Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Pakistan arrests Let Terrorist: ‘মৃত’ জঙ্গিকে ‘গ্রেফতার’, ধূসর তালিকা থেকে বেরোতে মরিয়া পাকিস্তান?

    Pakistan arrests Let Terrorist: ‘মৃত’ জঙ্গিকে ‘গ্রেফতার’, ধূসর তালিকা থেকে বেরোতে মরিয়া পাকিস্তান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের ‘ধূসর’ তালিকা থেকে বেরোতে মরিয়া পাকিস্তান (Pakistan)। বিশ্বের সুনজরে আসতে ‘মৃত’ ঘোষণা করা জঙ্গিকেও ‘গ্রেফতার’ করে আরও বিতর্কে জড়াল ভারতের এই প্রতিবেশি দেশ। সম্প্রতি ২৬/১১ মুম্বাই হামলার মাস্টার মাইন্ড লস্কর-ই-তইবার (LeT) জঙ্গি (Terrorist) সাজিদ মীরকে (Sajid Mir) গ্রেফতার করার দাবি করেছে পাকিস্তান। গোটা বিশ্বই এই কুখ্যাত জঙ্গিকে ধরতে পাকিস্তানের ওপর চাপ সৃষ্টি করছিল। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই এই জঙ্গির মাথার দাম ৫০ লক্ষ মার্কিন ডলার ঘোষণা করেছিল। পাকিস্তান এতদিন দাবি করে এসেছে এই জঙ্গি বেঁচেই নেই। কিন্তু হঠাতই সেই দাবি থেকে সরে এসে মুম্বাই হামলার ১৪ বছর পরে সাজিদ মীরকে গ্রেফতারের পাকিস্তানের এই ঘোষণাকে কেউই ভালো চোখে দেখছেন না। অনেকেই মনে করছেন দেশের নামের আগে ধূসর তকমা মুছতে মীরের গ্রেফতারি পাকিস্তানের নয়া নাটক। 

    আরও পড়ুন: এখনই ধূসর তালিকামুক্ত হচ্ছে না পাকিস্তান, জানাল এফএটিএফ  

    লস্কর-ই-তইবা একটি আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন। পাকিস্তান বছরের পর বছর ধরে মীরের উপস্থিতি অস্বীকার করে গিয়েছে। এমনকি একবার এও দাবি করেছে যে সে মারা গিয়েছে। সাজিদ মীর এফবিআই (FBI)-র মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসবাদীদের তালিকায় রয়েছে। বহু বছর ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত উভয়েই মীরকে খুঁজছে। 

    জঙ্গিগোষ্ঠী লস্করের সামাজিক সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়ার সক্রিয় সদস্য ছিল সাজিদ। ২৬/১১ হামলার আর এক চক্রী ডেভিড কোলম্যান হেডলির সঙ্গে সেই যোগাযোগ রাখত। প্রসঙ্গত, লস্করের হয়ে ২৬/১১ হামলার জন্য তথ্য সংগ্রহ করতে একাধিক বার ভারতে এসেছিল হেডলি। পরে আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই তাকে গ্রেফতার করে।

    আরও পড়ুন: শীর্ষ লস্কর নেতা মাক্কিকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণায় বাধা চিনের

    সন্ত্রাসবাদে অর্থ জোগানোর (Terror Funding) অভিযোগ উঠেছে বারংবার। তার পরেও পাকিস্তানের (Pakistan) মাথা থেকে সরেনি ‘সন্ত্রাসবাদের আঁতুড় ঘরে’র তকমা। নিজেকে শুধরে নেওয়ার জন্য পাকিস্তানের ওপর একাধিক শর্ত আরোপ করেছিল ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স বা এফএটিএফ (FATF)। পাকিস্তানকে তারা রেখে দিয়েছিল ধূসর তালিকায়। 

    জন্মলগ্ন থেকেই নানা কারণে সন্ত্রাসবাদে মদতদাতা বিভিন্ন দেশের তালিকায় ঢুকে গিয়েছে পাকিস্তানের নাম। বিশ্বের একাধিক কুখ্যাত জঙ্গির নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়েছে শেহবাজের দেশ। ভিন দেশেও যে সব জঙ্গির ঠাঁই হয়েছে, পাকিস্তান তাদেরও নিয়মিত অর্থ জুগিয়ে চলেছে বলে অভিযোগ। ইসলামাবাদ জঙ্গিদের আশ্রয় দিচ্ছে বলে বিশ্ব দরবারে একাধিকবার সরব হয়েছে ভারত (India)। তার পরেও ইসলামাবাদ সন্ত্রাসবাদে অর্থ সাহায্য বন্ধ করেনি বলে অভিযোগ। 

    এফএটিএফ কোনও দেশকে কালো তালিকাভুক্ত করার আগে দুটি পর্যায়ের মধ্যে দিয়ে যায়। একটি হল ‘ধূসর তালিকা’, অন্যটি ‘আরও বেশি ধূসর’। এই দুই তালিকাভুক্ত করে কোনও দেশকে দুবার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। তার পরেও কাজ না হলে ওই দেশকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়। অনেক আগেই এফএটিএফের তরফে ইসলামবাদকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছিল, শর্ত ঠিক মতো পালন না করলে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে। গত চার বছর ধরে এফটিএফের ধূসর তালিকায় রয়েছে পাকিস্তান।

  • G7 Summit: চিনকে রুখতে বিশেষ পরিকল্পনা জি-৭ গোষ্ঠীর, কী সেই মাস্টার প্ল্যান?

