Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Tarek Fatah: ধর্মীয় বিভাজন এবং ইসলামি চরমপন্থার কঠোর সমালোচক ছিলেন তারেখ ফাতেহ

    Tarek Fatah: ধর্মীয় বিভাজন এবং ইসলামি চরমপন্থার কঠোর সমালোচক ছিলেন তারেখ ফাতেহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তারেক ফাতেহ (Tarek Fatah) জন্মসূত্রে পাকিস্তানি হলেও মননে একজন ভারতীয় হিন্দুস্থানি। অত্যন্ত বিদগ্ধ বক্তা, লেখক, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, গবেষক এবং কট্টর জেহাদিদের বিশেষ সমালোচক ছিলেন তারেক ফাতেহ (Tarek Fatah)। তাঁর জন্ম ১৯৪৯ সালের ২০ নভেম্বর এবং মৃত্যু ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল। পৈতৃক বাসস্থান ছিল অবিভক্ত ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশে। মুসলমান পাঞ্জাবি পরিবারে জন্ম। পাকিস্তানের করাচি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জৈব রসায়নে ডিগ্রি। ১৯৬০ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত ছাত্র আন্দোলনে যোগদান করেন। ৭৩ বছরের অতিহাবিত করার পর মারণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তাঁর জীবনাবসান ঘটে।

    জীবনাদর্শ

    ভারতীয় সংস্কৃতির একক সূত্রকে অনুভব করতেন তিনি (Tarek Fatah) এবং এই সংস্কৃতি ভারতকে বিশ্বের সঙ্গে এবং বিশ্বকে ভারতের সঙ্গে এক সূত্রে বাঁধতে পারে বলে বিশ্বাস করতেন। ভারতের ধর্মীয় বিভাজন এবং জেহাদি ইসলামি চরমপন্থার কঠোর সমালোচক ছিলেন। ইসলামি শরিয়াবিধি শাসনের ছিলেন তীব্র বিরোধী। পাকিস্তান রাষ্ট্রের পরিকাঠামো, উন্নয়ন এবং সামজিক প্রগতিশীলতা নিয়ে গভীর চিন্তার রেখাপাত ঘটেছে বিভিন্ন সময়ে তাঁর লেখা এবং বক্তৃতায়। আর এজন্য পাকিস্তানের জেহাদি কট্টরপন্থীরা বেশ কয়েকবার হামলা চালায় তাঁর উপর।

    সাংবাদিকতা ও রাজনীতি

    ১৯৭০ সালে ‘করাচি সান’ পত্রিকায় বিশেষ লেখালেখির কাজ শুরু করেন। পরে পাকিস্তানের টেলিভিশন সংবাদ মাধ্যমে বিশেষ তদন্তমূলক সংবাদ প্রকাশনার কাজ শুরু করেন। তাঁর (Tarek Fatah) বিতর্কিত সরকার বিরোধী মনোভাব সম্পর্কে লেখালেখির জন্য জিয়া-উল-হক পাক সরকার তাঁর লেখালেখি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তাঁর উপর বিশেষ নিষেধজ্ঞা জারি করে। এরপর ১৯৮৭ সালে পাকিস্তান ছেড়ে প্রথমে সৌদি আরব এবং পরে কানাডায় চলে যান। সেখানে গিয়ে ২০০৬ সালে NDP ছেড়ে রাজনৈতিক দল Liberal Party Of Canada’s Leadership-এ যোগদান করেন। ২০০৯ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত টরন্টো রেডিও স্টেশন ‘CFRB নিউজ টক ১০১০’ তে কাজ করেছেন। পাশাপাশি ২০২১ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত টরন্টো সান নিউজ নেটওয়ার্কে সম্প্রসারণের কাজ করতেন। ২০১৮ সালে থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তিনি (Tarek Fatah) ‘হোয়াট দ্য ফাতেহ’ নামে নিউ দিল্লি টাইমস নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলে নিয়মিত বক্তৃতা রাখতেন। তাঁর বক্তব্য এবং বিষয়ের বিশ্লেষণ কট্টরপন্থীদের বিরুদ্ধে এবং মানবতার পক্ষে থাকত।

    প্রগতিশীল চিন্তাবিদ এবং লেখক 

    পাকিস্তান রাষ্ট্র নির্মাণের পিছনে যে সংকীর্ণ দ্বিজাতিতত্ত্ব সক্রিয় ছিল, সেই বিষয়কে তাঁর (Tarek Fatah) সময় দিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করতেন। দেশ বিভাজন এবং সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে বিষয়কে প্রাসঙ্গিক করে তুলতেন। ভারতের কাশ্মীর প্রসঙ্গে তাঁর ভাবনা ছিল খুব স্পষ্ট। কাশ্মীরের সীমান্তবর্তী এলাকায় পাক জঙ্গিদের অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং নাশকাতামূলক কাজে ইসলামি জঙ্গি সংগঠনের ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করতেন। তাঁর লেখা বইগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল “চেজিং এ মিরাজ: দ্য ট্রাজিক ইলিউজন অফ অ্যান ইসলামিক স্টেট” ২০০৮ এবং “দ্য জিউ ইজ নট মাই এনিমি: অ্যান লেভিং দ্য মিথস দ্যাট ফুয়েল মুসলিম অ্যান্টি-সেমিজম” ২০১০। শুধু তাই লেখার সাহিত্যগুণে বার্ষিক হেলেন, স্যান ভাইন কানাডিয়ান সাহিত্য পুরস্কারের মতো বিশেষ সম্মান পান ফাতেহ সাহেব।

