Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Lakhbir Singh Rode: পাকিস্তানে মৃত ভারতের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ খালিস্তানি জঙ্গি নেতা লখবীর সিং রোড

    Lakhbir Singh Rode: পাকিস্তানে মৃত ভারতের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ খালিস্তানি জঙ্গি নেতা লখবীর সিং রোড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানে খালিস্তানপন্থী জঙ্গি নেতা লখবীর সিং রোডের (Lakhbir Singh Rode) মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। মৃতের ভাই জশবীর সিং রোড আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতি দিয়ে এই খবর জানিয়েছেন। ৭২ বছর বয়সী জঙ্গি নেতা লখবীর নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ‘খালিস্তান লিবারেশন ফোর্স’ এবং ‘ইন্টারন্যাশনাল শিখ ইয়ুথ ফেডারেশন’ এই দুটি সংগঠনকে পরিচালনা করতেন বলে জানা গিয়েছে। 

    ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি নেতা ছিলেন লখবীর

    পাকিস্তানের বসেই এই জঙ্গি নেতা (Lakhbir Singh Rode) সে দেশের সরকারের মদতে, ভারত বিরোধী নানা কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন বলে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ ছিল। লখবীর (Lakhbir Singh Rode) ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি তালিকাতেও ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। জানা যায়, প্রথমে এই জঙ্গি নেতা ভারত ছাড়ার পরে দুবাইতে আশ্রয় নেন এবং পরবর্তীকালে তিনি পাকিস্তানে চলে আসেন। সেখানে বসেই চলতে থাকে বিচ্ছিন্নতাবাদী কাজ। জানা যায়, ‘অপারেশন ব্লু স্টার’-এর সময় নিহত জঙ্গিনেতা ভিন্দ্রেলওয়ালের সম্পর্কে তিনি ভাইপো হতেন।

    লখবীরের সম্পর্কে আরও বেশ কিছু তথ্য

    ১) ভারত-নেপাল সীমান্তে খালিস্তান জিন্দাবাদ সেলকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করতেন লখবীর। ভারতের অভ্যন্তরে খালিস্তানপন্থীদের সমর্থন বাড়ানো ও সম্প্রীতির পরিবেশ বিনষ্ট করতে এই সেল কাজ করত বলে জানা যায়।

    ২) জানা যায় লখবীর সিং রোড (Lakhbir Singh Rode) একাধিকবার পাকিস্তানি সরকারের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন এবং ভারতের ওপর আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হামলা চালানোর পরামর্শ দিয়েছেন। পাকিস্তানি এই জঙ্গি নেতা একবার কুড়ি কেজি আরডিএক্স সমেত গ্রেফতারও হয়েছিলেন। তখন তিনি বলেন যে, এই আরডিএক্স তাঁকে পাকিস্তানি দূতাবাস থেকে দেওয়া হয়েছে।

    ৩) ভারতে থাকা বিভিন্ন ভিভিআইপিদের টার্গেট করতে অস্ত্র সরবরাহ করার অভিযোগ উঠেছে লখবীরের বিরুদ্ধে। এর পাশাপাশি নানা বেআইনি পাচার কাজে লখবীরের জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।

    ৪) মৃত জঙ্গিনেতার ছেলে ভাগ্গু ব্রার বসবাস করেন কানাডায়। সেখানেও তাঁর বিরুদ্ধে বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গি কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।
     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • China Dam: ব্রহ্মপুত্রে বাঁধ, নেপাল-ভারত-বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জল-যুদ্ধ ঘোষণা চিনের?

    China Dam: ব্রহ্মপুত্রে বাঁধ, নেপাল-ভারত-বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জল-যুদ্ধ ঘোষণা চিনের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রহ্মপুত্রে চিনের বাঁধ (China Dam) বাংলাদেশের পরিবেশ, প্রকৃতি ও কৃষির বিপর্যয় ডেকে আনবে। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু কেন তাঁরা বলছেন এমন কথা? এটা বুঝতে হলে আমাদের যেতে হবে ব্রহ্মপুত্রের উৎস-সন্ধানে। জানতে হবে রুট। অনেকেই জানেন, ব্রহ্মপুত্র একটি আন্তঃসীমান্ত নদ, অর্থাৎ একাধিক দেশের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত এর ধারা। চিন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে ব্রহ্মপুত্র। শুধু এশিয়া নয়, বিশ্বের নদীগুলির সঙ্গে তুলনাতেও ব্রহ্মপুত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ দৈর্ঘ্যে বিশ্বের ১৫ তম নদটি জল বহনে বিশ্বের নবম। হিমালয়ের উত্তরাংশে কৈলাস পর্বতের কাছে মানস সরোবরে উৎস ব্রহ্মপুত্রের। এরপর এটি ইয়ার-লুং জাংবো নামে প্রবাহিত হচ্ছে চিন-তিব্বতের পূর্বাঞ্চল দিয়ে। এরপর ভারতের অরুণাচল প্রদেশে শিয়াং নামে এটি বহমান। সেখান থেকে অসমে যখন ঢুকছে, সেখানে তার নাম দিহাং। এই অসমেই সে পাচ্ছে নতুন জলের স্রোত। দিবং ও লোহিত-দুটি বড় নদী এসে মিশছে সেই ধারায়। আর ব্রহ্মপুত্র নামে নেমে আসছে সমতলে। অসম অববাহিকাকে অতিক্রম করে ব্রহ্মপুত্র যখন বাংলাদেশে ঢুকছে, তখন পুরানো নামে কিছুটা প্রবাহিত হওয়ার পর সে নাম নিচ্ছে যমুনা। এই যমুনা মিশছে বঙ্গোপসাগরে। এই গোটা পথ আসতে ব্রহ্মপুত্রকে পার হতে হয়েছে ২ হাজার ৮৫০ কিলোমিটার পথ।

