Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Iran: ভয়াবহ কাণ্ড ইরানে! হিজাব বিতর্কের মধ্যেই এভিন কারাগারে গোলাগুলি ও বিস্ফোরণ

    Iran: ভয়াবহ কাণ্ড ইরানে! হিজাব বিতর্কের মধ্যেই এভিন কারাগারে গোলাগুলি ও বিস্ফোরণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিজাব বিরোধী আন্দোলনে একেতেই উত্তাল হয়ে রয়েছে ইরান। তারইমধ্যে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড তেহরানের এভিন জেলে, সঙ্গে চলল গুলিও। হিজাব না পরায় নীতি পুলিশের হেফাজতে বাইশ বছরের যুবতী মাহশা আমিনীর মৃত্যুর পর প্রতিবাদে (Protest Against Death Of Masha Amini) অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে গোটা ইরান। এরই মাঝে ইরানের এই ঘটনা নিয়ে ফের উত্তাল হয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ব। শনিবার রাতে নতুন করে উত্তেজনা ছড়াল ইরানে। তেহরানের এভিন কারাগারে শনিবার রাতে অগ্নিকাণ্ড ও সংঘর্ষের খবর পাওয়া গিয়েছে।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, শনিবার রাতে আচমকা তেহরানের কুখ্যাত এভিন জেল থেকে কালো ধোঁয়ার পাশাপাশি  আগুনের লেলিহান শিখা বের হতে দেখা যায়। ইরান (Iran) হিউম্যান রাইটস-এর ট্যুইটারে শেয়ার করা ভিডিও-তে গুলির শব্দও শোনা যায়। আর শোনা যায়, সরকার বিরোধী স্লোগান। হিজাব বিরোধী আন্দোলনের স্লোগানও শোনা যায় জেলের অন্দর থেকে। এভিন জেলের অন্দরের এই অবস্থা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    আরও পড়ুন: হিজাব বিতর্কের জের,সাইবার হামলা ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলে

    উল্লেখ্য, তেহরানের এভিন জেলে সাধারণত রাজনৈতিক বন্দিদের রাখা হয়। হিজাব বিরোধী বহু বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে অনেককেই ওই কারাগারে রাখা হয়েছে বলে খবর। এই আবহে কারাগারের মধ্যে গোলাগুলির শব্দ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ইরানের পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়েছে। আর এই ঘটনার জেরে আতঙ্কে আতঙ্কের পরিবারও। কুখ্যাত এই জেলে ফরাসি-ইরানি শিক্ষাবিদ ফারিবা আদেলখাহ, মার্কিন নাগরিক সাইমাক নামাজি-সহ বন্দি রয়েছেন একাধিক বিদেশিও। সাইমাকের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন জানিয়েছেন তাঁকে কিছুদিনের জন্য ছাড়া হলেও ফের জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদিনও হিজাব বিরোধী প্রতিবাদ আন্দোলনে পথে নামেন ইরানের মহিলারা।

    স্থানীয় সংবাদসংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২২ বছরের মাহশা আমিনীর মৃত্যু ঘিরেই এভিন কারাগারে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। সেখান থেকেই নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বন্দিদের সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে কমপক্ষে ৮ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। কারাগারের ভিতর থেকে ইরানের সুপ্রিম নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামিনির বিরুদ্ধে স্লোগান দিতেও শোনা গিয়েছে বলে দাবি। তবে এখনও ইরান (Iran)  প্রশাসনের তরফেও কোনও মন্তব্য করা হয়নি এই বিষয়ে।

    প্রসঙ্গত, গত মাসে মাহশা আমিনীকে হিজাব ঠিকমতো না পরায় আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। এর পরই হেফাজতে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিশি অত্যাচারেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এরপরেই প্রতিবাদে সামিল হয় ইরানের মহিলারা। নিজেদের চুল কেটে, হিজাব পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা। বিক্ষোভ পরিস্থিতিতে কমপক্ষে ১০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। এর মধ্যেই জেলে এই ধরণের ঘটনায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়াল ইরানে (Iran)।

  • India Military: পশ্চিমী বিশ্ব থেকে ভারত কোনও সাহায্য পায়নি, রুশ অস্ত্র ইস্যুতে সাফ কথা জয়শঙ্করের

    India Military: পশ্চিমী বিশ্ব থেকে ভারত কোনও সাহায্য পায়নি, রুশ অস্ত্র ইস্যুতে সাফ কথা জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অস্ত্রের জন্য ভারতের (India) রাশিয়ার (Russia) ওপর নির্ভরতা কয়েক দশকের পুরানো। কারণ আমেরিকা এবং পশ্চিমী বিশ্ব থেকে ভারত কোনও অস্ত্র সাহায্য পায়নি। অস্ট্রেলিয়ার ক্যানেবেরায় সোমবার একথা বলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। ভারতকে ছেড়ে পাকিস্তানের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতানোয়ও এদিন আমেরাকিকে একহাত নিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। সম্প্রতি পাকিস্তানকে এফ ১৬ যুদ্ধাস্ত্রের সরঞ্জাম দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে আমেরিকা। আন্তর্জাতিক মহলের মতে, এদিন তাকেই কটাক্ষ করেছেন জয়শঙ্কর।

