Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • India Pakistan War: ১৯৭১-এর পর ফের ভারতের নৌসেনার হামলা করাচিতে, বিধ্বস্ত পাকিস্তানের বন্দর-শহর

    India Pakistan War: ১৯৭১-এর পর ফের ভারতের নৌসেনার হামলা করাচিতে, বিধ্বস্ত পাকিস্তানের বন্দর-শহর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৭১ সালে ভারত-পাক যুদ্ধের (India Pakistan War) সময় ভারতের রণতরী হামলা করেছিল এই করাচি বন্দরে। সেই সময় এক সপ্তাহ ধরে জ্বলেছিল করাচি বন্দর (Karachi Port)। ফের আবার করাচিতে একই ভাবে আঘাত হানল ভারত। বৃহস্পতিবার রাত থেকে ফের ভারতীয় নৌসেনার হানায় জ্বলছে করাচি। সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত পাকিস্তানের এই গুরুত্বপূর্ণ বন্দর-শহর। পাকিস্তানের সমুদ্রপথ আটকে দিয়েছে ভারতের বিশাল নৌবহর। বৃহস্পতিবার রাতে ভারতের ত্রিফলা আক্রমণে বিধ্বস্ত পাকিস্তানের একাধিক শহর। পাঁচটি শহরের এয়ার ডিফেন্স নষ্ট করে দিয়েছে ভারত।

    ভারতে হামাস-ধাঁচে হামলা পাকিস্তানের

    ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর ভারত স্পষ্ট করে দিয়েছিল, পহেলগাঁও হামলার প্রত্যাঘাতে সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলি ধ্বংস করতে সংগঠিত হয়েছিল ওই অভিযান। সেই সঙ্গে এও হুঁশিয়ারি দিয়ে দেয়, পাকিস্তান এর পর হামলা করলে ভারতও শক্ত হাতে জবাব দেবে (India Pakistan War)। বোধহয় ইসলামাবাদের কর্তাদের কানে সে কথা ঢোকেনি। বুধবার রাতের পর বৃহস্পতিবার রাতেও ভারতের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলিতে মুহুর্মুহু ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও যুদ্ধবিমান নিয়ে হামাস-ধাঁচে হামলা চালায়। হামলা চালানো হয় ভারতের সামরিক প্রতিষ্ঠান ও ঘাঁটি লক্ষ্য করে। এমনকি, হামলা চালানো হয় বৈষ্ণোদেবী সহ ভারতের একাধিক ধর্মীয় স্থানেও। তবে, ভারত তৈরি ছিল। ভারতের এয়ার ডিফেন্স যে এত শক্তিশালী, তা বোধহয় কল্পনাতীত ছিল পাকিস্তানের। প্রতিটা হামলা প্রতিহত করেছে ভারতের বহুস্তরীয় আকাশসীমা সুরক্ষা ব্যবস্থা।

    পাকিস্তানের ৫টি শহরের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ধ্বংস

    পাকিস্তানের কাপুরুষোচিত হামলায় ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙে ভারতের। তাই, পাকিস্তানি হামলার ঠিক পরই, কোনও সময় নষ্ট না করে বৃহস্পতিবার রাতেই ভারত শুরু করে প্রত্যাঘাতের দ্বিতীয় পর্ব। এবার পাক হামলার পাল্টা অ্যাকশনে দিশেহারা হয়ে পড়ে পাকিস্তান। একসঙ্গে অ্যাকশনে নামে ভারতের নৌ, স্থল, বায়ুসেনা। এই ত্রিফলা আক্রমণ (India Pakistan War) হতেই পাকিস্তানে ত্রাহি ত্রাহি রব ওঠে। মুখ থুবড়ে পড়ল পাকিস্তানের চিনা এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা। একটা বা দুটো নয়, পাকিস্তানের ১৬টি শহরে একসঙ্গে প্রত্যাঘাত হানে ভারতীয় ফৌজ। ভারতের অল-আউট অ্যাকশনে ব্ল্যাকআউট হয়ে যায় একের পর এক শহর। শুধু ড্রোন দিয়েই পাকিস্তানের ৫টি শহরের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ধ্বংস করে দেয় ভারত। আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে পড়ে পাকিস্তান।

    পাকিস্তানের ১৬টি শহরে বিশাল ক্ষয়ক্ষতি

    সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ভারতের ড্রোন আছড়ে পড়ে একের পর এক শহরে। লাহোর, ইসলামাবাদ, সিয়ালকোট, রাওয়ালপিন্ডি, করাচি, ফয়সলাবাদ — বাদ ছিল না কোনও শহরই। পাকিস্তানের বড় বড় শহরগুলির রেডার সিস্টেম তছনছ করে দেয় ভারত (India Pakistan War)। পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে লাগাতার বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গিয়েছে গতকাল রাতে। ভারতীয় সেনার প্রত্যাঘাতে পাকিস্তানের ১৬টি শহরে বিশাল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শেহবাজ শরিফের বাসভবনের কাছেও বিস্ফোরণ হয়। যার পর তড়িঘড়ি পাক প্রধানমন্ত্রীকে বাঙ্কারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

    পাকিস্তানের সমুদ্রপথ আটকে রেখেছে ভারতের নৌবহর

    বায়ুসেনা-স্থলবাহিনী প্রথমে পাকিস্তানের শিরদাঁড়া ভেঙে দেওয়ার পর বুলডোজারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় ভারতীয় নৌসেনা। নেতৃত্বে ছিল আইএনএস বিক্রান্ত। ভারতীয় বিমানবাহী রণতরী রাতেই করাচি বন্দরে (Karachi Port) ভয়াবহ হামলা চালায়। কার্যত বিধ্বস্ত হয়ে যায় করাচি বন্দর শহর। একসঙ্গে ভারতের তিন বাহিনীর প্রবল প্রত্যাঘাতে জ্বলছে করাচি। শেষ পর্যন্ত মেলা খবরে জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের সমুদ্রপথ আটকে রেখেছে ভারতীয় নৌসেনার ২৬টি রণতরী (India Pakistan War)। আরও জানা গিয়েছে, আরব সাগরে ভারতীয় নৌসেনা নামিয়েছে পি-৮১ শক্তিশালী নজরদারি বিমানও। এটি অ্যান্টি-সাবমেরিন এয়ারক্রাফ্ট। পাকিস্তানের সাবমেরিন হামলা চালাতে পারে, সেই হামলা ঠেকাতেই বিমান নামানো হয়েছে।

  • India Pakistan War: ভারতের মারে বাঙ্কারে লুকিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ, পালাতে গিয়ে আটক সেনাপ্রধান মুনির

    India Pakistan War: ভারতের মারে বাঙ্কারে লুকিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ, পালাতে গিয়ে আটক সেনাপ্রধান মুনির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একের পর এক হামলায় প্রমাদ গুণছে পাকিস্তান (India Pakistan War)। এ যেন ঠিক দ্বিতীয় গাজা। ভারতীয় সেনার আক্রমণের সামনে টিকতেই পারছে না সন্ত্রাসের মদতদাতা পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার রাতেই ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের সাতটি বড় শহরে হামলা চালিয়েছে ভারত। তালিকায় রয়েছে সেদেশের রাজধানী ইসলামাবাদও। এতেই ভয়ে কম্পিত পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)। একাধিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, ভারতের হামলার জেরে তিনি বাঙ্কারে লুকিয়ে পড়েন বৃহস্পতিবার রাতেই।

    পালাতে গিয়ে আটক সেনা প্রধান আসিফ মুনির (Asim Munir)

