Category: বিজ্ঞান

Get updated Science and Research related news from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Partial solar eclipse: ২৫ শে অক্টোবর ভারতে দেখা যাবে আংশিক সূর্যগ্রহণ

    Partial solar eclipse: ২৫ শে অক্টোবর ভারতে দেখা যাবে আংশিক সূর্যগ্রহণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েক সপ্তাহ আগেই পৃথিবী বৃহস্পতির কাছাকাছি চলে এসেছিল। ১০৭ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কাছে এসেছিল বৃহস্পতি ও পৃথিবী। ফের একবার মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী হতে চলেছে পৃথিবী। সূর্য, চাঁদ, পৃথিবী সবকিছু এক সরলরেখায় আসবে। যদিও ভারতের কিছু অংশ আংশিক সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হবে ২৫ অক্টোবর। ভারতের সর্বত্রে এই সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে না। তবে পশ্চিমপ্রান্তের কিছু এলাকাগুলিতে দেখা যাবে এই গ্রহণ। কলকাতার বিড়লা প্ল্যানেটোরিয়ামের তরফে জানানো হয়েছে, পোরবন্দর, গান্ধীনগর,মুম্বই, সিলভাসা,সুরাত পানাজিতে দেখা যাবে এই আংশিক গ্রহণ। সবচেয়ে বেশিক্ষণ দেখা যাবে গুজরাতের দ্বারকা থেকে। এই গ্রহণ ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট স্থায়ী হবে। কলকাতা থেকে মাত্র ১১ মিনিট সময় পর্যন্ত দেখা যাবে আর শিলিগুড়িতে দেখা যাবে ১৭ মিনিটের জন্য।উত্তর-পূর্ব ভারত ছাড়া সারা ভারতে এই সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে বলেও জানানো হয়েছে।

    দীপাবলির সময়ে এ সূর্যগ্রহণ থাকায় এই গ্রহণের সময়টিকে শুভক্ষণ বলে ধরা হচ্ছে। এই সূর্যগ্রহণটি ২৫ অক্টোবর সূর্যগ্রহণ ভারতীয় সময় অনুসারে দুপুর ২.২৯ মিনিট থেকে শুরু হয়ে যাবে আইসল্যান্ডে। চলবে সন্ধ্যে ৬.২০ মিনিট পর্যন্ত। দিল্লিতে সূর্য গ্রহণ ৪.২৯ মিনিটে শুরু করে তা সন্ধ্যে ৬.০৯ মিনিট পর্যন্ত চলবে। ভারতের কয়েকটি জায়গায় বিকেল ৪.০৩ মিনিট থেকে তা দেখা যাবে।জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে সূর্যগ্রহণের সময় কোন শুভ কাজ এডিয়ে চলা উচিত। রান্না বন্ধ রাখা উচিত। খাবার প্রস্তুত থাকলে তাতে তুলসী পাতা যোগ করা উচিত। গর্ভবতী মহিলাদের ঘ্রেরে বাইরে বের হওয়া উচিত নয়।

    শাস্ত্রানুযায়ী গ্রহণের আগের সময়টিকে অশুভ মনে করা হয় এবং একে সূতক সময় বা সূতক কাল বলা হয়। সূতক সময়কালে কোনও মাঙ্গলিক কাজ করা হয় না এবং এই সময়ে কোনও ব্যক্তির  নতুন কাজ শুরু করা উচিত নয়। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, সূর্যগ্রহণের সূতক সময়কাল ১২ ঘন্টা আগে শুরু হয় এবং গ্রহণ শেষ হওয়ার পরেই শেষ হয়। কথিত আছে যে সূর্যগ্রহণ কোথাও দেখা না গেলে সূতক হয় না। এবার ভারতে আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা যাচ্ছে, তাই সূতক বৈধ হবে। আংশিক সূর্যগ্রহণের সূতক শুরু হবে ভোর ০৩:১৭ এবং শেষ হবে বিকেল ০৫:৪৩ মিনিটে।

    আংশিক সূর্যগ্রহণ কখন হয়? 

    যখন চাঁদের জন্য সূর্যের আলো পৃথিবীতে আসতে বাধা পেলেও, একটা অংশের আলোয় শুধুমাত্র বাধা পায়, তখন এই ধরনের সূর্যগ্রহণ দেখা যায়।অর্থাত্‍ এক্ষেত্রে সূর্যের একটা অংশ চাঁদের জন্য ঢাকা পড়ে আর বাকি অংশ দেখা যায়। এই আংশিক গ্রহণে সূর্যকে আধ খাওয়া ফলের মতো দেখতে লাগে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     

     

  • Living Planet Report: মানুষের কার্যকলাপে মাত্র পঞ্চাশ বছরে নিশ্চিহ্ন প্রায় ৭০ শতাংশ বন্যপ্রানী

    Living Planet Report: মানুষের কার্যকলাপে মাত্র পঞ্চাশ বছরে নিশ্চিহ্ন প্রায় ৭০ শতাংশ বন্যপ্রানী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে দ্রুত উজাড় হচ্ছে বন। দূষিত হচ্ছে সমুদ্রের জল। আর তার জেরে কমে যাচ্ছে বন্যপ্রাণীর জনসংখ্যা। বিশ্ব বন্যপ্রাণী তহবিলের  সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদন বলছে, ১৯৭০ সালের পর থেকে পৃথিবীতে বন্যপ্রাণীর সংখ্যা কমে গেছে দুই-তৃতীয়াংশের বেশি।

