Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Justin Trudeau: জঙ্গি খুনে ভারতকে দুষে বিপাকে ট্রুডো, প্রধানমন্ত্রী পদে তাঁকে চাইছেন না সিংহভাগ কানাডাবাসীই!

    Justin Trudeau: জঙ্গি খুনে ভারতকে দুষে বিপাকে ট্রুডো, প্রধানমন্ত্রী পদে তাঁকে চাইছেন না সিংহভাগ কানাডাবাসীই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খালিস্তানি জঙ্গি হত্যায় ভারতের হাত রয়েছে বলে বিপাকে কানাডার জাস্টিন ট্রুডোর (Justin Trudeau) সরকার। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারত-কানাডা সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। তার জেরে আরও গাড্ডায় ট্রুডো সরকার! সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে,  বর্তমানে দেশের ৪০ শতাংশ ভোটার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাইছেন কনজার্ভেটিভ পার্টির নেতা পিরি পয়লিভারকে। তাঁর পেছনে রয়েছেন ট্রুডো। আইপিএসওএস নামের এক সংস্থার করা সমীক্ষায় উঠে এসেছে এই তথ্য। ২০২৫ সালে কানাডায় হবে সাধারণ নির্বাচন। কনজার্ভেটিভ পার্টির নেতাদেরও দাবি, ওই নির্বাচনে দেশের রাশ তাঁদের হাতে আসার চান্স সব চেয়ে বেশি।

    পিরি পয়লিভারকে প্রধানমন্ত্রী চান সিংহভাগ মানুষ 

    সমীক্ষায় যাঁরা অংশ নিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ৪০ শতাংশ পিরিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাইলেও, ট্রুডোকে (Justin Trudeau) ওই পদে দেখতে চেয়েছেন মাত্র ৩১ শতাংশ মানুষ। ২২ শতাংশ মানুষ প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চেয়েছেন এনডিপি (NDP) নেতা জগমিত সিংহকে। খালিস্তানিদের প্রতি সংবেদনশীল জগমিত। তাঁর দল রয়েছে ট্রুডোর সরকারে। তবে এই তিনজনের মধ্যে পিরিই সেরা বলে মনে করেছেন সিংহভাগ কানাডাবাসী। তাঁদের মতে, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য এবং বাসস্থান এই তিন ক্ষেত্রেই পিরির পরিকল্পনাও সেরা।

    জঙ্গি খুনে ভারতকে দুষছেন ট্রুডো

    গত জুন মাসে প্রকাশ্যে খুন হন খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর। এই ঘটনায় ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে ট্রুডো সরকার। যদিও অভিযোগের স্বপক্ষে প্রমাণ চায় ভারত। প্রমাণ চেয়েছেন পিরিও। তিনি বলেন, “আমি মনে করি সমস্ত ঘটনাটা প্রধানমন্ত্রীর খুলে বলা প্রয়োজন। ইতিমধ্যেই যেসব প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে, তা আমাদের জানা প্রয়োজন। যাতে করে কানাডাবাসী ঠিকঠাক বিচার-বিবেচনা করতে পারেন।” তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী কিছুই প্রমাণ করতে পারেননি। তিনি কেবল একটি বিবৃতি দিয়েছেন।”

    আরও পড়ুুন: মুখ পুড়েছে চিনের! অরুণাচল প্রদেশের তিন ক্রীড়াবিদকে ভিসা দিল না বেজিং, ক্ষোভ ভারতের

    সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, কিউবেক ছাড়া কানাডার সব প্রদেশেই ট্রুডোর (Justin Trudeau) চেয়ে প্রধামন্ত্রিত্বের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন পিরি। অন্টারিওর ৪২ শতাংশ মানুষ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চান পিরিকে। আর ট্রুডোকে ওই পদে চান ৩৮ শতাংশ মানুষ। প্রসঙ্গত, লিবারেল পার্টির নেতা তথা প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর নেতৃত্বে কানাডায় চলছে জোট সরকার। এই সরকারে রয়েছে খালিস্তানিদের প্রতি সংবেদনশীল এনডিপি। আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলের মতে, তাই জোট রাজনীতির বাধ্যবাধকতার কারণে এবং নিজের গদি বাঁচাতে জঙ্গি খুনে ভারতকে দুষছেন ট্রুডো।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Khalistani Terrorist: নিজ্জর খুনে প্রমাণ দিতে ব্যর্থ, রাজনৈতিক কারণেই কি ভারতকে নিশানা ট্রুডোর?

    Khalistani Terrorist: নিজ্জর খুনে প্রমাণ দিতে ব্যর্থ, রাজনৈতিক কারণেই কি ভারতকে নিশানা ট্রুডোর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডায় খুন হয়েছেন খালিস্তানি জঙ্গি (Khalistani Terrorist) ‘খালিস্তান টাইগার ফোর্সে’র প্রধান হরদীপ সিং নিজ্জর। জুন মাসের ওই ঘটনায় ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছে জাস্টিন ট্রুডোর দেশে ঘাঁটি গেড়ে থাকা খালিস্তানপন্থীরা। খালিস্তানিদের সুরে সুর মিলিয়ে ভারতকে দুষছে কানাডার ট্রুডো সরকারও।