    একই অবস্থা পাক (Pakistan) সেনা প্রধান আসিফ মুনিরের। সূত্রের খবর, দেশ ছেড়ে পালাতে যাওয়ার সময়ই পাক সেনা প্রধান আসিম মুনিরকে আটক করে পাক সেনা। এই আবহে অনেকেই মনে করছেন ফের একবার সেনার শাসনে যেতে পারে পাকিস্তান। জানা যাচ্ছে, পাক (India Pakistan War) সেনা প্রধান হতে যাচ্ছেন জেনারেল শাহরির শামসাদ মির্জা। একাধিক সূত্রের দাবি, ABY553 এই নম্বরের একটি বাণিজ্যিক বিমানে করেই লাহোর ছেড়ে পালাতে যান পাক সেনা প্রধান। তখনই তাঁকে আটক করা হয়। সূত্রের খবর, আসিফ মুনিরের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ এনেছে পাক প্রশাসন। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ পাক সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত শুরু করবে বলে জানানো হয়েছে।

    পাক রাজনীতিতেও ভূমিকম্প শুরু

    বৃহস্পতিবার লাহোর, সিয়ালকোট, রাওয়ালপিন্ডি, পেশোয়ারে বিধ্বংসী হামলা চালিয়েছে ভারত (India Pakistan War)। এদিকে ভারতের শক্তিশালী এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা থাকার জন্য বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে রাজস্থান, কাশ্মীর থেকে পঞ্জাবের নানা প্রান্তে ড্রোন, মিসাইল হামলার পাকিস্তানি চেষ্টা রুখে দেয় ভারত। পাকিস্তানের রাজনীতিতেও ভূমিকম্প শুরু করেছে ভারত। ভারতের একের পর এক এমন প্রত্যাঘাতে থরহরি কম্পমান পাক সরকারের। অনেকেই মনে করছেন এই আবহে পতনও হতে পারে শেহবাজ সরকারের। সন্ত্রাসবাদীদের পাঠিয়ে ভারতের সাধারণ নাগরিক হত্যা করে পার পেয়ে যাবে ভেবেছিল পাকিস্তান। কিন্তু ছেড়ে কথা বলল না ভারত। পাকিস্তানের হামলার ভয়ঙ্কর প্রত্যাঘাত (India Pakistan War) করল ভারত। বৃহস্পতিবার, নৌবাহিনীও করাচি বন্দর অভিযান করে। লাগাতার ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়।

  • Operation Sindoor: বিনা বাধায় পর পর ঢুকছে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র, টেরই পায়নি পাকিস্তানের গর্বের চিনা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা!

    Operation Sindoor: বিনা বাধায় পর পর ঢুকছে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র, টেরই পায়নি পাকিস্তানের গর্বের চিনা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলার প্রত্যাঘাতে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি মিসাইল হামলায় ধ্বংস করেছে ভারত৷ বুধবার ভোররাতে অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) নামে এই অভিযানে ভারত শুধু জঙ্গি পরিকাঠামো ধ্বংস করেনি, ভেঙে দিয়েছে পাকিস্তানের চিনা সরবরাহকৃত ‘অপ্রতিরোধ্য’ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মিথও। ফরাসি প্রযুক্তির রাফাল যুদ্ধবিমান থেকে উৎক্ষেপিত স্ক্যাল্প ক্রুজ মিসাইল ও হ্যামার স্মার্ট বম্ব ব্যবহার করা হয় এই অভিযানে। ব্যবহার করা হয় ইজরায়েলি লয়টারিং মিউনিশন (আত্মঘাতী ড্রোন)। ৫০০ কিলোমিটারের বেশি পাল্লার স্ক্যাল্প মিসাইল গুলি রেডার এড়িয়ে ভূমির খুব কাছ ঘেঁষে উড়তে পারে। এই অভিযানে ১০০ শতাংশ সফল এই মিসাইলগুলি। অপারেশন সিঁদুরে কোনও একটি মিসাইলও পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দ্বারা প্রতিহত হয়নি।

    চিনা প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির ব্যর্থতা

    পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে এইচকিউ-৯ ( HQ-9) ও এলওয়াই-৮০ (LY-80 বা HQ-16) চিন নির্মিত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে গর্ব করে এসেছে। এইচ কিউ-৯, যা রাশিয়ার এস-৩০০-এর অনুকরণে তৈরি, তার কাজ শত্রু মিসাইল শনাক্ত ও ধ্বংস করা। কিন্তু অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন এই দুটি ব্যবস্থাই কার্যত নিষ্ক্রিয় ছিল। এখানেই শেষ নয়। বৃহস্পতিবার সকালে, লাহোর বিমানবন্দরে পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে আক্রমণ করে ভারত। পাকিস্তানের রেডার সিস্টেমকেও ধ্বংস করা হয়। লাহেরে পাক এয়ার ডিফেন্স ইউনিটের এইচকিউ-৯ সিস্টেম ভেঙে খানখান হয়েছে। রাওয়ালপিণ্ডির এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকেও নষ্ট করে দিয়েছে ভারত। চিন থেকে আনা এইচকিউ-৯ সিস্টেম বিকল হয়ে যায়। ভারতের ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ারের নিখুঁত প্রয়োগ—জ্যামিং, ডিকয় এবং রেডার ব্লাইন্ডিং—পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে পুরোপুরি অকেজো করে দেয়। মুহূর্তের মধ্যে বাহাওয়ালপুর, মুরিদকে, মুজাফফরাবাদ ও কোটলিতে অবস্থিত সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলিতে বিস্ফোরণ ঘটায় ভারত। কোটি কোটি টাকার চিনা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে চুপ করিয়ে দেয় ভারত।

    পূর্বের ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা

    এটাই প্রথম নয়। ২০১১ সালে অ্যাবোটাবাদে মার্কিন নেভি সিল অভিযানে পাকিস্তান কিছুই বুঝতে পারেনি। ২০১৯-এর বালাকোট অভিযান ও ২০২২-এর ব্রহ্মোস দুর্ঘটনাও একইভাবে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা দুর্বলতা প্রকট করেছে। এবার অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor)। পাকিস্তানের চরম কৌশলগত ব্যর্থতার সবচেয়ে বড় প্রমাণ। পাকিস্তান সরকার জানিয়েছে, কমপক্ষে ৫০ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। বাস্তবে সংখ্যাটি ৯০ ছাড়াতে পারে বলে গোয়েন্দা সূত্রের দাবি। এই অভিযান পাকিস্তানের আত্মবিশ্বাসও ভেঙে দিয়েছে। চিনা প্রযুক্তির উপর ভরসা করেছিল ইসলামাবাদ। এই প্রযুক্তি কোনও কাজেই লাগেনি পাকিস্তানের।

    চিনের কাছেও ধাক্কা

    চিনের পক্ষেও এটি বড় ধাক্কা। তাদের রফতানিকৃত সামরিক প্রযুক্তির ওপর আস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিশ্ব জুড়ে। আর ভারতের পক্ষে এটি এক ঐতিহাসিক বিজয়—যেখানে আধুনিক প্রযুক্তি, কৌশল, এবং মানসিক শ্রেষ্ঠত্ব একত্রে মিশে এক নতুন যুদ্ধনীতি সৃষ্টি করেছে। এই অভিযান প্রমাণ করেছে, শুধুমাত্র বিদেশি অস্ত্র কেনা যথেষ্ট নয়—সেগুলো কার্যকরভাবে পরিচালনা করাটাই আসল বিষয়। আর সেই পরীক্ষায় পাকিস্তান সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। চিনের তৈরি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শুধু ‘মেড ইন চায়না’ তকমা বহন করে না—তা এখন অনেকের চোখে অবিশ্বস্ত এবং অকার্যকরও। ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশ এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে বিমান হামলা চালানোর পর, পাকিস্তানের রেডারের ভূমিকা নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠছে। পাকিস্তানের চিনা বিমান প্রতিরক্ষা রেডার আবারও ব্যর্থ হয়েছে বলে খবর। চিনা রেডার ভারতীয় আক্রমণের কোনও খবরও পায়নি।

