Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Hina Rabbani Khar: পাকিস্তান মনমোহন সিংকে ভালবাসে, মোদিকে নয়, দাবি পাক বিদেশমন্ত্রীর  

    Hina Rabbani Khar: পাকিস্তান মনমোহন সিংকে ভালবাসে, মোদিকে নয়, দাবি পাক বিদেশমন্ত্রীর  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান (Pakistan) মনমোহন সিংকে ভালবাসেন, নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) নয়। এমনই বক্তব্য শোনা গেল পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী হিনা রব্বানি খারের (Hina Rabbani Khar) গলায়। শুক্রবার সুইজারল্যান্ডের দাভোসে তিনি বলেন, ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে আমি সেই পার্টনার খুঁজে পাইনি, যেটা পেয়েছিলাম মনমোহন সিংহের মধ্যে। দাভোসে আয়োজন করা হয়েছিল ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরামের। সেখানেই সংবাদ মাধ্যমের সামনে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

    হিনা রাব্বানি…

    মুসলমান সাংবাদিক রানা আয়ুব কীভাবে ভারতের অত্যাচারের শিকার হয়েছিলেন তা নিয়ে মিথ্যাচার করেন হিনা। তার জেরে প্রকাশ্যে আসে হিনার এই অভিমত, মোদি সরকারের চেয়ে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন সরকার অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য ছিল সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র পাকিস্তানের কাছে। হিনা রাব্বানি (Hina Rabbani Khar) বলেন, আমরা রানা আয়ুবের বাড়ি ধূলিসাৎ করার বিষয়টি জানি। যদিও রাজ্য সরকার কিংবা কেন্দ্রের বিজেপি সরকার বিতর্কিত ওই সাংবাদিকের বাড়ি ভাঙার নির্দেশ দেয়নি। ভারত-বিরোধী লেখিকা অরুন্ধতী রায়ের উদাহরণও টানেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী। আন্তর্জাতিক এই মঞ্চে তিনি বলেন, আমরা অরুন্ধতী রায়ের সম্পর্কে জানি। ভারতের রাজনীতি নিয়ে তিনি কী বলেছেন, তাও আমরা জানি। এদিন ভারতের বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা অভিযোগও করেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী।

    আরও পড়ুুন: বালুচিস্তানের প্রাকৃতিক সম্পদ লুঠ করছে চিন! বিক্ষোভ বালুচদের

    তিনি (Hina Rabbani Khar) বলেন, ভারত লাহোরে সন্ত্রাসবাদী কাজকর্ম চালিয়েছিল। বালুচিস্তানকে অশান্ত করেছিল। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জয় নিশ্চিত করতেই বালাকোটে এয়ার স্ট্রাইক চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন হিনা রাব্বানি। তিনি বলেন, বালাকোটে ভারত যে এয়ার স্ট্রাইক চালিয়েছিল, সেটা উনিশের লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির জয় নিশ্চিত করতে। হিনা এদিন যে কথাটির উল্লেখ আন্তর্জাতিক মঞ্চে করেননি, সেটি হল পাকিস্তানের মদতে পুলওয়ামায় সন্ত্রাসবাদী কাজকর্ম চালানো। যার জেরে মৃত্যু হয়েছিল ৪০ জনের।

    এর পরেই রাব্বানি বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে এই প্রজেক্ট (শত্রুতা বর্জন করে শান্তির পথে অগ্রসর) এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পার্টনার দেখতে পাইনি, যা দেখেছিলাম মনমোহন সিংয়ের মধ্যে। তিনি বলেন, এটাই প্রকৃত বাস্তব। আমি বাস্তবতাকে অস্বীকার করতে পারি না। এদিনের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন আর্ট অফ লিভিংয়ের স্রষ্টা শ্রী শ্রী রবিশঙ্করও। হিনার উদ্দেশে তিনি বলেন, গোটা বিশ্ব জানে সন্ত্রাসবাদের আঁতুড়ঘর কোন দেশ। ওসামা বিন লাদেন কোথায় লুকিয়ে ছিলেন? কোথাকার সন্ত্রাসবাদীরা সমস্যা তৈরি করছে? এগুলোকে অস্বীকার করা যাবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

  • Pakistan Economy: অবিলম্বে বিশ্বব্যাঙ্কের সাহায্য না পেলে ভেঙে পড়বে পাকিস্তানের অর্থনীতি?