    মৃত্যুর পর বিভিন্ন মহলে প্রতিক্রিয়া

    পাঞ্জাবের সিংহ, হিন্দুস্থানের পুত্র, কানাডাপ্রেমী এবং সত্যের জন্য বিশিষ্ট বক্তা বলে মৃত্যুর পর সম্মাজ্ঞাপক শব্দ নিবেদন করেন তাঁর কন্যা। তারেক ফাতেহের (Tarek Fatah)  মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সরকার্যবাহ শ্রী দত্তাত্রেয় হোসাবলে বলেন, উনি একজন বিশিষ্ট চিন্তাবিদ, লেখক এবং অত্যন্ত সুবক্তা ছিলেন। সাহিত্য রচনা এবং সংবাদ মাধ্যমে তাঁর অবদান খুব গুরুত্বপূর্ণ। নিজের ব্যক্তিত্বের ভাবনা দিয়ে সমাজের কাছে প্রয়োজনীয় বিষয় উপস্থাপন করতেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ukraine Maa Kali Controversy: মা কালীর বিকৃত ছবি পোস্ট! ভারতীয়দের তীব্র প্রতিবাদে ট্যুইট মুছল ইউক্রেন

    Ukraine Maa Kali Controversy: মা কালীর বিকৃত ছবি পোস্ট! ভারতীয়দের তীব্র প্রতিবাদে ট্যুইট মুছল ইউক্রেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার মা কালীর বিকৃত ছবি (Ukraine Maa Kali Controversy) পোস্ট করা হয় ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অফিসিয়াল ট্যুইটার হ্যাণ্ডেল থেকে। যার জেরে সোশাল মিডিয়ায় উঠল প্রতিবাদের ঝড়। নেটিজেনদের প্রবল সমালোচনা এবং প্রতিবাদের মুখে পড়ে পোস্টটি অবশ্য সরিয়ে নেয় ইউক্রেন। যদিও ততক্ষণে ভাইরাল হয়ে যায় ওই ছবি।

    মা কালীর বিকৃত ছবি (Ukraine Maa Kali Controversy)…

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পোস্ট করা ছবিতে দু’টি অংশ দেখা যাচ্ছে। পাশাপাশি দুটি অংশের মধ্যে প্রথমটিতে আকাশ জুড়ে ঘন কালো মেঘ দেখা যাচ্ছে। দ্বিতীয় অংশের ছবিতে উল্লম্ব মেঘের মধ্যে থেকে একজন মহিলাকে উঠে আসতে দেখা গিয়েছে। নারী মূর্তি জিভ বের করে আছেন, গলায় মুণ্ডমালা এবং যাঁর চুলের স্টাইল কিংবদন্তী হলিউড অভিনেত্রী মেরিলিন মনরোর মতো।

    তীব্র ক্ষোভ নেটিজেনদের

    আর এই ছবি মাইক্রো ব্লগিং সাইটে পোস্ট হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন নেটিজেনরা। হিন্দুদের ভাবাবেগে চরম আঘাত বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, ভবিষ্যতে ইউক্রেনকে বিভিন্ন ইস্যুতে সাহায্য করা উচিত কিনা, তাই নিয়েও প্রশ্ন তোলেন নেট নাগরিকরা। এক নেটিজেন লেখেন, ‘‘এই কারণে ভারতকে পাশে পায় না ইউক্রেন।” আরেক জন লেখেন, “আমাদের বিশ্বাস ইউক্রেনের কাছে ব্যঙ্গের উপকরণ! এটাই তাদের কাছে Work of Art?” অপর এক নেটিজেন বলেন, “১৪০ কোটি ভারতবাসীর বিশ্বাসে আঘাত করেছে এই বিকৃত ছবি। ইউক্রেনও হিন্দু ফোবিয়ায় আক্রান্ত!” শুধু তাই নয়, এই ইস্যুতে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর ও ট্যুইটারের CEO ইলন মাস্কের কড়া পদক্ষেপ দাবি করেছেন নেটিজেনরা। 

    কী বলল ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক?