    চরম কৌশলগত ব্যর্থতা

    পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১৭ সালে চিনে তৈরি এই বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে তার সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করে। দাবি করা হয় যে এই ব্যবস্থা ১৫ মিটার থেকে ১৮ কিলোমিটার উচ্চতা থেকে আসা যে কোনও ক্ষেপণাস্ত্র বা যুদ্ধবিমানকে সর্বোচ্চ ৪০ কিলোমিটার দূরত্বে লক্ষ্যবস্তু করতে পারে। এই বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় স্থাপিত রেডারটি ১৫০ কিলোমিটার দূর থেকে শত্রুপক্ষের ক্ষেপণাস্ত্র এবং যুদ্ধবিমানকে আটকাতে সক্ষম বলে জানা গেছে। ভারতে সব ধরনের সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের আধিক্য রয়েছে। যখন তারা বাতাসে থাকে, তখন তাদের রেডারগুলি তাদের দেখতে পায় না। তাদের গতি এত বেশি যে পাকিস্তানিরা কেবল তাদের মাটিতে পড়ে যাওয়া দেখতে পায়।

  • Operation Sindoor: ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হানায় ধ্বংস জৈশ ও লস্করের জঙ্গি ঘাঁটি, উপগ্রহচিত্রে ধরা পড়ল ছবি

    Operation Sindoor: ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হানায় ধ্বংস জৈশ ও লস্করের জঙ্গি ঘাঁটি, উপগ্রহচিত্রে ধরা পড়ল ছবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার গভীর রাতে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহানার বদলা হিসেবে পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে প্রত্যাঘাত করেছে ভারত। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি। এবার ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) পর প্রকাশ্যে এল পাকিস্তানে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংসের আরও অনেক ছবি। এর পাশাপাশি মিলল কৃত্রিম উপগ্রহচিত্রও। জানা গিয়েছে, কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত ওই ছবিগুলি প্রকাশ্যে এনেছে ম্যাক্সার টেকনোলজিস নামের একটি সংস্থা। এই সংস্থার আনা চিত্রে ধরা পড়েছে পাকিস্তানের বহাওয়ালপুর এবং মুরিদকেতে অপারেশন সিঁদুরের পরবর্তী চিত্র।

    উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়ল জৈশ-ই-মহম্মদের সদর দফতর ধ্বংসের ছবি

    প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের (Pakistan) বহাওয়ালপুরের উপকণ্ঠে সেদেশের জাতীয় সড়কের ধারে প্রায় ১৫ একর জমি জুড়ে রয়েছে জৈশ-ই-মহম্মদ (জেইএম)-এর সদর দফতর। এখানেই ছিল মারকাজ শুভান আল্লা কমপ্লেক্স। এর ঠিক পাশেই অবস্থান শুভান আল্লা মসজিদও। জানা যাচ্ছে, ভারতের প্রত্যাঘাতের পর সেই ইমারতগুলি বর্তমানে ধ্বংসস্তূপে (Operation Sindoor) পরিণত হয়েছে। হামলার আগে ও পরের যে উপগ্রহচিত্র সামনে এসেছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে, ভেঙে পড়েছে মসজিদের তিনটি গম্বুজই। একইসঙ্গে ওই উপগ্রহ চিত্রগুলিতে দেখা যাচ্ছে, ইমারতের স্থানে স্থানে বিস্ফোরণের চিহ্ন স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। দেওয়াল এবং মেঝেতে দেখা যাচ্ছে একাধিক গর্ত। কোথাও আবার দেখা যাচ্ছে ছাদের একাংশও ভেঙে পড়েছে।

    বহাওয়ালপুর, মুরিদকে এবং শিয়ালকোট-এই তিন জায়গাকে টার্গেট করা হয়

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ন’টি জায়গায় জঙ্গি পরিকাঠামো লক্ষ্য করে প্রিসিশন স্ট্রাইক (Operation Sindoor) করে ভারতীয় সেনা। এই ন’টি জায়গার মধ্যে চারটি জায়গা পাকিস্তানে এবং পাঁচটি জায়গা অবস্থিত পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। বহাওয়ালপুর, মুরিদকে এবং শিয়ালকোট, মূলত এই তিনটি এলাকার জঙ্গিঘাঁটিগুলি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা। যে জায়গাগুলিতে বসে ভারতে সন্ত্রাসবাদী হানার ছক কষা হয়েছিল, সেই ঘাঁটিগুলিকে উড়িয়ে দেয় ভারতীয়।

    মারকাজ শুভান আল্লা গড়ে ওঠে ২০১৫ সালে

    প্রসঙ্গত, বহাওয়ালপুর পাকিস্তানের ১০০ কিলোমিটার ভিতরে অবস্থিত, ভারতীয় সীমান্ত থেকে। ১৯৭১ সালের পর প্রথমবার ভারতীয় বিমান বাহিনী এত দূরে আঘাত হানল এবং সেখানে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল জৈশ-ই-মহম্মদের সদর ঘাঁটি মারকাজ শুভান আল্লা। এই সদর দফতরে জঙ্গি সংগঠনটি ২০১৫ সাল থেকে সেখানে কাজ চালাচ্ছিল বলে জানতে পেরেছিলেন ভারতের গোয়েন্দারা। এখানেই এতদিন ধরে চলত বিভিন্ন ধরনের জঙ্গি প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ। ভারত বিরোধী কার্যকলাপের প্রধান ঘাঁটি হয়ে উঠেছিল এটি। তবে মঙ্গলবার গভীররাতে তা ধূলিসাৎ করে দিল ভারতীয় বিমান বাহিনী (Operation Sindoor)।

    পুলওয়ামা হামলার ষড়যন্ত্র এখানে বসেই করা হয়

    সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য যা সামনে এসেছে তা হল, ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামাতে যে ভয়ঙ্কর হামলা হয় ভারতীয় সেনার কনভয়ের উপর, সেই ষড়যন্ত্রটিও রচনা করা হয়েছিল বহাওয়ালপুরের এই জৈশ-ই-মহম্মদের এই ঘাঁটিতে বসেই। এমনটাই জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। এই মারকাজ হচ্ছে জয়েশ প্রধান মৌলানা মাসুদ আজাহারের বাড়ি।

    মারকাজ শুভান আল্লায় চলত জঙ্গি প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ

    ভারতের বিমান হানায় তাদের পরিবারের ১৪ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, জৈশ নেতা মুফতি আব্দুর রহমান আজগর সমেত মাসুদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও থাকত এখানেই। মাসুদ আজহার নিজে এখানে বসেই চালাত ভারত বিরোধী কার্যকলাপ। ভারত বিরোধী কার্যকলাপ (Pakistan) এবং ইসলামিক সন্ত্রাসবাদের অন্যতম ঘাঁটি হয়ে উঠছিল মারকাজ শুভান আল্লা। এখানেই চলত জঙ্গিদেরকে অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ। তাদের শারীরিক অনুশীলন করানো হত এবং মৌলবাদী শিক্ষাও দেওয়া হত এখানে বসেই।

