Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Mikhail Gorbachev: প্রয়াত সোভিয়েত ইউনিয়নের শেষ রাষ্ট্রপতি মিখাইল গর্বাচেভ, বয়স হয়েছিল ৯১ বছর

    Mikhail Gorbachev: প্রয়াত সোভিয়েত ইউনিয়নের শেষ রাষ্ট্রপতি মিখাইল গর্বাচেভ, বয়স হয়েছিল ৯১ বছর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত হলেন সোভিয়েত ইউনিয়নের (Soviet Union) শেষ রাষ্ট্রপতি মিখাইল গর্বাচেভ (Mikhail Gorbachev)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। দীর্ঘদিন ধরেই কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন এই নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী সোভিয়েত নেতা।  রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর সেন্ট্রাল ক্লিনিকাল হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। মঙ্গলবার সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। জানা গিয়েছে, প্রাক্তন রাষ্ট্রনায়ককে মস্কোর নোভোদেভিচি কবরস্থানে তাঁর স্ত্রীর পাশে সমাহিত করা হবে।  তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। 

    আরও পড়ুন: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এই প্রথম রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দিল ভারত!
     
    ১৯৩১ সালে জন্ম হয় মিখাইল গর্বা্চেভের। ১৯৮৫ থেকে ১৯৯১ অবধি ক্ষমতায় ছিলেন মিখাইল গর্বাচেভ। তাঁর আমলেই সোভেয়েত-মার্কিন (Soviet Union-USA) শীতল যুদ্ধের ইতি হয়। ১৯৮৪ সালে ৫৩ বছর বয়সে কমিউনিস্ট পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি হন গর্বাচেভ। তাঁর আমলেই মধ্য ও পূর্ব ইউরোপে কমিউনিজমের পতন ঘটেছিল। একদিকে যেমন অসংখ্য সোভিয়েত নাগরিকের কাছে স্বাধীনতা প্রদানকারী নেতা হয়ে উঠেছিলেন, তেমনি অন্যদিকে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের জন্যেও দায়ী করা হয় তাঁকে।  

    আন্তর্জাতিকভাবে সম্মানিত এই রাষ্ট্র নায়ককে প্রায়শই শীতল যুদ্ধের শান্তিপূর্ণ সমাপ্তি ও জার্মান পুনর্মিলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য কৃতিত্ব দেওয়া হয়। বিশেষ করে পূর্ব জার্মানরা এখনও তাঁকে শ্রদ্ধা করেন। আটের দশকে গর্বাচেভের নেতৃত্বে সোভিয়েত ইউনিয়ন পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ এবং অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুগান্তকারী চুক্তি করে।  

    আরও পড়ুন: পয়গম্বরকে অপমানের বদলা নিতে ভারতে হামলার ছক, রাশিয়ায় গ্রেফতার আইএস জঙ্গি
     
    ১৯৯০ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিলেন গর্বাচেভ। অল্প দিনেই সোভিয়েত ইউনিয়নের যে ব্যাপক অর্থনৈতিক উত্থান ঘটেছিল তা বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। ভেঙে পড়ে সোভিয়েত ইউনিয়ন। জন্ম হয় নতুন ১৫টি দেশের। এই ঘটনাতেই ধীরে ধীরে রাজনীতি থেকে হারিয়ে যান গর্বাচেভ। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের রাষ্ট্রপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। রাশিয়ার এক বড় অংশ আজও সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের জন্যে গর্বাচেভকেই দায়ী করে। ভক্ত যেমন ছিল, তেমনই ছিল সমালোচক। রাজনীতিবিদ হিসেবে সবসময় মিশ্র প্রতিক্রিয়াই পেয়ে এসেছেন এই রাষ্ট্রনেতা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Pakistan Flood: ভয়াল বন্যায় বিপর্যস্ত পাকিস্তান, মৃত্যু হাজার পার, সমবেদনা জানালেন মোদি

    Pakistan Flood: ভয়াল বন্যায় বিপর্যস্ত পাকিস্তান, মৃত্যু হাজার পার, সমবেদনা জানালেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়াবহ বন্যার (Flood) কবলে পাকিস্তান (Pakistan)। সোমবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা (Death Toll) ১ হাজার ১৩৬ জন। দেশের জনসংখ্যার এক সপ্তমাংশকে ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয় নিতে হয়েছে অন্যত্র। দেশ-বিদেশ (Foreign) থেকে সাহায্য আসতে শুরু করেছে পাকিস্তানে।

    দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ভারী বর্ষণের জেরে ভয়াল বন্যায় শাহবাজ শরিফের দেশ। পাকিস্তানের জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শেরি রহমানের মতে এই দশকের ভয়ঙ্কর বন্যা এটি। এই বন্যার প্রভাব পাকিস্তানের অর্থনীতিতে পড়বে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী মিফতা ইসমাইল। এমনিতেই অর্থনীতির হাল বেহাল পাকিস্তানে। তার ওপর এই বন্যা কার্যত অভিশাপ হয়ে দেখা দিয়েছে সে দেশে।