    G7 Summit: চিনকে রুখতে বিশেষ পরিকল্পনা জি-৭ গোষ্ঠীর, কী সেই মাস্টার প্ল্যান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বে চিনের ক্রমবর্ধমান আধিপত্য (China) রুখতে এবার উদ্যোগী হল জি-৭ (G-7)। ভারত সহ উন্নয়নশীল দেশগুলিতে (Developing Countries) ৬০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার সাহায্যের সিদ্ধান্ত নিল আমেরিকার (USA) পাশাপাশি ইউরোপের ৬টি দেশ নিয়ে গঠিত “গ্রুপ অফ সেভেন”।

    জি-৭ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি হল— জাপান, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, ব্রিটেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ভারতের পাশাপাশি এবারের জি-৭ সম্মেলনে আর্জন্টিনা, ইন্দোনেশিয়া, সেনেগাল এবং দক্ষিণ আফ্রিকাকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল অতিথি দেশ হিসেবে। সেখানেই অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি কথা ওঠে বিশ্বব্যাপী চিনা আধিপত্য নিয়েও।

     

    উন্নয়নমূলক নানা প্রকল্পে অর্থ সাহায্যের নামে উন্নয়নশীল দেশগুলিকে দেদার ঋণ দেয় চিন। পরে আদায় করতে থাকে চড়া হারে সুদ। যার জেরে আক্ষরিক অর্থেই পথে বসতে হয় ঋণ নেওয়া ওই দেশগুলিকে। যার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ শ্রীলঙ্কা। দেশটির পরিকাঠামো উন্নয়নমূলক নানা খাতে মোটা অঙ্কের অর্থ সাহায্য করে শি জিনপিংয়ের সরকার। পরে সুদ দিতে গিয়ে নাভিশ্বাস হওয়ার জোগাড় দেশটির। শেষমেশ নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা সরকার। চিনা ঋণের ফাঁদে পড়েছে ভারতের আরও এক প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানও।

    আরও পড়ুন : জি-৭ সম্মেলনে যোগ দিতে মিউনিখে মোদি

    চিনের এই বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (BRI)-এর পাল্টা ব্যবস্থা কী করা যায় তা নিয়ে জার্মানির মিউনিখ শহরে আলোচনা হয়েছে বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশগুলির সংগঠন জি-৭ এর শীর্ষ সম্মেলনে।  নয়া এই পরিকল্পনার নাম দেওয়া হয়েছে ‘দ্য পার্টনারশিপ ফর গ্লোবাল ইনফ্রাস্ট্রাকটার অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট’। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানান, এই পরিকল্পনা সবার জন্য সুফল বয়ে আনবে। তিন বলেন, আজ জি-৭ এর সদস্যভুক্ত দেশগুলি চালু করল দ্য পার্টনারশিপ ফর গ্লোবাল ইনফ্রাস্ট্রাকটার অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট। এক ট্যুইট বর্তায় তিনি বলেন, সব মিলিয়ে ২০২৭ সালের মধ্যে জি-৭ এর তরফে আমরা প্রায় ৬০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করব। 

    এর মধ্যে ৩ কোটি ডলার প্রাথমিকভাবে বরাদ্দ করা হয়েছে ভারতের জন্য। জানা গিয়েছে, এই বরাদ্দ হবে অমনিভোর এগ্রিটেক ও জলবায়ু স্থায়িত্ব তহবিলে। মূল লক্ষ্য, ভারতে কৃষি, খাদ্য ব্যবস্থা, জলবায়ু এবং গ্রামীণ অর্থনীতির ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা। পাশাপাশি, ভারতে যে সংস্থাগুলি খাদ্য নিরাপত্তা এবং জলবায়ু স্থিতিশীলতা ও জলবায়ু অভিযোজন নিয়ে কাজ করে, তাতেও বিনিয়োগ করবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

    আরও পড়ুন : “শান্তি ভিক্ষা চাইবে না ভারত”, চিন-পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি ডোভালের

    বর্তমানে, এশিয়া মহাদেশের ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ভারত অত্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে রেখেছে। চিন হোক বা আমেরিকা, সকলেই ভারতের এই সক্ষমতা সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। ভারতীয় মহাসাগর অঞ্চলে চিনের আধিপত্যকে বাগে আনতে গেলে, ভারতকে পাশে পাওয়াটা যে অত্যন্ত জরুরি তা বিলক্ষণ জানেন বাইডেন। সদ্যসমাপ্ত জি-৭ বৈঠকে তার উদাহরণও প্রত্যক্ষ করেছে বিশ্ববাসী, যখন কিছুটা দূরে আলাপচারিতায় মগ্ন মোদিকে দেখে নিজে হেঁটে এসে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাঁধে পিছন থেকে হাত রাখলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

    তবে, এই বরাদ্দ কোনও অনুদান নয়, তাও মনে করিয়ে দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বাইডেন বলেন, আমি এটা স্পষ্ট করে দিতে চাই যে এই পার্টনারশিপ ফর গ্লোবাল ইনফ্রাস্ট্রাকটার অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কোনও সাহায্য কিংবা অনুদান নয়। এর সুফল পাবেন সবাই। এর মধ্যে রয়েছেন আমেরিকার বাসিন্দারাও।

    নয়া এই পরিকল্পনায় ড্রাগনকে ঠেকানো যায় কিনা, এখন সেটাই দেখার!

