Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Dawood Ibrahim: আইএসআইয়ের শীর্ষ পদে দাউদ, ভারতে বড় নাশকতার ছক পাকিস্তানের?

    Dawood Ibrahim: আইএসআইয়ের শীর্ষ পদে দাউদ, ভারতে বড় নাশকতার ছক পাকিস্তানের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি বিশ্বমানের জঙ্গি। আমেরিকা থেকে শুরু করে রাষ্ট্রসংঘ সর্বত্রই জঙ্গির তালিকায় নাম রয়েছে তাঁর। কুখ্যাত জঙ্গি ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে কাজ করেছেন। যোগ ছিল আল কায়েদা, তালিবানের সঙ্গেও। তামাম বিশ্বে মাদক পাচার চক্র চালান তিনি। এহেন কুখ্যাত জঙ্গি দাউদ ইব্রাহিমকে (Dawood Ibrahim) পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্সের (ISI) এডিজি পদে বসানো হয়েছে। অন্তত ফ্রি প্রেস জার্নালের খবর তেমনই। দাউদের পদটি সাম্মানিক। জানা গিয়েছে, পাক গুপ্তচর ব্যবস্থায় অবদানের জন্যই এই পদ দেওয়া হয়েছে দাউদকে।

    পাকিস্তানে রয়েছেন দাউদ

    ফ্রি প্রেস জার্নালের রিপোর্টের দাবি, গোপনে আইএসআইয়ের সঙ্গে যোগ ছিল ভারত থেকে পালিয়ে যাওয়া জঙ্গি দাউদের (Dawood Ibrahim0)। তাঁর এই নিয়োগের জেরে প্রকাশ্যে এল দাউদ-আইএসআই সম্পর্ক।মুম্বই পুলিশের এক কনস্টেবলের ছেলে দাউদ। আটের দশকে ভারত থেকে পালিয়ে দুবাই চলে যান তিনি। পরে যান পাকিস্তানে। পাকিস্তানে যাওয়ার আগেই দাউদের বিরুদ্ধে খুন, তোলাবাজি, মাদক পাচার সহ একাধিক অপরাধে জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছিল পুলিশ। বর্তমানে পাকিস্তানের করাচিতে রয়েছে এই মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি। সেখানে নিরাপত্তার ঘেরাটোপে রয়েছেন তিনি।

    মুম্বই বিস্ফোরণের মাথা

    ১৯৯৩ সালের ১২ মার্চ মুম্বইতে ঘটে ধারাবাহিক বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা। পাকিস্তানে বসেই সেই হামলা দাউদ পরিচালনা করেন বলে অভিযোগ। এর পরেই দাউদকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করা হয়। তা সত্ত্বেও দাউদ রয়েছেন পাক সরকারের নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে। গত জুন মাসে কানাডায় খুন হন খালিস্তানপন্থী জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর ও সুখা দুনেকে। এর পরেই প্রকাশ্যে আসে দাউদের সঙ্গে খালিস্তানপন্থীদের যোগাযোগের কথা। ২০০২ সালে তাঁর করাচির বাড়িতে খালিস্তানপন্থী নেতাদের সঙ্গে দাউদ (Dawood Ibrahim) বৈঠক করেছিল বলে দাবি এনআইএ-র।

    দাউদ করাচিতে গা-ঢাকা দিয়ে থাকলেও, মুম্বই, সুরাট, আহমেদাবাদ এবং দিল্লিতে নেটওয়ার্ক রয়েছে তাঁর। সম্প্রতি ডি কোম্পানির নামে সম্পত্তিও কেনা হয়েছে বলে খবর। দাউদ আইএসআইয়ের শীর্ষ পদে বসায় অশনি সঙ্কেত দেখছে ভারত। নিত্য অভাব থেকে পাকিস্তানের বাসিন্দাদের দৃষ্টি ঘোরাতে ভারতের সঙ্গে অশান্তি জিইয়ে রাখে আইএসআই। এই সংস্থারই শীর্ষ পদে দাউদকে বসিয়ে পাকিস্তান ফের কোনও বড়ধরনের নাশকতার চেষ্টা করছে কিনা, উঠছে সেই প্রশ্নও।

    আরও পড়ুুন: লন্ডনেও ভারত-বিরোধী বিক্ষোভ খালিস্তানপন্থীদের, কড়া পদক্ষেপের আশ্বাস সুনকের

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Khalistani Protests: লন্ডনেও ভারত-বিরোধী বিক্ষোভ খালিস্তানপন্থীদের, কড়া পদক্ষেপের আশ্বাস সুনকের

    Khalistani Protests: লন্ডনেও ভারত-বিরোধী বিক্ষোভ খালিস্তানপন্থীদের, কড়া পদক্ষেপের আশ্বাস সুনকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খালিস্তানপন্থী নেতা নিজ্জর খুনের রেশ গড়াল ‘ফাইভ আইজ অ্যালায়েন্স’-এর আর এক সদস্য রাষ্ট্রে। সোমবার লন্ডনের ইন্ডিয়া হাউসের সামনে জড়ো হয় কয়েকশো খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী। সেখানে নিজ্জর খুনের প্রতিবাদ জানানোর (Khalistani Protests) পাশাপাশি স্বাধীন ও সার্বভৌম খালিস্তানের দাবি তোলে তারা। লন্ডন পুলিশের তৎপরতার কারণেই বিক্ষোভকারীরা ভারতীয় হাই কমিশনে হামলা চালাতে পারেনি। তবে, এই ঘটনার জেরে ব্রিটেনে বসবাসকারী ভারতীয় নাগরিক এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূত সমাজে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।

