Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Srilanka Tamil Issue: তামিল ইস্যুতে শ্রীলঙ্কাকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলল ভারত

    Srilanka Tamil Issue: তামিল ইস্যুতে শ্রীলঙ্কাকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কানিবাসী তামিলদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে রাষ্ট্রসংঘে (United Nations) সুর চড়াল ভারত। সোমবার রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশনে তামিল ইস্যুতে (Tamil Issue) শ্রীলঙ্কার (Srilanka) অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তোলে দেশ। কেন অ্যামেন্ডমেন্ট ১৩ (13th Amendment) কার্যকর করা হচ্ছে না সেই প্রশ্ন তোলা হয়। তামিল ইস্যুতে একটি সমাধান সূত্রের  প্রতিশ্রুতি দিয়েও এখনও তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে দ্বীপরাষ্ট্র। আর তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে ভারত। রাষ্ট্রসংঘের মানাবাধিকার কাউন্সিলের ৫১ তম সেশনে ভারত এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে। ভারতের দাবি, যাতে দ্বীপরাষ্ট্রে তামিলরা শান্তিতে, সম্মানে, সমানাধিকারে বসবাস করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে হবে প্রশাসনকে। সেদেশে তামিল ইস্যুতে শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ আবহের দিকে দিল্লির ক্রমাগত নজর রয়েছে বলেও জানিয়েছে ভারত। আর্থিক সংকট সম্পর্কে ভারত বলে, “শ্রীলঙ্কার সর্বোত্তম স্বার্থে তার নাগরিকদের সক্ষমতা তৈরি করা দরকার।” 

    আরও পড়ুন: পিছিয়ে গেল চিনা জাহাজের শ্রীলঙ্কায় প্রবেশ, ভারতের অনুরোধে পাশে দাঁড়াল শ্রীলঙ্কা সরকার
     
    এদিকে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের এক সদস্যের বক্তব্য অনুযায়ী, সেদেশে মানবাধিকার রক্ষা করতে আরও বেশি করে উদ্যোগ নিতে হবে শ্রীলঙ্কাকে। দেশে গত কয়েক দশকের সবচেয়ে খারাপ আর্থিক সংকট থেকে রক্ষা পেতে দেশের মানুষকে আরও বেশি সক্ষম করার পরামর্শ দিয়েছে ভারত। এছাড়াও রাষ্ট্রসংঘের সদস্যরা মনে করেন যে, শ্রীলঙ্কাকে আর্থিক মদতের জন্য বিশ্বের সমস্ত নামী আন্তর্জাতিক  প্রতিষ্ঠানগুলির এগিয়ে আসা উচিত। 

    আরও পড়ুন: ভারতের আর্থিক অবস্থা শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তানের মতো হবে না, দৃঢ়বিশ্বাসী রঘুরাম রাজন

    গত বছরের শেষ থেকেই চরম আর্থিক সংকটে ভুগছে শ্রীলঙ্কা। চলতি বছরের জুলাইতে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। ওই সময় রাজধানী কলম্বোয় প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে চড়াও হয়েছিল জনতা। এরপরই দেশ ছেড়ে পালিয়ে মালদ্বীপে চলে যান তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষ। পরে সেখান থেকে সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ড যান তিনি। জুলাইয়ের ১৪ তারিখে বিদেশে বসেই পদত্যাগ করেন গোতাবায়া রাজাপক্ষ। চলতি মাসের শুরুর দিকে দ্বীপরাষ্ট্রে ফিরেছেন তিনি। তবে পুরনো পদ আর ফিরে পাননি প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট। বর্তমানে ওই পদে রয়েছেন রনিল বিক্রমাসংঘে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, গোতাবায়া রাজাপক্ষের বিরুদ্ধে দেশবাসীর যেরকম ক্ষোভ রয়েছে, তাতে তাঁর রাজনীতির মূল স্রোতে ফেরা কঠিন। এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে বর্তমান সরকার শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিতে পারে বলেও মনে করছেন তাঁরা।   

     

  • Russia-Ukraine: রুশ বাহিনীর সঙ্গে জোর টক্কর ইউক্রেনের! খারকিভ থেকে সেনা প্রত্যাহার রাশিয়ার

    Russia-Ukraine: রুশ বাহিনীর সঙ্গে জোর টক্কর ইউক্রেনের! খারকিভ থেকে সেনা প্রত্যাহার রাশিয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে (Russia – Ukraine War) বড়সড় সাফল্য অর্জন করল ইউক্রেন। গতকাল, শনিবার, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ঘোষণা করা হয়েছে যে, তারা ইউক্রেনের পূর্ব খারকিভ অঞ্চলের দুটি এলাকা থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করেছে। প্রায় সাত মাস ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ। রাশিয়া তাদের বিশাল সেনাবাহিনীর সাহায্যে ইউক্রেনের একের পর এক এলাকা দখল করলেও ইউক্রেন বাহিনীও তা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছিল। ফলে ইউক্রেনের এই প্রচেষ্টাই যেন সফল হল।

