Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Taiwan China Conflict: তাইওয়ানের ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণকারী সংস্থার শীর্ষ আধিকারিকের মৃত্যু, রহস্য

    Taiwan China Conflict: তাইওয়ানের ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণকারী সংস্থার শীর্ষ আধিকারিকের মৃত্যু, রহস্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাইওয়ান চিনের উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছে। এমতাবস্থায় রহস্য মৃত্যু তাইওয়ানের (Taiwan) ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণকারী সংস্থার এক শীর্ষ আধিকারিকের। সংবাদ মাধ্যম সূত্রেই এ খবর মিলেছে। তাইওয়ান সীমান্তের খুব কাছে মহড়া দিচ্ছে চিনা (China) ফৌজ। এমন আবহে ক্ষেপণাস্ত্র (Missile) নির্মাণকারী সংস্থার বর্ষীয়ান আধিকারিকের মৃত্যুতে ঘনীভূত হয়েছে রহস্য। মৃত্যুর কারণ জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত।

    চুং শান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনলজির সহ প্রধান ছিলেন আউ ইয়াং লি-সিং (Ou Yang Li-hsing)। এই চুং শান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনলজি রয়েছে তাইওয়ান সেনার অধীনে। শনিবার সকালে দক্ষিণ তাইওয়ানের একটি হোটেলের ঘরে মৃত অবস্থায় উদ্ধার হয় আউ ইয়াং লি-সিংয়ের দেহ।

    জানা গিয়েছে, পেশাগত কাজে দক্ষিণ তাইওয়ানের পিংটুং প্রদেশে গিয়েছিলেন আউ ইয়াং লি-সিং। এদিনই  ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শন করার কথা ছিল তাঁর। চিনের সঙ্গে তাইওয়ানের কূটনৈতিক উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ার পর থেকেই ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাইওয়ান। এহেন আবহেই রহস্য মৃত্যু তাইওয়ানের ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণকারী সংস্থার বর্ষীয়ান আধিকারিকের।

    আরও পড়ুন : ন্যান্সির তাইওয়ান সফরের জের, আমেরিকার সঙ্গে কথা বন্ধ চিনের

    মঙ্গলবার রাতে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দলের সদস্যরা আসেন এশিয়া সফরে। সেই সূত্রেই তাঁরা আসেন তাইওয়ানে। ন্যান্সির সফরসূচিতে তাইওয়ানের নাম ছিল না। তবে তিনি যে তাইওয়ান যেতে পারেন, তা একপ্রকার ঠিকই ছিল। তা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনে কথা হয় চিনা প্রেসিডেন্টের। তখনই জিন পিং তাঁকে এই বলে সতর্ক করে দেন যে, যাঁরা আগুন নিয়ে খেলবেন, তাঁরা ধ্বংস হয়ে যাবেন। চুপ করে থাকেননি বাইডেনও। তিনিও জানিয়ে দেন, তাইওয়ান নিয়ে আমেরিকার নীতিতে কোনও পরিবর্তন হয়নি।

    আরও পড়ুন : চিনা হুমকি, তাইওয়ানে মহড়া শুরু যুদ্ধের

    তাইওয়ান সফর সেরে ন্যান্সি যান জাপানে। তার আগেই সামরিক মহড়া শুরু করে দেয় চিন। তাইওয়ান প্রণালী বন্ধ করে সামরিক মহড়া চালাতে শুরু করেছে শি জিন পিংয়ের সরকার। চিনের সাবমেরিন তাইওয়ানের জলসীমায় প্রবেশ করেছে বলে জানানো হয়েছে তাইওয়ানের তরফে। চিনের শতাধিক যুদ্ধ বিমান তাইওয়ানের আকাশসীমায় সামরিক মহড়া চালায়। জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, সামরিক মহড়ায় চিন মোট নটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে। এর মধ্যে চারটি গিয়েছে তাইওয়ানের ওপর দিয়ে। চিন চারদিনের সামরিক মহড়ার কথা ঘোষণা করেছে। এই মহড়াগুলি চলবে তাইওয়ানের নির্দিষ্ট ছটি জোনে। এই  আবহে ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণকারী সংস্থার সহ প্রধানের মৃত্যুতে ক্রমেই দানা বাঁধছে রহস্য।

     

  • ‘Langya’ Henipavirus: ফের নয়া ভাইরাস-আতঙ্ক চিনে! করোনার থেকেও বেশি প্রাণঘাতী ‘ল্যাংয়া হেনিপাভাইরাস’?

