Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Hafiz saeed: মুম্বই হামলার মূল চক্রী হাফিজ সইদের ৩১ বছরের জেল

    Hafiz saeed: মুম্বই হামলার মূল চক্রী হাফিজ সইদের ৩১ বছরের জেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুম্বই হামলার (26/11 Mumbai attack) মূল ষড়যন্ত্রকারী হাফিজ সইদকে (hafiz saeed) ৩১ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল পাকিস্তানের সন্ত্রাসদমন আদালত (pakistan anti-terrorism court)। এই জঙ্গি নেতার ব্যক্তিগত সম্পত্তি এবং জামাত-উদ-দাওয়ার (Jamaat-ud-Dawa) সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশও দিয়েছে পাকিস্তানের ওই আদালত। 
    সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের (terrorist activities) দুটি মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে হাফিজকে। জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার (Lashkar-e-Taiba) প্রতিষ্ঠাতা হাফিজকে ৩ লক্ষ ৪০ হাজার পাকিস্তানি মুদ্রা জরিমানাও করেছে আদালত। পাকিস্তানে হাফিজের একটি মাদ্রাসা রয়েছে। রয়েছে আস্ত একটি মসজিদও। এই মাদ্রাসা ও মসজিদের দখল নিতেও প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
    হাফিজের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের অভিযোগ এই প্রথম নয়। ২০২০ সালেও তাকে একবার দোষী সাব্যস্ত করেছিল পাকিস্তানের আদালত। সন্ত্রাস ছড়ানোর অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয় ২০১৯ সালে।  সন্ত্রাসবাদের একাধিক অভিযোগে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় মুম্বই হামলার এই মূল চক্রীকে। তবে সেটা যে নিছক আইওয়াশ ছিল, তা স্পষ্ট হয় সাজা দেওয়ার মাস কয়েক পরেই। কারণ হাফিজকে জেলের বাইরে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। সে দেশের একাধিক জনসভায়ও ভাষণ দিতে দেখা যায় লস্কর-ই-তইবার প্রতিষ্ঠাতাকে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, হাফিজকে সেবার যখন গ্রেফতার করা হয়, তখন আমেরিকা সফর করছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বিশ্বের দরবারে পাকিস্তানের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতেই হাফিজকে লোক-দেখানো গ্রেফতার এবং পরে সাজা দেওয়া হয়েছিল। 
    গতবছর বিশ্বসন্ত্রাসী (World terrorist) হাফিজের লাহোরের বাড়ির সামনে তীব্র বিস্ফোরণ ঘটে। তার জেরেই এদিন তার সাজা ঘোষণা করা হয়। তার বিরুদ্ধে অন্য একটি মামলাও ছিল। সব মিলিয়ে এই দফায় তার সাজার মেয়াদ হয় ৩১ বছর। আমেরিকা আন্তর্জাতিক জঙ্গি হাফিজের মাথার দাম ঘোষণা করেছে ১০ মিলিয়ন ডলার।

  • S Jaishankar: হিন্দু মন্দিরে হামলায় উদ্বেগ প্রকাশ, ব্রিটিশ বিদেশ সচিবের সঙ্গে বৈঠক জয়শঙ্করের

    S Jaishankar: হিন্দু মন্দিরে হামলায় উদ্বেগ প্রকাশ, ব্রিটিশ বিদেশ সচিবের সঙ্গে বৈঠক জয়শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লেস্টারে (Leicester) ভারতীয়দের ওপর হামলার বিষয়টি ব্রিটেনের সামনে উত্থাপিত করেছে ভারত এবং দোষীদের শাস্তির দাবি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানালেন ভারতীয় বিদেশ সচিব অরিন্দম বাগচী। ব্রিটিশ বিদেশ সচিব জেমস ক্লেভারলি (James Cleverly) সঙ্গে বৈঠকে এই বিষয় নিয়ে প্রকাশ করেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর (External Affairs Minister S Jaishankar)। ঘটনার তীব্র নিন্দায় সরব হয়েছে লন্ডনে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসও।  

    আরও পড়ুন: মন্দিরে ভাঙচুর, শিশুদের বন্দি! ইংল্যান্ডের লেস্টারে জেহাদি হামলার শিকার হিন্দুরা

    বিদেশ সচিব বলেন, “দূতাবাস ক্রমাগত ব্রিটিশ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। এইরকম অনভিপ্রেত ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেই দিকে নজর রাখা হচ্ছে। আমরা বার বার ব্রিটিশ সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছি দোষীদের কড়া সাজা দেওয়া হোক।”    

    আরও পড়ুন: ইংল্যান্ডে হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ভারতীয় দূতাবাসের