    স্কটল্যান্ডে ভারতীয় হাই কমিশনারের ওপর হামলা

    এর আগে, শনিবার ব্রিটেনে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম দুরাইস্বামীকে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোয় আলবার্ট ড্রাইভের গুরুদ্বারে ঢুকতে বাধা দিয়েছিল খালিস্তানপন্থীরা। এবার বিক্ষোভ দেখানো হল ইন্ডিয়া হাউসের সামনে। এই বিক্ষোভের নেপথ্যে ভারতে নিষিদ্ধ কট্টরপন্থী সংগঠন ‘শিখস ফর জাস্টিসে’র সমর্থকরা (Khalistani Protests) জড়িত বলে অনুমান। 

    ভারতীয় হাই কমিশনের বিবৃতি

    এদিকে, লন্ডনের ভারতীয় হাই কমিশনের তরফে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কট্টরপন্থীরা ইচ্ছাকৃতভাবে গুরুদ্বার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পূর্ব নির্ধারিত আলোচনায় বাধা দেয়। তাঁদের মধ্যে একজন জোর করে হাই কমিশনার ও কনসাল জেনারেল বিক্রম দোরাইস্বামীর গাড়ির দরজা খোলার চেষ্টা করে। গুরুদ্বার কর্তৃপক্ষের ডাকে সাড়া দিয়ে সেখানকার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যান তিনি। ওই গুরুদ্বারে শিখ সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সমস্যার বিষয়ে আলোচনা করার কথা ছিল।

    ভারতীয় হাইকমিশনের তরফে বলা হয়েছে, “যেভাবে দোরাইস্বামীর গাড়ির দরজা ধরে টানাটানি করা হয়েছে, তাতে বড় বিপদের আশঙ্কা ছিল। দরজা খুলে গেলে অবশ্যই তাঁকে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করা হত। বড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন তিনি। বিষয়টি ব্রিটিশ পুলিশের গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত।” ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে বিষয়টি ভারতীয় দূতাবাস জানিয়েছে ফরেন কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসকে।

    আরও পড়ুুন: ‘৪০ জন কূটনীতিককে সরাও, নাহলে…’, সংঘাতের আবহে কানাডাকে বলল ভারত

    এই ঘটনার সঙ্গে তাঁদের কোনও যোগ নেই বলেই জানিয়েছেন গুরুদ্বার কর্তৃপক্ষ। অভিযুক্তদের (Khalistani Protests) বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছে ব্রিটেনের ঋষি সুনকের সরকার। তার পরেই গুরুদ্বার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন স্কটল্যান্ড পুলিশের তদন্তকারীরা। গুরুদ্বারের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করেছেন তাঁরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিও থেকেও অভিযুক্তদের চিহ্নিত করতে চাইছেন তাঁরা। স্কটল্যান্ড পুলিশের মুখপাত্র জানান, “২৯ সেপ্টেম্বর দুপুর ১টা নাগাদ গ্লাসগোর অ্যালবার্ট ড্রাইভ থেকে অশান্তির খবর আসে। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে বাহিনী পাঠানো হয়। হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেনি। তবে ঘটনার গুরুত্ব বুঝে নিয়ে সব দিক খোলা রেখে তদন্ত করা হচ্ছে। আশা করছি, আমরা দ্রুত সিদ্ধান্তে পৌঁছব।”

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • S Jaishankar: ‘‘অন্য দেশ থেকে বাক স্বাধীনতা শিখতে যাব না’’, কানাডার উদ্দেশে কড়া বার্তা জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: ‘‘অন্য দেশ থেকে বাক স্বাধীনতা শিখতে যাব না’’, কানাডার উদ্দেশে কড়া বার্তা জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাক স্বাধীনতা নিয়ে ট্রুডো সরকারকে তুলোধনা করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। শুক্রবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে এক অনুষ্ঠানে বিদেশমন্ত্রী (S Jaishankar) বলেন, “মত প্রকাশের স্বাধীনতা কাকে বলে, তা অন্যের থেকে শেখার দরকার নেই। বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র রয়েছে ভারতে। ফলে বাক স্বাধীনতার গুরুত্ব আমরা ভালোভাবেই জানি।”  

    কী বললেন জয়শঙ্কর

    পাঁচদিনের মার্কিন সফরে গিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। সেখানেই শনিবার ফের তিনি বলেন, “আমরা গণতন্ত্রে বাস করি। বাক স্বাধীনতা কী, তা আমাদের অন্য কোনও দেশের কাছ থেকে শেখার প্রয়োজন নেই। আমাদের মনে হয় না বাক স্বাধীনতা কোনও ধরনের হিংসায় উসকানি দিতে পারে না। আমাদের কাছে তা স্বাধীনতার অপব্যবহার, স্বাধীনতা রক্ষা নয়।” সান ফ্রান্সিসকোয় ভারতীয় কনসুলেটে বসে বিদেশমন্ত্রী কানাডায় ভারতীয় রাষ্ট্রদূতদের খালিস্তানি হুমকি দেওয়া প্রসঙ্গেও কথা বলেন। তিনি বলেন, “আপনারা যদি আমার জায়গায় থাকতেন, তবে কী করতেন? যদি আপনাদের দূতাবাসে, আপনাদের রাষ্ট্রদূতদের হুমকি দেওয়া হত, তাহলে আপনারা কী করতেন?”

