Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Nepal Plane Crash: নেপালে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা! নিহত ৬৮ জন, আগামীকাল রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা

    Nepal Plane Crash: নেপালে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা! নিহত ৬৮ জন, আগামীকাল রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা। এবারে নেপালের পোখরায় ঘটে এই দুর্ঘটনা। আজ, রবিবার ৭২ জন যাত্রী নিয়ে নেপালের পোখরায় ভেঙে পড়ল ইয়েতি এয়ারলাইনসের ATR-72 বিমান। পোখরা বিমানবন্দরের রানওয়েতেই ভেঙে পড়ে এই বিমানটি। সূত্রের খবর অনুযায়ী, কাঠমাণ্ডু থেকে পোখরা যাচ্ছিল বিমানটি। বিমানে ছিলেন ৬৮ জন যাত্রী ও ৪ জন কেবিন ক্রু সদস্য। দুর্ঘটনার বেশ কিছু ছবি ইতিমধ্যই ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, অন্তত ৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এই দুর্ঘটনায় (Nepal Plane Crash )।

    নেপালে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা

    নেপালের সংবাদমাধ্যমে জানা গিয়েছে, পোখরার পুরনো অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর এবং পোখরা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মধ্যে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর উদ্ধারকারী দল পৌঁছে গিয়েছে দুর্ঘটনাস্থলে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, নেপালের বাসিন্দারা ছিলেন, ১০ জন বিদেশি পর্যটকরাও ছিলেন বিমানে। পাহাড়ে ধাক্কা লেগেই বিমানটি ভেঙে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই ৬৮ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ২ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা হাত লাগিয়েছেন উদ্ধারকাজে। পাহাড়ের খাদে বিমানটি পড়ে গিয়ে আগুন ধরে গিয়েছে। ফলে উদ্ধারকাজে খুবই বেগ পেতে হচ্ছে। বিমানে ৫ জন ভারতীয় ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।  

    ইতিমধ্যেই নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহল মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডেকেছেন। বিমান দুর্ঘটনার তদন্তের জন্য ৫ সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি তৈরি করেছে নেপাল সরকার। সোমবার ১ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে নেপাল সরকার।

    ইতিমধ্যেই সেই বিমান ভেঙে পড়ার পর আগুন ধরে যাওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা গিয়েছে, বিমানটি যেখানে পড়ে আছে সেখানে আগুন জ্বলছে এবং আশেপাশে কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, বিমানটি নীচে ভেঙে পড়তেই আগুন ধরে যায় তাতে। ফলে বিমানের প্রত্যেকেরই মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে। বহু মানুষ সেখানে ভিড় জমিয়েছেন। আপাতত পোখরা বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। 

     

  • Russia-Ukraine War: ইউক্রেনে ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রুশ বাহিনীর! মৃত অন্তত ১৪

    Russia-Ukraine War: ইউক্রেনে ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রুশ বাহিনীর! মৃত অন্তত ১৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ইউক্রেনে ভয়াবহ মিসাইল হামলা। ইউক্রেন জুড়ে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের হামলায় ডিনিপ্রো শহরের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভেঙে গুড়িয়ে যায়। সেখানে অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ধ্বংসস্তূপের নিচেও বহু মানুষ চাপা পড়ে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও কিভ, খারকিভ এবং ওডেসা শহরের ওপরেও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর একাধিক শহরের বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটেছে। সূত্রের খবর, ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করেই হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।

    রুশ বাহিনীর মিসাইল হামলা

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, শনিবার রাতে ইউক্রেনের ডিনিপ্রো শহরের একটি বহুতলে মিসাইল হামলা হয়। মৃত্যু হয় ১৪ জনের। হামলার পরই প্রবল শীতের মধ্যেও যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকার্য শুরু হয়। একইদিনে রাজধানী কিভ এবং অন্যান্য স্থানেও হামলা চালায় রাশিয়া। বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। পাশাপাশি প্রায় ৬ টি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে।

    ইউক্রেনের শীর্ষ জেনারেল জানিয়েছেন, রাশিয়া শনিবার প্রায় ২৮ টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ৫টি গাইডেড এয়ার মিসাইল নিক্ষেপ করেছে। এর পরেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ২০ টির মত ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে নীচে নামানো হয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে বিদ্যুৎ ও জল সরবরাহ আটকাতে একের পর এক হামলা চালায় রাশিয়া, এমনই অভিযোগ। তবে এই প্রথমবার নয়, ইউক্রেনের শক্তি সরবরাহকারী ইউনিটগুলিকে বারবার নিশানা করে আক্রমণ করেছে রাশিয়া। প্রথমে জানা গিয়েছিল, গতকালের হামলায় ডিনিপ্রো শহরে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু আজ তা বেড়ে হয়েছে ১৪। আহত হয়েছেন অন্তত ৬৪। ধ্বংসস্তূপের নিচেও আটকে পড়েছেন বহু মানুষ। তাঁদের উদ্ধারকার্য এখনও চলছে।

