Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Imran khan: “তিন টুকরো হয়ে যাবে পাকিস্তান!” কেন এমন কথা বললেন ইমরান?

    Imran khan: “তিন টুকরো হয়ে যাবে পাকিস্তান!” কেন এমন কথা বললেন ইমরান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানে (pakistan) অবিলম্বে নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা না হলে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে। বিস্ফোরক ইমরান খান (Imran khan)।

    সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা তেহরিক-ই ইনসাফ (Pakistan Tehreek-e-Insaf) পার্টির প্রধান বলেন, পাকিস্তান এখন দেউলিয়া হওয়ার পথে। পারমাণবিক প্রতিরোধ ক্ষমতা হারালে তিন টুকরো হয়ে যাবে পাকিস্তান। যদি চলতি সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া না হয়, তাহলে এদেশ আত্মঘাতী হতে যাচ্ছে। ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে তিনি যে এখনই ফিরে আসছেন না, এদিন তাও জানান ‘কাপ্তান’। তিনি বলেন, ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ফিরে আসার মানে হবে ষড়যন্ত্র স্বীকার করে নেওয়া।

    আরও পড়ুন : চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের কাজ বিশবাঁও জলে, কেন জানেন?

    ইমরানেরকে ক্ষমতাচ্যুত করে ক্ষমতায় আসে শাহবাজ শরিফের (Shehbaz Sharif) সরকার। ইমরানের দাবি, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে দিন কয়েক আগে ইসলামাবাদে বিশাল জমায়েত করেন ইমরান। ওই জমায়েত ঠেকাতে চেষ্টার কসুর করেনি শাহবাজের সরকার। তার পরেও রোখা যায়নি প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীকে। ইসলামাবাদের বুকে জনসভা করেন তিনি।

    ওই দিনই ইমরান জানিয়েছিলেন, তিনি এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের জন্য অপেক্ষা করছেন। তিনি বলেন, আমি নিরঙ্কুশ ক্ষমতা ভোগ করিনি। ক্ষমতার প্রকৃত কেন্দ্রগুলি পড়ে রয়েছে অন্যত্র। সবাই জানে যে কোথায় আছে। ইমরান আরও বলেন, ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আমাদের সরকার দুর্বল ছিল। তাই জোটসঙ্গী খুঁজতে হয়েছিল। তবে এরকম পরিস্থিতি আবার দেখা দিলে তিনি সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠনে নির্বাচন বেছে নেবেন বলেও জানান পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন : অশান্ত পাকিস্তান! ৬ দিনের মধ্যে নির্বাচন ঘোষণা করতে শাহবাজ সরকারকে হুঁশিয়ারি ইমরানের

    তাঁর সরকার ব্ল্যাকমেলের শিকার বলেও অভিযোগ করেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। ইমরান বলেন, আমাদের হাত বাঁধা ছিল। সব জায়গা থেকে আমাদের ব্ল্যাকমেইল করা হয়েছিল। ক্ষমতা আমাদের সঙ্গে ছিল না। এর পরেই তিনি বলেন, আমরা দেখব তারা আমাদের আইনি ও সাংবিধানিক উপায়ে নির্বাচনের দিকে যেতে দেয় কিনা, অন্যথায় এই দেশে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে।

    এদিকে, দেশের বিরুদ্ধে নগ্ন হুমকি দেওয়ায় বৃহস্পতিবার পূর্বসূরি ইমরান খানকে পাবলিক অফিসের জন্য অযোগ্য বলে অভিযুক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। পাকিস্তানের বিভাজনের বিষয়ে কথা না বলতে তাঁকে সতর্কও করেন।

     

  • India Russia Trade: পণ্য বিনিময় পদ্ধতিতে এবার রাশিয়া থেকে সার আমদানি ভারতের

    India Russia Trade: পণ্য বিনিময় পদ্ধতিতে এবার রাশিয়া থেকে সার আমদানি ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্বালানির পর এবার রাশিয়া (Russia) থেকে সার আমদানি করবে ভারত (India)। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Ukraine war) আবহে সারের (fertilizer) দাম বেড়েছে বিশ্বজুড়েই। তার আগেই রাশিয়া থেকে সার আমদানির ব্যাপারে আলোচনা চূড়ান্ত করে ফেলেছে নয়াদিল্লি (new delhi)। কেবল চলতি অর্থবর্ষই নয়, আগামী বেশ কয়েকটি অর্থবর্ষেও যাতে রাশিয়া থেকে সার আমদানি করা যায়, সেই ব্যবস্থাও পাকা করে ফেলেছে মোদি (Modi) সরকার।

    আরও পড়ুন : রাশিয়া থেকে জ্বালানি কেনা নিয়ে পশ্চিমি দেশগুলিকে জবাব পীযূষ গোয়েলের

    জ্বালানির মতো সারও আমদানি করতে হয় ভারতকে। কারণ ভারতের সিংহভাগ মানুষ কৃষিজীবী। তাই সারের জোগান অব্যাহত রাখা জরুরি। এদিকে কৃষ্ণসাগরের ওপর যুদ্ধের মেঘ কালো ছায়া ফেলেছে ভারতীয় অর্থনীতিতেও। দেশের ২.৭ ট্রিলিয়ন ডলার মূল্যের অর্থনীতির ১৫ শতাংশ কৃষি নির্ভর। এই আবহে ভূ-রাজনৈতিক জটিলতা কাটিয়ে রাশিয়া থেকে সার আমদানির বিষয়টি নিশ্চিত করা নিঃসন্দেহে ভারতের একটি বড় সাফল্য।

