Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Misleading Ads: দায় নিয়ে হবে সেলেব্রিটিদেরও? বিভ্রান্তিমূলক বিজ্ঞাপনে নিষেধাজ্ঞা জারি কেন্দ্রের

    Misleading Ads: দায় নিয়ে হবে সেলেব্রিটিদেরও? বিভ্রান্তিমূলক বিজ্ঞাপনে নিষেধাজ্ঞা জারি কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়েব সিরিজের (Web Series) পর এবার বিজ্ঞাপনের (Advertisement) ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করল কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government)। বিভ্রান্তিমূলক বিজ্ঞাপনকে (Misleading Ads) নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যে সমস্ত বিজ্ঞাপনে গ্রাহকদের ‘ছাড়’ বা ‘বিনামূল্য’ পণ্য দেওয়ার প্রলোভন দেখানো হয়, সেই সব বিজ্ঞাপনকে নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্র।  

    ‘প্রিভেনশন অফ মিসলিডিং অ্যাডভ্যার্টাইসমেন্ট অ্যান্ড এন্ডোরসমেন্ট ফর মিসলিডিং অ্যাডভার্টাইসমেন্ট ২০২২’ নামের বিধি জারি করা হয়েছে। নিয়ম না মানলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বিজ্ঞাপন সংস্থার বিরুদ্ধে। এমনকি নিয়ম লঙ্ঘনকারী বিজ্ঞাপনে মুখ দেখানো তারকাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হতে পারে। যেসব বিজ্ঞাপন শিশুদের জন্যে তৈরি করা, সেইসব বিজ্ঞাপনের ওপরেও নজর রাখবে কেন্দ্র। কনজিউমার প্রোটেকশন অ্যাক্ট (Consumer Protection Act) অনুযায়ী, নিয়ম ভাঙলে ১০ লক্ষ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানাও হতে পারে। 

    আরও পড়ুন: কুঁজো, ট্যারা শুনতে শুনতেই আত্মহত্যার চেষ্টা, এখন তিনিই ভারতের সর্বকনিষ্ঠ সিইও

    ক্রেতা সুরক্ষা বিষয়ক মন্ত্রকের (Ministry of Consumer Affairs) সচিব রোহিত কুমার (Rohit Kumar) বলেন, “বিভ্রান্তিকমূলক বিজ্ঞাপনগুলির ওপর ইতিমধ্যেই নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। কিন্তু নতুন নির্দেশিকায় বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়েছে। বিজ্ঞাপন প্রস্তুতকারী সংস্থা এবং পণ্যের কোম্পানিগুলির নিয়মগুলি বুঝতে সুবিধা হবে।” রোহিত আরও বলেন, “ক্রীড়াবিদ, অভিনেতাদের মতো বিখ্যাত ব্যক্তিত্বদেরও এই বিষয়ে সতর্ক হতে হবে। যে কোনও পণ্যের প্রচারে নামার আগে ওই পণ্য সম্পর্কে বিজ্ঞাপনে কী দাবি করা হচ্ছে সেটা জেনে নিতে হবে তাঁদের। এই বিখ্যাত মানুষদের দেখে অনেকেই প্রভাবিত হন। ফলে তাঁরা যে সব কথা বিজ্ঞাপনে সাক্ষর করছেন, তা নিয়ে একটু হোমওয়ার্ক করে নেওয়া দরকার।”    

    আরও পড়ুন: ডিজিটাল চোখে সবকিছুই নজরবন্দি প্রধানমন্ত্রীর

    কেন্দ্রীয় নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বিজ্ঞাপনে শিশুদের খাবারের পণ্যে তার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে মিথ্যে দাবি করা যাবে না। চিরাচরিত খাবারের থেকে এই খাবারের পুষ্টিগুণ বেশি বলে বিজ্ঞাপন প্রচার করা যাবে না। পণ্যের গুণ সম্পর্কে কোনও দাবি করা হলে সেই দাবির উৎস জানাতে হবে সংস্থাকে। নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, কোনও পণ্যের ক্ষেত্রেই কোনও মিথ্যে দাবি করা যাবে না। অনেক ক্ষেত্রে যে সংস্থা বিজ্ঞাপন করছে, সেই সংস্থার মালিকানায় অংশীদারিত্বও থাকে। তা-ও স্পষ্ট ভাবে জানাতে হবে। 

    মদের সরাসরি বিজ্ঞাপন করার নিয়ম নেই বলে, মদ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি অনেক সময় সোডার বিজ্ঞাপন করে। এই ধরনের মিথ্যাচারেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্র।  বিভিন্ন সংস্থা লড়াইয়ের ময়দানে টিকে থাকতে বিভিন্ন ছাড় ঘোষণা করেও বিজ্ঞাপন বানায়। এ ক্ষেত্রেও বিজ্ঞাপনে যে সব দাবি করা হচ্ছে, তার সত্যতা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। পোর্টালগুলিতে অনেক সময় মিথ্যে রিভিউ দেখা যায়। সে বিষয়েও সতর্ক কেন্দ্র। এ বিষয়ে সকলের মতামত জানার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