    এই ইস্যুতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের এক সর্বোচ্চ আধিকারিক লেখেন, “কয়েকদিন আগেই ইউক্রেনের উপ বিদেশমন্ত্রী দিল্লিতে এসেছিলেন। ভারতের কাছে সাহায্যও চান তিনি। কিন্তু তারপর যেটা হল, তাতে ইউক্রেনের আসল চেহারা বেরিয়ে পড়েছে। ব্যঙ্গচিত্রের নামে গোটা বিশ্বের হিন্দুদের অনুভূতির উপর হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BBC: বিবিসির চেয়ারম্যান পদে ইস্তফা ঘোষণা রিচার্ড শার্পের

    BBC: বিবিসির চেয়ারম্যান পদে ইস্তফা ঘোষণা রিচার্ড শার্পের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পদত্যাগ করার কথা ঘোষণা করলেন বিবিসির (BBC) চেয়ারম্যান রিচার্ড শার্প। প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে ৮০ হাজার পাউন্ডের একটি ব্যাঙ্ক ঋণ পাইয়ে দিতে তিনি সাহায্য করেছিলেন। এজন্য তিনি অনিয়ম করেছিলেন বলে অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ স্বীকার করে নিয়ে শুক্রবার পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন রিচার্ড শার্প।

    বিবিসির (BBC) চেয়ারম্যানের দাবি…

    পদত্যাগপত্রে অবশ্য ‘স্বীকারোক্তি’ দেননি তিনি। তাতে তিনি দাবি করেছেন, এটি ছিল একটি অনিচ্ছাকৃত ভুল। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিসের সঙ্গে কোম্পানির চেয়ারম্যানের এই গোপন বোঝাপড়া প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিবিসির ব্রিটেন শাখার কর্মীদের একটা বড় অংশ। তার পরেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন রিচার্ড শার্প। তবে এখনই পদ থেকে সরে যাচ্ছেন না তিনি। নয়া চেয়ারম্যান দায়িত্ব নেওয়ার আগে পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে যাবেন শার্প। পদত্যাগের সিদ্ধান্ত ঘোষণার সময় বিবিসির চেয়ারম্যান জানান, বিবিসির স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

    তাঁর (BBC) দাবি, সচেতনভাবে কোনও অনিয়ম তিনি করেননি। এটি ছিল অনিচ্ছাকৃত ভুল। রিচার্ড শার্প মনে করেন, তাঁর মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিবিসির এই পদে থাকলে তা বিভ্রান্তিকর হতে পারে। প্রসঙ্গত, বিবিসি যখন কোনও চেয়ারম্যান নিয়োগ করে, তখন তাঁর মনোনয়ন আসে সরকারের কাছ থেকে। কিন্তু একটি বোর্ডের কাছে ওই ব্যক্তিকে সরকারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথাটি স্পষ্ট করে জানাতে হয়। কিন্তু রিচার্ড শার্প যখন চেয়ারম্যান হন, তখন তিনি ঋণের বিষয়টি চেপে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।

    আরও পড়ুুন: রেড রোডে দলের সংখ্যালঘু সেলের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধলেন শুভেন্দু! কী বললেন?

    জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিবিসির (BBC) চেয়ারম্যান পদে বসেন শার্প। মেয়াদ ছিল চার বছর। তার আগেই পদত্যাগ করতে হল তাঁকে। চলতি বছরের জুন পর্যন্ত সরকারকে তাঁর উত্তরসূরি খোঁজার জন্য সময় দিয়েছেন শার্প। কিছুদিন আগেই একবার ব্যাপক চর্চার কেন্দ্রে চলে এসেছিল বিবিসি। ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চন’ নিয়ে একটি তথ্যচিত্র তৈরি করেছিল বিবিসি। সেখানে গুজরাট হিংসা নিয়ে মোদির ভূমিকা তুলে ধরা হয়েছিল। যার জেরে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। বিবিসির ওই তথ্যচিত্র প্রদর্শন নিয়ে অশান্তিও হয়েছে দেশের বিভিন্ন অংশে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Operation Kaveri: যুদ্ধ বিধ্বস্ত সুদান! আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধারকাজে বায়ুসেনা ও নৌসেনা

    Operation Kaveri: যুদ্ধ বিধ্বস্ত সুদান! আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধারকাজে বায়ুসেনা ও নৌসেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে বিধ্বস্ত সুদান থেকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধারকাজ (Operation Kaveri) চালাচ্ছে ভারতীয় সেনা বাহিনী। তৃতীয় দফায় ভারতীয়দের উদ্ধারকাজ সম্পন্ন করেছে সেনা। বুধবার ভোরে সুদানে আটকে থাকা মোট ১৩৫ জন ভারতীয়কে উদ্ধার করে বায়ুসেনার আইএএফ সি-১৩০জে বিমানে করে সৌদি আরবের জেদ্দায় আনা হয়।

