Category: দেশ

Get updates on India News Headlines National News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Jammu & Kashmir: আসন বাড়ল জম্মু-কাশ্মীরে, ডিলিমিটেশন কমিশনের রিপোর্টে বিতর্ক

    Jammu & Kashmir: আসন বাড়ল জম্মু-কাশ্মীরে, ডিলিমিটেশন কমিশনের রিপোর্টে বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ হল জম্মু-কাশ্মীরে সীমানা পুনর্বিন্যাসের কাজ। এক লপ্তে বাড়ল আসন সংখ্যাও। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছে ডিলিমিটেশন কমিশন। রিপোর্ট নিয়ে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছে ভূস্বর্গের রাজনৈতিক দলগুলি।

    অশান্তির জেরে প্রায় দু’দশক জম্মু-কাশ্মীরে বন্ধ ছিল সীমানা পুনর্বিন্যাসের কাজ। ক্ষমতায় এসে অশান্ত ভূস্বর্গে শান্তি ফেরাতে উদ্যোগী হয় মোদি সরকার। সংসদের উভয় কক্ষে বিল পাশ করে রদ করে দেওয়া হয় ৩৭০ ধারা। ভূস্বর্গকে পরিণত করা হয় দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। তবে জম্মু-কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা দিতে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নেয় কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। যার জেরে শুরু হয় সীমানা পুনর্বিন্যাসের কাজ। কাজ শেষে এদিন কেন্দ্রকে সেই রিপোর্টই জমা দল ডিলিমিটেশন কমিশন।

    ভূস্বর্গের কাশ্মীর এলাকাটি মুসলিম অধ্যুষিত। হিন্দু পণ্ডিতদের বিতাড়নের জেরে এই এলাকার প্রায় সব ভোটারই মুসলিম সম্প্রদায়ের। এর ঠিক উল্টো চিত্র জম্মুতে। এলাকাটি হিন্দু অধ্যুষিত। সীমানা পুনর্বিন্যাসের জেরে আসন সংখ্যা বেড়েছে জম্মুতে। সেখানে বেড়েছে ৬টি আসন। আর কাশ্মীরে বেড়েছে একটি আসন। সব মিলিয়ে আসন সংখ্যা বেড়েছে ৭টি। আগে ছিল ৮৩টি। আসন সংখ্যা বৃদ্ধির জেরে ভূস্বর্গের আসন বেড়ে হল ৯০টি। জম্মুর আসন সংখ্যা বাড়ায় খেপেছে কাশ্মীরের রাজনৈতিক দলগুলি।

    যদিও ডিলিমিটেশন কমিশন জানিয়েছে, ২০১১ সালের জনসংখ্যার ভিত্তিতেই আসন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নয়া ব্যবস্থায় জম্মু-কাশ্মীরের যে পাঁচটি লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে, তার প্রতিটিতে এবার ১৮টি করে বিধানসভা কেন্দ্র থাকবে। স্থানীয় রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধিদের দাবি মেনে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রের নাম বদল হয়েছে। যেমন, তানমার্গের নাম হয়েছে গুলমার্গ, জুনিমার হয়েছে জাদিবাল, শোনওয়ারের নাম হয়েছে লালচক, কাঠুয়া উত্তরের নাম হয়েছে জাসরোটা।

    ডিলিমিটেশন কমিশনের পেশ করা রিপোর্টে সন্তুষ্ট নয় কাশ্মীরের রাজনৈতিক দলগুলি। উপত্যকার বিভিন্ন দল নিয়ে গড়া গুপকর জোট জানিয়েছে, এর ফলে কাশ্মীরে যাঁরা সংখ্যাগুরু, তাঁরা রাজনৈতিক সংখ্যালঘুতে পরিণত হলেন। পুরোটাই করা হয়েছে বিজেপিকে সুবিধা করে দিতে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, যাবতীয় উদ্যোগ উপত্যকায় শান্তি ফেরাতেই করা হচ্ছে।   

  • Amit Shah: ‘সেদিন দেশবাসীর অধিকার…’, ৭৫-এর জরুরি অবস্থা প্রসঙ্গে অমিত শাহ

    Amit Shah: ‘সেদিন দেশবাসীর অধিকার…’, ৭৫-এর জরুরি অবস্থা প্রসঙ্গে অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্ষমতার জন্য কংগ্রেস (Congress) ভারতীয়দের সাংবিধানিক অধিকার (Constitutional Rights) কেড়ে নিয়েছিল। এমনই অভিযোগ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। দেশে জরুরি অবস্থার ৪৭ বর্ষপূর্তি। ১৯৭৫ সালের এই দিনেই দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। সেই কারণেই এদিন কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ শানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    এদিন সকালে একট ট্যুইটবার্তায় শাহ বলেন, ১৯৭৫ সালের এই দিনে কংগ্রেস ক্ষমতার জন্য প্রত্যেক ভারতবাসীর সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নিয়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছিল। তিনি বলেন, কংগ্রেস শাসন বর্বরতার দিক থেকে বিদেশি শাসনকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। তিনি সেই দেশপ্রেমিকদের শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন, যাঁরা গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে এবং স্বৈরাচারী মানসিকতাকে পরাস্ত করতে সর্বস্ব উৎসর্গ করেছিলেন।

