Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • UNSC: পহেলগাঁওকাণ্ডের জেরে নিরাপত্তা পরিষদে মুখ পুড়ল পাকিস্তানের, কড়া প্রশ্নের মুখে ইসলামাবাদ

    UNSC: পহেলগাঁওকাণ্ডের জেরে নিরাপত্তা পরিষদে মুখ পুড়ল পাকিস্তানের, কড়া প্রশ্নের মুখে ইসলামাবাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার (Pahalgam Attack) জেরে তুঙ্গে ভারত-পাকিস্তানের উত্তেজনা। এহেন আবহে সোমবার রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ (UNSC)। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রগুলির বেশ কিছু কড়া প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে পাকিস্তানকে। গত ২২ এপ্রিল দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ওপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। তারা বেছে বেছে হত্যা করে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে। এক জঙ্গির হাত থেকে আগ্নেয়াস্ত্র কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করায় স্থানীয় এক মুসলমান যুবককেও খুন করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। এদিনের বৈঠকে পাকিস্তানের কাছে জানতে চাওয়া হয়, পহেলগাঁওয়ের ওই জঙ্গি হামলার ঘটনায় লস্কর-ই-তৈবার কোনও যোগ রয়েছে কিনা। দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পরামর্শও দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানকে।

    পাকিস্তানের অনুরোধেই বৈঠক(UNSC)

    বর্তমানে পাকিস্তান নিরাপত্তা পরিষদের অন্যতম অস্থায়ী সদস্য। সূত্রের খবর, দুই পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে রুদ্ধদ্বার আলোচনার জন্য নিরাপত্তা পরিষদে অনুরোধ করেছিল পাকিস্তান (UNSC)। পাকিস্তানের অনুরোধেই ওই আলোচনার ব্যবস্থা করা হয়। বৈঠক চলে ঘণ্টা দেড়েক ধরে। বৈঠক শেষে বিভিন্ন দেশের দূতেরা আলাদা আলাদাভাবে নিজেদের মতামত প্রকাশ করেন।

    জঙ্গি হামলার নিন্দা

    সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এদিনের বৈঠকে জঙ্গি হামলার নিন্দা করা হয়েছে। জঙ্গিরা যেভাবে পর্যটকদের হত্যা করেছে, সেই ঘটনারও নিন্দা করেছেন নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে উপস্থিত কূটনীতিকদের অনেকে। পাকিস্তান যেভাবে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে কথা বলছে বা ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করছে, তাতে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায় বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে বৈঠকে। দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমেই উদ্ভূত পরিস্থিতি মিটমাট করার জন্য পাকিস্তানকে পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।

    প্রশ্নের মুখে পাকিস্তান

    প্রসঙ্গত, লস্কর-ই-তৈবা হল একটি পাকিস্তানি জঙ্গিগোষ্ঠী। এই লস্করেরই ছায়া সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট। প্রথমে পহেলগাঁওয়ের জঙ্গিহানার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয় ওই জঙ্গি সংগঠন। পরে ফের নিজেদের বক্তব্য পরিবর্তন করে একটি বিবৃতিও দেয় তারা। তাতে জানিয়ে দেয়, এই ঘটনার দায় তাদের নয়। এই আবহেই রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে লস্কর সংক্রান্ত প্রশ্নের মুখে পড়তে হল পাকিস্তানকে। রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, “এখনই চূড়ান্ত সংযম প্রদর্শনের সময়। উভয় দেশের সঙ্গে আমার যে আলোচনা হয়েছে, তাতে এটাই আমার বার্তা ছিল। ভুল বোঝাবুঝির কিছু নেই (Pahalgam Attack)। কোনও সামরিক সমাধানই প্রকৃত সমাধান নয় (UNSC)।”

    পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধির বক্তব্য

    রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি আসিম ইফতিখার আহমেদ বৈঠকের পরে বলেন, “রুদ্ধদ্বার বৈঠকে আমরা একাধিক ইস্যু উত্থাপন করেছি। ভারত এক তরফাভাবে বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে।” সংবাদ মাধ্যমের সামনে তিনি অভিযোগের আঙুল তোলেন ভারতের বিরুদ্ধেই (Pahalgam Attack)। ওই বৈঠকে পাকিস্তান দাবি করেছিল, ভারত নিজেরাই এই হামলা করিয়ে থাকতে পারে। যদিও পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধির কোনও সদস্যই ইসলামাবাদের দাবি মানতে চায়নি। উল্টে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশগুলি এই জঙ্গি হামলার দায় পাকিস্তান এড়াতে পারে না বলেও জানিয়ে দেয়। শুধু তাই নয়। সাংবাদিক সম্মেলনে কাউকে পাশে পায়নি পাকিস্তান। এমনকি, শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা সব ঋতুর বন্ধু যে চিন, তারাও এক্ষেত্রে পাকিস্তানকে এড়িয়ে যায়।

    ধর্ম জিজ্ঞেস করে খুন?

    পহেলগাঁওয়ে যে পর্যটকদের ধর্ম জিজ্ঞেস করে খুন করা হয়েছে, এদিনের বৈঠকে সেই বিষয়টিও ওঠে (UNSC)। ভারত-পাক উত্তেজনার আবহে পাকিস্তান কেন ক্রমাগত মিসাইল টেস্ট করে চলেছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বৈঠকে উপস্থিত বেশ কিছু দেশ। বস্তুত, ভারতকে চাপে ফেলতে গিয়ে বৈঠক ডাকতে জোরাজুরি করেছিল পাকিস্তানই। সেই বৈঠকে নিজেই চাপে পড়ে গেল ভারতের পড়শি এই দেশটি। এদিন বৈঠক শেষে তিউনিসিয়ার নেতা খালেদ মহম্মদ খিয়ারি বলেন, “আলোচনা ও শান্তি বজায় রেখে বিবাদ মেটানোর বার্তা দেওয়া হয়েছে বৈঠকে।” খালেন খিয়ারি হলেন এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে সম্পর্ক, তাকে তিনি অস্থিতিশীল বলে বর্ণনা করেন (UNSC)। বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসা এক রুশ কূটনীতিক বলেন, “আমরা উত্তেজনা প্রশমনের আশা করছি।”

    প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওকাণ্ডের পর থেকে ভারতের প্রত্যাঘাতের ভয়ে সিঁটিয়ে রয়েছে পাকিস্তান। এমতাবস্থায় পাকিস্তানকে কোণঠাসা করতে একাধিক কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক পদক্ষেপ করেছে ভারত। স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তিও। ভারতকে (Pahalgam Attack) বিপাকে ফেলতে নানা পদক্ষেপ করেছে ইসলামাবাদও। তার পরেও সোমবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে মুখ পুড়ল পাকিস্তানের (UNSC)।

  • India Pakistan Conflict: বন্ধু চিনতে ভুল! ভারত-পাক সংঘাতের মাঝেই করাচিতে তুরস্কের যুদ্ধজাহাজ, কীসের ইঙ্গিত?

