Category: বিজ্ঞান

Get updated Science and Research related news from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Artificial Intelligence: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জের, ৫ বছরে বিশ্বে কাজ হারাতে পারেন ১.৪ কোটি!

    Artificial Intelligence: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জের, ৫ বছরে বিশ্বে কাজ হারাতে পারেন ১.৪ কোটি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্যুইটারের মালিকানা ইলন মাস্কের হাতে যাওয়ার পর থেকেই সেখানে শুরু হয় একের পর এক ছাঁটাই। কাজ হারান বহু কর্মী। গুগল, মেটা, আমাজন প্রত্যেক সংস্থাই কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে এগিয়েছে বিগত এক বছর ধরে। করোনা পরবর্তী সময়ে বিশ্বব্যাপী আর্থিক মন্দাকেই দায়ী করছেন এক্ষেত্রে অর্থনীতিবিদরা। তবে আবারও নাকি বিশ্বজুড়ে চাকরি হারাতে চলেছেন অসংখ্য মানুষ। এবারে সংখ্যাটা দাঁড়াবে ১ কোটির ওপর। এমনই আশঙ্কার কথা শোনা যাচ্ছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম বা ডব্লিউইএফের রিপোর্টে। সেখানে বলা হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence) বা এআই-এর প্রয়োগ প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরফলে কর্মী সংকোচনের দিকে এগোতে পারে সংস্থাগুলি। আর শুধু এ কারণেই আগামী ৫ বছরে বিশ্ব জুড়ে কাজ হারাতে পারেন প্রায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ মানুষ।

    কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence) আশীর্বাদ না অভিশাপ…

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (Artificial Intelligence) বহুল ব্যবহারের ভাল দিক যেমন আছে, তেমনই রয়েছে নেতিবাচক কিছু বিষয়। তার মধ্যে অন্যতম হল কর্মীসঙ্কোচন। কারণ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগের জন্য সংস্থাগুলি যেমন কিছু কর্মী নিয়োগ করবে, তেমনই এর ব্যবহারের ফলে পুরনো অনেক কর্মীর আর প্রয়োজন বোধ করবে না সংস্থাগুলো। বিশেষত, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (Artificial Intelligence) প্রয়োগের ফলে ডেটা এন্ট্রি অপারেটর অথবা ক্যাশিয়ার পোস্টের কাজগুলোর জন্য দরকার পড়বেনা কোনও কর্মীর, এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে কাজের পরিধি বাড়বে ডেটা বিশ্লেষক বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশেষজ্ঞদের। সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে ২০২৭ ডেটা বিশ্লেষকদের চাহিদা বাড়বে ৩০ শতাংশ। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিভিন্ন টুল ব্যবহারের জন্য একদিকে যেমন বহু প্রশিক্ষিত কর্মীর দরকার পড়বে তেমনি কাজও হারাবেন বহু মানুষ। তাই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence) আশীর্বাদ না অভিশাপ।

    সমীক্ষা….

    রবিবার প্রকাশিত হয়েছে ডব্লিউইএফের একটি সমীক্ষা। সূত্রের খবর, সব মিলিয়ে বিশ্বের প্রায় ৮০০ সংস্থার কাছ থেকে তথ্য নিয়ে তৈরি হয়েছে রিপোর্ট। সুইৎজারল্যান্ডের দাভোসে এই সংস্থা প্রতি বছরই বিশ্বনেতাদের নিয়ে একটি আলোচনাসভার আয়োজন করে। চলতি বছরের আলোচনায় উঠে এসেছিল, ২০২৭ সালের মধ্যে সারা বিশ্বে ৬ কোটি ৯ লক্ষ নতুন চাকরি হবে। কিন্তু একই সঙ্গে ৮ কোটি ৩ লক্ষ মানুষ কর্মহীনও হয়ে পড়বেন। সমীক্ষা বলছে, আগামী ৬ বছর শুধু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বহুল ব্যবহারে প্রায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ মানুষের কাজ চলে যাবে। যা বর্তমান কর্মসংস্থানের প্রায় ২ শতাংশ প্রায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lunar Eclipse: পৃথিবীর ছায়ায় মুখ ঢাকবে চাঁদ! কবে দেখা যাবে এই বিরল মহাজাগতিক ঘটনা? 

    Lunar Eclipse: পৃথিবীর ছায়ায় মুখ ঢাকবে চাঁদ! কবে দেখা যাবে এই বিরল মহাজাগতিক ঘটনা? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ৫ মে বিরল এক মহাজাগতিক ঘটনা ঘটতে চলেছে রাতের আকাশে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, সূর্যের আলো তির্যকভাবে পৃথিবীতে পড়ে যে ছায়ার সৃষ্টি হয় তার একেবারে বাইরের অংশকে বলা হয় পেনুমব্রা। ৫ মে পৃথিবীর সেই সূক্ষ্ম আবছায়া অংশের মধ্যে দিয়ে যাবে চাঁদ। চন্দ্রগ্রহণের সময় রাত ৮টা ৪৪ মিনিট। তবে ভারতে এই চন্দ্রগ্রহণ (Lunar Eclipse) দেখা যাবেনা। জানা যাচ্ছে, এশিয়া, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ পূর্ব ইউরোপের কিছু অংশে দেখা যাবে।