    অস্ট্রেলিয়ায় এদিনের অনুষ্ঠানে ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, আপনারা সবাই জানেন যে ভারতের অস্ত্র ভাণ্ডারে (India Military) রাশিয়ার তৈরি প্রচুর অস্ত্র রয়েছে। এই অস্ত্র ভাণ্ডার ক্রমেই স্ফীত হয়েছে নানা কারণে। শুধুমাত্র যে অস্ত্রগুলো ভাল, তা নয়, বিগত কয়েক দশক ধরে পশ্চিমের দেশগুলি ভারতকে অস্ত্র সরবহার করেনি। আমি মনে করি, আন্তর্জাতিক রাজনীতির ক্ষেত্রে আমরা সব সময়ই তা নিয়ে কাজ করি, যা আমাদের কাছে উপলব্ধ রয়েছে। বর্তমান ও ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি।

    অস্ত্রের জন্য রাশিয়ার ওপর ভারতের নির্ভরতা আমেরিকা-ভারতের বন্ধুত্বের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি রাশিয়া থেকে প্রায় ৩৯ হাজার কোটি টাকার এস ৪০০ মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম কিনছে ভারত। মার্কিন আইন অনুযায়ী, এর জেরে ভারতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আমেরিকার চোখ রাঙানি উপেক্ষা করেই ভারত রাশিয়া থেকে কিনেছে ওই অস্ত্র।

    আরও পড়ুন : আলোচনার মাধ্যমেই রাশিয়া-ইউক্রেন সমস্যার সমাধান সম্ভব! জানেন রাষ্ট্রসংঘে কী বলল ভারত?

    এদিন ভারতের বিদেশমন্ত্রী বলেন, নানা কারণে ভারতকে রাশিয়া থেকে অস্ত্র কিনতে হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল রাশিয়ার অস্ত্র ভাণ্ডারের কার্যক্ষমতা। কিন্তু পশ্চিম বিশ্বের দেশগুলি যেভাবে ভারতের বদলে সামরিক শাসনে থাকা অন্য একটি দেশকে অস্ত্র সরবরাহ করছে, তাতে রাশিয়া থেকে ভারতের অস্ত্র আমদানির প্রয়োজনীয়তা আরও বেড়ছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর বদলে গিয়েছে বিশ্ব রাজনীতির চালচিত্র। যুদ্ধের জন্য রাশিয়াকে দায়ী করে রাষ্ট্রসংঘে একাধিক রেজলিউশন পাশ করার চেষ্টা করেছে আমেরিকা। যদিও প্রতিবারই ভোটাভুটিতে বিরত থেকেছে ভারত। প্রত্যাশিতভাবেই ভারতের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • US Advisory: ভারত সফরে চাই বাড়তি সতর্কতা, মার্কিন পর্যটকদের ‘উপদেশ’ আমেরিকার

    US Advisory: ভারত সফরে চাই বাড়তি সতর্কতা, মার্কিন পর্যটকদের ‘উপদেশ’ আমেরিকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে (India) ভ্রমণ সংক্রান্ত উপদেশাবলী প্রকাশ করল আমেরিকা (America)। চলতি বছরের জন্য ওই উপদেশাবলী (US Advisory) প্রকাশ করা হয়েছে। মার্চ মাসের ২৮ তারিখ থেকে ভারতকে লেভেল ২ তকমা দেওয়া হয়েছে। তাই মার্কিন পর্যটকদের বাড়তি সতর্কতার সঙ্গে ভারত ভ্রমণ করতে বলা হয়েছে।

    ফি বছর মার্কিন ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেট পর্যটকদের জন্য একটি করে উপদেশাবলী (US Advisory) প্রকাশ করে। দেশের নাগরিকরা যাতে বিদেশ বিভুঁইয়ে গিয়ে বিপদে না পড়েন, তাই এই উপদেশাবলী প্রকাশ করা হয়। চার ধরণের কালার কোড দিয়ে কোন দেশ ভ্রমণপিপাসুদের পক্ষে কতটা নিরাপদ, তা বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এক নম্বর কালার কোড হল সাদা। এর অর্থ ভ্রমণপিপাসুদের পক্ষে দেশটি একেবারেই নিরাপদ। দেশটিকে যদি লাল রং দিয়ে চিহ্নিত করা হয়, তাহলে বিপদের সীমা নেই। এর অর্থ, মার্কিন নাগরিকরা যেন ওই দেশে ভ্রমণে না যান। ভারতের জন্য প্রায়ই লেভেল ২ ও লেভেল ৩ উপদেশাবলী (US Advisory)  জারি হয়। ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে ভারতে যখন করোনা পরিস্থিতির বাড়বাড়ন্ত, তখন দেশটিকে লাল রংয়ে দেগে দেওয়া হয়েছিল। পরে ভারতের জায়গা হয় তিন নম্বরে। সম্প্রতি সেটা হয়েছে ২ নম্বরে। আগামী বছরের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ভারত থাকছে ২ নম্বরে। কোনও দেশকে ৩ নম্বরে রাখার অর্থ, ওই দেশ ভ্রমণ করতে হলে মার্কিন নাগরিকদের অন্তত দু বার ভাবতে হবে।