    India Pakistan Conflict: বন্ধু চিনতে ভুল! ভারত-পাক সংঘাতের মাঝেই করাচিতে তুরস্কের যুদ্ধজাহাজ, কীসের ইঙ্গিত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ (India Pakistan Conflict) পরিস্থিতির মধ্যেই এবার করাচির বন্দরে ভিড়ল তুরস্কের যুদ্ধ জাহাজ (Turkey on India Pak Clash)। রবিবার পাক নৌসেনার তরফে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, দুই দেশের সামুদ্রিক সহযোগিতা জোরদার করতে তুরস্কের যুদ্ধজাহাজ টিসিজি বুয়ুকডা পাকিস্তানে পৌঁছেছে। এই ঘটনায় বড় সড়যন্ত্রের ইঙ্গিত পাচ্ছে ওয়াকিবহাল মহল। এর আগে গত ২৮ এপ্রিল দক্ষিণ পাকিস্তানের করাচি বায়ুসেনা ঘাঁটিতে তুরস্কের সি-১৩০ই হারকিউলিস সামরিক পণ্যবাহী বিমান অবতরণ করতেই দুনিয়া জুড়ে শুরু হয় হইচই। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলির দাবি, ওই বিমানে বিপুল পরিমাণ হাতিয়ার, গোল-বারুদ এবং যুদ্ধের সরঞ্জাম পাঠিয়েছে আঙ্কারা। এরপরই ভারতজুড়ে পাকিস্তানের চির বন্ধু তুরস্ককে বয়কট করার দাবি উঠেছে। তুরস্কের সঙ্গে সবরকম কৃটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা বলা হচ্ছে।

    করাচিতে তুরস্কের যুদ্ধজাহাজ

    আরব সাগরে ভারতীয় নৌবহিনীর লাইভ ফায়ারিং এবং যুদ্ধ মহড়ায় পাকিস্তানের গলা শুকিয়ে গিয়েছে। এই আবহে পাকিস্তানের বন্ধু হিসেবে পরিচিত তুরস্ক একটি রণতরী পাঠিয়েছে পাকিস্তানের করাচি বন্দরে। ‘টিসিজি বুইউকাদা’ নামক এই রণতরীর করাচিতে আগমনকে অবশ্য ‘রুটিন’ আখ্যা দিয়েছে তুরস্ক কর্তৃপক্ষ। পাকিস্তান আবার এটিকে ‘গুডউইল ভিসিট’ আখ্যা দিচ্ছে। তবে, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ পরিস্থিতির মাঝে তুরস্কের যুদ্ধজাহাজের (Turkish Navy Ship) করাচি আগমন মোটেই সহজভাবে দেখছে না তথ্যাভিজ্ঞ মহল। বিশেষজ্ঞদের দাবি, বর্তমান পরিস্থিতিতে তুরস্কের যুদ্ধ জাহাজের আগমন সাধারণ বিষয় নয়। বিশেষ করে ভারতের ভয়ে যখন পাকিস্তান চিন-সহ অন্যান্য বন্ধুদেশের কাছে সাহায্যের জন্য হাত পেতেছে। সম্প্রতি তুরস্কের রাষ্ট্রদূত ইরফান নেজিরগুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এই সাক্ষাতে পাকিস্তানের পাশে থাকার আবেদন জানান তিনি। সামরিক ক্ষেত্রে পাকিস্তানের অন্যতম বড় সাহায্যকারী দেশ এই তুরস্ক। আগেও পাকিস্তানকে অগুস্তা ৯০বি ক্লাস সাবমেরিনের আধুনিকরণ, ড্রোন-সহ অন্যান্য যুদ্ধাস্ত্র দিয়েছে তুরস্ক। প্রায়শই যৌথ মহড়ায় অংশ নেই দুই দেশের সেনা। এবার যদিও পাক নৌবাহিনীর দাবি, করাচিতে থাকাকালীন তুরস্কের যুদ্ধজাহাজ পাকিস্তানের নৌবাহিনীর সঙ্গে সামরিক ক্ষেত্রে নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে। এই সফরের লক্ষ্য দুই নৌবাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া বৃদ্ধি ও সামুদ্রিক সহযোগিতা বাড়ানো। কিন্তু সময় বলছে অন্য কথা!

    তুরস্কের হারকিউলিস বিমান করাচিতে

    ভারতের প্রত্যাঘাত সামাল দিতে বন্ধু দেশগুলির সাহায্য চেয়েছে পাকিস্তান। তাদের বন্ধু তালিকায় সবার উপরে রয়েছে চিন ও তুরস্ক। যুদ্ধের জিগির তোলা রাওয়ালপিন্ডির ফৌজি জেনারেলরা তুরস্কের পূর্ণ সমর্থন পাচ্ছেন বলে সংবাদমাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়েছে। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া খবর অনুযায়ী, পাকিস্তানে মোট ছ’টি সি-১৩০ই হারকিউলিস বিমান নামিয়েছে তুর্কি বায়ুসেনা। আরব সাগরের উপর দিয়ে সেগুলিকে উড়িয়ে আনা হয়। তা ছাড়া করাচি বায়ুসেনা ঘাঁটিতে নাকি সেগুলি দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়েছিল। অন্যদিকে,  পাকিস্তানে কোনও হাতিয়ার বা গোলা-বারুদ পাঠানো হয়নি বলে বিবৃতি দিয়েছে তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। তবে, করাচিতে মালবাহী বিমানের অবতরণের কথা স্বীকার করে নিয়েছে। তাঁদের দাবি, জ্বালানি ভরার জন্য একটি সি-১৩০ই হারকিউলিস বিমানকে সেখানে নামানো হয়। কিন্তু তার পরেও এ ব্যাপারে সন্দেহ দূর হচ্ছে না।

    তুরস্ক হল কাল-সাপ!

