Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Twitter on Elon Mask: চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত ‘অবৈধ’, ইলন মাস্কের ওপর ক্ষুব্ধ ট্যুইটার

    Twitter on Elon Mask: চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত ‘অবৈধ’, ইলন মাস্কের ওপর ক্ষুব্ধ ট্যুইটার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় ৪,৪০০ কোটি মার্কিন ডলার দিয়ে মাইক্রো ব্লগিং সাইট ট্যুইটার (Twitter) কেনার কথা ছিল টেসলার (Tesla) মালিক ইলন মাস্কের (Elon Mask)। কিন্তু সেই চুক্তি (Agreement) বাতিল করেছেন বিশ্বের এই ধনীতম ব্যবসায়ী। ধনকুবেরের অভিযোগ, ভুয়ো ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট নিয়ে তাঁকে কোনও তথ্য দেখাতে পারেনি ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ। তাই ট্যুইটার কেনার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন ইলন মাস্ক।

      আরও পড়ুন: “‘ট্যুইটার কিনেছেন এবার…”, ইলন মাস্ককে কোন পরামর্শ দিলেন আদর পুনাওয়ালা?

    গত ২৫ এপ্রিল ট্যুইটারের মালিকানা পান ইলন। প্রায় ৪,৪০০ কোটি মার্কিন ডলারে এই সংস্থাটি কেনেন তিনি। সংস্থাটি কেনার জন্য ব্যাঙ্ক থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণও নেন। ঋণ পরিশোধ করতে শেষ পর্যন্ত কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটারও আভাস দিয়েছিলেন তিনি। এমনকি, খরচ কমানোর জন্যে সংস্থার কিছু উচ্চপদস্থ কর্মীর বেতন কমানোও হতে পারে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আদতে বানচাল হয় সব পরিকল্পনা। 

    আরও পড়ুন: ভুয়ো অ্যাকাউন্টের জের! ট্যুইটার কেনা আপাতত স্থগিত, জানালেন ইলন মাস্ক

    ইলন মাস্কের আইনজীবী জানান, ট্যুইটারকে তাদের প্ল্যাটফর্মে জাল বা স্প্যাম অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়ে একাধিক অনুরোধ করা সত্ত্বেও তারা কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। তাই এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছেন তাঁর মক্কেল। 

    ইলন মাস্কের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ। সংস্থার চেয়ারম্যান ব্রেট টেইলো জানান, এ ব্যাপারে তাঁরা আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন। অর্থাৎ, এর ফলে আমেরিকার ধনকুবের এবং সান ফ্রান্সিসকোর সংস্থার মধ্যে দীর্ঘ আইনি লড়াই শুধু সময়ের অপেক্ষা।  

    ট্যুইটার অভিযোগ করে, ইলন মাস্ক ইচ্ছাকৃত চুক্তি বাতিল করেছেন। ট্যুইটারের তরফ থেকে ধনকুবেরকে কোনও রকম অসহযোগীতা করা হয়নি। 

    ট্যুইটারের তরফ থেকে একটি  চিঠিতে বলা হয়েছে, “ইলন মাস্কের চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত ভুল এবং অবৈধ। নিয়ম মেনে চুক্তি বাতিল করা হয়নি। ব্যাঙ্কের ঋণ প্রতিশ্রুতি পত্র এবং ইক্যুইটি প্রতিশ্রুতি পত্র কার্যকর থাকবে। মাস্ক এবং তাঁর সহকারী সংস্থাগুলি যেন তা মেনে চলে।”  

     

  • Russia: বাহিনীর সংখ্যায় টান, ইউক্রেনে ‘ভাড়াটে সেনা’ পাঠাচ্ছে রাশিয়া?

    Russia: বাহিনীর সংখ্যায় টান, ইউক্রেনে ‘ভাড়াটে সেনা’ পাঠাচ্ছে রাশিয়া?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাড়াটে সৈন্য (Mercenaries) দিয়ে ইউক্রেনে (Ukraine) যুদ্ধ করাচ্ছে রাশিয়া (Russia)। শুক্রবার এমনই বিস্ফোরক দাবি করল যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষমন্ত্রক (UK Defence Ministry)। মন্ত্রকের দাবি পাঁচ মাসের এই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে দেশের বহু সৈন্য হারিয়েছে পুতিন সরকার। সৈন্যের ঘাটতি পড়েছে সে দেশে। তাই টাকার বিনিময়ে বহাল করা সেনা দিয়েই যুদ্ধ চালাতে হচ্ছে রাশিয়াকে।  

    ওয়াগনার গ্রুপের (Wagner Group) সরকারি সৈন্যদের থেকে ভাড়াটে সৈন্যদের প্রতি বেশি বিশ্বস্ততা দেখাচ্ছে পুতিন সরকার। তাদেরকেই রাখা হচ্ছে সামনের সারিতে। টানা যুদ্ধ যে অনেকটাই মনোবল ভেঙে দিয়েছে রাশিয়ার এ তার বড় প্রমাণ। 

