Category: বিজ্ঞান

Get updated Science and Research related news from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Darknet: ডার্কনেট কী? কেনই বা একে নিষিদ্ধ করা হয়েছে?

    Darknet: ডার্কনেট কী? কেনই বা একে নিষিদ্ধ করা হয়েছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডার্ক নেট বা ডার্কনেট (Darknet) হল ইন্টারনেটের মধ্যে একটি ওভারলে নেটওয়ার্ক যা কেবল নির্দিষ্ট সফ্টওয়্যার, কনফিগারেশন অনুমোদনের মাধ্যমে অ্যাক্সেস করা যেতে পারে। এই প্রায়ই একটি অনন্য কাস্টমাইজড যোগাযোগ প্রোটোকল ব্যবহার করে। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে জার্মান প্রশাসন ডার্কমার্কেট বন্ধ করে দেয়। ডার্কনেটের মধ্যে এটিই ছিল সম্ভবত সব চেয়ে বড় অবৈধ মার্কেটপ্লেস।

    ‘ডার্কনেট’

    ‘ডার্কনেট’ শব্দটি প্রথম চালু হয় ১৯৭০ সালে, কিছু নির্দিষ্ট নেটওয়ার্ককে আলাদা করতে। এই নেটওয়ার্কগুলির মধ্যে রয়েছে আরপানেট-ও। ডার্কনেটের (Darknet) ঠিকানাগুলি আরপানেট থেকে ডেটা গ্রহণ করবে। তবে এটি সাধারণ নেটওয়ার্কের অধীনে তালিকাভুক্ত হবে না বা কোনও পিংয়ের উত্তর দেবে না। ১৯৭০ সালে শব্দটি (Darknet) চালু হলেও, জনপ্রিয়তা লাভ করে ২০০২ সালে। মাইক্রোসফ্টের চার কর্মচারী পিটার বিডল, পল ইংল্যান্ড, মার্কাস পেইনাডো এবং ব্রায়ান উইলম্যানের একটি গবেষণাপত্র ‘দ্য ডার্কনেট অ্যান্ড দ্য ফিউচার অফ কন্টেন্ট  ডিস্ট্রিবিউশন’ প্রকাশ্যে আসার পর। তাঁদের যুক্তি, ডার্কনেট প্রযুক্তির বিকাশের পক্ষে হুমকি স্বরূপ। এটি কপিরাইট লঙ্ঘনকে অনিবার্য করে তুলেছিল। ডার্কনেটকে যে কোনও ধরনের সমান্তরাল নেটওয়ার্ক হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। এটি এনক্রিপ্ট করতে পারে। এটি অ্যাক্সেস করার জন্য ইউজারের প্রয়োজন হয় একটি নির্দিষ্ট প্রোটোকলের।

    ডার্কনেটের সুবিধা

    ডার্কনেট গণ নজরদারি থেকে নাগরিকদের গোপনীয়তার সুরক্ষা দেয়। হ্যাকিং, ফিশিং সহ নানা সাইবার ক্রাইম করতে সাহায্য করে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে ভিন্নমতাবলম্বীদের সুরক্ষা দেয়। পাবলিক ডোমেনে শ্রেণিবদ্ধ তথ্যের হুইসেলব্লোয়িং এবং খবর ফাঁসে সাহায্য করে। অবৈধ পণ্য ও পরিষেবা ক্রয়-বিক্রয় করা যায়। নেটওয়ার্ক সেন্সরশিপ, বিষয়বস্তু-ফিল্টারিং সিস্টেম ও সীমিত ফায়ারওয়াল নীতিগুলিকে বাইপাস করে।

    আর পড়ুন: “জনতা কাজ চায়, স্লোগান নয়”, লোকসভা অধিবেশনের আগে বললেন মোদি

    ডার্কনেটের সঙ্গে ডিপওয়েবের পার্থক্য রয়েছে। বিশ্বের সিংহভাগ ডিজিটাল কন্টেট ভায়া ওয়েব সার্চ ইঞ্জিন অ্যাক্সেস করে না। অন্যদিকে, ডিপওয়েবে রয়েছে কলোসাল অ্যামাউন্ট অফ ইনফর্মেশন। এতে অনলাইনের প্রায় সব ধরণের কাজ করা যায়। ডিপওয়েবকে ডেইলি রুটিনের অঙ্গীভূত করা যায়। ইমেল অ্যাকাউন্ট লগইন করা, অনলাইন ব্যাঙ্কিং ডিটেইলস চেক করা কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করা – এসবই করা যায় ডিপওয়েবে। ডিপওয়েবের উপাদানগুলি হল ডেটাবেস, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ, অনলাইন ব্যাঙ্কিং, ইমেল, ইন্টারনেট, ফোরাম, পেওয়াল প্রোটেকটেড কনটেন্ট। মনে রাখতে হবে, ডার্কওয়েবের অরিজিনে কেউ পিনপয়েন্ট করতে পারে না (Darknet)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ISRO: তৃতীয়বার সফল অবতরণ ‘পুষ্পকে’র, ইসরোর মুকুটে নয়া পালক

    ISRO: তৃতীয়বার সফল অবতরণ ‘পুষ্পকে’র, ইসরোর মুকুটে নয়া পালক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার, ২৩ জুন তৃতীয়বার সফল অবতরণ করল ইসরোর (ISRO) পুষ্পক। এটি আদতে পুনর্ব্যবহারযোগ্য একটি মহাকাশযান। মহাকাশ বিজ্ঞানের পরিভাষায় ‘রিইউজেবল লঞ্চ ভেহেক্যাল’। ইসরোর বিজ্ঞানীরা এর নাম রেখেছেন ‘পুষ্পক’। পৌরাণিক আখ্যানে যে পুষ্পক রথের কথা বলা হয়েছে, তার নামেই নামকরণ করা হয়েছে এই রিইউজেবল লঞ্চ ভেহেক্যালের।