     

  • Airlines Updates: ওয়েব চেক-ইনে অতিরিক্ত টাকা আর নয়, নয়া সিদ্ধান্ত অসামরিক বিমান মন্ত্রকের

    Airlines Updates: ওয়েব চেক-ইনে অতিরিক্ত টাকা আর নয়, নয়া সিদ্ধান্ত অসামরিক বিমান মন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাত্রীদের স্বার্থে সক্রিয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। এবার থেকে বিমানবন্দরে ওয়েব চেক-ইন করার জন্য অতিরিক্ত টাকা গুনতে হবে না যাত্রীদের। বৃহস্পতিবার বিমান পরিবহণ মন্ত্রক (Ministry) থেকে এয়ারলাইন্সগুলিকে এই অনুরোধ করা হয়েছে। এর আগে এই পরিষেবার জন্য প্রত্যেক যাত্রীর কাছ থেকে ২০০ টাকা ফি নিত এয়ারলাইন্স (Airlines) কর্তৃপক্ষ।

    আরও পড়ুন: শপথ নিলেন শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী, জানেন কি দীনেশ গুণবর্ধনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক

    বিমানের জ্বালানির দাম বৃদ্ধির কারণে একধাক্কায় বিমানের টিকিটের দাম বেড়ে গিয়েছিল। তবে সম্প্রতি দাম কমেছে জ্বালানির। ফলে বিমানে যাতায়াতে খরচ কমতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার অসামরিক বিমান মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, চেক-ইন কাউন্টারে বোর্ডিং পাস দেওয়ার সময় অতিরিক্ত কোনও চার্জ বসানো যাবে না। বর্তমানে ভারতের সর্ববৃহৎ এয়ারলাইন ইন্ডিগো চেক-ইন কাউন্টারে বোর্ডিং পাস ইস্যু করার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত চার্জ নেয়। এদিন মন্ত্রকের তরফে ট্যুইটে জানানো হয়েছে, ‘কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান মন্ত্রকের নজরে এসেছে যে, কিছু এয়ারলাইন যাত্রীদের বোর্ডিং পাস দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত টাকা চার্জ করছে।’

    আরও পড়ুন: ১৩টি বিয়ে করলেন অন্ধ্রপ্রদেশের যুবক! এরপর যা হল…

    ট্যুইটে আরও জানানো হয়,এয়ারক্রাফ্ট নিয়ম, ১৯৩৭ অনুযায়ী এই চার্জ নেওয়া যায় না। উল্লেখ্য, বিমানে কোনও জায়গায় যাত্রা করার আগে টিকিট করার পরে ওয়েব চেক-ইন করাতে হয় যাত্রীদের। কিন্তু সেই ওয়েব চেক-ইন করা না থাকলে কিছু এয়ারলাইন অতিরিক্ত ২০০ টাকা চার্জ করছে।কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান মন্ত্রকের তরফে এদিন জানানো হয়েছে, ওয়েব চেক ইন করা না থাকলে বিমান বন্দরের মধ্যে চেক-ইন কাউন্টারে বোর্ডিং পাস ইস্যু করার ক্ষেত্রে কোনও চার্জ নেওয়া যাবে না। তবে, এই সুবিধা কেবল অর্ন্তদেশীয় বিমান পরিষেবায় মিলবে বলে সরকারি তরফে জানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের এই নির্দেশে খুশির হাওয়া বিমান যাত্রীদের মধ্যে। এই নির্দেশে বিমান সংস্থাগুলি সতর্ক হতে পারে, বলে আশা করছেন সাধারণ যাত্রীরা। 

  • Sharad Pawar: দলের সমস্ত শাখা ভেঙে দিলেন এনসিপি প্রধান! কী ভাবছেন শরদ পাওয়ার

    Sharad Pawar: দলের সমস্ত শাখা ভেঙে দিলেন এনসিপি প্রধান! কী ভাবছেন শরদ পাওয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্র রাজনীতিতে ফের নতুন মোড়। জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি (NCP)-র জাতীয় স্তরে সমস্ত কমিটি ভেঙে দেওয়া হল। এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারের (Sharad Pawar) নির্দেশেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন প্রবীণ নেতা প্রফুল্ল প্যাটেল (Praful Patel)। কিন্তু হঠাৎ কেন এই সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি, সে বিষয়ে কিছুই জানা যায়নি।