    জানা গিয়েছে, সার রফতানি করে ভারতের থেকে ডলারের বদলে অন্য কোনও মাধ্যমে মূল্য নেবে রাশিয়া। এ ব্যাপারে রুপি-রুবেল পদ্ধতি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে দুই দেশ। পাশাপাশি, বার্টার সিস্টেম (barter system) বা পণ্য বিনিময় পদ্ধতির মাধ্য়মেও ভারতকে সার দিতে রাজি পুতিনের দেশ। সেক্ষেত্রে, ভারতের থেকে চা, গাড়ির যন্ত্রাংশের মতো জিনিসপত্রের বদলে সার দেবে রাশিয়া। ভারত থেকে কৃষিপণ্য ও চিকিৎসা সরঞ্জামও আমদানি করবে পুতিনের দেশ।

    অস্ট্রিয়ান পররাষ্ট্র নীতি থিঙ্কট্যাঙ্ক এআইইএসের (AIES) পরিচালক ভেলিনা চাকারোভার মতে, ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সার আমদানিকারী দেশ। তারা রাশিয়া থেকে ১ মিলিয়ন টন ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট এবং পটাশ আমদানি করবে। প্রতি বছর প্রায় ৮ লক্ষ টন নাইট্রোজেন, ফরফরাস এবং পটাশিয়ামও আমদানি করবে।

    আরও পড়ুন : রাশিয়া থেকে তেল আমদানি নিয়ে ছয় মাসের চুক্তি ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব তেল সংস্থাগুলির

    রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে বিশ্বজুড়েই লেগেছে মূল্যবৃদ্ধির আঁচ। প্রত্যাশিতভাবেই দাম বেড়েছে সারেরও। এহেন আবহে ২১ মে মোদি সরকার ঘোষণা করেছিল, কৃষকদের মূল্যবৃদ্ধির হাত থেকে বাঁচাতে সরকার সারে ১.১০ লক্ষ কোটিরও বেশি টাকা ভর্তুকি দেবে। অতিরিক্ত বরাদ্দের জেরে বর্তমান অর্থবর্ষে সরকারে মোট সার ভর্তুকির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে ২.১৫ লক্ষ কোটিতে।

    বিষয়টি ট্যুইট করে জানিয়েছিলেন নির্মলা সীতারামণ। তিনি লিখেছিলেন, বিশ্বব্যাপী সারের দাম বাড়লেও, আমরা আমাদের কৃষকদের এই ধরনের মূল্যবৃদ্ধির হাত থেকে রক্ষা করেছি। বাজেটে ১.০৫ লক্ষ কোটি টাকার সার ভর্তুকি ছাড়াও, আমাদের কৃষকদের আরও উপকার করার জন্য অতিরিক্ত ১.১০ লক্ষ কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে।

    সার নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের আলোচনা হয়েছে ফেব্রুয়ারি মাসে। তার পরের মাসেই জর্ডনের বিনিয়োগ মন্ত্রী খেরি ইয়াসের আবদেল-মনিম আমরের নেতৃত্বে জর্ডনের এক প্রতিনিধি দল আসেন ভারতে। এ দেশে ফসফেটিক ও পটাশ সার এবং কাঁচামাল সরবরাহের জন্য কেন্দ্রীয় রাসায়নিক ও সার মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্যর সঙ্গে আলোচনাও করেছেন তাঁরা। সরকারি একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২.৭ মিলিয়ন টন এমওপি বার্ষিক সরবরাহের জন্য জর্ডনের সঙ্গে একটি দীর্ঘমেয়াদী সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছিল। প্রসঙ্গত, বিশ্বব্যাপী মোট সারের প্রায় ১৩ শতাংশ উৎপন্ন হয় রাশিয়ায়। ভারতের একটি প্রধান সার সরবরাহকারী দেশও এটি। 

     

  • Bihar Gold Mine: জামুইয়ে মিলল দেশের সর্ববৃহৎ সোনার খনির হদিশ, খোঁজ দিয়েছে পিঁপড়ের দল?

    Bihar Gold Mine: জামুইয়ে মিলল দেশের সর্ববৃহৎ সোনার খনির হদিশ, খোঁজ দিয়েছে পিঁপড়ের দল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারের জামুই (Jamui) জেলার করমটিয়া গ্রাম। অনুর্বর জমি, ধু ধু প্রান্তর। চাষ-আবাদ হয় না বলে বিশেষ লোকজনও থাকে না এই এলাকায়। কিন্তু এই অনুর্বর জমিই হয়ে যেতে পারে কুবেরের ধন। বদলে দিতে পারে গোটা দেশের অর্থনীতি। সম্ভবত, এই মাটির নীচেই লুকিয়ে আছে দেশের সর্ববৃহৎ সোনার খনি (Gold mine)। জামুই জেলার কর্মটিয়া (Karmatia) গ্রামে যে দেশের সবচেয়ে বড় সোনার খনি (India’s largest gold reserve) আছে, সেই জল্পনা বহুদিনের। কিন্তু এবার সরকারও সেই জল্পনাকে আমল দিয়ে জামুইয়ে সোনার খনি খোঁড়ার প্রক্রিয়া শুরু করার অনুমতি দিয়েছে।    

    প্রত্নতাত্ত্বিকদের ধারণা, জামুইয়ে এই সোনার খনিতে (Jamui gold mines) প্রায় ২৩ কোটি টন সোনার আকরিক আছে। এছাড়া রয়েছে ৩৭.৬ টন উৎকৃষ্ট খনিজ। এই বিপুল পরিমাণ আকরিক সোনা থেকে প্রচুর ধাতব সোনা তৈরি করা যেতে পারে। এছাড়াও এর সঙ্গে বহু ধরনের পণ্যদ্রব্য তৈরি হবে।