    প্রমাণ চাইল ভারত

    নিজ্জর খুনে যে ভারতের হাত রয়েছে, এবার ট্রুডো সরকারের সেই অভিযোগের প্রমাণ চাইল ভারত। নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে কানাডা প্রশাসনকে তদন্তে সাহায্য করার প্রস্তাব দিয়েছিল ভারত। যদিও সে ব্যাপারে টুঁ শব্দটি করেনি ট্রুডো সরকার। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, “আমরা কানাডা সরকারকে নির্দিষ্ট তথ্য (নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে) দিতে (Khalistani Terrorist) বলেছিলাম। এখনও কোনও নির্দিষ্ট তথ্য তারা দেয়নি।” তিনি বলেন, “কানাডার মাটিতে ভারত বিরোধী যেসব জঙ্গি কার্যকলাপ হচ্ছে, তার প্রমাণ আমরা কানাডা সরকারকে শেয়ার করেছি। কিন্তু কানাডা তা করছে না। তারা অভিযোগ করছে, তার ওপর ভিত্তি করে ব্যবস্থাও নিচ্ছে। অথচ প্রমাণ দিতে পারছে না। কানাডা সরকারের রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার কারণেই বোধহয় এটা হচ্ছে।”

    কানাডার রাজনীতিতে শিখদের ভূমিকা 

    প্রসঙ্গত, কানাডায় শিখ ধর্মাবলম্বী মানুষ রয়েছেন দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২ শতাংশ। ট্রুডো সরকার গঠনে এঁদের বিরাট ভূমিকা রয়েছে। সে দেশের ‘হাউস অফ কমনসে’ শিখ সাংসদ রয়েছেন ১৮ জন। তাই কানাডার কোনও রাজনৈতিক দলই শিখদের ক্ষোভের কারণ হতে পারে, এমন পদক্ষেপ করে না। আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলের মতে, এই সুযোগটাকেই কাজে লাগিয়েছে খালিস্তানপন্থীরা। সেই কারণেই কানাডায় গিয়ে ঘাঁটি গাড়ছে একের পর এক খালিস্তানি জঙ্গি। ইন্ধন জোগাচ্ছে ভারত বিরোধী আন্দোলনে। যে কারণে মাঝে মধ্যেই ভারতের পঞ্জাবে মাথাচাড়া দিচ্ছে খালিস্তানি আন্দোলন।

    আরও পড়ুুন: পান্নুর হুমকি হিন্দুদের, খালিস্তানি জঙ্গি দমনের সাহস দেখাতে পারবেন কি ট্রুডো?

    বুধবার (Khalistani Terrorist) এনআইএ-র তরফে কানাডা সরকারকে ৪৩ জন বিচ্ছিন্নতাবাদীর নাম পাঠানো হয়। অভিযোগ, তার পরেই নয়াদিল্লির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছে ট্রুডো সরকার। এর প্রেক্ষিতে দিন কয়েক আগে অরিন্দম  বাগচি এক ট্যুইট-বার্তায় বলেছিলেন, “এই ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী ও উগ্রপন্থীদের ওপর থেকে দৃষ্টি ঘুরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা। যারা ভারতের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি একটা হুমকি, তাদের কানাডায় আশ্রয় দেওয়া চলছে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Khalistani Terrorist: পান্নুর হুমকি হিন্দুদের, খালিস্তানি জঙ্গি দমনের সাহস দেখাতে পারবেন কি ট্রুডো?

    Khalistani Terrorist: পান্নুর হুমকি হিন্দুদের, খালিস্তানি জঙ্গি দমনের সাহস দেখাতে পারবেন কি ট্রুডো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড় বিপাকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো! তাঁর দশা অনেকটা শ্যাম রাখি না কূলের মতো। খালিস্তানিদের (Khalistani Terrorist) বাড়বাড়ন্তের জেরে ট্রুডোর ওপর বেজায় চটেছে ভারত। আবার সরকার বাঁচাতে খালিস্তানিদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপও করতে পারছেন না তিনি। গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো এই দোটানার মধ্যে এসেছে খালিস্তানি জঙ্গি গুরুপতবন্ত সিং পান্নুর হুমকি। কানাডায় বসবাসকারী হিন্দুদের হুমকি দিয়েছে এই মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি। সে বলেছে, কানাডিয়ান হিন্দুরা ভারতে ফিরে যাও।

    উদ্বেগে কানাডার সাংসদ

    এমতাবস্থায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কানাডিয়ান ভারতীয় সাংসদ চন্দ্র আর্য। আর্য ট্রুডোর দলেরই সাংসদ। ট্যুইটার (অধুনা এক্স) হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “দিন কয়েক আগে পান্নু (Khalistani Terrorist) হিন্দু-কানাডিয়ানদের হুমকি দিয়েছে। দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যেতে বলেছে। আমি অনেকের কাছ থেকেই এটা শুনেছি। পান্নুর হুমকিতে যাঁরা ভয় পেয়েছেন, তাঁদের কাছ থেকে।” তিনি বলেন, “হিন্দুফোবিয়ার কোনও ঘটনা ঘটলে স্থানীয় প্রশাসনকে জানান। খালিস্তান আন্দোলনের নেতারা কানাডায় হিন্দু এবং শিখদের মধ্যে বিভাজন ঘটাতে চাইছে।” 