    এনসিপির জাতীয় সম্পাদক প্রফুল্ল প্যাটেল বুধবার রাতে ট্যুইট করে লেখেন, “জাতীয় সভাপতি শরদ পওয়ারের অনুমতি অনুসারে জাতীয় স্তরের যাবতীয় বিভাগ ও শাখার অবিলম্বে অবলুপ্তি করা হচ্ছে। কেবল ন্যাশনালিস্ট উইমেনস উয়ং, ন্যাশনালিস্ট ইয়ুথ কংগ্রেস ও ন্যাশনালিস্ট স্টুডেন্টস কংগ্রেস থাকবে”। পরবর্তী আরেকটি ট্যুইটে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, এই সিদ্ধান্ত মহারাষ্ট্র বা অন্য কোনও রাজ্য শাখার উপরে কার্যকরী হবে না। 

    [tw]


    [/tw]

    মহারাষ্ট্রে মহা বিকাশ আগাড়ি  (MVA) জোট সরকারের পতনের তিন সপ্তাহের মধ্যে এনসিপি তাদের পার্টির সমস্ত পদ ও সেল বিলুপ্ত করা নিয়ে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা। দলের সংগঠন ঢেলে সাজাতেই এই সিদ্ধান্ত বলে এনসিপি (NCP) সূত্রে খবর। তবে, বিশেষজ্ঞদের মতে, দলের ভাঙন রুখতেই শরদ পাওয়ারের এই সিদ্ধান্ত। কেননা রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনসিপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে ক্রস ভোটিংয়ের অভিযোগ উঠেছিল।
     
     
    প্রশ্ন উঠছে, শিবসেনার পর কি এবার অন্তর্দ্বন্দ্বের আগুন ছড়াল ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির অন্দরেও? এক্ষেত্রে ২০১৯-এর স্মৃতি এনসিপি সুপ্রিমোকে উস্কে দিয়েছে বলে দলের একাংশের মত। ওই বছর দলকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে দেবেন্দ্র ফড়ণবীশের সঙ্গে উপ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন অজিত পাওয়ার। এবারও কী সেরকম কিছু ঘটতে চলেছে? সেই আশঙ্কাতেই দল ভেঙে দিলেন এনসিপি প্রধান? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলের।
  • NIA:  জেএমবি জঙ্গি-যোগের খোঁজে ৩ রাজ্যে হানা এনআইএ-র

    NIA:  জেএমবি জঙ্গি-যোগের খোঁজে ৩ রাজ্যে হানা এনআইএ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের তিন রাজ্যের ছ’ জায়গায় হানা দিলে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ (NIA)। সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশ এবং বিহারে হানা দেন তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সম্প্রতি বাংলাদেশের (Bangladesh) জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদিনের (JMB) ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করে এনআইএ। সেই সূত্রেই ওই ছয় জায়গায় হানা দেন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, মধ্যপ্রদেশের ভোপালে চার জায়গায়, বিহারের কাটিহারে এবং উত্তর প্রদেশের সাহারানপুরে একযোগে হানা দেন তদন্তকারীরা।

    জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার এক আধিকারিক জানান, জেএমবি-র ছয় সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। ভোপালের একটি বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের। তিনি জানান, তারা জেএমবি-র আদর্শ প্রচার করছিল। ভারতে জিহাদি কাজকর্ম চালানোর জন্য তারা তরুণদের উৎসাহিতও করছিল। এদিনের তল্লাশিতে বেশ কিছু ডিজিটাল ডিভাইস, মোবাইল ফোন, সিমকার্ড এবং মেমরি কার্ড বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে জিহাদি পুস্তিকাও। হদিশ মিলেছে ব্যাংক অ্যাকাউন্টেরও।  

    আরও পড়ুন : আইএস জঙ্গি মুসাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা এনআইএ আদালতের

    এদিকে, রাজ্যের সাম্প্রতিক অশন্তির ঘটনার নেপথ্যেও বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবির যোগ রয়েছে বলে আশঙ্কা গোয়েন্দাদের। নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যকে ঘিরে দিন কয়েক আগে অশান্ত হয়ে ওঠে হাওড়া, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ার বিভিন্ন জায়গা। হাওড়ার উলুবেড়িয়া, পাঁচলা এবং সলপে ব্যাপক অশান্তি হয়। গোয়েন্দাদের অনুমান, এই অশান্তির নেপথ্যে রয়েছে জেএমবি-র স্লিপার সেলের হাত।

    আরও পড়ুন : নেপথ্যে জঙ্গি-যোগ? পঞ্জাবে পুলিশের সদর দফতরে গ্রেনেড হামলার তদন্ত পেতে পারে এনআইএ

    গোয়েন্দা সূত্রে খবর, এ রাজ্যে যখন সিএএ বিরোধী আন্দোলন হচ্ছিল, তখনও রাজ্যের যেসব জায়গায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছিল। সেবারও মূলত অশান্তি হয়েছিল হাওড়া, উলুবেড়িয়া সাবডিভিশন এবং মুর্শিদাবাদের একাংশে। তার পিছনেও জেএমবির স্লিপার সেলের হাত রয়েছে বলে অনুমান।

