Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Pakistan: অন্ধকারে নিমজ্জিত প্রায় গোটা পাকিস্তান! রাজধানী সহ করাচি, লাহোরে ব্যাহত বিদ্যুৎ পরিষেবা

    Pakistan: অন্ধকারে নিমজ্জিত প্রায় গোটা পাকিস্তান! রাজধানী সহ করাচি, লাহোরে ব্যাহত বিদ্যুৎ পরিষেবা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েক মাস ধরেই প্রবল আর্থিক সংকটে ভুগছে পাকিস্তান। দেশে প্রথমে আটা ফুরিয়ে গেল, তারপর গ্যাস-পেট্রোলের সংকট, এখন বিদ্যুতের পালা। খবর আসছে, সোমবার সকাল থেকেই পাকিস্তানের একটা বড় অংশ অন্ধকারে নিমজ্জিত। বিশাল বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটল পাকিস্তানের ইসলামাবাদ, লাহোর এবং করাচির উল্লেখযোগ্য কয়েকটি অংশে। সেখানকার মানুষদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছাড়াই থাকতে হচ্ছে। ট্রান্সমিশন লাইনে ত্রুটির কারণেই সোমবার দেশের বিভিন্ন অংশে বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এখনও সেদেশের বেশিরভাগ অংশই অন্ধকারে রয়েছে।

    পাকিস্তান জুড়ে বিশাল বিদ্যুৎ বিভ্রাট

    পাকিস্তান ইলেক্ট্রিকের মুখপাত্র ইমরান রানা একটি ট্যুইটার পোস্টে লিখেছেন, “শহরের বিভিন্ন অংশ থেকে একাধিক বিদ্যুৎ বিভ্রাটের খবর পাওয়া গেছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি।” প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, জাতীয় গ্রিডের সিস্টেম ফ্রিকোয়েন্সি আজ সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে বসে যায়, যার ফলে বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় ব্যাপক বিপর্যয় ঘটে। পরিষেবা স্বাভাবিক করতে জোরকদমে কাজ চলছে। সিস্টেম রক্ষণাবেক্ষণের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তান সরকারের শক্তি মন্ত্রক।

    আরও জানা গিয়েছে, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে মেট্রো পরিষেবাও ব্যাহত হয়েছে, যার ফলে যাত্রীদের বিশাল সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। ইসলামাবাদ ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির ১১৭টি গ্রিড স্টেশনেও বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে, পুরো শহর এবং রাওয়ালপিন্ডিকে অন্ধকারে নিমজ্জিত করেছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিদ্যুৎ ফিরতে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগত পারে।

    আরও পড়ুন: ‘ভারতীয় ভূখণ্ডে যোগ দিতে প্রস্তুত’, বললেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নেতা

    পাকিস্তানের কিছু সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গিয়েছে, করাচি এবং লাহোরের বেশ কয়েকটি এলাকা বিদ্যুৎবিহীন ছিল। আবার কোয়েটা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (QESCO) অনুসারে, গুড্ডু থেকে কোয়েটা পর্যন্ত দুটি ট্রান্সমিশন লাইন ছিঁড়ে গেছে। কোয়েটা সহ বেলুচিস্তানের ২২টি জেলা বিদ্যুৎবিহীন বলে জানিয়েছে এই সংস্থাটি।

    প্রসঙ্গত, পাকিস্তান আগে থেকেই আর্থিক, খাবার সংকটে ভুগছে।  কয়েক মাস ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহের অবস্থা খারাপ। বিদ্যুতের ঘাটতিতেও রয়েছে পাকিস্তান। ফলে সেদেশের সরকার দীর্ঘ বিদ্যুতের ঘাটতি এড়াতে এবং বিদ্যুত বাঁচাতে রাত ৮টায় বাজার বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি করেছে। এরই মধ্যে আজ সকাল ৭টা ৩০ মিনিট থেকে দেশব্যাপী বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে দেশবাসী চরম সমস্যায় পড়েছে। বিপর্যয় এতটাই গভীর যে কত দ্রুত তা দূর করা যাবে, তা নিয়ে বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরাই অন্ধকারে।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Balochistan: বালুচিস্তানের প্রাকৃতিক সম্পদ লুঠ করছে চিন! বিক্ষোভ বালুচদের

    Balochistan: বালুচিস্তানের প্রাকৃতিক সম্পদ লুঠ করছে চিন! বিক্ষোভ বালুচদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিদিন বালুচিস্তানের প্রাকৃতিক সম্পদ লুঠ করছে চিন। বিশ্ব অর্থনীতিতে বালুচের সম্পদ বিক্রি করে মুনাফা লুঠছে শি জিনপিং সরকার। আর বঞ্চিত থেকে যাচ্ছে বালুচ জনজাতি। সম্পদের প্রকৃত অধিকারীরা বঞ্চিত হচ্ছে।  সম্প্রতি এমনই তথ্য প্রকাশ পেয়েছে বিভিন্ন সমীক্ষায়।