    বন্যপ্রানীবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন বিশ্ব বন্যপ্রাণী তহবিল (World Wide Fund for Nature) ও জিওলজিক্যাল সোসাইটি অব লন্ডন (জেডএসএল) যৌথভাবে করা সমীক্ষায় প্রাণীর সার্বিক বিশ্নেষণে এ চিত্র উঠে এসেছে।

    জেডএসএলের সংরক্ষণ এবং নীতিবিষয়ক পরিচালক অ্যান্ড্রু টেরি বলেন, ভয়াবহভাবে বন্যপ্রাণী কমে যাচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে এই বার্তা দেওয়া হচ্ছে- প্রকৃতির সুরক্ষাবলয় ভেঙে যাচ্ছে এবং বিশ্বজুড়ে প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে সবকিছু উজাড় হয়ে যাচ্ছে।

    [tw]


    [/tw]

    পাঁচ হাজারের বেশি প্রজাতির প্রায় ৩২ হাজার বন্যপ্রাণীর অবস্থার বিষয়ে জেডএসএলের ২০১৮ সালের তথ্য ব্যবহার করে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে ডব্লিউডব্লিউএফ। এতে দেখা গেছে, বন্যপ্রাণীর সংখ্যা গড়ে ৬৯ শতাংশ কমে গেছে। এর জন্য বন উজাড়, মানুষের হস্তক্ষেপ, দূষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনকে সবচেয়ে বেশি দায়ী করা হয়েছে।

    লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলে বন্যপ্রাণীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি কমে গেছে। ওই অঞ্চলগুলো মাত্র পাঁচ দশকে ৯৪ শতাংশ বন্যপ্রাণী হারিয়েছে। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রাজিলের আমাজনে পিংক রিভার ডলফিনের সংখ্যা ১৯৯৪ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে ৬৫ শতাংশ কমেছে। টেরি বলেন, এই ফলাফলের সঙ্গে ডব্লিউডব্লিউএফের ২০২০ সালের মূল্যায়নের ব্যাপক মিল রয়েছে। এতে দেখা যায়, বন্যপ্রাণীর সংখ্যা প্রতি বছর প্রায় ২ দশমিক ৫ শতাংশ কমে যাচ্ছে।

    ডব্লিউডব্লিউএফ-ইউকে’র বিজ্ঞান বিষয়ক পরিচালক মার্ক রাইট বলেন, প্রকৃতি তখনো ভয়ংকর দশায় ছিল, এখনো আছে। যুদ্ধে অবশ্যই হার হচ্ছে।

    তবে প্রতিবেদনে কিছুটা আশার আলোও দেখা গেছে। কঙ্গোর কাহুজি-বিয়েগা জাতীয় উদ্যানে গরিলার সংখ্যা ১৯৯৪ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ৮০ শতাংশ কমে গেলেও ভিরুঙ্গা জাতীয় উদ্যানের নিকটবর্তী পর্বতে এই প্রাণীর সংখ্যা ২০১০ সালে প্রায় ৪০০টি থেকে বেড়ে ২০১৮ সালে ৬০০’র বেশি হয়েছে।

    এরপরও দ্রুতগতিতে বন্যপ্রাণী কমে যাওয়া ঠেকাতে বাড়তি সহযোগিতার আহ্বান জোরালো হচ্ছে। বিশ্বের উদ্ভিদ ও প্রাণীদের রক্ষায় নতুন কৌশল তৈরির জন্য সারা বিশ্বের প্রতিনিধিরা আগামী ডিসেম্বরে মন্ট্রিলে সমবেত হবেন। বিশ্বব্যাপী প্রাণী সংরক্ষণ প্রচেষ্টার জন্য অর্থায়ন বৃদ্ধির বিষয়েই বেশি আহ্বান জানানো হচ্ছে। ডব্লিউডব্লিউএফ-এর আফ্রিকার আঞ্চলিক পরিচালক অ্যালাইস রুহওয়েজা বলেন, প্রকৃতিকে রক্ষার জন্য আমরা ধনী দেশগুলোকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Artemis Mission: আর্টেমিস মিশনের জন্য পুনরায় প্রস্তুত হচ্ছে নাসা

    Artemis Mission: আর্টেমিস মিশনের জন্য পুনরায় প্রস্তুত হচ্ছে নাসা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  দু’বার ব্যর্থতার পর এবার মিশন সফল করতে মরিয়া নাসা (Nasa)। এর আগে হ্যারিকেন ঝড়ের জন্য স্থগিত করা হয়েছিল এই মিশনটি (Artemis Mission) । আর্টেমিস ১ মিশনটিতে(Artemis 1 mission)  ইতিমধ্যেই বিরাট অঙ্কের টাকাও খরচ করে ফেলেছে নাসা। ১৪ নভেম্বর ফের এই মহাকাশযানটিকে চাঁদে পাঠানোর তোড়জোড় করছে নাসা।

    নাসা তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছিল,মেক্সিকো (Mexico) উপসাগরের ওপর দিয়ে প্রচণ্ড গতিতে এগিয়ে আসা হ্যারিকেন ঝড়ের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতে বিশাল রকেটটি কেনেডি স্পেস সেন্টারে পাঠানো হয়েছিল ফের তা উৎক্ষেপণ কেন্দ্রে পাঠানো হবে। ৩২০ ফুটের লম্বা কমলা এবং সাদা রঙের রকেটটি তৈরি করতে কয়েক দশক সময় লেগেছে। গ্রিক পুরাণ অনুযায়ী চাঁদের (Moon) দেবী আর্টেমিসের নাম অনুসারে এই চন্দ্রযানটির নামকরণ করা হয়েছে।

