Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Los Angeles: “বিষাক্ত ধোঁয়া এড়াতে বাড়িতে থাকুন”, বিধ্বংসী দাবানলে বিধ্বস্ত লস এঞ্জেলেস

    Los Angeles: “বিষাক্ত ধোঁয়া এড়াতে বাড়িতে থাকুন”, বিধ্বংসী দাবানলে বিধ্বস্ত লস এঞ্জেলেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোটা লস এঞ্জেলেস (Los Angeles) জুড়ে বিধ্বংসী দাবানলের (Devastating Fire) কারণে সরকার পক্ষের তরফে গভর্নর চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করেছেন। আগুনে পুড়ে এখনও পর্যন্ত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, “আপনারা বিষাক্ত ধোঁয়া এড়াতে বাড়িতে থাকুন”। একইভাবে এখনও পর্যন্ত ১২০০০ ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। মারাত্মক আগুন থেকে বহু মানুষকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং সরকারি সংস্থা দুর্গতদের সাহায্য এবং উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

    ৩৯০০০ একর জমিতে আগুন (Los Angeles)

    জানা গিয়েছে, লস এঞ্জেলেসে দাবানলের (Devastating Fire) কারণে দৈনন্দিন জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে গিয়েছে। গত ৭ জানুয়ারি থেকে ৩৯০০০ একর জমিতে জ্বলছে আগুন। ১৩৫০ কোটি থেকে ১৫০০ কোটি মার্কিন ডলারের সম্পত্তি সম্পূর্ণভাবে পুড়ে গিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই দাবানল সব থেকে বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয়। এখন সকল স্কুল, কলেজ, বিনোদনের জায়গা, হোটেল, রেস্তোরা বন্ধ। খেলাধুলা, কামিউনিটি ইভেন্ট বাতিল করার কথাও ঘোষণা করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এবং বিপর্যয় কবলিত এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে দমকল বাহিনী আগুন নিয়ন্ত্রণ এবং নেভানোর জন্য সবরকম চেষ্টা করে যাচ্ছে। এর মধ্যে ইটন ফায়ার ৫৬ বর্গ কিমি, দ্যা পালিসেডস ফায়ার সমৃদ্ধি প্যাসিফিক প্যালিসেডস আশপাশের এলাকাকে ব্যাপক ভাবে ধ্বংস করেছে। প্রচুর পরিমাণ গাছপালা, বাড়িঘর এবং প্রাকৃতিক সম্পত্তি আগুনের লেলিহান শিখায় ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে।

    গলা ব্যথা এবং মাথাব্যথায় প্রচুর মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন

    স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে সকল বাসিন্দাদের বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এঞ্জেলেস ডিপার্টমেন্ট অফ পাবলিক হেলথের প্রধান অনীশ মহাজন বলেন, “আমরা সবাই দাবানলের ধোঁয়ার সংস্পর্শের মধ্যে পড়ে গিয়েছি। এই ধোঁয়ায় ছোট কণা, গ্যাস এবং জলীয় বাষ্পের মিশ্রণ রয়েছে। সূক্ষ্মকণাগুলি শরীরে প্রবেশ করে নাক এবং গলাকে প্রভাবিত করবে। তীব্র জ্বালা অনুভব হবে। ফলে গলাব্যথা এবং মাথাব্যথায় প্রচুর মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। ইতিমধ্যে হশেরিফ রবার্ট লুনা প্যাসাডেনায় একটি পারিবারিক সাহায্য কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এই দাবানল আবার সান ফ্রান্সিসকোর একটি বড় এলাকাকে পুড়িয়ে দিয়েছে।

    ট্রাম্পকে পরিদর্শনের আর্জি

    ক্যালিফোর্নিয়ার (Los Angeles) গভর্নর গ্যাভিন নিউজম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দাবানলে (Devastating Fire) ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনের অনুরোধ করেছেন। দুর্গত এবং আর্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সব রকম সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। নিজের এক্স হ্যান্ডলে বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, “ভয়াবহ দাবানলে প্রচুর মানুষের বাড়িঘর পুড়ে গিয়েছে। মানুষ নিজের জীবন নিয়ে বিপন্নবোধ করছেন। সরকার পক্ষ এবং একাধিক নানা বেসরকারি সংস্থা সবরকমভাবে সাহায্যের জন্য মাঠে নেমে পড়েছে। অযথা কেউ আতঙ্কিত হবেন না এবং সবরকম গুজব থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে চলুন।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pakistani Nuclear Scientists Abducted: ১৬ পরমাণু বিজ্ঞানী অপহরণে মুখ পুড়েছে পাকিস্তানের, আদৌ ছাড়া পাবেন তাঁরা?

    Pakistani Nuclear Scientists Abducted: ১৬ পরমাণু বিজ্ঞানী অপহরণে মুখ পুড়েছে পাকিস্তানের, আদৌ ছাড়া পাবেন তাঁরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের লাগানো বিষবৃক্ষে ফল ধরতে শুরু করেছে! ভারতে নিত্য অশান্তি জিইয়ে রাখতে লাগাতার জঙ্গিদের মদত দিয়ে গিয়েছে পাকিস্তানের (Pakistani Nuclear Scientists Abducted) সরকার। যিনিই মসনদে বসেছেন, তিনিই দেশের বিভিন্ন সমস্যা থেকে দেশবাসীর নজর ঘোরাতে অক্সিজেন জুগিয়ে গিয়েছেন বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠীকে। এবার সেই জঙ্গিফাঁদে পড়েই অপহৃত পরমাণু বিজ্ঞানীদের ছাড়াতে কার্যত নাকানি চোবানি খাচ্ছে পাকিস্তানের শাহবাজ শরিফের সরকার।

    টিটিপির হানা তেজস্ক্রিয় খনিতে (Pakistani Nuclear Scientists Abducted)