    Pakistan Economy: অবিলম্বে বিশ্বব্যাঙ্কের সাহায্য না পেলে ভেঙে পড়বে পাকিস্তানের অর্থনীতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনা ঋণের ফাঁদে পড়ে দেউলিয়া হয়েছে শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। এবার প্রায় একই হাল হতে চলেছে ভারতের (India) আর এক প্রতিবেশী দেশেরও। সর্বস্বান্ত হওয়ার পথে এবার পাকিস্তানও (Pakistan)। দেশের হাঁড়ির হাল হয়ে যাওয়া অর্থনীতির (Pakistan Economy) হাল ফেরাতে বিশ্বব্যাঙ্কের কাছে দরবার করেছে শাহবাজ শরিফের দেশ। তার পরেও  মেলেনি কাঙ্খিত সাহায্য। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ওই সাহায্য না মিললে দেশের আর্থিক পরিস্থিতি আরও করুণ হবে। অন্তত আল আরবিয়া পোস্টের প্রতিবেদন থেকে এমনই জানা যাচ্ছে। পাকিস্তানকে ২৪তম লোন দিতে দেরি করছে বিশ্বব্যাঙ্ক। সৌদি এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহিও পাকিস্তানকে সাহায্য করবে না বলে সতর্ক করে দিয়েছে।

    বন্ধু দেশগুলিও সাফ জানিয়ে দিয়েছে…

    আল আরবিয়া পোস্টের প্রতিবেদন থেকে এও জানা গিয়েছে, সম্প্রতি গলফ বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও নয়া সেনা প্রধান জেনারেল আসীম মুনির। পাকিস্তানের ওই বন্ধু দেশগুলিও সাফ জানিয়ে দিয়েছে, দেশের তলানিতে ঠেকে যাওয়া অর্থনীতিকে (Pakistan Economy) চাঙা করতে অবিলম্বে সংস্কারমূলক ব্যবস্থাগুলি গ্রহণ করুক সে দেশের সরকার। পাক প্রধানমন্ত্রী এবং নয়া সেনা প্রধানকে তারা এও জিজ্ঞাসা করছে, দেশের অর্থনীতির এহেন করুণ দশার জন্য কি নোংরা রাজনীতি দায়ি?

    আরও পড়ুুন: ইডির জালে কুন্তল! কী মিলল চিনার পার্কের ফ্ল্যাট থেকে?

    শাহবাজ শরিফের আগে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তারকা ক্রিকেটার কাম রাজনীতিক ইমরান খান। পরে সেনা প্রধানের সঙ্গে দূরত্বের কারণে পদত্যাগ করতে হয় ইমরানকে। এর পরেই পাকিস্তানের কুর্সিতে বসেন শাহবাজ শরিফ। ইমরানের দাবি, পাকিস্তানের অর্থনীতির হাঁড়ির হালের জন্য দায়ী শাহবাজ শরিফ। ঠিক একই অভিযোগ করেছেন শাহবাজ শরিফও। তাঁর দাবি, ইমরানের ভুল নীতির জন্যই দেশের অর্থনীতির (Pakistan Economy) এই হাল। অর্থনীতিবিদদের সিংহভাগের মতে, দেশের দুর্বল অর্থনীতির স্বাস্থ্য ফেরাতে এখনই জরুরি ছিল সংস্কারমূলক নানা পন্থা অবলম্বন করা। কিন্তু সে পথে হাঁটেনি শাহবাজ শরিফ কিংবা তার পূর্বসূরি ইমরান খানের সরকার। পাকিস্তানের অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। এর মধ্যে যেমন রয়েছে ইসলামাবাদের বন্ধুদেশ, তেমনি রয়েছে আমেরিকার মতো দেশও। এখন দেখার, দেশের আর্থিক স্বাস্থ্য ফেরাতে কী করে শাহবাজ শরিফের দেশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Imran Khan: আসন্ন পাকিস্তানের উপনির্বাচন, ৩৩ আসনেই লড়বেন ইমরান খান

    Imran Khan: আসন্ন পাকিস্তানের উপনির্বাচন, ৩৩ আসনেই লড়বেন ইমরান খান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরেই পাকিস্তানের উপনির্বাচন (Imran Khan)। উপনির্বাচনে ৩৩টি আসনেই লড়বেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ট্যুইট করে এমনটাই জানিয়েছেন ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের শীর্ষ নেতা ফওয়াদ চৌধুরি।

    গত ১৭ জানুয়ারি ফওয়াদ একটি ট্যুইটে জানান, উপনির্বাচনের (Imran Khan) ৩৩টি আসনেই তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রার্থী ইমরান খান। শুক্রবার পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, এবছর ১৬ মার্চ হবে পাকিস্তানের উপনির্বাচন।  

    দলের নেতা শাহ মেহমুদ কুরেশির বলেন, “১৬ মার্চ যে উপনির্বাচন (Imran Khan) হবে, তাতে ইমরানকে সকলে ভোট দেবেন বলে আশাবাদী আমি। ইমরানের উপর সকলের যে এখনও ভরসা রয়েছে, তা ভোটের মাধ্যমেই বোঝা যাবে।”

    কেন এই উপনির্বাচন? 