    অন্যদিকে পূর্ব ইউক্রেনের সোলেদার শহর দখল করেছে তারা, শুক্রবার এই দাবি করেছে রাশিয়া। যদিও রাশিয়ার এই দাবি অস্বীকার করেছে ইউক্রেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অবশ্য দাবি করেছেন, সোলেদারে এখনও জোর লড়াই চলছে এবং প্রতিরোধ করে যাচ্ছে তাঁর বাহিনী।

    সাহায্য চেয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট

    গতকালের ফের নৃশংস হামলার পর পশ্চিমী দেশগুলির কাছে সাহায্য চেয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তাঁর আর্জিতে সাড়া দিয়ে চলতি সপ্তাহেই যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে ১৪টি চ্যালেঞ্জ ২ যুদ্ধ ট্যাঙ্ক পাঠাচ্ছে ব্রিটেন। শনিবার এমনই ঘোষণা করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। রাশিয়ার মোকাবিলা করতে আরও অস্ত্র পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, ৩০টি সেলফ প্রপেলড এএস ৯০ বন্দুক পাঠানো হবে। সমরাস্ত্র পাঠাচ্ছে আমেরিকাও। ফলে এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, নতুন বছরেও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষের পথে নেই, বরং নতুন করে মোড় নিচ্ছে এই যুদ্ধ।

     

  • Dhakeshwari temple: ঐতিহাসিক ঢাকেশ্বরী মন্দিরের জমি মৌলবাদীদের দখলে! জানুন বিস্তারিত

    Dhakeshwari temple: ঐতিহাসিক ঢাকেশ্বরী মন্দিরের জমি মৌলবাদীদের দখলে! জানুন বিস্তারিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের  রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত ঢাকেশ্বরী মন্দিরের (Dhakeshwari temple) জমি জোর করে দখল করার অভিযোগ উঠল সে দেশের মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে। মন্দিরের জমি এইভাবে দখল করার বিরুদ্ধে সে দেশের সংখ্যালঘু হিন্দুরা সমাজ ইতিমধ্যে আন্দোলন শুরু করেছে। সংখ্যালঘু হিন্দু সমাজ জমি উদ্ধারের দাবিতে সরকারের সঙ্গে আলোচনাতেও বসেছে বলে জানা গেছে। বাংলাদেশের পূজো উৎসব পরিষদের সহ-সভাপতি মনীন্দ্র কুমার নাথ বলেন যে শুধুমাত্র ঢাকেশ্বরী মন্দির (Dhakeshwari temple) নয় সমগ্র বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বহু ধার্মিক পীঠস্থান এবং তীর্থস্থানের জমি কট্টরপন্থীরা জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে, এগুলিকে যত দ্রত সম্ভব দখল মুক্ত করা সরকারের কর্তব্য।

    ঢাকেশ্বরী মন্দিরের (Dhakeshwari temple) ইতিহাস

    অতি প্রাচীন ঢাকেশ্বরী মন্দির (Dhakeshwari temple) ঢাকার প্রথম মন্দির বলেই জানা যায়। এই মন্দিরের নাম অনুসারেই শহরের নাম হয়েছে ঢাকা। অনেকেই ঢাকেশ্বরী মন্দিরকে (Dhakeshwari temple) বাংলাদেশের জাতীয় মন্দির মানেন। কথিত আছে বাংলার সেন বংশের রাজা বল্লাল সেন ১২ শতাব্দীতে এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। অনেক ঐতিহাসিক অবশ্য এই মতকে স্বীকার করেন না কারণ এই মন্দিরের নির্মাণশৈলী তৎকালীন সময়ের সঙ্গে মেলে না। হিন্দু ধর্মাবলীদের বিশ্বাস রয়েছে ভগবান বিশ্বকর্মা স্বয়ং এই মন্দিরের নির্মাণ করেছিলেন। মন্দিরের অধিষ্ঠাত্রী দেবী ঢাকেশ্বরীর প্রতিমা ৮০০ বছরের পুরনো মূর্তি বলে জানা যায়। দেশভাগের সময় কলকাতার কুমোরটুলি এলাকার দুর্গাচরণ স্ট্রিটের শ্রী শ্রী ঢাকেশ্বরী মাতা মন্দিরে এই মূর্তিকে এনে রাখা হয়। সম্ভাব্য হামলা থেকে প্রতিমাকে রক্ষা করতে ১৯৪৮ সালে রাজেন্দ্র কিশোর তিওয়ারি এবং হরিহর চক্রবর্তী বিশেষ বিমানে অত্যন্ত গোপনীয়ভাবে কলকাতাতে এই মূর্তিটি এনেছিলেন বলে জানা যায়। 