    চায়না-পাকিস্তান ইকনমিক করিডোর

    সম্প্রতি বালুচিস্তানের ওপর দিয়ে তৈরি হচ্ছে চায়না-পাকিস্তান ইকনমিক করিডোর। বালুচদের এক বড় অংশের ধারণা, এর ফলে তাদের দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ লুঠ করতে চিনের সুবিধা হবে। এই ধারণা থেকে বেড়েছে তিক্ততা। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় বালুচিস্তান স্থির করে, তারা পাকিস্তানে যোগ দেবে। কিন্তু বালুচদের এক বড় অংশ ছিলেন ওই সিদ্ধান্তের বিরোধী। ২০১৩ সালে চায়না পাকিস্তান ইকনমিক করিডোর তৈরি শুরু হয়। চিনের শিনজিয়াং প্রদেশ থেকে ওই পথ যাবে পাকিস্তানের খাইবার-পাখতুনখাওয়া, গিলগিট-বালটিস্তান, পাঞ্জাব, বালুচিস্তান, সিন্ধু ও অধিকৃত কাশ্মীরের মধ্যে দিয়ে। ওই পথ দিয়ে চিনের পণ্য খুব দ্রুত পৌঁছে যাবে পাকিস্তানে গাওয়াদার বন্দরে। সেই পণ্য নিয়ে বড় বড় জাহাজ পাড়ি দেবে আফ্রিকা আর পশ্চিম এশিয়ার উদ্দেশে। এই প্রকল্প একেবারেই বালুচদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। যে অঞ্চলের ওপর দিয়ে ওই রাস্তা নির্মিত হবে, সেখানকার লোকজনের সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি। ওই প্রকল্পে স্থানীয় বালুচরা কাজও পাননি। বালুচরা মনে করে, ওই প্রকল্পে মূলত পাঞ্জাব লাভবান হবে। বালুচিস্তান বরাবরের মতোই বঞ্চিত হবে।

    আরও পড়ুন: গত ৬ মাসে রাজ্যের দিকে দিকে উদ্ধার বিপুল নগদ, দেখুন কবে, কোথায়

    সোনার খনি-মাছ ধরার ব্যবসা

    কোভিডের সময় সাময়িক ক্ষতি হলেও, বালুচিস্তানের সোনা, রুপো ও তামার খনি থেকে চিনের বিভিন্ন সংস্থা ২০২১-২২ সালে ৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার লাভ করে। যদিও এই লাভের সিংহভাগই চলে যায় চিনে। স্থানীয়রা কিছুই পায় না। সম্প্রতি মাছ ধরা নিয়ে বালুচদের সঙ্গে চিনাদের শুরু হয়েছে বিরোধ। আগে গাওয়াদার বন্দরের আশপাশে আরব সাগরে মাছ ধরতেন বালুচ মৎস্যজীবীরা। তাঁরা গরিব মানুষ। নৌকা চড়ে, অনেক ঝুঁকি নিয়ে মাছ ধরতেন। কিন্তু পাকিস্তান সরকার এখন চিনা ট্রলারগুলোকে গাওয়াদার বন্দরের আশপাশে মাছ ধরার অনুমতি দিয়েছে। ট্রলার খুব অল্প সময়ের মধ্যে বিপুল পরিমাণ মাছ ধরতে পারে। তার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অনেক পিছিয়ে পড়েছে বালুচদের জেলে নৌকা। চিনা ট্রলারগুলিকে মাছ ধরার অধিকার বাতিলের দাবিতে ধরনায়ও বসেছিলেন বালুচ মৎস্যজীবীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • China Economy: মজুরি বন্ধ, কর্মী ছাঁটাই, করোনা পরিস্থিতিতে চাপে চিনা অর্থনীতি

    China Economy: মজুরি বন্ধ, কর্মী ছাঁটাই, করোনা পরিস্থিতিতে চাপে চিনা অর্থনীতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত নভেম্বর থেকে মজুরি দেওয়া হয়নি। ছাঁটাই করা হয়েছে বহু কর্মীকে। এসবই করা হয়েছে করোনা (Covid 19) অতিমারি পরিস্থিতিতে। যার জেরে সমস্যার মুখে পড়তে পারে চিনা অর্থনীতি (China Economy)। ঋণের জালে জড়িয়ে একের পর এক দেশের অর্থনীতিকে সমস্যার মুখে ঠেলে দিয়েছে শি জিনপিংয়ের দেশ। এশিয়া মহাদেশের এই তালিকায় রয়েছে শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। চিনা অর্থনীতির ফাঁসে আটকে দেউলিয়া ঘোষণা করেছে এই দ্বীপরাষ্ট্র। চিনা ঋণের জালে জড়িয়ে গিয়েছে ভারতের আর এক প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানও। এহেন চিনের অর্থনীতিই ভয়ঙ্কর কোভিড পরিস্থিতিতে পড়তে চলেছে সমস্যার মুখে।

