Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Diwali 2022: হোয়াইট হাউসে দীপাবলি পালন! প্রদীপ জ্বালালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন

    Diwali 2022: হোয়াইট হাউসে দীপাবলি পালন! প্রদীপ জ্বালালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমুদ্র পারেও পালিত হল দীপাবলি। হোয়াইট হাউসে ধূমধাম করে দীপাবলির  (Diwali) অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হল। নিজের হাতে প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। দীর্ঘদিন ধরে হোয়াইট হাউসে দীপাবলি পালন করা হলেও প্রথমবার এত জাঁকজমক চোখে পড়ে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আমেরিকার ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট  কমলা হ্যারিস সহ বিশিষ্ট জনেরা। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে আতসবাজি ফাটাতেও দেখা গিয়েছে।

    আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস বলেছেন, “গোটা বিশ্ব জুড়ে প্রায় একশো কোটি মানুষ আজ দিওয়ালির উৎসব পালন করছেন। মন্দকে পরাজিত করে ভালো-র জয় উদযাপন করতে প্রদীপ জ্বালিয়েছেন সকলে। দিওয়ালির দিনে অজ্ঞানতা আর অন্ধকারের বিনাশ ঘটে। জয়ী হয় আলো আর জ্ঞান।” ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা আরও বলেছেন, “দিওয়ালির দিনে জগতের সমস্ত আলোকিত বিষয়গুলির দিকে আমাদের নজর দেওয়া উচিত। অশুভ শক্তি যতই আমাদের হিংসার দিকে ঠেলে দিক না কেন, আমরা যেন শুভবুদ্ধির আলো সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারি।”

    অন্তত ২০০ জন ভারতীয়কে হোয়াইট হাউসের (White House) এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।  নাচ গানে ছিল ভারতের ছন্দ, তাল, সুর। হোয়াইট হাউসে উপস্থিত সকলেই সামিল হয়েছিলেন এই আনন্দ উৎসবে। বলিউডের গানে নাচ আর ভারতীয় সেতারবাদক ঋষভ শর্মার সুরের মূর্চ্ছনায় ভরে ওঠে সন্ধ্যা। ভারতীয় পোশাকেই সেজে উঠেছিলেন অতিথিরা। ছিল ভারতীয় ভোজনের ব্যবস্থা। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রেখেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনও। কোভিড পরবর্তী সময়ে আমেরিকাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ভারত-সহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির ভূমিকা অনস্বীকার্য, এমনটাই মত বাইডেনের। তিনি বলেছেন, “সকলের জন্য সমান ভাবে কাজ করে মার্কিন অর্থনীতি। আর সেই শক্তিশালী অর্থনীতি গড়ে তোলার জন্য উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছে দক্ষিণ এশীয় গোষ্ঠী।”

  • Xi Jinping: চিনকে প্রয়োজন গোটা বিশ্বের, তৃতীয়বার দেশের সর্বাধিনায়ক হয়েই ঘোষণা জিনপিংয়ের

    Xi Jinping: চিনকে প্রয়োজন গোটা বিশ্বের, তৃতীয়বার দেশের সর্বাধিনায়ক হয়েই ঘোষণা জিনপিংয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনকে (China) প্রয়োজন বিশ্বের। তৃতীয়বারের জন্য চিনের সর্বাধিনায়ক হওয়ার পর একথাই জানালেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping)। মাও জে দংয়ের পর তিনিই একমাত্র নেতা যিনি পর পর তিনবার চিনা কমিউনিস্ট পার্টির (CCP) সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস গড়লেন। শনিবারই দেশের প্রেসিডেন্ট পদে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। যার অর্থ, আগামী পাঁচ বছর কেবল দেশ নয়, দলেরও সর্বেসর্বা তিনিই।

    চিনা কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি এদিন জিনপিংকে (Xi Jinping) আগামী পাঁচ বছরের জন্য সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত করেন। তাঁর বয়স ৬৯। অথচ চিনা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদকের পদে অবসর নেওয়ার বয়স ৬৮ বছর। ইতিমধ্যেই টানা ১০ বছর সাধারণ সম্পাদক থাকার মেয়াদ পূর্ণ করে ফেলেছেন শি জিনপিং। এদিন ফের নির্বাচিত হলেন। পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি এদিন পলিটব্যুরোর ২৫ জন সদস্যকেও বেছে নিয়েছে। এঁরাই নির্বাচিত করবেন স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যদের। নির্বাচিত হওয়ার পর জিনপিংয়ের সহযোগী হিসেবে রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন এঁরা। প্রসঙ্গত, এবার পলিটব্যুরোয় কোনও মহিলা প্রতিনিধি নেই। গতবার সাকুল্যে ছিলেন একজন। তিনি অবসর নেওয়ার পর আর কেউ নেই। পার্টির গত পঁচিশ বছরের ইতিহাসে এই প্রথমবার এমন ঘটনা ঘটল।

    আরও পড়ুন: অগ্নি প্রাইমের সফল উৎক্ষেপণ, পাল্লায় চিন, পাকিস্তান!

