Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Piyush Goyal: ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারত ৪৫ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারের অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে, পীযূষ গোয়েল 

    Piyush Goyal: ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারত ৪৫ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারের অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে, পীযূষ গোয়েল 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারত (India) ৩৫ থেকে ৪৫ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারের অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে। রবিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (US) সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে এ কথা বলেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল (Piyush Goyal)। তিনি জানান, কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রির (CII) হিসেবেই উঠে এসেছে এই তথ্য। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ব্যবসায়ীদের ভারতে বিনিয়োগের আহ্বানও জানান মন্ত্রী।

    এদিনের অনুষ্ঠানে ভারতের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী বলেন, গত কয়েক বছরে আমাদের দেশে গঠনগত ও কাঠামোগত কিছু পরিবর্তন হয়েছে। যার কারণে ভারত দ্রুত সমৃদ্ধ হচ্ছে। এর পরেই তিনি বলেন, কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রির হিসেবেই জানা গিয়েছে ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারত ৩৫ থেকে ৪৫ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলারের অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে। আমরা একটি উন্নতিশীল দেশ। এ দেশ তার প্রতিটি নাগরিকের প্রতি খেয়াল রাখে।

    দেশের জন্য তিনি যে গর্ব অনুভব করেন, এদিন তাও উঠে এসেছে পীযূষের গলায়। তিনি বলেন, বিশ্বের সব গণতন্ত্রের মা ভারতকে নিয়ে আমরা গর্বিত। আমাদের একটি সক্রিয় বিচার ব্যবস্থা আছে, আইনের শাসন আছে, সদা সতর্ক মিডিয়া আছে এবং স্বচ্ছ সরকারি ব্যবস্থা রয়েছে। ২০৪৭ সালে ভারত বিশ্ব অর্থনীতির পাওয়ার হাউস হিসেবে উঠে আসবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

    আরও পড়ুন : মোদির লক্ষ্য আত্মনির্ভর ভারত, আমেরিকার নেতৃত্বে ইন্দো-প্যাসিফিক বানিজ্যে না দিল্লির

    সাউথ ক্যালিফোর্নিয়ার ওই ব্যবসায়িক গোষ্ঠীকে ভারতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী। তিনি বলেন, ভারতকে একটি উন্নত জাতি হিসেবে গড়ে তোলার কাজ আমরা শুরু করেছি। আমাদের এই নয়া যাত্রায় শামিল হোন আপনারাও। এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ সময়। দেখুন, আগামী পঁচিশ বছরের মধ্যে ভারত কোথায় যায়। আগামী পঁচিশ বছর ভারতের অমৃতকাল বলেও মনে করেন গোয়েল। ভারতে বিশাল সুযোগ রয়েছে বলেও এদিন জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বলেন, ভারতে সুবিশাল জনসংখ্যার একটি সুবিধা রয়েছে। আমাদের রয়েছে যুব সম্প্রদায়, উচ্চাকাঙ্খী মানুষ। এটা একটা বিরাট সুযোগ। এই যুব সম্প্রদায়ের প্রত্যেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে গোটা বিশ্বের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। গোয়েল বলেন, এটাই ভারতে বিনিয়োগের সুবর্ণ সুযোগ। ভারতের এই নয়া যাত্রার শরিক হতে আমি আপনাদের সকলকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     

  • Iran Hijab Law: ‘ফেসিয়াল রিকগনিশন’-এর মাধ্যমে ইরানে চিহ্নিত করা হবে হিজাব উপেক্ষা করা মহিলাদের

    Iran Hijab Law: ‘ফেসিয়াল রিকগনিশন’-এর মাধ্যমে ইরানে চিহ্নিত করা হবে হিজাব উপেক্ষা করা মহিলাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহিলারা ঠিকমতো দেশের হিজাব আইন (Hijab Law) মানছেন কি না, তার ওপর নজরদারি চালাতে এবার প্রযুক্তির সাহায্য নিতে চলেছে ইরান (Iran) সরকার। যে সকল মহিলা এই আইন অমান্য করছেন, বিশেষ ধরনের ‘ফেসিয়াল রিকগনিশন’ (facial recognition) সফ্টওয়্যার দিয়ে তাঁদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থাগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তেহরান। 

    বেশ কিছুদিন ধরেই মহিলাদের পোশাকের ওপর কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করছে ইরান প্রশাসন। ইরানের ‘পুণ্য প্রচার ও পাপরোধ’ সংক্রান্ত দফতরর সচিব মহম্মদ সালেহ হাশমি গোলপায়েগানি জানান, প্রকাশ্যে মহিলারা ঠিকঠাক পোশাক পরছেন কিনা তার ওপর নজর রাখতেই এই বিশেষ নজরদারি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। 