    ‘Langya’ Henipavirus: ফের নয়া ভাইরাস-আতঙ্ক চিনে! করোনার থেকেও বেশি প্রাণঘাতী ‘ল্যাংয়া হেনিপাভাইরাস’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাইরাসের সংক্রমণ এখনও আমাদের পিছু ছাড়ছে না। কোভিড-১৯ (Covid-19) এখনও পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়নি। অনেক রাজ্যেই করোনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। মাঙ্কি পক্সে (Monkey Pox) আক্রান্তের সংখ্যাও সারা বিশ্বে বেড়েই চলছে। এরই মধ্যে ফের নয়া প্রাণঘাতী ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে চিনে। এই ভাইরাসের নাম হল ল্যাংয়া হেনিপাভাইরাস (Langya henipavirus), যাকে LayV ও বলা হচ্ছে। চিনের হেনান ও শানডং প্রদেশে ৩৫ জনের শরীরে এই ল্যাংয়া হেনিপাভাইরাসের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। চিনের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা সোমবার এই ঘটনা সম্পর্কে জানিয়েছেন।

    জানা গিয়েছে, জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে এই ভাইরাস দেখা গিয়েছে। মূলত মানবদেহের গলায় এই ভাইরাস আক্রমণ করে বলে জানা গিয়েছে। গুরুতর সংক্রমণের ক্ষেত্রে তিন-চতুর্থাংশ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিতে পারে এই ভাইরাসটি। তবে এখনও পর্যন্ত ল্যাংয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ঘটেনি কারও। বেশিরভাগ রোগীরই উপসর্গ মৃদু। রোগীদের মধ্যে ফ্লু-এর মতো উপসর্গ দেখা দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু উদ্বেগের বিষয় হল যে, এখনও এই ভাইরাসকে প্রতিহত করার জন্য কোনও টিকা বের হয়নি। এমনকি এই ভাইরাসের চিকিৎসার কোনও পদ্ধতিও নেই।

    আরও পড়ুন:মাঙ্কি পক্স নিয়ে এবার সতর্কতা জারি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের

    কী এই ল্যাংয়া হেনিপাভাইরাস?

    ল্যাংয়া ভাইরাস বা LayV হল নিপা ভাইরাসেরই (Nipah Virus) আরও একটি অংশ। এই ভাইরাসও খানিকটা নিপা ভাইরাসের মতোই। হেনিপাভাইরাস বেশিরভাগই প্রাণী থেকে প্রাণীতে স্থানান্তরিত হয়। তবে সম্প্রতি এটি মানুষের মধ্যে শনাক্ত করা গিয়েছে। এই ভাইরাস সংক্রামক কি না, অর্থাৎ, এটি একজনের থেকে অন্য জনের দেহে ছড়িয়ে পড়তে পারে কি না, তা খতিয়ে দেখছেন চিনা গবেষকরা। যদিও এখনও অবধি কোনও সংক্রমণই গুরুতর হয়নি।

    ল্যাংয়া ভাইরাসের লক্ষণ

    এই ভাইরাস সাধারণত জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যেই দেখা গিয়েছে। বেজিং ইনস্টিটিউট অফ মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড এপিডেমিওলজির গবেষকরা বলছেন, এই ভাইরাসের ক্ষেত্রে মূল উপসর্গ জ্বর। তাছাড়া কাশি, ক্লান্তি, পেশীতে ব্যথা, বমির মতো উপসর্গও লক্ষ্য করা গিয়েছে আক্রান্তদের মধ্যে।

    আরও পড়ুন: মাঙ্কি পক্সের পর এবারে চোখ রাঙাচ্ছে টোম্যাটো ফ্লু! কী এর উপসর্গ, জানুন…

    এর আগে প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ল্যাংয়া ভাইরাসটি ২০১৯ সালে মানুষের মধ্যে প্রথম দেখা গিয়েছিল। তবে এই ভাইরাসে সর্বাধিক আক্রান্তের সংখ্যা এই বছর লক্ষ্য করা গিয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, নিপা ভাইরাস করোনার থেকেও বেশি মারাত্মক। কারণ আক্রান্তদের তিন-চতুর্থাংশ প্রাণ হারান। তাই এই ল্যাংয়া ভাইরাসও নিপাহ ভাইরাসের পরিবারের সদস্য হওয়ায় এটিও প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে। চিনা গবেষকরা জানান, এখনও পর্যন্ত প্রায় ২% ছাগল এবং ৫% কুকুর এবং অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীর দেহেও এই ভাইরাসের সংক্রমণ মিলেছে।

  • Taiwan China Threat: চিনা হুমকি, তাইওয়ানে মহড়া শুরু যুদ্ধের 

    Taiwan China Threat: চিনা হুমকি, তাইওয়ানে মহড়া শুরু যুদ্ধের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘন ঘন বাজছে সাইরেন। পথঘাট ফাঁকা। তার মধ্যেই নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছেন কেউ কেউ। এ ছবি দ্বীপরাষ্ট্র তাইওয়ানের (Taiwan)। চিন (China) হামলা চালাতে পারে। এই আশঙ্কা থেকেই যুদ্ধের মহড়া (Military Drills) শুরু হয়ে গিয়েছে এই দ্বীপরাষ্ট্রে। সেনাকর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সাধারণ নাগরিকদের দেওয়া হচ্ছে সামরিক প্রশিক্ষণ।

    তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ হিসেবেই দাবি করে এসেছে চিন। দেশের রশি শি জিনপিংয়ের হাতে আসার পর থেকে তাইওয়ানের দখল পেতে মরিয়া ড্রাগনের দেশ। এমতাবস্থায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পোলেসির (Nancy Pelosi)তাইওয়ান সফর ঘিরে। সোমবার থেকে মার্কিন কংগ্রেসের একটি দল মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান সহ ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল সফর করবে। পেলোসির দফতরের জারি করা বিবৃতিতে তাইওয়ানের নাম নেই। তবে সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মঙ্গলবারই তাইপেই পৌঁছবেন পেলোসি। তিনি তাইওয়ান পৌঁছলে চিন হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না বলে হুমকি দিয়েছিল বেজিং। এদিকে, এদিনই পেলোসি মালয়েশিয়া পৌঁছেছেন বলে খবর।

    আরও পড়ুন : চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরে তৃতীয় দেশের অন্তর্ভুক্তি! কড়া সমালোচনা ভারতের

    এহেন উত্তেজনার আবহেই মার্কিন সংবাদ মাধ্যমের দাবি, চিন সাগরে ইতিমধ্যেই যুদ্ধের মহড়া শুরু করেছে তাইওয়ান নৌবাহিনী। সম্ভাব্য চিনা আগ্রাসন রুখতে উপকূল বরাবর অবস্থান নিচ্ছে তাইওয়ানের সেনা। চিনা ফৌজকে আকাশপথে ঠেকানোর প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে জোরকদমে। তাইওয়ানের সক্ষম নাগরিকদের একাংশকে সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বলেও খবর। তাইওয়ানের সঙ্গে কূটনৈতিক কোনও সম্পর্ক নেই আমেরিকার। তবে দুই দেশই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখে। আত্মরক্ষার জন্য তাইপেইকে অস্ত্রও সরবরাহ করে থাকে আমেরিকা।

    জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবারই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন চিনা প্রেসিডেন্ট। তখনই জিন পিং তাঁকে এই বলে সতর্ক করে দেন যে, যাঁরা আগুন নিয়ে খেলবেন, তাঁরা ধ্বংস হয়ে যাবেন। চুপ করে থাকেননি বাইডেনও। তিনিও জানিয়ে দিয়েছেন, তাইওয়ান নিয়ে আমেরিকার নীতিতে কোনও পরিবর্তন হয়নি। তাইওয়ান প্রণালীতে শান্তি বা স্থিতাবস্থা বিঘ্নিত করে এমন কোনও প্রচেষ্টা মেনে নেবে না আমেরিকা।

    আরও পড়ুন : শিলিগুড়ি করিডরের কাছে চিন! ডোকলাম সীমান্তে গ্রাম বানাচ্ছে বেজিং

     

  • Ayman Al-Zawahiri Killed: মার্কিন ড্রোন হামলায় খতম আল-কায়দা প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরি

    Ayman Al-Zawahiri Killed: মার্কিন ড্রোন হামলায় খতম আল-কায়দা প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আফগানিস্তানে (Afghanistan) মার্কিন ড্রোন হামলায় (US Drone strike) নিহত আল-কায়দা (Al-Qaeda) প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরি (Ayman Al-Zawahiri)। এমনটাই দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (US President Joe Biden)। হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর, শনিবার বিকেলে আমেরিকার ড্রোন হামলায় আল-কায়দা প্রধানের মৃত্যু হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, ‘ন্যায়বিচার মিলল, এই জঙ্গি নেতা আর বেঁচে নেই।’

    টেলিভিশনে ভাষণ দিতে গিয়ে জো বাইডেন (Joe Biden) দাবি করেছেন, কাবুলে মার্কিন ড্রোন হানায় মৃত্যু হয়েছে ৭১ বছর বয়সি আল কায়দা প্রধানের৷ তবে এই অপারেশনে কোনও সাধারণ মানুষের প্রাণহানি ঘটেনি৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করেছেন, বিশ্বের সবথেকে কুখ্যাত এই সন্ত্রাসবাদী প্রাণ হারানোয় ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে (WTC) বিমান হানায় প্রাণ হারানো তিন হাজার মানুষের পরিবার ন্যায়বিচার পেল৷ পরে, ট্যুইটারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন লিখেছেন, ‘শনিবার, আমার নির্দেশে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফলভাবে আফগানিস্তানের কাবুলে (Kabul) ড্রোন হামলা চালায়। এই হামলায় আল-কায়দার আমির (প্রধান), আয়মান আল-জাওয়াহিরি নিহত হয়েছে। যথার্থ বিচার হয়েছে।’

    আরও পড়ুন: দশ দিন না পেরোতেই ফের করোনায় আক্রান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন

    এই অপারেশনের সঙ্গে যুক্ত মার্কিন অফিসাররা জানিয়েছেন, গত ৩১ জুলাই এই অপারেশন চালানো হয়৷ সেই সময় জাওয়াহিরি নিজের কাবুলের বাড়ির বারান্দায় ছিলেন৷ তখনই তাঁকে লক্ষ্য করে দু’টি হেলফায়ার মিসাইল (Hellfire Missile) আছড়ে পড়ে৷ গত ২৫ জুলাই এই অভিযানে ছাড়পত্র দেন বাইডেন৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, ‘যাঁরা আমাদের দেশের মানুষের ক্ষতি করার চেষ্টা করবে, তাদের রক্ষা করতে আমেরিকা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ৷ আজকে আমরা এটা স্পষ্ট করে দিয়েছি৷ তার জন্য যত সময় লাগুক না কেন, আমরা তাকে খুঁজে বের করবই৷’

