Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Russia: রাশিয়ার স্কুলে ভয়াবহ ঘটনা! বন্দুকবাজের গুলিতে শিশু সহ মৃত ১৭, আহত কমপক্ষে ২৪

    Russia: রাশিয়ার স্কুলে ভয়াবহ ঘটনা! বন্দুকবাজের গুলিতে শিশু সহ মৃত ১৭, আহত কমপক্ষে ২৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে রাশিয়ার (Russia) একটি স্কুলে ভয়াবহ ভাবে গুলি চালানোর ঘটনা সামনে এল। রাশিয়ার ইজেভস্কে (Izhevsk) একটি স্কুলকে টার্গেট করে এলোপাথারি গুলি করতে থাকে বন্দুকবাজ। ওই ঘটনায় ১১ নাবালক পড়ুয়া-সহ মোট ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আহত কমপক্ষে ২৪ জন। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে তাঁদের চিকিৎসা চলছে। মৃতদের মধ্যে দু’ জন স্কুলের নিরাপত্তরক্ষী। প্রাণ গিয়েছে স্কুলের ২ শিক্ষকের। ঘটনাস্থলে দ্রুত পুলিশ পৌঁছলেও হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। আত্মঘাতী হয় ওই দুষ্কৃতি।

    সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে মধ্য রাশিয়ার ইজেভস্ক নামক শহরে। এই শহরটি মস্কো থেকে প্রায় ৯৬০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত। এই ঘটনার পর উদমুর্তিয়া অঞ্চলের গভর্নর আলেকজান্ডার ব্রেচালভ একটি ভিডিও শেয়ার করে বলেছেন যে, এক অজ্ঞাত ব্যক্তি বন্দুক হাতে এই অঞ্চলের রাজধানী ইজেভস্কের একটি স্কুলে প্রবেশ করেছে,  ও সেখানে একজন নিরাপত্তারক্ষী এবং কিছু শিশুকে হত্যা করে। অনেকে আহতও হয়েছেন”। এই স্কুলে হামলা চালানোর পর প্রথমে তদন্তকারীদের থেকে জানা গিয়েছিল যে এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের, কিন্তু পরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭ তে পৌঁছায়।

    নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হওয়া প্রয়োজন ভারতের, ফের সওয়াল রাশিয়ার

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, ওই স্কুলে হামলা করার সময় আততায়ী কালো পোশাক পরে এসেছিল ও টি -শার্টে নাৎসি চিহ্ন (Nazi symbol on tshirt) ছিল। তবে তার কাছ থেকে কোনও পরিচয়পত্র পাওয়া যায়নি। গভর্নর ও স্থানীয় পুলিশ জানায়,  পুলিশ সেই স্থানে পৌঁছে গেলেও তাদের ধরা যায়নি। কারণ এই হামলাকারী নিজেকেই গুলি করে আত্মহত্যা করে। এই আততায়ী কে এবং তাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি।

    অন্যদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই ঘটনাকে “অমানবিক সন্ত্রাসী হামলা” বলে নিন্দা করেছেন। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেন, “প্রেসিডেন্ট পুতিন মানুষ, শিশুদের মৃত্যুতে গভীরভাবে শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি এটিকে সন্ত্রাসী হামলা বলেছেন ও হামলাকারীকে ফ্যাসিস্ট গোষ্ঠীর অন্তর্গত বলে উল্লেখ করেছেন।“ এছাড়াও বন্দুকবাজের পরনে নাৎসি চিহ্ন লাগানো পোশাক থাকায়, ঘটনার সঙ্গে নব-নাৎসিদের যোগসাজশ রয়েছে বলে অনুমান করা হয়েছে।

  • India in Sri Lanka: দেনার দায়ে ডুবতে বসা শ্রীলঙ্কায় দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি ভারতের

    India in Sri Lanka: দেনার দায়ে ডুবতে বসা শ্রীলঙ্কায় দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বিপন্ন প্রতিবেশীর পাশে দাঁড়াল ভারত (India)। দেনার দায়ে আকণ্ঠ নিমজ্জিত শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। প্রতিবেশী দেশটিকে কীভাবে ঋণের ফাঁস থেকে উদ্ধার করা যায়, সে ব্যাপারে মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার সঙ্গে কথা বলেছে মোদির (Modi) ভারত। কেবল তাই নয়, দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের মাধ্যমে দেনার দায়ে ডুবতে বসা শ্রীলঙ্কাকে সাহায্য করবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে নয়াদিল্লি।