    ঘটনার সূত্রপাত দিন দুই আগে। তেহরিক-ই-তালিবান, সংক্ষেপে টিটিপির (TTP Terrorists) কয়েকশো জঙ্গি দিনে-দুপুরে হানা দেয় পাকিস্তানের বৃহত্তম ইউরেনিয়াম খনিতে। সশস্ত্র জঙ্গিদের রণমূর্তি দেখে পালিয়ে যায় খনি প্রহরারত নিরাপত্তারক্ষীরা। বিনা বাধায় খনিতে লুটপাট চালায় জঙ্গিরা। যাওযার সময় সঙ্গে নিয়ে যায় প্রচুর ইউরেনিয়াম। পণবন্দি করে ১৬ জন পাক পরমাণু বিজ্ঞানী-সহ মোট ১৮ জনকে। এই খনির নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল পাক রেঞ্জার্স এবং আধা কমান্ড বাহিনী। জঙ্গিদের দেখে প্রাণ বাঁচাতে গা-ঢাকা দেয় তারা। অসহায়ের মতো জঙ্গিদের সঙ্গে যেতে বাধ্য হন পাক পরমাণু বিজ্ঞানীরা। ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আমেরিকা-সহ পশ্চিম দুনিয়া। ভয়েস অফ আমেরিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে পাক বিজ্ঞানীদের অপহরণ করেছে টিটিপি। পরে তাঁদের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় তারা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাদের অনুমান, ইউরেনিয়ামের সাহায্যে এবার শক্তিশালী বোমা তৈরির চেষ্টা করবে টিটিপি। তাই খনি থেকে ইউরেনিয়াম লুট করেছে তারা (Pakistani Nuclear Scientists Abducted)।

    সুপ্ত ইচ্ছে পূরণ হবে জঙ্গিদের!

    দীর্ঘ সময় ধরে পরমাণু বোমা তৈরির সুপ্ত ইচ্ছে পোষণ করেছে বহু জঙ্গি নেতা। একই সঙ্গে বিজ্ঞানী ও তেজস্ক্রিয় লুট করে সেই স্বপ্ন সফল করতে পারে জঙ্গিরা। জঙ্গি সংগঠনগুলি পরমাণু বোমা তৈরি করলে বিশ্বজুড়ে শক্তির ভারসাম্য নষ্ট হবে বলেই শঙ্কা মার্কিন গোয়েন্দাদের। এর আগেও পাক সেনাবাহিনীর হাতে থাকা পারমাণবিক হাতিয়ারের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তাঁরা। আমেরিকার বহু বিশেষজ্ঞই ইসলামাবাদের কাছে আণবিক অস্ত্র থাকাকে অত্যন্ত বিপজ্জনক বলে মনে করেন। ইউরেনিয়াম খনি লুট এবং বিজ্ঞানীদের অপহরণের ঘটনায় উদ্বিগ্ন নয়াদিল্লিও।

    মুখ পোড়ার ভয়

    বিশ্বে মুখ পোড়ার ভয়ে প্রথমে বিজ্ঞানীদের অপহরণের কথা স্বীকার করেনি পাক সরকার। পরে অবশ্য জঙ্গি-কবল থেকে বিজ্ঞানীদের মুক্ত করতে শাহবাজ শরিফের সরকার দর কষাকষি করছে বলে অসমর্থিত সূত্রের খবর। যদিও এ ব্যাপারে অফিসিয়ালি কিছু জানানো হয়নি পাক সরকারের তরফে। তবে টিটিপি (TTP Terrorists) জঙ্গিরা একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, প্রাণ বাঁচাতে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের কাছে কাতর আর্জি জানাচ্ছেন পাকিস্তানের অপহৃত ১৬ জন বিজ্ঞানী এবং দুই ইঞ্জিনিয়র।

    টিটিপির গুচ্ছের শর্ত

    এদিকে পণবন্দিদের জীবিত ছেড়ে দিতে গুচ্ছের শর্ত দিয়েছে টিটিপি জঙ্গিরা (Pakistani Nuclear Scientists Abducted)। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল, অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করে তাদের এলাকা ছেড়ে চলে যেতে হবে পাক ফৌজকে। মুক্তি দিতে হবে পাক জেলে বন্দি টিটিপির সমস্ত নেতা ও যোদ্ধাকে। আর পাক-আফগান সীমান্তের ‘ডুরান্ড লাইন’ বাতিল করে নয়া সীমান্ত নির্ধারণ করতে হবে। গত ডিসেম্বরে পাকিস্তানের খাইবার-পাখতুনখোয়া প্রদেশে বড়সড় হামলা চালায় টিটিপি। মৃত্যু হয়েছিল পাক সেনা বাহিনীর এক মেজর-সহ বেশ কয়েকজন জওয়ানের। বদলা নিতে ২৫ ডিসেম্বর আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশে এয়ারস্ট্রাইক চালায় পাকিস্তানের বায়ুসেনা। পরে পাকিস্তান দাবি করে জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও আফগানিস্তানের তালিবান প্রশাসন জানায়, পাকিস্তানের বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন শিশু ও মহিলা-সহ প্রায় ৫০ জন। এর পরেই সীমান্তে কয়েক হাজার জঙ্গি পাঠিয়ে দেয় তালিবানরা। তালিবান এবং টিটিপি জঙ্গিদের সঙ্গে এঁটে উঠতে পারেনি পাক সেনা। এই ঘটনার সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই পরমাণু বিজ্ঞানীদের অপহরণ করে টিটিপি বুঝিয়ে দিল পাক সেনার তুলনায় তারা কতটা শক্তিশালী।

    আরও পড়ুন: “হিন্দুরা জোটবদ্ধ না হলে এখানেও বাংলাদেশের মতো সংখ্যালঘু হয়ে পড়বেন”, বার্তা শুভেন্দুর

    রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ

    গত ডিসেম্বর (TTP Terrorists) থেকে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ চলছে টিটিপি ও পাক সেনার মধ্যে। এই সশস্ত্র গোষ্ঠীকে জঙ্গির তকমা দিয়েছে ইসলামাবাদ। পাকিস্তানের অভিযোগ, আড়ালে থেকে টিটিপিকে (Pakistani Nuclear Scientists Abducted) ক্রমাগত মদত দিয়ে চলেছে তালিবান প্রশাসন। জঙ্গিদের তারা আশ্রয়ও দিচ্ছে বলে অভিযোগ। ঘটনার জেরে ইসলামাবাদ ও কাবুলের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। জানা গিয়েছে, আফগানিস্তানে এয়ারস্ট্রাইক চালানোর পরে পরেই সীমান্তে অন্তত দুটি পাক চৌকি দখল করে টিটিপির জঙ্গিরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয় সেই ভিডিও-ও। চাপে পড়ে পাক সরকার জানায়, চৌকিগুলি খালি ছিল।