    আরও পড়ুন :জয়শঙ্কর এফেক্ট! ভারতীয়দের জন্য ১ লক্ষ ভিসা স্লট খুলছে আমেরিকা, কমবে অপেক্ষাও

    চলতি বছরে তিনবার মার্কিন ট্রাভেল অ্যাডভাইজারি (US Advisory) প্রকাশ করা হয়েছে। একটি মার্চের ২৮, পরেরটি জুলাইয়ের ২৫ এবং সর্বশেষটি অক্টোবরের ৫ তারিখে। শেষ যে উপদেশাবলী (US Advisory) প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে স্পষ্ট ভারতে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক। আইন-শৃঙ্খলা, সন্ত্রাসবাদ, জনস্বাস্থ্য ইত্যাদি দিক খতিয়ে দেখে তবেই কোনও দেশকে কোনও একটি লেভেলে চিহ্নিত করে আমেরিকা। ভারতের পড়শি দেশ আফগানিস্তান ও মায়ানমারকে ৪ নম্বর ক্যাটেগরিতে ফেলা হয়েছে। পাকিস্তান ও চিনের স্থান হয়েছে ৩ নম্বরে। এক নম্বরে রয়েছে ভারতেরই একটি প্রতিবেশী দেশ ভুটান।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Swaminarayan Mandir: মৌলবাদী শক্তিগুলি স্বাধীনতার অপব্যবহার করছে, কানাডার খালিস্থান সমর্থকদের প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর

    Swaminarayan Mandir: মৌলবাদী শক্তিগুলি স্বাধীনতার অপব্যবহার করছে, কানাডার খালিস্থান সমর্থকদের প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কানাডা প্রশাসনের সামনে খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী সম্পর্কিত সমস্যাগুলি উত্থাপন করেছে ভারত। সোমবার অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় এমনটাই জানালেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। সংবাদ সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়ার বিদেশমন্ত্রী পেনি ওংয়ের পাশে বসে একথা বলেছেন জয়শঙ্কর। সম্প্রতি কানাডায় ভারত বিরোধী কার্যকলাপ (Swaminarayan Mandir) বেড়েছে। সেই বিষয়ে কথা বলতে গিয়েই এই কথা বলেন বিদেশমন্ত্রী।   

    এই মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়া সফরে আছেন এস জয়শঙ্কর। এটি তাঁর চলতি বছরের অস্ট্রেলিয়ায় দ্বিতীয় সফর। এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসেও গিয়েছিলেন মেলবোর্ন-এ চর্তুদেশীয় অক্ষ বা কোয়াড-এর বৈঠকে যোগ দিতে।

    কিছুদিন আগেই কানাডার টরোন্টোর স্বামীনারায়ণ মন্দিরে (Swaminarayan Mandir) ভাঙচুর চালায় দুষ্কৃতিরা। খালিস্তানের দাবিতে একদল দুষ্কৃতি গ্রাফিটি দিয়ে মন্দিরটিকে বিকৃত করে। মন্দিরে গায়ে নানান জায়গায় ভারত বিরোধী স্লোগান দেখা গিয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এর আগে অন্টারিওর ব্রাম্পটনে খালিস্তানকে কেন্দ্রে করে একটি গণভোটের আয়োজন করা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই কানাডায় অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনের পক্ষ থেকে কানাডা সরকারের কাছে তদন্তের আবেদন করা হয়েছে। ওই ঘটনার একটি ভিডিও সোশ্যাল সাইটে ছড়িয়ে পড়তেই এর নিন্দায় সরব হয় ভারতীয় হাইকমিশন। ভারত সরকারও এই ঘটনাযর তীব্র নিন্দা করেছে ।   

    জয়শঙ্কর ক্যানবেরায় বলেন, “সব সময় আমরা কানাডিয়ান সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। আমরা গণতান্ত্রিক সমাজে স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছি। যা আসলে সহিংসতা, সহিষ্ণুতার জন্ম দেয়। মৌলবাদী শক্তি যেন এর অপব্যবহার না করে।” তিনি আরও বলেন, “প্রতিটা দেশের এটা বোঝা উচিৎ, নিজের ঘরে গণতন্ত্র বজায় রাখলেই শুধু চলবে না। এক গণতন্ত্রের অন্য গণতন্ত্রের প্রতিও দায়িত্ব থাকে।”