    ঐতিহাসিক ভাবে অবশ্য ইসলামাবাদ ও আঙ্কারার সম্পর্ক বেশ মধুর। বিশ্লেষকদের একাংশ তাই মনে করেন, যুদ্ধ বাধলে তুরস্কের ‘অন্ধ’ সমর্থন পাবে পাকিস্তান। তাই এই বিষয়ে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারকে আগাম সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ মহলের কথায়, সাপকে খাওয়ালেও, তারা বন্ধু হয় না। ছোবল মারবেই। তাই তুরস্ক ‘বন্ধু’ হবে বলে মিথ্যা স্বপ্ন দেখে লাভ নেই। উল্টে পিঠে ছুরি বসানোর জন্য তৈরি হচ্ছে তারা। আগেও তুরস্কের থেকে হামলাকারী ড্রোন কেনার ব্যাপারে আগ্রহী ছিল ভারত। কিন্তু, আঙ্কারা পত্রপাঠ না বলে দেয়। শুধু তা-ই নয়, এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইসলামাবাদ সফর করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ এর্দোগান। ওই সময় কাশ্মীর ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানকে সমর্থন করার আশ্বাস দেন তিনি। বছর কয়েক আগে পাক ফৌজকে অতিশক্তিশালী ‘বের‌্যাক্টার টিবি২’ এবং ‘আকিনসি’ নামের দু’টি ড্রোন সরবরাহ করে তুরস্ক। এর মধ্যে প্রথমটি কেনার ব্যাপারে আগ্রহী ছিল নয়াদিল্লি। সূত্রের খবর, এই ড্রোন বাংলাদেশের বাহিনীর হাতেও বের‌্যাক্টার তুলে দিয়েছে আঙ্কারা। পাশাপাশি, ইসলামাবাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ‘কান’ নামের পঞ্চম প্রজন্মের একটি যুদ্ধবিমান তৈরি করছে তুরস্ক। গত বছর দুই দেশের মধ্যে এই সংক্রান্ত একটি চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়। আগামী বছরের মধ্যে ‘কান’ লড়াকু জেটকে বিমানবাহিনীর বহরে শামিল করার পরিকল্পনা রয়েছে আঙ্কারার। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই সেগুলি হাতে পাবে পাক বায়ুসেনাও।

    ভারতের সাহায্যকে এড়িয়ে গিয়েছে আঙ্কারা

    ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্ক। চোখের নিমেষে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় বিস্তীর্ণ এলাকা। ওই সময় বিবাদ ভুলে আঙ্কারার পাশে দাঁড়িয়েছিল নয়াদিল্লি। এশিয়া মাইনরের দেশটিতে বিপুল পরিমাণ ত্রাণসামগ্রী পাঠান প্রধানমন্ত্রী মোদি। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে উদ্ধারকাজে নামে ভারতীয় সেনা, বিমানবাহিনী এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী বা এনডিআরএফ। কিন্তু বিশ্লেষকদের দাবি, বিপদের সময়ে করা এই সাহায্যের প্রতিদান যে তুরস্ক পরবর্তী সময়ে দিয়েছে, তা নয়। গত দু’বছরে আন্তর্জাতিক মঞ্চে কাশ্মীর ইস্যুতে সামান্য নরম বিবৃতি বা চুপ করে থাকা ছাড়া আর কিছুই করেনি তারা। উল্টে ইসলামাবাদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করার দিকেও এগিয়েছে আঙ্কারা। হামলাকারী ড্রোন সরবরাহ বা ‘কান’ যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ইসলামাবাদের অন্তর্ভুক্তি তার প্রমাণ।

    তুরস্ককে কূটনৈতিক জবাব দেওয়ার দাবি

    প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকেরা অবিলম্বে তুরস্কের ইস্তানবুল হয়ে ইউরোপ বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত অসামরিক বিমান চলাচল বন্ধ করার দাবি তুলেছেন। বর্তমানে উড়ান সংস্থা ইন্ডিগোকে এই অনুমতি দিয়েছে নয়াদিল্লি। ফলে টার্কিশ এয়ারলাইন্স অতিরিক্ত আর্থিক সুবিধা পাচ্ছে বলে ইতিমধ্যেই অভিযোগ উঠেছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, ভারতের উচিত তুরস্কের প্রধান আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রিসের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলা। এটা অদ্ভুত যে ইস্তানবুলে এত বেশি সরাসরি ফ্লাইট রয়েছে এবং এথেন্সে কোনও ফ্লাইট নেই। প্রাক্তন ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব কানওয়াল সিব্বল তুরস্কে বিমান স্থগিতের পরামর্শ দেন। তিনি জানান, আপাতত তুরস্কে ভারতের বিমান এবং ভারতে তুর্কি বিমান স্থগিতের কথা বিবেচনা করা যেতে পারে।

    তুরস্কে পর্যটন নয়

    পাকিস্তান ও তুরস্কের (India Pakistan Conflict) মধ্যে দীর্ঘদিনেরই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। পাকিস্তানের স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার তুরস্ক। নিয়মিত উচ্চ পর্যায়ের সাক্ষাৎ-ও সারেন ইসলামাবাদ ও আঙ্কারার আধিকারিকরা। ফলে দুই দেশের যে মজবুত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রয়েছে, তা অস্বীকার করার জায়গা নেই। এমনকি হাই-লেভেল স্ট্র্যাটেজিক কোঅপারেশন কাউন্সিল (HLSCC) নামে একটি মঞ্চও গড়েছে তুরস্ক ও পাকিস্তান। পারস্পারিক নানা স্বার্থে সহাবস্থানের উদ্দেশ্যেই ২০০৯ সালে গড়ে তোলা হয়েছে এইচএলএসসিসি। দুটি দেশেই ব্যবসা বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা, শক্তি, কৃষি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সংক্রান্ত সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত নেয় এই কাউন্সিল। তাই ভারত-পাক যুদ্ধে সরাসরি ইসলামাবাদকে সমর্থ করবে যে দেশ তাকে এখনই বয়কটের ডাক উঠেছে ভারত জুড়ে। তুরস্কের পর্যটন ব্যবসাও ভারত নির্ভর। তাই ভারতীয়দের ইস্তানবুল ভ্রমণে যেতেও বারণ করছেন অনেকে। এই আবহে দিল্লি সরাসরি তুরস্কের বিপক্ষে কোনও পদক্ষেপ করে কি না তা-ই দেখার।

  • Baloch Rebels: ভারত-পাক সংঘাতের আবহে পাকিস্তানের আস্ত শহর দখল বালোচ বিদ্রোহীদের!