    গ্রহণ ও পেনুমব্রার পার্থক্য

    সূর্যের আলোয় আলোকিত হয় চাঁদ। সূর্যের আলো চাঁদের উপর পড়ে প্রতিফলিত হলে চাঁদকে আলোকিত দেখায়। মহাজাগতিক নিয়মে সূর্য, পৃথিবী এবং চাঁদ এক সরলরেখায় চলে এলে, পৃথিবীর ছায়া চাঁদের উপর পড়ে। তখন হয় চন্দ্রগ্রহণ (Lunar Eclipse)। একই সরলরেখায় অবস্থান করলেও সূর্য, পৃথিবী এবং চাঁদের অবস্থানের উপর নির্ভর করে পূর্ণগ্রাস বা আংশিক (খণ্ড) গ্রাস, চন্দ্রগ্রহণ হয়।

    সূর্য, পৃথিবী এবং চাঁদ একই সরলরেখায় না অবস্থান করার কারণে পৃথিবী সূর্যের আলোর কিছু অংশ চাঁদে পৌঁছনো থেকে আটকে দেয় এবং চাঁদ আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে পৃথিবীর ছায়ার মধ্যে ঢুকে যায়। বস্তুত, চন্দ্রগ্রহণের উপযোগী পরিবেশ নির্ভর করে মূলত দু’টি বিষয়ের উপর। প্রথমত, পূর্ণচন্দ্র বা পূর্ণিমার সময় হতে হবে এবং দ্বিতীয়ত, সূর্য, পৃথিবী এবং চাঁদকে মোটামুটি ভাবে সরলরেখায় অবস্থান করতে হবে। আগামী ৫ মে, মহাকাশে তেমনই ঘটনা ঘটতে চলেছে। এই বিশেষ গ্রহণটিকে পেনুব্রাল গ্রহণও বলা হয়ে থাকে। কারণ, পৃথিবীর একেবারে বাইরের ছায়াকে বলা হয় পেনুমব্রা।

    আবার ২০৪২ সালে দেখা যাবে এই চন্দ্রগ্রহণ (Lunar Eclipse)

    জানা যাচ্ছে, এই বিরল মহাজাগতিক ঘটনাটি আগামী ৫ মের পর আবার দেখতে অপেক্ষা করতে হবে ২০ বছর। ২০৪২ সালে আবার এমন মহাজাগতিক ঘটনা ঘটবে। অর্থাৎ, আগামী ৫ মে-র গ্রহণ দেখতে না পারলে তেমন ঘটনার পুনরাবৃত্তির জন্য অপেক্ষা করতে হবে ১৯ বছর। ৫ মে-র চন্দ্রগ্রহণটি দেখা যাবে রাতের আকাশে। অর্থাৎ, গ্রহণের সময় বিশ্বের যে অর্ধেক অংশে রাত, সেখানে বিরল চন্দ্রগ্রহণটি দেখা যাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ISS: কী রহস্য লুকিয়ে রয়েছে মহাশূন্যে ভাসমান আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে?

    ISS: কী রহস্য লুকিয়ে রয়েছে মহাশূন্যে ভাসমান আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমাদের পৃথিবী ভেসে আছে এক মহাশূন্যে, আর সেই মহাশূন্যে লুকিয়ে আছে অজস্র রহস্য। সেইসব রহস্য ভেদ করতে পৃথিবীতে আছে অনেক স্পেস স্টেশন, যেখান থেকে বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর বহির্জগৎ নিয়ে প্রতিনিয়ত গবেষণা করে চলেছেন। কিন্তু আপনাদের কি জানা আছে, পৃথিবীর বাইরে অর্থাৎ মহাকাশেও আছে ভাসমান স্পেস স্টেশন, যেগুলি পৃথিবীকে প্রতিনিয়ত প্রদক্ষিণ করে চলেছে এবং মহাশূন্য থেকে বিভিন্ন গবেষণা করে চলেছে? ঠিক এরকমই একটি বৃহৎ আকারের স্পেস স্টেশন হল ISS বা ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন। এই স্পেস স্টেশনটি বিজ্ঞানীদের বসবাসযোগ্য এবং সেখানে অর্থাৎ মহাশূন্যে থেকেই বিজ্ঞানীরা গবেষণা করতে পারেন। 

    কী এই আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন?

    এই ISS বা আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন হল এখনও পর্যন্ত মহাকাশে ভাসমান সবথেকে বড় একটি স্পেস স্টেশন। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের মূল উদ্দেশ্য হল, মহাকাশ বিষয়ক যে কোনও বিষয়বস্তুকে আরও কাছে থেকে গবেষণা করা। মাইক্রোগ্র্যাভিটি, মহাকাশে মানুষের অভিযান, পৃথিবীর আবহওয়া ও বিভিন্ন ভৌগোলিক বিষয়বস্তু নিয়ে গবেষণা করা। ১৬টি দেশের সহযোগিতা ও প্রচেষ্টার ফসল এই ISS। এর মহাকাশ যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৮ সালের ২০ নভেম্বর কজাকাস্তানের বাইকোনুর কসমোড্রাম লঞ্চ সাইটের একটি লঞ্চ প্যাড থেকে। 

    ওজন ৪৫০ টন, আকারে প্রায় একটি ফুটবল মাঠের সমান

    এর (ISS) ওজন প্রায় ৪৫০ টনের কাছাকাছি। কিন্তু একদিনে এত বড় স্পেস স্টেশন পূর্ণতা পায়নি, পর পর ১২ বছর ধরে ৩০টিরও বেশি মিশনের মাধ্যমে পূর্ণতা পায় আইএসএস। প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ২৮০০ কিলোমিটারের বেশি বেগে পৃথিবীকে ৯০ মিনিটে একবার প্রদক্ষিণ করছে এটি, যা শুনলেই অবাক হতে হয়। এটি একদিনে ১৬ বার প্রদক্ষিণ করে পৃথিবীকে। পৃথিবীর লোয়ার আর্থ অরবিটে মাত্র ৪৮০ কিলোমিটার দূরত্বে এটি পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে। ১৫০ বিলিয়নের বেশি মার্কিন ডলার খরচে তৈরি এই স্পেস স্টেশন ২০১৫ সালের তথ্য অনুযায়ী ইতিহাসের তৈরি সবথেকে ব্যয়বহুল বস্তু। এতে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন কানাডা, ইউরোপিয়ন স্পেস এজেন্সি, রাশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের বিজ্ঞানীরা, যাঁরা ISS এর মধ্যে থেকে তাঁদের গবেষণার কাজ করেন। 

    রাতের আকাশে চোখ মেললে দেখা যায় ISS?