    আরও পড়ুন : চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরে তৃতীয় দেশের অন্তর্ভুক্তি! কড়া সমালোচনা ভারতের

    মন্ত্রীর মতে, এই বন্যায় যা ক্ষতি হয়েছে, তা পুনর্গঠন করতে বছর পাঁচেক সময় লাগবে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের বেশি। জানা গিয়েছে, বন্যায় মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ১৩৬ জন। জখম হয়েছেন ১ হাজার ৬৩৪ জন। প্রচুর বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে। বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন বহু মানুষ। দেখা দিয়েছে খাদ্য, পানীয় জলের সংকট। প্রাণ হারিয়েছে সাত লক্ষেরও বেশি প্রাণী। সপ্তাহভর টানা বৃষ্টির জেরে ধুয়ে গিয়েছে জমির ফসল। নারী ও শিশু মিলিয়ে অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে জলে ডুবে। দুর্গতদের নিয়ে যাওয়ার পথে সিন্ধু নদে নৌকা উল্টে নিখোঁজ হয়েছেন ৩০ জন। পাকিস্তানের প্রবীণ এক পুলিশ আধিকারিক জানান, সিন্ধের পুলিশ পাকিস্তান নৌসেনার সঙ্গে যৌথভাবে উদ্ধার করেছে সাতজন বন্যা দুর্গতকে। খাইবার পাখতুন প্রদেশের হাজার হাজার বাসিন্দা দেশের বাকি অংশের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। বিপদে পড়া দেশটিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তুরস্ক ও আরব আমিরশাহি। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারও।

    প্রতিবেশী দেশের ভয়াল বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির জেরে শোকপ্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বন্যায় মৃতের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি। ট্যুইটবার্তায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, বন্যায় যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, যাঁরা আহত হয়েছেন এবং প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে যাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাঁদের পরিবারকে সমবেদনা জানাই। দেশটি দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরবে বলেও আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Pakistan Flood: বন্যায় ভাসছে দেশ, মোদির সমবেদনার পরেও পাক প্রধানমন্ত্রীর মুখে সেই কাশ্মীর!

    Pakistan Flood: বন্যায় ভাসছে দেশ, মোদির সমবেদনার পরেও পাক প্রধানমন্ত্রীর মুখে সেই কাশ্মীর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়াল বন্যায় (Flood) বিপর্যস্ত পাকিস্তানের (Pakistan) একটা বিরাট অংশ। মৃতের সংখ্যা হাজার পার। এমতাবস্থায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। বন্যায় মৃতের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এহেন আবহে ফের কাশ্মীর (Kashmir) ইস্যু খুঁচিয়ে তুললেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)।

    দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ভারী বর্ষণের জেরে ভয়াল বন্যায় শাহবাজ শরিফের দেশ। পাকিস্তানের জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শেরি রহমানের মতে এই দশকের ভয়ঙ্কর বন্যা এটি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হাজার কোটি মার্কিন ডলারের বেশি। জানা গিয়েছে, বন্যায় মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ১৩৬ জন। জখম হয়েছেন ১ হাজার ৬৩৪ জন। প্রচুর বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে। বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন বহু মানুষ। দেখা দিয়েছে খাদ্য, পানীয় জলের সংকট। প্রাণ হারিয়েছে সাত লক্ষেরও বেশি প্রাণী। সপ্তাহভর টানা বৃষ্টির জেরে ধুয়ে গিয়েছে জমির ফসল। এমতাবস্থায় ভারত থেকে আনাজ আমদানির কথা ভাবছে পাক প্রশাসন। এদিকে, মৃতের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়ে ট্যুইট করেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ট্যুইট বার্তায় তিনি আশা প্রকাশ করেছিলেন, পাকিস্তান দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরবে। এর পরে পরেই পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মিফতা ইসমাইল জানান, ভারত থেকে আনাজ এবং অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী আমদানি করার কথা বিবেচনা করা হচ্ছে। তিনি এও জানিয়েছিলেন, বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মোকাবিলায় এসব আমদানি করা হবে।

    আরও পড়ুন : বন্যায় ভেসে গিয়েছে ফসল, ভারত থেকে আনাজ আমদানি করতে চলেছে পাকিস্তান?