    পান্নুর হুমকিতে অশনি সঙ্কেত দেখছেন হিন্দুরা

    প্রসঙ্গত, একটি ভিডিও বার্তায় পান্নু বলেছে, “হিন্দুরা ভারতে ফিরে যাও। তোমরা কানাডার সংবিধানকে অস্বীকার করেছ। তোমাদের গন্তব্য ভারত। কানাডা ছেড়ে ভারতে ফিরে যাও।” এমতাবস্থায় কানাডায় বসবাসকারী হিন্দুরা অশনি সঙ্কেত দেখছেন। ‘হিন্দু ফোরাম কানাডা’র তরফে সে দেশের জন-নিরাপত্তা মন্ত্রী দোমিনিক ল্য ব্লাঁকে চিঠি লিখেছেন। বর্তমানে কানাডার মোট জনসংখ্যার তিন শতাংশই হিন্দু। এঁদের হয়েই কাজ করে অন্টারিও ভিত্তিক ‘হিন্দু ফোরাম কানাডা’। ফোরামের তরফে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, “আমাদের সনির্বন্ধ অনুরোধ, হুমকির বিষয়টিকে আপনারা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করুন। এই হুমকি কানাডার নাগরিকদের ওপরও প্রভাব ফেলবে।”

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পান্নুর (Khalistani Terrorist) হুমকিতে ট্রুডোর দলেরই সাংসদ যতই উদ্বেগ প্রকাশ করুন না কেন, এই মোস্ট ওয়ান্টেড খালিস্তানি জঙ্গির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সহজ নয়। কারণ পান্নু মার্কিন নাগরিক। তাই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে না কানাডা সরকার। আবার আমেরিকাও পান্নুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে না। কারণ সে কানাডিয়ান হিন্দুদের হুমকি দিয়েছে। কানাডা যেভাবে দিনের পর দিন খালিস্তানি জঙ্গিদের ডেরা হয়ে উঠছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সে দেশে বসবাসকারী হিন্দু এবং শিখরাও। এমতাবস্থায় খালিস্তানি জঙ্গি দমনে শক্ত হাতে হাল ধরতে হবে ট্রুডোকে। তবে সরকার বাঁচানোর কথা না ভেবে শিরদাঁড়া সোজা করে খালিস্তানিদের দমন করতে পারবেন কি ট্রুডো? প্রশ্ন হল সেটাই।

    আরও পড়ুুন: ‘‘পাকিস্তানের মতোই জঙ্গিদের স্বর্গরাজ্য কানাডা’’, খালিস্তান ইস্যুতে কড়া বিবৃতি ভারতের

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Canada: চরমে দুই দেশের কূটনৈতিক বিবাদ, কানাডার ভিসা পরিষেবা বন্ধ করে কড়া পদক্ষেপ দিল্লির

    Canada: চরমে দুই দেশের কূটনৈতিক বিবাদ, কানাডার ভিসা পরিষেবা বন্ধ করে কড়া পদক্ষেপ দিল্লির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত ও কানাডার মধ্যে কূটনৈতিক বিবাদ এবার চরম পর্যায়ে পৌঁছালো। কানাডা (Canada) থেকে ভিসা পরিষেবা স্থগিত করল মোদি সরকার। যা জাস্টিন ট্রুডোর দেশের বিরুদ্ধে নেওয়া বড় পদক্ষেপ বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই খালিস্থানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যার জন্য ভারতকে অভিযুক্ত করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। তখন থেকেই দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি শুরু হয়। এমন অবস্থায় সে দেশে ভারতের এক কূটনীতিককে বহিষ্কার করে কানাডা, পাল্টা এদেশে নিযুক্ত কানাডার এক শীর্ষ কূটনীতিককে সেদেশে ফিরিয়ে দেয় ভারত।

    ওয়াকিবহল মহলের ধারণা, খালিস্থানি জঙ্গির হত্যা নিয়ে জাস্টিন ট্রুডো যে অভিযোগ করেছেন তারই জের এখন চলছে। আবার অন্য একটি মহলের মতে, কানাডা (Canada) খালিস্থানি জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে এবং সে দেশে ভারত বিরোধী সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের নানা নীল-নকশাও তৈরিও করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এমন অবস্থায় সে দেশ থেকে খলিস্তানি জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ বন্ধ করতেই এমন উদ্যোগ নিল মোদি সরকার। অথবা, কানাডার গোয়েন্দাদের সাধারণ বেশে ভারত আসার তত্ত্বও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

    এদিকে, কানাডা থেকে এক বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের আসার কথা ছিল। এই পদক্ষেপে সেই সম্ভাবনাও বিশ বাঁও জলে। গতকাল কানাডার নাগরিকদের জন্য বিশেষ যাত্রা নির্দেশিকা জারি করে ট্রুডো প্রশাসন। সেখানে বলা হয়, ভারতে সন্ত্রাস হামলার শঙ্কা রয়েছে। পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে। তাই ভারত যাত্রা এড়িয়ে চলুন। ভারতের এই পদক্ষেপ সেই নির্দেশিকার প্রতিক্রিয়াও হতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। 

    বন্ধ ভিসা পরিষেবা

    জানা গিয়েছে, এই ভিসা পরিষেবা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ থেকে বন্ধ হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত ভিসা পরিষেবা বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে বিএলএস ইন্ডিয়া ভিসা আবেদন কেন্দ্র তার ওয়েবসাইটে এ নিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।

    সোমবার ঠিক কী বলেছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী?

