Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Ayman al-Zawahiri: চিকিৎসক থেকে জঙ্গি ! জেনে নিন আল-কায়দা প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরির ইতিহাস

    Ayman al-Zawahiri: চিকিৎসক থেকে জঙ্গি ! জেনে নিন আল-কায়দা প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরির ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাবুলে আমেরিকার ড্রোন হানায় (US Drone strike) নিহত হয়েছেন আল কায়দার (Al-Qaeda) প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরি (Ayman Al-Zawahiri)। ৯/১১ হামলার অন্যতম চক্রীর আফগানিস্তানে (Afghanistan) মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন স্বয়ং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (US President Joe Biden)।

    লাদেনের (Osama Bin Laden) হত্যার ১১ বছর পর এবার তাঁর ডানহাতকে খতম করল বাইডেনের (Joe Biden) দেশ। কাবুলে দীর্ঘদিন ধরে ঘাঁটি গেঁড়ে বসা এই কুখ্যাত জঙ্গি আসলে ছিলেন একজন চক্ষু চিকিৎসক। মাত্র ১৫ বছর বয়সেই তার নিজস্ব সংগঠন তৈরি হয়েছিল। ছেলেবেলা থেকে জাওয়াহিরিও মেধাবী ছাত্র হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। কিশোর বয়সে কাকার হাত ধরেই মিশরের ধর্ম নিরপেক্ষ সরকারের সমালোচনা করতে শুরু করেন জাওয়াহিরি। মাত্র ১৫ বছর বয়সেই বন্ধুদের নিয়ে একটি সংগঠন তৈরি করে ফেলেছিলেন জাওয়াহিরি। নাম দিয়েছিলেম ‘জামাত-আল-জিহাদ’। যাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল মিশরের তৎকালীন সরকারকে গদিচ্যুত করা।

    তবে নিজস্ব সংগঠন তৈরি করলেও পারিবারিক রীতি মেনে ডাক্তিরি পড়তে শুরু করেন জাওয়াহিরি। কায়রো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেডিসিনের ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। সেনাবাহিনীতে চোখের অস্ত্রপচারেও দীর্ঘদিন হাত পাকান তিনি। নিজস্ব ক্লিনিকও খোলেন জাওয়াহিরি। এক সম্ভ্রান্ত রাজনৈতিক পরিবারের মেয়ে আজা নোয়ের সঙ্গে বিবাহ হয় জওয়াহিরির। তাদের এক পুত্র এবং এক কন্যাসন্তান রয়েছে।

    আরও পড়ুন: মার্কিন ড্রোন হামলায় খতম আল-কায়দা প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরি

    সোভিয়েতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে তৎকালীন মুজাহিদিন যোদ্ধাদের চিকিৎসা করতেন অয়মান আল-জওয়াহিরি (Ayman Al Zawahiri)। সেখানেই ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে তাঁর দেখা। ১৯৮১ সালের ৬ অক্টোবর মিশরের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাতের হত্যায় জাওয়াহিরির হাত ছিল বলে জানা যায়। গ্রেফতার হন তিনি। তিন বছর জেল খাটার পর মুক্তি পান তিনি। এরপর লাদেনের সঙ্গে তার যোগাযোগ বাড়ে। লাদেনের ব্য়ক্তিগত চিকিৎসকের দায়িত্ব পালন করতে শুরু করেন। লাদেনের রক্তচাপের সমস্যা, সুগারের মাত্রা সহ সমস্ত বিষয়গুলি তিনিই পর্যবেক্ষণে রাখতেন। ধীরে ধীরে জাওয়াহিরির সংগঠনটি লাদেনের আল কায়দার সঙ্গে মিশে যায়। সেই সময় লাদেনের উপদেষ্টা পদে বসেন তিনি। এরপর একে একে ১৯৯৮ সালে দু’জনে মিলে কেনিয়া এবং তাজানিয়ায় আমেরিকার দূতাবাসে হামলা চালান। এর ঠিক তিন বছর পর ভয়াবহ ৯/১১ হামলার ঘটনা ঘটে। যা লাদেন-জাওয়াহিরির মিলিত উদ্যোগ। ২০১১ সালে লাদেনের মৃত্যুর পর আল কায়দার রাশ জওয়াহিরির হাতে চলে যায়।

  • China Taiwan Conflict: তাইওয়ানের চারপাশে ১১টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল চিন, কেন জানেন?    

    China Taiwan Conflict: তাইওয়ানের চারপাশে ১১টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল চিন, কেন জানেন?    

