Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Sco Summit: এসসিও-র সম্মেলনে মুখোমুখি হবেন মোদি-শি জিনপিং, আলোচনা হবে সীমান্ত নিয়ে?

    Sco Summit: এসসিও-র সম্মেলনে মুখোমুখি হবেন মোদি-শি জিনপিং, আলোচনা হবে সীমান্ত নিয়ে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী সেপ্টেম্বর মাসে উজবেকিস্তানের সমরখন্দে অনুষ্ঠিত হবে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের, সংক্ষেপে এসসিও-র (SCO) বার্ষিক সম্মেলন। এই সম্মেলনে মুখোমুখি হবেন ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ও চিনের (China) প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping)। সম্মেলনের ফাঁকে দুই দেশের রাষ্ট্রনেতা আলাদা করে কোনও বৈঠক করেন কি না, সেদিকেই তাকিয়ে গোটা বিশ্ব।

    চিন, পাকিস্তান, রাশিয়া, ভারত, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, কিরগিজস্তান এবং কাজাখস্তান এই আটটি দেশ সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের পূর্ণ সদস্য। চলতি বছরের প্রথম দিনে তিন বছরের মেয়াদে এই আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর নয়া সেক্রেটারি নির্বাচিত হয়েছেন ঝাং মিং। তিনি জানান, সংগঠনের সম্ভাবনা ও কর্তৃত্ব বৃদ্ধির পাশাপাশি আঞ্চলিক শান্তি  স্থিতিশীলতা সুনিশ্চিত করা, দারিদ্র হ্রাস এবং খাদ্য নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা।

    আরও পড়ুন : তাসখন্দে মুখোমুখি জয়শঙ্কর-ওয়াং ই! চলতি মাসের শেষে ফের বৈঠক চিন ও ভারতের

    এদিকে, শুক্রবারই তিন দিনের পাকিস্তান সফরে আসছেন সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের সেক্রেটারি জেনারেল ঝাং মিং। সমরখন্দে এসসিও-র বার্ষিক সম্মেলনে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে আমন্ত্রণ জানাবেন তিনি। চলত বছরের ১৫ ও ১৬ সেপ্টম্বর বার্ষিক এই সম্মেলন হওয়ার কথা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এই সম্মেলনে যোগ দেবেন। সেখানেই মুখোমুখি হবেন মোদি এবং জিনপিং। ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর ব্রাসিলিয়ায় হয় একাদশতম ব্রিকস সম্মেলন। সেখানেই মুখোমুখি হয়েছিলেন এই দুই রাষ্ট্রপ্রধান।

    চলতি মাসের ১৭ জুলাই ভারত ও চিন এই দুই দেশের সেনার কমান্ডারস্তরের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়। সেনা পর্যায়ের ওই বৈঠকগুলির পরেও পূর্ব লাদাখ সীমান্তে দুই দেশের বিবাদ সম্পূর্ণ মেটেনি। স্থায়ী সমাধান খোঁজার লক্ষ্যেই দীর্ঘ বিরতির পর ফের মুখোমুখি হয়েছিল প্রতিবেশী এই দুই দেশ। ২০২০ সালের মে মাসে দুই দেশের বিবাদ শুরু হওয়ার পর থেকে শান্তি বজায় রাখার উদ্দেশ্যে নয়াদিল্লি-বেজিং বৈঠক হয়েছে একাধিকবার। তার পরেও সমস্যা মেটেনি। তাই হয় ১৬তম বৈঠকটি। 

    আরও পড়ুন : শিলিগুড়ি করিডরের কাছে চিন! ডোকলাম সীমান্তে গ্রাম বানাচ্ছে বেজিং

    প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে গলওয়ানে ভারত এবং চিন সেনার সংঘর্ষের পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্ক গিয়ে ঠেকেছে তলানিতে। তার পর থেকে উত্তেজনা কমাতে চলছে দুই দেশের সেনা পর্যায়ের বৈঠক। তবে এসসিওতে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের দেখা হওয়ার কথা। এদিকে, ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর আগামী সপ্তাহে যাচ্ছেন সমরখন্দে। ২৯ তারিখ সেখানে রয়েছে বিদেশ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক।

    এসসিও সম্মেলনে ভারত ও চিন দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান মুখোমুখি হবেন বলেই সূত্রের খবর। কারণ জিনপিং অল পাওয়ারফুল সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের চেয়ারম্যান। সেখানে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সমস্যা নিয়ে তাঁদের মধ্যে কী আলোচনা হয়, সেটাই দেখার।

     

  • Talibans: প্রমাণ ছাড়া সরকারের সমালোচনা নয়, নতুন ফতোয়া তালিবান সরকারের

    Talibans: প্রমাণ ছাড়া সরকারের সমালোচনা নয়, নতুন ফতোয়া তালিবান সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আফগানিস্তানে (Afghanistan) ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বার বার সমালোচিত হয়েছে তালিবান (Taliban) সরকার। বার বার তালিবানদের বিরুদ্ধে স্বৈরাচারিতার অভিযোগে সরব হয়েছে আফগানিস্তানবাসীসহ সারা বিশ্ব। আফগানিস্তানবাসীর ওপর ফতোয়া (Diktat) জারি করে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তালিবানরা। এবার এক নয়া ফতোয়ায় দানা বাঁধল বিতর্ক। ‘

    আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে কূটনৈতিক উপস্থিতি ফের চালু ভারতের, কী প্রতিক্রিয়া তালিবানের? 

