Category: বিদেশ

Get updates on World News Headlines International News from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • China Demands: পাকিস্তানে নিজেদের সেনা চৌকি চায় চিন

    China Demands: পাকিস্তানে নিজেদের সেনা চৌকি চায় চিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসলামাবাদ (Islamabad), করাচি-সহ পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশে বসবাসকারী চিনা (China) নাগরিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে সে দেশে নিজেদের সেনা ঘাঁটি গড়তে চায় চিন। ইসলামাবাদের কূটনৈতিক সূত্রে খবর, বহুদিন ধরেই চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর নির্মাণের স্বার্থে সেখানে সেনা চৌকি করতে চায় চিন। সেজন্য পাকিস্তানের আইনসভায় অনুরোধও করেছে তারা। সম্প্রতি করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ে জঙ্গি হামলার পর সেই দাবি আরও জোরালো হয়েছে। 

    জঙ্গি হামলার ভয়ে পাকিস্তান (Pakistan) ছেড়ে চলে গিয়েছেন চিনা শিক্ষকরা।গত এপ্রিল মাসে করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটে জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয় তিন চিনা শিক্ষকের। তারপর থেকেই আতঙ্কে রয়েছেন সেখানকার শিক্ষকেরা। হামলার পর কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটে কর্মরত সমস্ত চিনা শিক্ষকদের দেশে ফেরত আসার নির্দেশ দিয়েছে বেজিং। ২০১৩ সালে চিনের সিচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয় ও পাকিস্তানের করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয় কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট। উদ্দেশ্য পাকিস্তানিদের মান্দারিন ভাষার শিক্ষা দেওয়া ও দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক সম্পর্ক আরও মজবুত করা। এই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বালোচ-জঙ্গিদের হামলা,পাকিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর চিনের আস্থায় বড় ধাক্কা দিয়েছে। 

    ২০১৫-তে স্বাক্ষর হওয়া মউয়ের ভিত্তিতে চিন-পাকিস্তানের মধ্যে অর্থনৈতিক করিডর বা সিপিইসি (CPEC projects) নির্মাণকার্যও শুরু হয়েছে। চিনের প্রস্তাবিত ‘ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড’ নীতির উপর ভিত্তি করে, তাদের অর্থ সাহায্যেই এই করিডর তৈরি হচ্ছে। পাকিস্তানের গদর পোর্ট থেকে চিনের শিনজিং প্রদেশ পর্যন্ত মোট ২,০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই পথটি তৈরি করা হচ্ছে। এই করিডর নিয়ে প্রথম থেকেই বিক্ষোভ প্রদর্শন করে আসছেন বালোচিস্তান-সহ গিলগিট-বালতিস্তান ও পিওকে-র নাগরিকরা। বলোচদের অভিযোগ, পেশিশক্তির জোরে তাঁদের বাসভূমি কেড়ে নিয়ে এই করিডর তৈরি করছে পাকিস্তান। যাতে পূর্ণ মদত দিচ্ছে চিন৷ তাই চিনা নাগরিকদের সেখানে ভালভাবে থাকতে দেওয়া হবে না। পাকিস্তান ছেড়ে চিনা নাগরিকদের চলে যেতে বলেছে বালোচ-জঙ্গি গোষ্ঠী। জঙ্গি নাশকতার আতঙ্ক সব সময় তাড়া করছে সিপিইসি কর্তাদের। তাই পাকিস্তানে নিজেদের সেনা-ঘাঁটি গড়তে উদ্যত চিন। এজন্য পাকিস্তানের নয়া প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে ক্রমাগত চাপ দিচ্ছে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, বলে অভিমত , রাজনৈতিক মহলের।

     

  • Bilawal Bhutto-Zardari: পাকিস্তানের কনিষ্ঠতম বিদেশমন্ত্রী হলেন বেনজির-পুত্র বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি

    Bilawal Bhutto-Zardari: পাকিস্তানের কনিষ্ঠতম বিদেশমন্ত্রী হলেন বেনজির-পুত্র বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের নতুন বিদেশমন্ত্রী নিযুক্ত হলেন পাকিস্তানের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো এবং নির্বাসিত রাষ্ট্রপতি আসিফ আলি জারদারির পুত্র বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। 