    হ্যাঁ, ঠিকই তাই। খোলা চোখে পৃথিবীতে বসেও আমরা দেখতে পাই এই ISS কে। অনেক সময় রাতের আকাশে চোখ রাখলে দেখা যায়, আলোকিত উজ্জ্বল তারার মতো একটি বস্তু এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ভেসে চলেছে। সেটিই ISS যা অনেক সাধারণ মানুষই নজর করেছেন। 

    ISS এর ভবিষ্যৎ

    গত এক দশকে মহাকাশ গবেষণায় ও মহাকাশের বিভিন্ন অজানা তথ্য জানতে এই ISS অসামান্য ভূমিকা পালন করেছে। কিন্তু সম্প্রতি জানা গেছে, এর ভবিষ্যৎ রয়েছে অনিশ্চয়তার মধ্যে। ২০২৪ সালের পর নাসা এই ISS খাতে আর কোনও অর্থ বিনিয়োগ করবে না বলে জানিয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১৬০ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে নাসা ১০০ বিলিয়ন ডলার নিজে ব্যয় করেছে। ফান্ডিং-এর সংকটের কারণে ২০২৮ সালের পর শেষ হতে চলেছে এই কালজয়ী মহাকাশ স্টেশনের যাত্রা, ডোনাল্ড ট্রাম্প এমনটাই ঘোষণা করেছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Solar Storm: ধেয়ে আসছে সৌর ঝড়, ইন্টারনেট শূন্য হতে পারে বিশ্ব! আশঙ্কা নাসার

    Solar Storm: ধেয়ে আসছে সৌর ঝড়, ইন্টারনেট শূন্য হতে পারে বিশ্ব! আশঙ্কা নাসার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখনকার প্রজন্ম ইন্টানেটের উপর নির্ভরশীল। আজকের দিনে ওয়ার্ক ফ্রম হোমেই দিন কাটছে বহু মানুষের। পড়াশোনা চলছে অনলাইনে। দূর-দূরান্ত থেকে ডাক্তাররা রোগী দেখছেন ইন্টারনেট পরিষেবার দ্বারা। এই আবহে সৌর ঝড়ের ফলে যদি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ইন্টারনেট পরিষেবা। তাহলে তো সমূহ বিপদ। সৌর ঝড়ের (Solar Storm) ফলে ফাটল ধরতে পারে পৃথিবীর আবরণের চৌম্বক ক্ষেত্রে, বেতারযোগ বিচ্ছিন্ন হতে পারে, জিপিএস বিকল হতে পারে, বিঘ্নিত হতে পারে মোবাইল নেটওয়ার্ক, এমনকী ইন্টারনেট সংযোগও বিচ্ছিন্ন হওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে, অনুমান গবেষকদের। এই ঝড়ের কারণে সমুদ্রের তলা দিয়ে যেই অপটিক ফাইবার বিছানো রয়েছে তা অফলাইন হয়ে গিয়ে ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউটের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

    সৌর ঝড় কী ?

    সূর্যপৃষ্ঠ থেকে নানা ধরণের অগ্ন্যুৎপাত ও শক্তি নির্গত হয়। এই অগ্ন্যুৎপাত ও শক্তির সমন্বয়ে তৈরি হয় সৌর ঝড় (Solar Storm)। এর মধ্যে থাকে ফ্লেয়ার (Flares), প্রমিনেন্স (Prominence), সানস্পট (Sunspots) এবং করোনাল মাস ইজেকশন (Coronal Mass Ejections) বা সিএমই (CME)। এগুলির মধ্যে সঞ্চিত চৌম্বকশক্তি সূর্যের গরম গ্যাসকে সক্রিয় করে। কখনও কখনও সৌর ঝড় পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রর দিকে চলে আসে এবং ধাক্কা খায়। সেই সময় পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঘর্ষণের ফলে আকাশে অদ্ভুত আলোর সৃষ্টি করে।

    সৌর ঝড় কী কী করতে পারে ?

