Category: বিজ্ঞান

Get updated Science and Research related news from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • ISRO Gaganyaan Mission: গগনযান মিশন সফলে সিরিজ পরীক্ষা ইসরোর, জানুন বিশদে

    ISRO Gaganyaan Mission: গগনযান মিশন সফলে সিরিজ পরীক্ষা ইসরোর, জানুন বিশদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সাফল্যের পালক ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা, সংক্ষেপে ইসরোর (ISRO Gaganyaan Mission) মুকুটে! সফলভাবে শেষ করল ড্রোগ প্যারাশুটের পরীক্ষা। গগনযান মিশনের লক্ষ্যেই চালানো হল এই পরীক্ষা। ইসরো জানিয়েছে, সফল হয়েছে এই পরীক্ষা। ইসরোর আশা, গগনযান মিশন সফল হলে নভঃশ্চরদের নিরাপদে মহাকাশে নিয়ে যাওয়া ও ফিরে আসা যাবে। কোনও গতিশীল বস্তুর গতি এবং ভারসাম্য কমাতেও ড্রোগ প্যারাশুট মোতায়েন করা হয়। 

    বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারে পরীক্ষা

    ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গল থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চণ্ডীগড়ের টার্মিনাল ব্যালিস্টিক রিসার্চ ল্যাবরেটরির রেল ট্র্যাক রকেট স্লেড ড্রোগ প্যারাশুট ডিপ্লয়মেন্ট পরীক্ষা চালানো হয়েছে ইসরোর বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারে। স্পেস সেন্টারটি রয়েছে তিরুবনন্তপুরমে। এডিআরডিই এবং ডিআরডিওর সহযোগিতায় এই সিরিজ পরীক্ষা করেছে ইসরো। ইসরো (ISRO Gaganyaan Mission) জানিয়েছে, শঙ্কু আকারের এই প্যারাশুটের ব্যাস ৫.৮ মিটার। জানা গিয়েছে, ড্রোগ প্যারাশুটের কার্যক্ষমতা নির্ধারণের ক্ষেত্রে তিনটি আরটিআরএস টেস্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আসন্ন টেস্ট ভেহিক্যাল-ডিওয়ান মিশনে যুক্ত করার ক্ষেত্রে সেটি যে প্রস্তুত, তা বোঝা গিয়েছে।

    ১০টি প্যারাশুটের সাহায্য

    ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, গগনযান মিশন শেষ করে মহাকাশযানটি যখন পৃথিবীতে ফিরে আসবে, তখন ১০টি প্যারাশুটের সাহায্য নেওয়া হবে। প্রথমে খোলা হবে দুটি প্যারাশুট। পরে খোলা হবে আরও দুটি। মহাকাশযানের ভারসাম্য বজায় রাখতেই খোলা হবে দ্বিতীয় ধাপের দুই প্যারাশুট। তিন মহাকাশচারীর ব্যবহারের জন্য রয়েছে তিনটি প্যারাশুট। এই প্যারাশুটগুলিই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা (ISRO Gaganyaan Mission) পালন করবে গগনযান অবতরণের ক্ষেত্রে।

    আরও পড়ুুন: প্রত্যেক নাগরিককে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচিতে অংশ নিতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    গগনযান মিশন হবে ইসরোর প্রথম মানববাহী মহাকাশ অভিযান। এই মিশন সফল হলে ভারত হবে চতুর্থ। ভারতের আগে থাকবে কেবল আমেরিকা, রাশিয়া ও চিন। কিছুদিন আগেই চন্দ্রযান ৩ পাঠিয়েছে ইসরো। ইতিমধ্যেই সেই যান প্রবেশ করেছে চাঁদের কক্ষপথে। যানটি ল্যান্ড করার কথা চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে। এই মেরুতে ল্যান্ড করতে হলে যানটিকে পেরতে হবে সব মিলিয়ে পাঁচটি ধাপ। ইতিমধ্যেই এর দুটি ধাপ পেরিয়ে গিয়েছে ইসরো প্রেরিত চন্দ্রযান ৩। বাকি তিন ধাপ পেরিয়ে গেলেই সফল হবে ইসরোর (ISRO Gaganyaan Mission) মিশন চন্দ্রযান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Luna 25: চাঁদের দেশে পাড়ি রুশ ল্যান্ডারের, ‘লুনা ২৫’ না ‘চন্দ্রযান ৩’, আগে নামবে কে?

    Luna 25: চাঁদের দেশে পাড়ি রুশ ল্যান্ডারের, ‘লুনা ২৫’ না ‘চন্দ্রযান ৩’, আগে নামবে কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঁদের কক্ষপথে চক্কর কাটছে ভারতের ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। আগামী ২৩ তারিখ তার চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করার কথা। এর মধ্যেই শুক্রবার, চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দিল রুশ মহাকাশযান ‘লুনা ২৫’ (Luna 25)। গন্তব্য সেই এক— চাঁদের দক্ষিণ মেরু। ‘লুনা ২৫’-এর সম্ভাব্য অবতরণ সেই ২৩ তারিখেই। ফলত, এখনও পর্যন্ত অনাবিষ্কৃত চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে কে প্রথম অবতরণ করে, তা নিয়ে জোর কৌতুহল বিশ্বজুড়ে।

    স্বাধীন রাশিয়ার প্রথম চন্দ্রাভিযান

    ১৯৭৬ সালের ১৪ অগাস্ট মহাকাশে যাত্রা করেছিল ‘লুনা ২৪’। সেটিই ছিল সাবেক সোভিয়েত আমলের শেষ চন্দ্র অভিযান। তারপর ৪৭ বছর কেটে গিয়েছে। পতন হয়েছে সোভেয়েত সাম্রাজ্যের। এবার এতদিন পর অধুনা রাশিয়ার এটিই হচ্ছে প্রথম চন্দ্রাভিযান। শুক্রবার সকাল ৮টা ১০ মিনিটে (স্থানীয় সময়) মস্কো থেকে প্রায় ৫৫০০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত আমুর ওব্লাস্টের ভোস্টনি কসমোড্রোম থেকে সয়ুজ রকেটে চেপে চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দেয় ‘লুনা ২৫’। পাঁচ দিনের মধ্যে অর্থাৎ আগামী ১৬ অগাস্ট এটি চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করবে। এর পর ২৩ তারিখ সম্ভবত সেটি চাঁদের বুকে অবতরণ করবে। যদিও, রুশ মহাকাশ সংস্থা রসকসমস দাবি করেছে, ‘চন্দ্রযান ৩’-এর অবতরণের ২ দিন আগেই, অর্থাৎ ২১ তারিখই চাঁদের মাটি ছুঁয়ে ফলবে ‘লুনা ২৫’ (Luna 25)।

    মহাকাশে প্রতিযোগিতা ভারত ও রাশিয়ার!