    তৃতীয়বারের জন্য কর্তৃত্ব পেয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে যোগ দেন জিনপিং (Xi Jinping)। বলেন, চিনকে প্রয়োজন গোটা বিশ্বের। চিনা প্রেসিডেন্ট বলেন, বিশ্ব ছাড়া চিন উন্নতি করতে পারে না। আবার চিনকেও প্রয়োজন বিশ্বের। তিনি বলেন, চল্লিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে লাগাতার প্রচেষ্টার সুফল মিলেছে। আমরা দুটো মিরাক্যাল ঘটাতে পেরেছি। এক, দ্রুত অর্থনৈতিক বিকাশ এবং দীর্ঘ মেয়াদি সামাজিক স্থায়িত্ব। তিনি বলেন, পার্টি এবং আমাদের লোকজন যে বিশ্বাস করে আমার ওপর দায়িত্ব অর্পণ করেছেন, কঠোর পরিশ্রম করে আমি তার মর্যাদা রাখব। প্রসঙ্গত, পার্টি এবং দেশ বাদেও সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের প্রধানও নির্বাচিত হয়েছেন শি জিনপিং।

    পার্টি কংগ্রেস শুরু হওয়ার আগে জিনপিংকে (Xi Jinping) বিশ্বাসঘাতক একনায়ক বলে দেগে দিয়ে পোস্টার পড়েছিল চিনের বিভিন্ন এলাকায়। তবে তা যে কোনও কাজে আসেনি জিনপিংকে ফের সর্বাধিনায়ক ঘোষণা করাই তার তার প্রমাণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Imran Khan: এবার ইমরানের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ, আরও বিপাকে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী

    Imran Khan: এবার ইমরানের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ, আরও বিপাকে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন কয়েক আগে তাঁকে খুনের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন পাকিস্তানের (Pakistan) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। কাঠগড়ায় তুলেছিলেন পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজ (PML-N) নামে সে দেশের একটি রাজনৈতিক দলকে। এবার তাঁর বিরুদ্ধেই খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করলেন পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজের নেতা মহসিন শাহনাওয়াজ রঞ্ঝা। শনিবার ইমরান খানের বিরুদ্ধে এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এর ঠিক একদিন আগেই ইসলামাবাদে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের অফিসের সামনেই রঞ্ঝা আক্রান্ত হন। তার পরের দিনই ইমরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

    দিন কয়েক আগে পাঞ্জাব প্রদেশের মিয়ানওয়ালিতে একটি সমাবেশে যোগ দেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (PTI) পার্টির নেতা ইমরান খান (Imran Khan)। তাঁর অভিযোগ, পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজের নেতারা ধর্মীয় হিংসা ছড়িয়ে দিতে তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ম নিন্দার অভিযোগ আনছেন। পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর পিছনে অন্য খেলা রয়েছে। বন্ধ দরজার পিছনে চারজন আমায় খুনের পরিকল্পনা করছে। তিনি খুন হলে, দেশ চক্রান্তকারীদের কখনও ক্ষমা করবে না বলেও জানান ইমরান।

    ইমরানের (Imran Khan) বিরুদ্ধে দায়ের করা এফআইআরে রঞ্ঝা বলেন, তোষাখানা মামলায় বাদী হিসেবে নির্বাচন কমিশনের অফিসে গিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় আচমকাই তাঁকে আক্রমণ করা হয়। তাঁর দাবি, তাঁকে খুনের চেষ্টা করে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির নেতা-কর্মীরা। তাঁর গাড়ির কাচও ভেঙে দেওয়া হয়। এফআইআরে আরও বলা হয়েছে, শ্রীনগর হাইওয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এর পরেই কার্যত তাণ্ডব চালান ইমরানের দলের কর্মীরা। এলাকায় ভাঙচুর চালানো হয়। ছোড়া হয় পাথর।

    আরও পড়ুন: “তিন টুকরো হয়ে যাবে পাকিস্তান!” কেন এমন কথা বললেন ইমরান?