    ভারতে ইউনিকর্ন স্টার্টআপের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে, জানালেন প্রধানমন্ত্রী

    এই বিপুল পরিমাণ সোনার হদিশ যদি সত্যিই পাওয়া যায়, আর সেটা যদি বাজারে আসে, তাহলে সোনার দাম রাতারাতি অনেকটা কমে আসতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। জেলা সদর থেকে প্রায় চল্লিশ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই কর্মটিয়া গ্রাম৷ এর আগে ১৯৮২ সালেও এই কর্মটিয়া গ্রাম শিরোনামে এসেছিল৷ সেই সময়ও এই অঞ্চলে সোনার খনির খবর সামনে এসেছিল৷ যদিও তখন প্রশাসন তাতে গুরুত্ব দেয়নি।         
     
    ২০১১ সালেও আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার (ASI) তরফে ওই এলাকায় খননের কাজ শুরু হয়৷ কিন্তু খরচ অত্যাধিক হওয়ায় বিষয়টি তখন স্থগিত হয়ে যায়৷ এর প্রায় দশ বছর পরে ২০২১ সালে কেন্দ্রীয় খনন মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী (Prahlad Joshi) নতুন করে ওই এলাকায় খননের তোড়জোড় করেন। সংসদে তিনিই জানান, বিহারেই দেশের সবচেয়ে বড় সোনার খনিটি আছে। লিখিত প্রশ্নের জবাবে খনি মন্ত্রী জানান, বিহারে ২২২.৮৮৫ মিলিয়ন টন ধাতব সোনা আছে। যা কিনা গোটা দেশের ৪৪ শতাংশ সোনার সমান। তবে, কেন্দ্রের তরফে শেষপর্যন্ত আর কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এবার উদ্যোগী হয়েছে বিহার সরকার।  

    আরও পড়ুন: এ কি কাণ্ড আমাজনের! প্লাস্টিকের বালতি, মগ বিক্রি হচ্ছে ২৬ হাজার টাকায়!

    বিহারের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব হরজ্যোত কৌর বামরাহ জানিয়েছেন, “বিহার সরকার এই খনির প্রাথমিক অন্বেষণের প্রক্রিয়ায় ছাড়পত্র দিয়েছে। আমরা কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির সঙ্গে একটি মউ স্বাক্ষর করব। প্রাথমিকভাবে আমরা তৃতীয় স্তরের অন্বেষণ করব। যেটা একেবারেই প্রাথমিক অন্বেষণ। সেই প্রক্রিয়া শেষ হবে মাসখানেকের মধ্যেই। তারপর দ্বিতীয় স্তরের অন্বেষণ শুরু হবে।” কৌর আরও জানিয়েছেন, জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (GSI) এবং আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার (ASI) দেওয়া তথ্য মেনেই কর্মটিয়া, ঝাঝা এবং সোনো এলাকায় অন্বেষণ চালানো হবে। 

    জানা গিয়েছে করমাটিয়া, ঝাঝা এবং সোনো এলাকায় খনির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। মাওবাদী অধ্যুষিত এই এলাকায় যে সোনার খনি থাকতে পারে এই ধারণা কারোরই ছিল না। ৪০ বছর লেগেছে এই এলাকায় সোনার খনির সন্ধান পেতে। তাও মূলত ‘পিঁপড়ে’-এর সৌজন্য। অনেকে বলে থাকেন, এই এলাকায় আগে একটা বড় বট গাছ ছিল। পিঁপড়ের দল রোদের দাবদাহ থেকে বাঁচতে ওই গাছে নীচে বাসা তৈরি করতে খুঁড়তে শুরু করে। তখনই স্থানীয়রা মাটির সঙ্গে হলুদ রঙের ছোট ছোট কিছু বস্তু দেখতে পান। তখন থেকেই এই সোনার খনির বিষয়টি নজরে আসে।  

    এই মুহূর্তে দেশের মধ্যে কর্নাটকেই (Karnataka) সবচেয়ে বেশি পরিমাণ সোনা পাওয়া যায়। এর আগে ১৯৯৯ সালে উত্তরপ্রদেশের সোনভদ্রতে (Sonbhadra) সোনার খনির সন্ধান পাওয়া যায়। সেখান থেকে ৩,৫০০ টন সোনা পাওয়া যায়। যদিও অনেকেই বলেন ৩,৫০০ টন সোনা পাওয়ার কথা নিতান্তই গুজব। আদতে ১৬০ কিলোগ্রাম সোনা পাওয়া গিয়েছিল।

     

     

     

     

  • Abhilasha Barak: কী এই আর্মি অ্যাভিয়েশন কোর, যার প্রথম মহিলা কমব্যাট অ্যাভিয়েটর হলেন অভিলাষা?

    Abhilasha Barak: কী এই আর্মি অ্যাভিয়েশন কোর, যার প্রথম মহিলা কমব্যাট অ্যাভিয়েটর হলেন অভিলাষা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথম মহিলা কমব্যাট অ্যাভিয়েটর হিসেবে ভারতীয় সেনার অ্যাভিয়েশন কোরে (Army Aviation Corps) যোগ দিয়ে ইতিহাস গড়লেন ক্যাপ্টেন অভিলাষা বরাক (Abhilasha Barak)। দেশের স্থলবাহিনীর যুদ্ধ হেলিকপ্টারের প্রথম মহিলা চালক হলেন হরিয়ানার রোহতকের মেয়ে ২৬ বছর বয়সী অভিলাষা। ভারতীয় সেনা জন্যে অন্যতম গর্বের দিন। ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে ট্যুইট করে জানানো হয়েছে, “ক্যাপ্টেন অভিলাষা বরাক সফলভাবে প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করার পর প্রথম মহিলা কমব্যাট অ্যাভিয়েটর হিসাবে আর্মি অ্যাভিয়েশন কোরে যোগদান করেছেন।”   
     
    [tw]


    [/tw]

    কী এই আর্মি অ্যাভিয়েশন কোর, যেখানে যোগদান করলেন অভিলাষা? 