    চড়া সুদে শি জিনপিংয়ের দেশ থেকে ঋণ নিয়েছিল দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। ফি মাসে কেবল সুদ বাবদ মোটা অঙ্কের টাকা মেটাতে গিয়ে আক্ষরিক অর্থেই সর্বস্বান্ত হয়ে গিয়েছে শ্রীলঙ্কা প্রশাসন। চলতি বছরের এপ্রিল মাসের দিকে নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ার তলানিতে ঠেকে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় আমদানি। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া। জনরোষের আগাম আঁচ পেয়ে রাতের অন্ধকারে স্ত্রীকে নিয়ে দেশ ছেড়ে পালান তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষ। প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে প্রেসিডেন্ট ভবন, প্রধানমন্ত্রীর দফতর সহ নানা সরকারি ভবনের দখল নেয় জনতা। তার পরেই বিদেশ থেকে মেইল করে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন গোতাবায়া। জরুরি ভিত্তিতে সাংসদের ভোটে নয়া প্রেসিডেন্ট হন দেশের ছ বারের প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহে।

    তার পর থেকে এ পর্যন্ত আর্থিক অবস্থার উন্নতি হয়নি শ্রীলঙ্কার।এমতাবস্থায় দ্বীপবাসীদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিল ভারত। কলম্বোয় ভারতীয় হাইকমিশন জানায়, সেপ্টেম্বরের ১৬ তারিখে শ্রীলঙ্কার আধিকারিকদের সঙ্গে ঋণ শোধ নিয়ে প্রথম দফার বৈঠক হয়েছে। হাইকমিশন জানিয়েছে, আলোচনা হয়েছে আন্তরিক পরিবেশে। শ্রীলঙ্কা যাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার থেকে সাহায্য পেতে পারে, তার ব্যবস্থাও করার চেষ্টা চলছে।

    আরও পড়ুন : শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানের পর এবার ইরাকের ওপর নজর চিনের?

    ভারতীয় হাইকমিশনের তরফে এও জানানো হয়েছে, শুক্রবার আন্তর্জাতিক ঋণদানকারী সংস্থার কাছে শ্রীলঙ্কা একটি প্রেজেন্টেশন করবে। তুলে ধরবে তার ঋণ সমস্যার কথা। সেই ঋণ কীভাবে শোধ করা হবে, তা নিয়েও করা হবে পরিকল্পনা। হাইকমিশন এও জানিয়েছে, নয়াদিল্লি কলম্বোকে সমর্থন জুগিয়েই যাবে। গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক কয়েকটি ক্ষেত্রে ভারত দীর্ঘমেয়াদি ইনভেস্টমেন্টও করবে। এভাবেই ভারত রূপায়ণ করবে তার ‘নেবারহুড ফার্স্ট’ নীতি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Typhoon Nanmadol: সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ২৭০ কিলোমিটার! জাপানে তীব্রগতিতে ধেয়ে আসছে দানবীয় টাইফুন ‘নানমাডোল’

    Typhoon Nanmadol: সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ২৭০ কিলোমিটার! জাপানে তীব্রগতিতে ধেয়ে আসছে দানবীয় টাইফুন ‘নানমাডোল’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাপানের (Japan) উপুকূলে ধেয়ে আসছে ভয়ঙ্কর শক্তিশালী টাইফুন ‘নানমাডোল’ (Typhoon Nanmadol)। এই টাইফুনের প্রভাবে সঙ্কটে পড়তে চলেছে জাপানের বহু মানুষ। রবিবার এমন তথ্য জানিয়েছে জাপানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় ১৯০ কিমি। সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২৭০ কিমি। এর জন্যে অতিরিক্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ-পশ্চিম জাপান থেকে প্রায় ২০ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে।

    জাপানের আবহাওয়া দফতর (জেএমএ), দক্ষিণ কিউশু প্রিফেকচারের কাগোশিমা অঞ্চলের জন্য “বিশেষ সতর্কতা” জারি করেছে। আজ, রবিবার থেকে স্থলভাগের দিকে এগোবে ঘূর্ণিঝড়টি। আর এর ক্ষতির থেকে বাঁচতে উপকূল এলাকা থেকে দ্রুত সরানো হচ্ছে বাসিন্দাদের। ধারণা করা হয়েছে যে আজ এ ঝড়ের কারণে জাপানে ভূমিধস ও বন্যা হতে পারে। একদিকে ঘূর্ণিঝড়, তারই মধ্যে রবিবার জাপানে ঘটে গেল ভয়াবহ ভূমিকম্প। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৭.২। স্থানীয় সময় দুপুর ২টো ৪৪ মিনিট নাগাদ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তাইওয়ানের দক্ষিণপূর্ব উপকূলে অনুভূত হয়েছে ভূমিকম্প।

    আরও পড়ুন: গতি ঘণ্টায় ২৫৭ কিলোমিটার! ধেয়ে আসছে সবচেয়ে বিধ্বংসী টাইফুন ‘হিন্নামনর’