    প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে জাতীয় পরিষদ থেকে দলীয় প্রধান ইমরান খান (Imran Khan) ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর সংসদের নিম্নকক্ষ থেকে গণ পদত্যাগ করেছিলেন পিটিআই- এর একাধিক সদস্য। স্পিকার রাজা পারভেজ আশরাফের কাছে সে সময় পিটিআইয়ের ৩৫ জনেরও বেশি সদস্য ইস্তফা দেন। কিন্তু, আশরাফ মাত্র ১১টি পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বলেন যে বাকি সাংসদদের যাচাইয়ের জন্য পৃথকভাবে তলব করা হবে। আট মাস ধরে প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার পর, আশরাফ, আরও ৩৪ জন পিটিআই সাংসদ এবং আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রধান শেখ রশিদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন। মনে করা হচ্ছে দল আস্থা ভোটের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফকে ‘পরীক্ষা’ করবে।

    আরও পড়ুন: মমতার পাশে নেই কেষ্ট! অনুব্রত-হীন বীরভূমে মুখ বাঁচাতে নয়া কৌশল তৃণমূলের?

    উল্লেখ্য, হায়দার আলী খান, সেলিম রেহমান, সাহেবজাদা সিবগাতুল্লাহ, মেহবুব শাহ, মহম্মদ বশির খান, জুনায়েদ আকবর, শের আকবর খান, আলী খান জাদুন, ইঞ্জিঃ উসমান খান তারাকাই এবং মুজাহিদ আলীর পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে (Imran Khan)। সংরক্ষিত আসন থেকে, আন্দালিব আব্বাস, আসমা কাদির, মালেকা আলী বোখারি এবং মুনাওয়ারা বিবি বালোচের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    এই মুহূর্তে বহু আসন প্রার্থী শূন্য (Imran Khan)। তাই এই উপনির্বাচন প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। কুরেশি জানিয়েছেন, সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী আসন শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হওয়া বাঞ্ছনীয়। তাই ১৬ মার্চ উপনির্বাচনের তারিখ ঠিক করা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • BBC: মোদিকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামলেন ক্যালিফোর্নিয়ায় বসবাসকারী ভারতীয়রা

    BBC: মোদিকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামলেন ক্যালিফোর্নিয়ায় বসবাসকারী ভারতীয়রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চেন”, বিবিসি-র (BBC) এই তথ্যচিত্রের বিরুদ্ধে শনিবার ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকো উপসাগরীয় এলাকার ফ্রেমন্টে প্রতিবাদ দেখালেন প্রবাসী ভারতীয়রা। “ভারতীয় প্রবাসী” এর ব্যানারে প্রায় ৫০ জন সদস্য স্লোগান দেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাস্তায় মিছিলেও হাঁটেন। তাঁদের দাবি, বিবিসির অশুভ ও পক্ষপাতমূলক তথ্যচিত্র প্রত্যাখ্যান করা হোক। ফ্রেমন্টে মিছিল করার সময়, ভারতীয়রা “পক্ষপাতদুষ্ট বিবিসি” এবং “বর্ণবাদী বিবিসি” এর মতো স্লোগান তোলেন।

    ফ্রেমন্টে ভারতীয়দের মিছিলের (BBC) ব্যানারে লেখা ছিল, “বিবিসি একটি বোগাস ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন” এবং “ভারতীয় প্রবাসীরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে বিবিসির অশুভ এবং পক্ষপাতদুষ্ট ডকুমেন্টারি প্রত্যাখ্যান করেছে”, “বিবিসি ডকুমেন্টারি ভুয়ো প্রচার চালাচ্ছে”, “বিবিসি একটি ভুয়ো, দালাল সংবাদমাধ্যম”।  

    সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’ নামে দুই পর্বের তথ্যচিত্র প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি (BBC)। তথ্যচিত্রটি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই গোটা বিশ্বজুড়ে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে। তথ্যচিত্রটিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে বিদেশমন্ত্রক। দুই পর্বের এই তথ্যচিত্রটিকে প্রোপাগান্ডা হিসেবে অভিহিত করেছে কেন্দ্র। 

    নির্মাতারা (BBC) দাবি করেন, মোদির সঙ্গে ভারতের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ে, মূলত মুসলিমদের সম্পর্কের তিক্ততার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে তথ্যচিত্রটিতে। পাশাপাশি ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গায় মোদির ভূমিকার প্রসঙ্গও উঠে এসেছে এই ধারাবাহিকে।

    আরও পড়ুন: কংগ্রেসের ভারত জোড় যাত্রা, রাহুলের লক্ষ্য পূরণ হল কি?