    ‘পুষ্পকে’র অবতরণ (ISRO)

    ‘আরএলভি এলইএক্স-০৩’ নামে পরিচিত এই মিশনটি কর্নাটকের চিত্র দুর্গার অ্যারোনটিক্যাল টেস্ট রেঞ্জ থেকে পরিচালনা করা হয়। ভারতীয় বায়ুসেনার চিনুক হেলিকপ্টার থেকে ৪. কিলোমিটার উচ্চতায় নিয়ে গিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় পুষ্পককে। ইসরোর তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এলইএক্স-০৩ সিরিজের তৃতীয় এবং চূড়ান্ত পরীক্ষা হয়েছিল ভারতীয় সময় অনুযায়ী ৭টা ১০ মিনিটে। কর্নাটকের চিত্র দুর্গার অ্যারোনটিক্যাল টেস্ট রেঞ্জে পরীক্ষাটি চালানো হয়েছিল। দ্রাঘিমা ও পার্শ্বীয় সমতল ত্রুটি সংশোধনের জন্য মিশনটিতে উন্নত নির্দেশিকা যুক্ত অ্যালগোরিদম ব্যবহার করা হয়েছে।

    এক ঢিলে মরবে একাধিক পাখি

    এই মিশনে আগেরবারের মিশন আরএলভি এলইএক্স-০২-র উইং বডি এবং ফ্লাইট সিস্টেমগুলি ব্যবহার করা হয়েছে। এই মিশনটি ইসরো (ISRO), ভারতীয় বিমান বাহিনী ও অন্য কয়েকটি সংস্থার একটি যৌথ প্রচেষ্টা। ইসরোর এই মিশন সফল হওয়ায় এক ঢিলে অনেকগুলি পাখি মরবে। প্রথমত, পুনর্ব্যবহারযোগ্য যান হওয়ায় মহাকাশে দূষণ কমবে। সর্বোপরি, মহাকাশ অভিযানের খরচ একলপ্তে কমে যাবে অনেকখানি। ইসরো সূত্রের দাবি, ‘পুষ্পকে’র মতো আরএলভিকে মহাকাশ থেকে মাটিতে ফিরিয়ে আনার প্রযুক্তি ভারতের হাতে এসে গিয়েছে। পরে সেটিকে আবারও মহাকাশে ফেরত পাঠানো যাবে।

    আর পড়ুন: নিট কেলেঙ্কারির শেকড়ে পৌঁছতে এবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ

    ‘পুষ্পক’ মিশন সফল হওয়ায় টিম ইসরোকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ। তিনি বলেন, “পুষ্পকের সফল অবতরণ হ্যাটট্রিক করেছে। এটা ইসরোর বড় সাফল্য। পুষ্পকের অরবিটাল টেস্ট চলছে। মহাকাশে এটিকে একটি রকেটে লঞ্চ করা হবে। তাহলেই এটি নিরাপদে ফিরে আসবে পৃথিবীতে।” তিনি বলেন, “এটি প্রকৃতই একটি গেম চেঞ্জার প্রযুক্তি। এতে মহাকাশে যান পাঠানো অনেক সস্তা হয়ে যাবে। এটি ইসরোর আত্মনির্ভর প্রচেষ্টার সুফল। একবিংশ শতাব্দীতে সম্পূর্ণ স্বদেশি পথে লঞ্চ করা হল রিইউজেবল লঞ্চ ভেহেক্যাল পুষ্পকের।” ভিএসএসসির ডিরেক্টর এস উন্নীকৃষ্ণণ নায়ার বলেন, “এই ধারাবাহিক সাফল্য ভবিষ্যতের অরবিটাল রি-এন্ট্রি মিশনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তির প্রতি ইসরোর আস্থা অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে (ISRO)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Elephant Voice: জানেন হাতিরাও নিজেদের মধ্যে নাম রাখে? একে অপরকে সেই ভাবেই সম্বোধন করে

    Elephant Voice: জানেন হাতিরাও নিজেদের মধ্যে নাম রাখে? একে অপরকে সেই ভাবেই সম্বোধন করে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাতিদেরও (Elephant Voice) নাম রয়েছে এবং তারা একে অপরকে সেই নামেই সম্বোধন করে। নিজেদের মধ্যে ভাব বিনিময় করে। সম্প্রতি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে বিজ্ঞানীরা এমনই তথ্য জানতে পেরেছেন। অর্থাৎ হাতিদের ভাব বিনিময় ঠিক একেবারে মানুষের মতোই এবং তা অন্যান্য প্রাণীদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। চলতি জুন মাসের ১০ তারিখ নেচার জার্নালে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ পেয়েছিল। সেখানেই উল্লেখ করা হয় যে আফ্রিকা মহাদেশের হাতিরা একে অপরকে আলাদা আলাদা ভাবে নির্দিষ্ট নামে ডেকে সম্মোধন করে ও ভাব বিনিময় করে। প্রসঙ্গত, এই সংক্রান্ত গবেষণাটি চালান কলরাডো স্টেট ইউনিভার্সিটির বেশ কিছু প্রাক্তনী।