    আরও পড়ুন: জঙ্গি-নেতা হাফিজ সইদের সন্ত্রাসী ছেলেকে অপহরণ করে হত্যা! তোলপাড় পাকিস্তানে

    বিদেশমন্ত্রীর দাবি

    বিদেশমন্ত্রীর কথায়, “গত ১০ বছরে শিখদের সমস্যা সমাধান করতে নিরলসভাবে চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদের মধ্যে অল্প কয়েকজনই বিচ্ছিন্নতাবাদ ও সন্ত্রাসবাদের কথা বলছে। এটাকে গোটা সম্প্রদায়ের সমস্যা বলে ভাবা ঠিক নয়। নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এটা দেখা উচিত।” উল্লেখ্য, কানাডার সঙ্গে সংঘাতের আবহে গতকাল মার্কিন বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন জয়শংকর। এই প্রসঙ্গে আমেরিকার দৃষ্টিভঙ্গির সমালোচনা করেন বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, “মার্কিনিরা এই সমস্যার দিকে সেভাবে নজর দিচ্ছেন না। আমরা কানাডার দিকে তাকালে সেখানে হিংসা, বিচ্ছিন্নতাবাদ আর সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দেওয়ার মতো ঘটনা দেখতে পাই। আর আমেরিকানরা তাকালে অন্য কিছু দেখতে পান। যদি কেউ বলেন, এটা জি-৭ ভুক্ত দেশে ঘটতে পারে, তবে সেটা অন্য কিছু ভাবার ইঙ্গিত দেয়।” 

    স্কটল্যান্ডে ভারতীয় হাই কমিশনারকে বাধা 

     এবার স্কটল্যান্ডে দেখা গেল খলিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সক্রিয়তা। তাঁদের নিশানায় ব্রিটেনে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম দুরাইস্বামী। ব্রিটেনের ভারতীয় হাই কমিশন সূত্রের খবর, শুক্রবার দুরাইস্বামীকে স্কটল্যান্ডের একটি গুরুদ্বারে প্রবেশ করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হয়। ভারতীয় হাই কমিশনারকে গুরুদ্বার পরিচালন সমিতির কয়েক জন সদস্য জানিয়ে দেন, তিনি স্বাগত নন। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ভারতে নিষিদ্ধ বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ‘শিখস ফর জাস্টিস’ (Sikhs for Justice)-এর সমর্থকেরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hafiz Saeed: জঙ্গি-নেতা হাফিজ সইদের সন্ত্রাসী ছেলেকে অপহরণ করে হত্যা! তোলপাড় পাকিস্তানে

    Hafiz Saeed: জঙ্গি-নেতা হাফিজ সইদের সন্ত্রাসী ছেলেকে অপহরণ করে হত্যা! তোলপাড় পাকিস্তানে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার (LeT) প্রতিষ্ঠাতা তথা ভারতে ২৬/১১ হামলার মাস্টারমাইন্ড হাফিজ সইদের (Hafiz Saeed) ছেলে তথা সন্ত্রাসী কামালউদ্দিন ইব্রাহিম সইদের অপহরণ ও সম্ভাব্য হত্যা নিয়ে গত তিনদিন ধরে সরগরম পাকিস্তান। খবরে প্রকাশ, কয়েকদিন আগে জঙ্গি নেতা হাফিজের ছেলেকে কে বা কারা পেশওয়ারের রাস্তা থেকে অপহরণ করে বলে অভিযোগ। শুক্রবার, সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media News) একাধিক দাবি করা হয় যে, হাফিজের ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। তার দেহও নাকি উদ্ধার করা হয়েছে। যদিও এই ঘটনার সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। তবে, এই খবর নিয়ে এখন জোর চর্চা নেট-পাড়ায়। যদিও, পাকিস্তানের প্রশাসনিক স্তরে অপহরণ বা হত্যা নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

    তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া

    সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে এখন কামালউদ্দিনের খবর (Social Media News) ছড়িয়ে রয়েছে। ট্যুইটার (অধুনা এক্স) হ্যান্ডলে কয়েকজন দাবি করেছেন, জঙ্গি-নেতার ছেলের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাঁদের দাবি, কামালউদ্দিনকে হয়ত হত্যার আগে অত্যাচার করা হয়েছে। হাফিজের (Hafiz Saeed) ছেলের দেহ কোথায় উদ্ধার হয়েছে, সেই তথ্যও তাঁরা তুলে ধরেছেন। একজন লিখেছেন, খাইবার-পাখতুনখোয়া অঞ্চলের জাব্বা উপত্যকায় উদ্ধার হয়েছে কামালউদ্দিনের দেহ। কারও কারও দাবি, ইতিমধ্যে দেহটি নিঃশব্দে সৎকারও করে দিয়েছে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। আবার কেউ এমনও লিখেছেন যে, এই ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কে ভুগছে আইএসআই।