    প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রীয় ভাণ্ডার তোষাখানা থেকে  ডিসকাউন্ট মূল্যে কেনা উপহার চড়া দরে বিক্রি করে ইমরান (Imran Khan) কী পরিমাণ অর্থ পেয়েছেন, তা প্রকাশ করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এই মামলার দীর্ঘ শুনানির পর পাক নির্বাচন কমিশন ইমরানকে জাতীয় পরিষদের সদস্য নন বলে ঘোষণা করে। ইমরানের কেন্দ্রটি শূন্য বলেও ঘোষণা করা হয়। তার পরেই আদালতের দ্বারস্থ হন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী। এই মধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হল খুনের চেষ্টার মামলা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • UK Prime Minister: কীভাবে নির্বাচিত হবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী? লড়াইয়ে এগিয়ে কে?

    UK Prime Minister: কীভাবে নির্বাচিত হবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী? লড়াইয়ে এগিয়ে কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কে হবেন পরবর্তী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী (UK Prime Minister)? এই নিয়েই বর্তমানে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। লিজ ট্রাস সরে দাঁড়ানোর পর থেকে প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার হিসেবে উঠে আসছে দু’ জনের নাম– বরিস জনসন ও ঋষি সুনক। রাজনৈতিক মহল বলছে, জনপ্রিয়তার নিরিখে সুনকের তুলনায় জনসনের পাল্লা ভারী। কিন্তু সমীক্ষা বলছে, ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক এগিয়ে রয়েছেন। তবে এ দুজনের বাইরে পেনি মর্ডেন্ট-এর নামও শোনা যাচ্ছে। ফলে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে কে এগিয়ে রয়েছে, এই নিয়েও বিতর্ক শুরু হয়েছে।

    কীভাবে নির্বাচন করা হবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী?

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, যে প্রার্থী দলের ১০০ জন সাংসদের সমর্থন পাবেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী (UK Prime Minister) পদের জন্য লড়াই করবেন। প্রার্থীদের ৩৫৭ জন কনজারভেটিভ (টোরি) এমপির মধ্যে কমপক্ষে ১০০ জন দলীয় (কনজারভেটিভ) এমপির সমর্থন প্রয়োজন। ২৪ অক্টোবর প্রথম ব্যালট অনুষ্ঠিত হবে। অর্থাৎ, সোমবার দুপুরের মধ্যেই প্রার্থীদের কমপক্ষে ১০০ জন সাংসদের সমর্থন দেখাতে হবে। এই দিনেই নির্বাচনের প্রথম ধাপ সম্পূর্ণ করা হবে। যদি মাত্র একজন প্রার্থী ১০০ জন এমপির সমর্থন জোগাড় করতে সক্ষম হন তাহলে তিনিই হবেন দলের নেতা ও পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। সেক্ষেত্রে আর এমপি ও দলের সদস্যদের ভোটাভুটির প্রয়োজন হবে না।

    আরও পড়ুন: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দৌড় থেকে ঋষিকে সরে দাঁড়াতে ‘চাপ’ দিচ্ছেন বরিস?

    কিন্তু যদি দুইয়ের অধিক প্রার্থী ১০০ জন এমপির সমর্থন পান, তাহলে কনজারভেটিভ এমপিরা ভোটাভুটির মাধ্যমে সবচেয়ে কম ভোট যিনি পাবেন তাঁকে এই দৌড় থেকে বাদ দেবেন। এভাবে প্রার্থীর সংখ্যা দু’জনে নেমে আসার পর এমপিরা আবার দুজনের মধ্যে একজনকে বেছে নেবেন। এরপর পার্টির সদস্যরা অনলাইনে ভোট দেবেন। সবার ভোট হিসেব করে যিনি জয়ী হবেন তিনিই হবেন পার্টির নেতা ও পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী (UK Prime Minister)। এই পুরো নির্বাচনের প্রক্রিয়া ২৮ অক্টোবরের মধ্যেই শেষ করা হবে জানা গিয়েছে। অর্থাৎ, আগামী শুক্রবারের মধ্যে নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী (UK Prime Minister) ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানা গেছে।