    ব্রহ্মপুত্র নদের গুরুত্ব

    বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ। সব মিলিয়ে মোট ৩১০টি নদী রয়েছে। এর মধ্যে আন্তঃসীমান্ত বা আন্তর্জাতিক নদীর সংখ্যা ৫৭টি। যার ৫৪টি ভারতের সঙ্গে সংযুক্ত। বাংলাদেশের পরিবেশ, প্রকৃতি ও কৃষিপ্রধান অর্থনীতি-সব দিক দিয়ে আন্তর্জাতিক নদীগুলির ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল। এর মধ্যে ব্রহ্মপুত্র নদ তথা যমুনা নদীর গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি।

    এটাই প্রথম নয়

    বিশ্বব্যপী জ্বালানি সংকটের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য এখন প্রায় সব দেশই বিকল্প জ্বালানি, বিশেষ করে জলবিদ্যুতের দিকে ঝুঁকছে। একই পথে এগোচ্ছে এশিয়ার অন্যতম প্রভাবশালী দেশ চিন। ব্রহ্মপুত্র নদের নিজেদের অংশে ইয়ার-লুং জাংবোর ওপর আড়াআড়ি বাঁধ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে চিন (China Dam)। তবে এটাই প্রথম নয়, এর আগে বেজিং অন্তত আটটি বাঁধ দিয়ে বেঁধে ফেলেছে ইয়ার-লুং জাংবোকে। যার মধ্যে কয়েকটি এরই মধ্যে চালু হয়ে গেছে। বাকিগুলির কাজ চলছে। বেজিং-এর পরিকল্পনা, ইয়ার-লুং জাংবোর ওপরে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে তুলবে। যা ৭০ গিগাবাইট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম এবং ওই দেশের বর্তমান তিনটি বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ প্রকল্পেরও তিনগুণ বড়। প্রশ্ন হল, তাহলে কি নেপাল-ভারত-বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জল-যুদ্ধ ঘোষণা করল চিন?

    জলে চিনের আধিপত্য অর্জনের লক্ষ্য (China Dam)

    এর আগে, চিন মেকং নদীর উপর এগারোটি মেগা-ড্যাম নির্মাণ করেছে। যার ফলে মিয়ানমার, লাওস, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া এবং ভিয়েতনামে কোনও পূর্ব সংকেত ছাড়াই জলের স্তর ব্যাপক ভাবে ওঠানামা করছে। একেবারে নিম্নভাটির অঞ্চল বাংলাদেশের অবস্থাও সঙ্কটে। কৃষিনির্ভর দেশ বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে এর প্রভাব পড়তে চলেছে। খুবই রক্ষণশীল একটা হিসেব জানাচ্ছে, হিমালয়ের হিমবাহগুলিতে, যেগুলি আসলে হিমবাহ থেকে সৃষ্ট নদীগুলির জলের উৎস, সেখানে কম বেশি ১০০টি বাঁধ ও জলবিদ্যুত প্রকল্প গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছে চিন। সিন্ধু, ব্রহ্মপুত্র এবং মেকং নদীর প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করতে চিন প্রচুর সংখ্যক বাঁধ (China Dam) এবং ডাইক নির্মাণ করেছে। তিব্বত দখল করে, চীন ১৮টি দেশে প্রবাহিত নদীগুলির সূচনা পয়েন্টগুলি দখল করেছে। চিন কয়েক হাজার বাঁধ তৈরি করেছে, যা হঠাৎ করে জল ছেড়ে দিয়ে বন্যার সৃষ্টি করতে পারে বা কল বন্ধ করে খরা সৃষ্টি করতে পারে। এইভাবে নদীর বাস্তুতন্ত্রকে ধ্বংস করে এবং স্বাভাবিক মানবজীবনকে ব্যাহত করে চিন ব্রহ্মপুত্র নদে আরও চারটি বাঁধ তৈরি করার পরিকল্পনা করেছে, যা নদীর প্রবাহকে প্রভাবিত করবে। চিন্তা শুধু বাংলাদেশ-নেপাল বা ভারত, এই তিন দেশের নয়। পুরো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ভূগোলটাকেই বদলে দিতে পারে চিনের এই পরিকল্পনা আর জলে আধিপত্য কায়েমের চেষ্টা।