    ১২ জুলাই দিনটিকে জাতীয় হিজাব ও পবিত্র দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে ইরান প্রশাসন। এরপরই, এর প্রতিবাদে সরব হয়েছেন সেদেশের মহিলারা। কখনও রাস্তায় তো কখনও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদে গর্জে উঠেছেন তাঁরা। একদিকে, প্রকাশ্যে আন্দোলনে সামিল হয়েছেন মহিলারা। তেমনই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে হিজাব খুলে ছবি তুলে #nohijabday বলে জোর প্রচার চলেছে। সেখানে তাঁরা হিজাব খুলে ছবি ও ভিডিও পোস্ট করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: শিখদের পাগড়ি কিংবা কৃপাণের সঙ্গে তুলনা চলে না হিজাবের, পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের

    এই ঘটনার প্রেক্ষিতে দেশজুড়ে প্রতিবাদীদের আটক করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে ইরান সরকার। নেদারল্যান্ডের টুয়েন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক আজাদেহ আকবরী জানান, ইরান সরকার দীর্ঘদিন ধরে আইন লঙ্ঘনকারী ব্যক্তিদের সনাক্ত করতে এই ফেস রিকগনিশন পদ্ধতির ব্যবহার করে আসছে। বর্তমানে সরকার এই পদ্ধতিটিকে ভিন্ন রূপে ব্যবহার করে স্বৈরতন্ত্রের পরিচয় দিচ্ছে।

    ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামিক বিপ্লবের পর থেকেই মহিলাদের মাথা ঢেকে রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ইরানের একটি সমাজসেবী সংগঠন হরানা দাবি করেছে, ইরানে হিজাব না পরায় ২৮ বছর বয়সি এক মহিলাকে বাসের সহযাত্রীর কাছে তিরস্কৃত হতে হয়েছিল। পরে পুলিশ ওই মহিলাকে গ্রেফতার করে মারধর করেছিল।

    আরও পড়ুন: রুদ্রাক্ষ বা ক্রসের সঙ্গে হিজাবের তুলনা চলে না! শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পোশাকবিধি নিয়ে মত সুপ্রিম কোর্টের

    লন্ডনের সোয়াস ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর ইরানিয়ান স্টাডিজের ইমেরিটাস অধ্যাপক অ্যানাবেলে স্রেবার্নি বলেছেন, ইরান ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে। মুদ্রাস্ফীতির হার প্রায় ৫০ শতাংশে পৌঁছে যেতে পারে। কিন্তু সরকার নারী অধিকারের ওপর জোর দিচ্ছে। তিনি আরও বলেছেন, সরকার দেশের আর্থিক সমস্যার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় থেকে নজর ঘোরাতেই এই বিষয়গুলিতে জোর দিচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Kohinoor: রানির মৃত্যুর পর কার দখলে কোহিনূর? আদৌ কি ভারত ফিরে পাবে তার ‘অমূল্য রত্ন’?

    Kohinoor: রানির মৃত্যুর পর কার দখলে কোহিনূর? আদৌ কি ভারত ফিরে পাবে তার ‘অমূল্য রত্ন’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেনের সিংহাসনে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে রাজত্ব করেছেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ (Queen Elizabeth)। প্রায় ৭০ বছর এই রানির পদে থেকেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার ৯৬ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছেন রানি৷ তাঁর মৃত্যুর পর এখন ব্রিটেনের সিংহাসনে বসবেন প্রিন্স চার্লস৷ রানির প্রায় সব সম্পত্তির মালিকই এখন তিনি। কিন্তু কোহিনুর কার কাছে যাবে সে দিকেই তাকিয়ে আছে ভারতসহ গোটা পৃথিবী। 

    এই বছরের শুরুতে রানি নিজেই ঘোষণা করেছিলেন ডাচেস অফ কনওয়েল (Duchess of Cornwall) ক্যামিলা  কুইন কনসর্ট হিসেবে পরিচিত হবেন৷ তাই ধরে নেওয়া হচ্ছে প্রিন্স চার্লসের স্ত্রী ক্যামিলাকে তাই এই কোহিনূর উত্তরাধিকার হিসেবে দেওয়া হতে পারে৷ নিজের ব্রিটিশ সিংহাসনে বসার ৭০ বছর পূর্তিতে কুইন এলিজাবেথ এই ঘোষণা করেছিলেন৷ যদিও এই অমূল্য হীরে পাওয়ার পথ এত সহজ নাও হতে পারে। অন্য পথেও হাঁটতে পারে ব্রিটেনের রাজ পরিবার। 

    আরও পড়ুন: তারার দেশে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ! শোকবার্তা মোদির