    Baloch Rebels: ভারত-পাক সংঘাতের আবহে পাকিস্তানের আস্ত শহর দখল বালোচ বিদ্রোহীদের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার জেরে ভারতের প্রত্যাঘাতের আশঙ্কায় কাঁটা পাকিস্তান (Pakistan)। এই আবহে ভারতের পড়শি এই দেশে গৃহযুদ্ধের অশনি সঙ্কেত (Baloch Rebels)। মাস দুয়েক আগে জাফর এক্সপ্রেসে হামলা চালিয়েছিল বালোচ বিদ্রোহীরা। এবার পাকিস্তানের আস্ত একটা শহরেরই দখল নিয়ে নিয়েছে তারা। সূত্রের খবর, বালুচিস্তানের কালাত জেলার মঙ্গোচের শহরের দখল নিয়েছে বালোচ লিবারেশন আর্মি। পাকিস্তানের পতাকা খুলে সেখানে ওড়ানো হয়েছে বালোচ লিবারেশন আর্মির ঝান্ডা। শুধু তাই নয়, পণবন্দি করা হয়েছে পাক সেনার কয়েকজন সদস্যকে।

    পাক সেনার অস্ত্র লুট (Baloch Rebels)

    সেনার অস্ত্রও লুট করে নিয়েছে বিদ্রোহীরা। বেশ কয়েক ঘণ্টার জন্য বিদ্রোহীরা দখল করে নিয়েছিল কোয়েটা-করাচি হাইওয়ে। শহরের দখল নিয়েছে বালোচ লিবারেশন আর্মির ডেথ স্কোয়াড। কোয়েটা-করাচি হাইওয়েতে সমস্ত গাড়ি দাঁড় করিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। চালকদের সঙ্গে পাক সরকার বা সেনার কোনও যোগ পাওয়া গেলেই তাঁদের আটক করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বালুচিস্তানের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জিয়া লাঙ্গোভের চার নিরাপত্তা রক্ষীর প্রাণ গিয়েছে বালোচ আর্মির গুলিতে। বিদ্রোহীদের অভিযোগ, পাক সেনা ও গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের মধ্যে সংযোগের কাজ করছিলেন জিয়া। এদিন বিদ্রোহীরা আবদুল কুদ্দুসকেও গ্রেফতার করে। পাক সেনার হয়ে আলোচনা চালাতেন তিনি। বালোচ লিবারেশন আর্মি বহুদিন ধরে ওয়ান্টেড বলে ঘোষণা করেছিলেন তাঁকে।

    পোস্ট ভাইরাল

    এই আবহে অজয় কল নামে এক ব্যক্তির পোস্ট ভাইরাল হয়েছে (Baloch Rebels) সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বালোচ আর্মির লোকজন গাড়ি দাঁড় করিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে। ওই ভিডিও পোস্ট করে তিনি লেখেন, “এটি বালুচিস্তানের কলাট জেলার মাঙ্গোচর শহর। যেখানে বালুচিস্তানের মুক্তিযোদ্ধারা কয়েক ঘণ্টা আগে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর প্রধান ক্যাম্পে আক্রমণ করেছিল। প্রধান সড়কগুলির নিয়ন্ত্রণ দখল করেছে, একটি ব্যাঙ্ক ও আদালতের নিয়ন্ত্রণও নিয়েছে। আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভবন দখল করে। পাকিস্তানি বাহিনীর অস্ত্রও বাজেয়াপ্ত করেছে।”

    গত ২৮ এপ্রিল পাসনি এলাকায় মহম্মদ নওয়াজ নামে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের এক এজেন্টকে খুন করে বিএলএ। পরিচয় লুকিয়ে বিদ্রোহীদের ডেথ স্কোয়াডের হয়ে কাজ করতেন নওয়াজ। তারপর (Pakistan) থেকেই নতুন করে বিএলএর সঙ্গে সংঘাতে জড়ায় ইসলামাবাদ (Baloch Rebels)।

     

  • Baloch Rebellion: গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি পাকিস্তানে, বালোচ বিদ্রোহীদের দখলে আস্ত শহর, পণ বন্দি একাধিক পাক সেনা

    Baloch Rebellion: গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি পাকিস্তানে, বালোচ বিদ্রোহীদের দখলে আস্ত শহর, পণ বন্দি একাধিক পাক সেনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই দেশের যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ভারতের প্রত্যাঘাতের আশঙ্কায় কাঁপছে পাকিস্তান। এই আবহে সেদেশে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছে। জাফর এক্সপ্রেসে হামলার দু’মাসও পার হয়নি। এমনই সময় ফের হামলা চালাল বালোচ বিদ্রোহীরা (Baloch Rebellion)। বিদ্রোহীরা বালুচিস্তান প্রদেশের পুরো একটি শহরই দখল করে নিয়েছে বলে খবর। জানা যাচ্ছে, বালুচিস্তানের কালাত জেলার মঙ্গোচের শহরে হামলা চালায় বালোচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)। এই শহরের একাধিক সরকারি অফিসে আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে খবর মিলেছে। শুধু তাই নয়, পণবন্দি করা হয়েছে পাক সেনার সদস্যদের। একাধিক রিপোর্টে দাকি করা হয়েছে, সেনার অস্ত্রও লুট করে নিয়েছে বিদ্রোহীরা। বিদ্রোহীদের তাণ্ডবে কয়েক ঘণ্টা দখলে চলে যায় কোয়েটা-করাচি হাইওয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ সড়ক।

    শুক্রবার সন্ধ্যাতেই হামলা (Baloch Rebellion)

    কোয়েটা থেকে প্রায় ১০০ কিমি দূরে অবস্থিত হল মঙ্গোচের শহর (Mangocher city)। শুক্রবার সন্ধ্যাতেই সেখানে হামলা চালায় বালোচ লিবারেশন আর্মি। প্রথমেই তারা হাইওয়ে অবরোধ করে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয় বলে জানা গিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, একদল বিদ্রোহী(Baloch Rebellion) রাস্তার গাড়ি পরীক্ষা করতে শুরু করে। অন্য আরেকটি দল মঙ্গোচের বাজারে ঢুকে পড়ে সরকারি কার্যালয়গুলিতে আগুন ধরিয়ে বলে অভিযোগ।

    প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জিয়া লাঙ্গোভের চারজন নিরাপত্তা রক্ষীকে হত্যা করেছে বিদ্রোহীরা

    জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই বালুচিস্তানের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জিয়া লাঙ্গোভের চারজন নিরাপত্তা রক্ষীকে হত্যা করেছে বিদ্রোহীরা। বালোচ লিবারেশন আর্মির দাবি, পাকিস্তানি সেনা ও গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের মধ্যে সংযোগের কাজ করছিলেন জিয়া। এদিন বিদ্রোহীরা (Baloch Rebellion) আব্দুল কুদ্দুসকেও গ্রেফতার করে (Mangocher city)। তাঁর বিরুদ্ধে পাক সেনার হয়ে নানা বিষয়ে আলোচনা চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।প্রসঙ্গত, গত ২৮ এপ্রিলই মহম্মদ নওয়াজ নামের এক আইএসআইয়ের এক এজেন্টকে হত্যা করে বিদ্রোহীরা। পরিচয় লুকিয়ে ওই গুপ্তচর মিশেছিল বিদ্রোহীদের সঙ্গেই। এরপর থেকেই নতুন করেবালোচ লিবারেশন আর্মির সঙ্গে সংঘাতে জড়ায় ইসলামাবাদ।