    ভারতীয় সেনাবাহিনীর সব থেকে নতুন শাখা এই আর্মি অ্যাভিয়েশন কোর। তবে ১৯৪২ সালে ব্রিটিশ শাসনের অধীনে পরাধীন ভারতে রয়্যাল বায়ুসেনাতেও ছিল বিশেষ এই দল। ১৯৪৭ সালের অগাস্ট মাসে প্রথম ‘এয়ার অবজার্ভেশন পোস্ট’ তৈরি করা হয়। ১৯৬৫ এবং ১৯৭১ সালের যুদ্ধে এই এয়ার অবজারভেশন পোস্টের হেলিকপ্টারগুলি শত্রুপক্ষের গতিবিধি নির্ণয় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও দক্ষ হয়ে ওঠে ভারতীয় সেনার এই শাখা।

    ২০১৯ সালে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ আর্মি অ্যাভিয়েশন কোরকে ‘প্রেসিডেন্ট কালার’ প্রদান করেন। এটি সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ অনুষ্ঠান। সেনাবাহিনীর কোনও স্কোয়াডকে তাদের ভালো কাজের পুরস্কারস্বরূপ সম্মানিত করা হয়।   

    আরও পড়ুন: অনন্য নজির! ভারতীয় সেনার প্রথম মহিলা কমব্যাট অ্যাভিয়েটর অভিলাশা বারাক

    তৈরি হওয়ার পরেই সেনাবাহিনীর এই বিশেষ দল তামিল বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে শ্রীলঙ্কায় ‘অপারেশন পবন’- এ যোগদান করে এবং সফল হয়। কার্গিল যুদ্ধের সময়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল এই স্কোয়াড। সিয়াচেনে ২০ হাজার ফিট উচ্চতা থেকে নজরদারির দায়িত্বে আছে এই বিশেষ টিম। সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী বিভিন্ন অপারেশনেও অংশ নিয়েছে এই রেজিমেন্ট। প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা অন্যান্য উদ্ধারকাজেও বিভিন্ন সময় অংশ নেয় এই দল। 

    [tw]


    [/tw]

    এর আগে এই স্কোয়াডে মহিলাদের শুধুমাত্র ‘গ্রাউন্ড ডিউটি’ দেওয়া হত। গতবছরই সেনাবাহিনী জানায়, দুজন মহিলা অফিসারকে হেলিকপ্টার চালানোর প্রশক্ষণ দেওয়া হবে। অভিলাষাই প্রথম যিনি ‘চিতা’ হেলিকপ্টার নিয়ে আকাশে উড়বেন। জুলাই থেকেই দুই মহিলা অফিসার হেলিকপ্টার ওড়ানো শুরু করবেন। 

     

     

     

     

  • Defence ministry: গত আর্থিক বর্ষে ১৩ হাজার কোটি টাকা রেকর্ড রফতানি ভারতের

    Defence ministry: গত আর্থিক বর্ষে ১৩ হাজার কোটি টাকা রেকর্ড রফতানি ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) স্বপ্নের আত্মনির্ভর ভারতের দিকে আরও এক ধাপ এগোল দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রক (Defence Ministry )। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফাতানিতে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করল ভারত (India)। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, গত আর্থিক বর্ষে ১৩ হাজার কোটি টাকা রফতানি করেছে ভারত। প্রধানমন্ত্রীর আত্মনির্ভর ভারতের দিকে লক্ষ্য রেখে কেন্দ্রের তরফে একাধিক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। গত ২০২১-২২ আর্থিক বর্ষে ১৩ হাজার কোটি টাকা প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি করা হয়েছে বলে মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। মোট রফতানি অর্থের বেসরকারি খাত থেকে এসেছে ৭০ শতাংশ এবং ৩০ শতাংশ এসেছে সরকারি খাত থেকে।

    প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর, আগের আর্থিক বছরগুলির তুলনায় ২০২১-২২ অর্থবর্ষে রফতানি বহু গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা রেকর্ড। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফিলিপাইন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, পশ্চিম এশিয়া এবং আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি করা হয়। প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানির বৃদ্ধির কথা জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় জাজু (Sanjay Jaju)।

    আরও পড়ুন: পূর্ব লাদাখে নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে চিনের যুদ্ধবিমান

    প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে আরও খবর, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে রফতানি পরিমাণ বেড়েছে তার আগের বছরগুলির তুলনায় প্রায় পাঁচ গুণ। ২০২০-২১ আর্থিক বর্ষে রফতানির পরিমাণ ভারতীয় টাকায় ছিল প্রায় ৮ হাজার ৪৩৪ কোটি টাকা। ২০১৯-২০ সালে ৯ হাজার ১১৫ কোটি এবং ২০১৫-১৬ সালে এই পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৫৯ কোটি। করোনা অতিমারির জন্যই ২০২০-২১ অর্থ বর্ষে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি কিছুটা কম হয়েছিল বলে মন্ত্রক জানিয়েছে।

    আরও পড়ুন: মোদি-আবে রসায়নই কি চিন্তা বাড়িয়েছিল চিনের? ইন্দো-জাপান মধুর সম্পর্কের স্থপতি শিনজো

    প্রসঙ্গত, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর,  যুদ্ধজাহাজের উদ্বোধন করতে কলকাতায় আসছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। ১৫ জুলাই গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্সে একটি যুদ্ধজাহাজের উদ্বোধন করবেন তিনি। গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্স যে তিনটি ফ্রিগেজ জাহাজ নির্মাণের বরাত পেয়েছে তার মধ্যে দ্বিতীয় জাহাজ এটি। 

  • Covid-19 Maharashtra: জরুরী বৈঠকের ডাক উদ্ধব ঠাকরের, ফের লকডাউনের পথে মুম্বাই?