    [tw]


    [/tw] 

    নাসা মারফত জানা গিয়েছে মনুষ্যবিহীন এই আর্টেমিস ১ (Artemis-1 ) এই মহাকাশযানটি (Artemis Mission) আমেরিকান সময় ১২ টা ৭ মিনিটে উৎক্ষেপণ করা হবে। যদি এই উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা্টি যদি কোনও ভাবে ভেস্তে যায় তাঁর জন্য বিকল্প দিন হিসেবে ১৬ নভেম্বর  ও ১৯ নভেম্বর দিনটিকে রাখা  হয়েছে। এর আগেও জ্বালানির ট্যাঙ্কে ফুটো থাকায় শেষ মুহুর্তে বাতিল করা হয়েছিল উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা। তাই এবার সবদিক থেকে আগাম সতর্কতা নিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রটি। 

    আর্টেমিস প্রোগ্রামটিকে তিন ভাগে ভাগ করছে নাসা। নাসার ২০২৫ সাল নাগাদ চন্দ্রপৃষ্ঠে মানব নভোচারীদের ফেরানোর পরিকল্পনার প্রথম ধাপ হচ্ছে আর্টেমিস ওয়ান মিশন (Artemis Mission)। তাঁরা আশা করছেন, এই মিশন সফল হলে চাঁদের সঙ্গে পৃথিবীর যোগাযোগ আরও নিবিড় হবে। এ মিশনে কোনো নভোচারী না থাকলেও এসএলএস (Space Launch System) রকেটের মাধ্যমে ওরিয়ন স্পেসক্র্যাফটকে চাঁদের দিকে ছুড়ে দিয়ে উভয়ের কার্যক্ষমতা ও নির্ভরযোগ্যতা যাচাইয়ের চেষ্টা করছে নাসা।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Dinosaur Extinction: পৃথিবীর আদি জীবকূল ডাইনোসরদের ধ্বংস কার হাতে?

    Dinosaur Extinction: পৃথিবীর আদি জীবকূল ডাইনোসরদের ধ্বংস কার হাতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতিকালে ডাইনোসরকূলের (Dinosaur) ধ্বংস নিয়ে পূণরায় আলোরন শুরু হয়েছে চীনা বিজ্ঞানীদের দ্বারা নতুন গবেষণার ফলাফল সামনে আসার পর থেকে। ২০২০ সালে চিনের Chang’e-5 মহাকাশযান দ্বারা চাঁদ থেকে কিছু নমুমা সংগ্রহ করে পৃথিবীতে আনা হয়। এই নমুনাগুলি আমাদের পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদের পাশাপাশি পৃথিবী সম্পর্কে একের পর এক চমকপ্রদ তথ্য প্রকাশের  করে চলেছে। জানা গিয়েছে এই গ্রহাণুর হানাই ১৮ কোটি বছর ধরে পৃথিবীতে রাজত্ব করা ডাইনোসরদের ধ্বংসের কারণ।
     চাঁদেও এই গ্রহাণুর যে মারাত্মক প্রভাব পড়ছে তার কিছু প্রমাণ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এই গবেষণা কর‍তে গিয়ে আরও একটি তথ্য উঠে এসেছে, পৃথিবীতে ঘটে যাওয়া সবচেয়ে বড় উল্কাপিন্ডের প্রভাবগুলির সঙ্গে অবিকল মিল রয়েছে চাঁদে ঘটে যাওয়া গ্রহাণুর আঘাতের (asteroid strike)। 

    [tw]


    [/tw] 

    জেনে নিন এই গ্রহাণুটি বিষয় কিছু তথ্য :

     আজ থেকে প্রায় ৬ হাজার ৬০০ কোটি বছর আগে পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়েছিল ১০ কিলোমিটার প্রশস্ত এই গ্রহাণু (Asteroid)। গ্রহাণুটির আনুমানিক ব্যাস ছিল ১০.৬ থেকে ৮০.৯ কিলোমিটার।
    এই গ্রহাণু এতোটাই শক্তিশালী ছিল যে ইউকাটান উপদ্বীপের কাছে মেক্সিকোর চিকজুলুবে আছড়ে পড়ার সময় সমুদ্রকে উত্তাল করার পাশাপাশি প্রায় ১৪০ কিলোমিটার প্রশস্ত গর্ত সৃষ্টি করেছিল। 
    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই সময় পৃথিবী জুড়ে ভুমিকম্পের মতো তান্ডবলীলা শুরু হয়, ধ্বংস এই এক যুগের, পৃথিবীর বুকে নেমে আসে তুষার যুগের। অনেক গবেষকের মতে এই গ্রহাণু মানব সভ্যতাকে ত্বরান্বিত করেছিলো। 

    জন্ম বৃত্তান্ত : 

    এই গ্রহাণুর সৃষ্টি নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে অনেক মতবিরোধ থাকলেও একটি তথ্যের উপর বেশির ভাগ গবেষকের শিলমোহর পড়েছে। গবেষকদের মতে  মঙ্গল এবং বৃহস্পতির কক্ষপথের মাঝামাঝি স্থানে জন্ম হয়েছিল এই বৃহৎ গ্রহাণুটির। 