    কানাডার (Canada) মাটিতে ভারত বিরোধী খালিস্থানে জঙ্গি নিজ্জার হত্যা নিয়ে  কানাডার সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর ট্রুডো বলেন, ‘‘গত সপ্তাহে জি-২০ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সামনে বিষয়টি উত্থাপিত করি আমি। কানাডার মাটিতে, কানাডীয় নাগরিকের মৃত্যুর নেপথ্যে বহির্দেশের যোগসূত্র পাওয়া গেলে, তাতে আমাদের সার্বভৌমিকতা লঙ্ঘিত হয়, যা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’’ প্রসঙ্গত, নিজ্জা ছিল ভারতের নিষিদ্ধ জঙ্গি। কানাডায় (Canada) তাকে খুন করা হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Canada: ‘‘প্ররোচনার উদ্দেশ্য ছিল না’’, ভারত চাপ দিতেই খালিস্তান নিয়ে সুর বদল কানাডার

    Canada: ‘‘প্ররোচনার উদ্দেশ্য ছিল না’’, ভারত চাপ দিতেই খালিস্তান নিয়ে সুর বদল কানাডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খালিস্তানি জঙ্গি মৃত্যু ইস্যুতে এবার সুর নরম করল কানাডা (Canada)। ভারতের কড়া বার্তার পর উল্টো কথা বললেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। খালিস্তানি জঙ্গি খুনে ভারতের দিকে আঙুল তুলেছিলেন তিনি। এবার নিজের মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন ট্রুডো। জানালেন, কোনও ‘উসকানি’ দেওয়ার জন্য এই মন্তব্য করেননি তিনি।

    উল্টো সুর ট্রুডোর গলায়

    সোমবার কানাডার (Canada) বিদেশমন্ত্রী ভারতের এক শীর্ষ কূটনীতিবিদকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেন। শুধু তাই নয়, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো দাবি করেছিলেন, খালিস্তানপন্থি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জার মৃত্যুতে ভারতের সম্ভাব্য যোগ থাকতে পারে। কিন্তু, এরপর ২৪ ঘণ্টা কাটার আগেই কিছুটা কোণঠাসা হয়ে ট্রুডোর দাবি, তিনি ভারতকে প্ররোচনা দিতে চাননি বা ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি চাননি। তবে নিজের ভোটব্যাঙ্ককে পুরোপুরি চটানোরও সাহস দেখাতে পারেননি কানাডার প্রধানমন্ত্রী। ট্রুডো বলেন, “অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত ভারত সরকারের। আমরা সেটাই করছি। আমরা কোনও প্ররোচনা দিচ্ছি না বা (সংঘাত) বাড়াতে চাই না। পুরো বিষয়টি যাতে স্পষ্ট হয়ে যায়, সেজন্য আমরা ভারত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে চাই। একেবারে সঠিক পদ্ধতি মেনে পুরো বিষয়টি এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই আমরা।”

    আরও পড়ুন: ‘‘অভিযোগ অযৌক্তিক এবং ভিত্তিহীন’’! খালিস্তানি জঙ্গির মৃত্যু নিয়ে কানাডার দাবি খারিজ ভারতের

    কী নিয়ে সম্পর্কের অবনতি

    উল্লেখ্য, চলতি বছর ১৯ জুন কানাডায় (Canada) একটি গুরুদ্বারের সামনে গুলিতে কার্যত ঝাঁঝরা হয়ে যায় হরদীপ সিং নিজ্জরের দেহ। এর পিছনে ভারতের যোগ রয়েছে বলে দাবি করেছিল কানাডা। এক হিন্দু পুরোহিত, সাধারণ হিন্দু ও শিখ নাগরিকদের খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত ছিল হরদীপ। তার বিরুদ্ধে এনআইএ চারটি মামলা রুজু করেছে। মাথার দাম ১০ লাখ টাকা। কানাডায় খালিস্তানি সংগঠনের অন্যতম প্রথমসারির নেতা ছিল হরদীপ। সম্প্রতি এই ঘটনার জন্য এক ভারতীয় কূটনীতিবিদকে বহিষ্কারের নির্দেশ দেয় কানাডা। এই ঘটনার পর চুপ করে বসে থাকেনি ভারত। খলিস্তানি ভোটব্যাঙ্ককে প্রসন্ন রাখতে ট্রুডোরা যে কাজ করার চেষ্টা করছেন, সেটার মুখোশ খুলে দেয় নয়াদিল্লি। ভারতে কর্মরত কানাডার রাষ্ট্রদূতকে সাউথ ব্লকে ডেকে পাঠানো হয়। এরপরেই কানাডার শীর্ষ আধিকারিককে বরখাস্ত করার বিষয়টি সামনে আসে। অবশেষে ভারতের চাপে আসল সত্যি সামনে আনার কথা বলল কানাডা। 

  • Nawaz Sharif: “ভারত চাঁদে যাচ্ছে, ডলারের জন্য ভিক্ষে করছে পাকিস্তান”, আক্ষেপ নওয়াজ শরিফের