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাইওয়ানে (Taiwan) মার্কিন কংগ্রেসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির (Naccy Pelosi) সফর ঘিরে ক্রমেই অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠছে পরিস্থিতি। বৃহস্পতিবার তাইওয়ানের চারপাশে অন্ততঃপক্ষে ১১টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে চিন (China)। চিনা ফৌজ পিপলস অফ লিবারেশন আর্মির (PLA) তরফে জানানো হয়েছে, সবকটি তাদের লক্ষ্যে আঘাত হেনেছে। জাপানও জানিয়েছে, পাঁচটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়েছে তাদের এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনে (EEZ)। ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত জাপান উপকূলীয় অঞ্চলের অন্তর্গত এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনের মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্রগুলি আছড়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রক।

    আরও পড়ুন : তাইওয়ানে পা রাখলেন ন্যান্সি, সমরসজ্জা শুরু চিন আমেরিকার?

    মঙ্গলবার রাতে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির (Nancy Pelosi) নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দলের সদস্যরা পা রাখেন তাইওয়ানে। ন্যান্সির সফরসূচিতে তাইওয়ানের নাম ছিল না। তবে তিনি যে তাইওয়ান যেতে পারেন, তা একপ্রকার নিশ্চিতই ছিল। তা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনে কথা হয় চিনা প্রেসিডেন্টের। তখনই জিন পিং তাঁকে এই বলে সতর্ক করে দেন যে, যাঁরা আগুন নিয়ে খেলবেন, তাঁরা ধ্বংস হয়ে যাবেন। চুপ করে থাকেননি বাইডেনও। তিনিও জানিয়ে দেন, তাইওয়ান নিয়ে আমেরিকার নীতিতে কোনও পরিবর্তন হয়নি। তাইওয়ান সফর সেরে ন্যান্সি গিয়েছেন জাপানে। তার পরে পরেই তাইওয়ানের আকাশসীমায় ২৭টি যুদ্ধ বিমান পাঠিয়েছে চিন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তাইওয়ানের উত্তর, পূর্ব এবং দক্ষিণে সব মিলিয়ে তারা ১১টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে বলে জানিয়েছে চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। 

    আরও পড়ুন : চিনা হুমকি, তাইওয়ানে মহড়া শুরু যুদ্ধের

    স্বায়ত্তশাসিত তাইওয়ানের ওপর বেশ কয়েক দশক ধরেই নজর চিনের। তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ বলেই মনে করে তারা। প্রয়োজনে জোরপূর্বক তাইওয়ানের দখল নিতেও তারা প্রস্তুত বলে আগে একাধিকবার জানিয়েছে চিন। এরই পাল্টা হিসেবে তাইওয়ানের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা। পঁচিশ বছর পরে মঙ্গলবার তাইওয়ান সফরে আসেন কোনও পদস্থ মার্কিন কর্তা। তার পর থেকেই তাইওয়ানের বিরুদ্ধে সামরিক সক্রিয়তা বাড়িয়েছে চিন।

    এদিকে, জাপানের এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনে ক্ষেপণাস্ত্র হানার প্রভাব পড়েছে জাপান এবং চিনের কূটনৈতিক সম্পর্কে। বাতিল করে দেওয়া হয়েছে আগে থেকে স্থির করা দু দেশের বিদেশ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক।

     

  • China Taiwan Conflict: তাইওয়ানকে শাস্তি দিতেই কি হুঁশিয়ারি চিনের?  

    China Taiwan Conflict: তাইওয়ানকে শাস্তি দিতেই কি হুঁশিয়ারি চিনের?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার তাইওয়ানকে (Taiwan) উচিত শিক্ষা দিতে পারে চিন (China)। মঙ্গলবার রাতে তাইওয়ানে পা রাখেন মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পোলেসির (Nancy Pelosi) নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। তার পরেই কুড়িটিওর বেশি যুদ্ধ বিমান (Fighter Jet) উড়ে যায় তাইওয়ান (Taiwan) এয়ার ডিফেন্স জোনের দিকে।

    মার্কিন সরকারের তরফে ন্যান্সির যে সফরসূচি প্রকাশ করা হয়, তাতে তাইওয়ানের নাম ছিল না। তবে তিনি যে তাইওয়ান যেতে পারেন, তা একপ্রকার নিশ্চিতই ছিল। তা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনে কথা হয় চিনা প্রেসিডেন্টের। তখনই জিন পিং তাঁকে কার্যত হুঁশিয়ারি দেন এই বলে যে, যাঁরা আগুন নিয়ে খেলবেন, তাঁরা ধ্বংস হয়ে যাবেন। পাল্টা বাইডেনও জানিয়ে দেন, তাইওয়ান নিয়ে আমেরিকার নীতিতে কোনও পরিবর্তন হয়নি। এহেন আবহে তাওয়ানে পা রাখেন ন্যান্সি। তার পরেই উড়ে যায় চিনা যুদ্ধ বিমান।