    আরও পড়ুন: ‘সজাগ থাকুন’, কানাডাবাসী ভারতীয়দের সতর্ক করল বিদেশমন্ত্রক

    এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এর আগে ভারতীয় হাইকমিশন বিবৃতি করে জনিয়েছে “আমরা টরন্টোতে অবস্থিত স্বামী নারায়ণ মন্দিরের ক্ষতি এবং মন্দিরের দেওয়ালে ভারতবিরোধী স্লোগান লেখার ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। কানাডা প্রশাসনের কাছে এই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত, কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানাচ্ছি।” 

    কানাডায় বসবাসকারী ভারতীয়দের সজাগ করে বিদেশমন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “এখনও পর্যন্ত এই সব অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোনও আইনি ব্যবস্থা নেয়নি কানাডা। এই ধরণের ঘটনা ক্রমে বাড়ছে। তাই কানাডায় বসবাসকারী ভারতীয় নাগরিক ও শিক্ষার্থী এবং যাঁরা ভ্রমণের জন্যে কানাডা যাচ্ছেন তাঁরা সজাগ থাকুন এবং সতর্কতা অবলম্বন করুন।” 

    বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, “একটি মিত্র দেশে যেভাবে চরমপন্থীদের এমন একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কার্যকলাপ করতে দেওয়া হয়েছে, তা অত্যন্ত আপত্তিজনক।” বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী জানান, ভারত কানাডা কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে। এই বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে কানাডাকে সমানে চাপ দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Chinese Communist Party: চিনের কম্যুনিস্ট পার্টি কংগ্রেসের গুরুত্ব

    Chinese Communist Party: চিনের কম্যুনিস্ট পার্টি কংগ্রেসের গুরুত্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই মাসেই ১৬ অক্টোবর চিনের কম্যুনিস্ট পার্টির (Chinese Communist Party) ২০তম (20th CCP Congress) জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। চিনের রাজনীতিতে পার্টি কংগ্রেস প্রতি পাঁচ বছরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক বিষয়। এই সম্মেলনেই সিসিপি- র সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হয়। এই সম্মেলনে যে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হবেন তিনিই ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের মাধ্যমে দেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হবেন বলে মনে করছেন রাজনীতিবিদরা। চিনে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করে, সে দেশের সংসদ, ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস।

    চিনের বর্তমান রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং (Xi Jinping) এবার আবারও সিসিপির সাধারণ সম্পাদক হলে আগামী বছর তিনিই পিপলস কংগ্রেসে রাষ্ট্রপতি হিসেবে অনুমোদন পাবেন। জিনপিং ইতিমধ্যে দু দফায় ১০ বছর দেশের রাষ্ট্রপতি পদে রয়েছেন। আগে এই পদে দু দফার বেশি থাকা যেত না। ২০১৮ সালে জিনপিং সেই আইন পাল্টে নেন। এ থেকে অনেকে মনে করছেন তৃতীয় দফাতেও রাষ্ট্রপতি পদে থাকতে পারেন তিনি। যদি জিনপিং আরও এক দফা চিনের রাষ্ট্রপতি পদে বহাল থাকেন, তাহলে তিনি হবেন মাও সে তুংয়ের পর দীর্ঘ সময় পদে থাকা সিসিপি প্রধান।

    আরও পড়ুন: উইঘুরদের মানবাধিকার লঙ্ঘন, রাষ্ট্রসংঘে চিনের বিরুদ্ধে গেল না ভারত    

    তাঁকে মাওয়ের সম উচ্চতায় দেখানোর চেষ্টাও করতে পারে সিসিপি। শি জিনপিং- এর নামের সঙ্গে ইদানীং ‘দলের মূল নেতা’ কথাটা বার বার বলা হয়। ‘শি জিনপিং- এর চিন্তাধারা’ এমন শব্দও ব্যবহার করা হয়। যা আগে মাও  সেতুং- এর সময়ও বলা হত। জিনপিং- কে নিয়ে পার্টির কী পরিকল্পনা তা জানতে চায় সারা পৃথিবী। 
     
    তাই এই সম্মেলনের দিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা বিশ্ব। কম্যুনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জিনপিং- এর মেয়াদ বাড়বে কি না সেদিকেই লক্ষ্য সবার। জিনপিং- এর ক্ষমতায় থাকা- না থাকা ছাড়াও সিসিপি কীভাবে আগামীতে বিশ্বের দরবারে চিনকে তুলে ধরতে চাইছে, তারও কিছু ইঙ্গিত পাওয়া যাবে কংগ্রেসে। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে চলবে এই সম্মেলন।

    পরবর্তী একশো বছরের জন্য লক্ষ্য স্থির করা হবে এই সম্মেলনে। এই সম্মেলনে থেকেই উঠে আসবে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গ। দেশের প্রধান লক্ষ্য, উন্নয়ন সবটাই। এই সম্মেলনেই বুঝে নেওয়া হবে চিনের উন্নয়নের জন্য কী কী প্রয়োজন, জনগণের চাহিদাই বা ঠিক কী। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

      

  • Dawat_e_Islami: ভারতে গুপ্তচর বৃত্তি করতে ডিজিটাল প্রযুক্তি খাতে বিপুল বিনিয়োগ পাকিস্তানের!

