Category: বিজ্ঞান

Get updated Science and Research related news from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Greenland: গ্রীনল্যান্ডে পাওয়া গেল ২০ লক্ষ বছর আগের ডিএনএ

    Greenland: গ্রীনল্যান্ডে পাওয়া গেল ২০ লক্ষ বছর আগের ডিএনএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০ লক্ষ বছর আগে পৃথিবী কেমন ছিল! বিজ্ঞানের অগ্রগতির যুগে এমন প্রশ্ন আর অসম্ভব নয়।  বিজ্ঞানীরা প্রায় ২০ লক্ষ বছর আগের উদ্ভিদ ও প্রাণীর ডিএনএ আবিষ্কার করতে পেরেছেন – যা এখনও পর্যন্ত  সবচেয়ে প্রাচীন বলেই  মনে করা হচ্ছে । গ্রীনল্যান্ডের (Greenland) একেবারে উত্তরে Arctic Ocean fjord-এ, এটি আবিষ্কার হয়েছে। প্রাচীন এই lost world আবিষ্কারে খুশি সারা বিশ্ব।

    আরও পড়ুন: একযোগে বিশ্বের ৮টি দেশ মিলে তৈরি করছে সবচেয়ে শক্তিশালী টেলিস্কোপ, জানুন বিস্তারিত 

    গবেষকরা কী বলছেন?

    গবেষকরা বলেন যে mastodons, reindeer, hares, lemmings, geese প্রভৃতি প্রাণীর এবং poplar, birch and thuja প্রভৃতি উদ্ভিদের ডিএনএ  সনাক্ত করা গেছে। ডিএনএ হল স্ব-প্রতিলিপিকারী উপাদান যা প্রাণীর জেনেটিক তথ্য বহন করে।  mastodons ছিল হাতির পূর্বপুরুষ।  যেটি প্রায় ১০,০০০ বছর আগে বরফ যুগে বিলুপ্ত হয়েছিল। তার আগে উত্তর ও মধ্য আমেরিকায় ঘুরে বেড়াত।

    আরও পড়ুন: জোড়া ব্যর্থতার পর অবশেষে সফল হল নাসার ‘আর্টেমিস ১’-এর উৎক্ষেপণ

    তবে এটি গ্রিনল্যান্ডে (Greenland) আগে কখনও পাওয়া যায়নি। বিজ্ঞানীদের মতে, প্রাচীন ডিএনএ অত্যন্ত পচনশীল হয়। তবে ভালো পরিবেশ পেলে এটি দীর্ঘসময় ঠিকঠাকই থাকে বিজ্ঞানীদের মত, অন্তত ৪০ লক্ষ বছর আগের ডিএনএ খুঁজে পেলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই।

    আরও পড়ুন: ব্রহ্মাণ্ডের আদি ছায়াপথগুলির তথ্য দেবে ভারতের ‘সারস’

     

    গবেষকরা Arctic Ocean-এর সঙ্গে মিশে যাওয়া Peary Land peninsula-এর পাঁচটি সাইট থেকে প্রাপ্ত এই ৪১টি জৈব নমুনা থেকে ডিএনএ সংগ্রহ করেছেন । বিজ্ঞানীরা এর মাধ্যমে ১০০টিরও বেশি ধরণের প্রাণী এবং গাছপালা সনাক্ত করেছে। 
    প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালেও খনন করা হয়েছিল, তবে সে সময় সাফল্য মেলেনি। উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে সহজেই এবার সাফল্য পাওয়া গেল বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Wave Energy: মাদ্রাজ আইআইটির নতুন আবিষ্কার সিন্ধুজা-১, সমুদ্রের ঢেউ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে

    Wave Energy: মাদ্রাজ আইআইটির নতুন আবিষ্কার সিন্ধুজা-১, সমুদ্রের ঢেউ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইআইটি মানেই নতুন ইনোভেশন। সম্প্রতি, আইআইটি মাদ্রাজের গবেষকরা এমন একটি সিস্টেমের ডেভলপমেন্ট করেছেন  যা সমুদ্রের ঢেউ-এর তরঙ্গ ( Wave Energy) থেকে শক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবে৷ সিস্টেমটির পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে সিন্ধুজা-১। গবেষকরা তামিলনাড়ুর তুতিকোরিন উপকূল থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে সিন্ধুজা-১ কে স্থাপন করেছিলেন, যেখানে সমুদ্রের গভীরতা প্রায় ২০ মিটার। সিন্ধুজা-১ ( Wave Energy)  বর্তমানে ১০০ ওয়াট শক্তি উৎপাদন করতে পারে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। আগামী তিন বছরে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে এক মেগাওয়াট শক্তি উৎপাদন। 

    কী বলছেন আইআইটি মাদ্রাজের অধ্যাপক?