    প্রায় দেড় মাস আগে বরিস জনসন যখন প্রধানমন্ত্রীর (UK Prime Minister) পদ থেকে পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন, তখন ঋষি সুনক ১২০ জনেরও বেশি সাংসদের সমর্থন পেয়েছিলেন। তবে সদস্যদের ভোটে জিতে যান লিজ ট্রাস। আর এবারও জানা গিয়েছে, সুনকের পক্ষে ইতিমধ্যেই ১০০ জন এমপির সমর্থন রয়েছে। অন্যদিকে বরিস ৫৩ জনের সমর্থন পেয়েছেন কিন্তু তাঁর সমর্থকরা দাবি করছেন যে, বরিসও ১০০-র গণ্ডি পেরিয়েছেন। আবার পেনি মর্ডেন্ট পেয়েছেন ২৩ জনের সমর্থন। প্রসঙ্গত, ব্রিটেনের সবথেকে কম সময়ের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস। গত ৬ সেপ্টেম্বর তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন। মাত্র ৪৫ দিনের মাথায় পদত্যাগ করেন তিনি। ফলে এবার এখন এটাই দেখার প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে শেষ পর্যন্ত কে বাজিমাত করতে পারে।

  • Imran Khan: ইমরান খানকে ‘অযোগ্য’ ঘোষণা, প্রতিবাদে নির্বাচন কমিশনের দফতরের সামনে চলল গুলি

    Imran Khan: ইমরান খানকে ‘অযোগ্য’ ঘোষণা, প্রতিবাদে নির্বাচন কমিশনের দফতরের সামনে চলল গুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের চাপে ইমরান খান। আগামী পাঁচ বছর কোনও রাজনৈতিক অফিস চালাতে পারবেন না ইমরান খান। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে ‘অযোগ্য’ ঘোষণা করে এমনই নিদান দিল পাক নির্বাচন কমিশন। সম্প্রতি তোষাখানা মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে তাঁকে। পাকিস্তানের তেহরিক ই-ইনসাফের প্রধান ইমরান খানের উপর আগামী পাঁচ বছরের জন্য মূলত পাবলিক অফিস চালানোর ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। 

    কমিশনের এই নির্দেশকে কেন্দ্র করে গোটা দেশজুড়ে প্রতিবাদে সামিল হয়েছে ইমরান সমর্থকরা। এদিকে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমগুলিতে কিছুদিন আগেই দাবি করা, বিদেশি অতিথিরা তাঁকে বহুমূল্য় ঘড়ি উপহার দিয়েছিলেন।  তিনি যখন পাক প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখন তিনি এই তিনটি বহুমূল্য ঘড়ি উপহার পেয়েছিলেন। পরবর্তীতে তিনি ওই ঘড়়ি স্থানীয় ব্যবসায়ীকে বিক্রি করে ৩৬ মিলিয়ন আয় করেছিলেন। পরবর্তীতে তিনি বিষয়টি গোপন করেন বলে অভিযোগ। 

    আরও পড়ুন: হাইকোর্টের ১৪৪ ধারা রায়ের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা চাকরিপ্রার্থীদের 

    এর সঙ্গেই তিনি বিদেশি উপহার বিক্রি করে বিপুল টাকা অবৈধভাবে আয় করেছিলেন বলে দাবি করা হয়েছিল বিভিন্ন মহলের তরফে। এদিকে সূত্রের খবর, পাকিস্তানের আইন অনুসারে প্রধানমন্ত্রী বিদেশি কোনও উপহার পেলে সেগুলি রাজ্যের তোষাখানায় রাখাটাই বাঞ্চনীয়। কোনওভাবেই সেই উপহার বিক্রি করা যায় না।

    আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে জোর ধাক্কা সায়গলের, দিল্লিতে জেরা করার অনুমতি পেল ইডি 

    এবার সেই তোষাখানা কেলেঙ্কারিতেই বেকায়দায় পড়লেন ইমরান। পাঁচ বছরের জন্য তাঁর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের উপর লাগাম টেনে দিল সেদেশের নির্বাচন কমিশন। আর এরপরেই, ইসলামাবাদে পাকিস্তানি নির্বাচন কমিশনের বাইরে গুলি চলে। পাক সংবাদপত্র ‘ডন’এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিজের সম্পত্তি সংক্রান্ত মিথ্যা তথ্য জমা দিয়েছিলেন ইমরান। পাক ফেডেরাল আইনের ৬৩ (ক) ধারা অনুযায়ী তাঁকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • Saudi Crown Prince: ভারতে মজেছে আরব! নয়াদিল্লিতে সৌদি প্রধানমন্ত্রী, হিন্দিতে দীপাবলির শুভেচ্ছা আমিরশাহির প্রেসিডেন্টের