    এদিকে, পেলোসির সফরের তীব্র বিরোধিতা করেছে শি জিনপিংয়ের সরকার। বেজিংয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে চিনের বিদেশ দফতর। তাদের সতর্ক করে জানিয়েছে, এজন্য মূল্য চোকাতে হবে ওয়াশিংটনকে। তাইওয়ানকে ব্যবহার করে চিনের সার্বভৌমত্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আঘাত করার চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ বেজিংয়ের। চিনের বিদেশ মন্ত্রক বেজিংয়ের মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে সাফ জানিয়ে দিয়েছে, পেলোসির তাইওয়ান সফর আমেরিকা ও চিনের মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলেছে। কারণ তাইওয়ান চিনকে তাদের ভূখণ্ড বলে মনে করে।

    আরও পড়ুন : তাইওয়ানে পা রাখলেন ন্যান্সি, সমরসজ্জা শুরু চিন আমেরিকার?

    এদিকে, চিনের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে সামরিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা তাইওয়ানকে হুঁশিয়ারি দিতেই। অন্যদিকে, ইতিমধ্যেই বিকল্প আকাশপথের সন্ধানে ইতিমধ্যেই তাইওয়ান জাপান এবং ফিলিপিন্সের কথা বলতে শুরু করেছে। চিনের তরফে তাইওয়ান থেকে ফল এবং মৎস্যজাত খাদ্যসামগ্রী আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে। কূটনৈতিক ব্যবস্থা নেওয়ার শপথও নিয়েছে ড্রাগনের দেশ।

    প্রসঙ্গত, গত ২৫ বছরে এই প্রথম আমেরিকার কোনও পদস্থ আধিকারিক পা রাখলেন তাইওয়ানে। পেলোসি বলেন, তারা অযথা হইচই করছে, এর কারণ সম্ভবত আমি স্পিকার। আমি জানি না এটি কারণ না অজুহাত। যখন আমাদের দেশ থেকে কোনও পুরুষ প্রতিনিধি আসেন তখন তাঁরা কিছুই বলেন না।

    আরও পড়ুন : চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরে তৃতীয় দেশের অন্তর্ভুক্তি! কড়া সমালোচনা ভারতের

  • SCO Summit: এসসিও-র বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিতে উজেবেকিস্তান যাচ্ছেন জয়শঙ্কর

    SCO Summit: এসসিও-র বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিতে উজেবেকিস্তান যাচ্ছেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু দিনের উজবেকিস্তান (Uzbekistan) সফরে যাচ্ছেন বিদেশমন্ত্রী (Foreign Minister) এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। ২৮-২৯ জুলাই সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের, সংক্ষেপে এসসিও (SCO)-র বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হবে। ওই বৈঠকে যোগ দিতেই উজেবেকিস্তান যাচ্ছেন জয়শঙ্কর। বৈঠকে আসন্ন এসসিও কাউন্সিলের বৈঠকের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হবে।

    সেপ্টেম্বর মাসের ১৫-১৬ উজবেকিস্তানের সমরখন্দে অনুষ্ঠিত হবে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের বার্ষিক সম্মেলন। এই সম্মেলনে মুখোমুখি হবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চিনের  প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। মুখোমুখি হবেন আরও কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানেরা।

    চিন, পাকিস্তান, রাশিয়া, ভারত, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, কিরগিজস্তান এবং কাজাখস্তান এই আটটি দেশ সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের পূর্ণ সদস্য। চলতি বছরের প্রথম দিনে তিন বছরের মেয়াদে এই আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর নয়া সেক্রেটারি নির্বাচিত হয়েছেন ঝাং মিং। তিনি জানান, সংগঠনের সম্ভাবনা ও কর্তৃত্ব বৃদ্ধির পাশাপাশি আঞ্চলিক শান্তি স্থিতিশীলতা সুনিশ্চিত করা, দারিদ্র হ্রাস এবং খাদ্য নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করাও।

    আরও পড়ুন : এসসিও-র সম্মেলনে মুখোমুখি হবেন মোদি-শি জিনপিং, আলোচনা হবে সীমান্ত নিয়ে?