    Department of Ocean Engineering, IIT Madras এর প্রফেসর সামাদ বাবু বলেন,
    “বর্তমানে আপনি যদি চেন্নাইয়ের মতো একটি শহর বা এর থেকেও যেকোনও ছোট শহর গড়ে তুলতে চান তবে প্রচলিত শক্তির উৎস ব্যবহার করা অনেক সস্তা। কিন্তু দূরবর্তী স্থানের ক্ষেত্রে, যেমন ধরুন কোনও দ্বীপ, এক্ষেত্রে সমুদ্রের উপর দিয়ে  বিদ্যুৎ পরিবহনের খরচ অনেক বেশি। ঢেউ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন ( Wave Energy)  এক্ষেত্রে কার্যকরী উপায়”।

    সিন্ধুজা-১ ( Wave Energy)  কীভাবে কাজ করছে?

    সিন্ধুজা-১ ( Wave Energy) , আসলে হল একটি ভাসমান buoy, এতে রয়েছে একটি বৈদ্যুতিক মডিউল এবং একটি spar. ঢেউগুলির গতি অনুযায়ী buoyটি উপরে এবং নীচে চলে যায়। এই buoy এর কেন্দ্রে একটি ছিদ্র রয়েছে যা spar-কে এটির মধ্য দিয়ে যেতে দেবে। ঢেউয়ে buoyটি  যাতে সরে না যায় তা নিশ্চিত করার জন্য sparটি সমুদ্রের তলায় স্থির রাখা হয়। ঢেউ-এর কারণে যখন buoyটি  নড়ে এবং sparটি  স্থির থাকে তখন উভয়ের মধ্যে আপেক্ষিক গতি তৈরি হয়। এই আপেক্ষিক গতির সাহায্যে, একটি বৈদ্যুতিক জেনারেটর  শক্তি উৎপাদন ( Wave Energy)  করে।

    তবে সিস্টেম থেকে উৎপাদিত শক্তিকে ( Wave Energy)  ব্যবহার করতে পারে এমন কোনও ডিভাইস নেই। গবেষক দলটি ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ওই অবস্থানে remote water desalination system এবং একটি নজরদারি ক্যামেরা স্থাপন করার পরিকল্পনা করেছে৷ আবহাওয়ার পরিবর্তন  বিদ্যুৎ উৎপাদনকে প্রভাবিত করে নাকি তারজন্য আরও পরীক্ষা চালানোর পরিকল্পনা করেছে৷

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • PSLV-C54: আরেক সফল অভিযান ইসরোর, পিএসএলভি-তে চেপে ৯টি উপগ্রহ গেল মহাকাশে

    PSLV-C54: আরেক সফল অভিযান ইসরোর, পিএসএলভি-তে চেপে ৯টি উপগ্রহ গেল মহাকাশে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার, শ্রীহরিকোটা থেকে সফল ভাবেই সম্পন্ন হল ইসরোর মিশন PSLV-C54, এই মিশনের দ্বারা  Earth Observation Satellite-6 (EOS-6) এর সঙ্গে আরও ৮টি স্যাটেলাইট কক্ষপথে স্থাপিত হল। ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমনাথ এদিন জানিয়েছেন, উপগ্রহগুলি সফল ভাবেই কক্ষপথে স্থাপিত হয়েছে। এটি ছিল PSLV-এর ৫৬তম মহাকাশ অভিযান। বেলা ১১:৫৬ মিনিটে, ৪৪.৪ মিটার দৈর্ঘ্যের এই রকেটটি যাত্রা করে ৩২১ টন ওজন সমেত। মোট ৯টি স্যাটেলাইটের মধ্যে ৮টি স্যাটেলাইট হল ন্যানো স্যাটেলাইট। অন্য Earth Observation Satellite-6 (EOS-6) স্যাটেলাইটটির ওজন ১,১১৭ কেজি, এটি তৈরি হয়েছে ইসরোর UR Rao Satellite Centre-এ।

    আরও পড়ুন:পশ্চিমবঙ্গ তফশিলি জাতি ও তফশিলি উপজাতি সংশোধন বিলে স্বাক্ষর রাজ্যপালের

    ইসরো চেয়ারম্যানের বক্তব্য

    Earth Observation Satellite-6 হল ওশেনস্যাট সিরিজের থার্ড জেনারেশন স্যাটেলাইট। এই মিশনের উদ্দেশ্য হল অবিরাম ভাবে Ocean Colour এবং Wind Vector ডেটা প্রাপ্তি। ইসরো চেয়ারম্যান মিশন কন্ট্রোল কেন্দ্রে তাঁর বক্তব্যে বলেন,”আমরা প্রত্যেকেই পর্যবেক্ষণ করেছি যে, এই রকেটটির কার্যক্ষমতা প্রতিটি ধাপেই সফল। PSLV এর সমস্ত টিমকে অভিনন্দন, সফল উৎক্ষেপণ এর জন্য। রকেটটির দ্বারা স্যাটেলাইটটি সফল ভাবেই কক্ষপথে স্থাপিত হয়েছে ৭৪২ কিমি উচ্চতায়, সময় লেগেছে ১,০৩৩ সেকেন্ড”।

    আরও পড়ুন: ভারতের ইতিহাস বীরত্বের, যোদ্ধাদের! নতুন করে তা লিখতে হবে অভিমত প্রধানমন্ত্রীর

    spacecraft separation সফল ভাবেই সম্পন্ন হয়েছে, একথা লিখে ইসরো থেকে এদিন ট্যুইটও করা হয়েছে। ২০২২ সালে এটাই ইসরোর শেষ মিশন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • China Moon Base: ২০২৮ সালের মধ্যেই চাঁদে থাকার জায়গা তৈরি করে ফেলবে চিন?