    গবেষকদের থেকে প্রাপ্ত এই গ্রহাণুর চাঁদের উপর প্রভাবে সম্পর্কিত কিছু তথ্য :

    কার্টিন ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা চাঁদ থেকে পাওয়া দুই বিলিয়ন বছর বয়সী মাইক্রোস্কোপিক কাচের টুকরোগুলো অধ্যয়ন করে জানিয়েছেন যে, মাইক্রোস্কোপিক কাঁচের টুকরোগুলো উল্কাপিণ্ডের প্রভাবের তাপ ও চাপ থেকে তৈরি হয়েছিল এবং তা চাঁদের মাটিতে ছড়িয়ে পড়ে। এগুলি দশ মাইক্রোমিটার থেকে কয়েক মিলিমিটার পর্যন্ত আকারের হয় এবং সাধারণত গোলাকার ডিম্বাকৃতি বা ডাম্বেল আকার থাকে।
    এই গবেষণার মূল লেখক অধ্য়াপক আলেকজান্ডার নেমচিন একটি বিবৃতিতে বলছেন যে, গবেষণায় তারা আরও দেখেছে যে, পৃথিবীতে বড় প্রভাবের ঘটনা যেমন ৬৬ মিলিয়ন বছর আগে দেখা গিয়েছিল। তেমনই আবার Chicxulub Crater এর সঙ্গে অনেক ছোটখাটো কিছু প্রভাবও থাকতে পারে।

    তবে একটাই আশার কথা ভবিষ্যতেও এমন কোনো  গ্রহাণু পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়লে তা মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে বলে মত বিজ্ঞানীদের।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • UK Parliament: ব্রিটিশ পার্লামেন্টে প্রথমবার বক্তৃতা রাখতে গিয়ে ঘুমে ঢুলে পড়ল রোবট আইদা

    UK Parliament: ব্রিটিশ পার্লামেন্টে প্রথমবার বক্তৃতা রাখতে গিয়ে ঘুমে ঢুলে পড়ল রোবট আইদা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বে প্রযুক্তিগত উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে কম্পিউটার ও রোবটের ব্যবহার ক্রমাগতই বেড়ে চলেছে। দৈনন্দিন কাজকর্ম সহজ করে দেওয়ার জন্য বিজ্ঞানীরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা Artificial Intelligence এর সহায়তা নিচ্ছে। বর্তমানে এই প্রযুক্তি সেভাবে উন্নত না হলেও বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, অদূর ভবিষ্যতে রোবটের মান আরও উন্নত হবে এবং রোবটগুলি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে মানুষের চাহিদাকে পূরণ করতে পারবে। বর্তমানে তাই বোরটের মানোন্নয়নের জন্য বিজ্ঞানীরা নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাচ্ছেন। তারই উদাহরণ হিসেবে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে (UK Parliament) প্রথম বক্তব্য রাখল এক রোবট।

    ২০১৯ সালে এই রোবটিকে তৈরি করেন অ্যাডেন মেইলার। অত্যন্ত উন্নত এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যুক্ত রোবটির নাম আইদা (Aida)। এই উন্নত রোবটটি আঁকতেও সক্ষম। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের (UK Parliament) এক সদস্য ব্যারনেস বুল (Baroness Bull) তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন আর্টিফিসিয়্যাল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এই প্রযুক্তি কিভাবে চারুকলার উপর প্রভাব ফেলছে। এই প্রশ্নের জবাবে আইদা বলে, কম্পিউটারের সাহায্য নিয়ে আমি ছবি এঁকে থাকি। আমি বেঁচে নেই, তবু আমি শিল্প তৈরি করতে পারি। আমার চোখের ক্যামেরা এবং যান্ত্রিক হাত এই কাজে আমাকে সাহায্য করে। রোবট আইদা আরও বলে, আমি কবিতার জন্য একটি নিরপেক্ষ নেটওয়ার্ক ব্যবহার করি, যার মধ্যে সাধারণ বিষয়বস্তু এবং কাব্যিক কাঠামো চিহ্নিত করা এবং তারপর নতুন কবিতা তৈরির জন্য একটি বড় শব্দভাণ্ডার বিশ্লেষণ করা জড়িত।

    যদিও রোবটটি তার বক্তব্যের শুরুটা ভালোই করেছিল, কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই হয় ছন্দপতন। ভাষণ দিতে গিয়ে ঘুমে ঢলে পড়ে আইদা। রোবটের চোখ ঘুরতে শুরু করে। ব্রিটিশ সাংসদদের (UK Parliament) দাবি, রোবটটির চোখ ঠিকরে বের হয়ে আসায় তাঁকে জম্বির মতো দেখাচ্ছিল। এই ঘটনায় সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসেন রোবটের নির্মাতা অ্যাডেন মেইলার। রোবটটিকে রিস্টার্ট করেন তিনি। শুধু তাই নয়, রোবটটিকে কাচের উপর বসানো হয়। তার পরই বক্তৃতা শেষ করে আইদা (Aida)। কেন এই যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা গিয়েছিল, তা অবশ্য নির্মাতার তরফে স্পষ্ট করা হয়নি। গোটা ঘটনায় যথেষ্ট অস্বস্তির মুখে পড়েছে লিজ ট্রাস সরকার। ইতিমধ্যেই নির্মাণকারী সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরব হয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের একাংশ। যদিও সরকারিভাবে এখনও এই নিয়ে কিছু জানানো হয়নি।

