Category: বিজ্ঞান

Get updated Science and Research related news from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Earths Inner Core: উল্টোদিকে ঘুরতে শুরু করেছে পৃথিবীর কেন্দ্রস্থল! এর প্রভাব কী হতে পারে?

    Earths Inner Core: উল্টোদিকে ঘুরতে শুরু করেছে পৃথিবীর কেন্দ্রস্থল! এর প্রভাব কী হতে পারে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঞ্চল্যকর দাবি বিজ্ঞানীদের! পৃথিবীর কেন্দ্রে বন্ধ হয়ে গিয়েছে ঘূর্ণন। ভূ-বিজ্ঞানীরা বলছেন, দিক পরিবর্তন করে এবার বিপরীত দিকে হতে পারে ঘূর্ণন! এই ঘটনা নাকি তারই ইঙ্গিত! বিজ্ঞানীরা বলছেন দিক পরিবর্তনের সময়েই পৃথিবীরের অভ্যন্তরীণ কোরের ঘূর্ণন (Earths Inner Core) বন্ধ হয়। 

    এটা নতুন নয়, এমন ঘটনা ঘটেছিল ২০০৯ সালেও

    বিজ্ঞানীরা বলছেন, ২০০৯ সালেও হয়েছিল এমন ঘটনা। তখন পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ কোরের ঘূর্ণন (Earths Inner Core) থেমে গিয়েছিল। পরে তা বিপরীত দিকে ঘুরে যায়। ১৪ বছর পর আবারও সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। পৃথিবীর ভূগর্ভে কী চলছে ভূমিকম্প বা আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণের সময়ই আমরা তা  অনুভব করতে পারি।

    নতুন গবেষণা কী বলছে

    সম্প্রতি একটি নতুন গবেষণায় জানা গিয়েছে, পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ কোরটি ঘূর্ণন (Earths Inner Core) বন্ধ করে দিয়েছে। শুধু তাই নয় বিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী বিপরীত দিকে হতে চলেছে ঘূর্ণন অভিমুখ। বিজ্ঞানীদের মতে অভ্যন্তরীণ কোরটি পৃথিবী পৃষ্ঠের সাপেক্ষে সামনে বা পিছনে ঠিক দোলনের মতো ঘুরতে থাকে। দোলনের একটি চক্রের সময় প্রায় ৭০ বছর। অর্থাৎ ৩৫ বছরে দিক পরিবর্তন করার কথা এই দোলনের। এটি পূর্বে ১৯৭০-এর দশকের গোড়ার দিকে পরিবর্তিত হয়েছিল, গাণিতিক হিসাবে পরবর্তী ২০৪০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে দিক পরিবর্তন করার কথা এটির। ১৯৩৬ সালে পৃথিবীর আভ্যন্তরীণ কোর নিয়ে অনেক তথ্যই পেয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। গবেষকরা ভূমিকম্প থেকে উৎপন্ন তরঙ্গ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সময়ই তা জানতে পেরেছিলেন। গবেষকদের মতে ভূমিকম্পের তরঙ্গ সমগ্র পৃথিবী জুড়ে ভ্রমণ করে। চিনের পিকিং ইউনিভার্সিটির একটি দল ১৯৯৫ এবং ২০২১ সালের মধ্যে বেশিরভাগ ভূমিকম্প বিশ্লেষণ করেছেন। তাঁদের বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, ২০০৯ সালের কাছাকাছি কোনও এক সময় কোরটি ঘূর্ণন বন্ধ করে দেয় এবং ঘূর্ণনের (Earths Inner Core) দিক পরিবর্তন করে। গবেষকরা বলছেন, পৃথিবীর কেন্দ্রের ঘূর্ণন দিনের দৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত এবং এই ঘূর্ণন পৃথিবীকে তার অক্ষের উপর ঘুরতেও সাহায্য করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Atmospheric Carbon: হাতি কমে যাওয়ার প্রভাব পড়বে জলবায়ুর ওপরও!

    Atmospheric Carbon: হাতি কমে যাওয়ার প্রভাব পড়বে জলবায়ুর ওপরও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জনসংখ্যা বৃদ্ধির জেরে ক্রমেই কমছে জঙ্গলের (Forest) আয়তন। বসতি স্থাপন করতে গিয়ে মানুষ কেড়ে নিচ্ছে না-মানুষের বসত। এসব আমাদের জানা ছিল। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জানা গেল আরও ভয়ঙ্কর তথ্য। জানা গেল, জঙ্গল সৃষ্টিতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে হাতি (Elephant)। কেবল তাই নয়, আফ্রিকার (Atmospheric Carbon) জঙ্গলের জীব বৈচিত্র্য রক্ষা করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে গজকুল।