    Dawat_e_Islami: ভারতে গুপ্তচর বৃত্তি করতে ডিজিটাল প্রযুক্তি খাতে বিপুল বিনিয়োগ পাকিস্তানের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশবাসীর খাবার বাড়ন্ত। তাও সমরাস্ত্র সরঞ্জাম কেনায় খামতি নেই ভারতেরই প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের (Pakistan)।এবার উঠে এল বিস্ফোরক এক তথ্য। ডিজিটাল প্রযুক্তি খাতে মোটা অঙ্কের টাকা ব্যয় করছে সে দেশেরই জঙ্গি গোষ্ঠী দাওয়াত-ই-ইসলামি (Dawat_e_Islami)। ভারতীয় মুসলমানদের কাছে ওই জঙ্গি গোষ্ঠীর ভাবধারা সঞ্চারিত করতেই গত আট বছর ধরে এ কাজ করছে পাকিস্তানে ঘাঁটি গেড়ে বসে থাকা দাওয়াত-ই-ইসলামি। সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে একথা জানান সাইবার বিশেষজ্ঞ জিতেন জৈন। তিনি বলেন, ভারতে গুপ্তচর বৃত্তি করতে এবং যুদ্ধাস্ত্র সম্পর্কে খোঁজখবর দিতেও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বিপুল পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করেছে শাহবাজ শরিফের দেশ।

    সম্প্রতি দাওয়াত-ই-ইসলামির (Dawat_e_Islami) কাজকর্মের ওপর সমীক্ষা করে একটি সাংবাদ মাধ্যম। সেই তথ্য তুলে ধরে জিতেন জানান, গত আট বছরে পাকিস্তান প্রযুক্তি খাতে মোটা অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করেছে। পাকিস্তান ভিত্তিক ওই জঙ্গি গোষ্ঠী এটা করেছে ভারতে গোয়েন্দাগিরি করার জন্য।

    কেন এ কাজ করল দাওয়াত-ই-ইসলামি (Dawat_e_Islami)? জানা গিয়েছে, ডিজিটাল প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ভারতে বসবাসকারী মুসলমানদের মধ্যে ওই জঙ্গি গোষ্ঠীর এজেন্ডা পৌঁছে দেওয়ার জন্যই বিপুল পরিমাণ টাকা লগ্নি করেছে দাওয়াত-ই-ইসলামি।

    আরও পড়ুন : নিষিদ্ধ ঘোষিত হওয়ার আগে পিএফআইকে প্রকাশ্যে সমর্থন পাকিস্তান দূতাবাসের

    কিছুদিন আগেই রাজস্থানের উদয়পুরে মুণ্ডচ্ছেদ করা হয় পেশায় দর্জি কানহাইয়া লালের। যে দুই খুনি নৃশংস এই কাজ করেছিল, তারা দাওয়াত-ই-ইসলামির (Dawat_e_Islami) ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ওই কাজ করেছে বলেও জানা গিয়েছে। ঘটনার পরে পরে পাকিস্তানের ওই জঙ্গি গোষ্ঠীর নাম উঠে এলেও, অস্বীকার করেছিল ইসলামাবাদ। তবে ইসলামাবাদের বক্তব্য যে মিথ্যে, তা জানা গিয়েছে ওই সংবাদ মাধ্যমের সমীক্ষায়ই।

    দাওয়াত-ই-ইসলামির (Dawat_e_Islami) ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের খবর দেওয়া হয়। অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, কানাডা, হংকং, কোরিয়া, ব্রিটেন এবং আমেরিকায় ওই অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচারিত হয়। ভারতে হয় না। তবে এ দেশের মুসলমানদের একটা অংশ ঘুরপথে তার খবর পেয়ে যায়। ফলে লক্ষ্য পূরণ হয় দাওয়াত-ই-ইসলামির (Dawat_e_Islami)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • India Abstained: উইঘুরদের মানবাধিকার লঙ্ঘন, রাষ্ট্রসংঘে চিনের বিরুদ্ধে গেল না ভারত

