Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • China: নেপথ্যে চিন, লালমনিরহাট বিমানঘাঁটি সক্রিয় করছে বাংলাদেশ! ভারতের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলতে কি?

    China: নেপথ্যে চিন, লালমনিরহাট বিমানঘাঁটি সক্রিয় করছে বাংলাদেশ! ভারতের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলতে কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতকে জব্দ করতে চিনের (China) সঙ্গে সখ্যতা গড়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। বাংলাদেশের লালমনিরহাট (Lalmonirhat) জেলায় একটি বিমানঘাঁটি নির্মাণ করছে চিন। বাংলাদেশের এই জেলাটি ভারতের ‘চিকেন’স নেক’ থেকে ১২ থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে। পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলারও খুব কাছে ওই বিমানঘাঁটি। কৌশলগত দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত সংবেদনশীল এই এলাকা। এহেন পরিস্থিতিতে চিনকে এই এলাকায় বিমানঘাঁটি নির্মাণের অনুমতি দিয়ে ভারতের উদ্বেগ বাড়িয়েছে বাংলাদেশ। জানা গিয়েছে, চিনা কর্তারা সম্প্রতি লালমনিরহাট বিমানঘাঁটি পরিদর্শন করেছেন। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলিও বাংলাদেশি বিমানবাহিনীর ঘাঁটিতে চিনা কর্তাদের সফরের খবর পেয়েছে।

    ব্রিটিশ আমলে তৈরি (China)

    লালমনিরহাট বিমানঘাঁটি বাংলাদেশের রংপুরে অবস্থিত। এটি নির্মিত হয়েছিল ১৯৩১ সালে। ব্রিটিশ সরকার একটি সামরিক ঘাঁটি হিসেবে এটি নির্মাণ করেছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মিত্র বাহিনী পূর্ব ফ্রন্টে তাদের অভিযানের জন্য এটিকে ব্যবহার করেছিল একটি ফরওয়ার্ড বিমানঘাঁটি হিসেবে। এটি মিত্রবাহিনীর জন্য একটি ফরওয়ার্ড বিমানঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হত। এই বাহিনীই পূর্ব ফ্রন্টে জাপানি বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছিল।

    অসামরিক বিমানবন্দরে উন্নীত করার চেষ্টা

    তবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই বিমানঘাঁটিকে (China) একটি অসামরিক বিমানবন্দরে উন্নীত করার চেষ্টা করেছে। প্রতিবেদন অনুসারে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস চিনকে এটিকে অসামরিক বিমানবন্দরে উন্নীত করার জন্য অনুরোধ করেছেন (Lalmonirhat)। গত মাসে চিন সফরে গিয়ে তিনি এই বিষয়টি তুলে ধরেন। সেই সময় তিনি বিতর্কিত একটি মন্তব্যও করেছিলেন। ইউনূস বলেছিলেন, “বাংলাদেশ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্য সহ সমগ্র অঞ্চলের সমুদ্রের একমাত্র অভিভাবক।” বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন হলেও, দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে প্রায় নিষ্ক্রিয় রয়েছে এই বিমানঘাঁটিটি। চিনের সাহায্যে এটাকেই এখন বিমানবন্দরে উন্নীত করতে চাইছে ইউনূস সরকার। কেবল এটিই নয়, ব্রিটিশ আমলের আরও পাঁচটি বিমানবন্দরকে পুনরুজ্জীবিতও করতে চাইছে তারা।

    এয়ারবেসের রাশ

    ১ হাজার ১৬৬ একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত এই এয়ারবেসে ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ রানওয়ে রয়েছে। রয়েছে একটি বিশাল টারম্যাকও। এটি দীর্ঘদিন ব্যবহার করা হয়নি। তবে এটিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামোগত সম্পদ হিসেবে গড়ে তোলা যেতে পারে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর এই এয়ারবেসের রাশ চলে যায় পাকিস্তানের হাতে। ১৯৫৮ সালে কিছু সময়ের জন্য এটিকে ফের অসামরিক ব্যবহারের জন্য চালু করা হয়। তার পর এটি আবার পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। ২০১৯ সালে বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসন কালে এই বিমানঘাঁটির একটি অংশ বাংলাদেশ অ্যারোস্পেস অ্যান্ড অ্যাভিয়েশন ইউনিভার্সিটি তৈরির জন্য বরাদ্দ করা হয়। বর্তমানে এটি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অধীনে পরিচালিত হয়। এই উন্নয়ন সত্ত্বেও বিমানঘাঁটির সামরিক ও কৌশলগত সম্ভাবনা সাম্প্রতিক পুনরুজ্জীবনের প্রস্তাবের আগে পর্যন্ত অনাবিষ্কৃতই থেকে গিয়েছিল। শিলিগুড়ি করিডরের কৌশলগত গুরুত্বকে অবহেলা করা যায় না। এটি একটি সংকীর্ণ এলাকা। তাই যে কোনও ব্যাঘাত ঘটলেই ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির সঙ্গে মূল ভূখণ্ডের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে (Lalmonirhat)।

    কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

    বিশেষজ্ঞদের মতে, এর ফলে চিন (China) ভারতের সামরিক চলাচলের উপর নজরদারি করতে পারে বা শিলিগুড়ি করিডরের কাছে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। চিনের এই ধরনের কাজকর্মের ফলে দুর্বল হয়ে যেতে পারে ভারতের গোপন সামরিক তৎপরতা এবং গতিশীলতা বজায় রাখার ক্ষমতা। বিশেষ করে লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল বরাবর চিন-ভারতের মধ্যে চলা সীমান্ত উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে। অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের চিন-তাইওয়ান স্টাডিজের গবেষক কল্পিত মানকিকার বলেন, “একটি বিষয় নিশ্চিত যে চিনের ওই অঞ্চলের জন্য সুস্পষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে। এতদিন সেই পরিকল্পনাগুলি হয়তো নিষ্ক্রিয় ছিল কারণ বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের স্বার্থের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন। কিন্তু এখন, সরকার পরিবর্তনের পর এবং মহম্মদ ইউনূসের খোলাখুলি প্রস্তাব যে বাংলাদেশ ভারতের বিরুদ্ধে একটি ‘ফাউন্টেনহেড’ হতে পারে। এটা যে চিনের জন্য একটি অত্যন্ত লোভনীয় একটি প্রস্তাব হয়ে উঠবে, তা বলাই বাহুল্য।”

    তিনি বলেন, “আমরা এখনও জানি না প্রকল্পটির জন্য চিনের নির্দিষ্ট পরিকল্পনা কী। তবে এটি ভারতের বাকি অংশ থেকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অসামরিক (China) ও সামরিক চলাচল নজরদারির কাজে ব্যবহৃত হতে পারে।” প্রসঙ্গত, শিলিগুড়ি করিডরের স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত হলে তা শুধু ভারতের ভৌগোলিক অখণ্ডতার জন্যই নয়, বরং উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভারতের (Lalmonirhat) অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপরও গভীর প্রভাব পড়তে পারে। বস্তুত, এই অঞ্চলটি ইতিমধ্যে জাতিগত ও বিচ্ছিন্নতাবাদী চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি (China)।

  • Pakistan: ফিরছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি, স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিতে উত্তাল পাকিস্তানের চার প্রদেশ