    পূর্ণ সদস্যদের রাষ্ট্রপ্রধানরা মুখোমুখি হওয়ার আগে ফি বার হয় বিদেশ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক। এবারও তা হবে। তাতেই যোগ দিতে জয়শঙ্কর উড়ে যাচ্ছেন উজবেকিস্তান। সেখানে আঞ্চলিক এবং বিশ্ব উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানান মন্ত্রী।  উজবেকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী ভ্লাদিমির নরভের সঙ্গে সঙ্গে জয়শঙ্কর চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে বৈঠক করতে আগ্রহী। আর যদি তা হয়, তবে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার হবে জয়শঙ্কর-ওয়াং বৈঠক।

    আরও পড়ুন : তাসখন্দে মুখোমুখি জয়শঙ্কর-ওয়াং ই! চলতি মাসের শেষে ফের বৈঠক চিন ও ভারতের

    প্রসঙ্গত, গলওয়ানে ভারত-চিন যুদ্ধের পর থেকে দু দেশের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। সমস্যা মেটাতে দু দেশের মধ্যে সেনা পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে ১৬ বার। এসসিও সামিটে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা বৈঠকে বসেন কিনা, সেদিকেই তাকিয়ে তামাম বিশ্ব।  

    আরও পড়ুন : পরমাণু জ্বালানি সরবরাহকারী গোষ্ঠীতে যোগ দিতে মুখিয়ে ভারত, জানালেন জয়শঙ্কর

  • Joe Biden: দশ দিন না পেরোতেই ফের করোনায় আক্রান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন

    Joe Biden: দশ দিন না পেরোতেই ফের করোনায় আক্রান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও করোনা (Corona) ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। এক সপ্তাহও পেরোয়নি, ফের কোভিডের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে তাঁর। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার করোনায় আক্রান্ত হলেন তিনি। হোয়াইট হাউজ থেকে জানানো হয়েছে, শনিবার সকালেই তাঁর কোভিড টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তিনি এখন হোয়াইট হাউজেই নিভৃকবাসে আছেন।

    আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত মার্কিন রাষ্ট্রপতি, ভিডিও বার্তায় জানালেন নিজেই

    তাঁর চিকিৎসক ডা. কেভিন ও’কনোর (Kevin O’Connor) জানিয়েছন, এর আগে মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত টানা চারদিন বাইডেনের কোভিড পরীক্ষা করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁর রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল। কিন্তু শনিবার আবার তাঁর ‘অ্যান্টিজেন টেস্ট’ করা হলে তাঁর রিপোর্ট ‘পজিটিভ’ আসে। এরপর তাঁর চিকিৎসকরা তাঁকে আবারও নিভৃতবাসে থাকার পরামর্শ দেন। আপাতত পাঁচ দিন তিনি হোয়াইট হাউসেই নিভৃতবাসে থাকবেন।

    প্রসঙ্গত, গত ২১ জুলাই প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন ৭৯ বছর বয়সী জো বাইডেন। তখন তাঁর করোনার মৃদু উপসর্গ ছিল বলে হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানোনো হয়েছিল। তবে তাঁকে চিকিৎসকদের বিশেষ নজরে রাখা হয়েছিল। গত মঙ্গলবার তাঁর করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসলে চিকিৎসকরা জানান যে, তাঁকে আর আইসেলেশনে থাকার প্রয়োজন নেই। কিন্তু এরপর আবার বাইরে বেরোতেই ফের করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়লেন।

    আরও পড়ুন: দেড় বছর পর ওয়াশিংটনে, আবারও প্রার্থী হওয়ার ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্প

    চিকিৎসকরা আরও জানিয়েছেন, এক সপ্তাহের মধ্যেই ফের করোনা আক্রান্ত হওয়া আসলে ‘রিবাউন্ড পজিটিভিটি’ (Rebound Positivity)। অর্থাৎ বাইডেনের করোনা পরিস্থিতিতে প্যাক্সলোভিড (PAXLOVID) নামক ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করানো হয়েছিল, তাতে সমস্ত ভাইরাস মরে যায়। কিন্তু ওষুধের কোর্স শেষ হতেই রিপোর্ট ফের পজেটিভ চলে আসে। যদিও বর্তমানে তাঁর করোনার লক্ষণ দেখা যায়নি ও সুস্থই আছেন তিনি। ফলে তেমন কোনও বিশেষ চিকিৎসার প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট ইতিমধ্যেই কোভিডের দু’টি টিকা এবং দু’বার বুস্টার ডোজ নিয়েছেন। তবে এই ভাবে করোনা থেকে মুক্তি পাওয়ার অল্প কিছু দিনের মধ্যেই আবার এই রোগে আক্রান্ত হওয়া একেবারেই বিরল ঘটনা বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।    

  • Most Expensive Home: ‘বিশ্বের সবচেয়ে দামি’ বাড়িতে থাকেন সৌদি যুবরাজ! এর দাম জানেন?