    জানা গিয়েছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে কাগোশিমা এবং মিয়াজাকির ২৫,৬৮০ টি পরিবারে বিদ্যুৎ পরিষেবা নেই। এর পাশাপাশি সেখানে বন্ধ রাখা হয়েছে বুলেট ট্রেন পরিষেবা। ৫১০ টি বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়াও ফেরি পরিষেবা ও রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। জেএমএ থেকে সতর্ক করা হয়েছে যে ঘূর্ণিঝড়ের ফলে প্রবল বাতাস, ঝড়বৃষ্টি এবং মুষলধারে বৃষ্টি, সুনামি, বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে।

    জাপানের আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, আজ স্থানীয় সময় অনুসারে, নানমাডোল ঘূর্ণিঝড় সকাল ৯টা নাগাদ জাপানের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ ইয়াকুশিমার কাছে ছিল। এটি এখন ধীরে ধীরে দেশের প্রধান দক্ষিণ দ্বীপ কিউশু-র দিকে এগিয়ে আসছে ও এখানেই আজ সন্ধ্যায় আছড়ে পড়তে পারে। ওই সময়ে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ২৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠে যেতে পারে এবং ২৪ ঘণ্টায় ৫০০ মিলিমিটার (২০ ইঞ্চি) পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে। এরপর এটি পূর্বদিকে ঘুরবে এবং মঙ্গলবার টোকিও পৌঁছবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

    জাপানে এই মুর্হূতে সাইক্লোন সিজন চলছে। প্রতিবছর জাপানে কম বেশি ২০ টি সাইক্লোন তৈরি হয়। যার ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। তবে নানমাডোলের জেরে ক্ষয়ক্ষতি অনেকটাই হবে বলে জানা গিয়েছে। জাপানের আবহাওয়া দফতর এই ঘূর্ণিঝড়কে ক্যাটাগরি ৫ হ্যারিকেন হিসাবে চিহ্নিত করেছে।

  • India-Pakistan: ভারতকে নিশানা করে মিথ্যা অভিযোগ! নিরাপত্তা পরিষদে ফাঁস হল পাকিস্তানের দ্বিচারিতা

    India-Pakistan: ভারতকে নিশানা করে মিথ্যা অভিযোগ! নিরাপত্তা পরিষদে ফাঁস হল পাকিস্তানের দ্বিচারিতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) পাকিস্তানের (Pakistan) দ্বিচারিতা আরও একবার সামনে এল। ভারতে নাকি সংখ্যালঘুরা নিরাপদ নয়। এমনই অভিযোগ করেন পাকিস্তানের নবনিযুক্ত বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি (Bilawal Bhutto Zardari)। তবে মিথ্যা অভিযোগে ভারতকে নিশানা করতে গিয়ে নিজের জালেই জড়িয়ে পড়েছেন তিনি।

    পাক বিদেশমন্ত্রী যে পাঁচটি মিথ্যা তথ্য পেশ করেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে—
    ১) পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের স্বার্থ সুরক্ষিত ও তারা ভীষণভাবে নিরাপদ (minority rights)। 
    ২) তাঁর দেশে ধর্মীয় দিক থেকে সবাই নাকি স্বাধীনভাবে বসবাস করতে পারেন। 
    ৩) ভারত নাকি মুসলিম বিরোধী। 
    ৪) ভারতে নাকি সংখ্যালঘুদের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। 
    ৫) ভারত নাকি হিন্দু রাষ্ট্র গড়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।

    পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী যে ডাহা মিথ্যা বলছেন, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ, গোটা বিশ্ব জানে, পাকিস্তান হল জঙ্গি কার্যকলাপের আঁতুড়ঘর। পাকিস্তানের মাটিতে সংখ্যালঘুদের স্বাধীনতা তো দূরঅস্ত, কোনও নিরাপত্তা নেই। তার বড় উদাহরণ, দিন দিন পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের সংখ্যা কমছে। স্বাধীনতার সময় পাকিস্তানের মোট জনসংখ্যার ৭৭ শতাংশ ছিল মুসলিম। আর ১৪ শতাংশ হিন্দু। তা কমতে কমতে আজ দাঁড়িয়েছে ১.৬ শতাংশে। সেখানে মুসলিম জনসংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯৬.২ শতাংশ।

    আরও পড়ুন: ‘‘নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য নয় ভারত, এটা গোটা বিশ্বের জন্য…’’, বার্তা জয়শঙ্করের