    Pakistan: ফিরছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি, স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিতে উত্তাল পাকিস্তানের চার প্রদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তীব্র আর্থিক সংকটে ভুগছে পাকিস্তান (Pakistan)। এই আবহে সেদেশে বিচ্ছিন্নতাবাদও ব্যাপকভাবে মাথাচাড়া দিয়েছে। পাকিস্তানের সেনা এবং সরকারের পক্ষে এই প্রবণতা দমন করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ছে। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশ, বালোচিস্তান, গিলগিট-বালটিস্তান, পশতুন প্রভৃতি এলাকাগুলিতে দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয় বাসিন্দারা পাকিস্তানের কাছ থেকে স্বাধীনতা দাবি করছে। পাকিস্তানি সেনা তাদের ওপর নির্মম অত্য়াচার চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ। পাক সরকার এই অঞ্চলগুলিতে কোনওভাবেই উন্নয়ন করেনি বলে অভিযোগ। এই আন্দোলনগুলি পাকিস্তান সরকারকে কোণঠাসা করে ফেলেছে। পাকিস্তানজুড়ে যেভাবে বিচ্ছিন্নতাবাদ মাথাচাড়া দিচ্ছে তাতে অনেকেই ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ছায়া দেখছে। সেই সময় যেমন স্বাধীন বাংলাদেশ গঠিত হয়েছিল, পাকিস্তানের অন্দরের এমন বিচ্ছিন্নতাবাদ দেখে মনে হচ্ছে সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে।

    ভারত-পাক যুদ্ধের আবহে গতি পেয়েছে এই বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন

    ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক যে যুদ্ধ আবহে তীব্র হয়েছে এই বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন ও বিদ্রোহ। সম্প্রতি, বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি পাকিস্তান সরকার ও তার সেনার ওপরে ব্যাপক আঘাতে হেনেছে। এই আবহে তারা নিজেদের স্বাধীনতাও ঘোষণা করে দিয়েছে। বালোচিস্তান তার স্বাধীনতা ঘোষণার পরেই সিন্ধু প্রদেশ থেকে একইভাবে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন শুরু হয়ে সিন্ধ প্রদেশে। এই সময় সিন্ধু প্রদেশকে পাকিস্তান থেকে মুক্ত করার দাবি ওঠে এবং পৃথক রাষ্ট্র গঠনের জন্য বিভিন্ন সেখানকার রাজনৈতিক দলগুলি আন্দোলন শুরু করে। পাকিস্তান সরকার এই আন্দোলনগুলিকে দমন করতে হিমশিম খেয়ে যায়। অন্যদিকে, খাইবার পাখতুনখোয়া এবং উত্তর বালোচিস্তানের বেশ কিছু অংশ জুড়ে রয়েছে পশতুনদের আবাসভূমি। এই অঞ্চলগুলির বাসিন্দারা নিজেদের জন্য পশতুনস্তানের দাবি জানিয়েছে।এই প্রতিবেদনে আলোচনা করা হল পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন নিয়ে।

    স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবি বালোচিস্তানের (Pakistan)

    ভারত ও পাকিস্তানের (Pakistan News) যুদ্ধ আবহে বালোচিস্তান লিবারেশন আর্মি পাকিস্তান থেকে নিজেদের স্বাধীনতা ঘোষণা করে।রাষ্ট্রসংঘের কাছে তারা আবেদন জানায় তাদেরকে যেন গণতান্ত্রিক একটি দেশের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত প্রাকৃতিক ও খনিজ সম্পদে ভরপুর হল পাকিস্তানের এই প্রদেশ। দীর্ঘদিন ধরেই এই প্রদেশকে বঞ্চিত করেছে পাকিস্তান সরকার, এমনটাই অভিযোগ। বালোচিস্তান একটি স্বাধীন রাজ্য ছিল কিন্তু ১৯৪৮ সালের মার্চ মাসে জোর করে পাকিস্তান এই বালোচিস্তানকে দখল করে বলে অভিযোগ। বালোচিস্তানের শাসক ছিলেন কালাত খান। কালাত খান চাপের মুখে পড়ে এবং বালোচিস্তানের জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে পাকিস্তানে যোগদান করেন। এরপর থেকে এই পাঁচটি বড় বিদ্রোহ দেখা দেয় বালোচিস্তানে। ১৯৪৮, ১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৭৩ থেকে ৭৭, ২০০০ সালের গোড়ার দিকে ব্যাপক সংঘাত শুরু হয় পাকিস্তান ও বালোচিস্তানের মধ্যে। এই সময় বালোচিস্তানের সাধারণ নাগরিকদের ওপরে হামলা শুরু করে পাকিস্তানের (Pakistan) সেনা। অপহরণ , লুট, হত্যা এই সমস্ত কিছুই ঘটতে থাকে।

    সিন্ধু রাজ্যের পৃথক দাবি

    পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশকে, সিন্ধু দেশ নামে একটি পৃথক রাষ্ট্র গঠনের কথা বলে আসছে সেখানকার জনগণ। তাদের দীর্ঘদিনের দাবি, একটি স্বাধীন সিন্ধু রাষ্ট্রের। এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের অভিযোগ, পাকিস্তান ইসলামিক রাষ্ট্র। তারা জোর করে তাদের ওপরে উর্দু ভাষা চাপিয়ে দিয়েছে। শুধুমাত্র তাই নয়, সেখানকার জমি দখল করে সাধারণ মানুষের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে পাকিস্তান সরকার। তাদের স্থানীয় সংস্কৃতিকে মুছে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বছরের পর বছর ধরে। পাকিস্তানের সেনা বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করেছে বলেও অভিযোগ।

    পশতুন তাহাফুজ আন্দোলন

    প্রসঙ্গত, পাঞ্জাবিদের পরে পাকিস্তানের (Pakistan) দ্বিতীয় বৃহত্তম জনগোষ্ঠী হল পশতুনরা। তারা পাকিস্তানের মোট জনসংখ্যার ১৫ শতাংশ, তাদেরও নানারকম অভিযোগ রয়েছে যে পাকিস্তান তাদের ওপর বৈষম্য এবং নিপীড়ন চালিয়েছে। এই আবহে তারাও একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবি জানিয়েছে। পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের পশতুনরা ১৮৯৩ সালে যে ডুরান্ড লাইন- এর মাধ্যমে সীমা নির্ধারণ করা হয়, তার বিরোধিতা করে আসছে। সাম্প্রতিক সময়ে পশতুন সম্প্রদায়ের মধ্যে আন্দোলন ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। এই আন্দোলনের নাম পশতুন তাহাফুজ আন্দোলন।

    গিলগিট-বালটিস্তানের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন

    একই চিত্র দেখা গিয়েছে গিলগিট-বালটিস্তানেও। সেখানেও পাকিস্তানের সেনা তথা সরকারকে প্রতিরোধের মুখে পড়তে হচ্ছে। এই গিলগিট-বালটিস্তান হল পাক অধিকৃত কাশ্মীরের অংশ। প্রাকৃতিকভাবে অত্যন্ত সৌন্দর্য এবং সমৃদ্ধশালী অঞ্চলটিকে পাকিস্তান সরকার দীর্ঘদিন ধরেই অনুন্নত রেখেছে। উত্তরে রয়েছে আফগানিস্তানের সীমা, উত্তর-পশ্চিমে চীনের সীমা, পূর্বে রয়েছে লাদাখ এবং দক্ষিণ দিকটি কাশ্মীর দ্বারা বেষ্টিত। পাকিস্তান সরকারের দীর্ঘ অবহেলার কারণে এই অঞ্চলের মানুষজন পাকিস্তান (Pakistan News) সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন। এই অঞ্চলের সাধারণ মানুষের জমি জোর করে দখল করার অভিযোগ উঠেছে পাক সেনার বিরুদ্ধে।

  • India Pakistan Conflicts: পহেলগাঁওয়ে হামলার নেপথ্যে আসিম মুনিরের ‘চরমপন্থী ধর্মনীতি’! বিস্ফোরক বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর

    India Pakistan Conflicts: পহেলগাঁওয়ে হামলার নেপথ্যে আসিম মুনিরের ‘চরমপন্থী ধর্মনীতি’! বিস্ফোরক বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার জন্য পাক সেনাপ্রধান (India Pakistan Conflicts) আসিম মুনিরের ‘চরমপন্থী ধর্মনীতি’ই দায়ী। বৃহস্পতিবার এমনই দাবি করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। নেদারল্যান্ডসের সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে পাক সেনাপ্রধানের সমালোচনায় জয়শঙ্কর বলেন, ‘‘আসিম মুনিরের চরমপন্থী ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গিই জঙ্গিদের পহেলগাঁও হামলায় আরও বেশি করে উস্কে দিয়েছে৷’’ এখানেই শেষ নয়, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে যে জঙ্গি হামলা হয়েছে, তাকে ‘বর্বরোচিত কাজ’ হিসাবে উল্লেখ করেছেন বিদেশমন্ত্রী৷ জানিয়েছেন, উপত্যকায় পর্যটন শিল্পে ধাক্কা দিতে এবং ধর্মীয় বিভেদ ছড়াতেই এই হামলা চালানো হয়েছে৷

    ধর্মীয় বিভেদ উস্কে দিয়েছিলেন মুনির

    এদিন জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বলেন, ‘‘পহেলগাঁওয়ে বর্বরোচিত ওই হামলার লক্ষ্যই ছিল কাশ্মীরের পর্যটন শিল্পকে পঙ্গু করে দেওয়া এবং ধর্মীয় বিভেদ উস্কে দেওয়া। ধর্ম দেখে বেছে বেছে ২৬ জনকে তাঁদের পরিবারের সামনেই হত্যা করা হয়েছিল। এটি এমন ভাবে করা হয়েছিল যাতে পর্যটন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা কাশ্মীরের অর্থনীতির মূলভিত্তি।’’ উল্লেখ্য, পহেলগাঁও হামলার কয়েক দিন আগেই মুনির দ্বিজাতি তত্ত্বের প্রসঙ্গ তুলে ধর্মীয় বিভেদ ‘উস্কে’ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। কথাপ্রসঙ্গে এসেছিল কাশ্মীর সমস্যার বিষয়টিও। সেই প্রসঙ্গ টেনেই ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘‘বিষয়টা বুঝতে হলে আপনাকে পাকিস্তানের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখতে হবে, বিশেষ করে তাদের সেনাপ্রধানের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে। আসিম মুনিরের দৃষ্টিভঙ্গি চরম ধর্মীয়। পহেলগাঁওয়ে যে ভাবে আক্রমণ করা হয়েছিল, তার সঙ্গে এ হেন মতাদর্শের স্পষ্টতই যোগসূত্র রয়েছে।’’

    মুনিরের মন্তব্যের পরই হামলা টিআরএফ-এর

    পহেলগাঁও হামলার এক সপ্তাহেরও কম সময় আগে, ১৬ এপ্রিল, পাক সেনাপ্রধান জেনারেল মুনির কাশ্মীর ইস্যুতে উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছিলেন৷ বলেছিলেন, ‘‘কাশ্মীর হল ভারতের যুগুলার ভেইন৷’’ তিনি দুই দেশ তত্ত্বের সমর্থনেও কথা বলেছিলেন সেদিন, যে তত্ত্ব স্বাধীনতা পরবর্তী দেশভাগের জন্য দায়ী৷ এছাড়াও, পাকিস্তানের নাগরিকদের তিনি পরামর্শ দিয়েছিলেন, যাতে তাঁরা তাঁদের সন্তানকে শেখান যে, ‘‘তারা হিন্দুদের থেকে আলাদা৷’’ এদিন সেই প্রসঙ্গ টেনেই জয়শঙ্কর কথাগুলো বলেন। ডাচ মিডিয়ার সাথে কথা বলার সময়, জয়শঙ্কর বলেন, ‘‘টিআরএফ অনেক দিন ধরেই আমাদের নজরে ছিল। আমরা ইতিমধ্যেই বিষয়টি রাষ্ট্রপুঞ্জের নজরে এনেছি৷” তিনি জানান, ভারতের কাছে টিআরএফের সাথে হাফিজ সইদের লস্কর-ই-তৈবার সংযোগের স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে এবং ভারত তাদের কম্যান্ড সেন্টার এবং অবস্থান সম্পর্কে অবগত। তিনি বলেন, ‘‘আমরা জানি কম্যান্ড সেন্টারগুলো কোথায় – এবং ৭ মে আমরা সেই জায়গাগুলোকেই লক্ষ্য করেছিলাম।” এই টিআরএফ-ই পহেলগাঁওয়ে হামলার দায় স্বীকার করে।

     

     

     

     

  • Bangladesh Army: ইউনূসকে নির্বাচনের লক্ষ্ণণরেখা টেনে দিলেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান, সরকারের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে সেনার!

    Bangladesh Army: ইউনূসকে নির্বাচনের লক্ষ্ণণরেখা টেনে দিলেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান, সরকারের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে সেনার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কোনও করিডরের কাজ করা যাবে না।” বাংলাদেশের (Bangladesh Army) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান শান্তিতে নোবেল জয়ী মহম্মদ ইউনূসকে এই বার্তাই দিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। মায়ানমারের জন্য প্রস্তাবিত মানবিক (Myanmar) করিডর নিয়ে তাঁর যে আপত্তি রয়েছে, তা ফের মনে করিয়ে দেন তিনি। তিনি এও বলেন, “ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অনির্বাচিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার করিডর বা কোনও বিদেশি দেশের কাছে বন্দর হস্তান্তরের মতো বড় কোনও সিদ্ধান্তও নিতে পারে না।”

    করিডর চালুর প্রস্তাব (Bangladesh Army)

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সেই সময় তিনি বাংলাদেশকে অনুরোধ করেছিলেন মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছতে দেশটির ভেতর দিয়ে একটি করিডর চালু করার জন্য। মায়ানমারের এই রাজ্য দখল করেছে আরাকান আর্মি। তার পর থেকে রাখাইনে ঘাটতি দেখা দিয়েছে খাদ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্যের। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে এই আরাকান আর্মি বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয়। রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিবের প্রস্তাবে সম্মতি জানায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। তবে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল এই উদ্যোগের বিরোধিতা করে জানায়, এ ধরনের সিদ্ধান্ত সব তাদের সঙ্গে আলোচনা করেই নিতে হবে। বিএনপি এই প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করেছে। তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তারা আর একটি গাজা হতে চায় না (Myanmar)।

    কী বললেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান

    বুধবার ঢাকার সেনাবাহিনী সদর দফতরে কর্তাদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। সাধারণত, সেনাপ্রধান ২০ থেকে ২৫ মিনিট বা সর্বোচ্চ আধ ঘণ্টার বক্তব্য দিয়ে থাকেন। তবে বুধবার তিনি প্রায় এক ঘন্টা ২০ মিনিট সময় কথা বলেছেন। সেই সময়ে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, “নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসার আগে পর্যন্ত কোনও মানবিক করিডর অথবা কোনও বিদেশিকে কোনও বন্দর দেওয়া হবে না। তা করতে হবে বৈধ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই। এখানে জাতীয় স্বার্থ দেখতে হবে। জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে করতে হবে।” তিনি বলেন, “বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক স্থিতিশীলতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে—এমন কিছুই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মেনে নেবে না। তাঁর বক্তব্য সমর্থন করেন বাহিনীর কর্তারা। সেনানিবাসে অফিসারদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখার সময় সেনাপ্রধান বলেন, “ইউনূস সরকার দেশের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীকে অন্ধকারে রাখছে।” এর পরেই তিনি বলেন, “কোনও করিডরের কাজ করা যাবে না।”