    Saudi Crown Prince: ভারতে মজেছে আরব! নয়াদিল্লিতে সৌদি প্রধানমন্ত্রী, হিন্দিতে দীপাবলির শুভেচ্ছা আমিরশাহির প্রেসিডেন্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে মজেছে আরব দেশ। একদিকে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা করতে নয়াদিল্লি আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন সৌদির নয়া প্রধানমন্ত্রী (Saudi Crown Prince)। অন্যদিকে, হিন্দি (Hindi) ভাষায় দীপাবলির (Diwali) শুভেচ্ছা জানিয়ে তাক লাগিয়ে দিলেন আমিরশাহির প্রেসিডেন্ট (UAE)। জোড়া ঘটনায় ভারতের দৌত্য সফল বলেই মনে করছেন কূটনৈতিক মহলের একাংশ।

    কিছু দিন আগেই প্রধানমন্ত্রী পদে বসেছেন সৌদির যুবরাজ (Saudi Crown Prince) মহম্মদ বিন সালমান। বছর সাঁইত্রিশের সালমান প্রধানমন্ত্রী পদে অভিষিক্ত হতেই তাঁকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিন সালমান যখন যুবরাজ ছিলেন তখন একবার ভারতে এসেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রথম হতে চলেছে তাঁর নয়াদিল্লি সফর। জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে যাওয়ার পথে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণ রক্ষা করতে এ দেশে আসছেন তিনি। আগামী ১৪ নভেম্বর একদিনের সফরে নয়াদিল্লি আসছেন তিনি। চলতি সফরে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও বিন সালমান সাক্ষাৎ করবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে।

    সূত্রের খবর, সৌদি প্রধানমন্ত্রীর (Saudi Crown Prince) এবারের সফরে আলোচনার কেন্দ্রে থাকবে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ। চলতি অর্থবর্ষে দু দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এটাকে আরও বাড়িয়ে নিতে আগ্রহী দুই দেশই। ভারতীয় জুতো এবং পোশাকের বিরাট বাজার রয়েছে সৌদিতে। আবার সৌদিও চাইছে এদেশের পেট্রো-কেমিক্যাল সেক্টরে তাদের ভিত আরও শক্ত করতে। প্রত্যাশিতভাবে দুই দেশই মুখিয়ে রয়েছে ১৪ নভেম্বর আলোচনায় ঠিক কী কী বিষয় গুরুত্ব পায়, সেদিকে।

    আরও পড়ুন: মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ভারত সফরে আসছেন সৌদির প্রধানমন্ত্রী বিন সালমান!

    এদিকে, হিন্দি সহ তিন ভাষায় দীপাবলির শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহির প্রেসিডেন্ট শেখ মহম্মদ বিন জায়েদ আল নাহান। ট্যুইট-বার্তায় তিনি লিখেছেন, যাঁরা সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং গোটা বিশ্বে দীপাবলি পালন করছেন, তাঁদের অভিনন্দন। দীপাবলি আলোর উৎসব। সামনে যে নতুন বছর আসছে তা যেন আপনাদের এবং আপনাদের পরিবারে শান্তি, সমৃদ্ধি ও সুখ নিয়ে আসে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Rishi Sunak: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক, কে তিনি জানেন?

    Rishi Sunak: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক, কে তিনি জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেনের (UK) প্রধানমন্ত্রী পদে বসতে চলেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক (Rishi Sunak)। ২৮ অক্টোবর শপথ নেবেন তিনি। তিনিই ব্রিটেনের প্রথম অশ্বেতাঙ্গ ব্যক্তি যিনি ওই পদে বসতে চলেছেন। আদ্যন্ত হিন্দু (Hindu) ঋষি বাড়িতে পালন করেন সমস্ত ধর্মীয় আচার। আসুন জেনে নিই, কে এই ঋষি সুনক?

    ব্রিটেনের সাউদাম্পটনে জন্ম ঋষির। বাবা যশবীর সুনক ছিলেন পেশায় চিকিৎসক। মা ঊষা ফার্মাসিস্ট, ওষুধের দোকান চালাতেন। ঋষির দাদু ছিলেন পাঞ্জাবের (Punjab) বাসিন্দা। সুনকের বাবা-মা পূর্ব আফ্রিকা থেকে ব্রিটেন চলে যান ১৯৬০ সালে। পড়াশোনায় ঋষি ছিলেন তুখোড়। অক্সফোর্ড ও স্ট্যান্ডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট তিনি। এই স্ট্যান্ডফোর্ডে পড়তে গিয়েই আলাপ ইনফোসিস কর্তা নারায়ণ মূর্তির মেয়ে অক্ষতর সঙ্গে। ২০০৯ সালে বিয়ে করেন ঋষি-অক্ষত। তাঁদের দুই মেয়ে। একজন অনুষ্কা, অন্যজন কৃষ্ণা। ভারতে থাকা আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে দেখা করতে ঋষিকে সপরিবারে বেঙ্গালুরুতে আসতে দেখা যায় প্রায়ই।