    মুরিদকেতে অবস্থিত লস্কর-ই-তৈবার ঘাঁটি ধ্বংসের উপগ্রহ চিত্র প্রকাশ্যে

    জৈশের ঘাঁটির পাশাপাশি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয় মুরিদকেতে অবস্থিত লস্কর-ই-তৈবার ঘাঁটিতেও। মুরিদকেতে যে স্যাটেলাইট চিত্র সামনে এসেছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে কীভাবে ধ্বংস হয়ে পড়েছে লস্করের ঘাঁটি। এই ঘাঁটি দুটি উপগ্রহ চিত্র সামনে এসেছে। একটিতে দেখা যাচ্ছে অপারেশন সিঁদুরের আগের ছবি। অপরটিতে দেখা যাচ্ছে অপারেশন সিঁদুরের (Operation Sindoor) পরের ছবি। যা শুধুই ধ্বংসস্তূপ। জানা যায়, এখানেই লস্কর-ই-তৈবার কাজ চলছিল ২০০০ সাল থেকে। হাফিজ সঈদের নেতৃত্বেই এখান থেকে ভারত বিরোধী নানা ষড়যন্ত্র করা হয়। ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার অন্যতম সন্ত্রাসী আজমল আমির কাসভ এবং ডেভিড হেডলির প্রশিক্ষণও এখানেই দেওয়া হয়। জানা যায়, ওসামা বিন লাদেন এখানে এক কোটি টাকা দান করেছিল। মসজিদ এবং অতিথি নিবাস নির্মাণের জন্য। ভারতীয় সীমান্ত থেকে ১৮ থেকে ২৫ কিলোমিটার অভ্যন্তরে অবস্থিত ছিল এই লস্কর ঘাঁটি, যা মঙ্গলবার গভীর রাতে ধ্বংস করল ভারতীয় সেনা।

  • Lahore: অপারেশন সিঁদুরের পর দিনই সাতসকালে একাধিক বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল লাহোর

    Lahore: অপারেশন সিঁদুরের পর দিনই সাতসকালে একাধিক বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল লাহোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপারেশন সিঁদুরের পরে বৃহস্পতিবার সাতসকালে কেঁপে উঠল পাকিস্তানের লাহোর (Lahore)। সেদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে লাহোর বিমানবন্দরের কাছেই এই জোরাল বিস্ফোরণ হয়। একের পর এক বিস্ফোরণ হয়েছে এদিন। এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সাধারণ মানুষ। তবে বিস্ফোরণের কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে অনেকেরই আশঙ্কা, ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে পাকিস্তানের। এটাই কি বিস্ফোরণের (Lahore) কারণ? তবে ভারতের তরফ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই বিস্ফোরণের সঙ্গে কোনও যোগ নয়াদিল্লির নেই।

    লাহোর (Lahore) বিস্ফোরণে বালোচ বিদ্রোহীদের হাত?

    আবার একাধিক পাক সংবাদমাধ্যমের দাবি, পাকিস্তানি (Pakistan) বায়ুসেনা এদিন মহড়া চালাচ্ছিল। সেই সময়ই এই বিস্ফোরণ হয়। বৃহস্পতিবার এই বিস্ফোরণের জেরে ইতিমধ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে লাহোর (Lahore) ওল্ড বিমানবন্দর। লাহোর বিস্ফোরণের প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, প্রথমেই তীব্র সাইরেনের শব্দ শোনা যায়। তারপরেই একাধিক বিস্ফোরণ হতে থাকে। অনেকে আবার এই বিস্ফোরণের পিছনে বালোচ আর্মির হাত থাকতে পারে বলে অনুমান করছেন। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের অন্দরেই বিদ্রোহ শুরু করেছে বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি। ট্রেন হাইজ্যাক থেকে শুরু করে আস্ত শহরও দখল করে নেয় তারা, দিন কয়েক আগে। এদিন আবার পাকিস্তানি সেনার কনভয় লক্ষ্য করে হামলা চালাল তারা।

    পাক সেনার কনভয় উড়িয়ে দিল বালোচ বিদ্রোহীরা , মৃত ১৪ জওয়ান

    ভারতের প্রত্যাঘাতে এমনিতেই কাঁপছে পাকিস্তান। এই আবহে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হল পাক সেনার কনভয়। বিদ্রোহীদের এই বিস্ফোরণে ১৪ জন পাক জওয়ান মারা গিয়েছেন বলে খবর মিলেছে। হামলার দায় স্বীকার করেছে বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ১২ জন পাক জওয়ান মারা গিয়েছেন, তাতে রয়েছেন স্পেশ্যাল অপারেশন্স কমান্ডার তারিক ইমরান, সুবেদার উমর ফারুখ। প্রসঙ্গত,গত ৬ মে বালুচিস্তানে সেনার কনভয়ে হামলা চালায় বিদ্রোহীরা। সেবারও বেশ কয়েক জন মারা যান।

  • India Pakistan Conflict: নিহত জঙ্গিদেরকে বীরের স্বীকৃতি! ফের প্রমাণিত পাক সেনা-সন্ত্রাসী আঁতাত, বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড়

    India Pakistan Conflict: নিহত জঙ্গিদেরকে বীরের স্বীকৃতি! ফের প্রমাণিত পাক সেনা-সন্ত্রাসী আঁতাত, বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক মহলে ফের বিতর্কের কেন্দ্রে পাকিস্তান (India Pakistan Conflict)। ভারতের সফল সামরিক অভিযান ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) পর এক ভয়াবহ ছবি উঠে এসেছে পাক মুলুকে। এই অভিযানে নিহত জঙ্গিদের মরদেহ মোড়া হয়েছে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকায়! শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের মুরিদকে ফুটবল স্টেডিয়ামে সেনা ও আইএসআই কর্তাদের উপস্থিতিতে জঙ্গিদের শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়েছে। এই ঘটনায় ফের একবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে পাকিস্তান। প্রকাশ্যে এসেছে তাদের সন্ত্রাস-যোগ।

    সন্ত্রাসবাদীদের মৃত্যুতে ‘শোকপালন’ পাকিস্তানের

    সেনা  থেকে আইএসআই। পুলিশ থেকে আমলা। সন্ত্রাসবাদীদের মৃত্যুতে এবার ‘শোকপালন’ করতে দেখা গেল পাক সরকারের একাধিক ব্যক্তিকে। বুধবার গভীর রাতে অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে প্রত্যাঘাত হেনেছে ভারত। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নয়টি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। নয়টি জঙ্গি ঘাঁটির অন্তত ৭০টি জঙ্গির মৃত্যু (কারও মতে, সংখ্যাটা আরও বেশি) হয়েছে এই স্ট্রাইকে। এবার সেইসব সন্ত্রাসীদের শেষকৃত্যে দেখা মিলল পাক সেনা থেকে আধিকারিকের। পিটিআই রিপোর্ট মোতাবেক, মুরিদকে-তে থাকা জঙ্গিদের হেডকোয়ার্টারে এয়ার স্ট্রাইকের জেরে মারা গিয়েছে তিন জঙ্গি কারি আবদুল মালিক, খালিদ ও মুদাসির। নিহত হয়েছে বিলাল টেরর ক্যাম্পের প্রধান ইয়াকুব মুঘল। এই ক্যাম্প বহু বছর ধরে ভারতের বিরুদ্ধে জেহাদি হামলার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। এদের শেষকৃত্যেই উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে পাকিস্তানি সেনা কর্তাদের। জঙ্গিদের শেষকৃত্যের জন্য যথেষ্ট নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করা হয়েছিল।

    পাক সেনার সঙ্গেই কুখ্যাত জঙ্গি হাফিজ আব্দুল রউফ

    শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে সামরিক পোশাকে, বুকভরা ব্যাজ নিয়ে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও আইএসআই-এর শীর্ষ আধিকারিক এবং পাঞ্জাব পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা প্রকাশ্যে অংশ নিয়েছেন। তবে, শুধু পাক সেনা ও আধিকারিকরা নন, তাঁদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন লস্কর-ই-তৈবার কুখ্যাত জঙ্গি হাফিজ আব্দুল রউফ। স্পষ্টতই খোলামেলাভাবে আয়োজন করা এই শেষকৃত্য সন্ত্রাসবাদের প্রতি পাকিস্তানের সমর্থনের একটি প্রমাণ। পিটিআইয়ের রিপোর্ট মোতবেক, হাফিজ সইদের নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠী জামাত-উদ-দাওয়াও সদস্যরাও ছিলেন এই শেষকৃত্যে। এই সংগঠন দুটি রাষ্ট্রসংঘ-স্বীকৃত সন্ত্রাসী সংগঠন, যাদের নাম জড়িয়ে আছে কাশ্মীর, দিল্লি, মুম্বই সহ ভারতের নানা প্রান্তে সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলায়।