    সৌর ঝড়ের (Solar Storm) মধ্যে অবস্থিত শক্তি নিজের একটি চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করে। যা পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রকে প্রভাবিত করতে পারে। একটি সৌর ঝড় স্যাটেলাইট, টেলি-যোগাযোগ এবং নেভিগেশন সিস্টেমকে ব্যাহত করতে পারে। পাওয়ার গ্রিড ধংস করতে পারে, নির্দিষ্ট কোনও অঞ্চলে অন্ধকার বা ব্ল্যাকআউটের কারণ হতে পারে।

    নাসার সতর্কীকরণ

    কয়েক দিন ধরেই সূর্যে উথালপাথাল পরিস্থিতি। সৌর ঝড় নিয়ে আগেও সতর্ক করেছে নাসা। আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থার সেই সতর্কবার্তা সত্যি করে পৃথিবীর গায়ে এসে লাগল সৌর ঝড়ের (Solar Storm) ধাক্কা। সৌর ঝড়ের ফলে সূর্যের মধ্যেকার আগুনে পদার্থ ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায় চারদিকে। মহাকাশে সৌরজগতের অন্যত্রও সেই পদার্থের বিচ্ছুরণ ঘটে। প্রভাব পড়ে সূর্যের বিভিন্ন গ্রহ ও উপগ্রহের পারিপার্শ্বিকে। পৃথিবীর উপরেও সম্প্রতি সৌরঝড়ের প্রভাব পড়েছে। আমেরিকার ন্যাশনাল ওসানিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা নোয়ার তরফে জানানো হয়েছে, সৌর ঝড়ের ধাক্কায় পৃথিবীর চৌম্বকীয় তরঙ্গে ঝড় উঠেছে। রবিবার রাত থেকে এই ভূ-চৌম্বকীয় তুফান শুরু হয়েছে। যা চলবে সোমবার সারা দিন। এই ঝড়ের ফলে পৃথিবীর বুকে একাধিক দেশের আকাশে দেখা গিয়েছে অভিনব মেরুজ্যোতি।

    আরও পড়ুন: মাল্টিভিটামিনের অভাবে ভুগছেন প্রতি ১০ জন মহিলার ৭ জনই! কীভাবে রুখবেন?

    অভিনব মেরুজ্যোতি

    ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রবিবার রাতে আকাশে মেরুজ্যোতির ছটা লক্ষ্য করা গিয়েছে। মহাজাগতিক আলোয় ছেয়ে গিয়েছিল আকাশের একাংশ। দক্ষিণ ইউরোপ, এমনকী ফ্রান্স পর্যন্ত এই মেরুজ্যোতির ঝলক দেখা গিয়েছে। চিনের আকাশে উজ্জ্বল লাল রঙের মেরুপ্রভা দেখতে পেয়েছেন অনেকে। বার্লিনে রাতের আকাশে দেখা গিয়েছে গাঢ় সবুজ রঙের আলো। এমন দৃশ্য আগে কখনও দেখা যায়নি বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। একই দৃশ্যের সাক্ষী থেকেছে পোল্যান্ডও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Solar Eclipse 2023: বৃহস্পতিবার ‘হাইব্রিড’ সূর্যগ্রহণ! কোথা থেকে দেখা যাবে অতি-বিরল মহাজাগতিক দৃশ্য?

    Solar Eclipse 2023: বৃহস্পতিবার ‘হাইব্রিড’ সূর্যগ্রহণ! কোথা থেকে দেখা যাবে অতি-বিরল মহাজাগতিক দৃশ্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার, আগামী ২০ এপ্রিল পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের (Solar Eclipse 2023) সময় এক বিরল মহাজাগতিক দৃশ্যের সাক্ষী হবে পৃথিবী, এমনটাই জানাল নাসা। সূর্যের সোনালি বৃত্ত চাঁদের ছায়াকে ছাপিয়ে দেখা যায় চারপাশ থেকে। মাঝখানে অন্ধকার আর চারপাশে সোনালি বলয়ের সূর্যকে দেখতে লাগবে খানিকটা সোনার আংটির মতো। নাসা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারের সূর্যগ্রহণকে বলা হচ্ছে হাইব্রিড সূর্যগ্রহণ (Solar Eclipse 2023)। তাই এই বিরল ঘটনা নিয়ে কৌতুহল তৈরি হয়েছে মানুষের মধ্যে। নাসা সূত্রে খবর,  ভারতে এই সূর্যগ্রহণ দেখা যাবেনা।

    এই বিরল সূর্যগ্রহণের (Solar Eclipse 2023) নাম হাইব্রিড সূর্যগ্রহণ কেন

    হাইব্রিড গ্রহণ হল একই সঙ্গে আংশিক, পূর্ণগ্রাস ও বলয়গ্রাস গ্রহণ। যদি তিন রকম গ্রহণ পরপর একই সঙ্গে ঘটে তাহলে তা হল হাইব্রিড বা মিশ্র। এটিকে বিরলতম মহাজাগতিক ঘটনা বলেন বিজ্ঞানীরা।
    পূর্ণগ্রাস: যখন সূর্য পুরোপুরি ঢাকা পড়ে যায় চাঁদের ছায়ায়, আমরা বলি পূর্ণগ্রাস। বিজ্ঞানের পরিভাষায়, ‘টোটাল সোলার একলিপ্স’। সূর্যের পূর্ণগ্রাস মেরেকেটে হতে পারে ৬ কি সাড়ে ৬ মিনিটের জন্য। খুব বেশি হলে যা হতেও পারে বড়জোর সাড়ে ৭ মিনিট।

    আংশিক গ্রহণ: কোথাও যদি সেটা পুরোপুরি হয়, তা হলে অন্য কোথাও হবে সূর্যের আংশিক গ্রহণ। যেখানে পৃথিবীর সামনে এসে চাঁদ পুরোপুরি ঢেকে দিতে পারে না সূর্যকে। বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলা হয়, ‘পার্শিয়াল সোলার একলিপ্স’।

    বলয়গ্রাস গ্রহণ: আরও এক ধরনের সূর্যগ্রহণ হয় যাকে বলে বলয়গ্রাস গ্রহণ। বিজ্ঞানের পরিভাষায় যার নাম ‘অ্যানুলার সোলার একলিপ্স’। কক্ষপথে প্রদক্ষিণের সময় চাঁদ যখন এমন একটা দূরত্বে চলে যায়, যাতে তার ছায়া সূর্যকে ঢেকে দিতে পারে না পুরোপুরি, তখনই হয় সূর্যের বলয়গ্রাস।