    আরও পড়ুন : ‘শিবের মতো বিষপান করেছেন মোদি’, গুজরাট হিংসা প্রসঙ্গে অমিত শাহ

    ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন মধ্যরাতে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ফকরুদ্দিন আলি আহমেদ সংবিধানের ৩৫২ অনুচ্ছেদের অধীনে জরুরি অবস্থা জারি করেন। ১৯৭১ সালের লোকসভা নির্বাচনে ইন্দিরার জয়কে অবৈধ ঘোষণার পরে তাঁর পদত্যাগের দাবিতে সোচ্চার হয় দেশ। ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পড়ে জারি করা হয় জরুরি অবস্থা। সেই সময় মানবাধিকার লঙ্ঘন, সেন্সরশিপ ছাড়াও বহু মানুষকে জেলবন্দি করা হয়েছিল। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর জরুরি অবস্থা জারির এই সিদ্ধান্তকে দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি অন্ধকারময় সময় বলে বিবেচনা করা হয়। ১৮ মাস পরে প্রত্যাহার করা হয় জরুরি অবস্থা। ১৯৭৭ সালে নির্বাচনে হেরে যায় কংগ্রেস।

    দিনটিকে অন্ধকারময় চ্যাপ্টার বলে উল্লেখ করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি বলেন, ৪৭ বছর আগে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারির সিদ্ধান্ত একটি অন্ধকারময় অধ্যায়। এটা কখনওই ভোলা যাবে না।বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা বলেন, বিজেপি সেই সব বীরদের স্মরণ করে, যাঁরা ভারতের গণতন্ত্র এবং সাংবিধানিক মূল্যবোধ রক্ষার জন্য লড়াই করেছিলেন।

    আরও পড়ুন : আতঙ্কে ঘর ছাড়ছেন পণ্ডিতরা, জরুরি বৈঠক ডাকলেন অমিত শাহ

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী বলেন, ২৫ জুন দিনটি ভারতের গণতন্ত্রে একটি কালো দিন। ক্ষমতার জন্য শাসক নাগরিক স্বাধীনতা খর্ব করেছিলেন।গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে ধ্বংস করেছিলেন। দুর্বল করেছিলেন বিচার বিভাগকেও।

    অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, জরুরি অবস্থা ভারতের গণতন্ত্রের ভয়াবহ অন্ধকার দিনগুলির কথা মনে করিয়ে দেয়।

     

     

  • LIC IPO: ৪ মে আসছে এলআইসি-র আইপিও, শেয়ারের দাম কত হবে, জানাল সেবি

    LIC IPO: ৪ মে আসছে এলআইসি-র আইপিও, শেয়ারের দাম কত হবে, জানাল সেবি

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: অপেক্ষার অবসান। দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে বাজারে আসছে এলআইসি-র আইপিও (LIC IPO)। ৪ মে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে লাইফ ইনস্যুরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার (Life Insurance Corporation) বা এলআইসি-র এই ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিং (আইপিও)। 

    ভারতীয় জীবন বিমা নিগমের তরফে জানানো হয়েছে, মে মাসের ৪ তারিখ থেকে ৯ তারিখ পর্যন্ত আইপিও কেনাবেচা চলবে। খুচরো বিনিয়োগকারী (retail investors) থেকে শুরু করে পলিসিহোল্ডার (LIC policyholders) এবং বিমা কর্মীরা (LIC employees) এই সময় আবেদন করতে পারবেন। তবে, প্রতিষ্ঠানিক এবং বড় বিনিয়োগকারীরা (institutional investors) এই সুবিধা ২ মে থেকেই লাভ করতে পারবেন। বুধবার সেবি থেকে বরাদ্দ শেয়ারের পরিমাণ-সহ আইপিও সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্যও জানানো হয়েছে। ৫ শতাংশের পরিবর্তে বর্তমানে ৩.৫ শতাংশ শেয়ার বাজারে ছাড়া হবে বলে আগেই জানিয়েছে সংস্থা।

    প্রতিটি ইক্যুইটি শেয়ারের (equity share) মূল্য ৯০২ টাকা থেকে শুরু করে ৯৪৯ টাকা পর্যন্ত ধার্য করেছে সংস্থা (LIC IPO price band) ৷ সেক্ষেত্রে একটি লটে থাকা ১৫টি শেয়ার কিনতেই হবে বিনিয়োগকারীদের ৷ অর্থাৎ, বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ করতে হচ্ছে ১৪ হাজার টাকার কিছু বেশি ৷ তবে, বিনিয়োগকারীরা ১৫ এবং তার গুণিতকে শেয়ারের আবেদন জানাতে পারেন। জীবনবিমাকারী গ্রাহকদের জন্য ২.২১ কোটি এবং কর্মচারীদের জন্য ১.৫৮ কোটি শেয়ার সংরক্ষিত রাখা হবে। কর্মচারীরা শেয়ারের উপর ৪৫ টাকা ও জীবনবিমাকারী গ্রাহকরা ৬০ টাকা ছাড় পাবেন।