    বিএনপির বক্তব্য

    প্রবল আন্দোলনের (Bangladesh Army) জেরে গত বছরের ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন আওয়ামি লিগ নেত্রী শেখ হাসিনা। তার পরেই ক্ষমতার রাশ যায় ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, অন্তর্বর্তী সরকার দীর্ঘ সময় ধরে দেশ চালাতে পারে না। তাদের প্রধান দায়িত্বই ছিল দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করা। কিন্তু ইউনূস সরকার ক্রমাগত নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা করে চলেছে। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগির সরাসরি ইউনূস সরকারকে তোপ দেগে বলেছিলেন, “এই নির্বাচন পিছানোর নেপথ্যে বড় কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে (Myanmar)।” এবার ইউনূসকে হুঁশিয়ারি দিলেন সেনাপ্রধানও। জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারকে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।” তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছিল সুষ্ঠভাবে স্বাধীন নির্বাচনের আয়োজন করতে।

    সাফ কথা সেনাপ্রধানের

    সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টা এবং উপদেষ্টা পরিষদের সঙ্গে আলোচনায় সেনাপ্রধানের উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়। আলোচনায় সেনাপ্রধানকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তিনি কেন রাতে সেনা সদস্যদের নিয়ে মিটিং করেন? সেনাপ্রধানকে এ ধরনের প্রশ্ন করার কারণে, তিনি বুধবার অফিসারদের ফোরামে বেশ উষ্মা প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে, ইউনূস সরকারের প্রতি নিজের ক্ষোভও ব্যক্ত করেন। অন্তর্বর্তী সরকার যাতে সেনার কাজে নাক না গলায়, তাও এদিন স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান। তিনি বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারে কিছু বিদেশি রয়েছেন, যাঁরা দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ করছেন এবং বাংলাদেশের পরিস্থিতি খারাপ হলে তাঁরা তাঁদের দেশে ফিরে যাবেন।” তাঁর ইঙ্গিতের অভিমুখ যে বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় উপদেষ্টা খলিলুর রহমানের দিকে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না (Bangladesh Army)। এই খলিলুর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা। গত বছর নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই সেনাপ্রধানের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন তিনি। এই খলিলুরই মায়ানমার করিডরের পক্ষে জোরালো সওয়াল করেছিলেন। সংবিধানে ব্যাপক সংশোধনের ডাক দিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার। সে প্রসঙ্গে সেনা প্রধান বলেন, “বড় ধরনের কোনও পরিবর্তন কাম্য নয়।” সেনা প্রধান মনে করিয়ে দেন, আগামীদিনে বাংলাদেশ কোন পথে এগিয়ে যাবে, তা নির্ধারণ করার অধিকার আছে সাধারণ মানুষের দ্বারা নির্বাচিত সরকারের।

    বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত!

    উল্লেখ্য যে, ইউনূস সরকার চট্টগ্রাম বন্দরের নিউ মুরিং কন্টেনার টার্মিনালের কার্যকলাপ একটি বিদেশি পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের হাতে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশের শিপিং উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “প্রশাসন টার্মিনাল পরিচালনার জন্য একজন বিদেশি অপারেটর নিয়ে আসার পক্ষে।” অন্তর্বর্তী সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে, বিএনপি এবং জামাত ইসলামি-সহ একাধিক রাজনৈতিক দল। বাংলাদেশের ১২ দলের জোটও সাফ জানিয়েছে, কোনও অবস্থায়ই নিউ মুরিং কন্টেনার টার্মিনাল (Bangladesh Army) বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়া যাবে না। চট্টগ্রাম বন্দর কোনও বিদেশি সংস্থাকে লিজ দিলে, সেটাও মেনে নেওয়া হবে না (Myanmar)।

  • Pakistan: বিশ্বের সামনে হাত পাতছে পাকিস্তান, বিদেশে ভিক্ষে করছে পাকিস্তানিরা! সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

    Pakistan: বিশ্বের সামনে হাত পাতছে পাকিস্তান, বিদেশে ভিক্ষে করছে পাকিস্তানিরা! সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকার ভিক্ষা চাইছে আইএমএফের কাছে, বিদেশে ভিক্ষাবৃত্তিতে লিপ্ত পাক নাগরিকেরা! গত ১৬ মাসে সৌদি আরব ৫,০৩৩ জন পাকিস্তানি (Pakistan) ভিক্ষুককে বিতাড়িত করেছে। পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভি জাতীয় পরিষদে এই তথ্য প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও, মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশ থেকেও শত শত পাকিস্তানি নাগরিককে বিতাড়িত করা হয়েছে। নকভি জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত সৌদি আরব, ইরাক, মালয়েশিয়া, ওমান, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহি (UAE) থেকে মোট ৫,৪০২ জন পাকিস্তানি নাগরিককে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। প্রধান কারণ—বিদেশে গিয়ে ভিক্ষাবৃত্তিতে লিপ্ত হওয়া।

    পাকিস্তানিদের নিয়ে বিরক্ত পশ্চিম এশিয়ার মুসলিম দেশগুলিই

    কিন্তু কেন এ ভাবে পাক নাগরিকদের ফেরত পাঠাচ্ছে দেশগুলি? এর মূল কারণ, ভিক্ষাবৃত্তি! তেমনটাই উঠে এসেছে বিভিন্ন প্রতিবেদনে। ‘পাকিস্তানি (Pakistan) তাড়াও’ নীতি গ্রহণকারী দেশগুলির মধ্যে সবার উপরে রয়েছে সৌদি আরব। সেখান থেকেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পাকিস্তানিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তালিকায় এর পরে রয়েছে ইরাক (২৪৭ জন)। অন্য দিকে, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি পাক নাগরিকদের ভিক্ষাবৃত্তি নিয়ে পাকিস্তান সরকারের কাছে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং পাকিস্তানিদের জন্য ভিসা নিয়ম কঠোর করেছে। সেখান থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে ৫৮ জন পাক নাগরিককে। রিপোর্টে উঠে এসেছে, পাকিস্তানিরা তীর্থযাত্রার নামে পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলিতে যাচ্ছেন এবং সেখানে গিয়ে ভিক্ষা করা শুরু করছেন। ভিক্ষার টাকা জমিয়ে কেউ ফিরে আসছেন, তো কেউ সেখানেই রয়ে যাচ্ছেন পাকাপাকি ভাবে। আর তাতেই তিতিবিরক্ত সে দেশগুলির প্রশাসন। সে কারণেই খুঁজে খুঁজে পাকিস্তানিদের ফেরত পাঠাচ্ছে দেশগুলি।

    পাকিস্তানিদের ভিসা পাওয়াই কঠিন

    পাকিস্তানিদের (Pakistan) বিদেশে গিয়ে ‘ভিক্ষা-প্রেম’-এর বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ পায় ২০২৩ সালে। সে বছর প্রবাসী পাকিস্তানিদের বিষয়ে সেনেটের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সেই উদ্বেগের কথা উঠে আসে। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খ্বাজা আসিফ বলেন, “এটা খুব লজ্জার। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে, এখন বিদেশে পাকিস্তানিদের ভিসা পাওয়াই কঠিন হয়ে পড়েছে।” তাঁর মতে, প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ পাকিস্তানে কোনও না কোনওভাবে ভিক্ষার সঙ্গে যুক্ত, যা বছরে আনুমানিক ৪২ বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি তৈরি করছে। পাকিস্তানের যেকোনও অঞ্চলে ভিক্ষুক পাওয়া যেতে পারে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর শেয়ার করা তথ্য থেকে দেখা যায় যে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ব্যক্তিরা এই প্রবণতার সঙ্গে জড়িত। যেমন, সিন্ধ প্রদেশ থেকে ২,৭৯৫ জন, পাক পাঞ্জাব থেকে ১,৪৩৭ জন, খাইবার পাখতুনখোয়া থেকে ১,০০২ জন, বালোচিস্তান থেকে ১২৫ জন এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীর থেকে ৩৩ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বাদ নেই রাজধানী ইসলামাবাদও। এখানকার ১০ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

