Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Electric Scooter Fire: কেন পরপর আগুন লাগছে ইলেকট্রিক স্কুটারে? তদন্তের নির্দেশ কেন্দ্রের

    Electric Scooter Fire: কেন পরপর আগুন লাগছে ইলেকট্রিক স্কুটারে? তদন্তের নির্দেশ কেন্দ্রের

    নয়াদিল্লি: একের পর এক ইলেকট্রিক বা বৈদ্যুতিক স্কুটারে আগুন (electric scooter fire) লাগার ঘটনায় নড়েচড়ে বসল কেন্দ্র (Modi Government)। কেন আগুন লাগছে, তার কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে, যে দুই সংস্থার স্কুটারগুলিতে আগুন লেগেছে, তাদের ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে।

    সাম্প্রতিককালে, একের পর এক বৈদ্যুতিক স্কুটারে আগুন লাগার অনেক ঘটনা সামনে এসেছে। সম্প্রতি পুণেতে একটি ওলা স্কুটার (ola electric scooter) পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। তবে ওই ঘটনায় কোনও হতাহতের তথ্য পাওয়া যায়নি। এর পর তামিলনাড়ুর ভেলোরে আরেকটি ঘটনা ঘটে। সেখানে বাড়ির ভিতরে চার্জ করার সময় একটি বৈদ্যুতিক স্কুটারে আগুন ধরে যায়। বাড়িতে ঘুমন্ত বাবা ও মেয়ের মৃত্যু হয় সেই ভয়াবহ ঘটনায়।

    তৃতীয় ঘটনাটিও তামিলনাড়ুর। সেখানে প্রথমে ইলেকট্রিক স্কুটার থেকে ধোঁয়া বের হয় এবং পরে আগুন ধরে যায়। এসব ঘটনার পর মানুষের মনে কোথাও একটা বৈদ্যুতিক গাড়ি নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। যে সময় সরকার ভারতে আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে বৈদ্যুতিক যানবাহন (electric vehicles) কেনার পরামর্শ দিচ্ছে, তখন বৈদ্যুতিক স্কুটারগুলিতে আগুন লাগার ঘটনা সামনে আসার ফলে বৈদ্যুতিক যানবাহন বিক্রির ক্ষেত্রে বড় প্রভাব পড়তে পারে, এটা আঁচ করেই সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে কেন্দ্র। 

    আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে পরিবহণ মন্ত্রক। ঘটনার তদন্তভার প্রতিরক্ষা গবেষণা শাখার সেন্টার ফর ফায়ার, এক্সপ্লোসিভ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট সেফটির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পাশাপাশি, যে দুই সংস্থার বৈদ্যুতিক স্কুটারে আগুন লেগেছে সেই ওলা ইলেকট্রিক (ola electric) ও ওকিনাওয়া স্কুটারের (okinawa scooter) জবাব তলব করা হয়েছে। জানতে চাওয়া হয়েছে, কেন তাদের স্কুটারে আগুন লেগেছে, তা বিশদে ব্যাখ্যা করতে।

    বিশেষজ্ঞদের মতে, আগুন লাগছে স্কুটারের ব্যাটারি প্যাকে। তাঁদের ব্যাখ্যা, গ্রাহকরা উচ্চ তাপে বৈদ্যুতিক স্কুটার ব্যবহার করেন। ৪০-৫০ কিমি প্রতি ঘণ্টায় এই গাড়ি চললে ব্যাটারি গরম থাকে। এছাড়া চার্জ দেওয়ার সময়ও এই ব্যাটারি বেশ গরম হয়ে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, এই ব্যাটারি চালিত দুই চাকার এবং চার চাকার গাড়িগুলি কঠোর নিরাপত্তা পরীক্ষার পরে বাজারে আনার অনুমতি দেওয়া উচিত। 

  • Jk forest fire: দাবানলের আঁচে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ, কাঁপল কাশ্মীরের পুঞ্চ