     

  • Pakistan: রাজনীতি থেকে দূরে থাকুন, সেনা আধিকারিকদের নির্দেশ পাক সেনা প্রধানের

    Pakistan: রাজনীতি থেকে দূরে থাকুন, সেনা আধিকারিকদের নির্দেশ পাক সেনা প্রধানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের (Pakistan) সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের রাজনীতি (Politics) থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দিলেন চিফ অফ স্টাফ জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া (Qamar Javed Bajwa)। সেনাবাহিনীর কমান্ডার, শীর্ষ কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের (ISI) সঙ্গে যুক্ত কর্তাদের উদ্দেশে এনিয়ে আলাদা একটি নির্দেশিকাও জারি করেছেন পাক সেনা প্রধান। সেনা কর্মকর্তাদেরও রাজনীতিবিদদের সঙ্গে আলাপ আলোচনাও বন্ধ রাখার আহ্বান জানান পাকিস্তানের সেনা কর্তা।  

    পাঞ্জাবে আসন্ন উপনির্বাচনে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল তেহেরিক-ই ইনসাফ, সংক্ষেপে পিটিআইকে বেকায়দায় ফেলতে সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তারা জড়িত বলে অভিযোগ। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রেও আইএসআই এবং সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তারা জড়িত বলে লাগাতার অভিযোগ করে আসছেন পিটিআই নেতারা। তাঁদের সন্দেহের তির আইএসআই লাহোর সেক্টরের কমান্ডারের দিকে। সূত্রের খবর, গত দু সপ্তাহ ধরে পাঞ্জাব প্রদেশের রাজধানী লাহোরে নিজ কর্মস্থলে তিনি নেই। এই মুহূর্তে তিনি রয়েছেন রাজধানী ইসলামাবাদে।

    আরও পড়ুন : করাচিতে জরুরি অবতরণ, কী হল দুবাইগামী স্পাইসজেটের বিমানে?

    পাকিস্তানের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও পিটিআই নেতা ইয়াসমিন রাশিদ সম্প্রতি এই আইএসআই কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করেছেন। রাশিদের আগে প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী ও পিটিআইয়ের ডেপুটি চেয়ারম্যান শাহ মেহমুদ কুরেশিও বলেন, পাঞ্জাব প্রদেশের উপনির্বাচনে পিটিআইয়ের বিরুদ্ধে অদৃশ্য শক্তি কাজ করছে। সম্প্রতি পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানও প্রায় একই অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, তাঁর কিছু কিছু প্রার্থীও অচেনা নম্বর থেকে ফোন পাচ্ছেন।

    আরও পড়ুন : ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের হুঁশিয়ারি! বিদ্যুৎ সংকট পাকিস্তানে

    রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, পাকিস্তানের রাজনীতির মূল চাবিকাঠি থাকে সেনাবাহিনীর হাতে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে যিনি বসেন, তাঁর সঙ্গে বরাবর সেনাবাহিনীর সুসম্পর্ক থাকে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সেনা প্রধানের দূরত্ব তৈরি হলেই সমূহ বিপদ। ক্ষমতা চ্যুত হতে হয়। যেমনটা সম্প্রতি হতে হয়েছে ইমরান খানকে। তার পরেই পাক প্রধানমন্ত্রী পদে বসেছেন শেহবাজ শরিফ। এর ঠিক পরে পরেই সেনা প্রধানের এই নির্দেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের।

     

  • Princess Diana: ডায়ানার পোট্রেট নিলামে,  ছবির রহস্য জানেন?

    Princess Diana: ডায়ানার পোট্রেট নিলামে, ছবির রহস্য জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রিন্সেস ডায়ানার (Princess Diana) তেল রঙে আঁকা একটি বিরল পোট্রেট সম্প্রতি নিলামে বিক্রি হয়েছে। এরপরেই প্রথমবারের মতো এই ছবিটিকে জনসম্মুখে প্রদর্শন করা হয়েছে। তারপরেই এই ছবি নিয়ে চারিদিকে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। প্রিন্সেস ডায়ানার রুপ, সৌন্দর্য আর আভিজাত্য যে শুধু মানুষের দৃষ্টি কেড়েছিলো তা নয় তার ব্যক্তিত্বও সবার মনে এক জায়গা করে নিয়েছিল। প্রিন্স চার্লসের (Prince Charles) প্রাক্তন স্ত্রী ডায়ানার এই ছবিটি প্রথমবারের জন্য একটি এক্সিবিশনে সবার সামনে তুলে ধরা হয়।

    জানা গিয়েছে, এই ছবিটি আঁকানোর জন্যে তাঁকে ৩৫ ঘণ্টা সময় দিতে হয়েছিল। শিল্পী যাতে এই অপরূপ সৌন্দর্যকে তাঁর অয়েল পেন্টিংয়ে ধরে রাখতে পারেন তার জন্যে ডায়ানাকে ৩০ টি সিটিং পোজ দিতে হয়েছিল। একজন প্রিন্সেস হয়েও এক শিল্পীর জন্য এতটা সময় তিনি দিয়েছিলেন, ফলে এর থেকেই বোঝা যায় তাঁর ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে। ১৯৯৪ সালে অর্থাৎ প্রিন্সেস ডায়ানার মৃত্যুর তিন বছর আগে এই ছবিটি এঁকেছিলেন আমেরিকার শিল্পী নেলসন শ্যাঙ্কস (Nelson Shanks )। চলতি বছরের জানুয়ারিতে একটি নিলামে ২ লাখ ১ হাজার ৬০০ ডলারে অর্থাৎ ১ কোটি ৫৯ লক্ষ ১৬ হাজার ৫০১ ভারতীয় টাকায় এই তৈলচিত্রটি বিক্রি করা হয়।