    আরও পড়ুন: ক্ষণিকের স্বস্তি, খাদ্য শস্য রফতানির বিষয়ে সমঝোতা রাশিয়া-ইউক্রেনের
     
    যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বক্তব্য, এই ভাড়াটে সৈন্যরা সরকারি সৈন্যদের ঘাটতি পূরণ করতে ব্যর্থ। আর সেকারণেই ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়া খুব বেশি আক্রমণাত্মক হতে পারছে না। 

    ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দাবি, ২০১৫ সাল থেকেই রাশিয়া এই ভাড়াটে সৈন্য নিয়োগ করা শুরু করেছিল। 

    কিভের আধিকারিকরা বুধবার জানিয়েছেন, দক্ষিণে রুশ সেনাদের ফের ঘাঁটি গাড়তে দেখা গিয়েছে। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রকের বিশ্বাস, যে রাশিয়ার ৪৯ তম সেনাবাহিনী ডিনিপ্রো নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থান করছে। এই রুশ সেনাবাহিনী দুর্বল।  

    কিছুদিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ দাবি করেছে পাঁচ মাসের এই টানা যুদ্ধে রাশিয়ার ১৫০০০ সেনা নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন ৪৫ হাজারেরও বেশি সৈন্য। রাশিয়ার জন্যে যা বিরাট ক্ষতি। আর এতে সরকারি সৈন্যদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। যুদ্ধে আসতে চাইছেন না সেনাকর্মীরা। আর তাতেই ভাড়া করা সৈন্যতেই আস্থা রাখতে হচ্ছে রাশিয়াকে।

    আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধে নিহত ১৫ হাজার রুশ সেনা, বিস্ফোরক দাবি সিএইএ-র

    এছাড়া ভাড়াটে সেনা যুদ্ধে প্রাণ হারালে তার দায়ও নিতে হচ্ছে না পুতিন সরকারকে। কিন্তু সরকারি সেনা প্রাণ হারালে বা আহত হলে সমস্ত আর্থিক দায় বহন করতে হয় যেকোনও দেশকে। আর এটাও ভাড়াটে সেনাকে সামনের সারিতে রেখে, সরকারি সেনাকে পিছনে রাখার অন্যতম কারণ বলে মনে করছে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রক। 

    সম্প্রতি ইউক্রেনে অভিযানের ক্ষেত্র বাড়ানোর কথা জানিয়েছে মস্কো। রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বুধবার বলেন, ইউক্রেনে মস্কো যে বিশেষ সামরিক অভিযান চালাচ্ছে, তার ভৌগলিক পরিসর বাড়ানো হয়েছে। এখন আর শুধু পূর্ব ডনবাস অঞ্চলই নয়,  ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের খেরসন, জাপোরিঝিয়াসহ আরও কিছু অঞ্চলকে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। কিন্তু ব্রিটিশ বিদেশমন্ত্রকের বক্তব্য এই অবস্থায় এখনই সেই পথে হাঁটতে পারবে না রুশ বাহিনী। 

     

     

  • Sri Lanka Crisis: শ্রীলঙ্কায় গণবিদ্রোহ, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে আগুন, রাষ্ট্রপতির বাড়ির দখল নিল জনতা 

    Sri Lanka Crisis: শ্রীলঙ্কায় গণবিদ্রোহ, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে আগুন, রাষ্ট্রপতির বাড়ির দখল নিল জনতা 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল শ্রীলঙ্কা। স্বাধীনতার পর সবথেকে খারাপ অর্থনৈতিক মন্দার (Sri Lanka Crisis) সম্মুখীন হয়েছে এই দেশ। ভারতের এই প্রতিবেশী রাষ্ট্রে জ্বালানি, বিদ্যুৎ, ও খাবারের বিরাট ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এমনকী ওষুধ সরবরাহও ব্যহত হচ্ছে। খাবার পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। এক কথায় দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে শ্রীলঙ্কা। প্রেসিডেন্টে গোটাবায়া রাজাপক্ষের (Gotabaya Rajapaksa) পদত্যাগের দাবিতে রাষ্ট্রপতির বাড়িতে হানা দিল দেশের জনতা। প্রাণের ভয়ে কলম্বোর বাসভবন ছেড়ে পালিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রাজাপক্ষ। একই সঙ্গে শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে সরব হয়েছেন রাজাপক্ষের দলেরই ১৬ সাংসদ। প্রতিবাদে পথে নেমেছেন শ্রীলঙ্কার দুই প্রাক্তন ক্রিকেটার সনৎ জয়সূর্য (Sanath Jayasuriya) ও রোশন মহানামা (Roshan Mahanama)। 

    আরও পড়ুন: “কঠিন সময়ে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ”, ভারতের প্রশংসায় শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী  
      
    শনিবার দুপুরে এক নজির বিহীন প্রতিবাদের সাক্ষী হল গোটা বিশ্ব। আজ দুপুরে রাষ্ট্রপতি ভবনের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই রাজাপক্ষের বাসভবনের দখল নেয় বিক্ষোভকারীরা। এমনকি রাষ্ট্রপতির সুইমিংপুলে সাঁতারও কাটেন তাঁরা। প্রতিবাদকারীদের তালিকায় রয়েছেন জয়সূর্যও। যদিও তিনি শাান্তির পথেই বিদ্রোহ করবেন বলে জানিয়েছেন। এদিন টুইটারে জয়সূর্য লিখেছেন, “আমি সবসময় শ্রীলঙ্কার মানুষের সঙ্গে আছি। দ্রুত আমরা জয় উজ্জাপন করব। “