    মহাকাশ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই হাইব্রিড সূর্যগ্রহণে (Solar Eclipse 2023) সূর্যের আকৃতির থেকে চাঁদের ছায়া ছোট হয়। ফলে সূর্যকে পুরো আড়াল করতে পারেনা। তারফলে চারদিক দিয়ে সূর্যের ছটা বেরিয়ে আসে। তখন সূর্যকে দেখতে অনেকটা সোনার আংটির মত দেখায়। নাসার মতে, এই ধরনের সূর্যগ্রহণের ঘটনা মাত্র ৩.১ শতাংশ ঘটে। এই শতাব্দীর মোট ২২৪ টি সূর্যগ্রহণের মধ্যে ৭টি মাত্র এই জাতীয় হাইব্রিড সূর্যগ্রহণ। নাসা আরও জানাচ্ছে, এই ধরনের গ্রহণ প্রতি ১০ বছরে একবার হয়। এই হাইব্রিড গ্রহণ আংশিক থেকে পূর্ণগ্রাসের দিকে যায়। চাঁদের থেকে সূর্যের দূরত্ব যত কম তত গ্রহণ পূর্ণগ্রাসের দিকে যায়।

    কোথা থেকে এই বিরল দৃশ্য দেখা যাবে

    নাসা জানিয়েছে, ভারত থেকে এই বিরল দৃশ্য দেখার কোনও আশা নেই। কারণ হাইব্রিড সূর্যগ্রহণ (Solar Eclipse 2023) দেখা যাবে শুধু মাত্র অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিম উপকূলের এক্সমাউথ থেকে। এছাড়া ইস্ট ইন্ডিজ, ফিলিপিন্স এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া থেকে আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে।

    প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে মোট চারটি গ্রহণ হবে। দুটি চন্দ্রগ্রহণ এবং দুটি সূর্যগ্রর্যহণ (Solar Eclipse 2023)। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই গ্রহণগুলো দেখা যাবে। বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ হবে ১৪ অক্টোবরে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Carbon Capture: বায়ু থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড শুষে বেকিং সোডা! যুগান্তকারী গবেষণা বাঙালি বিজ্ঞানীর

    Carbon Capture: বায়ু থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড শুষে বেকিং সোডা! যুগান্তকারী গবেষণা বাঙালি বিজ্ঞানীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বায়ুমণ্ডল থেকে সরাসরি কার্বন শোষণ (Carbon Capture) করে তা সমুদ্রে সংরক্ষণ করার নতুন পদ্ধতি আবিস্কার করলেন বিজ্ঞানীরা। এই নয়া পদ্ধতিতে প্রথমে কার্বন সংগ্রহ করা হবে বায়ুমণ্ডলের কার্বন ডাই অক্সাইড থেকে পরে তা পরিবর্তিত করা হবে বেকিং সোডাতে। সাধারণভাবে বায়ুমণ্ডল থেকে সরাসরি কার্বন সংগ্রহ(Carbon Capture) করার পদ্ধতি খুবই ব্যয়সাপেক্ষ। কিন্তু নতুন এই গবেষণা, খরচ অনেকটাই কম করবে বলে দাবি বিজ্ঞানীদের। গবেষকরা বলছেন, কার্বন সংরক্ষণের (Carbon Capture) এটা অনেক সহজ পদ্ধতি।

    বিজ্ঞানীরা বলছেন, বায়ুমণ্ডল থেকে সংগৃহীত কার্বন সংরক্ষণ (Carbon Capture) করার অসীম ক্ষেত্র হল সমুদ্র। আঠা এবং কিছু রাসায়নিক যৌগের সাহায্যে কার্বনকে বেকিং সোডায় পরিবর্তিত করা হবে, তারপর তা সমুদ্রের জলে মেশানো হবে। গবেষকদের দাবি, বেকিং সোডা সমুদ্রের জলে মেশালে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়না।

    আরও পড়ুন: আজ জাতীয় বিজ্ঞান দিবস, জানেন এই দিনের তাৎপর্য?

    কী বলছেন এই পদ্ধতির আবিষ্কারক বাঙালি বিজ্ঞানী অরুপ সেনগুপ্ত

    এই গবেষণার তত্ত্বাবধান করছেন বাঙালি বিজ্ঞানী অরুপ সেনগুপ্ত। তিনি বর্তমানে বেথলেহেমের লিহাই বিশ্ববিদ্যালেয় অধ্যাপক। তাঁর মতে, নতুন এই পদ্ধতি পূর্বের চেয়ে তিনগুণ দ্রুত কাজ করবে এবং তা খরচ সাশ্রয়ীও বটে। তাঁর মতে, এই নয়া পদ্ধতিতে অনেক বেশি পরিমাণ কার্বনকে কম ঘনত্বের উপাদানের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা যাবে। তিনি আরও বলেন পুরনো পদ্ধতিতে কার্বনকে সংরক্ষণ (Carbon Capture) করা হত মাটির নীচে। নতুন পদ্ধতিতে কার্বনকে বাইকার্বনেটে (বেকিং সোডা) রুপান্তরিত করে তা সমুদ্রের জলে সংরক্ষণ করা যাবে।

    বাঙালি বিজ্ঞানীর পরিকল্পনা

    বিজ্ঞানী অরুপ সেনগুপ্তের পরিকল্পনা রয়েছে একটি প্রযুক্তি সংস্থা তৈরি করার এবং তা কাজ করবে কার্বন সংরক্ষণের (Carbon Capture) ওপর। বাঙালি বিজ্ঞানী বলছেন, এরমাধ্যমে বায়ুমণ্ডল থেকে খুব তাড়াতাড়ি ১০০টন কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ কের নেওয়া সম্ভব হবে।

    প্রসঙ্গত, কার্বন ডাই অক্সাইডের বৃদ্ধির ফলে বাড়ছে গ্লোবাল ওয়ার্মিং। মেরু অঞ্চলের বরফ গলে যাচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • National Science Day: আজ জাতীয় বিজ্ঞান দিবস, জানেন এই দিনের তাৎপর্য?

