Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Prince Harry: প্রাসাদ থেকে কী বিতাড়িত হতে চলেছেন ব্রিটেনের রাজপুত্র? জানুন বিস্তারিত

    Prince Harry: প্রাসাদ থেকে কী বিতাড়িত হতে চলেছেন ব্রিটেনের রাজপুত্র? জানুন বিস্তারিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটিশ রাজকুমার প্রিন্স হ্যারি (Prince Harry) ও তাঁর স্ত্রী মেগান মার্কেল এবার প্রাসাদ থেকে পাকাপাকিভাবে বিতাড়িত হতে চলেছেন বলেই খবর। রাজমহলের অন্দরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, উইন্ডসর এস্টেটে ফ্রগমোর কটেজ থেকে নিজেদের জিনিসপত্র সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হ্যারিকে। রাজকুমারের বিতর্কিত আত্মজীবনী ‘স্পেয়ার’ প্রকাশিত হওয়ার পরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলে সূত্রের খবর।

    বর্তমান কটেজটি তাঁরা উপহার পেয়েছিলেন ২০১৮ সালে

    জানা গেছে, ২০১৮ সালে বিয়ের উপহার হিসাবে নবদম্পতি হ্যারি-মেগানকে এই কটেজ উপহার দিয়েছিলেন তৎকালীন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। ২০২০ সালে রাজপরিবারের সমস্ত দায়িত্ব ছেড়ে ক্যালিফোর্নিয়া চলে যান হ্যারি। পাকাপাকিভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা হলেও ব্রিটেনে নিজেদের কটেজ ছাড়েননি তাঁরা।

    হ্যারির আত্মজীবনী প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই রাজপরিবারের বিবাদ সামনে আসে

    চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই প্রকাশিত হয় হ্যারির আত্মজীবনী স্পেয়ার। রাজপরিবারের রীতিনীতি থেকে শুরু করে তাঁর প্রতি পরিবারের একাংশের দুর্ব্যবহার- সমস্ত কিছু নিয়েই তোপ দাগেন হ্যারি। সাধারণ মানুষের প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে ব্রিটিশ রাজপরিবার। অন্দরের খবর, তারপরেই রাজা তৃতীয় চার্লস সিদ্ধান্ত নেন, ফ্রগমোর কটেজ থেকে সরিয়ে দিতে হবে হ্যারিকে। 

    হ্যারির ছেড়ে যাওয়া কটেজ কে পাবে

    জানা গিয়েছে, হ্যারির এই কটেজ এবার দেওয়া হবে প্রিন্স অ্যান্ড্রুকে। যৌন কেলেঙ্কারির জেরে ইতিমধ্যেই রাজপরিবারে কার্যত কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন রাজা চার্লসের ভাই। সেই কারণেই ৩০টি ঘরের প্রাসাদ ছেড়ে অপেক্ষাকৃত ছোট কটেজে পাঠিয়ে দেওয়া হবে তাঁকে। তবে রাজপরিবারের দাবি, খরচ কমিয়ে সাধারণ জীবনযাপনের দিকে জোর দিচ্ছেন সদস্যরা। সেই জন্যই একাধিক কাটছাঁট করছে রাজপরিবার। যদিও এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরেও একটি ক্লাবে খোশমেজাজে পার্টি করতে দেখা গিয়েছে হ্যারি-মেগানকে। 

    আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় জয়ী বিজেপি, নোটার চেয়েও কম ভোট পেয়ে মুখ পোড়াল তৃণমূল

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Counterterrorism: সন্ত্রাসবাদ দমনে ভারতের পদক্ষেপ তাৎপর্যপূর্ণ, বলল মার্কিন রিপোর্ট

    Counterterrorism: সন্ত্রাসবাদ দমনে ভারতের পদক্ষেপ তাৎপর্যপূর্ণ, বলল মার্কিন রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমানে তামাম বিশ্বের মাথাব্যথার কারণ সন্ত্রাসবাদ। এই সন্ত্রাসবাদ (Counterterrorism) দমনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ নানা পন্থা অবলম্বন করছে। তবে ভারতের পন্থাটি যে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ, তা মেনে নিল আমেরিকার জো বাইডেন (Joe Biden) প্রশাসন। সম্প্রতি কান্ট্রি রিপোর্টস অন টেররিজম ২০২১ : ইন্ডিয়া প্রকাশ করে ইউএস(আমেরিকা) ব্যুরো অফ কাউন্টার-টেররিজম। সেখানেই গাওয়া হয়েছে ভারত (India)-প্রশস্তি। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবাদীদের সংগঠন চিহ্নিত, চূর্ণবিচূর্ণ করতে তাৎপর্যপূর্ণভাবে ব্যবস্থা নিয়েছে ভারত। শুধু তাই নয়, সন্ত্রাসবাদীদের বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতেও ব্যবস্থা নিয়েছে তারা।