    গত ১৪ জুলাই দুপুর ২টো ৩৫ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ান স্পেস সেন্টারের ‘লঞ্চিং প্যাড’ থেকে সফল উৎক্ষেপণ হয়েছিল মহাকাশযানটির। উৎক্ষেপণের ২২ দিন পর তা চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছেছে। ইসরো জানিয়েছে, আগামী ২৩ তারিখ বিকেল ৫টা ৪৭ মিনিটে রোভার প্রজ্ঞানকে সঙ্গে নিয়ে চাঁদের দক্ষিণ মেরু ছোঁবে ল্যান্ডার বিক্রম। ভারতের ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3) কিংবা রাশিয়ার ‘লুনা ২৫’ (Luna 25), যে দেশের মহাকাশযানই প্রথমে অবতরণ করবে, তাদেরই নাম উঠবে ইতিহাসের পাতায়। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে মহাকাশযান নামানোর পালক জুড়বে তাদের মুকুটে। ফলে, মহাকাশে এক প্রকার প্রতিযোগিতা চলছে ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে। এদিনর সফল উৎক্ষেপণের জন্য রাশিয়ার মহাকাশ সংস্থা রসকসমসকে অবশ্য শুভেচ্ছা জানিয়েছে ইসরো।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: দ্বিতীয় কক্ষপথ বদল সফল! চাঁদ থেকে আর মাত্র ১,৪৩৭ কিলোমিটার দূরে ‘চন্দ্রযান ৩’

    Chandrayaan 3: দ্বিতীয় কক্ষপথ বদল সফল! চাঁদ থেকে আর মাত্র ১,৪৩৭ কিলোমিটার দূরে ‘চন্দ্রযান ৩’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঁদের আরও কাছে পৌঁছল ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। পূর্ব নির্ধারিত সময় মতোই চাঁদের চারপাশে ঘুরতে ঘুরতে দ্বিতীয়বার কক্ষপথ বদল করল ভারতের মহাকাশযান (ISRO Moon Mission)। গতকাল পর্যন্ত চাঁদের থেকে ৪,৩১৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল ‘চন্দ্রযান ৩’। আজ দুপুরে দ্বিতীয় কক্ষপথ বদলের পর সেই দূরত্ব কমে হলো ১,৪৩৭ কিলোমিটার। পরবর্তী কক্ষপথ বদল ঘটবে ১৪ অগাস্ট।

    চাঁদের আরও কাছে ‘চন্দ্রযান ৩’

    এদিন ইসরোর তরফে ট্যুইট করে জানানো হয়েছে, চাঁদের আরও কাছে। পরিকল্পনা মাফিক কক্ষপথ সঙ্কোচন প্রক্রিয়া অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে মহাকাশযানটি ১৭৪ কিমি x ১৪৩৭ কিমি কক্ষপথে অবস্থান করছে। পরবর্তী সঙ্কোচন প্রক্রিয়া হবে ১৪ তারিখ সকাল সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টার মধ্যে। ‘চন্দ্রযান ৩’-এর (Chandrayaan 3) এই কক্ষপথ বদল প্রক্রিয়াটি হয়েছে বেঙ্গালুরুস্থিত ইসরোর টেলিমেট্রে, ট্র্যাকিং অ্যান্ড কমান্ড নেটওয়ার্ক (ISTRAC) সেন্টার থেকে।

    পাখির চোখ ২৩ অগাস্ট

    গত ১৪ জুলাই শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে এলভিএম-৩ রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিল ‘চন্দ্রযান ৩’। টানা ১৮ দিন পৃথিবীর চারপাশে ঘুরতে ঘুরতে একদিকে কক্ষপথের পরিধি বৃদ্ধি করার পাশাপাশি গতিও বাড়িয়ে চলেছিল ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। পাঁচবার এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর গত ১ অগাস্ট এক লাফে চন্দ্র-বৃত্তে পৌঁছে যায় ‘চন্দ্রযান ৩’। সেখান থেকে প্রায় পৌনে চার লক্ষ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে ‘চন্দ্রযান ৩’ পৌঁছে যায় চাঁদের কক্ষপথের কাছে। পরের ধাপে গত ৫ তারিখ, চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করে ‘চন্দ্রযান ৩’। সেই থেকে চাঁদের চারদিকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে ভারতের মহাকাশযান। আগামী ২৩ তারিখ চূড়ান্ত অবতরণ বা ‘টাচডাউন’-এর দিকে এগিয়ে যাবে ল্যান্ডার মডিউল। সম্ভবত, সেদিনই হবে কাঙ্খিত ‘সফট-ল্যান্ডিং’।

    সফট-ল্যান্ডিং হবেই, প্রত্যয়ী ইসরো প্রধান

    ল্যান্ডার বিক্রমকে সফলভাবে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করানোই এখন মূল চ্যালেঞ্জ। সফল ল্যান্ডিংয়ের বিষয়ে আশায় বুক বাঁধছেন ১৪০ কোটি ভারতবাসী। একইসঙ্গে, সকলের মনে উৎকণ্ঠাও রয়েছে। কারণ, চার বছর আগে এই পর্বেই ব্যর্থ হয়েছিল ‘চন্দ্রযান ২’। তবে, এবার যথেষ্ট প্রত্যয়ী ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। গতকালই, দেশবাসীকে অভয় দিয়ে ইসরোর প্রধান এস সোমনাথ জানিয়েছেন, ল্যান্ডার ও সেন্সর ব্যর্থ হলেও, মহাকাশযান (ISRO Moon Mission) সঠিকভাবেই অবতরণ করবে চাঁদের বুকে। তিনি বলেন, “মহাকাশযানে থাকা ল্যান্ডার বিক্রম-এর সমস্ত সেন্সর এবং দু’টি ইঞ্জিনও যদি কাজ না করে, তাহলেও ২৩ অগাস্ট চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণ করবে যানটি। ল্যান্ডারের পুরো নকশাটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যা কোনওভাবেই এই মিশনটিকে ব্যর্থ হতে দেবে না।” তিনি যোগ করেন, যদি কিছু কাজ না করবে, তখন একমাত্র প্রপালশন সিস্টেম ভালোভাবে কাজ করবে।” এখানে বলে রাখা ভালো যে, এধরনের সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখেই ‘চন্দ্রযান ৩’-এর (Chandrayaan 3) নকশা ব্যর্থতা-নির্ভর করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: পিছন দিকে মুখ করে চাঁদের চারপাশে প্রদক্ষিণ করে চলেছে ‘চন্দ্রযান ৩’! কেন?

    Chandrayaan 3: পিছন দিকে মুখ করে চাঁদের চারপাশে প্রদক্ষিণ করে চলেছে ‘চন্দ্রযান ৩’! কেন?