    রানি এলিজাবেথের মুকুটের অমূল্য হীরেটি ১০৫.৬ ক্যারেটের, ওজন ২১.৬ গ্রাম। ১১০০ থেকে ১৩০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুরের কাছে কল্লুর খনি থেকে পাওয়া গিয়েছিল এই হীরে। ১৩১০ সালে কাকোতীয় বংশের সঙ্গে বরঙ্গলের যুদ্ধে এই হীরে দখল করেন দিল্লির সুলতান আলাউদ্দিন খিলজি। পরে তা হাতবদল হয়ে আসে মুঘল দরবারে। ‘বাবরনামা’য় উল্লেখ রয়েছে, ১৫২৬ খ্রিস্টাব্দে পানিপথের যুদ্ধে তা বাবরের দখলে  আসে। সপ্তদশ শতকে মুঘল সম্রাট শাহজাহানের দরবারে ময়ূর সিংহাসনে শোভা পেত কোহিনুর। পার্সি ভাষায় ‘কোহিনূর’ শব্দের অর্থ ‘আলোর পর্বত’। ১৭৩২ সালে নাদির শাহ মুঘল সাম্রাজ্য আক্রমণ ও দিল্লি লুণ্ঠন করে ময়ূর সিংহাসনের সঙ্গে কোহিনুর হীরেটিকেও নিয়ে যান ইরানে। পরে দেহরক্ষীদের দ্বারা নিহত হন নাদির শাহ।

    নাদির শাহের পর আহমদ শাহ দুররানি কোহিনুর হস্তগত করেন। ১৮১৩ সালে দু্ররানি পাঞ্জাবের সিংহাসন হারলে তা ‘শের-ই-পঞ্জাব’ মহারাজা রঞ্জিত সিংহের হাতে আসে। তিনি নাকি এই বহুমূল্য হিরে তাঁর পাগড়িতে আটকে রাখতেন। রঞ্জিত সিংহের পর এই হীরের মালিকানা লাভ করেন নাবালক মহারাজা দলীপ সিংহ। শতাব্দীর পর শতাব্দী বিভিন্ন হাতে ঘুরেছে এই কোহিনূর৷ যখন ১৮৪৯ সালে পাঞ্জাবে ব্রিটিশ শাসন শুরু হয়৷ সেই সময় এই হীরে রানি ভিক্টোরিয়ার হাতে তুলে দেওয়া হয়৷ সেই থেকে এই রত্ন ব্রিটিশ ক্রাউন জুয়েলের (British Crown Jewels)  অংশ হয়ে যায়৷ কিন্তু এই হীরে নিয়ে বিবাদ আজও অব্যাহত। কুইন এলিজাবেথের জন্য প্ল্যাটিনাম ক্রাউনে এই হীরে বসানো হয়৷

    এক কালের ভারতের এই সম্পত্তির মায়া এখনও ছাড়তে পারেননি ভারতবাসী। একদিন ব্রিটেনের এই রাজপরিবার ভারতবর্ষ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছিল দুর্মূল্য কোহিনূর। কেটে গিয়েছে বহুদিন। বহুবার রাজ পরিবারে হাতবদল হয়েছে কোহিনূরের। কোহিনুরখচিত মুকুট এক মাথা থেকে আরেক মাথায় গিয়েছে। কিন্তু সেই হিরে আর ফিরে পায়নি ভারত। কিন্তু কোহিনূর পাওয়ার আশায় আজও বুক বেঁধে রয়েছে এই দেশ। কারণ কোহিনূর যে তাঁদের, এই দেশের। যদিও তত্ত্ব বলছে ভারত ছাড়াও আরও চার দেশের সঙ্গে জড়িত কোহিনূরের ইতিহাস। তবে ভারতের দাবিই সব থেকে বেশি। কারণ লিখিত ইতিহাসে কোহিনূরকে ভারতের সম্পত্তি বলেই দাবি করা হয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
  • Suella Braverman: ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র সচিবের পদে ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুয়েলা ব্রেভারম্যান, জানেন তিনি কে?

    Suella Braverman: ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র সচিবের পদে ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুয়েলা ব্রেভারম্যান, জানেন তিনি কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত (Indian Origin) ঋষি সুনক। তবে ব্রিটিশ প্রশাসনের একেবারে কোর এরিয়ায় চলে এসেছেন আর এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুয়েলা ব্রেভারম্যান (Suella Braverman)। বছর ৪২ এর অ্যাটর্নি জেনারেল সুয়েলা হয়েছেন ব্রিটেনের পরবর্তী স্বরাষ্ট্র সচিব (Home secretary)। লিজ টাসের ক্যাবিনেটে জায়গা পেয়েছেন তিনি। আগে এই পদে ছিলেন প্রীতি প্যাটেল।

    ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন লিজ টাস। তার পরেই গঠন করছেন নয়া মন্ত্রিসভা। মঙ্গলবার তিনি ভারতীয় বংশোদ্ভূত আইনজীবী সুয়েলা ব্রেভারম্যানকে তিনি ওই পদে নিয়োগ করেছেন। জনসনের আমলে ওই পদে ছিলেন আর এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রীতি প্যাটেল। বছর ৪২ এর সুয়েলা কনজার্ভেটিভ পার্টির সাংসদ। দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডের ফেয়ারহ্যাম কেন্দ্রের প্রতিনিধি তিনি। বরিসের প্রধানমন্ত্রিত্বের সময় তিনি কাজ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে।

    আরও পড়ুন : অশ্বেতাঙ্গ প্রধানমন্ত্রী মানতে পারল না ব্রিটেন! জানেন কেন হারতে হল ঋষিকে?

