Category: বিজ্ঞান

Get updated Science and Research related news from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • NASA Largest Comet: মহাকাশের বৃহত্তম ধূমকেতুর হদিশ দিল নাসা, এগোচ্ছে পৃথিবীর দিকে?

    NASA Largest Comet: মহাকাশের বৃহত্তম ধূমকেতুর হদিশ দিল নাসা, এগোচ্ছে পৃথিবীর দিকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশের বৃহত্তম ধূমকেতুর (Comet) সন্ধান দিল নাসার (NASA) হাবল টেলিস্কোপ (Hubble telescope)।  এতদিন পর্যন্ত আবিষ্কার হওয়া ধূমকেতুগুলির মধ্যে এর দৈর্ঘ্য সর্বাধিক। যা শুনলে চমকে উঠবে যে কেউ। 

    এই ধূমকেতুর দৈর্ঘ্য সম্পর্কে এতদিন যা ধারণা ছিল,তা ভেঙে গিয়েছে। নাসার তরফে জানানো হয়েছে, মহাকাশের বৃহত্তম ধূমকেতুর মূল অংশটির ব্যাস প্রায় ১৩০ কিলোমিটার। এর নাম C/2014 UN271। সাধারণ ধূমকেতুর যে দৈর্ঘ্য, তার থেকে এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৫০ গুণ বেশি! আমেরিকার দ্বীপ রোদে আইল্যান্ডের থেকেও বড় এটি। প্রায় ৩৫ হাজার কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে সেটিকে ছুটে আসতে দেখা গিয়েছে সৌরজগতের সীমানার দিকে।
    কেবল দৈর্ঘ্য় নয়, ধূমকেতুটির ভরও চমকে দেওয়ার মতো। এর ভর প্রায় ৫০০ লক্ষ কোটি টন। এটিও এতদিন আবিষ্কৃত ধূমকেতুদের থেকে বহু গুণ বেশি। স্বাভাবিক ভাবেই এমন অতিকায় ধূমকেতুকে দেখে বিস্মিত বিজ্ঞানীরা। ২০০২ সালে দেখা গিয়েছিল C/2002 VQ94 নামের এক ধূমকেতু। সেটিই ছিল এতদিন পর্যন্ত চেনা ধূমকেতুদের মধ্যে সবথেকে দীর্ঘ। কিন্তু এবার সেই রেকর্ডও ভেঙে গেল। 

    এই ধূমকেতুটিকে প্রথমবার দেখা গিয়েছিল ২০১০ সালে। সেই সময় সূর্যের থেকে এর দূরত্ব ছিল ৩০০ কোটি মাইল। তবে সেবার কেবল একে দেখা গেলেও এর অস্তিত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত খবর পাওয়া গেল প্রথম বার। আশ্চর্য এই ধূমকেতুকে নিয়ে মহাকাশপ্রেমীদের কৌতূহলের শেষ নেই। 

    নাসা জানাচ্ছে, ২০৩১ সালে সেটি পৃথিবীর কাছাকাছি চলে আসবে। তাহলে কি ওই অতিকায় ধূমকেতুর সঙ্গে সংঘর্ষ হতে চলেছে আমাদের পৃথিবীর। এবিষয়ে অবশ্য আশ্বস্ত করছে নাসা। জানা গিয়েছে, আমাদের নীল গ্রহের কাছে এলেও ধূমকেতুটি তার থেকে অনেক দূর দিয়েই চলে যাবে। তাই কোনও বিপদের আশঙ্কা নেই। তবে রাতের আকাশের দিকে চোখ রেখে যে চমকে উঠবেন মহাকাশপ্রেমীরা, তাতে সন্দেহ নেই।

     

  • Solar Flare Hits Earth: পৃথিবীতে আছড়ে পড়ল ‘সোলার ফ্লেয়ার’, এশিয়া, অস্ট্রেলিয়ায় রেডিও ব্ল্যাকআউট

    Solar Flare Hits Earth: পৃথিবীতে আছড়ে পড়ল ‘সোলার ফ্লেয়ার’, এশিয়া, অস্ট্রেলিয়ায় রেডিও ব্ল্যাকআউট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূ-চৌম্বকীয় ঝড় পৃথিবীতে আঘাত হানার পর থেকেই সূর্যের ক্রিয়াকলাপ আবারও গতি পাচ্ছে। দু-একদিনের মধ্যেই পৃথিবীতে ধেয়ে এসেছে ভূ-চৌম্বকীয় তরঙ্গ! রবিবারই একটি সূর্য তরঙ্গাংশ এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ায় রেডিও যোগাযোগে বিপত্তি তৈরি করে। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, এখানেই শেষ নয়, পৃথিবীকে আরও যন্ত্রণা দিতে আগামী এক সপ্তাহ জুড়ে সূর্যের নানা কার্যকলাপ চলতেই থাকবে। আর কী হতে পারে এই সপ্তাহ জুড়ে, আশঙ্কার কথা বলছেন বিজ্ঞানীরা। 

    সূর্যের পূর্ব দিকের অংশ থেকে একটি সৌর তরঙ্গাংশ বা ফ্লেয়ার তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যে তরঙ্গ দু-একদিন আগে তৈরি হয়েছিল, তেমনই একাধিক তরঙ্গ তৈরি হতে পারে, কারণ একাধিক সান স্পট তার স্থান অদল-বদল করবে। সেই ফ্লেয়ার ধেয়ে আসতে পারে পৃথিবীর দিকে।