    কিন্তু ভারতের ক্ষেত্রে ছবিটা একেবারেই উল্টো। ১৯৫১ সালের সেন্সাস রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতে ৮৪.১ শতাংশ হিন্দু বসবাস করতেন। সেখানে মুসলিম জনসংখ্যা ছিল ৯.৮ শতাংশ। ২০১১ সালের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, হিন্দু জনসংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৭৯.৮ শতাংশ। কিন্তু মুসলিম জনসংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৪.২ শতাংশ। এই পরিসংখ্যানেই দিনের আলোর মতো স্পষ্ট, নিরাপত্তা পরিষদের মঞ্চে দাঁড়িয়ে মিথ্যা তথ্য তুলে ধরছে পাকিস্তান এবং বাকিদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালচ্ছ।  শুধু তাই নয়, ইন্টারন্যাশনাল ফোরাম ফর রাইটস অ্যান্ড সিকিউরিটির (IFFRAS) তথ্য অনুযায়ী, বিগত কয়েক বছরে পাকিস্তানে মুসলিমদের আধিপত্য ব্যাপকভাবে বেড়েছে। ফলে হিন্দু, খ্রীষ্টান সহ অন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অবস্থা বেশ শোচনীয়। বিশেষ করে মহিলাদের। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মেয়েদের জোর করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণে বাধ্য করা হচ্ছ। প্রশাসন কিংবা সরকারের কাছে গিয়ে কোনও সুরাহা হচ্ছ না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Macron Praises Modi: পুতিনকে শান্তির ললিত বাণী শুনিয়ে মাক্রঁর প্রশংসা কুড়োলেন মোদি

    Macron Praises Modi: পুতিনকে শান্তির ললিত বাণী শুনিয়ে মাক্রঁর প্রশংসা কুড়োলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার (Russia) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে (Vladimir Putin) তিনি শুনিয়েছিলেন শান্তির ললিত বাণী। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি  (PM Modi) যে উপযুক্ত সময়ে ঠিক কথাটিই বলেছেন তা মেনে নিলেন ফ্রান্সের (France) প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁ (Emmanuel Macron)। নিউ ইয়র্ক শহরে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার ৭৭ তম অধিবেশনে ভাষণ দিচ্ছিলেন ফান্সের প্রেসিডেন্ট। সেখানেই মোদি যে ঠিক কথাই বলেছেন, তা মনে করিয়ে দেন মাক্রঁ।

    ওই অধিবেশনে ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঠিকই বলেছেন। তিনি বলেছিলেন এটা যুদ্ধের উপযুক্ত সময় নয়। এটা পশ্চিমের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ কিংবা প্রতীচ্যের বিরুদ্ধে পাশ্চাত্যের বিরোধিতাও নয়। এই সময়টা আমাদের সার্বভৌম রাষ্ট্রগুলির কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সামনে যে সব চ্যালেঞ্জ রয়েছে, তার মোকাবিলা করার সময়।

    রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি। ইতিমধ্যেই অতিক্রান্ত হয়েছে ছ মাসেরও বেশি সময়। এহেন যুদ্ধের আবহে সম্প্রতি এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে উজবেকিস্তানের সমরখন্দে গিয়েছিলেন মোদি ও মাক্রঁ। সেখানেই মুখোমুখি হয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তখনই মোদি পুতিনকে বলেছিলেন, এই যুগ যুদ্ধের নয়। এবং এটা আমি আপনাকে ফোনেও বলেছি। আজ আমরা মুখোমুখি আলোচনা করার সুযোগ পেয়েছি। কীভাবে আমরা শান্তির পথে অগ্রসর হব, তা নিয়ে আলোচনা করতে পারি। বেশ কয়েক দশক ধরে ভারত এবং রাশিয়া একজন আরেকজনের পাশে রয়েছে।

    আরও পড়ুন : ‘‘এটা যুদ্ধের সময় নয়, বন্ধু…’’, পুতিনকে যখন এই কথা বললেন মোদি

    মোদি পুতিনকে বলেন, আমরা বিভিন্ন সময় ভারত-রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সহ নানা বিষয়ে একাধিকবার ফোনে কথা বলেছি। আমাদের খাদ্যসঙ্কট মোকাবিলার পথ খোঁজা উচিত। জ্বালানির নিরাপত্তা এবং সারের সমস্যা সমাধানের পথও খোঁজা উচিত। ইউক্রেনে পাঠরত পড়ুয়াদের দেশে ফেরাতে সাহায্য করায় আমি রাশিয়া এবং ইউক্রেনকে ধন্যবাদ জানাই। মোদির এহেন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে পুতিন জানান, রাশিয়া ইউক্রেন দ্বন্দ্বে তিনি ভারতের অবস্থান জানেন। পুতিন বলেন, আমি আপনার অবস্থান জানি। উদ্বেগের কারণও জানি। আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এসবে ইতি টানব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SCO Summit: আগামী বছর এসসিও সম্মেলন আয়োজনে ভারতকে সাহায্যের বার্তা চিনের

    SCO Summit: আগামী বছর এসসিও সম্মেলন আয়োজনে ভারতকে সাহায্যের বার্তা চিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব লাদাখে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর এই প্রথম মুখোমুখি হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) ও  চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping)। এসসিও বৈঠকের (SCO summit) মঞ্চে দু’জনের দেখা হয়। সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (SCO) সম্মেলনের শুরুতেই যে গ্রুপ ফোটো তোলা হয়,তাতেও একসঙ্গে দাঁড়িয়ে ছিলেন দু’জনে। এই সমেমলনেই ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেন জিনপিং। ২০২৩ সালের এসসিও সম্মেলন (SCO Summit) আয়োজন করবে ভারত। সেখানে ভারতকে সবরকমের সাহায্য করার বার্তা দিয়েছেন জিনপিং।