    এর পরেই ফের একবার কাশ্মীর ইস্যু খুঁচিয়ে তুললেন পাক প্রধানমন্ত্রী। কাশ্মীর থেকে রদ করা হয়েছে ৩৭০ ধারা। ফের একবার তার কড়া সমালোচনা করেন শাহবাজ। কূটনৈতিক মহলের মতে, এছাড়া শাহবাজের কাছে আর কোনও রাস্তা ছিল না। কারণ রাজনীতিতে তাঁর ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। দেশীয় রাজনীতির বাধ্যবাধ্যকতাও রয়েছে। সেই কারণেই ভয়াল বন্যার পরিস্থিতিতেও কাশ্মীর ইস্যু খুঁচিয়ে তুলেছেন শাহবাজ। এদিকে, ভারতের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানের তরফে কোনও বন্যাত্রাণ সহায়তা চাওয়া হয়নি। তবে ঘরোয়া রাজনীতিতে ছাপ ফেলতেই শাহবাজ কাশ্মীর ইস্যু খুঁচিয়ে তুলেছেন বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • War games: চিন, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ-মহড়া ভারতের, চিন্তায় আমেরিকা

    War games: চিন, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ-মহড়া ভারতের, চিন্তায় আমেরিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত যেন আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু। ভারতকে নিয়ে চলছে দড়ি টানাটানি খেলা। পৃথিবীর সব শক্তিধর দেশই নিজের দলে রাখতে চাইছে ভারতকে। তাই রাশিয়ায় চিনের সঙ্গে সামরিক মহড়ায় অংশগ্রহণের ভারতের সিদ্ধান্তে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র (USA)। 

    বৃহস্পতিবার থেকে পূর্বাঞ্চলে সপ্তাহব্যাপী যৌথ সামরিক মহড়ার (War Games) আয়োজন করেছে রাশিয়া (Russia)৷ চিন (China), ভারতসহ সোভিয়েত ইউনিয়নের কয়েকটি দেশ অংশ নিচ্ছে এই সামরিক মহড়ায়৷ 

    আরও পড়ুন: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এই প্রথম রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দিল ভারত!

    ভস্তক ২০২২ নামের এই সামরিক মহড়ায় ৫০ হাজারের বেশি সৈন্য অংশ নেবেন৷ ১৪০টি যুদ্ধ বিমান এবং ৬০ টি যুদ্ধ জাহাজ ব্যবহার করা হবে এই মহড়ায়৷ তবে ২০১৮  সালে শেষবার অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই মহড়া। প্রায় তিন লক্ষ সেনা অংশ নিয়েছিলেন৷ সেই সময় প্রায় ১ হাজার যুদ্ধ বিমান এবং ৩৬ হাজার ট্যাঙ্ক ছিল৷   

    ২০২০ সালে গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের পরেই ভারত-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি ঘটে। তারপর থেকেই দুই দেশের যৌথ সামরিক মহড়া বন্ধ রাখা হয়েছে। বার বার আলোচনায় বসেও কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি। এই অবস্থায় কী করে এই দুই দেশকে একসঙ্গে মহড়ায় রাজী করাল রাশিয়া, তা নিয়ে অবাক হয়েছেন অনেকেই। 

    আরও পড়ুন: চিনের অমানবিকতা! উইঘোর বাসিন্দাদের উপর নির্মম বেজিং, দাবি রাষ্ট্রপুঞ্জে

    সংশ্লিষ্ট মহলের অনুমান, কোণঠাসা অবস্থায় দুই পুরোনো বন্ধুকে পাশে পেতে চাইছে রাশিয়া। ইউক্রেনে হামলা চালানোর পরে অধিকাংশ দেশগুলি রাশিয়ার নিন্দা করলেও, প্রকাশ্যে মস্কোর পাশে দাঁড়িয়েছে চিন (China)। প্রবল চাপ সত্বেও রাশিয়ার নিন্দা করেনি ভারত। আর সে কারণেই ভারত এবং চিনের মধ্যে সমস্ত বিবাদ মিটিয়ে দিতে চাইছেন পুতিন, যেন প্রয়োজন পড়লে দুই দেশই রাশিয়ার পাশে দাঁড়াতে পারে। 

    অন্যদিকে ভারতকে নিজেদের প্রতিরক্ষা অংশীদার করতে চাইছে আমেরিকা। ইউক্রেনের যুদ্ধের জন্য রাশিয়ার ওপর আরোপিত আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞাগুলো যাতে খর্ব না হয় তার জন্যে দিল্লিকে অনুরোধ করছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেন-রাশিয়া অশান্তির মধ্যে ভারতীয়  সেনার এই রাশিয়া সফরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে হোয়াইট হাউজ। এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে এই মহড়া আয়োজন। ভারত-চীনের অংশগ্রহণ এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। বিষয়টিকে বাইডেন প্রশাসন গুরুত্বসহকারে পর্যবেক্ষণ করছে বলেও জানিয়েছে ওয়াশিংটন।