    ২০২১ সালে দ্বিতীয়বারের জন্য আফগানিস্তানের ক্ষমতায় বসে তালিবান। সেই সময় উল্লাস করেছিল পাকিস্তান। তবে ইসলামাবাদের সেই আনন্দ অবশ্য বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। কারণ ‘ডুরান্ড লাইন’কে কোনওদিনই মান্যতা দেয়নি তালিবান। তারাই নিয়মিত অক্সিজেন জুগিয়ে গিয়েছে টিটিপিকে (TTP Terrorists)। সেই টিটিপিই কালি লেপে দিল পাক সরকারের মুখে (Pakistani Nuclear Scientists Abducted)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: ফের টার্গেট হিন্দু! বাংলাদেশের তিনটি মন্দিরে ভাঙচুর, লুট চালাল মৌলবাদীরা

    Bangladesh: ফের টার্গেট হিন্দু! বাংলাদেশের তিনটি মন্দিরে ভাঙচুর, লুট চালাল মৌলবাদীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পালাবদলের পর থেকে উত্তপ্ত বাংলাদেশ। ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার (Bangladesh) গঠনের পর থেকেই সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন ও অত্যাচারের যেন ক্রমেই বেড়ে চলেছে, দাবি একাংশের। ধর্মান্তকরণের চাপ জাঁকিয়ে বসেছে সেদেশের সংখ্যালঘুদের মাথায়। ঢাকা-সহ দেশের একাধিক জায়গায় চলেছে মন্দির ভাঙচুর। আর নতুন বছরের শুরুতে ফের বাংলাদেশে মৌলবাদী তাণ্ডব। চট্টগ্রামের হাটহাজারিতে ৩টি মন্দিরে হামলা। দেদারে চলল লুট। খোয়া গেল মন্দিরের প্রণামী বাক্সে থাকা হাজার পঞ্চাশেক টাকা, গয়না, নিত্য পুজোর জিনিসপত্রও। ফলে, হিন্দুদের ওপর অত্যাচার নিয়মিত হয়ে চলেছে, এই ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ।

    ঠিক কী  ঘটনা ঘটেছে? (Bangladesh)

    চট্টগ্রামের (Bangladesh) হাটহাজারি এলাকায় শ্রী বিশ্বেশ্বরী মন্দির, শ্রী সত্যনারায়ণ সেবাশ্রম-সহ একাধিক মন্দিরে হামলা ও লুট চালায় দুষ্কৃতীরা। এর আগেও একই প্রকার সন্ত্রাসের সাক্ষী থেকেছে বাংলাদেশ। গত বছরের শেষ মাসেই নাটোরের শ্বশানকালী মন্দিরে হামলা চালিয়েছিল এক দল দুষ্কৃতী। চলে লুটপাট। তবে সেখানেই থেমে থাকেনি তারা। হাত-পা বেঁধে খুন করা হয় মন্দিরের পুরোহিতকেও। এমনকি নতুন বছর থেকে মৌলবাদী কোপ পড়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতেও। অভিযোগ তিতুমির কলেজের অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবি ঘিরে সরব হয়েছে শিক্ষার্থীরা। ধর্মকে আধার করেই সংখ্যালঘু অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে চলছে হুমকি, হুঁশিয়ারি।

    আরও পড়ুন: দার্জিলিং থেকে পুরুলিয়ার ফারাক মাত্র দেড় ডিগ্রি! ১২ ডিগ্রিতে নামল কলকাতার তাপমাত্রা

    হামলা নিয়ে সরব কলকাতা ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট

    লালমোহন হাটে (Bangladesh) স্থানীয় জমিদার তুষভাণ্ডার জমিদার বাড়ির ভবতারিণী কালী মন্দির চুরি করেছে দুষ্কৃতীরা। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস। এর আগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মৌলবাদের উত্থান ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছিলেন তিনি। মন্দিরের হামলা নিয়ে রাধারমণের পোস্টে দাবি, শুক্রবার পুজো করতে যখন পুরোহিত আসেন, তখনই তিনি দেখতে পান যে, মন্দিরের দরজা ভাঙা। বিগ্রহ উধাও। নেই কোনও সোনার অলংকার, ঠাকুরের মূর্তি বা পুজোর সামগ্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hush Money Case: পর্নস্টারকে ঘুষ মামলায় নিঃশর্ত রেহাই ভাবী মার্কিন প্রেসিডেন্টের, কী বলল আদালত?

    Hush Money Case: পর্নস্টারকে ঘুষ মামলায় নিঃশর্ত রেহাই ভাবী মার্কিন প্রেসিডেন্টের, কী বলল আদালত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মসনদে বসার দিন দশেক আগে বড় স্বস্তি পেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পর্নস্টারকে ঘুষ দিয়ে মুখ বন্ধ করার চেষ্টার মামলায় (Hush Money Case) নিঃশর্ত রেহাই পেলেন আমেরিকার হবু প্রেসিডেন্ট। পর্নস্টার স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন তিনি (Donald Trump)। তার পরেই শুরু হয়েছিল আদালত কী সাজা দেয় ভাবী মার্কিন প্রেসিডেন্টকে, তা নিয়ে জল্পনা। শেষমেশ স্বস্তির শ্বাস ফেললেন রিপাবলিকান পার্টির এই নেতা।

    কী বলল আদালত? (Hush Money Case)

    আদালত জানিয়ে দিয়েছে, জেল কিংবা জরিমানা, কিছুই হচ্ছে না তাঁর। ট্রাম্পকে যে জেলে যেতে হবে না, এক একপ্রকার জানাই ছিল। কারণ মার্কিন আইন অনুয়ায়ী, ট্রাম্পের কারাদণ্ডের সম্ভাবনা প্রায় ছিলই না। তবে আর্থিক জরিমানা হওয়ার আশঙ্কা করছিলেন ট্রাম্পের অনুগামীদের একাংশ। শেষ পর্যন্ত নিঃশর্ত রেহাই মেলায় স্বস্তির শ্বাস ফেললেন ট্রাম্প ও তাঁর অনুগামীরা। শুক্রবার ফ্লোরিডা থেকে ভার্চুয়ালি আদালতে হাজিরা দেন ট্রাম্প। জানান, তিনি নির্দোষ (Hush Money Case)। এর পরেই বিচারক জুয়ান মার্চান বলেন, “এই আদালত নির্ধারণ করেছে যে, দেশের সর্বোচ্চ পদের ওপর হস্তক্ষেপ না করেই রায় বা দোষী সাব্যস্ত হওয়ার একমাত্র আইনসঙ্গত শাস্তি হল নিঃশর্ত অব্যাহতি।”

