ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণের জেরেই এলাকা কেঁপেছে। সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে আসা দাবানলের আগুনেই ঘটেছে বিস্ফোরণ। অনুপ্রবেশ রুখতে সীমান্ত বরাবর যে ল্যান্ডমাইন পোঁতা হয়েছিল, তার মধ্যে বেশ কয়েকটিতে বিস্ফোরণ ঘটেছে বলেই সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর।

    জানা গিয়েছে, সীমান্তরেখা বরাবর ভারতের দিকের মেনধর জেলায় ওপার থেকে দাবানল চলে এসেছিল গত সোমবার। তিন দিন ধরে বনকর্মী ও ভারতীয় সেনা জওয়ানরা প্রাণপাত করে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ করছেন। মঙ্গলবার রাতের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছিল। বুধবার ভোরে ফের দারামশাল ব্লকে আগুন লাগে। প্রবল বাতাসে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে বিস্তীর্ণ এলাকায়। ফরেস্টার কানার হুসেন শাহ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, গত তিন দিন ধরে বনে আগুন জ্বলছে। আমরা সেনাবাহিনীর সঙ্গে আগুন নেভাচ্ছি।

    জানা গিয়েছে, অনুপ্রবেশ রুখতে সীমান্ত বরাবর পোঁতা হয়েছিল ল্যান্ডমাইন। আগুনের প্রবল তাপে বিস্ফোরণ ঘটতে থাকে সেগুলিতে। বুধবার বিকেলে প্রায় ছটি মাইন বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকা।  

    আরও পড়ুন : জম্মু-কাশ্মীরে ডিলিমিটেশন নিয়ে পাকিস্তানের ‘প্রহসনমূলক’ প্রস্তাব খারিজ ভারতের

    বন দফতরের এক আধিকারিক জানান, বিস্ফোরণের পর আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।আগুন ছড়িয়ে পড়ায় সীমান্তবর্তী গ্রামগুলির বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। সেনা বাহিনীর সাহায্যে সেই আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়।

    এদিকে, রাজৌরি জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা সুন্দরবান্দিতেও একটি বড় অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। গম্ভীর, নিক্কা, পাঞ্জগ্রায়ে, ব্রাহামানা, মোঘলা সহ বিস্তীর্ণ এলাকার বনাঞ্চলে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। কালাকোটের কালার, রনথাল, চিঙ্গি বনাঞ্চলেও আগুন লেগেছে। জম্মুর সীমান্তবর্তী এলাকা থেকেও আগুন লাগার খবর মিলেছে। বন দফতরের কর্তাদের দাবি, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের দিকে নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বেশি ঘটে। বন দফতরের এক আধিকারিক বলেন, আগুনটি সীমান্তের ওপার থেকে এসেছিল এবং উচ্চ কাংদি, ডক বানিয়াদের এলাকায়ও ছড়িয়ে পড়ে। তিনি জানান, কোনও মানবিক ক্ষতি ছাড়াই দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন :কাশ্মীরে ‘হাইব্রিড’ সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে বিহার, উত্তরপ্রদেশের মৌলবীরা?

    নভেম্বর থেকে জুন মাস পর্যন্ত ভারতের বিভিন্ন জঙ্গলে দাবানলের প্রকোপ দেখা যায়। ফরেস্ট সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভারতের প্রায় ৩৬ শতাংশ জঙ্গলে ঘন ঘন দাবানলের ঝুঁকি রয়েছে। শীতের শেষে এবং গ্রীষ্মের মরশুমে বনাঞ্চলে জমা হয় শুকনো গাছপালা, ঘাস-পাতার মতো জৈব জ্বালানি। তার জেরেই শুখা মরশুমে দাবানলের মতো ঘটনা বেশি ঘটে।  

     

LinkedIn
Share