    তবে মহড়ার জন্যে সেনার ছোট দল রাশিয়ায় পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে ভারত সরকার। সেনার তিন বিভাগেই মহড়া চালানো হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে ভারতের তরফ থেকে সামরিক বিমান বা যুদ্ধজাহাজ পাঠানো হবে না। সেনার তিন বিভাগ থেকে প্রতিনিধিদের পাঠানো হবে। স্থলসেনার তরফে গোর্খা রেজিমেন্টকে পাঠানো হচ্ছে সামরিক মহড়ায়। সবমিলিয়ে ভারতের তরফ থেকে ৭৫ জনের একটি দল রাশিয়ায় যাবে।  

    কূটনৈতিক দিক দিয়ে বরাবরই নিরপেক্ষ থেকেছে ভারত। কিছুদিন পরেই আরণাচলপ্রদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথ মহড়ায় অংশগ্রহণ করবে। চিনের আপত্তিকে পাত্তা না দিয়েই হবে এই মহড়া।

    সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক মহলে সবচেয়ে বেশি দর ভারতের। সব দেশই চাইছে ভারতের বন্ধুত্বের হাত। শেষ হাসি কে হাসবে তা সময় বলবে। কিন্তু এই অবধি সব দেশের সঙ্গেই বন্ধুত্বের সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে ভারত। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Bangladesh: নাশকতা কমলেও বাংলাদেশে কমছে না মৌলবাদ, চাঞ্চল্যকর দাবি উঠে আসছে গবেষণায়

    Bangladesh: নাশকতা কমলেও বাংলাদেশে কমছে না মৌলবাদ, চাঞ্চল্যকর দাবি উঠে আসছে গবেষণায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদী হামলা বা নাশকতার সংখ্যার দিক থেকে দেখলে বাংলাদেশে গত কয়েক বছরে সংখ্যাটা বেশ কিছুটা কমেছে। কিন্তু নাশকতার সংখ্যা কমলেও সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ কমছে না বাংলাদেশে। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠে এলো সাউথ এশিয়া ডেমোক্র্যাটিক ফোরামের একটি গবেষণায়।   

    আরও পড়ুন: জলবণ্টন চুক্তি নিয়ে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে ভারত-বাংলাদেশ

    ব্রাসেলে (Brussel) সাউথ এশিয়া ডেমোক্রাটিক ফোরামের (South Asia Democratic Forum) একটি আলোচনা সভায় সংস্থার গবেষণা সংক্রান্ত নির্দেশক  ডঃ সিগফ্রায়েড ও ওলফ (Dr. Siegfried O Wolf) জানান, গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদী হামলা এবং মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। কিন্তু বাংলাদেশে কিছুতেই কমছে না ইসলামিক সন্ত্রাসবাদের সমস্যা। ‘হেফাজত-ই-ইসলাম এবং বাংলাদেশের সন্ত্রাসবাদের সমস্যা’ শীর্ষক এই গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে,  হেফাজত-ই-ইসলাম (Hefazat-e-Islam) এই মুহূর্তে বাংলাদেশের (Bangladesh)  সবথেকে বড় সক্রিয় ইসলামিক সন্ত্রাসবাদী দল।   

    গবেষণায় উঠে আসা তথ্য অনুযায়ী,  নাশকতার সংখ্যা না বাড়ালেও এই সন্ত্রাসবাদী দল বাংলাদেশে মুক্ত চিন্তা ভাবনার বিকাশকে ব্যাহত করছে। উগ্র ধর্মীয়বাদকে বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে  দিচ্ছে এই সংগঠন। 
    হেফাজত-ই-ইসলাম,  নিজেদের সামাজিক সংগঠন হিসেবে এই দল তুলে ধরলেও অবিলম্বে এই দলকে সন্ত্রাসবাদী দল হিসেবে ঘোষণা করা উচিৎ সরকারের।  

    সাউথ এশিয়ার ডেমোক্রেটিক ফোরাম  দক্ষিণ এশিয়ার  বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক বিষয় নিয়ে গবেষণা করে থাকে।  ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার সম্পর্কের ওঠানামা এই সংস্থার আলোচনার মূল বিষয়। ব্রাসেলকে কেন্দ্র করে এই গবেষণা দল কাজ করছে।   

    আরও পড়ুন: “এ দেশে সকলের সমান অধিকার”, জন্মাষ্টমীতে হিন্দুদের উদ্দেশে বিশেষ বার্তা দিলেন শেখ হাসিনা