    [insta]https://www.instagram.com/tv/CfW2yJeK0FV/?utm_source=ig_web_copy_link[/insta]

    ফিলিপ মোল্ড অ্যান্ড কোম্পানির (Philip Mould & Company) ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, লন্ডনের একটি আর্ট গ্যালারিতে মাস্টারপিস লন্ডন আর্ট মেলায় এই স্কেচটি প্রদর্শন করা হয়েছে। এই প্রদর্শনীটি ৩০ জুন শুরু হয়েছে ও এটি ৬ জুলাই পর্যন্ত চলবে।

    ছবিটিতে প্রয়াত রাজকুমারী ডায়ানাকে অপূর্ব সুন্দরী দেখাচ্ছে। এখানে তাঁকে একটি সবুজ রঙের হল্টার নেক গলার ড্রেস পরে দেখা যাচ্ছে। এই ছবিটিতে তিনি একদিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে গভীর চিন্তায় মগ্ন হয়ে রয়েছেন আর তাঁর এই চাহনি যেন সবার মনে ঝড় তুলে দিয়েছে। এই বিরল ছবিটি সামনে আসতেই আবারও খবরের শিরোনামে প্রিন্সেস ডায়ানা।  তিনি তাঁর ফ্যাশন সেন্সের জন্য সবসময় চর্চায় থাকতেন। ছবি যখন আঁকা হয়েছিল তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে অনেক সমস্যা থাকা সত্ত্বেও তাঁর মানসিক অবস্থাকে দূরে সরিয়ে তিনি শিল্পী নেলসন শ্যাঙ্কসের সঙ্গে সহযোগিতা করেছিলেন। প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে বিবাহ-বিচ্ছেদ নিয়েও অনেক কটুক্তির শিকার হতে হয়েছিল তাঁকে। তাই তো অনেকেই মনে করেন এই বিরল পোট্রেটে ডায়ানার একদিকে যেমন বাহ্যিক সৌন্দর্য ধরা পড়েছে, তেমনি তাঁর মনের অবস্থার কথাও যেন এই ছবির মাধ্যমে ফুটে উঠেছে।

  • Smoking Kali Controversy: ‘স্মোকিং কালী’ পোস্টার বিতর্ক, চলচ্চিত্র নির্মাতার বিরুদ্ধে এফআইআর দিল্লি, ইউপি পুলিশের

    Smoking Kali Controversy: ‘স্মোকিং কালী’ পোস্টার বিতর্ক, চলচ্চিত্র নির্মাতার বিরুদ্ধে এফআইআর দিল্লি, ইউপি পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লীনা মণিমেকালাই (Leena Manimekalai)- এর ডক্যুন্টারি ফিল্ম ‘কালী’র পোস্টার নিয়ে ইতমধ্যেই তুমুল বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। ২ জুলাই ছবিটির পোস্টার মুক্তি পেয়েছে। ছবির পোস্টারে দেবী কালীকে ধূমপান (Smoking Kali) করতে দেখা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, তাঁর এক হাতে ত্রিশূল এবং অন্য হাতে এলজিবিটি সম্প্রদায়ের রঙিন পতাকা। এ দুটি বিষয় নিয়েই বিতর্ক দানা বেঁধেছে। পোস্টারটি মুক্তি পেতেই  সোশ্যাল মিডিয়ায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। লীনা মণিমেকালাইয়ের গ্রেফতারির দাবিও করেছেন অনেকে। 

    আরও পড়ুন: মোদির উপহারে দেশীয় শিল্পের ছোঁয়া! অভিভূত রাষ্ট্রনেতারা

    [tw]


     [/tw]

    #arrestleenamanimekalai ট্রেন্ড করছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। নির্মাতারা পোস্টারে দেবী কালীকে অপমান করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। লীনা মণিমেকলাইয়ের বিরুদ্ধে হিন্দুদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: দুই বন্ধুর চায়ে পে চর্চা! জি-৭ বৈঠকে আলাপচারিতায় মোদি-মাক্রঁ  

    লীনা মণিমেকালাই তাঁর তথ্যচিত্রের পোস্টারটি শেয়ার করে বলেছিলেন যে ছবিটি কানাডা চলচ্চিত্র উৎসবে (কানাডা রিদমস) মুক্তি পেয়েছে। এবার এই বিতর্কিত পোস্টারের বিষয়ে বিবৃতি জারি করল কানাডায় অবস্থিত ভারতীয় হাই কমিশন। কানাডা প্রশাসনকে বিষয়টির বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধও জানানো হয়। 

    [tw]


    [/tw]

    বিবৃতিতে জানানো হয়, কানাডার হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের কাছ থেকে অভিযোগ এসেছে। হিন্দু সম্প্রদায়গুলিকে জানানো হয়েছে যে, হাই কমিশনের তরফ থেকে কানাডা প্রশাসনকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়াও কানাডা চলচ্চিত্র উৎসব কমিটিকেও ছবিটি তুলে নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।

    ছবির নির্দেশক লীনা মণিমেকালাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে ইউপি পুলিশ। ইচ্ছাকৃত ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ায় আইপিসির 120-B, 153-B, 295, 295-A, 298, 504, 505(1)(b), 505(2), 66 এবং 67 ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

    রাজনীতিবিদরাও বিষয়টিতে সরব হয়েছেন। বিষয়টির তীব্র সমালোচনা করেছেন বিজেপি নেতা বিনীত গোয়েঙ্কা (Vinit Goenka)। ট্যুইটে ট্যুইটার কর্তৃপক্ষকে ট্যাগ করে লেখেন, “যারা মা কালীকে শক্তির প্রতীক হিসেবে আরাধনা করেন তাঁদের জন্যে এই ট্যুইটটি অপমানজনক। এইভাবে মা কালীকে প্রদর্শন করা শুধু হিন্দু নয় সব ভারতীয়দের অপমান। ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করে এই ট্যুইট। আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি এখনও কেন এই ট্যুইট তুলে নেওয়া হয়নি!” 