  • UK: “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের জনগণের পাশে রয়েছে ব্রিটেন,” বললেন ব্রিটেনের সচিব

    UK: “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের জনগণের পাশে রয়েছে ব্রিটেন,” বললেন ব্রিটেনের সচিব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের জনগণের পাশে রয়েছে ব্রিটেন।” শনিবার এ কথা জানালেন ব্রিটেনের (UK) সচিব লিসা নন্দী। বর্তমানে তিনি রয়েছেন ভারত সফরে (Terrorism)। তিনি মনে করিয়ে দেন, ব্রিটেনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক অত্যন্ত দীর্ঘ ও অত্যন্ত গভীর। সংবাদ মাধ্যম সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ব্রিটেনের সংস্কৃতি, মিডিয়া, ক্রীড়া বিষয়ক রাষ্ট্রীয় সচিব লিসা নন্দী।

    কী বললেন লিসা নন্দী (UK)

    তিনি বলেন, “আমাদের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে সরাসরি সমবেদনা জানাতে পেরে সম্মানিত বোধ করেছেন। এই মর্মান্তিক হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির প্রতিও আমরা সমবেদনা জানাচ্ছি। ব্রিটেন যে কোনও ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের পাশে থাকবে। আমরা জানি, এই হামলার কারণে সমগ্র ভারতবাসী ব্যথিত। আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক বহুদিনের ও গভীর। আপনাদের ব্যথায় আমরাও ব্যথিত। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াইয়ে সমর্থন ও সম্মান জানাতে মৌনতা মেনে নীরবতা পালন করতে পেরে আমি গর্বিত।” তিনি আরও বলেন, “ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক শুধু কূটনৈতিক নয়, হৃদয়ের। এই কঠিন সময়ে আমরা ভারতীয় ভাইবোনদের সঙ্গে আছি।” তিনি জানান, তাঁর এই সফরটি ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে একটি নতুন সাংস্কৃতিক সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার প্রতীকও।

    ব্রিটেন ও ভারত সত্যিই অসাধারণ

    নন্দী বলেন (UK), “সৃজনশীল শিল্পের সর্বক্ষেত্রেই, ব্রিটেন ও ভারত সত্যিই অসাধারণ, তা সিনেমা হোক, ফ্যাশন, টিভি, সঙ্গীত কিংবা গেমিং (Terrorism)। আমরা এসব ক্ষেত্রে সত্যিই দক্ষ, এবং বিশ্বজুড়ে এই পণ্যগুলো রফতানি করি। কিন্তু আমরা জানি, সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা আরও বেশি অর্জন করতে পারি এবং এক সঙ্গে আরও বড় সাফল্য পেতে পারি। আমাদের সায়েন্স মিউজিয়াম গ্রুপ এখানকার ন্যাশনাল মিউজিয়াম সায়েন্স মিউজিয়াম গ্রুপের সঙ্গে যৌথ সহযোগিতা, যৌথ প্রদর্শনী আয়োজন, বিভিন্ন নিদর্শন প্রদর্শনের জন্য সফর করানো-সহ নানা কাজ করছে, যাতে ভারত ও ব্রিটেনের মানুষ প্রকৃত এর সুফল পেতে পারে। আমরা মনে করি, অন্যান্য সকল সৃজনশীল শিল্পেও এই মডেলের মাধ্যমে আমরা আরও ঘনিষ্ঠভাবে এক সঙ্গে কাজ করতে পারব।”

    ভারতের প্রতি তাঁর উৎসাহ প্রকাশ করে তিনি বলেন (UK), “এই গ্রীষ্মে ভারতীয় মহিলা দল পুরুষ দলের সঙ্গে যুক্তরাজ্য সফর করবে।” তাঁর আশা, ভারতীয় খেলোয়াড়রা ব্রিটেনের তরুণীদের অনুপ্রেরণা জোগাবে, ঠিক যেমন ইংল্যান্ড লায়নসেস ফুটবল দল তাদের দেশে মহিলাদের অনুপ্রাণিত করেছে (Terrorism)।

  • Pakistans Terror Track: ভারতে প্রতিটি জঙ্গি হামলার পর একই বুলি আওড়ায় পাকিস্তান!

    Pakistans Terror Track: ভারতে প্রতিটি জঙ্গি হামলার পর একই বুলি আওড়ায় পাকিস্তান!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে প্রতিটি জঙ্গি হামলার (Pakistans Terror Track) পর একই কৌশল প্রয়োগ করে পাকিস্তান। গত ২২ এপ্রিল রক্তাক্ত হয় ভূস্বর্গ। পহেলগাঁওয়ের ওই হামলায় প্রাণ হারান ২৭ জন পর্যটক ও একজন স্থানীয় যুবক। ওই ঘটনার পরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ একটি বিশ্বাসযোগ্য ও নিরপেক্ষ তদন্তের (Neutral Probe Call) আহ্বান জানান। ভারত ও পাকিস্তানের দশকের পর দশক ধরে চলা দ্বন্দ্ব পর্যালোচনা করলে এটা স্পষ্ট হয় যে, সন্ত্রাসই ইসলামাবাদের সব চেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার।

    সন্ত্রাসবাদের ব্যবহার (Pakistans Terror Track)

    পাকিস্তানের ভূ-রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে সন্ত্রাসবাদের ব্যবহার নতুন কোনও ঘটনা নয়। স্বাধীনতার পর থেকেই ইসলামাবাদের আগ্রাসী নীতির অংশ হিসাবে সন্ত্রাসবাদে জড়িত রয়েছে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় জম্মু ও কাশ্মীর দখল করতে পাকিস্তান উপজাতীয় মিলিশিয়াদের সমর্থন করেছিল। তার পরেও থেমে থাকেনি পাকিস্তান। ক্রমেই দেশটি জঙ্গিদের আঁতুড়ঘর হয়ে ওঠে। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাক যুদ্ধের সময় এটিকে আবারও ব্যবহার করা হয়েছিল। স্থানীয়দের ছদ্মবেশে তারা কাশ্মীরিদের মধ্যে একটি বিদ্রোহ সৃষ্টির চেষ্টা করেছিল।