    প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের এপ্রিল-মে থেকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (LAC) বরাবর ভারত এবং চিনের সংঘাত শুরু হয়। তারপর এই প্রথম পাশাপাশি দেখা গেল মোদি এবং জিনপিংকে।  বৃহস্পতিবার রাতে উজবেজকিস্তানের সমরখন্দে এসসিও-এর নৈশাহার এড়িয়ে গিয়েছিলেন দুই নেতাই। নৈশাহারের যে ছবি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে মোদি বা জিনপিংকে কাউকে দেখা যায়নি। তবে শুক্রবার সকালে এসসিওভুক্ত অন্যান্য দেশের নেতাদের সঙ্গে গ্রুপ ফোটোয়  ছিলেন দুই রাষ্ট্রনেতাই।

    সীমান্ত-সমস্যার আবহে সমরখন্দে এসসিও সামিটের পার্শ্ব বৈঠক হিসেবে মোদি-জিনপিং আলাদা করে কথা বলবেন কি না তা নিয়ে চর্চা চলছিল। এর মধ্যেই এসসিও-র বৈঠকেই ভারতকে আগাম শুভেচ্ছা জানালেন চিনা প্রেসিডেন্ট। আগামী বছর ভারতেই হবে এই বৈঠক। তার জন্য নয়াদিল্লিকে সাহায্য করার কথাও ঘোষণা করেছেন তিনি। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, চাপে পড়েই এমন মন্তব্য করেছেন শি জিনপিং। পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার সংঘর্ষ বিন্দু থেকে কোনও অবস্থাই যে ভারত পিছু হটবে না,এটা বুঝেই মাথা নোয়ালেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: “১০০-র বেশি ইউনিকর্ন এবং ৭০ হাজারের বেশি স্টার্ট-আপ রয়েছে ভারতে”, এসসিও সম্মেলনে বললেন মোদি

    চলতি মাসে পূর্ব লাদাখের অন্যতম সংঘাতপূর্ণ এলাকা গোগরা-হটস্প্রিংয়ের প্যাট্রলিং পয়েন্ট ১৫ থেকে পিছু হটেছে ভারতীয় এবং চিনা সেনা। তাই সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে গেলে এবার ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখতে হবে তা ভালুই বুঝেছে বেজিং। তাই সৌহার্দ্যের বার্তা। তবে এখনই দুই রাষ্ট্রনেতার মুখোমুখি বৈঠক হচ্ছে না বলেই অনুমান কূটনীতিকদের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Prince Harry and William: ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে রানিকে শেষ বিদায়, সামরিক পোশাকে প্রিন্স উইলিয়াম ও হ্যারি

    Prince Harry and William: ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে রানিকে শেষ বিদায়, সামরিক পোশাকে প্রিন্স উইলিয়াম ও হ্যারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্য ১৯ সেপ্টেম্বর৷ ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে স্থানীয় সময় সোমবার সকাল ১১টায় রানিকে শেষ বিদায় জানানো হবে বলে ঘোষণা করেছে বাকিংহ্যাম প্যালেস। তাঁর আগেই প্রিন্স হ্যারি (Prince Harry) ও উইলিয়ামকে (William) ওয়েস্টমিনার হলে সামরিক পোশাকে দেখা গেল। গতকাল ব্রিটেনের দীর্ঘমেয়াদি রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে সম্মান জানাতে প্রিন্স উইলিয়াম ও হ্যারি তাঁদের অন্যান্য ভাইদের সঙ্গে সম্মান জানাতে ওয়েস্টমিনার হলে সামরিক পোশাক পরেছিলেন। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর থেকে এখনও পর্যন্ত প্রিন্স হ্যারিকে দেখা যাচ্ছিল সাধারণ পোশাকেই। ২০২০ সালের পর এই প্রথম বার সামরিকপোশাকে দেখা গেল হ্যারিকে।