    সন্ত্রাসবাদ বিরোধী (Counterterrorism) পদক্ষেপ…

    রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে জম্মু-কাশ্মীর, উত্তর-পূর্বের কয়েকটি রাজ্য এবং মধ্য ভারতে সন্ত্রাসবাদের (Counterterrorism) বাড়বাড়ন্ত দেখা যায়। লক্সর-ই-তৈবা, জইশ-ই-মহম্মদ, হিজবুল মুজাহিদিন, আইএসআইএস, আল কায়দা এবং জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ- এই সব সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী ভারতে সক্রিয় রয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে সন্ত্রাসবাদীরা কৌশল বদলেছে। আগে তারা প্রশাসনের কর্মীদের ওপর হামলা চালালেও, বর্তমানে তারা আক্রমণ করছে সাধারণ মানুষকে। ড্রোনের সাহায্যে তারা হামলা চালিয়েছে ভারতের একটি এয়ার ফোর্স বেসেও। সন্ত্রাসবাদ দমনে ২০২১ সালে ভারত আমেরিকা বৈঠক করে।

    এটি ছিল অষ্টাদশতম বৈঠক। বৈঠক হয়েছে দুই দেশের কাউন্টার টেরটিরজম জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের।ওই বছরেরই নভেম্বর মাসে ভারত অস্ট্রেলিয়া এবং জাপানের সঙ্গেও যৌথ সামরিক মহড়া দেয়। কান্ট্রি রিপোর্টস অন টেররিজম ২০২১ : ইন্ডিয়া-র রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, আমেরিকার অনুরোধে সন্ত্রাসবাদীদের (Counterterrorism) সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য এবং তদন্তের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে দ্রুত রিপোর্ট দিয়েছে ভারত। আমেরিকায় সন্ত্রাসবাদীদের হামলা হতে পারে এমন খবরও আগাম দিয়েছে ভারত।

    আরও পড়ুুন: পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ সংবিধান ভুলে গিয়েছে! দিনহাটায় পৌঁছেই বিস্ফোরক সুকান্ত

    ওই রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, শুধু ২০২১ সালেই জম্মু-কাশ্মীরে ১৫৩টি সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা ঘটেছে। যার জেরে মৃত্যু হয়েছে ২৭৪ জনের। এর মধ্যে সাধারণ মানুষ রয়েছেন ৩৬ জন, নিরাপত্তারক্ষী ৪৫ জন। আর জঙ্গি রয়েছে ১৯৩ জন। উল্লেখযোগ্য আরও একটি জঙ্গি হানার ঘটনা ঘটেছিল মণিপুরে। জঙ্গিদের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন সাতজন। তাঁদের মধ্যে এক ভারতীয় সেনাও ছিলেন। জঙ্গিদের হামলায় নিহত হন তাঁর স্ত্রী এবং নাবালক সন্তানও। রিপোর্টে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবাদের মূলোৎপাটন করতে জম্মু-কাশ্মীরে ভারতীয় সেনা স্কুল, ট্রেনিং কোর্স, নিয়োগ, মেডিক্যাল ক্যাম্প এবং এমার্জেন্সি সার্ভিসও চালু করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Ukraine Russia War: ভারতের বাধায় পরমাণু হামলা করেননি পুতিন, মানল আমেরিকা

    Ukraine Russia War: ভারতের বাধায় পরমাণু হামলা করেননি পুতিন, মানল আমেরিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত এবং চিন বাধা না দিলে হয়ত এতদিনে ইউক্রেন যুদ্ধ (Ukraine Russia War) শেষ করার জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগ করতেন। এই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বর্ষপূর্তি হয়েছে ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের। এখনও যুদ্ধের বিরাম নেই। এমতাবস্থায় ইউক্রেনে ফের পরমাণু অস্ত্র হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করলেন জো বাইডেন সরকারের বিদেশ সচিব। জি ২০- সম্মেলনে যোগ দিতে আগামী সপ্তাহে ভারতে আসছেন মার্কিন বিদেশ সচিব। তার আগে তাঁর বক্তব্য থেকে পরিষ্কার, বিশ্বে শান্তি ফেরাতে ভারতের গুরুত্ব কতটা।

    রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ (Ukraine Russia War)…

    ব্লিঙ্কেন বলেন, রাশিয়ার মতো দেশের ওপর চিনের মতো দেশের প্রভাব সামান্যই। কিন্তু ভারতের মতো দেশ তাঁকে (পুতিনকে) শান্তি ফেরাতে অনুরোধ করেছে। সে বার্তা সে দেশের রাষ্ট্র প্রধানের কানে পৌঁছেও দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আমার মনে হয় এর কিছু প্রভাব পড়েছে।

    মার্কিন বিদেশ সচিব বলেন, দশকের পর দশক ধরে ভারত রাশিয়ার (Ukraine Russia War) ওপর নির্ভর করত। রাশিয়া ভারতকে সামরিক অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ করত। কিন্তু ইদানিং দেখা যাচ্ছে ভারত আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করার চেষ্টা করছে। রাশিয়া ছাড়াও তারা আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে সম্পর্ক শক্তপোক্ত করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, এদের মধ্যে ফ্রান্সও রয়েছে।