    হাতির বংশ…

    মানুষের লোভের জেরে ইতিমধ্যেই বিলুপ্ত হতে বসেছে হাতির বংশ। তার ছাপ পড়েছে আফ্রিকার জঙ্গলে। এক সময় আফ্রিকার জঙ্গলে বাস করত হাজার হাজার হাতি। পরে সভ্য মানুষ হাতির দাঁতের লোভে নির্বিচারে হত্যা করতে শুরু করে হস্তিকুলকে। যার জেরে ওই জঙ্গলের হাতির সংখ্যা কমতে কমতে ক্রমেই বিলুপ্তির পথে চলে গিয়েছে। যার প্রভাব পড়ছে জঙ্গলে। এই আফ্রিকায়ই রয়েছে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম রেইন ফরেস্ট। এতদিন এই জঙ্গল পরিবেশ থেকে কার্বন (Atmospheric Carbon) শুষে নিত। এখনও নিচ্ছে। তবে হস্তিকুল কমে যাওয়ায় জঙ্গলেরও কার্বন শুষে নেওয়ার ক্ষমতা কমে যেতে পারে ৬ থেকে ৯ শতাংশ। সেন্ট লুইস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞাণের অধ্যাপক তথা প্রবীণ লেখক স্টিফেন ব্লেক হাতি নিয়ে দীর্ঘ সময় গবেষণা করেছেন। সম্প্রতি একটি গবেষণা পত্রে ব্লেক এবং তাঁর সহযোগীরা দেখিয়েছেন, আফ্রিকার রেইন ফরেস্টে কীভাবে কার্বন ধরে রাখার কাজ করে হাতির পাল।

    আরও পড়ুুন: মোদিকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্রের জের, কংগ্রেস ছাড়লেন এ কে অ্যান্টনির ছেলে

    ব্লেক বলেন, মানুষ নির্বিচারে হস্তিনিধন করে চলেছে। ফলশ্রুতি হিসেবে ভয়ঙ্কর সমস্যায় আফ্রিকার জঙ্গল। হাতি হত্যা বন্ধ করা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, অথচ হাতি জঙ্গলে জীব বৈচিত্র বজায় রাখে। তাই হস্তিকুলের বিনাশ হলে ধ্বংস হয়ে যাবে জঙ্গলও। আমরা যদি জঙ্গলের হাতিকে হত্যা করে চলি, তাহলে তার প্রভাব পড়বে তামাম বিশ্বের (Atmospheric Carbon) জলবায়ুর ওপর। ব্লেক বলেন, আমাদের এই সিদ্ধান্তে উপনীত হতে হবে যে হাতি বাঁচাতে না পারলে আমরা পরোক্ষে দায়ী হব জলবায়ু পরিবর্তনের জন্যও। তিনি বলেন, একে সিরিয়াসলি নিতে হবে। বাঁচাতে হবে হস্তিকুলকে। জঙ্গলের হাতির ভূমিকাকে কোনওভাবেই অবহেলা করা যাবে না।

    ব্লেক বলেন, হাতিরা বিভিন্ন গাছ থেকে পাতা খায়, ডাল ভাঙে, চারা গাছ উপড়ে ফেলে দেয়। তিনি বলেন, দেখা গিয়েছে, হাতিরা যেসব গাছ ধ্বংস করে সেগুলি লো-কার্বন ডেনসিটির গাছ। জঙ্গলে যদি শুধুই হাই-কার্বন ডেনসিটির গাছ থাকে, তাহলে পরিবেশের উপকার হয়। তিনি বলেন, হাতিরা হল জঙ্গলের মালি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Astronomy: মহাকাশ গবেষণায় নয়া দিশা! ৮৮০ কোটি বছর পুরনো রেডিও-সংকেত ধরলেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা

    Astronomy: মহাকাশ গবেষণায় নয়া দিশা! ৮৮০ কোটি বছর পুরনো রেডিও-সংকেত ধরলেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় ৮৮০ কোটি বছর আগে উদ্ভূত হওয়া এক রেডিও সিগন্যাল ধরা পড়ল ভারতীয় টেলিস্কোপে। বিজ্ঞানীরা বলছেন এই রেডিও সিগন্যাল যখন তৈরি হয় তখন আমাদের মহাবিশ্বের (Astronomy) বয়স মাত্র ৪৯০ কোটি বছর। অর্থাৎ মহাবিশ্ব তখন অনেকটাই নবীন এখনকার তুলনায়। ঠিক সেই সময়কার মহাবিশ্বের ছায়াপথ থেকে এসেছে এই রেডিও সংকেতটি। বিজ্ঞানীরা বলছেন এই রেডিও সংকেতগুলি পারমাণবিক হাইড্রোজেন থেকে সৃষ্টি হয়েছে। নক্ষত্রমণ্ডলগুলি কীভাবে সৃষ্ট হয়েছিল সে সম্পর্কে অনেক তথ্যই পাওয়া যায় এই জাতীয় সংকেতগুলি থেকে। মহাকাশ গবেষকরা বলছেন, এই সংকেতটির মধ্যেই লুকিয়ে আছে সেই সমস্ত তথ্য,যে কীভাবে নক্ষত্রমণ্ডল (Astronomy) তৈরি হয়েছিল। অতি প্রাচীন বললেও ভুল হবে, তার চেয়েও যদি কিছু বেশি প্রাচীন থাকে তাহলে সেই রকমই এই রেডিও সংকেতটিকে ধরল পুনের জায়ান্ট মেট্রিওয়েভ রেডিও টেলিস্কোপ (GMRT).