    কী হতে চলেছে ফলাফল? (China Dam)

    প্রথমত, এর সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব হতে পারে মারাত্মক, যার ফলে মধ্য ও নিম্ন অববাহিকায় বন্যা-খরা ঘটিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা হাতে পেয়ে যেতে পারে চিন। দ্বিতীয়ত, রাজনৈতিক ও সামরিক প্রভাবও কম নয়। এটি একাধারে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয় দেশগুলির ওপর যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়ার নীতি। তৃতীয়ত, বাণিজ্যিক প্রভাব কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। দক্ষিণ পূর্ব এশিয় দেশগুলির বাজারগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করা এতে অনেকটাই সহজ হবে চিনের পক্ষে । চতুর্থত, ভৌগোলিক ও প্রাকৃতিক প্রভাব, যা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার নিজস্ব ভূগোল-প্রকৃতি-আবহাওয়া-জলবায়ুর বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Israel-Hamas War: তৃতীয় দফায় ১৩ জন পণবন্দিকে ছাড়ল হামাস, ইজরায়েল মুক্ত করল ৩৯ জনকে

    Israel-Hamas War: তৃতীয় দফায় ১৩ জন পণবন্দিকে ছাড়ল হামাস, ইজরায়েল মুক্ত করল ৩৯ জনকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধে রবিবার ১৩ জন পণবন্দি ইজরায়েলিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস (Israel-Hamas War)। অন্যদিকে, ৩৯ জন প্যালেস্তাইনের নাগরিককে মুক্তি দিয়েছে নেতানিয়াহুর সরকার। তবে রেডক্রস যে বিবৃতি দিয়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে যে ১৭ জন ইজরায়েলিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস জঙ্গিরা। দুই দেশের যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় রয়েছে মিশর, কাতার ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই তিন দেশই লাগাতার পণবন্দি মুক্তির বিষয়ে দুই পক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছে।

    সাময়িক যুদ্ধবিরতি

    পণবন্দিদের মুক্তির (Israel-Hamas War) বিষয়ে মিশর বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, হামাস এবং ইজরায়েল রবিবার যাঁদের মুক্তি দিয়েছে, সেই তালিকা তারা হাতে পেয়েছে। প্রসঙ্গত, বিগত চার দিন ধরেই চলছে পণবন্দি বিনিময়প্রথা। রবিবার তৃতীয় দফায় বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হয়। দুই দেশের তরফ থেকেই জানানো হয়েছে যে কোনও রকম বাধা ছাড়াই এই পণবন্দি মুক্তির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। অন্যদিকে, গাজায় ত্রাণ পাঠিয়েছে মিশর। জানা যাচ্ছে, একশো কুড়িটি  ট্রাকে করে এই ত্রাণ পাঠানো হয়েছে। যার মধ্যে দুটি জ্বালানি ট্রাক এবং দুটি রান্নার গ্যাসের ট্রাক রয়েছে। গত ৭ অক্টোবর থেকে যে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল হামাস-ইজরায়েলের (Israel-Hamas War) মধ্যে, দীর্ঘ প্রচেষ্টার পরে সেই সংঘাত সাময়িকভাবে বন্ধ হয়েছে। হামাস এবং ইজরায়েল দু’তরফই যুদ্ধ বিরোধীতে সম্মত হয়েছে।

    গত সপ্তাহের শুক্রবার প্রথম দফায় মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়

    প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহের শুক্রবার প্রথম দফায় মুক্তির (Israel-Hamas War) প্রক্রিয়া শুরু হয়। সে সময় ২৪ জন ইজরায়েলের বাসিন্দাকে মুক্ত করে হামাস জঙ্গিরা। এঁরা প্রত্যেকেই গাজায় আটক ছিলেন। এই ২৪ জনের মধ্যে ১০ জন থাইল্যান্ডের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। বাকি ১ জন ফিলিপিন্সের বাসিন্দা এবং ১৩ জন শিশু ও মহিলা ইজরায়েলের বাসিন্দা। এরপরেই ইজরায়েল ও হামাস পণবন্দি নাগরিকদের মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু করে। গত শনিবারই দ্বিতীয় দফায় ১৭ জন পণবন্দিকে মুক্ত করে হামাস জঙ্গিরা। এই ১৭ জনের মধ্যে ১৩ জন ইজরায়েলের নাগরিক রয়েছেন এবং বাকি ৪ জন থাইল্যান্ডের বাসিন্দা। অন্যদিকে, শনিবারই ইজরায়েল মুক্তি দেয় ৩৯ জন প্যালেস্তাইনের নাগরিককে। তাঁদের মধ্যে ৬ জন মহিলা এবং বাকি ৩৩ জন কিশোর বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Pakistani Hindu: পাকিস্তান যেন হিন্দুদের বধ্যভূমি, ফের ভাঙা হল মন্দির