    স্টর্মিকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ

    ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে স্টর্মিকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। গত মে মাসে নিউ ইয়র্কের আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তাতে অবশ্য ট্রাম্পের রাজনৈতিক কেরিয়ারের কোনও ক্ষতি হয়নি। কারণ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য সাজা ঘোষণা স্থগিত রেখেছিল আদালত (Hush Money Case)। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের দলের প্রার্থীকে কার্যত ধরাশায়ী করে জয়ী হন ট্রাম্প।

    আরও পড়ুন: “হিন্দুরা জোটবদ্ধ না হলে এখানেও বাংলাদেশের মতো সংখ্যালঘু হয়ে পড়বেন”, বার্তা শুভেন্দুর

    এর পরেই মামলার (Hush Money Case) শাস্তি থেকে অব্যাহতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। ভাবী প্রেসিডেন্টের সেই আর্জি খারিজ করে আদালত সাফ জানিয়ে দেয়, প্রেসিডেন্ট পদে বসলেও, রক্ষাকবচের কোনও প্রশ্নই নেই। তার পরেই গুঞ্জন ছড়ায়, তাহলে কি দ্বিতীয়বারের জন্য প্রেসিডেন্ট পদে বসার আগেই অস্বস্তিতে পড়তে চলেছেন ট্রাম্প। শুক্রবার সেই জল্পনায় জল ঢেলে দিল আদালত। স্বস্তি পেলেন ট্রাম্প। প্রসঙ্গত, আগামী ২০ জানুয়ারি ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেবেন ট্রাম্প (Donald Trump)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chandra Arya: কানাডার প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূত চন্দ্র আর্য, মসনদে কি এবার ‘গর্বিত হিন্দু’?

    Chandra Arya: কানাডার প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূত চন্দ্র আর্য, মসনদে কি এবার ‘গর্বিত হিন্দু’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথম হিন্দু প্রধানমন্ত্রী (Canada PM Race) কি পেতে চলেছে কানাডা? কারণ, জাস্টিন ট্রুডোর ইস্তফার পর তাঁরই দল লিবারেল পার্টির পরিবহণমন্ত্রী ভারতীয় বংশোদ্ভূত অনিতা আনন্দের নাম ঘোরাফেরা করছিলই। এবার সেই দৌড়ে অবতীর্ণ হলেন আরও এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত তথা নিজেকে ‘গর্বিত হিন্দু’ বলে পরিচয় দেওয়া চন্দ্র আর্য।

    সম্প্রতি ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান সংসদ সদস্য চন্দ্র আর্য (Chandra Arya) ঘোষণা করেছেন যে, তিনি লিবারেল পার্টির তরফে কানাডার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। রাজতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে কানাডাকে সার্বভৌম প্রজাতান্ত্রিক গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন চন্দ্র আর্য। ইতিমধ্যেই কানাডার প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছেন জাস্টিন ট্রুডো। যদিও পরবর্তী কেউ দায়িত্ব না নেওয়া পর্যন্ত তিনিই সবকিছু সামলাবেন।

    চন্দ্রের প্রতিশ্রুতি 

    পেশায় ইঞ্জিনিয়র ও কানাডার নেপিয়ানের সাংসদ চন্দ্র আর্য (Chandra Arya) । ভারতের কর্নাটকে জন্ম তাঁর। বৃহস্পতিবার এক্স পোস্টে তিনি জানান, কানাডাকে সার্বভৌম প্রজাতান্ত্রিক দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চান তিনি। বিবৃতিতে চন্দ্র লেখেন, কানাডাবাসীর কাছে নিজের ভবিষ্যৎ নিজেই রচনা করার সুযোগ এসেছে। চন্দ্রের দাবি, তাঁর মন্ত্রিসভায় সংরক্ষণের ভিত্তিতে নয়, মেধার ভিত্তিতে আসন বণ্টন হবে। তাঁর প্রতিশ্রুতি, তিনি কানাডা পুনর্গঠনের জন্য একটি ‘ছোট এবং আরও দক্ষ’ সরকারের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। আরও একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই কানাডিয়ান সাংসদ। তার মধ্যে অন্যতম অবসর গ্রহণের বয়স বাড়ানো। নাগরিকত্বের উপর ভিত্তি করে কর ব্যবস্থার প্রবর্তন ও প্যালেস্তাইনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি। 

    কানাডার অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার বার্তা

    ২০১৫ সালে প্রথম সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হন চন্দ্র আর্য। প্রজন্মের পর প্রজন্ম কানাডায় বেশকিছু সমস্যা চলে আসছে, যেগুলির সমাধান আজও হয়নি বলে দাবি তাঁর। ক্ষমতায় এলে সেগুলিই আগে নিরসনের ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন চন্দ্র আর্য। কানাডার অর্থনীতিকেও ঘুরে দাঁড় করানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাংসদ। তাঁর কথায়, “কানাডার মধ্যবিত্তরা জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত কাজই করে চলেছে। এমনকী মরণকালেও তাদের দরিদ্রতার সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে। কঠোর হলেও সিদ্ধান্ত আমাদের এখনই নিতে হবে। অর্থনীতির চাকা ঘোরাতে আমার কাছে উপায় রয়েছে। সেগুলি বাস্তবায়ন করতে আমি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।” কানাডাবাসীর কাছে সমর্থনের জন্য আহ্বানও জানান চন্দ্র আর্য।

    কর্নাটক থেকে কানাডা

    চন্দ্র আর্য (Chandra Arya)  কর্নাটকের সিরা তহশিলের দ্বারলু গ্রাম থেকে উঠে এসেছেন। তিনি ধরওয়াদের কৌশালি ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ থেকে এমবিএ করেন। ভারত থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি অর্জনের পর ২০ বছর আগে তাঁর স্ত্রী ও ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে কানাডায় চলে যান। রাজনীতিতে প্রবেশের আগে, তিনি প্রযুক্তি ও ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করেছেন। পরে ব্যবসা শুরু করেন। প্রথমে অটোয়ায় একটি দু-কামরার বাড়িতে পরিবার নিয়ে থাকতে শুরু করেন চন্দ্র। প্রথমে একজন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ শুরু করেন, তারপর ছোট ছোট শিল্প প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। পরে একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে যোগ দেন চন্দ্র। এরপর কানাডায় তিনি একটি ব্যাঙ্কে বিনিয়োগ পরামর্শক হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন। রাজনীতিতে আসার আগে, তিনি একটি ছোট প্রযুক্তিগত প্রতিরক্ষা সংস্থার এক্সিকিউটিভ হিসেবে ছয় বছর কাটান। ২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো কানাডার পার্লামেন্টে নির্বাচিত হন চন্দ্র। ২০১৯ সালে পুনরায় নির্বাচিত হন তিনি।