    সেদেশের সংখালঘু সংগঠন কী বলছে

    বাংলাদেশের হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান একতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রয়েছেন মণীন্দ্রকুমার নাথ। তিনি বলেন, “রাজা মানসিংহ এই মন্দিরের (Dhakeshwari temple) পাশে ১৯০৮ সালে ২০ বিঘা জমি দিয়েছিলেন। এখন মন্দিরের জমি ৭.৫ বিঘা থেকে কিছুটা বেশি রয়েছে। আন্দোলন করে, দাবি জানিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে ১.৫ বিঘা জমি ফেরত পাওয়া গেছে কিন্তু এখনও ১২ বিঘা জমি অবৈধভাবে দখল হয়ে আছে। প্রধানমন্ত্রীকে জানানোর পাশাপাশি আরও অনেক উচ্চপদস্থ ব্যক্তিকে আমরা বিষয়টি জানিয়েছি। বর্তমান সরকারের বিরোধিতা করতে চাইনা আমরা কিন্তু তাদের মনে রাখা উচিত যে জমি ফিরে পাওয়া আমাদের আইনি অধিকার”।

    প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ সফরে এসে এই মন্দিরে পুজো দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ঢাকেশ্বরী মন্দিরকে (Dhakeshwari temple) বাংলাদেশের জাতীয় অস্মিতার  প্রতীক মানেন  অনেকেই। গত দুর্গাপূজোর সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদেশ সফরে থাকার জন্য অনলাইনে পুজোর আয়োজকদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রেখেছিলেন।

  • Generic Medicine: বাড়ছে করোনা, ভারতের জেনেরিক ড্রাগের চাহিদা ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী চিনে   

    Generic Medicine: বাড়ছে করোনা, ভারতের জেনেরিক ড্রাগের চাহিদা ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী চিনে   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন উলটপুরাণ! যে ভারতের (India) বিভিন্ন অঞ্চলে দখলদারি করতে মুখিয়ে রয়েছে চিন (China), করোনা পরিস্থিতিতে সেই ভারতের ওষুধের দিকেই হা-পিত্যেশ করে রয়েছে শি জিনপিংয়ের দেশ। হ্যাঁ, ভারতের জেনেরিক ড্রাগের (Generic Medicine) চাহিদা ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী চিনে। চাহিদা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে সে দেশে বিক্রি হচ্ছে ব্যাপক জাল ওষুধ। চিনের বিশেষজ্ঞরা অবশ্য সে ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন ক্রেতাদের।

    করোনার ঢেউ…

    সম্প্রতি চিনে ফের আছড়ে পড়েছে করোনার ঢেউ। এক সময় চিনেই প্রথম মিলেছিল মারণ এই ভাইরাসের দেখা। সেখানে থেকেই ছড়িয়ে পড়েছিল তামাম বিশ্বে। পরে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে করোনা নিয়ন্ত্রণে এলেও, ব্যতিক্রম কেবল চিন। অথচ করোনার বাড়বাড়ন্ত রুখতে নানা পন্থা অবলম্বন করেছে বেজিং। নেওয়া হয়েছিল জিরো টলারেন্স নীতিও। তার পরেও রোখা যায়নি করোনার বাড়বাড়ন্ত। জানা গিয়েছে, চিনে ফি দিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। সংক্রমিতের সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর হারও। এমতাবস্থায় চিনের ভরসা ভারতের জেনেরিক ড্রাগ। রবিবার চিনের ন্যাশনাল হেল্থ সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়েছে, ফাইজারের তৈরি প্যাক্সলোভিডকে রেজিস্টার অফ ড্রাগের অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না। কারণ কোম্পানির কোটেশন চড়া। যেহেতু প্যাক্সলোভিডের সরবরাহ কম, তাই চিনের ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে ভারতীয় ওষুধের জেনেরিক ভার্সানের (Generic Medicine) দাম গিয়েছে চড়ে।

    আরও পড়ুুন: এজলাস বয়কটের ডাক আইনজীবীদের! আদালত অবমাননার রুল জারি বিচারপতি মান্থার

    সে দেশের একটি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চিনা ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে…অন্তত ভারতে উৎপন্ন চারটি জেনেরিক কোভিড ওষুধ-প্রাইমোভির, প্যাক্সিসটা, মলনুনাট এবং মলনাট্রিস বিক্রির জন্য তালিকাভুক্ত হয়েছে। প্রাইমোভির এবং প্যাক্সিসটা দুটোই প্যাক্সলোভিডের জেনেরিক ভার্সান। বাকি দুটি মলনিপিরেভির জেনেরিক ভার্সান। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এই চারটি ওষুধ জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগ করার কথা বলেছেন। তবে চিনে এটির প্রয়োগ বৈধ নয়। বেজিং মেমরিয়াল ফার্মাসিউটিক্যালের প্রধান হি জিয়াওবিং সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ভারতই একমাত্র দেশ যেখানকার সোর্স বিশ্বস্ত, যার কোভিড ওষুধে গ্যারান্টিযুক্ত ফল হচ্ছে। তিনি বলেন, কিছু অবৈধ গোষ্ঠী এই ওষুধগুলির বিপুল চাহিদাকেই কাজে লাগাচ্ছে। তারা জাল ওষুধ তৈরি করছে। এতে রোগীর ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এদিক, ভারত চিনকে এই বলে আশ্বস্ত করেছে যে তারা ইচ্ছে করলে সে দেশের নাগরিকদের জন্য ওষুধের দাম কমাতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Pakistan Economic Crisis: চরম অর্থনৈতিক সংকটে পাকিস্তান, লাগামছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম

    Pakistan Economic Crisis: চরম অর্থনৈতিক সংকটে পাকিস্তান, লাগামছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার মতো পাকিস্তানও অর্থনৈতিক সংকটের (Pakistan Economic Crisis) সম্মুখীন। নিত্য বাড়ছে জিনিসপত্রের দাম। মুদ্রাস্ফীতিও চরমে পৌঁছেছে। ফলে সে দেশের সাধারণ মানুষের দুবেলার দুমুঠো ভাত জোগাড় করাটাই এখন সবচেয়ে বড় লড়াই। অবস্থা এমন যে, দুবেলা পেট ভরে ভাত বা রুটি খেতে পারছে না সাধারণ নিম্নমধ্যবিত্তরাও। কারণ চাল, গম, আটার দাম মাত্রাতিরিক্ত বেড়েছে। অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন পাকিস্তানের প্রান্তিক মানুষরা। চাল, আটা ছাড়াও দাম বেড়েছে চিকেন, পেঁয়াজ, দুধ, ডালের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের। দুবেলার খাবারের জন্যে হাহাকার করছেন পাকজনতা।

    আকাশ ছুঁয়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম 

    পাকিস্তানে প্রতি কেজি চিকেনের দাম বেড়ে হয়েছে ৩৮০ পাক মুদ্রা (Pakistan Economic Crisis)। একবছরে পিঁয়াজের দাম ৩৭ পাক মুদ্রা বেড়ে এখন তা প্রায় ২০০ পাক মুদ্রা। পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রায় ৫০০ শতাংশ। প্রতি কেজি ডালের দাম ২৫০ পাক মুদ্রা। এক ডজন কলার দাম ১২০ পাক মুদ্রা। অন্যদিকে, অসুস্থ রোগী ও শিশুর জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় দুধের দাম রয়েছে ১৫০ পাক মুদ্রা/ লিটার। বড় সমস্যার মুখে পাকিস্তানবাসী। 

    ২০০ টাকার চিকেনের দাম দাঁড়িয়েছে ৩৮০ টাকা। প্রায় দ্বিগুণ (Pakistan Economic Crisis)। পাশাপাশি নুনের দামও দেড়গুণ বেড়েছে। এছাড়া দুধের দাম গত বছরের শুরুতে ছিল ১১৫ পাকিস্তানি রুপি, এখন তা  প্রতি লিটার ১৫০ পাক মুদ্রা।

    গত কয়েক ধরেই পাকিস্তানে মুদ্রাস্ফীতি লাফিয়ে বাড়ছে। গত একবছরে পাকিস্তানে মুদ্রাস্ফীতি (Pakistan Economic Crisis) ১১.৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩২.৭ শতাংশ হয়েছে। এই মুদ্রাস্ফীতির জন্য দায়ী করা হচ্ছে খাবারের অতিরিক্ত দাম বৃদ্ধিকেই।

    পাকিস্তানে বৈদেশিক মুদ্রার ভান্ডার (Pakistan Economic Crisis) দ্রুত খালি হচ্ছে। গত এক বছরেই পাকিস্তানের সংগ্রহে যা বৈদেশিক মুদ্রা ছিল, এখন তার পরিমাণ প্রায় অর্ধেক। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে যে বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ারের পরিমাণ ছিল ২৩.৯ বিলিয়ন ডলার, ২০২২- এর ডিসেম্বরে তা দাঁড়িয়েছে ১১.২ বিলিয়ন ডলারে। বৈদেশিক মুদ্রা কম হওয়ার ফলে প্রয়োজনের সময় ঋণ পাওয়া কষ্টসাধ্য হতে পারে পাকিস্তানের জন্য।

    আরও পড়ুন: আগামী সপ্তাহেও উত্তর ভারতে শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস, তাপমাত্রা নামতে পারে -৪ ডিগ্রিতে

    আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এমনিতেই বন্ধু হারিয়েছে এই দেশ। আন্তর্জাতিক তহবিলের (Pakistan Economic Crisis) তথ্য অনুযায়ী, ঋণের বোঝা বাড়ছে পাকিস্তানের উপর। ২০১১ সালে পাকিস্তানের ঋণ ছিল ৫২.৮ শতাংশ, ২০১৬ সালে সেই ঋণের পরিমাণ হয় ৬০.৮ শতাংশ। অনুমান করা হচ্ছে, এই বছর সেই ঋণের পরিমাণ দাঁড়াবে ৭৭.৮ শতাংশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

      
        
       
     
      

     

  • Dawood Ibrahim: যে হাতে গর্জে উঠত বন্দুক, সেই হাতেই লাঠি দাউদের, ডনের দশা করুণ!