    নক্ষত্রের গঠন জানা যায় এই সংকেতগুলি থেকে

    বেঙ্গালুরুতে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স এবং কানাডার ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা (Astronomy) সম্প্রতি দূরবর্তী ছায়াপথ থেকে তৈরি এই সংকেতকে সনাক্ত করতে জিএমআরটি-র থেকে ডেটা ব্যবহার করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। বেঙ্গালুরুর আইআইএসসি জানাচ্ছে যে এই রেডিও সংকেতের বিশেষত্ব হল যে এটি অনেক দূরবর্তী এবং প্রাচীন।
    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন পারমাণবিক হাইড্রোজেন নক্ষত্রমণ্ডল গঠনের সময় জ্বালানি হিসেবে কাজ করে এবং চারপাশের মাধ্যম থেকে আয়নিত গ্যাস যখন ওই ছায়াপথগুলিতে এসে পড়ে তখন এই পারমানবিক হাইড্রোজেন শীতল হয়ে যায় যা পরে আণবিক হাইড্রোজেনের রূপান্তরিত হয় এবং অবশেষে গঠিত হয় একটি নক্ষত্র। এই পারমাণবিক হাইড্রোজেন ২১ সেন্টিমিটার তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের রেডিও সংকেত পাঠায়। কম তরঙ্গের রেডিও টেলিস্কোপ ব্যবহার করে সহজেই শনাক্ত করা যায় এই জাতীয় তরঙ্গ গুলিকে। কিন্তু দূরবর্তী ছায়াপথগুলি থেকে যে রেডিও সংকেতগুলি আসে সেগুলি সাধারণত অত্যন্ত দুর্বল হয় এবং তাদের সনাক্ত করা বা বর্তমান টেলিস্কোপ ব্যবহার করে সেই ছায়াপথগুলি কিভাবে গঠিত হয়েছে সেটা জানা এক কথায় অসম্ভব হয়ে পড়ে ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Comet: ভারতের টেলিস্কোপে ধরা পড়লো এই ধুমকেতু,  ৫০ হাজার বছর আগে পৃথিবীর কাছে এসেছিল

    Comet: ভারতের টেলিস্কোপে ধরা পড়লো এই ধুমকেতু, ৫০ হাজার বছর আগে পৃথিবীর কাছে এসেছিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের উচ্চতম টেলিস্কোপ, দ্য হিমালয়ান চন্দ্র টেলিস্কোপে এবার ধরা পড়লো একটি ধুমকেতুর (Comet) ছবি। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন এই ধুমকেতুকে (Comet) শেষবারের মতো পৃথিবীর আকাশে দেখা গিয়েছিল ৫০ হাজার বছর আগে।

    আবার কবে দেখা মিলবে পৃথিবীর আকাশে

     লাদাখের সরস্বতী পর্বতের পাদদেশে রাখা টেলিস্কোপে ধরা পড়ে এই ধুমকেতু । ধুমকেতুটির নাম Comet C/2022 E3(ZTF). হিমালয়ান চন্দ্র টেলিস্কোপ বর্তমানে পরিচালনা করে বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ অ্যাস্ট্রো ফিজিকস। ওই প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে ধুমকেতুটি (Comet) সূর্যের কাছাকাছি আসবে ১২ই জানুয়ারি। মহাকাশ বিজ্ঞানীরা আশা করছেন যে ওই ধূমকেতুটি (Comet) পৃথিবীর আকাশেও দেখা যাবে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহের দিকে। বিজ্ঞানীরা বলছেন ধুমকেতুকে (Comet) দেখতে লাগবে না কোনও দূরবীন, খালি চোখেই দেখা যাবে যদি সব কিছু ঠিক থাকে। 
    ইতিমধ্যে প্রযুক্তি এবং বিজ্ঞান দপ্তর  ট্যুইট করেছে যে এই ধূমকেতুটি (Comet) সূর্যের কাছাকাছি হয়ে যাবে ১২ ই জানুয়ারি এবং তারপর এটিকে খালি চোখে দেখতে পাওয়া যেতে পারে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। এমন মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী হতে পারা খুবই বিরল। ৫০ হাজার বছর পরে পৃথিবীর আকাশে দেখা যাবে এই ধুমকেতুকে (Comet)। 