    অগাস্ট মাসে এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচকে (India-Pakistan Cricket Match) কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয় ব্রিটেনের বেশ কিছু এলাকা। অশান্তি এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তারপর থেকেই লেস্টার (Leicester) সহ ব্রিটেনের বেশ কিছু এলাকায় বসবাসকারী ভারতীয়দের নিয়মিত হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ। ব্রিটিশ বিদেশ সচিবের সঙ্গে বৈঠকের পর ট্যুইটে বিদেশ মন্ত্রী জানিয়েছেন, ব্রিটেনে ভারতীয়দের নিরাপত্তার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। ব্রিটিশ বিদেশ সচিব বিষয়টিতে পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। 

     

    ২৮ অগাস্ট এশিয়া কাপে (Asia Cup) দুবাইতে মুখোমুখি হয় ভারত এবং পাকিস্তান (India-Pakistan Cricket Match)। ব্রিটিশ পুলিশ সূত্রে খবর, ম্যাচ ঘিরে দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে বচসা বাধে। ক্রমেই ক্রিকেট ফ্যানদের সেই ঝামেলা সংঘর্ষের আকার ধারণ করে। লেস্টারেই ঝামেলা সবচেয়ে বড় আকার নেয়। অশান্তির ভিডিও ভাইরালও হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। এখন অবধি এই ঘটনায় মোট ৪৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এশিয়া কাপ শেষ হয়ে গেলেও ম্যাচকে কেন্দ্র করে শুরু অশান্তির আগুন এখনও ধিক ধিক করে জ্বলছে। মঙ্গলবার নতুন করে অশান্তি হয় বার্মিংহাম এবং স্মেথউইকে। লেস্টারে হিন্দু মন্দিরে হামলা চালায় জিহাদিরা। আর এই বিষয়েই ব্রিটেন সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ চায় ভারত। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • India Bangladesh: চিনের সঙ্গে সখ্যতার ফল কী হতে পারে, শ্রীলঙ্কাকে দেখে বুঝতে পারছে বাংলাদেশ

    India Bangladesh: চিনের সঙ্গে সখ্যতার ফল কী হতে পারে, শ্রীলঙ্কাকে দেখে বুঝতে পারছে বাংলাদেশ

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি, বাংলাদেশ (Bangladesh) সফরে গিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (External Affairs Minister S Jaishankar)। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের ২ দিনের সফরে তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (PM Sheikh Hasina) ও বিদেশমন্ত্রী আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাত শেষে জয়শঙ্কর জানান, দুদেশের মধ্যে সম্পর্কের (India Bangladesh Relation) বন্ধন আরও দৃঢ় হচ্ছে। তিনি বলেন, আলাপচারিতার সময় দুই দেশের মধ্যে সংযোগ বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। 

    জয়ঙ্কর জানান, মূলত দুদেশের মধ্যে যোগাযোগ আরও বৃদ্ধির ব্যাপারেও কথাবার্তা হয়েছে। আর সেই সূত্র ধরেই ভারতের উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলি যাতে চট্টগ্রাম বন্দর (Chittagong port) ব্যবহার করতে পারে তারও প্রস্তাব দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  সূত্রের খবর, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, ভারতের উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে পারে। মূলত অসম ও ত্রিপুরার মতো উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলির সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ আরও বৃদ্ধির জন্য চট্টগ্রাম বন্দর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই প্রসঙ্গই উত্থাপন করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।

    প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে ভারত ও বাংলাদেশ একটি মউ স্বাক্ষর করেছিল, যাতে ভারতে পণ্য পরিবহণের জন্য বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ মন্ত্রিসভা পণ্য পরিবহনের জন্য দুটি বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার জন্য নতুন দিল্লির সঙ্গে প্রস্তাবিত চুক্তি অনুমোদন করেছে। চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্র-বন্দর। উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি এই বন্দর ব্যবহার করে তাদের অর্থনৈতিক কার্যকলাপকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করতে পারে। সেই সম্ভাবনাও রয়েছে।

    এদিকে, শেখ হাসিনাকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর তরফে পাঠানো সেই আমন্ত্রণ হাসিনার কাছে পেশ করেন জয়শঙ্কর। পরে বিদেশমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তাঁর সময় সুবিধা অনুযায়ী ভারত সফরে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। জয়শঙ্কর বলেছেন, ‘‘আমার এখনও জানা নেই কখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফর করবেন। সফরটি সম্পূর্ণ তাঁর সুবিধাজনক সময়ের উপর নির্ভর করে। আমাদের সফর চূড়ান্ত হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’’ বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গেও দেখা করেন এস জয়শঙ্কর এবং তাঁকে জয়েন্ট কনসালটেটিভ কমিশনের পরবর্তী বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য তাঁকে ভারতে আমন্ত্রণ জানান।

