Category: বিজ্ঞান

Get updated Science and Research related news from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Chandrayaan 3: ফুরিয়ে আসছে আয়ু, হাতের কাজ শেষ করতে ব্যস্ত প্রজ্ঞান

    Chandrayaan 3: ফুরিয়ে আসছে আয়ু, হাতের কাজ শেষ করতে ব্যস্ত প্রজ্ঞান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফুরিয়ে আসছে আয়ু। তাই শেষ করতে হবে হাতের কাজ। ইতিমধ্যেই চাঁদে ছ’ দিন কাটিয়ে ফেলেছে চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3)। ‘শিবশক্তি পয়েন্টে’ ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছে ল্যান্ডার বিক্রম। ছ’ চাকায় ভর করে চন্দ্রালোকে তথ্য খুঁজে বেড়াচ্ছে রোভার প্রজ্ঞান। সংগৃহীত তথ্য প্রজ্ঞান পাঠাচ্ছে বিক্রমকে। বিক্রম সেই তথ্য পাঠিয়ে দিচ্ছে চন্দ্রযান ২-র আঁতুড় ঘর ইসরোয়।

    চন্দ্রযান ৩

    ২৩ অগাস্ট সন্ধ্যা ৬টি ৪ মিনিটে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফট ল্যান্ডিং করে চন্দ্রযান ৩। যে এলাকায় পা রেখেছে ভারত, সেই অঞ্চলে বিশ্বের আর কোনও দেশ এখনও পৌঁছতেও পারেনি। তাই চাঁদ নিয়ে যাঁরা গবেষণা করবেন, তাঁদের কাছে চাঁদের এই অঞ্চলের রহস্যের দুয়ার খুলে দেবে প্রজ্ঞান। সেকেন্ডে এক সেন্টিমিটার গতি প্রজ্ঞানের। তাতেই বাজিমাত করে চলেছে সে। জানা গিয়েছে, চন্দ্রপৃষ্ঠের খনিজ পরীক্ষা করছে প্রজ্ঞান। চন্দ্রভূমে ম্যাগনেসিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম, সিলিকন, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং টাইটানিয়াম রয়েছে। চাঁদের যে অংশে পা রেখেছে বিক্রম, তার চারপাশের শিলাগুলিও পরীক্ষা করে চলেছে প্রজ্ঞান।

    চন্দ্রযান ৩-র আয়ু

    পৃথিবীর হিসেবে চাঁদে (Chandrayaan 3) ১৪ দিন দিন থাকে। বাকি ১৪ দিন থাকে রাত। বর্তমানে চাঁদে চলছে দিন। সূর্য অস্ত যেতে বাকি আর মাত্র আট দিন। তার মধ্যেই কাজ শেষ করে ফেলতে হবে প্রজ্ঞানকে। কারণ চন্দ্রযান ৩ কাজ করছে সোলার প্যানেলের সাহায্যে। সূর্য যতক্ষণ কিরণ দেবে, ততক্ষণই কাজ করবে এই প্যানেল। সূর্য অস্ত গেলে ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে পড়বে চন্দ্রযান ৩। যেহেতু আট দিন পরে সূর্য অস্ত যাবে চাঁদে, তাই চন্দ্রযান ৩-র আয়ুও ওই ক’ দিন। তার পর কী ফের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে চন্দ্রযান ৩-র?

    আরও পড়ুুন: অরুণাচল প্রদেশ, আকসাই চিন বেজিংয়ের! চিনা আগ্রাসনে রুষ্ট ভারত

    বিজ্ঞানী দেবীপ্রসাদ দুয়ারি বলেন, “ইসরো বিষয়টিকে একেবারে নাকচ করে দেয়নি ঠিকই। তবে বিক্রম এবং প্রজ্ঞানের চলাফেরার ক্ষমতা নির্ভর করছে অনেকগুলি ‘যদি’ এবং ‘তবে’র ওপর। ১৪ দিনের সকাল শেষে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামবে ১৪ দিনের অতিশীতল রাত। এই ১৪ দিন সূর্যরশ্মির (Chandrayaan 3) একটি কণাও পৌঁছবে না চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে। সেই সময় তাপমাত্রা নেমে যেতে পারে মাইনাস ৩০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত। তাতে চন্দ্রযান ৩-র যন্ত্রপাতি বিকল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: চাঁদে কি মানুষ বাস করতে পারবে? কী জানাল বিক্রম?

    Chandrayaan 3: চাঁদে কি মানুষ বাস করতে পারবে? কী জানাল বিক্রম?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা রেখেছে চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3)। ল্যান্ডার বিক্রমের পেট থেকে বেরিয়ে এসেছে প্রজ্ঞানও। গুটি গুটি পায়ে শুরু করে দিয়েছে চাঁদের মাটি পরীক্ষার কাজও। বিক্রমের পেটে করে পাঠানো হয়েছে আরও একটি যন্ত্র। নাম চ্যাস্ট। চন্দ্রপৃষ্ঠের ওপরে এবং নীচে ১০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত তাপমাত্রা পরিমাপ করতে পারবে এই যন্ত্র। আজ, রবিবার চন্দ্রযান ৩ ইসরোতে কী তথ্য পাঠিয়েছে, তা শেয়ার করেছেন ইসরো কর্তৃপক্ষ। এই প্রথম চাঁদের দক্ষিণ মেরুর তাপমাত্রা মাপতে পারল বিশ্বের কোনও দেশ। প্রসঙ্গত, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে প্রথম পা রেখেছে ভারতের চন্দ্রযান ৩।