    মারণ ভাইরাস…

    চিনের উহান প্রদেশেই প্রথম খোঁজ মেলে মারণ ভাইরাস  করোনার। পরে সেখান থেকে ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশ্বে। করোনার থাবায় মৃত্যু হয় লক্ষ লক্ষ মানুষের। তার পরে জরুরি ভিত্তিতে টিকা আবিষ্কার করে রোগ প্রতিরোধে টিকাকরণে জোর দেয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। তার জেরে রোগ নিয়ন্ত্রণে আসে পৃথিবীর অনেক দেশেই। যদিও চিনে রোগের প্রকোপ কমেনি। সম্প্রতি চিনে ফের দাপট বাড়তে থেকে করোনার। প্রতিদিনই দীর্ঘ হতে থাকে মৃতের তালিকা। হাসপাতালে হাসপাতালে করোনা রোগীর দীর্ঘ লাইন। শেষকৃত্যস্থলে লাশের পাহাড়। যদিও সরকারিভাবে করোনায় মৃত্যুর খবর স্বীকার করা হয়নি বললেই চলে।

    আরও পড়ুুন: ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় পিএফআই! কী বলছে এনআইএ-এর চার্জশিট?

    করোনা রুখতে জিরো কোভিড টলারেন্স নীতি অবলম্বন করেছিল সে দেশের সরকার। তার কার্যত গৃহবন্দি দশা কাটাতে বাধ্য হন চিনা নাগরিকরা। গত নভেম্বর মাস থেকে বন্ধ হয়ে যায় মজুরি (China Economy)। বেসরকারি কোম্পানিগুলি নির্বিচারে ছাঁটাই করে। সম্প্রতি জনতার চাপে পড়ে লকডাউন শিথিল করে চিনা সরকার। এর পরেই বকেয়া মাইনে এবং চাকরি ফেরত পাওয়ার দাবিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়েছে বিক্ষিপ্ত অশান্তি। যাঁদের ছাঁটাই করা হয়েছে, তাঁদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়নি। তার জেরে ক্রমেই বাড়ছে জনরোষ। যা বিস্ফোরণ ঘটলে চাপ পড়তে পারে অর্থনীতিতে।

    চিনের চংকুইংয়ের সাউথ ওয়েস্টার্ন শহরে চাকরি খোয়ানো শতাধিক মানুষ বকেয়া মজুরি ও কাজের দাবিতে (China Economy) বিক্ষোভ দেখান। ভাঙচুর করেন মেশিনপত্র। তা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষও হয়। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন সংবাদপত্রে। দিন দিন এমন ঘটনা বেড়েই চলেছে। জানা গিয়েছে দীর্ঘ লকডাউনের জেরে ২০২২ সালে চিনা অর্থনীতির বৃদ্ধির হার মাত্র ৩ শতাংশ। অর্ধ শতাব্দীতে যা এদেশে প্রথম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • NASA: নাসার মুখ্য প্রযুক্তিবিদ পদে ভারতীয় বংশোদ্ভূত, জানুন কে

    NASA: নাসার মুখ্য প্রযুক্তিবিদ পদে ভারতীয় বংশোদ্ভূত, জানুন কে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত (India)-মার্কিন এরোস্পেস ইন্ডাস্ট্রি বিশেষজ্ঞ এসি চারানিয়াকে মুখ্য প্রযুক্তিবিদ পদে নিয়োগ করল মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা (NASA)। তার আগে ওই পদে ছিলেন ভারত-মার্কিন বিজ্ঞানী ভব্য লাল। ভারতীয় বংশোদ্ভূত এসি চারানিয়ার এই নিয়োগে তাঁদের এ দেশের বাড়িতে চলছে আনন্দ উৎসব। খুশি ভারতীয়রাও। চারানিয়া নাসার প্রিন্সিপাল অ্যাডভাইসার হিসেবে কাজ করবেন। নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে তাঁর।

    নাসা…

    সোমবার একটি বিবৃতিতে নাসা জানিয়েছিল, নাসার বিভিন্ন সহযোগী এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলবেন নাসার নয়া চিফ টেকনোলজিস্ট। কেবল ওই সংস্থা নয়, প্রাইভেট সেক্টর এবং এক্সটারনাল স্টেকহোল্ডারর্সদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখবেন। নাসার অ্যাসোসিয়েট ভব্য লাল বলেন, নাসার প্রতিটি মিশনে টেকনোলজি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নাসা (NASA) গ্লোবাল লিডার হিসেবে কাজ করে। তাই সব সময় আমাদের সেরা নীতিটিই অনুসরণ করতে হয়। ভব্য বলেন, চারানিয়া একজন দক্ষ নেতা। তিনি তাঁর জ্ঞান এবং উৎসাহ নাসায় কবে কাজে লাগাবেন, তা দেখতে আমি মুখিয়ে রয়েছি। চারানিয়া বলেন, নাসার ভিতরে এবং বাইরে পার্টনারশিপের অবিশ্বাস্য সুযোগ রয়েছে। মহাকাশ অভিযানে অগ্রগতির জন্য যে সুযোগ রয়েছে, তাকে আমি কাজে লাগাব।