    সাম্প্রতিককালে, পাকিস্তান বাদ দিয়ে ভারতের অন্যান্য প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে চিনের ঘনিষ্ঠতা ক্রমশ বাড়ছিল। ভারতকে চাপে ফেলতে এক-এক করে নেপাল থেকে শুরু করে শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করে চিন। বিশাল অঙ্কের আর্থিক অনুদান হোক বা সহজলভ্য় ঋণ– এক এক করে টোপ দিয়ে ভারতের প্রতিবেশীদের কব্জা করার কৌশল নেয় ‘ড্রাগনের দেশ’। এতে ভারতের সমস্যা বাড়ছিল। কিন্তু, হালে চিনের মুখোশ খুলে গিয়েছে। বিশেষ করে, শ্রীলঙ্কার ভয়াবহ পরিস্থিতি চোখে আঙুল দিয়ে সকলকে দেখিয়ে দিয়েছে, চিনের সঙ্গে হাত মেলালে, আখেরে কী ক্ষতিটাই না হবে! বন্দর গঠন থেকে শুরু করে সার্বিক পরিকাঠামো উন্নয়নের টোপ — চিনের সহজ ঋণের লোভে পা দিয়ে কার্যত দেউলিয়া অবস্থা হয়েছে ভারতের প্রতিবেশী এই দ্বীপরাষ্টটির। 

    পাকিস্তানে এখন অন্য চিনা-সমস্যায় জর্জরিত। এমনিতে, চিনকে বলা হয় পাকিস্তানের সব ঋতুর বন্ধু। কিন্তু, করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে মানববোমা বিস্ফোরণে ৪ চিনা নাগরিকের মৃত্যুও দেখিয়ে দিচ্ছে, বালোচিস্তানের মানুষ চিনাদের ওপর কতটা ক্ষুব্ধ হয়ে রয়েছে। এটাও দিনের আলোর মতো স্বচ্ছ যে, ওই অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরেই চিনারা নিপীড়ন চালাচ্ছিল। ফলে, ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলি এখন টের পাচ্ছে, চিনের সঙ্গে হাত মেলালে হাত পুড়বেই। ফলে, চিন নিয়ে এখন তারা সতর্ক। পাকিস্তানের মতো অবস্থা নয় যাদের, অর্থাৎ, যারা চিনের ওপর নির্ভরশীল নয়, সেই সব দেশ এখন নিজেদের তফাতে রাখতে চাইছে চিনের থেকে। 

    যেমন বাংলাদেশ। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সুসম্পর্ক দীর্ঘদিনের। মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনে ভারতের ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। গত কয়েক দশক ধরে, ধীরে ধীরে নিজেদের মেলে ধরছে এই প্রতিবেশী রাষ্ট্র। নিজেদের ক্ষমতার ওপর আস্থা রেখে ক্রমশ এগিয়ে চলেছে তারা। কিন্তু, একটা সময়ে বাংলাদেশও চিনের দিকে অনেকটা ঝুঁকে পড়ছিল। যা ভারতের উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছিল। যদিও, শ্রীলঙ্কায় সাম্প্রতিকালের ঘটনাবলি থেকে প্রাপ্ত বাস্তব পরিস্থিতি দেখে হয়ত তারাও ভাবতে শুরু করেছে, যে চিনের দিকে ঘেঁষলে, লাভের চেয়ে ক্ষতিই হবে বেশি। 

    অন্যদিকে, ভারত এখন দক্ষিণ এশিয়া তথা ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে একটি শক্তি হিসেবে নিজেকে মেলে ধরেছে। বিশেষ করে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্ব ভারত স্বাবলম্বী ও আত্মনির্ভর হয়ে উঠেছে। কোনও বড় শক্তি তা সে পশ্চিমের হোক বা পূর্বের– এখন ভারতকে ঘাঁটাতে চায় না। ভারত কারও সার্বভৌমত্ব খণ্ডন করে না। সবচেয়ে বড় কথা, কোভিডকালে, কঠিন সময়ে ভ্যাকসিন পাঠিয়ে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছিল ভারত। সব মিলিয়ে সু-প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে ভারত যে চিনের তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে, তা বলা বাহুল্য। 

     

  • Russian Oil Import: ভারতকে না কেনার হুঁশিয়ারি দিয়ে যুদ্ধের মধ্যে রাশিয়া থেকে বেশি তেল কিনেছে আমেরিকা! 