    Dawood Ibrahim: যে হাতে গর্জে উঠত বন্দুক, সেই হাতেই লাঠি দাউদের, ডনের দশা করুণ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গতির সীমা নেই গ্যাস্টার দাউদ ইব্রাহিমের (Dawood Ibrahim)! এক সময় যে হাতে গর্জে উঠত একে সাতচল্লিশ, এখন সেই হাতেই উঠেছে লাঠি। না, লাঠি চালানো শিখছেন না তিনি। আসলে লাঠির সাহায্য ছাড়া চলতেই পারছেন না গ্যাংস্টার। তার কারণ, পায়ে গ্যাংগ্রিন হওয়ায় বাদ দিতে হয়েছে পায়ের দুটি আঙুল। তার জেরে আপাতত লাঠিই ভরসা এই ডনের।

    মুম্বইয়ে সিরিজ বোমা বিস্ফোরণ…

    এক সময় মুম্বইয়ের আন্ডারওয়ার্ল্ডের ওপর একছত্র আধিপত্য বিস্তার করেছিলেন দাউদ। ১৯৯৩ সালে মুম্বইয়ে সিরিজ বোমা বিস্ফোরণের পরিকল্পনাও তাঁর। ওই বিস্ফোরণে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়। পরে গ্যাংগ্রিনে আক্রান্ত হন তিনি। কড়া প্রহরায় করাচির একটি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করে বাদ দেওয়া হয় তাঁর পায়ের দুটি আঙুল। বছর দুই আগে দাউদের প্রাক্তন সহযোগী এজাজ লাকদাওয়ালাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনিই পুলিশকে জানিয়েছিলেন, গ্যাংগ্রিন হয়েছে দাউদের পায়ে। যদিও দাউদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছোটা শাকিল ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছিলেন এই দাবি। ছোটা শাকিলের দাবি অবশ্য পরে মিথ্যে প্রমাণিত হয়েছে। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের তত্ত্বাবধানে করাচির একটি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করা হয় দাউদের (Dawood Ibrahim)। তখনই গ্যাংগ্রিন আটকাতে বাদ দেওয়া হয় পায়ের আঙুল। তার পরেই দাউদ কার্যত হয়ে পড়েন অথর্ব। যদিও মানসিকভাবে তিনি এখনও সক্রিয় রয়েছেন বলেই সূত্রের খবর।

    আরও পড়ুুন: দলের লোক ভুল করলেও সেটা ভুল! আবাস দুর্নীতি প্রসঙ্গে সরব দেব

    ডন যে বিষম বেকায়দায়, তা জানা গিয়েছে আরও একটি খবরে। ফি বার ঘটা করে ডনের জন্মদিন পালন করা হলেও, এবার তা হয়েছে নিতান্তই নিয়মরক্ষার। ২৬ ডিসেম্বর ডনের জন্মদিন। এক সময় তাঁর জন্মদিনে উপস্থিত থাকতেন পাকিস্তানের পদস্থ কর্তারা। উপস্থিত থাকতেন বলিউডের অনেক তারকাও। করাচির পশ ক্লিফটন এলাকায় ডিফেন্স কলোনিতে তাঁর প্রাসাদোপম বাড়িতে হত এই অনুষ্ঠানের আয়োজন। অনুষ্ঠানে ডাক পাওয়ার আশায় অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতেন করাচি, লাহোর এবং পাকিস্তানের অন্যান্য শহরের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। অথচ এবার? জানা গিয়েছে, এবার তেমন অনুষ্ঠান হয়নি। পাকিস্তানে থাকা তাঁর কয়েকজন ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে ব্যক্তিগতভাবে তাঁকে শুভেচ্ছা জানানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। চলচ্ছক্তিহীন হয়ে পড়ায় দাউদ (Dawood Ibrahim) তাঁর অনেক ক্ষমতা তুলে দিয়েছেন ভাই আনিস ইব্রাহিম ও ছোটা শাকিলের হাতে। শাকিল রয়েছেন অপারেশনাল বিষয়গুলির দায়িত্বে। আর আনিস দেখাশোনা করেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে থাকা তাঁর বিশাল সাম্রাজ্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Brazil Protest: উত্তাল ব্রাজিল! হামলা চালানো হল রাষ্ট্রপতি ভবন-সহ গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক ভবনে