    গবেষক ডঃ সিগফ্রায়েড ও ওল্ফ বলেন, “গত এক দশকে বিভিন্ন অশান্তির পর বাংলাদেশ সরকার কড়া অবস্থান নিয়েছে। বিভিন্ন উস্কানিদাতাদের গ্রেফতার করেছে। অনেকেই মনে করেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এই কড়া অবস্থান বিভিন্ন উগ্র ধর্মীয়বাদী দলকে নেতৃত্বকে সমস্যায় ফেলেছে। কিন্তু এই ভাবে ভাবলে সমস্যাকে খুবই ছোট করে দেখা হবে। বাংলাদেশে হেফাজত-ই-ইসলামের মতো দল আর্থ-সামাজিক সংগঠনের মোড়কে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ জারি রেখেছে৷ যা নিয়ে সরকারের সচেতন হওয়া উচিৎ।”  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Deadly Triad Disease: কোভিড, এইচআইভি, মাঙ্কিপক্স, বিশ্বে এই প্রথম তিন মারণ রোগে একসঙ্গে আক্রান্ত যুবক

    Deadly Triad Disease: কোভিড, এইচআইভি, মাঙ্কিপক্স, বিশ্বে এই প্রথম তিন মারণ রোগে একসঙ্গে আক্রান্ত যুবক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোভিড (Covid), মাঙ্কিপক্স (Monkey Pox) নিয়ে ইতিমধ্যেই সন্ত্রস্ত গোটা বিশ্ব। ফের নতুন করে ভয় ধরাতে শুরু করেছে এইচআইভি (HIV)। নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন বহু মানুষ। এরই মধ্যে এক বিরলতম ঘটনার সাক্ষী হল পৃথিবী। ইতালির এক যুবকের দেহে একই সঙ্গে ধরা পড়ল করোনা, মাঙ্কিপক্স এবং এইচআইভি। বিজ্ঞানীদের মতে বিশ্বে প্রথম এমন ঘটনা ঘটল। স্পেনে (Spain) ঘুরতে গিয়েছিলেন ইতালির এই ৩৬ বছর বয়সী যুবক। তারপরই এসে তিনি একই সঙ্গে তিনটে রোগে আক্রান্ত হন বলেই জানিয়েছে সিসিলির ক্যাটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়।

    আরও পড়ুন: করোনা, মাঙ্কি পক্সের পরে এবারে নতুন আতঙ্ক টোম্যাটো ফ্লু, নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্র
     
    উপসর্গ হিসেবে এই ভদ্রলোকের জ্বর ছিল সঙ্গে গলা ধরা, মাথা ব্যথা ছিল বলে জানা গিয়েছে। জুনের ১৬ থেকে ২০ তারিখ অবধি তিনি স্পেনে ছিলেন। আর সেইসময় তিনি অন্য এক পুরুষের সঙ্গে অসুরক্ষিত যৌনতায় লিপ্ত হন। এরপর জুলাইয়ের ২ তারিখ তাঁর করোনার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। যদিও তার তিন দিন আগে থেকেই উপসর্গ দেখা দিয়েছিল। যেদিন তাঁর কোভিড ধরা পড়ে সেদিনই তাঁর সারা গায়ে র‍্যাশ বেরোতে শুরু করে। কোমরে, মুখে, হাতে বড় বড় ফোস্কা দেখা যায়। এরপর ৫ জুলাই তাঁকে স্যান মার্কো বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ছোঁয়াচে রোগের বিভাগে রাখা হয়। সেখানেই তাঁর মাঙ্কিপক্স টেস্ট করা হলে পজিটিভ আসে রিপোর্ট। একইসঙ্গে অন্যান্য আরও পরীক্ষা করা হয়, যেখানে ধরা পড়ে তিনি এইচআইভি ১ পজিটিভ। তাঁর এই প্রতিটা সংক্রমণ খুব সম্প্রতি হয়েছে বলেই দাবি করেছেন চিকিৎসকরা। কারণ এর আগে তিনি ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে যখন এইচআইভি টেস্ট করিয়েছিলেন তখন তাঁর রিপোর্ট নেগেটিভ ছিল।

      আরও পড়ুন: কোভিড এবং টোম্যাটো জ্বরের উপসর্গে অনেকটাই মিল, পার্থক্য বুঝবেন কীভাবে?

    এর পরই বিজ্ঞানীরা জানান, কোভিড এবং মাঙ্কিপক্স এক সঙ্গে হতেই পারে। এছাড়াও যাঁদের মাঙ্কিপক্স হচ্ছে তাঁদের সতর্ক থাকা উচিত। কারণ ২০ দিন পরেও অনেক ক্ষেত্রে রিপোর্ট পজিটিভ আসছে। সবকটি রোগ একসঙ্গে হলে প্রাণহানির কোনও আশঙ্কা বাড়ে কিনা সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। তবে সকলকে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।    

    হাসপাতালে এক সপ্তাহের বেশি ভর্তি ছিলেন ওই ইতালীয় যুবক। কোভিড-১৯ এবং মাঙ্কিপক্স থেকে সেরে উঠেছেন তিনি। এইচআইভি সংক্রমণের চিকিৎসাও শুরু হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে গবেষকরা বলেছেন, “এই বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে দেখা গিয়েছে কোভিড এবং মাঙ্কিপক্সের লক্ষণ কী ভাবে মিশে গিয়েছে। ২টি সংক্রমণ এক সঙ্গে হলে কী ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে, তা নিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • India Votes against Russia: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এই প্রথম রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দিল ভারত!