    সুশান্ত দাস

    চাঁদের চারদিকে ঘুরতে ঘুরতে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3) নিজের গতি ও কক্ষপথের পরিধি দুই-ই কমিয়ে ফেলছে। রবিবার রাত ১১টা নাগাদ প্রথম কক্ষপথ বদল করেছে ‘চন্দ্রযান ৩’। এইভাবে আরও চারবার এই একই প্রক্রিয়া চালানো হবে। যার শেষে চাঁদ থেকে মাত্র ১০০ কিলোমিটার উচ্চতায় থাকবে ভারতের মহাকাশযান (ISRO Moon Mission)। সেখান থেকে শুরু হবে চূড়ান্ত অবরতণের প্রক্রিয়া।

    পেরিজি ও অ্যাপোজি ঠিক কী?

    কিন্তু, কীভাবে গতি কমানোর প্রক্রিয়া সম্ভব হচ্ছে? তা বোঝার আগে দেখে দেখে নেওয়া যাক উৎক্ষেপণের পর টানা ১৮ দিন ধরে পৃথিবীর চারদিকে ঘুরতে ঘুরতে ঠিক কীভাবে নিজের কক্ষপথ ও গতি বাড়িয়েছিল মহাকাশযানটি (ISRO Moon Mission)। তাহলেই সহজ হবে গোটা বিষয়টি। ১৪ তারিখ উৎক্ষেপণের সময় চন্দ্রযান মডিউলকে পৃথিবীর থেকে ১৭০ কিলোমিটার (পেরিজি) x ৩৬ হাজার কিলোমিটার (অ্যাপোজি) পরিধির ডিম্বাকৃতি কক্ষপথে স্থাপন করে এলভিএম-৩ রকেট। আগে দেখে নেওয়া যাক, পেরিজি ও অ্যাপোজি ঠিক কী? যেমনটা বলা হয়েছে, কক্ষপথের আকার ডিম্বাকৃতি। অর্থাৎ, একটি চন্দ্রযান পৃথিবীর চারপাশে এমন একটি কক্ষপথে ছিল, যার দূরত্ব (পৃথিবী থেকে) একটি জায়গায় ন্যূনতম এবং ঠিক তার উল্টোদিকে বৃহত্তম। এই ন্যূনতম দূরত্বের অবস্থানকে বলা হয় পেরিজি (অর্থ- পৃথিবীর কাছে)। অন্যদিকে দীর্ঘতম দূরত্বের পয়েন্টকে বলা হয় অ্যাপোজি (অর্থ- পৃথিবীর দূরে)।

    গতি ও কক্ষপথ বদলের নেপথ্যে ‘পেরিজি ফায়ারিং’! সেটা কী?

    এই ভাবে পৃথিবীর চারদিকে প্রদক্ষিণ করতে করেত কয়েক দিন অন্তর যখন ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3) ওই পেরিজি পয়েন্টে এসে পৌঁছত, তখন বেঙ্গালুরুতে স্থিত ইসরোর মিশন কন্ট্রোল (ISTRAC) থেকে ‘চন্দ্রযান ৩’ মডিউলে থাকা রকেটে সীমিত সময়ের জন্য ফায়ারিং করিয়ে তার কক্ষপথ বাড়িয়ে দেওয়া হতো। বিজ্ঞানের পরিভাষায় একে বলা হয় প্রথম আর্থ-বাউন্ড পেরিজি ফায়ারিং (Earth Bound Perigee Firing)। এটা সম্ভব হতো কারণ, ‘চন্দ্রযান ৩’-এর দিশা যে দিকে থাকত, ঠিক সেই দিকে তার মাথা থাকতো, আর রকেট ইঞ্জিন থাকতো লেজ বা পিছনের দিকে। রকেট ফায়ারিংয়ের ফলে, ‘চন্দ্রযান ৩’ মডিউলের গতি বেড়ে যেত। এক কথায় তাকে কিছুটা বাড়তি ধাক্কা দিয়ে গতি বৃদ্ধি করে দেওয়া হতো, যার ফলস্বরূপ, কক্ষপথের পরিধিও বেড়ে যেত।

    পৃথিবীর বৃত্তে কেমন ছিল ‘চন্দ্রযান ৩’-এর কক্ষপথ বদল?

    এই ফায়ারিং যেহেতু পেরিজিতে করা হতো, তাই পেরিজি-দূরত্বে খুব একটা হের-ফের না হলেও অ্যাপোজি-দূরত্ব অনেকটা বেড়ে যেত। যেমন, অরবিট রেইজিং ম্যানুভারের (Orbit Raising Maneuvre) ফলে ‘চন্দ্রযান ৩’-এর কক্ষপথের পরিধি বেড়ে হয়েছিল ১৭৩ কিমি x ৪১,৭৬২ কিমি। এর পর পর্যায়ক্রমে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ ম্যানুভারের পর ‘চন্দ্রযান ৩’ কক্ষপথের পরিধি হয় যথাক্রমে ২২৬ কিমি x ৪১,৬০৩ কিমি, ২২৮ কিমি x ৫১,৪০০ কিমি এবং ২৩৩ কিমি x ৭১,৩৫১ কিমি। শেষ তথা পঞ্চম ম্যানুভারে ‘চন্দ্রযান ৩’-এর (Chandrayaan 3) কক্ষপথের পরিধি বেড়ে হয়েছিল ২৩৬ কিমি x ১,২৭,৬০৯ কিমি। পাঁচবার চক্কর কাটার পর, প্রয়োজনীয় গতি জোগাড় করা ‘চন্দ্রযান ৩’-কে গত ১ অগাস্ট নিক্ষেপ করা হয় চন্দ্র-বৃত্তে। এর পর প্রায় পৌনে চার লক্ষ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে গত শনিবার চন্দ্র-কক্ষপথে প্রবেশ করে ‘চন্দ্রযান ৩’। চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির আওতায় চলে আসে ভারতের মহাকাশযান (ISRO Moon Mission)। এবার তখন থেকে শুরু হয় উল্টো পদ্ধতি— অর্থাৎ গতি ও কক্ষপথের পরিধি কমানোর পালা। কী করে তা সম্ভব হলো?

    রিভার্স-গিয়ারে চাঁদের চারপাশে ঘুরছে ‘চন্দ্রযান ৩’! কীভাবে?