    Brazil Protest: উত্তাল ব্রাজিল! হামলা চালানো হল রাষ্ট্রপতি ভবন-সহ গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক ভবনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে রবিবার বিক্ষোভ-অশান্তিতে উত্তাল হল ব্রাজিল (Brazil)। সেখানকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারোর (Jair Bolsonaro) সমর্থকরা হামলা চালাল সে দেশের কংগ্রেস, প্রেসিডেন্ট প্য়ালেস ও সুপ্রিম কোর্টের উপরে।  চরম ডানপন্থী সমর্থকরা রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে একের পর এক জায়গায় হামলা চালায়।  বিরোধী দলের এই হামলার তীব্র সমালোচনা করে একে ‘ফ্য়াসিস্ট’ হামলা বলে আখ্যা দিয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা ডা সিলভা।

    আমেরিকার ছায়া

    ব্রাজিলের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বোলসোনারোর সমর্থকদের এই হামলা ফিরিয়ে দিয়েছে দু’বছর আগের আমেরিকার স্মৃতি। আমেরিকার ক্যাপিটলে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি এ ভাবেই হামলা চালিয়েছিলেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকেরা। আমেরিকায় যেমন ট্রাম্প সমর্থকরা হামলা চালিয়েছিলেন, তেমনই রবিবার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারোর সমর্থকরাও সবুজ-হলুদ পতাকা গায়ে জড়িয়ে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখান। একে একে কংগ্রেস, সুপ্রিম কোর্ট থেকে শুরু করে প্রেসিডেন্ট প্যালেসে ভাঙচুর চালান। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা রবিবারই বন্যা বিধ্বস্ত আরারাকোয়ারা শহরে পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন। সেখানে থাকাকালীনই ব্রাসিলিয়ায় হামলার খবর পান। সেখান থেকেই তিনি ডিক্রি জারি করেন। দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে বজায় থাকে, তার জন্য সরকারকে বিশেষ ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: চার দিনে দুই গোষ্ঠী এবং ৪ জঙ্গিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল কেন্দ্র

    হামলার নিন্দা 

    গত বছর কট্টর দক্ষিণপন্থী বোলসোনারোকে হারিয়ে ব্রাজিলে ক্ষমতায় আসেন বামপন্থী প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা ডা সিলভা। রাজধানী ব্রাসিলিয়ার নিরাপত্তা বিষয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন লুলা। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি ভাবন, সুপ্রিম কোর্ট এবং কংগ্রেসে হামলার নেপথ্যে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেককে চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।  হামলার নিন্দা করে প্রেসিডেন্ট লুলা বলেন, “এই ফ্যাসিস্ট সমর্থকরা এমন কিছু করল, যা এ দেশের ইতিহাসে আগে কখনও হয়নি।” ইতিমধ্যেই সোশ্য়াল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে হামলার নানা ভিডিয়ো। দেখা গিয়েছে, চরম ডানপন্থী সমর্থকরা কংগ্রেস বিল্ডিংয়ের ছাদে উঠে চিৎকার করে স্লোগান দিচ্ছেন সমর্থকরা, সামরিক অভ্যত্থানের দাবিতে ব্যানারও লাগানো হয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • IMF Forecast: বিশ্ব অর্থনীতিতে ভারত আজ একটা উজ্জ্বল চিহ্নের মতো, বলছে আইএমএফ

    IMF Forecast: বিশ্ব অর্থনীতিতে ভারত আজ একটা উজ্জ্বল চিহ্নের মতো, বলছে আইএমএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে করোনার ধাক্কা লেগেছে অর্থনীতিতেও। পৃথিবীর নানা দেশ ভুগছে অর্থনৈতিক সংকটে। এর মধ্যেই আশার আলো দেখা গিয়েছে ভারতীয় অর্থনীতিতে। বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় পাঁচ নম্বরে উঠে এসেছে মোদির (PM Modi) ভারত। দীর্ঘ দিন এই জায়গাটা দখল করে রেখেছিল ইংল্যান্ড। ভারতের (India) অর্থনীতি যে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে, বিভিন্ন সময় তা জানিয়েছে ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্কও। এবার প্রায় একই কথা জানাল আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডারও (IMF Forecast)।

    আইএমএফ…

    শুক্রবার আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডারের এক পদস্থ আধিকারিক জানান, বিশ্ব অর্থনীতিতে ভারত একটা উজ্জ্বল চিহ্নের মতো। ভারত যে সংস্কার শুরু করেছে, তা সাহায্য করবে গ্রোথ পোটেনসিয়ালিটির ক্ষেত্রে। এদিন একটি বই প্রকাশের অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডারের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্টোয়েনেট্টি শেহ বলেন, বিশ্ব অর্থনীতিতে ভারত আজ উজ্জ্বল চিহ্নের মতো। তিনি বলেন, ভারতের প্রয়োজন রফতানি বাড়ানো। জব-রিচ ম্যানুফ্যাকচারিং এক্সপোর্ট করা প্রয়োজন। উৎপাদন বাড়াতে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো উন্নয়নেরও প্রয়োজন। তিনি বলেন, এটা করতে পারলেই ভারত প্রোডাক্টিভিটি বৃদ্ধি এবং এক্সপোর্ট পারফরমেন্স আরও শক্তপোক্ত করতে পারবে।