    [tw]


    [/tw]

    স্রোতের বিপরীতে গা ভাসিয়ে ছবি নির্মাতাকে সমর্থন করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। এক সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আমার কাছে মা কালী মাংসভোজী, মদ পান করা একজন দেবী।”

    [tw]


    [/tw]

     এই ‘স্মোকিং কালী’ বিতর্ক নিয়ে ট্যুইট যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে নেট পাড়াও। এক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী পোস্টারে অমিত শাহ এবং পিএমও-কে ট্যাগ করে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। 

    [tw]


    [/tw]

    অন্য একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন – “লজ্জা, আপনি মা কালীর যে প্রকৃতি দেখিয়েছেন তা আপনার, মা কালীর নয় এবং মা কালী নিজেই এর জন্য আপনাকে শাস্তি দেবেন। এই অপকর্মের জন্য আপনি ক্ষমার অযোগ্য।”

    [tw]


    [/tw]

     

  • Brizarre: বাবার শেষ ইচ্ছে পূরণ, হাসপাতালে সিরিঞ্জে করে মদ নিয়ে গিয়ে গলায় দিলেন মেয়ে 

    Brizarre: বাবার শেষ ইচ্ছে পূরণ, হাসপাতালে সিরিঞ্জে করে মদ নিয়ে গিয়ে গলায় দিলেন মেয়ে 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাবার শেষ ইচ্ছে মরার আগে অন্তত আরও একবার মেয়ের (Daughter) সঙ্গে মদ্যপান করবেন। মুমূর্ষু বাবার (Dying Dad) সেই ইচ্ছের কথা জেনে আর স্থির থাকতে পারেননি মেয়ে। লুকিয়ে হাসপাতালে (Hospital) নিয়ে এলেন মদ। সিরিঞ্জে করে ঢেলে দিলেন মৃতপ্রায় বাবার মুখে। ঢাললেন নিজের গলায়ও। কোনওক্রমে ঢোক গিললেন বাবা। মেয়ের চোখে মুখে তখন তৃপ্তির ছাপ স্পষ্ট। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এই ছবি। অষ্ট্রেলিয়ার একটি হাসপাতালের এই ঘটনায় চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি বহু নেটিজেন।

    অষ্ট্রেলিয়ার একটি হাসপাতালে শয্যাশায়ী মুমূর্ষু এক বৃদ্ধ। বাবার মাথার গোড়ায় বসে রয়েছেন মেয়ে পেনিলোপ অ্যান। ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে, একটি সিরিঞ্জে করে বাবার গলায় ঢেলে দিচ্ছেন বান্ডারবার্গ রাম এবং কোক। ঢোক গিললেন বৃদ্ধ। কষ বেয়েও গড়িয়ে পড়ল কিছুটা। এই ভিডিও শেয়ার করে ওই যুবতী লিখেছেন, আমার বাবার সঙ্গে শেষবারের জন্য মদ্যপান। বাবা, তুমি মৃত্যুর পরে যেখানেই যাও না কেন, আমি তোমাকে খুবই ভালবাসি।

    আরও পড়ুন : পেটে ব্যথা নিয়ে শৌচালয় গেলেন ছাত্রী, বেরোলেন সদ্যোজাত কোলে নিয়ে!

    হাসপাতালে মাদক জাতীয় জিনিস নিয়ে যাওয়া যায় না। তবুও বাবার শেষ ইচ্ছে পূরণ করতে পেনিলোপ লুকিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন মদ। তিনি বলেন, বাবাকে বিদায় জানাতে প্রস্তুত হয়েই হাসপাতালে এসেছিলাম আমি। শেষবারের জন্য তাঁর গলায় একটু মদ ঢেলে দিলাম। পেনিলোপ বলেন, মদ নিয়ে গিয়ে বাবাকে বললাম, তোমার জন্য রাম নিয়ে এসেছি বাবা। আমরা দুজনেই এক সঙ্গে মদ্যপান করব। এর পরেই সিরিঞ্জে করে মৃতপ্রায় বাবার গলায় মদ ঢেলে দেন মেয়ে। বাবাকে জিজ্ঞেস করেন দারুন স্বাদ না বাবা! শেষবারের মতো একবার মাথা নাড়লেন বৃদ্ধ। মেয়ের মুখে তখন আর খুশি ধরে না।ভিডিওর ক্যাপশনে পেনিলোপ লিখেছেন, বাবার সঙ্গে এই আমার শেষবারের মতো মদ্যপান। এর পর তাঁর আত্মা বিলীন হয়ে যাবে মহাবিশ্বে। আমি তোমাকে খুব ভালবাসি বাবা।

    আরও পড়ুন : খরার ফলে জেগে উঠল ৩৪০০ বছরের পুরনো শহর

    ভাইরাল ভিডিও দেখে চোখের জল বাঁধ মানেনি নেটিজেনদেরও। তাঁরা বলছেন, বাবার শেষ ইচ্ছে পূরণ করে ঠিক কাজই করেছেন পেনিলোপ। মুমূর্ষুর শেষ ইচ্ছেপূরণ করাই যে বিশ্বজনীন রীতি!