    চন্দ্রপৃষ্ঠের ওপরের অংশের তাপমাত্রা

    এদিন ইসরোর তরফে এক ট্যুইট-বার্তায় বলা হয়েছে, চ্যাস্ট চন্দ্রপৃষ্ঠের ওপরের অংশের তাপমাত্রা পরীক্ষা করেছে। যাতে চন্দ্রপৃষ্ঠের (Chandrayaan 3) তাপীয় আচরণ জানা যায়। এই ডিভাইসটি ১০ সেন্টিমিটারের মধ্যে তাপকে স্পর্শ না করে, চন্দ্রপৃষ্ঠের ওপর না পড়ে, পৃষ্ঠ খনন না করে তাপ মাপতে পারে। ইসরো জানিয়েছে, চন্দ্রপৃষ্ঠে কোন তাপমাত্রা চ্যাস্টে পাওয়া গিয়েছে? চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছাকাছি পৃষ্ঠের তাপমাত্রা প্রথমবারের মতো নেওয়া হয়েছে। তাই এই গ্রাফটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি গ্রাফের বাম দিকে তাকান, তখন আপনি মিলিমিটারে লেখা গভীরতা দেখতে পাবেন। মানে পৃষ্ঠের ভিতর কতটা গভীর।

    ওপরে গরম আর ভিতরে এত ঠান্ডা

    ওপরে গরম আর ভিতরে এত ঠান্ডা…পবিত্রতা শূন্যে বাম দিকে রাখা হয়েছে। অর্থাৎ সেখানে তাপমাত্রা ৫০-৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে। যা গ্রাফে বাম থেকে ডানে কমতে কমতে ক্রমহ্রাসমান। কমলা রেখার নীল বিন্দু চন্দ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা দেখায়। যেখানে পবিত্রতা শূন্য বিন্দুতে। এটি ৫০-৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।

    আরও পড়ুুন: “ভারতে আজ যাঁরা গরিব, আগামিকাল তাঁরাই হবেন মধ্যবিত্ত”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    কিন্তু ঠিক একই পৃষ্ঠের নীচে ১০ সেন্টিমিটার ভিতরে পারদ মাইনাস ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখন আপনি নিজেই চিন্তা করুন যে মাটিতে আপনি দাঁড়িয়ে রয়েছেন, সেটি মাইনাস ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো ঠান্ডা এবং ওপরের তাপমাত্রা আপনাকে ঘামতে বাধ্য করছে। ইসরোর বিজ্ঞানী বিএইচএম দারুকেশা বলেন, “আমরা বিশ্বাস করতাম (Chandrayaan 3) চাঁদের তাপমাত্রা ২০-৩০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের আশপাশে। এখন দেখছি, ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

     

     

     

  • Watermelon Cultivation: পৃথিবীর শীতলতম স্থানে তরমুজ চাষ! বাজিমাত রাশিয়ান বিজ্ঞানীদের

    Watermelon Cultivation: পৃথিবীর শীতলতম স্থানে তরমুজ চাষ! বাজিমাত রাশিয়ান বিজ্ঞানীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভরা গ্রীষ্মের দুপুরে তরমুজ এক আলাদা তৃপ্তি দেয়। আর গ্রীষ্মের শেষ হতে না হতেই বাজারে আকাল পড়ে তরমুজের। আবার এক বছর অপেক্ষার পর পাওয়া যায় তরমুজ। কিন্তু কখনও কি শুনেছেন চির ঠান্ডার দেশে বরফমোড়া স্থানে চাষ হয় তরমুজের (Watermelon Cultivation), আর তার ফলনও চোখে পড়ার মতো! হ্যাঁ, এই অসম্ভবকেই সম্ভব করেছেন একদল রাশিয়ান বিজ্ঞানী।

    শীতলতম স্থানেই তরমুজ চাষ (Watermelon Cultivation) নিয়ে গবেষণা!

    রাশিয়ার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা কেন্দ্র ভোস্টক স্টেশন। এটি পৃথিবীর শীতলতম স্থান হিসাবেই পরিচিত। এখানে রাশিয়ান বিজ্ঞানীরা বহু বছর ধরে নানা গবেষণা করে চলেছেন। এই স্থানের তাপমাত্রা সব সময় প্রায় -89.2 ডিগ্রির কাছাকাছি থাকে। অবাক করা বিষয়, আজ থেকে প্রায় ৪৩০০ বছর আগে সুদানে প্রথম বারের মতো তরমুজ নামক ফলটি জন্ম নিয়েছিল। আর সেখান থেকেই গোটা পৃথিবীতে আস্তে আস্তে তা ছড়িয়ে পড়ে। সুদানের সাক্কারায় প্রথম তরমুজের দেখা মেলে, যা কিনা আন্টার্টিকার ঠান্ডা থেকে অনেক অনেক দূরে। যেখানে কোনও ভাবেই ঠান্ডাতে তরমুজ চাষের সম্ভাবনা নেই, সেখানেই তরমুজ গাছ বেড়ে ওঠা ও তরমুজ জন্ম নেওয়াতে (Watermelon Cultivation) বিজ্ঞান মহল হতবাকও।

    কীভাবে এই অসম্ভবকে সম্ভব (Watermelon Cultivation) করেছেন বিজ্ঞানীরা? 