    পাকিস্তানি জঙ্গিদের ভারতে অনুপ্রবেশ

    ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি জঙ্গিরা আবার ভারতে অনুপ্রবেশ করে। প্রথমে তারা অস্বীকার করে। পরে তদন্তে প্রমাণিত হয়, পাকিস্তানে প্রশিক্ষিত জঙ্গিরা কীভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিল। পাকিস্তান লস্কর-ই-তৈবা এবং জৈশ-ই-মহম্মদের মতো একাধিক জঙ্গি গোষ্ঠী তৈরি করে তাদের প্রশিক্ষণ দেয়। মূলত এরাই বারবার রক্তাক্ত করেছে ভারতকে। পাকিস্তানের সন্ত্রাস রফতানির ইতিহাস তামাম বিশ্বে সুবিদিত। ৯/১১ হামলার মূল হোতা ওসামা বিন লাদেনকে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে একটি সামরিক অ্যাকাডেমির কাছে বসবাস করতে দেখা গিয়েছিল। ২০১১ সালে মার্কিন সেনা তাকে খতম করে। ৯/১১ হামলার আর এক ষড়যন্ত্রকারী খালিদ শেখ মহম্মদকেও পাকিস্তানে আটক করা হয় (Pakistans Terror Track)।

    সন্ত্রাসে জড়িত পাক জঙ্গি সংগঠন

    এছাড়াও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেন, নরওয়ে, সৌদি আরব ও আফগানিস্তান-সহ বিশ্বজুড়ে পাকিস্তানি নাগরিক বা তাদের পৃষ্ঠপোষকতাপ্রাপ্ত গোষ্ঠীগুলোর জঙ্গি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। সন্ত্রাসে অর্থায়নের জন্য আর্থিক কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা এফএটিএফ পাকিস্তানকে কালো তালিকাভুক্ত করেছিল। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে অতীতে জঙ্গিদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করলেও পরবর্তীকালে সেগুলো আবার মুক্ত করে দেয়। এর মাধ্যমে এটা স্পষ্ট হয় যে, জঙ্গি নেটওয়ার্কের সঙ্গে তাদের যোগসূত্র রয়েছে।

    বিশ্বের দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা!

    পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ড পাকিস্তানের লক্ষ্য অর্জনে সন্ত্রাসের ব্যবহার সম্পর্কে স্পষ্ট চিত্র প্রদান করে। দশকের পর দশক ধরে ভারতকে অস্থির করতে সীমান্ত-পারের সন্ত্রাসবাদে পাকিস্তান যে একই কৌশল ব্যবহার করে আসছে, এই হামলায়ও তা প্রতিফলিত হয়েছে (Neutral Probe Call)। নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি করেছে পাকিস্তান। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পাকিস্তানের নিরপেক্ষ তদন্তের আবেদন ন্যায়বিচারের ইচ্ছা থেকে নয়, বরং আন্তর্জাতিক মনোযোগ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়া, তদন্ত ও দায়িত্ব এড়ানো এবং ভারতের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা রক্ষার অধিকারকে দুর্বল করাই এর উদ্দেশ্য (Pakistans Terror Track)।

  • Bangladesh: বিপাকে পড়ে ঢোঁক গিলল বাংলাদেশ, দূরত্ব বাড়াল ফজলুরের সঙ্গে

    Bangladesh: বিপাকে পড়ে ঢোঁক গিলল বাংলাদেশ, দূরত্ব বাড়াল ফজলুরের সঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ ঢোঁকই গিলল বাংলাদেশ (Bangladesh)! সে দেশের বিদেশমন্ত্রকের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হল (Indias Northeast), ফজলুর রহমানের বক্তব্য মতামতের প্রতিফলন। এটি কোনওভাবেই বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি বা নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। মন্ত্রকের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সরকারি নীতি ও কূটনৈতিক অবস্থানের সঙ্গে এই বিবৃতি সম্পূর্ণ বেমানান। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “মন্তব্যগুলি তাঁর (ফজলুর রহমানের) ব্যক্তিগত মতামত। বাংলাদেশ সরকারের অবস্থান কিংবা নীতিকে প্রতিফলিত করে না। এমন পরিস্থিতিতে সরকার এমন বক্তব্যের কোনও প্রকার সমর্থন বা স্বীকৃতি দেয় না এবং কোনওভাবেই এই ধরনের বাকপটুত্বকে সমর্থন করে না।” বাংলাদেশের কূটনৈতিক অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা, পারস্পরিক সম্মান এবং সকল রাষ্ট্রের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নীতিমালায় বাংলাদেশ অবিচলিতভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

    ফজলুরের বক্তব্য (Bangladesh)

    প্রসঙ্গত, দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে ২৬ জন হিন্দু সহ ২৭ পর্যটককে হত্যা করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। এছাড়া, এক জঙ্গির হাত থেকে আগ্নেয়াস্ত্র কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করায় গুলি করে খুন করা হয় স্থানীয় এক মুসলমান ঘোড়চালককে। এর পরেই বেড়েছে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা। সৃষ্টি হয়েছে সংঘাতের আবহ। এমতাবস্থায় চিনের সাহায্য নিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্ব অংশ দখলের ডাক দেন বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের সহযোগী ফজলুর। তিনি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধান ও জাতীয় স্বাধীন কমিশনের বর্তমান চেয়ারপার্সন। তিনি বর্তমানে ইউনূসের মুখ্য উপদেষ্টা হিসেবেও কাজ করছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে তিনি লেখেন, “ভারত পাকিস্তানকে আক্রমণ করলে, বাংলাদেশের উচিত হবে উত্তর-পূর্ব ভারতের সাত রাজ্য দখল করে নেওয়া। এ ব্যাপারে যৌথ সামরিক ব্যবস্থা নিয়ে চিনের সঙ্গে আলোচনা শুরু করা প্রয়োজন বলে মনে করি (Bangladesh)।”

    চিনা আগ্রাসনে ইন্ধন!

    প্রসঙ্গত, চিনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাত রয়েছে ভারতের। এই আবহে কিছু দিন আগে চিন সফরে গিয়ে প্রায় একই রকম মন্তব্য করেছিলেন ইউনূস। তাঁর ওই মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক মাথাচাড়া দেয়। প্রশ্ন ওঠে, ভারতের বিরুদ্ধে কি তাহলে চিনা আগ্রাসনে ইন্ধন জোগাচ্ছে ইউনূস সরকার? এর ঠিক পর পরই ভারতের মাটির ওপর দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। যার জেরে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ সরকার। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, বস্তুত (Indias Northeast) তার পরেই ঢোঁক গিলতে বাধ্য হয় ইউনূস সরকার (Bangladesh)।

  • Bangladesh: পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মলদ্বীপ…! ড্রাগনের ফাঁদে পড়ে হয়েছে সর্বস্বান্ত, সেই পথে বাংলাদেশও?