    [tw]


    [/tw] 

    মহানামা টুইটারে লিখেছেন,”জাতিগত ও ধর্মীয় বিভাজন নির্বিশেষে আমি সকল শ্রীলঙ্কার মানুষকে অনুরোধ করব, আগামী ৯ জুলাই অহিংস প্রতিবাদে শামিল হতে। এই লড়াই শুধু নিজেদের বেঁচে থাকারই নয়, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভেবেও।” মহানামা আরও লেখেন, “১৯৪৮ সালের পর গোটা দেশ আজ একত্রিত হয়েছে। দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনৈতিক সিস্টেমকে বদলে দেওয়ার এটাই হয়তো শেষ সুযোগ আমাদের কাছে। আমি জীবনের অনেকটাই পার করে ফেলেছি। আমি চাই তরুণ প্রজন্মের কাছে এই শ্রীলঙ্কাকে আরও বাসযোগ্য় করে তুলতে। আমি প্রতিবাদে শামিল হচ্ছি।” 

    [tw]


    [/tw]

    [tw]


    [/tw]

    [tw]


    [/tw]

    রাষ্ট্রপতির বাসভবনের রান্নাঘরও দখল করে নেয় বিক্ষোভকারীরা। সেখানে গ্যাস চালিয়ে রান্নাও করতে দেখা গিয়েছে তাদের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে পারে এমনটা আগেই জানিয়েছিলেন গোয়েন্দারা। আর তার পরেই গত রাতে গোটাবায়া রাজাপক্ষকে সেনার সদর দফতরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।   

    স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডেকেছেন। শ্রীলঙ্কার পতাকা নিয়ে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী আজ সকালে রাষ্ট্রপতির সরকারি বাসভবন ঘেরাও করে, পুলিশ শূন্যে গুলি চালিয়েও তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে পারেনি। বিরোধী দল, মানবাধিকার কর্মী এবং বার অ্যাসোসিয়েশনের আইনি চ্যালেঞ্জের পরে পুলিশ কার্ফিউ প্রত্যাহার করার পরেই এই বিক্ষোভ।  

     

  • Sri Lanka: দেনার দায়ে জর্জরিত শ্রীলঙ্কার পাশে দাঁড়াল ভারত, স্বাগত জানালেন সনৎ জয়সূর্য

    Sri Lanka: দেনার দায়ে জর্জরিত শ্রীলঙ্কার পাশে দাঁড়াল ভারত, স্বাগত জানালেন সনৎ জয়সূর্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেনার দায়ে জর্জরিত দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। বিপদ আঁচ করে গা ঢাকা দিয়েছেন দেশের প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে (Gotabaya Rajapaksa)। পদত্যাগ করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহে (Ranil Wickramasinghe)। দেশের অর্থনীতির হাঁড়ির হাল হওয়ার জন্য প্রসিডেন্টকেই দুষছেন শ্রীলঙ্কাবাসী। ঘটনার জেরে ফুঁসছে গোটা দ্বীররাষ্ট্র। প্রতিবেশী এই দেশটির সংকটে পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছে ভারত। ঋণের দায়ে জর্জরিত দ্বীপরাষ্ট্রের বাসিন্দাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন ভারত

    আরও পড়ুন : কলম্বোর রাস্তা কার্যত গাড়ি শূন্য! জ্বালানি সংকটে শ্রীলঙ্কা

    সম্প্রতি বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক অবস্থা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এই দুর্দশা থেকে ত্রাণ পাওয়ার জন্য বিক্ষোভের আগুনে ফুঁসছে গোটা দেশ। সেই কারণেই এই সপ্তাহ থেকে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ। সংকট প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, শ্রীলঙ্কার দিকে নজিরবিহীন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত। শ্রীলঙ্কা যাতে এই সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারে, সেজন্য তিনশো আশি কোটি মার্কিন ডলার সাহায্য দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। গত মে মাসে সরকার বদলে জনরোষ সামাল দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে শ্রীলঙ্কায়। তারপর পরিস্থিতি কিছুটা থিতিয়ে গেলেও ফের অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে দ্বীপরাষ্ট্র। কারণ সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহে দেশটিকে ফের দেউলিয়া বলে ঘোষণা করেছেন। তার পরেই পথে নেমেছে জনতা। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে গা ঢাকা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। তাঁর বাসভবন দখল করেছেন আম শ্রীলঙ্কাবাসী। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, শ্রীলঙ্কাকে নানাভাবে সাহায্য করার চেষ্টা চলছে। সূত্রের খবর, শক্তি, পরিকাঠামোগত উন্নয়ন এবং কমিউনিকেশনের ক্ষেত্রে ভারত শ্রীলঙ্কাকে সাহায্য করবে। 