    ইউক্রেনীয় বাহিনীর অগ্রযাত্রার মুখে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভ এলাকা থেকে পিছু হটছে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনের বাহিনী খারকিভ অঞ্চলে রুশ নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে অগ্রসর হয়েছে ও মাত্র তিন দিনের মধ্যে ইউক্রেনের সেনারা রুশ সেনাদের কাছ থেকে খারকিভ অঞ্চলের বেশিরভাগ অংশ পুনর্দখল করে নিয়েছে। দেশের রাজধানী কিয়েভ দখল করার রাশিয়ান প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়েছে ইউক্রেন বাহিনী। শনিবার ইউক্রেনের সেনারা খারকিভের গুরুত্বপূর্ণ ইজিয়াম শহরও দখল করে নেয়৷ ইউক্রেনের বাহিনী দ্রুত অগ্রসর হতে থাকায় যুদ্ধের অন্যতম একটি ফ্রন্ট লাইন হঠাৎ ভেঙে পড়ার জন্য রাশিয়া সেখান থেকে সরে গেছে। শনিবার খারকিভ প্রদেশের ইজিয়ামের হাতছাড়া হয়ে যাওয়ায় ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার সবচেয়ে পরাজয় ছিল এটি।

    রুশ বাহিনী ইজিয়ামকে তাদের যুদ্ধের প্রধান লজিস্টিক ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছিল। এখন থেকেই ইউক্রেনের বহু জায়গায় হামলা চালিয়ে আসছিল। যদিও রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর কোনাশেনকভ জানিয়েছেন, ইজিয়াম এলাকা থেকে পূর্ব দোনেৎস্ক অঞ্চলে সেনাদের পুনর্গঠন করা হবে।

    আরও পড়ুন: চিন, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ-মহড়া ভারতের, চিন্তায় আমেরিকা

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, ওই অঞ্চলের বালাকলিয়া শহরের কাছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর মধ্যে প্রচণ্ড লড়াই চলছে। ওই শহরটি পুনরুদ্ধারের দাবি করেছে কিয়েভ। আরও জানা গিয়েছে,  বালাকলিয়া এখন আর রুশ সেনার নিয়ন্ত্রণে নেই। ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টায় তুমুল লড়াই চলছে। কিন্তু অন্যদিকে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভ টেলিভিশন চ্যানেল জানিয়েছেন, যে রাশিয়ানদের কাছে তাদের সৈন্যদের জন্য কোন খাদ্য বা জ্বালানী নেই কারণ কিয়েভ তাদের সরবরাহ লাইন বন্ধ করে দিয়েছে।

    ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি (Volodymyr Zelenskyy) শুক্রবার বলেছেন যে, সেনারা পাল্টা আক্রমণ শুরুর পর থেকে খারকিভ অঞ্চলে ৩০ টিরও বেশি এলাকা পুনরুদ্ধার করেছে।

    ফলে গত সাত মাস ধরে চলা রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে প্রথম দিকে ইউক্রেন দুর্বল হয়ে পড়লেও ফের দখল করতে লড়াই শুরু করেছে জেলেনস্কি বাহিনী। কারণ যেখানে ৫৫ হাজার মানুষের শহর ইজিয়াম দখল করতে ছয় সপ্তাহ পরিশ্রম করেছিল রুশ সেনারা৷ সেখানে ইউক্রেনীয় সেনারা সপ্তাহখানেক অভিযান চালিয়েই শহরটি পুনর্দখল করেছে।

  • Queen Elizabeth II: তারার দেশে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ! শোকবার্তা মোদির

    Queen Elizabeth II: তারার দেশে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ! শোকবার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত ব্রিটেনের (London) রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ (Queen Elizabeth II)। দীর্ঘ অসুস্থতার পর বৃহস্পতিবার স্কটল্যান্ডের বালমোরাল (Balmoral retreat in the Scottish highlands) প্রাসাদে ৯৬ বছর বয়সে মারা গেলেন রানি। আজ, শুক্রবার তাঁর দেহ লন্ডনে নিয়ে আসা হবে। টানা ৭০ বছর ব্রিটেনের সিংহাসনে বসেছিলেন তিনি। তাঁর হাত ধরে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর পদ বসেছেন মোট ১৫ জন। মঙ্গলবারই ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে লিজ ট্রাসকে নিয়োগ করেছিলেন রানি এলিজাবেথ। অসুস্থতার জন্য প্রথা ভেঙে বাকিংহামের পরিবর্তে বালমোরাল প্রাসাদে বসেই লিজকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন রানি  দ্বিতীয় এলিজাবেথ।

    বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন রানি। ভালোভাবে চলাফেরাও করতে পারতেন না। বৃহস্পতিবার সকালে রানির শরীরের অবস্থা নিয়ে তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করেন চিকিৎসকরা। পরিস্থিতি বুঝে বালমোরে ছুটে আসেন যুবরাজ চার্লস, রাজকুমারী অ্যান, উইলিয়াম, হ্যারি ও তাঁদের স্ত্রী। নবতিপর রানির শেষকৃত্য কীভাবে হবে তা নাকি বহুদিন আগেই ঠিক করে রেখেছে রাজ পরিবার। তেমনটাই দাবি করেছিল মার্কিন সংবাদ সংস্থা ‘পলিটিকো’। বহুদিন ধরেই এই নিয়ে জল্পনা চলছে। সংবাদ সংস্থাটির দাবি, রানির শেষকৃত্য সংক্রান্ত সম্পূর্ণ গোপন পরিকল্পনার নাম ‘অপারেশন লন্ডন ব্রিজ’। কিন্তু বৃহস্পতিবার রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ প্রয়াত হয়েছেন স্কটল্যান্ডের বালমোরাল প্রাসাদে। তাই স্কটল্যান্ডের প্রতীক ইউনিকর্নের নামে নামাঙ্কিত হয়েছে রানির প্রয়াণ পরবর্তী করণীয়গুলি। তৈরি হয়েছে সপ্তাহব্যাপী শোকপালনের কর্মসূচি।

    তাঁর প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ট্যুইটবার্তায় মোদি জানান, ‘রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ আমাদের সময় প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তিত্ব ছিলেন। এই দুঃখের দিনে তাঁর পরিবার ও ইংল্যান্ডের অধিবাসীদের সমবেদনা জানাচ্ছি।’

    এর সঙ্গেই অপর ট্যুইটে মোদি লিখেছেন, ‘২০১৫ ও ২০১৮ সালে ইংল্যান্ড সফরের সময় আমার সঙ্গে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের বৈঠক হয়েছিল। তাঁর উদারতা ও দয়াশীলতা কোনওদিন ভুলব না। তিনি আমায় একটি রুমাল দেখিয়েছিলেন। সেই রুমালটি তাঁর বিয়েতে মহাত্মা গান্ধী তাঁকে দেন। সেই মুহূর্তটা চিরদিন মনে থাকবে।’

    রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে গভীর শোকজ্ঞাপন করেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও বিশিষ্টজনেরা। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট, কানাডার প্রধানমন্ত্রী ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও আছেন। বিশ্বনেতারা রানির গভীর কর্তব্যবোধ, চারিত্রিক দৃঢ়তা ও উদারতার প্রতি সম্মান জানান। জো বাইডেন ৪০ বছর আগে রানির সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ করার কথা জানান। বাইডেন বলেন, তিনি রানির চেয়েও বড় কিছু ছিলেন। তিনি নিজেই একটি যুগের জন্ম দিয়েছেন।যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ৪০ বছর আগে রানির সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ করেন। বাইডেন বলেন, তিনি রানির চেয়েও বড় কিছু ছিলেন। তিনি নিজেই একটি যুগের জন্ম দিয়েছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Queen Elizabeth II: ১৯ সেপ্টেম্বর রানি এলিজাবেথের শেষকৃত্য, জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকল লালকেল্লায়

    Queen Elizabeth II: ১৯ সেপ্টেম্বর রানি এলিজাবেথের শেষকৃত্য, জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকল লালকেল্লায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার রাষ্ট্রীয় শোক দিবস৷ ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের (Queen Elizabeth II) মৃত্যুতে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ভারত সরকারের তরফে এক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আজ সকাল থেকেই দিল্লির লালকেল্লায় অর্ধনমিত জাতীয় পতাকা৷ কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে যে, রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর দিনটি জাতীয় শোক দিবস (one day state mourning) হিসেবে পালন করা হবে। তাই আজ লালকেল্লা এবং রাষ্ট্রপতি ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।

    রানি প্রয়াত হওয়ার পরদিনই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের মুখপাত্রের তরফে একটি ট্যুইটে জানানো হয় যে, “গ্রেট ব্রিটেনের ইউকে এবং নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের হার ম্যাজেস্টি রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ মারা (Queen Elizabeth II) গিয়েছেন৷ তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ১১ সেপ্টেম্বর দেশে একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হবে৷”

    আরও পড়ুন: রানির মৃত্যুর পর কার দখলে কোহিনূর? আদৌ কি ভারত ফিরে পাবে তার ‘অমূল্য রত্ন’?

    আজ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের কফিন স্কটল্যান্ডের ব্যালাটার গ্রামে নিয়ে আসা হয়েছে। আপাতত রানি এলিজাবেথকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো চলছে। তাঁর মরদেহ এখন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শায়িত রাখা হয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে (Westminster Abbey in London) রানির শেষকৃত্য হবে বলে শনিবার জানিয়েছে বাকিংহ্যাম প্যালেস (Buckingham Palace) ৷