    বিশ্বজুড়ে বিতর্ক 

    এই সিরিজ় (BBC) নিয়ে ইতিমধ্যেই ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের অনেকেই ট্যুইটারে বিবিসির এই উদ্যোগ নিয়ে উপহাস করেছে। অনেকেই বলেছেন, বিবিসির উচিত ১৯৪৩ সালের বাংলার দুর্ভিক্ষের উপরও একটি সিরিজ তৈরি করা উচিত, যার নাম হবে ‘ইউকে: দ্য চার্চিল কোয়েশ্চন’। প্রসঙ্গত, এই মন্বন্তরে প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। সেই সময় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন উইনস্টন চার্চিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে, ভারতীয়দের থালা থেকে খাবার তুলে নিয়ে গিয়েছিল ব্রিটেন। ব্রিটিশ সৈন্যদের খাওয়ানোর জন্য মজুত করা হয়েছিল সেই খাদ্য। যার বলি হতে হয়েছিল বাংলার মানুষকে। ব্রিটিশ হাউস অব লর্ডসের সদস্য লর্ড রামি রেঞ্জারও এই সিরিজের প্রেক্ষিতে বিবিসির বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক প্রতিবেদনের অভিযোগ করেছেন।

    অনেকেরই ধারণা গুজরাট হিংসা (BBC) নিয়ে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগে ধৃত সমাজকর্মী তিস্তা শেতলওয়াড়, প্রাক্তন আইপিএস অফিসার সঞ্জীব ভাট এবং আর বি শ্রীকুমারের দেওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই এই তথ্যচিত্র তৈরি করে ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থাটি। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ক্লিনচিট দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। তারপরেও এই তথ্যচিত্রের কী ভিত্তি রয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আন্তর্জাতিক মহল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Pakistan: মৃতদেহ চিনতে পারছেন না পরিবারও! পাকিস্তানে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় মৃত অন্তত ৪১

    Pakistan: মৃতদেহ চিনতে পারছেন না পরিবারও! পাকিস্তানে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় মৃত অন্তত ৪১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মর্মান্তিক দুর্ঘটনা পাকিস্তানে। পাকিস্তানের বালোচিস্তান প্রদেশে ঘটল ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা। রবিবার ঘটনার জেরে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৪১ জনের। এদিন ভোরবেলা একটি বাস কোয়েটা থেকে করাচিতে যাচ্ছিল। সেই বাসে ৪৮ জন যাত্রী ছিলেন। পরবর্তীতে সিন্ধ প্রদেশের বালোচিস্তানের কাছে একটি পিলারে ধাক্কা দেয় বাসটি। ধাক্কা দিয়ে পাশের খাদে পড়ে যায়। তারপরই বাসে আগুন লেগে যায়। সূত্রের খবর, ঘটনাস্থল থেকে ৪১ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এমনভাবে পুড়ে গিয়েছে, দেহাংশ দেখে বোঝার উপায় নেই সেটি কার দেহ। সকালে দুর্ঘটনার পর তিন জনকে জীবন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। জীবিতদের মধ্যে একজন মহিলা এবং একজন শিশুও আছে। তারা আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি।

    কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা?

    সূত্রের খবর, ভোর ৪ টে নাগাদ এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। এলাকার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হামজা অঞ্জুম জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে তদন্তে অনুমান, লাসবেলার কাছে বাসটি দ্রুতগতিতে ইউ টার্ন নেওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিলারে ধাক্কা দিয়ে পাশের উপত্যকায় গড়িয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায় তাতে। এখনও পর্যন্ত ৪১ টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

    তিনি আরও জানিয়েছেন, মৃতদেহগুলো চেনার বাইরে। এক শিশু-সহ ৩ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। বাসের জানলা দিয়ে টেনে তাঁদের বের করা হয়। মৃতদেহগুলিকে করাচি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাঁরা দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করবেন।

    আরও পড়ুন: বন্ধ একশো দিনের প্রকল্প, ফের ভিন রাজ্যে কাজে গিয়ে মৃত্যু ৩ পরিযায়ী শ্রমিকের

    সূত্রের খবর, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার ব্রিগেড, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। পুলিশ জানিয়েছে অনুমান করা হয়েছে, বাসের গতি অনেকটা বেশি ছিল। সেই কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। যদিও পাকিস্তানে এমন দ্রুত গতির জেরে পথ দুর্ঘটনা প্রায় নিত্যদিনের ব্যাপার। বর্তমানে ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে পুলিশ ও আত্মীয়রা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Afghanistan: ফের নিষেধাজ্ঞা! বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষাতেও বসতে পারবেন না আফগান মেয়েরা