    India Votes against Russia: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এই প্রথম রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দিল ভারত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই প্রথম রাশিয়ার (Russia) বিরুদ্ধে ভোট দিল ভারত (India)। এই মুহূর্তে চলছে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia Ukraine War)। এহেন আবহে ভারতের এই অবস্থান তাৎপর্যপূর্ণ বই কি!

    ২৪ অগাস্ট রাষ্টসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বৈঠকে অংশ নিতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে ভোটাভুটি হয়। সেই ভোটাভুটিতেই রাশিয়ার বিপক্ষে ভোট দিয়েছে ভারত। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। নিরাপত্তা পরিষদে ইউক্রেনের ওপর ভোটাভুটিতে এতদিন অংশ নেয়নি নয়াদিল্লি। এবার নিল। এবং ভোট দিল রাশিয়ার বিপক্ষেই। আমেরিকা সহ পশ্চিমি দেশগুলি রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক ও অন্যান্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে তাঁদের অভিযোগ, ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছে পুতিনের দেশ।

    আরও পড়ুন : রাশিয়া থেকে আমদানি কমিয়েছে ভারত, বেড়েছে সৌদি আরব থেকে তেল কেনা

    ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে পশ্চিমি দেশগুলি। তবে নয়াদিল্লি এর থেকে ছিল যোজন দূরে। ভারত রাশিয়া এবং ইউক্রেন দুই দেশের সঙ্গেই ‘বন্ধুত্বে’র সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে এতদিন। নয়াদিল্লি এও জানিয়েছিল, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধাবসানে যা করণীয়, তাই করবে সাউথব্লক। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য সংখ্যা পাঁচ। এই পাঁচটি দেশ হল, আমেরিকা, রাশিয়া, ব্রিটেন, চিন এবং ফ্রান্স। অস্থায়ী সদস্য দেশের সংখ্য ১০। এই সদস্য দেশগুলি নির্বাচিত হয় দু বছরের জন্য। এই মুহূর্তে ভারত নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য। চলতি বছরের ডিসেম্বরেই শেষ হবে যার মেয়াদ।

    ইউক্রেনের ৩১তম স্বাধীনতার আবহে রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ২৪ অগাস্ট বৈঠক বসে নিরাপত্তা পরিষদে। সেখানেই রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ান অ্যাম্বাসাডর ভ্যাসিলা এ নেবেনজিয়া (Vassily A. Nebenzia) ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভিডিও টেলিকনফারেন্সে এই বৈঠকে অংশ নেবেন কিনা, তা নিয়ে ভোটাভুটি করতে অনুরোধ করেন। এই ভোটেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দেয় ভারত। ভোটের ফল বের হলে দেখা যায়, ইউক্রেনের পক্ষে ভোট পড়েছে ১৩টি। বিপক্ষে একটি। অর্থাৎ রাশিয়া ভোট দিয়েছে বিপক্ষে। ভোটদানে বিরত ছিল চিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Japan: সবই দেশের জন্য! রাজস্ব বাড়াতে যুব সমাজকে মদ্যপানে উৎসাহ জাপান সরকারের

    Japan: সবই দেশের জন্য! রাজস্ব বাড়াতে যুব সমাজকে মদ্যপানে উৎসাহ জাপান সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তলানিতে ঠেকেছে মদ বিক্রি থেকে প্রাপ্ত রাজস্ব। দেশের তরুণদের মদ্যপানে উৎসাহ দিচ্ছে জাপান! ঠিকই শুনছেন। দেশের অর্থনীতির হাল ফেরাতে তরুণদের মদ্যপানে (Alcohol) উৎসাহ দিচ্ছে জাপান (Japan) সরকার। শুধু উৎসাহ দেওয়াই নয়, চালু করা হয়েছে নতুন একটি ক্যাম্পেনও (Campaign)। নাম দেওয়া হয়েছে ‘সেক ভিভা’। জাপানের ন্যাশনাল ট্যাক্স এজেন্সি চালু করেছে এই ক্যাম্পেন।

      আরও পড়ুন: তীব্র গরম থেকে পোষ্যকে বাঁচাতে অভিনব পোশাক নিয়ে হাজির জাপানের এক সংস্থা