    বিদেশে গ্রেফতার হওয়া ভিখারিদের প্রায় ৯০ শতাংশই পাকিস্তানি

    রিপোর্ট অনুসারে, বিদেশে গ্রেফতার হওয়া ভিখারিদের প্রায় ৯০ শতাংশই পাকিস্তানি নাগরিক। অনেকে হজ, উমরা কিংবা জিয়ারতের ভিসায় বিদেশে যান, কিন্তু পরে সেখানেই ভিক্ষাবৃত্তি শুরু করেন। পাকিস্তানের এই অবস্থাকে কটাক্ষ করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সম্প্রতি তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের এক অনুষ্ঠানে বলেন, “পাকিস্তানের অবস্থা এতটাই খারাপ যে এখন দেশটির নাম শুনলেই ভিক্ষার ছবি চোখে ভেসে ওঠে।”

    নাগরিকদের ‘সহবত’ শেখানোর উপদেশ

    গত বছরও একটি রিপোর্টে উঠে এসেছিল যে, পাকিস্তানের (Pakistan)  শ্রমিক এবং কর্মীদের কাজ দিতে চাইছে না পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলি। পাকিস্তানি নাগরিকদের সংখ্যা ক্রমে বেড়ে চলা নিয়েও সতর্কতা জারি করেছিল তারা। এমনকি, পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলি ইসলামাবাদকে চিঠি পাঠিয়ে নাগরিকদের ‘সহবত’ শেখানোর উপদেশও দিয়েছিল সে সময়। প্রবাসী পাকিস্তানিদের সচিব সেনেট কমিটিকে সে সময় জানিয়েছিলেন, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, সৌদি আরব, কাতার এবং কুয়েত চাইছে না, পাকিস্তানি কর্মীরা তাদের দেশে গিয়ে কাজ করুন।

    সমাজমাধ্যমে হাসির রোল

    সম্প্রতি প্রকাশিত এই তথ্য পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবক্ষয় বিশ্বের দরবারে আবারও স্পষ্ট করে দিয়েছে। এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর সে দেশের জনগণেরই সমালোচনার মুখে পড়েছে পাক সরকার। হাসির রোলও উঠেছে সমাজমাধ্যমে। একজন টুইটার ব্যবহারকারী ব্যঙ্গ করে লেখেন, “পাকিস্তানি ভিখারি—ব্যর্থ জঙ্গি রাষ্ট্রের আসল বিজনেস মডেল। একজন আইএমএফ-এ ভিক্ষা করে, অন্যরা বিশ্বজুড়ে।” আরেকজন লেখেন, “পাকিস্তান অবশেষে স্বীকার করে নিয়েছে যে ২০২৪ সালেই ৫ হাজারের বেশি ভিখারিকে বিদেশ থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।” আরেকজন ব্যবহারকারী লেখেন, “পাকিস্তানে মাদ্রাসা ও জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থাকলেও, ভিক্ষুক তৈরির জন্য কোনও আনুষ্ঠানিক কোচিং সেন্টার নেই। তবুও দেশটি বিশ্বজুড়ে ‘ভিক্ষার জন্য’ পরিচিত।”

  • Amir Hamza: পাকভূমে আক্রান্ত লস্করের সহ-প্রতিষ্ঠাতা আমির হামজা! গুরুতর অবস্থায় লাহোরের হাসপাতালে ভর্তি

    Amir Hamza: পাকভূমে আক্রান্ত লস্করের সহ-প্রতিষ্ঠাতা আমির হামজা! গুরুতর অবস্থায় লাহোরের হাসপাতালে ভর্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গুরুতর আহত অবস্থায় লাহোরের সামরিক হাসপাতালে ভর্তি লস্কর-ই-তৈবার (Lashkar-e-Taiba) সহ প্রতিষ্ঠাতা আমির হামজা (Amir Hamza)। নিজের বাড়িতেই আক্রান্ত হয়েছে ভারতের হিটলিস্টে থাকা এই জঙ্গি। তবে কীভাবে হামজা আহত হল তা স্পষ্ট নয়। প্রথমে খবর আসে নিজের বাড়িতেই গুলিবিদ্ধ হয়েছে সে। পরে জানা যায়, ‘রহস্যজনক’ভাবে পড়ে গিয়েছে। তবে গুরুতর আহত হয়েছে হামজা। তিনদিন আগে পাকিস্তানের (Pakistan) সিন্ধ প্রদেশে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল লস্কর জঙ্গি আবু সইফুল্লা। এরপর আরও এক শীর্ষ লস্কর জঙ্গি আহত হওয়ায় রহস্য ঘনীভূত হতে শুরু করেছে।

    হাফিজ সইদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হামজা

    লস্কর প্রধান হাফিজ সঈদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হামজা (Amir Hamza)। যে ১৭ জন মিলে লস্করের প্রতিষ্ঠা করে, তাদের মধ্যে অন্যতম হামজা। সংগঠনের প্রধান আদর্শবাদী হিসেবেও দীর্ঘদিন দায়িত্ব সামলাচ্ছে। লস্করের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা কমিটির সদস্যও ছিল একসময়। হাফিজের নির্দেশে অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গেও সুসম্পর্ক বজায় রাখত হামজা। পাকিস্তানের (Pakistan) পঞ্জাব প্রদেশের গুজরানওয়ালা শহরের বাসিন্দা এই আমির হামজা। ২০১২ সালে একে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণা করে আমেরিকা। মার্কিন গোয়েন্দারা জানায়, লস্করের যে সেবা সংস্থা, তাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিল হামজা। পাশাপাশি, লস্করের ইউনিভার্সিটি ট্রাস্টেরও মাথায় ছিল সে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, লস্করের প্রচারিত পত্রিকাগুলির সম্পাদক হামজা নিজের বাড়িতেই মঙ্গলবার গুরুতর আহত হয়। এরপর আইএসআই-এর নিরাপত্তায় লাহোরের সেনা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাকে।

    কে এই হামজা

    আফগানিস্তান যুদ্ধে একসময় সশস্ত্র যোদ্ধার ভূমিকায় ছিল হামজা (Amir Hamza)। সেই সময় আফগান মুজাহিদিনের অংশ ছিল সে। সেখানে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে লড়াই করে হামজা। পরবর্তীতে হাফিজের সঙ্গে হাত মিলিয়ে লস্করের প্রতিষ্ঠা করে। রিপোর্ট বলছে, ২০০০ সাল নাগাদ ভারতে ব্যাপকভাব সক্রিয় ছিল এই সন্ত্রাসবাদী। ২০০৫ সালে বেঙ্গালুরুতে জঙ্গি হামলায় সইফুল্লার সহযোগী ছিল হামজা। ২০১০ সালের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত লস্করের (Lashkar-e-Taiba) প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর দায়িত্ব ছিল এর উপর। ২০১৮ সালে লস্কর এবং জামাত-উদ-দাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারির পরই হাফিজের কথায় ‘জইশ-ই-মানকাফা’ নামে নতুন এক সংগঠন তৈরি করে হামজা। এই ঘটনায় অনেকের অনুমান ছিল, হয়ত লস্করে ভাঙন ধরেছে। যদিও পরে জানা যায় গোটাটাই ছিল মানুষের চোখে ধুলো দেওয়ার এক পন্থা।

  • Asim Munir: ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি! ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত আসিম মুনির, ফের স্বৈরতন্ত্রের পথে পাকিস্তান?