    সম্প্রতি, ইমরান খানকে সরিয়ে ইসলামাবাদের তখ্তে বসেছেন শেহবাজ শরিফ, যিনি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই। প্রধানমন্ত্রী হয়েই নিজের মন্ত্রিসভা সাজাতে শুরু করেন শেহবাজ। প্রথমে বিলাওয়ালকে মন্ত্রিসভায় না রাখলেও, এক সপ্তাহের মধ্যে তিনি বেনজির-পুত্রকে অন্তর্ভুক্ত করলেন শেহবাজ। সেইসঙ্গে, দেশের সর্বকনিষ্ঠ বিদেশমন্ত্রী হিসেবে দাদু জুলফিকার আলী ভুট্টোর রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন বিলাওয়াল।  

    বেনজির ভুট্টো একটা সময়ে পাকিস্তানে প্রধানমন্ত্রীর পদ সামলেছিলেন। তারপরে বিস্ফোরণে মারা যান তিনি। তারপর থেকেই তাঁর পরিবার বিদেশে ছিলেন। কিন্তু মায়ের রাজনীতির রক্ত ছেলে বিলাওয়লের মধ্যে ছিল। তিনি ফিরে আসেন দেশে। প্রথমে বিরোধী দলের সঙ্গে থাকলেও ইমরানকে সরিয়ে ফের ক্ষমতাসীন হয়েছেন তাঁরা। এবার অক্সফোর্ড পড়ুয়া শিক্ষিত বিলাওয়াল ভুট্টোর হাতেই শেহবাজ তুলে দিলেন বিদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক রক্ষার দায়িত্ব। 

    বিদেশমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর বিলাওয়ালের সম্মুখে বড় চ্যালেঞ্জ মার্কিন নীতি। আমেরিকার সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে ইমরানের জমানা থেকেই। সেই সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ বিলাওয়ালের। তার সঙ্গে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক তো রয়েছেই। বেনজির ভুট্টোর সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্কই ছিল। তাঁর ছেলে এবার কোন পথে হাঁটবেন সেটা এখন দেখার।

     

  • Roshan Mahanama: ট্রে হাতে চা পরিবেশন করছেন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন ক্রিকেটার!

    Roshan Mahanama: ট্রে হাতে চা পরিবেশন করছেন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন ক্রিকেটার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কা (Srilanka) বর্তমানে খাদ্য, জ্বালানি ও ওষুধের সংকটের মুখোমুখি। এককথায় দেউলিয়ার পথে শ্রীলঙ্কা। এমন পরিস্থিতিতে দেশবাসীকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছেন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন ক্রিকেটার (Cricketer) রোশন মহানামা(Roshan Mahanama) । কলম্বোর (Colombo) পেট্রোল পাম্পে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের মধ্যে চা ও পাউরুটি পরিবেশন করতে দেখা যায়। ইতিমধ্যেই তাঁর কিছু ছবি ভাইরাল হতে শুরু হয়েছে। ছবিতে তাঁকে চায়ের ট্রে হাতে নিয়ে দেখা যায়।

    তিনি তাঁর ছবি ট্যুইটারে(Twitter) শেয়ার করে লিখেছেন, ‘আমরা ওয়ার্ড প্লেস এবং ভিজেরামা মাওয়াথার(Wijerama Mawatha) চারপাশে পেট্রোলের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা লোকদের খাবার পরিবেশন করেছি। এই লাইন দিন দিন দীর্ঘ হচ্ছে। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা এসব মানুষের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটছে। অনুগ্রহ করে লাইনে একে অপরের যত্ন নিন। একে অন্যকে সাহায্য করুন, সহায়তার জন্য বলুন বা ১৯৯০ নম্বরে কল করুন।’

    আরও পড়ুন:”কঠিন সময়ে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ”, ভারতের প্রশংসায় শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

    [tw]


    [/tw]

    উল্লেখ্য, শ্রীলঙ্কা স্বাধীনতার পর থেকে সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকটের (Economic Crisis) মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। শ্রীলঙ্কা প্রয়োজনীয় জ্বালানি আমদানির জন্য অর্থ দিতে পারছে না,  ফলে দেশে পেট্রোলের গুরুতর সংকট দেখা দিয়েছে। দেশের জ্বালানি কয়েকদিনের মধ্যেই শেষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ফলে, সাধারণ মানুষ আগে থেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে পেট্রোল, ডিজেল মজুত করে রাখছে। তাই দিনে দিনে এই লাইন বেড়েই চলেছে। পরিস্থিতি এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, শ্রীলঙ্কায় পেট্রোল পাম্প রক্ষায় সশস্ত্র পুলিশ ও সেনাও মোতায়েন করা হয়েছে। অন্যদিকে  জ্বালানি বাঁচাতে ও এই পরিস্থিতির জন্য দুই সপ্তাহের জন্য রাজ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও স্কুল বন্ধ রাখার ঘোষণা করে দিয়েছে সরকার।