    Afghanistan: ফের নিষেধাজ্ঞা! বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষাতেও বসতে পারবেন না আফগান মেয়েরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আফগানিস্তানে নারী শিক্ষায় একাধিক ফতোয়া জারি করেছে তালিবান সরকার। এর আগেই তালিবান (Taliban) সরকার দেশের মহিলাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। আর এবারে জানা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশিকা পরীক্ষাতে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ফেব্রুয়ারিতেই রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার প্রবেশিকা পরীক্ষা। কিন্তু তার আগেই এই পদক্ষেপ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এবং আন্তর্জাতিক সংগঠন এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।

    নোটিশ জারি তালিবান সরকারের

    আফগানিস্তানে ছাত্রীদের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের এক মাসের মধ্যেই ফের এক নিষেধাজ্ঞা জারি করল তালিবান। তালিবান নিয়ন্ত্রিত সরকারের শিক্ষা মন্ত্রক বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে একটি নোটিশ জারি করেছে। যাতে বলা হয়েছে যে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মেয়েরা পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবে না। মহিলাদের প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশন করার ওপরে জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।

    সে দেশের উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী নিদা মোহাম্মদ নাদিম বলেছেন যে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে এইসব নিষেধাজ্ঞার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে কারণ তিনি বিশ্বাস করেন যে, কিছু বিষয় পড়ানো হচ্ছে যা ইসলাম নীতিকে লঙ্ঘন করে। ফলে সেই দিক যতদিন না ঠিক করা হচ্ছে, ততদিন এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হয়ে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি মহিলাদের জন্য পুনরায় চালু করা হবে বলে সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: ভারত-চিন যুদ্ধের প্রসঙ্গ তুলে রাহুলকে একহাত নিলেন জয়শঙ্কর, কী বললেন বিদেশমন্ত্রী?

    আদেশ অমান্য করলে আইনি পদক্ষেপ…

    উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জিয়াউল্লাহ হাশমি শনিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছেন, এই নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেখানে উল্লেখ রয়েছে, মহিলারা স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং ডক্টরেট স্তরের জন্য প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে পারবেন না এবং যদি কোনও বিশ্ববিদ্যালয় এই আদেশ অমান্য করে, তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তালিবান সরকার পরিচালিত মন্ত্রণালয়ের ওই নির্দেশে ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই ভর্তি পরীক্ষায় নারীদের অংশ নেওয়ার সুযোগ বন্ধের কথা বলা হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, এর আগে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ পদমর্যাদার মহিলা, জাতিসংঘের ডেপুটি সেক্রেটারি-জেনারেল আমিনা মোহাম্মদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সে দেশে গিয়েছিলেন। এর পর এই সপ্তাহের শুরুতেও জাতিসংঘের মানবিক প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস এবং দুটি প্রধান আন্তর্জাতিক সংস্থার নেতারা আফগানিস্তান সফর করেন। এই সফরের একই লক্ষ্য ছিল- নারী ও মেয়েদের উপর তালিবানের দমন-পীড়ন সহ, জাতীয় ও বৈশ্বিক মানবিক সংস্থার জন্য কাজ করা আফগান মহিলাদের উপর থেকে তাদের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Pakistan: ঘোর আঁধারে পাকিস্তান, গাড্ডায় অর্থনীতির চাকা, ওয়াশিংটনের দ্বারস্থ ইসলামাবাদ

    Pakistan: ঘোর আঁধারে পাকিস্তান, গাড্ডায় অর্থনীতির চাকা, ওয়াশিংটনের দ্বারস্থ ইসলামাবাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আক্ষরিক অর্থেই ঘোর আঁধারে পাকিস্তান (Pakistan)! হাঁড়ির হাল দেশের অর্থনীতির। এমতাবস্থায় সাহায্যের আশায় ফের আমেরিকার (US) দ্বারস্থ হয়েছে শাহবাজ শরিফের সরকার। জানা গিয়েছে, সোমবার আচমকাই বসে যায় সে দেশের গ্রিড। তার জেরে দেশের জেনারেটরগুলিকে প্রয়োজনের তুলনায় দ্বিগুণ বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হয়েছে। অন্ধকারে ডুবে যান ২২০ মিলিয়ন পাক নাগরিক। পুরো একটি গ্রিড বসে যাওয়ার ঘটনা বিরল। তবে সেটাই হয়েছে পাকিস্তানে। গোটা একটা দিন কার্যত অন্ধকারেই কাটাতে হয়েছে পাকস্তানবাসীকে। কেন এই বিপর্যয়, সে ব্যাপারে মুখ খোলেননি পাকিস্তানের শক্তিমন্ত্রী।