    সূত্রের খবর, মাসখানেক আগেও হাওড়া, উলুবেড়িয়া মহকুমার একাধিক জায়গায় জেএমবির প্রথম সারির কয়েকজন জঙ্গি নেতা রাত কাটিয়েছে। কেবল জেএমবি নয়, গোয়েন্দা সূত্রে খবর, হাওড়া, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ার যে সব জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তি হয়েছে তার পিছনেও ছিল পড়শি বাংলাদেশের একাধিক নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের স্লিপার সেলের দীর্ঘ হাত।

     

  • Air pollution: বায়ুদূষণের ফলে ভারতীয়দের আয়ু কমবে ৫ বছর! দাবি গবেষণায়

    Air pollution: বায়ুদূষণের ফলে ভারতীয়দের আয়ু কমবে ৫ বছর! দাবি গবেষণায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বায়ুদূষণের জেরে দেশবাসীর প্রত্যাশিত আয়ু কমতে পারে প্রায় পাঁচ বছর। এমনই দাবি শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউটের (Energy Policy Institute at the University of Chicago)এয়ার কোয়ালিটি লাইফ ইনডেক্সের (একিউএলআই) নবতম রিপোর্টে এই কথা বলা হয়েছে। এই রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের সবচেয়ে দূষিত শহর দিল্লি। দূষণের জেরে সেখানে আয়ু কমতে পারে ১০.১ বছর। অন্য দিকে,বিশ্বে বায়ুদূষণের জেরে ৯৭.৩ শতাংশ নাগরিকের জীবনই ঝুঁকির মুখে।

    ২০২০ সালে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে ওই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ৬৩ শতাংশ ভারতীয় দেশের এমন অঞ্চলে বাস করেন, যেখানে বায়ুদূষণ জাতীয় মানের (প্রতি ঘনমিটারে ৪০ মাইক্রোগ্রাম)উপরে। তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের বায়ুদূষিত দেশগুলির তালিকায় বাংলাদেশের (৭৫.৮ মাইক্রোগ্রাম/ঘনমিটার, নাগরিকদের আয়ু কমতে পারে ৬.৯ বছর) পরেই রয়েছে ভারত। দেশে বায়ুদূষণের নিরিখে পশ্চিমবঙ্গ রয়েছে সপ্তম স্থানে। এ রাজ্যে দূষণের পরিমাণ ৬৫.৪ মাইক্রোগ্রাম/ঘনমিটার। তার ফলে রাজ্যবাসীর আয়ু কমতে পারে ৫.৯ বছর।

    আরও পড়ুন: ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস, জেনে নিন এই দিনের তাৎপর্য

    শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই রিপোর্ট বলছে, বিশ্বে বায়ুদূষণের জেরে মানুষের আয়ু কমতে পারে ২.২ বছর। অন্য দিকে ধূমপানে ১.৯ বছর, মদ্যপানে আট মাস, অসুরক্ষিত জলের মাধ্যমে সাত মাস, এইচআইভি ৪ মাস, ম্যালেরিয়া ৩ মাস এবং সন্ত্রাসের জেরে আয়ু কমতে পারে ৯ দিন। এই গবেষণা অনুযায়ী, ২০১৩ সাল থেকে পৃথিবীতে দূষণবৃদ্ধির হারের ৪৪ শতাংশের জন্য দায়ী ভারত। ২০১৩ সালে যেখানে প্রতি ঘনমিটারে ৫৩ মাইক্রোগ্রাম দূষণ ছিল, সেটাই বর্তমানে বেড়ে হয়েছে প্রতি ঘনমিটারে ৫৫.৭ মাইক্রোগ্রাম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র বেঁধে দেওয়া সীমার (প্রতি ঘনমিটারে ৫ মাইক্রোগ্রাম) চেয়ে যা ১১ গুণ বেশি! গত বছর দূষণ বিধির ক্ষেত্রে পরিবর্তন করেছিল হু। আগে বছরে প্রতি ঘনমিটারে ১০ মাইক্রোগ্রাম দূষণ সহনশীল হিসাবে বিবেচিত হত। তা কমিয়ে করা হয়েছে প্রতি ঘনমিটারে ৫ মাইক্রোগ্রাম। দূষণবৃদ্ধির কারণ হিসাবে জনসংখ্যা বৃদ্ধি, কলকারখানা বৃদ্ধি, গাছ কেটে শহরাঞ্চলের প্রসারকে দায়ী করা হয়েছে। প্রতিবছরই শীতকালে প্রায় ধোঁয়াশায় ঢেকে যায় রাজধানী দিল্লি। এ বিষয়ে বারবার সতর্ক হওয়ার কথা বলেছেন পরিবেশবিদরা।

  • Russia: জুলাই মাসে রাশিয়া ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম কয়লা সরবরাহকারী, বলছে রিপোর্ট