    Nawaz Sharif: “ভারত চাঁদে যাচ্ছে, ডলারের জন্য ভিক্ষে করছে পাকিস্তান”, আক্ষেপ নওয়াজ শরিফের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারত যখন চাঁদে যাচ্ছে, তখন ডলারের জন্য ভিক্ষে করছে পাকিস্তান।” কথাগুলি যিনি বললেন, তিনি এক সময় শাসন করেছেন পাকিস্তান। পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ (Nawaz Sharif) আরও বলেন, “ভারত চাঁদে যাচ্ছে। ভারতে হয়েছে জি২০ শীর্ষ সম্মেলন। অথচ পাকিস্তান এক বিলিয়ন ডলারের জন্য ভিক্ষে করছে।”

    ‘পাকিস্তান ধার মেটাতে পারছে না’

    দেউলিয়া হতে বসা দশা থেকে দেশকে উদ্ধার করতে বন্ধু দেশগুলির দোরে দোরে ঘুরছে পাক সরকার। এদিন সে প্রসঙ্গ টেনে নওয়াজ বলেন, “পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বেজিং গিয়েছিলেন। আরব দেশগুলিতে গিয়েছিলেন। ভিক্ষের বাটি নিয়ে তিনি গিয়েছিলেন। ফান্ডের জন্য তিনি ভিক্ষে চেয়েছিলেন। পাকিস্তান তার ধার মেটাতে পারছে না, এটা অত্যন্ত হতাশার।” পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ (Nawaz Sharif) ২০১৯ সালের নভেম্বর মাস থেকে লন্ডনে নির্বাসিত রয়েছেন। সেখান থেকেই তোপ দাগেন পাক সরকারকে।

    শরিফের নিশানায় আর কারা?

    প্রাক্তন পাক সেনা প্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া এবং আইএসআইয়ের তৎকালীন ডিজি তথা গুপ্তচরদের মাথা ফৈয়জ হামিদকেও আক্রমণ শানিয়েছেন নওয়াজ। পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে পাকিস্তানের মসনদে বসিয়েছিলেন এঁরাই।

    পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন হতে পারে চলতি বছরই। সে দেশের তদারকি সরকার তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন করানোর প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে। তবে সেনাবাহিনীর শিলমোহর মিললেই হবে নির্বাচন। সূত্রের খবর, এহেন পরিস্থিতিতে দেশে ফেরার চেষ্টা চালাচ্ছেন নওয়াজ। মাস কয়েক আগে গুঞ্জন ছড়ায়, দেশে ফিরতে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন নওয়াজ (Nawaz Sharif)। জল্পনার কারণ ছিল, পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের গভর্নর লন্ডনে গিয়ে দেখা করেন নওয়াজের সঙ্গে। পাকিস্তানের বর্তমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দূরাবস্থা নিয়ে আলোচনা হয় দু’ জনের।

    প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসে বিজেপির নেতৃত্বে নরেন্দ্র মোদির সরকার। তার পরের বছর ডিসেম্বরে আচমকাই লাহোরে পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজের বাড়িতে হাজির হন মোদি। মোদি বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিলেও, পাকিস্তান অটল থাকে স্বধর্মে। মোদি পাকিস্তান ছেড়ে দেশের ফেরার দিন কয়েক পরেই পাঠানকোট বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হামলা চালায় পাকিস্তানি ফিদায়েঁ জঙ্গিরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India To Trudeau: খালিস্তান ইস্যুতে পাল্টা জবাব দিল্লির! কানাডার শীর্ষ কূটনীতিককে বহিষ্কার ভারতের

    India To Trudeau: খালিস্তান ইস্যুতে পাল্টা জবাব দিল্লির! কানাডার শীর্ষ কূটনীতিককে বহিষ্কার ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে নিযুক্ত কানাডার আধিকারিককে বরখাস্ত করল বিদেশ মন্ত্রক। ভারতের কূটনীতিককে বহিষ্কারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই পদক্ষেপ করল নয়াদিল্লি। ৫ দিনের মধ্যে ওই কূটনীতিককে ভারত থেকে চলে যেতে বলা হয়েছে। ওই কূটনীতিক ভারতের অভ্যন্তরে বেশ কিছু কাজে হস্তক্ষেপ করছিলেন বলে অভিযোগ। দাবি, ভারত-বিরোধী কার্যকলাপেও যুক্ত ছিলেন ওই কুটনীতিক।

    কেন বরখাস্ত করা হল?

    খালিস্তানি জঙ্গি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যা মামলায় ভারতের যোগ থাকার অভিযোগ তুলেছে কানাডা সরকার। একইসঙ্গে কানাডার ভারতীয় শীর্ষ কূটনৈতিককে বরখাস্ত করেছে ট্রুডো প্রশাসন। এরই জবাব দিল ভারত, মনে করছে কুটনীতিক মহল। মঙ্গলবার সকালে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে কানাডার রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠানো হয়। দিল্লির সাউথ ব্লকে কানাডার রাষ্ট্রদূত হাজির হলে সে দেশের এক শীর্ষ আধিকারিককে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়।

    ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে একটি অফিসিয়াল বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, ভারতে নিযুক্ত কানাডার এক শীর্ষ আধিকারিককে বরখাস্ত করা হচ্ছে। আগামী পাঁচদিনের মধ্যে দেশ ছাড়তে হবে তাঁকে। দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাচ্ছে কানাডার কূটনীতিকরা। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত। দেশবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গেও জড়িত এই কূটনৈতিকরা। ফলে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘‘অভিযোগ অযৌক্তিক এবং ভিত্তিহীন’’! খালিস্তানি জঙ্গির মৃত্যু নিয়ে কানাডার দাবি খারিজ ভারতের