    পাক অর্থনীতি…

    এদিকে, আক্ষরিক অর্থেই হাঁড়ির হাল পাক অর্থনীতির। দেশের ঋণ গিয়ে পৌঁছেছে ৬০ লক্ষ কোটি পাকিস্তানি রুপিতে। বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার তলানিতে। জানা গিয়েছে, বুধবার পাকিস্তানে (Pakistan) এক ডলারের মূল্য ছিল ২৩০ পাকিস্তানি রুপি। ২৪ ঘণ্টা পরে তার দাম দাঁড়ায় ২৫৫ টাকায়। এদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার শর্ত দিয়েছে, রুপির দামের ওপর কোনও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না পাকিস্তান। তা ছেড়ে দিতে হবে বাজারের হাতে। ফলে দ্রুত গতিতে কমতে শুরু করেছে পাকিস্তানি রুপির দাম। সম্প্রতি পাকিস্তানের স্টেট ব্যাঙ্ক দেশের ঋণ সংক্রান্ত তথ্য সামনে এনেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, গত অর্থবর্ষে পাকিস্তানের সরকারি ঋণ ছিল ৯ লক্ষ ৩০ হাজার কোটি পাকিস্তানি রুপি। ২০২২ সালের জুনের শেষে ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪৯ লক্ষ ২০ হাজার কোটি টাকা। পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রা ভাণ্ডারের দেখভাল করে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ পাকিস্তান। বর্তমানে এই ব্যাঙ্কের কাছে রয়েছে মাত্র ৪.৩৪৩ মার্কিন ডলার। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অর্থে পাকিস্তানের চলবে মাত্র তিন সপ্তাহ।

    আরও পড়ুুন: সিন্ধু জল চুক্তি নিয়ে পাকিস্তানকে নোটিশ দিল ভারত, কেন জানেন?

    এমতাবস্থায় আমেরিকার সাহায্য চেয়েছে পাক সরকার। তারা চাইছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার ১.১ বিলিয়ন ডলার ঋণ বরাদ্দ করুক, যাতে ডুবতে বসা অর্থনীতিকে টেনে তোলা যায়। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে পাকিস্তানকে (Pakistan) ৬ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছিল আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার। জানা গিয়েছে, এই আর্থিক সঙ্কটের জন্য মূলত দায়ী ব্যাঙ্কের বাণিজ্যিক ঋণ পরিশোধ। সংযুক্ত আরব আমিরশাহির দুটি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়ার পরে প্রায় ১০০ কোটি ডলার শোধ করতে হয় পাকিস্তানকে। এছাড়া, গত বছর জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের রেমিট্যান্স অনেক কমে গিয়েছে। সব মিলিয়ে গাড্ডায় ইসলামাবাদ। পাকিস্তান এই পরিস্থিতি কীভাবে সামলায়, এখন তাই দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • ISIS: মার্কিন অভিযানে সোমালিয়ায় খতম ইসলামিক স্টেটের অন্যতম শীর্ষ কমান্ডার বিলাল

    ISIS: মার্কিন অভিযানে সোমালিয়ায় খতম ইসলামিক স্টেটের অন্যতম শীর্ষ কমান্ডার বিলাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খতম ইসলামিক স্টেটের (ISIS) অন্যতম শীর্ষ কমান্ডার বিলাল আল সুদানি। আফ্রিকার সোমালিয়ায় (Somalia) আমেরিকা (America) সেনার স্পেশাল ফোর্সের হামলায় নিহত হয়েছেন তিনি। ওই আইএস নেতার সঙ্গে সঙ্গে খতম হয়েছেন তাঁর আরও ১০ সঙ্গীও। বিলাল আল সুদানি ও তাঁর ১০ সঙ্গীর নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করা হয়েছে ওয়াশিংটনের তরফে। আমেরিকার প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন বলেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্দেশে ২৫ জানুয়ারি উত্তর সোমালিয়ায় আইএসের গোপন ডেরায় অভিযান চালিয়েছিল স্পেশাল ফোর্স। সেই অভিযানেই নিহত হয়েছেন বিলাল ও তাঁর সঙ্গীরা। বিলালের মৃত্যুতে আফ্রিকা ও পশ্চিম এশিয়ায় আইএস বড় ধাক্কা খাবে বলেই দাবি মার্কিন সেনার জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফস কমিটির চেয়ারম্যান মার্ক মিলেরি।