    প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছরে বিশ্বের একাধিক দেশ উন্নত রোবট তৈরির দিকে নজর দিয়েছে। পিছিয়ে নেই ভারতও। ২০২০-তেই সামনে আসে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘ইসরো’-র তৈরি যন্ত্র মানবী ‘ব্যোম মিত্র’। মহাকাশে মানুষ পাঠানোর আগে এই যন্ত্র মানবীকে পাঠানো হবে জানিয়ে দিয়েছে ‘ইসরো’।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Chandrayaan 2 found Sodium On Moon: চাঁদে প্রথম সোডিয়ামের সন্ধান পেল চন্দ্রযান ২

    Chandrayaan 2 found Sodium On Moon: চাঁদে প্রথম সোডিয়ামের সন্ধান পেল চন্দ্রযান ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঁদের (Moon) পৃষ্ঠে থাকা প্রচুর সোডিয়ামের (Sodium) সন্ধান পেল ভারতের চন্দ্রযান ২। ২০১৯ সাল থেকে চাঁদের চারপাশে ঘোরাফেরা করছে চন্দ্রযান ২। এই প্রথমবারের মতো চাঁদে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম ম্যাপ করেছে এটি। নতুন এই অনুসন্ধান চাঁদের উপরিভাগ-এক্সোস্ফিয়ারের (Exosphere) মিথস্ক্রিয়া গবেষণা আরও এক ধাপ এগিয়ে দেবে। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র বা ইসরো (ISRO) জানিয়েছে, চন্দ্রযান-২ অরবিটারের এক্স-রে স্পেকট্রোমিটার (X-ray spectrometer) এই প্রথম চাঁদে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়ামের অনুসন্ধান করেছে। যদিও চন্দ্রযান-১-এর এক্স-রে ফ্লুরোসেন্স স্পেকট্রোমিটারের (C1XS) এক্স-রেতে এর সাহায্যে এর আগেও সোডিয়ামের উপস্থিতি চিহ্নিত করা হয়েছিল। তবে চন্দ্রযান-২-র লার্জ এরিয়া সফট এক্স-রে স্পেকট্রোমিটার বা CLASS এর সাহায্যে সোডিয়ামের উপস্থিতি আরও ভালো ভাবে পর্যবেক্ষণ করা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: নাসার ধাক্কা মারা বিশাল গ্রহাণুটি ভেঙ্গে গিয়ে মহাকাশে ধুলোর সৃষ্টি করেছে 

    চাঁদের উপর ভেসে বেড়ানো ধূলিকণার মধ্যে সোডিয়ামের কিছু পরমাণুর উপস্থিতিকে লক্ষ্য করার পরই বৈজ্ঞানিকেরা চাঁদে সোডিয়ামের উপস্থিতি থাকতে পারে বলে ধারণা করেছিলেন। সোডিয়াম পরমাণুগুলি সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মির বিকিরণের ফলে চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে সহজে বেরিয়ে আসছে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করেন।

    আরও পড়ুন: নাসার আর্টেমিস মিশনের সামনে ফের বাধা, চিন্তা বাড়াচ্ছে ‘হ্যারিকেন’ 

    তাঁরা আরও জানিয়েছেন, চন্দ্রযান-২ চাঁদের পৃষ্ঠে থাকা সোডিয়ামের একটি বৈচিত্রও খুঁজে পেয়েছে,মহাকাশে পরমাণুর ক্রমাগত বেরিয়ে আসাকে ব্যাখ্যা করবে। এছাড়াও, যে অঞ্চলটিতে সোডিয়াম পাওয়া গিয়েছে সেটি চাঁদের বিশুদ্ধ বায়ুমণ্ডলে। এই অঞ্চলটি বায়ুর পরিমাণ এতটাই কম যে, সেখানে পরমাণুগুলি খুব কমই মিলিত হয়। ইসরো উল্লেখ করেছে, ‘এক্সোস্ফিয়ার’ নামে অভিহিত এই অঞ্চলটি চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে শুরু করে মহাকাশের কয়েক হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত।

    [tw]


    [/tw] 

    চন্দ্রযান-২ এর আগে আবিষ্কার করেছিল যে চাঁদের আয়নোস্ফিয়ারের প্লাজমা ঘনত্ব (Plasma Density) রয়েছে। ২০১৯ সালের ২২ জুলাই অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে চন্দ্রযান-২ উৎক্ষেপণ করেছিল ইসরো। ৬ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অরবিটার থেকে বিক্রমের ল্যান্ড করার কথা ছিল। কিন্তু অবতরণের শেষ ধাপে চাঁদের মাটিতে আছড়ে পড়েছিল বিক্রম। হার্ড ল্যান্ডিং করেছিল বিক্রম। যদিও অরবিটারটি এখনও প্রদক্ষিণ করে চলেছে চাঁদকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Asteroid Struck By NASA: নাসার ধাক্কা মারা বিশাল গ্রহাণুটি ভেঙ্গে গিয়ে মহাকাশে ধুলোর সৃষ্টি করেছে