    দেশ সবার আগে

    এই ইস্যুতে এবার মোদি সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র জয়রাম রমেশ খালিস্তানি জঙ্গি মৃত্যু ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারের পাশে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস সব সময় বিশ্বাস করে যে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের দেশের লড়াই আপসহীন হতে হবে। বিশেষ করে যখন সন্ত্রাস ভারতের সার্বভৌমত্ব, ঐক্য এবং অখণ্ডতাকে হুমকির মুখে ফেলছে। আমাদের দেশের স্বার্থ এবং উদ্বেগ সর্বদা সর্বাগ্রে রাখতে হবে।’ সম্প্রতি অপারেশন ব্লু স্টারের ৩৯তম বার্ষীকি উপলক্ষে কানাডার ব্র্যাম্পটনে ‘শোভাযাত্রা’ বের করেছিল খালিস্তানপন্থীরা। সেই প্যারেডে ইন্দিরা গান্ধীর হত্যাকাণ্ডের ট্যাবলো প্রদর্শিত হয়েছিল। যা নিয়ে ভারত সরকারের তরফে কড়া ভাষায় বার্তা দেওয়া হয়েছিল কানাডাকে। তবে কানাডা সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে দাবি করেছিল, সেই ঘটনা নাকি জাতিবিদ্বেষী নয়। এরপর থেকেই ক্রমে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে ভারত-কানাডার সম্পর্ক। গতকাল, নিজ্জরের হত্যায় ভারতের ভূমিকা রয়েছে বলে অভিযোগ করেন খোদ কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, যাকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেয় ভারত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • India To Trudeau: ‘‘অভিযোগ অযৌক্তিক এবং ভিত্তিহীন’’! খালিস্তানি জঙ্গির মৃত্যু নিয়ে কানাডার দাবি খারিজ ভারতের

    India To Trudeau: ‘‘অভিযোগ অযৌক্তিক এবং ভিত্তিহীন’’! খালিস্তানি জঙ্গির মৃত্যু নিয়ে কানাডার দাবি খারিজ ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘কানাডা সরকারের (India To Trudeau) অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। খালিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যায় ভারতের কোনও যোগ নেই।’’ বিদেশ মন্ত্রকের তরফে অফিসিয়াল বিবৃতি দিয়ে এই কথা ঘোষণা করা হল। কানাডা (Canada) থেকে ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করা এবং খলিস্তানি জঙ্গি যোগের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিদেশ মন্ত্রক বলেছে, ‘‘কানাডার সংসদে সেদেশের প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর বক্তব্য আমরা শুনেছি। কানাডার বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্যও আমরা শুনেছি। আমরা এই সব অভিযোগই খণ্ডন করছি। কানাডায় কোনও হিংসার ঘটনার সঙ্গে ভারত সরকারের যোগ থাকার অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা। এর আগেও কানাডার প্রধানমন্ত্রী আমাদের প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তখনও আমরা তা খণ্ডন করেছিলাম।’’

    কী বলল বিদেশমন্ত্রক

    গত জুন মাসে হরদীপ সিং নিজ্জর নামক এক খলিস্তানি জঙ্গিকে হত্যার ঘটনায় নাকি যুক্ত ছিলেন এক ভারতীয় কূটনীতিক বলে সংসদে দাঁড়িয়ে এমনটাই মন্তব্য করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো (India To Trudeau)। এরপর কানাডার বিদেশমন্ত্রী মেলানিয়া জোলি ভারতের শীর্ষ কূটনীতিককে কানাডা থেকে বহিষ্কার করেন। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের বক্তব্য, এই ধরনের প্রমাণ ছাড়া তোলা অভিযোগ খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী এবং চরমপন্থীদের থেকে মনোযোগ সরাতেই তৈরি করা হচ্ছে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, ‘‘কানাডার প্রধানমন্ত্রী তাঁদের সংসদে দাঁড়িয়ে যে অভিযোগ করেছেন তা প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অযৌক্তিক এবং ইচ্ছাকৃত।’’ বিদেশমন্ত্রকের এক কর্তা জানান, ভারতের কূটনীতিককে বহিষ্কার করা কানাডার সঠিক পদক্ষেপ হয়নি। এর প্রত্যুত্তর দেবে দিল্লি। সেক্ষেত্রে, একই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে ভারতও।

    আরও পড়ুন: প্রসঙ্গ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, এবার মোদি-স্তুতি শোনা গেল পুতিনের গলায়ও

    ব্যবস্থা নিক কানাডা সরকার, দাবি ভারতের

    বিদেশ মন্ত্রকের (India To Trudeau) তরফে প্রকাশিত অফিসিয়াল বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘‘আমরা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। এখানে আইনের ভূমিকা সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। কোনও তথ্য প্রমাণ ছাড়া এই ধরনের অভিযোগগুলি খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী এবং চরমপন্থীদের থেকে ফোকাস সরিয়ে নিতে তৈরি করা হচ্ছে। যাদের কানাডায় আশ্রয় দেওয়া হয়েছে এবং ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে যারা ক্রমাগত হুমকি দিয়ে চলেছে, তাদের থেকে নজর সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এই বিষয়ে কানাডিয়ান সরকারের নিষ্ক্রিয়তা উদ্বেগজনক। কানাডিয়ান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা প্রকাশ্যে এই ধরনের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছে যা গভীর উদ্বেগের বিষয়।’’ 