    আফ্রিকান হাতিরা তাদের বাচ্চাদের নামও রাখে এবং সেই নামে সম্বোধন করে 

    আরও চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে গবেষণায়, আফ্রিকান হাতিরা তাদের বাচ্চাদের নামও রাখে এবং সেই নামে সম্বোধন করে। তাদের সঙ্গে ভাব বিনিময় করে। শুধু তাই নয়, এই নামগুলি সঙ্গে মানুষের দেওয়া নামের যথেষ্ট মিল রয়েছে বলে দাবি গবেষকদের। হাতিদের ডাকার নাম ধরে এক হাতি অপর হাতিকে ঠিক চিনতেও পারে। গবেষকদের আরও দাবি, কখনও কখনও একটি হাতি যখন অন্য হাতির দলকে ডাকে, তখন সবাই একসঙ্গে সাড়া দেয় কিন্তু যখন সেই একই হাতি (Elephant Voice) নির্দিষ্ট হাতির উদ্দেশে ডাক দেয় তখন শুধু সেই হাতিই সাড়া দেয়। 

    হাতির ডাকগুলিতে একটি নাম সদৃশ্য উপাদান রয়েছে

    এই গবেষণায় গবেষকরা আফ্রিকা মহাদেশের অ্যাম্বসেলি ন্যাশনাল পার্ক রিজার্ভের ১০০টিরও বেশি হাতির (Elephant Voice) কণ্ঠস্বর বিশ্লেষণ করেছেন। সেখানে দেখা গিয়েছে বেশিরভাগ হাতিই তাদের ভোকাল কর্ডকে ব্যবহার করে ডাকাডাকি করতে। ওই কণ্ঠস্বরকে বিশ্লেষণ করে আরও জানা গিয়েছে যে হাতির ডাকগুলিতে একটি নাম সদৃশ উপাদান রয়েছে যা একটি মাত্র নির্দিষ্ট হাতিকেই চিহ্নিত করেন।

    কী বলছেন গবেষকরা? 

    কলোরাডো স্টেট ইউনিভার্সিটি প্রাক্তনী তথা গবেষক মিকি পারডোর মতে, হাতিরা একে অপরকে ব্যক্তি হিসেবে সম্বোধন করে যা তাদের মধ্যে একটি সামাজিক বন্ধন তৈরি করে। দূরবর্তী হাতির দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য তারা নির্দিষ্ট কণ্ঠস্বর ব্যবহার করে এবং এটি অনেকটা মানুষের মতোই। গবেষকদের এও দাবি যে নতুন এই সমীক্ষা তুলে ধরে যে হাতিরা ঠিক কতটা বুদ্ধিমান! গবেষকরা হাতির (Elephant Voice) গর্জনের একটি অডিও রেকর্ডিং শুনিয়েছিল ১৭টি হাতিদের একটি দলকে। তখন দেখা যায় নির্দিষ্ট কিছু শব্দতে আলাদা আলাদা হাতি প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে এবং অন্যান্য হাতির দিকে তাকাচ্ছে।

    মানুষ কি একদিন হাতির সঙ্গে কথা বলতে পারবে?

    কৌতূহল জাগছে তবে কি মানুষ একদিন হাতির (Elephant Voice) সঙ্গে কথা বলতে পারবে? এনিয়ে অবশ্য গবেষকরা বলছেন, এটি যদি হয় তাহলে তা অবশ্যই চমৎকার বিষয় হবে। তবে এখনও তা থেকে আমরা অনেকটা দূরে আছি। কারণ আমরা এখনও মৌলিক উপাদানগুলি জানিনা যার দ্বারা হাতির কণ্ঠস্বরের তথ্য এনকোড করে। আগে হাতিকে বোঝানোর মত কণ্ঠস্বর তথ্যকে এনকোড করতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Elephant Voice: একে অপরকে নাম ধরে সম্বোধন করে হাতিরা, গবেষণায় উঠে এল চমকপ্রদ তথ্য

    Elephant Voice: একে অপরকে নাম ধরে সম্বোধন করে হাতিরা, গবেষণায় উঠে এল চমকপ্রদ তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাতিদেরও (Elephant Voice) নাম রয়েছে এবং তারা একে অপরকে সেই নামেই সম্বোধন করে। নিজেদের মধ্যে এভাবেই ভাব বিনিময় করে তারা। সম্প্রতি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে বিজ্ঞানীরা এমনই তথ্য জানতে পেরেছেন। অর্থাৎ হাতিদের ভাব বিনিময় ঠিক একেবারে মানুষের মতো এবং তা অন্যান্য প্রাণীদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। চলতি মাসের ১০ জুন নেচার জার্নালে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ পেয়েছিল। সেখানেই উল্লেখ করা হয় যে আফ্রিকা মহাদেশের হাতিরা একে অপরকে আলাদা আলাদা ভাবে নির্দিষ্ট নামে ডেকে সম্মোধন করে ও ভাব বিনিময় করে।

    কারা করলেন এমন সমীক্ষা?

    প্রসঙ্গত, এই সংক্রান্ত সমীক্ষাটি চালান কলোরাডো স্টেট ইউনিভার্সিটির প্রাক্তনী মাইকেল পারডো, কার্ট ফ্রিস্ট্রুপ ও ডেভিড জর্জ উইটেমায়া। সহযোগিতায় ছিলেন সেভ দ্য এলিফ্যান্টস (কেনিয়া)-এর লোলচুরাগি এবং ইয়ান ডগলাস-হ্যামিল্টন। এর পাশাপাশি, এলিফ্যান্টভয়েস (নরওয়ে)-এর জয়েস পুল ও পেটার গ্র্যানলও ছিলেন। অ্যাম্বোসেলি এলিফ্যান্ট রিসার্চ প্রজেক্ট (কেনিয়া)-এর সিনথিয়া মসও ছিলেন অন্যতম গবেষক হিসেবে।