    আরও পড়ুন : অশান্তির আগুনে পুড়ল শ্রীলঙ্কা প্রেসিডেন্টের পৈতৃক বাড়ি, বিক্ষোভ হঠাতে গুলি

    এই সংকটকালেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত। ইতিমধ্যেই কয়েক লক্ষ ডলার মূল্যের চাল, গুঁড়ো দুধ সহ প্রয়োজনীয় নানা খাদ্যসামগ্রী পাঠানো হয়েছে। ওষুধ সহ অন্যান্য মানবিক সাহায্যও পাঠানো হয়েছে। ডিজেল, জ্বালানি এবং গ্যাসোলিনও পাঠিয়েছে নয়াদিল্লি। সাহায্য করা হয়েছে চারশো কোটি ডলারও। ভারতের প্রাক্তন বিদেশ সচিব এবং কৌলশগত বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কেসি সিং বলেন, শ্রীলঙ্কায় কৌশলগত পদক্ষেপ বজায় রাখার চেষ্টা করে চলেছে ভারত। বর্তমানে ভারতের মূল লক্ষ্য হল, শ্রীলঙ্কার ওপর থেকে চিনা প্রভাব খর্ব করা। 

    এদিকে, ভারতের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন ক্রিকেটার সনৎ জয়সূর্য। তিনি বলেন, স্থায়ী সরকার হওয়ার পরে আইএমএফ, ভারত এবং আমাদের সমস্ত বন্ধুদেশ শ্রীলঙ্কাকে সাহায্য করবে। সংকটের শুরু থেকেই ভারত শ্রলঙ্কার পাশে রয়েছে, সাহায্যে করে চলেছে। তাদের ধন্যবাদ জানাই। শ্রীলঙ্কায় ভারতের অবদান অপরিসীম।

     

  • Rishi Sunak: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে নাম দিয়ে কটাক্ষের শিকার ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি – সুয়েলা

    Rishi Sunak: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে নাম দিয়ে কটাক্ষের শিকার ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি – সুয়েলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (Boris Johnson) পদত্যাগ করেছেন। এই পরিস্থিতিতে বরিসের জায়গায় কে থাকবেন, তা নিয়ে চলছে জোর আলোচনা। ইতিমধ্যে অনেকেই তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা করেছেন। তবে বরিস সরে গেলে তাঁর জায়গা নিতে পারেন ঋষি সুনক (Rishi Sunak), এমনটাই আলোচনায় শোনা যাচ্ছে। যদি ঋষি সুনকই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে থাকে ও ইনিই হন প্রধানমন্ত্রী, তবে তিনিই হবেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রথম ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। ঋষি সুনকের বয়স ৪২ বছর। ২০২০ সালে বরিসই তাঁকে ‘চ্যান্সেলর অফ এক্সচেকার’ পদে নিয়োগ করেছিলেন অর্থাৎ তিনি ব্রিটেনের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ছিলেন।

    এরপর বরিস জনসন নিজের পদ ছেড়ে দিলে শুক্রবারই ব্রিটেনের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনক দলের প্রেসিডেন্ট পদে লড়ার কথা ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে তিনি একটি ট্যুইট করেন। নির্বাচনী প্রচারমূলক ওই ভিডিয়ো-বার্তায় ঋষি বলেন– এই মুহূর্তে কাউকে না কাউকে হাল ধরতে হবে, সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এ কারণেই কনজারভেটিভ পার্টির পরবর্তী সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াইয়ে সামিল হচ্ছেন তিনি। এরপর থেকেই তাঁকে নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

    আরও পড়ুন: বিদায় বরিস! ব্রিটেনের হাল ভারতীয়ের হাতে?

    ঋষির পক্ষে যেমন অনেকে কথা বলছেন,  তেমনি অনেকে তাঁকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না। একদিকে তিনি যেমন ভারতীয় বংশোদ্ভূত হওয়ার কারণে সমর্থন পাচ্ছেন, তেমনি অনেক ঘটনার জন্য সমালোচিত হতে হচ্ছে। যেমন- বরিসের সঙ্গী হিসাবে ‘পার্টিগেট’ বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। এরপর ইনফোসিসে তাঁর স্ত্রী অক্ষতা মূর্তির অংশীদারিত্ব এবং সেখান থেকে প্রাপ্ত আয় করা অর্থের উপর কর না দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছিল তাঁদের বিরুদ্ধে। এছাড়াও ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী হয়েও আমেরিকার গ্রিন কার্ড থাকার ফলে তাঁকে সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়।

    এছাড়াও নেটিজেনদের অনেকেই ট্যুইটারেও তাঁকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। ঋষি প্রধানমন্ত্রীর পদের জন্য ঘোষণা করলে তিনি ReadyForRishi নামে একটি ক্যাম্পেইন শুরু করলে এক নেটিজেন সমালোচনা করে বলেন, বরিস জনসন পদত্যাগ করার আগেই তিনি Ready4Rishi নামে ডোমেইন তৈরি করে রেখেছেন। আরেকজন বলেন, “ঋষি সুনক একজম মাল্টি বিলিয়নিয়র।”  সাংসদ রিচার্ড বার্গন (Richard Burgon) ট্যুইটারে লিখেছেন, “সুনক পরিবারের ১০০ মিলিয়নের সম্পত্তি রয়েছে কিন্তু তবু তাঁরা ট্যাক্স দেন না।“  ব্রিটেন ব্যারিস্টার মৌঘাম ট্যুইটে বলেন, “আপনারা কি মনে করছেন যে দলের লোকেরা ‘ব্রাউন ম্যান’ ঋষিকে বেছে নেবে?”