    ১৯৮০ সালের ৩ এপ্রিল জন্ম সুয়েলার। তাঁর মা হিন্দু তামিল পরিবারের মেয়ে, নাম উমা। বাবা খ্রিষ্টি ফার্নান্দেজ। কেনিয়া থেকে এসেছিলেন। ২০১৫ সালের মে মাসে কনজার্ভেটিভ পার্টির টিকিটে ফেয়ারহ্যাম থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন তিনি। পরে হন অ্যাটর্নি জেনারেল। পার্টগেট সহ একাধিক কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়ে পড়ায় বিদায় নিতে হয় বরিসকে। স্বাভাভিকভাবেই প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের। এই প্রধানমন্ত্রী পদের দৌড়ে শেষতক ছিলেন দুজন। একজন লিজ টেস, অন্যজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক। ব্যালটে ভোটাভুটি হলে সুয়েলা সমর্থন করেন লিজকে। ওই ভোটে জিতে প্রধানমন্ত্রী হন লিজ। তাঁকে সমর্থনের পুরস্কার লিজ দেন সুয়েলাকে। তাঁকে নিয়োগ করা হয় স্বরাষ্ট্র সচিব পদে। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন সুয়েলা। ২০১৮ সালে বিয়ে করেন রাইল ব্রেভারম্যানকে। সুয়েলা ব্রেভারম্যান বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। তিনি নিয়মিত লন্ডন বুদ্ধিস্ট সেন্টারে যান। শপথও নেন বুদ্ধের প্রবচন উচ্চারণ করে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Mobile app to detect Covid-19: এবার মোবাইল অ্যাপই বলে দেবে আপনি কোভিড আক্রান্ত কি না

    Mobile app to detect Covid-19: এবার মোবাইল অ্যাপই বলে দেবে আপনি কোভিড আক্রান্ত কি না

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমাদের জীবন থেকে দুটো বছর কেড়ে নিয়েছে করোনা (Coronavirus)। কোভিড মহামারীর দাপটে সমাজ জীবন, অর্থনীতি, শিক্ষা, জীবিকা সব ক্ষতিগ্রস্ত। মারণ ভাইরাসের দাপটে দিশেহারা জনজীবন। তবে এখন কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে করোনা। কিন্তু আতঙ্ক কমেনি। সামান্য উপসর্গ দেখলেই ভয় পেয়ে যাই আমরা। হাঁচি, কাশি, জ্বর ভাবি, কোভিড নয় তো! অনেকে ছুটি পরীক্ষা করাতে অনেকে আবার ভয়ে ভয়ে ঘরে বসেই চিন্তা করতে থাকি। তবে এখন আর চিন্তা নেই আপনার মোবাইল অ্যাপই বলে দেবে আপনি কোভিড আক্রান্ত কি না?

    আমজনতার সুবিধার্থে অনেক আগেই কোভিড শনাক্তকরণে চালু হয়েছে টেস্ট কিটের ব্যবহার। এবার মোবাইল অ্যাপেই করা যাবে কোভিড টেস্ট, এমনটাই দাবি করলেন নেদারল্যান্ডসের গবেষকেরা। সূত্রের খবর, নেদারল্যান্ডসের গবেষকরা দীর্ঘ গবেষনার মাধ্যমে একটি অ্যাপ তৈরি করেছেন। তাদের দাবি, মোবাইলে এই অ্যাপ থাকলে সহজেই করা যাবে কোভিড টেস্ট। প্রয়োজন পড়বে না লালারস পরীক্ষার। তাহলে কীভাবে হবে এই টেস্ট? গবেষকদের দাবি, ওই অ্যাপে গলার স্বরের মাধ্যমেই শনাক্ত করা যাবে কেউ করোনা আক্রান্ত কি না।

    আরও পড়ুন: মুখ থুবড়ে পড়েছে চিনের ‘জিরো কোভিড নীতি’, ফের লকডাউনে জিনপিং- এর দেশ

    বিশেষজ্ঞদের দাবি, অ্যান্টিজেন টেস্টের থেকেও এই পদ্ধতিতে করোনা পরীক্ষা  বেশি নিরাপদ। এর খরচও কম। সহজে হয়েও যায়। অর্থাৎ যে সকল দেশে RTPCR ও ব়্যাপিড টেস্ট খরচ সাপেক্ষ, সেখানকার জন্য অত্যন্ত ভাল এই অ্যাপ। গবেষক ওয়াফা আলিজাবি জানান, “করোনা ভোকাল কর্ড ও ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত করে। সেই কারণেই গবেষণা শুরু করা হয়েছিল যে যদি ভয়েসের মাধ্যমে চিনে নেওয়া যায় করোনা আক্রান্তকে।” 

    ২০১৯ সালের শেষ থেকে এই অ্যাপ নিয়ে গবেষণা শুরু হয়েছে। আলিজাবি বলেন,”পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে ৮৯ শতাংশ ক্ষেত্রে করোনা আক্রান্ত রোগীকে চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছে এই অ্যাপ। ৮৩ শতাংশ নির্ভুলভাবে করোনা নেগেটিভ রোগীকেও শনাক্ত করতে পেরেছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

     
  • Rishi Sunak: অশ্বেতাঙ্গ প্রধানমন্ত্রী মানতে পারল না ব্রিটেন! জানেন কেন হারতে হল ঋষিকে?