    Most Expensive Home: ‘বিশ্বের সবচেয়ে দামি’ বাড়িতে থাকেন সৌদি যুবরাজ! এর দাম জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের সবচেয়ে দামি বাড়ি কোনটি আপনি কি জানেন? বা তার দাম কত ও কোথায় আছে সেই বাড়ি, কে ই বা থাকেন সেই বাড়িতে? তবে আজ তারই খোঁজ দিতে চলেছি যার দাম শুনলে আকাশ থেকে পড়বেন। বিশ্বের সবচেয়ে দামি বাড়িটি এই দেশে নয় ফ্রান্সে অবস্থিত। আর খবরসূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়িটি সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের। সম্প্রতি তিনি ইউরোপ সফরে বেরিয়েছেন। বৃহস্পতিবার ফ্রান্সে গিয়েছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান (Mohammed bin Salman)। এদিন তিনি সন্ধ্যায় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর (Emmanuel Macron) সঙ্গে তাঁর বাসভবন এলিজি প্যালেসে বৈঠক করেন। ফ্রান্স সফরে গিয়ে তিনি নিজ মালিকানাধীন বিশ্বের সবচেয়ে দামি প্রাসাদ ‘শাত্যো লুই ১৪’-এ (Chateau Louis XIV) উঠেছেন। প্রাসাদটি ২০১৫ সালে তিনি ৩০১ মিলিয়ন ডলারে কিনেছিলেন। ৭,০০০ বর্গমিটারের এই সম্পত্তিটি ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের (Paris) লুভেসিয়েনসে (Louveciennes) অবস্থিত। মোট ৫৭ একর জায়গার ওপর তৈরি এই বাড়ি। ‘ফরচুন’ নামক ম্যাগাজিনটি এই শাত্যো লুই ১৪ প্রাসাদটিকে বিশ্বের সবচেয়ে দামি বাড়ি বলে উল্লেখ করেছেন।

    কোগমেডের ওয়েবসাইট (Cogemad’s website) অনুসারে, এই প্রাসাদের ডিজাইনটি সপ্তদশ শতকের প্রাসাদগুলোর ডিজাইনের অনুকরণেই এই প্রাসাদটির নকশা তৈরি করা হয়েছে। প্রাসাদটির নির্মাতা ছিলেন খাশোগির তুতো ভাই ইমাদ খাশোগি (Emad Khashoggi)। ফ্রান্সে অভিজাত নির্মাণকাজের ব্যবসা রয়েছে তাঁর। এই প্রাসাদের মাঠে লুইস ১৪ -এর একটি মার্বেলের মূর্তি তৈরি করা আছে। তাছাড়াও এই বিশাল প্রাসাদে ১০টি বেডরুম সুইট, লাইব্রেরি, রিসেপশন রুম রয়েছে। আর কি না নেই।

    এই বিলাসবহুল প্রাসাদে বিশাল অ্যাকুইরিয়াম, সিনেমা হল, সোনায় বাঁধানো ফোঁয়ারা রয়েছে। এতে একটি নাইট ক্লাব রয়েছে। এছাড়াও সাদা চামড়ার মোড়া সোফা সহ একটি কাঁচের চেম্বারও রয়েছে প্রাসাদে যা অনেকটা বিশালাকৃতির অ্যাকুইরিয়ামের মত দেখতে ৷ প্রাসাদের ভেতরে ওয়াইন সেলার রয়েছে। রয়েছে গোলকধাধাও।

    নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে, প্রাসাদের সোনায় বাঁধানো ফোয়ারাটির সঙ্গে সাউন্ড সিস্টেম, লাইট যুক্ত করা আছে যা আইফোনের সাহায্যে কন্ট্রেল করা যায়। প্রাসাদের দরজাগুলি প্রতিটিই সোনায় মোড়া। গোটা প্রাসাদ জুড়েই বহুমূল্য শিল্পকর্ম ছড়িয়ে রয়েছে। তবে এই প্রাসাদটি সৌদি যুবরাজ কার থেকে কিনেছিলেন তা এখনও জানা যায়নি।