    আইএস…

    এই প্রথম নয়, এর আগেও খতম হয়েছেন আইএসের (ISIS) সর্বোচ্চ নেতা। তবে তিনি মারা গিয়েছেন গত নভেম্বরে, সিরিয়ায় আমেরিকার এয়ারস্ট্রাইকে। আইএসের এই সর্বোচ্চ নেতার নাম আবু আল হাসান আল হাসেমি আল কুরেশি। তাঁর মৃত্যুর পর এই জঙ্গি গোষ্ঠীর প্রধান হন আবু আল হুসেন আল হুসেইনি আল কুরেশি। বুধবার মার্কিন সেনার হামলায় খতম হওয়া বিলাল এই জঙ্গি গোষ্ঠীর প্রধান আবু আল হুসেন আল হুসেইনি আল কুরেশির ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলেই সূত্রের খরব।

    আরও পড়ুুন: টাকা নিয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, ইডির জেরায় বিস্ফোরক কুন্তল ঘোষ

    অস্টিন বলেন, আইএস শীর্ষ নেতা ও তাঁর ১০ সঙ্গী নিহত হলেও, সাধারণ মানুষের কোনও ক্ষতি হয়নি। যাঁরা এই অভিযানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাঁদের সকলকে কৃতজ্ঞতা জানাই। প্রসঙ্গত, মার্কিন সেনার অভিযানে ২০১৯ সালে খতম হন আইএসের (ISIS) প্রতিষ্ঠাতা আবু বকর আল বাগদাদি। তাঁর মৃত্যুর পরে জঙ্গিগোষ্ঠীর নেতা হন আবু ইব্রাহিম আল হাশিমি আল কুরেশি। মার্কিন সেনা অভিযানে তাঁর মৃত্যুর পর দায়িত্ব দেওয়া হয় হাশেমিকে।

    আরও পড়ুুন: ‘বাংলাকে পথ দেখাচ্ছে শুভেন্দু’, ছেলেকে সার্টিফিকেট বাবা শিশিরের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

  • Uyghur: জীবন কাটছে জেলখানায় বন্দিদের মতো! চিনের শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের কী অবস্থা জানেন?

    Uyghur: জীবন কাটছে জেলখানায় বন্দিদের মতো! চিনের শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের কী অবস্থা জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনের শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের উপর নিপীড়ন প্রতিদিন বাড়ছে। চিনের জ্বলন্ত সমস্যা শিনজিয়াং প্রদেশের উইঘুররা। তাঁদের বিরুদ্ধে অত্যাচার নিয়ে বারবার আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচিত হয়েছে বেজিং। তবু নিজেদের পথ থেকে সরেনি বেজিং। চিনের ওই অঞ্চলে বসবাসকারী উইঘুরদের জীবন জেলখানায় বন্দিদের মতো হয়ে গিয়েছে। প্রতিটি আশ্রয় শিবির যেন কারাগার। 

    ডিটেনশন ক্যাম্পে আটক

    বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, শিনজিয়াং প্রদেশে চরমপন্থা এবং সন্ত্রাসদমনের নামে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে বলে অভিযোগ। রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ধর্ষণ, পুরুষদের জোর করে নির্বীজকরণের মতো ঘটনা ঘটেছে সেখানে। এমনকী, হঠাৎই নিজের বাড়ি থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে অনেকে। পরে যাদের আর কোনও খোঁজ মেলেনি। উইঘুর এবং অন্যান্য মুসলিম গোষ্ঠীর সদস্যদের সাধারণ নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। জোর করে ডিটেনশন ক্যাম্পে আটকে রাখা হচ্ছে তাদের। 

    শিনজিয়াং-এ প্রায় এক কোটি কুড়ি লক্ষ উইঘুর মুসলমান বাস করে। সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টেই উঠে এসেছে সেখানকার মানুষদের দুর্দশার কথা। রিপোর্টে,‘শিনজিয়াংয়ে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগ রয়েছে চিনের বিরুদ্ধে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, উত্তর-পশ্চিমের ‘স্বশাসিত’ শিনজিয়াং প্রদেশে চিন সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের উপর রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন চালানো হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: আজ ফের তাপসকে জিজ্ঞাসাবাদ ইডির! দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা জেরায় নতুন কী তথ্য মিলল?

    অভিযোগ, উইঘুর এবং তুর্কিভাষী ১০ লক্ষেরও বেশি ইসলাম ধর্মাবলম্বীকে শিনজিয়াংয়ের বিভিন্ন ‘ডিটেনশন ক্যাম্পে’ বন্দি করে রাখা হয়েছে। বলপূর্বক তাঁদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ত্যাগ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টেও উইঘুরদের বন্দি করার অভিযোগে নিশানা করা হয়েছে শি জিনপিং সরকারকে। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার একটি সংবাদপত্রে দাবি করা হয়েছিল, আন্তর্জাতিক চোরাবাজারে বিক্রি হওয়া কিডনি, লিভার-সহ বিভিন্ন মানব অঙ্গপ্রত্যঙ্গের বড় অংশের মালিক চিনের বন্দিশিবিরে আটক হতভাগ্য উইঘুর মুসলিমরা! জোর করে তাদের অঙ্গ কেটে বিক্রি করছে বেজিং!