    Asim Munir: ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি! ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত আসিম মুনির, ফের স্বৈরতন্ত্রের পথে পাকিস্তান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত বিদ্বেষ ও পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি পাঠিয়ে ২৬টি নিরীহ প্রাণ কেড়ে নেওয়ার পুরস্কার! না কি পাকিস্তানে (Pakistan) ফের গণতন্ত্রের অবসান! অর্থনৈতিক সঙ্কটে জর্জরিত পাকিস্তান আবারও সামরিক শাসনের পথে? সেনাপ্রধান থেকে ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত হলেন আসিম মুনির (Asim Munir)। প্রয়াত প্রাক্তন সেনাশাসক আয়ুব খানের পর পাক সেনার দ্বিতীয় অফিসার হিসেবে মুনির ‘পাঁচ তারা জেনারেল’ পদ পেলেন। এই পদোন্নতি মূলত প্রতীকী। তবুও মুনিরকে এই পদে বসানোয় পাকিস্তানের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনা পাক মুলুকে অতীত সামরিক শাসনের স্মৃতি ফিরিয়ে এনেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদক্ষেপ পাকিস্তানের ভঙ্গুর গণতন্ত্রে সেনাবাহিনীর আধিপত্য আরও সুদৃঢ় করতে পারে।

    কেন এই পদে মুনির

    মঙ্গলবার পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে (Asim Munir) ফিল্ড মর্শাল পদে বসালেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এটাই পাকিস্তানের সর্বোচ্চ সামরিক পদ। বস্তুত, ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত হওয়ায় জল, স্থল এবং নৌ-তিন সেনারই নিয়ন্ত্রণ চলে এল মুনিরের হাতে। এমনিতে মুনির শাহবাজ শরিফের ঘনিষ্ঠ। ইমরান খানকে সরিয়ে শাহবাজ শরিফকে পাক প্রধানমন্ত্রীর মসনদে বসানোর নেপথ্যেও এই মুনিরের হাত রয়েছে বলে শোনা যায়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক সামরিক সংঘাতে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীকে ‘সফলভাবে’ নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য মুনিরের পদোন্নতি হয়েছে। ভারতের সঙ্গে সংঘাতে সেনাপ্রধান হিসাবে তাঁর ‘অনুকরণীয় ভূমিকা’ পালনের জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে শরিফ মন্ত্রিসভা। উল্লেখযোগ্যভাবে, পাকিস্তান সাম্প্রতিক সংঘাতে জয়ের দাবি করলেও, ভারত আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মঞ্চে প্রমাণ-সহ ইসলামাবাদের মিথ্যাচার ফাঁস করেছে।

    ইতিহাসের ছায়া, আয়ুব খান ও সামরিক শাসনের শুরু

    ১৯৫৯ সালে যখন তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল আয়ুব খান নিজেকে ফিল্ড মার্শাল ঘোষণা করেন, তখন পাকিস্তান প্রবেশ করেছিল সামরিক শাসনের এক নতুন অধ্যায়ে। মাত্র এক দশকেই দেশটির সাতজন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন, কেউই পূর্ণ মেয়াদ শেষ করতে পারেননি। ১৯৫৮ সালে রাষ্ট্রপতি ইস্কান্দার মির্জা সংসদ ভেঙে মার্শাল ল’ ঘোষণা করেন এবং আয়ুব খানকে চিফ মার্শাল ল’ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর হিসেবে নিযুক্ত করেন। কিন্তু খুব অল্প সময়েই আয়ুব খান তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে নিজেই রাষ্ট্রপতির পদ দখল করেন। আয়ুবের ‘ফিল্ড মার্শাল’ উপাধি গ্রহণ ছিল কৌশলগত—তিনি চেয়েছিলেন সামরিক ও অসামরিক উভয় নেতৃত্বের ঊর্ধ্বে নিজের অবস্থান নিশ্চিত করতে। তাঁর শাসনকাল (১৯৫৮-১৯৬৯) ছিল কঠোর নিয়ন্ত্রণ, গণমাধ্যমের উপর সেন্সরশিপ এবং একটি স্বৈরতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার প্রতিচ্ছবি।

    বর্তমান প্রেক্ষাপট, আসিম মুনির ও আঞ্চলিক উত্তেজনা

    ২০২৫ সালে আসিম মুনিরের (Asim Munir) এই পদোন্নতি এসেছে এক জটিল পরিস্থিতিতে। সম্প্রতি পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি ঘাঁটিগুলি শেষ করার জন্য ভারত শুরু করে ‘অপারেশন সিঁদুর’। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে ভারত তাদের বিমান ঘাঁটি ও সামরিক পোস্টগুলিতে হামলা চালায়। এই পরিস্থিতিতে ভারত-বিরোধী পাক জেনারেল মুনির, জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর প্রতি সহানুভূতি দেখান। তিনি সম্প্রতি ‘দুই জাতি তত্ত্ব’ উল্লেখ করে ভারতের প্রতি কড়া বার্তা দেন। ফিল্ড মার্শালের পদ, যদিও এখন আর কার্যকরী সেনা পদ নয়, তবে এর প্রতীকী ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব অনেক। অনেকেই বলছেন, এটি সেনাবাহিনীর আরও কর্তৃত্ব প্রদর্শনের সংকেত। যা পাকিস্তানের গণতন্ত্রকে প্রশ্নের মুখে ফেলতে পারে।

    বিচারবিভাগীয় ক্ষমতা

    পহেলগাঁও হামলার পরই অবশ্য বিভিন্নভাবে মুনিরের ক্ষমতা বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গত ৯ মে সেনাপ্রধানের হাত শক্ত করতে একটি তাৎপর্যপূর্ণ রায় দেয় পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। জানিয়ে দেওয়া হয়, এবার থেকে সেনা আদালতে সাধারণ নাগরিকদের মামলারও শুনানি করা যাবে। যার অর্থ, দেশের বিচারব্যবস্থা এবং সামরিক শক্তি পুরোটাই এখন মুনিরের হাতে।

    রাজনৈতিক ও প্রতীকী তাৎপর্য

    পাকিস্তানের (Pakistan) রাজনীতি দীর্ঘদিন ধরে সেনাবাহিনীর প্রভাবাধীন। পাক সরকার, বিশেষ করে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, প্রায়শই সামরিক চাপের মুখে পড়েছেন। এই প্রেক্ষাপটে মুনিরের পদোন্নতি অনেককেই ভাবিয়ে তুলেছে। পাকিস্তানের বিরোধী দলের এক শীর্ষ নেতার কথায়, “এটা একটি বিপজ্জনক বার্তা। ‘ফিল্ড মার্শাল’ কেবল একটি পদ নয়—এটা অবারিত ক্ষমতার প্রতীক। পাকিস্তান আরেকটি স্বৈরাচারী অধ্যায় সহ্য করতে পারবে না।” পহেলগাঁও হামলার পর শুরু হওয়া সংঘর্ষ দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উত্তেজনা নতুন মাত্রায় নিয়ে গিয়েছে। ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ সাম্প্রতিক ইতিহাসে অন্যতম বড় আক্রমণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। মুনিরের পদোন্নতি ও তাঁর কট্টর অবস্থান এই উত্তেজনাকে আরও উস্কে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। জেনারেল আসিম মুনিরের ‘ফিল্ড মার্শাল’ পদোন্নতি পাকিস্তানের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাঁক। আয়ুব খানের মতো, তাঁর পদোন্নতি এমন এক সময় এসেছে যখন দেশ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং কূটনৈতিক সংকটে রয়েছে।

  • PM Modi: “বেতন বন্ধ, খাবারও নেই, প্রধানমন্ত্রী কিছু করুন”, করুণ আবেদন সৌদিতে আটকে পড়া শ্রমিকদের

    PM Modi: “বেতন বন্ধ, খাবারও নেই, প্রধানমন্ত্রী কিছু করুন”, করুণ আবেদন সৌদিতে আটকে পড়া শ্রমিকদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ত্রাতা সেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)! বিদেশে বিপদে পড়ে তাই তাঁরই শরণ নিলেন কয়েকশো ভারতীয় শ্রমিক। তাঁরা প্রধানমন্ত্রী ও নিজের নিজের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের কাছে নিরাপদে দেশে ফেরানোর আবেদন জানিয়েছেন (Saudi Arabia)।

    বন্ধ বেতন (PM Modi)