    আফ্রিকান হাতিরা তাদের বাচ্চাদের নামও রাখে 

    আরও চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে গবেষণায়, আফ্রিকান হাতিরা (Elephant Voice) তাদের বাচ্চাদের নামও রাখে এবং সেই নামে সম্বোধন করে তাদের সঙ্গে ভাব বিনিময় করে। শুধু তাই নয়, এই নামগুলির সঙ্গে মানুষের দেওয়া নামের যথেষ্ট মিল রয়েছে বলে দাবি গবেষকদের। হাতিদের ডাকার নাম ধরে এক হাতি অপর হাতিকে ঠিক চিনতেও পারে। গবেষকদের দাবি, কখনও কখনও একটি হাতি যখন অন্য হাতির দলকে ডাকে তখন সবাই একসঙ্গে সাড়া দেয় কিন্তু যখন সেই একই হাতি নির্দিষ্ট হাতির উদ্দেশে ডাক দেয় তখন শুধু সেই হাতিই সাড়া দেয়।

    হাতির কণ্ঠস্বর বিশ্লেষণ 

    এই গবেষণায় গবেষকরা অ্যাম্বসেলি ন্যাশনাল পার্কের ১০০টিরও বেশি হাতির কণ্ঠস্বর বিশ্লেষণ করে দেখেছেন, বেশিরভাগ হাতিই তাদের ভোকাল কর্ডকে ব্যবহার করে ডাকাডাকি করতে। ওই কণ্ঠস্বরকে বিশ্লেষণ করে আরও জানা গিয়েছে যে হাতির (Elephant Voice) ডাকগুলিতে একটি নাম সদৃশ্য উপাদান রয়েছে যা একটি মাত্র নির্দিষ্ট হাতিকেই চিহ্নিত করেন। গবেষকরা, একটি হাতির কণ্ঠস্বরের রেকর্ডিং শুনিয়েছিল ১৭টি হাতির একটি দলকে। তখন দেখা যায় নির্দিষ্ট কিছু শব্দতে আলাদা আলাদা হাতি প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে এবং অন্যান্য হাতির দিকে তাকাচ্ছে।

    কী বলছেন গবেষকরা? 

    কলোরাডো স্টেট ইউনিভার্সিটির প্রাক্তনী মিকি পারডোর মতে, হাতিরা একে অপরকে ব্যক্তি হিসেবে সম্বোধন করে যা তাদের মধ্যে একটি সামাজিক বন্ধন তৈরি করে। দূরবর্তী হাতির দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য তারা নির্দিষ্ট কণ্ঠস্বর ব্যবহার করে এবং এটি অনেকটা মানুষের মতোই। গবেষকদের এও দাবি যে নতুন এই সমীক্ষা এটাকেই তুলে ধরে যে হাতিরা ঠিক কতটা বুদ্ধিমান।

    মানুষের সঙ্গে হাতি কবে কথা বলবে?

    জাগছে কৌতূহল জাগছে তবে কি মানুষ একদিন হাতির সঙ্গে কথা বলতে পারবে? এই নিয়ে অবশ্য গবেষকরা বলছেন, এটি যদি হয় তাহলে তা অবশ্যই চমৎকার বিষয় হবে। তবে এখনও তা থেকে আমরা অনেকটা দূরে আছি। কারণ আমরা এখনও মৌলিক উপাদানগুলি জানিনা যার দ্বারা হাতি কণ্ঠস্বর তথ্য এনকোড করে। আগে হাতিকে বোঝানোর মত কণ্ঠস্বর তথ্যকে এনকোড করতে হবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Toll Booths: বাড়বে টোল আদায়ের পরিমাণ, বাঁচবে সময়ও, নয়া ব্যবস্থা করতে উদ্যোগী এনএইচএআই

    Toll Booths: বাড়বে টোল আদায়ের পরিমাণ, বাঁচবে সময়ও, নয়া ব্যবস্থা করতে উদ্যোগী এনএইচএআই

    মাধ্যম নিউজ ডেক্স: জাতীয় সড়কে টোল সংগ্রহে সাহায্যের জন্য আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলিকে আমন্ত্রণ জানালেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ (NHAI)। গ্লোবাল নেভিগেশান স্যাটেলাইট সিস্টেম প্রযুক্তির ভিত্তিতে কীভাবে তাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো যায়, কোম্পানিগুলির সঞ্চিত সেই অভিজ্ঞতাই কাজে লাগাতে চান জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। নয়া এই সিস্টেম শুরু হলে ম্যানুয়াল টোল বুথের মূলোৎপাটন করা হবে।

    নয়া প্রযুক্তি

    ম্যানুয়াল টোল সংগ্রহে যে সমস্যা রয়েছে, তা দূর করতেই নয়া প্রযুক্তির সাহায্যে টোল আদায় করতে চাইছেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ (NHAI)। উদ্যোগটা নিয়েছিল ইন্ডিয়ান হাইওয়েজ ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড। এই কোম্পানি একটি বিশেষজ্ঞ সংস্থা যারা ভারতের জাতীয় সড়কের পরিকাঠামোর আধুনীকিকরণ ও ম্যানেজিংয়ের ওপর আলোকপাত করে। টোল আদায় যাতে আরও বেশি দক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন হয়, টোল সংগ্রহের ক্ষেত্রে যাতে স্বচ্ছতা বজায় থাকে, সেই কারণেই তারা নয়া জিএনএসএস-ভিত্তিক টোল সিস্টেমে চলে যাচ্ছে। এই নয়া প্রযুক্তি হাইওয়েতে ভ্রমণকে করবে তুলনামূলকভাবে অনায়াস। ম্যানুয়াল টোলের ক্ষেত্রে যেমন ট্রাফিকের ভিড় হত, নষ্ট করতে হত মূল্যবান সময়, নয়া ব্যবস্থায় তা হবে না। এক্ষেত্রে ভ্রমণ হবে অনায়াস, দ্রুততর।