    চূড়ান্ত জমাপত্র অনুযায়ী, ১৬ মে-র মধ্যে আবেদনকারীদের ডিম্যাট অ্যাকাউন্টে (Demat account) বিতরণ শেষ করবে সেবি। ১৭ মে থেকে এলআইসি শেয়ার বাজারে (share market) তাদের নাম নথিভুক্ত করবে এবং স্বাভাবিক লেনদেন শুরু হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    প্রাথমিকভাবে সংস্থার বাজারে সংস্থার ৩১ কোটি শেয়ার ছেড়ে তা থেকে ৬০ হাজার কোটি টাকা কোষাগারে আনার পরিকল্পনা ছিল সরকারের ৷ সেক্ষেত্রে সংস্থার ৫ শতাংশ শেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল সরকার ৷ কিন্তু বাজার অস্থিরতার কারণে সেই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচিত হয় ৷ স্থির হয়, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ৫ শতাংশের বদলে ৩.৫ শতাংশ শেয়ার ছাড়া হবে।  এর ফলে ভ্যালুয়েশনও কমে দাঁড়ায় ২২.১৩ কোটি শেয়ার ৷ 

    পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আয়তনে কমলেও দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আইপিও হতে চলেছে জীবন বিমা নিগমের ৷  ডিআইপিএএম (DIPAM) সেক্রেটারি তুহিনকান্ত পাণ্ডে (Tuhin Kanta Pandey) বলেন, “আয়তন কমলেও জীবন বিমা নিগমের আইপিও-ই দেশের সর্ববৃহৎ আইপিও হতে চলেছে ৷” চলতি বছর বাজেট ঘোষণায় জীবন বিমা নিগমের শেয়ার বিক্রির কথা ঘোষণা করেছিলেন নির্মলা সীতারমণ ৷

     

     

  • Marital Rape: ‘‌বৈবাহিক ধর্ষণ’‌ নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত দিল্লি হাইকোর্ট, মামলা যেতে পারে শীর্ষ আদালতে

    Marital Rape: ‘‌বৈবাহিক ধর্ষণ’‌ নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত দিল্লি হাইকোর্ট, মামলা যেতে পারে শীর্ষ আদালতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৈবাহিক ধর্ষণ (Marital Rape) কি অপরাধ? নির্দিষ্ট উত্তর দিতে পারল না দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)। এই বিষয় নিয়ে বিতর্ক বহুদিনের। একের পর এক মামলা উঠেছে আদালতে। তবু সুরাহা হয়নি। এবার দিল্লি হাইকোর্টও নির্দিষ্ট কোনও রায় দিতে পারল না। দ্বিধাবিভক্ত রায় দিল আদালত। এই বিষয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দুই বিচারপতি রাজীব শকধের ও সি হরিশংকর আলাদা মত দিলেন। তবে আবেদনকারী সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আবেদন করতে পারেন বলেও জানিয়েছেন দুই বিচারপতি। 

    ‘‌বৈবাহিক ধর্ষণ’‌–ও অপরাধ। তাকে অপরাধের তকম দেওয়া হোক। এই দাবি জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে একের পর এক পিটিশন জমা পড়েছিল। ২০১৫ সালে ধর্ষণ আইনের একটি ব্যতিক্রমী ধারাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে প্রথম পিটিশনটি জমা পড়েছিল। ওই ধারায় প্রাপ্তবয়স্ক স্ত্রীকে যৌন সংসর্গে বাধ্য করার বিষয়টিকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, স্ত্রীর বয়স ১৮ বছরের বেশি হলে তাঁকে যৌন সংসর্গে বাধ্য করতে পারেন স্বামী। এই ধারার বিরুদ্ধেই জমা পড়েছিল পিটিশন।

    সেই মামলার শুনানিতেই ভিন্ন মত পোষণ করলেন বিচারপতি রাজীব শাকধের এবং বিচারপতি হরি শঙ্কর। বিচারপতি শাকধেরের মতে এই ব্যতিক্রম আসলে সংবিধানের ১৪, ১৯, ২১ ধারার (‌সাম্যের অধিকার, বাক এবং ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা, জীবন ও ব্যক্তিগত স্বাধীনতার সুরক্ষা)‌‌ বিরোধিতা করে। শাকধের স্পষ্টই জানান, এই বিষয়ে তিনি সহ-বিচারপতি হরি শঙ্করের সঙ্গে একমত হতে পারছেন না। অন্য বিচারপতি সি হরিশংকর (C Harishanker) জানালেন, ধর্ষণ আইনের ব্যতিক্রমী ধারাটি সংবিধানের পরিপন্থী নয় কোনওভাবেই। কারণ, স্বামী-স্ত্রীর মতপার্থক্যের কারণেই একমাত্র এই ধরনের অভিযোগ উঠে থাকে। যাকে কখনওই সেই অর্থে অপরাধ বলে গণ্য করা ঠিক নয়। 

    বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যে ধর্ষণের প্রসঙ্গ টানা যায় কিনা তা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে দেশে। অনেকের মতে বিষয়টি পশ্চিমি সংস্কৃতি থেকে আমদানি করা হয়েছে। এই বিষয়ে গত ৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট কেন্দ্রের অবস্থান জানাতে চেয়েছিল। দিল্লি হাইকোর্ট কেন্দ্রকে দুই সপ্তাহ সময় দিয়ে বলেছিল, তার মধ্যে ‘‌বৈবাহিক ধর্ষণ’‌ নিয়ে তাদের মত জানাতে। যদিও কেন্দ্র এখনও পর্যন্ত তাদের মত দেয়নি। এ প্রসঙ্গে আদালত জানায়, ‘‌যদি কেন্দ্র মনে করে অনির্দিষ্টকাল আদালত এই শুনানি স্থগিত রাখবে, তাহলে তা হবে না।’‌ জবাবে কেন্দ্রের হয়ে সওয়াল করা সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, এই বিষয়ে সব রাজ্য, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। নয়তো নাগরিকদের সামাজিক জীবন ব্যাহত হতে পারে। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে এপ্রসঙ্গে হলফনামা দিয়ে কেন্দ্র জানিয়েছিল, ‘‌বৈবাহিক ধর্ষণ’‌–কে তারা অপরাধ বলতে রাজি নয়। এতে বিপাকে পড়তে পারে ‘‌বিবাহ প্রতিষ্ঠান’‌। এই আইন আনা হলে অনেক স্ত্রীই তাকে অস্ত্র করে স্বামীকে হেনস্থা করতে পারে।  

    প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে বিবাহ বিচ্ছেদ সংক্রান্ত একটি মামলায় বৈবাহিক ধর্ষণ প্রসঙ্গ ওঠে কেরল হাইকোর্টে। ওই মামলায় আদালত জানায়, বিবাহ-বিচ্ছেদের মামলায় বৈবাহিক ধর্ষণ যথেষ্ট যুক্তিগ্রাহ্য কারণ। কেরল হাইকোর্টের বিচারপতিরা জানান, ভারতে বৈবাহিক ধর্ষণ দণ্ডণীয় অপরাধ নয় বটে তবে শরীর হোক বা আত্মপরিচয়, স্ত্রীর কোনও কিছুর উপরই কর্তৃত্ব চালাতে পারেন না একজন স্বামী। আদালত আরও বলে, স্ত্রীর শরীরকে স্বামী যদি সম্পত্তি ভাবেন এবং জোর করে সঙ্গমে লিপ্ত হন, তাহলে সেটি বৈবাহিক ধর্ষণই।

     

  • Gallantry Awards 2022: ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবসে বীরত্বের পুরস্কার পেলেন ১০৭ জন, মরণোত্তর কীর্তি চক্র শহিদ দুই জওয়ানকে

    Gallantry Awards 2022: ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবসে বীরত্বের পুরস্কার পেলেন ১০৭ জন, মরণোত্তর কীর্তি চক্র শহিদ দুই জওয়ানকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবসে (76th Independence Day) বীরত্বের পুরস্কার (Gallantry Awards) ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার৷ রবিবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu) ৩টি কীর্তি চক্র, ১৩টি শৌর্য চক্র (Shaurya Chakra) সহ ১০৭টি বীরত্ব পুরস্কারের অনুমোদন দিয়েছেন। ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর সাহসিকতা এবং বিশেষ পরিষেবার জন্য তাঁদের সম্মানিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। দেশের একাধিক বীর সৈনিককে বীরত্বের পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। কোথাও জঙ্গি দমন তো কোথাও শত্রুপক্ষের সঙ্গে লড়াইয়ে প্রাণপাত করা বীর সেনা-জওয়ানেরাও পুরস্কার প্রাপকের তালিকায় রয়েছে।

    সোমবার কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতীয় সেনা বাহিনীর নায়েক দেবেন্দ্র প্রতাপ সিং ( Naik Devendra Pratap Singh) কীর্তি চক্র (Kirti Chakra) পাচ্ছেন। এছাড়াও বাকি দুই জওয়ান বিএসএফের কনস্টেবল সুদীপ সরকার (BSF constables Sudip Sarkar) ও বিএসএফের সাব-ইনস্পেক্টর পাওতিনস্যাট গুইতের (Paotinsat Guite) জন্য মরণোত্তর কীর্তি চক্র ঘোষণা করা হয়েছে। নায়েক দেবেন্দ্র চলতি বছরের জানুয়ারিতে জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গিদের মুখোমুখি হয়ে লড়াই করছিলেন ও দুই জঙ্গিকে খতম করেছিলেন। আবার শহিদ সেনা জওয়ান সুদীপ সরকার ও পাওতিনস্যাট গুইতেও দুই জঙ্গিকে খতম করেছিলেন, কিন্তু গুলির লড়াইয়ে পরে তাঁরা প্রাণ ত্যাগ করেন।

    আবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ২টি বার-টু-সেনা পদক (বীরত্ব), ৮১টি সেনা পদক (বীরত্ব), ৭টি বায়ু সেনা পদক (বীরত্ব) এবং ১টি নৌ সেনা পদক (বীরত্ব) অনুমোদন করেছেন। এছাড়াও তিনি একটি সেনা কুকুর অ্যাক্সেলের জন্য একটি মরণোত্তর সহ ৪০টি সেনা পদক অনুমোদন করেছেন। এই কুকুরটি সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের সঙ্গে যুক্ত ছিল এবং অভিযান চলাকালীন এর মৃত্যু হয়। ৭টি বায়ু সেনা পদকের মধ্যে একটি পদক গ্রুপ ক্যাপ্টেন রাহুল সিং (Group Captain Rahul Singh) ও একটি পদক আইএএফ হেলিকপ্টার পাইলট উইং কমান্ডার দীপিকা মিশ্রের (IAF helicopter pilot Wing Commander Deepika Misra) জন্য ঘোষণা করা হয়েছে। রাহুল সিং কাবুল থেকে ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীদের এবং প্রবাসীদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য তাঁকে এই সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে। আর দীপিকা মিশ্র মধ্যপ্রদেশের বন্যার সময় সাহায্য করেছিলেন, যার জন্য তাঁকে বীরত্ব পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়েছে। অসীম সাহসিকতার সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য ভারতের সেনা জওয়ানদের বীরত্বের জন্য তাঁদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।