    নতুন ফতোয়া জারি করে তালিবান সরকার জানিয়েছে, বৈধ প্রমাণ ছাড়া আফগানিস্তানের কোনও সরকারি আধিকারিক অথবা কোনও গবেষকের সমালোচনা করলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেবে তালিবান সরকার। তালিবানের মুখপাত্র জাবিউল্লা মুজাহিদ বেশ কিছু নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে। তালিবান মুখপাত্র সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, “শরিয়া আইন আমাদের এই দায়িত্ব দিয়েছে। সেই কারণে আফগানিস্তানের জনসাধারণকে তালিবান সরকারে পক্ষ থেকে সত্যতা যাচাই না করে কোনও সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করতে নিষেধ করা হয়েছে।” 

    আরও পড়ুন: আফগান ছাত্রদের ভারতে পড়ার ছাড়পত্র দিতে আর্জি জানানোর পথে তালিবান 

    সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সামাজিক মাধ্যমে সরকারি আধিকারিকদের সমালোচনা করার অপরাধে বহু আফগান নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের ওপর শারীরিক অত্যাচারেরও অভিযোগ রয়েছে। তালিবানদের এই নির্দেশিকা সামনে আসায় ফের বিতর্ক শুরু হয়। 

    তালিবানদের সর্বোচ্চ নেতা আখুন্দজাদার এই নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, অপ্রয়োজনে প্রমাণ ছাড়া তালিবান সরকারের সমালোচনা করা কোনও ব্যক্তি যদি সেনাবাহিনীর জওয়ানদের গায়ে হাত দেয় অথবা তাদের জামাকাপড় ধরে টান দেয় বা তাদের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করে, তবে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। 

    প্রসঙ্গত, ন্যাশনাল রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট নামের একটি সংগঠন আফগানিস্তানে তালিবান সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। তারা একাধিকবার তালিবান সরকারের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে হত্যা এবং অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের অভিযোগ এনেছে।   

    কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতার অধ্যাপক বাইতুল্লা হামিদি ফেসবুকে লেখেন, “দেশের পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে। আতঙ্ক বাড়ছে দেশজুড়ে। এই পৃথিবীতে কেউই সমালোচনার ঊর্ধ্বে নয়।” 

    ২০২১ সালের ১৫ অগস্ট আসরফ ঘানি সরকারকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে আফগানিস্তান দখল করেছিল তালিবান। তালিবান দেশের ক্ষমতায় আসার পর সব থেকে বেশি আতঙ্কে ছিলেন সেদেশের মহিলারা। কারণ আগের তালিবান শাসন কালে মহিলাদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল তালিবান শাসকদের বিরুদ্ধে। মহিলাদের স্বাধীনতাই সব থেকে বেশি খর্ব হয়। 

  • Myanmar: ৩৪ বছরে এই প্রথম, মায়ানমারে ফাঁসি চার সমাজ কর্মীর

    Myanmar: ৩৪ বছরে এই প্রথম, মায়ানমারে ফাঁসি চার সমাজ কর্মীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩৪ বছরে এই প্রথম। সোমবার একসঙ্গে চারজনকে ফাঁসি (Executes) দিল মায়ানমার জুন্টা (Myanmar Military Government)। যাদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছে তাঁরা হলেন , ফিও জেয়া থাও ( Phyo Zeya Thaw), কো মিন উ (Kyaw Min Yu), হ্লা মায়ো অং, অং থুরা জাও। ফিও জেয়া থাও ছিলেন একজন সাংসদ, কো মিন উ ছিলেন লেখক। তাঁদের সঙ্গে হ্লা মায়ো অং এবং অং থুরা জাওকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এনারা ছিলেন সমাজকর্মী। গণতন্ত্রের পক্ষে সওয়াল করতেন তাঁরা। যদিও সেনার দাবি, খুন, সন্ত্রাসসহ একাশিক নৃশংস কাজে জড়িত ছিলেন এই চারজন।    
     
    এই চার জনের বিরুদ্ধে সেনা আদালত দেশের সরকারের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ এনেছিল। সেনা দাবি করে, এই চারজন ‘সন্ত্রাসবাদী’ কার্যকলাপে লিপ্ত ছিলেন। আদালতে সেই অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এই সাজা। সেনা আদালতের রুদ্ধদ্বার কক্ষে এই চার জনের বিচার হয়। বাইরের কোনও প্রতিনিধিকে সেখানে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এই চারজনের পরিবারের তরফ থেকে জুন্টা (Junta) সরকারের কাছে ক্ষমা প্রার্থনার আর্জি জানানো হয়েছিল। জুন্টা সরকার সেই আর্জি খারিজ করে দেয়। আন্তর্জাতিক মহল থেকেও মৃত্যুদণ্ড খারিজের অনুরোধ আসে। সিদ্ধান্তে অটল থাকে জুন্টা। 