    আরও পড়ুুন: কৃষকদের জন্য সুখবর! কিষাণ যোজনার টাকা দিল মোদি সরকার

    রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের এই আবহে পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়ার কারণ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একটি বক্তব্য। চলতি সপ্তাহেই তিনি বলেছিলেন, রোসাতম ও তাঁর প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর এটা নিশ্চিত করা প্রয়োজন যে আমাদের দেশ প্রয়োজনে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করবে।

    গত বছর কাজাখাস্তানের সমরখণ্দে মুখোমুখি হয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই মোদি পুতিনকে পইপই করে বুঝিয়েছিলেন, এটা যুদ্ধের (Ukraine Russia War) যুগ নয়। রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বার্তার পরেও হয়ত রাশিয়া ইউক্রেনে যুদ্ধে ইতি পড়েনি, তবে মোদির ওই বার্তায় যে বিশ্বশান্তির বার্তা স্পষ্ট, তা মেনে নিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। জো বাইডেন প্রশাসনও আগে একবার স্বীকার করেছে একথা। ফের একবার ভারতের ‘প্রভাব’ মনে করিয়ে দিলেন বাইডেন প্রশাসনেরই বিদেশমন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
     

     

  • Pakistan: এবারে ওষুধের তীব্র সংকট পাকিস্তানে, শেষের পথে জীবনদায়ী ওষুধ, বন্ধ অস্ত্রোপচার

    Pakistan: এবারে ওষুধের তীব্র সংকট পাকিস্তানে, শেষের পথে জীবনদায়ী ওষুধ, বন্ধ অস্ত্রোপচার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে গোটা দেশ! এর আগেই জানা গিয়েছিল, খাবারের জন্য রাস্তায় মারামারি করছে মানুষ। গমের দাম আকাশ ছোঁয়া। এবারে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাতেও পড়েছে এর প্রভাব। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে প্রতিবেশি দেশ পাকিস্তান। সূত্রের খবর, পাকিস্তানে অর্থনৈতিক মন্দার উত্তাপ এখন তার ‘স্বাস্থ্য ব্যবস্থায়’ পৌঁছেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় ওষুধের জন্য হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। প্রয়োজনীয় ওষুধ বা অপরিহার্য ওষুধের উপাদান (এপিআই) আমদানি করা যাচ্ছে না। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এর ফলে হাসপাতালে অস্ত্রোপচারও হচ্ছে না এবং অপারেশন থিয়েটারে (ওটি) মাত্র দুই সপ্তাহের ওষুধ ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বাকি রয়েছে।

    চরম সংকটে প্রতিবেশি দেশ পাকিস্তান

    চরম দুরাবস্থা পড়শি দেশ পাকিস্তানে। কোষাগারে বিদেশী মুদ্রার ভাণ্ডারে টান। চরম অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দেশটি। এর মাঝেই পর্যাপ্ত ওষুধের অভাবে ভেঙে পড়েছে পাকিস্তানের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। নেই জীবনদায়ী ওষুধ। বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার তলানিতে এসে ঠেকেছে, আমদানি করা যাচ্ছে না গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ। যার ফলে দেশীয় ওষুধ প্রস্তুতকারকদের উপর জোর দিচ্ছে সরকার। এমনকি অলিখিত ভাবে চিকিৎসকদের উপর ফতোয়া জারি করা হয়েছে। চিকিৎসকদের বলা হচ্ছে বেশি অপারেশন না করতে। রোগী কম দেখতে।

    মাত্র দুই সপ্তাহের ওষুধ মজুত রয়েছে

    পাক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বর্তমানে অপারেশন থিয়েটারে মাত্র দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের জন্য চেতনানাশক ওষুধ অ্যানেসথেসিয়া মজুত রয়েছে। হার্ট, ক্যানসার এবং কিডনির মত রোগের অস্ত্রোপচারের জন্য যা অত্যাবশ্যকীয় একটি ওষুধ। ওষুধের ঘাটতি এবং সেগুলো তৈরিতে প্রয়োজনীয় উপাদানের কারণে ওষুধ কোম্পানিগুলো ওষুধের পণ্য কমিয়ে দিয়েছে। এ কারণে হাসপাতালের রোগীরা বিপাকে পড়েছেন।

    ছাঁটাই শুরু চিকিৎসাক্ষেত্রে

    মনে করা হচ্ছে, ওষুধের ঘাটতি শুধু রোগীদের নয়, বহু মানুষের কর্মসংস্থানকেও ক্ষতিগ্রস্ত করবে। চিকিৎসাক্ষেত্রে শুরু হয়েছে ছাঁটাই। কর্মহীন হচ্ছে বহু মানুষ। ফলে এটি মানুষের দুর্দশা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।

    ঋণ দিচ্ছে না ব্যাঙ্কগুলো

    ওষুধ উৎপাদনকারীরা এ সংকটের জন্য বর্তমান আর্থিক ব্যবস্থাকে দায়ী করছেন। তারা বলেছেন, কাঁচামাল আমদানি করার জন্য লেটার অব ক্রেডিটের (এলসি) ছাড়পত্র দিচ্ছে না বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলো। পাকিস্তানের ওষুধ শিল্প প্রায় পুরোটাই আমদানি নির্ভর। মোট ওষুধের ৯৫ ভাগ কাঁচামালই ভারত, চিনসহ অন্যান্য দেশগুলো থেকে আসে। কিন্তু ডলার সঙ্কটের কারণে কাঁচামাল করাচি বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে আটকে আছে।