    স্পেস ওয়েদার নামে একটি ওয়েবসাইটের দাবি, সপ্তাহের শুরুতে যে কাণ্ড ঘটেছে তা হিমশৈলের চূড়া মাত্র। এর পরেই একটি বড়সড় রেডিও অ্যাক্টিভ রিজিওন রয়েছে। সেটি ধরা পড়েছে রবিবার। সেটির প্রভাব পড়তে পারে পৃথিবীতে। স্পেস ওয়েদার প্রেডিকশন সেন্টারের সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সূর্যের অগ্ন্যুৎপাতের পরে পৃথিবী-সহ সৌরমণ্ডলের অভ্যন্তরীণ গ্রহের দিকে অগ্নিশিখা আঘাত হানতে পারে।

    একটি সৌর শিখা সূর্যের পৃষ্ঠে আকস্মিক, দ্রুত এবং তীব্র বিস্ফোরণ ঘটায়। যখন চৌম্বক ক্ষেত্রের মধ্যে সঞ্চিত বিপুল পরিমাণ শক্তি হঠাৎ করে নির্গত হয় তখনই ঘটে ওই বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণ মহাবিশ্বের দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থজুড়ে বিকিরণ নির্গত করে। সৌরজগতের গ্রহগুলির দিকে আঘাত করে। এই বিকিরণগুলিতে রেডিও তরঙ্গ, এক্স-রে এবং গামা রশ্মি থাকে।

    বিজ্ঞানীরা বলেছেন, একটি সৌর শিখার তিনটি পর্যায় রয়েছে। প্রথম হল পূর্ববর্তী পর্যায়, যেখানে চৌম্বকীয় শক্তির মুক্তি নরম এক্স-রে নির্গমনের মাধ্যমে শুরু হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রোটন এবং ইলেকট্রন এক মিলিয়ন ইলেকট্রন ভোল্টের সমতুল্য শক্তিতে ত্বরাণ্বিত হয়। তৃতীয় পর্যায় হল এক্স-রেগুলির ধীরে ধীরে বিল্ড আপ এবং ক্ষয় হয়। উল্লেখ্য, সূর্য এখন তার একাদশতম সৌর চক্রে রয়েছে, যা পৃষ্ঠের উপর উচ্চ কার্যকলাপ দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। 

    বিজ্ঞানীরা বলেছেন, সৌর ঝড়ের ফলে প্লাজমা ছড়িয়ে পড়ে মহাশূন্যে। এর আগে পৃথিবীর দিকে নয়, পৃথিবীর থেকে দূরবর্তী স্থানে এই ঘটনা ঘটেছিল, তার প্রভাব পড়েছিল পৃথিবীতে। এ বার সেটি পৃথিবীর দিকে মুখ করে থাকা অংশেই ঘটছে। তাই আশঙ্কা বেশি। এই ধরণের সোলার ফ্লেয়ার সাধারণত বিপুল পরিমাণ শক্তি নির্গত করে পৃথিবীর দিকে। ম্যাগনেটিক ফিল্ডে আটকে থাকা সেই শক্তি হঠাৎ বাইরে বেরিয়ে পড়ে। এর ফলে তৈরি হয় বিকিরণ। যা থেকেই ঘনিয়ে আসতে পারে বিপদ।

     

  • Asteroid: কাল পৃথিবীর পাশ দিয়ে চলে যাবে গোল্ডেন গেট ব্রিজের মতো বড় গ্রহাণু

    Asteroid: কাল পৃথিবীর পাশ দিয়ে চলে যাবে গোল্ডেন গেট ব্রিজের মতো বড় গ্রহাণু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  আগামীকাল আরও একটি মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী থাকতে চলেছে পৃথিবী। সানফ্রান্সিসকোর গোল্ডেন গেট ব্রিজের আকারের একটি গ্রহাণু পৃথিবীর কক্ষপথে আসতে চলছোন ঘেঁষে চলে যাওয়ার কথা। ঘণ্টায় ২৫ হাজার কিমি গতিতে গ্রহাণুটি পৃথিবীর পাশ দিয়ে চলে যাবে বলে জানিয়েছে নাসা।

    গ্রহাণুটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘৪১৮১৩৫(২০০৮এজি৩৩)’। সাধারণত পৃথিবীর পাশ দিয়ে এত বড় আকারের কোনও গ্রহাণু গেলে বিপদের আশঙ্কা থাকে। তবে এই গ্রহাণুর ফলে পৃথিবীর কোনও বিপদের আশঙ্কা আপাতত নেই বলেই নাসার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। নাসা সূত্রে খবর, পৃথিবী থেকে ৩,২৪০,০০০ কিমি দূর দিয়ে চলে যাবে গ্রহাণুটি। এর ব্যাস ৪৫০ মিটার।  তবে এই গ্রহাণুটি পৃথিবীর পাশ দিয়ে গেলেও, সেটিকে খালি চোখে দেখা যাবে না বলেই নাসা সূত্রে খবর। তবে ছোট টেলিস্কোপের সাহায্যে দেখা যেতে পারে।

    নাসার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মহাকাশে এখনও পর্যন্ত ১,০৩১,৪৮৮টি গ্রহাণু তৈরি হয়েছে। প্রায় ৪.৬ বিলিয়ন বছর আগে সৌরজগৎ তৈরি হওয়ার শুরুর দিকে এই পাথুরে, বাতাসহীন গ্রহাণুগুলি তৈরি হয়। এই গ্রহাণুগুলি পৃথিবীর কক্ষপথে এলে কিছুটা প্রভাব পড়ে। তবে এবার কোনও প্রভাব পড়বে না বলেই জানিয়েছে নাসা। শেষপর্যন্ত এর গতিপথের দিকে পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে নাসার বিজ্ঞানীরা।

LinkedIn
Share