    আরও পড়ুুন: ফের বন্দুক হামলা! চিনা নববর্ষের উৎসবে রক্তাক্ত আমেরিকা, নিহত অন্তত ১০

    জর্জিয়া ইনসটিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মাস্টার ডিগ্রি করেছেন চারানিয়া। এমোরি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লাভ করেছেন অর্থনীতিতে ব্যাচেলার্স ডিগ্রি। নাসায় (NASA) মুখ্য প্রযুক্তিবিদ হিসেবে যোগ দিয়েছেন চারানিয়া। তার আগে তিনি চাকরি করতেন ব্লু অরিজিনে। লুনার পারফরমেন্স স্ট্র্যাটেজি, ব্লু মুন লুনার ল্যান্ডার প্রোগ্রাম এবং আরও বিভিন্ন প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে নাসার সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। রিলায়েবল রোবোটিক্সে প্রোডাক্ট স্ট্র্যাটেজির ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবেও কাজ করেছেন চারানিয়া। নাসার তরফে প্রেস রিলিজে জানানো হয়েছে, এই ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রযুক্তিবিদ স্পেস ওয়ার্কস এন্টারপ্রাইজেসে চাকরি করেছেন। আরও কয়েকটি ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি প্রতিষ্ঠানেও কাজ করেছেন তিনি। চারানিয়া জেনারেশন অরবিট এবং টার্মিনাল ভেলোসিটি এরোস্পেসেও চাকরি করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

     

     

  • US Shooting: ফের বন্দুকবাজের হামলা! চিনা নববর্ষের উৎসবে রক্তাক্ত আমেরিকা, নিহত অন্তত ১০

    US Shooting: ফের বন্দুকবাজের হামলা! চিনা নববর্ষের উৎসবে রক্তাক্ত আমেরিকা, নিহত অন্তত ১০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের গুলির আওয়াজে কাঁপল আমেরিকা। এবার চিনা নববর্ষে গুলি চলল ক্যালিফোর্নিয়ার মন্টেরে পার্কে। সূত্রের খবর, চিনা নববর্ষ (Chinese New Year) উপলক্ষে উৎসবে মেতে উঠেছিল ক্যালিফোর্নিয়ার মন্টেরে পার্কে জমায়েত করা মানুষ। আর সেই সময়ই চালানো হয় এলোপাথাড়ি গুলি। চিনের বর্ষবরণের দিনেই রক্তাক্ত হল আমেরিকা। এখনও পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আহত বহু। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার রাত ১০টা নাগাদ ওই পার্কে হামলা চালায় বন্দুকবাজ। তবে তাদের এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা যায়নি বলেই জানা যাচ্ছে। ফলে আতঙ্ক আরও বাড়ছে। এই ঘটনার পর মন্টেরে পার্ক এলাকা পুরোপুরি ঘিরে ফেলা হয়েছে। আততায়ীর খোঁজে নেমেছে পুলিশ।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    গতকাল, শনিবার ছিল চিনা নববর্ষ। সেই উপলক্ষেই মন্টেরে পার্কে জড়ো হয়েছিলেন বহু মানুষ। সূত্রের খবর, স্থানীয় সময় রাত ১০টার পরে নাচ-গান, খাওয়া-দাওয়া, আনন্দে মেতে উঠেছিলেন তাঁরা। আর সেসময়েই আচমকা তাণ্ডব শুরু হয় বন্দুকবাজের। উৎসবে এসেই এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে আততায়ী। একের পর এক রক্তাক্ত দেহ লুটিয়ে পড়ছিল সেখানে।

    ঘটনাস্থলে উপস্থিত ওই এলাকার এক রেস্তোরাঁ মালিক সিউং ওন চোই বলেন, “আমার রেস্তোরাঁয় তিন জন দৌড়ে এসে ঢুকেই ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দিলেন। চিৎকার করে আমাকে বলেন, এক বন্দুকবাজ মেশিন গান নিয়ে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। এলোপাথাড়ি গুলি চালাচ্ছে!” প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সেই আততায়ীর কাছে অসংখ্য গুলি ছিল। কারণ বন্দুকে গুলি শেষ হতেই ফের গুলি ভরে চলেছিল সে। বন্দুকবাজের খোঁজে চলছে তল্লাশি। সূত্রের খবর, ওই অনুষ্ঠানে জড়ো হয়েছিলেন চিনা-সহ কমপক্ষে ৬০ হাজার এশিয়ান বংশোদ্ভূত মানুষ।

    এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহত হয়েছেন বহু। বেশ কয়েকজনকে গুরুতর জখম অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেছে পুলিশ। তবে হামলাকারীরা সংখ্যায় কতজন ছিলেন ও কী কারণে গুলি তাও স্পষ্ট নয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

  • Layoffs: মন্দার জের! ব্যাপকহারে কর্মী ছাঁটাই মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলিতে

    Layoffs: মন্দার জের! ব্যাপকহারে কর্মী ছাঁটাই মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিএনএন থেকে ওয়াশিংটন পোস্ট পর্যন্ত, কঠিন সময়ের মুখোমুখি মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলি। অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কায় বছরের শুরুতেই একাধিক সংস্থা কর্মী ছাঁটাই- এর (Layoffs) ঘোষণা করেছে। ভক্স মিডিয়া, নিউ ইয়র্ক ম্যাগাজিন এবং এর অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলি শুক্রবার ঘোষণা করেছে যে তারা তাদের ৭% কর্মীকে ছাঁটাই করতে চলেছে৷  সিএনএন, এনবিসি, এমএসএনবিসি, বাজফিড এবং অন্যান্য আউটলেটগুলিতে ইতিমধ্যেই বড় সংখ্যক ছাঁটাই হয়েছে।

    আরও পড়ুন: রাজৌরি থেকে মাহভিশ মালিক রাজ্য সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ বাবার 

    শুক্রবার দ্য মেমোতে ভক্স মিডিয়ার সিইও জিম ব্যাঙ্কফ ঘোষণা করেছেন “আমাদের ব্যবসা এবং শিল্প কঠিন সময়ের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে রয়েছে। অর্থনৈতিক মন্দার কারণে বিভিন্ন বিভাগে আমাদের প্রায় সাত শতাংশ কর্মীদের বাদ (Layoffs) দেওয়ার কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।”

    দ্য মেমো এদিন বলে, “যারা বাদ যাচ্ছেন তাঁদের পরবর্তী ১৫ মিনিটের মধ্যে নোটিস দিয়ে দেওয়া হবে। ১৯০০ কর্মীর মধ্যে ১৩০ জনকে ছাঁটাই করা হচ্ছে।”

    কী বলছেন সাংবাদিকরা? 

    পুরস্কার বিজয়ী সাংবাদিক মেগান ম্যাককারন, ভক্স মিডিয়ায় ন বছরেরও বেশি সময় কাটিয়েছেন। তিনিও শুক্রবার ট্যুইট করে জানিয়েছেন যে, ৩৭ সপ্তাহের গর্ভবতী থাকাকালীন তাঁকেও ছাঁটাই (Layoffs) করা হয়েছে। 
     
    তিনি লেখেন, “আমার সঙ্গী এবং আমি বাবা-মা হতে পেরে খুব খুশি ছিলাম। কিন্তু এখন আমরা যে পরিমাণ অনিশ্চয়তার সম্মুখীন হচ্ছি তাতে সত্যিই বুঝতে পারছি না কী করব।”

    ভক্সের একজন মুখপাত্র এএফপিকে জানিয়েছেন যে, কর্মচারীদের বিশেষ প্যাকেজ দেওয়া হবে। যারা গর্ভকালীন ছুটি নিয়েছেন তাঁদের অতিরিক্ত বেতনসহ এই প্যাকেজ দেওয়া হবে। 

    সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে অন্যান্য সংস্থা থেকে ছাঁটাই করা সাংবাদিকরাও নতুন চাকরি (Layoffs) খুঁজতে শুরু করেছেন। ট্যুইটারে উগরে দিয়েছেন রাগ, হতাশা বা কৃতজ্ঞতা। 

    ইনভেস্টিগেটিভ রিপোর্টার এমিলি সিগেল পাঁচ বছর কাজ করেছেন এনবিসিতে (Layoffs)। তিনি ট্যুইটে লেখেন, “আমি আমার পরবর্তী পদক্ষেপটি খুঁজে বের করব। আমি একজন ডেটা রিপোর্টার কিন্তু আমি লিখি এবং খবর তৈরিও করি। আমি এই কাজটি চালিয়ে যেতে চাই। আমার (সরাসরি বার্তা) খোলা আছে।” 

    শুধু সংবাদমাধ্যমগুলিই নয়, সম্প্রতি কর্মী ছাঁটাই- (Layoffs) এর পথে হেঁটেছে গুগল, মেটার মতো বড় বড় সংস্থা। মার্কিন অর্থনীতি যে চরম সংকটের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে, তা এই সংস্থাগুলির কর্মী ছাঁটাই- এর সিদ্ধান্তে অনেকটাই স্পষ্ট।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Hina Rabbani Khar: পাকিস্তান মনমোহন সিংকে ভালবাসে, মোদিকে নয়, দাবি পাক বিদেশমন্ত্রীর  

    Hina Rabbani Khar: পাকিস্তান মনমোহন সিংকে ভালবাসে, মোদিকে নয়, দাবি পাক বিদেশমন্ত্রীর  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান (Pakistan) মনমোহন সিংকে ভালবাসেন, নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) নয়। এমনই বক্তব্য শোনা গেল পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী হিনা রব্বানি খারের (Hina Rabbani Khar) গলায়। শুক্রবার সুইজারল্যান্ডের দাভোসে তিনি বলেন, ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে আমি সেই পার্টনার খুঁজে পাইনি, যেটা পেয়েছিলাম মনমোহন সিংহের মধ্যে। দাভোসে আয়োজন করা হয়েছিল ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরামের। সেখানেই সংবাদ মাধ্যমের সামনে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