    National Science Day: আজ জাতীয় বিজ্ঞান দিবস, জানেন এই দিনের তাৎপর্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ২৮ ফেব্রুয়ারি। ফি বছর এই দিনটিকে জাতীয় বিজ্ঞান দিবস (National Science Day) হিসেবে পালন করা হয়। নোবেল জয়ী ভারতীয় পদার্থ বিজ্ঞানী চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রামন (C V Raman) এই দিনেই তাঁর জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ আবিষ্কার রামন এফেক্ট আবিষ্কারের কথা ঘোষণা করেছিলেন। তাছাড়াও দেশের অগ্রগতির নেপথ্যে বিজ্ঞানীদের (Sciencetist) ভূমিকার কথা মাথায় রেখে ফি বছর মর্যাদার সঙ্গে পালিত হয় জাতীয় বিজ্ঞান দিবস।

    জাতীয় বিজ্ঞান দিবস (National Science Day)…

    ভারত মাতা যেসব তারকা বিজ্ঞানীর জন্ম দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে একজন হলেন স্যর চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রামন। বিশ্বখ্যাত এই পদার্থ বিজ্ঞানীকে সবাই চেনেন সিভি রামন নামে। ১৯২৮ সালে তিনি আবিষ্কার করেন রামন এফেক্ট। তাঁর নামেই হয় নামকরণ। যুগান্তকারী এই আবিষ্কারের কারণে ১৯৩০ সালে পদার্থ বিদ্যায় নোবেল পুরস্কার পান তিনি। মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্ত প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ১৯৯৭ সালে স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ হন রামন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন তিনি। ১৯৩০ পান নোবেল পুরস্কার। ১৯৩৩ সালে বেঙ্গালুরুতে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স তৈরি করেন। সেখানকার পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রধানের দায়িত্বও পালন করেন রামন। ১৯৪৭ সালে হন রামন রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর।

    আরও পড়ুুন: ক্রমশই পরিবর্তিত হচ্ছে শুক্র গ্রহের পৃষ্ঠতল! পৃথিবীর ওপর এর কী প্রভাব? জানুন বিস্তারিত

    প্রথমবার জাতীয় বিজ্ঞান দিবস (National Science Day) পালিত হয় ১৯৮৭ সালে। এই দিনটি পালনের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল রামন এফেক্ট আবিষ্কারের দিনটিকেই। প্রশ্ন হল, রামন এফেক্ট কী? ফোটন কণার অস্থিতিস্থাপক বিকিরণকে বলা হয় রামন এফেক্ট। অন্যভাবে বলা যায়, আলো যখন কোনও স্বচ্ছ পদার্থের মধ্যে দিয়ে যায়, তখন তার তরঙ্গ দৈর্ঘ্য পরিবর্তনের ব্যাখ্যা দেয় এই রামন এফেক্ট। ১৯২৮ সালে রামন ও তাঁর এক ছাত্র কেএস কৃষ্ণণ তরল পদার্থে রামন এফেক্ট আবিষ্কার করেন। কলকাতার ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অফ সায়েন্সে এই আবিষ্কারটি করেছিলেন রামন।

    প্রসঙ্গত, ১৯২১ সালে জাহাজে চেপে ইউরোপে যাওয়ার সময় ভূমধ্যসাগরের জলে নীল আলোর বিচ্ছুরণ দেখে রামন এফেক্টের ভাবনা মাথায় আসে তাঁর। পরে ল্যাবরেটরিতে বসে মার্কারি ল্যাম্প ও বরফের টুকরো দিয়ে পরীক্ষা করেন তিনি। সেই পরীক্ষারই ফল প্রকাশিত হয় ১৯২৮ সালে (National Science Day)। নোবেল পুরস্কার আসে তারও দু বছর পর। চলতি বছর জাতীয় বিজ্ঞান দিবসের থিম হল গ্লোবাল সায়েন্স ফর গ্লোবাল ওয়েলবিয়িং।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Venus: ক্রমশই পরিবর্তিত হচ্ছে শুক্র গ্রহের পৃষ্ঠতল! পৃথিবীর ওপর এর কী প্রভাব? জানুন বিস্তারিত