    প্রায় একুশ বছর আগে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে বিমান হানার পর থেকই জাওয়াহিরিকে খুঁজছিল আমেরিকা৷ ওসামা বিন লাদেন বেঁচে থাকাকালীনই তিনি ছিলেন ছিলেন সংগঠনের দু’নম্বর নেতা। ২০১১ সালে পাকিস্তানে আমেরিকা ওসামা বিন লাদেনকে খতম করার পর আল কায়দার শীর্ষ পদে বসেন জাওয়াহিরি৷ দায়িত্ব নিয়ে জাওয়াহিরি ঘোষণা করেছিলেন, ওসামার অসমাপ্ত কাজ তাঁকেই শেষ করতে হবে। 

    আরও পড়ুন: তাসখন্দে তালিবান বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে বসতে চলেছেন জয়শঙ্কর?

    ৭১ বছর বয়সি আল কায়দা প্রধানের মাথার দাম রাখা হয়েছিল আড়াই কোটি মার্কিন ডলার৷ যদিও এর আগে আল জাওয়াহিরির নিহত খবর মিলেছিল। কিন্তু পরে জানা যায়, তিনি বহাল তবিয়তেই বেঁচে আছেন। এদিকে, তালিবানদের (Taliban) তরফেও তাদের মুখপাত্র বিবৃতি দিয়ে গত রবিবার কাবুলে এই অভিযানের কথা স্বীকার করেছেন৷ 

  • China US Conflict: ন্যান্সির তাইওয়ান সফরের জের, আমেরিকার সঙ্গে কথা বন্ধ চিনের

    China US Conflict: ন্যান্সির তাইওয়ান সফরের জের, আমেরিকার সঙ্গে কথা বন্ধ চিনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাইওয়ান (Taiwan) সফর করেছেন মার্কিন কংগ্রেসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি (Nancy Pelosi)। তার পরেই চিনের (China) সঙ্গে আমেরিকার (America) সম্পর্ক দাঁড়িয়েছে আক্ষরিক অর্থেই তলানিতে। ঘটনার জেরে তাইওয়ানের গা ঘেঁষে সামরিক মহড়া (Military Drill ) চালায় চিন। এবার আমেরিকার সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন, মাদক বিরোধী প্রচেষ্টা, সামরিক আলোচনা সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা স্থগিত করার কথা ঘোষণা করল চিন। পেলোসির তাইওয়ান সফর আমেরিকা ও চিন দু দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কের ওপরও প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা আন্তর্জাতিক মহলের।   

    মঙ্গলবার রাতে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দলের সদস্যরা আসেন এশিয়া সফরে। সেই সূত্রেই তাঁরা আসেন তাইওয়ানে। ন্যান্সির সফরসূচিতে তাইওয়ানের নাম ছিল না। তবে তিনি যে তাইওয়ান যেতে পারেন, তা একপ্রকার ঠিকই ছিল। তা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনে কথা হয় চিনা প্রেসিডেন্টের। তখনই জিন পিং তাঁকে এই বলে সতর্ক করে দেন যে, যাঁরা আগুন নিয়ে খেলবেন, তাঁরা ধ্বংস হয়ে যাবেন। চুপ করে থাকেননি বাইডেনও। তিনিও জানিয়ে দেন, তাইওয়ান নিয়ে আমেরিকার নীতিতে কোনও পরিবর্তন হয়নি।

    তাইওয়ান সফর সেরে ন্যান্সি যান জাপানে। তার আগেই সামরিক মহড়া শুরু করে দেয় চিন। তাইওয়ান প্রণালী বন্ধ করে সামরির মহড়া চালাতে শুরু করেছে শি জিন পিংয়ের সরকার। চিনের সাবমেরিন তাইওয়ানের জলসীমায় প্রবেশ করেছে বলে জানানো হয়েছে তাইওয়ানের তরফে। চিনের শতাধিক যুদ্ধ বিমান তাইওয়ানের আকাশসীমায় সামরিক মহড়া চালায়। জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, সামরিক মহড়ায় চিন মোট নটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে। এর মধ্যে চারটি গিয়েছে তাইওয়ানের ওপর দিয়ে। চিন চারদিনের সামরিক মহড়ার কথা ঘোষণা করেছে। এই মহড়াগুলি চলবে তাইওয়ানের নির্দিষ্ট ছটি জোনে। পেলোসির তাইপেই সফরের প্রতিক্রিয়ায় এই মহড়া বলেই জানিয়ে শি জিন পিংয়ের দেশ। চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার দুপুর পর্যন্ত এই সামরিক মহড়া চলবে। প্রসঙ্গত, চিনের দাবি, তাইওয়ান তাদের। যদিও তাইপেই মনে করে তাইওয়ান স্বাধীন রাষ্ট্র। তাইওয়ানকে স্বীকৃতি দিয়েছে বিশ্বের মাত্র ১৩টি দেশ।

    আরও পড়ুন : তাইওয়ানে পা রাখলেন ন্যান্সি, সমরসজ্জা শুরু চিন আমেরিকার?