    প্রথমত,  এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন অ্যান্টার্কটিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রুশ গবেষকরা। তার সঙ্গে এগ্রোফিজিকাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও রাশিয়ান অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস-এর বায়োমেডিক্যাল ইনস্টিটিউটের গবেষকরা একত্রিত হয়ে এই গবেষণাকার্য চালিয়েছেন এবং বরফে তরমুজ জন্মানো (Watermelon Cultivation) সম্ভব করেছেন। ভোস্টক স্টেশনে বিজ্ঞানীরা একটি গ্রিন হাউস চেম্বার তৈরি করেছেন। এই গ্রিন হাউস চেম্বারটিকে এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে ভিতরের তাপমাত্রা সহজে কমানো এবং বাড়ানো যেতে পারে। তাছাড়া তরমুজ চাষের জন্য যা যা পরিবেশের প্রয়োজন, সমস্তটাই কৃত্রিমভাবে তৈরি করেছেন তাঁরা।

    কৃত্রিমভাবে তৈরি করেছেন সূর্যালোকও

    তরমুজ চাষের জন্য যে সূর্যালোকের প্রয়োজন, সেই সূর্যালোকও কৃত্রিম ভাবে তৈরি করেছেন এই রাশিয়ান বিজ্ঞানীরা। গ্রিন হাউস চেম্বারের ভিতর এক রকম বিশেষ আলোর ব্যবহার করা হয়েছে যা অবিকল সূর্যালোকের মতো। বিজ্ঞানীরা দুটি প্রজাতির তরমুজ এই চাষের জন্য (Watermelon Cultivation) বেছে নিয়েছিলেন, যেগুলি খুব সহজেই এবং তাড়াতাড়ি বেড়ে ওঠে। কোনও স্থানে অক্সিজেনের ঘাটতি থাকা সত্ত্বেও সেই স্থানে এই তরমুজ চাষ ও অন্যান্য উদ্ভিদ বেড়ে ওঠা সম্ভব কিনা, এই উদ্দেশ্যেই তাঁরা এই গবেষণা শুরু করেছিলেন। শুধু সূর্যালোকই নয়, বরফের দেশে চাষের জন্য কৃত্রিম মাটিরও সৃষ্টি করেছিলেন এই বিজ্ঞানীরা। এই কৃত্রিম মাটিতেই বপন করা হয়েছিল বীজ। অক্সিজেন বিহীন এই ঠান্ডার দেশে পরাগায়নের জন্য কোনও পোকার উপস্থিতি না থাকায় বিজ্ঞানীরা নিজ হাতে পরাগায়ন ঘটিয়েছিলেন। বীজ রোপনের প্রায় ১০৩ দিন পর প্রথম আটটি পাকা ও মিষ্টি তরমুজ গাছের দেখা মেলে এই স্থানে। এই গাছে যে তরমুজগুলি জন্মেছিল, সেগুলির এক একটির ওজন প্রায় দুই পাউন্ড অর্থাৎ ১ কেজি ওজনের।

    শুধু তরমুজ (Watermelon Cultivation) নয়, চাষ আরও অনেক কিছুরই 

    এই স্থানে তরমুজ চাষ (Watermelon Cultivation) ছাড়াও আরও নানা বিষয়ে গবেষণা করে চলেছেন বিজ্ঞানীরা। ২০২০ সালে, ভোস্টক স্টেশনে তুলসী, পার্সলে এবং বাঁধাকপির মতো উদ্ভিদ চাষ করেছেন। তাছাড়াও কোরিয়ান বিজ্ঞানীরা এই স্থানে চাষ করার চেষ্টা করেন। কিছু ক্ষেত্রে তাঁরাও সফলতা অর্জন করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan-3: ‘চন্দ্রযান-৩’ প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত খরচ হয়েছে কত? আগের থেকে তফাৎ কোথায়?

    Chandrayaan-3: ‘চন্দ্রযান-৩’ প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত খরচ হয়েছে কত? আগের থেকে তফাৎ কোথায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিস্থিতি সব ঠিক থাকলে চলতি মাসের ১৪ তারিখ মহাকাশের উদ্দেশে রওনা হবে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3)। এখনও পর্যন্ত ইসরোর তরফ থেকে এই দিনটিকেই চূড়ান্ত করা হয়েছে। তাই প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে ঐতিহাসিক দিনের সাক্ষী থাকতে চলেছে ভারত তথা সমগ্র বিশ্ব। চন্দ্রযান বহনকারী হেভিয়েস্ট স্পেস ক্র্যাফ্ট লঞ্চ হবে সেইদিন। এটিই ভারতের প্রথম হেভিয়েস্ট জিএসএলভি। এটি তৈরি করা হয়েছে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারে। জানা গিয়েছে, যে রকেটের মাধ্যমে এটি উৎক্ষেপণ করা হবে, ইতিমধ্যে সেটি অ্যাসেম্বল করা হয়ে গিয়েছে।

    ভারতের ইতিহাসে পূর্বের কিছু চন্দ্র অভিযান

    ২০০৮ সালে ভারতের প্রথম চন্দ্র অভিযান শুরু হয় চন্দ্রযান-১ এর মাধ্যমে। সেই বছর চাঁদের কক্ষপথে এটিকে স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছিল ইসরো। এর পর ২০১৯ সালের চন্দ্রযান ২ উৎক্ষেপণ করা হয়। কিন্তু উৎক্ষেপণের পর যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে নির্দিষ্ট কক্ষপথ থেকে সরে গিয়ে চাঁদের মাটিতে আছড়ে পড়ে সেটি। ফলে এটি অসফল থেকে যায়। আর এই অসফল প্রজেক্টকে সফল করার লক্ষ্যেই এখন পাখির চোখ চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3)।

    এবারের চন্দ্রযানে (Chandrayaan-3) কী কী নতুন জিনিস যোগ করা হয়েছে?