     

  • Visa Suspension: চিনা নাগরিকদের পর্যটক ভিসা বাতিল করল ভারত, ২০ এপ্রিল থেকে নির্দেশ কার্যকর

    Visa Suspension: চিনা নাগরিকদের পর্যটক ভিসা বাতিল করল ভারত, ২০ এপ্রিল থেকে নির্দেশ কার্যকর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভিসা না মেলায় চিনে (China) যেতে না পারার ফলে সেদেশে  আগে থেকে পাঠরত ভারতীয় পড়ুয়াদের (Indian students) ক্ষতি হচ্ছে। তাঁদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হচ্ছে। এই নিয়ে চিনকে বারবার বলেও লাভ হয়নি। এবার পাল্টা পদক্ষেপ করল ভারত (India)। চিনা নাগরিকদের (Chinese Citizens) পর্যটক ভিসা (Tourist Visa) বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়াদিল্লি (New Delhi)। 

    আগামী ২০ এপ্রিল থেকে নতুন নিয়ম কার্যকর হচ্ছে। সবকটি সদস্য রাষ্ট্রগুলিকে ভারতের এই সিদ্ধান্তর কথা জানিয়ে দিয়েছে অসামরিক বিমান চলাচলের আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইএটিএ (‌‌IATA)।
     
    চিনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে (chinese university) পড়াশোনা করে প্রায় ২২ হাজার ভারতীয় ছাত্র। ২০২০ সালের প্রথমে কোভিড সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর ওই পড়ুয়াদের ভারতে পাঠিয়ে দেয় চিন। এর পর থেকে তাঁদের আর সেদেশে ফিরতে দেওয়া হয়নি। ফলে এই পড়ুয়াদের শিক্ষা থমকে যাচ্ছে। তাঁদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় ঘেরা। তার পরিপ্রেক্ষিতেই ভারতের এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। 

    আইএটিএ একটি নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে, ‘‌চিনের নাগরিকদের যে পর্যটন ভিসা ইস্যু করা হয়েছে, তা বাতিল করা হয়েছে।’‌ তাই এখন থেকে নেপাল, ভুটান, ভারত, মলদ্বীপের নাগরিকরাই শুধু ভারতে প্রবেশ করতে পারবেন। ভারত যাঁদের রেসিডেনশিয়াল পারমিট দিয়েছে,নয়তো ভিসা বা ই–ভিসা দিয়েছে, যাঁদের ওভারসিজ সিটিজেন অফ ইন্ডিয়া কার্ড (‌OCI card)‌ রয়েছে বা ভারতীয় বংশোদ্ভুত (PIO) বা কূটনৈতিক ছাড়পত্র রয়েছে,তাঁরাই ভারতগামী বিমান চাপতে পারবেন।

    আইএটিএ এ-ও বলেছে, যেসব চিনা নাগরিককে ১০ বছরের পর্যটন ভিসা দিয়েছিল ভারত,তাঁদের ভিসাও বাতিল করা হয়েছে। ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি (Arindam Bagchi) জানান, ৮ ফেব্রুয়ারি চিন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, ভারতীয় পড়ুয়াদের সে দেশ ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি দেখছে তারা। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনও সদুত্তর দেয়নি। ভারত এখনও আর্জি জানাচ্ছে, পড়ুয়াদের কথা ভেবে যেন সুযোগ দেওয়া হয়। তিনি এ-ও জানিয়েছেন, গত সেপ্টেম্বরে দুশানবেতে একটি বৈঠকের সময় এই নিয়ে চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। 

    সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (SCO) সম্মেলনের ফাঁকে তাজিকস্তানের রাজধানী শহরে দুই বিদেশমন্ত্রীর মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু, তারপরও সমস্যা একচুলও মেটেনি। আর, সেই কারণেই যে বাধ্য হয়ে এই কঠোর সিদ্ধান্ত, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে ভারত। তবে, চিন বাদে নতুন করে অন্য কোনও দেশের নাগরিকদের পর্যটক ভিসা বাতিল করা হয়নি।

     

  • Byelection results: উপনির্বাচনে যোগীরাজ্যে গেরুয়া ঝড়, ত্রিপুরায় কুপোকাত তৃণমূল

    Byelection results: উপনির্বাচনে যোগীরাজ্যে গেরুয়া ঝড়, ত্রিপুরায় কুপোকাত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৩ জুন উপনির্বাচন (Byelection) হয় দেশের ছয় রাজ্যের তিন লোকসভা ও সাতটি বিধানসভা আসনে। এর মধ্যে ত্রিপুরার চারটি বিধানসভা কেন্দ্রও ছিল। তিনটি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে দুটির রাশ এসেছে বিজেপির (BJP) হাতে। আর পাঞ্জাবে আপকে হারিয়ে জয়ী হয়েছে অকালি দল।