    জঙ্গিদের গায়ে পাকিস্তানের পতাকা

    সাধারণত ভারতে জাতীয় পতাকা মোড়ানো হয় সেই সব মানুষদের কফিনে, যাঁরা দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন—যেমন সেনা, পুলিশ অথবা গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কর্মকর্তারা। সেই মর্যাদা পাওয়া মানেই জাতীয় বীরের স্বীকৃতি। কিন্তু এবার পাকিস্তানে একই সম্মান দেওয়া হল জঙ্গিদের? এই ঘটনায় স্তম্ভিত ভারতের নিরাপত্তা বিশ্লেষক মহল ও সাধারণ মানুষ। সেনা অফিসারদের উপস্থিতি, জাতীয় পতাকায় মোড়া কফিন — কী বার্তা দিচ্ছে পাকিস্তান? মুরিদকে ফুটবল স্টেডিয়ামে যে জঙ্গিদের শেষকৃত্য হল, সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ অফিসাররাও। এর ফলে জঙ্গিদের প্রতি পাকিস্তান (India Pakistan Conflict) সরকারের সক্রিয় সমর্থনের অভিযোগ আরও জোরালো হচ্ছে।

    আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ 

    এই ভিডিও প্রকাশের পর ভারতীয় কূটনীতিকরা আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ জোরদার করেছে। বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রি বলেন, “পাকিস্তান তার মাটিতে জঙ্গি (militants) ঘাঁটি ধ্বংস করার কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তাদের সেনা ও পুলিশ জঙ্গিদের সমর্থন করছে।” রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পহেলগাঁও হামলার নিন্দা করে ভারতের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

    পাকিস্তানের দ্বৈত চরিত্রের প্রমাণ

    এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে কূটনীতিকদের মত, এই ভিডিও পাকিস্তানের দ্বৈত চরিত্রের প্রমাণ। একদিকে তারা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা বলে, অন্যদিকে জঙ্গিদের শেষকৃত্যে অংশ নেয় তাদের সেনা ও পুলিশ। প্রাক্তন কূটনীতিক মঞ্জু শেঠ বলেন, “এটি কেবল পাকিস্তানের সেনা ও গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর জঙ্গিদের (militants) সঙ্গে সংযোগের প্রমাণ নয়, বরং এটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য একটি সতর্কবার্তা। পাকিস্তানের (India Pakistan Conflict) এই আচরণ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী লড়াইকে দুর্বল করছে। এই ঘটনা রাষ্ট্রসংঘ এবং অন্যান্য বিশ্ব শক্তির কাছে উত্থাপন করা উচিত। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক পদক্ষেপ প্রয়োজন।” পহেলগাঁও হামলার (militants) প্রেক্ষাপটে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) প্রশংসা করে তিনি বলেন, “ভারতের নির্ভুল হামলা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী বার্তা। তবে এই ভিডিও দেখায় যে পাকিস্তান তার অবস্থানে কোনও পরিবর্তন আনছে না।”

    পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত জঙ্গি রাষ্ট্র পাকিস্তান

    বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ঘটনা কোনও বিচ্ছিন্ন বিষয় নয়। বরং এটি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে জেহাদের প্রতি সমর্থনের প্রতীক। অ্যাবোটাবাদে যেখানে ওসামা বিন লাদেন সেনা নিরাপত্তায় আত্মগোপনে ছিলেন, বালাকোটে যেখানে জইশের ট্রেনিং ক্যাম্প পরিচালিত হত, কিংবা মুরিদকে, যেখানে লস্করের জঙ্গিদের রাষ্ট্রীয় সম্মানে কবর দেওয়া হয় — সবই পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদে মদতের প্রমাণ। এখনও যদি আর্থিক সহায়তা বন্ধ না হয়, তাহলে আন্তর্জাতিক মহল — বিশেষ করে এফএটিএফ, রাষ্ট্রসংঘ এবং পশ্চিমের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি — চোখ বুজে থাকলে তা হবে একপ্রকার সহযোগিতা। ভারত বহুদিন ধরেই এই সত্য জানত। এখন তার ভিডিও প্রমাণ সামনে এসেছে। এই ভিডিও প্রমাণ করে পাকিস্তান আসলে পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত একটি জঙ্গি রাষ্ট্র।

  • Operation Sindoor: বেছে বেছে ৯ জঙ্গি ঘাঁটিকেই কেন টার্গেট করল ভারত? কী হত এখানে?

    Operation Sindoor: বেছে বেছে ৯ জঙ্গি ঘাঁটিকেই কেন টার্গেট করল ভারত? কী হত এখানে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গিদের মদত দেওয়ার পরিণাম কী হতে পারে মঙ্গলবার গভীর রাতে তা হাড়ে হাড়ে টের পেল পাকিস্তান। পাক অধ্যুষিত কাশ্মীর ও সেদেশের পাঞ্জাব প্রদেশে নির্দিষ্ট জায়গায় ভয়াবহ হামলা (Operation Sindoor) চালায় ভারতীয় সেনা। এদিন ভারত বেছে বেছে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতেই হামলা চালায়। জানা যাচ্ছে, সাধারণ নাগরিকদের যেন কোনও ক্ষতি না হয়, সেই জন্য রাতের বেলাকে হামলার সময় হিসেবে বেছে নেয় বায়ুসেনা, এমনটাই অনুমান বিশেষজ্ঞদের।

    আঘাত হানা হল যে ৯ জঙ্গি ঘাঁটিতে

    মার্কাজ শুভান আল্লাহ ঘাঁটি

    ভারতীয় বিমান বাহিনীর প্রথম টার্গেট ছিল পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বাহওয়ালপুরে অবস্থিত মার্কাজ শুভান আল্লাহ ঘাঁটি। জানা যায়, এটি আসলে জঙ্গি জইশ-ই-মহম্মদের ডেরা। এখান থেকেই তারা (Operation Sindoor) ২০১৯ সালে হওয়া পুলওয়ামা হামলার ছক কষেছিল।

    মার্কাজ তৈবা জঙ্গি ঘাঁটি

    জানা যাচ্ছে, এটিও লস্করদের অতি গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি এটি। এখানেই জঙ্গিদের নিয়োগ থেকে প্রশিক্ষণ সব চলত। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশেই এটি অবস্থিত। ২০০০ সাল থেকেই এই ঘাঁটি সক্রিয় ছিল।

    সর্জল, তেহরা কালান

    পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের নারোয়াল জেলায় অবস্থিত হল এই ঘাঁটি। জইশ-ই-মহম্মদ গোষ্ঠীর এই ঘাঁটি সীমান্ত সংলগ্ন হওয়ায় (Operation Sindoor) এখান দিয়েই জঙ্গিরা ভারতে ঢুকে থাকে। আরও জানা গিয়েছে, কোনও হামলার পর তারা চোট পেলে সবার প্রথমে এখানেই চিকিৎসার জন্য এসে থাকেন।