     

  • CJI NV Ramana: বিচারালয় শুধুমাত্র সংবিধানের কাছেই দায়বদ্ধ, মন্তব্য দেশের মুখ্যবিচারপতির

    CJI NV Ramana: বিচারালয় শুধুমাত্র সংবিধানের কাছেই দায়বদ্ধ, মন্তব্য দেশের মুখ্যবিচারপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বরাবর নিজের নীতি এবং আদর্শে অবিচল থাকতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। স্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেছেন নিজের মতামত, পছন্দ-অপছন্দ। দায়িত্বের শেষ লগ্নে এসেও ব্যক্তিত্বের সেই বলিষ্ঠতা বজায় রাখলেন দেশের মুখ্যবিচারপতির (Chief Justice of India) এনভি রামানা (NV Ramana)। আমেরিকার স্যানফ্রান্সিসকোয় প্রবাসী ভারতীয়দের পরিচালিত একটি বিশেষ সম্মানজ্ঞাপন  অনুষ্ঠানে দৃপ্ত কন্ঠে তিনি বলেন, বিচারালয় শুধুমাত্র সংবিধানের কাছেই দায়বদ্ধ। বিচার ব্যবস্থা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির মনোভাবেরও তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। শনিবার আমেরিকার ওই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “সরকারপক্ষ চায় বিচারালয় তাদের সব সিদ্ধান্তকেই মান্যতা দিক, বিরোধী দলগুলি মনে করে তাদের বক্তব্যকেই গুরুত্ব দেওয়া উচিত। প্রধান বিচারপতির বক্তব্য, বিচারালয় শুধুমাত্র সংবিধানের কাছেই দায়বদ্ধ, অন্য কারও কাছে নয়।”

    আরও পড়ুন: জ্ঞানবাপীকাণ্ডে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ জমিয়ত-উলেমা-ই-হিন্দ   

    বর্তমানে ইউরোপ ও আমেরিকা সফরে রয়েছেন মুখ্যবিচারপতি রামানা। এদিনের অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, “এবার আমরা স্বাধীনতার ৭৫ তম এবং প্রজাতন্ত্রের ৭২ বছর পালন করছি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আমরা এখনও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ও তার ভূমিকার বিষয়ে পুরোপুরি ওয়াকিবহাল নই। সংবিধানের গণতান্ত্রিক কার্যকারিতা সম্পর্কে দেশবাসী এখনও সম্পূর্ণভাবে অবগত নয়।”   

    মুখ্যবিচারপতির মতে, সংবিধান ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে সাধারণ মানুষের অজ্ঞতা রয়েছে। তিনি মনে করেন এ বিষয়ে মানুষকে জানানো প্রয়োজন, প্রচারের প্রয়োজন।

    আরও পড়ুন: গুজরাট হিংসায় মোদির ক্লিনচিট বহাল সুপ্রিম কোর্টের, বিরোধীদের নিশানা বিজেপির

    প্রবাসী বাঙালিদের উদ্দেশ্যেও এদিন তিনি বলেন, “দেশ ছেড়ে চলে গেলেও, দেশের সামাজিক পরিস্থিতি সম্পর্কে উদাসীনতা কাম্য নয়। আজ হয়ত আপনারা কোটিপতি হয়ে গিয়েছেন। কিন্তু সেই সম্পদ উপভোগ করতে হলেও চারপাশে শান্তি থাকা কাম্য। দেশে আপনাদের বাবা-মা রয়েছেন। তাঁরা যাতে ঘৃণামুক্ত সমাজে বসবাস করতে পারেন, তাও দেখা জরুরি। ভারত-আমেরিকা এই দুই দেশই বৈচিত্রের জন্যে পরিচিত। বিভাজন নয় বৈচিত্রকে বাঁচিয়ে রাখুন।”  

    তিনি আরও বলেন, “যে বিষয়গুলি আমাদের একত্রিত করে রাখে, সেগুলিতে জোর দেওয়া প্রয়োজন। বিভাজন করে এমন বিষয়ে গুরুত্ব দেবেন না। ২১ শতাব্দীতে আমাদের মনে কোনও সংকীর্নতাকে স্থান দেওয়া উচিত নয়।”

    বিচারপতি রামানা সমাজে মহিলাদের ভূমিকা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এদিন বলেন, “একজন পুরুষের ক্ষমতায়ণে একটি ক্ষমতাশীল মানুষের জন্ম হয়। কিন্তু একজন মহিলার ক্ষমতায়ণে সমাজের ক্ষমতায়ণ হয়।” 

     

     

  • Parag Agrawal: কফি পরিবেশন করছেন ট্যুইটারের সিইও পরাগ আগরওয়াল, হল টা কী?

    Parag Agrawal: কফি পরিবেশন করছেন ট্যুইটারের সিইও পরাগ আগরওয়াল, হল টা কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয়া ভূমিকায় ট্যুইটারের (Twitter) সিইও (Twitter Chief Executive Officer) পরাগ আগরওয়াল (Parag Agrawal)। জনপ্রিয় মাইক্রো ব্লগিং সাইটের এই শীর্ষস্থানীয় কর্তাকে দেখা গেল, কফির কাউন্টারে অর্ডার নিতে। কয়েক লক্ষ ডলারের মালিক, যার অধীনে কাজ করছেন লক্ষ লক্ষ কর্মচারী, তিনি কিনা শেষে কফি পরিবেশন করছেন! ব্যাপারটা কী?