    China Moon Base: ২০২৮ সালের মধ্যেই চাঁদে থাকার জায়গা তৈরি করে ফেলবে চিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৮ সালের মধ্যে চাঁদে থাকার জায়গা তৈরি করার পরিকল্পনা করছে চিন (China Moon Base)। উদ্দেশ্য, আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘নাসার’ একাধিপত্য কমানো। ঠান্ডা যুদ্ধের সময় থেকেই মহাকাশের দখল নিয়ে রাশিয়া এবং আমেরিকার মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল। প্রথম মহাকাশচারী রাশিয়া পাঠিয়েছিল তো চাঁদে প্রথম মানুষ পাঠিয়েছিল আমেরিকা। নাসার গবেষণার অন্ত নেই। ভিনগ্রহ প্রাণীর অস্তিত্ব আছে কিনা, পৃথিবীর মতো আর কোনও গ্রহ রয়েছে কিনা, মঙ্গলের লাল মাটিতে কী রয়েছে, বছরভর এই নিয়ে গবেষণা চালান নাসার বিজ্ঞানীরা।

    বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর দেশ হিসেবে পিছিয়ে নেই ড্রাগনের দেশও। চিন ছিল প্রথম দেশ, যারা ২০১৯ সালে চাঁদের দুই পৃষ্ঠেই রোভার চালাতে সক্ষম হয়েছিল। লুনার নমুনা সংগ্রহও করে এনেছিল চিন। চাঁদের দক্ষিণ প্রান্তেই বেস বা থাকার জায়গা (China Moon Base) তৈরি করতে চায় চিন। বিজ্ঞানীদের ধারণা, এখানে জলের সন্ধানও পাওয়া যেতে পারে। বর্তমানে নাসার বিজ্ঞানীরাও চাঁদের দক্ষিণ পৃষ্ঠের রহস্য উন্মোচনে গবেষণারত।

    চিনের লুনার এক্সপ্লোরেশন প্রোগ্রামের চিফ ডিজাইনার কী বলছেন ?

    চাঁদের দক্ষিণপৃষ্ঠকে কেন্দ্র করে একটি আন্তর্জাতিক রিসার্চ সেন্টার তৈরির পরিকল্পনা করছে চিন। সেদেশের সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী, চাঁদে থাকার (China Moon Base) এই জায়গা পারমাণবিক শক্তির সাহায্যে গড়ে উঠবে। চিনের সরকারি টিভি চ্যানেল সিসিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লুনার এক্সপ্লোরেশন প্রোগ্রামের চিফ ডিজাইনার উ উইরান বলেন, আগামী ১০ বছরের মধ্যে আমরা চাঁদে মানুষ পাঠাতে সক্ষম হব। চাঁদের বেস ক্যাম্প পারমাণবিক শক্তির সাহায্যে গড়ে উঠলে তার স্থায়িত্ব বাড়বে।

    মহাকাশ গবেষণা খাতে চিন এবং আমেরিকা এই দুই দেশই হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে। মহাবিশ্বের বিভিন্ন সম্পদ আবিষ্কার এবং রহস্যভেদ করাই এই মিশনগুলির উদ্দেশ্য থাকে। মঙ্গল গ্রহে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা করছে নাসা। নাসার পাঠানো রোভার লাল গ্রহ থেকে প্রতিনিয়ত তথ্য পাঠিয়ে চলেছে।

    আরও পড়ুন: “জিনপিং পদত্যাগ করুন”, বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে চিন

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Skyroot Aerospace: ইসরোর সহযোগীতায় ভারতে প্রথমবার বেসরকারি সংস্থার রকেট উৎক্ষেপণ 

    Skyroot Aerospace: ইসরোর সহযোগীতায় ভারতে প্রথমবার বেসরকারি সংস্থার রকেট উৎক্ষেপণ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেসরকারী রকেট নির্মাতা সংস্থা স্কাইরুট অ্যারোস্পেস আগামী ১২ থেকে ১৬ নভেম্বরের মধ্যে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরোর শ্রীহরিকোটা মহাকাশযান উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে তিনটি পেলোড সহ বিক্রম-এস নামে রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হবে।

    স্কাইরুট অ্যারোস্পেস (Skyroot Aerospace)