    ভারতের এই টেলিস্কোপে ধুমকেতুটির (Comet) ছবি তখন ধরা পড়েছে যখন এটি দ্রুতগতির সঙ্গে মহাকাশে বিচরণ করছিল। ছবিতে পিছনের নক্ষত্রগুলিও দেখা যাচ্ছে । ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব অ্যাস্ট্রোফিজিস্ক থেকে এই ধুমকেতুর (Comet) তিনটি ছবি এই মুহূর্তে প্রকাশ্যে আনা হয়েছে।

    কবে আবিষ্কার হয়েছিল এই ধুমকেতুটি (Comet)

    Comet C/2022 E3(ZTF)নামের এই ধুমকেতুটি (Comet) প্রথম আবিষ্কার হয়েছিল গত বছরের মার্চ মাসে। তখন অবশ্য এটি ছিল বৃহস্পতি গ্রহের কক্ষপথে। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন যখন একেবারে প্রথম হোমো সেপিয়েন্সরা পৃথিবীতে বেড়ে উঠছিল  তখন পৃথিবীর আকাশে শেষবারের মতো দেখা গিয়েছিল এই ধুমকেতুকে (Comet)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Telescope: একযোগে বিশ্বের ৮টি দেশ মিলে তৈরি করছে সবচেয়ে শক্তিশালী টেলিস্কোপ, জানুন বিস্তারিত

    Telescope: একযোগে বিশ্বের ৮টি দেশ মিলে তৈরি করছে সবচেয়ে শক্তিশালী টেলিস্কোপ, জানুন বিস্তারিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাবিশ্বের রহস্য উন্মোচনে সব দেশই কমবেশি চেষ্টা চালাচ্ছে। সাফল্যও এসেছে বড় বড়, ১৯৬৯ সালে পৃথিবীর প্রথম দেশ হিসাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চাঁদে মানুষ পাঠিয়েছে। মঙ্গলে ঘুরছে রোভার, ২০২৮ সালের মধ্যে চাঁদে বসতি তৈরির চিন্তা করছে চিন। এবার  বিশ্বের সবচেয়ে বড় টেলিস্কোপ (Telescope) নির্মাণের কাজ শুরু করেছে ব্রিটেনের দ্য স্কয়ার কিলোমিটার অ্যারে (এসকেএ) অর্গানাইজেশন। টেলিস্কোপের নামও রাখা হয়েছে সংস্থার নামে-দ্য স্কয়ার কিলোমিটার অ্যারে। এই বড় টেলিস্কোপ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার সীমান্ত অঞ্চল মুর্চিসন শায়ারে এবং দক্ষিণ আফ্রিকার উত্তর কেপের কারোতে। মুর্চিসন শায়ারে হচ্ছে স্বল্প তরঙ্গের এসকেএ-১। কারোতে মাঝারি তরঙ্গের এসকেএ-২। দুই স্থানেই এদিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রকল্পে অংশগ্রহনকারী ৮ দেশের প্রতিনিধিরা।

    আরও পড়ুন: ব্রহ্মাণ্ডের আদি ছায়াপথগুলির তথ্য দেবে ভারতের ‘সারস’

    টেলিস্কোপ (Telescope) সম্পর্কে আরও কিছু কথা

    শক্তিশালী এই টেলিস্কোপটির (Telescope) নির্মাণকাজ  ২০২৮ সালে শেষ হবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।  ব্রিটেন থেকেই এই প্রকল্পের যাবতীয় সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে , খবর পাওয়া যাচ্ছে। বিজ্ঞানীদের ধারণা পৃথিবীর বর্তমান টেলিস্কোপগুলোর (Telescope) চেয়ে ১০ হাজার গুণ কম সময়ে মহাকাশের জটিল সমীকরণের সমাধান করতে পারবে এসকেএ। পৃথিবী থেকে কোটি কোটি আলোকবর্ষ দূরের মহাজাগতিক উৎস থেকে আসা অতি ক্ষীণ রেডিও সংকেত ‘বিগ ব্যাং’র প্রথম কয়েকশ মিলিয়ন বছরে নির্গত সংকেত কিংবা মহাবিশ্বের সবচেয়ে প্রাচুর্যের উপাদান হাইড্রোজেনের ইতিহাস-সবই চলে আসবে হাতের মুঠোয়।  স্কয়ার কিলোমিটার অ্যারে অর্গানাইজেশনের পরিচালক অধ্যাপক ফিল ডায়মন্ড বলেন, ‘এ যাত্রা দীর্ঘ ৩০ বছরের। প্রথম ১০ বছর কেটেছে পরিকল্পনায়। দ্বিতীয় ১০ বছর কেটেছে  প্রযুক্তিগত উন্নয়নে। শেষ দশক কেটেছে সরকারি অনুমোদন, তহবিল সংগ্রহে।