    সৌদি আরবে সেনদান ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি লিমিটেডে কাজ করতে গিয়েছিলেন কয়েকশো ভারতীয়। এঁদের বেশিরভাগই বিহার এবং উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। এই শ্রমিকদের অভিযোগ, গত আট মাস ধরে কোম্পানি তাঁদের বেতন দেয়নি। তাই তাঁরা খাদ্য এবং বাসস্থানের মতো ন্যূনতম প্রয়োজনীয়তা থেকেও বঞ্চিত। জুবাইলের কিং ফয়সাল ওয়েস্ট রোডে অবস্থিত কোম্পানির হাউজিং ক্যাম্পে কোনওক্রমে বসবাস করছেন তাঁরা। বেতন না পাওয়ায় অমানবিক পরিবেশে দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন। বেঁচে রয়েছেন পর্যাপ্ত খাবার, পানীয় জল এবং চিকিৎসার সুবিধা ছাড়াই।

    কী বলছেন আটকে পড়া শ্রমিকরা

    বিপদে পড়ে তাঁরা প্রথমে দ্বারস্থ হয়েছিলেন রিয়াধে থাকা ভারতীয় দূতাবাসের। অভিযোগ, সেখান থেকে কোনও সাহায্য মেলেনি। এই বিপন্ন শ্রমিক দলটির একজন শৈলেশ কুমার চৌহান। তিনি বলেন, “আমরা মেল ও ফোনের মাধ্যমে একাধিকবার ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ইতিবাচক কোনও সাড়া পাইনি।” তিনি বলেন, “যদি শীঘ্রই সাহায্য না পাওয়া যায়, তাহলে আমাদের পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যাবে।”

    ভারতীয় দূতাবাসের কাছ থেকে কোনও সাহায্য না পেয়ে ওই শ্রমিকরা সরাসরি আবেদন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। তাঁদের পরিবারের সদস্যরা জেলাশাসক ও গোপালগঞ্জের সাংসদ অলক কুমার সুমনের কাছেও আবেদন করেছেন। সুমন যোগাযোগ করেন ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে (PM Modi)। খুব শীঘ্রই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

    প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হতেই বিপাকে পড়েন সে দেশে পড়াশোনা করতে যাওয়া ভারতীয়রা। কেবল ইউক্রেন নয়, তার প্রতিবেশী দেশগুলিতে আটকে যাওয়া ভারতীয়দের উদ্ধার করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অপারেশন গঙ্গা’। এই অপারেশনের মাধ্যমে ভারতীয় তো বটেই বিপন্ন কয়েকজন পাকিস্তানি পড়ুয়া এবং প্রতিবেশী অন্যান্য কয়েকটি দেশের নাগরিকদেরও উদ্ধার করা হয়। পরে তাঁরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) প্রতি কৃতজ্ঞতাও ব্যক্ত করেন।

    এবারও প্রধানমন্ত্রী ঠিক কিছু একটা করবেন, এই আশায় বুক বেঁধেছেন বিপন্ন (Saudi Arabia) ওই ভারতীয় শ্রমিকরা।

  • Baloch Liberation Army: জাফর এক্সপ্রেস হাইজ্যাক, ভিডিও প্রকাশ করে পাক দাবি খণ্ডন বিএলএ-র

    Baloch Liberation Army: জাফর এক্সপ্রেস হাইজ্যাক, ভিডিও প্রকাশ করে পাক দাবি খণ্ডন বিএলএ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুচিস্তানের স্বাধীনতাকামী যোদ্ধারা (Baloch Liberation Army) হাইজ্যাক করেছিলেন পাকিস্তানের জাফর এক্সপ্রেস (Jaffar Express Hijack)। এই অভিযানের কোড নেম ছিল “দর্রা-ই-বোলান ২.০”। সম্প্রতি এই মুক্তি বাহিনীর মিডিয়া শাখা ‘হাক্কাল’ ৩৬ মিনিটের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। এই ভিডিওতে তুলে ধরা হয়েছে তাদের অভিযানের আদ্যন্ত চিত্র। এই ভিডিওতেই স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে অভিযানের সময় বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মির নিয়ন্ত্রণ ও কর্তৃত্ব। ভিডিওটিতে পাকিস্তানের সরকারি দাবি-দাওয়াকে খণ্ডনও করা হয়েছে।

    ক্লিয়ারেন্স অপারেশন (Baloch Liberation Army)

    ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে, বালোচ লিবারেশন আর্মির স্বাধীনতা সংগ্রামীরা ট্রেনের ভিতরে একটি ক্লিয়ারেন্স অপারেশন চালাচ্ছে। প্রথমেই নারী, শিশু এবং বৃদ্ধদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য রয়েছে। অথচ পাক সেনা দাবি করেছিল, ঘটনাটি নৃশংস।আস্ত একটা ট্রেন হাইজ্যাক করার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন এক বালোচ স্বাধীনতা সংগ্রামী। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, “আমাদের সংগ্রাম ও যুদ্ধ এমন এক পর্যায়ে (Baloch Liberation Army) পৌঁছেছে যেখানে আমাদের এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। আমাদের তরুণরা এই ধরনের পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। কারণ তারা জানে এ ধরনের সিদ্ধান্ত ছাড়া আর কোনও বিকল্প নেই। একটি বন্দুক থামাতে আর একটি বন্দুকের প্রয়োজন। বন্দুকের গুলির শব্দ হয়তো এমন এক জায়গায় পৌঁছতে পারে।”

    বালোচদের বক্তব্য

    তিনি বলেন, “বালোচ তরুণরা আজ সিদ্ধান্ত নিয়েছে শত্রুর ওপর আঘাত হানার, কোনওরকম দ্বিধা বা নিজেদের জীবনের পরোয়া না করেই। আজ যখন একজন ছেলে তার বাবাকে পেছনে রেখে নিজের জীবন উৎসর্গ করতে যাচ্ছে, তেমনি একজন বাবা-ও তার ছেলেকে পেছনে রেখে এই সংগ্রামের জন্য আত্মবিসর্জন দিচ্ছেন।” সংগঠনটি তাদের ফিদাঁয়ে ইউনিট মাজিদ ব্রিগেডের সদস্যদের নাম, ছবি এবং বিদায়বার্তা প্রকাশ করেছে। এর মাধ্যমে তারা দাবি করেছে, তাদের ক্ষয়ক্ষতি অনেক কম। কারণ তাদের অভিযান ছিল শক্তিশালী এবং নিখুঁতভাবে পরিকল্পিত (Jaffar Express Hijack)।

    যদিও পাক সেনার মুখপাত্র ডিজিআইএসপিআরের বক্তব্যের সঙ্গে এই বক্তব্যের বিস্তর অমিল ধরা পড়ে। কারণ পাক সেনা দাবি করেছিল, বালোচ লিবারেশন আর্মি বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে (Baloch Liberation Army)।

  • China: অপারেশন সিঁদুরের সময় পাকিস্তানকে স্যাটেলাইট তথ্য দিয়ে সাহায্য করে চিন, বলছে রিপোর্ট

    China: অপারেশন সিঁদুরের সময় পাকিস্তানকে স্যাটেলাইট তথ্য দিয়ে সাহায্য করে চিন, বলছে রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে চিন (China) সরাসরি পাকিস্তানকে সাহায্য করেছে। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। ব্লুমবার্গের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত-পাক যুদ্ধে পাকিস্তানকে কৃত্রিম উপগ্রহের নজরদারির মারফত সহায়তা প্রদান করেছে বেজিং। রেডার পুনঃস্থাপনের ক্ষেত্রেও ইসলামাবাদকে বেজিং সাহায্য করেছে বলে অভিযোগ।