    গত ২০২০ সালের জুনে কেন্দ্রীয় সরকার বেসরকারি সংস্থার অংশগ্রহণের জন্য মহাকাশ খাত উন্মুক্ত করে দেয়।তারপর থেকে এটিই প্রথম কোনও বেসরকারি সংস্থার রকেট উৎক্ষেপণ যা কিনা সম্পূর্ণভাবে একটি দেশীয় সংস্থার তৈরি ও পরিচালিত। হায়দ্রাবাদের এই স্পেস স্টার্টআপ কোম্পানিটি মহাকাশ অভিযানের ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে।

    স্কাইরুটের অভিযান(Skyroot Space Launch)

    স্কাইরুটের তরফে এই অভিযানের নামকরণ করা হয়েছে প্রারম্ভ। এই প্রসঙ্গে স্কাইরুট অ্যারোস্পেসের সিইও পবন কুমার চন্দানা বলেন, এক নতুন পথের সূচনা হতে চলেছে।সেহেতু এই অভিযানের নামকরণ করা হয়েছে প্রারম্ভ।
    তিনি আরও জানান, ১২ থেকে ১৬ তারিখের মধ্যে রকেটটিকে উৎক্ষেপণের সময় দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়ার দিকে নজর রেখে রকেট উৎক্ষেপণের চূড়ান্ত তারিখ নির্ধারিত হবে।

    আরও পড়ুন: চাঁদে প্রথম সোডিয়ামের সন্ধান পেল চন্দ্রযান ২ 

    বিক্রম-এস(Vikram-S)

    স্কাইরুট অ্যারোস্পেস নির্মিত রকেটটি ভারতের স্বনামধন্য গবেষক তথা মহাকাশ অভিযানের প্রাণপুরুষ বিক্রম সারাভাইয়ের নাম অনুসারে নামকরণ করা হয়েছে। স্কাইরুট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে,এটি একটি একক পর্যায়ের সাব-অরবিটাল রকেট। বিক্রম সিরিজ়ের অন্য রকেটগুলির প্রযুক্তিগত ক্ষমতা যাচাই করতে এই রকেট সাহায্য করবে। বিবৃতিতে আরও জানান, এই সাবঅরবিটাল স্পেস রকেটটি তিন গ্রাহকের বরাত অনুযায়ী পেলোড বহন করবে। সেগুলি নির্দিষ্ট কক্ষপথে পৌঁছে দিতে পারলেই কাজ হাসিল। তবে কোন কোন গ্রাহকের থেকে সেই বরাত মিলেছে, তা জানা যায়নি।রকেট প্রস্তুতিতে ইসরো ‘স্কাইরুট’-কে সাহায্য করায় ধন্যবাদও জানিয়েছেন কোম্পানির সিইও। এই প্রসঙ্গে স্কাইরুট অ্যারোস্পেসেই সিইও পবন কুমার চন্দনা সংবাদমাধ্যমে জানান, আমরা এত অল্প সময়ের মধ্যেই আমাদের বিক্রম-এস রকেট মিশন তৈরি করতে পেরেছি শুধুমাত্র ISRO এবং IN-SPACE-এর কাছ থেকে পাওয়া অমূল্য সমর্থনের কারণে।
    সাধারণত, একটি সাবঅরবিটাল স্পেস রকেটগুলি পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার উচ্চতাকে মধ্যে যায়। এটি অরবিটাল ফ্লাইটের তুলনা অনেক কম হয়।
    এই ধরনের বেসরকারি রকেট সংস্থার মূল লক্ষ্য থাকে মুনাফা করা। রকেট নির্মাণ, সেটি প্রেরণ করার বিষয়ে সংস্থাগুলি বিনিয়োগ করে। এদিকে এদের গ্রাহক হন মহাকাশে বিভিন্ন কৃত্রিম উপগ্রহ প্রেরণে ইচ্ছুক সংস্থা। টাকার বিনিময়ে তাদের থেকে বরাত নিয়ে মহাকাশে সেই কৃত্রিম উপগ্রহ পৌঁছে দেয় এই সংস্থাগুলি। 

     

    স্কাইরুট অ্যারোস্পেস(Skyroot Aerospace) তহবিল

    স্কাইরুট অ্যারোস্পেস(Skyroot Aerospace) এখনও পর্যন্ত ৬৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের তহবিল সংগ্রহ করেছে। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৫৫৪ কোটি টাকা। এটি বর্তমানে ভারতের সবচেয়ে বেশি ফান্ডেড বাণিজ্যিক স্পেস স্টার্টআপ। ভারতেই সম্পূর্ণ 3D-প্রিন্টেড প্রযুক্তিতে রকেট ইঞ্জিন তৈরি করা প্রথম সংস্থাগুলি মধ্যেও এটি অন্যতম। গত বছরের নভেম্বরে সংস্থাটি সফলভাবে পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ প্রদর্শন করেছে। চলতি বছরের শুরুর দিকে, ১৯ মে, এই সংস্থা Kalam-100 নামের একটি ভারতে নির্মিত সলিড ফুয়েল ইঞ্জিনও পরীক্ষা করেছে।