    Rishi Sunak: অশ্বেতাঙ্গ প্রধানমন্ত্রী মানতে পারল না ব্রিটেন! জানেন কেন হারতে হল ঋষিকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন্মাষ্টমীর দিনে রাধা-কৃষ্ণের আরাধনা করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। হিন্দু রীতি মেনে পুজোয় অংশ নিয়েছিলেন। আরতি করেছিলেন। মেনে নিতে পারেনি ‘রক্ষণশীল’ ব্রিটেন। যে দেশের মূল ধর্ম খ্রিস্টান সেখানে একজন হিন্দু নেতাকে দেশের সর্বোচ্চ পদে বসাতে হয়ত কুণ্ঠা বোধ করেছেন ব্রিটেনের শাসক রক্ষণশীল দলের নেতারা। তাই আশা জাগিয়েও ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী (Britain PM) পদে জিততে পারলেন না ঋষি সুনক (Rishi Sunak)। প্রথম থেকে জোরদার লড়াই করেও শেষ হাসি হাসতে পারলেন না ঋষি। কনজারভেটিভ দলের নেতারা ভরসা রাখলেন ব্রিটিশ নেত্রী লিজ ট্রাসের উপর।

    কনজারভেটিভ পার্টির (Tori) তরফে ভোটের ফল ঘোষণা করে জানানো হয় ২০ হাজারেরও বেশি ভোটে জিতেছেন লিজ। মোট বৈধ ভোটের মধ্যে লিজ পেয়েছেন ৮১ হাজার ৩২৬টি ভোট। সুনক ৬০ হাজার ৩৯৯টি। চূড়ান্ত রাউন্ডে ইনফোসিস প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তির জামাই ঋষির পরাজয়ের কারণ হিসেবে উঠে আসছে তাঁর ‘বর্ণ-পরিচয়ের’ কথাও। এখনও পর্যন্ত কোনও অশ্বেতাঙ্গ ব্রিটেনে প্রধানমন্ত্রী হননি। যে দেড় লক্ষাধিক কনজারভেটিভ সদস্যের ভোটে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছে, তাতে অশ্বেতাঙ্গ ভোটার নগণ্য। তিন শতাংশেরও কম।

    আরও পড়ুন: অবাক কাণ্ড! লন্ডন থেকে চুরি হওয়া গাড়ি পৌঁছে গেল পাকিস্তানের করাচিতে! ভাইরাল ভিডিও

    রাজনৈতিক মহল মনে করছে ঋষির হারের পিছনে স্ত্রী অক্ষতার ভূমিকাও রয়েছে। একদিকে বিপুল সম্পত্তি, তো অন্যদিকে আয়কর ফাঁকি, আবার রাশিয়ার সঙ্গে বিশেষ সম্পর্কের জেরে তদন্তের আওতায় চলে আসেন পেশায় ফ্যাশন ডিজাইনার অক্ষতা। পেশার কারণে অন্যান্য দেশ থেকে ব্রিটেনে আসা নাগরিকদের বিশেষ কর দিতে হয়। সুনকের স্ত্রীর বিরুদ্ধে সেই কর ফাঁকির অভিযোগ রয়েছে। তিনি নাকি প্রভাব খাটিয়ে সেই করের আওতার বাইরে চলে আসেন। বলা হয়ে থাকে, অক্ষতার সম্পত্তি নাকি ব্রিটেনের রানি এলিজাবেথের চেয়েও বেশি। একদা ভারতে সাম্রাজ্য বিস্তারকারী ব্রিটেনবাসী এ সত্য মেনে নিতে পারে না। কোনও ভারতীয় তাঁদের থেকে বড় হতে পারেন হয়ত বা এই কথা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়েছিল রক্ষণশীল দলের সদস্যদের। তাই প্রথম থেকে এগিয়ে থেকেও মাইলস্টোন ছোঁয়া হল না ঋষির।

    তা ছাড়া একদা জনসন অনুগামী ঋষি যে ভাবে পরবর্তী কালে প্রকাশ্যে তাঁর বিরোধিতা করে ইস্তফা দিয়েছিলেন, ভোটে তারও প্রভাব পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সাধারণ টোরি সদস্যদের বড় অংশই জনসন অনুগামী। তাঁদের একচেটিয়া ভোট পেয়েছেন লিজ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • China Exploits Iraq: শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানের পর এবার ইরাকের ওপর নজর চিনের? 