    ইসরোর বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, চন্দ্র কক্ষপথে প্রবেশ করানোর সময় এমনভাবে রকেট ফায়ারিং করা হয়, যাতে দিশা এক থাকলেও, ‘চন্দ্রযান ৩’-এর মাথা ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে যায়। অর্থাৎ, পৃথিবী থেকে চাঁদের দিকে এগনোর সময় ‘চন্দ্রযান ৩’-এর মাথা ছিল চন্দ্র-অভিমুখে। এবার মডিউলের মুখ বিপরীত দিকে থাকায় চাঁদের চারপাশে মহাকাশযান প্রদক্ষিণ করে চলেছে পিছন দিকে মুখ করে। এক কথায়, যেন ‘চন্দ্রযান ৩’ চাঁদের চারপাশে ঘুরে চলেছে ব্যাক বা রিভার্স-গিয়ারে। অর্থাৎ, ‘চন্দ্রযান ৩’-এর দিশা যেদিকে রয়েছে, সেদিকে রয়েছে রকেটের ইঞ্জিন। এবার লুনার পেরিজি ফায়ারিং বা পেরিলিউন ফায়ারিং-এর (Perilune Firing) মাধ্যমে সীমিত সময়ের জন্য রকেট চালানো হচ্ছে। এর ফলে, রকেট ব্যাক-থ্রাস্ট দিচ্ছে মহাকাশযানকে। অনেকটা ব্রেক কষার মতো। ফলস্বরূপ, এইভাবে বারে বারে ধাক্কা খেতে খেতে গতি ও পরিধি কমিয়ে নিচ্ছে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। এক কথায়, আর্থ-বাউন্ড ম্যানুভারের ঠিক বিপরীত হচ্ছে মুন-বাউন্ড ম্যানুভার। কারণ, যে রকেট পৃথিবীর কক্ষে ‘চন্দ্রযান ৩’-এর গতি বাড়াতে সাহায্য করছিল, তা এখন উল্টোভাবে রেট্রো-রকেটের ভূমিকা পালন করে গতি কমাতে সাহায্য করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: প্রথম চন্দ্র-কক্ষপথ বদল প্রক্রিয়া সফল, চাঁদের আরও কাছে ‘চন্দ্রযান ৩’

    Chandrayaan 3: প্রথম চন্দ্র-কক্ষপথ বদল প্রক্রিয়া সফল, চাঁদের আরও কাছে ‘চন্দ্রযান ৩’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত শনিবারই চন্দ্র-কক্ষপথে প্রবেশ করেছিল ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। গতকাল চাঁদের প্রথম ছবি পাঠিয়েছে ভারতের তৃতীয় চন্দ্র মহাকাশযান। সেই সঙ্গে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, চাঁদের আরও কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে ‘চন্দ্রযান ৩’।  

    এর সঙ্গে সঙ্গেই, গতকাল আরেকটি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে ‘চন্দ্রযান ৩’। একটি ট্যুইটে ইসরো জানিয়েছে, চাঁদের চারপাশ প্রদক্ষিণ করতে করতে গতকাল রাত ১১টা নাগাদ প্রথম বার কক্ষপথ সঙ্কোচন সফলভাবে ঘটিয়েছে ‘চন্দ্রযান ৩’। বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হচ্ছে মুন-বাউন্ড ম্যানুভার (Moon-bound Maneuvre)। ইসরো জানিয়েছে, চাঁদ থেকে এই মুহূর্তে চন্দ্রযানের দূরত্ব মাত্র ৪ হাজার ৩১৩ কিলোমিটার। ইসরোর ট্যুইট অনুযায়ী, ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3) বর্তমানে ১৭০ কিমি (অ্যাপোলিউন বা চন্দ্র থেকে নিকটে) x ৪,৩১৩ কিমি (পেরিলিউন বা চন্দ্র থেকে দূরে) কক্ষপথে অবস্থান করছে। 

    ধাপে ধাপে এমনই কয়েক বার কক্ষপথ পরিবর্তন করে চাঁদে পৌঁছবে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। দ্বিতীয় কক্ষপথ সঙ্কোচন প্রক্রিয়া হতে চলেছে ৯ অগাস্ট দুপুর ১টা থেকে ২টোর মধ্যে। মোট পাঁচ বার কক্ষপথ পরিবর্তনের পরিকল্পনা রয়েছে ইসরোর। এইভাবে বার বার কক্ষপথ সঙ্কোচন এবং সেই সঙ্গে গতি কমিয়ে চন্দ্রের ১০০ কিমি কক্ষপথে অবতরণ করবে ‘চন্দ্রযান ৩’ মডিউল। সেখানে পৌঁছনোর পর ‘চন্দ্রযান ৩’ মডিউলের থেকে ল্যান্ডার মডিউল আলাদা হবে। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে সেখান থেকে সম্ভবত আগামী ২৩ তারিখ চূড়ান্ত অবতরণ বা ‘টাচডাউন’-এর দিকে এগিয়ে যাবে ল্যান্ডার মডিউল। সম্ভবত, অগাস্টের ২৩ তারিখ হবে কাঙ্খিত ‘সফট-ল্যান্ডিং’।

    গত ১৪ জুলাই শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে এলভিএম-৩ রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিল ‘চন্দ্রযান ৩’। টানা ১৮ দিন পৃথিবীর চারপাশে ঘুরতে ঘুরতে একদিকে কক্ষপথের পরিধি বৃদ্ধি করার পাশাপাশি গতিও বাড়িয়ে চলেছিল ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। পাঁচবার এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর গত ১ অগাস্ট এক লাফে চন্দ্র-বৃত্তে পৌঁছে যায় ‘চন্দ্রযান ৩’। সেখান থেকে প্রায় পৌনে চার লক্ষ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে ‘চন্দ্রযান ৩’ পৌঁছে যায় চাঁদের কক্ষপথের কাছে। পরের ধাপে গত ৫ তারিখ, চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির আওতায় চলে আসে ‘চন্দ্রযান ৩’। সেই থেকে চাঁদের চারদিকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে ভারতের মহাকাশযান। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: আজ সন্ধ্যায় চন্দ্র-কক্ষপথে প্রবেশ করতে চলেছে ‘চন্দ্রযান ৩’! কতটা তাৎপর্যপূর্ণ এই ধাপ?

    Chandrayaan 3: আজ সন্ধ্যায় চন্দ্র-কক্ষপথে প্রবেশ করতে চলেছে ‘চন্দ্রযান ৩’! কতটা তাৎপর্যপূর্ণ এই ধাপ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, শনিবার বড়ো পরীক্ষার সামনে ভারতের ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। সব ঠিকঠাক চললে, আর কয়েক-ঘণ্টা পরে আজ সন্ধ্যায় চন্দ্র কক্ষপথে প্রবেশ করতে চলেছে চন্দ্র-মহাকাশযান (ISRO Moon Mission)। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। ট্যুইট করে এমনটাই জানিয়েছে ইসরো। সংস্থা আরও জানিয়েছে, দুই-তৃতীয়াংশ পথ ইতিমধ্যেই পাড়ি দিয়ে ফেলেছে ‘চন্দ্রযান ৩’। আজকের এই প্রক্রিয়া সফল হলে, স্বপ্নপূরণের পথে একটা গুরুত্বপূর্ণ ধাপ উতরে যাবে ভারতের মহাকাশযান।

    আজ সন্ধ্যায় ঠিক কী হতে চলেছে?