     

  • Japan: তীব্র গরম থেকে পোষ্যকে বাঁচাতে অভিনব পোশাক নিয়ে হাজির জাপানের এক সংস্থা 

    Japan: তীব্র গরম থেকে পোষ্যকে বাঁচাতে অভিনব পোশাক নিয়ে হাজির জাপানের এক সংস্থা 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তীব্র গরমের হাত থেকে প্রিয় পোষ্যকে (Pet) খানিকটা স্বস্তি দিতে অভিনব উদ্যোগ নিল জাপানের (Japan) পোশাক প্রস্তুতকারী সংস্থা। অবলা প্রাণীদের জন্যে ছোট ছোট ফ্যানযুক্ত পোশাক (Wearable Fans) তৈরি করল তারা। 

    পোশাক প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির অনুমান, পশুপ্রেমীরা নিজেদের প্রিয় পোষ্যকে তীব্র গরমের হাত থেকে বাঁচাতে এই বিশেষ পোশাকগুলি কিনতে ঝাঁপিয়ে পড়বেন। 

    আরও পড়ুন: মার্কিন ড্রোন হামলায় খতম আল-কায়দা প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরি

    পোষ্যদের জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি এ পোশাকে ৮০ গ্রাম ওজনের ব্যাটারি চালিত একটি ফ্যান যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। তীব্র গরমে ওই ফ্যানের বাতাসই কুকুর বিড়ালকে শীতল রাখবে। 

    প্রসূতি মায়েদের পোশাক প্রস্তুতকারী সংস্থা ‘সুইট মামি’-র প্রেসিডেন্ট রেই উজাওয়া জানিয়েছেন, গ্রীষ্মের তীব্র গরমে বাইরে হাঁটার সময় তাঁর পোষ্য চিহুয়াহুয়াকে ক্লান্ত অবস্থায় দেখে তিনি এ ধরনের পোশাক তৈরি করার কথা ভেবেছেন।    

    তিনি আরও বলেন, “এ বছর বর্ষাকাল বলতে গেলে প্রায় ছিলই না। তাই গ্রীষ্মের গরম আরও তাড়াতাড়ি এসেছে। তাই আমি মনে করি আমরা এমন একটি পণ্য তৈরি করেছি যা এখনকার জন্য একেবারেই সময়োপযোগী।” 

    আরও পড়ুন: ‘বিশ্বের সবচেয়ে দামি’ বাড়িতে থাকেন সৌদি যুবরাজ! এর দাম জানেন?

    জুনের শেষের দিকে টোকিওতে বর্ষাকাল শেষ হওয়ার পর, রেকর্ড গরম অনুভূত হয়েছে। সেখানে টানা ন দিন তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিসয়াসের ওপরে। 

     

    মামি কুমামোটো নামে ৪৮ বছর বয়সী এক পশুপ্রেমি বলেছেন, “তীব্র গরমে আমার কুকুরের শরীর ঠান্ডা রাখতে আমি সাধারণত শুকনো আইস প্যাক ব্যবহার করি। আমি মনে করি, এ ধরণের পাখাযুক্ত পোশাক থাকলে, আমার কুকুরের হাঁটা- চলা আরও সহজ হবে।” 

    জুলাইয়ের শুরুতে ফ্যানযুক্ত এ বিশেষ পোশাক বাজারে আসার পর এখন পর্যন্ত জন্য প্রায় ১০০টি অর্ডার পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন উজাওয়া। বাজারে পাঁচটি ভিন্ন সাইজে পাওয়া যাচ্ছে এই পোশাক। আর এর দাম ধার্য করা হয়েছে ৯,৯০০ ইয়েন  বা ৭৫ মার্কিন ডলার। 

  • Al-Qaeda: মার্কিন হামলায় নিহত আল-কায়দা প্রধান আল-জাওয়াহিরি, এবার নেতৃত্বে কে? জানুন 

    Al-Qaeda: মার্কিন হামলায় নিহত আল-কায়দা প্রধান আল-জাওয়াহিরি, এবার নেতৃত্বে কে? জানুন 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আফগানিস্তানে (Afghanistan) মার্কিন ড্রোন হামলায় (US Drone strike) নিহত হয়েছেন আল-কায়দা (Al-Qaeda) প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরি (Ayman Al-Zawahiri)। এমনটাই দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (US President Joe Biden)। হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর, শনিবার বিকেলে আমেরিকার ড্রোন হামলায় আল-কায়দা প্রধানের মৃত্যু হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, ‘ন্যায়বিচার মিলল, এই জঙ্গি নেতা আর বেঁচে নেই।’

    আরও পড়ুন: চিকিৎসক থেকে জঙ্গি ! জেনে নিন আল-কায়দা প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরির ইতিহাস 