    Asteroid Struck By NASA: নাসার ধাক্কা মারা বিশাল গ্রহাণুটি ভেঙ্গে গিয়ে মহাকাশে ধুলোর সৃষ্টি করেছে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগেই মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসা (Nasa) পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা গ্রহাণুকে (Asteroid) ধাক্কা মেরে নিজ কক্ষপথ থেকে সরিয়েছিল নাসার মহাকাশযান ডার্ট বা (Double Asteroid Redirection Test)। পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা কোনও মহাজাগতিক বস্তুর হাত থেকে পৃথিবীকে বাঁচাতে এই মহাকাশযানটি বানিয়েছিল নাসা। ২৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ভারতীয় সময় ৪ টা ৪৬ নাগাদ গ্রহানূর সঙ্গে সংঘর্ষে কোটি কোটি অর্থমূল্যের তৈরী মহাকাশযানটি কয়েকটি টুকরোতে খন্ড হয়ে গেল তবে রক্ষা পেল পৃথিবীবাসী।

    [tw]


    [/tw]

    নাসার মহাকাশযানটি যে গ্রহাণুটিকে আঘাত করেছিল তার নাম ডাইমরফোস (Dimorphos) । বিজ্ঞানীরা জানিয়েছিলেন, এই গ্রহাণুটি প্রায় ৫২৫ ফুট চওড়া আস্ত একটি ফুটবলের মতো ছিল। এই ঐতিহাসিক পরীক্ষা দুদিন পরে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের একটি দল চিলিতে ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশনের ল্যাবে 4.1-মিটার সাউদার্ন অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল রিসার্চ টেলিস্কোপ(Southern Astrophysical Research Telescope)ব্যবহার অত্যাশ্চর্য চিত্র ধরা পড়েছে।নতুন চিত্রটিতে দেখা যাচ্ছে যে মহাকাশযান দ্বারা আঘাত করা গ্রহাণুটি মহাকাশে 10 হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত ধুলোর বিস্তার করেছে।

    [tw]


    [/tw] 

    এই টেলিস্কোপটির সাহায্যে অনেক দূর পর্যন্ত দেখা যায়। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই গ্রহাণুটি সম্পূর্ণ ধংবস হতে ১০ হাজার কিলোমিটারেরও বেশী দূরত্ব অতিক্রম করবে। তাঁরা আরও জানিয়েছেন এই শক্তিশালী দূরবীনের মাধ্যমে সমস্ত বিষয়টির উপর লক্ষ্য রাখছেন।

    আরও পড়ুন: পৃথিবীর কেন্দ্রে মিলল বিশাল মহাসাগর 

    নাসা বলেছে যে ওই গ্রহাণু থেকে অন্তত আগামী ১০০ বছরে পৃথিবীর কোনও বিপদ নেই। তবে, পৃথিবীতে গ্রহাণুর আছড়ে পড়া বাস্তব। প্রায় ছয় কোটি ৫০ লক্ষ বছর আগে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে এসেছিল রাক্ষুসে এক গ্রহাণু। পৃথিবীকে সজোরে ধাক্কা মেরেছিল সেটি। প্রবল সংঘর্ষে কেঁপে উঠেছিল নীল গ্রহ। সেই মহাজাগতিক প্রলয়কাণ্ডেই পৃথিবীর বুক থেকে ডাইনোসর নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল বলে দাবি করেন বিজ্ঞানীরা। ডাইমরফোসের উপর ‘ডার্ট’-এর সফল প্রয়োগে এত দিনে সেই ডাইনোসরদের ‘বদলা’ নেওয়া হল, বলছেন কেউ কেউ। নাসার ‘ডার্ট’ ভবিষ্যতেও এমন বিপদ থেকে পৃথিবীকে বাঁচাতে পারবে বলে আশাবাদী তাঁরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Huge ocean: পৃথিবীর কেন্দ্রে মিলল বিশাল মহাসাগর

    Huge ocean: পৃথিবীর কেন্দ্রে মিলল বিশাল মহাসাগর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক : একটি আন্তর্জাতিক সমীক্ষা (Survey) অনুসারে বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর কেন্দ্রে একটি বিশাল মহাসাগরে (Ocean) সন্ধান পেয়েছে। সমীক্ষা অনুসারে পৃথিবীর সমস্ত জলভাগে যেমন নদী,সাগর, মহাসাগরে যে অফুরন্ত জল রয়েছে তার প্রায় তিনগুন বেশী জল রয়েছে পৃথিবীর কেন্দ্রে থাকা এই মহাসাগরটিতে। পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ কোর অংশে এবং ম্যান্টলের (Mantle) মাঝের অংশটিতে এই জলের ভান্ডারটি রয়েছে।রামন স্পেকট্রোস্কোপি এবং এফটিআইআর স্পেকট্রোমেট্রি সহ কৌশল ব্যবহার করে পৃথিবী পৃষ্টের ৬৬০ মিটার গভীরে থাকা এই মহাসাগরটিকে পর্যবেক্ষণ করেছেন বিজ্ঞানীরা।

    আরও পড়ুন: মহাকাশে যোগব্যায়াম নভশ্চরের! কীভাবে করলেন অসাধ্য সাধন? 

    গবেষকেরা জানিয়েছেন সমুদ্রের জল পৃথিবী পৃষ্ঠের বিভিন্ন স্তরগুলিকে ভেদ করে পৃথিবীর কেন্দ্রে গিয়ে জমতে থাকে, যদিও এর কোনও বৈজ্ঞানিক সত্যতা দেখাতে পারেনি গবেষকেরা।এটি অনুমান করা হয় যে ভূগর্ভস্থ মহাসাগরটি, পৃথিবীর একটি পুরানো রূপ হতে পারে।বিজ্ঞানীরা মনে করেন এই জলাধারটিতে পৃথিবী সৃষ্টির সময় যে ভয়াবহ বিস্ফোরণগুলি (Planet Rocking) হয়েছিল তার কোনও প্রভাবই পড়েনি।

    আরও পড়ুন: তাজমহলের দ্বিগুণ আয়তনের গ্রহাণু সরাসরি আসছে ধেয়ে, তবে কি পৃথিবী ধ্বংসের পথে? 