    পাকিস্তানের ওষুধ উৎপাদনকারীরা বলছেন, দেশের মুদ্রার মান কমে যাওয়া, তেলের দাম বৃদ্ধি ও পরিবহণ খরচ বাড়ায় ওষুধের দাম বেড়ে যাচ্ছে। পরিস্থিতি যাতে বিপর্যয়ের দিকে না যায় সেজন্য সরকারের হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে পাকিস্তান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (পিএমএ)। তবে, কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ না নিয়ে এখনও ঘাটতির পরিমাণ নির্ধারণের চেষ্টা করছে। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের খুচরা ওষুধ বিক্রেতারা জানিয়েছেন, সম্প্রতি ওষুধের সংকট নিয়ে একটি সার্ভে চালিয়েছে সরকার। তারা জানিয়েছেন, বাজারে এখন খুব সাধারণ কিন্তু অতি জরুরি প্যানাডোল, ইনসুলিন, ব্রুফেন, ডিসপ্রিন, ক্যালপল, তাগরাল, নিমেসুলেদে, হেপামারজ, বুসকোপান এবং রিভোট্রিলের মত ওষুধগুলো পাওয়া যাচ্ছে না।

    গত মাসেই (জানুয়ারি) পাকিস্তান ফার্মাসিউটিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারার অ্যাসোসিয়েশনের (পিপিএমএ) কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান সাঈদ ফারুক বুখারি জানিয়েছিলেন, ওষুধ উৎপাদন প্রায় ২৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। তিনি সতর্কতা দিয়ে বলেছিলেন, যদি আগামী ৪-৫ সপ্তাহ কাঁচামাল আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকে তাহলে ওষুধের তীব্র সংকট দেখা দেবে।

  • Debt Trap: চিনা ঋণের ফাঁদে পড়ে আর্থিক সংকটে বহু দেশ, চিন্তিত আমেরিকা

    Debt Trap: চিনা ঋণের ফাঁদে পড়ে আর্থিক সংকটে বহু দেশ, চিন্তিত আমেরিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনা ঋণের ফাঁদে (Debt Trap) আর্থিক সংকটে একের পর এক দেশ। শ্রীলঙ্কার পর পাকিস্তানের অবস্থাও তথৈবচ। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া। এবার এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল আমেরিকা। আমেরিকার অনুমান, এভাবেই ঋণের ফাঁদে ফেলে নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করতে পারে চিন।

    আমেরিকার দৃষ্টিভঙ্গি 

    কিছুদিনের মধ্যেই সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ভারত সফরে আসছেন। ১ মার্চ থেকে ৩ মার্চ পর্যন্ত ভারতে থাকবেন ব্লিঙ্কেন। তার আগে উপমহাদেশের অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন আমেরিকার হয়ে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া সম্পর্কিত বিষয়ের সহ সচিব ডোনাল্ডক লু (Debt Trap) । তিনি বলেন, ভারতের যেসব প্রতিবেশী (পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও নেপাল) রাষ্ট্রগুলি রয়েছে, তাদের ঋণ দিয়েছে চিন। আমরা এনিয়ে চিন্তিত যে, এই লোন নিজেদের উদ্দেশে সাধনে ব্যবহার করতে পারে তারা।  

    লু বলেন, “আমরা ভারতের সঙ্গে কথা বলছি। ওই এলাকার দেশগুলির সঙ্গে কথা বলছি। বলা হচ্ছে, নিজেদের সিদ্ধান্ত আপনারা নিজেরা নিন। চিন-সহ অন্য কোনও সঙ্গী রাষ্ট্র যেন আপনাদের ওপর তাদের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে না পারে।” সম্প্রতি পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী ইশাক দার ঘোষণা করেন, “বোর্ড অফ চায়না ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক (Debt Trap) তাদের ৭০০ মিলিয়ন ডলার ক্রেডিট অনুমোদন করেছে।” এই প্রসঙ্গেই লু বলেন, “চিনকে নিয়ে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে গুরুতর আলোচনা চলছে।”

    আরও পড়ুন: “মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমে, বেড়েছে ভোটার”, রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ শুভেন্দুর 

    ডোনাল্ড লু বলেন, “আমরা ভারতের সঙ্গে কথা বলছি। এই অঞ্চলের দেশগুলির সঙ্গে কথা বলছি (Debt Trap) । কীভাবে আমরা দেশগুলিকে তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করতে পারি সেটা নিয়ে কথা হচ্ছে। চিন যাতে বাইরে থেকে কাউকে চাপ দিয়ে কোনও কিছু করতে বাধ্য না করতে পারে, তা নিয়ে কথা হচ্ছে।” 