    টেলিভিশনে ভাষণ দিতে গিয়ে জো বাইডেন (Joe Biden) দাবি করেছেন, কাবুলে মার্কিন ড্রোন হানায় মৃত্যু হয়েছে ৭১ বছর বয়সি আল কায়দা প্রধানের৷ তবে এই অপারেশনে কোনও সাধারণ মানুষের প্রাণহানি ঘটেনি৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও দাবি করেছেন, বিশ্বের সবথেকে কুখ্যাত এই সন্ত্রাসবাদী প্রাণ হারানোয় ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে (WTC) বিমান হানায় প্রাণ হারানো তিন হাজার মানুষের পরিবার ন্যায়বিচার পেল৷ পরে, ট্যুইটারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন লিখেছেন, ‘শনিবার, আমার নির্দেশে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফলভাবে আফগানিস্তানের কাবুলে (Kabul) ড্রোন হামলা চালায়। এই হামলায় আল-কায়দার আমির (প্রধান), আয়মান আল-জাওয়াহিরি নিহত হয়েছেন। যথার্থ বিচার হয়েছে।’  

    আয়মান আল-জাওয়াহিরির মৃত্যুর পর ব্যাপক নেতৃত্ব সংকটে আল-কায়দা। মধ্য প্রাচ্যের একটি সংস্থার মতে সাইফ আল-আদেল (Saif al-Adel) নিতে চলেছেন এই জঙ্গি সংগঠনের দায়িত্ব। 

    কে এই সাইফ আল-আদেল?

    ১৯৮০ সালে এই সাইফ আল-আদেল মাক্তাব আল-খিদমাত নামের চরমপন্থী সংগঠনে যোগদান করেন। ইজিপশিয়ান ইসলামিক জিহাদের সময় সাইফের পরিচয় হয় লাদেন এবং আল-জাওয়াহিরির সঙ্গে। তারপর থেকেই আল-কায়দার সঙ্গে যুক্ত তিনি। ১৯৮০ সালে রুশ সেনার বিরুদ্ধে আফগানিস্তানে যুদ্ধও করেন এই কুখ্যাত জঙ্গি। এমনটাই দাবি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার।

    আরও পড়ুন: মার্কিন ড্রোন হামলায় খতম আল-কায়দা প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরি    

    ওসামা বিন লাদেনের দেহরক্ষীদের প্রধান ছিলেন এই সাইফ। ২০০১ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় রয়েছে তাঁর নাম। তাঁর মাথার দাম ১ কোটি মার্কিন ডলার রেখেছে আমেরিকা। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলির মতে, বহু মার্কিন নাগরিক খুন, নাশকতা, আমেরিকার সম্পত্তি নষ্টের মতো ঘটনায় মূল চক্রী ছিলেন এই জঙ্গি। ১৯৯৩ সাল থেকে মার্কিন সেনা খুঁজছে এই কুখ্যাত জঙ্গিকে। ‘ব্ল্যাক হক ডাউন’ নাশকতার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন এই জঙ্গি। এই হামলায় ১৮ জন মার্কিন নাগরিক প্রাণ হারান। তখন সাইফের বয়স ছিল ৩০ বছর। যদিও মধ্য প্রাচ্যের ওই সংস্থা এও দাবি করেছে যে, ইরানের উপস্থিতিতে সাইফকে আল-কায়দার প্রধানের পদ দেওয়া খুব একটা সহজ হবে না। 

     

     

  • Maldives: মালদ্বীপে ‘ইন্ডিয়া আউট’ ক্যাম্পেন আদতে মিথ্যে প্রচারের ফল, মত ভারতের বিদেশমন্ত্রকের

    Maldives: মালদ্বীপে ‘ইন্ডিয়া আউট’ ক্যাম্পেন আদতে মিথ্যে প্রচারের ফল, মত ভারতের বিদেশমন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি একটি বিবৃতিতে ভারতের বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, মালদ্বীপে (Maldives) ভারত বিরোধী ক্যাম্পেন আসলে মিথ্যে তথ্য প্রচার এবং ষড়যন্ত্রের ফল। মালদ্বীপে ভারতের হাইকমিশনার মুনু মাহাওয়ার (Munu Mahawar) বলেন, “ইন্ডিয়া আউট ক্যাম্পেনটি মিথ্যে প্রচারের ওপর ভিত্তি করে করা হয়েছিল। আর এই ভারত বিরোধী ক্যাম্পেনের নেতৃত্বে ছিলেন মালদ্বীপের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি।”

    মালদ্বীপে আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনার কথা উল্লেখ করে হাই কমিশনার বলেন, “যোগ গোটা বিশ্বেই অত্যন্ত জনপ্রিয়। ২০১৫ সাল থেকে মালদ্বীপেও যোগ দিবস পালিত হয়ে আসছে। ভারতীয় হাই কমিশন এবং মালদ্বীপ সরকার যৌথভাবে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছিল। সেদিন যা ঘটেছিল, তার নিন্দা করেছে মালদ্বীপ সরকার এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দল। দোষীদের চিহ্নিত করার জন্যে এবং শাস্তি দেওয়ার জন্যে সমস্ত রকম ব্যবস্থা নিয়েছে মালদ্বীপ সরকার।” 