    এই অঞ্চল ম্যান্টল থেকেই লাভা নির্গত হয়। পৃথিবীর ম্যান্টেল থেকে নির্গত লাভা (lava) পড়ে বাইরে এসে পাথরে পরিণত হয়। ম্যান্টল থেকে বিভিন্ন স্তর ভেদ করে লাভা নির্গত হওয়ায় একে ম্যান্টল প্লাম(Mantle plume) বলা হয়।ভূগর্ভস্থ পাথুরে মহাদেশের নমুনায় হিলিয়াম-৩ এর মতো বিগ ব্যাং থেকে আইসোটোপ রয়েছে।

    আরও পড়ুন: তৃতীয় বারে হবে কি সফল? ২৭ সেপ্টেম্বর ফের চাঁদে পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করবে ‘আর্টেমিস ১’ 

    ম্যান্টেল প্লাম

    পৃথিবীর ম্যান্টেলের মধ্যে থাকা অস্বাভাবিক গরম শিলা প্রচণ্ড তাপমাত্রার কারণে গলে লাভা আকারে বেরিয়ে আসে। আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত হয়  এই ম্যান্টেল প্লামের (Mantle plume) কারণে।

    প্রসঙ্গত,বিজ্ঞানীরা হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জ (Hawaiian islands) থেকে সংগ্রহ করা ভূতাত্ত্বিক নমুনার সাথে অ্যান্টার্কটিকার বেইলি দ্বীপপুঞ্জের নমুনাটি বিশ্লেষণ করে ওই জলাধারের প্রকৃতি সম্পর্কে অনুধাবন করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
     

     

  • Chandrayaan 4: ‘ওয়ান মিশন টু রকেট’! একযাত্রায় দু’দফায় উৎক্ষেপণ, চন্দ্রযান ৪ নিয়ে কী জানাল ইসরো?

    Chandrayaan 4: ‘ওয়ান মিশন টু রকেট’! একযাত্রায় দু’দফায় উৎক্ষেপণ, চন্দ্রযান ৪ নিয়ে কী জানাল ইসরো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঁদের মাটি ছুঁয়ে ইতিহাস রচনা করেছে ভারত। ফের চন্দ্রাভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্যের পর বেশ কয়েক মাস কেটে গিয়েছে, এখন ‘চন্দ্রযান ৪’ (Chandrayaan 4) অভিযান নিয়ে জোর প্রস্তুতি চলছে। তবে চতুর্থ চন্দ্রযান অভিযান আগের সব অভিযানের থেকে একেবারে আলাদা হতে চলেছে, বলে দাবি করল ইসরো। কারণ চাঁদের মাটি ছোঁয়া এবং সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ফিরে আসার জন্য পৃথক ভাবে দু’দফায় মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করা হবে। 

    ‘চন্দ্রযান ৪অভিযানের লক্ষ্য

    চাঁদের বুক থেকে চাঁদের মাটি এবং পাথর পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনতে চলেছে ইসরো। এর আগে একমাত্র, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং চিন চাঁদ থেকে চাঁদের মাটি ও পাথরের নমুনা নিয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসতে সফল হয়েছে। ন্যাশনাল স্পেস সায়েন্স সিম্পোসিয়ামে ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ জানিয়েছেন, এই অভিযানের একমাত্র লক্ষ্য, বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার জন্য চাঁদের মাটি-পাথর সংগ্রহ করে পৃথিবীতে নিয়ে আসা। চন্দ্রযান ৪ (Chandrayaan 4) অভিযান হওয়ার কথা ২০২৮ সালে। এই অভিযান সফল হলে ভারতের মহাকাশ গবেষণায় নতুন দিক খুলে যাবে।

    চন্দ্রযান ৪ জটিল অভিযান

    এবার আর একটা রকেট নয়, পর্যায়ক্রমে দুই ধাপে দুই রকেটে চেপে চাঁদের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেবে চন্দ্রযান-৪ (Chandrayaan 4)। চন্দ্রযান ৪-এর পেলোডগুলি দুই ধাপে পাঠানো হবে চাঁদে। দুই ধাপে সেই পেলোডগুলি বয়ে নিয়ে যাবে দুই রকেট। ইসরো প্রধান জানিয়েছেন, এই প্রথমবার ইসরো একটি মিশনের জন্য দু’বার রকেট উৎক্ষেপণ করবে। চাঁদের পাথর ও মাটি (রেগোলিথ) নিয়ে ফিরবে পৃথিবীর বুকে চন্দ্রযান ৪। এলভিএম-৩ (সাবেক জিএসএলভি) এবং পিএসএলভি রকেট দু’টি চন্দ্র মিশনের পেলোডগুলি বহন করবে। আলাদা আলাদা দিনে উৎক্ষেপণ করা হবে রকেটগুলি। আগের তুলনায় অনেক জটিল প্রক্রিয়া বলেই দু’-দফায় উৎক্ষেপণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। সবচেয়ে ভারী যে উৎক্ষেপণযান, এলভিএম-৩ ব্যবহার করে প্রথমে তিনটি উপাদান একত্রে রওনা দেবে, যেগুলি হল, প্রপালসন মডিউল, ডিসেন্ডার মডিউল এবং অ্যাসেন্ডার মডিউল। এই উৎক্ষেপণ চন্দ্রযান ৩ অভিযানের মতোই হবে। এর পর, পিএসএলভি উৎক্ষেপণযানে চাপিয়ে মহাকাশে পাঠানো হবে ট্রান্সফার মডিউল এবং রি-এন্ট্রি মডিউল। তবে কোনটির উৎক্ষেপণ আগে এবং কোনটির পরে, তা এখনও জানা যায়নি। 