    Venus: ক্রমশই পরিবর্তিত হচ্ছে শুক্র গ্রহের পৃষ্ঠতল! পৃথিবীর ওপর এর কী প্রভাব? জানুন বিস্তারিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশ বিজ্ঞানীদের কাছে নতুনভাবে গবেষণার বিষয় হয়ে উঠেছে শুক্রগ্রহ (Venus)। রাতের আকাশে আমরা যাকে শুকতারা বলে চিনি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, শুক্রগ্রহ (Venus) ক্রমশই কাছে আসছে পৃথিবী এবং চাঁদের। এই গ্রহের আরও বেশি রহস্য আগামীতে উন্মোচন হতে চলেছে বলেই ধারণা গবেষকদের। পৃথিবীর মতোই পাথুরে এই গ্রহ। অনেকে তাই একে পৃথিবীর যমজ গ্রহ বলেন। শুক্রগ্রহের (Venus) পৃষ্ঠের অনেককিছুই পরিবর্তিত হচ্ছে বলছেন গবেষকরা। ১৯৯০ সাল থেকই ভালোভাবে চলছে শুক্রগ্রহের (Venus) উপর গবেষণার কাজ। ম্যাগেলান মহাকাশযানের মাধ্যমে তখন থেকেই জানার চেষ্টা চলছে এই গ্রহের তাপ প্রবাহ ঠিক কেমন! জীবের বেড়ে ওঠার পক্ষে তা অনুকূল কিনা! পৃথিবী এবং শুক্রগ্রহ অনেকটাই একরকমের। গবেষকার তাই অনুসন্ধান চালাচ্ছেন যে পৃথিবী যে পদ্ধতিতে তাপ বিকিরণ করে শুক্রগ্রহের তাপ বিকিরণের পদ্ধতিটা ঠিক কেমন!

    কী বলছেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা

    জনৈক মহাকাশ বিজ্ঞানীর কথায়, এতদিন অবধি আমাদের ধারণা ছিল শুক্রের (Venus) লিথোস্ফিয়ার খুব পুরু। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে আমাদের আরও বেশি গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে পৃথিবীর এই যমজ গ্রহ সম্পর্কে। কারণ যত বেশি এই গ্রহের রহস্য উন্মোচিত হচ্ছে ততই আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাচ্ছে।

    পৃথিবীর কেন্দ্র অত্যন্ত উত্তপ্ত। এই তাপ লিথোস্ফিয়ার পর্যন্ত আসে এবং তারপর বিকিরিত হয়। শুক্রগ্রহের (Venus) ক্ষেত্রে তাপের বিকিরণ কীভাবে হয় সেটাই এখন জানা চেষ্টা করছেন গবেষকরা।

    গবেষকরা বলছেন, শুক্রগ্রহ (Venus) আমাদের জানার সুযোগ করে দিয়েছে যে ঠিক ২৫০ কোটি বছর আগে পৃথিবী ঠিক কেমন ছিল। 

    প্রসঙ্গত বিশ্বের অনেক দেশই এখন কৌতুহলী হয়ে উঠেছে পৃথিবীর এই যমজ গ্রহের হালচাল জানতে। পিছিয়ে নেই আমাদের দেশও, সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, শুক্র গ্রহের রহস্য উন্মোচন করতে নেওয়া হবে বেশ কতকগুলি মিশন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Earth: কেন্দ্রে ৬৪০ কিমি প্রশস্ত কঠিন লৌহ-গোলক! চার নয়, পৃথিবী পাঁচ স্তরের, দাবি বিজ্ঞানীদের

    Earth: কেন্দ্রে ৬৪০ কিমি প্রশস্ত কঠিন লৌহ-গোলক! চার নয়, পৃথিবী পাঁচ স্তরের, দাবি বিজ্ঞানীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু মহাকাশ বিজ্ঞান নয়, মাটির অভ্যন্তরে অনবরত কী ঘটে চলেছে তা নিয়েও নিরন্তর গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। পৃথিবীর (Earth) কেন্দ্রক অবধি পৌঁছাতে ভূত্বক থেকে যেতে হবে ম্যান্টেল অঞ্চলে এবং তার অভ্যন্তরে পড়বে পৃথিবীর (Earth) কেন্দ্রক। সেটিও আবার দুটি ভাগে বিভক্ত। ভূগোল বইতে এমনটাই পড়েছি আমরা এতদিন। এমনকি গবেষণার ক্ষেত্রেও এতদিন ধরে নেওয়া হত, পৃথিবীর বাইরের অংশটি কঠিন এবং কেন্দ্রে আবর্তন করে চলেছে গলিত-উত্তপ্ত লৌহ আয়ন। তবে চিরাচরিত এই ধারণা এবার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ল।

     অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির রিসার্চ স্কুল অফ আর্থ সায়েন্সেসের গবেষকরা বলছেন পৃথিবীর (Earth) কেন্দ্রে আছে একটি কঠিন লৌহগোলক

    সম্প্রতি, ক্যানবেরার অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির রিসার্চ স্কুল অফ আর্থ সায়েন্সেসের গবেষকরা দাবি করেছেন, পৃথিবীর (Earth) গলিত কেন্দ্রকের মধ্যেই নাকি ভেসে বেড়াচ্ছে প্রকাণ্ড একটি কঠিন লৌহগোলক (Iron Ball)।  নেচার কমিউনিকেশন সায়েন্স পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে এই বিশেষ গবেষণাপত্রটি।  এই গবেষণার ফলাফল সত্যি হলে, চারটির বদলে পাঁচটি স্তর রয়েছে পৃথিবীতে। অথচ, ভূতাত্ত্বিক গণনার ক্ষেত্রে এতদিন গাণিতিক দিক থেকে ৪টি স্তরই ধরে এসেছি আমরা। কাজেই এই গবেষণা বদলে দিতে পারে গোটা ভূ-বিদ্যাকে।