    আরও পড়ুন: মালদ্বীপকে অতিরিক্ত ১০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দেওয়ার ঘোষণা ভারতের

    প্রসঙ্গত, মালদ্বীপে গত ২১ জুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের অনুষ্ঠানে হামলা চালায় একদল উগ্রপন্থী। আন্তর্জাতিক যোগ দিবস উপলক্ষ্যে ভারতীয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সেদিন সকালে জাতীয় স্টেডিয়ামে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল মালদ্বীপ সরকার। হঠাতই একদল মানুষ স্টেডিয়ামের ভিতরে আক্রমণাত্মকভাবে ঢুকে পড়ে। উন্মত্ত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে গ্যাসের শেল ব্যবহার করে পুলিশ। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় মালদ্বীপ।

    মালদ্বীপের উন্নয়নের জন্যে সে দেশের সরকারের সঙ্গে বেশ কিছু চুক্তি সাক্ষর করেছে ভারত সরকার। মালেতে বেশ কিছু প্রকল্পে টাকা জুগিয়েছে ভারত। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সিফভারু উথুরু থাইলাফাতুতে মালদ্বীপ জাতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর এক ঘাঁটির উন্নয়নের জন্যে ভারত সরকারের সঙ্গে চুক্তি সাক্ষর করেছে মালদ্বীপ।  

    আরও পড়ুন: বিয়ের পর প্রথম জন্মদিন, সেলিব্রেট করতে ক্যাটকে নিয়ে মালদ্বীপ উড়ে গেলেন ভিকি

    প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আবদুল্লা ইয়ামিন (Abdulla Yameen) এবং তাঁর অনুগামীরা ভারত বিরোধী ক্যাম্পেনের মূল হোতা। কারণ ইয়ামিন নিজে চিনপন্থি। তাই ভারতের সঙ্গে মালদ্বীপের সুসম্পর্ক মেনে নিতে পারছেন না তিনি। ‘ইন্ডিয়া আউট’ ক্যাম্পেনের মূল চক্রিও তিনি। এমনটাই মত ভারতের বিদেশমন্ত্রকের।      

     
      

  • Ayman al-Zawahiri: চিকিৎসক থেকে জঙ্গি ! জেনে নিন আল-কায়দা প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরির ইতিহাস

    Ayman al-Zawahiri: চিকিৎসক থেকে জঙ্গি ! জেনে নিন আল-কায়দা প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরির ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাবুলে আমেরিকার ড্রোন হানায় (US Drone strike) নিহত হয়েছেন আল কায়দার (Al-Qaeda) প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরি (Ayman Al-Zawahiri)। ৯/১১ হামলার অন্যতম চক্রীর আফগানিস্তানে (Afghanistan) মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন স্বয়ং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (US President Joe Biden)।

    লাদেনের (Osama Bin Laden) হত্যার ১১ বছর পর এবার তাঁর ডানহাতকে খতম করল বাইডেনের (Joe Biden) দেশ। কাবুলে দীর্ঘদিন ধরে ঘাঁটি গেঁড়ে বসা এই কুখ্যাত জঙ্গি আসলে ছিলেন একজন চক্ষু চিকিৎসক। মাত্র ১৫ বছর বয়সেই তার নিজস্ব সংগঠন তৈরি হয়েছিল। ছেলেবেলা থেকে জাওয়াহিরিও মেধাবী ছাত্র হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। কিশোর বয়সে কাকার হাত ধরেই মিশরের ধর্ম নিরপেক্ষ সরকারের সমালোচনা করতে শুরু করেন জাওয়াহিরি। মাত্র ১৫ বছর বয়সেই বন্ধুদের নিয়ে একটি সংগঠন তৈরি করে ফেলেছিলেন জাওয়াহিরি। নাম দিয়েছিলেম ‘জামাত-আল-জিহাদ’। যাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল মিশরের তৎকালীন সরকারকে গদিচ্যুত করা।

    তবে নিজস্ব সংগঠন তৈরি করলেও পারিবারিক রীতি মেনে ডাক্তিরি পড়তে শুরু করেন জাওয়াহিরি। কায়রো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেডিসিনের ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। সেনাবাহিনীতে চোখের অস্ত্রপচারেও দীর্ঘদিন হাত পাকান তিনি। নিজস্ব ক্লিনিকও খোলেন জাওয়াহিরি। এক সম্ভ্রান্ত রাজনৈতিক পরিবারের মেয়ে আজা নোয়ের সঙ্গে বিবাহ হয় জওয়াহিরির। তাদের এক পুত্র এবং এক কন্যাসন্তান রয়েছে।

    আরও পড়ুন: মার্কিন ড্রোন হামলায় খতম আল-কায়দা প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরি

    সোভিয়েতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে তৎকালীন মুজাহিদিন যোদ্ধাদের চিকিৎসা করতেন অয়মান আল-জওয়াহিরি (Ayman Al Zawahiri)। সেখানেই ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে তাঁর দেখা। ১৯৮১ সালের ৬ অক্টোবর মিশরের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাতের হত্যায় জাওয়াহিরির হাত ছিল বলে জানা যায়। গ্রেফতার হন তিনি। তিন বছর জেল খাটার পর মুক্তি পান তিনি। এরপর লাদেনের সঙ্গে তার যোগাযোগ বাড়ে। লাদেনের ব্য়ক্তিগত চিকিৎসকের দায়িত্ব পালন করতে শুরু করেন। লাদেনের রক্তচাপের সমস্যা, সুগারের মাত্রা সহ সমস্ত বিষয়গুলি তিনিই পর্যবেক্ষণে রাখতেন। ধীরে ধীরে জাওয়াহিরির সংগঠনটি লাদেনের আল কায়দার সঙ্গে মিশে যায়। সেই সময় লাদেনের উপদেষ্টা পদে বসেন তিনি। এরপর একে একে ১৯৯৮ সালে দু’জনে মিলে কেনিয়া এবং তাজানিয়ায় আমেরিকার দূতাবাসে হামলা চালান। এর ঠিক তিন বছর পর ভয়াবহ ৯/১১ হামলার ঘটনা ঘটে। যা লাদেন-জাওয়াহিরির মিলিত উদ্যোগ। ২০১১ সালে লাদেনের মৃত্যুর পর আল কায়দার রাশ জওয়াহিরির হাতে চলে যায়।

  • China Taiwan Conflict: তাইওয়ানের চারপাশে ১১টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল চিন, কেন জানেন?    

    China Taiwan Conflict: তাইওয়ানের চারপাশে ১১টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল চিন, কেন জানেন?    

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাইওয়ানে (Taiwan) মার্কিন কংগ্রেসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির (Naccy Pelosi) সফর ঘিরে ক্রমেই অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠছে পরিস্থিতি। বৃহস্পতিবার তাইওয়ানের চারপাশে অন্ততঃপক্ষে ১১টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে চিন (China)। চিনা ফৌজ পিপলস অফ লিবারেশন আর্মির (PLA) তরফে জানানো হয়েছে, সবকটি তাদের লক্ষ্যে আঘাত হেনেছে। জাপানও জানিয়েছে, পাঁচটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়েছে তাদের এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনে (EEZ)। ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত জাপান উপকূলীয় অঞ্চলের অন্তর্গত এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনের মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্রগুলি আছড়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রক।

    আরও পড়ুন : তাইওয়ানে পা রাখলেন ন্যান্সি, সমরসজ্জা শুরু চিন আমেরিকার?

    মঙ্গলবার রাতে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির (Nancy Pelosi) নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দলের সদস্যরা পা রাখেন তাইওয়ানে। ন্যান্সির সফরসূচিতে তাইওয়ানের নাম ছিল না। তবে তিনি যে তাইওয়ান যেতে পারেন, তা একপ্রকার নিশ্চিতই ছিল। তা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনে কথা হয় চিনা প্রেসিডেন্টের। তখনই জিন পিং তাঁকে এই বলে সতর্ক করে দেন যে, যাঁরা আগুন নিয়ে খেলবেন, তাঁরা ধ্বংস হয়ে যাবেন। চুপ করে থাকেননি বাইডেনও। তিনিও জানিয়ে দেন, তাইওয়ান নিয়ে আমেরিকার নীতিতে কোনও পরিবর্তন হয়নি। তাইওয়ান সফর সেরে ন্যান্সি গিয়েছেন জাপানে। তার পরে পরেই তাইওয়ানের আকাশসীমায় ২৭টি যুদ্ধ বিমান পাঠিয়েছে চিন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তাইওয়ানের উত্তর, পূর্ব এবং দক্ষিণে সব মিলিয়ে তারা ১১টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে বলে জানিয়েছে চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। 

    আরও পড়ুন : চিনা হুমকি, তাইওয়ানে মহড়া শুরু যুদ্ধের

    স্বায়ত্তশাসিত তাইওয়ানের ওপর বেশ কয়েক দশক ধরেই নজর চিনের। তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ বলেই মনে করে তারা। প্রয়োজনে জোরপূর্বক তাইওয়ানের দখল নিতেও তারা প্রস্তুত বলে আগে একাধিকবার জানিয়েছে চিন। এরই পাল্টা হিসেবে তাইওয়ানের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা। পঁচিশ বছর পরে মঙ্গলবার তাইওয়ান সফরে আসেন কোনও পদস্থ মার্কিন কর্তা। তার পর থেকেই তাইওয়ানের বিরুদ্ধে সামরিক সক্রিয়তা বাড়িয়েছে চিন।

    এদিকে, জাপানের এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনে ক্ষেপণাস্ত্র হানার প্রভাব পড়েছে জাপান এবং চিনের কূটনৈতিক সম্পর্কে। বাতিল করে দেওয়া হয়েছে আগে থেকে স্থির করা দু দেশের বিদেশ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক।

     

LinkedIn
Share