    প্রসঙ্গত,মহাকাশ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইনস্পেস (IN-SPACE) -এর কাছ থেকে প্রযুক্তিগত উৎক্ষেপণের অনুমোদন পাওয়ার পরই ISRO-এর চেয়ারম্যান ড. এস. সোমানাথ বেঙ্গালুরুতে ISRO-এর প্রথম মিশন চালু করেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Mission Venus ISRO: শুক্রগ্রহে অভিযানের আগে ফের চাঁদে ও মঙ্গলে অভিযান চালাবে ইসরো

    Mission Venus ISRO: শুক্রগ্রহে অভিযানের আগে ফের চাঁদে ও মঙ্গলে অভিযান চালাবে ইসরো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঁদ এবং মঙ্গল গ্রহে সফলতার সাথে চন্দ্রযান ও মঙ্গলযান পাঠানোর পর এবার ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরো শুক্রগ্রহে মহাকাশযান পাঠানোর প্রস্তুতি করছে। চলতি বছরের মে মাসেই ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমনাথ ঘোষণা করেছিলেন ইসরো শুক্রগ্রহে অভিযান শুরু করবে। সরকার এবং ইসরোর বৈজ্ঞানিকেরা এই প্রকল্পে সবুজ সংকেত দিয়েছেন। তিনি জানান, ভারতের জন্য শুক্রগ্রহে অভিযান চালানো যথেষ্ট সহজ। ২০২৪ সালের মধ্যেই শুক্রগ্রহে শুক্রযান নামে মহাকাশযানটি পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন । ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসকে বেছে নেওয়া হয়েছে কারণ এই সময় পৃথিবী এবং শুক্র এমনভাবে অ্যালাইন হবে যে সেই সময় পৃথিবী ও শুক্রগ্রহ প্রায় এক সরলরেখায় সারিবদ্ধ হবে। খুব সামান্য পরিমাণেই প্রপেল্যান্ট ব্যবহারের মাধ্যমেই মহাকাশযানটি প্রতিবেশী গ্রহের কক্ষপথে পাঠানো যাবে। যদি কোনো কারণে মহাকাশযানটি উৎক্ষেপণ করতে ব্যর্থ হলে পরবর্তীতে দীর্ঘ সাত বছর পর ২০৩১ সালে এমন সুযোগ আসবে।
    এই মিশনে শুক্র গ্রহে জীবকূল বেঁচে থাকার মতো পরিবেশ রয়েছে কি না তার খোঁজ করা হবে। এছাড়াও গ্রহটিতে কোন জীব রয়েছে কিনা, সক্রিয় আগ্নেয়গিরি বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজ করা হবে। ইসরো তরফে জানানো হয়েছে, ভারতের এই রিসার্চ কোনও দেশের অনুকরণে হবে না। সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি রিসার্চ করে নতুন কিছু বিষয়ে জানার চেষ্টা করা হবে।

    অপরদিকে, শুক্রগ্রহ অভিযানের আগে মঙ্গল ও চাঁদে ফের অনুসন্ধান চালাবে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। তবে জাপানের সঙ্গে গাঁটছড়ায় এই প্রকল্পটি করা হবে বলে জানিয়েছে মহাকাশ সংস্থাটি।

    ইসরোর বৈজ্ঞানিক অনিল ভরদ্বাজ সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, চাঁদের ছায়া অঞ্চলটি নিয়ে গবেষণার জন্য  জাপানিজ সংস্থা Japanese Aeroplane Exploitation Agency এর একটি রকেটে ইসরো নির্মিত চন্দ্র রোভারকে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে অবতরণ করানো হবে। 

    এছাড়াও তিনি জানান, আদিত্য এল-১ সূর্যকে পর্যবেক্ষণ করার জন্য ইসরো থেকে আরও একটি নতুন অভিযান হতে চলেছে। ৪০০ গ্রাম ওজনের একটি উপগ্রহ সূর্যকে প্রদক্ষিণ করবে। যার সাহায্যে সৌর বায়ুত্ব্ররণ ও পৃথিবীর কাছাকাছি আবহাওয়ার পূর্বাভাস পাওয়া যাবে এছাড়াও নানা বিষয় সম্পর্কে জানা যাবে এই উপগ্রহ থেকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Color of Moon: চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদের রঙ কেন লাল দেখায়? জানাচ্ছেন নাসা বিজ্ঞানীরা