    প্রসঙ্গত, দীর্ঘ অসুস্থতার পর বৃহস্পতিবার স্কটল্যান্ডের বালমোরাল (Balmoral retreat in the Scottish highlands) প্রাসাদে ৯৬ বছর বয়সে মারা যান রানি। দীর্ঘ ৭০ বছর ব্রিটেনের সিংহাসনে বসেছিলেন তিনি। এরপর রানির মৃত্যুর দুদিন পরেই ব্রিটেনের রাজা হিসাবে আনুষ্ঠানিক ভাবে নাম ঘোষণা করা হয়েছে তৃতীয় চার্লসের (Charles III)। শনিবার একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ব্রিটেনের নতুন রাজা হিসাবে দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্থলাভিষিক্ত হলেন তাঁর জ্যেষ্ঠপুত্র চার্লস। ৭৩ বছর বয়সে যুবরাজ থেকে রাজার গদিতে বসেছেন তৃতীয় চার্লস। ফলে চার্লসের উত্তরাধিকারী হবেন উইলিয়াম এবং তিনি হবেন প্রিন্স অব ওয়েলস। মায়ের মৃত্যুর পর ব্রিটেনের রাজা হিসেবে সমস্ত দায়িত্ব তুলে নিলেন নিজের কাঁধে।

  • Piyush Goyal: ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারত ৪৫ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারের অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে, পীযূষ গোয়েল 

    Piyush Goyal: ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারত ৪৫ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারের অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে, পীযূষ গোয়েল 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারত (India) ৩৫ থেকে ৪৫ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারের অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে। রবিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (US) সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে এ কথা বলেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল (Piyush Goyal)। তিনি জানান, কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রির (CII) হিসেবেই উঠে এসেছে এই তথ্য। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ব্যবসায়ীদের ভারতে বিনিয়োগের আহ্বানও জানান মন্ত্রী।

    এদিনের অনুষ্ঠানে ভারতের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী বলেন, গত কয়েক বছরে আমাদের দেশে গঠনগত ও কাঠামোগত কিছু পরিবর্তন হয়েছে। যার কারণে ভারত দ্রুত সমৃদ্ধ হচ্ছে। এর পরেই তিনি বলেন, কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রির হিসেবেই জানা গিয়েছে ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারত ৩৫ থেকে ৪৫ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারের অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে। আমরা একটি উন্নতিশীল দেশ। এ দেশ তার প্রতিটি নাগরিকের প্রতি খেয়াল রাখে।

    দেশের জন্য তিনি যে গর্ব অনুভব করেন, এদিন তাও উঠে এসেছে পীযূষের গলায়। তিনি বলেন, বিশ্বের সব গণতন্ত্রের মা ভারতকে নিয়ে আমরা গর্বিত। আমাদের একটি সক্রিয় বিচার ব্যবস্থা আছে, আইনের শাসন আছে, সদা সতর্ক মিডিয়া আছে এবং স্বচ্ছ সরকারি ব্যবস্থা রয়েছে। ২০৪৭ সালে ভারত বিশ্ব অর্থনীতির পাওয়ার হাউস হিসেবে উঠে আসবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

    আরও পড়ুন : মোদির লক্ষ্য আত্মনির্ভর ভারত, আমেরিকার নেতৃত্বে ইন্দো-প্যাসিফিক বানিজ্যে না দিল্লির

    সাউথ ক্যালিফোর্নিয়ার ওই ব্যবসায়িক গোষ্ঠীকে ভারতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী। তিনি বলেন, ভারতকে একটি উন্নত জাতি হিসেবে গড়ে তোলার কাজ আমরা শুরু করেছি। আমাদের এই নয়া যাত্রায় শামিল হোন আপনারাও। এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ সময়। দেখুন, আগামী পঁচিশ বছরের মধ্যে ভারত কোথায় যায়। আগামী পঁচিশ বছর ভারতের অমৃতকাল বলেও মনে করেন গোয়েল। ভারতে বিশাল সুযোগ রয়েছে বলেও এদিন জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বলেন, ভারতে সুবিশাল জনসংখ্যার একটি সুবিধা রয়েছে। আমাদের রয়েছে যুব সম্প্রদায়, উচ্চাকাঙ্খী মানুষ। এটা একটা বিরাট সুযোগ। এই যুব সম্প্রদায়ের প্রত্যেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে গোটা বিশ্বের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। গোয়েল বলেন, এটাই ভারতে বিনিয়োগের সুবর্ণ সুযোগ। ভারতের এই নয়া যাত্রার শরিক হতে আমি আপনাদের সকলকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     

  • Iran Hijab Law: ‘ফেসিয়াল রিকগনিশন’-এর মাধ্যমে ইরানে চিহ্নিত করা হবে হিজাব উপেক্ষা করা মহিলাদের

    Iran Hijab Law: ‘ফেসিয়াল রিকগনিশন’-এর মাধ্যমে ইরানে চিহ্নিত করা হবে হিজাব উপেক্ষা করা মহিলাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহিলারা ঠিকমতো দেশের হিজাব আইন (Hijab Law) মানছেন কি না, তার ওপর নজরদারি চালাতে এবার প্রযুক্তির সাহায্য নিতে চলেছে ইরান (Iran) সরকার। যে সকল মহিলা এই আইন অমান্য করছেন, বিশেষ ধরনের ‘ফেসিয়াল রিকগনিশন’ (facial recognition) সফ্টওয়্যার দিয়ে তাঁদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থাগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তেহরান। 