    Covid-19 Maharashtra: জরুরী বৈঠকের ডাক উদ্ধব ঠাকরের, ফের লকডাউনের পথে মুম্বাই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে ফের মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে করোনা (Covid-19)। মুম্বাইয়ে (Mumbai) একদিনে আক্রান্ত ৭৩৯ জন। ৪ ফেব্রুয়ারির পর থেকে এই প্রথম এত বেশি সংক্রমণ নথিভুক্ত হল। কোভিডের এই বাড়বাড়ন্তে ফের লকডাউনের পথে হাঁটতে পারে মহারাষ্ট্র সরকার। আশঙ্কায় ঘুম উড়েছে মুম্বাইবাসীর। এমতাবস্থায় জরুরী ভিত্তিতে কোভিড টাস্ক ফোর্সের বৈঠকের ডাক দিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)। যাতে লকডাউনের সম্ভাবনা আরও জোরালো হল। 

    মঙ্গলবার মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৫০৬ জন। বুধবারে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৩৯ জন। একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ল ২৩৩। এই নিয়ে পরপর দু’দিন মুম্বাইয়ের কোভিড সংক্রমণ ছিল ৫০০-র উপরে। বিষয়টিতে রীতিমতো উদ্বিগ্ন প্রশাসন। 

    বিশেষজ্ঞদের মতে, মাস্ক পরায় অনীহা এবং কোভিড বিধিনিষেধ মেনে না চলা এই সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের একটা বড় কারণ হতে পারে। এই মুহূর্তে স্বপ্ননগরীতে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৩০০০। বহুদিন পরে প্রায় ১০০ জন কোভিডের কারণে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। টানা চার মাস এই দৃশ্য দেখেনি শহর।

    আরও পড়ুন: একবারও ছুঁতে পারেনি করোনা? অতিপ্রাকৃতিক ক্ষমতা নাকি নিপাট বিজ্ঞান?

    আরও চিন্তার খবর, বুধবারই ধারাভি বস্তিতে ১০ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর সামনে এসেছে। এই মুহূর্তে সেই বস্তিতে ৩৭ টি অ্যাক্টিভ কেস রয়েছে। এই অবধি মুম্বাইয়ে মোট ১০,৬৬,৫৪১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ১৯,৫৬৬ জনের। গত ২৪ ঘণ্টার কোনও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। 

    মুম্বাইয়ে এই মুহূর্তে করোনায় সুস্থতার হার ৯৮%। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৯৫ জন। এযাবৎ ১০,৪৪,০০৫ জন করোনা থেকে সেরে উঠেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৮,৭৯২ জনের টেস্ট করানো হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ১৮.১৫ কোটি অব্যবহৃত টিকা রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলির জন্যে উপলব্ধ করল স্বাস্থ্য মন্ত্রক   

    আকস্মিক কোভিডের এই বাড়বাড়ন্তে স্বাভাবিক ভাবেই উদ্বিগ্ন বৃহন্মুম্বাই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (BMC) কর্তারা। কোভিডের মোকাবিলায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় টিকাকরণের নির্দেশ জারি করেছে বিএমসি। বুধবার সংবাদমাধ্যমে বিমএসি জানিয়েছে, শহরে কোভিডের দৈনিক সংক্রমণ হার বেড়েছে ৬ শতাংশ। মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্য দফতরের হিসাব অনুযায়ী,  চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫৩৬। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় তা ৭০০-র ঘর ছাড়িয়েছে।

    সংক্রমণ রুখতে কোভিড টেস্টের সংখ্যা বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে বিএমসি এবং রাজ্য প্রশাসন। পাশাপাশি, মুম্বইয়ের হাসপাতালগুলিকে জরুরি ভিত্তিতে প্রস্তুত থাকারও নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তাঁদের আশঙ্কা, ‘‘বর্ষা প্রায় আসন্ন। এর মধ্যেই আক্রান্তের সংখ্যা অত্যন্ত বেড়ে গিয়েছে। উপসর্গ আছে এমন রোগীদের সংখ্যা দ্রুত গতিতে বাড়তে পারে।’’    

    কোভিডের সংখ্যায় রাশ টানতে ১২-১৮ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়ার কর্মসূচিতে গতি আনতে চায় মহারাষ্ট্র। পাশাপাশি, বয়স্কদের বুস্টার ডোজ দেওয়ার জন্য তৎপর হয়েছে সরকার।       

    হাসপাতালগুলিকে ইতিমধ্যেই সমস্ত ব্যবস্থা নিয়ে সজাগ থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অ্যাম্বুলেন্সগুলিকেও সক্রিয় থাকার নির্দেশ দিয়েছে সে রাজ্যের সরকার। 