    অপারেশন কাবেরী

    সোমবারই সুদানে আটকে পড়া ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপদে দেশে ফেরাতে উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়ে দেন গৃহযুদ্ধে বিপর্যস্ত সুদান থেকে ভারতীয়দের সরিয়ে আনার সিদ্ধান্তের কথা। প্রথম পর্যায়ে সেই কাজ শুরুও হয়েছে। এবার ‘অপারেশন কাবেরী’-র (Operation Kaveri) দ্বিতীয় পর্যায়ে সুদান বন্দরের বাকি ২৫০ জন ভারতীয়কে বিমান বাহিনীর দুটি আইএ এফ সি-১৩০ জে ( IAF C-130 J) হারকিউলিস বিমানের সাহায্যে ফিরিয়ে আনা হয়। তাদের স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ভি মুরলীধরন। মঙ্গলবারই বিদেশ প্রতিমন্ত্রী সৌদি আরবের জেদ্দায় ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়ান স্কুল, যেখানে ভারতীয়দের সাময়িকভাবে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখেন।

    চলছে উদ্ধারকাজ

    ভারতীয় দূতাবাসের প্রতিনিধি জানান, মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত প্রায় ৭০০ ভারতীয় সুদানের বন্দরে এসে পৌঁছেছেন। আরও অন্তত পাঁচশো ভারতীয় বন্দরে পৌঁছনোর চেষ্টা করছেন। এদের মধ্যে একটি অংশকে নিয়েই প্রথম উদ্ধার অভিযান শুরু করে আইএনএস সুমেধা। ভারতীয় নৌ-সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, আইএনএস সুমেধা কমপক্ষে তিনবার সুদান থেকে জেদ্দা যাতায়াত করবে। যত সম্ভব ভারতীয়দের নিয়ে সুদানের বন্দর থেকে রওনা দেবে আইএনএস সুমেধা। উত্তর ও দক্ষিণ সুদানে আটকে থাকা ভারতীয়দের উদ্ধারে অবশ্য অন্য রাস্তা ভাবতে হয়েছে বিদেশমন্ত্রককে। সৌদি আরব, ফ্রান্স, আমেরিকা, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি মতো বন্ধু দেশগুলির মাধ্যমে তাঁদের উদ্ধার করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই উত্তর সুদান থেকে বেশ কয়েকজন ভারতীয়কে উদ্ধার করেছে সৌদি আরব, আমেরিকা ও ফ্রান্স।

    সুদানের সেনাপ্রধান আবদেল ফতাহ আল-বুরহান এবং আধাসেনা আরএসএফ বাহিনীর প্রধান মহম্মদ হামদান ডাগলো ওরফে হেমেত্তির বাহিনীর লড়াইয়ে নিহতের সংখ্যা ইতিমধ্যেই হাজার ছুঁতে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে শুধু বিদেশি নাগরিকেরাই নয়, রাজধানী খার্তুম এবং তার ‘যমজ শহর’ ওমদুরমান-সহ সুদানের বিভিন্ন শহর থেকে সাধারণ মানুষও পালাতে শুরু করেছেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh President: বাংলাদেশের নয়া রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিলেন সাহাবুদ্দিন

    Bangladesh President: বাংলাদেশের নয়া রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিলেন সাহাবুদ্দিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয়া রাষ্ট্রপতি পেল বাংলাদেশ (Bangladesh President)। সোমবার দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিলেন মহম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। তাঁর অধীনেই হবে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন। চলতি বছরই ওই নির্বাচন হওয়ার কথা। এদিন বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী বেলা ১১টায় বঙ্গভবনের ঐতিহাসিক দরবার হলে শপথ নেন সাহাবুদ্দিন। তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। বর্তমানে বাংলাদেশের ক্ষমতায় রয়েছে আওয়ামি লিগ। ১২ ফেব্রুয়ারি সাবাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন দেয় ক্ষমতাসীন দল। অন্য কোনও দল প্রার্থী না দেওয়ায় নির্বাচিত হন সাহাবুদ্দিন। ১৩ ফেব্রুয়ারি তাঁকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হয়। এদিন নিলেন শপথ। সাহাবুদ্দিন ছিলেন দেশের প্রাক্তন বিচারপতি। ছিলেন মুক্তিযোদ্ধাও। তিনি রাজনীতিবিদও। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠও তিনি।

    নয়া রাষ্ট্রপতিকে (Bangladesh President) অভিনন্দন…

    দেশের নয়া রাষ্ট্রপতিকে (Bangladesh President) অভিনন্দন জানিয়েছেন আওয়ামি লিগের নেতারা। তবে দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির তরফে এখনও কেউ অভিনন্দন জানাননি সাহাবুদ্দিনকে। নির্দল সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। আওয়ামি লিগ সরকারের ইস্তফাও দাবি করেছেন বিএনপি নেতৃত্ব। বাংলাদেশের বয়স ৫২ বছর। সাহাবুদ্দিন হলেন ২২তম রাষ্ট্রপতি। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি মহম্মদ জিল্লুরর রহমানের মৃত্যুর পর ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রথমে ৪১দিন দায়িত্ব সামলান আবদুল হামিদ। তার পরের দুটো টার্মেই তিনি ছিলেন রাষ্ট্রপতি। আবদুল হামিদই একমাত্র ব্যক্তি যিনি পর পর দুটো টার্ম অলঙ্কৃত করেছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির পদ।