     

    অপহরণের খবর প্রকাশ্যে আসে ২৭ তারিখ

    গত ২৭ তারিখ, কামালউদ্দিনের উধাও হওয়ার খবর পাকিস্তানের একাধিক সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। দাবি করা হয়, পেশোয়ারের রাস্তা থেকে জঙ্গি-নেতার (Hafiz Saeed) ছেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি। খবরে, এও দাবি করা হয়, কামালউদ্দিন কোথায় আছেন, তা খুঁজে পায়নি আইএসআই। ২ দিন পর, শুক্রবার থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় কামালউদ্দিনের হত্যা ও দেহ উদ্ধারের খবর ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে (Social Media News)। এসবের মধ্যে মুখ কুলুপ এঁটেছে পাকিস্তান সরকার। প্রশাসনের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি এখনও পর্যন্ত। ২০২০ সালে কামালউদ্দিনকে জঙ্গি ঘোষণা করেছিল ভারত।

     

    আতঙ্ক গ্রাস করেছে আইএসআই-তে

    এদিকে, কামালউদ্দিনের আচমকা অপহরণ হতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষস্তরে। তন্নতন্ন করে খোঁজ শুরু হয়। যদিও, বিফলে যায় সব কিছু। নিজেদের মুখ রক্ষায় চুপিসাড়ে কামালউদ্দিনের সৎকার করে দেয় তারা। এই ঘটনায়, আতঙ্ক শুরু হয়েছে বিভিন্ন পাক জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোতে। যেভাবে পাকিস্তানে সাম্প্রতিককালে একের পর এক জঙ্গি-নেতা অপহরণ ও নিধনের ঘটনা ঘটে চলেছে, তাতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এতদিন তাদের সুরক্ষা দিয়ে আসা আইএসআই ও পাক প্রশাসন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Pakistan  Blast: বালুচিস্তানে ধর্মীয় জমায়েতে মানববোমা বিস্ফোরণ, নিহত অন্তত ৫২

    Pakistan  Blast: বালুচিস্তানে ধর্মীয় জমায়েতে মানববোমা বিস্ফোরণ, নিহত অন্তত ৫২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদের গোড়ায় জল দিয়ে যে বিষবৃক্ষকে বড় করে তুলেছে পাকিস্তান, তার ফল ফলতে শুরু করেছে। শুক্রবার বালুচিস্তানের মাস্তং জেলার সদর শহরে ধর্মীয় জমায়েতে ঘটে মানববোমা বিস্ফোরণ (Pakistan  Blast)। বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন অন্তত ৫২ জন। এঁদের মধ্যে রয়েছেন এক ডিএসপি সহ বালুচিস্তান পুলিশের কয়েকজন কর্মীও। গুরুতর জখম হয়েছেন ১৫০-র কাছাকাছি। ঘটনার জেরে ত্রস্ত গোটা মাস্তং জেলা।

    এ মাসের শুরুতেও হয়েছিল বিস্ফোরণ

    এদিন যে এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটেছে, সেখানে বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি, বালুচ ন্যাশনালিস্ট আর্মির পাশাপাশি সক্রিয় তেহরিক-ই-তালিবান। পাক সেনার বিরুদ্ধে লড়াই আরও জোরালো করতে সম্প্রতি বালুচদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে তেহরিক-ই-তালিবান। এ মাসের প্রথম দিকে একবার বিস্ফোরণ (Pakistan  Blast) ঘটেছিল মাস্তংয়ে। সেবার মৃত্যু হয়েছিল ইসলামাবাদপন্থী জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলামের ফজল নেতা হাফিজ হামিদুল্লা। তাঁর মৃত্যুর জন্য কারা দায়ী, তা আজও জানা যায়নি। ঘটনার পরে পরেই বিস্ফোরণের দায় অস্বীকার করে বিবৃতি দেয় তেহরিক-ই-তালিবান।

    বিস্ফোরণের অভিঘাত

    এদিনের বিস্ফোরণ প্রসঙ্গে মাস্তংয়ের সহকারি কমিশনার (এসি) আত্তাহুল মুনিম জানান, আলফালাহ রোডে মদিনা মসজিদের সামনে ঈদ-ই-মিলাদুন উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত জমায়েতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। হতাহতদের দ্রুত শহিদ নবাব ঘৌস বখশ রাইসানি মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বিস্ফোরণের অভিঘাতে বেশ কিছু যানবাহন এবং আশপাশের কয়েকটি দোকানেরও ক্ষতি হয়েছে। বালুচিস্তান এলাকাটি প্রাকৃতিকভাবে সম্পদশালী। ক্রমেই তা বেহাত হয়ে যাচ্ছে বালোচদের।

    দেশের বিভিন্ন অংশ থেকে লোকজন এসে থাবা বসাচ্ছে বালোচদের সম্পদে। চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর তৈরির পরে গত কয়েক বছরে বেড়েছে প্রাকৃতিক সম্পদ লুঠের পরিমাণ। সেই কারণেই চড়ছে  বালোচদের ক্ষোভের পারদ।