    চাঁদের মাটিতে দক্ষিণ প্রান্তে সফলভাবে ল্যান্ড করানোর উদ্দেশ্যে চন্দ্রযান-৩ তে (Chandrayaan-3) থাকবে একটি ল্যান্ডার ও রোভার এবং একটি প্রোপালশান মডিউল। লঞ্চ ভেহিকেল মার্ক ৩-এর সঙ্গে ইতিমধ্যে জুড়ে দেওয়া হয়েছে চন্দ্রযান-৩ কে। এই চন্দ্রযানটির মোট ওজন চার হাজার কিলোগ্রামের কাছাকাছি। এর মধ্যে বিশেষভাবে প্রোপালশান মডিউলটিকে গবেষণার শীর্ষে রাখা হয়েছিল। কারণ চাঁদের কক্ষপথে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ল্যান্ডার ও রোভারটিকে পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্য একমাত্র এই প্রোপালশান মডিউলের। এটির ওজন ২ হাজার ১৪৮ কিলোগ্রাম। রোভারটিকে সফলভাবে চাঁদের মাটিতে নামানোর কাজ করবে ল্যান্ডারটি। একটি ফর্মারের ভিতরে যুক্ত রয়েছে এই রোভারটি, যার ওজন ১ হাজার ৭৫২ কিলোগ্রাম।

    পূর্বের চন্দ্রযান ২ এর রোভারের সাথে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3) এর রোভারের কী পার্থক্য রয়েছে?

    চন্দ্রযান-২ এর রোভারের সাথে বিশেষ কিছু পার্থক্য না থাকলেও এর কিছু চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। কোনও রকম যান্ত্রিক গোলযোগ এবং সমস্যার যাতে সম্মুখীন না হয়, সেই দিকে লক্ষ্য রেখে আগের থেকে রোভারটির কিছু যান্ত্রিক পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে। প্রোপালশান মডিউলটির ৭৫৮ ওয়াট, ল্যান্ডার মডিউলটির ৭৩৮ ওয়াট এবং রোভারটির ৫০ ওয়াট শক্তি উৎপাদন করার মতো ক্ষমতা রয়েছে এবার (Chandrayaan-3)।

    কী উদ্দেশ্য এই চন্দ্রযান-৩ এর (Chandrayaan-3)?

    ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরোর তরফ থেকে জানা গেছে, চাঁদের মাটিতে বিনা সমস্যায় নির্বিঘ্নে এই চন্দ্রযানটিকে অবতরণ করিয়ে চাঁদ নিয়ে গবেষণার এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে চলেছে। যেটি হতে চলেছে একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। বিভিন্ন উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে চাঁদের অজানা তথ্যকে সংগ্রহ করে পৃথিবীতে পাঠাবে এই চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3)।

    সমগ্র প্রকল্পটিতে কত খরচ হয়েছে এখনও পর্যন্ত?

    ইসরোর তরফ থেকে ২০১৯ এর তথ্য অনুযায়ী এই সমগ্র প্রকল্পটির (Chandrayaan-3) জন্য যে অর্থায়নের অনুরোধ করা হয়েছিল, সেখানে উল্লেখ ছিল ৭৫ কোটি টাকা। যার মধ্যে যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামের জন্য বরাদ্দ ছিল ৬০ কোটি টাকা বা ৮.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর বাকি ১৫ কোটি রাজস্ব বহন বাবদ ধার্য করা হয়েছিল। ইসরোর সভাপতি কে সিভান জানিয়েছিলেন, এই সমগ্র অভিযানে খরচ হবে প্রায় ৬১৫ কোটি টাকা, যা মার্কিন ৮৬ মিলিয়ন ডলার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ISRO NVS-01: ইসরোর মুকুটে নয়া পালক! মহাকাশে প্রতিস্থাপিত এনএভিএস-০১ উপগ্রহ, কেন তাৎপর্যপূর্ণ?

    ISRO NVS-01: ইসরোর মুকুটে নয়া পালক! মহাকাশে প্রতিস্থাপিত এনএভিএস-০১ উপগ্রহ, কেন তাৎপর্যপূর্ণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর মুকুটে জুড়ল নতুন পালক। সোমবার মহাকাশে সফলভাবে প্রতিস্থাপিত হল দেশীয় অত্যাধুনিক নতুন প্রজন্মের নেভিগেশন স্যাটেলাইট এনএভিএস-০১ (ISRO NVS-01)। নাবিক শ্রেণির এই উপগ্রহের ফলে দেশে যোগাযোগ ও ম্যাপিং ব্যবস্থার প্রভূত উন্নতি হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর ফলে, ভীষণভাবে উপকৃত হবে দেশের সামরিক বাহিনী বলেও ধারণা বিশেষজ্ঞ মহলের।

    জিওসিনক্রোনাস কক্ষপথে স্থাপিত

    এদিন ১০টা ৪২ মিনিট নাগাদ অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটায় অবস্থিত সতীশ ধবন স্পেস সেন্টারের দ্বিতীয় লঞ্চ প্যাড থেকে ২ হাজার ৪২০ টন ওজনের বিশাল জিএসএলভি এফ-১২ রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি দেয় নতুন প্রজন্মের ২৩২ কেজির উপগ্রহটি। ১৯ মিনিট পর ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার উচ্চতায় লোয়ার আর্থ অরবিট বা নিম্ন কক্ষপথে উপগ্রহটিকে পৌঁছে দেয় রকেটটি। এর পর সেখান থেকে নিজে যাত্রা করে ৩৬ হাজার ৫৬৮ কিলোমিটার উচ্চতায় পৃথিবীর জিওসিনক্রোনাস কক্ষপথে স্থাপিত হয় এনভিএস-১ (ISRO NVS-01)। উপবৃত্তাকার কক্ষপথে পৃথিবীর চারদিকে ঘুরবে এই স্যাটেলাইট। 

    কতটা উন্নত হবে নেভিগেশন ব্যবস্থা?