    Russia: জুলাই মাসে রাশিয়া ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম কয়লা সরবরাহকারী, বলছে রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (India) তৃতীয় বৃহত্তম কয়লা সরবরাহকারী (Coal Supplier) হয়ে উঠেছে রাশিয়া (Russia)। জুলাই মাসের রেকর্ড এমনটাই বলছে। জুনের তুলনায় জুলাইয়ে আমদানি এক পঞ্চমাংশ বাড়িয়েছিল ভারত সরকার। ফলস্বরূপ এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ লক্ষ ৬ হাজার টনে। ভারতীয় পরামর্শদাতা কোলমিন্টের দেওয়া তথ্য থেকে এমনটাই জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: চিনকে রুখতে ভারতের পাশে! নয়া আইন পাশ মার্কিন সংসদে   

    এর আগে রাশিয়া ভারতের ষষ্ঠ বৃহত্তম কয়লা সরবরাহকারী ছিল। ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মোজাম্বিক এবং কোলাম্বিয়ার পর স্থান ছিল রাশিয়ার। মোজাম্বিক এবং কলম্বিয়া বহু দিন ধরেই যৌথভাবে পাঁচ নম্বর অবস্থান করছিল। 

    আরও পড়ুন: বাহিনীর সংখ্যায় টান, ইউক্রেনে ‘ভাড়াটে সেনা’ পাঠাচ্ছে রাশিয়া?

    ভারতের আশা, কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের সাম্প্রতিক অনুমোদনের কারণে এখন থেকে ভারতীয় মুদ্রায় পণ্যগুলির দাম চোকানো যাবে। ফলে রাশিয়ার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা হবে। রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর থেকে রাশিয়া থেকে ভারতের আমদানি প্রায় পাঁচ গুণ বেড়ে ১৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।  

    আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধে নিহত ১৫ হাজার রুশ সেনা, বিস্ফোরক দাবি সিএইএ-র     

    ভারত, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎপাদক, আমদানিকারক এবং কয়লার ভোক্তা। রাশিয়া থেকে ভারত প্রধানত ইস্পাত তৈরিতে ব্যবহৃত হওয়া কোকিং কয়লা আমদানি করেছে। এছাড়া ভারতের অন্য প্রধান সরবরাহকারী অস্ট্রেলিয়া। সাম্প্রতিক কালে রুশ সরবরাহকারীরা ভারতীয় ক্রেতাদের জন্য প্রচুর ছাড় দিয়েছে। প্রধানত বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত কয়লার আমদানি বহুগুণ বেড়েছে। পশ্চিমা দেশগুলির নিষেধাজ্ঞার কারণে বিশ্বব্যাপী কোণঠাসা হয়ে যায় পুতিনের দেশ। আর এতেই ভারতের সঙ্গে লেনদেন অনেকটা বেড়ে যায়। 

    আরও পড়ুন: ক্ষণিকের স্বস্তি, খাদ্য শস্য রফতানির বিষয়ে সমঝোতা রাশিয়া-ইউক্রেনের

    জুনের তুলনায় জুলাই মাসে রাশিয়া থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত কয়লা আমদানি ৭০.৩ শতাংশ বেড়েছে। সেখানে কোকিং কয়লা আমদানি দুই-তৃতীয়াংশের বেশি বেড়েছে।   

  • BJP to Rahul Gandhi: কংগ্রেসে কি গণতন্ত্র রয়েছে? পরিবারতন্ত্রই সম্বল, রাহুলকে তোপ বিজেপির

    BJP to Rahul Gandhi: কংগ্রেসে কি গণতন্ত্র রয়েছে? পরিবারতন্ত্রই সম্বল, রাহুলকে তোপ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজেকে বাঁচাতে কেন্দ্রীয় সংস্থা-প্রতিষ্ঠানগুলিকে অপমান করা বন্ধ করুন, রাহুল গান্ধীর উদ্দেশে কড়া বার্তা বিজেপির। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী শুক্রবার বিজেপির আমলে দেশে গণতন্ত্র নষ্ট হওয়ার অভিযোগ তোলেন। তারই প্রেক্ষিতে বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবি শঙ্কর প্রসাদ বলেন, রাহুল গান্ধী গণতন্ত্রের কথা বলছেন কিন্তু দেশে পরিবারতন্ত্র চালায় কংগ্রেস। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী একদা দেশে ‘ইমার্জেন্সি’ ঘোষণা করে গণতন্ত্রের পরিবেশ নষ্ট করেছিলেন বলে দাবি করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