    আরও পড়ুুন: এবার পাকিস্তানি নাগরিকের কণ্ঠে শোনা গেল ‘মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’ স্লোগান

    সাহাবুদ্দিনের (Bangladesh President) জন্ম ১৯৪৯ সালে, পাবনায়। ছাত্রজীবনে তিনি ছিলেন ছাত্রলিগের পাবনা জেলা সভাপতি। পরে হন পাবনা জেলা যুবলিগের সভাপতি। পাবনা জেলার স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক হিসেবে মুক্তিযুদ্ধেও অংশ নিয়েছিলেন তিনি। পরে যোগ দেন বিচারবিভাগে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান হত্যা মামলার বিচার চলাকালীন আইন মন্ত্রণালয় তাঁকে সমন্বয়কারী হিসেবে নিযুক্ত করেন। বিচার বিভাগের  বিভিন্ন পদে ২৭ বছর চাকরি করার পরে অবসর নেন জেলা আদালতের বিচারপতি হিসেবে। আওয়ামি লিগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্যও ছিলেন তিনি। এবার হলেন দেশের রাষ্ট্রপতি।

     

    শের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Earthquake: জোরালো ভূমিকম্প নিউজিল্যান্ডে! জারি সুনামি সতর্কতা

    Earthquake: জোরালো ভূমিকম্প নিউজিল্যান্ডে! জারি সুনামি সতর্কতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জোরালো ভূমিকম্প নিউজিল্যান্ডে। জারি করা হল সুনামির সতর্কতা। ভারতীয় সময় সোমবার ভোর ৬টা ১১ মিনিট নাগাদ কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলের কম্পনের তীব্রতা ছিল ৭.২। সঙ্গে সঙ্গেই ওই দ্বীপরাষ্ট্রটিতে সুনামির সতর্কতা জারি করেছে সংশ্লিষ্ট দফতর। 

    সুনামি সতর্কতা

    নিউজিল্যান্ডের কারমাডেক দ্বীপে এই তীব্র কম্পন অনুভূত হয়েছে। গতকাল সকালে ইন্দোনেশিয়ায় তীব্র ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.১। আতঙ্কিত হয়েছিলেন বাসিন্দারা। যদিও হতাহতের তেমন খবর পাওয়া যায়নি। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তরফে ট্যুইট করে কম্পনের কথা জানানো হয়েছে। তারা জানিয়েছে, এই কম্পনের উৎসস্থল ছিল মাটি থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। 

    ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা

    ভোরবেলা ভূমিকম্পের ফলে কী কী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, কেউ এর ফলে আহত হয়েছেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে আমেরিকার সুনামি সতর্কতা দফতর এই ভূমিকম্পের পর সুনামির সতর্কতা জারি করেছে। তারা জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎসস্থল দ্বীপের ১০ কিলোমিটার গভীরে হওয়ায় সমুদ্রে তার প্রভাব পড়তে চলেছে। ফলে নিউজিল্যান্ডে সুনামির সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। দ্বীপের বাসিন্দা এবং স্থানীয় প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। নিউজিল্যান্ডের কারমাডেক দ্বীপে গত মাসেও জোরালো ভূমিকম্প হয়েছিল। সে বার রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.১। স্বল্প সময়ের ব্যবধানে পর পর ৭-এর অধিক মাত্রার এমন ভূমিকম্প চিন্তা বাড়িয়েছে বিশেষজ্ঞদের।

    আরও পড়ুন: প্রথমবার ভারতে আসছেন জো বাইডেন, কেন জানেন?

    ভারতেও ভূমিকম্প

    এদিন ভারতের মেঘালয়ের দক্ষিণ গারো পাহাড়েও অনুভূত হয়েছে মৃদু কম্পন। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৩.৫। সোমবার ভোর তিনটে নাগাদ অনুভূত হয় কম্পন। গত কয়েক মাস ধরেই এশিয়া এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার একাধিক দেশে ভূমিকম্প হয়ে চলেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Joe Biden: প্রথমবার ভারতে আসছেন জো বাইডেন, কেন জানেন?