    বেশ কিছুদিন ধরেই মহিলাদের পোশাকের ওপর কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করছে ইরান প্রশাসন। ইরানের ‘পুণ্য প্রচার ও পাপরোধ’ সংক্রান্ত দফতরর সচিব মহম্মদ সালেহ হাশমি গোলপায়েগানি জানান, প্রকাশ্যে মহিলারা ঠিকঠাক পোশাক পরছেন কিনা তার ওপর নজর রাখতেই এই বিশেষ নজরদারি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। 

    ১২ জুলাই দিনটিকে জাতীয় হিজাব ও পবিত্র দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে ইরান প্রশাসন। এরপরই, এর প্রতিবাদে সরব হয়েছেন সেদেশের মহিলারা। কখনও রাস্তায় তো কখনও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদে গর্জে উঠেছেন তাঁরা। একদিকে, প্রকাশ্যে আন্দোলনে সামিল হয়েছেন মহিলারা। তেমনই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে হিজাব খুলে ছবি তুলে #nohijabday বলে জোর প্রচার চলেছে। সেখানে তাঁরা হিজাব খুলে ছবি ও ভিডিও পোস্ট করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: শিখদের পাগড়ি কিংবা কৃপাণের সঙ্গে তুলনা চলে না হিজাবের, পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের

    এই ঘটনার প্রেক্ষিতে দেশজুড়ে প্রতিবাদীদের আটক করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে ইরান সরকার। নেদারল্যান্ডের টুয়েন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক আজাদেহ আকবরী জানান, ইরান সরকার দীর্ঘদিন ধরে আইন লঙ্ঘনকারী ব্যক্তিদের সনাক্ত করতে এই ফেস রিকগনিশন পদ্ধতির ব্যবহার করে আসছে। বর্তমানে সরকার এই পদ্ধতিটিকে ভিন্ন রূপে ব্যবহার করে স্বৈরতন্ত্রের পরিচয় দিচ্ছে।

    ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামিক বিপ্লবের পর থেকেই মহিলাদের মাথা ঢেকে রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ইরানের একটি সমাজসেবী সংগঠন হরানা দাবি করেছে, ইরানে হিজাব না পরায় ২৮ বছর বয়সি এক মহিলাকে বাসের সহযাত্রীর কাছে তিরস্কৃত হতে হয়েছিল। পরে পুলিশ ওই মহিলাকে গ্রেফতার করে মারধর করেছিল।

    আরও পড়ুন: রুদ্রাক্ষ বা ক্রসের সঙ্গে হিজাবের তুলনা চলে না! শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পোশাকবিধি নিয়ে মত সুপ্রিম কোর্টের

    লন্ডনের সোয়াস ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর ইরানিয়ান স্টাডিজের ইমেরিটাস অধ্যাপক অ্যানাবেলে স্রেবার্নি বলেছেন, ইরান ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে। মুদ্রাস্ফীতির হার প্রায় ৫০ শতাংশে পৌঁছে যেতে পারে। কিন্তু সরকার নারী অধিকারের ওপর জোর দিচ্ছে। তিনি আরও বলেছেন, সরকার দেশের আর্থিক সমস্যার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় থেকে নজর ঘোরাতেই এই বিষয়গুলিতে জোর দিচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Kohinoor: রানির মৃত্যুর পর কার দখলে কোহিনূর? আদৌ কি ভারত ফিরে পাবে তার ‘অমূল্য রত্ন’?

    Kohinoor: রানির মৃত্যুর পর কার দখলে কোহিনূর? আদৌ কি ভারত ফিরে পাবে তার ‘অমূল্য রত্ন’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেনের সিংহাসনে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে রাজত্ব করেছেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ (Queen Elizabeth)। প্রায় ৭০ বছর এই রানির পদে থেকেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার ৯৬ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছেন রানি৷ তাঁর মৃত্যুর পর এখন ব্রিটেনের সিংহাসনে বসবেন প্রিন্স চার্লস৷ রানির প্রায় সব সম্পত্তির মালিকই এখন তিনি। কিন্তু কোহিনুর কার কাছে যাবে সে দিকেই তাকিয়ে আছে ভারতসহ গোটা পৃথিবী। 

    এই বছরের শুরুতে রানি নিজেই ঘোষণা করেছিলেন ডাচেস অফ কনওয়েল (Duchess of Cornwall) ক্যামিলা  কুইন কনসর্ট হিসেবে পরিচিত হবেন৷ তাই ধরে নেওয়া হচ্ছে প্রিন্স চার্লসের স্ত্রী ক্যামিলাকে তাই এই কোহিনূর উত্তরাধিকার হিসেবে দেওয়া হতে পারে৷ নিজের ব্রিটিশ সিংহাসনে বসার ৭০ বছর পূর্তিতে কুইন এলিজাবেথ এই ঘোষণা করেছিলেন৷ যদিও এই অমূল্য হীরে পাওয়ার পথ এত সহজ নাও হতে পারে। অন্য পথেও হাঁটতে পারে ব্রিটেনের রাজ পরিবার। 

    আরও পড়ুন: তারার দেশে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ! শোকবার্তা মোদির