    জাপানে তরুণদের যাতে মদ্যপানের অভ্যাস ফেরে তার জন্য ঠিক কোন পন্থা নেওয়া যেতে পারে, সেই নিয়ে বিভিন্ন মতামত চেয়ে পাঠানো হয়েছে সেখানে। খোলাখুলি জাপানের ট্যাক্স এজেন্সি জানিয়েছে, মদ বিক্রির পরিমাণ একেবারে তলানিতে ঠেকেছে জাপানে। যার জেরে প্রবলভাবে মার খেয়েছে দেশে মদ্যপান থেকে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ। আর তার জেরেই এই প্রক্রিয়া। ২০ থেকে ৩৯ বছর বয়সীরা অংশ নিতে পারবেন ক্যাম্পেনটিতে। পাশাপাশি প্রতিযোগিতাটিতে অংশগ্রহণ করতে কোনও টাকাও দিতে হবে না বলে জানিয়েছে জাপান সরকার। 

    জাপানের এক সংবাদসংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা অতিমারী আসার জেরে কার্যত পাল্টে গিয়েছে দেশের মানুষের জীবনযাত্রা। দীর্ঘ লকডাউন ও শরীরের খেয়াল রাখতে খাদ্যাভাসে এসেছে বহু বদল। মদ্যপানের অভ্যেস যেতে বসেছে জাপানের তরুণ সমাজের। শরীরের জন্যে তা উপকারী হলেও, কমে গিয়েছে মদ বিক্রি। এতটাই কমে গিয়েছে, যে মার খাচ্ছে গোটা দেশের রাজস্ব আদায়!  

    আরও পড়ুন: একা শিনজো নন, আর কোন কোন জননেতা খুন হয়েছেন?

    জাপানের ট্যাক্স এজেন্সির দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জাপানে এমনিতেই কমছিল মদ্যপানের পরিমাণ। ১৯৯৫ সালে ১০০ লিটার মদ্যপানের গড় ২০২০ সালে নেমে এসেছিল ৭৫ লিটারে। আপাতত মদ্যপানে উৎসাহ দেওয়ার পাশাপাশি প্রতিযোগিতার কয়েকটি পর্ব আয়োজনের কথা জানানো হয়েছে। সেপ্টেম্বরের শেষে ঘোষণা করা হবে চূড়ান্ত পর্বের প্রতিযোগিদের নাম।    

    যেখানে অন্যান্য দেশের সরকার দেশের তরুণ সমাজকে মদের নেশা থেকে বাঁচাতে বিভিন্ন ক্যাম্পেন চালাচ্ছে, সেখানে সম্পূর্ণ উল্টোপথে হাঁটল সূর্যদয়ের দেশ। এই রকম ‘জনবিরোধী’ ক্যাম্পেন হয়তো গোটা বিশ্বের ইতিহাসেই বিরল। 

  • Rajnath Singh at Tashkent: এসসিও-র বৈঠকে যোগ দিতে তাসখন্দে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং

    Rajnath Singh at Tashkent: এসসিও-র বৈঠকে যোগ দিতে তাসখন্দে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসসিও-র (SCO) প্রতিরক্ষামন্ত্রী (Defence Minister) পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেবেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। উজবেকিস্তানের তাসখন্দে ওই বৈঠক হবে ২৪ অগাস্ট। সরকারের তরফে জারি করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজনাথ সিং উজবেকিস্তানের তাসখন্দে (Tashkent) যাচ্ছেন এসসিওর বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে।

    সেপ্টেম্বর মাসে উজবেকিস্তানের সমরখন্দে অনুষ্ঠিত হবে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন, সংক্ষেপে এসসিও-র (SCO) বার্ষিক সম্মেলন। এই সম্মেলনে মুখোমুখি হবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) ও চিনের (China) প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping)। চিন, পাকিস্তান, রাশিয়া, ভারত, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, কিরগিজস্তান এবং কাজাখস্তান এই আটটি দেশ সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের পূর্ণ সদস্য। চলতি বছরের প্রথম দিনে তিন বছরের মেয়াদে এই আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর নয়া সেক্রেটারি নির্বাচিত হয়েছেন ঝাং মিং। তিনি জানান, সংগঠনের সম্ভাবনা ও কর্তৃত্ব বৃদ্ধির পাশাপাশি আঞ্চলিক শান্তি স্থিতিশীলতা সুনিশ্চিত করা, দারিদ্র হ্রাস এবং খাদ্য নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করাও তাঁর উদ্দেশ্য।

    আরও পড়ুন : এসসিও-র সম্মেলনে মুখোমুখি হবেন মোদি-শি জিনপিং, আলোচনা হবে সীমান্ত নিয়ে?