    যদিও শেষকৃত্যে যোগ দিতে পারলেও প্রিন্স হ্যারির ওপর সামরিক পোশাক পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁকে শনিবার সামরিক পোশাকেই দেখা যায়। প্রিন্স হ্যারি এবং তাঁর স্ত্রী মেগান মার্কেল ২০২০ সালে রাজকীয় দায়িত্ব থেকে সরে এসেছিলেন। তাই প্রিন্স হ্যারি সামরিক ইউনিফর্ম পড়ার অধিকারী নন বলে জানা যায়। যদিও এই প্রসঙ্গে অনেক বিতর্ক শুরু হয়েছিল ও পরে তাঁকে ও মিলিটারি পোশাকে দেখা যায়। জানা গিয়েছে তিনি রাজা তৃতীয় চার্লস শেষপর্যন্ত মিলিটারি পোশাক পরার অনুমতি দিয়েছেন। গতকাল এই সম্মান জানানোয় ব্রিটেনের বর্তমান রাজা চার্লস, প্রিন্স হ্যারি এবং প্রিন্স উইলিয়ামের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন প্রিন্স অ্যান্ড্রুর কন্যা প্রিন্সেস বিট্রিস এবং ইউজেনি, প্রিন্সেস অ্যানের সন্তান পিটার ফিলিপস এবং জারা টিন্ডাল এবং প্রিন্স এডওয়ার্ডের সন্তান লুইস এবং জেমস।

    আরও পড়ুন: তিনবার ভারত সফরে এসেছিলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ! ফিরে দেখা ঐতিহাসিক মূহূর্ত

    রাজা চার্লসের দুই ছেলে ও বাকিরা কফিনের পাশে ১৫ মিনিটের জন্য নীরবতা পালন করেন। এছাড়াও হাজার হাজার মানুষ ২৪ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে কফিনের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন ও এবং রানীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে অপেক্ষা করছিলেন।

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ৮ সেপ্টেম্বর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ৷ ৭০ বছরের রাজত্বের অবসান ঘটে, যা ব্রিটিশ রাজপরিবারের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ছিল। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে শেষ বিদায় জানানোর জন্য ইতিমধ্যেই লন্ডনের সর্বত্র কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শহরের বিভিন্ন জায়গাও ঘিরে ফেলা হয়েছে এবং শেষকৃত্যের আগে অনেকগুলি রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে৷ এদিন প্রায় ৭ লক্ষ ৫০ হাজার মানুষের আসার কথা।

  • SCO summit 2022: সন্ত্রাসবাদ থেকে জলবায়ু, আজ এসসিও বৈঠকে আলোচ্য সূচি কোন কোন বিষয়?

    SCO summit 2022: সন্ত্রাসবাদ থেকে জলবায়ু, আজ এসসিও বৈঠকে আলোচ্য সূচি কোন কোন বিষয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (SCO) একটি গুরুত্বপূর্ণ শীর্ষ সম্মেলনে (SCO summit 2022) যোগ দিতে বৃহস্পতিবার উজবেকিস্তানে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi in Uzbekistan)। ইউক্রেন সংকটের মুহূর্তে এই সম্মেলনকে বেশ তাৎপর্যপূর্ণবলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, চিন এবং রাশিয়া এসসিও-র (Bilateral Talk with Russia and China) অন্যান্য সদস্য দেশগুলিকে নিজেদের পক্ষে আনতে এই মঞ্চকে কাজে লাগাতে পারে। 

    আরও পড়ুন: শুক্রবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মোদি-পুতিন, কী নিয়ে আলোচনা হতে পারে?

     



     
    ১৫ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর উজবেকিস্তানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার শীর্ষ সম্মেলন। প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গেই এই সময়ে সম্মেলনে যোগ দিতে উজবেকিস্তানে পৌঁছেছেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন। এই সম্মেলনের মাঝে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠকও হতে পারে নরেন্দ্র মোদির। বৈঠক হতে পারে উজবেকিস্তানের রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও। গত তিনবছরে এই প্রথমবার মোদি-জিনপিং মুখোমুখি সাক্ষাতের একটি সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।  

    https://www.pib.gov.in/PressReleseDetailm.aspx?PRID=1859532

    সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এরপরের বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে দিল্লিতে। যার কারণে এবারের সামিট খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে ভারতের কাছে। চিন, রাশিয়ার পাশাপাশি আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এবং ইরানের ইব্রাহিম রাইসিকেও। গত ছ মাস ধরে সমরকন্দে প্রস্তুতি চলছে এই সামিটের। প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে সাংহাইয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় এই সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন। বর্তমানে আটটি সদস্য দেশ, চিন, ভারত, কাজাখাস্তান, কির্গিজস্তান, রাশিয়া, পাকিস্তান, তাজিকিস্তান এবং উজবেকিস্তান রয়েছে এসসিও-র।

    আরও পড়ুন: প্রথমে রাখা হবে কোয়ারান্টাইনে! আফ্রিকা থেকে বিশেষ বিমানে আসছে আটটি চিতা