    China Exploits Iraq: শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানের পর এবার ইরাকের ওপর নজর চিনের? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কাকে (Sri Lanka) দেউলিয়া করেছে। ডুবিয়েছে পাকিস্তানের (Pakistan) অর্থনীতিকেও। এবার চিনের শ্যেনদৃষ্টি পড়ছে ইরাকের (Iraq) দিকে। প্রাকৃতিক তেলে সমৃদ্ধ ইরাক। এবার সেই দেশের তৈলক্ষেত্রের দখল নিতে মরিয়া ড্রাগনের দেশ।

    ঋণের ফাঁদে ফেলে চিন সর্বস্বান্ত করেছে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কাকে। হাঁড়ির হাল করে ছেড়েছে সে দেশের অর্থনীতির। একই অবস্থা পাকিস্তানের ক্ষেত্রেও। শাহবাজ শরিফের দেশের অর্থনীতির হালও করুণ। এ সবের জন্য এই দুই দেশের রাজনীতিকদের একটা বড় অংশ দুষছে চিনকে। কেবল শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান নয়, ছোট অর্থনীতির দেশগুলির দিকেই নজর রয়েছে চিনের। যেনতেন প্রকারে সে দেশের অর্থনীতির মধ্যে একবার ঢুকতে পারলেই কেল্লাফতে। সর্বস্বান্ত করে ছাড়বে সেই দেশকে।

    বছর কয়েক আগে ওয়েস্ট এশিয়ান কানট্রি থেকে বাহিনী সরিয়ে নিয়েছে আমেরিকা। ইরাক থেকেও সেনা সরিয়ে নিয়েছে জো বাইডেনের দেশ। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ইরাকে থাবা বসাতে চাইছে শি জিন পিংয়ের দেশ। ইরাকে তেলের ওপর চিনের ক্রমবর্ধমান নিয়ন্ত্রণ এই মুহূর্তে মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে পদ্ধতিতে চিন ছোট অর্থনীতির দেশগুলিকে কবজা করেছে, এবার সেই একই পদ্ধতিতে লাল ফৌজের দেশ হস্তগত করতে চাইছে ইরাকের তৈলক্ষেত্রগুলি। প্রায় দু দশক আগে ২০০৩ সালে ইরাক আক্রমণ করে আমেরিকা। সাদ্দাম হুসেন জমানার হাত থেকে ইরাকিদের মুক্তি দেন আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট। সাদ্দাম জমানার পতনের পর আমেরিকা সরে যেতেই একটু একটু করে ইরাকের তৈলক্ষেত্র কবজা করার চেষ্টা করছে চিন।

    আরও পড়ুন : ভারত-চিন সম্পর্ক কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, স্পষ্ট করলেন জয়শঙ্কর

    ইরাকের তৈলক্ষেত্র হস্তগত করতে চেষ্টার কম কসুর করেনি ড্রাগনের দেশ। তবে এখনও অবধি প্রতিবারই ব্যর্থ হয়েছে শি জিন পিংয়ের দেশের সেই চেষ্টা। বাধ সেধেছেন ইরাকের তৈলমন্ত্রী স্বয়ং। রাশিয়ার লুকোইল এবং ইউএস ওয়েল জায়েন্ট এক্সন মোবিল চিনের কোনও সংস্থাকে তার শেয়ার বেচতে চেয়েছিল। তাতে জল ঢেলে দেন ইরাকের তৈল মন্ত্রী। পুরো পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে আমেরিকা, ইরান এবং তুরস্কও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • US Pilot Threatens: ওয়ালমার্ট ওড়ানোর হুমকি বিমান চালকের! আমেরিকায় ফিরল ৯/ ১১-র স্মৃতি

    US Pilot Threatens: ওয়ালমার্ট ওড়ানোর হুমকি বিমান চালকের! আমেরিকায় ফিরল ৯/ ১১-র স্মৃতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাঝ আকাশে চক্কর কাটছে বিমান (Plane)। ক্রমাগত হুমকি আসছে স্থানীয় বিপণন সংস্থা ওয়ালমার্ট (Walmart) উড়িয়ে দেওয়ার। হুমকি দিচ্ছেন খোদ পাইলট (Pilot)। সঙ্গে সঙ্গে প্রস্তুত হয়ে যায় পুলিশ-প্রশাসন। নামানো হয় বিমানটিকে। গ্রেফতার করা হয় বিমান চালককে। আমেরিকার (US) মিসিসিপির (Mississippi) ঘটনায় ফের ফিরল ৯/ ১১ (9/11) দুঃসহ স্মৃতি।