    গত সপ্তাহেই মুম্বাইয়ের গার্ডিয়ান মিনিস্টার আসলাম শেখ বলেছিলেন, কোভিডের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করলে আবার লকডাউনের পথে হাঁটতে পারে মহারাষ্ট্র সরকার। আসলাম বলেন, “যেভাবে ব্যপকহারে কোভিডের সংক্রমণ বাড়ছে আবার জনগণের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপাতে হতে পারে। প্লেনে যাতায়াতে এখনও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। বাড়বাড়ন্ত হলে আরও নিষেধাজ্ঞা চাপাতে হতে পারে।” 

     

  • PM Modi: সোনিয়ার আরোগ্য কামনা মোদির, এবার করোনা আক্রান্ত প্রিয়ঙ্কাও

    PM Modi: সোনিয়ার আরোগ্য কামনা মোদির, এবার করোনা আক্রান্ত প্রিয়ঙ্কাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। এই খবর শোনার পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) ট্যুইট করে তাঁর দ্রুত সুস্থতার জন্য কামনা করেন। সোনিয়া গান্ধী করোনা পজিটিভ হওয়ার পরেই নিজেকে নিভৃতবাস রেখেছেন। বৃহস্পতিবার সোনিয়া (Sonia) গান্ধীর  অসুস্থতার খবর প্রথম জানান কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা (Randeep Singh Surjewala)। তিনি জানান, সোনিয়া গান্ধীর হালকা জ্বর এসেছিল ও অন্যান্য কোভিডের উপসর্গ দেখা দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ট্যুইট করে লেখেন, “কোভিড-১৯ (Covid-19) থেকে সোনিয়াজির দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।”

    [tw]


    [/tw]

    উল্লেখ্য, ন্যাশনাল হেরাল্ড (National Herald) মামলায় কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট সোনিয়া এবং রাহুল গান্ধীকে তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। ৮ জুনে ইডির দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা  সোনিয়ার। আর তার আগেই করোনায় আক্রান্ত হলেন কংগ্রেস নেত্রী। 

    আরও পড়ুন: কোভিড আক্রান্ত সোনিয়া, রয়েছেন নিভৃতবাসে, ইডি তলবের পরদিনই জানাল কংগ্রেস

    সোনিয়ার হাজিরা নিয়ে কংগ্রেস থেকে জানানো হয়েছে, সোনিয়াজি চাইছেন ৮ তারিখই তিনি ইডি-র দফতরে যাবেন। তবে অবশ্যই যদি সেই সময় কোভিড সংক্রান্ত জটিলতা না থাকে। পাশাপাশি, এই মামলায় তাদের যে কিছুই লুকোনোর নেই তাও মনে করিয়ে দিয়েছে কংগ্রেস। দল বলেছে, “আমরা আইনি, রাজনৈতিক, সামাজিক পথেই লড়াই করব।” 

    কংগ্রেস মন্ত্রী ও আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, এই মামলায় অর্থ পাচার বা বিনিময়ের কোনও প্রমাণই নেই। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বিরোধী দলকে নিশানা করতেই এই মামলা দায়ের করেছে এবং কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার অপব্যবহার করছে।

    আরও পড়ুন: সোনিয়া, রাহুলকে সমন ইডি-র! ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বিপাকে কংগ্রেস

    এদিকে, সোনিয়া গান্ধীর পর এবার করোনায় আক্রান্ত হলেন তাঁর মেয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরাও। করোনায় আক্রান্তের খবর শুক্রবার নিজেই ট্যুইট করে জানালেন তিনি। তিনি ট্য়ুইটে লেখেন, “আমার করোনা পজিটিভ এসেছে ও করোনার মৃদু উপসর্গ রয়েছে। বাড়িতেই রয়েছি। গত বেশ কয়েকদিন যাঁরা আমার কাছাকাছি এসেছেন, তাঁদের করোনা পরীক্ষা করার জন্য অনুগ্রহ করছি।”

    [tw]


    [/tw]

  • Satyendar Jain: হাওয়ালা লেনদেন! ৯ জুন পর্যন্ত ইডি হেফাজতে সত্যেন্দ্র জৈন

    Satyendar Jain: হাওয়ালা লেনদেন! ৯ জুন পর্যন্ত ইডি হেফাজতে সত্যেন্দ্র জৈন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি (Delhi) সরকারের মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনকে (Satyendra Jain) ৯ জুন পর্যন্ত এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate) হেফাজতে পাঠাল আদালত। বেআইনি আর্থিক লেনদেনের (money laundering) অভিযোগে সোমবার তাঁকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি (ED)।

    মঙ্গলবার আদালতে পেশ করা হয় সত্যেন্দ্রকে। ইডি-র তরফে আদালতে সওয়াল করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা (Tushar Mehta)। তিনি বলেন, “কী ভাবে টাকা হাওয়ালায় (Hawala) লগ্নি করা হয়েছিল, অন্যত্র পাঠানো হয়েছিল, সে সব তথ্য আমাদের কাছে রয়েছে। তদন্তের স্বার্থে ধৃতের ১৪ দিনের হেফাজত চাইছে ইডি।” 

    মেহতা জানান, ২০১৫ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন প্রায় ১.৬৭ কোটি টাকার সম্পত্তি করেছিলেন সত্যেন্দ্র। তদন্তে উঠে এসেছে, সেই দুর্নীতির টাকা তিনি কলকাতার ভুয়ো সংস্থার খাতায় পাঠিয়েছিলেন। কলকাতারই দুই ব্যক্তি ওই কাগুজে সংস্থাগুলি তৈরি করেছিলেন। একশো টাকায় ১৫-২০ পয়সা কমিশনের ভিত্তিতে কাজ করার কথা তাঁরা স্বীকারও করেছেন। ইডি-র দাবি, আসলে সত্যেন্দ্রই ওই সংস্থাগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করতেন।