    India Abstained: উইঘুরদের মানবাধিকার লঙ্ঘন, রাষ্ট্রসংঘে চিনের বিরুদ্ধে গেল না ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনের জিনজিয়াং (Xinjiang) অঞ্চলে উইঘুর (Uighur) মুসলিমদের মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। এই অভিযোগ বহুদিন ধরেই ছিল। এই বিষয়ে সম্প্রতি বিতর্কের প্রস্তাব দেয় রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদ। চিন (China) বিরোধী এই খসড়া প্রস্তাবে ভোটাভুটি থেকে নিজেকে দূরে রাখল ভারত। ৪৭ সদস্যের পরিষদে খসড়া প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দেয় ১৭ টি দেশ। বিপক্ষে ভোট দেয় চিন-সহ ১৯টি দেশ। অন্যদিকে, ভারত, ব্রাজিল, মেক্সিকো এবং ইউক্রেন-সহ ১১টি দেশ এই প্রক্রিয়া থেকে বিরত থাকল। বেশ কয়েকটি মানবাধিকার গোষ্ঠী দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে উত্তর-পশ্চিম চিনের জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ করে আসছে। খসড়া প্রস্তাবটি পেশ করেছিল কানাডা, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, নরওয়ে, সুইডেন, ব্রিটেন, আমেরিকার মতো দেশগুলির সম্মিলিত গ্রুপ। তুরস্ক-সহ বিভিন্ন রাষ্ট্র প্রস্তাবটির সহ-প্রস্তাবক ছিল। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলির অভিযোগ ছিল, শিক্ষাদানের নামে বেজিং জিনজিয়াং অঞ্চলে ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি করেছে চিন প্রশাসন। সেই ক্যাম্পে ইচ্ছার বিরুদ্ধে অন্তত ১০ লক্ষ উইঘুর সম্প্রদায়ের মানুষকে আটক করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: জাতীয় পতাকায় ‘টক্কর’ পাকিস্তানকে, আটারিতে উড়বে ভারতের উচ্চতম তেরঙা

    এর আগে রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টেও এক ভয়ঙ্কর দাবি করা হয়। ৪৯ পাতার সেই রিপোর্টে বলা হয়, “জিনজিয়াং প্রদেশে চরমপন্থা এবং সন্ত্রাসদমনের নামে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। ধর্ষণ, পুরুষদের জোর করে নির্বীজকরণের মতো ঘটনা ঘটেছে সেখানে। এমনকী, হঠাৎই নিজের বাড়ি থেকে উধাও হয়ে গিয়েছেন অনেকে। পরে যাদের আর কোনও খোঁজ মেলেনি। উইঘুর এবং অন্যান্য মুসলিম গোষ্ঠীর সদস্যদের সাধারণ নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। জোর করে ডিটেনশন ক্যাম্পে আটকে রাখা হচ্ছে তাদের।”

    এই দিনের ভোটাভুটি নিয়ে অত্যন্ত আশাবাদী হিউম্যান রাইটস ওয়াচ চাইনার ডিরেক্টর সোফি রিচার্ডসন। তিনি বলেন, “ইতিহাসে এই প্রথমবার রাষ্ট্রসঙ্ঘের শীর্ষ মানবাধিকার সংস্থা চিনের জিনজিয়াং প্রদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বিতর্কের প্রস্তাব বিবেচনা করল। যদিও প্রস্তাবটি গ্রহণ করেনি কাউন্সিল। তবে, এই ভোটাভুটি থেকে স্পষ্ট চিনের ব্যাপক অধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে ইচ্ছুক দেশের সংখ্যা ক্রমে বাড়ছে।”     

    সোফি রিচার্ডসন আরও জানিয়েছেন, সম্প্রতি রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রাক্তন হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেটের প্রতিবেদনেই চিনের অত্যাচারের কথা স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে। নয়া হাইকমিশনার ভলকার তুর্ককে এই প্রতিবেদনের বিষয়ে মানবাধিকার পরিষদকে জানানোর জন্য অনুরোধ করছেন তাঁরা। পাশাপাশি ওই প্রতিবেদনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করার জন্য এবং চিনকে এই অপরাধের জন্য জবাবদিহি করতে বাধ্য করার জন্য আন্তর্জাতিক মহলকে আহ্বানও জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ চায়না।   

  • Daughter-In-Law: ছেলেকে ‘ডিভোর্স’ দিতে চাওয়ায় নৃশংসভাবে পুত্রবধূকে খুন করলেন মার্কিন প্রবাসী ভারতীয়!

    Daughter-In-Law: ছেলেকে ‘ডিভোর্স’ দিতে চাওয়ায় নৃশংসভাবে পুত্রবধূকে খুন করলেন মার্কিন প্রবাসী ভারতীয়!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুত্রবধূকে (Daughter-In-Law) গুলি করে মারার অপরাধে গ্রেফতার করা হল ৭৪ বছরের ভারতীয় বংশোদ্ভুত এক মার্কিন নাগরিককে। ক্যালিফোর্নিয়া থেকে তাকে গ্রেফতার করে মার্কিন পুলিশ। পুত্রবধূকে হত্যা করার ঘটনা এর আগে অনেক শোনা গিয়েছে। তবে এবারের ঘটনার পেছনের কারণটি শুনলে হয়তো আপনিও অবাক হবেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ছেলের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পুত্রবধূ। আর সেই রাগেই তাঁকে নৃশংসভাবে হত্যা করেন ৭৪ বছরের বৃদ্ধ সিতল সিং দোসাঞ্জ। মৃত মহিলার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে সিতলকে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে একটি আগ্নেয়াস্ত্র।