    মার্কাজ আহলে হাদিথ বারনালা

    পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের ভিমবের এলাকায় তৈরি হয়েছে লস্করদের এই জঙ্গি ঘাঁটি। মঙ্গলবার গভীর রাতে হামলার সেটিও পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে। প্রসঙ্গত, বারনালা হল পাক অধ্যুষিত কাশ্মীরের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য তৈরি অন্য়তম কেন্দ্র।

    মাশকার রাহিল শহিদ

    এটিও পাক অধিকৃত কাশ্মীরেরই অংশবলে জানা গিয়েছে। হিজবুল-মুজাহিদিন জঙ্গি গোষ্ঠী চালাত এই ঘাঁটি।

    শাওয়াই নাল্লাহ ক্যাম্প

    বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০০ সালে এই ঘাঁটি তৈরি করে লস্কর গোষ্ঠী। জঙ্গি নিয়োগের কাজ চলত এখান থেকে।

    মুরিদকেতে বড় হামলা চালানো হয়

    ভারত (India)-পাকিস্তান সীমান্ত থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মুরিদকেতে বড় হামলা চালানো হয়। এটি ২৬/১১ মুম্বই হামলার সঙ্গে যুক্ত লস্কর-ই-তৈবার একটি ঘাঁটি। ১৯৯০ সাল থেকে এই মুরিদকে-তেই ছিল লস্কর-ই-তৈবার হেডকোয়ার্টার। হাফিজ সইদের নেতৃত্বে চলত এই সেন্টার। ২০০৮ সালে এখানেই আজমল কাসভ ও হেডলির ট্রেনিং হয়েছিল বলে জানা যায়।

    সাওয়াই ক্যাম্পেও হামলা

    পাক অধিকৃত কাশ্মীরে তাংধার সেক্টরে, সাওয়াই ক্যাম্পেও হামলা চালানো হয়েছে। এটিও একটি লস্কর-ই-তৈইবার ঘাঁটি। সোনমার্গ (২০ অক্টোবর, ২০২৪), গুলমার্গ (২৪ অক্টোবর, ২০২৪) এবং পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে যোগ ছিল এই জঙ্গি ঘাঁটির।

    গুলপুরেও হামলা চালায় ভারতীয় সেনা

    নিয়ন্ত্রণ রেখার ৩৫ কিলোমিটার দূরে গুলপুরেও হামলা চালায় ভারতে সেনা। গোয়েন্দা তথ্য থেকে জানা যায়, ২০২৩ সালের এপ্রিলে পুঞ্চে ভারতীয় সৈন্যদের ওপর হামলা এবং ২০২৪ সালের জুনে হিন্দু তীর্থযাত্রীদের একটি বাসে হামলার ঘটনায় যুক্ত ছিল এই জঙ্গি ঘাঁটি।এছাড়াও, আর তিনটি ঘাঁটি হল যথাক্রমে শিয়ালকোটে অবস্থিত মেহমুনা জয়া ঘাঁটি, কোটিলে অবস্থিত মার্কাজ আব্বাস ও মার্কাজ সায়েদা বিলালেও হামলা চালিয়েছে ভারত।

    কোটলি ও বাহওয়ালপুরকে কেন হামলার জন্য বেছে নেওয়া হল?

    মোট দু’টি জায়গায় প্রত্যাঘাত করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। একটি পাক অধ্যুষিত আজাদ কাশ্মীরের কোটলি, অন্যটি পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বাহওয়ালপুরে। তবে বেছে বেছে এই দু’টি জায়গাতেই কেন আঘাত আনল ভারত? বিশেষজ্ঞদের মতে, কাশ্মীরে যে জঙ্গি নাশকতা সূত্রপাত, তা এই এলাকা থেকেই শুরু হয়েছে। ভারতের সীমানা সংলগ্ন এলাকা হওয়াতে (Operation Sindoor) প্রতি মুহূর্তে এই এলাকাগুলিতেই অনুপ্রবেশ চালিয়েছে জঙ্গিরা।

    বাহওয়ালপুর

    পাকিস্তানের দক্ষিণ পাঞ্জাবে অবস্থিত হল বাহওয়ালপুর এই এলাকায় হানা দেয় ভারত।এখানেই ছিল জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদের মূল ডেরা। যা গুঁড়িয়ে দিল ভারত। জানা গিয়েছে, ২০০১ সালে ভারতের সংসদে আক্রমণ ও ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার ষড়যন্ত্র এখানে বসেই হয়েছিল। এই জঙ্গি ঘাঁটি দেখভাল করত মাসুদ আজহার। বিশ্বের মোস্ট ওয়াটেড সন্ত্রাসীদের মধ্যে সে অন্যতম। সূত্রের খবর, মাঝে মধ্যেই বাহওয়ালপুরের সদর দফতরে আসত মাসুদ। শুধু তাই নয়, আরও জানা যাচ্ছে, এই বাহওয়ালপুরেই জন্ম মাসুদের। হামলার পরে ইতিমধ্যে সমাজমাধ্য়মে পাকিস্তানি এক যুবকের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে ওই যুবককে দাবি করতে শোনা যাচ্ছে, ‘মাসুদ আজহারের মাদ্রাসায় ভয়াবহ হামলা হয়েছে। পরপর চারটি মিসাইল ফেলা হয়েছে।’ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাহওয়ালপুরের জইশ-ই-মহম্মদের সদর দফতরে অদূরেই রয়েছে পাক সেনার ঘাঁটি। কিন্তু এরপরেও পাকিস্তান বলে যে তারা সন্ত্রাসে মদত দেয় না। সূত্রের খবর (Operation Sindoor), এই বাহওয়ালপুরেই রয়েছে একটি গোপন পারমাণবিক কেন্দ্র।

    কোটলি

    কোটলিতে লস্কর-ই-তৈবার ঘাঁটিও ধূলিস্যাৎ বিমান হামলায়। হাফিজ সইদের হাত ধরেই যাত্রা শুরু হয় লস্কর-ই-তৈবার। ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার অন্যতম মূল চক্রী হাফিজ সইদ। কাশ্মীরে সন্ত্রাসী আঘাত হানার নেপথ্যে অন্যতম কারিগর এই জঙ্গি নেতা।

  • Operation Sindoor: মধ্যরাতে পাক ভূখণ্ডে এয়ার স্ট্রাইক ভারতের, কোথায় কোথায় হামলা? কত জঙ্গি খতম?

    Operation Sindoor: মধ্যরাতে পাক ভূখণ্ডে এয়ার স্ট্রাইক ভারতের, কোথায় কোথায় হামলা? কত জঙ্গি খতম?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার বদলা নিল ভারত (India)। মঙ্গলবার গভীর রাতে পাকিস্তান ও অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিল ভারতীয় বাহিনী (Operation Sindoor)। ভারতের এই প্রত্যাঘাত অভিযানের নাম দেওয়া হয় অপারেশন সিঁদুর। সেনার তরফ থেকে এয়ার টু সারফেস মিসাইল ব্যবহার করে এই সফল হামলা চালানো হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে ভারতের এই ‘প্রিসিশন স্ট্রাইক’-এ শতাধিক জঙ্গি খতম হয়েছে। তবে, অসমর্থিত সূত্রের খবর, সংখ্যাটা হতে পারে আরও কয়েক গুণ বেশি।

    কোন কোন জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হল (Operation Sindoor)?