    Bangladesh: পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মলদ্বীপ…! ড্রাগনের ফাঁদে পড়ে হয়েছে সর্বস্বান্ত, সেই পথে বাংলাদেশও?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার ড্রাগনের ফাঁদে পড়ে নাভিশ্বাস ওঠার দশা বাংলাদেশেরও (Bangladesh)। চিনের (China) কৌশলগত বিনিয়োগ, ঋণের ওপর চড়া হারে সুদ এবং বৃহৎ পরিসরের পরিকাঠামো প্রকল্পের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার ক্রমবর্ধমান প্রভাব অনেক দেশকেই আর্থিকভাবে অত্যধিক চাপে ও রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল করে তুলেছে। ঋণ সঙ্কট থেকে প্রাতিষ্ঠানিক ভাঙন পর্যন্ত একাধিক দেশে গুরুতর চাপের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। উদ্যোক্তা রাজেশ সাওনি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘‘এমনকি বাংলাদেশও এখন অরাজকতা ও অধোগামী সঙ্কটে পড়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার ৮টি অর্থনীতির মধ্যে ৫টিই ধসে পড়েছে। এগুলি হল, শ্রীলঙ্কা, মলদ্বীপ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং নেপাল।’’ যদিও এই তথ্য ওই দাবিকে সম্পূর্ণভাবে সমর্থন করে না, তবে অন্তর্নিহিত চাপের যে সংকেতগুলি মিলেছে, তা বাস্তব।

    বাংলাদেশ (Bangladesh)

    দেশটিতে সব চেয়ে বেশি অভাব আইনশৃঙ্খলার। সহিংস বিক্ষোভ ও উগ্রপন্থার উত্থানে জর্জরিত। মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিয়ন্ত্রণ কায়েম করতে পারছে না। সেনাবাহিনী “স্ব-নির্মিত সঙ্কটের ব্যাপারে সতর্ক করেছে ইউনূস সরকারকে। মুদ্রাস্ফীতি উচ্চমাত্রায়। স্বাভাবিকভাবেই দুর্বল হয়েছে বিনিয়োগ। ২০২৫ অর্থবর্ষে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার হতে কমে হতে পারে ৩.৩–৩.৯ শতাংশ। যদিও দেশটির অর্থনীতি চালু রয়েছে, কিন্তু খুবই কষ্টে রয়েছেন বাংলাদেশের নাগরিকরা। (Bangladesh)।

    শ্রীলঙ্কা

    মিতব্যয়ী প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস সত্ত্বেও শ্রীলঙ্কা উচ্চ দারিদ্র্য, মুদ্রাস্ফীতি ও দুর্বল মুদ্রার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। ২০২২ সালে দেশটি বৈদেশিক ঋণ শোধে ডিফল্ট করে এবং এখনও তাদের বিদেশি ঋণের অর্ধেকেরও বেশি চিনের কাছে বাকি রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলি সীমিত ফল দিয়েছে। তাই এই মুহূর্তে ঋণ পরিশোধ এখনও বড় ঝুঁকির (China)।

    মলদ্বীপ

    জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.৪ শতাংশ হওয়ার আশা থাকলেও মলদ্বীপের সরকারি ঋণের প্রায় ২০ শতাংশই চিনের কাছে। দেশটির অর্থনীতি পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল। তাই যে কোনও বাহ্যিক ধাক্কা ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে পারে। মলদ্বীপ-চিন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) বাণিজ্য ঘাটতি বাড়াতে পারে এবং স্থানীয় শিল্পগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

    পাকিস্তান

    পাকিস্তানে রাজনৈতিক অস্থিরতা তুঙ্গে। সেখানে ব্যাপক বেকারত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজস্ব ভিত্তিও দুর্বল। চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের মাধ্যমে চিনের ঋণ পরিকাঠামো উন্নয়নে সাহায্য করলেও, এটি ঋণের বোঝা বাড়িয়েছে এবং সার্বভৌমত্ব নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। তাই বিনিয়োগকারীদের আস্থা এখনও অনিশ্চিত অবস্থায় রয়েছে। অথচ, বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জন করতে না পারলে শিল্প হওয়া এক কথায় অসম্ভব। আর শিল্প না হলে, ঘুঁচবে না বেকারত্বও (Bangladesh)।

    আফগানিস্তান ও নেপাল

    আফগানিস্তানের অর্থনীতি বিচ্ছিন্ন, অন্যের সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল এবং দেশটি দারিদ্র্যে জর্জরিত। চিনের সম্পৃক্ততা এখানে সীমিত এবং ধীরগতির। আর নেপাল, কাগজে-কলমে স্থিতিশীল হলেও চিনের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বেজিং-সমর্থিত পরিকাঠামোর ওপর নির্ভরতা বাড়ছে (China)।

    বিভিন্ন পরিকাঠামো প্রকল্পে বিনিয়োগ

    প্রসঙ্গত, চিন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে বিভিন্ন পরিকাঠামো প্রকল্পে বিনিয়োগ করছে। এর মধ্যে রয়েছে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভও। শি জিনপিংয়ের দেশ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্কও তৈরি করছে এবং তাদের সামরিক শক্তি বাড়াতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব স্থাপন করছে। চিন দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করছে, যা তাদের অর্থনীতিকে প্রভাবিত করছে। চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের মতো প্রকল্পের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে চিনের অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার হয়েছে। এই বিনিয়োগগুলি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির পরিকাঠামোর উন্নতিতে সহায়তা করছে। কিন্তু এর সঙ্গে সঙ্গে ঋণ সংক্রান্ত সমস্যাও দেখা যাচ্ছে (Bangladesh)।

    রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরদার

    রাজনৈতিক প্রভাব বাড়াতে চিন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে, যেমন বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ও সহযোগিতা স্থাপন। চিন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে, যা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করতে পারে। চিন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে বিভেদ তৈরি করতে ও নিজেদের প্রভাব বিস্তারের জন্য বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করছে।

    সামরিক প্রভাবও বিস্তার

    চিন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা বাড়িয়ে নিজেদের সামরিক প্রভাবও বিস্তার করছে। চিন পাকিস্তান ও অন্যান্য কয়েকটি দেশের সঙ্গে সামরিক চুক্তি করেছে, যা ভারত ও অন্যান্য আঞ্চলিক শক্তির জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে (China)। চিন দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে সামরিক পরিকাঠামো তৈরি করছে, যা আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে পরিবর্তন আনবে (Bangladesh)।

  • Netherlands: পহেলগাঁও হামলার নিন্দা, পাকিস্তান-সমর্থিত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ নেদারল্যান্ডসে