    ২০১৫ সালের মে মাসে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য হন ঋষি (Rishi Sunak)। ইয়র্কশায়ারের রিচমন্ড কেন্দ্র থেকে জিতে আসেন তিনি। হিন্দু ধর্মগ্রন্থ গীতা ছুঁয়ে শপথ নেন। ব্রিটিশ পার্লামেন্টে তিনিই প্রথম, যিনি এভাবে শপথ নিয়েছেন। ২০২০ সালে তাঁকে বসানো হয় ব্রিটিশ ক্যাবিনেটের চান্সেলর অফ এক্সচেকার পদে। কোভিড অতিমারি পরিস্থিতিতে কর্মী ও ব্যবসায়ীদের জন্য অর্থনৈতিক প্যাকেজ ঘোষণা করে ব্রিটেনবাসীর মন জয় করে নেন ঋষি (Rishi Sunak)। যদিও বিভিন্ন পরিবারে কস্ট অফ লিভিং সাপোর্ট না করায় বিস্তর সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুন: ‘২০৩০ এর রোডম্যাপ বাস্তবায়নে এক সঙ্গে কাজ করব’, ঋষিকে বার্তা মোদির

    ঋষির (Rishi Sunak) সম্পত্তির পরিমাণ ৭০০ মিলিয়ন পাউন্ডেরও বেশি। ব্রিটেনে প্রচুর সম্পত্তি রয়েছে তাঁর। ইয়র্কশায়ারে ঋষির নিজস্ব ম্যানসন রয়েছে। ঋষি ও তাঁর স্ত্রী অক্ষতর সম্পত্তি আছে সেন্ট্রাল লন্ডনের কেনসিংটনে। বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী পদের দৌড়ে ছিলেন ঋষিও। সেবার তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী তাঁরই দলের লিজ ট্রাসের সঙ্গে দৌড়ে পিছিয়ে পড়েন তিনি। প্রধানমন্ত্রী হন লিজ। মাত্র ৪৫ দিনের মাথায় পদত্যাগ করেন তিনিও। শেষমেশ প্রধানমন্ত্রীর শিকে ছেঁড়ে ঋষির কপালে। দিনটা ছিল দীপাবলি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • UK Prime Minister: ইতিহাস তৈরি করলেন ঋষি সুনক! ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় বংশোদ্ভূত

    UK Prime Minister: ইতিহাস তৈরি করলেন ঋষি সুনক! ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় বংশোদ্ভূত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ পর্যন্ত ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক (Rishi Sunak)। সোমবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সুনকের নামই চূড়ান্ত করে ফেলল কনজারভেটিভ পার্টি। সোমবার দীপাবলির রাতে এল এই সুখবর। ২৮ অক্টোবর তিনি শপথ গ্রহণ করবেন। ভারতের জামাই ঋষি আজকে এক ইতিহাস তৈরি করলেন। ১৯১ জনের বেশি সাংসদ তাঁকে সমর্থন করেছেন।  ব্রিটেনের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হবেন ঋষি। আর এই প্রথমবার ব্রিটেনের মসনদে কোনও ভারতীয় বসতে চলেছে।

    ঋষি সুনক আগেই ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে বসার জন্য লড়াই করেছিলেন৷ কিন্তু সেবার তিনি পরাজিত হন৷ আগেরবার লিজ ট্রাস প্রধানমন্ত্রী হন। কিন্তু এবার লিজ ট্রাস দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার পরে ঋষির প্রধানমন্ত্রী পদে বসার জন্য ফের আশার আলো দেখা যায়। যদিও বরিস জনসন তাঁর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তবে তিনিও সে জায়গা থেকে সরে আসেন ও ঋষির প্রতিদ্বন্দ্বী পেনি মর্ডেন্টও তাঁর ধারের কাছে যেতে পারেননি। ফলে ইনফোসিস কর্তা নারায়ণ মূর্তির জামাই ঋষি সুনকের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার রাস্তা অনেকটাই মসৃণ হয়ে যায়। পেনি এদিন ১০০ জনেরও সমর্থন পাননি। ফলে অবশেষে জয়লাভ করলেন ঋষি।

    আরও পড়ুন: সরে দাঁড়ালেন বরিস, ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী ঋষিই?