    প্রসঙ্গত, বিগত কয়েকবছর ধরেই চিনা ‘ঋণের ফাঁদ’ নিয়ে উত্তাল বিশ্ব (Debt Trap)। বিভিন্ন দেশকে অর্থ সাহায্য করে নিজের দলে টানতে চাইছে জিংপিং- এর দেশ। গতবছরই শ্রীলঙ্কার ভয়ানক পরিস্থিতি তার অন্যতম প্রমাণ। ভারতের পড়শি নেপাল, বাংলাদেশকেও এই ‘ঋণের ফাঁদে’ ফেলতে চায় চিন। পাকিস্তান ইতিমধ্যেই সেই ফাঁদে আর্ধেক পা দিয়ে রেখেছে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে’র নামে। আর এবার দেশের আর্থিক হাল ফেরাতে চিনের থেকে ৭০০ মিলিয়ন ডলার অর্থসাহায্য নিল পাকিস্তান।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • German Chancellor: ইউরোপে ভারতের সব চেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার জার্মানি, দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে বললেন মোদি

    German Chancellor: ইউরোপে ভারতের সব চেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার জার্মানি, দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউরোপে ভারতের (India) সব চেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার হল জার্মানি। শনিবার এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিনই দু দিনের ভারত সফরে এসেছেন জার্মানির চ্যান্সেলর (German Chancellor) ওলাফ শোলজ। তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেন মোদি। তার পরেই বলেন, ইউরোপে ভারতের সব চেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার হল জার্মানি। এদিন রাষ্ট্রপতি ভবনে শোলজকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। পরে প্রধানমন্ত্রী সহ বিজেপির বেশ কয়েকজন প্রথম সারির নেতার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন তিনি। সূত্রের খবর, এদিন মোদি-শোলজ বৈঠকে ক্লিন এনার্জি, বাণিজ্য ও নয়া প্রযুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকের শেষে হয় যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন। তখনই জার্মানি প্রসঙ্গে একথা বলেন মোদি।

    ভারত-জার্মানি…

    ভারতের সঙ্গে জার্মানির সম্পর্ক ভাল বলেও জানান শোলজ। সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের ভাল সম্পর্ক রয়েছে। আশা করি, এই সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে। আশা করি, আমরা আমাদের দেশের উন্নয়ন এবং বিশ্বের শান্তির সঙ্গে প্রাসঙ্গিক সমস্ত বিষয় নিয়ে গভীরভাবে আলোচনা করব।

    এদিন বৈঠক শেষে দুই রাষ্ট্র প্রধান দিল্লিতে হায়দরাবাদ হাউসে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সেই সম্মেলনে মোদি বলেন, দুই দেশের মধ্যে গভীর বোঝাপড়ার ওপর ভিত্তি করে ভারত ও জার্মানির সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। আমাদের বাণিজ্য বিনিময়ের ইতিহাস রয়েছে। এর পরেই মোদি বলেন, জার্মানি ইউরোপে আমাদের সব চেয়ে বড় বাণিজ্যের অংশীদার। ইউরোপে আমাদের বাণিজ্যের সর্ববৃহৎ অংশীদার হওয়া ছাড়াও ভারতে বিনিয়োগের অন্যতম একটি উৎস হল জার্মানি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, একে অপরের স্বার্থের অভিন্ন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর ভিত্তি করে ভারত ও জার্মানির মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্ক তৈরি হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: জেলের মধ্যেই কুন্তল-তাপসকে শাসানি পার্থর! আরও বিপাকে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী

    তিনি বলেন, বিগত কয়েক বছরে দু দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্কের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। আজ মেক ইন ইন্ডিয়া ও আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের ফলে সমস্ত ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ এসেছে। আমরা এই সুযোগগুলিতে জার্মানির আগ্রহ দেখে উৎসাহিত হয়েছি। শোলজ (German Chancellor) বলেন, আমাদের প্রয়োজন মেধা ও দক্ষ কর্মীর। ভারতে তথ্য প্রযুক্তি ও সফ্টওয়্যারের বিকাশ হচ্ছে। অনেক দক্ষ সংস্থা ভারতে রয়েছে। ভারতে এত প্রতিভা রয়েছে। আমরা তা থেকে উপকৃত হতে চাই। আমরা জার্মানিতে সেই প্রতিভা নিয়োগ করতে চাই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • FATF Pakistan: আপনারা নজরে রয়েছেন, পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি এফএটিএফ কর্তার

    FATF Pakistan: আপনারা নজরে রয়েছেন, পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি এফএটিএফ কর্তার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা! দেশের আর্থিক অবস্থা তলানিতে। দেউলিয়া হওয়ার পথে দেশ। এমতাবস্থায় পাকিস্তানকে (Pakistan) হুঁশিয়ারি দল ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স, সংক্ষেপে এফএটিএফ (FATF Pakistan)। শুক্রবার ওই সংস্থার তরফে ইসলামাবাদকে সাফ জানানো হয়েছে, সন্ত্রাসে অর্থ জোগানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে পাকিস্তানের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এফএটিএফের সভাপতি টি রাজা কুমার বলেন, আমি নির্দিষ্ট মিডিয়া রিপোর্ট নিয়ে জল্পনা করব না। তবে আমি মনে করি, যা গুরুত্বপূর্ণ তা হল এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ দ্বারা পাকিস্তানের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণে জোর দেওয়া।

    পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদীদের…

    সম্প্রতি পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি বশির আহমেদ পিরকে গুলি করে হত্যা করে এক আততায়ী। কাশ্মীরের বাসিন্দা বশিরের পাকিস্তানে এভাবে মৃত্যুর ঘটনায় প্রশ্ন উঠতে থাকে, পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদীদের আনাগোনা নিয়ে। প্রশ্ন ওঠে, তাহলে সন্ত্রাস রোখার বিষয়ে কতটা সচেতন পাকিস্তান? এখানেই শেষ নয়, বশির আহমেদ পিরের শেষকৃত্যে নেতৃত্ব দিতে দেখা গিয়েছে সৈয়দ সালাউদ্দিনকে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, পাকিস্তানি সেনারা তাঁকে ঘিরে রেখেছে এবং তিনি ভারতকে হুমকি দিচ্ছেন। সেই ঘটনার কথা কানে যায় এফএটিএফের প্রধানের। তখনই তিনি মুখ খোলেন পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে।

    আরও পড়ুুন: পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ, গ্রেফতার ডিআরডিও আধিকারিক

    বর্তমানে এফএটিএফের (FATF Pakistan) প্রেসিডেন্ট সিঙ্গাপুরের টি রাজা কুমার। প্যারিসে প্রতিষ্ঠানের প্লেনারি সেশনে তিনি বলেন, একটি উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির ওপর ভিত্তি করে পাকিস্তান ৩৪টি অ্যাকশন প্ল্যান আইটেম সম্পূর্ণ বা যথেষ্ট পরিমাণে সম্পূর্ণ করার জন্যও পদক্ষেপ নিয়েছে যা মূলত এগুলিকে অব্যাহত রাখতে এবং টিকিয়ে রাখতে হবে। তিনি বলেন, আমি পাকিস্তানকে তার অবশিষ্ট কর্ম পরিকল্পনা আইটেমগুলিকে সম্পূর্ণ করার জন্য অনুরোধ করব। সেই সঙ্গে এটি নিশ্চিত করতে হবে যে সে তার প্রতিশ্রুতি বজায় রাখছে ও সন্ত্রাসে অর্থায়নের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। উল্লেখ্য যে, গত বছর এফএটিএফের (FATF Pakistan) ধূসর তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল পাকিস্তানের নাম। কিন্তু প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এখনও দেশটিকে দুটি অ্যাকশন প্ল্যান নিতে হবে। পাকিস্তানকে ধূসর তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার পরেও তার ওপর নজর রেখেছে এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ।

    পাকিস্তানের অর্থনীতির হাঁড়ির হাল। অর্থনীতির চাকা ঘোরাতে বিশ্বের নানা দেশের কাছে হাত পাতছে ইসলামাবাদ। হত্যে দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডারেরও। এমতাবস্থায় এফএটিএফের এই হুঁশিয়ারিতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন পাকিস্তানের শীর্ষ কর্তারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

     

     

  • Khalistan: অস্ট্রেলিয়ায় ভারতীয় দূতাবাসকেও টার্গেট করেছিল খালিস্তানপন্থীরা

    Khalistan: অস্ট্রেলিয়ায় ভারতীয় দূতাবাসকেও টার্গেট করেছিল খালিস্তানপন্থীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই জোরালো হচ্ছে খালিস্তানি (Khalistan) আন্দোলন। বৃহস্পতিবার পঞ্জাবের (Punjab) আজনালা থানা এলাকায় যে ঘটনা ঘটল, তাতে চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। কেবল দেশেই নয়, বিদেশেও শক্তি সঞ্চয় করছে খালিস্তানপন্থীরা। অস্ট্রেলিয়ার (Australia) ব্রিসবেন শহরে ভারতীয় দূতাবাসকেও টার্গেট করছে তারা। দিন কয়েক আগে অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সেখানে তিনি জোর দিয়েছিলেন সন্ত্রাস দমনের ওপর। যেসব বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি অস্ট্রেলিয়ায় ভারতীয়দের টার্গেট করছে, কড়া হাতে তাদের মোকাবিলা করার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছিলেন বিদেশমন্ত্রী।

    খালিস্তানি…

    এর ঠিক একদিন পরে ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে কে বা কারা অস্ট্রেলিয়ায় ভারতীয় দূতাবাসের মাথায় টাঙিয়ে দেয় খালিস্তানি ঝান্ডা। পরের দিন সকালে অফিসে গিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় ভারতীয় রাষ্ট্রদূত অর্চনা সিং গিয়ে দেখেন অফিসের মাথায় টাঙানো খালিস্তানি (Khalistan)  ঝান্ডা। ততক্ষণাৎ তিনি ঘটনাটি জানান কুইন্সল্যান্ড থানায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ঝান্ডা সরিয়ে নেয়। অর্চনা বলেন, আমাদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ কর্তৃপক্ষের ওপর আমাদের পুরো আস্থা রয়েছে।