    যোগী গড়ে ফের মুখ থুবড়ে পড়ল অখিলেশ সিং যাদবের সমাজবাদী পার্টি। এক সময় উত্তর প্রদেশের রামপুর ও আজমগড় দুটিই সমাজবাদী পার্টির দুর্গ হিসেবে পরিচিত ছিল। মুসলিম অধ্যুষিত এই দুই কেন্দ্রে মুসলিম-যাদব তাস খেলে বহু বছর রাশ ধরে রেখেছিল সমাজবাদী পার্টি। উপনির্বাচনে এসে অখিলেশের দলের সেই জয়রথ ভেঙে পড়ল তাসের ঘরের মতো। দুই কেন্দ্রেই জয়ী হল বিজেপি।রামপুরে জয়ী হয়েছে বিজেপির ঘনশ্যাম লোধি। আজমগড়ে জয়ী হয়েছেন বিজেপির দীনেশলাল যাদব।

    আরও পড়ুন : বছর শেষেই ভোট ভূস্বর্গে? কাশ্মীরে নির্বাচন নিয়ে বড় মন্তব্য রাজনাথের

    মাত্র কয়েক মাস আগেই পাঞ্জাবে ক্ষমতায় আসে আপ। এই কয়েক মাসেই ভাটা পড়েছে আপের জনপ্রিয়তায়। পাঞ্জাবের সাংরুর লোকসভা কেন্দ্রে আপের গুরমেল সিংকে হারিয়েছেন অকালির সিমরন সিং মান। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্র ছিল এটি। এর আগে এই আসনেই জয়ী হয়েছিলেন ভগবন্ত মান।

    এদিকে, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের যাবতীয় কারিকুরিও  উড়ে গেল কর্পূরের মতো। ত্রিপুরায় পায়ের নীচে মাটি পেতে পুরসভা নির্বাচনের মতো এবারও ঝাঁপিয়ে পড়েছিল তৃণমূল। শেষমেশ ফিরতে হল খালি হাতেই। ত্রিপুরার চারটি বিধানসভা কেন্দ্রের ফল বের হয় এদিন। গত বিধানসভা নির্বাচনে এই চারটির মধ্যে তিনটির রাশ ছিল বিজেপির হাতে। বড়দোয়ালি কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির মানিক সাহা।

    আরও পড়ুন : রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, কার আস্তিনে কোন অস্ত্র?

    ত্রিপুরাকে পাখির চোখ করেছিল তৃণমূল। চারটি আসনের কোনওটিতেই হালে পানি পায়নি তৃণমূলের পানশি। চার কেন্দ্রেই তৃণমূল ভোট পেয়েছে গড়ে তিন শতাংশ। জব্দ জমানত। প্রত্যাশিতভাবেই অভিষেকের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠল ফের একবার।   

  • Modi-Nordic meet: নর্ডিক সম্মেলনে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে জোর মোদির

    Modi-Nordic meet: নর্ডিক সম্মেলনে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে জোর মোদির

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জার্মানি থেকে বুধবার ডেনমার্কে (Denmark) যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ইউরোপ সফরের শেষ দিনে ওই মহাদেশের উত্তরাংশের এবং উত্তর অতলান্তিকের রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে কূটনৈতিক সহযোগিতার পথ প্রশস্ত করেন মোদি। ডেনমার্কে দ্বিতীয় ভারত-নর্ডিক সম্মেলনে (Nordic Meet) যোগ দেওয়ার পাশাপাশি, তিনি পৃথক পৃথক ভাবে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করছেন ফিনল্যান্ড, সুইডেন, আইসল্যান্ড, নরওয়ের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে। ওই বৈঠকগুলিতে অর্থনীতির পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। অবিলম্বে ইউক্রেনে যুদ্ধ (Ukraine-Russia War) বন্ধ করার আর্জিও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে শান্তি আলোচনারও ডাক দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, দু’দেশের চলামন সংকট নিয়ে ভারত অনেক আগেই নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। এই মুহূর্তে ইউক্রেনে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি করা, সংকট নিরসনে আলোচনা ও কূটনীতির পথ বেছে নেওয়া উচিত বলে মনে করে দিল্লি। এই যুদ্ধে কোনও পক্ষই বিজয়ী হবে না, সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই ভারত শান্তির পক্ষে, বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

    [tw]


    [/tw]

    ডেনমার্ক ছেড়ে এদিন সন্ধ্যায় ফ্রান্স পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ডেনমার্ক ছাড়ার আগে তিনি বলেন, ‘‘এই অঞ্চলের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক জোরদার করতে ভারত-নর্ডিক সম্মেলন বহুদূর পর্যন্ত যাবে। সকলে একত্রিত হলে আমরা অনেক কিছু অর্জন করতে পারি, আন্তর্জাতিক সমৃদ্ধি এবং সর্বাঙ্গীন বিকাশে অবদান রাখতেও পারব।’’ ফিনল্যান্ড, সুইডেন, আইসল্যান্ড, নরওয়ের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে অতিমারি পরবর্তী বিশ্বে অর্থনৈতিক ভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সহযোগিতা, দূষণ মোকাবিলা, কার্বন নিঃসরণ কমানো, সমুদ্রপথে সহযোগিতার মতো বিষয়গুলি নিয়ে মোদি আলোচনা করেছেন। উঠেছে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের কথাও।