    শুক্রবার সংসদ ভবনের বাইরে রাহুল গান্ধী-সহ একাধিক কংগ্রেস সাংসদকে আটক করে দিল্লি পুলিশ। মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব এবং খাদ্যপণ্যের উপর জিএসটি বসানোর প্রতিবাদে রাজধানীতে তুমুল বিক্ষোভ আন্দোলনের  ডাক দিয়েছে কংগ্রেস। সাংসদদের একটি মিছিল নিয়ে সংসদ থেকে রাষ্ট্রপতি ভবনের দিকে যাচ্ছিলেন রাহুল। বিজয় চক পৌঁছনোর আগেই তাঁকে আটক করে দিল্লি পুলিশ। এ দিন সংসদ ভবন চত্বরে সনিয়া গান্ধীকেও বিক্ষোভ দেখাতে দেখা যায়। শুক্রবার পার্লামেন্টের ভেতরে ও বাইরে কংগ্রেস সংসদ সদস্যরা বিক্ষোভ করতে থাকে। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিক্ষোভের কারণে দিল্লির কয়েকটি সড়কে যান চলাচল বাধা পায়। তাই রাজপথে শান্তি বজায় রাখতে আটক করতে হয় রাহুল গান্ধী, প্রিয়ঙ্কা গান্ধী, শশী তারুর-সহ কংগ্রেস নেতাদের। 

    আরও পড়ুন: মুম্বইয়ে উদ্ধার ৭০০ কেজি নিষিদ্ধ মাদক, গ্রেফতার স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ যুবক সহ ৫

    এদিন রাহুল গান্ধী বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করে বলেন, “আমরা গণতন্ত্রের মৃত্যু দেখছি। সাত দশক ধরে আমরা এক একটা ইট জুড়ে গণতন্ত্র তৈরি করেছিলাম, তা পাঁচ বছরেই ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের চোখের সামনে গণতন্ত্রকে ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। যারাই একনায়কতন্ত্রের চিন্তাধারার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াচ্ছে, তাদের উপরই নৃশংসভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে, গ্রেফতার করা হচ্ছে, জেলে ভরা হচ্ছে এবং মারধর করা হচ্ছে।”

    আরও পড়ুন: জঙ্গিদের গ্রেনেড হামলায় কাশ্মীরে হত পরিযায়ী শ্রমিক, জখম ২

    রাহুল গান্ধীর এই আক্রমণের পাল্টা জবাব দেয় বিজেপিও। বিজেপি নেতা গৌরব ভাটিয়া বলেন, “২০১৫ সালে ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলা জামিন পেয়েছিলেন সনিয়া ও রাহুল গান্ধী। এই মামলা বহু পুরনো, তখন ওনারা অভিযোগ করেননি যে ইডিকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। নিজেরা ধরা পড়ে গিয়েছেন, এই বিষয় থেকে সাধারণের নজর ঘোরাতেই এইসব প্রচেষ্টা করছে কংগ্রেস।”

  • Presidential Election 2022:  জয় নিশ্চিত দ্রৌপদী মুর্মুর! প্রথম রাউন্ডের শেষে বিপুল ব্যবধানে এগিয়ে

    Presidential Election 2022: জয় নিশ্চিত দ্রৌপদী মুর্মুর! প্রথম রাউন্ডের শেষে বিপুল ব্যবধানে এগিয়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাইসিনা হিলসের দৌড়ে প্রতিদ্বন্দ্বী  বিরোধী প্রার্থী যশবন্ত সিনহার থেকে অনেকটাই এগিয়ে গেলেন এনডিএ প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)।  বলা যেতে পারে, এই লড়াইয়ে দ্রৌপদীর জয় এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র। কিছুক্ষণ আগেই, প্রথম রাউন্ডের গণনা শেষ হয়েছে। আর তাতেই যশবন্তের চেয়ে বিপুল ভোটে এগিয়ে গিয়েছেন দ্রৌপদী।

    প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, দ্রৌপদী মুর্মুকে ৫৪০ জন সাংসদ ভোট দিয়েছেন। দ্রৌপদী মুর্মুর প্রাপ্ত ভোটের ভ্যালু ৩,৭৮,০০০। যশবন্ত সিনহাকে ২০৮ জন সাংসদ ভোট দিয়েছেন। যশবন্ত সিনহা প্রাপ্ত ভোটের ভ্যালু ১,৪৫,৬০০। ১৫টি ভোট অবৈধ ঘোষিত হয়েছে। দ্রৌপদী মুর্মু ৭২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।  ফলে বলা যেতেই পারে, সম্ভবত বিপুল সমর্থন নিয়েই দেশের ১৫তম রাষ্ট্রপতি হওয়ার দৌড়ে দ্রৌপদী মুর্মুর জয় কার্যত নিশ্চিত। সেক্ষেত্রে দেশের দ্বিতীয় মহিলা এবং প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতি হিসেবে এই পদে বসবেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: নারীর ক্ষমতায়নের উজ্জ্বল উদাহরণ দ্রৌপদী, বলছে ওড়িশার রায়রংপুর