    টেলিস্কোপের (Telescope) প্রাথমিক স্থাপত্যটিতে ২০০টি প্যারাবোলিক অ্যান্টেনা থাকবে। সেসঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা হবে ১৩১,০০০টি ডাইপোল। এটি দেখতে কিছুটা ক্রিসমাস ট্রির মতো লাগবে। সিস্টেমটি ৫০ মেগাহার্টজ থেকে ২৫ গিগাহার্টজ পর্যন্ত কাজ করবে।  প্রকল্পটির বর্তমান সদস্যরা হল-দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, চীন, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, পর্তুগাল এবং সুইজারল্যান্ড।  ফ্রান্স, স্পেন এবং অতি সম্প্রতি জার্মানি যোগদান দেবে বলে শোনা যাচ্ছে। কানাডা, ভারত, সুইডেন, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানও যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • SARAS Telescope: ব্রহ্মাণ্ডের আদি ছায়াপথগুলির তথ্য দেবে ভারতের ‘সারস’

    SARAS Telescope: ব্রহ্মাণ্ডের আদি ছায়াপথগুলির তথ্য দেবে ভারতের ‘সারস’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশ গবেষণায় বিশ্বের উন্নত দেশগুলির সাপেক্ষে পিছিয়ে নেই আমাদের দেশ। নিত্যনতুন গবেষণা চলছে মহাজাগতিক রহস্য উন্মোচনের জন্য। বিগ ব্যাং-এর ২০ কোটি বছর পরের সময়কালকে মহাজাগতিক ভোর বলা হয়। এবার এই সময়কালে তৈরি হওয়া আদি গ্যালাক্সি বা ছায়াপথগুলির বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য খুঁজে বের করবে ভারতের শক্তিশালী রেডিও টেলিস্কোপ। যার পোশাকি নাম ‘সারস’ (SARAS Telescope)। বেঙ্গালুরুর রমন রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা প্রাচীন এই ছায়াপথগুলির এনার্জি আউটপুট, ভর ইত্যাদি নির্ণয় করবেন এই শক্তিশালী টেলিস্কোপটির সাহায্যে।

    আরও পড়ুন: আরেক সফল অভিযান ইসরোর, পিএসএলভি-তে চেপে ৯টি উপগ্রহ গেল মহাকাশে

    টেলিস্কোপটি কোথায় রাখা ছিল এতদিন ? কোন কোন দেশ রয়েছে এই গবেষণায় ?

    The Shaped Antenna measurement of the background Radio Spectrum 3 সংক্ষেপে ‘সারস’ (SARAS) টেলিস্কোপটি তৈরি করেছে রমন রিসার্চ ইনস্টিটিউট। যাবতীয় ডিজাইনও তারাই করেছে। ২০২০-এর প্রথম দিকে এই টেলিস্কোপটি (SARAS Telescope) ছিল উত্তর কর্নাটকের দন্ডিগনহাল্লি হ্রদ  এবং সরাবতী নদীর উপর।

    আরও পড়ুন: জোড়া ব্যর্থতার পর অবশেষে সফল হল নাসার ‘আর্টেমিস ১’-এর উৎক্ষেপণ

    রমন রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা ছাড়াও এই গবেষণায় রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার কমনওয়েলথ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ অর্গানাইজেশন (CSIRO), কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় এবং তেল আভিভ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো নামী প্রতিষ্ঠান। প্রতিনিয়ত যারা গবেষণায় রত রয়েছে প্রথম প্রজন্মের বা আদি ছায়াপথগুলির ভর, এনার্জি আউটপুট প্রভৃতি বৈশিষ্টগুলি খুঁজে বের করার কাজে।

    আরও পড়ুন: ইসরোর সহযোগীতায় ভারতে প্রথমবার বেসরকারি সংস্থার রকেট উৎক্ষেপণ 

    ছায়াপথের মধ্যে এবং চারিদিকে হাইড্রোজেন পরমাণুর বিকিরণ পর্যবেক্ষণ করে বিজ্ঞানীরা যে তথ্য পেয়েছেন, তাতে দেখা যাচ্ছে এই বিকিরণের তরঙ্গ ১৪২০ MHz. ব্রহ্মাণ্ড যত বিস্তৃতি লাভ করেছে ততটাই প্রসারিত হয়েছে এই বিকিরণ। পৃথিবীতে একেবারে নিম্ন তরঙ্গের Radio Band আসে, যেগুলির মাত্রা ৫০-২০০ MHz. এগুলি সাধারণত ব্যবহার করা হয় FM এবং TV transmission এর কাজে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Artemis 1 Mission: জোড়া ব্যর্থতার পর অবশেষে সফল হল নাসার ‘আর্টেমিস ১’-এর উৎক্ষেপণ