    ভারতের ‘চন্দ্রযান ৩’ বর্তমানে চন্দ্র-বৃত্তে (Moon Sphere) অবস্থান করছে। ইসরো জানিয়েছে, আজ সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করবে। বিজ্ঞানের পরিভাষায় একে বলা হচ্ছে লুনার অরবিট অনসার্টশন (Lunar Orbit Insertion)। অর্থাৎ, এখান থেকেই চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির আওতায় চলে আসবে ‘চন্দ্রযান ৩’। ইসরোর বিজ্ঞানীদের মতে, প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত জটিল, নিখুঁত অঙ্কের উপর নির্ভর করছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, বিশেষ ইঞ্জিন ফায়ার করে মহাকাশযানের বেগ ও দিশা নিয়ন্ত্রণ করে তাকে সঠিক লক্ষ্যের দিকে পাঠানো হবে। ইসরো জানিয়েছে, এই সময় চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪০ হাজার কিলোমিটার দূরত্বে থাকবে ‘চন্দ্রযান ৩’।

    এর আগে কী কী প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে?

    গত ১৪ জুলাই শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে এলভিএম-৩ রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিল ‘চন্দ্রযান ৩’ মডিউল (ISRO Moon Mission)। সেই থেকে টানা ১৮ দিন পৃথিবীর চারপাশে ঘুরে চলেছিল (Earth-bound Maneuvre) এই মহাকাশযান। অর্থাৎ, ততদিন পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির ঘেরাটোপেই ছিল ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। তবে, পৃথিবীর চারপাশে প্রদক্ষিণ করতে করতে নিজের কক্ষপথ পাঁচবার বাড়িয়ে নিয়েছিল ‘চন্দ্রযান ৩’। এই প্রক্রিয়া, বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলা হচ্ছে অরবিট রেইজিং ম্যানুভার (Orbit Raising Maneuvre), তার মাধ্যমে কক্ষপথ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নিজের গতিও বাড়িয়ে নিয়েছিল ‘চন্দ্রযান ৩’।

    এর পর, গত ১ অগাস্ট মধ্যরাতে বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ‘চন্দ্রযান ৩’-কে নিক্ষেপ করা হয় বা ঠেলে দেওয়া হয় চাঁদের রাস্তায়। বিজ্ঞানের পরিভাষায় এই প্রক্রিয়াকে বলা হচ্ছে ট্রান্সলুনার ইঞ্জেকশন (Translunar Injection)। বেঙ্গালুরুতে স্থিত ইসরোর মিশন কন্ট্রোল (ISTRAC) থেকে ‘চন্দ্রযান ৩’ মডিউলে থাকা রকেটে সীমিত সময়ের জন্য ফায়ারিং বা চালু করা হয়। প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত সুক্ষ্ম ও জটিল ছিল বলে জানান ইসরোর বিজ্ঞানীরা। এর ফলে, পৃথিবীর টান পাকাপাকিভাবে কাটিয়ে চন্দ্র-বৃত্তে প্রবেশ করেছিল ‘চন্দ্রযান ৩’ (Lunar Transfer Trajectory)।

    আজকের পর কী হতে চলেছে?

    চন্দ্র-কক্ষপথে পৌঁছে ফের চাঁদের চারপাশে ঘুরপাক খেতে শুরু করবে ‘চন্দ্রযান ৩’। বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হচ্ছে মুন-বাউন্ড ম্যানুভার (Moon-bound Maneuvre)। এর মাধ্যমে ‘চন্দ্রযান ৩’ নিজের কক্ষপথের পরিধি ও গতি দুই-ই ধীরে ধীরে কমিয়ে আনবে। বিশেষ রেট্রো-রকেট ইঞ্জিন ফায়ার করে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। জানা গিয়েছে, চাঁদকে চার থেকে পাঁচবার প্রদক্ষিণ করবে ‘চন্দ্রযান ৩’। এর পর, শেষ ধাপে যখন চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০০ কিলোমিটার ওপরে থাকবে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3), তখন মহাকাশযান মডিউল থেকে পৃথক হয়ে চূড়ান্ত অবতরণ বা ‘টাচডাউন’-এর দিকে এগিয়ে যাবে ল্যান্ডার মডিউল। সম্ভবত, অগাস্টের ২৩ তারিখ হবে কাঙ্খিত ‘সফট-ল্যান্ডিং’।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Chandrayaan 3: শনিবারই প্রবেশ চন্দ্র-কক্ষপথে! পৃথিবীর টান কাটিয়ে চাঁদের পথে এগোচ্ছে ‘চন্দ্রযান ৩’

    Chandrayaan 3: শনিবারই প্রবেশ চন্দ্র-কক্ষপথে! পৃথিবীর টান কাটিয়ে চাঁদের পথে এগোচ্ছে ‘চন্দ্রযান ৩’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চন্দ্রাভিযানে (ISRO Moon Mission) গুরুত্বপূর্ণ ধাপ পার করলো ইসরো। পৃথিবীর ‘মায়া’ কাটিয়ে চাঁদের দেশের উদ্দেশে রওনা দিল ভারতের ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। সোমবার রাত সোয়া ১২টা নাগাদ পৃথিবীর কক্ষপথে থেকে ‘চন্দ্রযান ৩’-কে ঠেলে বের করে দেওয়া হয়। বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলা হচ্ছে লুনার ট্রান্সফার ট্যাজেক্টরি। এর ফলে, পাকাপাকিভাবে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি কাটিয়ে এবার চন্দ্র-বৃত্ত বা চন্দ্র কক্ষপথের দিকে এগিয়ে চলেছে ‘চন্দ্রযান ৩’।

    মধ্যরাতে ঠিক কী ঘটেছে?

    এটা সকলেই জানেন যে, নিজের কক্ষপথে সূর্যের চারপাশে প্রদক্ষিণ করে চলেছে পৃথিবী। এই কক্ষপথকে বলা হয় আর্থ অরবিট। ঠিক একইভাবে, চাঁদও পৃথিবীর চারদিকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে। আর চাঁদ সেই প্রদক্ষিণ করে চলে তার নিজস্ব কক্ষপথ ধরেই। যাকে বলা হয় লুনার অরবিট। আবার চাঁদ একইধারে পৃথিবীর সঙ্গেই সূর্যের চারপাশেও প্রদক্ষিণ করছে। ইসরো কর্তাদের মতে, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। কারণ, ‘চন্দ্রযান ৩’-কে এক কথায় নিক্ষেপ করা হলো বা ঠেলে দেওয়া হলো চাঁদের রাস্তায়। বিজ্ঞানের পরিভাষায় এই প্রক্রিয়াকে বলা হচ্ছে ট্রান্সলুনার ইঞ্জেকশন।

    কেন তাৎপর্যপূর্ণ এই প্রক্রিয়া?