    আরও পড়ুন: পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতেরই! জানুন কী বললেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী    

    মায়ানমারে সামরিক শাসন কায়েম হওয়ার পর থেকেই বার বার গণতন্ত্রের কন্ঠ রোধ করার অভিযোগ করেছে দেশের জনতাসহ বিভিন্ন মহল। যারাই সরকারের বিরুদ্ধে গিয়েছে তাদের বিভিন্ন রকম সাজা দেওয়া হয়েছে। এবার এই চারজনকে দেওয়া হল সর্বোচ্চ সাজা।

    আরও পড়ুন: বিশ্বাস ভেঙেছে কাছের লোক, পাকিস্তানে গণধর্ষণের শিকার মাকিন ভ্লগার  

    স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ফাঁসি দেওয়া হয়েছে ওই চার জনকে। কিন্তু ঠিক কোথায় ফাঁসি দেওয়া হয়েছে সেই বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। 

    জুনমাসে এই চারজনের মৃত্যু দণ্ডের সাজা ঘোষণা হওয়ার পরেই বিশ্বজুড়ে মায়ানমারের ব্যাপক সমালোচনা হয়। জুন্টা সরকার ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মায়ানমারের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতায় আসে। সেই সরকারের প্রধান ছিলেন অং সান সু চি। এই ঘটনার পরেই মায়ানমার জুড়ে শুরু হয় ব্যাপক বিক্ষোভ। 

    মায়ানমারের সাংসদ এবং সমাজ কর্মীদের ফাঁসি দেওয়ার আদেশের নিন্দা করেছে বহু আন্তর্জাতিক সংগঠন। সরকার বিরোধী সংগঠন এনইউজি জানিয়েছে, এই ঘটয়ায় তারা, ‘অত্যন্ত দুঃখিত ও মর্মাহত’।  

    রাষ্ট্রসংঘের মতে, ১৯৮৮ সালে শেষবার ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল মায়ানমারে। তারপর থেকে ফাঁসির কোনও ঘটনা ঘটেনি। কেটে গিয়েছে ৩৪ বছর। এতদিন পর এই প্রথম মায়ানমারে দেওয়া হল মৃত্যুদণ্ড। 

     

  • Polio in US: এক দশক পরে পোলিও আক্রান্তের হদিশ যুক্তরাষ্ট্রে 

    Polio in US: এক দশক পরে পোলিও আক্রান্তের হদিশ যুক্তরাষ্ট্রে 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় এক দশক পরে পোলিও (OPV) আক্রান্তের হদিশ মিলল আমেরিকায় (United States)।  নিউইয়র্কে সম্প্রতি এক পোলিও (Polio) রোগীর সন্ধান মিলেছে। নিউইয়র্কের (New York) রকল্যান্ড কাউন্টির (Rockland County) বাসিন্দা,  ২০ বছর বয়সী এক যুবকের শরীরে পোলিও ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়েছে ওই ব্যক্তির। দশ বছর আগে আমেরিকাকে পোলিও মুক্ত ঘোষণা করা হয়। এর পর এটিই প্রথম ঘটনা। আমেরিকায় ২০১৩ সালে শেষ পোলিও রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়।

    আরও পড়ুন: আতঙ্ক বাড়াচ্ছে মাঙ্কি পক্স, তৃতীয় আক্রান্তের হদিশ মিলল সেই কেরলেই 
     
    সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় একমাসে ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ওই যুবক। বিভিন্ন রকম পরীক্ষা নিরীক্ষা (Medical Checkup) করেও কোনও রোগ ধরা পড়ছিল না। শেষে বৃহস্পতিবার পোলিও-র পরীক্ষা করলে সেই রোগ ধরা পড়ে। রোগীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এবং তিনি পরিবারের সঙ্গে বাড়িতেই রয়েছেন। ব্যক্তি দাঁড়াতে পারলেও, হাঁটতে অসুবিধা হয় তাঁর।

    আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত মার্কিন রাষ্ট্রপতি, ভিডিও বার্তায় জানালেন নিজেই 
     
    এক বিশেষজ্ঞের মতে, পোলিও একটি ভাইরাসজনিত রোগ। এই ভাইরাস স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে। ফলে পেশী দুর্বলতার মতো সমস্যা দেখা দেয়। অনেক সময় মৃত্যুও হতে পারে। 

    মার্কিন স্বাস্থ্য দফতরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ৯৫ শতাংশ মানুষের পোলিওর কোনো উপসর্গ নেই। কিন্তু তাঁদের থেকে ভাইরাস ছড়াতে পারে। 

    টিকা নেওয়ার গাফিলতির কারণেই এই রোগ ফিরে আসছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই যারা এখনও টিকা নেন নি তাঁদের দ্রুত স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। 