    হিনা রাব্বানি…

    মুসলমান সাংবাদিক রানা আয়ুব কীভাবে ভারতের অত্যাচারের শিকার হয়েছিলেন তা নিয়ে মিথ্যাচার করেন হিনা। তার জেরে প্রকাশ্যে আসে হিনার এই অভিমত, মোদি সরকারের চেয়ে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন সরকার অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য ছিল সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র পাকিস্তানের কাছে। হিনা রাব্বানি (Hina Rabbani Khar) বলেন, আমরা রানা আয়ুবের বাড়ি ধূলিসাৎ করার বিষয়টি জানি। যদিও রাজ্য সরকার কিংবা কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বিতর্কিত ওই সাংবাদিকের বাড়ি ভাঙার নির্দেশ দেয়নি। ভারত-বিরোধী লেখিকা অরুন্ধতী রায়ের উদাহরণও টানেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী। আন্তর্জাতিক এই মঞ্চে তিনি বলেন, আমরা অরুন্ধতী রায়ের সম্পর্কে জানি। ভারতের রাজনীতি নিয়ে তিনি কী বলেছেন, তাও আমরা জানি। এদিন ভারতের বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা অভিযোগও করেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী।

    আরও পড়ুুন: বালুচিস্তানের প্রাকৃতিক সম্পদ লুঠ করছে চিন! বিক্ষোভ বালুচদের

    তিনি (Hina Rabbani Khar) বলেন, ভারত লাহোরে সন্ত্রাসবাদী কাজকর্ম চালিয়েছিল। বালুচিস্তানকে অশান্ত করেছিল। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জয় নিশ্চিত করতেই বালাকোটে এয়ার স্ট্রাইক চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন হিনা রাব্বানি। তিনি বলেন, বালাকোটে ভারত যে এয়ার স্ট্রাইক চালিয়েছিল, সেটা উনিশের লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির জয় নিশ্চিত করতে। হিনা এদিন যে কথাটির উল্লেখ আন্তর্জাতিক মঞ্চে করেননি, সেটি হল পাকিস্তানের মদতে পুলওয়ামায় সন্ত্রাসবাদী কাজকর্ম চালানো। যার জেরে মৃত্যু হয়েছিল ৪০ জনের।

    এর পরেই রাব্বানি বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে এই প্রজেক্ট (শত্রুতা বর্জন করে শান্তির পথে অগ্রসর) এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পার্টনার দেখতে পাইনি, যা দেখেছিলাম মনমোহন সিংয়ের মধ্যে। তিনি বলেন, এটাই প্রকৃত বাস্তব। আমি বাস্তবতাকে অস্বীকার করতে পারি না। এদিনের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন আর্ট অফ লিভিংয়ের স্রষ্টা শ্রী শ্রী রবিশঙ্করও। হিনার উদ্দেশে তিনি বলেন, গোটা বিশ্ব জানে সন্ত্রাসবাদের আঁতুড়ঘর কোন দেশ। ওসামা বিন লাদেন কোথায় লুকিয়ে ছিলেন? কোথাকার সন্ত্রাসবাদীরা সমস্যা তৈরি করছে? এগুলোকে অস্বীকার করা যাবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

  • Pakistan Economy: অবিলম্বে বিশ্বব্যাঙ্কের সাহায্য না পেলে ভেঙে পড়বে পাকিস্তানের অর্থনীতি?

    Pakistan Economy: অবিলম্বে বিশ্বব্যাঙ্কের সাহায্য না পেলে ভেঙে পড়বে পাকিস্তানের অর্থনীতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনা ঋণের ফাঁদে পড়ে দেউলিয়া হয়েছে শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। এবার প্রায় একই হাল হতে চলেছে ভারতের (India) আর এক প্রতিবেশী দেশেরও। সর্বস্বান্ত হওয়ার পথে এবার পাকিস্তানও (Pakistan)। দেশের হাঁড়ির হাল হয়ে যাওয়া অর্থনীতির (Pakistan Economy) হাল ফেরাতে বিশ্বব্যাঙ্কের কাছে দরবার করেছে শাহবাজ শরিফের দেশ। তার পরেও  মেলেনি কাঙ্খিত সাহায্য। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ওই সাহায্য না মিললে দেশের আর্থিক পরিস্থিতি আরও করুণ হবে। অন্তত আল আরবিয়া পোস্টের প্রতিবেদন থেকে এমনই জানা যাচ্ছে। পাকিস্তানকে ২৪তম লোন দিতে দেরি করছে বিশ্বব্যাঙ্ক। সৌদি এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহিও পাকিস্তানকে সাহায্য করবে না বলে সতর্ক করে দিয়েছে।

    বন্ধু দেশগুলিও সাফ জানিয়ে দিয়েছে…

    আল আরবিয়া পোস্টের প্রতিবেদন থেকে এও জানা গিয়েছে, সম্প্রতি গলফ বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও নয়া সেনা প্রধান জেনারেল আসীম মুনির। পাকিস্তানের ওই বন্ধু দেশগুলিও সাফ জানিয়ে দিয়েছে, দেশের তলানিতে ঠেকে যাওয়া অর্থনীতিকে (Pakistan Economy) চাঙা করতে অবিলম্বে সংস্কারমূলক ব্যবস্থাগুলি গ্রহণ করুক সে দেশের সরকার। পাক প্রধানমন্ত্রী এবং নয়া সেনা প্রধানকে তারা এও জিজ্ঞাসা করছে, দেশের অর্থনীতির এহেন করুণ দশার জন্য কি নোংরা রাজনীতি দায়ি?