    ইসরোর এই পদক্ষেপ দেশীয় নেভিগেশন ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করবে। এটি আদতে ভারতের নিজস্ব নেভিগেশন ব্যবস্থা (ISRO NVS-01)। এতদিন সকলে যেমন মার্কিন গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম বা জিপিএস ব্যবহার করে এসেছেন, এবার তার পরিবর্তে ভারতে তৈরি ভারতের নিজস্ব নেভিগেশন ব্যবস্থায় বজায় থাকবে যোগাযোগ ব্যবস্থা। জানা গিয়েছে, এটি সাতটি উপগ্রহের একটি নক্ষত্রপুঞ্জের অংশ, যা সশস্ত্র বাহিনী-সহ অসামরিক যানকে নেভিগেশন পরিষেবা প্রদান করবে। 

    এর আগে ভারতীয় আঞ্চলিক ন্যাভিগেশন সিস্টেম (IRNSS)-এর অধীনে সাতটি NavIC উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। সেগুলি ছিল আইআরএনএস-১এ, আইআরএনএস-১বি, আইআরএনএস-১সি, আইআরএনএস-১ডি, আইআরএনএস-১ই, আইআরএনএস-১এফ ও আইআরএনএস-১জি স্যাটেলাইট। এদিন ইসরো প্রধান এস সোমনাথ জানান, পুরনো সাতটির মধ্যে তিনটে অকেজো হয়ে গিয়েছে। যে কারণে, এবার নতুন পাঁচটি পরবর্তী প্রজন্মের নাবিক স্যাটেলাইট তৈরি করা হয়। 

    আরও পড়ুন: ইতিহাসে প্রথম! নয়া সংসদ ভবনের দেওয়ালে অখণ্ড ভারতের ভাস্কর্য

    উপগ্রহে রয়েছে পারমাণবিক ঘড়ি

    ইসরোর দাবি, নতুন প্রজন্মের এই উপগ্রহের কাজ হল মোবাইলে অবস্থান ভিত্তিক পরিষেবা করা। স্যাটেলাইটের জন্য কক্ষপথ নির্ধারণ করা। বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, পাওয়ার গ্রিড এবং অন্যান্য সরকারি সংস্থাগুলির জন্য সময় পরিষেবা করা। রিয়েল টাইম পজিশনিং বা ঠিক সেই মুহূর্তের অবস্থান বলতে সক্ষম এনভিএস-১ (ISRO NVS-01)। এটি সম্ভব হয়েছে কারণ, এই উপগ্রহে ব্যবহার করা হয়েছে রুবিডিয়াম পারমাণবিক ঘড়ি। বিশ্বের হাতে গোনা দেশ রয়েছে, যারা এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকে। 

    কতটা লাভবান হবে সেনা?

    প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, এই উপগ্রহের ফলে সামরিক বাহিনী ভীষণভাবে উপকৃত হবে। তাঁরা জানান, এবার জঙ্গিদের সঠিক পজিশন জানতে কষ্ট করতে হবে না বাহিনীকে। জঙ্গিদের সেই মুহূর্তের সঠিক অবস্থান একেবারে হাতের মুঠোয় থাকবে। ফলে, যে কোনও অভিযানে এটি দারুন কার্যকর হবে। প্রসঙ্গত, কার্গিল যুদ্ধের সময়, পাক অনুপ্রবেশকারীদের তথ্য জানতে জিপিএস পজিশনিং ব্যবহারের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সাহায্য চেয়েছিল ভারত। ওয়াশিংটন তা দিতে অস্বীকার করেছিল। তখন থেকেই নিজস্ব নেভিগেশন ব্যবস্থা তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

  • Weather update: ধীরে ধীরে “হিট এজ”-এর দিকে এগোচ্ছে পৃথিবী! কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    Weather update: ধীরে ধীরে “হিট এজ”-এর দিকে এগোচ্ছে পৃথিবী! কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোটা এপ্রিল জুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহে (Weather update) জ্বলছে বাংলা। বিগত কয়েক বছরের মধ্যে এবছর গরমের প্রকৃতি একটু আলাদাই। গরমের দাপটে নাজেহাল মানুষ এবং পশুপাখিরাও। এপ্রিল মাসেই যে তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছাড়াবে, তা কেউ ধারণাও করতে পারেননি।

    হাত-পা-শরীর শুকিয়ে যাচ্ছে, ফাটছে ঠোঁট! 

    অন্যান্যবার গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি উঠলেও সেটা এবার এপ্রিলের শুরুতেই হওয়ায় মানুষ একে অস্বাভাবিক বলেই মনে করছেন। শুধু তাই নয়, এই গরমেও মানুষের হাত-পা-শরীর শুকিয়ে যাচ্ছে, এমনকি ঠোঁটও ফাটছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই এই গরম (Weather update) নিয়ে সবার কপালে চিন্তার ভাঁজ। এমনকী অনেক জায়গায় গরমের জন্য মিনি টর্নেডোও দেখা গেছে। গত ১৬ এপ্রিল হলদিয়াতে এমনই একটি টর্নেডো দেখা যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, কোনও স্থানে প্রবল উত্তাপের কারণে উষ্ণ বাতাস হালকা হয়ে উপরের দিকে উঠে যায়। তখন ওই শূন্য জায়গা পূরণের জন্য চারদিকের শীতল বাতাস দ্রুত বেগে সেই এলাকায় ধাবিত হয়। তখনই টর্নেডো বা ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয়।

     এবছর এত গরমের কারণ কী? কী বলছে গবেষণা?
     