    ১৯৮৮ সালের পর থেকে বিশ্বজুড়ে পোলিও-র প্রভাব কমতে শুরু করে। প্রায় ৯৯ শতাংশ কমে আসে আক্রানতের সংখ্যা। তারপরে ১২৫টি দেশে পোলিওকে এন্ডেমিক ঘোষণা করা হয়। তারপর থেকে বিশ্বজুড়ে এযাবৎ ৩.৫ লক্ষ পোলিও আক্রান্তের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। 

     

  • Sri Lanka crisis: : আমি রাজাপক্ষের বন্ধু নই, জনগণের বন্ধু, শপথ নিয়েই বললেন শ্রীলঙ্কার নয়া রাষ্ট্রপতি

    Sri Lanka crisis: : আমি রাজাপক্ষের বন্ধু নই, জনগণের বন্ধু, শপথ নিয়েই বললেন শ্রীলঙ্কার নয়া রাষ্ট্রপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমি রাজাপক্ষের (Rajapaksas) বন্ধু নই, জনগণের বন্ধু। শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) রাষ্ট্রপতি (President) পদে শপথ নিয়েই একথা বললেন রনিল বিক্রমসিংহে (Ranil Wickremesinghe)। দেশে যাঁরা সমস্যার সৃষ্টি করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দিলেন দ্বীপরাষ্ট্রের নয়া প্রেসিডেন্ট।

    চিনা ঋণের ফাঁদে পড়ে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে শ্রীলঙ্কা। বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ার তলানিতে। যার জেরে বন্ধ আমদানি। জ্বালানির অভাবে প্রতিদিন প্রায় ১৩ ঘণ্টা করে করতে হচ্ছে লোডশেডিং। দ্রব্যমূল্যও আকাশ ছোঁয়া। পাহাড় প্রমাণ সমস্যার সামনে দাঁড়িয়ে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ দেখায় ক্ষুব্ধ জনতা। এক সময় জনগণ গিয়ে দখল নিয়ে নেয় প্রেসিডেন্ট ভবন সহ নানা সরকারি অফিসের। জনরোষ আছড়ে পড়তে পারে ভেবে তার আগেই রাতের অন্ধকারে স্ত্রীকে নিয়ে শ্রীলঙ্কা ছেড়ে পালান প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি। মালদ্বীপ হয়ে আপাতত তিনি সিঙ্গাপুরে রয়েছেন বলে সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর।

    আরও পড়ুন : শ্রীলঙ্কায় বিপুল ভোটে রাষ্ট্রপতি পদে জয়ী রনিল বিক্রমসিংহে

    এদিকে, বুধবার শ্রীলঙ্কায় নয়া রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হয়। বিপুল ভোটে জয়ী হন দেশের ছ বারের প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহে। রাষ্ট্রপতি পদে শপথও নেন তিনি। তার পরেই রাষ্ট্রপতি ভবনের বাইরে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে উত্তেজিত জনতা। তারা গো ব্যাক রনিল স্লোগানও দিতে থাকে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, রনিল প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষের ঘনিষ্ঠ। প্রতিবাদীদের এহেন অভিযোগের ভিত্তিতে বিক্রমসিংহে বলেন, আমি রাজাপক্ষের বন্ধু নই, আমি জনগণের বন্ধু।

    আরও পড়ুন : শ্রীলঙ্কা ছেড়ে মালদ্বীপ পালালেন রাষ্ট্রপতি, দায়িত্বে রনিল বিক্রমসিংহে, জরুরি অবস্থা জারি

    এদিন শপথ নেওয়ার পরেই নয়া রাষ্ট্রপতি চলে যান কলম্বোর একটি বৌদ্ধ মন্দিরে। সেখানেই তিনি জানান, যাঁরা সমস্যার সৃষ্টি করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিক্রমসিংহে বলেন, যদি আপনারা সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করেন, রাষ্ট্রপতি ভবন, প্রধানমন্ত্রীর অফিস দখল করার চেষ্টা করেন, সেটা গণতন্ত্র নয়। এটা আইন বিরুদ্ধ। তিনি বলেন, এসবের বিরুদ্ধে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। অল্প কিছু লোক দেশের সিংহভাগ মানুষের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করে দেবে, সেটা আমরা মেনে নেব না।

    রাষ্ট্রপতি পদে শপথ নেওয়ার পর পুলিশ ও সেনাবাহিনীর কর্তাদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন নয়া রাষ্ট্রপতি। এদিকে, এদিনও ফের একবার শ্রীলঙ্কাবাসীর পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে ভারতের তরফে। ইতিমধ্যেই শ্রীলঙ্কার সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সে দেশের পাশে দাঁড়িয়েছে মোদির ভারত।

     

  • UK PM Election: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াইয়ের শেষ পর্যায়ে পৌঁছলেন ঋষি সুনক-লিজ ট্রাস  