    Jk forest fire: দাবানলের আঁচে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ, কাঁপল কাশ্মীরের পুঞ্চ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দাবানলের(forest fire) আগুনের আঁচ ল্যান্ডমাইনে (landmine)। প্রবল বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চ(poonch) এলাকা। ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণের জেরেই এলাকা কেঁপেছে। সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে আসা দাবানলের আগুনেই ঘটেছে বিস্ফোরণ। অনুপ্রবেশ রুখতে সীমান্ত বরাবর যে ল্যান্ডমাইন পোঁতা হয়েছিল, তার মধ্যে বেশ কয়েকটিতে বিস্ফোরণ ঘটেছে বলেই সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর।

    জানা গিয়েছে, সীমান্তরেখা বরাবর ভারতের দিকের মেনধর জেলায় ওপার থেকে দাবানল চলে এসেছিল গত সোমবার। তিন দিন ধরে বনকর্মী ও ভারতীয় সেনা জওয়ানরা প্রাণপাত করে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ করছেন। মঙ্গলবার রাতের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছিল। বুধবার ভোরে ফের দারামশাল ব্লকে আগুন লাগে। প্রবল বাতাসে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে বিস্তীর্ণ এলাকায়। ফরেস্টার কানার হুসেন শাহ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, গত তিন দিন ধরে বনে আগুন জ্বলছে। আমরা সেনাবাহিনীর সঙ্গে আগুন নেভাচ্ছি।

    জানা গিয়েছে, অনুপ্রবেশ রুখতে সীমান্ত বরাবর পোঁতা হয়েছিল ল্যান্ডমাইন। আগুনের প্রবল তাপে বিস্ফোরণ ঘটতে থাকে সেগুলিতে। বুধবার বিকেলে প্রায় ছটি মাইন বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকা।  

    আরও পড়ুন : জম্মু-কাশ্মীরে ডিলিমিটেশন নিয়ে পাকিস্তানের ‘প্রহসনমূলক’ প্রস্তাব খারিজ ভারতের

    বন দফতরের এক আধিকারিক জানান, বিস্ফোরণের পর আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।আগুন ছড়িয়ে পড়ায় সীমান্তবর্তী গ্রামগুলির বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। সেনা বাহিনীর সাহায্যে সেই আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়।

    এদিকে, রাজৌরি জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা সুন্দরবান্দিতেও একটি বড় অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। গম্ভীর, নিক্কা, পাঞ্জগ্রায়ে, ব্রাহামানা, মোঘলা সহ বিস্তীর্ণ এলাকার বনাঞ্চলে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। কালাকোটের কালার, রনথাল, চিঙ্গি বনাঞ্চলেও আগুন লেগেছে। জম্মুর সীমান্তবর্তী এলাকা থেকেও আগুন লাগার খবর মিলেছে। বন দফতরের কর্তাদের দাবি, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের দিকে নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বেশি ঘটে। বন দফতরের এক আধিকারিক বলেন, আগুনটি সীমান্তের ওপার থেকে এসেছিল এবং উচ্চ কাংদি, ডক বানিয়াদের এলাকায়ও ছড়িয়ে পড়ে। তিনি জানান, কোনও মানবিক ক্ষতি ছাড়াই দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন :কাশ্মীরে ‘হাইব্রিড’ সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে বিহার, উত্তরপ্রদেশের মৌলবীরা?

    নভেম্বর থেকে জুন মাস পর্যন্ত ভারতের বিভিন্ন জঙ্গলে দাবানলের প্রকোপ দেখা যায়। ফরেস্ট সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভারতের প্রায় ৩৬ শতাংশ জঙ্গলে ঘন ঘন দাবানলের ঝুঁকি রয়েছে। শীতের শেষে এবং গ্রীষ্মের মরশুমে বনাঞ্চলে জমা হয় শুকনো গাছপালা, ঘাস-পাতার মতো জৈব জ্বালানি। তার জেরেই শুখা মরশুমে দাবানলের মতো ঘটনা বেশি ঘটে।  

     

LinkedIn
Share