  • Brine Pool: লোহিত সাগরের তলদেশে ‘ব্রাইন পুল’! যেখানে গেলেই মৃত্যু নিশ্চিত…

    Brine Pool: লোহিত সাগরের তলদেশে ‘ব্রাইন পুল’! যেখানে গেলেই মৃত্যু নিশ্চিত…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাগরের মধ্যে আরও একটি জলাশয়! তাও আবার প্রাণঘাতী! এমনটাই জানিয়েছেন মিয়ামি ইউনিভার্সিটির (University of Miami) বিজ্ঞানীরা। রহস্যে ভরা পৃথিবীতে কখন যে কী উদ্ধার হয় তার কোনও ঠিক নেই। আর যা কিছুরই খোঁজ পাওয়া যাক না কেন, তা মানুষকে বিস্মিত করে। লোহিত সাগরের (Red Sea) ১.৭ কিলোমিটার নীচে এই ব্রাইন পুলটি উদ্ধার করা হয়েছে। সম্প্রতি তার খোঁজ পেয়েছেন মিয়ামি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা (Scientists)। তাঁরা জানিয়েছেন এই জলাশয়ে কোনও প্রাণী গেলেই তার মৃত্যু নিশ্চিত। দশ ঘণ্টা ধরে লোহিত সাগরের নীচে তল্লাশি চালিয়ে এই জলাশয়ের সন্ধান মিলেছে।

    বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই জাতীয় জলাশয় আসলে ‘ব্রাইন’ প্রজাতির (Brine Pool)। ব্রাইন আসলে সমুদ্রের তলদেশের এক প্রকার নিম্নচাপ। যেখানে লবণের ঘনত্ব ও জলের চাপ সমুদ্রের বাকি অংশের তুলনায় অনেক বেশি। এখানে বিভিন্ন রকমের রাসায়নিক উপাদানও জলের সঙ্গে মিশে রয়েছে। ফলে যে কোনও সামুদ্রিক প্রাণী বা অন্য কিছু এখানে প্রবেশ করলেই তার মৃত্যু হবেই।

    গবেষণার প্রধান গবেষক স্যাম পারকিস (Sam Purkis) এই পুলটিকে পৃথিবীর সবচেয়ে মারাত্মক পুল বলেছেন। তিনি বলেছেন, “যে কোনও প্রাণী ওই পুলে গেলে মৃত্যু নিশ্চিত।” পারকিস আরও জানান যে মাছ, চিংড়ি এবং ঈল অন্য প্রাণীদের  শিকারের জন্য এই জায়গাটি ব্যবহার করে থাকে। কারণ এই প্রাণীগুলি অন্য প্রাণীদের খাওয়ার জন্য এই মারাত্মক পুলের কাছে লুকিয়ে থাকে। যাতে তাদের শিকার করতে সুবিধা হয়।

    তিনি আরও জানান, এই পুল নিয়ে গবেষণা করলে জানা যেতে পারে যে, কীভাবে লক্ষ লক্ষ বছর আগে পৃথিবীতে মহাসাগর তৈরি হয়েছিল। তাছাড়া এই বিষাক্ত লবণাক্ত পরিবেশে যে বিরাট সংখ্যক জীবাণু বসবাস করছে, এর থেকেই বোঝা যাবে যে  চরম পরিবেশে কীভাবে অন্যান্য প্রাণী বেঁচে থাকতে পারে। পৃথিবীতে কতটা চরম অবস্থাতেও বেঁচে থাকা সম্ভব এটি বুঝতে পারলেই জানা যাবে যে সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহে এবং তার বাইরে অন্য কোথাও জীবনের হদিশ আছে কি নেই।

    তবে পৃথিবীতে এটিই প্রথম ব্রাইন জলাশয় নয়। গত তিরিশ বছর ধরে লোহিত সাগর, ভূমধ্যসাগর এবং মেক্সিকো উপসাগরে অন্তত এক ডজন ব্রাইন জলাশয়ের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

     

     

  • Taliban Urge: নিরাপত্তা সমস্যা মিটে গিয়েছে! হিন্দু-শিখদের আফগানিস্তানে ফেরার আর্জি  তালিবানের

    Taliban Urge: নিরাপত্তা সমস্যা মিটে গিয়েছে! হিন্দু-শিখদের আফগানিস্তানে ফেরার আর্জি তালিবানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শান্তি ফিরেছে। দেশে আর নিরাপত্তা নিয়ে সমস্যা নেই। দাবি তালিবানের। প্রায় দু’দশক পর ক্ষমতায় ফিরলেও, এখনও আন্তর্জাতিক স্তরে বৈধতা পায়নি আফগানিস্তানে (Afghanistan News) পুনরায় কায়েম হওয়া তালিবান (Taliban News) সরকার। সেই আবহে দেশের সংখ্যালঘু হিন্দু (Hindus) এবং শিখদের (Sikhs) দেশে ফেরার আহ্বান জানালেন তালিবান নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, দেশের অন্দরে নিরাপত্তা সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যা মিটে গিয়েছে। নিরাপদে দেশে ফিরতে পারেন সংখ্যালঘুরা (Minorities)। 