    UK PM Election: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াইয়ের শেষ পর্যায়ে পৌঁছলেন ঋষি সুনক-লিজ ট্রাস  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে শেষ পর্বে পৌঁছলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাংসদ ঋষি সুনক (Rishi Sunak)। সঙ্গে তাঁর একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রিটেনের বিদেশ সচিব লিজ ট্রাস (Liz Truss)। মসনদ দখলের লড়াইয়ে সকলকে হারিয়ে শেষ দুইয়ে টিকে রয়েছেন তাঁরা। সামনে আর মাত্র একটা ধাপ। তারপরেই জানা যাবে কে হচ্ছেন ব্রিটেনে প্রধানমন্ত্রী (UK PM Election)।   

    প্রথম থেকেই সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়ে আসছেন ঋষি সুনক। এই অবধি তাঁর জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি। এর পরের ভোটাভুটি রাউন্ডেই ঠিক হয়ে যাবে কে হাসবেন শেষ হাসি। অনেকেই নিশ্চিত বরিস জনসনের ছেড়ে যাওয়া পদে বসবেন ঋষিই। যদি এমনটা হয়, তাহলে এই প্রথম কোনও অশ্বেতাঙ্গ, হিন্দু ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসবেন।

    আরও পড়ুন: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াইয়ে আরও একধাপ এগোলেন ঋষি  

    ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে শেষ তিনের লড়াই চলছিল। সেই জায়গা থেকে বুধবারের ভোটে ছিটকে যান পেনি মরডান্ট। তিনি ভোট পেয়েছিলেন ১০৫টি। ব্রিটেনের ট্রয়ের প্রতিনিধিদের তরফে শেষ ৫ ব্যালটে এগিয়ে ছিলেন ঋষি। আপাতত তাঁর একমাত্র প্রতিপক্ষ ট্রাসের পক্ষে ভোট রয়েছে ১১৩টি। ঋষির দখলে রয়েছে ১৩৭ টি ভোট।

      আরও পড়ুন: বিদায় বরিস! ব্রিটেনের হাল ভারতীয়ের হাতে?

    ঋষি সুনক কনজারভেটিভ পার্টির সাংসদদের মধ্যে ভোটের সব রাউন্ডে জিতেছেন। কিন্তু, ট্রাসকেই এখন পর্যন্ত সরকারি দলের ২ লক্ষ সদস্যের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় বলে মনে করছে আর এক মহল। 

    শেষ নির্বাচনে সদস্যরাই তাঁদের দলের নেতা বা নেত্রীকে বেছে নেবেন। একসপ্তাহ ধরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলবে ঋষি ও ট্রাসের মধ্যে। ৫ সেপ্টেম্বর হবে ফল ঘোষণা। 

    ঋষি সুনকের বয়স ৪২। ২০২০ সালে ফেব্রুয়ারিতে বরিস জনসনই (Boris Johnson) তাঁকে নির্বাচন করে অর্থমন্ত্রী করেন। অতিমারি চলাকালীন ব্যবসা এবং কর্মচারীদের সাহায্য করার জন্য কয়েক বিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের একটি বিশাল প্যাকেজ তৈরির পরে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন ঋষি। তিনি তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণমূর্তির জামাই। 

    স্ত্রীর নন-ডোমেস্টিক ট্যাক্স, নিজের ইউএস গ্রিন কার্ড এবং বিপুল সম্পত্তির কারণে মাঝে মাঝেই সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে ঋষিকে। কোভিড লকডাউন অমান্য করার জন্য এবং ডাউনিং স্ট্রিট সমাবেশে অংশ নেওয়ার জন্যও জরিমানা করা হয় তাঁকে। ঋষি সুনকের দাদু ঠাকুমা পঞ্জাবের বাসিন্দা ছিলেন। 

    দুর্নীতির দায় নিয়ে গত ৭ জুলাই পদত্যাগ করেন ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (Boris Johnson)। বরিস প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতেই ব্রিটেনের রাজনীতিতে ডামাডোল শুরু হয়।  

    এখন ঋষি বা ট্রাস বিজয়ী যেই হোন না কেন, তাঁকে গত কয়েক দশকের মধ্যে ব্রিটেনের সবথেকে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে। অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত ব্রিটেন। মুদ্রাস্ফীতি বার্ষিক ১১% ছুঁতে চলেছে। থমকে গিয়েছে বৃদ্ধি। শিল্প খানিকটা বেড়েছে। তবু ডলারের তুলনায় পাউন্ডের দর এখন সবচেয়ে কম। তাই প্রধানমন্ত্রীর পদে যেই আসুন না কেন, তাঁর জন্যে অপেক্ষা করছে এক কাঁটা বেছানো সিংহাসন। 

  • Indo china Border Talk: ভারত-চিনের দ্বিপাক্ষিক আলাপ আলোচনা চলবে, বিবৃতি দিয়ে জানাল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক 

    Indo china Border Talk: ভারত-চিনের দ্বিপাক্ষিক আলাপ আলোচনা চলবে, বিবৃতি দিয়ে জানাল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত (India) চিনের (China) দ্বিপাক্ষিক আলাপ আলোচনা চলবে। মিলিটারি এবং কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা চলবে বলেও জানানো হয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের (Defence Ministry) তরফে। রবিবারই হয়েছে ভারত ও চিনের কোর কমান্ডার স্তরের ১৬তম বৈঠক। বৈঠক হয়েছে চুশুল (Chushul) সীমান্তে। পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সংঘাত এড়াতেই হয়েছে আলোচনা।