    ● বাহওয়ালপুরের মারকাজে জৈশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটিতে

    ● মুরিদকেতে লস্কর-ই-তৈয়বার ঘাঁটিতে

    ● তাহরা কালানের সারজালে জৈশ-ই-মোহাম্মদের ঘাঁটিতে

    ● শিয়ালকোটের মেহমুনা জোয়ায়ায় হিজবুল মুজাহিদিনের ঘাঁটিতে

    ● মারকাজে আহলে হাদিসে লস্কর-ই-তৈয়বার ঘাঁটিতে

    ● কোটলিতে জৈশ-ই-মোহাম্মদের ঘাঁটিতে

    ● কোটলিতে হিজবুল মুজাহিদিনের ঘাঁটিতে

    ● মুজাফ্ফরাবাদের শাওয়াই নাল্লা ক্যাম্পে লস্কর-ই-তৈয়বার ঘাঁটিতে

    ● মুজাফ্ফরাবাদের সৈয়দনা বিলাল ক্যাম্পে জৈশ-ই-মোহাম্মদের ঘাঁটিতে

    কতজন সন্ত্রাসী খতম (Operation Sindoor)?

    বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ভারতীয় বায়ুসেনার অভিযানে ১০০-র বেশি জঙ্গি নিধন হয়েছে। তবে, এটাই শেষ নয়। কারণ, ভারতীয় সেনা গোয়েন্দাদের সূত্রে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, ওই সব জঙ্গি ঘাঁটিতে ৯০০-র কাছাকাছি জঙ্গি ছিল। বাহওয়ালপুরে ২৫০ জনেরও বেশি জঙ্গি ছিল। মুরিদকে ছিল ১২০ জনেরও বেশি জঙ্গি। মুজাফ্ফরাবাদে ১১০-১৩০ জনেরও বেশি জঙ্গি ছিল। কোটলিতে ৭৫-৮০ জন জঙ্গি ছিল। গুলপুরে ৭৫-৮০ জন জঙ্গি ছিল। ভিম্বারে ৬০ জন জঙ্গি ছিল। চক আমরুতে ৭০-৮০ জন জঙ্গি ছিল। শিয়ালকোটে ১০০ জন জঙ্গি ছিল। এই ঘাঁটিগুলিকে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। ফলে, ধ্বংসস্তূপ সরলে সংখ্যা অনেকটাই বাড়তে পারে। পাকিস্তান দাবি করেছে ৮ জন মারা গিয়েছে। এদিকে, সূত্রের খবর, বাহওয়ালপুরে নিহতদের মধ্যে জৈশ প্রধান আজহার মাহমুদের পরিবারেরই ১৪ সদস্য রয়েছে।  ফলে, পাক কোনও সারবত্তা নেই, তা প্রমাণিত।

    ‘‘ঘুসকে মারেঙ্গে’’! পাকিস্তানের ১০০ কিমি ভিতরে ঢুকে চলল হামলা (Operation Sindoor)

    ‘‘ঘুসকে মারেঙ্গে’’! অর্থাৎ ‘‘ঢুকে মারব’’। পহেলগাঁও হামলার পর বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কথা রেখেছেন তিনি। শুধু পাক-অধিকৃ ত কাশ্মীরই নয়, একেবারে পাকিস্তানের (Operation Sindoor) ভূখণ্ডেও এয়ারস্ট্রাইক চালাল ভারত। মঙ্গলবার মধ্যরাতে রাত ১ টা ৪০ মিনিট থেকে ২ টা ২০ মিনিট পর্যন্ত অভিযানে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল একাধিক জঙ্গিঘাঁটি। ৯ জায়গায় প্রত্যাঘাত। ১৯৭১ সালের পরে পাকিস্তানের এত বেশি অভ্যন্তরে গিয়ে অভিযান চালাল ভারত।

    ১. বাহাওয়ালপুর – ১০০ কিমি ভেতরে
    ২. মুরিদকে – ৩০ কিমি ভেতরে
    ৩. গুলপুর – ৩৫ কিমি ভেতরে
    ৪. সাওয়াই ক্যাম্প – ৩০ কিমি ভেতরে
    ৫. বিলাল ক্যাম্প – দূরত্ব নির্দিষ্ট করা হয়নি
    ৬. কোটলি ক্যাম্প – ১৫ কিমি ভেতরে
    ৭. বার্নালা ক্যাম্প – ১০ কিমি ভেতরে
    ৮. সরজাল ক্যাম্প – ৮ কিমি ভেতরে
    ৯. মেহমুনা ক্যাম্প – ১৫ কিমি ভেতরে

  • Bilawal Bhutto Zardari: বুধে মক ড্রিল ভারতে, ভয়ে কাঁপছে পাকিস্তান, ‘সন্ধির প্রস্তাব’ জারদারির

    Bilawal Bhutto Zardari: বুধে মক ড্রিল ভারতে, ভয়ে কাঁপছে পাকিস্তান, ‘সন্ধির প্রস্তাব’ জারদারির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই বুধবার। এদিন মক ড্রিল করবে ভারত। এজন্য সারা হয়ে গিয়েছে যাবতীয় প্রস্তুতি। স্বাভাবিকভাবেই চাপে পড়ে গিয়েছে পাকিস্তান। এহেন আবহে সুর নরম করে ‘সন্ধির প্রস্তাব’ দিলেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির প্রধান তথা প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি (Bilawal Bhutto Zardari)। গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। তার জেরে তলানিতে ঠেকেছে ভারত-পাকিস্তানের (Pakistan) সম্পর্ক। ইতিমধ্যেই ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক স্ট্রাইক ঘোষণা করেছে নয়াদিল্লি। এর মধ্যে রয়েছে সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিতও। তখনই বিলাওয়াল গর্জন করেছিলেন, “সিন্ধুতে ভারতীয়দের রক্তগঙ্গা বইবে।” এর পরেই তাঁর এক্স হ্যান্ডেল ব্লক করে দেয় কেন্দ্র।

    কী বললেন জারদারি? (Bilawal Bhutto Zardari)

    পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে পহেলগাঁও হামলা প্রসঙ্গে বিলাওয়াল বলেন, “ওই অপরাধে পাকিস্তানের কোনও হাত ছিল না। আমরা সন্ত্রাসবাদ রফতানি করি না, আমরা সন্ত্রাসবাদের শিকার।” তিনি বলেন, “ভারত যদি শান্তির পথে হাঁটতে চায়, তাহলে তাদের খোলা হাতে আসা উচিত, মুষ্টিবদ্ধভাবে নয়। তাদের তথ্য নিয়ে আসা উচিত, মিথ্যা নয়।” বিলাওয়াল বলেন, “আসুন, আমরা প্রতিবেশী হিসেবে বসে সত্য কথা বলি। যদি তারা তা না করে, তাহলে তাদের মনে রাখা উচিত যে পাকিস্তানের জনগণকে নতজানু হতে বাধ্য করা হয়নি। পাকিস্তানের জনগণের লড়াই করার দৃঢ় সঙ্কল্প আছে। কারণ আমরা সংঘাত ভালোবাসি না, আমরা ভালোবাসি স্বাধীনতা।”

    ভারতকেই সিদ্ধান্ত নিতে দিন 

    পাকিস্তানের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল (Bilawal Bhutto Zardari) বলেন, “ভারতকেই সিদ্ধান্ত নিতে দিন। সে কি আলোচনা করবে নাকি ধ্বংস হবে? সহযোগিতা করবে নাকি সংঘাত চায়?” এর পরেই তিনি বলেন, “একটি ট্যাঙ্ক দিয়ে সন্ত্রাসবাদকে দমন করা যাবে না। একে ন্যায়ের মাধ্যমে পরাজিত করতে হবে। গুলি দিয়ে একে উৎখাত করা যাবে না, আশা দিয়ে নিরস্ত্র করতে হবে।” বিলাওয়াল বলেন, “জাতিগুলিকে দানব হিসেবে চিত্রিত করে নয় (Pakistan), বরং যে অভিযোগগুলি এর জন্ম দেয়, সেগুলির মোকাবিলা করেই একে পরাস্ত করতে হবে (Bilawal Bhutto Zardari)।”

  • Anti India Parade: কানাডায় ফের ভারত-বিরোধী প্যারেড খালিস্তানপন্থীদের, কড়া বার্তা দিল নয়াদিল্লি