    Joe Biden: প্রথমবার ভারতে আসছেন জো বাইডেন, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেপ্টেম্বরে প্রথমবার ভারত (India) সফরে আসতে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। বাইডেনের এই সফর ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নয়া মাত্রা যোগ করবে বলে আশাবাদী দুই দেশই। চলতি বছর জি-২০ (G-20) সম্মেলনে সভাপতিত্ব করছে ভারত। এই সম্মেলন সফলভাবে আয়োজন করায় ভারতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ বাইডেনের দেশ।

    আসছেন জো বাইডেন (Joe Biden)…

    সেপ্টেম্বরেই হতে চলেছে জি-২০ লিডার্স সামিট। সেই সামিটেই যোগ দিতে ভারত সফরে আসছেন বাইডেন। দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু এ খবর জানান। লুয়ের মতে, চলতি বছর ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নয়া যুগের সূচনা হতে চলেছে। তারই প্রথম প্রকাশ সেপ্টেম্বরে জি-২০ লিডার্স সামিটে হতে চলেছে। সেই মঞ্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি থাকবেন মার্কিন প্রেসিডেন্টও।

    লু বলেন, আমি জানি, আমাদের প্রেসিডেন্ট (Joe Biden) সেপ্টেম্বরে ভারত সফরে যাওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে রয়েছেন। জি-২০ লিডার্স সামিটে অংশ নিতে গিয়ে এটাই তাঁর প্রথম ভারত সফর হতে চলেছে। তিনি বলেন, আগামিদিনে যা যা হবে, তার কথা ভেবে আমরা এখনই রোমাঞ্চ অনুভব করছি।

    আরও পড়ুুন: রবীন্দ্রজয়ন্তীতে সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন অমিত শাহ?

    ইতিমধ্যেই ভারত ঘুরে গিয়েছেন সেক্রেটারি অফ স্টেট টোনি ব্লিঙ্কেন, ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইল্লেন এবং কমার্স সেক্রেটারি জিনা রাইমোন্ডোরা। দিল্লির ইন্ডিয়া-ইউএস ফোরামেও উপস্থিত ছিলেন তাঁরা। তার জেরে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক হয়েছে দৃঢ়। এমতাবস্থায় ভারতে আসতে চলেছেন বাইডেন।

    লু বলেন, মার্চে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর কোয়াড সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন। সেখানে দুই দেশের বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হয়। চারটি দেশের বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ে হয়েছিল ওই বৈঠক। কোয়াড বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের এটাই ছিল প্রথম পাবলিক ডিসকাশন। ওই বৈঠকে ইন্দো-প্যাশিফিক অঞ্চলের বাসিন্দাদের সমর্থনে একজোট হয়েছিলেন চার দেশের বিদেশমন্ত্রীরা। তিনি বলেন, গত মাসে জি-২০ সম্মেলনে বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে ভারতের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। চলতি বছর জি-২০র আরও যেসব সম্মেলন হবে, তাতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের জন্য আমরা মুখিয়ে রয়েছি। এর মধ্যেই রয়েছে সেপ্টেম্বরে নয়াদিল্লি লিডার্স সামিট (Joe Biden)।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Balochistan: চিন-পাকিস্তানের ৬টি মোবাইল টাওয়ারে আগুন বালুচিস্তান লিবারেশন ফ্রন্টের

    Balochistan: চিন-পাকিস্তানের ৬টি মোবাইল টাওয়ারে আগুন বালুচিস্তান লিবারেশন ফ্রন্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন (China) এবং পাকিস্তানের (Pakistan) বিভিন্ন কোম্পানির ৬টি মোবাইল টাওয়ারে আগুন লাগিয়ে দিল বালুচিস্তান (Balochistan) লিবারেশন ফ্রন্ট। টাওয়ারগুলি ছিল বালুচিস্তান প্রদেশের কেচা জেলার তহশিল দস্ত এলাকায়। বুধবার এমনই দাবি করেছে বালুচিস্তান লিবারেশন ফ্রন্ট। বালুচিস্তান লিবারেশন ফ্রন্ট পাকিস্তানি মোবাইল কোম্পানি ইউফোন এবং চিনা কোম্পানি জংয়ের মোবাইল টাওয়ারে হামলাও চালিয়েছে। এই টাওয়ারগুলি রয়েছে কেচা জেলার দস্ত ক্যাম্বেল, জান মহম্মদ বাজার, প্রিন্ট বাজার এবং জরিনবাগ এলাকায়। বালুচিস্তান লিবারেশন ফ্রন্টের দাবি, ওই টাওয়ারগুলির সমস্ত মেশিনারি জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। চিন পাকিস্তান ইকনোমিক করিডরে থাকা ইউফোনের একটি টাওয়ার এবং সাংগাই বাজার এলাকায় জং কোম্পানির একটি মোবাইল টাওয়ারও ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি বালুচিস্তান লিবারেশন ফ্রন্টের।