    গবেষক ও বিশেষজ্ঞদের মতে, এর কারণ একটাই “গ্লোবাল ওয়ার্মিং”। তাঁরা জানিয়েছেন, গত ১৫০ বছরে পৃথিবীর তাপমাত্রা (Weather update) গড়ে ০.৮৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড বেড়েছে, যা অস্বাভাবিক। ধীরে ধীরে “হিট এজ”-এর দিকে এগোচ্ছে পৃথিবী। যেমন ছিল “আইস এজ”। ২.৪ বিলিয়ন বছর আগে শুরু হয়েছিল এবং যা ১৫০০ বছর স্থায়ী ছিল। পৃথিবীর মহাদেশগুলির পারস্পরিক অবস্থান, সূর্যের তুলনায় পৃথিবীর কক্ষপথ ও পৃথিবীর অক্ষরেখার দিক পরিবর্তন ইত্যাদি বিভিন্ন জিনিস এই আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য দায়ী। গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের কারণেই ধীরে ধীরে সেই উষ্ণ যুগের দিকে এগোচ্ছে পৃথিবী, বাড়ছে দূষণ। ওজোন স্তরের ছিদ্র বাড়ছে। ফলে অতিবেগুনি রশ্মি সরাসরি পৃথিবীতে এসে পড়ছে। বাড়ছে সমু্দ্রের জলস্তর। উপকূলবর্তী এলাকাগুলি সমুদ্রের নিচে তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও তৈরি হচ্ছে।

    শুধুই কি প্রাকৃতিক কারণ? না মানুষও দায়ী?

    না, শুধু প্রাকৃতিক কারণ নয়। মানুষের সৃষ্ট কারণের ফলেও এই গরম (Weather update) বাড়ছে, এমনটাই বেরিয়ে এসেছে বিভিন্ন গবেষণায়। শহরজুড়ে বড় বড় কংক্রিটের বিল্ডিং, অরণ্য ছেদন, বহুল পরিমাণে এসি-র ব্যবহার, আর বাড়ছে গরম হাওয়া যা “হিট আইল্যান্ড”-এর সৃষ্টি করছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “অ্যানথ্রোপোজেনিক হাইড্রোকার্বনের পরিমাণ শহরাঞ্চলে অনেক বেশি। কারখানা ও গাড়ি থেকে নির্গত দূষণের ফলে এই অ্যানথ্রোপোজেনিক হাইড্রোকার্বন নিঃসৃত হয়। শহরের ‘হিট আইল্যান্ড’-এ জলীয় বাষ্পের সঙ্গে অ্যানথ্রোপোজেনিক হাইড্রোকার্বনের সংযোগের ফলে বৃষ্টি হলেও মফস্বলে তাও হচ্ছে না। তাই কমেছে বৃষ্টি। বাড়ছে অস্বস্তি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mario Molina: গুগল ডুডলে আজ ম্যারিও মোলিনা! জানেন কে ছিলেন তিনি?

    Mario Molina: গুগল ডুডলে আজ ম্যারিও মোলিনা! জানেন কে ছিলেন তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন্মদিনে গুগল আজ স্মরণ করছে ম্যালিও মোলিনাকে (Mario Molina)। তাদের ডুডলে রয়েছে এই রসায়নবিদের ছবি। ১৯৯৫ সালে নোবেলজয়ী এই রসায়নবিদ ওজনস্তরের ওপর গবেষণা করেছেন যা বিশ্বজুড়ে সমাদৃত হয়েছে বিজ্ঞান মহলে। তাঁর গবেষণায় উঠে এসেছে কীভাবে বিভিন্ন কেমিক্যাল ওজনস্তরকে ক্ষয় করে চলেছে। প্রস্ঙগত, ওজনস্তর সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মিকে শোষণ করে নেয়। এই রশ্মি মানুষ এবং পৃথিবীর জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক।

    সংক্ষিপ্ত জীবনী

    ম্যারিও মোলিনা (Mario Molina) জন্মগ্রহণ করেন ১৯ মার্চ ১৯৪৩ সালে মেক্সিকো শহরে। ছোট থেকেই বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর আগ্রহ ছিল খুব বেশি। তাঁর নিজের স্নানাগারকেই তিনি একটি বিজ্ঞানের পরীক্ষাগারে পরিণত করেছিলেন। ম্যালিও মোরিনার (Mario Molina) নিজের ভাষায়, হাইস্কুলে ভর্তি হওয়ার আগেই বিজ্ঞানের প্রতি আমার আগ্রহ তৈরি হয়, মাইক্রোস্কোপের মাধ্যমে প্যারামেসিয়া এবং অ্যামিবাকে যখন আমি প্রথম দেখেছিলাম তখনকার উত্তেজনার কথা এখনও মনে আছে।

    আরও পড়ুন: ইডির হাতে আটক বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনুর ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার, উদ্ধার হার্ডডিস্ক