    যেখানে শ্রীলঙ্কার এই পরিস্থিতেতে দিশেহারা হয়েছে পড়েছে শ্রীলঙ্কার সরকার, সেখানেই এই প্রাক্তন ক্রিকেটার মহানামা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। নিজে হাতে ট্রে নিয়ে চা পরিবেশন করতে একটুও দ্বিধা বোধ করতে দেখা যায়নি তাঁকে।

    আরও পড়ুন: বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ার শূন্য, শ্রীলঙ্কার মতোই দেউলিয়ার পথে পাকিস্তানও?

  • Sundar Pichai: উইকিপিডিয়ায় অনেক তথ্যই ভুল, নিজের স্কুলের নাম জানালেন সুন্দর পিচাই

    Sundar Pichai: উইকিপিডিয়ায় অনেক তথ্যই ভুল, নিজের স্কুলের নাম জানালেন সুন্দর পিচাই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহু স্কুলই দাবি করে তিনি তাদের ছাত্র। আবার অনেক সময় শোনা যায় তিনি নাকি কোনও স্কুলেই পড়াশোনা করেননি। প্রথাগত শিক্ষার বদলে বাড়িতে থেকেই নাকি পড়াশোনা করেছেন সুন্দর পিচাই (Sundar Pichai)। অবশেষে নিজের মুখেই সেই উত্তর দিলেন গুগলের (Google) সিইও । স্ট্যানফোর্ড গ্র্যাজুয়েট স্কুল অফ বিজনেসের (Stanford Graduate School of Business) একটি অনুষ্ঠানে, তিনি জানান উইকিপিডিয়ায় (Wikipedia) তার সম্পর্কে অনেক ভুল তথ্য রয়েছে। তিনি আসলে চেন্নাইয়ের ভানা বাণীতে  একটি স্কুলে পড়াশোনা শেষ করেছেন। স্কুলটি আইআইটি মাদ্রাজ (IIT Madras) ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে অবস্থিত। ওই অনুষ্ঠানে একজন পিচাইকে তাঁর স্কুল সম্পর্কে প্রশ্ন করলে একথা জানান গুগল সিইও। 

    ২০১৫ সালে গুগলের সিইও হিসাবে নিযুক্ত হন সুন্দর পিচাই। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, যে সপ্তাহে তিনি গুগুল সিইও নিযুক্ত হন সেই সপ্তাহেই তাঁর উইকিপিডিয়া পৃষ্ঠায় প্রায় ৩৫০ বার সংশোধন করা হয়। পরে ২০১৯ সালে গুগলের মূল সংস্থা অ্যালফাবেট -এর সিইও হিসেবেও নিযুক্ত হন পিচাই। তিনি শুধু তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তার মধ্যে একজনই নন।  বিশ্বের ১০০ জন প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকাতেও তাঁর নাম খুঁজে পাওয়া যায়।

    উইকিপিডিয়া পৃষ্ঠায় তাঁর  স্কুলগুলির একটি দীর্ঘ তালিকা দেখানো হয়েছিল পিচাইকে। জবাবে তিনি বলেন, এর মধ্যে মাত্র দুটি সত্য। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর নাম করে অনেক স্কুলই পড়ুয়াদের আকৃষ্ট করে, সেই স্কুলে ভর্তি হওয়ার জন্য। যা কখনওই কাম্য নয়। নিজেদের অধ্যাবসায়ের জেরেই সবাই কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারে। পিচাই আইআইটি-খড়গপুর (IIT-Kgp) থেকে B.Tech, স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় (Stanford University) থেকে এমএস এবং পেনসিলভানিয়া (Pennsylvania) বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ সম্পন্ন করেছিলেন।