    কী চাইছে এনএইচএআই?…

    এনএইচএআই চাইছে বর্তমানে যে ফাস্ট্যাগ (FASTAG) ব্যবস্থা রয়েছে, সেটা বজায় রেখেই জিএনএসএস ভিত্তিক ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন সিস্টেম চালু করতে। প্রাথমিক পর্যায়ে হাইব্রিড মডেলের পাশাপাশি রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন (RFID) ভিত্তিক ইটিসি চালু করতেও চাইছেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। এতে এক সিস্টেম থেকে নয়া ব্যবস্থায় চলে যাওয়া হবে সহজ। পুরোপুরিভাবে সুইচ ওভার করার আগে নয়া জিপিএস সিস্টেমের সঙ্গে কারেন্ট আরএফআইডি সিস্টেমের অ্যাডজাস্টামেন্ট পরীক্ষা ও নিশ্চিত করতে হবে। টোলপ্লাজাগুলিতে গ্লোবাল নেভিগেশান স্যাটেলাইট সিস্টেম (GNSS) ব্যবহার করলে যানবাহনগুলি পারবে দ্রুত টোলগেট পার হতে। এই লেন্সগুলি যানবাহনগুলিকে সহজে হ্যান্ডেল করতে পারবে। জিএনএসএস প্রযুক্তি ব্যবহার করলে টোল গেটে না দাঁড়িয়েই যানবাহন পার হয়ে যেতে পারবে টোলপ্লাজা। ডেডিকেটেড লেনগুলিও ট্রাফিক ম্যানেজ করতে পারবে অনেক বেশি দক্ষভাবে (NHAI)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Flesh Eating Bacteria: ‘মাংস খেকো’ ব্যাকটিরিয়ার সংক্রমণে মৃত্যু ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই!

    Flesh Eating Bacteria: ‘মাংস খেকো’ ব্যাকটিরিয়ার সংক্রমণে মৃত্যু ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকেই মৃত্যুর প্রহর গোণা শুরু। কারণ ‘মাংস খেকো’ এই ব্যাকটিরিয়ার (Flesh Eating Bacteria) সংক্রমণে রোগীর মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী। জাপানের টোকিও শহরে এই সংক্রমণের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। সংক্রমণ ছড়াচ্ছে দ্রুত। করোনার পর ফের এই ‘মাংস খেকো’ ব্যকটিরিয়ার সংক্রমণে ত্রস্ত বিশ্ব।

    মারণ ব্যাকটিরিয়া (Flesh Eating Bacteria)

    মারণ এই ব্যাকটিরিয়ার সংক্রমণে যে রোগ হচ্ছে, চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় তার নাম স্ট্রেপটোকোককাল টক্সিক শক সিনড্রোম। এই ব্যাকটিরিয়ায় সংক্রমিত রোগী মৃত্যু হচ্ছে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই। জাপানের রাজধানী টোকিও শহরে ইতিমধ্যেই খবর মিলেছে ১৪৫ সংক্রমিতের (Flesh Eating Bacteria)। ‘মাংস খেকো’ ব্যাকটিরিয়ার সংক্রমণে যাঁরা সংক্রমিত, তাঁদের সিংহভাগই প্রাপ্ত বয়স্ক, বয়স তিরিশের ঊর্ধ্বে। মৃত্যু হার ৩০ শতাংশের আশপাশে। ২ জুন পর্যন্ত গোটা জাপানে এই রোগে সংক্রমিতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৯৭৭তে। গত বছর এই সংখ্যাটা ছিল ৯৪১ জন।

    রোগের লক্ষণ

    জানা গিয়েছে, শিশুরা এই রোগে সংক্রমিত হলে গলা ব্যথা হবে, গলায় হবে ঘা। খাবার গিলতে পারবে না। গলাও ফুলে যাবে। এর পাশাপাশি হবে জ্বর, হাতে-পায়ে ব্যথা, শরীরের বিভিন্ন জায়গা ফুলে উঠবে, ব্লাড প্রেসার নেমে যাবে দ্রুত। যার জেরে রোগীর শ্বাসকষ্ট শুরু হবে। কাজ করা বন্ধ করে দেবে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ। হতে পারে মৃত্যুও। বিশেষ করে যাঁদের বয়স পঞ্চাশের বেশি, তাঁদের সমস্যাটাও বেশি। টোকিও উইমেন্স মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রমক ব্যাধির অধ্যাপক কেন কিকুচি বলেন, “অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রোগীর মৃত্যু হচ্ছে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই।” তিনি বলেন, “সকাল বেলায় হয়তো রোগী দেখলেন তাঁর পা ফুলতে শুরু করেছে, দুপুরের মধ্যেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে তাঁর হাঁটুতে। এর আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যু হচ্ছে রোগীর।”

    আরও পড়ুন: ছত্তিশগড়ের জঙ্গলে যৌথবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াই, নিহত ৮ মাওবাদী, শহিদ ১ জওয়ান

    প্রাচ্যের জাপানের পাশাপাশি প্রতীচ্যের কয়েকজনও ‘মানুষ খেকো’ এই ব্যাকটিরিয়ায় সংক্রমিত হয়েছেন বলে খবর। ওয়ার্ল্ড হেল্থ অর্গানাইজেশনের তরফে প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে অন্তত পাঁচজন ইউরোপিয়ান এই রোগে সংক্রমিত হয়েছেন। কোভিড বিধিনিষেধ শিথিল হতেই এই রোগে সংক্রমণের হার বাড়ছে। গবেষকদের অনুমান, চলতি বছরের বাকি ছ’মাসেই জাপানে রোগীর সংখ্যা পৌঁছে যেতে পারে ২ হাজার ৫০০তে। এর মধ্যে মৃত্যু হতে পারে ৩০ শতাংশের (Flesh Eating Bacteria)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Climate Change: রাষ্ট্রসঙ্ঘের জলবায়ু সম্মেলন নভেম্বরে, মতানৈক্য অর্থায়ন নিয়ে