    মেক্সিকোর National Autonomous University থেকে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি পান। পরবর্তীকালে জার্মানিতেও যান গবেষণা করতে। এরপর দেশে ফিরে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং Massachusetts Institute of Technology তে রিসার্চের কাজে যোগ দেন। ১৯৭০ সাল নাগাদ তিনি গবেষণা করেন কীভাবে পৃথিবী নির্গত বিভিন্ন কেমিক্যালের প্রভাবে ওজন স্তরের ক্ষতি হচ্ছে। তিনিই ছিলেন প্রথম ব্যক্তি যিনি বলেছিলেন ক্লোরোফ্লুরো কার্বন ওজন স্তরকে ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে তুলছে। তাঁর এই গবেষণা নেচার পত্রিকায় প্রকাশিত হলে ১৯৯৫ সালে তাঁকে এবং তাঁর দলকে যৌথভাবে নোবেল সম্মানে ভূষিত করা হয়। ২০১৩ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ম্যারিও মোলিনাকে আমেরিকার সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানে ভূষিত করেন। ২০২০ সালের ৭ অক্টোবর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই খ্যাতনামা বিজ্ঞানী।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Meteorite: গুজরাটে পাওয়া গেল উল্কাপিণ্ড, এর আগে এমন ঘটনা ভারতে ঘটেছিল ১৮৫২ সালে

    Meteorite: গুজরাটে পাওয়া গেল উল্কাপিণ্ড, এর আগে এমন ঘটনা ভারতে ঘটেছিল ১৮৫২ সালে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছরের ১৭ অগাস্টের ঘটনা।  গুজরাটে রাভেল নামের ছোট্ট গ্রামে একজন মহিলা তাঁর বারান্দা পরিষ্কার করছিলেন, তখন হঠাৎই  একটি পাথরের টুকরো তাঁর পাশে ভেঙে পড়ে। পাশের গ্রাম রান্টিলার বাসিন্দারা সেদিন দেখলেন, একই রকম পাথরের টুকরো একটি নিম গাছের ডালের ওপর পড়ল। পাথর খণ্ডের (Meteorite) বেশ কিছু টুকরো রান্টিলা গ্রামের চাষের ক্ষেতেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে পাওয়া যায়, গ্রামবাসীরা সেগুলো কুড়োতেও যায়। 
    ঘটনায় চারিদিকে হইচই শুরু হলে, ছুটে আসে ফিজিক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরি (পিআরএল)। 

    আরও পড়ুন: শনিকে টপকে সবথেকে বেশি উপগ্রহের মালিক এখন বৃহস্পতি

    পাথর (Meteorite)  দুটি পর্যবেক্ষণ করে কী বললেন গবেষকরা

    পাথর(Meteorite)  খণ্ডগুলি গবেষকরা সংগ্রহ করেন। বৃহত্তম টুকরোটির ওজন ছিল প্রায় ২০০গ্রাম এবং আকারে ১২ সেমি × ৬ সেমি  × ৪ সেমি।

    আরও পড়ুন: সৌর অভিযানে প্রস্তুত হচ্ছে ইসরোর আদিত্য এল-১ , জানুন বিস্তারিত

    গবেষকরা পাথর দুটি পরীক্ষা করে জানতে পারলেন যে সেটি একধরনের উল্কা খণ্ড। পাথর (Meteorite)  দুটি থেকে তীব্র ঝাঁঝালো গন্ধও পাওয়া যাচ্ছিল। গবেষকরা বলেন এটি হল অউব্রিটের নমুনা, গত মাসে কারেন্ট সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত রিপোর্ট বলছে, খণ্ডগুলিতে প্রধানত এনস্টাটাইট নামের উপাদান রয়েছে, যা পাওয়া যায় বুধগ্রহের পৃষ্ঠে।

    আরও পড়ুন: মহাকাশ গবেষণায় নয়া দিশা! ৮৮০ কোটি বছর পুরনো রেডিও-সংকেত ধরলেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা

    অউব্রিট কী 

    অউব্রিট  হল একধরনের উল্কা। এগুলির নামকরণ করা হয়েছে আউব্রেস উল্কাপিণ্ডের নামে। এই ধরনের উল্কাপাত ১৮৩৬ সালে ফ্রান্সে দেখা গিয়েছিল। 

    আরও পড়ুন: চলতি বছরের ডিসেম্বরে চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দেবে চন্দ্রযান-৩

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতীয় উপমহাদেশে উল্কাপাত অতীতেও দেখা গিয়েছে। উত্তরপ্রদেশের গোরখপুরে ১৮৫২ সালে উল্কাপাত হয়েছিল। তারপর গত বছরে তা দেখা গেল গুজরাটে।

     

    আরও পড়ুন: উল্টোদিকে ঘুরতে শুরু করেছে পৃথিবীর কেন্দ্রস্থল! এর প্রভাব কী হতে পারে?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

  • Aditya L-1: সৌর অভিযানে প্রস্তুত হচ্ছে ইসরোর আদিত্য এল-১ , জানুন বিস্তারিত

    Aditya L-1: সৌর অভিযানে প্রস্তুত হচ্ছে ইসরোর আদিত্য এল-১ , জানুন বিস্তারিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার সূর্য নিয়ে গবেষণা চালাবে ইসরো। ভারতীয় এই মহাকাশ গবেষণা সংস্থা সৌর ক্ষেত্রে পাঠাচ্ছে আদিত্য এল-১ (Aditya L-1) কে। ইসরো সূত্রে জানা গেছে, আধুনিক মানের এই সৌরযান থেকে পাওয়া যাবে অজস্র খুঁটিনাটি তথ্য। রহস্য উন্মোচিত হবে সূয্যি মামার।

    নাসা এবং ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির পরে  ভারতই প্রথম যাচ্ছে সূর্যের বাড়িতে