    আরও পড়ুন: নেতা খুঁজছে লন্ডন! আপাতত কাজ সামলাবেন বরিস

    অন্যদিকে ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুয়েলা ব্রেভারম্যানও (Suella Braverman) প্রধানমন্ত্রীর পদের জন্য নিজের নাম ঘোষণা করায় সমালোচনা শুরু হয়েছে। তাঁকে কটাক্ষ করে ট্রাম্পের ‘ব্রাউন ফিমেল ভার্সন’ বলা হয়েছে।

    উল্লেখ্য, অক্টোবরে কনজারভেটিভ পার্টির সম্মেলনে বেছে নেওয়া হবে নতুন প্রধানমন্ত্রীকে। ঋষির পাশাপাশি আলোচনায় উঠে এসেছে  ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুয়েলা ব্রেভারম্যান, পাক বংশোদ্ভূত সাজিদ জাভিদের নামও। পাশাপাশি পেনি মর্ডান্ট, বেন ওয়ালেস, লিজ ট্রুসদের নামও উঠে এসেছে আলোচনায়।  

  • Russia Ukraine War: ভারত সহ ৫ দেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে বরখাস্ত করল ইউক্রেন, কেন জানেন?

    Russia Ukraine War: ভারত সহ ৫ দেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে বরখাস্ত করল ইউক্রেন, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia Ukraine War) থামেনি। চার মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে পড়শি ওই দুই দেশের লড়াই। যুদ্ধ থামার আশু কোনও লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না। এহেন পরিস্থিতিতে বড়সড় পদক্ষেপ করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি (Volodymyr Zelenskyy)। ভারত (India) সহ পাঁচ দেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের (Ambassador) বরখাস্ত করলেন তিনি। কী কারণে তাঁদের হঠাৎ করে বরখাস্ত করা হল, তা জানা যায়নি। তবে কূটনৈতিক মহলের ধারণা, কূটনৈতিক ব্যর্থতার জেরেই ‘চাকরি’ গিয়েছে তাঁদের।

    ন্যাটোর (NATO) সদস্য হওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিল ইউক্রেন। তা নিয়েই রাশিয়া ইউক্রেন বিবাদের সূত্রপাত। যার জেরে ২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় যুদ্ধ। সেই যুদ্ধ এখনও চলছে। যুদ্ধ থামাতে দুই দেশকেই আবেদন নিবেদন করেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। তার পরেও চলছে লড়াই। রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর অভিযোগে মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকা। তা সত্ত্বেও নিরস্ত করা যায়নি রাশিয়া কিংবা ইউক্রেনকে।

    আরও পড়ুন : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ভারতের ভারসাম্যের নীতির প্রশংসায় মোহন ভাগবত

    এহেন পরিস্থিতিতেই পাঁচ দেশের রাষ্ট্রদূতকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নিলেন ইউক্রেনে প্রেসিডেন্ট। ভারত ছাড়াও বরখাস্ত করা হয়েছে জার্মানি, চেক রিপাবলিক, নরওয়ে এবং হাঙ্গেরির রাষ্ট্রদূতকে। বরখাস্ত হওয়া রাষ্ট্রদূতদের অন্য কোনও পদে বহাল করা হবে কিনা, তা নিয়েও কোনও বার্তা নেই ভলোদিমির জেলেনস্কির জারি করা নির্দেশিকায়। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে ভারত। নয়াদিল্লির তরফে যুদ্ধ বন্ধের আবেদন জানানো হয়েছে দুই দেশকেই। তার পরেও যুদ্ধ থামেনি। তবে যুদ্ধের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেও, রাশিয়ার সঙ্গে এখনও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জারি রেখে চলেছে রাশিয়া।

    আরও পড়ুন : ডিজিটাল বিপ্লবে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে ভারত, গান্ধীনগরে জানালেন মোদি

    মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলেছে জার্মানিও। জ্বালানির জন্য এই দেশটি বরাবর রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল। ভারতের মতো যুদ্ধের আবহে তারাও সম্পর্ক রেখে চলেছে পুতিনের দেশের সঙ্গে। এ সবকেই কূটনৈতিক ব্যর্থতা বলেই মনে করছে কিয়েভ। সেই কারণেই ভারত সহ পাঁচ দেশের রাষ্ট্রদূতকে বরখাস্ত করা হল বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

     