    মাতৃভাষা নিয়ে গর্বিত চন্দ্র

    ২০২২ সালে কানাডার সংসদে তাঁর মাতৃভাষা কন্নড়ে বক্তৃতা দেওয়ার সময় চন্দ্র আর্য গর্বের সঙ্গে নিজের সাংস্কৃতিক শিকড়ের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। বলেছিলেন, “আমি কানাডিয়ান পার্লামেন্টে আমার মাতৃভাষা কন্নড় ভাষায় কথা বললাম। এই সুন্দর ভাষার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে এবং প্রায় ৫ কোটি মানুষ এই ভাষায় কথা বলেন। ভারতের বাইরে বিশ্বের কোনও সংসদে এই প্রথম কন্নড় ভাষায় কথা বলা হচ্ছে।” 

    কানাডায় গর্বিত হিন্দু চন্দ্র

    কানাডার হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি তাঁর সমর্থনের কথা বারবার প্রকাশ্যে জানিয়েছেন চন্দ্র আর্য (Chandra Arya)। গতবছর নভেম্বর মাসে, চন্দ্র কানাডার পার্লামেন্টের সামনে একটি গৈরিক পতাকা উত্তোলন করেন, যাতে ‘ওম’ প্রতীক ছিল। তিনি হিন্দু হেরিটেজ মাস উদযাপন করেন এবং কানাডার রাজনৈতিক পরিসরে হিন্দু কানাডিয়ানদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর আহ্বান জানান। কানাডায় একের পর এক হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন চন্দ্র। এরপরই  নিষিদ্ধ খালিস্তানপন্থী সংগঠন ‘শিখস ফর জাস্টিস’ (এসএফজে)-এর প্রধান গুরপতবন্ত সিং পান্নুনের হুমকির মুখে পড়েন তিনি। কানাডায় খালিস্তানি উগ্রবাদের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন চন্দ্র। খালিস্তানি কট্টরপন্থীরা কানাডার বিভিন্ন অংশে ভারতবিরোধী তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh: হিন্দু হওয়ায় বাংলাদেশে চাকরি থেকে তাড়ানো হল দুই সরকারি আধিকারিক, প্রধানশিক্ষককে

    Bangladesh: হিন্দু হওয়ায় বাংলাদেশে চাকরি থেকে তাড়ানো হল দুই সরকারি আধিকারিক, প্রধানশিক্ষককে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনার পতনের পর ক্ষমতায় ইউনূস প্রশাসন। আর এই সরকারের হাত ধরেই বাংলাদেশ (Bangladesh) জুড়ে হিন্দু নিধন শুরু হয়েছে। একদিকে ধর্মান্তরিত করার জন্য হিন্দুদের নানাভাবে চাপ দেওয়া হচ্ছে। না মানলে খুন করে প্রকাশ্যে ঝুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। হিন্দু মা, বোনেদের ওপর অত্যাচার চলছে। এর পাশাপাশি প্রশাসনের বিভিন্ন পদে যে সব হিন্দুরা রয়েছেন, তাঁদের নানা অছিলায় চাকরি ছাড়তে বাধ্য করছে ইউনূস প্রশাসন। এককথায় প্রাণে না মেরে ভাতে মারতে চাইছে প্রশাসন। সম্প্রতি, দুজন হিন্দু আধিকারিককে চাকরি ছাড়তে বাধ্য করার ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    ঠিক কী ঘটেছে? (Bangladesh)

    ইউনূস প্রশাসন দুজন সরকারি আধিকারিককে (Bangladesh) চাকরি ছাড়তে বাধ্য করিয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রথম জন বাংলাদেশ রাবার বোর্ডের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জনেন্দ্রনাথ সরকার এবং অন্যজন চট্টগ্রামের শিল্প এলাকার সহকারি পুলিশ সুপার রণজিৎ কুমার বড়ুয়া। একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজশাহীর মেধাবী ছাত্র জনেন্দ্রনাথ সরকার বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের একাদশ ব্যাচের সভাপতি। ১৯৯৩ সালে জেলাশাসকের সহকারি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। প্রশাসনের অন্দরে দক্ষ আমলা হিসেবে পরিচিত। স্বতন্ত্র নাগরিক সহ একাধিক মন্ত্রকেরও অতিরিক্ত দায়িত্ব সামলে ছিলেন তিনি। ইউনূস সরকার ক্ষমতায় আসার পর পরই তিনি রোষানলে পড়েন। একাধিক জায়গায় বদলি করার পর এবার তাঁকে চাকরি থেকে তাড়ানো হল। এছাড়াও সামাজিক সংগঠনে কর্মরত থেকে তাড়ানো হয়েছে চট্টগ্রাম শিল্প প্রশাসনের সহকারি পুলিশ সুপার রণজিৎ কুমার বড়ুয়াকে। চাকরি থেকে তাড়ানোর পথ প্রশস্ত হয় গত নভেম্বরেই। তাঁর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ এনে চাকরি ছাড়তে বাধ্য করা হয়।

    আরও পড়ুন: ‘২০৩১ সালের পরে হিন্দুদেরও পালানোর রাস্তা খুঁজতে হবে’, কীসের ইঙ্গিত দিলেন শুভেন্দু?

     হিন্দু প্রধান শিক্ষককে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হল!