    Russian Oil Import: ভারতকে না কেনার হুঁশিয়ারি দিয়ে যুদ্ধের মধ্যে রাশিয়া থেকে বেশি তেল কিনেছে আমেরিকা! 

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Ukraine Russia war) শুরু হওয়ার পর ভারত (India) সহ বিভিন্ন দেশকে মস্কো (Moscow) থেকে অশোধিত তেল (Crude Oil) কিনতে নিষেধ করছে যে আমেরিকা (USA), সেই তারাই এই একই সময়ে রাশিয়া থেকে ভারতের চেয়ে বেশি তেল কিনেছে। এমনই পরিসংখ্যান প্রকাশ্যে আসার পর আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। 

    রাশিয়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝে যখন আমেরিকা সহ গোটা ইউরোপের (EU) দেশগুলি রাশিয়ার সঙ্গে সমস্ত বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করে, সেই মুহূর্তে রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কেনা নিয়ে প্রথম থেকেই ভারতের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় আক্রমণ করতে দেখা যায় আমেরিকাকে। 

    রাশিয়া থেকে সস্তায় তেল কেনা নিয়ে ভারতের সমালোচনা করতে বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট করেনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ। রাশিয়া থেকে তেল কিনলে তার ফল ভুগতে হবে বলেও ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। এমনকি নিজেদের প্রতিনিধি পাঠিয়েও এই কাজ করা থেকে বিরত থাকতে বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। 

    যদিও, ভারত সাফ জানিয়ে দিয়েছে, কাউকে তুষ্ট করতে বসে নেই, ভারত শুধু নিজের স্বার্থ দেখবে। সম্প্রতি বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এদিন বলেন, “এবার থেকে আমরা শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থ দেখব। বিশ্বকে তুষ্ট করার কোনরকম চেষ্টা আমাদের দ্বারা হবে না।”

    আমেরিকার বিদেশ সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন জয়শঙ্কর। তারপরই বিদেশমন্ত্রী জানান, “ভারত এক মাসে রাশিয়ার থেকে যে পরিমাণ তেল আমদানি করে, ইউরোপের দেশগুলো একটা দুপুরে তার থেকেও বেশি পরিমাণ তেল কেনে তাদের থেকে। আর রাশিয়া থেকে তেল আমদানির পরিসংখ্যান যদি দেখা যায়, তাহলে আমি আমেরিকাকে ইউরোপের দেশগুলোর দিকেই নজর দিতে বলব।”

    [tw]


    [/tw]

    জয়শঙ্করের বক্তব্য যে কথার কথা নয়, তার প্রমাণ মিলেছে হাতেনাতে। সম্প্রতি, সেন্টার ফর রিসার্চ অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ার (CREA) একটি পরিসংখ্যান পেশ করে। সেখানে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর রাশিয়া থেকে কোন দেশ কত জ্বালানি আমদানি করেছে, তার একটা তালিকা দেওয়া হয়। 

    সেখানে দেখা যাচ্ছে, সকলের ওপরে রয়েছে জার্মানি। ভারতের অবস্থান তালিকার প্রায় শেষে। এমনকী, যে আমেরিকা ভারতকে এতদিন উপদেশ দিয়ে এসেছে রাশিয়া থেকে তেল না কেনার জন্য, তাদের অবস্থান ভারতের ওপরে। অর্থাৎ, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ভারতের তুলনায় রাশিয়া থেকে বেশি পরিমাণ তেল আমদানি করেছে বাইডেন প্রশাসন!

    পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়া ইস্তক মোট ৬৩ বিলিয়ন ইউরো মূল্যের খনিজ ও প্রাকৃতিক জ্বালানি রফতানি করেছে মস্কো। এর মধ্য়ে রয়েছে অশোধিত তেল, তেলজাত পণ্য, পাইপলাইন প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা ইত্যাদি। পরিসংখ্যান বলছে, ৭১ শতাংশ (প্রায় ৪৪ বিলিয়ন ইউরো) কিনেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন দেশগুলি। তার মধ্য়ে, সবেচেয়ে বেশি কিনেছে জার্মানি। এছাড়া বড় ক্রেতাদের মধ্য়ে রয়েছে ইতালি, নেদারল্যান্ডস, তুরস্ক, ফ্রান্স। 

    এই পরিসংখ্য়ানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দ্বিচারিতা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। গোটা বিশ্বকে রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কিনতে নিষেধ করেও নিজেরা রুশ তেল কেনা এক দিনের জন্য বন্ধ তো করেইনি বরং সম্প্রতি তা লাফিয়ে বেড়ে গিয়েছে। 

     

LinkedIn
Share