    আরও পড়ুুন: বিজেপিকে জেতানোর অপরাধ! কেটে দেওয়া হল বাঁশের সাঁকো, অভিযুক্ত তৃণমূল

    ১৯৪৭ সালের ১১ অগাস্ট ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত হয়েছিল দেশীয় রাজ্য কালাত। পরে নাম হয় বালুচিস্তান। তার পরের বছর ২৭ মার্চ পাকিস্তানি সেনা দখল নেয় বালুচিস্তানের। তার পর থেকে স্বাধীনতার দ্বিতীয় লড়াই লড়ছেন বালোচরা। ‘বালুচিস্তানের গান্ধী’ বলে পরিচিত স্বাধীনতাপন্থী নেতা আবদুল কাদির বালোচ বছর কয়েক আগে দিল্লি এসে বলেছিলেন, “আমরা চাই (Pakistan  Blast) একাত্তরে ভারত যেভাবে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিল, সেভাবেই বালুচিস্তানের পাশে দাঁড়াক।” বালুচিস্তানের ওপর পাক নিপীড়িন বন্ধে আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যাতে সরব হন, সেই আবেদনও জানিয়েছিলেন তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • 6G Technology: মোদির ৬জি প্রযুক্তির প্রস্তাবে স্বীকৃতি আন্তর্জাতিক সংস্থার, কী লাভ হল জানেন?

    6G Technology: মোদির ৬জি প্রযুক্তির প্রস্তাবে স্বীকৃতি আন্তর্জাতিক সংস্থার, কী লাভ হল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উন্নত প্রযুক্তির সুবিধা নিতে হবে বলে বিভিন্ন সময় মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি নিজেও টেক-স্যাভি। ৬জি (6G Technology) টেলিকমিউনিকেশন পরিষেবা গড়ে তোলার বিষয়েও তিনি যে বিশেষ আগ্রহী, তাও বিভিন্ন সময় প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর এই দৃষ্টিভঙ্গীকে মান্যতা দিল রাষ্ট্রসংঘের অধীনস্ত সংস্থা আইটিইউ (ITU)। এই সংস্থার স্টাডি গ্রুপের বৈঠকে ভারতের ৬জি টেলিকমিউনিকেশন যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার দৃষ্টিভঙ্গীকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। আইটিইউয়ের স্টাডি গ্রুপের এই স্বীকৃতিতে ৬জি প্রযুক্তি স্থাপনের খরচ কমাতে এবং ভারতকে ৬জি মানের সংজ্ঞা নির্ধারণে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ করে দেবে।

    ৬জি ভিশন নথি

    তামাম বিশ্বের মোবাইল টেলিকমিউনিকেশনের মান নির্ধারণ করে থাকে আইটিইউ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে ৬জি (6G Technology) ভিশন নথি প্রকাশ করেছেন, তাতে ৬জি প্রযুক্তির বাস্তবায়ন সাশ্রয়ী, টেকসই এবং সর্বজনীন হওয়া উচিত বলে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। স্টাডি গ্রুপের আগের বৈঠকে ভারতীয় প্রতিনিধি দল আইএমটি২০৩০ কাঠামোয় ৬জি সর্বজনীন সংযোগকে ব্যবহারের দৃশ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে। এই প্রস্তাবটি গৃহীত হয়েছে রাষ্ট্রসংঘের অধীনস্থ সংস্থা আইটিইউয়ের স্টাডি গ্রুপের বৈঠকে।

    এই স্বীকৃতির গুরুত্ব অপরিসীম

    ভারতের এই স্বীকৃতি কেবল একটি প্রযুক্তিগত সাফল্য নয়, কূটনৈতিক সাফল্যও। খালিস্তানপন্থী জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর খুনে ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে কানাডার জাস্টিন ট্রুডো সরকার। যদিও এ ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কাউকে পাশে পায়নি ট্রুডোর দেশ। এহেন আবহে ভারতের এই স্বীকৃতির গুরুত্ব যে অপরিসীম, তা মানছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশও।

    ৬জি প্রযুক্তি (6G Technology) সূচনা করবে নয়া যুগের। এই প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হলে সুবিধা মিলবে হাইস্পিডের ইন্টারনেটের। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং অন্যান্য প্রযুক্তির জন্যও তৈরি হবে নয়া সুযোগ। ডিজিটাল অর্থনীতিতে ভারতের ভূমিকা বৃদ্ধিতেও সাহায্য করবে এই প্রযুক্তি। আইটিইউয়ের স্টাডি গ্রুপের বৈঠকে ভারতের এই প্রস্তাব গৃহীত হওয়ায় মোদির দেশ যে ক্রমেই প্রযুক্তিগত আলোচনায় উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করছে, তা বলাই বাহুল্য।

    আরও পড়ুুন: জয়শঙ্কর-ব্লিঙ্কেন বৈঠকে উঠলই না নিজ্জর খুনের প্রসঙ্গ, হতাশ ট্রুডোর দেশ!