    রানি এলিজাবেথের মুকুটের অমূল্য হীরেটি ১০৫.৬ ক্যারেটের, ওজন ২১.৬ গ্রাম। ১১০০ থেকে ১৩০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুরের কাছে কল্লুর খনি থেকে পাওয়া গিয়েছিল এই হীরে। ১৩১০ সালে কাকোতীয় বংশের সঙ্গে বরঙ্গলের যুদ্ধে এই হীরে দখল করেন দিল্লির সুলতান আলাউদ্দিন খিলজি। পরে তা হাতবদল হয়ে আসে মুঘল দরবারে। ‘বাবরনামা’য় উল্লেখ রয়েছে, ১৫২৬ খ্রিস্টাব্দে পানিপথের যুদ্ধে তা বাবরের দখলে  আসে। সপ্তদশ শতকে মুঘল সম্রাট শাহজাহানের দরবারে ময়ূর সিংহাসনে শোভা পেত কোহিনুর। পার্সি ভাষায় ‘কোহিনূর’ শব্দের অর্থ ‘আলোর পর্বত’। ১৭৩২ সালে নাদির শাহ মুঘল সাম্রাজ্য আক্রমণ ও দিল্লি লুণ্ঠন করে ময়ূর সিংহাসনের সঙ্গে কোহিনুর হীরেটিকেও নিয়ে যান ইরানে। পরে দেহরক্ষীদের দ্বারা নিহত হন নাদির শাহ।

    নাদির শাহের পর আহমদ শাহ দুররানি কোহিনুর হস্তগত করেন। ১৮১৩ সালে দু্ররানি পাঞ্জাবের সিংহাসন হারলে তা ‘শের-ই-পঞ্জাব’ মহারাজা রঞ্জিত সিংহের হাতে আসে। তিনি নাকি এই বহুমূল্য হিরে তাঁর পাগড়িতে আটকে রাখতেন। রঞ্জিত সিংহের পর এই হীরের মালিকানা লাভ করেন নাবালক মহারাজা দলীপ সিংহ। শতাব্দীর পর শতাব্দী বিভিন্ন হাতে ঘুরেছে এই কোহিনূর৷ যখন ১৮৪৯ সালে পাঞ্জাবে ব্রিটিশ শাসন শুরু হয়৷ সেই সময় এই হীরে রানি ভিক্টোরিয়ার হাতে তুলে দেওয়া হয়৷ সেই থেকে এই রত্ন ব্রিটিশ ক্রাউন জুয়েলের (British Crown Jewels)  অংশ হয়ে যায়৷ কিন্তু এই হীরে নিয়ে বিবাদ আজও অব্যাহত। কুইন এলিজাবেথের জন্য প্ল্যাটিনাম ক্রাউনে এই হীরে বসানো হয়৷

    এক কালের ভারতের এই সম্পত্তির মায়া এখনও ছাড়তে পারেননি ভারতবাসী। একদিন ব্রিটেনের এই রাজপরিবার ভারতবর্ষ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছিল দুর্মূল্য কোহিনূর। কেটে গিয়েছে বহুদিন। বহুবার রাজ পরিবারে হাতবদল হয়েছে কোহিনূরের। কোহিনুরখচিত মুকুট এক মাথা থেকে আরেক মাথায় গিয়েছে। কিন্তু সেই হিরে আর ফিরে পায়নি ভারত। কিন্তু কোহিনূর পাওয়ার আশায় আজও বুক বেঁধে রয়েছে এই দেশ। কারণ কোহিনূর যে তাঁদের, এই দেশের। যদিও তত্ত্ব বলছে ভারত ছাড়াও আরও চার দেশের সঙ্গে জড়িত কোহিনূরের ইতিহাস। তবে ভারতের দাবিই সব থেকে বেশি। কারণ লিখিত ইতিহাসে কোহিনূরকে ভারতের সম্পত্তি বলেই দাবি করা হয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
  • Suella Braverman: ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র সচিবের পদে ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুয়েলা ব্রেভারম্যান, জানেন তিনি কে?

    Suella Braverman: ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র সচিবের পদে ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুয়েলা ব্রেভারম্যান, জানেন তিনি কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত (Indian Origin) ঋষি সুনক। তবে ব্রিটিশ প্রশাসনের একেবারে কোর এরিয়ায় চলে এসেছেন আর এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুয়েলা ব্রেভারম্যান (Suella Braverman)। বছর ৪২ এর অ্যাটর্নি জেনারেল সুয়েলা হয়েছেন ব্রিটেনের পরবর্তী স্বরাষ্ট্র সচিব (Home secretary)। লিজ টাসের ক্যাবিনেটে জায়গা পেয়েছেন তিনি। আগে এই পদে ছিলেন প্রীতি প্যাটেল।

    ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন লিজ টাস। তার পরেই গঠন করছেন নয়া মন্ত্রিসভা। মঙ্গলবার তিনি ভারতীয় বংশোদ্ভূত আইনজীবী সুয়েলা ব্রেভারম্যানকে তিনি ওই পদে নিয়োগ করেছেন। জনসনের আমলে ওই পদে ছিলেন আর এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রীতি প্যাটেল। বছর ৪২ এর সুয়েলা কনজার্ভেটিভ পার্টির সাংসদ। দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডের ফেয়ারহ্যাম কেন্দ্রের প্রতিনিধি তিনি। বরিসের প্রধানমন্ত্রিত্বের সময় তিনি কাজ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে।

    আরও পড়ুন : অশ্বেতাঙ্গ প্রধানমন্ত্রী মানতে পারল না ব্রিটেন! জানেন কেন হারতে হল ঋষিকে?