    Climate Change: রাষ্ট্রসঙ্ঘের জলবায়ু সম্মেলন নভেম্বরে, মতানৈক্য অর্থায়ন নিয়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসঙ্ঘের জলবায়ু সম্মেলন (Climate Change) শুরু হবে আর ঠিক পাঁচ মাস পরে (COP29 Summit)। তবে এখনও পর্যন্ত বৈশ্বিক অর্থায়ন বিলের সাইজ কী হবে, তা নিয়ে সহমত পোষণ করতে পারেনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। অথচ জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলায় এই অর্থের প্রয়োজন দরিদ্র দেশগুলির।

    সিওপি ২৯ জলবায়ু আলোচনা (Climate Change)

    জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত এই সম্মেলন এবার হবে আজারবাইজানে। সেখানেই হবে সিওপি ২৯ (COP29 Summit) জলবায়ু আলোচনা। সিওপি হল রাষ্ট্রসঙ্ঘের বার্ষিক জলবায়ু সভা। ১৯৯২ সালে রিও আর্থ সম্মেলনে একটি বহুপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করে রাষ্ট্রসংঘের ১৫৪টি দেশ। প্রতিবছর এই সম্মেলন হয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এবার সম্মেলন হবে আজারবাইজানে, নভেম্বর মাসে। সম্মেলনে প্রায় ২০০টি দেশকে বার্ষিক অর্থায়নের লক্ষ্যে সহমত পোষণ করতে হবে। এই অর্থেই দরিদ্র দেশগুলিকে সাহায্য করা হয়। যাতে তারা নির্গমণ কমাতে পারে, সহযোদ্ধা হতে পারে তপ্ততর বিশ্বের হাত থেকে বিশ্ববাসীকে বাঁচাতে (Climate Change)।

    প্রাথমিক কথাবার্তা জার্মানির বনে

    এই তহবিলের (COP29 Summit) নয়া লক্ষ্যমাত্রা বছরে প্রায় ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২০ সালে ধনী দেশগুলি এই খাতে অর্থ দান করার অঙ্গীকার করেছিল। যদিও সেই লক্ষ্য পূরণ হয়েছে দু’বছর পরে। নভেম্বরের এই সম্মেলনের আগে প্রাথমিক কথাবার্তা হয়েছে চলতি সপ্তাহে, জার্মানির বনে। তবে অর্থায়নের বিষয়ে সেখানে উল্লেখযোগ্য কোনও আলোচনা হয়নি। এই আলোচনা শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার। সেখানেও অর্থায়নের বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছতে পারেনি বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশগুলি।

    আরও পড়ুন: তৃতীয় মোদি সরকারের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ বাদল অধিবেশনেই! কবে জানেন?

    ঝুঁকিপূর্ণ জলবায়ুর দেশগুলির (COP29 Summit) তরফে জানানো হয়েছে, জলবায়ু অর্থায়নে বিত্তশালী দেশগুলি অতীতের বকেয়া দিতে দেরি করছে। অথচ সামরিক কিংবা যুদ্ধের খাতে তারা অর্থায়ন করছে দ্রুত। কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমণ এনার্জি সোর্সে ভর্তুকিও দিচ্ছে কোটি কোটি। দক্ষিণ আফ্রিকার তরফে জলবায়ু নিয়ে বিভিন্ন আলোচনায় যোগ দেন পেমি গ্যাসেলা। অর্থায়ন নিয়ে মোক্ষম প্রশ্নটি ছুড়ে দিয়েছেন তিনি। বলেন, “যদি অর্থায়ন না হয়, তাহলে আপনি সামনের দিকে এগোবেন কীভাবে?” তিনি জানান, তাঁর দেশ অনেক উন্নয়নশীল দেশের মতো, যারা অর্থনৈতিক সাহায্য ছাড়া দ্রুত নির্গমণ কমাতে পারে না (Climate Change)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Chat GPT Founder: পদত্যাগের পথে চ্যাট জিপিটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান বিজ্ঞানী ইলিয়া সুৎস্কেভার! কেন?

    Chat GPT Founder: পদত্যাগের পথে চ্যাট জিপিটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান বিজ্ঞানী ইলিয়া সুৎস্কেভার! কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওপেন এআই (Chat GPT Founder) সংস্থার প্রধান বৈজ্ঞানিক এবং সহ-প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়া সুৎস্কেভার ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সংস্থার সঙ্গে দীর্ঘদিন দড়ি টানাটানি চলছিল তাঁর। মনে করা হচ্ছিল চ্যাটজিপিটির সহ-প্রতিষ্ঠাতার সঙ্গে সংস্থার যোগাযোগ আর দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

    প্রধান বৈজ্ঞানিক ইলিয়া সুৎস্কেভার ওপেন এআই ছাড়তে চলেছেন (Chat GPT Founder)