    Pakistani Hindu: পাকিস্তান যেন হিন্দুদের বধ্যভূমি, ফের ভাঙা হল মন্দির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশে ফের হিন্দু মন্দির ভাঙার ঘটনা ঘটল। সেদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের (Pakistani Hindu) উপর অত্যাচারের এমন ঘটনা অবশ্য নতুন কিছু নয়। প্রায়ই খবরের শিরোনামে আসে এই ধরনের ঘটনা। জানা গিয়েছে, সিন্ধ প্রদেশের মিথি শহরে একটি হিন্দু মন্দিরকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট থারপার্কার জেলার প্রশাসন জানিয়েছে, হিঙ্গলাজ মাতার মন্দির ভাঙার জন্য নাকি কোর্টের আদেশ ছিল।

    ভাঙা হয়েছে সারদা পীঠের একাংশও

    অন্যদিকে, পাকিস্তানের সংখ্যালঘু হিন্দুদের (Pakistani Hindu) প্রতি এমন অসহিষ্ণুতার আরও একটি খবর প্রকাশ্যে এসেছে। যেমন,  লাইন অফ কন্ট্রোলের সংলগ্ন সারদা পীঠ মন্দিরের একটি অংশকে ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মন্দিরের যে অংশ ভাঙা হয়েছে সেখানে একটি কফি হাউস তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জুলাই মাসেই পাকিস্তানের একটি হিন্দু (Pakistani Hindu) মন্দিরকে ভেঙে দেওয়া হয়। সে ক্ষেত্রে প্রশাসনের যুক্তি ছিল যে সেটি নাকি পুরনো হয়ে গিয়েছে এবং যে কোনও সময় তা ভেঙে পড়তে পারে।

    বেছে বেছে টার্গেট করা হচ্ছে পাকিস্তানের হিন্দুদের

    করাচির কাছেই সোলজার বাজারের মারী মাতা মন্দিরেও বুলডোজার চালিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। দেড়শ বছর আগে তৈরি করা এই মন্দির ৪০০ থেকে ৫০০ বর্গগজ এলাকা জুড়ে অবস্থান করছিল। অভিযোগ উঠছে, পাকিস্তানের যে স্থানগুলিতে মন্দির রয়েছে সেই স্থানগুলিই বেছে বেছে জমি মাফিয়াদের লক্ষ্যবস্তু হয়ে উঠছে। পাকিস্তানের করাচি হল এমন একটি শহর যেখানে বিভিন্ন ধরনের প্রাচীন মন্দিরের অবস্থান রয়েছে। করাচিতেই এখনও পর্যন্ত সবথেকে বেশি পরিমাণে সংখ্যালঘু হিন্দুরা (Pakistani Hindu) বসবাস করেন। সে দেশে হিন্দুদের বিরুদ্ধে এমন নৃশংসতা কোনও রকম বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় তা স্বীকার করছেন পাকিস্তানের নাগরিক মহলের একাংশ। বেছে বেছে সেখানে হিন্দুদের ওপর হিংসা, হত্যা, মহিলা অপহরণের মতো ঘটনাগুলি ঘটেই চলেছে। হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনায় একাধিক সময় প্রশাসনেরও মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • World Hindu Congress: বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে প্রয়োজন হিন্দু দর্শন, জানালেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী

    World Hindu Congress: বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে প্রয়োজন হিন্দু দর্শন, জানালেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্যাঙ্ককে শুরু হয়েছে বিশ্ব হিন্দু সম্মেলন (World Hindu Congress)। সেখানেই বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে হিন্দু দর্শনের প্রয়োজনীয়তার কথা নিজের বক্তব্যের মাধ্যমে তুলে ধরেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন। প্রসঙ্গত, থাভিসিন নিজে হাজির থাকতে পারেননি সম্মেলনে। তাঁর পাঠানো লিখিত বক্তব্য পাঠ করা হয় বিশ্ব হিন্দু সম্মেলনে। থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর মতে, ‘‘হিন্দু দর্শন, অহিংসা, সত্য, সহ্য-ক্ষমতা এবং সম্প্রীতির কথা বলে। বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এবং একটি সুশৃঙ্খল সমাজ তৈরি করতে এগুলি খুব গুরুত্বপূর্ণ।’’ থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ওই লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে আরও জানিয়েছেন যে বিশ্ব হিন্দু সম্মেলনকে অনুষ্ঠিত করতে পেরে থাইল্যান্ড সম্মানিত এবং গর্বিত।

    ৬১ দেশ থেকে হাজির ২,২০০ প্রতিনিধি

    প্রসঙ্গত চলতি বছরে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হওয়া বিশ্ব হিন্দু সম্মেলনে হাজির ছিলেন ২,২০০ প্রতিনিধি। ৬১ দেশ থেকে এই প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। শিক্ষা, অর্থনীতি, গবেষণা, সাংবাদিকতা, রাজনীতি এই সমস্ত ক্ষেত্র থেকেই প্রতিনিধিরা হাজির ছিলেন। তিন দিন ধরে চলা বিশ্ব হিন্দু সম্মেলনে, হিন্দুদের সারা বিশ্বে যে ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হচ্ছে সে নিয়েই আলোচনা করেন বিভিন্ন প্রতিনিধিরা। এর আগে বিশ্ব হিন্দু সম্মেলন (World Hindu Congress) অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৪ সালে দিল্লিতে এবং ২০১৮ সালে শিকাগোতে।