    আরও পড়ুন: আইনের ফাঁসে আরেক আপ নেতা! হাওয়ালাকাণ্ডে গ্রেফতার দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী

    সূত্রের খবর, রাজনীতিতে আসার আগে সত্যেন্দ্র প্রথমে কেন্দ্রীয় পূর্ত দফতরে চাকরি করতেন। পরে চাকরি ছেড়ে নির্মাণ সংক্রান্ত একটি পরামর্শদাতা সংস্থা খোলেন। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাজকর্মের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। ইডি ইতিমধ্যেই জৈন পরিবার ও তাঁদের নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থাগুলির ৪.৮১ কোটি টাকার সম্পত্তি সাময়িক ভাবে বাজেয়াপ্ত করেছে।

    আদালতে ইডি জানায়, এই মামলায় প্রথমে সত্যেন্দ্রকে গ্রেফতার না করেই তদন্ত চালাতে চেয়েছিল তারা। কিন্তু মন্ত্রী উত্তর এড়িয়ে যাচ্ছিলেন। সত্যেন্দ্রর আইনজীবী বলেন, ‘‘২০১৮ সালে এই মামলা দায়ের হয়েছিল। এখন ২০২২। এর মধ্যে অন্তত ছ’বার মন্ত্রীকে ডাকা হয়েছে এবং প্রত্যেক বারই তিনি সহযোগিতা করেছেন। তদন্তকারী সংস্থা শুধু বড় বড় কথা বলছে। মন্ত্রীর সঙ্গে কালো টাকার যোগের প্রমাণ কোথায়?’’

    পাঞ্জাবের আপ সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিজয় সিংলার (Vijay Singla) বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় সপ্তাহখানেক আগেই তাঁকে বরখাস্ত করে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান (Bhagwant Mann)। সত্যেন্দ্রর ক্ষেত্রে কেজরিওয়ালও (Kejriwal) কেন একই পথে হাঁটছেন না, বিজেপির মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া আজ সেই প্রশ্ন তুলেছেন।

    কেজরিওআলের দাবি, ‘‘পাঞ্জাবের মন্ত্রীর একটি অডিয়ো রেকর্ডিং পাওয়া গিয়েছিল, যার কথা কোনও তদন্তকারী সংস্থা বা বিরোধীরা জানতই না। চাইলে আমরা সেটা ধামাচাপা দিয়ে দিতেই পারতাম। কিন্তু আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি, তাঁকে গ্রেফতার করিয়েছি। কিন্তু সত্যেন্দ্র নির্দোষ। মামলাটি পুরোপুরি জাল এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। বিচার ব্যবস্থায় আমাদের আস্থা আছে। সত্যেন্দ্র জৈন সত্যের পথে হেঁটেই নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করবেন।’’

    এদিকে, সত্যেন্দ্রকে সমর্থন করার জন্য কেজরিওয়ালের দিকে প্রশ্ন তোলেন বিজেপি (BJP) নেত্রী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। সত্যেন্দ্রকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ তকমা দিয়ে স্মৃতি বলেন, সত্যেন্দ্র দেশের সম্পদ লুঠ করেছেন তাঁকে শাস্তি না দিয়ে তাঁর পাশে দাঁড়াচ্ছেন আপ (AAP) নেতা।

  • Modi Yoga Day: আসন্ন বিশ্ব যোগ দিবসে এখানে যোগাসন করবেন মোদি!

    Modi Yoga Day: আসন্ন বিশ্ব যোগ দিবসে এখানে যোগাসন করবেন মোদি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২১ জুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবস (International Yoga Day)। ওইদিন মাইসুরু প্রাসাদের (Mysuru palace) সামনে গণ যোগাসন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। সম্প্রতি একথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। তিনি জানান, অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছে। মাইসুরু হচ্ছে দক্ষিণ ভারতের প্রথম শহর যারা যোগ কর্মসূচির জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।

    যোগাসন ভারতের প্রাচীন ঐতিহ্য। সুপ্রাচীন কাল থেকে ভারতের বুকে চলছে যোগ চর্চা। বেদেও যোগের উল্লেখ রয়েছে বলেও শোনা যায়। সেই ঐতিহ্যের কথা বিবেচনা করেই ভারতের যোগাসনকে আন্তর্জাতিক স্তরে সম্প্রসারিত করতেই যোগ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত সরকার। ২০১৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত রাষ্ট্রপুঞ্জে ২১ জুন দিনটিকে যোগ দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ঠিক তার পরের বছর থেকেই বিশ্বজুড়ে শুরু হয় যোগ দিবস পালন।

    আরও পড়ুন : “গত ৮ বছরে এমন কিছুতে লিপ্ত হইনি যাতে লজ্জায় মাথা নোয়াতে হয়”, গুজরাতে মোদি

    যোগব্যয়ামের প্রসারে মোদি সরকার বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এগুলি হল, ২০১৪ সালে নয়া সরকার ক্ষমতায় আসার পর জনস্বাস্থ্যে যোগের ভূমিকা ও প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের চেষ্টা শুরু করে। ওই বছরই গঠিত হয় আয়ুষ মন্ত্রক। এই মন্ত্রকের অধীনেই যোগ সম্পর্কিত নানা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ক্ষমতায় আসার পরেই ৯ নভেম্বর সংযুক্ত রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশনে ১৯৩টি দেশের মধ্যে ১৭৩টি দেশ যোগ দিবস পালনের প্রস্তাব অনুমোদন করে। এর পরের বছর ১৫ জুন থেকে বিশ্বব্যাপী যোগ দিবস পালিত হয়। সেই থেকে আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে পালিত হয়ে আসছে নানা কর্মসূচি।