    ১৭ জুলাইয়ের এই বৈঠকের আগে আরও ১৫ বার বৈঠকে বসেছে দুই দেশের সেনা। সেনা পর্যায়ের ওই বৈঠকগুলির পরেও পূর্ব লাদাখ সীমান্তে দুই দেশের বিবাদ সম্পূর্ণ মেটেনি। এবার স্থায়ী সমাধান খোঁজার লক্ষ্যেই দীর্ঘ বিরতির পর ফের মুখোমুখি হয়েছিল প্রতিবেশী এই দুই দেশ। ২০২০ সালের মে মাসে দুই দেশের বিবাদ শুরু হওয়ার পর থেকে শান্তি বজায় রাখার উদ্দেশ্যে নয়াদিল্লি-বেজিং বৈঠক হয়েছে একাধিকবার। তার পরেও সমস্যা মেটেনি। তাই হল ১৬তম বৈঠকটি। ২০২০ সালে গলওয়ানে ভারত এবং চিন সেনার সংঘর্ষের পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্ক গিয়ে ঠেকেছে তলানিতে। এর পর থেকেই দুই দেশের সীমান্ত বরাবর প্রচুর সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সম্প্রতি চিনা সামরিক বাহিনীর একটি যুদ্ধ বিমান ভারতীয় আকাশ সীমার খুব কাছে চলে এসেছিল। এরপরই এদিন ফের হল দুই দেশের এই সেনা কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক।

    আরও পড়ুন : মোদি-দলাই শুভেচ্ছা বিনিময়, ক্ষুব্ধ চিন, জবাব দিল ভারত

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ওয়েস্টার্ন সেক্টরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সমস্যার সমাধান করতেই চলতি বছরের ১১ মার্চ দুই দেশের বৈঠক হয়েছিল। সেই আলোচনাও হয়েছিল ইতিবাচক। এবারও আলোচনা হয়েছে খোলামেলা পরিবেশে। দুই দেশই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর শান্তি বজায় রাখতে দ্বিপাক্ষিক আলাপ আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে। ওয়েস্টার্ন সেক্টরে দু দেশই নিরাপত্তা বজায় রাখার ব্যাপারেও ঐক্যমত্যে পৌঁছেছে। বকেয়া সমস্যা সমাধানেও জারি থাকবে আলোচনা। সমস্যা সমাধানে দু দেশই দ্রুত গ্রহণযোগ্য প্রস্তাবও আনবে বাকি থাকা ইস্যুগুলি নিয়েও।

    আরও পড়ুন : সীমান্ত সমস্যা মেটাতে ১৬তম বৈঠকে ভারত, চিনের কমান্ডাররা

  • Sri Lanka Update:  মালদ্বীপ ছেড়ে সিঙ্গাপুর পালালেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া, মেলেনি আশ্রয়, যাবেন কোথায়? 

    Sri Lanka Update:  মালদ্বীপ ছেড়ে সিঙ্গাপুর পালালেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া, মেলেনি আশ্রয়, যাবেন কোথায়? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদ্বীপ (Maldives) ছেড়ে এবার সিঙ্গাপুর পালালেন শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে (Gotabaya Rajapaksa)। জনরোষ আঁচ করে আগেই দেশ ছেড়েছিলেন তিনি। এবার ছাড়লেন মালদ্বীপও। সিঙ্গাপুরের (Singapore) বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, সে দেশে প্রবেশে অনুমতি দেওয়া হয়েছে গোতাবায়াকে। তবে তাঁকে আশ্রয় দেওয়া হয়নি। ব্যক্তিগত সফরের জন্য সে দেশে গোতাবায়াকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আশ্রয় চাওয়ার জন্য কোনও আর্জি শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকেও করা হয়নি। সিঙ্গাপুরের তরফে তাঁকে আশ্রয়ও দেওয়া হয়নি।

    সূত্রের খবর, সৌদি এয়ারলাইন্সের বিমানে সিঙ্গাপুরে পৌঁছান গোতাবায়া। সেখানকার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাতটার পরে সিঙ্গাপুর চাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট। গোতাবায়াকে দেখে সিঙ্গাপুরে যাতে বিক্ষোভ প্রদর্শন না হয়, সে ব্যাপারে জনগণকে সতর্ক করে দিয়েছে সিঙ্গাপুর পুলিশ। তারা জানিয়ে দিয়েছে, অবৈধ জমায়েত করা হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    আরও পড়ুন : দেনার দায়ে জর্জরিত শ্রীলঙ্কার পাশে দাঁড়াল ভারত, স্বাগত জানালেন সনৎ জয়সূর্য