    আইটিইউয়ের এনজিএন বিষয়ক বিশেষজ্ঞ গ্রুপের সদস্য সত্য গুপ্তা বলেন, “স্বীকৃত প্রস্তাবগুলি প্রযুক্তি কীভাবে বিবর্তন হবে, তা নির্ধারণ করে। ভারতের ৬জি প্রস্তাব গ্রহণ দেশের ভিশনকে একটি বিশ্বব্যাপী স্তরে নিয়ে এসেছে এবং ৬জি মান গঠনে অংশ নেওয়ার জন্য দেশকে সুযোগ দেয়।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • US India Meet: জয়শঙ্কর-ব্লিঙ্কেন বৈঠকে উঠলই না নিজ্জর খুনের প্রসঙ্গ, হতাশ ট্রুডোর দেশ!

    US India Meet: জয়শঙ্কর-ব্লিঙ্কেন বৈঠকে উঠলই না নিজ্জর খুনের প্রসঙ্গ, হতাশ ট্রুডোর দেশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ধাক্কা খেলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো! খালিস্তানপন্থী জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর খুনে ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন তিনি। ভেবেছিলেন, পাশে পাবেন বন্ধু আমেরিকাকে। দিন কয়েক আগে বুক বাজিয়ে বলেওছিলেন, ব্লিঙ্কেন-জয়শঙ্কর বৈঠকে (US India Meet) অবশ্যই উঠবে নিজ্জর খুনের প্রসঙ্গ। বৃহস্পতিবার পূর্ব নির্ধারিত সূচি মেনে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক হয় মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে। সূত্রের খবর, দ্বিপাক্ষিক এই বৈঠকে নানা বিষয় আলোচনা হলেও, ওঠেনি নিজ্জর প্রসঙ্গ।   

    আলোচনা ইতিবাচক, বলছে আমেরিকা 

    ভারত আমেরিকার ‘বিশেষ কৌশলগত মিত্র’। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, সেই কারণে নয়াদিল্লিকে চটাতে চায়নি জো বাইডেনের দেশ। তাই জয়শঙ্কর ব্লিঙ্কেন বৈঠকে ওঠেনি নিজ্জর খুনে কানাডার অভিযোগের প্রসঙ্গ। এদিন বৈঠক শেষে মার্কিন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, “প্রতিরক্ষা, মহাকাশ গবেষণা এবং দুষণমুক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা নিয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে।”

    জয়শঙ্কর-সালিভান বৈঠক

    এদিন জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভানও। বৈঠকের আগে (US India Meet) ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেছিলেন, “গত কয়েক বছরে কানাডায় পরিকল্পিত অপরাধের সংখ্যা ব্যাপক বেড়েছে। বিচ্ছিন্নতাবাদ, উগ্রপন্থার কারণেই এই অপরাধ এবং হিংসা। কানাডা থেকে কী কী অসামাজিক কার্যকলাপ চলে তা জানিয়ে জঙ্গি নেতাদের চিহ্নিত করে প্রত্যর্পণ করতেও আবেদন জানানো হয়েছে।” বৈঠক শেষে এক্স হ্যান্ডেলে জয়শঙ্কর লেখেন, “ওয়াশিংটন সফর শুরু হল আমেরিকার নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভানের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রবল সম্ভাবনার দিকটি খতিয়ে দেখে তা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া নিয়ে কথা হয়েছে।”

    আরও পড়ুুন: এবার পাকিস্তানের পাশ থেকে সরে গেলেন ‘কমরেড’ও! অথৈ জলে ইসলামাবাদ

    গত জুন মানে কানাডায় খুন হয় খালিস্তানপন্থী জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর। ওই ঘটনায় ভারতের হাত রয়েছে বলে সংসদে দাবি করেন ট্রুডো। কানাডার অভিযোগকে মনগড়া ও মিথ্যে বলে জানিয়ে দেয় ভারত। কানাডার এই অভিযোগকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়নি মিত্র দেশগুলি। কানাডা ‘ফাইভ আইজ অ্যালায়েন্সে’র সদস্য। এই চার সহযোগী দেশকেও পাশে পায়নি ট্রুডোর দেশ। কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে মিথ্যেবাদী বলে দেগে দিয়েছে শ্রীলঙ্কাও। এমতাবস্থায় জয়শঙ্কর-ব্লিঙ্কেনের বৈঠকে (US India Meet) নিজ্জর খুনের প্রসঙ্গ না ওঠায় প্রত্যাশিতভাবেই হতাশ কানাডা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • China Pakistan Relation: এবার পাকিস্তানের পাশ থেকে সরে গেলেন ‘কমরেড’ও! অথৈ জলে ইসলামাবাদ

    China Pakistan Relation: এবার পাকিস্তানের পাশ থেকে সরে গেলেন ‘কমরেড’ও! অথৈ জলে ইসলামাবাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথায় বলে, দুর্দিনে বন্ধু চেনা যায়! ঋণে জর্জরিত পাকিস্তান। চিনা ঋণের ফাঁদে পড়ে শ্রীলঙ্কার মতো দেউলিয়া হওয়ার দশা ইসলামাবাদের। এমতাবস্থায় কোথায় পাশে দাঁড়াবে চিন, তা নয় ক্রমেই দূরে সরে যাচ্ছে বেজিং (China Pakistan Relation)। বিলিয়ন ডলারের চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের অধীনে জল ব্যবস্থাপনা, জ্বালানি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও প্রসারিত করতে অস্বীকার করেছে ড্রাগনের দেশ।