    Artemis 1 Mission: জোড়া ব্যর্থতার পর অবশেষে সফল হল নাসার ‘আর্টেমিস ১’-এর উৎক্ষেপণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একের পর এক বাধা কাটিয়ে শেষপর্যন্ত চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দিয়ে সফল হল নাসার ‘আর্টেমিস ১ মিশন’ (Artemis 1 Mission)। চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দিল যাত্রীবিহীন মহাকাশযান ‘ওরিয়ন’। চাঁদে ফের মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে আমেরিকার এই মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। আর আজ তার প্রথম ধাপ সম্পন্ন হল। ভারতীয় সময় দুপুর ১২টা ১৭ নাগাদ ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে লঞ্চ হল নাসার ‘আর্টেমিস ১’।

    বাধা কাটিয়ে সফল উৎক্ষেপণ

    আর্টেমিস-১-এর সফল উৎক্ষেপণের উপর নির্ভর করেই আগামী দিনে নাসা চন্দ্রাভিযান নিয়ে আরও বড় আকারের পরিকল্পনা করবে (Artemis 1 Mission)। এর আগে যান্ত্রিক কারণে দুবারের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। পরপর দুবার বাতিল করা হয়েছে উৎক্ষেপণ। একবার ইঞ্জিনে ত্রুটি, একবার হাইড্রোজেন গ্যাসের লিকের কারণে উৎক্ষেপণ করা হয়নি। কিন্তু এবার এই যানটি চাঁদের কক্ষপথে গিয়ে যানটিকে কক্ষপথে ছেড়ে দেবে। ক্যাপসুলের মতো খুলে যাবে ঢাকনা। বেরিয়ে আসবে যানটি। চাঁদকে প্রদক্ষিণ করে অবতরণের জায়গাগুলো চিহ্নিত করে আসবে ওরিয়ন। মহাকাশচারীদের জন্য লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম ঠিকঠাক ভাবে কাজ করছে কি না তা খুঁটিয়ে পরীক্ষা করে আসবে স্পেস রকেট।

    আরও পড়ুন: চাঁদের বুকে কোথায় নামবেন মহাকাশচারীরা? ১৩টি জায়গা বেছে নিল নাসা

    আর্টেমিস মিশনের তিনটি ধাপ

    দীর্ঘ ৫০ বছর পর চাঁদে মানুষ পাঠানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। তাই এর তোড়জোড়ও শুরু হয়ে গিয়েছে পুরোদমে। এরই মধ্যে এক ধাপ সফল হয়েছে। নাসার চাঁদে মানুষ পাঠানোর মিশন সম্পন্ন হবে মোট ৩টি ধাপে। যার প্রথম ধাপ ‘আর্টেমিস ১’। এটি যাত্রীবিহীন অভিযান। যার মূল লক্ষ্য, চাঁদের মাটিতে নামার জন্য সম্ভাব্য ‘ল্যান্ডিং সাইট’গুলি চিহ্নিত করা। অর্থাৎ কোথায় মহাকাশচারীরা অবতরণ করবেন তা চিহ্নিত করা। এরপর একই পরীক্ষা হবে মিশনের দ্বিতীয় ধাপেও। তা সফল হলে তৃতীয় ধাপের অভিযানে চাঁদে পাড়ি দেবে মানুষ (Artemis 1 Mission)।

    উল্লেখ্য, নাসার তরফে জানানো হয়েছে, এটি আবার পৃথিবীর দিকে ফিরে আসবে একটি নির্দিষ্ট সময় পর। প্রশান্ত মহাসাগরে ল্যান্ড করার আগে ওরিয়ন চাঁদকে প্রদক্ষিণ করবে। অনুমান করা হয়েছে, এটি ২৫ থেকে ২৬ দিনের মধ্যে প্রশান্ত মহাসাগরে ল্যান্ড করবে।  

  • Chandra Grahan: আজ বছরের শেষ চন্দ্রগ্রহণ, জানেন কলকাতায় দেখা যাবে কখন?

    Chandra Grahan: আজ বছরের শেষ চন্দ্রগ্রহণ, জানেন কলকাতায় দেখা যাবে কখন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ বছরের শেষ চন্দ্রগ্রহণ (Lunar Eclipse)। কলকাতা-সহ উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ দেখতে পাওয়া যাবে। নাসার তরফে জানানো হয়েছে, এই চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে উত্তর পূর্ব ইউরোপ, এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, প্রশান্ত মহাসাগর, ভারত মহাসাগর, উত্তর আমেরিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার বেশিরভাগ জায়গা থেকেই চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে। 

    আরও পড়ুন: চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদের রঙ কেন লাল দেখায়? জানাচ্ছেন নাসা বিজ্ঞানীরা