    আরও পড়ুুন: ফের জোরালো হচ্ছে খালিস্তানের দাবি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে হুমকি, কড়া নজর রাখছে কেন্দ্র

    বিভুঁয়ে খালিস্তানিদের দাপট অবশ্য এটাই প্রথম নয়। এর আগে অস্ট্রেলিয়ায় তিনটি হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর চালায় খালিস্তানপন্থীরা। চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি অস্ট্রেলিয়ায় (Khalistan) ইস্কনের মন্দিরে হামলা চালায় তারা। মেলবোর্নের অ্যালবার্ট পার্কে রয়েছে ইস্কনের মন্দির। মন্দিরটি এলাকায় হরে কৃষ্ণ মন্দির নামেও পরিচিত। রাতের অন্ধকারে কে বা কারা এই মন্দিরের দেওয়ালে হিন্দুস্তান মুর্দাবাদ লিখে দেয়। ভাঙুচর করা হয় মন্দিরের দেওয়াল। এর আগের ঘটনাটি ঘটে জানুয়ারির ১৬ তারিখে। ভিক্টোরিয়া প্রদেশের কেরাম ডাউনে রয়েছে শ্রী শিব বিষ্ণু মন্দির। রাতের অন্ধকারে এই মন্দিরেও ভাঙচুর চালিয়েছিল খালিস্তানপন্থীরা।

    এর ঠিক চারদিন আগেই ভাঙচুর চালানো হয় অস্ট্রেলিয়ার আরও একটি মন্দিরে। সেটি মেলবোর্নের স্বামীনারায়ণ মন্দির। সেখানেও মন্দিরের ক্ষতি করার পর দেওয়ালে ভারত বিরোধী স্লোগান লিখে দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। মহা শিবরাত্রির দিন হিন্দুদের দুটি মন্দিরে যখন ভক্তরা শিবরাত্রির আচার পালন করছিলেন, তখনও সে দেশের খালিস্তানপন্থীরা মন্দির কর্তৃপক্ষকে হুমকি দিয়েছিল। অস্ট্রেলিয়া সফরে থাকাকালীন এই সব ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন জয়শঙ্কর ও তাঁর ডেপুটি ভি মুরলীধরণ। অস্ট্রেলিয়ার বিদেশমন্ত্রী পেনি রংয়ের সঙ্গে বৈঠকে এই উদ্বেগ ব্যক্তও করেন জয়শঙ্কর। ভারতের তরফে অস্ট্রেলিয়া (Khalistan) সরকারকে ভারত বিরোধী কার্যকলাপকে কড়া হাতে দমন করার কথাও বলা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

  • Ajay Banga: এবারে কি বিশ্ব ব্যাঙ্কের শীর্ষেও ভারতীয় বংশোদ্ভূত! অজয় বাঙ্গাকে মনোনীত করলেন জো বাইডেন

    Ajay Banga: এবারে কি বিশ্ব ব্যাঙ্কের শীর্ষেও ভারতীয় বংশোদ্ভূত! অজয় বাঙ্গাকে মনোনীত করলেন জো বাইডেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে কি বিশ্ব ব্যাঙ্কের দায়িত্ব সামলাবেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত অজয় বাঙ্গা! বৃহস্পতিবারে বিশ্ব ব্যাঙ্কের নেতৃত্বের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মনোনীত করলেন মাস্টারকার্ডের প্রাক্তন সিইও অজয় বাঙ্গাকে। বিশ্ব ব্যাঙ্কের বর্তমান প্রধান ডেভিড ম্যালপাস ইতিমধ্যেই নিজের পদ থেকে সরে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন। আর সেই জায়গায় এবার ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রবাসী অজয় বাঙ্গাকে মনোনীত করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

    বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্টের জন্য প্রথমবার মনোনীত ভারতীয় বংশোদ্ভূত

    মেয়াদ শেষ হওয়ার এক বছর বাকি থাকতে আচমকাই ইস্তফা দিয়েছিলেন বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস। তিনি জানিয়েছিলেন, ‘অনেক চিন্তার পরে আমি নতুন কোনো চ্যালেঞ্জ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ কী কারণে মেয়াদ শেষের এক বছর আগে সরে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি, তা নিয়ে কোনও ব্যাখ্যা দেননি বিশ্ব ব্যাঙ্কের পদত্যাগী শীর্ষ কর্তা।

    ফলে এর পর এই পদের জন্য ইন্দো-আমেরিকান ব্যবসায়ী অজয় বাঙ্গার উপরই ভরসা রেখেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সাধারণত বিশ্ব ব্যাঙ্কের সভাপতি পদে আমেরিকান কাউকেই বসানো হয়। কিন্তু এই প্রথমবার এমন ঘটনা ঘটতে চলেছে। এই প্রথম কোনও ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিশ্ব ব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট পদের জন্য মনোনীত হলেন। ফলে অজয় বাঙ্গা এক ইতিহাস সৃষ্টি করতে চলেছেন। উল্লেখ্য, ম্যালপাস ক্ষমতা থেকে সরে আসার পর থেকেই এই মনোনয়নের কাজ চলছিল। ২৯ মার্চ পর্যন্ত মনোনয়ন চলবে।