    কানাডা সরকারকে নিশানা করে হুমকির সুরেই বিদেশ মন্ত্রক বলে, ‘‘কানাডায় খুন, মানব পাচার এবং সংগঠিত অপরাধ সহ বিভিন্ন বেআইনি কার্যকলাপ নতুন নয়। এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে ভারত সরকারকে যুক্ত করার প্রচেষ্টা আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। কানাডা সরকারকে ভারত-বিরোধী সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে দ্রুত এবং কার্যকরী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bengal Football: পুরোটাই গিমিক! লা লিগার অ্যাকাডেমি করে কি আদৌ লাভ হবে বাংলার ফুটবলের?

    Bengal Football: পুরোটাই গিমিক! লা লিগার অ্যাকাডেমি করে কি আদৌ লাভ হবে বাংলার ফুটবলের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশিচমবঙ্গে ফুটবল অ্যাকাডেমি তৈরি করবে লা লিগা কর্তৃপক্ষ। মাদ্রিদে বসে সদর্পে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপধ্যায় (Mamata Banerjee)। স্বাক্ষরিত হল মউ। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, এই অ্যাকাডেমি তৈরি করে কি আদৌ কোনও লাভ হবে বাংলার ফুটবলের? নাকি পুরোটাই গিমিক। 

    কীসের তাগিদ লা-লিগার

    বাংলার ফুটবল (Bengal Football) উন্নতিতে লা লিগার বিশেষ তাগিদ না থাকাই স্বাভাবিক। তারা আসলে মার্কেট ধরার চেষ্টা করছে। বাংলায় ফুটবলের বিপুল জনপ্রিয়তার কথা সকলরেই জানা। যা ধরা পড়েছে লা লিগার প্রসিডেন্ট জাভিয়ার তেভেজের ট্যুইটেও। আর এই সুযোগটাই তিনি কাজে লাগাতে চাইছেন স্পেনের ফুটবল বাজারকে সম্প্রসারিত করতে। একটা সময় ভীষণই জনপ্রিয় ছিল লা লিগা। বার্সেলোনার জার্সিতে মেসি কিংবা রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে রোনাল্ডোর খেলা দেখার জন্য রাত জাগত বাংলার আপামর ফুটবলপ্রেমী। কিন্তু এখন কেউ ফিরেও তাকায় না স্প্যানিস ফুটবলের দিকে। তার একটাই কারণ—মেসি, রোনাল্ডাদের অনুপস্থিতি। তাঁরা স্পেন ছাড়ার পর লা লিগার জনপ্রিয়তা দ্রুত কমেছে। আগ্রহ হারাচ্ছে স্পনসর ও সম্প্রচারকারী সংস্থা। তাই লা লিগায় জোয়ার আনতে ভারতীয় ফুটবলের বাজার ধরতে মরিয়া জাভিয়ার। 

    রাজ্যের ফুটবল তলানিতে

    গত কয়েক বছর ধরেই ভারতীয় ফুটবলের বাজার ধরতে মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে লা লিগা। মাঝে মধ্যেই ভারতে ছুটে আসেন  লা লিগার প্রসিডেন্ট জাভিয়ার। দিল্লিতে খুলেছেন অফিসও। কিন্তু তেমন সাড়া না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত বাংলাকে বেছে নিয়েছে লা লিগা কর্তৃপক্ষ, এমনটাই মত ফুটবল পণ্ডিতদের। বাংলার মাটিতে অ্যাকাডেমি তৈরির মউ স্বাক্ষর আসলে অশ্বডিম্ব প্রসবের প্রথম পদক্ষেপ। যে রাজ্যের ফুটবল তলানিতে, সেখানে লা লিগার মতো সংস্থার অ্যাকাডেমি তৈরি করে কোনও লাভ যে হবে না, তা ভালোই জানেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যাপাধ্যায় ও লা লিগা কর্তৃপক্ষ। 

    প্রচারের আলোয় থাকার নেশা মমতার

    আসলে প্রচারের আলোয় থাকাটা নেশা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এক্ষেত্র সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো স্পোর্টস আইকনকে সঙ্গী করেছেন মাদ্রিদ সফরে। সৌরভের ইমেজকে কাজে লাগানোর প্রয়াস অতীতেও করেছেন তিনি। সৌরভ নিজেও জানেন, এসব করে কিছু হবে না। তিনি বহুদিন ধরে এটিকে কলকাতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদও পরে কলকাতার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে। 

    আরও পড়ুন: মউ স্বাক্ষরই সার, মমতার এবারের বিদেশ সফরের নিটফল সেই ‘অশ্বডিম্ব’!