    ওড়িশার অতি সাধারণ ঘর থেকে আসা একটি আদিবাসী পরিবারের মেয়ে তিনি। ব্যক্তিগত জীবনে নানা সমস্যা ও কষ্টের শিকার হয়েছেন দ্রৌপদী। ২০০৯ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে মারা গিয়েছেন তাঁর স্বামী, দুই ছেলে, মা ও ভাই। ২০০৯ সালে, রহস্যজনক মৃত্যু ঘটে দ্রৌপদী মুর্মুর এক ছেলের। দ্রৌপদীর স্বামী শ্যাম চরাম মুর্মু ২০১৪ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ২০১২ সালে এক পথ দুর্ঘটনায় নিজের দ্বিতীয় পুত্রকেও হারান তিনি। দ্রৌপদী মুর্মুর কন্যা ইতিশ্রী মুর্মু একটি ব্যাঙ্কে কাজ করেন।

    ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার সাঁওতাল সম্প্রদায়ের একটি দরিদ্র আদিবাসী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। নিজের রাজনৈতিক কর্মজীবন শুরু করার আগে দ্রৌপদী মুর্মু ওড়িশার রায়রংপুরে শ্রী অরবিন্দ ইন্টিগ্রাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারে শিক্ষকতা করতেন। এখনও পর্যন্ত দেশে কোনও আদিবাসী মহিলা প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি হননি। যদিও কেআর নারায়ণন ও রামনাথ কোবিন্দের রূপে দেশ পেয়েছিল ২ জন দলিত রাষ্ট্রপতি।

    আরও পড়ুন: ঘরের মেয়ে হতে চলেছেন রাষ্ট্রপতি, উৎসবের মেজাজ দ্রৌপদীর গাঁয়ে

  • Jammu & Kashmir: কাশ্মীরে গুলিবিদ্ধ বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক, এনকাউন্টারে খতম ২ জইশ জঙ্গি

    Jammu & Kashmir: কাশ্মীরে গুলিবিদ্ধ বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক, এনকাউন্টারে খতম ২ জইশ জঙ্গি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রক্তাক্ত ভূস্বর্গ। কাশ্মীরে ফের আক্রান্ত এক বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক। জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালেই জম্মু-কাশ্মীরে এক পরিযায়ী শ্রমিকের উপরে গুলি চালায় জঙ্গিরা। ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন ওই শ্রমিক। হামলার পরেই তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আহত ওই শ্রমিক বাঙালি। তাঁর নাম মুনিরুল ইসলাম। তাঁর বাবার নাম আবদুল করিম। এদিন সকালে কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ওই বাঙালি শ্রমিকের উপরে গুলি চালায় জঙ্গিরা। পুলওয়ামার উগারগুন্ড এলাকায় জঙ্গিহামলার এই ঘটনাটি ঘটেছে। শুক্রবার সকালেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে ট্যুইটারে জানিয়েছে কাশ্মীর পুলিশ। যদিও তিনি এখন স্থিতিশীল আছেন।

    আরও পড়ুন: ফের এনকাউন্টার কাশ্মীরে! গুলির লড়াইয়ে খতম ৩ লস্কর জঙ্গি

    এছাড়াও গতকাল রাতেই উপত্যকায় ভারতীয় সেনা ও  জঙ্গির মধ্যে গুলির লড়াইয়ে এনকাউন্টারে খতম হয়েছে দুই জঙ্গি। জানা গিয়েছে, তারা জইশ-ই-মহম্মদ গোষ্ঠীর সদস্য। বুধবারে উত্তর কাশ্মীরের সোপোরের বোমাই নামক গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে। এই ঘটনায় এক নাগরিক ও এক জওয়ান আহত হয়েছেন। গত বুধবার বোমাই গ্রামে পুলিশ ও ভারতীয় সেনার জওয়ানদের এক যৌথ অভিযান চালানোর সময় দুজন জঙ্গিকে নিকেশ করেছেন। দুজন জঙ্গির মধ্যে একজনকে বোমাই গ্রামে ও একজনকে পুলওয়ামায় খতম করেছেন কাশ্মীর পুলিশ। জম্মু কাশ্মীর পুলিশের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল বিজয় কুমার ট্যুইট করে জানিয়েছেন,  নিকেশ করা হয়েছে দুই জঙ্গিকে। একজনের নাম মহম্মদ রফি ও অন্যজন পুলওয়ামার কাইজার আশ্রফ। তারা সম্প্রতি সোপোরে সাধারণ মানুষের ওপর হামলা করবে বলে পরিকল্পনা করছিল। এরপর গোপন সূত্রে জঙ্গির উপস্থিতির খবর পেয়েই ‌নিরাপত্তারক্ষীরা তল্লাশি অভিযান চালায়। এরপরেই জঙ্গিরা গুলি চালাতে শুরু করলে এনকাউন্টারে তাদের মৃত্যু হয়। প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবারেও দক্ষিণ কাশ্মীরের সোপিয়ান জেলায় লস্কর-ই-তৈবার তিন জঙ্গিকে সেনার গুলিতে নিকেশ করা হয়েছিল।  

     

  • Varanasi Blasts: ১৮ বছর পর বারাণসী বিস্ফোরণকাণ্ডে ফাঁসির সাজা ওয়ালিউল্লাহ খানকে