    Color of Moon: চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদের রঙ কেন লাল দেখায়? জানাচ্ছেন নাসা বিজ্ঞানীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২২ সালেই শেষ পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণের সাক্ষী হতে চলেছে বিশ্ববাসীরা। ২০২৫ সালের আগে আর পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ হবার সম্ভাবনা নেই।তবে সেই আংশিক চন্দ্রগ্রহণের সময় বরফে ঢাকা দৈত্যাকার ইউরেনাস গ্রহকে দেখার সুযোগ পাবে সকলে।এবার ফিরে আসা যাক পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণে (Total Lunar Eclipse)।এই চন্দ্রগ্রহণে চাঁদকে পুরোপুরি লাল রঙের দেখায় একে ব্লাড মুনও বলে।আমরা ছোটোবেলা কম বেশী সকলেই মনগড়া রাহু কেতুর গল্প পড়েছি। কিন্তু বড়ো হয়ে পাঠ্যবই পড়ে জানতে পেরেছি চন্দ্রগ্রহণ হল পৃথিবী ও চন্দ্র ঘুরতে ঘুরতে যখন এক সরলরেখা বরাবর সূর্য ও চন্দ্রের মাঝে পৃথিবী অবস্থান করে এবং পৃথিবীর ছায়া চাঁদে গিয়ে পড়ে তখনই চন্দ্রগ্রহণ ঘটে। এক্ষেত্রে পৃথিবী সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে নিলে তাকে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ (Total Lunar Eclipse) বলা হয়।

    নাসার মতে, চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদের লাল দেখানোর কারণ আর আকাশ নীল হওয়ার কারণ একই। আবার সেই একই কারণেই সূর্যাস্ত লাল দেখায়। একে বলা হয় রেইলি স্ক্যাটারিং। আলো তরঙ্গের মাধ্যমে এগোয়। বিভিন্ন রঙের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য রয়েছে। নীল আলোর ছোট তরঙ্গদৈর্ঘ্য হয়। এটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে লাল আলোর তুলনায় কোনও কণা দ্বারা আরও বেশি সহজে বিক্ষিপ্ত হয়। অন্যদিকে, লাল আলো সরাসরি বায়ুমণ্ডলের মধ্য বেরিয়ে যায়।

    চন্দ্রগ্রহণের সময় পৃথিবীর ছায়া পড়ে চাঁদের ওপর। ফলে চাঁদের ওপর থেকে ঢাকা পড়ে যায় সরাসরি সূর্যের আলো। সেই সময় প্রতিসরণের ফলে আলো ঠিকরে চাঁদের অন্ধকার অংশে পড়তেই চাঁদকে লাল দেখায়। সূর্যের আলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ছুঁয়ে খানিকটা চাঁদে যায়, সেই আলো আবার পৃথিবীতে আসার পথে অন্যসব রঙ হারিয়ে লাল রঙটি এসে আমাদের চোখে পৌঁছায়।এ কারণে আজকের চাঁদ অনেকটা রক্তিম বর্ণের দেখায়।আর সেই থেকেই নাম ব্লাড মুন (Blood Moon)।

    কমলা ও লাল এই দু’টি দীর্ঘ তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলোকরশ্মি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে কম বিচ্ছুরিত হয়। ওই দু’টি আলোকরশ্মি তাই বেশি ছড়িয়ে পড়তে পারে না। বায়ুমণ্ডলে ওই দু’টি তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলোকরশ্মির প্রতিসরণ ঘটে। আর তার ফলে সেই আলো কিছুটা বেঁকে গিয়ে পড়ে চাঁদের গায়ে। তাই পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদের লাল আভা দেখা যায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Total Lunar Eclipse: বছরের শেষ চন্দ্রগ্রহণ! জেনে নিন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি

    Total Lunar Eclipse: বছরের শেষ চন্দ্রগ্রহণ! জেনে নিন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২২ সালে শেষ চন্দ্রগ্রহণ (Total Lunar Eclipse) ঘটতে যাচ্ছে  ৮ই নভেম্বর। উত্তর আমেরিকা, দক্ষিন আমেরিকা,এশিয়া ও নিউজিল্যান্ড মহাদেশের মানুষেরা এই চন্দ্রগ্রহণটি দেখতে পাবে। তবে দক্ষিণ-পশ্চিম ইউরোপ ও আফ্রিকা মহাদেশ এই চন্দ্রগ্রহণ থেকে বঞ্চিত হবে।
    এর আগে সূর্যগ্রহণ ঘটেছিল দীপাবলির পরের দিন। এই বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ হয়েছিল ১৬ই মে। এই বিশেষ দিনটিতে রয়েছে দেব দীপাবলী, তাই অনেক জ্যোতিষী এই দিনটিকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করেছেন। অনেকে চন্দ্রগ্রহণের (Total Lunar Eclipse) আগের দিনটিকে দেব দীপাবলি হিসেবে পালন করবে।
    চন্দ্রগ্রহণ হল পৃথিবী ও চন্দ্র ঘুরতে ঘুরতে যখন এক সরলরেখা বরাবর সূর্য ও চন্দ্রের মাঝে পৃথিবী অবস্থান করে এবং পৃথিবীর ছায়া চাঁদে গিয়ে পড়ে তখনই চন্দ্রগ্রহণ ঘটে। এক্ষেত্রে পৃথিবী সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে নিলে তাকে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ (Total Lunar Eclipse) বলা হয়।
    পঞ্জিকা মতে, ভারতীয় সময় বিকেল ৫টা বেজে ৩২ মিনিটে চন্দ্রগ্রহণ (Total Lunar Eclipse) শুরু হবে এবং সন্ধ্যা ৬টা বেজে ১৮ মিনিটে শেষ হবে। গ্রহনের সময়কাল হবে প্রায় ৪৫ মিনিট ৪৮ সেকেন্ড। ভারতের সব জায়গায় এই গ্রহণ দৃশ্যমান হবে না। মূলত পূর্ব ভারতেই এই গ্রহণটি দৃশ্যমান হবে। যে সব জায়গা থেকে এই গ্রহন দৃশ্যমান হবে না সেখানে সূতক কাল কার্যকরী হবে না। ভারতের কলকাতা,পাটনা,শিলিগুড়ি, রাঁচি,গুয়াহাটি সহ পূর্ব ভারতের নানা স্থানে দৃশ্যমান হবে।

    জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, চন্দ্রগ্রহণের (Total Lunar Eclipse) সূতক সময়কে অশুভ বলে মনে করা হয়। যা গ্রহনের ০৯ ঘন্টা আগে শুরু হয় এবং গ্রহন শেষ হওয়ার পরে শেষ হয়। এই চন্দ্রগ্রহণ ভারতেও দৃশ্যমান হবে, তাই গ্রহণকালে এর সুতককাল ভারতেও বৈধ হবে। চন্দ্রগ্রহণের সুতককালের সকাল ৯.২১ থেকে শুরু হবে এবং শেষ হবে সকাল ৬.১৮ মিনিটে।

    চন্দ্রগ্রহণের সময় এই জিনিসগুলির বিশেষ যত্ন নিন

    • বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলাদের গ্রহনকালে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে  হয়।
    • সূতক কালের সূচনার পর পূজা প্রভৃতি ধর্মীয় কাজ করা হয় না।
    • চন্দ্রগ্রহণের সময় ভ্রমণ করা অশুভ বলে মনে করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে এই সময়ে ভ্রমণ এড়িয়ে চলা উচিত।
    • চন্দ্রগ্রহণের সময় কোনোও শুভ কাজ করা হয় না।
    • চন্দ্রগ্রহণের সময় ঘুমানো উচিত নয়।
    • গ্রহণের সময় ধারালো বস্তু ব্যবহার করা উচিত নয়।
    • চন্দ্রগ্রহণের সময় স্নান ও দান করার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এই দিনে গ্রহণের পর গঙ্গা নদীতে স্নান করার পর অভাবী কাউকে দান করা বিশেষ শুভ হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Formation of Moon: কমে গেল চাঁদের বয়স

    Formation of Moon: কমে গেল চাঁদের বয়স

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যতটা প্রাচীন ভাবা হয় তার চেয়ে অনেক নবীনতম পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ। সম্প্রতি এই বিষয়টি গবেষকদের গবেষণায় উঠে এসেছে।চাঁদের নমুনাগুলি অধ্যয়ন করার সময় জানা গিয়েছে তা পৃথিবী স্থিত শিলাগুলির আইসোটোপের সাথে অনুরূপ মিল রয়েছে চাঁদ হতে সংগ্রহকৃত শিলাখন্ডগুলোর।

    গবেষণায় আরও জানা গিয়েছে হাজার বছরের বেশি নয়, মাত্র কয়েক ঘণ্টায় সংঘর্ষের মাধ্যমে তৈরি চাঁদের। তবে এই নিয়েও গবেষকদের মধ্যে বিবাদ থাকলেও চাঁদের (লুনা) গঠনের তত্ত্বগুলো যেমন আকর্ষণীয় তেমনি বৈচিত্র্যময়।

    সম্প্রতি একটি গবেষণায় জানা গিয়েছে প্রায় ৪.৫ বিলিয়ন বছর আগে থেইয়া নামক এক গ্রহের সাথে পৃথিবীর  সংঘর্ষের ফলে চাঁদের সৃষ্টি হয়েছে।থেইয়া বা থেয়া মোটামুটি মঙ্গল গ্রহের আকারের ছিল।প্রসঙ্গত থেইয়া হল গ্রীক পৌরাণিক কাহিনীর টাইটানগুলির একটির নাম। জিরকনস নামক চাঁদের এক খনিজ পদার্থের ওপর গবেষণায় এ তথ্য পাওয়া গেছে।
    ১৯৭১ সালে চাঁদের বুকে অ্যাপোলো-১৪ মিশন পাঠানো হয়। তখন জিরকনস খনিজ পদার্থটি সংগ্রহ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া-লস অ্যাঞ্জেলেসের অপর একটা গবেষণায় এই একই তথ্য সামনে এসেছে। 

    [tw]


    [/tw] 