    ১৯৮০ সালের ৩ এপ্রিল জন্ম সুয়েলার। তাঁর মা হিন্দু তামিল পরিবারের মেয়ে, নাম উমা। বাবা খ্রিষ্টি ফার্নান্দেজ। কেনিয়া থেকে এসেছিলেন। ২০১৫ সালের মে মাসে কনজার্ভেটিভ পার্টির টিকিটে ফেয়ারহ্যাম থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন তিনি। পরে হন অ্যাটর্নি জেনারেল। পার্টগেট সহ একাধিক কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়ে পড়ায় বিদায় নিতে হয় বরিসকে। স্বাভাভিকভাবেই প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের। এই প্রধানমন্ত্রী পদের দৌড়ে শেষতক ছিলেন দুজন। একজন লিজ টেস, অন্যজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক। ব্যালটে ভোটাভুটি হলে সুয়েলা সমর্থন করেন লিজকে। ওই ভোটে জিতে প্রধানমন্ত্রী হন লিজ। তাঁকে সমর্থনের পুরস্কার লিজ দেন সুয়েলাকে। তাঁকে নিয়োগ করা হয় স্বরাষ্ট্র সচিব পদে। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন সুয়েলা। ২০১৮ সালে বিয়ে করেন রাইল ব্রেভারম্যানকে। সুয়েলা ব্রেভারম্যান বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। তিনি নিয়মিত লন্ডন বুদ্ধিস্ট সেন্টারে যান। শপথও নেন বুদ্ধের প্রবচন উচ্চারণ করে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Mobile app to detect Covid-19: এবার মোবাইল অ্যাপই বলে দেবে আপনি কোভিড আক্রান্ত কি না

    Mobile app to detect Covid-19: এবার মোবাইল অ্যাপই বলে দেবে আপনি কোভিড আক্রান্ত কি না

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমাদের জীবন থেকে দুটো বছর কেড়ে নিয়েছে করোনা (Coronavirus)। কোভিড মহামারীর দাপটে সমাজ জীবন, অর্থনীতি, শিক্ষা, জীবিকা সব ক্ষতিগ্রস্ত। মারণ ভাইরাসের দাপটে দিশেহারা জনজীবন। তবে এখন কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে করোনা। কিন্তু আতঙ্ক কমেনি। সামান্য উপসর্গ দেখলেই ভয় পেয়ে যাই আমরা। হাঁচি, কাশি, জ্বর ভাবি, কোভিড নয় তো! অনেকে ছুটি পরীক্ষা করাতে অনেকে আবার ভয়ে ভয়ে ঘরে বসেই চিন্তা করতে থাকি। তবে এখন আর চিন্তা নেই আপনার মোবাইল অ্যাপই বলে দেবে আপনি কোভিড আক্রান্ত কি না?

    আমজনতার সুবিধার্থে অনেক আগেই কোভিড শনাক্তকরণে চালু হয়েছে টেস্ট কিটের ব্যবহার। এবার মোবাইল অ্যাপেই করা যাবে কোভিড টেস্ট, এমনটাই দাবি করলেন নেদারল্যান্ডসের গবেষকেরা। সূত্রের খবর, নেদারল্যান্ডসের গবেষকরা দীর্ঘ গবেষনার মাধ্যমে একটি অ্যাপ তৈরি করেছেন। তাদের দাবি, মোবাইলে এই অ্যাপ থাকলে সহজেই করা যাবে কোভিড টেস্ট। প্রয়োজন পড়বে না লালারস পরীক্ষার। তাহলে কীভাবে হবে এই টেস্ট? গবেষকদের দাবি, ওই অ্যাপে গলার স্বরের মাধ্যমেই শনাক্ত করা যাবে কেউ করোনা আক্রান্ত কি না।

    আরও পড়ুন: মুখ থুবড়ে পড়েছে চিনের ‘জিরো কোভিড নীতি’, ফের লকডাউনে জিনপিং- এর দেশ

    বিশেষজ্ঞদের দাবি, অ্যান্টিজেন টেস্টের থেকেও এই পদ্ধতিতে করোনা পরীক্ষা  বেশি নিরাপদ। এর খরচও কম। সহজে হয়েও যায়। অর্থাৎ যে সকল দেশে RTPCR ও ব়্যাপিড টেস্ট খরচ সাপেক্ষ, সেখানকার জন্য অত্যন্ত ভাল এই অ্যাপ। গবেষক ওয়াফা আলিজাবি জানান, “করোনা ভোকাল কর্ড ও ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত করে। সেই কারণেই গবেষণা শুরু করা হয়েছিল যে যদি ভয়েসের মাধ্যমে চিনে নেওয়া যায় করোনা আক্রান্তকে।” 