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত শ্বশুর সিতল সিং তার পুত্রবধু গুরপ্রীত কউরকে (Daughter-In-Law) গত সপ্তাহে ওয়ালমার্টের সাউথ স্যান জোশ পার্কিং লটে খুন করেন। এখানেই গুরপ্রীত কাজ করতেন বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ তদন্তের পরই সিতলকে গ্রেফতার করে।

    আরও পড়ুন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূত পরিবারের শিশু সহ ৪ জনকে খুন

    পুলিশ তদন্ত চলাকালীন জানতে পারে যে নিহত গুরপ্রীত শুক্রবার তাঁর কাকাকে ফোন করে নিজের আতঙ্কের কথা জানিয়ে বলেছিলেন যে সিতল তাঁর ওপর নজর রাখছে। প্রাণভয়ে আতঙ্কিত গুরপ্রীত তাঁর কাকাকে এও জানান যে শীতল তাঁকে খোঁজার জন্য ১৫০ মাইল গাড়ি চালিয়ে এসেছে। তাঁর ভাইঝির ফোন কল কেটে যাওয়ার আগের মুহূর্তে তিনি শুনেছিলেন যে সিতল গুরপ্রীতের গাড়ির দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছিলেন৷ আর এরপরেই গুরপ্রীতের ফোন কেটে যায় ও তার প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পরে ওয়ালমার্টের সহকর্মীরা তাঁকে (Daughter-In-Law) সেই পার্কিং লটে নিথর অবস্থায় দেখতে পান। চিকিৎসককে খবর দেওয়া হলে তিনি গুরপ্রীতকে মৃত বলে ঘোষণা করেন৷

    পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গুরপ্রীতের (Daughter-In-Law) দেহে দু’‌টি গুলির আঘাত ছিল। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়েছিল। গুরপ্রীতের কাকা তদন্তকারীদের এও জানিয়েছিলেন যে অভিযুক্তের ছেলেকে ডিভোর্স দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন গুরপ্রীত। পুলিশ জানিয়েছে গুরপ্রীতের স্বামী ও শ্বশুর ফ্রেসনোতে থাকত এবং গুরপ্রীত স্যান জোসে। এরপর মার্কিন পুলিশ ফ্রেসনোতে সিতল দোসাঞ্জের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে এবং তল্লাশির সময় তার বাড়ি থেকে .‌২২ ক্যালিবার বেরেটা (.22-caliber Beretta pistol) পিস্তল পাওয়া যায়। নিহতের পরিবার থেকে অভিযুক্ত শ্বশুরের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরপর তাকে আদালতে পেশ করা হলে বিচারক ১৪ নভেম্বর তাকে ফের আদালতে পেশ করতে বলেছে।

  • Thailand Daycare Shooting: বন্দুকবাজ হামলার কবলে থাইল্যান্ড, মৃত ৩৪, পরিবারকে খুন করে আত্মঘাতী আততায়ী

    Thailand Daycare Shooting: বন্দুকবাজ হামলার কবলে থাইল্যান্ড, মৃত ৩৪, পরিবারকে খুন করে আত্মঘাতী আততায়ী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকার পরে এবার থাইল্যান্ডে বন্দুকবাজের হামলা (Thailand Daycare Shooting)। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী এই অবধি হামলায় মৃত্যু হয়েছে ৩৪ জনের। পালিয়েছে হামলাবাজ। তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে থাইল্যান্ড পুলিশ। প্রশাসনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, থাইল্যান্ডের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে ঘটনাটি ঘটেছে।        

    বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডের নং বুয়া লামফু অঞ্চলের একটি চাইল্ড সেন্টারে এই হামলা চলে। বন্দুকবাজের গুলিতে ২২ জন শিশুও প্রাণ হারিয়েছে। প্রশাসনের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, হামলাকারী ব্যাংকক লাইসেন্স প্লেটসহ একটি সাদা পিকআপ গাড়িতে পালিয়ে যায়। গাড়ির নম্বর  ৪৯৯। পুলিশের তরফে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। বাসিন্দাদের জানানো হয়েছে, কেউ যদি ওই নম্বরের পিকআপ ভ্যান দেখেন তাহলে যেন ১৯২ নম্বরে ফোন করে তা জানান। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ৩৪ জনকে হত্যা করার পর অভিযুক্ত তার সন্তান ও স্ত্রীকেও গুলি করে। তারপর নিজেকে গুলি করে আত্মঘাতী হয়েছে আততায়ী। তবে এর পরেও ওই ব্যক্তির খোঁজে তল্লাশি জারি রেখেছে প্রশাসন। 
     
    সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যেই সতর্কতা জারি করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক সবাই রয়েছে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের মতে, আততায়ী একজন প্রাক্তন পুলিশ আধিকারিক। 