  • Kim warns: প্রয়োজনে পরমাণু শক্তি ব্যবহার করা হবে সতর্কবাণী কিমের 

    Kim warns: প্রয়োজনে পরমাণু শক্তি ব্যবহার করা হবে সতর্কবাণী কিমের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধী শক্তির মোকাবিলায় পিয়ংইয়ং তার পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে, বলে ফের সতর্ক করলেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন।  সে দেশের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে এ খবর প্রচারিত হয়। খবরে বলা হয়, শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের কিম বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর “নিরঙ্কুশ শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রাখার” জন্য দেশটিকে প্রয়োজনে এ ধরনের বিপজ্জনক কর্মসূচি চালাতে হতে পারে।

    কিম আরও বলেন, পিয়ংইয়ংয়ের অস্ত্র তৈরির কাজ চালিয়ে যাওয়া উচিত, যাতে অন্য কেউ উত্তর কোরিয়ার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে না পারে। পরমাণু অস্ত্র উৎপাদনের বিষয়টিকে তিনি দেশের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা প্রদানকারী জীবনরেখা হিসেবে অভিহিত করেন। এর আগে গত সোমবার একটি সামরিক কুচকাওয়াজের সময় তিনি বলেছিলেন,দেশের স্বার্থে উত্তর কোরিয়া পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে। সশস্ত্র বাহিনীর ৯০তম বার্ষিকীতে শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে এ মন্তব্য করেছিলেন কিম। সে সময় দেশটির সবচেয়ে শক্তিশালী আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করা হয়েছিল। নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও সামরিক খাতে আধুনিকীকরণের গতি দ্বিগুণ করেছে উত্তর কোরিয়া। মার্কিন আলোচনার প্রস্তাব উপেক্ষা করে এই বছর বেশ কয়েকটি নিষিদ্ধ অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে কিমের দেশ।

    ২০১৭ সালের পর গত মাসে প্রথমবারের মতো উত্তর কোরিয়া সম্পূর্ণ পরিসরে একটি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালায়। প্রতিবেশী দেশ দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের প্রাক্কালে এ পরীক্ষা চালায় পিয়ংইয়ং। কূটনৈতিক মহলের ধারণা, এই পরীক্ষা চালিয়ে সিওলের নতুন সরকারকে বার্তা দিতে চেয়েছিলেন কিম। 

  • Al Jazeera Reporter: ‘ভুলবশত’ সেনার হাতেই আল–জাজিরা সাংবাদিকের মৃত্যু হতে পারে, স্বীকার করল ইজরায়েল  

    Al Jazeera Reporter: ‘ভুলবশত’ সেনার হাতেই আল–জাজিরা সাংবাদিকের মৃত্যু হতে পারে, স্বীকার করল ইজরায়েল  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েল সেনার (Israel Army) ‘ভুল করে ছোড়া’ গুলিতে মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে আল জাজিরার সাংবাদিক (Al Jazeera Reporter) শিরিন আবু আকলেহর (Shireen Abu Akleh)। স্বীকার করে নিল ইজরায়েল প্রশাসন। তবে একে অপরাধ বলে মনে করছে না ইজরায়েল। তাই তদন্ত হবে না। এমনটাও এদিন স্পষ্ট করে তারা।  

    গত ১১ মে একটি শরণার্থী শিবিরে ইজরায়েলি বাহিনীর অভিযানের সময় গুলি লেগে মৃত্যু হয় সাংবাদিক আবু আকলেহর। গুলিটি চলে ইজরায়েলি সেনার বন্দুক থেকে। ওই সময় সাংবাদিকের ভূমিকায় কর্তব্যরত ছিলেন  আবু আকলেহ। হেলমেট, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটে লেখা ছিল প্রেস। তারপরেও গুলি চালায় সেনা। যাকে এখন ‘ভুল’ বলে দায় সারতে চাইছে ইজরায়েল।

    আরও পড়ুন: শব্দ দিয়ে অনুভূতি প্রকাশ করতে পারব না! বিক্রান্তের ডেকে উঠে আবেগপ্রবণ মোদি 

    প্রত্যক্ষদর্শী ও আল জাজিরা কর্তৃপক্ষের বক্তব্য এবং জাতিসংঘ, মানবাধিকার সংগঠন ও বিভিন্ন সংবাদসংস্থার বিভিন্ন তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে, এক ইজরায়েলি সেনা আবু আকলেহকে গুলি করেছেন।  

    ইজরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়, ফিলিস্তিনি জঙ্গিরা সেনাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ছিল। আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি চালায় সেনা। যদিও জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থার তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে, আকলেহ নিহত হওয়ার সময় ঘটনাস্থলে কোনো ফিলিস্তিনি উপস্থিত ছিলেন না।