    পাকিস্তানকে সাহায্য করতে অস্বীকার করেছে চিন

    এহেন পরিস্থিতিতে আক্ষরিক অর্থেই অথৈ জলে ইসলামাবাদ। সম্প্রতি একাদশতম জয়েন্ট কো-অপারেশন কমিটির বৈঠক হয়েছে। জানা গিয়েছে, সেই বৈঠকে বিভিন্ন বিষয়ে চিন পাকিস্তান দুই দেশেরই মতপার্থক্য সামনে চলে আসে। তার পরেই বেজিং চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের অধীনে জল ব্যবস্থাপনা, জ্বালানি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও প্রসারিত করতে অস্বীকার করেছে।পাকিস্তানের (China Pakistan Relation) কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ পাকিস্তানের প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে পাকিস্তান সরকারের মোট ঋণ ৩৪.১ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

    আরও পড়ুুন: ‘পুণ্যার্থীর ছদ্মবেশে ভিখিরি পাঠানো বন্ধ করো’, পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি সৌদি আরবের

    যার জেরে বর্তমানে পাকিস্তান সরকারের মোট ঋণের পরিমাণ ৫৬,৮০,০০০ কোটি টাকা। পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ ঋণের পরিমাণ ৩৬.৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা দেশটির মোট ঋণের ৬২.৩ শতাংশের সমান। দেশটির বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ২২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা তার মোট ঋণের ৩৭.৬ শতাংশ।

    চিনকে খুশি করার চেষ্টা ইসলামাবাদের 

    পাকিস্তানে ৩ হাজার কিলোমিটারের চিন-পাক ইকনমিক করিডরে প্রচুর পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করেছে শি জিনপিংয়ের সরকার। এই প্রকল্পের মাধ্যমে একদিকে যেমন চিনের আর্থিক লাভ হচ্ছে, তেমনি কর্মসংস্থান এবং বাণিজ্যিক উন্নয়ন হচ্ছে পাকিস্তানেও। চিনকে খুশি করতে পাকিস্তানের গোয়াদারে আমদানিকৃত কয়লাচালিত যে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে তোলার কথা ছিল ইসলামাবাদের, সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে পাকিস্তান সেই পরিকল্পনা বাতিল করেছে বলে পাক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর। গিলগিট বাল্টিস্তান, খাইবার পাখতুনখোয়া এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পর্যটন বিষয়ক পরিকল্পনাও বাতিল করেছে ইসলামাবাদ। চিনের উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে বেশ কিছু ক্ষেত্রে এগোতে চেয়েছিল পাকিস্তান। তবে চিন ধাতব খনিজগুলির যৌথ অনুসন্ধান, উন্নয়ন এবং বিপণনের প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছে। যার জেরে সখাত সলিলে ডুবে মরার দশা হয়েছে পাকিস্তানের (China Pakistan Relation)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Pakistani Beggars: ‘পুণ্যার্থীর ছদ্মবেশে ভিখিরি পাঠানো বন্ধ করো’, পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি সৌদি আরবের

    Pakistani Beggars: ‘পুণ্যার্থীর ছদ্মবেশে ভিখিরি পাঠানো বন্ধ করো’, পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি সৌদি আরবের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনা ঋণের ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত হওয়ার পথে দেশ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাছে হাত পেতেও, ঝুলি এখনও রয়েছে অপূর্ণ। পাশে পায়নি আরবের মতো দেশগুলিকেও। প্রত্যাশিতভাবেই দেশবাসীর অবস্থা করুণ। এমতাবস্থায় ভিন দেশে ভিক্ষেকেই (Pakistani Beggars) সম্বল করেছেন পাকিস্তানের নাগরিকদের একটা অংশ। তীর্থযাত্রীর ছদ্মবেশে তাঁরা চলে যাচ্ছেন আরবে। তারপর পেশা হিসেবে বেছে নিচ্ছেন ভিক্ষে করাকেই।

    গ্রেফতারির জেরে উপচে পড়ছে জেল!

    সম্প্রতি পাকিস্তানি ওভারসিজ সেক্রেটারি জিসান খানজাদা সে দেশের সেনেট স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে জানিয়েছেন, পাকিস্তান থেকে যাঁরা আসছেন, তাঁদের অধিকাংশই ভিক্ষেকে (Pakistani Beggars) বৃত্তি হিসেবে বেছে নিচ্ছেন। আরবে ভিক্ষে করা নিষিদ্ধ। অথচ পুণ্যার্থীর ছদ্মবেশে আসা লোকজনের মধ্যে ভিক্ষে করার অপরাধে যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ৯০ শতাংশই পাকিস্তান থেকে এসেছেন। সৌদি আরব ও ইরাকের রাষ্ট্রদূতদের অভিযোগ, গ্রেফতারির জেরে তাঁদের দেশের জেল উপচে পড়ছে। মানব পাচারের ঘটনায়ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তাঁরা।

    উমরাহ ভিসা নিয়ে এসে ভিক্ষে!