    আরও পড়ুন: জাতীয় পতাকায় ‘টক্কর’ পাকিস্তানকে, আটারিতে উড়বে ভারতের উচ্চতম তেরঙা

    থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পুলিশকে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর বার্তা, অপরাধীকে খুঁজে বের করে দ্রুত নিজেদের হেফাজতে নিতে হবে পুলিশকে। সংবাদ সংস্থায় প্রকাশ,থাইল্যান্ডে লাইসেন্সকৃত বন্দুকের সংখ্যা অন্য দেশের তুলনায় বেশি। সরকারী পরিসংখ্যানেও বিপুল সংখ্যক অবৈধ অস্ত্র অন্তর্ভুক্ত নেই। 

    ঠিক কী কারণে বন্দুকবাজের হামলা তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে আক্রোশ থেকেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে ওই ব্যক্তি। কারণ গত কয়েকদিন আগেই চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল তাঁকে। আর এরপরেই এই ঘটনা। ফলে বদলা নিতেই এই ঘটনা বলে মনে করছেন অনেকে।  

    এর আগে ২০২০ সালে থাইল্যান্ডে বন্দুকবাজের হামলার ঘটনা ঘটে। সেবার এক সেনা গুলি করে  ২৯ জনকে হত্যা করেছিল। জখম হয়েছিলেন ৫৭ জন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
  • India on Russia: আলোচনার মাধ্যমেই রাশিয়া-ইউক্রেন সমস্যার সমাধান সম্ভব! জানেন রাষ্ট্রসংঘে কী বলল ভারত?

    India on Russia: আলোচনার মাধ্যমেই রাশিয়া-ইউক্রেন সমস্যার সমাধান সম্ভব! জানেন রাষ্ট্রসংঘে কী বলল ভারত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন (Russia-Ukrain war) যুদ্ধে মধ্যপন্থা অবস্থানের কারণে পশ্চিমী দেশগুলির তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল ভারতকে (India)। তাতে অবশ্য খুব একটা কর্ণপাত করেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। কারণ, ভারতের বিদেশ নীতির মূল মন্ত্র মেনেই তিনি রাশিয়ার (Russia) সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছেন। তবে সব বিষয়ে ভারত যে পুতিনকে সমর্থন করবে না, তা কিন্তু হাবেভাবে ফের বুঝিয়ে দিয়েছে দিল্লি। সম্প্রতি গণভোটের নাম করে ইউক্রেনের চারটি এলাকা নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করার কথা ঘোষণা করেছে রাশিয়া। যা একেবারেই না পসন্দ ভারতের। সেই কারণেই রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এই সংক্রান্ত বিষয়ে ভোটাভুটিতে বিরত থাকল দিল্লি। রাষ্ট্রসংঘে ভারতের প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ জানিয়েছেন, ‘ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ভারত ভীষণই বিচলিত। আলোচনার মাধ্যমেই যাবতীয় সমস্যার সমাধান সম্ভব। সেই বার্তা মস্কোকে বার বার দেওয়ার চেষ্টা করেছে ভারত।’

    আরও পড়ুন: নয়া সংসদ ভবনের উপরে স্থাপিত জাতীয় প্রতীক কোনও আইন লঙ্ঘন করেনি! জানুন কী বলল আদালত?

    আমেরিকার পক্ষ থেকে রাশিয়ার আগ্রাসন নীতির বিরুদ্ধ নিন্দাপ্রস্তাব আনা হয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে। সদস্য দেশগুলিকে ইউক্রেনের কোনও পরিবর্তিত পরিস্থিতিকে স্বীকৃতি না দেওয়ার আহ্বান জানান হয়। নিরাপত্ত পরিষদের দশটি সদস্য আমেরিকার আনা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। তবে চিন, গ্যাবন ব্রাজিল এবং ভারত ভোটদান থেকে বিরত থাকে। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়ার বন্ধু দেশ হিসেবেই পরিচিত ভারত, চিন। কিন্তু অবৈধ গণভোটের মাধ্যমে ইউক্রেনের এলাকা দখলের রুশ প্রয়াসকে ভারত একেবারেই সমর্থন করছে না, তা স্পষ্ট। রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা টমাস গ্রিনফিল্ড বলেন, ‘ভোটদানে বিরত থাকা মানে রাশিয়াকে সমর্থন নয়। একটি দেশও রাশিয়াকে ভোট দেয়নি।’

    আরও পড়ুন: মানবিক মোদি! রাত ১০টায় সভায় এসে চাইলেন ক্ষমা, অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য ছাড়লেন রাস্তা

    রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়ে বলেন, ‘ইউক্রেনের যে অঞ্চলগুলি রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, সেখানে এখনও লড়াই চলছে। সেখানকার মানুষ গণভোটের মাধ্যমে রাশিয়ার অংশ হতে চেয়েছে।’ তবে এই যুক্তি মানতে রাজি নয় ইউক্রেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share