    এদিকে, এদিনই শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট পদে ইস্তফা দিয়েছেন গোতাবায়া। ই-মেইল মারফত তিনি তাঁর পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন পার্লামেন্টের স্পিকার মহিন্দা ইয়াপা আবেওয়ার্দেনাকে। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে অফিসিয়াল স্টেটমেন্ট দেওয়া হবে শুক্রবার। অন্যদিকে, গোতাবায়ার পদত্যাগের দাবিতে যাঁরা সোচ্চার হয়েছিলেন তাঁরাই ক্রমশ খালি করে দিচ্ছেন সরকারি বিভিন্ন অফিস। প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে দিন কয়েক আগে যাঁরা দখল নিয়েছিলেন সরকারি অফিসগুলি, সেগুলো বাঁচাতেই এবার সাঁটানো হয়েছে পোস্টারও। বিদ্রোহীরা জানান, প্রেসিডেন্টের বাসভবন সহ বিভিন্ন সরকারি বাসভবন থেকে তাঁরা সরে গিয়েছেন।

    আরও পড়ুন : রাজনৈতিক পটবদল, আগামী সপ্তাহেই নতুন রাষ্ট্রপতি পাবে শ্রীলঙ্কা

    অন্যদিকে, কলম্বোয় শুক্রবার পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে কারফিউয়ের মেয়াদ। তার পর থেকেই কলম্বোর রাস্তাঘাটে কমে গিয়েছে জনতার ভিড়। দিন কয়েক আগেও যেসব প্রতিবাদী কারফিউ উপেক্ষা করে ভিড় করছিলেন সরকারি বিভিন্ন ভবনের সামনে, এদিন তাঁরাই সরে গিয়েছেন নিজেরাই। সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে পোস্টার। লেখা হয়েছে, এটা সরকারি সম্পত্তি। একে রক্ষা করা আমাদের উচিত। বছর আঠাশের এক বিক্ষোভকারী শঙ্কা জয়শেকেরে বলেন, সরকারি অফিস দখলের প্রয়োজন আমাদের নেই। আমরা শুধু দেখাতে চেয়েছিলাম সরকারি ভবনের দখল নেওয়ার ক্ষমতা আমাদের রয়েছে। এটা একটা প্রতীকী বিক্ষোভ ছিল। সেই কারণেই বিভিন্ন সরকারি অফিস থেকে সরে যাচ্ছি আমরা। বছর তিরিশের আর এক প্রতিবাদী গেহান মেলরয় বলেন, আমরা জঙ্গি নই। আমরা কেবল লোকজনকে দেখাতে চেয়েছিলাম সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করতে আমরা এখানে আসিনি।

     

  • Sri Lanka Crisis: এবার প্রধানমন্ত্রীর অফিসের দখল নিলেন শ্রীলঙ্কাবাসী

    Sri Lanka Crisis: এবার প্রধানমন্ত্রীর অফিসের দখল নিলেন শ্রীলঙ্কাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কায় (Sri Lanka) প্রেসিডেন্টের (President) প্রাসাদ, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের পর এবার প্রধানমন্ত্রীর দফতরও (PM Office) দখল নিলেন বিক্ষোভকারীরা (Protesters)। তাদের হঠাতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, বুধবার কলম্বোয় প্রধানমন্ত্রীর দফতরের বাইরে অন্তত কয়েক হাজার মানুষ জড়ো হন। নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়েন তাঁরা। দাবি করেন প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ। 

    চিনা ঋণ নীতির ফাঁদে পড়ে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। দেশে বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার শূন্য। স্বাভাবিকভাবেই বন্ধ হয়ে পড়েছে জ্বালানি, সংবাদপত্র ছাপার কাগজ সহ আরও নানা জিনিসপত্রের আমদানি। হু হু করে বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম। জ্বালানির অভাবে প্রায় বন্ধ বিদ্যুৎ উৎপাদন। তার জেরে ফি দিন প্রায় ১৩ ঘণ্টা করে লোডশেডিং হচ্ছে দেশে। দেশের এহেন পরিস্থিতির জন্য প্রেসিডেন্টকেই দুষছেন দ্বীপরাষ্ট্রবাসী। জনরোষ আঁচ করে রাতের অন্ধকারে সপরিবারে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। তাঁর ভবনের দখল নিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। এদিন নিলেন প্রধানমন্ত্রীর দফতরও। এক টেলিভিশন বার্তায় প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রম সিংহে বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেনা ও পুলিশকে। যদিও নিরাপত্তা রক্ষীদের সামনেই প্রধানমন্ত্রীর ভবনের দখল নিয়েছে জনতা। তাদের কেউ কেউ হাতে তুলে নিয়েছে জাতীয় পতাকা, কেউ কেউ আবার সেটি ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করছে। পরে তুলছে ছবিও। বিদ্রোহীদের একাংশ জাতীয় টেলিভিশন স্টুডিওয়ও ঢুকে পড়েন।