    ময়দানে পিছিয়ে বাংলা

    আসলে, শুধু শিল্প, শিক্ষায় নয়, খেলাধুলাতেও দেশের অন্য রাজ্যের সঙ্গে লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়ছে পশ্চিমবঙ্গ। তার বহু উদাহরণ রয়েছে। একসময় সন্তোষ ট্রফিতে বাংলার (Bengal Football) দাপট ছিল নিরঙ্কুশ। কিন্তু এটা দুর্ভাগ্যের যে, ২০১৬-১৭ মরশুমের পর বাংলা আর সন্তাষ ট্রফি জিততে পারেনি। কয়েকদিন আগেই এশিয়া গেমসের জন্য ভারতীয় দল ঘোষণা হয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছেন বাংলার মাত্র একজন ফুটবলার। আসলে মুখ্যমন্ত্রী তাঁরা জামানায় বাংলার খেলাধুলার বিপর্যয় স্পষ্ট দেখতে পারছেন। শুধু ফুটবল কেন, ক্রিকেটেও একই অবস্থা। বাংলার ছেলেরা সুযোগ পান না কলকাতা নাইট রাইডার্স দলে। আর সেই দলের অন্যতম মালিক শাহরুখ খানকে জামাই আদর করেন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডরও করা হয়। আসলে মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়াটা অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন। তাঁর এই স্পেন সফর কিংবা লা লিগার সঙ্গে বাংলায় অ্যাকাডেমি তৈরি নিয়ে মউ স্বাক্ষর আসলে নিজের ব্যর্থতা ঢাকার একটা অজুহাত মাত্র। যা দিয়ে ব্যর্থতা ঢাকা পড়বে না।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Mamata Banerjee: মউ স্বাক্ষরই সার, মমতার এবারের বিদেশ সফরের নিটফল সেই ‘অশ্বডিম্ব’!

    Mamata Banerjee: মউ স্বাক্ষরই সার, মমতার এবারের বিদেশ সফরের নিটফল সেই ‘অশ্বডিম্ব’!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনেও ভুরি ভুরি বৈঠক আর রাশি রাশি গালগপ্পো করেছে রাজ্যবাসী। কিন্তু, কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সেই অর্থে কোনও লগ্নি আসেনি রাজ্যে। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) রাজ্যে বাণিজ্যের প্রসারের জন্য স্পেন সফরে গিয়েছেন। বৈঠকও হচ্ছে নানা সংস্থার সঙ্গে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর এত বৈঠক-আলোচনা, এত মউ স্বাক্ষরের নিট ফল কী হবে? লগ্নি আসবে তো? এই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে বিশষজ্ঞ মহলে।

    মুখ্যমন্ত্রীর দাবি ঘিরে প্রশ্ন

    সূত্রের খবর, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee) মাদ্রিদের ইন্ডিটেক্স গ্রুপের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন। এটা মূলত একটি ফ্য়াশন গ্রুপ। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, বাংলায় এই বিপণী সংস্থা উৎপাদন ইউনিট খুলতে পারে। তাঁর দাবি, চলতি বছরের বড়দিনের আগেই নাকি বাংলায় উৎপাদন শুরু করবে এই সংস্থা। ট্যুইটারে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘‘টেম্পে গ্রুপো ইন্ডিটেক্স (জারা) বস্ত্র শিল্পে বড় উদ্যোগী। তারা বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে গাটছঁড়া বেঁধে বাংলায় তাদের ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট তৈরি করতে পারে। ২০২৩ সালের বড়দিনের আগে তারা বাংলায় উৎপাদন শুরু করতে পারে।’’

    আরও পড়ুন: ‘জওয়ান’ কংগ্রেস সরকারের দূর্নীতিকে তুলে ধরেছে! শাহরুখকে ধন্যবাদ বিজেপির

    মুখ্যমন্ত্রীর এই দাবি কতটা বাস্তবসম্মত, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকই যায়। সবেমাত্র এই সংস্থার সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। এখনও কোনও লিখিত কিছুই হয়নি, পুরোটাই আলোচনার টেবিলেই সীমাবদ্ধ। এদিকে বড়দিন বড়জোর ৩ মাস বাকি। এখানেই প্রশ্ন হল, এত দ্রুত রাজ্যের কোনও এক বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে জোট বেঁধে ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট সেট-আপ করে ৩ মাসের মধ্যে উৎপাদন শুরু করে দেওয়া আদৌ সম্ভব কি? 

    পিইউ কারখানাও কি অশ্বডিম্ব প্রসব করবে?

    ২০১৯ সালের বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটে ডাউন স্ট্রিম পলিমার অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রি নামে একটা পর্ব ছিল। সেখানে প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে অনেক সময় নষ্ট করা হয়েছিল। কিন্তু, কাজের কাজ কিছুই হয়নি। নিট ফলাফল শূন্য ছিল। চার বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) স্পেন সফরে আচমকা ফিরে এল সেই প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রি প্রসঙ্গ। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ভর্তুকিতে ১০০ একর জমি পেলে, স্পেনের সংস্থা নাকি এরাজ্যে পিইউ কারখানা তৈরি করতে পারে। প্রশ্ন এখানেই— জমি দেবে রাজ্য! তারা তো জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে। আর যে জমি ল্যান্ড ব্যাঙ্কে রয়েছে, সেটা কতটা ব্যবহারযোগ্য, তা নিয়ে জোর সন্দেহ। ফলে, মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রকল্পটিও যে অশ্বডিম্ব প্রসব করতে, তা বলাই বাহুল্য। 

     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share