    [tw]


    > and @SwedishPM Magdalena Andersson held extensive talks on further diversifying the India-Sweden friendship. pic.twitter.com/d1bXP5JW5u— PMO India (@PMOIndia) May 4, 2022

    [/tw]

    বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সমুদ্রপথে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য নর্ডিক সংস্থাগুলিকে বিনিয়োগের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন মোদি। বিশেষ করে ভারতের ‘সাগরমালা প্রকল্প’ নিয়ে কথা হয়েছে নর্ডিক গোষ্ঠীভুক্ত রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে। আজ নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস স্টোর-এর সঙ্গে বৈঠকে বিকল্প শক্তি, সমুদ্র অর্থনীতি, মহাকাশ গবেষণাক্ষেত্রে সহযোগিতা
    বাড়ানো এবং পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বিনিয়োগের মতো বিষয়গুলি আলোচনায় জায়গা পেয়েছে। নরওয়ে এবং ভারত দু’টি দেশই রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য। তাই বৈঠকে উঠেছে, ইউক্রেন, আফগানিস্তান-সহ বিভিন্ন আঞ্চলিক নিরাপত্তা প্রসঙ্গও। ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে আধুনিক প্রযুক্তিক্ষেত্রে সমন্বয়ের কথা হয়েছে।

     
     
  • IT Return File: এখনও দাখিল করেননি আয়কর রিটার্ন! গুনতে হতে পারে বাড়তি টাকা

    IT Return File: এখনও দাখিল করেননি আয়কর রিটার্ন! গুনতে হতে পারে বাড়তি টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২১-২২ অর্থবর্ষ এবং ২০২২-২৩ মূল্যায়ন বছরের জন্য আয়কর রিটার্ন দাখিল করা শুরু হয়েছে ১৫ জুন, ২০২২ থেকে। ফর্ম-১৬ পেয়ে গিয়ে থাকলে এখুনি দাখিল করুন আয়কর রিটার্ন। কারণ ধীরে ধীরে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ রিটার্ন ফাইল করা শুরু করবেন, তাতে ওয়েবসাইটে লোড বাড়বে, ফাইলিং- এর সময় প্রযুক্তিগত সমস্যা বাড়বে। যদি কোনওরকম সমস্যা এড়িয়ে যেতে চান তাহলে বিলম্ব না করে আয়কর রিটার্ন (ITR) ফাইল করে দিন। ২০২২-২৩ মূল্যায়ন বছরের জন্য আয়কর রিটার্ন দাখিল করলে কর বিভাগ থেকে শীঘ্রই আপনার প্রাপ্য টাকা অর্থাৎ রিফান্ড ফেরত পাবেন। আয়কর রিটার্ন দাখিলে দেরি হলে বা তাড়াহুড়ার কারণে কোনও ভুল হলে রিফান্ড পেতে পেতে অনেক দেরি হতে পারে।

    আরও পড়ুন: ট্যাক্স-সেভিং স্থায়ী আমানতে সবচেয়ে বেশি সুদ দিচ্ছে কোন ব্যাংক?    

    ২০২১-২২ অর্থবর্ষ এবং ২০২২-২৩ মূল্যায়ন বছরের জন্য আয়কর রিটার্ন দাখিল করার শেষ তারিখ ৩১ জুলাই, ২০২২। ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আয়কর রিটার্ন দাখিল করলে কোনও ‘লেট ফি’ দিতে হবে না। তবে কেউ যদি এই তারিখের পরে আয়কর রিটার্ন দাখিল করেন, তাহলে তাঁকে আয়করের ধারা ২৩৪এ এবং ধারা ২৩৪এফ-এর অধীনে লেট ফি সহ করের উপর সুদ দিতে হবে।

    আরও পড়ুন: আয়কর রিটার্ন জমা দিচ্ছেন না? বেশি কর দেওয়ার জন্যে প্রস্তুত হন 

    অন্যদিকে, অডিট করতে হয় এমন কোনও ব্যবসার জন্য আয়কর রিটার্ন দাখিল করার শেষ তারিখ ৩১ অক্টোবর, ২০২২। টিপি রিপোর্ট হয় এমন ব্যবসার জন্য আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর, ২০২২৷

    আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে বেশি বিলম্ব করলে জরিমানা অবধি হতে পারে। করদাতার বার্ষিক করযোগ্য আয় ৫ লাখ টাকার কম হলে ১০০০ টাকা জরিমানা দিতে হয়। 

    আইটি রিটার্ন স্ল্যাব:

     

    কী করে দাখিল করবেন আইটি রিটার্ন? 