    আরও পড়ুুন: ইডির জালে কুন্তল! কী মিলল চিনার পার্কের ফ্ল্যাট থেকে?

    শাহবাজ শরিফের আগে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তারকা ক্রিকেটার কাম রাজনীতিক ইমরান খান। পরে সেনা প্রধানের সঙ্গে দূরত্বের কারণে পদত্যাগ করতে হয় ইমরানকে। এর পরেই পাকিস্তানের কুর্সিতে বসেন শাহবাজ শরিফ। ইমরানের দাবি, পাকিস্তানের অর্থনীতির হাঁড়ির হালের জন্য দায়ী শাহবাজ শরিফ। ঠিক একই অভিযোগ করেছেন শাহবাজ শরিফও। তাঁর দাবি, ইমরানের ভুল নীতির জন্যই দেশের অর্থনীতির (Pakistan Economy) এই হাল। অর্থনীতিবিদদের সিংহভাগের মতে, দেশের দুর্বল অর্থনীতির স্বাস্থ্য ফেরাতে এখনই জরুরি ছিল সংস্কারমূলক নানা পন্থা অবলম্বন করা। কিন্তু সে পথে হাঁটেনি শাহবাজ শরিফ কিংবা তার পূর্বসূরি ইমরান খানের সরকার। পাকিস্তানের অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। এর মধ্যে যেমন রয়েছে ইসলামাবাদের বন্ধুদেশ, তেমনি রয়েছে আমেরিকার মতো দেশও। এখন দেখার, দেশের আর্থিক স্বাস্থ্য ফেরাতে কী করে শাহবাজ শরিফের দেশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Imran Khan: আসন্ন পাকিস্তানের উপনির্বাচন, ৩৩ আসনেই লড়বেন ইমরান খান

    Imran Khan: আসন্ন পাকিস্তানের উপনির্বাচন, ৩৩ আসনেই লড়বেন ইমরান খান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরেই পাকিস্তানের উপনির্বাচন (Imran Khan)। উপনির্বাচনে ৩৩টি আসনেই লড়বেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ট্যুইট করে এমনটাই জানিয়েছেন ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের শীর্ষ নেতা ফওয়াদ চৌধুরি।

    গত ১৭ জানুয়ারি ফওয়াদ একটি ট্যুইটে জানান, উপনির্বাচনের (Imran Khan) ৩৩টি আসনেই তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রার্থী ইমরান খান। শুক্রবার পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, এবছর ১৬ মার্চ হবে পাকিস্তানের উপনির্বাচন।  

    দলের নেতা শাহ মেহমুদ কুরেশির বলেন, “১৬ মার্চ যে উপনির্বাচন (Imran Khan) হবে, তাতে ইমরানকে সকলে ভোট দেবেন বলে আশাবাদী আমি। ইমরানের উপর সকলের যে এখনও ভরসা রয়েছে, তা ভোটের মাধ্যমেই বোঝা যাবে।”

    কেন এই উপনির্বাচন? 

    প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে জাতীয় পরিষদ থেকে দলীয় প্রধান ইমরান খান (Imran Khan) ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর সংসদের নিম্নকক্ষ থেকে গণ পদত্যাগ করেছিলেন পিটিআই- এর একাধিক সদস্য। স্পিকার রাজা পারভেজ আশরাফের কাছে সে সময় পিটিআইয়ের ৩৫ জনেরও বেশি সদস্য ইস্তফা দেন। কিন্তু, আশরাফ মাত্র ১১টি পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বলেন যে বাকি সাংসদদের যাচাইয়ের জন্য পৃথকভাবে তলব করা হবে। আট মাস ধরে প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার পর, আশরাফ, আরও ৩৪ জন পিটিআই সাংসদ এবং আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রধান শেখ রশিদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন। মনে করা হচ্ছে দল আস্থা ভোটের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফকে ‘পরীক্ষা’ করবে।

    আরও পড়ুন: মমতার পাশে নেই কেষ্ট! অনুব্রত-হীন বীরভূমে মুখ বাঁচাতে নয়া কৌশল তৃণমূলের?