    স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, যে বিমানটির চালক হুমকি দিচ্ছিল, সেটি বিচক্র্যাফ্ট কিং এয়ার সি ৯০ এ। বিমানটি চুরি করা হয়েছিল। এই বিমানটির চালকই হুমকি দিচ্ছিলেন। পরে প্রশাসনিক তৎপরতায় নিরাপদেই অবতরণ করে বিমানটি। গভর্নর টেট রিভস (Tate Reeves) ট্যুইট বার্তায় জানান, পরিস্থিতি আয়ত্তে। কেউ জখম হননি। বিমানটিকে নিরাপদে অবরতরণ করানোয় পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, বিমানটির চালক ছিলেন কোরি প্যাটারসন। তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রকাশ করা হয়েছে তাঁর মুখের ছবিও। জানা গিয়েছে, শনিবার ভোরে টুপেলো শহরের ওপর ক্রমাগত চক্কর কাটছিল বিমানটি। শেষমেশ স্থানীয় সময় ১১টা ২৫ মিনিট নাগাদ বিমানটিকে নামানো হয়।

    একটি সংবাদ সংস্থার তরফে বিমানটির একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, একটি বিমান খুব নিচু এলাকা দিয়ে বারবার চক্কর কাটছে। সকাল পাঁচটায় চক্কর কাটতে শুরু করেছিল বিমানটি। তিন ঘণ্টারও বেশি সময় সেটি চক্কর কেটেছে ওই এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, পাইলট কোনওভাবে ৯১১ অপারেটেরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তার পরেই ওয়েস্ট মেইন অঞ্চলের ওয়ালমার্ট উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকেন তিনি। এর পরেই তৎপর হয়ে ওঠে পুলিশ। দ্রুত খালি করে দেওয়া হয় ওয়ালমার্ট। আশপাশ এলাকার বহুতলগুলির বাসিন্দাদের বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়। তার পরেই নামানো হয় বিমানটি। গ্রেফতার করা হয় বিমান চালককে।

    আরও পড়ুন : আগ্রহী খোদ আমেরিকা, ন্যাটোর অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে মোদির দেশ?

    এদিনের ঘটনা জেরে ফের একবার উসকে উঠেছে ৯/১১র স্মৃতি। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকালে আমেরিকার ওপর আত্মঘাতী হামলা চালায় আল কায়েদার চারটি বিমান। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ২ হাজার ৯৯৭ জনের। জখম হয়েছিলেন ছ হাজারেরও বেশি মানুষ। ক্ষয়ক্ষতি হয় প্রচুর সম্পদের। এদিন বিমানটি নিরাপদে অবরতণ করা হলে হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন স্থানীয়রা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Sheikh Hasina: ভারত সফর শুরুর আগেই মোদির ভূয়সী প্রশংসা হাসিনার গলায়, কেন জানেন?

    Sheikh Hasina: ভারত সফর শুরুর আগেই মোদির ভূয়সী প্রশংসা হাসিনার গলায়, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) ভূয়সী প্রশংসা করলেন বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (PM Hasina)। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia Ukraine War) শুরুর দিকে ভারত যেভাবে তাঁর দেশের পড়ুয়াদেরও উদ্ধার করেছে, তারও প্রশংসা শোনা গিয়েছে হাসিনার গলায়।

    ৫ অগাস্ট, সোমবার মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন হাসিনা। তার আগে সংবাদ সংস্থা এএনআইকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মোদির প্রশংসা করেন হাসিনা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর সময় বিশেষ বিমান পাঠিয়ে ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারত ও বাংলাদেশের পড়ুয়াদের দেশে ফিরিয়েছিলেন মোদি। এদিন তার প্রশংসা করার পাশাপাশি কোভিড মোকাবিলায় ভারতের অবদানের কথাও শোনা গিয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মুখে। প্রসঙ্গত, কোভিডের সময় ভ্যাকসিন মৈত্রী প্রোগ্রামের অধীনে বাংলাদেশে টিকা পাঠিয়েছিল ভারত।

    ভারত বাংলাদেশ এই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের বন্ধন আরও দৃঢ় হওয়া প্রয়োজন বলেও মনে করেন হাসিনা। তিনি বলেন, মতানৈক্য থাকতেই পারে, তবে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে তা মিটিয়ে নিতে হবে। এভাবে যে অনেক সমস্যার সমাধান হয়েছে, তাও মনে করিয়ে দেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। হাসিনা বলেন, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের সময় প্রধানমন্ত্রী যেভাবে তাঁদের দেশের পড়ুয়াদের পাশাপাশি আমাদের দেশের পড়ুয়াদেরও দেশে ফিরিয়ে এনেছেন, সেজন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানাই। প্রকৃতই আপনি বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এর পরেই কোভিড ভ্যাকসিনের প্রসঙ্গ তোলেন হাসিনা। তাঁর দেশে ৯০ শতাংশ টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে বলেও জানান তিনি। ভারত যে তাঁদের প্রকৃত বন্ধু, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন তিনি। বলেন, ভারতকে যেদিন বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল, সেই সময়ই ভারত আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। প্রথম ১৯৭১ সালে। তার পর আরও অনেকবার।