    আরও পড়ুন : রাজনৈতিক পটবদল, আগামী সপ্তাহেই নতুন রাষ্ট্রপতি পাবে শ্রীলঙ্কা

    এদিকে, প্রেসিডেন্টের অনুপস্থিতিতে দেশের কার্যকরী প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহের হাতে। তাঁর নিজের অফিসের দখলও নিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভকারীদের হঠাতে ফাটানো হয়েছে কাঁদানে গ্যাসের সেল, ছোড়া হয়েছে জল কামান, দেশজুড়ে জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা। কোথাও কোথাও জারি করা হয়েছে কারফিউ। তার পরেও ছত্রভঙ্গ করা যায়নি বিক্ষোভকারীদের। কাঁদানে গ্যাসের ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে এক বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের এক নেতা কল্পনা মধুভাসানি বলেন, অবৈধ প্রধানমন্ত্রীর দ্বারা চাপিয়ে দেওয়া বেআইনি জরুরি অবস্থা আমরা মানি না। আমরা চাই গোতাবায়া এবং রনিল দুজনেই ভাগুক। জরুরি অবস্থা জারি করার প্রয়োজন ওঁদের নেই। তিনি বলেন, জনতাকে রক্ষা করতে দেশে জরুরি অবস্থা জারি হয়নি, শ্রীলঙ্কাবাসীকে দমন করতেই জারি হয়েছে এমার্জেন্সি।  

      আরও পড়ুন : দেনার দায়ে জর্জরিত শ্রীলঙ্কার পাশে দাঁড়াল ভারত, স্বাগত জানালেন সনৎ জয়সূর্য

  • Sri Lanka Crisis: শ্রীলঙ্কার সঙ্কটের জন্যে রাশিয়াকেই দায়ী করল যুক্তরাষ্ট্র, কেন? 

    Sri Lanka Crisis: শ্রীলঙ্কার সঙ্কটের জন্যে রাশিয়াকেই দায়ী করল যুক্তরাষ্ট্র, কেন? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কার সংকটের মূলে রাশিয়া (Russia)। এমনটাই দাবি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (United States) বিদেশমন্ত্রী (Foreign Minister) অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের (Antony Blinken)। তিনি মনে করেন, রাশিয়ার খাদ্য অবরোধই শ্রীলঙ্কার সমস্যার (Sri Lanka Crisis) মূল কারণ। ইউক্রেনের শস্য রফতানির ওপর রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞা শ্রীলঙ্কার অশান্তির আগুনে ঘি ঢেলেছে। এই খাদ্য অবরোধে অন্যান্য সংকট সৃষ্টি হতে পারে বলেও সতর্ক করেছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কা ছেড়ে পালালেন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া, নতুন ঠিকানা মালদ্বীপ

    অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন রোববার ব্যাংককে এক সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “আমরা এই রুশ আগ্রাসনের প্রভাব সর্বত্রই দেখতে পাচ্ছি। শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতির জন্য রুশ আগ্রাসন অনেকাংশেই দায়ী। আমরা সারাবিশ্বে এর প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন। রাশিয়াকে আরও অনুভূতিশীল হতে হবে।”

    তিনি বলেন, “বিশ্বে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রুশ আগ্রাসন সেই সমস্যার পালে আরও হাওয়া দিয়েছে। থাইল্যান্ডেও এর প্রভাব পড়ছে। এখানে রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে সারের দাম এখন আকাশচুম্বি।” 

    আরও পড়ুন: ভারত-শ্রীলঙ্কা সামুদ্রিক সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে তৎপর উপকূল রক্ষী বাহিনী 

    ব্লিঙ্কেন আরও বলেন, “সার বিশেষ করে থাইল্যান্ডের মতো একটি প্রাণবন্ত কৃষিকাজের দেশে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ সার সংকটের অর্থ হল পরের বছর ফলন কমে যাবে এবং নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়ে যাবে। একইভাবে বিশ্বব্যাপী কৃষি উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে রাশিয়ার আগ্রাসন। এতে বিশ্ববাসী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।” 

    খাদ্য ও জ্বালানির তীব্র ঘাটতির কারণে ভয়ঙ্কর সংকটের মুখে ভারতের প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কা। ভেঙে পড়েছে অর্থনীতি। গত শনিবার প্রতিবাদে রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষের (Gotabaya Rajapaksa) বাড়ির দখল নিয়েছেন দেশের জনতা। পদত্যাগ পত্রে সাক্ষর করেই প্রাণ ভয়ে দেশ ছেড়ে মালদ্বীপে পালিয়েছেন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া। দেশজুড়ে চরম অস্থিরতা। শ্রীলঙ্কার এই দুর্দশার জন্যে রাশিয়াকেই দায়ী করল যুক্তরাষ্ট্র।  

    দেশের এই ভয়ঙ্কর সংকটের মধ্যেই কিছুদিন আগেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) সঙ্গে কথা বলেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতির কোনও উন্নতি হয়নি। এরইমধ্যে গণবিক্ষোভের জেরে প্রেসিডেন্টের পালিয়ে যাওয়ার পর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে। পরিস্থিতি খারাপ জেনেও দুমাস আগেই প্রধানমন্ত্রী পদের দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি।  

     

LinkedIn
Share