    জিসান জানান, সৌদি আরবের মসজিদ অল হারাম এলাকায় পকেটমারিও করছেন বহু পাকিস্তানি। এঁরা উমরাহ ভিসা নিয়ে তাঁদের দেশে এসে ভিক্ষে করছেন। জানা গিয়েছে, তীর্থযাত্রীর ছদ্মবেশে ভিক্ষুকদের (Pakistani Beggars) আরবের দেশগুলিতে পাঠাতে পাকিস্তানকে নিষেধ করা হয়েছে। সমস্ত ভিক্ষুককে নিজেদের দেশে ফেরত নিতেও বলা হয়েছে পাকিস্তানকে।

    সেনেটর রানা মহম্মদ-উল-হাসান জানান, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে দক্ষ শ্রমিক এসেছেন ৩ লক্ষ ৪০ হাজার। তার মধ্যে পাকিস্তানি দক্ষ শ্রমিক রয়েছেন মেরেকেটে ২০০ জন। অথচ ভারত থেকে দক্ষ শ্রমিক এসেছেন ১৫ লক্ষ। ছোট্ট দেশ নেপাল থেকে এসেছেন ৯১ হাজার। বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কা থেকেও প্রচুর দক্ষ শ্রমিক এসেছেন।

    আরও পড়ুুন: “বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলির সংগঠিত অপরাধে জর্জরিত কানাডা”, নিউইয়র্কে জয়শঙ্কর

    জানা গিয়েছে, সৌদি আরবে প্রায় ৩০ লক্ষ পাকিস্তানি এসেছেন। এঁদের সিংহভাগই অদক্ষ। দক্ষ কর্মী এসেছেন খুবই অল্প। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ পাকিস্তানের অর্থনীতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেছিলেন, “ভিখিরির (Pakistani Beggars) কোনও পছন্দ থাকতে পারে না।” পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ সুপ্রিমো তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আবার পাকিস্তানকে “আমেরিকার দাস” বলে কটাক্ষ করেছিলেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • India Canada Row: “বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলির সংগঠিত অপরাধে জর্জরিত কানাডা”, নিউইয়র্কে জয়শঙ্কর

    India Canada Row: “বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলির সংগঠিত অপরাধে জর্জরিত কানাডা”, নিউইয়র্কে জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর খুনে আরও বিপাকে কানাডার জাস্টিন ট্রুডোর সরকার (India Canada Row)। নিজ্জর খুনে ভারতকে দুষে ট্রুডো যখন বিশ্ব রাজনীতিতে ক্রমেই একা হয়ে পড়ছেন, সেই সময় ভারতের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে আমেরিকা। আজ, বৃহস্পতিবার মার্কিন স্টেট সেক্রেটারি অ্যান্টনি ব্লিকেনের সঙ্গে ওয়াশিংটনে বৈঠকে বসতে চলেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বৈঠকের বিষয়বস্তু নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে ভারত এবং কানাডা দুই দেশই। তবে আমেরিকার বন্ধু দুই দেশ ভারত ও কানাডার মধ্যে যে সম্পর্কের শৈত্য চলছে, সে প্রসঙ্গ উঠতে পারে বলে ধারণা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের।

    বিশ্বরাজনীতিতে একা ট্রুুুুুুুুডো!

    জুন মাসে কানাডায় (India Canada Row) খুন হয় খালিস্তানি জঙ্গি নিজ্জর। ওই ঘটনায় ভারতের হাত রয়েছে বলে সংসদে দাবি করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। অভিযোগের সারবত্তা নেই বলে দাবি করে নয়াদিল্লি। তার পর থেকে ভারত-কানাডা সম্পর্ক গিয়ে ঠেকেছে তলানিতে। তবে কানাডার ওই অভিযোগের পরেও বন্ধু দেশের পাশে দাঁড়ায়নি আমেরিকা। নিজ্জর খুনে উদ্বেগ প্রকাশ করলেও, ভারতকে আঘাত করে এমন একটি কথাও বলেনি জো বাইডেনের দেশ। ট্রুডোর পাশে দাঁড়ায়নি ‘ফাইভ আইজ অ্যালায়েন্সে’র কানাডা বাদে বাকি চার দেশের কেউই। এহেন আবহে ভারত-মার্কিন বৈঠক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলের।

    কানাডার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিল ভারত 

    এদিকে, সন্ত্রাসবাদী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের (India Canada Row) বিরুদ্ধে কানাডা সরকার কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ ভারত। মঙ্গলবার নিউইয়র্কে তিনি বলেন, “বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলির সংগঠিত অপরাধে জর্জরিত কানাডা।” এজন্য ভারত যে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীরা যেভাবে কানাডিয়ান হিন্দু, শিখ এবং ভারতীয় কূটনীতিকদের হুমকি দিচ্ছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন জয়শঙ্কর। রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার কারণে যে কানাডা সরকার সন্ত্রাসবাদী ও বিচ্ছন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করছে না, তাও জানিয়ে দেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। নিজ্জর খুনে কানাডার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “প্রথমত, এটা ভারত সরকারের নীতির পরিপন্থী। আর দ্বিতীয়ত, আমরা তো কানাডা সরকারকে বলেইছি যে ভারতের হাত হয়েছে এমন কোনও প্রমাণ পেলে আমাদের দাও, আমরা তা পরীক্ষা করে দেখব।”

    আরও পড়ুুন: চাঁদ-সূর্যের পরে এবার পরের লক্ষ্য শুক্র অভিযান, ঘোষণা ইসরো প্রধানের

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share