  • Indo-China Relation: মোদি-দলাই শুভেচ্ছা বিনিময়, ক্ষুব্ধ চিন, জবাব দিল ভারত  

    Indo-China Relation: মোদি-দলাই শুভেচ্ছা বিনিময়, ক্ষুব্ধ চিন, জবাব দিল ভারত  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালিতে (Bali) প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (Line of Actual Control) থেকে সেনা সরানো নিয়ে বৈঠক করছে ভারত এবং চিন (Indo-China Meet)। এরই মাঝে দলাই লামাকে (Dalai Lama) কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হল। ধর্মগুরুর জন্মদিনকে কেন্দ্র করে ফের দ্বিপাক্ষিক তিক্ততা তৈরি হল। বুধবার তিব্বতের ধর্মগুরু দলাই লামার জন্মদিনে, তাঁকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi)। বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বেজিং।    

    আরও পড়ুন: চিন থেকে উদ্ধার ৬০ লক্ষ বছরের পুরনো জায়েন্ট পান্ডার জীবাশ্ম

    চিনের চোখ রাঙানিকে অগ্রাহ্য করেই মোদি তাঁর ট্যুইটে শুভেচ্ছা জানানোর কথা জানিয়েছিলেন। তার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে চিনের মুখপাত্র ঝাও লিঝিয়াং তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন, “চতুর্দশ দলাই লামার চিনবিরোধী বিচ্ছিন্নতাবাদী ভূমিকার কথা ভারতের স্বীকার করা উচিত। তিব্বতের তাস খেলে চিনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানো বন্ধ করুক ভারত। ভারতের উচিত চিনের প্রতি দায়বদ্ধতাকে মাথায় রেখে বিচার-বিবেচনা করে কাজ করা।” 

    আরও পড়ুন: শাওমির পর এবার ভিভো, ইডি-র নজরে চিনা মোবাইল সংস্থা, দেশজুড়ে তল্লাশি  
     
    চিনের এই ঝাঁঝ বন্ধ মুখে সহ্য করেনি ভারত। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী এই মন্তব্যের জবাব দিয়ে বলেন, “ধর্মগুরু দলাই লামা ভারতের সম্মানীয় অতিথি। ভারত সরকার ধারাবাহিক ভাবে তাঁকে সে ভাবেই দেখে এসেছে। তিনি একজন সম্মানীয় ধর্মীয় নেতা এবং ভারতে তাঁর অনেক ভক্ত রয়েছেন। বিশ্বজুড়ে ভক্তরা তাঁর জন্মদিন পালন করেন। ভারতে তাঁকে ধর্মীয় চর্চার সমস্ত স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। দলাই লামার ৮৭তম জন্মদিনে প্রধানমন্ত্রীর ফোন করে শুভেচ্ছা জ্ঞাপনকে এই সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে দেখা উচিত।”    

    দলাই লামাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। তাঁকেও ঝাও লিঝিয়াং মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘‘তিব্বতের বিষয়টি একান্তই চিনের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এই ব্যাপারে কোনও রকম বিদেশি হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করবে না বেজিং।” 

    তিব্বতের সরকারের সঙ্গে অন্য দেশের সুসম্পর্ককে বরাবর চিন-বিরোধী পদক্ষেপ হিসেবেই দেখে এসেছে বেজিং। এর আগে তিব্বতি ধর্মগুরু ও নেতাদের ধর্মশালায় আলোচনাসভা আয়োজনের ছা়ড়পত্রও দিয়েছে ভারত। চিনের অভিযোগ, ওই সব সভায় তিব্বতে বিদ্রোহ উস্কে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করা হয়। ভারত অবশ্য় এমন অভিযোগকে কোনওদিনই গুরুত্ব দেয়নি। 

     

  • UK Government: নেতা খুঁজছে লন্ডন! আপাতত কাজ সামলাবেন বরিস

    UK Government: নেতা খুঁজছে লন্ডন! আপাতত কাজ সামলাবেন বরিস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীর পূর্ণ দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। আগামী সপ্তাহেই নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের প্রক্রিয়ার সময়সূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে কনজারভেটিভ পার্টি। তবে পরবর্তী নেতা ঠিক না হওয়া পর্যন্ত আপাতত ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাবেন বরিস জনসন। 

    ‘‘কনজারভেটিভ দলের নতুন নেতা নির্বাচন করার সময় চলে এসেছে’’, এই বাক্যটি দিয়েই বৃহস্পতিবার বক্তৃতা শুরু করেন জনসন। তাঁর সরকারি বাসভবন ১০, ডাউনিং স্ট্রিটের সামনে তখন অসংখ্য সাধারণ মানুষ জড়ো হয়েছেন। রাস্তায় লাইন দিয়ে দাঁড়িয়েছেন বরিস মন্ত্রিসভার সেই সব সদস্য, তখনও যাঁরা ইস্তফা দেননি। উপস্থিত প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী ক্যারিও। এরমধ্যেই নিজের ব্যর্থতার কথা জানালেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। বললেন, “ভোটাররা আমাকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসিয়েছে বলেই আমি তাদের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণে দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করেছি। কিন্তু দলে আমার কথা ও চিন্তাধারা বোঝাতে ব্যর্থ আমি। তাই পৃথিবীর সব থেকে ভাল চাকরি থেকে ইস্তফা দিচ্ছি।’’

    আরও পড়ুন: বিদায় বরিস! ব্রিটেনের হাল ভারতীয়ের হাতে?আরও পড়ুন: বিদায় বরিস! ব্রিটেনের হাল ভারতীয়ের হাতে?