    অন্যদিকে, চট্টগ্রামের হিন্দু ধর্মাবলম্বী এক প্রধান শিক্ষককে (Bangladesh) জোর করে পদত্যাগ করানো হয়েছে। এর পিছনে স্কুল পরিচালনা কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে বলে প্রচার করা হচ্ছে। কিন্তু, বাস্তবে প্রধান শিক্ষক হিন্দু হওয়ার কারণে তাঁকে চাকরি ছাড়তে বাধ্য করা হল। পদত্যাগের পর ওই শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েন। জানা গিয়েছে, বুধবার (৮ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার পূর্ব বরৈয়া ঠান্ডা মিয়া চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার শিকার ওই প্রধান শিক্ষকের নাম চন্দন মহাজন।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    জানা গিয়েছে, স্থানীয় একদল চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ লোক প্রধান শিক্ষক চন্দন মহাজনের (Bangladesh) বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগ এনে শিক্ষার্থী ছাড়াও কিছু অভিভাবককে উস্কে দেয়। এদের মধ্যে স্কুল পরিচালনা কমিটির দখল নিতে চাওয়া লোকজনও আছে। তাঁরা অভিযোগ তোলেন, চন্দন মহাজন ইসলামবিদ্বেষী কথাবার্তা বলেছেন। দাড়ি রাখলে জঙ্গি বা হিজাব-নিকাব নিয়ে কটুক্তি করেছেন-এমন অভিযোগও তোলেন তাঁরা। এছাড়া অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগও তোলা হয়। এসবের পিছনে মৌলবাদীরা রয়েছে। তারা পিছন থেকে স্কুল পড়ুয়াদের মগজ ধোলাই করে ওই প্রধান শিক্ষককে চাকরি ছাড়াতে বাধ্য করিয়েছে। জানা গিয়েছে, অভিযোগগুলো তদন্তের জন্য বুধবার (৮ জানুয়ারি) প্রধান শিক্ষক চন্দন মহাজনকে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে ডাকা হয়। কিন্তু ওই সময় হঠাৎ করে একদল শিক্ষার্থীকে সেখানে নিয়ে আসা হয়। তারা তদন্ত ছাড়াই প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবি জানাতে থাকে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন প্রধান শিক্ষক চন্দন মহাজন।

    স্কুলের এক শিক্ষক কী বললেন?

    স্কুলটির (Bangladesh) একজন শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়িয়ে প্রধান শিক্ষক চন্দন মহাজনকে ফাঁসানোর জন্যই বেশিরভাগ অভিযোগ তোলা হয়েছে। ছোট ছোট শিশুদের আন্দোলনে যেতে উস্কে দেওয়া হচ্ছে। অথচ এদের অনেকে জানেই না শিক্ষকের অপরাধ কী?” স্থানীয় এক অভিভাবক অভিযোগ করেন, “এই হেনস্থার ঘটনার নেপথ্যে মূলত কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব। বাকি অভিযোগগুলো সাজানো।” এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে প্রধান শিক্ষক চন্দন মহাজনের কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। কারণ, মৌলবাদীদের দাপাদাপির কারণে তাঁর চাকরি গিয়েছে তা সহকর্মীদের কথাতেই স্পষ্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Elon Musk: ব্রিটেনে পাকিস্তানি ‘গ্রুমিং গ্যাং’ ইস্যুতে, ভারতীয় সাংসদের সঙ্গে সহমত পোষণ করলেন ইলন মাস্ক

    Elon Musk: ব্রিটেনে পাকিস্তানি ‘গ্রুমিং গ্যাং’ ইস্যুতে, ভারতীয় সাংসদের সঙ্গে সহমত পোষণ করলেন ইলন মাস্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেশ কয়েকদিন ধরেই এক্স হ্যান্ডেলের মালিক ইলন মাস্ক ব্রিটেনে গ্রুমিং গ্যাং কেলেঙ্কারির জন্য ষ্টারমারের নেতৃত্বাধীন দিন ব্রিটিশ সরকারকে তোপ দেগেছিলেন। সেসময় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন, যখন তিনি ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিসের প্রধান হিসেবে কাজ করছিলেন, তখনই তিনি এশিয়ান গ্রুমিং গ্যাংয়ের প্রথম মামলা দায়ের করেছিলেন। এখানেই আপত্তি তোলেন ভারতের রাজ্যসভার সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী এবং তিনি বলেন এশিয়ান গ্রুমিং গ্যাং নয়, বরং বলা উচিত পাকিস্তানি গ্রুমিং গ্যাং (Pakistani Grooming Gang)। প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদীর এই মন্তব্যে সহমত পোষণ করেন ইলন মাস্ক (Elon Musk)। প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদীর এক্স হ্যান্ডলের পোস্টে মন্তব্য করেন ইলন মাস্ক।

    গ্রুমিং গ্যাং আসলে কী 

    দেখা যাচ্ছে প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদির এই পোস্ট এখনও পর্যন্ত ১২ লাখেরও বেশি ইউজার দেখেছেন এবং ৩৭ হাজারেরও বেশি ব্যবহারকারী লাইক করেছেন। ১,৭০০ জন এখানে মন্তব্য করেছেন। যার মধ্যে রয়েছেন খোদ এক্স হ্যান্ডলের মালিকও। ব্রিটেনের বিভিন্ন শহরে মেয়েদের ওপর যৌন নির্যাতন বেড়ে চলার জন্য সম্পূর্ণ এশিয়াকে দায়ী করা যাবে না। এর জন্য দায়ী একটি দেশ এবং সেটি পাকিস্তান। এক্স হ্যান্ডেলে সাংসদের এই মন্তব্যের পরেই সেখানে কমেন্ট করতে দেখা যায় ইলন মাস্ককে (Elon Musk)। সম্প্রতি ব্রিটেনের উত্তরভাগের বিভিন্ন শহরে মহিলাদের ওপরে ব্যাপক পরিমাণে যৌন নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে। এর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে অভিযুক্তরা পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত পুরুষ। ব্রিটিশ মেয়েদের ওপর পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত পুরুষদের এমন অত্যাচার গ্রুমিং গ্যাং নামে পরিচিত।

    সাম্প্রতিক উদাহরণ (Elon Musk)

    ইতিমধ্যে এমন অসংখ্য উদাহরণ সামনে এসেছে। ২০২৩ সালের অগাস্ট মাসে লন্ডনের বাইরে একটি জায়গা থেকে ১০ বছর বয়সি একজন মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত মেয়েটির নাম ছিল সারা। যখন তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়, দেখা যায় তার হাড় ভাঙ্গা, তাকে পোড়ানো হয়, শরীরে কামড়ের দাগও দেখা যায়।  এই ঘটনার পরেই অভিযোগ দায়ের হয় তার বাবা উরফান শরীফ এবং তার সৎ মা বাইনাস বাতুলের বিরুদ্ধে। গত মাসেই লন্ডনের আদালত উরফান শরীফ এবং বাইনাস বাতুলকে দোষী সাব্যস্ত করে এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে তাদেরকে দণ্ডিত করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: ‘‘৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার, নইলে…’’! বাংলাদেশে প্রবল জনরোষের মুখে ইউনূস সরকার