    ইসরো জানিয়েছে, সোমবার রাত সওয়া ১২টা নাগাদ মিশন কন্ট্রোল (ISTRAC) থেকে ‘চন্দ্রযান ৩’ মডিউলে থাকা রকেটে সীমিত সময়ের জন্য ফায়ারিং বা চালু করা হয়। এই প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত সুক্ষ্ম ও জটিল বলে জানিয়েছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। একেবারে সেকেন্ডের ভগ্নাংশ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অঙ্ক কষে সেই হিসেব অনুযায়ী রকেট ফায়ার করতে হয়েছে। বিজ্ঞানীদের মতে, এটা এতটাই সুক্ষ্ম যে, এক সেকেন্ডের হেরফের হয়ে গেলেই ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3) চাঁদের দিকে এগনোর বদলে সোজা চিরতরে গভীর মহাকাশে (Deep Space) হারিয়ে যেতে পারতো। কিন্তু, ইসরোর বিজ্ঞানীদের কুর্ণিশ (ISRO Moon Mission)। একেবারে সঠিক অঙ্ক কষেই তাঁরা ‘চন্দ্রযান ৩’ মহাকাশযানকে তার নির্দিষ্ট লক্ষ্যের দিকেই ঠেলে পাঠিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছেন।

    এতদিন কোথায় ছিল ‘চন্দ্রযান ৩’?

    গত ১৪ জুলাই শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে এলভিএম-৩ রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিল ‘চন্দ্রযান ৩’ মডিউল। সেই থেকে টানা ১৮ দিন পৃথিবীর চারপাশে ঘুরে চলেছিল এই মহাকাশযান। অর্থাৎ, এতদিন পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির ঘেরাটোপেই ছিল ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। তবে, ঘোরার ফাঁকে নিজের গতিও বাড়িয়ে চলছিল। পৃথিবীর চারপাশে প্রদক্ষিণ করতে করতে নিজের কক্ষপথ পাঁচবার বাড়িয়ে নিয়েছিল ‘চন্দ্রযান ৩’। এই প্রক্রিয়া, বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলা হচ্ছে অরবিট রেইজিং ম্যানুভার, তার মাধ্যমে কক্ষপথের সঙ্গে সঙ্গে গতি বাড়িয়ে নিচ্ছিল ‘চন্দ্রযান ৩’। গতকাল সে শেষবারের মতো পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে। তারপর মধ্যরাতে, ‘চন্দ্রযান ৩’-কে চাঁদের রাস্তায় ঠেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

    এবার কী হবে? পরের ধাপ কী?

    এখন লম্বা পথ পাড়ি দিতে হবে ‘চন্দ্রযান ৩’-কে (Chandrayaan 3)। প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিয়ে ‘চন্দ্রযান ৩’ সোজা এগিয়ে যাবে চাঁদের দিকে। জানা যাচ্ছে, ৫ থেকে ৬ অগাস্ট চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করবে ‘চন্দ্রযান ৩’। এই বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলা হচ্ছে লুনার অরবিট ইনসার্টশন। তারপর চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শেষ পর্যন্ত ভারতের চন্দ্রযানকে চন্দ্র কক্ষপথে টেনে আনবে। সেখানে একইভাবে পাঁচবার চাঁদের কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতে নিজের কক্ষপথ সঙ্কোচন ও গতি কমানোর প্রক্রিয়া চালাবে ‘চন্দ্রযান ৩’। বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলা হচ্ছে মুন-বাউন্ড ম্যানুভার। শেষ ধাপে চাঁদের ১০০ কিলোমিটারের কক্ষপথে পৌঁছে পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহের বুকে চূড়ান্ত অবতরণের প্রক্রিয়া শুরু হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Chandrayaan 3: আজ মধ্যরাতে চাঁদের রাস্তায় পাড়ি দেবে ‘চন্দ্রযান ৩’, কতটা গুরুত্বপূর্ণ এই প্রক্রিয়া?

    Chandrayaan 3: আজ মধ্যরাতে চাঁদের রাস্তায় পাড়ি দেবে ‘চন্দ্রযান ৩’, কতটা গুরুত্বপূর্ণ এই প্রক্রিয়া?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের চন্দ্র মিশনে (ISRO Moon Mission) আজ একটা গুরুত্বপূর্ণ দিন। আজ মধ্যরাতে ঘটতে চলছে এক গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। সব ঠিকঠাক চললে, আজ রাত থেকে চাঁদের দিকে সরাসরি এগিয়ে যাবে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)।

    এখন ঠিক কোথায় আছে ‘চন্দ্রযান ৩’?

    গত ১৪ জুলাই শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে এলভিএম-৩ রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিল ‘চন্দ্রযান ৩’ মডিউল (ISRO Moon Mission)। সেই থেকে টানা ১৮ দিন পৃথিবীর চারপাশে ঘুরে চলেছে এই মহাকাশযান। অর্থাৎ, এখনও পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির ঘেরাটোপেই রয়েছে ‘চন্দ্রযান ৩’। তবে, ঘোরার ফাঁকে নিজের গতিও বাড়িয়ে চলেছে। এখনও পর্যন্ত পৃথিবীর চারপাশে প্রদক্ষিণ করতে করতে নিজের কক্ষপথ পাঁচবার বাড়িয়ে নিয়েছে ‘চন্দ্রযান ৩’। এই প্রক্রিয়া, বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলা হচ্ছে অরবিট রেইজিং ম্যানুভার, তার মাধ্যমে কক্ষপথের সঙ্গে সঙ্গে গতি বাড়িয়ে নিয়েছে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। বর্তমানে পৃথিবীকে শেষবার প্রদক্ষিণ করছে মহাকাশযানটি। যাকে বলা হচ্ছে ফাইনাল আর্থ-বাউন্ড ম্যানুভার। এখন সেটি রয়েছে পৃথিবী থেকে ১ লক্ষ ২৭ হাজার ৬০৯ কিলোমিটার (অ্যাপোজি বা পৃথিবী থেকে দূরে) x ২৩৬ কিলোমিটার (পেরিজি বা পৃথিবী থেকে নিকট) পরিধির ডিম্বাকৃতি কক্ষপথে। 

    আজ মধ্যরাতে কী ঘটতে চলেছে?