    কীভাবে আবিষ্কৃত হল পৃথিবীর (Earth) কেন্দ্রে লুকিয়ে থাকা এই কঠিন স্তরটি

    সিসমিক তরঙ্গ বা ভূমিকম্পন নিয়েই গবেষণা করছিলেন ক্যানবেরার গবেষকরা। সে-সময় তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়েই তাঁদের চোখে পড়ে এক আশ্চর্য ঘটনা। সাধারণত, ভূমিকম্পের তরঙ্গ বা সিসমিক তরঙ্গ পৃথিবীর অভ্যন্তরের বিভিন্ন স্তরের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময়, তার গতিবেগ পরিবর্তন করে। অনেকটা শব্দের মতোই। যেমন গ্যাসীয় পদার্থের থেকে তরলে শব্দের গতি বেশি, কঠিন পদার্থে তার চেয়েও বেশি— তেমনই পৃথিবীর ঘনত্বের ওপর নির্ভর করেই সিসমিক তরঙ্গের গতি বৃদ্ধি বা হ্রাস পায় পৃথিবীর অভ্যন্তরে। ভূমিকম্পের মাত্রা পরিমাপ করতে গিয়ে, এই একই ঘটনা লক্ষ করেছিলেন ক্যানবেরার গবেষকরা। পৃথিবীর (Earth) কেন্দ্রকের অর্থাৎ ‘কোর’-এর একটি বিশেষ অঞ্চলে সিসমিক তরঙ্গের গতিবেগ বেড়ে যায় হঠাৎ করেই। অর্থাৎ, গলিত কেন্দ্রকের তুলনায় তার ঘনত্ব অনেকটাই বেশি। সম্ভবত সেটি কঠিন গোলক।

    কঠিন লৌহ গোলকটি ৬৪৪ কিমি প্রশস্ত

    ৬৪৪ কিলোমিটার বা ৪০০ মাইল ব্যাসের এই গোলকটি নির্মিত মূলত লোহা দিয়েই। তাছাড়াও তার বাইরের অংশে স্বল্পমাত্রায় রয়েছে নিকেল ও অন্যান্য ধাতু। এমনটাই অনুমান গবেষকদের। যদিও এই মডেল নিয়ে আরও পরীক্ষানিরীক্ষা করার বিস্তর প্রয়োজন আছে বলেই মনে করছেন তাঁরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

     

  • Jupiter: শনিকে টপকে সবথেকে বেশি উপগ্রহের মালিক এখন বৃহস্পতি

    Jupiter: শনিকে টপকে সবথেকে বেশি উপগ্রহের মালিক এখন বৃহস্পতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহ বৃহস্পতি (Jupiter)। এবার এই গ্রহের কক্ষপথে আরও ১২টি উপগ্রহের সন্ধান পাওয়া গেল। সম্প্রতি সেগুলির সন্ধান পেয়েছেন আমেরিকার জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর শনির রেকর্ড ভেঙে দিল বৃহস্পতি (Jupiter)। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে, বৃহস্পতিকে(Jupiter) কেন্দ্র করে এর কক্ষপথে ওই ১২টি উপগ্রহ ঘুরছে। এখন মোট ৯২টি উপগ্রহ হল বৃহস্পতির। অন্য দিকে, শনির কক্ষপথে ঘুরছে ৮৩টি উপগ্রহ। ফলে এত দিন উপগ্রহের সংখ্যার নিরিখে শনিই শীর্ষে ছিল। তবে এখন সৌরজগতে সবচেয়ে বেশি উপগ্রহ রয়েছে বৃহস্পতির (Jupiter)।

    আরও পড়ুন: মহাকাশ গবেষণায় নয়া দিশা! ৮৮০ কোটি বছর পুরনো রেডিও-সংকেত ধরলেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা

    কোন সংস্থা এই আবিষ্কার করল

    জানা গিয়েছে, ওয়াশিংটনের ‘কার্নেগি ইনস্টিটিউশন ফর সায়েন্স’-এর জ্যোতির্বিজ্ঞানী স্কট শেপার্ডের নেতৃত্বে পর্যবেক্ষণ দল বৃহস্পতির কক্ষপথে ওই ১২টি উপগ্রহ খুঁজে পেয়েছেন। আমেরিকার ‘মাইনর প্ল্যানেট সেন্টার’ সম্প্রতি এই সম্পর্কে সবিস্তার তথ্যসম্বলিত রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। ওই রিপোর্টে তারা বলছে, বৃহস্পতির (Jupiter) ওই উপগ্রহগুলি আকারে নাকি অনেকটাই ক্ষুদ্র। 

    আরও পড়ুন: উল্টোদিকে ঘুরতে শুরু করেছে পৃথিবীর কেন্দ্রস্থল! এর প্রভাব কী হতে পারে?

    জোভিয়ান জগত কী জানেন

    বৃহস্পতি (Jupiter), শনি, ইউরেনাস এবং নেপচুন— এই চারটি গ্রহমিলিত ভাবে জোভিয়ান জগৎ বলে পরিচিত। এখানে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা এবং গবেষণার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে নাসা। চলছে অভিযানের প্রস্তুতিও। তার বছরখানেক আগে এই ১২টি

    আরও পড়ুন: একযোগে বিশ্বের ৮টি দেশ মিলে তৈরি করছে সবচেয়ে শক্তিশালী টেলিস্কোপ, জানুন বিস্তারিত

    উপগ্রহের সন্ধান পাওয়াকে বড় সাফল্য মনে করছে নাসা। সবথেকে বড় কথা, এই উপগ্রহগুলি মানুষের বসবাসের উপযুক্ত কি না, তা-ও খতিয়ে দেখবে ইউরোপা ক্লিপার মিশন হিসাবে পরিচিত নাসার ওই অভিযান।

    আরও পড়ুন: এবার পৃথিবীর সমস্ত জলাশয় সম্পর্কে তথ্য দেবে নাসার এই বিশেষ স্যাটেলাইট

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

LinkedIn
Share