    চাঁদের প্রকৃত বয়স জানবার জন্য বিগত কয়েক শতাব্দী ধরে বিজ্ঞানী ও গবেষকরা নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রকৃত বয়স জানা সম্ভব হয়নি । এ বিষয়ে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া লস অ্যাঞ্জেলেসের আর্থ, প্লানেটারি অ্যান্ড স্পেস সায়েন্স বিভাগের রিসার্চ জিওকেমিস্ট মেলানি বারবোনি বলেন, ‘আমরা অবশেষ চাঁদের একটি সর্বনিম্ন বয়স স্থির করেছি।’ নতুন এই গবেষণায় বলা হয়েছে সৌরজগত সৃষ্টির ৬০ মিলিয়ন বছর পর চাঁদ সৃষ্টি হয়েছিল।

    গবেষণার সহকারী কেভিন ম্যাককীগান বলেন, ‘জিরকন সময় নির্ধারণের একটি সেরা প্রাকৃতিক উপদান। গ্রহ উপগ্রহ কিংবা জোতিষ্ক প্রভৃতির সৃষ্টি কোথায় হয়েছিল এটি জানানোর জন্য এটি চমৎকার একটি খনিজ উপাদান।’

    যদিও বেশিরভাগ ব্যাখ্যা অনুমান করে যে চাঁদ পৃথিবী এবং থেইয়ার সংঘর্ষের ধ্বংসাবশেষ থেকে তৈরি হয়েছে, মাস বা বছর ধরে কক্ষপথে একত্রিত হয়ে, সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় এমন একটি ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে যা এই সময়কালকে কয়েক ঘন্টায় কমিয়ে দেয়। এই তত্ত্ব সম্বলিত গবেষণা পত্রটি ৪ অক্টোবর, ২০২২-এ দ্য অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটার্সে প্রকাশিত হয়েছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • ISRO OneWeb Satellite Launch: আজই প্রথম বাণিজ্যিক রকেট উৎক্ষেপণের জন্য প্রস্তুত ইসরো

    ISRO OneWeb Satellite Launch: আজই প্রথম বাণিজ্যিক রকেট উৎক্ষেপণের জন্য প্রস্তুত ইসরো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো (ISRO)  তাদের সবচেয়ে ভারী রকেট লঞ্চ ভেহিকেল LVM3-M2-তে ৩৬টি ব্রডব্যান্ড কমিউনিকেশন স্যাটেলাইটের প্রথম বাণিজ্যিক উৎক্ষেপণ করতে প্রস্তুত। ৪৩.৫  মিটার লম্বা রকেটটি রবিবার ভারতীয় সময় রাত ১২টা বেজে ৭ মিনিটে  শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারের দ্বিতীয় লঞ্চ প্যাড থেকে লঞ্চ করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। রকেটটিকে ৮ হাজার  কেজি পর্যন্ত স্যাটেলাইট বহন করার ক্ষমতার রয়েছে। এই কারণে রকেটটি সবচেয়ে ভারী হতে পারে বলে ইসরো সূত্রে খবর ।

    [tw]


    [/tw] 

    রবিবারের উৎক্ষেপণটি ইসরোর কাছে তাৎপর্যপূর্ণ কারণ LVM3-M2 মিশনটি সফল হলেই ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO) বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যিক উৎক্ষেপণ পরিষেবার বাজারে প্রবেশ করতে পারবে। ইসরোর বাণিজ্যিক শাখা নিউস্পেস ইন্ডিয়া লিমিটেড এবং ওয়ানওয়েব (One Web) নামে একটি ব্রিটিশ স্টার্ট আপ কোম্পানির এর মধ্যে বাণিজ্যিক চুক্তি হিসেবে মিশনটি হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে  ইসরো।

    [tw]


    [/tw] 

    মহাকাশ সংস্থার মতে, মিশনটি ওয়ানওয়েবের ৩৬ টি স্যাটেলাইটকে নিয়ে ৫৭৯৬  কেজি  ওজনের সবচেয়ে ভারী  ওজন বহন করবে। এলভিএম-থ্রি হল একটি তিন পর্যায়ের বাহন যেখানে দুটি সলিড মোটর স্ট্র্যাপ-অন, একটি লিকুইড প্রপেলান্ট কোর স্টেজ এবং একটি ক্রায়োজনিক স্টেজ রয়েছে।নতুন রকেটটি একটি জিওসিঙ্ক্রোনাস ট্রান্সফার অরবিটে চার টন বর্গের উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করতে সক্ষম।এই এনভিএম থ্রি রকেটকে আগে জিএসএলভি এমকে থ্রি বলা হত। ওয়ানওয়েব ইন্ডিয়া-১ মিশনের এলভিএম থ্রি-এম২ রকেট যাচ্ছে মহাকাশে।

    মহাকাশ বিজ্ঞানের জগতে ভারত প্রতিদিনই একাধিক নতুন মাত্রা তৈরি করছে। এই মিশন সফল হলে সরকারি, ব্যবসায়িক ও বিভিন্ন সংযোগের ক্ষেত্রে ‘জেন ওয়ান এলইও কনস্টেলেশন’ এর হাত ধরে আরও উচ্চ গতি সম্পন্ন সংযোগ পাওয়া যাবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share