    কনজারভেটিভ পার্টির সদস্য ঋষি, বরিস জনসন মন্ত্রিসভার প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীও ছিলেন। ব্রিটেনের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক সংকটে তিনিই যোগ্য প্রার্থী হতে পারেন, এ দাবি করেছিলেন তিনি। ফলে ঋষি সুনকের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এখন তাঁর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল ব্রিটেনের অর্থনীতির পরিস্থিতি ঠিক করা। বর্তমানে দেশের আর্থিক যে পরিস্থিতি তাতে কনজারভেটিভ পার্টি ঋষিকেই যোগ্য বলে মনে করছে। এছাড়াও ঋষিও তাই মনে করেন। প্রসঙ্গত, লিজ ট্রাসের পদত্যাগের কারণও দেশের আর্থিক অবস্থাই ছিল। তিনি আসার পরেও ব্রিটেনে কোনও পরিবর্তন আসেনি। ফলে এই পরিস্থিতিতে দেশের আর্থিক অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ঋষির ওপরেই ভরসা করেছেন কনজারভেটিভ পার্টি সহ ব্রিটেনের জনতা। তবে তিনি কতটা সফল হতে পারেন সেদিকেই তাকিয়ে পুরো বিশ্ববাসী। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Rishi Sunak: সরে দাঁড়ালেন বরিস, ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী ঋষিই?

    Rishi Sunak: সরে দাঁড়ালেন বরিস, ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী ঋষিই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনকই (Rishi Sunak) হতে পারেন ব্রিটেনের (UK) পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী (PM) বরিস জনসন। তবে সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর দৌড় থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা। তার পরেই প্রধানমন্ত্রী পদে জয়ের ব্যাপারে পাল্লা ভারী হয়েছে ঋষিরই। আজ, সোমবারই ওই পদে বসতে পারেন তিনি। 

    বরিস সরে দাঁড়ানোর পর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে ঋষির (Rishi Sunak) জয় অনেকটাই অনায়াস হয়েছে বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। কারণ এখন ঋষির প্রতিদ্বন্দ্বী তাঁরই দল কনজারভেটিভ পার্টির পেনি মরডন্ট। পেনিকে প্রধানমন্ত্রীর তখতে বসতে হল অক্টোবরের ২৪ তারিখের মধ্যে তাঁকে জোগাড় করতে হবে পার্লামেন্টের ১০০ জন সদস্যের সমর্থন। যা তাঁর নেই। এদিকে, পার্লামেন্টের ১৪২ জন সদস্য ইতিমধ্যেই ঋষিকে প্রধানমন্ত্রী পদে সমর্থন করেছেন। অথচ পেনির পাশে রয়েছেন মাত্র ২৯ জন সাংসদ।

    কেন প্রধানমন্ত্রীর দৌড় থেকে সরে দাঁড়ালেন বরিস? ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিসের দাবি, পার্লামেন্টে একটা ঐক্যবদ্ধ দল না থাকলে কার্যকরীভাবে সরকার চালানো সম্ভব নয়। অন্য একটি কারণও রয়েছে। সেটি হল, ঋষি এবং পেনির সঙ্গে বোঝাপড়া করতে ব্যর্থ হয়েছেন বরিস। সূত্রের খবর, বরিসকে সমর্থন করেছেন মাত্র ৫৭ জন সাংসদ। যদিও ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর দাবি, তাঁর সঙ্গে রয়েছেন ১০২ জন সাংসদের সমর্থন। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, পরাজয় নিশ্চিত বুঝে মুখ পোড়াতে চাননি বরিস। তাই সরে দাঁড়িয়েছেন।

    আরও পড়ুন: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন, প্রথম রাউন্ডের শেষে এগিয়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক

    এদিকে, সোমবার সকাল ১১টা নাগাদ একটি ট্যুইট করেন ঋষি (Rishi Sunak)। ট্যুইটবার্তায় তিনি লেখেন, ব্রিটেন এক মহান দেশ। কিন্তু সম্প্রতি সে এক ভয়াবহ অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে দাঁড়িয়ে। তাই আমি কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ও আপনাদের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য লড়তে চাই। আমি এই আর্থিক সঙ্কট কাটিয়ে দলকে নেতৃত্ব দিতে চাই। দেশের সেবা করতে চাই।

    প্রসঙ্গত, পার্টিগেট কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ায় ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিসের। তার পরেই ইস্তফা দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী পদে বসেন লিজ ট্রাস। মাত্র পঁয়তাল্লিশ দিনের মাথায় পদত্যাগ করেন তিনি। এবার ফের একবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ চলে এসেছে ঋষির (Rishi Sunak) কাছে। প্রধানমন্ত্রী মনোনীত হলে দলের ইস্তাহারে প্রতিশ্রুতিগুলি পূরণ করার চেষ্টা করবেন বলে জানান ঋষি। ব্রিটেনের মানুষকে দায়িত্বশীল, সৎ ও পেশাদার সরকার দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Hindu Head of States: বিশ্বের পাঁচ দেশের রাশ হিন্দুদের হাতে, কোন কোন দেশের মাথায় ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা জানেন?