    • ই-ফাইলিং পোর্টালে লগইন করুন এবং ই-ফাইলে যান তারপর আয়কর রিটার্ন এবং তারপর ই-ভেরিফাই রিটার্নে যান।
    • আইটি রিটার্নের ক্ষেত্রে উপলব্ধ ই-ভেরিফাই লিঙ্কে ক্লিক করুন যার ফলে ই-ভেরিফাইড হয়ে যাবে ।
    • ই-ভেরিফিকেশন , মোড নির্বাচন করুন যা অ্যাপ্লিকেবল হবে ।
    • আপনার আইটি রিটার্ন ই-ভেরিফাই করার জন্য EVC/OTP লিখুন ।
    • আইটি রিটার্নের ই-ভেরিফিকেশন এখন সম্পূর্ণ ।
    • ফাইল করার কারণ নির্বাচন করুন এবং আইটি রিটার্নের প্রযোজ্য ক্ষেত্রগুলি পূরণ করুন ৷
    • যাচাইকরণ মোড নির্বাচন করুন ।
    • আইটি রিটার্নে সমস্ত প্রযোজ্য ক্ষেত্রগুলি পূরণ করুন ৷
    • আপনার আইটি রিটার্ন ই-ভেরিফাই করার জন্য EVC অথবা OTP লিখুন বা যাচাইয়ের জন্য স্বাক্ষরিত ITR-V CPC পাঠান ।
    • আইটি রিটার্নের ই-ফাইলিং এখন সম্পূর্ণ ।  

    আইটি রিটার্ন ভেরিফিকেশন ফর্ম কীভাবে ডাউনলোড করবেন?

    • https://www.incometax.gov.in/iec/foportal – এই ওয়েবসাইটটিতে লগইন করুন। 
    • সেখানে এই ‘View Returns/ Forms’ লিঙ্কে ক্লিক করুন।
  • Maharashtra Crisis: ‘বর্ষা ছাড়লেও ছাড়ছি না…’ বললেন বিদ্রোহ দমনে প্রত্যয়ী উদ্ধব

    Maharashtra Crisis: ‘বর্ষা ছাড়লেও ছাড়ছি না…’ বললেন বিদ্রোহ দমনে প্রত্যয়ী উদ্ধব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে শিবিরের দাবি মেনে শিবসেনার (Shiv Sena) বিদ্রোহী বিধায়ক একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde) সহ ১২ জন বিধায়কের পদ খারিজের জন্য শুরু হয়ে গেল তৎপরতা। মহারাষ্ট্র (Maharashtra) বিধানসভার ভারপ্রাপ্ত স্পিকার নরহরি সীতারাম জিরওয়াল বিদ্রোহী বিধায়কদের বিধানসভায় হাজির হয়ে দলত্যাগ বিরোধী কার্যকলাপ সংক্রান্ত অভিযোগের শুনানিতে অংশ নেওয়ার জন্য শুক্রবার নোটিশ পাঠাতে পারেন। এদিকে, এদিনই দুপুরে গুয়াহাটির হোটেল ছেড়েছেন শিন্ডে। সূত্রের খবর, মুম্বই ফিরছেন তিনি। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, মুম্বই ফিরেই মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিতে পারেন তিনি।

    আরও পড়ুন : সাধারণ অটোচালক থেকে মহারাষ্ট্র রাজনীতির মধ্যমণি, কে এই একনাথ শিন্ডে?

    এদিকে, মঙ্গলবার বিধানসভার দলনেতার পদ থেকে শিন্ডেকে সরিয়ে অজয় চৌধুরীকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শিবসেনা। এদিন তাকে মান্যতা দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত স্পিকার জিরওয়াল। এই ঘটনায় শিন্ডে শিবির কিছুটা বেকায়দায় পড়ল বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। এমতাবস্থায় শিন্ডে শিবির অনাস্থা প্রস্তাব আনার আগেই আস্থা ভোটের রাস্তায় হাঁটতে পারেন উদ্ধব।

    মুখ্যমন্ত্রীর শিবিরের এই পদক্ষেপের নেপথ্যে এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারের মস্তিষ্ক রয়েছে বলে ধারণা রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের। শিন্ডে সহ ওই বারোজন বিধায়কের বিরুদ্ধে কোনও কারণ না দেখিয়ে বুধবার শিবসেনার পরিষদীয় দলের বৈঠকে গরহাজিরাকে দলত্যাগ বিরোধী আচরণ বলে চিহ্নিত করেছে শিবসেনা।

    আরও পড়ুন : আর্থিক তছরুপ! শিবসেনা মন্ত্রীর বাড়িতে তল্লাশি ইডি-র

    এহেন পরিস্থিতিতে শুক্রবার আরও চার বিদ্রোহী বিধায়কের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে অভিযোগ জানানো হয়েছে। সূত্রের খবর, বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ধাপে ধাপে দলত্যাগ বিরোধী আইনে অভিযোগ এনে বিদ্রোহীদের কুপোকাত করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। দলত্যাগ বিরোধী আইন অনুযায়ী, পরিষদীয় দলে ভাঙনের স্বীকৃতির জন্য দলত্যাগ বিরোধী কার্যকলাপে অভিযুক্ত হননি এমন অন্তত দুই তৃতীয়াংশ বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন। ধাপে ধাপে দলত্যাগ বিরোধী আইনে অভিযুক্ত করা হলে শিন্ডের শিবেরের লক্ষ্যপূরণ হবে না বলেই ধারণা রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।

    তবে উদ্ধব যে সহজে ক্ষমতা ছাড়ছেন না, এদিন তা ফের স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর বাংলো বর্ষা ছেড়েছি। তবে ছাড়ছি না প্রত্যয়। আগেও দুবার বিদ্রোহীদের বিদ্রোহ চুরমার করে ক্ষমতায় ফিরেছি।  

     

LinkedIn
Share