    আরও পড়ুন: বিক্রি হয়ে গেল ইজরায়েলের প্রধান বন্দর হাইফা, বর্তমান মালিক আদানি
     
    গতকাল সোমবার ইজরায়েল প্রশাসনের তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়, যে গুলিতে আবু আকলেহ নিহত হয়েছেন, তা কোথা থেকে ছোঁড়া হয়েছিল, তা পরিষ্কার করে বলা সম্ভব নয়। এ ঘটনা নিয়ে বিশদ পরীক্ষা–নিরীক্ষা শেষে এবং প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে মিলিটারি অ্যাডভোকেট জেনারেল এখানে অপরাধমূলক কোন ঘটনার গন্ধ পান নি। তাই কোনও পুলিশি তদন্ত নিষ্প্রয়োজন। 

    তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশের আগে এক সংবাদ সম্মেলনে উচ্চপদস্থ এক সেনা আধিকারিক বলেন, “ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা সেনাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। যদি সেনাদের গুলিতেই সাংবাদিকের মৃত্যু হয়ে থাকে তাহলে তা অনিচ্ছাকৃত, ভুলবশত হয়েছে।” ইজরায়েল প্রশাসন বার বারই বলে এসেছে, তাদের সেনাদের নিয়ে তারা গর্বিত। সেনারা সবসময় নিয়ম মেনেই কাজ করেন।   

    গতকাল এক বিবৃতিতে ইজরায়েল প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন আবু আকলেহর পরিবার। বিবৃতিতে বলা হয়, ইজরায়েল সত্যিকে আড়াল করতে চাইছে এবং শিরিন আবু আকলেহর হত্যার দায় এড়াতে চাইছে। এটি প্রত্যাশিত বলেও উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে। বলা হয়, “আমাদের পরিবার এ নিয়ে হতবাক হয়নি। কারণ, ইজরায়েল নিজের অপরাধ নিয়ে যে তদন্ত করতে পারে না, তা জানাই ছিল।”  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Viva Tech 2022: ইউরোপের বৃহত্তম স্টার্টআপ সম্মেলনে বিশেষ স্বীকৃতি প্রদান ভারতকে

    Viva Tech 2022: ইউরোপের বৃহত্তম স্টার্টআপ সম্মেলনে বিশেষ স্বীকৃতি প্রদান ভারতকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছরের সেরা দেশের স্বীকৃতি পেল ভারত (India)। সম্প্রতি হয়ে গেল ইউরোপের (Europe) বৃহত্তম স্টার্টআপ সম্মেলন ভিভাটেক ২০২২ (Viva Tech 2022)। সেখানেই মিলেছে এই স্বীকৃতি।

    সেরা দেশের খোঁজ পেতে ইউরোপে হয় স্টার্টআপ কনফারেন্স ভিভাটেক ২০২২। এটি ইউরোপের বৃহত্তম স্টার্টআপ সম্মেলন। ফ্রান্সের (France) প্যারিসে আয়োজিত ওই সম্মেলনে ভারতের তরফে যোগ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় যোগাযোগ মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি বলেন, সেরা দেশের স্বীকৃতি হিসেবে ভিভাটেক ২০২২-তে অংশ নিতে পারাটা ভারতের কাছে সম্মানের। এটার কারণ হল, সারা বিশ্বে ভারতের স্টার্টআপগুলির অবদান।এই সম্মান ভারতীয় স্টার্টআপগুলির স্বীকৃতি। আমরা এক রোমাঞ্চকর যাত্রায় শামিল হয়েছি।

    আরও পড়ুন : পাসওয়ার্ডহীন সাইন ইন স্ট্যান্ডার্ড আনার পরিকল্পনা তিন প্রযুক্তি জায়ান্টের

    তিনি বলেন, এটা এমন এক যাত্রা যেখানে কয়েক কোটি স্মার্টফোন, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং ডিজিটাল পরিচয়পত্রকে এই যাত্রায় শামিল করা গিয়েছে।ভারতীয় তরুণদের মধ্যে যে উদ্যম রয়েছে, বিশ্বের আর কোনও দেশে তা পাবেন না বলেও মন্তব্য করেন ভারতের যোগাযোগ মন্ত্রী।