    আরও পড়ুন: ইসলাম-বিরোধী না হলে আন্তর্জাতিক মহলের সঙ্গেও যুক্ত হতে দ্বিধা নেই, বলছে তালিবান

    আফগানিস্তানের চিফ অফ স্টাফের অফিস ট্যুইট করে জানিয়েছে, ২৪ জুলাই আফগানিস্তানের হিন্দু ও শিখ কাউন্সিলের সদস্যদের সঙ্গে তালিবান মন্ত্রী ডক্টর মোল্লা আবদুল ওয়েসি দেখা করেছেন। আফগানিস্তানে এই কাউন্সিলের একাধিক সদস্যের সঙ্গে দেখা করার পরেই এই দাবি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে যে সমস্ত ভারতীয় এবং শিখ নিরাপত্তার কারণে দেশ ছেড়েছেন, তাঁরা যাতে আফগানিস্তানে ফিরে আসেন তাও হিন্দু ও শিখ কাউন্সিলের সদস্যদের মনে করিয়ে দিয়েছেন আফগান মন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: প্রমাণ ছাড়া সরকারের সমালোচনা নয়, নতুন ফতোয়া তালিবান সরকারের

    তালিবান সরকারের বিবৃতি অনুযায়ী, জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট খোরাসান প্রদেশ (ISKP)-কে রুখে দিতে সফল হওয়ায় তালিবান নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন হিন্দু এবং শিখ নেতৃত্ব। কাবুলে গুরুদ্বার যে হামলায় সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়নি, তার জন্য তালিবান সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করেন তাঁরা। গত ১৮ জুন জঙ্গি সংগঠন ISKP কাবুলের কর্তে-ই-পারওয়াঁ গুরুদ্বার লক্ষ্য করে হামলা চালায়। তাতে দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। মৃতদের মধ্যে ছিলেন এক শিখও। তালিবান প্রশাসনের সৌজন্যে বড়সড় হামলা থেকে রক্ষা পায় গুরুদ্বারটি। এর জন্য শিখ নেতারা তালিব সরকারের প্রশংসা করেছে বলে জানা গেছে। শুধু কাবুলের গুরুদ্বার নয়, সেই সঙ্গে জঙ্গি হামলায় দেশের আরও যেসব গুরুদ্বারের ক্ষতি হয়েছে, তালিব সরকার তা সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। আর এ জন্য ৭.৫ মিলিয়ান আফগানী ব্যয় করবে বলে খবর।

  • Taliban: ইসলাম-বিরোধী না হলে আন্তর্জাতিক মহলের সঙ্গেও যুক্ত হতে দ্বিধা নেই, বলছে তালিবান

    Taliban: ইসলাম-বিরোধী না হলে আন্তর্জাতিক মহলের সঙ্গেও যুক্ত হতে দ্বিধা নেই, বলছে তালিবান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসলাম (Islam) বিরোধী না হলে তারা আন্তর্জাতিক মহলের (International Community) সঙ্গে যুক্ত হতে চায়। সম্প্রতি একথা জানিয়ে দিল আফগানিস্তানের (Afghanistan) তালিবান (Taliban) শাসক। সে দেশের পাপ-পুণ্যের মন্ত্রী মহম্মদ খালিদ হানাফি বলেন, আমরা কেবল অনুসরণ করি আল্লাহ, পয়গম্বর মহম্মদ, রাশিদানের খলিফা এবং আমাদের আইন প্রণয়নকারীদের। যা কিছু ইসলামের বিরুদ্ধে, আমরা তা গ্রহণ করব না। সম্প্রতি গজনি সফরে গিয়েছিলেন হানাফি। সেখানেই একথা জানান তিনি। সরকারি কর্মচারীদের শাহরিয়া অনুসারে কাজ করার নির্দেশও দেন তিনি।আফগানিস্তানের মন্ত্রী মহম্মদ খালিদ হানাফি জানান, ইসলামিক মূল্যবোধের কথা মাথায় রেখে কাজ করা উচিত সমস্ত প্রদেশ, জেলা এবং মন্ত্রিসভায় যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের। তিনি বলেন, তালিবান ক্ষমতায় আসার পর একশো শতাংশ মহিলাকে হিজাব পরতে দেখা যাচ্ছে। আগে যা হত না।