    আজ রাতে ইসরোর মিশন কন্ট্রোল থেকে ‘চন্দ্রযান ৩’ মডিউলে থাকা রকেটে সীমিত সময়ের জন্য ফায়ারিং বা চালু করা হবে। এর ফলে, ফের একবার কক্ষপথ পরিবর্তন করবে ‘চন্দ্রযান ৩’। তবে তফাতের মধ্যে, এবার আর পৃথিবীর কক্ষপথে সীমাবদ্ধ থাকবে না ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। আজকের এই বিশেষ প্রক্রিয়ার ফলে, ‘চন্দ্রযান ৩’ সোজা এক লাফে প্রতিস্থাপিত হবে চাঁদের কক্ষপথের রাস্তায়। বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলা হচ্ছে ‘লুনার ট্রান্সফার ট্যাজেক্টরি’। ইসরো সূত্রে খবর, এই বিশেষ প্রক্রিয়াটি হতে চলেছে রাত ১২টা থেকে রাত দেড়টার মধ্যে। 

    কেন তাৎপর্যপূর্ণ এই প্রক্রিয়া?

    এটা সকলেই জানেন যে, নিজের কক্ষপথে সূর্যের চারপাশে প্রদক্ষিণ করে চলেছে পৃথিবী। এই কক্ষপথকে বলা হয় আর্থ অরবিট। ঠিক একইভাবে, চাঁদও পৃথিবীর চারদিকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে। আর চাঁদ সেই প্রদক্ষিণ করে চলে তার নিজস্ব কক্ষপথ ধরেই। যাকে বলা হয় লুনার অরবিট। আবার চাঁদ একইধারে পৃথিবীর সঙ্গেই সূর্যের চারপাশেও প্রদক্ষিণ করছে। ইসরো কর্তাদের মতে, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। কারণ, আজ ‘চন্দ্রযান ৩’-কে এক কথায় নিক্ষেপ করা হবে বা ঠেলে দেওয়া হবে চাঁদের রাস্তায়। বিজ্ঞানের পরিভাষায় এই প্রক্রিয়াকে বলা হচ্ছে ‘ট্রান্সলুনার ইঞ্জেকশন’। 

    আজই কি চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছে যাবে ‘চন্দ্রযান ৩’?

    আজকের বিশেষ প্রক্রিয়ার ফলে চাঁদের কক্ষপথের দিকে এগিয়ে যাবে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। এরপর প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিয়ে ‘চন্দ্রযান ৩’ সোজা এগিয়ে যাবে চাঁদের দিকে। জানা যাচ্ছে, ৫ থেকে ৬ অগাস্ট চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করবে ‘চন্দ্রযান ৩’। এই বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলা হচ্ছে ‘লুনার অরবিট ইনসার্টশন’। তারপর চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শেষ পর্যন্ত ভারতের চন্দ্রযানকে চন্দ্র কক্ষপথে টেনে আনবে। সেখানে একইভাবে পাঁচবার চাঁদের কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতে নিজের কক্ষপথ সঙ্কোচন ও গতি কমানোর প্রক্রিয়া চালাবে ‘চন্দ্রযান ৩’। বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলা হচ্ছে মুন-বাউন্ড ম্যানুভার। শেষ ধাপে চাঁদের ১০০ কিলোমিটারের কক্ষপথে পৌঁছে পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহের বুকে চূড়ান্ত অবতরণের প্রক্রিয়া শুরু হবে।

    কোথায় অবতরণ করবে?

    ইসরোর (ISRO Moon Mission) তরফে জানানো হয়েছে, চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে অবতরণ করবে ‘চন্দ্রযান ৩’-এর (Chandrayaan 3) ল্যান্ডার এবং রোভার। ৭০ ডিগ্রি দ্রাঘিমায় অবতরণ করার কথা এই মহাকাশযানের। এই এলাকাটি চাঁদের দক্ষিণ মেরু থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ২৩ বা ২৪ তারিখ চাঁদে অবতরণ করার পর সেখানে গবেষণা চালাবে ‘চন্দ্রযান ৩’। এখনও পর্যন্ত যে তিনটি দেশ চাঁদে পা রেখেছে, তাদের কেউই চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করতে পারেনি। চাঁদের নিরক্ষীয় অঞ্চলের কাছে অবতরণ করেছে তারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: সফল পঞ্চম কক্ষপথ বৃদ্ধি প্রক্রিয়া, শেষ বারের মতো পৃথিবীর চক্কর কাটছে ‘চন্দ্রযান ৩’

    Chandrayaan 3: সফল পঞ্চম কক্ষপথ বৃদ্ধি প্রক্রিয়া, শেষ বারের মতো পৃথিবীর চক্কর কাটছে ‘চন্দ্রযান ৩’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পৃথিবীর চারদিকে চক্কর কাটার শেষ ল্যাপে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। শেষ বারের মতো পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে মহাকাশযান। এর পর, চিরতরে পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চাঁদের দেশে পাড়ি দেবে ‘চন্দ্রযান ৩’। পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, মঙ্গলবার দুপুরে মহাকাশযানের পঞ্চম তথা শেষ অরবিট রেইজিং ম্যানুভার বা কক্ষপথ পরিধি প্রসার প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

    কোথায় রয়েছে ‘চন্দ্রযান ৩’ 

    এদিন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর তরফে একটি ট্যুইট করে এই খবর জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, বেঙ্গালুরু-স্থিত ইসরোর কমান্ড সেন্টার ‘ইসট্র্যাক’ থেকে সফলভাবে পঞ্চম আর্থ-বাউন্ড ম্যানুভার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। এদিনের প্রক্রিয়ার ফলে, বর্তমানে পৃথিবী থেকে ১ লক্ষ ২৭ হাজার ৬০৯ কিলোমিটার (অ্যাপোজি বা পৃথিবীর দূরে) X ২৩৬ কিলোমিটার (পেরিজি বা পৃথিবীর নিকট) পরিধির ডিম্বাকৃতি কক্ষপথে প্রতিস্থাপিত হয়েছে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)।

    ১ অগাস্ট মধ্যরাতে গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া হতে চলেছে!

    ইসরোর (ISRO Moon Mission) তরফে জানানো হয়েছে, এর পরের ধাপ আসতে চলেছে ১ অগাস্ট। সেটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। কারণ, ওই দিন রাত ১২টা থেকে রাত ১টার মধ্যে একটা বড় লাফ দিতে চলেছে ‘চন্দ্রযান ৩’, যাকে বলা হচ্ছে ট্রান্সলুনার ইঞ্জেকশন। বিশেষ রকেট ফায়ার করানোর মাধ্যমে ‘চন্দ্রযান ৩’-কে পাঠিয়ে দেওয়া হবে চাঁদের কক্ষপথের উদ্দেশে। বিজ্ঞানের পরিভাষায় লুনার ট্রান্সফার ট্যাজেক্টরি। এক কথায়, চাঁদের কক্ষপথের দিকে ঠেলে দেওয়া হবে ‘চন্দ্রযান ৩’-কে। এটা এই কারণে গুরুত্বপূর্ণ কারণ, সেদিনই পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তিকে চিরতরে হারিয়ে ৩ লক্ষ ৮৬ হাজার কিলোমিটার দূরে থাকা চাঁদের দিকে এগিয়ে যাবে ‘চন্দ্রযান ৩’। 