    ইসরোর ‘সোলার মিশন’ আগ্রহ এবং আলোচনা সর্বত্র চলছে। জানা গেছে, নাসা আর ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির পর ভারতই প্রথম পাড়ি দিচ্ছে সূর্যের ঘরে।  ইসরো সূত্রে জানা গেছে, পৃথিবী থেকে ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে সূর্য ও পৃথিবীর মাঝের এক কক্ষপথ যার নাম ‘ল্যাগরাঞ্জিয়ান পয়েন্ট’ বা ‘ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্ট’ সেখানেই অবস্থান করবে স্যাটেলাইট আদিত্য এল-১ (Aditya L-1)। সূর্যের বাইরের সবচেয়ে উত্তপ্ত স্তরের বিষয়ে যাবতীয় তথ্য তুলে দেবে এই সোলার যান। এই সোলার-মিশন তাইখুব গুরুত্বপূর্ণ। 

    আদিত্য এল-১ (Aditya L-1) এর খুঁটিনাটি

    জ্বালানি-সহ প্রায় ১৫০০ কিলোগ্রাম ওজনের এই উপগ্রহ সাতটা সায়েন্স পে-লোড নিয়ে যাবে বলে ইসরো সূত্রে জানা গিয়েছে। পৃথিবী ও সূর্যের মাঝের একটি  কক্ষপথ হল এই ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্ট। পৃথিবী থেকে যার দূরত্ব ১৫ লক্ষ কিলোমিটার। এই পথটাই পাড়ি দেবে আদিত্য এল-১ (Aditya L-1)। আদিত্য এল-১ (Aditya L-1) কে তাই সে ভাবেই বানানো হচ্ছে। 

    সূর্যের স্তর ‘সোলার করোনা’ নিয়েই গবেষণা করবে আদিত্য এল-১ (Aditya L-1) । সূর্যের বহিস্তরের তাপমাত্রা প্রায় ১ কোটি কেলভিন, নিম্নস্তরের প্রায় ৬০০০ কেলভিন। সূর্যের পৃষ্ঠদেশে ও করোনার তাপমাত্রার ফারাক এবং করোনা থেকে ছিটকে আসা আগুনে রশ্মি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে কী ভাবে প্রভাব ফেলে সেটাই খুঁজে বার করবে আদিত্য এল-১ (Aditya L-1)। ইসরোর বিজ্ঞানীরা বলছেন, সূর্যের করোনার তাপমাত্রা গড়ে ১০ লক্ষ বা তার কিছু বেশি ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রা সব সময় একরকমের থাকে না। কখনও বৃদ্ধি হয় কখনও কমে। এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজবে আদিত্য এল-১ (Aditya L-1)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Chandrayaan 3: চলতি বছরের ডিসেম্বরে চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দেবে চন্দ্রযান-৩

    Chandrayaan 3: চলতি বছরের ডিসেম্বরে চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দেবে চন্দ্রযান-৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চন্দ্র অভিযানে আরও এক ধাপ এগোল ইসরো। সূত্রের খবর চলতি বছরের শেষের দিকে মহাকাশে পাড়ি দেবে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3)। তার জন্য চাঁদে সম্ভাব্য তিনটি অবতরণের ক্ষেত্রও ঠিক করে ফেলছে ইসরো। সবকিছু ঠিক থাকলে ডিসেম্বরেই সেখানেই নামবে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3)। জানা গিয়েছে, অবতরণের স্থানাঙ্কগুলি চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে অবস্থিত। এই অংশটিই এখন পৃথিবী থেকে দেখা যায়।

    আরও পড়ুন: উল্টোদিকে ঘুরতে শুরু করেছে পৃথিবীর কেন্দ্রস্থল! এর প্রভাব কী হতে পারে?

    কীভাবে ঠিক করা হয় অবতরণের স্থানাঙ্ক

    মহাকাশযান নামার আগে দেখে নেওয়া হয় সেই পৃষ্ঠটির সামগ্রিকভাবে আনতি কেমন। তারপর দেখা যায়, চাঁদের সেই অংশে গর্ত আর পাথর কেমন রয়েছে। পরের ধাপে দেখা হয়, সূর্যের আলো সেখানে কতটা যাচ্ছে।

    আরও পড়ুন: শনিকে টপকে সবথেকে বেশি উপগ্রহের মালিক এখন বৃহস্পতি

     চাঁদের দক্ষিণ মেরুকেই বেছে নেওয়া হল কেন 

    সাধারণত, চাঁদের এই অংশেই বেশি আগ্রহ থাকে বিজ্ঞানীদের, কারণ এইখানের জল ও বরফের সন্ধান মিলতে পারে বলে মনে করা হয়। বছর শেষে সেই দক্ষিণ মেরুর উদ্দেশে পাড়ি দেবে চন্দ্রযান।

    আরও পড়ুন: গভীর সমুদ্রের এই প্রাণীগুলির কথা শুনেছেন? 2022-12-07 13:06:22

     

    চন্দ্র অভিযানের ইতিহাস

    চন্দ্র মিশনের প্রথম রকেট উৎক্ষেপণ হয়েছিল ২০০৮ সালে। রকেটটি সফলভাবে উৎক্ষেপণ করতে সক্ষম হয় ইসরো। শুধু তাই নয়, চাঁদের কক্ষপথে সফলভাবে স্থাপিতও হয়েছিল চন্দ্রযান-১। এরপর ১১ বছর পরে ২০১৯ সালে পুনরায় চন্দ্রযান-২ পাঠানোর পরিকল্পনা নেয় ইসরো, যেকোনও মিশনের শেষ ১৫ মিনিট ল্যান্ডিং-এর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়। ঠিক সেই সময়েই ল্যান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ইসরোর। মহাকাশযানের ল্যান্ডারটি ভেঙে পড়ে চন্দ্রপৃষ্ঠে। যার ফলে ২০১৯ এর ৬ সেপ্টেম্বর ভেঙে পড়ে ল্যান্ডার। তবে এবারের প্রস্তুতি আরও ভালো বলেই মনে করছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share