    Netherlands: পহেলগাঁও হামলার নিন্দা, পাকিস্তান-সমর্থিত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ নেদারল্যান্ডসে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে ২৬ হিন্দু পর্যটককে হত্যার ঘটনায় বিশ্ব জুড়ে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে নেদারল্যান্ডসের (Netherlands) দ্য হেগ শহরে অবস্থিত পাকিস্তান দূতাবাসের সামনে ২৫০ জনেরও বেশি মানুষ একত্রিত হয়ে এক শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেন। এই প্রতিবাদের আয়োজন করে গ্লোবাল হিউম্যান রাইটস ডিফেন্স (GHRD) এবং হেট লিখ্‌ট নেদারল্যান্ডস। নেদারল্যান্ডসের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এই প্রতিবাদে সমবেত হন। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আওয়াজিত এই সমাবেশের শুরুতে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

    পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ

    ‘শান্তি ও ন্যায়বিচারের আন্তর্জাতিক রাজধানী’ হিসেবে খ্যাত দ্য হেগ শহর। এখানেই পহেলগাঁও হামলার প্রতিবাদে সন্ত্রাস দমনে একত্রিত হন বহু মানুষ। অনুষ্ঠানের শুরুতেই হিন্দু ধর্মীয় ঐতিহ্য অনুসারে একটি প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে নিহতদের স্মরণ করা হয়। এরপর শান্তি মন্ত্র পাঠের মাধ্যমে তাদের আত্মার শান্তি কামনা করা হয়। বিক্ষোভকারীরা পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ আনেন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও ডাচ সরকারের কাছে সন্ত্রাস দমনে জোরালো পদক্ষেপের আহ্বান জানান এখানে উপস্থিত সকলে। বিক্ষোভকারীরা পাকিস্তান-ভিত্তিক গোষ্ঠীর দ্বারা সীমান্ত পার সন্ত্রাসী হামলার বিরুদ্ধে প্ল্যাকার্ড এবং ব্যানার প্রদর্শন করেন। তাঁরা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। বিক্ষোভকারীরা পহেলগাঁওয়ে হামলার জন্য পাকিস্তানের সমালোচনা করেন। জোর দিয়ে বলেন যে পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদের পৃথিবীতে কোনও স্থান নেই।

    মানবতার হয়ে সওয়াল

    একজন বিক্ষোভকারী বলেন, “এটা শুধু প্রতিবাদ নয়, এটা ছিল মানবতার পক্ষ থেকে একটি সম্মিলিত আবেদন – আমরা ন্যায়বিচার চাই এবং শান্তির বিজয় নিশ্চিত করতে চাই।” একজনের কথায়, “নীরবতা মানে অপরাধে অংশগ্রহণ। আমাদের এই প্রতিবাদ বিশ্ববাসীর জন্য একটি জাগরণী বার্তা – ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে নিরীহ মানুষদের উপর এই ধরনের আক্রমণ আমরা মেনে নিতে পারি না।” মোমবাতির আলো ও শান্তি মন্ত্রের সুরে মোড়ানো এই প্রতিবাদ শুধু এক শোকসভা ছিল না, বরং এটি বিশ্বব্যাপী এক দৃঢ় বার্তা দেয়। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে মানবতার পক্ষে দাঁড়ানোই আজকের সময়ের প্রয়োজন, বলে মন করে প্রতিবাদকারীরা।

  • Pakistani Airspace: উত্তেজনার আবহে পাক আকাশসীমা এড়িয়ে চলছে নামকরা বিদেশি বিমানসংস্থাগুলি

    Pakistani Airspace: উত্তেজনার আবহে পাক আকাশসীমা এড়িয়ে চলছে নামকরা বিদেশি বিমানসংস্থাগুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান ভারতের জন্য তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে। এই আবহে পাকিস্তানের (Pakistani Airspace) ওপর দিয়ে চলছে না কোনও ভারতীয় বিমান। তবে বর্তমানে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আবহে পশ্চিম দুনিয়ার দেশগুলির নামী বিমানসংস্থা পাকিস্তানের (Pakistani Airspace) আকাশ সীমাকে এড়িয়ে চলছে। যদিও তাদের জন্য সে দেশের আকাশসীমায় নিষেধাজ্ঞা নেই। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, পাকিস্তানের আকাশসীমা এড়িয়ে চলার কারণে বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে দেশটি। তার কারণ হল আকাশসীমা ব্যবহারকারী বিমান সংস্থাগুলির থেকে পাকিস্তান ওভারফ্লাইড ফি নেয়। কিন্তু তা বর্তমানে বন্ধ হয়ে যেতে বসেছে।

    কোন কোন বিমান সংস্থা এড়িয়ে চলছে পাক আকাশসীমা?

    গত দুই দিন ধরে, লুফথানসা, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, সুইস, এয়ার ফ্রান্স, ইতালির আইটিএ এবং পোল্যান্ডের লট হলের মতো বেশ কিছু শীর্ষস্থানীয় ইউরোপীয় বিমান সংস্থা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার কারণে পাকিস্তানের আকাশসীমা এড়িয়ে চলছে। বিশ্লেষকরা জানাচ্ছেন,পাকিস্তানের আকাশসীমা (Pakistani) যেভাবে এড়িয়ে যাচ্ছে পশ্চিম দুনিয়ার দেশগুলি, তাতে কয়েকশো মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হতে পারে পাকিস্তানের।

    ২০১৯ সালেও বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েছিল পাকিস্তান (Pakistani Airspace)

    এক্ষেত্রে অনেকেই উদাহরণ দিচ্ছেন ২০১৯ সালের। সেসময় ফেব্রুয়ারি মাসে পুলওয়ামাতে হামলার পরে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বালাকোটে এয়ার স্ট্রাইক চালায় ভারতের বিমান বাহিনী। এরপরে পাকিস্তানের (Pakistani Airspace) ওপর দিয়ে বিমানসংস্থাগুলির উড়ানে রাশ টানা হয়। সেই সময়ে ১০০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছিল দেশটির। পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহার না করতে পারার কারণে ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলি হয়ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কিন্তু যুদ্ধের পরিবেশ তৈরি হওয়াতে যেভাবে পশ্চিম দুনিয়ার দেশগুলি পাকিস্তানকে এড়িয়ে চলছে, তাতে ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি। প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী হামলা হয়।বেছে বেছে খুন করা হয় হিন্দু পর্যটকদের। এই ঘটনায় উঠে আসে পাকিস্তানি যোগ। তারপর থেকেই দুই দেশের মধ্যে বাড়তে থাকে উত্তেজনা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ করে ভারত।

LinkedIn
Share