    ভারতীয় বংশোদ্ভূত অজয় বাঙ্গা

    ৬৩ বছর বয়সী অজয় বাঙ্গা বর্তমানে ‘জেনারেল আটলান্টিক’ নামে এক বেসরকারি শেয়ার লেনদেন সংস্থার ভাইস চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন। আগে তিনি মাস্টারকার্ডের প্রেসিডেন্ট ও সিইও ছিলেন। ২০১৬ সালে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করা হয়েছিল বাঙ্গাকে।

    বাঙ্গার জন্ম ভারতের পুণেতে। দিল্লিতে সেন্ট স্টিফেন্স কলেজের অর্থনীতির স্নাতক। পরে আমদাবাদে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট থেকে এমবিএ করেন। ‘নেসলে ইন্ডিয়া’-র হাত ধরে কর্মজীবন শুরু হয় বাঙ্গার। এর পর কাজ করেন সিটি ব্যাঙ্কেও। ১৯৯৬ সালে আমেরিকা পাড়ি দেন তিনি। সেখানে ‘পেপসিকো’ সংস্থায় যোগ দেন। এর পর ধীরে ধীরে ওই সংস্থার সিইও-সহ একাধিক পদে দায়িত্ব সামলেছেন ও পরে মাস্টারকার্ডের প্রেসিডেন্ট ও সিইও হন। আর এবারে এক ইতিহাস গড়ার পথে তিনি।

  • Hizbul: সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দিচ্ছে পাকিস্তান! রাওয়ালপিন্ডির রাস্তায় সেনা নিরাপত্তা নিয়ে ঘুরছেন হিজবুল প্রধান

    Hizbul: সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দিচ্ছে পাকিস্তান! রাওয়ালপিন্ডির রাস্তায় সেনা নিরাপত্তা নিয়ে ঘুরছেন হিজবুল প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বমঞ্চে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার কথা বললেও, দেশের মাটিতে সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দিচ্ছে পাকিস্তান। সম্প্রতি তারই প্রমাণ মিলল একটি ভিডিও ফুটেজে। ওই ভিডিওয় দেখা গেল রাওয়ালপিন্ডির রাস্তায় সেনা নিরাপত্তা নিয়ে ঘুরছেন হিজবুল মুজাহিদ্দিনের (Hizbul Mujahideen) প্রধান তথা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী তকমাপ্রাপ্ত সইদ সালাহুদ্দিন (Syed Salahuddin)।  ভারতের তরফে ঘোষণা করা মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি বসির আহমেদ পীরের শেষযাত্রাতেই তাঁকে প্রার্থনা করতে দেখা যায়।  প্রকাশ্যে ভারত বিরোধী বক্তৃতাও দিতে দেখা যায় এই হিজবুল নেতাকে।

    জঙ্গিদের স্বর্গরাজ্য পাকিস্তান

    এই ভিডিও সোশ্যাল সাইটে ছড়িয়ে পড়তেই পাকিস্তানের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। জঙ্গিদের মদত দেওয়ার অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরেই এফএটিএফ-এর ধূসর তালিকায় ছিল পাকিস্তান। তবে সম্প্রতি সেই তালিকা থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে তারা। তবে পাকিস্তান যে জঙ্গিদের জন্য স্বর্গরাজ্য, এই ভিডিও ফুটেজ সামনে আসাতে তা ফের একবার প্রমাণিত হল। 

    আরও পড়ুন: ভারতকে জব্দ করতে গিয়ে চিনের থেকে অস্ত্র কিনে ডাহা ঠকল পাকিস্তান, জানুন বিশদে

    সম্প্রতিই পাকিস্তানে নিকেশ করা হয় মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি বসির আহমেদ পীরকে। দিন কয়েক আগে তাঁর শেষযাত্রার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই দেখা যায়, আন্তর্জাতিক জঙ্গি তথা হিজবুল মুজাহিদ্দিন প্রধান সইদ সালাহুদ্দিনকে। ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োটিতে দেখা গিয়েছে, সালাহুদ্দিনকে চারপাশ থেকে ঘিরে রেখেছে পাকিস্তানি সেনা। সূত্রের খবর, পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির একটি সুরক্ষিত জায়গায় ওই কুখ্যাত জঙ্গির শেষযাত্রার আয়োজন করা হয়েছিল। ভাইরাল ভিডিয়োয় সালাহুদ্দিনকে ভারতকে ধ্বংস করার শপথ নিতেও দেখা যায়। একদিকে যেমন পাক সেনারা তাঁকে চারপাশ থেকে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীতে ঘিরে রেখেছিল, তেমনই উপস্থিত জনতাদের হিজবুল প্রধানদের সমর্থনে স্লোগান দিতেও দেখা যায়। প্রসঙ্গত, রাওয়ালপিন্ডি পাক সেনার সদর দফতর। সেই শহরে হিজবুল প্রধানকে দেখতে পাওয়া বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share