    প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার (IMF Forecast) আগাম জানিয়েছিল ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ভারতের বৃদ্ধি হবে ৬.৮ শতাংশ। আগামী অর্থবর্ষে যা কমে হবে ৬.১ শতাংশ। আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডারের ওই পদস্থ আধিকারিক জানান, ভারতের বিশ্বমানের ডিজিটাল পাবলিক পরিকাঠামো সে দেশের অর্থনীতি উন্নয়নে নানাভাবে সুবিধা করে দিচ্ছে। তার সুবিধা নিচ্ছেন সে দেশের সাধারণ মানুষও। তিনি বলেন, স্ট্রাকচারাল রিফর্ম এজেন্ডার ক্ষেত্রে ভারত গুরুত্বপূর্ণ উন্নতি করছে। এবং এর উন্নতিকরণ ভারতকে সাহায্য করবে তার গ্রোথ পোটেনশিয়ালিটি খুলতে। সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, দেশটির (ভারত) আরও উচ্চাকাঙ্খী হওয়া প্রয়োজন। অন্তত রাজস্ব ক্ষেত্রে। নজর দিতে হবে জিএসটি এবং আয়কর ক্ষেত্রে।

    তিনি জানান, গত দু দশকে ভারত, বাংলাদেশ, ভুটান, মালদ্বীপ, নেপাল এবং শ্রীলঙ্কায় দ্রারিদ্র কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে। এই সময়সীমার মধ্যে ৫০০ মিলিয়ন থেকে তা কমে হয়েছে ২৫০ মিলিয়ন। এবং এখন আর দ্রারিদ্র দূরীকরণকে মেনে নেওয়া হয় না ওই দেশগুলিতে। সেই কারণেই নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন নীতি।

     

  • Pakistan Crisis: ছয় সন্তানের মুখে খাবার তুলে দিতে আনতে গিয়েছিলেন ময়দা, ফিরলেন লাশ হয়ে

    Pakistan Crisis: ছয় সন্তানের মুখে খাবার তুলে দিতে আনতে গিয়েছিলেন ময়দা, ফিরলেন লাশ হয়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনা (China) ঋণের ফাঁসে পড়ে হাঁসফাঁস দশা ভারতের (India) প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান (Pakistan Crisis)। দেশে মূল্যবৃদ্ধি লাগামছাড়া। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম আকাশ ছোঁয়া। আকাশ ছোঁয়া গ্যাসের দামও। এর পাশাপাশি খাদ্যশস্য কিনতে গিয়ে হাতে ছ্যাঁকা লাগার জোগাড় আমজনতার। সে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বর্তমানে ১৫ কেজি ময়দার প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে দু হাজার টাকারও বেশি দামে। জানা গিয়েছে, লাহোর শহরে খোলা বাজারে ১৫ কেজি ময়দার প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০ টাকায়।

    লাগাম ছাড়া মূল্যবৃদ্ধি…

    ইসলামাবাদ, রাওয়ালপিণ্ডি সহ বিভিন্ন শহরেও ময়দা বিকোচ্ছে প্রায় একই দামে। ময়দার পাশাপাশি দাম বেড়েছে মাংসেরও। পাকিস্তানের সিংহভাগ বাসিন্দার প্রধান খাদ্য গম। রুটি বা চাপাটি খেতেই ভালবাসেন তাঁরা। তাই আটা-ময়দার দামও লাগাম ছাড়া। এহেন পরিস্থিতিতে ভর্তুকিযুক্ত ময়দা বিলি করছিল একটি সরকারি দোকান। সেখানেই ময়দা আনতে গিয়ে ভিড়ের চাপে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির।

    আরও পড়ুুন: চার দিনে দুই গোষ্ঠী এবং ৪ জঙ্গিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করল কেন্দ্র

    সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, বছর পঁয়তাল্লিশের ওই ব্যক্তির বাড়ি সিন্ধ প্রদেশে। ছয় সন্তান তাঁর। মাগ্গিগন্ডার বাজারে (Pakistan Crisis) সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দিতে ময়দার খোঁজে বেরিয়েছিলেন তিনি। তখনই শোনেন, সিন্ধ প্রদেশের মিরপুরখাসের একটি সরকারি দোকানে বিলি করা হচ্ছে ভর্তুকি যুক্ত ময়দা। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে ছোটেন তিনি। গিয়ে দেখেন দোকানের সামনে লম্বা লাইন। লাইনে দাঁড়ান তিনিও। হঠাৎই শোনা যায়, ময়দা রয়েছে সীমিত পরিমাণ। দাবানলের মতো সে খবর ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয় হুড়োহুড়ি। ভিড়ের চাপে মাটিতে পড়ে যান হরসিং কোলহি নামের ওই ব্যক্তি। তাঁর ওপর দিয়েই চলে যায় জনতার ঢল।