    আরও পড়ুন: টুইটার অধিপতি মার্কিন ধনকুবের মাস্ক,সরতে হতে পারে সিইও পরাগকে   

    সম্প্রতি এরকমই একটি ছবি ঘুরে বেড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে ট্যুইটারের সিইও পরাগ আগরওয়াল ট্যুইটারের লন্ডন অফিসে কর্মীদের কফি পরিবেশন করছেন।       

    বিষয়টি এবার বুঝিয়ে বলা যাক। আদতে গত সপ্তাহে ব্যবসায়িক কাজে লন্ডন গিয়েছিলেন পরাগ। যুক্তরাজ্যে পা দিয়েই ট্যুইটারের লন্ডন অফিসে যান তিনি। সেখানেই কফি পরিবেশন করে খাওয়ান নিজের অধস্তন কর্মচারীদের। আইআইটি বম্বের এই প্রাক্তনীর সঙ্গে সেখানে কফি পরিবেশন করতে দেখা গিয়েছে সংস্থার ব্রিটেনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর দারা নাসারকেও (Dara Nasr)। এই দুজনের পাশাপাশি কুকিজ পরিবেশন করছিলেন কর্পোরেশনের চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার, নেড সেগাল (CFO Ned Segal)। পরে একটি স্ট্যান্ডআপ কমেডিতেও অংশ নেন পরাগ। কর্মচারীদের প্রতি সংস্থার প্রধানের এই আচরণে অবাক হয়েছেন অনেকেই। 

    [tw]


    [/tw]

    অধস্তনদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করার বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে পরাগের বিরুদ্ধে। এর আগে চাকরি থেকে একাধিক জনকে বরখাস্ত করার অভিযোগও উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। পিতৃত্বকালীন ছুটি নেওয়ার কারণে গত মে মাসে সংস্থার দুই উচ্চপদস্থ আধিকারিককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছিলেন পরাগ। সে সময় বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদেও শামিল হন কর্মীরা। 

    গত বছর নভেম্বরে ট্যুইটারের প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডোর্সে অবসর নেওয়ার পর, সংস্থার দায়িত্ব পান প্রবাসী ভারতীয় পরাগ। এর পর থেকে বিভিন্ন সময় তিনি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছেন। কয়েক সপ্তাহ আগে ট্যুইটার কেনার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন টেসলা এবং স্পেসএক্স-এর প্রধান ইলন মাস্ক। তখন মাস্ক-পরাগের মতানৈক্যের খবরও সামনে আসে। শোনা যায় চাকরি পর্যন্ত হারাতে পারেন পরাগ। শেষ পর্যন্ত ট্যুইটার কেনেননি ইলন। চাকরিতেও বহাল তবিয়তে রয়েছেন পরাগ আগরওয়াল। 
     

  • Student Toilet Child Birth: পেটে ব্যথা নিয়ে শৌচালয় গেলেন ছাত্রী, বেরোলেন সদ্যোজাত কোলে নিয়ে!

    Student Toilet Child Birth: পেটে ব্যথা নিয়ে শৌচালয় গেলেন ছাত্রী, বেরোলেন সদ্যোজাত কোলে নিয়ে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ এক অদ্ভুত ঘটনা। হঠাৎ পেটে ব্যথা হওয়ায় শৌচালয়ে (Toilet) গিয়ে সন্তানের জন্ম (Give Birth) দিলেন যুক্তরাজ্যের (United Kingdom) এক তরুণী। সন্তান জন্মের পরের দিনই ২০ বছরে পদার্পণ করলেন এই তরুণী মা। 

    পরদিনই রাতে বেড়াতে যাওয়ার কথা। আগের রাতে পেটে ব্যথার কারণে শৌচালয়ে যান সাউথঅ্যামটন বিশ্ববিদ্যালয়ে  ইতিহাস ও রাজনীতির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী জেস ডেভিস ( Jess Davis)। আর সবাইকে হতবাক করে জন্ম দেন সন্তানের। এমনকি সন্তান যে ধীরে ধীরে তাঁর গর্ভে বেড়ে উঠেছে এ বিষয়ে বিন্দুমাত্র ধারণা ছিল না ডেভিসেরও। ঘটনায় হতবাক এলাকাবাসীরাও। জেস ডেভিস নামের ওই ছাত্রী ব্রিস্টলের বাসিন্দা। তাঁর দাবি, তিনি যে অন্তঃসত্ত্বা তা বুঝতেই পারেননি। কয়েকদিন ধরে পেটে যে ব্যথা অনুভব করছিলেন, তিনি ভেবেছিলেন ঋতুস্রাবের কারণেই হয়তো ব্যথা। 

    সন্তানসম্ভবনা হওয়ার কোনও উপসর্গও দেখা যায়নি ডেভিসের শরীরে। এমনকি ‘বেবি বাম্প’ – এর চিহ্ন মাত্র ছিল না। তাঁর ঋতুস্রাবও অনিমিয়ত হওয়ায় ঋতুস্রাব যে বন্ধ হয়েছে তাও জানাননি কাউকে। ১১ জুন মাত্র ২০ বছর বয়সেই পুত্রসন্তানের জন্ম দিলেন তিনি।  

    আরও পড়ুন: কলম্বোর রাস্তা কার্যত গাড়ি শূন্য! জ্বালানি সংকটে শ্রীলঙ্কা 

    বাচ্চাটি জন্মানোর পরেই ডেভিস এবং শিশুকে প্রিন্সেস অ্যান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শিশুটিকে একটি ইনকিউবেটরে রাখেন ডাক্তাররা। তাঁদের দাবি ৩৫ সপ্তাহেই জন্ম নিয়েছে ডেভিসের শিশু। মা ও শিশু এখন ভালো আছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