    Bangladesh Crisis: ‘‘৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার, নইলে…’’! বাংলাদেশে প্রবল জনরোষের মুখে ইউনূস সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের (Bangladesh Crisis) বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ মানুষের।  অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসকে (Muhammad Yunus) ৪৮ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। নতুন কর প্রত্যাহার না করলে সরকার ফেলে দেওয়ার হুমকিও শোনা গিয়েছে।  দিন দিন নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জেরে নাজেহাল আমজনতা। সেই সঙ্গেই মোবাইল ফোনের রিচার্জ-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর আরোপ করা হয়েছে। এ নিয়ে নিজের দেশেই জনরোষের মুখে পড়েছে ইউনূস সরকার।

    কেন ক্ষুব্ধ বাংলাদেশের জনগন

    শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হয়ে ক্ষমতায় আসেন ইউনূস (Muhammad Yunus)। আর তারপর থেকেই একের পর এক নতুন নিয়ম চালু করেছেন তিনি। বাংলাদেশের নতুন সরকারের নিয়ম অনুযায়ী, এবার থেকে রেস্তোরাঁয় খাবার খেতে গেলে, বিলের উপরে অতিরিক্ত ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হবে। আগে এই ভ্যাট ৫ শতাংশ ছিল। সেই ভ্যাট বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হল। বিস্কুট, আচার, ম্যাট্রেস, টিস্যু পেপারেও ১৫ শতাংশ করে ভ্যাট বসানো হবে। এছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরির ক্ষেত্রেও ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হবে। এমনিতেই ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই চাল, তেল-সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে বলে অভিযোগ সাধারণ মানুষের। মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে ইউনূসের সরকারকে নিশানা করেছে আওয়ামি লিগও। ১০০ টাকার মোবাইল রিচার্জ করতে কর হিসেবে দিতে হবে ৫৬ টাকা ৩০ পয়সা। এখন সেখানে গ্যাসের দাম দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও দাবি হাসিনার দলের। 

    আরও পড়ুন: বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল ও গণিত চর্চায় যুক্ত হচ্ছে দেশের মেয়েরা, এক দশকে হার বৃদ্ধি ৪ শতাংশ

    সরকারকে হুঁশিয়ারি জনতার

    ইতিমধ্যেই দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে, বুধবার রাতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছে সাধারণ মানুষ। নতুন করে যে ভ্যাট বা কর বসানো হয়েছে তা প্রত্যাহার করার জন্য ইউনূস (Muhammad Yunus) সরকারকে ৪৮ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দাবি মানা না হলে বাংলাদেশকে (Bangladesh Crisis) অচল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। অতিরিক্ত করের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হলে তা মেনে নেওয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে। গ্যাস সহ অন্যান্য জিনিসের ওপর আরোপ করা কর কমানো না হলে ছাত্র জনতাকে নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ জাগ্রত জনতা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Bangladesh: পেটে খিদে মুখে যুদ্ধ! সেই ভারত থেকে ফের ৫০ হাজার টন চাল আমদানি বাংলাদেশের

    Bangladesh: পেটে খিদে মুখে যুদ্ধ! সেই ভারত থেকে ফের ৫০ হাজার টন চাল আমদানি বাংলাদেশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউনূস সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারত-বিদ্বেষ বেড়েই চলেছে। ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ করার স্বপ্ন দেখছেন মৌলবাদীরা। কিন্তু, দেশবাসীর মুখে দুবেলা অন্ন জোগানের ব্যবস্থা করতে পারেনি ইউনূস প্রশাসন। বন্ধু পাকিস্তানও এই সংকটে পাশে এসে দাঁড়ায়নি। যে ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন বাংলাদেশের (Bangladesh) মৌলবাদীরা, খিদে মেটাতেই সেই ‘শত্রু দেশ’ ভারতের ওপর ভরসা করতে হচ্ছে ইউনূস সরকারকে। ভারত থেকে ফের ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি চাল কেনার (Indian Rice) সিদ্ধান্ত ইউনূস সরকারের।  ওই যে কথায় বলে, পেটের জ্বালা বড় জ্বালা!

    ৫০ হাজার টন চাল আমদানি করবে বাংলাদেশ (Bangladesh)

    জানা গিয়েছে, বাংলাদেশে পাইকারি বাজারে চালের দাম বেড়েছে। এমনই দাবি করা হল বাংলাদেশের সংবাদপত্র ‘কালের কণ্ঠ’-র রিপোর্টে। সেই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, গত এক মাসে বাংলাদেশে খুচরো বাজারে প্রতি বস্তা চালের (Indian Rice) দাম ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা বেড়েছে। এই আবহে সেখানের বাজারে সরু চালের দাম কেজি প্রতি ৭ থেকে ১০ টাকা এবং মোটা চালের দাম কেজি পিছু ৫ থেকে ৬ টাকা বেড়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। এই আবহে মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ভারত থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানি করবে বাংলাদেশ (Bangladesh)।

    আরও পড়ুন: ২২ জানুয়ারি মুর্শিদাবাদে রাম মন্দিরের সূচনা, ঘোষণা অম্বিকানন্দের, কারা কারা আমন্ত্রিত?

    কেন চাল কিনবে?

    জানা গিয়েছে, মূলত ঘরোয়া বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন চাল কিনবে ইউনূস সরকার। আর সেই কারণে বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকার চাল কিনতে টেন্ডার ডেকেছিল। সেই টেন্ডারে সর্বনিম্ন দর দিয়েছিল ভারতের বাগাদিয়া ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেড। এই আবহে তাদের থেকে ৪৫৮.৮৪ মার্কিন ডলার প্রতি টন হিসেবে ৫০ হাজার টন চাল কিনবে বাংলাদেশ। এই চাল (Indian Rice) কিনতে বাংলাদেশের পকেট থেকে খসবে ২ কোটি ২৯ লাখ ৪২ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ২৭৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা। অর্থাৎ, প্রতি কেজি চালের ক্রয়মূল্য ধার্য করা হয়েছে ৫৫.০৬ টাকা।