    ঘটনার পরে পরে মিরপুরখাস এলাকার প্রেস ক্লাবের সামনে ধর্নায় বসেন হরসিংয়ের পরিবার। তাঁরা ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্ট খাদ্য দফতরের কর্তাদের শাস্তি দাবি করতে থাকেন। ঘটনায় যাঁরা দোষী, তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশ উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে ধর্না উঠে যায়। এদিকে, শাহিদে একটি ময়দা মিলের কাছে এক নাবালিকা সহ তিন মহিলা পদপিষ্ট হয়েছেন। তবে তাঁদের দ্রুত উদ্ধার করায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন। এই মিলেও ভর্তুকি দিয়ে বিক্রি হচ্ছিল ময়দা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • China: সামনেই চিনা নববর্ষ, করোনার মধ্যেই ভ্রমণ সংক্রান্ত একাধিক বিধিনিষেধ তুলে নিল জিনপিং সরকার

    China: সামনেই চিনা নববর্ষ, করোনার মধ্যেই ভ্রমণ সংক্রান্ত একাধিক বিধিনিষেধ তুলে নিল জিনপিং সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভ্যন্তরীণ বা বিদেশফেরত ভ্রমণকারীদের জন্য কোয়ারেন্টিন তুলে নিল চিন। আজ, রবিবার থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে সেদেশে। আবার কোভিড অতিমারি শুরুর পর থেকেই আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্য চিনের দরজা বন্ধ রেখেছিল জিনপিং সরকার। এর পর বিদেশ থেকে চিনে যাওয়া ব্যক্তিদের গেলে কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশও দিয়েছিল। কিন্তু এবারে কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা তুলে নিল চিন। সামনেই চিনা নববর্ষের সূচনা উৎসব। প্রায় তিন বছর পর সেই উৎসব হবে চিনে। তার আগে পর্যটকদের জন্য বন্ধ দরজাও খুলল চিন। ২০২০ সালের পর এইবার প্রথম কোনও বিধিনিষেধ ছাড়াই দেশের অভ্যন্তরে যেকোনও জায়গায় সফর করতে পারবেন নাগরিকরা।

    করোনা বিধিনিষেধ তুলে নিল চিন

    চিনে যখন কোভিডের বাড়বাড়ন্ত, তখনই এমন সিদ্ধান্ত নিল চিন সরকার। চিনে নতুন করে করোনার দাপট দেখা গেলে জিরো কোভিড নীতি চালু করা হয়েছিল। জিরো কোভিড নীতিতে বাধ্যতামূলক ছিল কোয়ারান্টিন এবং লকডাউন। কিন্তু চিনের নাগরিকদের বিক্ষোভের পর গত ডিসেম্বরে জিরো কোভিড নীতি বাতিলের ঘোষণা করে চিন। এই নীতির বিরুদ্ধে চিনের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ শুরু হয়। তারপরই কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করে চিন। ফলে চিনের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, চিনে আগত অভ্যন্তরীণ যাত্রীদের জন্য কোয়ারেন্টিন তুলে দেওয়া হচ্ছে। কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে বাড়িতেই থাকতে পারবেন। কোয়ারেন্টিন সেন্টারে যেতে হবে না। যদিও, কঠোর নীতি শিথিল করার পরই চিনে কোভিডের বাড়বাড়ন্ত দেখা দিয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের মার্চ থেকে, চিনে আগত সকল ব্যক্তিকে কেন্দ্র সরকারের ব্যবস্থাপনায় কোয়ারেন্টিনে থাকতে বাধ্য করা হত। এবার সেই নিয়ম উঠে যাচ্ছে ।

    আরও পড়ুন: করোনার প্রকৃত তথ্য প্রকাশ না করায় এবার চিনের সমালোচনা করল হু-ও

    আগামী ৪০ দিনে ২ বিলিয়ন লোকের যাতায়াত চিনে!

    আগামী ২১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে যাবে চিনা নববর্ষের ছুটি। চিনের বড় উৎসব এই নববর্ষ। ফলে তার আগেই ভ্রমণ সংক্রান্ত একাধিক বিধিনেষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে। এমনকী বিদেশ ভ্রমণের জন্য পাসপোর্ট তৈরি ও ভিসা দেওয়ার জন্য ৮ জানুয়ারি থেকে আবেদন করা যাবে বলে জানা গিয়েছে। এর আগে করোনার কারণে দেশের অভ্যন্তরেই একাধিক জায়গায় সফরে একাধিক নিষেধাজ্ঞা বহাল ছিল। ২০২০ সাল থেকেই সেই নিষেধাজ্ঞা ছিল। এই প্রথম সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, আগামী ৪০ দিনে প্রায় ২ বিলিয়নের বেশি মানুষ চিনের বিভিন্ন প্রান্তে সফর করবেন। তবে চিনে সমস্ত রকমের বিধিনিষেধ তুলে দেওয়ার ফলে পরবর্তীতে বিশ্বব্যাপী এর প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

LinkedIn
Share