    বালুচিস্তান (Balochistan)…

    বালুচিস্তানের (Balochistan) বিভিন্ন এলাকায় যৌথভাবে মোবাইল নেটওয়ার্ক তৈরি করতে চাইছে চিন ও পাকিস্তান। গোয়েন্দা ও সৈন্যদের স্বার্থেই এটা করতে চাইছে দুই প্রতিবেশী দেশ। বালুচিস্তানের বাসিন্দাদের ওপর নজরদারি চালানোর জন্যও ওই টাওয়ারগুলি ব্যবহার করা হয়। চিন পাকিস্তান ইকনোমিক করিডর রক্ষা করা ও মোবাইল টাওয়ারগুলি বসানোর অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। বালুচিস্তান ও বালুচদের উন্নতি প্রকল্পেই এই টাওয়ারগুলি বসানো হয়েছিল। প্রশাসন এও প্রচার করেছিল, এলাকায় লুঠতরাজ রুখতে এবং বালুচবাসীর সম্পদ রক্ষার স্বার্থেই বসানো হয়েছিল টাওয়ার।

    আরও পড়ুুন: জনসংখ্যার নিরিখে চিনকে টপকে গেল ভারত, বলছে রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্ট

    ২০২১ সালের জুন মাসেও বালুচিস্তান লিবারেশন ফ্রন্ট দাবি করেছিল, এলাকায় মোবাইল টাওয়ার বসাতে যাওয়ায় মার্গেটস চোখবি ওয়াধা কোম্পানি মোবাইল টাওয়ারে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল তাদের যোদ্ধারা। ধরে নিয়ে গিয়েছিল ওই মোবাইল কোম্পানির ৬ জন সদস্যকেও। বালুচিস্তান লিবারেশন ফ্রন্টের মুখপাত্র আজাদ বালুচ জানিয়েছিলেন তাঁরা যাঁদের ধরে নিয়ে গিয়েছিলেন, তাঁরা হলেন গুল শাহ খান, আবদুল আদি এবং কোয়েট্টার বাসিন্দা মেহরাজ, জোব কুইলা সইফুল্লা, কোয়েট্টারই মহম্মদ ইউসুফ, গুজরাটের আমানত আলি এবং কুইলা সফিউল্লার রহমতউল্লা। বালুচিস্তান লিবারেশন ফ্রন্ট এও জানিয়েছিল দখলিকৃত বালুচিস্তানে (Balochistan) চিন এবং পাকিস্তানের কোনও কোম্পানি যেন মোবাইল নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার চেষ্টা না করে। তা সত্ত্বেও পাকিস্তানের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে মোবাইল টাওয়ার বসাচ্ছে চিন। আন্তর্জাতিক মহলের মতে, তারই প্রতিশোধ নিতে এদিন জ্বালিয়ে দেওয়া হল ৬টি মোবাইল টাওয়ার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Donald Trump: ব্যবসা সংক্রান্ত জালিয়াতির মামলায় টানা ৭ ঘণ্টা জেরা ট্রাম্পকে

    Donald Trump: ব্যবসা সংক্রান্ত জালিয়াতির মামলায় টানা ৭ ঘণ্টা জেরা ট্রাম্পকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হলেন আমেরিকার (America) প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। এর আগে পর্নতারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার মামলায় অভিযুক্ত হয়ে নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনে গিয়েছিলেন তিনি। আর এবার ব্যবসা সংক্রান্ত জালিয়াতির অভিযোগের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হলেন ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার রাতে ঘণ্টা সাতেক ধরে জেরা করা হয় তাঁকে। জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব শেষে রিপাবলিকান পার্টির এই নেতার আইনজীবী ক্রিস্টোফার কিস বলেন, আমার মক্কেলের কাছে তাঁর অসাধারণ ব্যবসায়িক সাফল্যের কাহিনি জানতে চাওয়া হয়েছিল।

    ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)…

    কেবল ট্রাম্প নন, তাঁর বড় ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র এবং কন্যা ইভাঙ্কাও এই মামলায় অভিযুক্ত। গত বছরের শুরুর দিকে নিউ ইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমস জানিয়েছিলেন, তদন্তে তিনি দেখেছেন, একাধিকবার ট্রাম্পের সংস্থা ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও সম্পত্তির অতিরিক্ত মূল্য দেখিয়েছে। আবার সেই সম্পত্তিরই দাম কম দেখিয়ে আয়করে ছাড় পেয়েছে। নানা সময়ে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট সেই তদন্ত বন্ধ করার চেষ্টা করেছেন বলেও অভিযোগ। ওই বছরেরই ফেব্রুয়ারি মাসে নিউ ইয়র্কের একটি আদালতের বিচারক নির্দেশ দিয়েছিলেন, পারিবারিক ব্যবসা সংক্রান্ত জালিয়াতির মামলায় ট্রাম্প (Donald Trump) ও তাঁর  ছেলেমেয়েদের অ্যাটর্নি জেনারেলের দফতরে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হবে এবং বয়ান নথিভুক্ত করতে হবে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ট্রাম্প। তাঁর সেই আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত।

    আরও পড়ুুন: ‘ভারত বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিন’, সুনককে বললেন মোদি