    নভেম্বর-ডিসেম্বরেও ভারতের চালে পেট ভরেছে বাংলাদেশের

    এই প্রথম নয়। এর আগে, গত ডিসেম্বরেই ভারত থেকে ৫০ হাজার টন চাল কেনার অনুমোদন দিয়েছিল ইউনূস সরকার। ৪ ডিসেম্বর প্রতি কেজিতে ৫৬.১২ টাকা দরে চাল আমদানির অনুমোদন দিয়েছিল ঢাকা। তার পর, ১৮ ডিসেম্বর ৫৪.৮০ টাকা প্রতি কেজি দরে ভারত থেকে চাল কেনার (Indian Rice) জন্যে সবুজ সংকেত দিয়েছিল ইউনূস সরকার। এরও আগে, গত ২১ নভেম্বর ভারতের এসএইএল অ্যাগ্রি কমোডিটিজের থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। এই আবহে গত কয়েক মাসে ইতিমধ্যেই ভারত থেকে ১ লক্ষ টন চাল কিনেছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। আর এবার ঘরোয়া বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন চাল কিনবে ইউনূস সরকার।

    ভারত থেকে ৬ লক্ষ টন চাল আমদানিতে অনুমতি

    এখানেই শেষ নয়। বাংলাদেশের সরকারি তথ্য বলছে, চলতি বছর সেদেশে ২০ লাখ ৫২ হাজার টন চালের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন দেশ থেকে সাড়ে ১০ লাখ টন চাল আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের, যার মধ্যে আবার ভারত থেকেই ৬ লাখ টন চাল (Indian Rice) আমদানির নীতিগত প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি! কারণ, পাকিস্তান হোক বা তাইল্যান্ড কিংবা ভিয়েতনাম— এসব জায়গা থেকে চাল আমদানি করতে বেশি খরচের ভার বহন করতে হবে ইউনূস প্রশাসনকে, যার আগে থেকেই কার্যত ‘ভাঁড়ে মা ভবানী’ অবস্থা। এই আবহে আপাতত বাংলাদেশের (Bangladesh) বাজারে চালের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে সেই ভারতের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে ইউনূস সরকারকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India Taliban Officials Meet: আফগান ভূমে পাক হামলার নিন্দার পরেই আলোচনার টেবিলে নয়াদিল্লি-কাবুল

    India Taliban Officials Meet: আফগান ভূমে পাক হামলার নিন্দার পরেই আলোচনার টেবিলে নয়াদিল্লি-কাবুল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আফগানিস্তানে এয়ারস্ট্রাইক চালিয়েছে পাকিস্তান। তার জেরে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে পাকিস্তান-আফগানিস্তানের। এই সুযোগটাকেই সুন্দরভাবে কাজে লাগিয়ে দিল মোদি সরকার (Modi Government)। বুধবার দুবাইয়ে আলোচনার টেবিলে বসলেন ভারত ও আফগানিস্তানের তালিবান প্রশাসনের প্রতিনিধিরা (India Taliban Officials Meet)। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের সচিব বিক্রিম মিস্রির সঙ্গে বৈঠক হয়েছে আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির। উপস্থিত ছিলেন দু’দেশের উচ্চ পর্যায়ের একাধিক মন্ত্রী ও সরকারি আধিকারিক।

    আলোচনার টেবিলে ভারত-আফগানিস্তান (India Taliban Officials Meet)

    ২০২১ সালে তালিবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা পুনর্দখলের পরে এই প্রথমবার বিদেশের মাটিতে প্রতিনিধি পর্যায়ের এমন বৈঠক হল। এই বৈঠকের ঠিক দু’সপ্তাহ আগেই আফগানিস্তানের মাটিতে হামলা চালায় পাক বায়ুসেনা। এই হামলার দু’সপ্তাহের মাথায় কাছাকাছি এল ভারত ও আফগানিস্তান। সাউথ ব্লকের তরফে জানানো হয়েছে, এই বৈঠকে (India Taliban Officials Meet) আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করে ইরানের চাবাহার বন্দর (Chabahar Port) থেকে পণ্য চলাচল পরিবহণ ও ক্রিকেট সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

    ট্র্যাক-টু কূটনীতি

    প্রসঙ্গত, গৃহযুদ্ধের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করলেও, এখনও রাষ্ট্রসংঘের স্বীকৃতি পায়নি আফগানিস্তানের তালিবান সরকার। ভারত-সহ বিশ্বের সিংহভাগ দেশের সঙ্গেই তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। মোদি সরকারও (Modi Government) তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি (India Taliban Officials Meet)। তাই আনুষ্ঠানিকভাবে নয়াদিল্লি-কাবুল কূটনৈতিক সম্পর্কও নেই। এহেন আবহে মোদি সরকার ট্র্যাক-টু কূটনীতির মাধ্যমে যোগাযোগ রাখছে আফগানিস্তানের শাসকদের সঙ্গে। বিপদের সময় পাশে থাকায় ভারত সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন আফগানিস্তানের মন্ত্রী। দুই দেশই ভারত ও আফগানিস্তানের জনগণের মধ্যে ঐতিহাসিক বন্ধুত্বের ওপর জোর দেন।

    আরও পড়ুন: তিরুপতি মন্দিরে হুড়োহুড়ি, পদপিষ্ট হয়ে মৃত অন্তত ৬, শোকপ্রকাশ রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর

    ভারত-আফগানিস্তান কাছাকাছি চলে আসায় প্রমাদ গুণছে পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ভারত ও আফগানিস্তানকে আলোচনার টেবিলে বসিয়ে (India Taliban Officials Meet) পাকিস্তানকে আরও একবার মাত দিল নরেন্দ্র মোদির সরকার (Modi Government)। এর আগে আফগানিস্তানে ভয়াবহ ভূমিকম্পের সময় ‘মানবিক সাহায্য’ পাঠিয়েছিল ভারত। এদিনের বৈঠকে সেজন্য নয়াদিল্লির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তালিবান প্রশাসনের মন্ত্রী। ২৫ ডিসেম্বর ভোরে আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশে হামলা চালায় পাক বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান। মৃত্যু হয়েছিল মহিলা, শিশু-সহ ৪৬ জন সাধারণ মানুষের। সোমবারই ওই হামলার নিন্দা করে বিবৃতি দিয়েছিল ভারত। তার ঠিক দু’দিনের মধ্যেই আলোচনার টেবিলে বসে গেল নয়াদিল্লি ও কাবুল (India Taliban Officials Meet)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share