    ওপেন এআই সংস্থার প্রধান অস্ত্র চ্যাট-জিপিটি। এই চ্যাটবট আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের দুনিয়ায় একটা অভাবনীয় পদক্ষেপ। ঘন্টার কাজ মিনিটে করতে সক্ষম চ্যাট জিপিটি। ওপেন এআই সংস্থার বোর্ড অফ ডিরেক্টরদের মধ্যে সংস্থাকে লাভ-মুখী করা হবে নাকি নন প্রফিট অর্গানাইজেশন হিসেবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে তা নিয়ে দোলাচল চলছিল দীর্ঘ দিন ধরে। এর মধ্যেই গত বছর (Chat GPT Founder) সংস্থার নন প্রফিট বোর্ড অফ ডিরেক্টর সিইও স্যাম অল্টম্যানকে সংস্থার সঙ্গে সঠিকভাবে যোগাযোগ না রাখার অভিযোগে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। এরপরে মাইক্রোসফটে পুরনো চাকরি ফিরে পান স্যাম। এই ঘটনার কয়েক মাস পরেই সংস্থার প্রধান বৈজ্ঞানিক সুৎস্কেভার কোম্পানি ছাড়া সিদ্ধান্ত নিলেন। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর তিনি সমাজ মাধ্যমে লেখেন, “কোম্পানি বর্তমানে যাদের হাতে রয়েছে তাঁরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দুনিয়াকে সুরক্ষিত এবং লাভজনক করে তোলার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।”

    আরও পড়ুন: চ্যাট জিপিটি ও জেমিনি এআই-কে টক্কর দিতে ওয়েব দুনিয়ায় হনুমানের আত্মপ্রকাশ

    মনে করা হচ্ছে ওপেন এআই (Chat GPT Founder) সংস্থার টেকনোলজি এবং সংস্থার স্ট্রাটেজি নির্মাণের ক্ষেত্রে ইলিয়া সুৎস্কেভারের সঙ্গে সংস্থার অন্য বোর্ড অফ ডিরেক্টদের মতানৈক্য তৈরি হচ্ছিল। বিশেষ করে স্যাম অল্টম্যানের সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দ্রুত বিকাশ নিয়ে আগেই মতানৈক্য ছিল। এখনও বৈজ্ঞানিকদের একটা অংশ মনে করেন যদি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে নিয়ন্ত্রিত না রাখা যায় তাহলে আগামী দিনে মানব সভ্যতার জন্য এটি ক্ষতিকারক হতে পারে। একইসঙ্গে ভুল তথ্য পরিবেশন এর বিষয়টিও খেয়াল রাখা উচিত।

    ইলিয়া সুৎস্কেভারের সঙ্গে স্যাম অল্টম্যানের মতবিরোধ

    প্রসঙ্গত কয়েকমাস যাবৎ সুৎস্কেভার মূলত জমসমক্ষ থেকে অদৃশ্য হয়ে যান। ফলে (Chat GPT Founder) কোম্পানিতে তাঁর অব্যাহত ভূমিকা সম্পর্কে জল্পনা তৈরি হয়। এরপর মে মাসে সমাজ মাধ্যমে একটি বার্তা পুনঃপোস্ট করার পর প্রথমবার তিনি সোশ্যাল নেটওয়ার্কে কিছু শেয়ার করেছিলেন। মার্চ মাসে একটি প্রেস কনফারেন্সে সুৎস্কেভার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, অল্টম্যান বলেছিলেন যে তিনি তাঁকে ভালোবাসেন এবং তিনি বিশ্বাস করেন যে সুৎস্কেভার ওপেনএআইকে ভালোবাসেন। অল্টম্যান আরও বলেন,”আমি আশা করি আমরা আমাদের বাকি ক্যারিয়ারের কোন না কোন সময় একসাথে কাজ করব।” মঙ্গলবার এক্স-এর একটি পোস্টে, অল্টম্যান লিখেছেন, “ইলিয়া সহজেই আমাদের প্রজন্মের সর্বশ্রেষ্ঠ মনের একজন, আমাদের ক্ষেত্রের পথপ্রদর্শক এবং প্রিয় বন্ধু।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NISAR: “মহাকাশ স্টেশনে ভারতীয় মহাকাশচারী এবং নিসার প্রকল্প লঞ্চের জন্য প্রস্তুত” জানালেন মার্কিন দূত

    NISAR: “মহাকাশ স্টেশনে ভারতীয় মহাকাশচারী এবং নিসার প্রকল্প লঞ্চের জন্য প্রস্তুত” জানালেন মার্কিন দূত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরেই দুটি মিশনে মার্কিন সহযগিতা পাবে ভারত। ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি বলেছেন, “আমেরিকা এই বছরের শেষ নাগাদ একজন ভারতীয় মহাকাশচারীকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পাঠাবে। এছাড়াও মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা এবং ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর মধ্যে একটি যৌথ পৃথিবী-পর্যবেক্ষণ মিশন হবে, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘নিসার’ (NISAR) প্রকল্প। চলতি বছরের শেষ নাগাদ এই মিশন চালু হবে।”

    কী বললেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত

    মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, “আমরা এ বছর একজন ভারতীয় মহাকাশচারীকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছতে যাচ্ছি। আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন তখন আমরা বলেছিলাম যে, ২০২৪-এর শেষ নাগাদ, আমরা এটি সম্পন্ন করব।” 

    ট্র্যাকে রয়েছে মিশন

    দুটি মিশনই ট্র্যাকে রয়েছে। ভারতবাসীর জন্য এ খবর খুবই গর্বের। ইসরো মহাকাশ গবেষণার নয়া দিগন্ত তুলে ধরেছে। গারসেটি জানিয়েছেন যে, নিসার (NISAR) প্রকল্প একটি যৌথ পৃথিবী-পর্যবেক্ষক মিশন। এর পুরো নাম— NASA ISRO Synthetic Aperture Radar। এটি একটি স্যাটেলাইট যা নাসা এবং ইসরো মিলে তৈরি করছে। এই পর্যবেক্ষক মিশন প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। উৎক্ষেপণের তারিখ দ্রুত নির্ধারণ করা হবে। মহাকাশযানটি ভারতের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করবে।

    নিসার ভারতের অত্যাধুনিক স্যাটেলাইট (NISAR)