    আরও পড়ুন: ‘‘এটা ট্রেলার দেখছেন, আমাকে আরও অনেক দূর যেতে হবে’’, গুজরাটে মোদি

    কীভাবে কাজ করবে মডিউলগুলি

    আগের চন্দ্র মিশনগুলিতে ২-৩টি পেলোড থাকলেও চন্দ্রযান ৪-এ (Chandrayaan-4) থাকবে পাঁচটি পেলোড। পেলোডগুলি হল প্রপালশন মডিউল, যা চন্দ্রযান ৪-কে পথ দেখিয়ে চাঁদের কক্ষপথে নিয়ে যাবে। ডিসেন্ডার মডিউল, চাঁদে অবতরণ করবে এই পেলোডটি। এর কাজ চাঁদের মাটিতে ল্যান্ডারকে নামানো। অ্যাসেন্ডার মডিউল, চাঁদ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ট্রান্সফার মডিউলে ফিরে আসতে সাহায্য করবে। ট্রান্সফার মডিউল এক কক্ষপথ থেকে অন্য কক্ষপথে যাবে এই অংশ। সব শেষে রি-এন্ট্রি মডিউল, এই অংশ চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পৃথিবীতে ফিরে আসবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ISRO: ‘দুষ্টু ছেলে’র পিঠে চড়ে মহাকাশে পাড়ি দিচ্ছে ইসরোর উপগ্রহ

    ISRO: ‘দুষ্টু ছেলে’র পিঠে চড়ে মহাকাশে পাড়ি দিচ্ছে ইসরোর উপগ্রহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার উপগ্রহ নিয়ে মহাকাশে পাড়ি দেবে ইসরোর (ISRO) রকেট। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছে, যে রকেটে চড়ে উপগ্রহটি মহাকাশে পাড়ি দেবে তার নাম ‘নটি বয় (দুষ্টু ছেলে)’।  জানা গিয়েছে, আবহাওয়া সংক্রান্ত পূর্বাভাস আরও নিখুঁত ভাবে দেবে ‘নটি বয়’। এর পাশাপাশি নতুন উপগ্রহটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়েও পৃথিবীপৃষ্ঠে আগাম সতর্কতা পৌঁছে দেবে। মহাকাশ থেকেই ‘নটি বয়’ মাটি এবং সমুদ্র পৃষ্ঠের উপর নজরদারি চালাবে।

    কেন এমন নামকরণ?

    ‘নটি বয়’-এর ভালো নাম (ISRO) অবশ্য জিওসিঙ্ক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল (GSLV)। শনিবারই ঠিক বিকেল ৫টা ৩৫ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে ইনস্যাট-থ্রিডিএস-কে পিঠে বসিয়ে মহাকাশের উদ্দেশে পাড়ি দেবে রকেটটি। ‘নটি বয়’ ডাকনামটি দিয়েছেন সংস্থার (ইসরো) প্রাক্তন চেয়ারম্যান। হঠাৎ কেন এমন আজব নাম নির্বাচন করা হল? কারণ হল, এই রকেটটির মতিগতি বোঝা খুব শক্ত। রকেটটির মতিগতি বুঝতে হিমশিমও খেতে হয়েছে ইসরোর বিজ্ঞানীদের। ঠিক যেন মুডের ওপর নির্ভর করে। ভালো থাকলে সফল, অন্যথায় ব্যর্থ। তাই আদর করে সেটির নাম রাখা হয়েছে ‘নটি বয়’। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ১৫ বার উৎক্ষেপণের কাজে ব্যবহার করা হয়েছে রকেটটি (ISRO) যার মধ্যে ৬বার ব্যর্থ হয়েছে এটি। শেষবারের জন্য উৎক্ষেপণ করা হয়, ২৯ মে ২০২৩। তখন উৎক্ষেপণ সফল হয়। কিন্তু তার আগে ২০২১ সালের ১২ অগাস্ট রকেটটির উৎক্ষেপণ ব্যর্থ হয়েছিল।

    কী বলছেন আবহাওয়া বিজ্ঞানী?

    আবহাওয়া বিজ্ঞানী এম রবিচন্দ্রনের কথায়, ‘‘ভারতীয় আবহাওয়া উপগ্রহগুলি আরও উন্নত ভাবে তৈরি করা হয়েছে৷ এই উপগ্রহগুলি (ISRO) আকাশের চোখ হিসাবে কাজ করে। যা ভারতকে ঘূর্ণিঝড় এবং অন্যান্য দুর্যোগ সম্পর্কে নিখুঁত পূর্বাভাস দিতে সাহায্য করে।’’ জিএসএলভি একটি ত্রিস্তরীয় রকেট যা ৫১.৭ মিটার দীর্ঘ। এর ওজন ৪ লাখ কেজিরও বেশি।

     

    আরও পড়ুন: প্রথমে দেব, এবার মিমি! পদত্যাগের হিড়িক তৃণমূলের তারকা-সাংসদদের, কেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share