    আরও পড়ুন : মোদিময় জাপান! প্রধানমন্ত্রীকে দেখেই উঠল ‘মোদি মোদি’, ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান

    যোগ সম্প্রসারণ ও সংস্কারেও সরকার বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এগুলি হল, আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালনের ক্ষেত্রে যোগা প্রোটোকল নির্ধারণ করে আয়ুষ মন্ত্রক। ‘ন্যাশনাল যোগা অ্যান্ড ন্যাচারোপ্যাথি প্রোমোশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বোর্ড’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। জাতীয় স্তরে যোগ সম্পর্কিত উপদেষ্টা প্রতিষ্ঠানের কাজ করে এই সংস্থা। ২০১৬ সালে আয়ুষ মন্ত্রকের অধীনে জাতীয় শোক এবং প্রাকৃতিক চিকিৎসার প্রচারে উন্নয়ন বোর্ড গঠন করা হয়েছে।

    যোগ ব্যায়াম প্রশিক্ষণে শংসাপত্র দিয়ে উৎসাহিত করার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। যোগব্যায়াম শিখতে যুব প্রজন্মকে উৎসাহিত করার পরিকল্পনাও করা হয়েছে। দেশের সব নাগরিকের জন্য প্রশিক্ষণের পরিকাঠামো গড়ে তোলার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে। যোগ প্রশিক্ষণ সংস্থাগুলির ওপর আয়ুষ মন্ত্রকের নজর রাখার সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়েছে।

     

     

  • Ayodhya Ram Mandir: অযোধ্যায় রাম মন্দির গর্ভগৃহের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন যোগী আদিত্যনাথের

    Ayodhya Ram Mandir: অযোধ্যায় রাম মন্দির গর্ভগৃহের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন যোগী আদিত্যনাথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যায় (Ayodhya) প্রস্তাবিত রাম মন্দিরের (Ram Mandir) গর্ভগৃহের ভিত্তিপ্রস্তর (foundation stone) স্থাপন করলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী (Uttar Pradesh cm) যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। এই উপলক্ষে মঙ্গলবার হয় বিশেষ প্রার্থনাসভা ও পুজোপাঠ। উপস্থিত ছিলেন বিখ্যাত পূজারি এবং সাধু-সন্ন্যাসীরা। অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে এদিন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় ঢেকে দেওয়া হয় মন্দির চত্বর। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আজ দিনটি অতি পবিত্র। এই পবিত্র দিনেই মন্দিরের গর্ভগৃহের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হল।

    ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ ভারতবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি। বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে মন্দির নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। ২০২০ সালের ৫ অগাস্ট মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন।

    তার পর থেকে মন্দির নির্মাণের কাজ অত্যন্ত দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে। আজ হল গর্ভগৃহের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন। তিনি বলেন, মন্দির নির্মাণের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক বছরের মধ্যে তৈরি হয়ে যাবে ভারতবাসীর এই স্বপ্নের মন্দির। দর্শনার্থীদের জন্য মন্দির খুলে দেওয়া হবে আগামী বছরের ডিসেম্বরে।

    আরও পড়ুন : ১৮৬২টি মন্দির ভেঙে বদলে দেওয়া হয়েছে মসজিদে! তালিকা প্রকাশ হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের

    মন্দির কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, অযোধ্যার এই মন্দিরটি হবে ত্রিতল বিশিষ্ট। পুরোটাই হবে গ্রানাইট পাথর দিয়ে। মন্দির তৈরি করতে লাগবে ১৭ হাজার গ্রানাইট পাথর। প্রতিটি পাথর লম্বায় পাঁচ ফুট, চওড়ায় আড়াই ফুট। রাজস্থানের ভরতপুর থেকে নিয়ে আসা হয়েছে পাথর। আট একর জমির ওপর তৈরি হচ্ছে মন্দির। গত রবিবার মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জানিয়েছিলেন, রাম মন্দির নির্মাণের পাশাপাশি কাশী বিশ্বনাথ (Kashi Viswanath) সহ অন্যান্য মন্দির সংস্কারের কাজে হাত দেওয়া হবে।

    আরও পড়ুন : ভোজশালার সরস্বতী মন্দির ভেঙেও গড়ে উঠেছিল মসজিদ?

    ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টে নিষ্পত্তি হয় রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ বিবাদের (Ram Janmabhoomi-Babri Masjid dispute)। হিন্দুদের দাবি ছিল, যে জায়গায় বাবরি মসজিদ রয়েছে, সেখানেই জন্মেছিলেন ভগবান রাম। তাই দীর্ঘদিন ধরেই রাম মন্দিরের পক্ষে সওয়াল করছিলেন হিন্দুত্ববাদী বিভিন্ন সংগঠন।

    শেষমেশ প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের (Ranjan Gogoi) নেতৃত্বে আদালতের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ অযোধ্যা মামলার রায় দেয়। বিচারপতি সব পক্ষকেই সমান গুরুত্ব দিয়ে রায় পড়ে শোনান। তিনটি পক্ষই আদালতে সওয়াল-জবাব করেছে। তাদের প্রত্যেকের সওয়াল-জবাবকেই মান্যতা দিয়ে তার পক্ষে বিপক্ষে মতামত দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তার পরেই জমিটি রাম লালার বলে রায় দেয় শীর্ষ আদালত।

     

LinkedIn
Share