    আরও পড়ুন: পুতিনের হাতে মাত্র দুবছর! দাবি ইউক্রেনের গোয়েন্দা প্রধানের   

    শিশুর ওজন ৩ কেজি। শৌচালয়ে গিয়ে এভাবে সন্তানের জন্ম দিয়ে নিজেও হতবাক ডেভিস। প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারেননি যে, তাঁর পেট থেকে সন্তানের জন্ম হচ্ছে। কাঁদতে দেখার পর ভ্রম ভাঙে তাঁর। ওই দিন আচমকাই সকাল থেকে প্রবল পেটে ব্যথা শুরু হয়েছিল তাঁর। শুতে পারছিলেন না তিনি, ফলে বার বার শৌচালয়ে যাচ্ছিলেন। 

    পরদিন ছিল ডেভিসের জন্মদিন। সেই উপলক্ষে বাড়িতেই সারা রাত পার্টির আয়োজন হয়েছিল। সেই রাতেই সন্তানের জন্ম দেন তিনি। ওই পরিস্থিতির পর প্রিয় বন্ধু লিভ কিংকে ফোন করেন ডেভিস। তিনি এসে অ্যাম্বুল্যান্সে হাসপাতালে নিয়ে যান মা এবং সদ্যজাতকে। সন্তানকে আপাতত প্রিন্সেস অ্যান হাসপাতালের ইনকিউবেটরে রাখা হয়েছে। মা ও সন্তান দুজনেই সুস্থ রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।     

     

  • G7 Summit: পিছন থেকে ডাকছে কে! মোদিকে দেখে এগিয়ে এলেন বাইডেন

    G7 Summit: পিছন থেকে ডাকছে কে! মোদিকে দেখে এগিয়ে এলেন বাইডেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রস্তুতি চলছে গ্রুপ ছবি তোলার। পাশাপাশি দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। হঠাতই  মোদিকে পিছন থেকে কাঁধে হাত দিয়ে ডাকলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট  (US President) জো বাইডেন (Joe Biden)! একটু চমকে গেলেও বাইডেনকে দেখেই জড়িয়ে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই ভাইরাল জি-৭ বৈঠকের সেই ভিডিও। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্টের এই আচরণ ভারতের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ। 

    জি-৭ বৈঠকে (G7 summit) যোগ দিতে দু দিনের সফরে জার্মানির (Germany) মিউনিখে গিয়েছেন মোদি। সেখানে নানা দেশের শীর্ষনেতাদের সঙ্গে আলাপচারিতা সারেন প্রধানমন্ত্রী। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে মোদিকে দূর থেকে দেখতে পেয়ে সেখানে হাজির হন বাইডেন। প্রধানমন্ত্রীও বাইডেনকে দেখতে পেয়ে উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েন। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে দুই শীর্ষ নেতার একাত্মতা। ক্যামেরা বন্দি হয়েছে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও বন্ধুত্বের বুনট। 

    [tw]


    [/tw]

    বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্ককে পুনরুজ্জীবিত করতে চাইছে বাইডেন প্রশাসন। ভারত সেখানে গুরুত্ববপূর্ণ স্থান দখল করে। ভারত প্রযুক্তির কেন্দ্র। বিশেষত ভারতে ক্রেতাদের বিপুল বাজার রয়েছে। বিভিন্ন উন্নত প্রযুক্তির জিনিসও সেখানে তৈরি হয়। তাই ভারতের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক মজবুত করতে চায় আমেরিকা। এশিয়া মহাদেশের ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটেও ভারত অত্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে রেখেছে। চিন হোক বা আমেরিকা, সকলেই ভারতের এই সক্ষমতা সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। ভারতীয় মহাসাগর অঞ্চলে চিনের আধিপত্যকে আটকাতে গেলে, ভারতকে পাশে পাওয়াটা যে  জরুরি তা জানেন বাইডেন। তাই নিজে এগিয়ে এসে বন্ধুত্বের ভিত মজবুত করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। পাশে থাকার বার্তা দিল ভারতও। 

    আরও পড়ুন: দুই বন্ধুর চায়ে পে চর্চা! জি-৭ বৈঠকে আলাপচারিতায় মোদি-মাক্রঁ

    তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে  আমেরিকা সহ ইউরোপের শক্তিধর দেশগুলির যত চাপই থাক না কেন, নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে সরে আসবে না নয়াদিল্লি জি-৭ বৈঠকেও সে কথা বুঝিয়ে দেন মোদি। শক্তির ক্ষেত্রে বিশ্বের গরিব দেশগুলির পক্ষে সওয়াল করতে দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি বন্ধ করার জন্য এই মুহূর্তে আমেরিকা এবং পশ্চিমের কিছু দেশের চাপ রয়েছে ভারতের উপর। এ ক্ষেত্রে পশ্চিমের দেশগুলিকে শুনিয়ে এদিন মোদি বলেন, “আপনারা আশা করি সবাই একমত হবেন, শক্তি শুধুমাত্র ধনীদেরই হাতের মুঠোয় থাকবে এটা হতে পারে না। আর এখন ভূকৌশলগত কারণে যখন জ্বালানির দাম আকাশ ছোঁয়া, তখন এই কথাটা মনে রাখা আরও জরুরি।” সোমবার মিউনিখে জি-৭ বৈঠকে পরিবেশ, শক্তি এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অধিবেশনে ভারতের ভূমিকা নিয়েও কথা বলেন মোদি। 

LinkedIn
Share