    প্রসঙ্গত,  স্টর্মির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের পরে ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় তাঁর মুখ বন্ধ করতে তাঁকে ট্রাম্প ১ লক্ষ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার ঘুষ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দায়ের হয় মামলা। গ্রেফতারও হয়েছিলেন। পরে তাঁর জামিন মঞ্জুর করে আদালত। এদিকে, তথ্য গোপনে ব্যর্থতার অভিযোগে ক্ষতিপূরণ দাবি করে তাঁর প্রাক্তন আইনজীবী মাইকেল কোহেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ট্রাম্প (Donald Trump)। কমপক্ষে ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি করেছিলেন তিনি। মাইকেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অভিযোগও এনেছেন ট্রাম্প।

    মিয়ামির ফেডারেল আদালতে ট্রাম্পের দায়ের করা মামলা নিয়ে মুখ খুলেছেন মাইকেলের আইনজীবী ল্যানি ডেভিস। তাঁর দাবি, ট্রাম্পের অভিযোগ ভিত্তিহীন। প্রাক্তন আইনজীবীকে ভয় দেখাতে ট্রাম্প বিচার ব্যবস্থার অপব্যবহার করছেন বলেও অভিযোগ ল্যানির। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২১ এপ্রিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • IMF: ‘ভারতের অর্থনীতি খুবই মজবুত, আর্থিক বৃদ্ধির হারও ভাল’, মত আইএমএফ কর্তার

    IMF: ‘ভারতের অর্থনীতি খুবই মজবুত, আর্থিক বৃদ্ধির হারও ভাল’, মত আইএমএফ কর্তার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (India) অর্থনীতি খুব মজবুত। আর্থিক উচ্চ বৃদ্ধির হার সহ ভারত এই মুহূর্তে বিশ্ব অর্থনীতিতে ভাল স্থানে রয়েছে। মঙ্গলবার কথাগুলি বলেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডারের (IMF) বিভাগীয় প্রধান ড্যানিয়েল লে। এদিন ভারতীয় অর্থনীতির ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। ভারতীয় অর্থনীতিকে শক্তিশালী ও ভালো অর্থনীতি বলেও অভিহিত করেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডারের বিভাগীয় প্রধান। ভারতের অর্থনীতির ওপর ভরসা রাখার কথাও জানান তিনি। আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডারের এই কর্তা বলেন, ভারতে আর্থিক বৃদ্ধির হার ভালই রয়েছে। ২০২২ সালে এই হার ছিল ৬.৮। তিনি বলেন, ভুলে গেলে চলবে না যে ভারত বিশ্ব অর্থনীতিতে এখন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রয়েছে।

    আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার (IMF)…

    এদিনই আইএমএফ (IMF) ২০২৩-২৪ সালের জন্য তার আর্থিক বৃদ্ধির হার আগের ৬.১ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫.৯ শতাংশ করেছে। কিন্তু উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাওয়া সত্ত্বেও ভারত বিশ্বের সব চেয়ে দ্রুত বাড়তে থাকে অর্থনীতি হিসেবে উঠে এসেছে। সম্প্রতি এমনই পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক। আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডারের অনুমান, ভারতের মুদ্রাস্ফীতি চলতি বছরে ৪.৯ শতাংশ এবং পরের অর্থবর্ষে ৪.৪ শতাংশে নেমে আসতে পারে। আইএমএফ বৃদ্ধির হার ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের থেকে কম। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের জন্য ৭ শতাংশ জিডিপি বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে এবং ১ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া চলতি অর্থবর্ষে যা ৬.৪ শতাংশ হবে।

    আরও পড়ুুন: রোজগার মেলায় ফের ৭১ হাজার নিয়োগপত্র বিলি করবেন প্রধানমন্ত্রী

    আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডারের (IMF) এই কর্তা বলেন, আমাদের উপলদ্ধি হল ২০২০-২০২১ অর্থবর্ষে আমরা যা আশা করেছিলাম, তার চেয়ে কিছুটা ভাল হয়েছিল। তাই বৃদ্ধির জায়গা সেই অর্থে বিশেষ ছিল না। আর তাই দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা ক্রেতাদের চাহিদা যা আমাদের পূর্ববর্তী ভবিষ্যদ্বাণী সম্পর্কে ইঙ্গিত দিচ্ছিল। সেই কারণে চলতি বছরে কিছুটা নিম্নগামী হয়েছে। তিনি বলেন, আগামী বছর ফের বৃদ্ধির হার হবে ৬.৩। খুবই শক্তিশালী একটি অর্থনীতি। যার কারণে ভারতবাসীর জীবনযাত্রার মান উন্নত হচ্ছে। এবং সেই সব কর্মের সংস্থান হচ্ছে, যেগুলি খুবই প্রয়োজনীয়। প্রসঙ্গত, বিশ্বের অধিকাংশ দেশই ২০২৩ সালে মন্দার থাবা এড়িয়েছে। করোনা অতিমারি সত্ত্বেও। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বাজারেও অর্থনৈতিক অবস্থার বিশেষ ক্ষতি হয়নি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share