    সম্প্রতি লাদাখে হট স্প্রিংয়ে পয়েন্ট-১৫ থেকে নিজেদের সৈন্য প্রতাহার করেছে ভারত এবং চিন। ২০২০ সালের থেকে লাদাখে ভারত-চিন টানাপোড়েন জারি রয়েছে। ২০২০ সালের জুন মাসে এই টানাপোড়েন ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করে। ২০ জন ভারতীয় সেনা প্রাণ হারান। এরপর থেকে ক্রমেই অবনতি ঘটেছে ভারত-চিন সম্পর্কের। তাই সমরকন্দে মোদির সঙ্গে জিনপিংয়ের বৈঠক ঘিরে তৈরি হচ্ছে জল্পনা। যদিও দুই দেশের তরফে এই বিষয়ে কোনও কিছু বলা হয়নি। তবে মুখোমুখি বৈঠক না হলেও সম্মেলন চলা কালীন অন্তত দুটি সেশনের জন্য মোদি এবং জিনপিং একই ঘরে উপস্থিত থাকবেন। 

    দিনভর ঠাসা কর্মসূচি প্রধানমন্ত্রী মোদির। বিদেশ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী শীর্ষ সম্মেলনের মাঝে প্রধানমন্ত্রী মোদি কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। কাদের সঙ্গে হবে এই বৈঠক সে বিষয়ে কোনও বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি। তবে মনে করা হচ্ছে, উজবেক প্রেসিডেন্ট শাভকাত মির্জিওয়েভ, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করতে পারেন মোদি। পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে উঠে আসতে পারে রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যু। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।   

    আন্তর্জাতিক রাজনীতির এই উত্তাল সময়ে এই সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যু থেকে সন্ত্রাসবাদ এই সম্মেলনের আলোচনা ছুঁয়ে যাবে সমস্ত আন্তর্জাতিক সমস্যাকে। উঠে আসতে পারে সমাধান  সূত্রও।  এছাড়াও আলোচনার বিষয় হবে, জলবায়ু, অর্থনীতি, উন্নয়ন, বিনিয়োগ। তাই এই সম্মেলন নিয়ে আশাবাদী ওয়াকিবহাল মহল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Hindus Attacked in UK: মন্দিরে ভাঙচুর, শিশুদের বন্দি! ইংল্যান্ডের লেস্টারে জেহাদি হামলার শিকার হিন্দুরা

    Hindus Attacked in UK: মন্দিরে ভাঙচুর, শিশুদের বন্দি! ইংল্যান্ডের লেস্টারে জেহাদি হামলার শিকার হিন্দুরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) পর এবার লক্ষ্য ব্রিটেন (UK)। আগেরবার দুর্গাপুজোর সময় গোটা বাংলাদেশ জুড়ে শুরু হয়েছিল হিন্দু মন্দির ভাঙচুর ও হিন্দু ধর্মের অবমাননা। এবারে এরকমই ঘটনা দেখা গেল ব্রিটেনেও। কিন্তু এবারে এশিয়া কাপে (Asia Cup 2022) ভারতপাকিস্তানের খেলা ঘিরেই এই সাম্প্রদায়িক হিংসার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা যায়। আর এই খেলাকে ঘিরেই শনিবার ইংল্যান্ডের লেস্টারে এক হিন্দু মন্দিরে ভাঙচুর চালাল ইসলাম ধর্মবালম্বী কয়েকজন দুষ্কৃতী। শুধু তাই নয়, হিন্দুদের বাড়িতেও আক্রমণ করে দুষ্কৃতিরা। সূত্রের খবর, শিশু সহ হিন্দুদের বন্দিও করা হয়। এছাড়াও একটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, হিন্দু ধর্মের গেরুয়া পতাকাকে কিছু দুষ্কৃতীরা আগুনে পুড়িয়ে দিচ্ছে। শনিবারের এই ঘটনায় এলাকায় সংখ্যালঘু হিন্দুদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে স্থানীয় পুলিশ।

    পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২৮ অগাস্ট এশিয়া কাপ (Asia Cup 2022) ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচের পর থেকেই হিন্দুদের উপর হামলার ঘটনা প্রত্যক্ষ করা গিয়েছে। ফলে শনিবার থেকে সশস্ত্র ইসলামপন্থীরা হিন্দুদের এবং তাঁদের বাসস্থানগুলিতে হামলা চালায়। সূত্রের খবর অনুযায়ী, শিশু-সহ হিন্দুদের উপর আক্রমণ করার পাশাপাশি হিন্দুদের বাড়ি, গাড়ি এবং হিন্দুদের মালিকানাধীন সম্পত্তিও ভাঙচুর  করা হয়।

    আরও পড়ুন: পাকিস্তানে ত্রাণ সামগ্রী দেওয়ার নামে হিন্দু মেয়েকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত দুই মুসলিম যুবক

    এই হামলার প্রতিবাদে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজন একত্রিত হয়ে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এরপরেই ব্রিটেন পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার ব্রিটেন পুলিশের সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী, পুলিশ এই ঘটনার এখনও তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।

    পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে মোতায়েন করা হয়েছে বিরাট পুলিশ বাহিনী। রাস্তায় মানুষকে দাঁড় করিয়েও চলছে তল্লাশি। এই ঘটনার পর থেকেই হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে ভীতির সৃষ্টি হয়েছে। লেস্টার পুলিশ এক বিবৃতিতে বলেছে, “হিংসা ও ক্ষয়ক্ষতির বেশ কিছু ঘটনা পুলিশকে জানানো হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। এই ঘটনার আরও তদন্ত করা হবে।“