    হাজির সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবতও

    প্রসঙ্গত প্রতি চার বছর অন্তর বিশ্ব হিন্দু সম্মেলনের (World Hindu Congress) আয়োজন করা হয়। চলতি বছরের তা অনুষ্ঠিত হচ্ছে তাইল্যান্ডের রাজধানীতে। বিশ্ব হিন্দু সম্মেলনের (World Hindu Congress) উদ্যোগ নেয় ‘ওয়ার্ল্ড হিন্দু ফাউন্ডেশন’। গত শুক্রবার থেকে শুরু হয় সম্মেলন এবং  চলবে আজ ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত। বিশ্ব হিন্দু সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবতও। নিজের বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘‘হিন্দু ধর্মে অনেক মত রয়েছে, উপাসনার পদ্ধতি রয়েছে, এবং এর প্রত্যেকটিই হল ধর্মের উদাহরণ।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘হিন্দু ধর্মের সমস্ত সম্প্রদায়কে শৃঙ্খলাপরায়ণ হতে হবে।’’ বসুধৈব কুটুম্বকমের কথাও শোনা যায় মোহন ভাগবতের মুখে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Miss Universe 2023: নজর কাড়লেন ভারতের প্রতিনিধি শ্বেতা! জানেন ১০ জন সিলভার ফাইনালিস্ট কারা?

    Miss Universe 2023: নজর কাড়লেন ভারতের প্রতিনিধি শ্বেতা! জানেন ১০ জন সিলভার ফাইনালিস্ট কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোন দেশের সুন্দরীর মাথায় উঠবে মিস ইউনিভার্সের মুকুট, তা নিয়ে জল্পনা চলছে। প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া সব দেশই অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় রয়েছেন। ৭২ তম বার্ষিক মিস ইউনিভার্স (Miss Universe 2023) ফাইনাল প্রতিযোগিতা আগামি ১৮ নভেম্বর এল সালভাদরে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। ইতিমধ্যে ১০ জন সিলভার ফাইনালিস্টদের (Silver Finalists) তালিকা প্রস্তুত করা হয়ে গিয়েছে। 

    ভারতের প্রতিনিধি

    ৭২তম মিস ইউনিভার্স (Miss Universe 2023) প্রতিযোগিতায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করছেন চণ্ডীগড়ের শ্বেতা শারদা। ২৩ বছর বয়সী শ্বেতা একজন নৃত্যশিল্পী। তিনি ডান্স ইন্ডিয়া ড্যান্স, ডান্স দিওয়ানে এবং ডান্স প্লাসেও অংশ নিয়েছেন। শ্বেতা সিবিএসই বোর্ড এবং ইন্দিরা গান্ধী জাতীয় মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন। শ্বেতার প্রেরণা তাঁর মা। ১০ জন সিলভার ফাইনালিস্টদের (Silver Finalists) তালিকায় শ্বেতা জায়গা না পেলেও সুইম সুট রাউন্ডে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ভারতীয় কন্যা।

    বিশেষ তাৎপর্য

    এই বছরের মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতার বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় প্রতিবন্ধকতা ভাঙলেন কলম্বিয়ার মারিয়া ক্যামিলা অ্যাভেলা মন্টানেজ এবং গুয়াতেমালার মিশেল কোহন, তাঁরা প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া প্রথম মা এবং বিবাহিত মহিলা।

    আরও পড়ুন: ১৯ বছর বয়সী পণবন্দি তরুণীকে হত্যা হামাসের, ট্যুইট করে জানাল ইজরায়েল

    কখন এবং কোথায় দেখবেন

    এ বছর মিস ইউনিভার্স ইভেন্টটি এল সালভাদরের রাজধানী সান সালভাদরে, জোসে অ্যাডলফো পিনেদা অ্যারেনায় অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে ১৩,০০০ দর্শক থাকবেন। ভারতীয় সময় অনুযায়ী ১৯ নভেম্বর সকাল ৬:৩০টায় মিস ইউনিভার্সের ইউটিউব চ্যানেল এবং এক্স অ্যাকাউন্টে এর স্ট্রিমিং হবে। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Israel-Hamas War: ১৯ বছর বয়সী পণবন্দি তরুণীকে হত্যা হামাসের, ট্যুইট করে জানাল ইজরায়েল

    Israel-Hamas War: ১৯ বছর বয়সী পণবন্দি তরুণীকে হত্যা হামাসের, ট্যুইট করে জানাল ইজরায়েল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের ওপর অতর্কিত রকেট হামলা চালায় হামাস। সেদিনই অজস্র ইহুদি নাগরিককে পণবন্দি করে হামাস (Israel-Hamas War)। এরকমই পণবন্দি ১৯ বছর বয়সী এক তরুণী সেনা জওয়ানের মৃতদেহ উদ্ধার হল গাজায়। ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স আনুষ্ঠানিকভাবে আজকেই এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক ট্য়ুইটার) একথা লিখেছে। ইজরায়েলের সেনার তরফ থেকে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, গাজার আল শিফা হাসপাতালের কাছেই উদ্ধার হয় ১৯ বছর বয়সী ওই তরুণীর মৃতদেহ। ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স জানিয়েছে, মৃত সেনাকর্মীর নাম নোয়া মারকিয়ারানো।

    কী জানাল ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স?

    ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্সের (Israel-Hamas War) তরফ থেকে এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয় যে ১৯ বছর বয়সী তরুণী জওয়ান নোয়া মার্কিয়ানোকে অপহরণ এবং হত্যা করে হামাস জঙ্গিরা। তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে আল শিফা হাসপাতালের কাছেই গাজাতে। জঘন্য, নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে ইজরায়েলের ডিফেন্স সার্ভিস। তাদের আরও দাবি, ৬৫ বছর বয়সী এক মহিলা যিনি কিনা পাঁচ সন্তানের মা, তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে গাজার হাসপাতাল থেকে। ওই মহিলাকেও পণবন্দি বানিয়েছিল হামাস জঙ্গিরা। গত ৭ অক্টোবর মহিলার স্বামীকে হত্যা করে তাঁকে তুলে নিয়ে যায় হামাস জঙ্গিরা।

    স্কুল ও হাসপাতালগুলিকে ঘাঁটি করছে হামাস

    প্রসঙ্গত, এর আগেই অভিযোগ (Israel-Hamas War) উঠেছে যে স্কুল এবং হাসপাতালগুলিকে জঙ্গি ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে হামাস। এরকমই আল শিফা হাসপাতালে ইজরায়েলের সেনাবাহিনী অতর্কিত প্রবেশ করলে তারা সেখানে প্রচুর অস্ত্রের হদিশ পায়। বেশ কয়েকদিন আগে ইজরায়েল নিকেশ করে এক শীর্ষ হামাস জঙ্গিকে। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল অসুস্থ রোগীদেরকে ঢাল বানিয়ে যুদ্ধ চালানোর। ইজরায়েল শুধুমাত্র এগুলো দাবি করছে এমনটা নয়, তাদের দাবির স্বপক্ষে যুক্তি এবং প্রমাণ হিসেবে ভিডিও তুলে ধরেছে ইহুদি সেনা। সেখানে দেখা যাচ্ছে যে কীভাবে হাসপাতাল এবং স্কুলগুলিকে জঙ্গি ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে হামাস।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • International Relations: মধ্যপ্রাচ্যে সংকটের মধ্যেই বাইডেন-শি জিনপিং বৈঠক, লক্ষ্য সম্পর্কের স্থিতিশীলতা?

    International Relations: মধ্যপ্রাচ্যে সংকটের মধ্যেই বাইডেন-শি জিনপিং বৈঠক, লক্ষ্য সম্পর্কের স্থিতিশীলতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন এবং চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং মধ্যপ্রাচ্যে সংকট এবং তাইওয়ানের উত্তেজনার মধ্যেই সান ফ্রান্সিসকোতে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসতে চলেছেন। সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বৈঠকে উভয় দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে (International Relation) স্থিতিশীল করার বিষয় প্রাধান্য পাবে। সেই সঙ্গে ইজারায়েল-হামাস যুদ্ধকে প্রশমিত করার বিষয়ও আলোচানা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।

    মার্কিন-চিনের সম্পর্কের স্থিতিশীলতা (International Relation)

    ভূ-রাজনীতির প্রেক্ষাপটে এটাও অনুমান করা হচ্ছে যে হামাসে বনাম ইজরায়েল যুদ্ধের বিষয় নিয়েও আলোচনা হতে পারে। উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইজরায়েলকে সমর্থন করেছে। আবার রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে তাইওয়ানের সীমান্ত রেখায় চিনের গতিবিধি প্রবল হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে স্নায়ু যুদ্ধ ব্যাপক চাঞ্চাল্য তৈরি করেছে। তাই মার্কিন-চিনের বৈঠক কী বার্তা দেয় সেই দিকেই তাকিয়ে গোটা বিশ্ব। এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপেক) শীর্ষ সম্মেলনের আগে এই বছর দুই নেতার সাক্ষাৎ হয়েছিল। এরপর ইন্দনেশিয়ার বালিতে জি-২০ সস্মলনে এই দুই রাষ্ট্র প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। বিগত মাসগুলিতে মার্কিন বিদেশমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন এবং মার্কিন অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন বেজিংয়ে গিয়েছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল চিনের সঙ্গে সংবাদের মাধ্যমে দুই দেশের উত্তেজনাকে (International Relation) প্রশমিত করা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চাইবে চিনের সঙ্গে সামরিক বাহিনীর যৌথ সম্পর্কের অস্থিরতার দ্বন্দ্ব যেন ক্রমশ কেটে যায়। 