    রাজস্থানের আন্তর্জাতিক সীমান্তের উপর বেজিঙের উপগ্রহকে পাক খেতে দেখা গিয়েছে

    ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সীমান্তে ভারতীয় সেনার (India Pakistan War) গতিবিধির ওপর নজর রাখতে একাধিক ‘গুপ্তচর’ উপগ্রহকে কাজে লাগায় চিন (China)। এভাবেই তারা সেই তথ্য পাঠিয়ে দিতে থাকে রাওয়ালপিন্ডির সেনা সদর দফতরে। তবে চিনের এত সাহায্য়ের পরেও শেষ রক্ষা হয়নি। সাফল্যের সঙ্গে প্রত্যাঘাত চালায় দিল্লি। এদিকে একাধিক পশ্চিমি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ভারতীয় সেনার গতিবিধির ওপর নজরদারি শুরু করে চিনা উপগ্রহ। কীভাবে সামনে এল বিষয়টি? প্রথম বার এটি নজরে আসে ওপেন-সোর্স ইনটেলিজেন্স বা ও এসআইএনটির গোয়েন্দাদের। তাঁরাই জানিয়েছেন, অপারেশন সিঁদুরের আবহে বহু বার রাজস্থানের আন্তর্জাতিক সীমান্তের উপর বেজিঙের উপগ্রহকে পাক খেতে দেখা গিয়েছে।

    ভারতের ‘আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা’ দূর্দান্ত কাজ করায় ব্যর্থ হয় পাকিস্তান

    আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য হল, পাকিস্তানের ফৌজ যখন (India Pakistan War) রাজস্থানে ড্রোন দিয়ে হামলা চালানোর চেষ্টা চালাচ্ছিল, তখনই ওই এলাকার ওপর নজরদারি চালায় চিনের উপগ্রহ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেজিঙের সাহায্য নিয়ে ওই হামলা পরিচালনা করছিলেন রাওয়ালপিন্ডির পাক সেনা অফিসাররা। তবে ভারতের ‘আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা’ (এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম) দুর্দান্তভাবে কাজ করায় সেগুলি শূন্যেই ধ্বংস হয়ে যায়।

    ইসলামাবাদকে সুবিধা করে দিতেই মাঠে নামে চিন

    বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে চিনের ‘পিপলস লিবারেশন আর্মি’ বা পিএলএর কাছে রয়েছে নজরদারি এবং অনুসন্ধানমূলক কাজ ভালো ভাবে করতে সক্ষম একগুচ্ছ কৃত্রিম উপগ্রহ। সূত্রের খবর মিলেছে, ভারত-পাক যুদ্ধে ইসলামাবাদকে সুবিধা করে দিতেই সেগুলির বড় অংশকে কাজে লাগায় চিন। এক কথায় ভারতের বিরুদ্ধে ছায়া যুদ্ধ চালায় বেজিং। বিশ্লেষকদের মতে, ভারতীয় সেনা বাহিনীর যুদ্ধকৌশল, এয়ার ডিফেন্স সার্ভিস ব্যবহারের পদ্ধতি ইত্যাদি তথ্য সংগ্রহই ছিল চিনা উপগ্রহগুলির মূল উদ্দেশ্য।

    নিজেদের উপগ্রহগুলিকে আরও উন্নত করার প্রতিশ্রুতি পাকিস্তানকে দিয়েছে চিন

    পশ্চিমি সংবাদমাধ্যমগুলি তাদের প্রতিবেদনে আরও দাবি করেছে, ‘পাকিস্তান রিমোট সেন্সিং স্যাটেলাইট-১’ (পিআরএসএস-১) এবং পাকস্যাট-এমএম১ নামের আরও দুটি কৃত্রিম উপগ্রহের সাহায্য় পাচ্ছিল পাকিস্তান। এগুলির নিয়ন্ত্রণও রয়েছে চিনের হাতেই। সূত্রের খবর, ভারতের উন্নত এয়ার ডিফেন্সকে ধ্বংস করতে ভবিষ্যতে এই ধরনের উপগ্রহগুলিকে আরও উন্নত করার প্রতিশ্রুতি পাকিস্তানকে দিয়েছে চিন।

    পাকিস্তানকে উপগ্রহভিত্তিক যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেছে চিন

    আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য এই যে পশ্চিম সীমান্তে ভারতকে ব্যস্ত রাখতে ইতিমধ্যেই পাক ফৌজকে উপগ্রহভিত্তিক যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেছে চিন। সূত্রের খবর, পহেলগাঁওয়ের হামলার সময় নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা বলতে ভারতে নিষিদ্ধ চিনা অ্যাপগুলি ব্যবহার করেছিল পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। ২০২০ সালে গালওয়ান উপত্যকায় চিনের সঙ্গে সংঘাতের সময় সংশ্লিষ্ট অ্যাপগুলিকে নিষিদ্ধ করে নয়াদিল্লি। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই অ্যাপগুলিতে তথ্য গোপনের পন্থা (এনক্রিপশন) অনেক বেশি শক্তিশালী এবং আধুনিক। এগুলিকে হ্যাক করা খুবই কঠিন।

    কেন পাকিস্তানকে সাহায্য করছে চিন

    পাকিস্তানকে সাহায্য করার পিছনে জড়িয়ে রয়েছে চিনের নিজস্ব স্বার্থ। বেজিং আশঙ্কা করছে, অরুণাচল প্রদেশ বা লাদাখের সীমান্ত সংঘাতকে কেন্দ্র করে ভারতের সঙ্গে মুখোমুখি লড়াইয়ের ময়দানে নামতে হবে তাদেরকেও। তাই পাকিস্তানের সঙ্গে এই ‘যুদ্ধে’ ব্যবহার হওয়া নয়াদিল্লি আক্রমণ পদ্ধতি বুঝে নিতেই নিজেদের ‘গুপ্তচর’ উপগ্রহগুলিকে কাজে লাগায় তারা। একইসঙ্গে এই যুদ্ধে ইসলামাবাদকে বিক্রি করা অস্ত্রগুলির শক্তি পরীক্ষার ওপরেও নজর রেখেছিল বেজিং (China)। তবে সেখানে অবশ্য় একেবারে ফেল করেছে চিন। চিনা হাতিয়ার ‘ডাহা ফেল’ করায় পাকিস্তানের সামনেও মুখ পুড়েছে চিনের।

    চিনের বিক্রি করা অস্ত্রের ৬০ শতাংশই পাকিস্তান কিনেছে

    চিনের বিক্রি করা অস্ত্রের ৬০ শতাংশই পাকিস্তান কিনেছে বলে জানা গিয়েছে। সংঘাত চলাকালীন ড্রোন হামলা চালিয়ে পাক পাঞ্জাব প্রদেশের লাহোরের ‘এয়ার ডিফেন্স’কে উড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা। এখানেই মোতায়েন ছিল চিনের তৈরি ‘এইচকিউ-৯পি’ নামের একটি এয়ার ডিফেন্স। এ ছাড়াও চিনের জেএফ-১৭ নামের দু’টি লড়াকু জেটকে ধ্বংস করে নয়াদিল্লি।

    চিনের সংবাদমাধ্যমে ভুয়ো খবর ছাপা হয় রাফাল নিয়ে

    ভারতীয় বিমানবাহিনীর রাফাল লড়াকু জেটকে ইসলামাবাদ ধ্বংস করেছে বলে খবর প্রকাশ করে চিন (China)। সেদেশের সরকারি সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবাল টাইমস’- এ প্রকাশিত হয় এই খবর। এর পরেই ‘গ্লোবাল টাইমস’কে সঠিক তথ্য দেওয়ার জন্য ‘ফ্যাক্ট চেক’ পাঠায় কেন্দ্রীয় সরকারের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো বা পিআইবি। তখন বাধ্য হয়ে ভুল খবর প্রকাশ করার কথা স্বীকার করে নেয় চিনের এই সরকারি সংবাদমাধ্যম। এই আবহে রাফালকে ধ্বংস করতে বেজিঙের জে-১০সি লড়াকু জেট ব্যবহার হয়েছে বলে দাবি করেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী ইশাক দার। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তাঁর বক্তব্য খারিজ করে দেয় চিন।

LinkedIn
Share