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • GM Syed: ‘সিন্ধ আর অত্যাচার সহ্য করবে না’, জিএম সৈয়দের জন্মদিনে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি

    GM Syed: ‘সিন্ধ আর অত্যাচার সহ্য করবে না’, জিএম সৈয়দের জন্মদিনে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিক্ষোভ তুঙ্গে পাকিস্তানের (Pakistan) সিন্ধ প্রদেশে। সেইন জিএম সৈয়দের (GM Syed) ১১৯তম জন্মবার্ষিকী পালিত হচ্ছে পাকিস্তানজুড়ে। রাষ্ট্রের নৃশংসতার প্রতিবাদের বিরুদ্ধে সেই দিনটিকেই বেছে নিয়েছেন জিয়া সিন্ধ ফ্রিডম মুভমেন্ট নেতৃত্ব। সেই কারণে বুধবার তারা প্রতিবাদ মিছিল করেন। এদিনের মিছিলে পা মেলান বহু মানুষ। সিন্ধ প্রদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ওই প্রতিবাদ মিছিল হয়। তবে সব চেয়ে বেশি প্রতিবাদ হয়েছে কাণ্ডারা ও থারিরি মহব্বত শহরে।

    প্রতিবাদের আগুন…

    মহব্বত শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে মিছিল গিয়ে থামে সেখানকার প্রেস ক্লাবে। এই প্রেস ক্লাবের সামনে একটি জনসভাও হয়। জনসভায় বক্তৃতা দেন জিয়া সিন্ধ ফ্রিডম মুভমেন্টের কর্তাব্যক্তিরা। বক্তারা প্রত্যেকেই শ্রমিক, নারী এবং শিশুদের ওপর রাষ্ট্র কীভাবে নির্যাতন করছে তা তুলে ধরেন। সিন্ধের রেঞ্জারর্স এবং রাজ্য পুলিশও অত্যাচার করছে। ১৭ জানুয়ারি সান্নে পুলিশ শেলিং করে। ছোড়ে গুলিও। এদিন সভার পরে প্রতিবাদীরা একটি স্মারকলিপিও দেন প্রশাসনকে। রাষ্ট্রের অত্যাচার ও ফ্যাসিইজমের বিরুদ্ধে স্লোগানও দেওয়া হয় এদিন। এই স্লোগান দিতে দিতেই শহর পরিক্রম করে মিছিল। রাষ্ট্রের অত্যাচারের প্রতিবাদে প্রেস ক্লাবে কিছুক্ষণের জন্য ধর্নায়ও বসেন মিছিলে অংশগ্রহণকারী লোকজন। সেখানে তাঁরা বিক্ষোভও দেখান।

    আরও পড়ুুন: মোদিকে নিয়ে তৈরি তথ্যচিত্র ‘ভীষণভাবে একপেশে’, বিবিসিকে চিঠি দিলেন ব্রিটেনের সাংসদ

    যেসব জাতীয় কর্মী কাজ করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনার দাবিও স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা। রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধেও সরব হন তাঁরা। রাষ্ট্রের নিরন্তর সন্ত্রাস যে মেনে নেওয়া হবে না, এদিন তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। প্রতিবাদ মিছিলে ভাষণ দিতে গিয়ে জিয়া সিন্ধ ফ্রিডম মুভমেন্ট নেতৃত্ব বলেন, জিয়া সিন্ধ ফ্রিডম মুভমেন্ট একটি রাজনৈতিক বৈপ্লবিক সংগঠন। সিন্ধের স্বাধীনতার জন্য তারা লড়ছে। এই সংগঠন জিএম সৈয়দের (GM Syed) আদর্শ চিরকাল মেনে চলবে, এটা ধরে নিলে চলবে না।

    এদিন জিয়া সিন্ধ ফ্রিডম মুভমেন্ট নেতৃত্ব সাফ জানিয়ে দেন, স্বাধীনতার জন্য তাঁদের যদি প্রাণ বলিদান দিতে হয়, তাতেও তাঁরা পিছু হঠবেন না। ওই একই কারণে যদি ঘর, ছেলেমেয়ে, মায় পরিবারও বলি দিতে হয়, তাতেও তাঁরা রাজি। রাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি দিয়ে প্রতিবাদীরা এও জানিয়ে দেন, সিন্ধ আর অত্যাচার সহ্য করবে না। অত্যাচার করা হলে, ভবিষ্যতে তা ফেরত পাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share