    বরিস এবং তাঁর আগে ৫০ জনেরও বেশি ক্যাবিনেট সদস্যের ইস্তফায় দলের অন্দরে সঙ্কট দেখা দিলেও দেশ আপাতত কোনও রাজনৈতিক সঙ্কটের মুখে পড়ছে না। কারণ ব্রিটিশ পার্লামেন্টের আইন অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী ইস্তফা দিলে তাঁর উত্তরসূরিকে বেছে নিতে পারবে ক্ষমতাসীন দল। এই নব নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বেই আগামী নির্বাচন পর্যন্ত দল ও দেশ চালানো হবে। ইস্তফা দিয়ে এদিন বরিস জানান, আগামী ‘অটাম’ (অগস্ট-সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত দলীয় প্রধান এবং প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাতে প্রস্তুত তিনি। তার মধ্যে নতুন নেতা নির্বাচন করে ফেলতে পারবে দল। তবে বরিস চাইলেও দলের অনেকেই আর তাঁকে চাইছেন না। কিন্তু এখনই নেতা নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই আগামী সপ্তাহেই এই প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। তবে যতদিন না হচ্ছে ততদিন বরিসের নেতৃত্বেই নতুন মন্ত্রিসভা কাজ করবে।

    এর মধ্যেই নতুন মন্ত্রিসভা ঘোষণা করেছেন বরিস। বরিসের নতুন মন্ত্রিসভায় ওয়েলশ বিষয়ক দফতরের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন রবার্ট বাকল্যান্ড। তিনি বলেন, বরিস জনসন মন্ত্রিসভাকে আশ্বস্ত করেছেন যে তিনি তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই কাজ চালিয়ে যাবেন। 
    পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত বরিসের নেতৃত্বে এই মন্ত্রিসভা কাজ করবে। তবে আর্থিক নীতি, রাষ্ট্র পরিচালনার কৌশলের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে এই মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নেবে না। এসব সিদ্ধান্ত নিতে নতুন প্রধানমন্ত্রীর জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

  • Jaishankar to Meet Taliban: তাসখন্দে তালিবান বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে বসতে চলেছেন জয়শঙ্কর?

    Jaishankar to Meet Taliban: তাসখন্দে তালিবান বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে বসতে চলেছেন জয়শঙ্কর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গলছে নয়াদিল্লি (New Delhi)-কাবুল (Kabul) সম্পর্কের বরফ? আপাতত এই প্রশ্নটিই ঘুরপাক খাচ্ছে বিশ্ব রাজনৈতিক মহলে। তার কারণ চলতি সপ্তাহেই আফগানিস্তানের (Afghanistan) বিদেশমন্ত্রী তালিবান (Taliban) নেতা আমির খান মুত্তাকির সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। উজবেকিস্তানে সাংহাই কো-অপারেশনে অর্গানাইজেশনের বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিতে উজবেকিস্তান উড়ে গিয়েছেন জয়শঙ্কর। সেখানেই বিদেশেমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের ফাঁকে মুখোমুখি বসতে পারেন দুই দেশের বিদেশমন্ত্রী।

    সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরে কাবুলে ভারতীয় দূতাবাস চালু করা নিয়ে তালিবান সরকারের সঙ্গে বৈঠকের ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। কিন্তু তা হয়নি। ইতিমধ্যে অবশ্য প্রবল ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হয় আফগানিস্তানের বিস্তীর্ণ অংশ। তখন তড়িঘড়ি ত্রাণ নিয়ে তালিবান সরকারের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় নরেন্দ্র মোদির সরকার। সেই প্রেক্ষিতেই এবার দুই দেশের বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। জয়শঙ্কর-মুত্তাকির বৈঠকে ভারতের মানবিক সাহায্যের বিষয়টিও উঠতে পারে বলে কূটনৈতিক মহল সূত্রে খবর।

    আরও পড়ুন :মূল্যবোধই ভারতের সম্পদ! অভিমত সামান্থার

    সেপ্টেম্বর মাসের ১৫-১৬ তারিখে উজবেকিস্তানের সমরখন্দে অনুষ্ঠিত হবে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের বার্ষিক সম্মেলন। এই সম্মেলনে মুখোমুখি হবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চিনের  প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। মুখোমুখি হবেন আরও কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানেরা। চিন, পাকিস্তান, রাশিয়া, ভারত, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, কিরগিজস্তান এবং কাজাখস্তান এই আটটি দেশ সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের পূর্ণ সদস্য। এই সম্মেলনের আগে শুরু হয়েছে এই দেশগুলির বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক।

    জানা গিয়েছে, আফগানিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আসরাফ গনি সরকারের শাসনকালে সে দেশে বেশ কয়েকটি উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজ শুরু করেছিল ভারত। নির্বাচিত সরকারকে হঠিয়ে তালিবান সরকার ক্ষমতায় আসার পরে বন্ধ হয়ে যায় সেই কাজ। সেই কাজগুলি ফের যাতে শুরু করা যায়, সে ব্যাপারে জয়শঙ্করের কাছে আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রী দরবার করতে পারেন বলে খবর। এদিকে, ভারতের তরফেও এই বৈঠকে কয়েকটি বার্তা পৌঁছে দেওয়া হতে পারে কাবুলকে। সূত্রের খবর, আফগানিস্তানের মাটি থেকে ভারত বিরোধী কোনও কাজ যে নয়াদিল্লি সহ্য করবে না, সেই বার্তাও পৌঁছে দেওয়া হতে পারে দুই দেশ মুখোমুখি হলে।

    আরও পড়ুন : এসসিও-র সম্মেলনে মুখোমুখি হবেন মোদি-শি জিনপিং, আলোচনা হবে সীমান্ত নিয়ে?