    আরও পড়ুন : প্রমাণ ছাড়া সরকারের সমালোচনা নয়, নতুন ফতোয়া তালিবান সরকারের

    সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘের প্রতিনিধি দল আফগানিস্তানের ওপর একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। তাতে তুলে ধরা হয়েছে, গত দশ মাসে কীভাবে আফগানিস্তানে লঙ্ঘিত হয়েছে মানবাধিকার। নির্বাচিত সরকারকে হঠিয়ে এই দশ মাস ধরে আফগানিস্তান শাসন করছে তালিবান শাসক। সেই সময়ই মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে বলে রাষ্ট্রসংঘের প্রতিনিধি দলের রিপোর্টে প্রকাশ।

    গত বছর অগাস্ট মাসে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসে তালিবান। এই সময়সীমার মধ্যে ঠিক কতগুলি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে, তা প্রকাশ করা হয়নি ওই রিপোর্টে। তবে সে দেশে তালিবানি শাসন কায়েম হওয়ার পরেই যে সামগ্রিকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে, তা তুলে ধরা হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে নানা ভাবে। সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার, দুর্ব্যবহার, আইন বিরুদ্ধভাবে হত্যা, কোনও কারণ ছাড়াই কাউকে গ্রেফতার এবং আটক করার ঘটনা ঘটছে আকছার।

    আরও পড়ুন : আফগান ছাত্রদের ভারতে পড়ার ছাড়পত্র দিতে আর্জি জানানোর পথে তালিবান

    এদিকে, তালিবান শাসকদের দেশবাসীকে শ্রদ্ধা করার পরামর্শ দিয়েছেন আঞ্চলিক গভর্নর মহম্মদ ইশাক আখুন্দাজা। তিনি বলেন, যাঁরা সরকারে রয়েছেন কিংবা জেলা অফিসে চাকরি করেন কিংবা অন্য কোনও দফতরে কর্মরত, তাঁদের উচিত জনগণের সমস্যার সমাধান করা।

     

  • Nirav Modi: হংকংয়ে ঋণখেলাপি নীরব মোদির  ২৫৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    Nirav Modi: হংকংয়ে ঋণখেলাপি নীরব মোদির  ২৫৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঋণখেলাপি নীরব মোদির (Nirav Modi) বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি, গয়না ও ব্যাঙ্কে গচ্ছিত আমানত বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট, সংক্ষেপে ইডি (ED)। যার বাজার মূল্য প্রায় ২৫৩ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা। বেআইনি লেনদেন প্রতিরোধ আইন ২০২২-এ এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। হংকং (Hong Kong) থেকে প্রায় আড়াইশো কোটি টাকার সম্পত্তির দখল নিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    আর্থিক তছরুপের মামলায় বর্তমানে লন্ডনের জেলে রয়েছেন নীরব মোদি। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত নীরবের ২ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। ইডির তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, তদন্ত করতে গিয়ে জানা যায়, হংকংয়ে নীরব মোদির বেশ কিছু সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছিল। বেসরকারি ব্যাংকে টাকা ও গয়না গচ্ছিত ছিল নীরব মোদির। আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনের পাঁচ নম্বর ধারা মেনেই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সম্পত্তি। সব মিলিয়ে আড়াইশো কোটি টাকার জিনিসপত্র আটক করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন : কয়লা-কাণ্ডে বিনয় ও বিকাশ মিশ্রের ১৪ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত!

    এই প্রথম নয়, এর আগেও দেশে বিদেশে নীরব মোদির স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ওই বিবৃতিতে এও জানানো হয়েছে, নীরব মোদি ও তাঁর সহযোগীদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মুম্বইয়ের বিশেষ আদালতের রায় মেনেই প্রায় বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সম্পত্তি। আপাতত বাজেয়াপ্ত সম্পত্তি হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। বাজেয়াপ্ত সম্পত্তি থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাংকগুলিকে সাহায্য করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন : পার্থ, পরেশের বাড়ি সহ ১৪ জায়গায় হানা ইডি-র, কী মিলল তল্লাশিতে?

    নীরব মোদি পেশায় হিরে ব্যবসায়ী। বছর কয়েক আগে তাঁকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ঋণ বাবদ দেয় ভারতের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক। পরে জানা যায়, ওই ব্যবসায়ী ভুয়ো জামিনদারকে কাজে লাগিয়ে ওই পরিমাণ অর্থ ঋণ নিয়েছিলেন। ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ লন্ডনের একটি ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলতে গিয়ে গ্রেফতার হন এই হিরে ব্যবসায়ী।

     

LinkedIn
Share