    ভিভাটেক নামের এই প্রদর্শনীতে গিয়ে এদিন অশ্বিনী উদ্বোধন করেন ভারতীয় প্যাভেলিয়নের। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তৈরি, ডিজিটাল পরিচয়পত্র এবং স্মার্টফোন তৈরিতে ভারতে ইউনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। ভারতের যোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, এ দেশ (ফ্রান্স) থেকে একটা জিনিস আমাদের নিয়ে যাওয়া উচিত, সেটা হল চিন্তাভাবনার নয়া পথ। ব্যর্থতার মোকাবিলা কীভাবে করতে হবে, তা শিখতে  হবে ফরাসিদের কাছ থেকে। কী ব্যর্থ হতে পারে? কী কী ব্যর্থ হতে পারে? আপনি যদি তা জানতে পারেন, তখনই আপনার প্রোডাক্ট কখনওই ব্যর্থতার মুখ দেখবে না।

    আরও পড়ুন : আইফোন ১৪ ফোনে থাকছে স্যাটেলাইট কানেক্টিভিটি? পড়ুন বিস্তারিত

    এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূয়সী প্রশংসা করেন অশ্বিনী। বলেন, আপনি যদি নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিভিন্ন প্রোগ্রামগুলো দেখেন, তাহলে বুঝতে পারবেন সেগুলো কীভাবে ডিজিটালি হয়। এর সব চেয়ে বড় উদাহরণ ইউপিআই। এর পরেই আসতে চলেছে আমাদের হেল্থ মিশন।

     

  • Sri Lanka Crisis: শ্রীলঙ্কায় সেনা পাঠানোর খবর অস্বীকার ভারতের

    Sri Lanka Crisis: শ্রীলঙ্কায় সেনা পাঠানোর খবর অস্বীকার ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কায় (Sri Lanka) ভারত সেনা পাঠাচ্ছে না। বুধবার সাফ জানিয়ে দিল কলম্বোস্থিত ভারতীয় হাইকমিশন (India in Sri Lanka)। সংবাদ মাধ্যমের একাংশ এবং বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে শ্রীলঙ্কায় ভারত সেনা পাঠাচ্ছে বলে খবর ছড়ায়। সেই খবর যে ভুয়ো, তা জানিয়ে দেওয়া হল ভারতীয় হাইকমিশনারের (Indian High Commissioner) তরফে। 

    গত কয়েক মাস ধরে আর্থিক সঙ্কটে (economic crisis) ভুগছে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। দেশে বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ার বাড়ন্ত। বিদেশি মুদ্রার অভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছে নিউজপ্রিন্ট। যার জেরে সংবাদপত্র ছাপানো বন্ধ। শ্রীলঙ্কার মানুষের ভরসা আপাতত বিভিন্ন বৈদ্যুতিন মাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়া। কাগজের অভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা। দেশজুড়ে দেখা গিয়েছে জ্বালানির সঙ্কট। কয়লার অভাবে ফি দিন ১৩ ঘণ্টা করে লোডশেডিং করা হচ্ছে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বল্গাহীন। সরকারের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটছে প্রায়ই। দলে দলে লোকজন দ্বীপরাষ্ট্র ছেড়ে আশ্রয় নিচ্ছেন পড়শি দেশগুলিতে।

    [tw]


    [/tw]

    শ্রীলঙ্কাবাসীর দাবি, প্রাক্তন ‘চিনপন্থী’ প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষের (Mahinda Rajapaksa) ভুল সিদ্ধান্তের কারণে দেউলিয়া হয়েছে দেশ। তাই দিনকয়েক ধরে তাঁর পদত্যাগ দাবি করছিল বিরোধী দলগুলি। বিরোধীদের ক্রমাগত চাপের মুখে শেষমেশ নতিস্বীকার করেন মাহিন্দা। ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন প্রেসিডেন্ট গোতারায়া রাজাপক্ষের  (Gotabaya Rajapaksa) কাছে। তার পরেও দ্বীপরাষ্ট্রে নেভেনি অশান্তির আগুন। সরকার ও সরকার বিরোধীদের সংঘর্ষে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন পাঁচজন। পরিস্থিতির মোকাবিলায় দেখা মাত্র গুলির (Shoot at Sight) নির্দেশ সেনাকে (Sri Lanka Army) দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে। তার পরেও অশান্তির আঁচ নিভছে কই?

    আরও পড়ুন : শ্রীলঙ্কার এমপিরা ভারতে? নৌঘাঁটিতে আশ্রয় নিয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী?