    প্রসঙ্গত, তালিবানরা কাবুল দখল করার পর সেখানকার দূতাবাস বন্ধ করে দেয় নয়াদিল্লি। সম্প্রতি তা খোলার ব্যাপারে ফের সক্রিয় হয়েছে ভারত। সে দেশে পাঠনো হয় একটি প্রযুক্তি দলকেও। জুলাই মাসে বিদেশমন্ত্রকের যুগ্মসচিব জেপি সিংয়ের নেতৃত্বে আফগানিস্তানে একটি প্রতিনিধি দলও পাঠায় ভারত। তাদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন মুত্তাকি।

     

  • UK government:  কী হল বরিস সরকারের? চার মন্ত্রীর পদত্যাগে চিন্তায় জনসন

    UK government:  কী হল বরিস সরকারের? চার মন্ত্রীর পদত্যাগে চিন্তায় জনসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের (Boris Johnson) জন্য বড় ধাক্কা। বুধবারও বরিসের অস্বস্তি বাড়িয়ে আরও দুই মন্ত্রী ইস্তফা দিলেন। তাঁদের মধ্যে আছেন পরিবার ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রকের মন্ত্রী উইল কুইন্স ও পরিবহন মন্ত্রী লরা ট্রট। মঙ্গলবার তাঁর মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছিলেন ২ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী (Cabinet ministers) ঋষি সুনক (Rishi Sunak) এবং সাজিদ জাভিদ (Sajid Javid)। আজ আবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। এই পদত্যাগের ফলে যুক্তরাজ্যে বরিস জনসন সরকারের পতনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। 

    শিশু ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী উইল কুইনস বলেন, ‘আমার সামনে পদত্যাগ করা ছাড়া আর কোনও বিকল্প নেই।’ এদিকে লরা ট্রট দাবি করেন, এই সরকারের উপর তিনি আর ভরসা রাখতে পারছেন না, তাই তিনি পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর জেরে আরও চাপে পড়লেন বরিস জনসন। 

    এর আগে গতকাল কয়েক মিনিটের ব্যবধানে ইস্তফা দেন ব্রিটেনের দুই ক্যাবিনেট মন্ত্রী। প্রথমে পদত্যাগ করেন অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনক। তারপর ইস্তফা দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ। ঋষি, সাজিদদের দাবি, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের উপর আস্থা হারিয়েছেন তাঁরা। ব্রিটিশ রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, ঋষি এবং সাজিদ হাত মিলিয়ে নেওয়ায় জনসনের পক্ষে সরকার টিকিয়ে রাখা যথেষ্ট কঠিন হবে। এই আবহে নিজের অনুগত নাদিম জাহাউইকে (Nadhim Zahawi) গুরুত্বপূর্ণ অর্থমন্ত্রকের দায়িত্ব সামলাতে দেন বরিস। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হলেন স্টিভ বার্কলে।

    আরও পড়ুন: ডায়ানার পোট্রেট নিলামে, ছবির রহস্য জানেন?

    গতকাল পদত্যাগ প্রসঙ্গে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি বলেছেন, ‘মানুষ আশা করেন, সঠিকভাবে, দক্ষতার সঙ্গে এবং গুরুত্ব সহকারে সরকার চালানো হবে।’ সঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, মন্ত্রী হিসেবে এটাই আমার শেষ দফা হতো। তবে আমার বিশ্বাস যে এই বিষয়টি লড়াই করার মতো এবং সেজন্যই আমি ইস্তফা দিচ্ছি।’ ট্যুইটের সঙ্গে তিনি জুড়ে দেন প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া তাঁর চিঠিও। অন্যদিকে, সাজিদের দাবি, ‘নিজের হৃদয়ের বিচারে (বরিসের সরকারে) কাজ চালিয়ে যেতে পারব না।’ তাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন , বলে ট্যুইটে জানান তিনি।

    ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, যৌন কেলেঙ্কারি সহ একাধিক অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও ক্রিস পিনচার নামে এক রাজনীতিককে বড় পদে এনেছিলেন বরিস। তাঁর দাবি ছিল, পিনচারের বিরুদ্ধে ওই সমস্ত অভিযোগের কথা তাঁর জানা ছিল না। কিন্তু সম্প্রতি ফাঁস হয়, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী মিথ্যে বলেছেন। তার প্রতিবাদেই বরিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে পদত্যাগ করলেন চার মন্ত্রী।

LinkedIn
Share