    Varanasi Blasts: ১৮ বছর পর বারাণসী বিস্ফোরণকাণ্ডে ফাঁসির সাজা ওয়ালিউল্লাহ খানকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাণসী বিস্ফোরণকাণ্ডে (varanasi blasts case) দোষী সাব্যস্ত ওয়ালিউল্লাহ খানকে মৃত্যুদণ্ড দিল গাজিয়াবাদ আদালত। 

    ২০০৬ সালের ৭ মার্চ বারাণসীতে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ (blasts) মৃত্যু হয়েছিল ২৮ জনের। জখম হন শ’খানেক মানুষ। বিস্ফোরণ ঘটানো হয় বারাণসীর সংকটমোচন মন্দির (Sankatmochan Temple) এবং ক্যান্টনমেন্ট রেল স্টেশন এলাকায়। তদন্তে নামে পুলিশ। দশাশ্বমেধ ঘাট (Dashashwamedh Ghat) থেকে উদ্ধার হয় প্রেসারকুকার বোমা (Pressure Cooker Bomb)। বিস্ফোরণে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০০৬ সালের ৫ এপ্রিল প্রয়াগরাজ (Prayagraj) জেলা থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে ওয়ালিউল্লাহ খানকে। শুরু হয় মামলা।

    হাইকোর্টের নির্দেশে মামলা পাঠিয়ে দেওয়া হয় গাজিয়াবাদ (Ghaziabad) আদালতে। বিচার চলে প্রায় ১৬ বছর। শেষমেশ গাজিয়াবাদ সেশন কোর্টের বিচারক জিতেন্দ্র কুমার সিনহা দোষী সাব্যস্ত করেন ওয়ালিউল্লাহকে। খুন, খুনের ষড়যন্ত্র, বিস্ফোরণ সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের হয় তার বিরুদ্ধে। ওয়ালিউল্লাহর পক্ষে সওয়াল করতে রাজি হননি কোনও আইনজীবীই। তার পরেই এলাহাবাদ হাইকোর্ট মামলাটি পাঠিয়ে দেয় গাজিয়াবাদ সেশন কোর্টে। সেই আদালতই প্রথমে ওয়ালিউল্লাহকে দোষী সাব্যস্ত করে। পরে দেওয়া হয় সাজা।

    আরও পড়ুন : দাবানলের আঁচে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ, কাঁপল কাশ্মীরের পুঞ্চ

    বিস্ফোরণের দিনটি ছিল মঙ্গলবার। ভগবান সংকটমোচনের দিন। প্রতি মঙ্গলবার ওই মন্দিরে ব্যাপক ভিড় হয়। সেই কারণেই দোষী ব্যক্তিরা বিস্ফোরণের জন্য মঙ্গলবারটিকেই বেছে নিয়েছিল। জানা গিয়েছে, উত্তর প্রদেশের বাগপতের তান্ডা গ্রামে এই হামলার ছক কষা হয়েছিল। ঘটনার মূল চক্রী মহম্মদ জুবায়ের স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়াত। এই জুবায়ের, ওয়ালিউল্লাহ এবং এলাহাবাদের ফুলপুরের এক ধর্মগুরু দেওবন্দে ( Deoband) সহপাঠী ছিল। তারা একে অপরকে চিনত।

    বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে জুবায়ের ও ওয়ালিউল্লাহ দুজনেই হরকাত-উল-জিহাদ-আল-ইসলামি, সংক্ষেপে হুজির (HuJi) সঙ্গে যুক্ত ছিল। এরাই বারাণসীতে বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করেছিল। পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে তিন বোমা তৈরিতে দক্ষ জঙ্গিকে এদেশে  নিয়ে এসেছিল।

    ওয়ালিউল্লাহ তাদের প্রসার কুকার কিনতে ও বারাণসীর তিনটি বিস্ফোরণ ঘটানোর জায়গা খুঁজতে সাহায্য করেছিল। বাংলাদেশি তিন জঙ্গি মুস্তাকিন, বশির এবং জাকারিয়া জুবায়ের সঙ্গে মার্চ মাসে ফুলপুরে এসেছিল। সেখানেই জুবায়ের তাদের সঙ্গে ওয়ালিউল্লাহর পরিচয় করিয়ে দেয়। ঘটনার মাসখানের পরেই ওয়ালিউল্লাহ গ্রেফতার হয়। বাগপত ছেড়ে পালায় জুবায়ের। তিন বাংলাদেশি জঙ্গি ফিরে যায় বাংলাদেশে। ১০ মে পুলিশ ও সেনার যৌথ অভিযানে কাশ্মীরে খতম হয় জুবায়ের।

    আরও পড়ুন :হিন্দু-মুসলিম সম্পর্কে ভাগবতের মন্তব্য সংগঠনের বক্তব্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ, জানাল আরএসএস

     

LinkedIn
Share