    এহেন আবহে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর ছড়ায়, শ্রীলঙ্কায় সেনা পাঠাচ্ছে ভারত। ভারতীয় হাইকমিশনারের তরফে অবশ্য এ খবরের সত্যতা স্বীকার করা হয়নি। কমিশনারের তরফে করা এক টুইটে জানানো হয়েছে, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও সোশ্যাল মাধ্যমে শ্রীলঙ্কায় সেনা পাঠানোর যে খবর ছড়ানো হচ্ছে, তা ঠিক নয়। ভারত সরকার এখনও পর্যন্ত এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে সেনা না পাঠালেও পড়শি দেশের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত। বেশ কয়েক দফায় দ্বীপরাষ্ট্রে পাঠানো হয়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সামগ্রী। পাশাপাশি, বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে বলেছেন, “গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শ্রীলঙ্কার জনগণের সর্বোত্তম স্বার্থরক্ষাকেই সর্বদা মর্যাদা দেবে ভারত”।

       

  • China Taiwan Conflict: তাইওয়ানে পা রাখলেন ন্যান্সি, সমরসজ্জা শুরু চিন আমেরিকার?

    China Taiwan Conflict: তাইওয়ানে পা রাখলেন ন্যান্সি, সমরসজ্জা শুরু চিন আমেরিকার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুড়িটিওর বেশি যুদ্ধ বিমান (Fighter Jet) উড়ে গেল তাইওয়ান (Taiwan) এয়ার ডিফেন্স জোনের দিকে। মঙ্গলবার রাতে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির (Nancy Pelosi) নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দলের সদস্যরা পা রাখেন তাইওয়ানে। তার পরেই শুরু হয়ে গিয়েছে যুদ্ধ-সাজ।  

    ন্যান্সির সফরসূচিতে তাইওয়ানের নাম ছিল না। তবে তিনি যে তাইওয়ান যেতে পারেন, তা একপ্রকার নিশ্চিতই ছিল। তা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনে কথা হয় চিনা প্রেসিডেন্টের। তখনই জিন পিং তাঁকে এই বলে সতর্ক করে দেন যে, যাঁরা আগুন নিয়ে খেলবেন, তাঁরা ধ্বংস হয়ে যাবেন। চুপ করে থাকেননি বাইডেনও। তিনিও জানিয়ে দেন, তাইওয়ান নিয়ে আমেরিকার নীতিতে কোনও পরিবর্তন হয়নি।

    আরও পড়ুন : চিনা হুমকি, তাইওয়ানে মহড়া শুরু যুদ্ধের

    এহেন আবহে তাওয়ানে পা রাখেন ন্যান্সি। তার পরেই উড়ে যায় চিনা যুদ্ধ বিমান।তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ট্যুইটবার্তায় জানিয়েওছেন সে কথা। পশ্চিমী কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমের দাবি, তাইওয়ানের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট সামরিক অভিযান শুরু করতে চলেছে শি জিনপিংয়ের সরকার।

    এদিকে একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে তাইপেই বিমানবন্দরে পেলোসি ও তাঁর সঙ্গীদের স্বাগত জানাচ্ছেন তাই-সরকারের প্রতিনিধিরা। তাইওয়ানে পা রাখার পর একগুচ্ছ ট্যুইট করেন পেলোসি। লেখেন, তাইওয়ানের মজবুত গণতন্ত্রের প্রতি সম্মান ও সমর্থন জানাতে আমেরিকা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই আমাদের প্রতিনিধি দলের এই সফর। মুক্ত ও উদার ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল গঠনের লক্ষ্যে তাইওয়ানের প্রতি সমর্থন জানাতেই তাদের নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করব আমরা। এদিকে, পেলোসির সফরের আগে তাইওয়ানের জলসীমা অভিমুখে রওনা দেয় চার মার্কিন রণতরী।এর মধ্যে রয়েছে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস রোনাল্ড রেগনও।