    কলকাতায় বিকেল ৪টে ৫২-য় চাঁদ উঠবে। সেইসময় থেকে বিকেল ৫টা ১১ পর্যন্ত পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ। অর্থাৎ কলকাতায় পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণের সময়সীমা ১৯ মিনিট। চন্দ্রগ্রহণ ছাড়ছে সন্ধে ৬টা ১৯-এ। ৫টা ১১ থেকে ৬টা ১৯ পর্যন্ত আংশিক চন্দ্রগ্রহণ। কলকাতায় আংশিক চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে ১ ঘণ্টা ৮ মিনিট। সব মিলিয়ে গ্রহণ শুরু হবে বিকেল ৪টে ৫২ মিনিটে এবং শেষ হবে সন্ধে ৭টা ২৬ মিনিটে। গ্রহণ স্থায়ী হবে ২ ঘণ্টা ৩৪ মিনিট।  এর পরের চন্দ্রগ্রহণ তিনবছর পর, ২০২৫-এর ১৪ মার্চ। শিলিগুড়িতে বিকেল ৪টে ৪৯ মিনিটে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণের সাক্ষী হবে। গ্রহন ২ ঘণ্টা ৪১ মিনিট স্থায়ী হবে। গুয়াহাটিতে গ্রহণ শুরু হবে ৪টে ৩২ মিনিটে শেষ হবে ৭টা ২৬মিনিটে।

    আরও পড়ুন: বছরের শেষ চন্দ্রগ্রহণ! জেনে নিন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি

    আজ সারা দেশে পালিত হচ্ছে রাসপূর্ণিমা। এবার রাসপূর্ণিমায় পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ হতে চলেছে। বাংলাদেশ থেকেও গ্রহণ পরিলক্ষিত করা যাবে। বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী, দুপুর ২ টো ৪ সেকেন্ডে চন্দ্রগ্রহণ শুরু হবে। সন্ধ্যা ৬ টা ৪৯ মিনিট ৪ সেকেন্ড পর্যন্ত চন্দ্রগ্রহণ চলবে। ভারত এবং বাংলাদেশে পুরো গ্রহণ দেখা যাবে না। গ্রহণের শেষ অংশ দেখা যাবে। আজকের চন্দ্রগ্রহণ আংশিক দেখা যাবে দিল্লি থেকে। কলকাতা, শিলিগুড়ি, পটনা, রাঁচি, গুয়াহাটি-সহ দেশের পূর্ব অংশ থেকে আজ পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ সম্পূর্ণ দেখা যাবে। নিজেদের অঞ্চল থেকে চন্দ্রগ্রহণ দেখা গেলে এই মহাজাগতিক দৃশ্য পর্যবেক্ষণ করার চেষ্টা করবেন। তবে খালি চোখে চন্দ্রগ্রহণ না দেখাই ভাল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Reason for Blood Moon: ব্লাড মুন কী? কেন গ্রহণের সময় রক্তিম হয় চাঁদ? জানুন আসল কারণ

    Reason for Blood Moon: ব্লাড মুন কী? কেন গ্রহণের সময় রক্তিম হয় চাঁদ? জানুন আসল কারণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছরের শেষ চন্দ্রগ্রহণ (Lunar Eclipse 2022) হতে চলেছে আজ। আজকের চন্দ্রগ্রহণ পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ হতে চলেছে। পরবর্তী পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ আবার তিন বছর পর দেখা যাবে, যা ১৪ মার্চ, ২০২৫। আজ চাঁদ একেবারে লালচে বর্ণ ধারণ করবে। কয়েক বছর অন্তর এই দৃশ্যের সাক্ষী হওয়ার সুযোগ মেলে বিশ্ববাসীর। সূর্য, চন্দ্র ও পৃথিবী যখন একই সরলরেখায় থাকে এবং পৃথিবীর ছায়া যখন চন্দ্রের ওপর পড়ে তখনই চন্দ্রগ্রহণ হয়ে থাকে। তবে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার মতে, আজকে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ হলেও বিশ্ববাসী আংশিক চন্দ্রগ্রহণের সাক্ষী থাকবেন। 

    ব্লাড মুন কী?

    আজকের চাঁদের রং লাল হয়ে যাওয়ার ঘটনাকে ব্লাড মুন বলা হয়। নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পূর্ণগ্রাসের (Lunar Eclipse 2022) সময় চাঁদ পৃথিবীর সবচেয়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন অংশ ‘আম্ব্রা’ নামক জায়গায় প্রবেশ করে। এরপর চাঁদ যখন আম্ব্রার মধ্যে থাকে, তখন এটি একটি লালচে রং-এ পরিণত হয়ে যায়। এই ঘটনার কারণে চন্দ্রগ্রহণকে কখনও কখনও ‘ব্লাড মুন’ বলা হয়।

    আরও পড়ুন: আজ বছরের শেষ চন্দ্রগ্রহণ, জানেন কলকাতায় দেখা যাবে কখন?

    কিন্তু জানেন কি চাঁদ কেন রক্তাভ বর্ণ ধারণ করে?