    জানা গিয়েছে, সমরখন্দে এসসিও-র বার্ষিক সম্মেলনে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে এবার আমন্ত্রণ জানানো হবে। চলতি বছরের ১৫ ও ১৬ সেপ্টেম্বর বার্ষিক এই সম্মেলন হওয়ার কথা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এই সম্মেলনে যোগ দেবেন। সেখানেই মুখোমুখি হবেন মোদি এবং জিনপিং। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ের এই বার্ষিক সম্মেলনে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে সদস্য দেশগুলির মধ্যে। সম্মলেন রাজনাথের ভাষণ দেওয়ার কথা ২৪ তারিখে। তাসখন্দ সফরে রাজনাথ আয়োজক দেশ উজবেকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লেফটেন্যান্ট জেনারেল বাখোদির কুরবানভের (Bakhodir Kurbanov) সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। পরে রাজনাথ সেখানে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবেন। সাক্ষাৎ করবেন প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গেও। এসসিও-র স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হয়ে গিয়েছে আগেই। ওই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন ভারতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। সন্ত্রাসবাদ ও মাদক পাচারের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুন : বিশ্বের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে ভারতকে আরও শক্তিশালী হতেই হবে, বললেন রাজনাথ

     

  • Viral Video: জাগুয়ার ও কুমিরের ভয়ঙ্কর লড়াই! জিতল কে?

    Viral Video: জাগুয়ার ও কুমিরের ভয়ঙ্কর লড়াই! জিতল কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথায় বলে জলে কুমির, ডাঙায় বাঘ! ডাঙায় হিংস্র প্রাণীদের মধ্যে, সিংহ, বাঘ, চিতাকে ভয়ঙ্কর শিকারী হিসাবে বিবেচনা করা হয়, যারা মুহূর্তের মধ্যে অন্যান্য প্রাণীকে তাদের শিকারে পরিণত করে। আবার, জলে বসবাসকারী প্রাণীদের মধ্যে কুমিরকে হিংস্র শিকারী হিসাবে ধরা হয়। কুমির, জল এবং তার বাইরে উভয় জায়গাতেই শিকার করতে পারে। কিন্তু, বাঘ আর কুমিরের মধ্যে লড়াই হলে? সম্প্রতি একটি জাগুয়ার ও কুমিরের ভিডিও ক্রমশ ভাইরাল হচ্ছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, জঙ্গলের দুই হিংস্র শিকারী কীভাবে সংঘর্ষ করে চলেছে। তবে জিতল কে ? 

    ভিডিও-তে দেখা গিয়েছে, গভীর অরণ্যের মাঝে শান্ত এক নদী, রৌদ্রজ্জ্বল আবহাওয়া। আর নদীতেই রয়েছে একটি কুমির। অন্যদিকে এক জাগুয়ার তার শিকার করার জন্য সময়ের অপেক্ষা করছিল এবং সময় বুঝেই হঠাৎ নদীর ভিতরে কুমিরটিকে আক্রমণ করে ফেলে। তারপরই দেখা গেল মরা-বাঁচার লড়াই। 

    কথায় আছে না, ‘জোড় যার, মুলুক তার’। একথারই বাস্তব উদাহরণ হল এই ঘটনাটি। আসলে গায়ে জোড় থাকলে যে খাদকও শিকার হয়ে যেতে পারে, সেই ঘটনারই সাক্ষী হল গোটা বিশ্ব। ঝোপঝােড়ে লুকিয়ে থাকা জাগুয়ারটি ধীরে ধীরে কুমিরটিকে লক্ষ করে এগিয়ে যাচ্ছে। এরপর হঠাৎ একটা বিশাল লাফ দিয়ে কুমিরের ঘাড়ে দিল এক কামড়। নিজেকে বাঁচানোর খুব একটা সুযোগই পেল না কুমিরটি। এই ভিডিওর শেষে আপনি দেখতে পাবেন এই রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে কে জিতেছে। এই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় আতঙ্ক তৈরি করছে এবং এই ভিডিওটি দেখে মানুষ বেশ অবাক হয়েছে। এর পাশাপাশি মানুষ নানা ধরনের প্রতিক্রিয়াও দিয়েছেন।

    সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ৪২ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দুটি হিংস্র বন্য প্রাণীকে বেঁচে থাকার জন্য ভয়ানক যুদ্ধ করতে দেখা যায়। সোমবার ফিগেন নামে একজন সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিওটি শেয়ার করেছেন। তবে ভিডিওটি মূলত দুই বছর আগে ভাসি হায়াতলার নামে অন্য একজন ইউজার টুইটারে পোস্ট করেছিলেন, তবে এখন এটি ভাইরাল হচ্ছে। ভিডিওটি শেয়ার করার পর থেকে ২.৬ মিলিয়ন ভিউ এবং ২৭০০০- এর বেশি লাইক পেয়েছে। প্রায় ৪৮০০ ব্যবহারকারী টুইটারে ভিডিওটি শেয়ার করেছেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share