    ২০১৯ সালের শেষ থেকে এই অ্যাপ নিয়ে গবেষণা শুরু হয়েছে। আলিজাবি বলেন,”পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে ৮৯ শতাংশ ক্ষেত্রে করোনা আক্রান্ত রোগীকে চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছে এই অ্যাপ। ৮৩ শতাংশ নির্ভুলভাবে করোনা নেগেটিভ রোগীকেও শনাক্ত করতে পেরেছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

     
  • Rishi Sunak: অশ্বেতাঙ্গ প্রধানমন্ত্রী মানতে পারল না ব্রিটেন! জানেন কেন হারতে হল ঋষিকে?

    Rishi Sunak: অশ্বেতাঙ্গ প্রধানমন্ত্রী মানতে পারল না ব্রিটেন! জানেন কেন হারতে হল ঋষিকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন্মাষ্টমীর দিনে রাধা-কৃষ্ণের আরাধনা করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। হিন্দু রীতি মেনে পুজোয় অংশ নিয়েছিলেন। আরতি করেছিলেন। মেনে নিতে পারেনি ‘রক্ষণশীল’ ব্রিটেন। যে দেশের মূল ধর্ম খ্রিস্টান সেখানে একজন হিন্দু নেতাকে দেশের সর্বোচ্চ পদে বসাতে হয়ত কুণ্ঠা বোধ করেছেন ব্রিটেনের শাসক রক্ষণশীল দলের নেতারা। তাই আশা জাগিয়েও ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী (Britain PM) পদে জিততে পারলেন না ঋষি সুনক (Rishi Sunak)। প্রথম থেকে জোরদার লড়াই করেও শেষ হাসি হাসতে পারলেন না ঋষি। কনজারভেটিভ দলের নেতারা ভরসা রাখলেন ব্রিটিশ নেত্রী লিজ ট্রাসের উপর।

    কনজারভেটিভ পার্টির (Tori) তরফে ভোটের ফল ঘোষণা করে জানানো হয় ২০ হাজারেরও বেশি ভোটে জিতেছেন লিজ। মোট বৈধ ভোটের মধ্যে লিজ পেয়েছেন ৮১ হাজার ৩২৬টি ভোট। সুনক ৬০ হাজার ৩৯৯টি। চূড়ান্ত রাউন্ডে ইনফোসিস প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তির জামাই ঋষির পরাজয়ের কারণ হিসেবে উঠে আসছে তাঁর ‘বর্ণ-পরিচয়ের’ কথাও। এখনও পর্যন্ত কোনও অশ্বেতাঙ্গ ব্রিটেনে প্রধানমন্ত্রী হননি। যে দেড় লক্ষাধিক কনজারভেটিভ সদস্যের ভোটে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছে, তাতে অশ্বেতাঙ্গ ভোটার নগণ্য। তিন শতাংশেরও কম।

    আরও পড়ুন: অবাক কাণ্ড! লন্ডন থেকে চুরি হওয়া গাড়ি পৌঁছে গেল পাকিস্তানের করাচিতে! ভাইরাল ভিডিও

    রাজনৈতিক মহল মনে করছে ঋষির হারের পিছনে স্ত্রী অক্ষতার ভূমিকাও রয়েছে। একদিকে বিপুল সম্পত্তি, তো অন্যদিকে আয়কর ফাঁকি, আবার রাশিয়ার সঙ্গে বিশেষ সম্পর্কের জেরে তদন্তের আওতায় চলে আসেন পেশায় ফ্যাশন ডিজাইনার অক্ষতা। পেশার কারণে অন্যান্য দেশ থেকে ব্রিটেনে আসা নাগরিকদের বিশেষ কর দিতে হয়। সুনকের স্ত্রীর বিরুদ্ধে সেই কর ফাঁকির অভিযোগ রয়েছে। তিনি নাকি প্রভাব খাটিয়ে সেই করের আওতার বাইরে চলে আসেন। বলা হয়ে থাকে, অক্ষতার সম্পত্তি নাকি ব্রিটেনের রানি এলিজাবেথের চেয়েও বেশি। একদা ভারতে সাম্রাজ্য বিস্তারকারী ব্রিটেনবাসী এ সত্য মেনে নিতে পারে না। কোনও ভারতীয় তাঁদের থেকে বড় হতে পারেন হয়ত বা এই কথা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়েছিল রক্ষণশীল দলের সদস্যদের। তাই প্রথম থেকে এগিয়ে থেকেও মাইলস্টোন ছোঁয়া হল না ঋষির।

    তা ছাড়া একদা জনসন অনুগামী ঋষি যে ভাবে পরবর্তী কালে প্রকাশ্যে তাঁর বিরোধিতা করে ইস্তফা দিয়েছিলেন, ভোটে তারও প্রভাব পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সাধারণ টোরি সদস্যদের বড় অংশই জনসন অনুগামী। তাঁদের একচেটিয়া ভোট পেয়েছেন লিজ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share