    আর্থিক সম্পর্কের গতি বাড়বে

    বেজিং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্কের স্থিতিশীলতা (International Relation) চায়, কারণ মার্কিন বিনিয়োগকারী এবং ব্যবসাকে চিনে আকৃষ্ট করতে আগ্রহী। দুই দেশের উত্তেজনা সত্ত্বেও, দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ৭৮৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি। ২০২২ সাল পর্যন্ত, চিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে এফডিআই ছিল ১২৬.১ বিলিয়ন ডলার, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চিনা বিনিয়োগ ছিল ২৬.৮৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র চিনকে আশ্বস্ত করেছে যে আমেরিকা তার জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষা করতে চায়। পাশাপাশি অর্থনৈতিক সম্পর্ককে ছিন্ন করতে চায় না।

    মধ্যপ্রাচ্য সঙ্কট কী কাটবে?

    মধ্যপ্রাচ্য সঙ্কটকে কাটাতে বাইডেন কি চিনের মধ্যস্থতা চাইবেন ইরানকে বোঝাতে? কারণ ইজরায়েল-হামাসের যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পুরোপুরি উল্টো অবস্থানে মত পোষণ করে ইরান। সম্প্রতি চিনের সঙ্গে ইরানের বাণিজ্যিক সম্পর্ক (International Relation) অনেকটাই ভালো বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে এই মধ্য প্রাচ্যের সঙ্কটকে মোচন করতে বাইডেন-শি জিনপিং-এর বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন ওয়াকিবহলের একাংশ।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Climate Crisis: জীবাশ্ম জ্বালানি নিয়ে এখনই পদক্ষেপ না নিলে জলবায়ু সঙ্কটাপন্নের খবর

    Climate Crisis: জীবাশ্ম জ্বালানি নিয়ে এখনই পদক্ষেপ না নিলে জলবায়ু সঙ্কটাপন্নের খবর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জীবাশ্ম জ্বালানি বিষয়ে এখনই কোনও পদক্ষেপ না নিলে জলবায়ু (Climate Crisis) নিয়ে বিরাট সঙ্কট তৈরি হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছে একটি সমীক্ষা। মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএন সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০০ টি দেশের বিজ্ঞানীরা সমীক্ষা করে একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছেন, জৈব জ্বালানি বিষয়ে যদি পর্যায় ক্রমে এখনই পদক্ষেপ গ্রহণ না করা যায়, তাহলে আগামী দিনে সঙ্কটাপন্ন জলবায়ুর বিপদ আরও ভয়াবহ হবে।

    কী বলা হয়েছে প্রতিবেদনে (Climate Crisis)?

    গত মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে প্রকাশিত ল্যানসেট কাউন্টডাউনের বার্ষিক রিপোর্টে বলা হয়েছে জলবায়ু (Climate Crisis) ক্রমশ ক্রিয়াশীলতার জায়গা থেকে অনেকটাই দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। ২০৫০ সালের মধ্যে তাপমাত্রা জনিত কারণে মৃত্যু প্রায় ৫ গুণ বৃদ্ধি পাবে। ফলে বিশ্বজুড়ে জীবাশ্ম জ্বালানির উপর এই জলবায়ু এবং মৃত্যুর মাত্রা নির্ভর করবে। গবেষণার প্রতিবেদনে লেখকেরা জানিয়েছেন, এই জীবাশ্মকে অপরিকল্পিত ভাবে জ্বালানোর কারণে স্বাস্থ্যের জন্য ব্যাপক ঝুঁকির প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে। আবার অনেক ব্যাঙ্ক, কোম্পানিগুলিকে অনেক সরকার এই জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের অনুমতি দিয়ে চলেছে। এটাও বিপজ্জনক!

    কী বলেন সংস্থার নির্দেশক?

    ল্যানসেট কাউন্টডাউনের নির্দেশক এবং বিশিষ্ট প্রধান লেখক মেরিনা রোমানেলো একটি সাক্ষাৎকার দিয়ে সিএনএনকে বলেছেন, “আমরা দেখতে পাচ্ছি যে বেসরকারি কোম্পানিগুলি তেল ও গ্যাস উৎপাদনের দিকে আর্থিক লাভের বিষয়ে বেশি নজর দিতে গিয়ে জলবায়ুর উপর খারাপ প্রভাব ফেলছে। অপরিকল্পিত ভাবে জীবাশ্ম জ্বালানি তেল এবং গ্যাস পোড়ানোর কারণে মানব স্বাস্থ্যে খারাপ প্রভাব ফেলতে চলেছে। ফলে বিশ্বউষ্ণায়ণ (Climate Crisis) একটি বড় বিপদ হয়ে দাঁড়াবে। তাই বিশ্ব যদি কেবল মাত্র জীবাশ্ম জ্বালানির উপর বেশি নির্ভরশীল থাকে, তাহলে কেবল মানব স্বাস্থ্যের জন্য নয়, অর্থনীতির জন্যও বড় বিপর্যয় আনতে পারে।” 

    তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে বিশ্বে

    ১৮০০ সালের শেষের দিকে শিল্প বিপ্লবের আগে থেকে বর্তমানে ১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু যখন বিশ্ব, ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস অধিক উষ্ণতায় পৌঁছাবে, সেই সময় বিশ্বের দেশগুলি প্রবল তাপমাত্রার সংস্পর্শে আসবে। ফলে মানুষের কর্ম ক্ষমতার শ্রম ৫০ শতাংশ কমে যাবে। ফলে জলবায়ু সঙ্কটে (Climate Crisis) বিশ্ব আর্থিক ক্ষতি, জীবিকা সংস্থান এবং স্বাস্থ্যের ক্ষতির সম্মুখীন হবে। তাই সকলকে তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রির মধ্যে ধরে রাখার বিষয় ভাবার কথা এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Israel- Hamas War: গাজার হাসপাতালে ইজরায়েলি সেনার প্রবেশ, হদিশ মিলল হামাসের অস্ত্রভাণ্ডারের

    Israel- Hamas War: গাজার হাসপাতালে ইজরায়েলি সেনার প্রবেশ, হদিশ মিলল হামাসের অস্ত্রভাণ্ডারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হামাসের বিরুদ্ধে আগেই অভিযোগ উঠেছে হাসপাতালগুলিকে জঙ্গি ঘাঁটি (Israel- Hamas War) হিসেবে ব্যবহার করার। অসুস্থ রোগীদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা এক শীর্ষ হামাস জঙ্গিকে দিনকয়েক আগেই নিকেশ করে ইজরায়েল। ইজরায়েলের এই দাবি যে মিথ্যা নয় তার প্রমাণ মিলল। ইজরায়েলের দাবিতে সিলমোহর দিতে দেখা গেল রাষ্ট্রসঙ্ঘকেও। গাজার হাসপাতালে এদি ইজরায়েলি সেনা প্রবেশ করতেই হদিশ পেল হামাসের বড়সড় অস্ত্রভাণ্ডারের।

    হাসপাতালগুলি হামাস ঘাঁটি

    ইজরায়েলি সেনা (Israel- Hamas War) গাজায় অবস্থিত আল-শিফা হাসপাতালে একটি নিয়ন্ত্রিত অপারেশন চালায়। সেখানে তারা লক্ষ্য করে যে প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র মজুদ রয়েছে। বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, ইজরায়েলের মারে হামাস জঙ্গিরা বেসামাল হয়ে পড়েছে তাই শিশু এবং রোগীদেরকে ঢাল বানিয়ে লুকিয়ে তারা যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চাইছে। বুধবার সকালেই ইজরায়েলি সেনা প্রবেশ করে আল-শিফা হাসপাতালে। সেখানেই ছিল রোগীরা এবং এর পাশাপাশি যুদ্ধ দুর্গত কিছু মানুষজনও সেখানে আশ্রয় নিয়েছিল। ইজরায়েলের দাবি, যুদ্ধ সরঞ্জামের অভাবে হামাস এমনিতেই পিছু হঠছে। তাই তারা ঘাঁটি হিসেবে হাসপাতালগুলিকে ব্যবহার করতে চাইছে। এর কারণ হামাস জঙ্গিরা জানে যে হাসপাতালের উপরে আঘাত হলেই তা মানবতাবিরোধী প্রচার পাবে এবং বিশ্বের দরবারে ইজরায়েলকে ভিলেন বানানো যাবে। এই সুবিধা নিতে চাইছে হামাস জঙ্গিরা।

    কী বলছে জাতিসঙ্ঘ?

    ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (Israel- Hamas War) ইতিমধ্যে ট্যুইট করে জানিয়েছে, তাদের এই অপারেশন একটি নির্দিষ্ট হাসপাতালের একটি নির্দিষ্ট এলাকাকে কেন্দ্র করেই শুরু করা হয়েছিল। কারণ তাদের কাছে গোপন সূত্রে খবর ছিল যে হামাস জঙ্গিরা সেখানে আশ্রয় নিয়েছে। অন্যদিকে গাজার ডাক্তাররা বারবারই প্রত্যাখ্যান করছেন এই অভিযোগ যে হাসপাতাল গুলি হামাসদের ঘাঁটি হয়ে উঠেছে। বিশেষজ্ঞ মহল অবশ্য মনে করছে, হামাসের চাপেই এই ধরনের বিবৃতি দিচ্ছেন ডাক্তাররা। এদিন গাজায় হামাস নিয়ন্ত্রিত প্যালেস্তাইনের এক মুখপাত্র দাবি করেন যে হাসপাতালগুলির ওপরে ইজরায়েল যেভাবে হামলা করছে তা মানবতা বিরোধী এবং যুদ্ধ-অপরাধ। অন্যদিকে, জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন যে হামাস গাজার  হাসপাতালগুলিকে ব্যবহার করছে এবং মানব ঢাল হিসাবে নিরীহ মানুষগুলোকে সামনে রাখছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share