    আরও পড়ুন : ভয়াল বন্যায় বিপর্যস্ত পাকিস্তান, মৃত্যু হাজার পার, সমবেদনা জানালেন মোদি

    বাংলাদেশ যে ধর্মনিরপেক্ষ দেশ, এদিন তাও জানান হাসিনা। বলেন, আমরা যতদিন ক্ষমতায় রয়েছি, ততদিন ধর্মনিরপেক্ষতার ওপর জোর দিয়েছি। সংখ্যালঘুদের বলেছি, আপনারাও দেশের নাগরিক। তবে বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ঘটে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থাও নিই। তবে এই অনাকাঙ্খিত ঘটনা কেবল বাংলাদেশে নয়, ভারতেও ঘটে। প্রসঙ্গত, চারদিনের ভারত সফরে আসছেন হাসিনা। দ্বিপাক্ষিক নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা দুই দেশের দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে। প্রতিরক্ষামূলক সহযোগিতা এবং আঞ্চলিক স্থিতাবস্থা নিয়েও আলোচনা হতে পারে মোদি-হাসিনার মধ্যে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sri Lanka: শ্রীলঙ্কা ফিরলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া, কেমন সংবর্ধনা পেলেন জানেন?

    Sri Lanka: শ্রীলঙ্কা ফিরলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া, কেমন সংবর্ধনা পেলেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় সাত সপ্তাহ পরে শুক্রবার দেশে ফিরলেন শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষ (Gotabaya Rajapaksa)। দেউলিয়া অর্থনীতির জেরে প্রেসিডেন্ট (President) বদলের দাবিতে যখন উত্তাল হয়ে উঠেছিল দ্বীপরাষ্ট্র, তখনই রাতের অন্ধকারে শ্রীলঙ্কা ছেড়েছিলেন গোতাবায়া। ফিরলেন প্রায় দু মাস বাদে। এদিন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফুলের মালা পরিয়ে তাঁকে স্বাগত জানান মন্ত্রী এবং রাজনীতিকরা। সরকারি এক আধিকারিক বলেন, বিমান থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে সরকার পক্ষের রাজনীতিকরা ফুলের মালা পরিয়ে স্বাগত জানান দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিকে (Former President)।

    দেশের অর্থনীতির হাঁড়ির হাল। বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ার তলানিতে। এমতাবস্থায় দেশকে দেউলিয়া ঘোষণা করেছিলেন দ্বীপরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষ। এর পরে খেপে যায় জনতা। রাজাপক্ষ গো ব্যাক ধ্বনিতে মুখরিত হয় শ্রীলঙ্কার আকাশ বাতাস। হাজারেরও বেশি বিক্ষোভকারী ঘিরে ধরে রাজাপক্ষের পৈত্রিক ভিটে। লাগিয়ে দেওয়া হয় আগুন। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটায় দ্বীপরাষ্ট্রের পুলিশ। এর পরেই জুলাই মাসের মাঝামাঝি সেনা পরিবৃত হয়ে রাতের অন্ধকারে দেশ ছাড়েন রাজাপক্ষ। জানা গিয়েছিল, সেনা বিমানে চড়ে রাজাপক্ষ চলে গিয়েছিলেন সিঙ্গাপুর। পরে সেখান থেকে উড়ে যান থাইল্যান্ড। সিঙ্গাপুর থেকেই তিনি তাঁর ইস্তফাপত্রটি প্রেরণ করেন। শুক্রবার ফিরলেন থাইল্যান্ড থেকেই। রাজাপক্ষ প্রেসিডেন্ট পদে ইস্তফা দেওয়ার পর শ্রীলঙ্কার সংসদে হয় ভোটাভুটি। সেখানে জিতে রাষ্ট্রপতি পদে বসেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ রনিল বিক্রমসিংহে। সূত্রের খবর, তাঁকেই দেশে ফেরানোর আবেদন করেন রাজাপক্ষ।

    আরও পড়ুন : শ্রীলঙ্কা ছেড়ে গেল চিনা ‘গুপ্তচর’ জাহাজ, হাঁফ ছাড়ল ভারতও

    এদিন ব্যাংকক ভায়া সিঙ্গাপুরের একটি বাণিজ্যিক বিমানে চড়ে দেশে ফেরেন বছর তিয়াত্তরের রাজাপক্ষ। গত ৫২ দিন ধরে তিনি ছিলেন স্বেচ্ছা নির্বাসনে। তার পর এদিন এলেন প্রকাশ্যে। রাজাপক্ষের পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়ায় বর্তমান রাষ্ট্রপতি বিক্রম সিংহকে দুষছেন বিরোধী দলের রাজনীতিকরা। যদিও শ্রীলঙ্কার সংবিধানই নিশ্চিত করে দেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট কয়েকজন দেহরক্ষী, একটি গাড়ি এবং বাড়ি পাবেন। সেই মোতাবেকই প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষ, তাঁর দাদা প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা এই সুবিধা পাচ্ছেন বলে সূত্রের খবর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share