    সাধারণত পৃথিবীর ছায়া আম্ব্রা চাঁদের ওই অদ্ভুত রঙ তৈরি করে। নাসার বিজ্ঞানীরা আরও জানিয়েছেন, চন্দ্রগ্রহণের (Lunar Eclipse 2022) সময় চাঁদে তখন একমাত্র সূর্যের আলো পৌঁছয় যা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে যায়। আর বায়ুমন্ডলের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময় ধুলিকণায় প্রতিফলিত হয়ে রক্তিম হয়ে যায়। চন্দ্রগ্রহণের সময় পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে যত বেশি ধুলো বা মেঘ থাকবে, চাঁদকে দেখতে তত বেশি লাল হবে। ফলে যে কারণে আমরা সকালে নীল রঙের আকাশ দেখি এবং সূর্যাস্তের সময় লাল আকাশ দেখি সেই একই ভাবে চাঁদের রংও লাল দেখায়। 

    প্রসঙ্গত, আজ গ্রহণ শুরু হবে বিকেল ৪টে ৫২ মিনিটে এবং শেষ হবে সন্ধে ৭টা ২৬ মিনিটে। গ্রহণ (Lunar Eclipse 2022) স্থায়ী হবে ২ ঘণ্টা ৩৪ মিনিট। কলকাতায় বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে। কলকাতায় চন্দ্রগ্রহণ ছাড়ছে সন্ধে ৬টা ১৯-এ।

  • Birth of Moon: কীভাবে হয়েছিল চাঁদের জন্ম? জানেন?

    Birth of Moon: কীভাবে হয়েছিল চাঁদের জন্ম? জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঁদের জন্ম নিয়ে নানা মুনির নানা মত। অনেকেই চাঁদের জন্ম (Birth of Moon) নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন তত্ত্ব দিয়েছেন। সবচেয়ে প্রচলিত যে তত্ত্বটি রয়েছে তা হল, চাঁদের জন্ম হয়েছিল মাত্র কয়েক ঘণ্টায়। পৃথিবীর সঙ্গে ‘থিয়া’ নামের এক মহাজাগতিক বস্তুর ধাক্কার পরেই চাঁদের সৃষ্টি হয়। থিয়ার আকার প্রায় মঙ্গল গ্রহের সমান ছিল। পৃথিবীর সঙ্গে থিয়ার তীব্র সংঘর্ষ হয়। গবেষকদের মতে, তীব্র সংঘর্ষে পৃথিবী এবং থিয়া থেকে ছিটকে বেরিয়ে এসেছিল কিছু পদার্থ এবং তা সঙ্গে সঙ্গেই পৃথিবীকে কেন্দ্র করে নির্দিষ্ট কক্ষপথে ঘুরতে শুরু করে। আর সেই পদার্থ পরবর্তীতে পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ নামে পরিচিতি পায়।  

    নাসার এই নিয়ে অন্য একটি দাবি রয়েছে। তাদের দাবি, চাঁদের সৃষ্টি হয়েছিল প্রায় সাড়ে চারশো কোটি বছর আগে। সেই দাবিতে বলা হয়, পৃথিবীতে বড়সড় কোনও আলোড়নের ফলে তার উপাদান ছিটকে বেরিয়ে চাঁদের সৃষ্টি হয়েছে। কেউ কেউ এমনও মনে করেন, চাঁদ তৈরি হয়েছিল পৃথিবীরই অংশ দিয়ে। আর চাঁদ তৈরির পরেই তৈরি হয়েছিল প্রশান্ত মহাসাগর!  

    পৃথিবী থেকে প্রায় ৩ লক্ষ ৮৪ হাজার ৪০০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে চাঁদ। এত দূরে থেকেও পৃথিবীর অনেক কিছুকেই নিয়ন্ত্রণ করে উপগ্রহটি। চাঁদের সৃষ্টিতত্ত্ব নিয়ে এর আগেও বহু গবেষণা হয়েছে। কিন্তু ঠিক কীভাবে এই উপগ্রহ তৈরি হয়েছে, তার খুঁটিনাটি তথ্য অনেকাংশেই রহস্যে মোড়া।

    আরও পড়ুন: “প্রকল্পের নামে প্রহসন”, দুয়ারে সরকার শুরুর ঠিক আগেই রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    চাঁদের প্রকৃত বয়স জানবার জন্য বিগত কয়েক শতাব্দী ধরে বিজ্ঞানী ও গবেষকরা নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রকৃত বয়স জানা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া লস অ্যাঞ্জেলেসের আর্থ, প্লানেটারি অ্যান্ড স্পেস সায়েন্স বিভাগের রিসার্চ জিওকেমিস্ট মেলানি বারবোনি বলেন, “আমরা অবশেষ চাঁদের একটি সর্বনিম্ন বয়স স্থির করেছি।” নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে সৌরজগৎ সৃষ্টির ৬০ মিলিয়ন বছর পর চাঁদ সৃষ্টি হয়েছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share