    Hindu Head of States: বিশ্বের পাঁচ দেশের রাশ হিন্দুদের হাতে, কোন কোন দেশের মাথায় ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের চারটি দেশ শাসন করছে হিন্দু (Hindu Head of States)। হিন্দু প্রধানমন্ত্রী পেতে চলেছে ব্রিটেনও। চারটি দেশের মাথায় বসে রয়েছেন ভারতীয় (Indian) বংশোদ্ভূত ব্যক্তিত্বরা। আর তিনটি দেশের ডেপুটির পদ দখল করে রয়েছেন সেই ভারতীয় বংশোদ্ভূতরাই।

    কেবল ভারত নয়, তামাম বিশ্বেও হিন্দুদের (Hindu Head of States) জয়জয়কার। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) হিন্দু। ২০১৪ সাল থেকে দেশের রশি তাঁর হাতেই। আদতে গুজরাটের বাসিন্দা মোদি নিয়মিত হিন্দু পরম্পরা মেনে যোগাসন করেন। ভারতের প্রতিবেশী দেশ নেপালও শাসন করেন এক হিন্দু। তিনি শের বাহাদুর দেউবা। ২০২১ সালের ১৩ জুলাই থেকে নেপালের প্রধানমন্ত্রী পদে রয়েছেন তিনি। মরিশাসের রাষ্ট্রপ্রধানও হিন্দু ধর্মাবলম্বী। তাঁর নাম প্রবীণ জাগনাউথ। বিশ্বের ছোট্ট একটি দেশ সুরিনাম। এই দেশটিও শাসন করেন আরেক হিন্দু, নাম চান শান্তখি।

    সব শেষে রয়েছেন ঋষি সুনক। আদ্যন্ত হিন্দু সুনক ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন। শপথ নেবেন চলতি মাসের ২৮ তারিখে। এর আগে ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার সময় তিনি গীতা ছুঁয়ে শপথ নিয়েছিলেন। শোনা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার সময়ও তাঁর হাতে থাকবে গীতা। গীতা যে তাঁকে শক্তি জোগায়, সেকথা বিভিন্ন সময় জানিয়ে দিয়েছেন বছর বিয়াল্লিশের এই রাজনীতিবিদ। নিয়মিত মন্দিরে যান। বাড়িতে পালন করে সমস্ত হিন্দু উৎসব। তাঁর স্ত্রীর অক্ষত মূর্তিও আদ্যন্ত হিন্দু।

    আরও পড়ুন: হিন্দু যুবককে গোমাংস খাইয়ে, সুন্নত করিয়ে ইসলামে দীক্ষা, কাঠগড়ায় কং নেতা সহ ১১

    এ তো গেল হিন্দু রাষ্ট্রপ্রধানদের (Hindu Head of States) কথা। এবার শোনা যাক ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের কীর্তি। ঋষি সুনক, প্রবীণ জাগনাউথ এবং চান শান্তখি হিন্দু তো বটেই, এঁরা ভারতীয় বংশোদ্ভূতও। আরও কিছু দেশের রাশ রয়েছে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের হাতে। এঁরা হলেন, সেইচেলসের প্রধান ওয়াভেল রামকালওয়ান, পর্তুগালের প্রধান আ্যান্টনিও কোস্টা, সিঙ্গাপুরের হালিম ইয়াকব এবং গুয়ানার ইরফান আলি।

    ভারতীয় বংশোদ্ভূত আরও কয়েকজন রয়েছেন সরকারের দ্বিতীয় ব্যক্তিত্ব হয়ে। এঁরা হলেন, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস, গুয়ানার ভাইস প্রেসিডেন্ট ভারত জাগেদো এবং আয়ারল্যান্ড সরকারের ডেপুটি হেড লিও ভারাদকর।

    সেই কবেই তো কবি বলেছিলেন, ভারত আবার জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন লবে…

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share