    Anti India Parade: কানাডায় ফের ভারত-বিরোধী প্যারেড খালিস্তানপন্থীদের, কড়া বার্তা দিল নয়াদিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একে ভারত-বিরোধী প্যারেড (Anti India Parade)। তায় আবার যোগ দিলেন খোদ কানাডার (Canada) প্রধানমন্ত্রী। প্যারেডে দেশ থেকে হিন্দুদের ভারতে নির্বাসনের দাবি ওঠে। তার পরেই প্রশ্ন উঠছে, ক্ষমতায় টিকে থাকতে পূর্বসূরি জাস্টিন ট্রুডোর পথেই হাঁটছে কানাডা? ঘটনার কড়া নিন্দা করেছে ভারত। সোমবার ভারত নয়াদিল্লিতে কানাডার হাইকমিশনের কাছে টরন্টোর ওই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। এই প্যারেডে একটি ট্রাকর ওপর জেলের আদলে কারা তৈরি করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের খাঁচাবদ্ধ কুশপুতুল রাখা হয়েছিল। বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী ৮ লাখ হিন্দুকে ভারতে ফেরত পাঠানোর দাবিও জানানো হয় ওই প্যারেডে। দিন কয়েক আগে কানাডার টরন্টোর মাল্টন গুরুদ্বারে আয়োজিত হয়েছিল হিন্দু বিরোধী একটি কুচকাওয়াজ। সেখানেই ওঠে কানাডা থেকে হিন্দু বিতাড়নের দাবি। জানা গিয়েছে, কানাডায় বসবাসকারী খালিস্তানপন্থীরা এই প্যারেডের আয়োজন করেছিল।

    কানাডাক কড়া বার্তা ভারতের (Anti India Parade)

    সূত্রের খবর, এদিন ভারতের তরফে কানাডার হাইকমিশনকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, “আমরা আবারও কানাডিয়ান কর্তৃপক্ষকে ভারত-বিরোধী উপাদানগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি, যারা ঘৃণা ছড়ায় এবং চরমপন্থা ও বিচ্ছিন্নতাবাদী অ্যাজেন্ডাকে সমর্থন করে।” কানাডার সাংবাদিক ড্যানিয়েল বোর্ডম্যান বলেন, “জিহাদিরা আমাদের রাস্তায় তাণ্ডব চালাচ্ছে, ইহুদিদের হুমকি দিচ্ছে, সামাজিক কাঠামোর উল্লেখযোগ্য ক্ষতি করছে।” তিনি (Canada) বলেন, “খালিস্তানিরা সমাজের জন্য সব চেয়ে ঘৃণ্য বিদেশি অর্থায়নের হুমকির বিরুদ্ধে তাদের অর্থের জন্য ভালো সুযোগ করে দিচ্ছে।” এর পরেই তাঁর প্রশ্ন, “মার্ক কার্নির কানাডা কি জাস্টিন ট্রুডোর থেকে আলাদা হবে?” কানাডার ওই সাংবাদিক শন বিন্দা নামে এক ইউজারের একটি এক্স পোস্টের প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছিলেন। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন, খালিস্তানি জঙ্গি গোষ্ঠী হিন্দু বিরোধী ঘৃণা থেকে এই প্রতিবাদ করেছে।

    টরন্টোর মাল্টন গুরুদ্বার

    এক্স হ্যান্ডেলে বিন্দা লিখেছেন, “টরন্টোর মাল্টন গুরুদ্বারার কে-গ্যাং নির্লজ্জভাবে ৮ লাখ হিন্দুকে – যারা ত্রিনিদাদ, গায়ানা, সুরিনাম, জামাইকা, দক্ষিণ আফ্রিকা, নেদারল্যান্ডস, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা, সিঙ্গাপুর, কেনিয়া ও তার বাইরেও বিস্তৃত – তাদের হিন্দুস্তানে নির্বাসিত করার দাবি করছে। এটি ভারত সরকারের বিরুদ্ধে কোনও প্রতিবাদ নয়, এটি কানাডার সব চেয়ে মারাত্মক হামলার জন্য কুখ্যাত একটি খালিস্তানপন্থী জঙ্গি গোষ্ঠীর স্পষ্ট হিন্দু বিরোধী ঘৃণা, তবুও অহংকার করে থাকার অধিকার দাবি করছে।” এর পরেই তিনি হ্যাশট্যাগ দিয়ে লিখেছেন, “খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদ (Anti India Parade)।”

    হুমকিমূলক ভাষা প্রয়োগ

    ভারতের বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, “টরন্টোতে আয়োজিত এক প্যারেডে আমাদের নেতৃত্ব এবং কানাডায় বসবাসরত ভারতীয় নাগরিকদের বিরুদ্ধে অগ্রহণযোগ্য চিত্র ও হুমকিমূলক ভাষা ব্যবহারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে নয়াদিল্লিতে অবস্থিত কানাডীয় হাই কমিশনের কাছে আমরা জোরালো ভাষায় আমাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছি।”  বিদেশমন্ত্রক আরও জানিয়েছে, “আমরা কানাডীয় কর্তৃপক্ষের কাছে ভারতবিরোধী সেইসব শক্তির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আবারও আহ্বান জানাই, যারা বিদ্বেষ, চরমপন্থা ও বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মসূচি প্রচার করে চলেছে।” টরন্টোর মাল্টন গুরুদ্বারে একটি হিন্দুবিরোধী প্যারেড হয়। প্যারেডের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে। এই ঘটনাটি কানাডায় শিখ গুরুদ্বার ও একটি হিন্দু মন্দিরে খালিস্তানপন্থী গ্রাফিতি এঁকে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে এসেছে (Canada)।

    বার বার বিতর্কিত প্যারেড

    কানাডার এক হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা ভিডিওটি অনলাইনে পোস্ট করে এটিকে খালিস্তানপন্থী জঙ্গি গোষ্ঠীর দ্বারা প্রচারিত প্রকট হিন্দুবিরোধী বিদ্বেষ বলে নিন্দা করেন (Anti India Parade)। প্রসঙ্গত, কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি ও ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টি জাতীয় নির্বাচনে জয়লাভ করার কয়েকদিন পরেই টরন্টোতে হিন্দু বিরোধী প্যারেড হয়। কানাডার জাতীয় নির্বাচনটি নির্ধারিত সময়ের আগেই অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কারণ কার্নি নয়া ম্যান্ডেট পেতে সংসদ ভেঙে দিয়েছিলেন। তিনি জাস্টিন ট্রুডোর কাছ থেকে দায়িত্ব নিয়েছিলেন, যিনি তাঁর দলের মধ্যে সমর্থন হারানোর পরে তাঁর মেয়াদের শেষের দিকে পদত্যাগ করেছিলেন (Canada)।

    বিতর্কিত এই প্যারেডটি হয়েছে ঠিক কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির লিবারেল পার্টির জাতীয় নির্বাচনে জয়লাভের কয়েক দিন পরেই। অনেকেই আশা করেছিলেন যে তাঁর নেতৃত্বে ভারতের সঙ্গে উন্নত হবে কানাডার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক (Anti India Parade)। এপ্রিল মাসে সারে শহরে বার্ষিক খালসা দিবস বৈশাখী মিছিলেও খালিস্তানপন্থী পতাকা ও ভারতবিরোধী ছবি দেখা গিয়েছিল (Canada)। প্রধানমন্ত্রী মোদি ও অমিত শাহের ছবিসহ ‘ওয়ান্টেড’ পোস্টার প্রদর্শনের ঘটনায় সেই মিছিলটি নিয়েও ব্যাপক সমালোচনা হয় (Anti India Parade)।

LinkedIn
Share