    ৫ থেকে ৬ অগাস্টে চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ

    জানা যাচ্ছে, ৫ থেকে ৬ অগাস্ট চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করবে ‘চন্দ্রযান ৩’। তারপর চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শেষপর্যন্ত ভারতের চন্দ্রযানকে চন্দ্র কক্ষপথে টেনে আনবে। সেখানে একইভাবে বার বার রিভার্স ম্যানুভারিংয়ের মাধ্যমে নিজের কক্ষপথ সঙ্কোচন ও গতি কমানোর প্রক্রিয়া চালাবে ‘চন্দ্রযান ৩’। অবশেষে চাঁদের ১০০ কিলোমিটারের কক্ষপথে পৌঁছে পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহের বুকে চূড়ান্ত অবতরণের প্রক্রিয়া শুরু হবে। ২৩ বা ২৪ তারিখ চাঁদে অবতরণ করার পর সেখান থেকে ছবি পাঠাবে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)।

    ধাপে ধাপে কক্ষপথ পরিধি প্রসারণ

    ১৪ জুলাই, অর্থাৎ, গত শুক্রবার শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে ‘চন্দ্রযান ৩’-কে নিয়ে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিল ‘এলভিএম-৩’ রকেট (ISRO Moon Mission)। পৃথিবীর ওপর একটা নির্দিষ্ট কক্ষপথে প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল ‘চন্দ্রযান ৩’-কে। সেই থেকে এখনও পর্যন্ত পৃথিবীর চারদিকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে ‘চন্দ্রযান ৩’ (Chandrayaan 3)। বলা যেতে পারে, এখনও পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ আওতায় রয়েছে ‘চন্দ্রযান ৩’। প্রতি প্রদক্ষিণে নিজের কক্ষপথের আয়তনের সঙ্গে সঙ্গে গতি বৃদ্ধিও করে চলেছে এই মহাকাশযান। এর আগে, ১৫ তারিখে প্রথম, ১৭ তারিখে দ্বিতীয়, ১৮ তারিখে তৃতীয় ও ২০ তারিখে চতুর্থ অরবিট রেইজিং ম্যানুভার সম্পন্ন করেছিল ‘চন্দ্রযান ৩’। প্রতিবার নিজের কক্ষপথের পরিধি বৃদ্ধি করেছে ‘চন্দ্রযান ৩’। মঙ্গলবার অর্থাৎ ২৫ জুলাই সম্পন্ন হল পঞ্চম তথা চূড়ান্ত ম্যানুভার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gaganyaaan Mission: জোর কদমে চলছে গগনযান মিশনের প্রস্তুতি, ইসরোর পাশাপাশি ব্যস্ত নৌবাহিনীও, কেন জানেন?

    Gaganyaaan Mission: জোর কদমে চলছে গগনযান মিশনের প্রস্তুতি, ইসরোর পাশাপাশি ব্যস্ত নৌবাহিনীও, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালে প্রথমবার মহাকাশে নভোশ্চর পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে ইসরো। নাম দেওয়া হয়েছে গগনযান মিশন (Gaganyaaan Mission)। আপাতত তারই প্রস্তুতি চলছে। এনিয়ে ইসরোর গবেষণা কেন্দ্রে চলছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা। ইসরো চাইছে দেশের তরফে প্রথম পাঠানো নভোশ্চরকে নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনতে। জানা গিয়েছে, আগামী বছর নভোশ্চর নিয়ে পৃথিবী থেকে ৪০০ কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছবে এই গগনযান।

    তিনদিনের মিশন

    তিনদিনের এই মিশন শেষে নভোশ্চরদের ফিরিয়ে আনা হবে পৃথিবীতে। মহাকাশ সফর শেষে মাঝ সমুদ্রে নামানো হবে নভোশ্চরবাহী এই মহাকাশযানটিকে। সেখান থেকে তাঁদের উদ্ধার করবেন নৌবাহিনীর সদস্যরা। সেই কারণে ইসরোর বিজ্ঞানীদের পাশাপাশি চরম ব্যস্ততা ভারতীয় নৌবাহিনীতেও। কীভাবে মহাকাশ ফেরত নভোশ্চরদের (Gaganyaaan Mission) সমুদ্র থেকে উদ্ধার করা হবে, তার দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল সেরে ফেলল ইসরো ও ভারতীয় নৌবাহিনী। ২০ জুলাই বিশাখাপত্তনমের নাভাল ফেরিঘাটে হয়েছিল ট্রায়াল-পর্ব। এই পর্বে দেখা হয়েছে, মহাকাশযানটি মাঝ সমুদ্রে অবতরণ করলে কীভাবে উদ্ধার করা হবে মহাকাশচারীদের।

    আশার আলো দেখছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরাও

    মহাকাশযানটি অবতরণ করার সঙ্গে সঙ্গেই নভোশ্চরদের উদ্ধার করা হবে না। এজন্য পার হতে হবে বেশ কয়েকটি পর্যায়। এই ধাপগুলি পেরিয়েই মহাকাশযানটি থেকে একে একে উদ্ধার করে আনা হবে নভোশ্চরদের। দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল পর্ব সফল হওয়ায় আশার আলো দেখছেন নৌবাহিনীর সদস্যরা। এই পর্যায়ে মাস অ্যান্ড শেপ সিমুলেটেড ক্রু মডিউল মকআপ ব্যবহার করা হয়েছে। যেহেতু নৌবাহিনীর তরফে এদিনের ট্রায়াল-পর্ব সফল হয়েছে, তাই মিশন গগনযান সফল হবে বলেই আশার আলো দেখছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরাও। জানা গিয়েছে, গগনযানে তিনজন নভোশ্চর থাকবেন। তাঁদের নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার যাবতীয় ব্যবস্থা ফুলপ্রুফ করতে চাইছেন ইসরোর বিজ্ঞানীদের পাশাপাশি নৌবাহিনীর কর্তাব্যক্তিরাও।

    আরও পড়ুুন: “বিশ্বের ছোট বড় সব মন্দিরের তালিকা তৈরি করুন”, নির্দেশ ভাগবতের

    প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই চন্দ্রযান-৩ এর সফল উৎক্ষেপণ করেছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। আগামী বছর তাঁদের লক্ষ্য গগনযান মিশন (Gaganyaaan Mission)। ওই বছরই ২৬ অগাস্ট থেকে শুরু হবে মিশন সূর্য। এজন্য ইসরো তৈরি করবে আদিত্য এল-ওয়ান। মিশন সূর্যর জন্য ব্যয় হতে পারে ৩৭৮ কোটি ৫৩ লক্ষ টাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

     

LinkedIn
Share