    ইসরো সূত্রে খবর, উৎক্ষেপণের আগে কাজ শেষ করার মধ্যে রয়েছে স্যাটেলাইটের ৩৯-ফুট-ব্যাস (১২-মিটার) রেডার অ্যান্টেনা, প্রতিফলকের (Reflector) হার্ডওয়্যার উপাদানগুলিতে একটি বিশেষ আবরণ প্রয়োগ করা, যা মিশনে নাসার প্রাথমিক অবদানগুলির মধ্যে একটি। এই বিশেষ আবরণ তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে প্রশমিত করতে পারে।

    আরও পড়ুন: চাঁদের মাটিতে আরও জলের সন্ধান! গবেষণায় বড় দাবি ইসরোর

    এর বিশাল প্রতিফলক পৃথিবীর পৃষ্ঠে মাইক্রোওয়েভ সংকেত প্রেরণ করবে এবং গ্রহণ করবে। প্রতি ১২ দিনে দুবার প্রায় সমস্ত গ্রহের ভূমি এবং বরফের পৃষ্ঠ স্ক্যান করতে সক্ষম করবে এই স্যাটেলাইট।

    কী কাজে লাগবে এই স্যাটেলাইট

    এই মিশনের মাধ্যমে (NISAR)  নাসা এবং ইসরোর মধ্যে প্রথম সম্পূর্ণ সহযোগিতা হচ্ছে। বিজ্ঞানের ভাষায় এটি ট্রেলব্লেজিং স্যাটেলাইট। দুই ধরনের সিন্থেটিক অ্যাপারচার রেডারকে একত্রিত করে, এটি পৃথিবীর পৃষ্ঠের পরিমাপ পর্যবেক্ষণ করবে। বিশেষত মেরু অঞ্চলের বরফের চাদর এবং হিমালয়ের হিমবাহ, জলাভূমি এবং বনভূমি এবং আগ্নেয়গিরির পরিবর্তন লক্ষ করা ছাড়াও ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখবে এই স্যাটেলাইট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ISRO Chairman: মন্দিরে লাইব্রেরি তৈরির পক্ষে সওয়াল ইসরো প্রধানের, বোঝালেন কেন প্রয়োজন

    ISRO Chairman: মন্দিরে লাইব্রেরি তৈরির পক্ষে সওয়াল ইসরো প্রধানের, বোঝালেন কেন প্রয়োজন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মন্দিরে লাইব্রেরি (Library in Temple) স্থাপন করার নিদান দিলেন ইসরো চেয়ারম্যান (ISRO Chairman)। তিরুবনন্তপুরমে শ্রী উদয়ননুর দেবী মন্দিরে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এস সোমনাথ (S Somnath) বলেন, “মন্দির শুধু বয়স্ক মানুষের নাম জপের স্থান নয়। তরুণদের আকৃষ্ট করার জন্য লাইব্রেরি প্রতিস্থাপন করা উচিত। মন্দির অতীতে ছিল শিক্ষার পীঠস্থান।”

    মন্দির হোক লাইব্রেরি

    এদিন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ইসরো চেয়ারম্যান (ISRO Chairman) বলেন, “আমি ভেবেছিলাম আজ এই অনুষ্ঠানে অনেক তরুণ আসবে। কিন্তু দেখছি তাদের সংখ্যা কম। মন্দির কমিটির তরুণদের আকৃষ্ট করার বিষয়ে নজর দেওয়া উচিত। এখানে লাইব্রেরির (Library in Temple) ব্যবস্থা করলে হয়ত তাঁরা মন্দিরে বেশি আসবেন। মন্দির শুধু পূজা পাঠের জায়গা হওয়া উচিত নয়। এখানে দেশের তরুণ প্রজন্ম আসবে, পড়াশোনা করবে, বিভিন্ন বিষয়ে সন্ধ্যাবেলায় আলোচনা করবে। তাঁদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ভাববে। এ বিষয়ে মন্দির কমিটিগুলোকে পদক্ষেপ করা দরকার। সমাজের প্রতি মন্দিরের দায়িত্বের কথাও এদিন বলেন তিনি। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্য সচিব কে জয় কুমার এবং বিধায়ক ভি কে প্রশান্ত।

    চন্দ্রযান-৩ এর সফল কারিগর এস সোমনাথ (ISRO Chairman)

    গত বছর ২৩ অগাস্ট ১৪০ কোটি ভারতীয়র স্বপ্ন সত্যি করে চাঁদের অবতরণ করে চন্দ্রযান-৩। চন্দ্রযান ৩-কে অবতরণ করানর আগে ঈশ্বরের শরণে যান ইসরো প্রধান এস সোমনাথ (S Somnath)। তিরুবনন্তপুরমের ভদ্রকালী মন্দিরে পুজো দেন।

    আরও পড়ুন: মহাজাগতিক দৃশ্য! পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সাক্ষী থাকল উত্তর আমেরিকা

    এর পর প্রশ্ন উঠেছিল, একজন বিজ্ঞানী হয়ে কেন চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্যে মন্দিরে পুজো দেবেন? উত্তরে সোমনাথ (S Somnath) জানিয়েছিলেন, ‘আমি একজন অনুসন্ধানী। চাঁদের রহস্য অনুসন্ধান করি আমি। আবার আমি অন্তরাত্মাকেও অনুসন্ধান করি। এটা আমাদের জীবনযাত্রার অঙ্গ। বিজ্ঞান এবং আধ্যাত্মিকতা, দু’টোই সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ আমার জীবনে। শুধু তাই নয় বেদে অন্তর্নিহিত বিজ্ঞান খুঁজে বের করার পক্ষধর (ISRO Chairman) এস সোমনাথ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share