    উল্লেখ্য, হায়দার আলী খান, সেলিম রেহমান, সাহেবজাদা সিবগাতুল্লাহ, মেহবুব শাহ, মহম্মদ বশির খান, জুনায়েদ আকবর, শের আকবর খান, আলী খান জাদুন, ইঞ্জিঃ উসমান খান তারাকাই এবং মুজাহিদ আলীর পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে (Imran Khan)। সংরক্ষিত আসন থেকে, আন্দালিব আব্বাস, আসমা কাদির, মালেকা আলী বোখারি এবং মুনাওয়ারা বিবি বালোচের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    এই মুহূর্তে বহু আসন প্রার্থী শূন্য (Imran Khan)। তাই এই উপনির্বাচন প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। কুরেশি জানিয়েছেন, সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী আসন শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হওয়া বাঞ্ছনীয়। তাই ১৬ মার্চ উপনির্বাচনের তারিখ ঠিক করা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • BBC: মোদিকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামলেন ক্যালিফোর্নিয়ায় বসবাসকারী ভারতীয়রা

    BBC: মোদিকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামলেন ক্যালিফোর্নিয়ায় বসবাসকারী ভারতীয়রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চেন”, বিবিসি-র (BBC) এই তথ্যচিত্রের বিরুদ্ধে শনিবার ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকো উপসাগরীয় এলাকার ফ্রেমন্টে প্রতিবাদ দেখালেন প্রবাসী ভারতীয়রা। “ভারতীয় প্রবাসী” এর ব্যানারে প্রায় ৫০ জন সদস্য স্লোগান দেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাস্তায় মিছিলেও হাঁটেন। তাঁদের দাবি, বিবিসির অশুভ ও পক্ষপাতমূলক তথ্যচিত্র প্রত্যাখ্যান করা হোক। ফ্রেমন্টে মিছিল করার সময়, ভারতীয়রা “পক্ষপাতদুষ্ট বিবিসি” এবং “বর্ণবাদী বিবিসি” এর মতো স্লোগান তোলেন।

    ফ্রেমন্টে ভারতীয়দের মিছিলের (BBC) ব্যানারে লেখা ছিল, “বিবিসি একটি বোগাস ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন” এবং “ভারতীয় প্রবাসীরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে বিবিসির অশুভ এবং পক্ষপাতদুষ্ট ডকুমেন্টারি প্রত্যাখ্যান করেছে”, “বিবিসি ডকুমেন্টারি ভুয়ো প্রচার চালাচ্ছে”, “বিবিসি একটি ভুয়ো, দালাল সংবাদমাধ্যম”।  

    সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’ নামে দুই পর্বের তথ্যচিত্র প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি (BBC)। তথ্যচিত্রটি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই গোটা বিশ্বজুড়ে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে। তথ্যচিত্রটিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে বিদেশমন্ত্রক। দুই পর্বের এই তথ্যচিত্রটিকে প্রোপাগান্ডা হিসেবে অভিহিত করেছে কেন্দ্র। 

    নির্মাতারা (BBC) দাবি করেন, মোদির সঙ্গে ভারতের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ে, মূলত মুসলিমদের সম্পর্কের তিক্ততার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে তথ্যচিত্রটিতে। পাশাপাশি ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গায় মোদির ভূমিকার প্রসঙ্গও উঠে এসেছে এই ধারাবাহিকে।

    আরও পড়ুন: কংগ্রেসের ভারত জোড় যাত্রা, রাহুলের লক্ষ্য পূরণ হল কি?

    বিশ্বজুড়ে বিতর্ক 

    এই সিরিজ় (BBC) নিয়ে ইতিমধ্যেই ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের অনেকেই ট্যুইটারে বিবিসির এই উদ্যোগ নিয়ে উপহাস করেছে। অনেকেই বলেছেন, বিবিসির উচিত ১৯৪৩ সালের বাংলার দুর্ভিক্ষের উপরও একটি সিরিজ তৈরি করা উচিত, যার নাম হবে ‘ইউকে: দ্য চার্চিল কোয়েশ্চন’। প্রসঙ্গত, এই মন্বন্তরে প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। সেই সময় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন উইনস্টন চার্চিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে, ভারতীয়দের থালা থেকে খাবার তুলে নিয়ে গিয়েছিল ব্রিটেন। ব্রিটিশ সৈন্যদের খাওয়ানোর জন্য মজুত করা হয়েছিল সেই খাদ্য। যার বলি হতে হয়েছিল বাংলার মানুষকে। ব্রিটিশ হাউস অব লর্ডসের সদস্য লর্ড রামি রেঞ্জারও এই সিরিজের প্রেক্ষিতে বিবিসির বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক প্রতিবেদনের অভিযোগ করেছেন।

    অনেকেরই ধারণা গুজরাট হিংসা (BBC) নিয়ে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগে ধৃত সমাজকর্মী তিস্তা শেতলওয়াড়, প্রাক্তন আইপিএস অফিসার সঞ্জীব ভাট এবং আর বি শ্রীকুমারের দেওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই এই তথ্যচিত্র তৈরি করে ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থাটি। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ক্লিনচিট দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। তারপরেও এই তথ্যচিত্রের কী ভিত্তি রয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আন্তর্জাতিক মহল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share