    গত ২৮ অগাস্ট দুবাইতে ভারত ও পাকিস্তানের ম্যাচের (IND vs PAK) পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় হিন্দু ও মুসলিম গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সেই তখন থেকেই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাতের আগুন লেগেই ছিল।  শনিবার ও রবিবার এই সংঘর্ষ বিশাল আকার ধারণ করে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হিন্দু ও তাঁদের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে বিশেষত পাকিস্তানি মুসলিমরাই। হামলার বেশ কিছু ভিডিও ভাইরাল হতে শুরু হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনা সামনে আসতেই নেটিজেনরা এর তীব্র নিন্দা করেছেন।

  • Hindu Temple Attacked in UK: ইংল্যান্ডে হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ভারতীয় দূতাবাসের

    Hindu Temple Attacked in UK: ইংল্যান্ডে হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ভারতীয় দূতাবাসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লেস্টারে (Leicester) ভারতীয় হিন্দু মন্দিরে হামলার তীব্র নিন্দা করল ব্রিটেনে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস (Indian High Commission)। ঘটনার সঙ্গে অভিযুক্তদের দ্রুত কড়া শাস্তি দাবি করেছে হাই কমিশন। রবিবার লেস্টারের একটি হিন্দু মন্দিরে  ভাঙচুর (Hindu temple vandalized) চালায় জেহাদিরা। মন্দিরের চূড়ার পতাকা নামিয়ে ছিঁড়ে ফেলারও অভিযোগ ওঠে। 

    ভারতীয় হাইকমিশনের অফিসিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডেলে একটি বিজ্ঞপ্তি পোস্ট করে বলা হয়েছে, “লেস্টারে বসবাসকারী ভারতীয়দের বিরুদ্ধে যে হিংসার ঘটনা ঘটেছে, আমরা তার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি৷ হিন্দু প্রতীকের অবমাননা করা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট হিন্দু মন্দিরটি ভাঙচুর চালানো হয়েছে৷ আমরা সেই ঘটনারও প্রতিবাদ জানাচ্ছি ৷ আমরা বিষয়টি নিয়ে ব্রিটিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব৷ যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে৷ আমরা আমাদের এই দাবি প্রশাসনকে জানাব৷ দোষীদের বিরুদ্ধে যাতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয় সেই আবেদনও রাখব ৷ যাঁরা এই ঘটনায় আক্রান্ত হয়েছেন, প্রশাসনকে বলব, তাঁদের সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক৷” 

    আরও পড়ুন: রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যে ইংল্যান্ডে দ্রৌপদী-হাসিনার সাক্ষাৎ

    জানা গিয়েছে অগাস্ট মাসে এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচকে কেন্দ্র করে এই অশান্তির সূত্রপাত হয়। ক্রিকেট ম্যাচ ঘিরে পূর্ব ইংল্যান্ডের এই শহরে হঠাতই উত্তেজনা ছড়ায়। এই সময়ও এলাকায় বসবাসকারী ভারতীয়দের উপর দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। সেই সময়ের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরালও হয়। তাতে দেখা গিয়েছে, লেস্টারের পুলিশ দুই গোষ্ঠীর লোককে আটকানোর চেষ্টা করছে। দুই পক্ষকেই একে অপরের দিকে কাঁচের বোতল ছুঁড়তে দেখা যায় সেই ভিডিওতে। এছাড়া কিছু লোককে লাঠি হাতেও দেখা যায়।  

    তখনকার মতো অশান্তি খানিকটা ঠাণ্ডা হলেও, কয়েকদিন আগে সোস্যাল মিডিয়ায় একটি ভুয়ো পোস্টকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি আবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যের আগে, গত শনিবার সন্ধে থেকে অশান্তি আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে থাকে। রবিবার রাতে লেস্টারে বসবাসকারী পাকিস্তানি জনগোষ্ঠীর কিছু মানুষ বেলগ্রেভ রোডের ওই মন্দিরের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। 

    ঘটনায় ইতিমধ্যে ৪৭ জনকে আটক করেছে লেস্টার পুলিশ। এদের মধ্যে ২০ বছর বয়সী এক যুককে ১০ মাসের জেলের সাজা দেওয়া হয়েছে। লেস্টার আদালতে আত্মসমর্পন করেন আমোস নরোনহা নামের ওই যুবক। তাঁর কাছে অস্ত্র ছিল বলেও স্বীকার করেছেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: মন্দিরে ভাঙচুর, শিশুদের বন্দি! ইংল্যান্ডের লেস্টারে জেহাদি হামলার শিকার হিন্দুরা

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
LinkedIn
Share