    তাইওয়ান-চিনের বিবাদ বহু পুরানো। চিন তাইওয়ানকে তার প্রদেশ বলে মনে করে। আর তাইওয়ান নিজেকে স্বাধীন একটি দেশ বলে মনে করে। চিনের মূল ভূখণ্ডে চিনা কমিউনিস্ট পার্টি ও কুওমিনতাঙের মধ্যে শুরু হয় যুদ্ধ। ১৯৪০ সালে মাও সে তুংয়ের নেতৃত্ব কমিউনিস্টরা কুওমিনতাংকে পরাস্ত করে। এর পরেই কুওমিনতাঙের অনুগামীরা চলে আসেন তাইওয়ানে। ওই বছরই চিনের নামকরণ করা হয় পিপলস রিপাবলিক অফ চায়না। আর তাইওয়ানের নাম হয় রিপাবলিক অফ চায়না। এর পর তাইওয়ানের নিজস্ব সরকার গঠিত হয়। তৈরি হয় সংবিধানও। বিশ্বের মাত্র ১৩টি দেশ তাইওয়ানকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকার করে।  

    তাইওয়ানের শাসক দল ডেমক্রেটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টির সাংসদ ওয়াং টিংউ বলেন, কে তাইওয়ান আসবে আর আমেরিকা কীভাবে তাইওয়ানের সঙ্গে আচরণ করবে, তা বেজিং ঠিক করতে পারে না।    

    আরও পড়ুন : ভারতে আছড়ে পড়তে চলেছে চিনা রকেটের ধ্বংসাবশেষ! দাবি মার্কিন সংস্থার

  • WTO: চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য ভারতকে চাপ দেওয়া যাবে না: পীযুষ গোয়েল

    WTO: চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য ভারতকে চাপ দেওয়া যাবে না: পীযুষ গোয়েল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার বৈঠকে কোনো বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য ভারতকে চাপ দেওয়া যাবে না, বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল (Piyush Goyal )।  রবিবার জেনেভায় (Geneva ) বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (WTO) মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক শুরুর আগে গোয়েল বলেন, “ভারত সবসময় দেশের কৃষক, শ্রমিক এবং দরিদ্র মানুষের পক্ষে থাকবে। সকলের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে।” এই বৈঠকে কোনও চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য ভারতকে চাপ দেওয়া যাবে না পৃথিবীতে এমন কোনো শক্তি নেই যে ভারতকে কোনও বিষয়ে বাধ্য করতে পারে, বলে জানান তিনি। কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রীর কথায়, “আমরা দেশের জনগণের পক্ষে দাঁড়াব, আমাদের কৃষকদের জন্য, তরুণদের জন্য, খাদ্য নিরাপত্তার জন্য যা ভাল,তাই করা হবে।” তবে সারা বিশ্বের মানুষের ভালোর কথাও ভাবে ভারত। তাই সবসময় সকলের সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রস্তুত থাকে দিল্লি।

    বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ এখন বড় মাথা ব্যথা। সারা পৃথিবী করোনা মহামারী, খাদ্য ঘাটতি, জলবায়ু পরিবর্তন এবং আঞ্চলিক সংঘাতের মতো একাধিক সংকটের মুখোমুখি। সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। ভারত বিশ্ববাসীর পাশে রয়েছে। কিন্তু দেশের স্বার্থ সবার আগে বলে জানান শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী। 

    প্রায় ৫ বছর পর আবারও বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (WTO)’র মন্ত্রী পর্যায়ের ১২তম বৈঠক শুরু হয়েছে। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বৈঠকটির উদ্বোধন করেন ডব্লিউটিও-র মহাসচিব এনগোজি আইওয়ালা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষিতে এই আলোচনা বিশেষ গুরুত্ব বহন করে বলে জানান তিনি। এনগোজি বলেন, “রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বে যে দুর্ভিক্ষের অবস্থা তৈরি হয়েছে, তা থেকে বাঁচতে সবার এক হওয়া দরকার। মানুষকে বাঁচাতে হলে,  ছোট বড় সব দেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে।” বিশ্বে সংঘাত এড়াতে উন্নত দেশগুলোকে একগুঁয়েমি ত্যাগ করার আহ্বান জানান তিনি। 

    যুদ্ধ,মহামারী আর বাণিজ্যিক কৌশল নির্ধারণে সদস্য-দেশগুলোর মতপার্থক্য-এই তিন কারণে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্যের ৯০ শতাংশের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডব্লিউটিওর সম্মেলনে বিষাদের ছায়া। প্রায় প্রতিবারই নিষ্ফল আলোচনার মধ্য দিয়ে শেষ হয় এই বৈঠক। চার দিনের সম্মেলনের বাণিজ্য বিষয়ে বিভিন্ন আলোচনায় অংশ নেবে ১৬৪ দেশের প্রতিনিধিরা। 

LinkedIn
Share