Category: খেলা

Get updates on Sports News Cricket, Football, Tennis, from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Asia Cup 2025: এশিয়া কাপের দল ঘোষণা করল ভারত, বাদ যশস্বী ও শ্রেয়স , কী বলছে বোর্ড?

    Asia Cup 2025: এশিয়া কাপের দল ঘোষণা করল ভারত, বাদ যশস্বী ও শ্রেয়স , কী বলছে বোর্ড?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এশিয়া কাপের (Asia Cup 2025) জন্য ঘোষিত ভারতীয় দলে জায়গা হয়নি যশস্বী জয়সওয়াল এবং শ্রেয়স আয়ারের। দেশের অন্যতম সেরা এই দুই ব্যাটার বাদ পড়ায় প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। বর্তমান দলে ইনিংস শুরু করতে পারেন এমন তিনজন রয়েছেন—শুভমন গিল, সঞ্জু স্যামসন এবং অভিষেক শর্মা। সহ-অধিনায়ক শুভমনের জায়গা নিয়ে প্রশ্ন নেই। সঞ্জু উইকেটরক্ষক-ব্যাটার হিসেবে সুযোগ পেয়েছেন, তাঁর অভিজ্ঞতাও দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তৃতীয় ওপেনারের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল অভিষেক এবং যশস্বীর মধ্যে। এখানে পিছিয়ে পড়েছেন যশস্বী (Asia Cup)।

    যশস্বীর বাদ পড়া নিয়ে কী বলছেন আগরকর

    এ বিষয়ে আগরকর বলেন, “যশস্বীর না থাকা দুর্ভাগ্যজনক। তবে অভিষেকের পারফরম্যান্স অগ্রাহ্য করা কঠিন ছিল। আমরা জানি টি-টোয়েন্টিতে ওর পারফরম্যান্স কতটা ভালো। অভিষেক বল করতে পারে, যা অধিনায়কের জন্য একটি বাড়তি বিকল্প। এই দু’জনের মধ্যে একজনকে বসতেই হত।” অর্থাৎ, অভিষেকের অলরাউন্ডার দক্ষতা যশস্বীর থেকে তাঁকে এগিয়ে দিয়েছে। যশস্বীর বল না করতে পারার বিষয়টি তাঁর পক্ষে যায়নি। যদিও প্রশ্ন উঠছে, যখন অক্ষর পটেলের মতো একজন বাঁহাতি স্পিনার দলে রয়েছেন, তখন আরেকজন বাঁহাতি স্পিনারের প্রয়োজন আদৌ আছে কি না। তাছাড়া, আইপিএল ২০২৫-এ যশস্বী ১৪ ম্যাচে ৪৩ গড় এবং ১৫৯.৭১ স্ট্রাইক রেটে ৫৫৯ রান করেন। এই পারফরম্যান্সও নির্বাচকদের মন জিততে পারেনি।

    শ্রেয়স বাদ পড়ায় কী যুক্তি দিচ্ছেন আগরকর (Asia Cup 2025)

    শ্রেয়স আয়ারকে বাদ দেওয়ার ব্যাখ্যায় আগরকর কোনও যুক্তি দিতে পারেননি। তিনি বলেন, “শ্রেয়সকে দলে না রাখা আমাদের দোষ নয়, আবার ওরও দোষ নয়। কারণ ১৫ জনের বেশি ক্রিকেটার রাখা যায় না। কার জায়গায় ওকে নিতাম?” শ্রেয়স দেশের সাদা বলের ক্রিকেটে অন্যতম সেরা মিডল অর্ডার ব্যাটার। তিনি গত দুই আইপিএলে সফল অধিনায়ক হিসেবেও নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন। ২০২৫ আইপিএলে তিনি ১৭টি ম্যাচে ৫০.৩৩ গড় এবং ১৭৫.০৭ স্ট্রাইক রেটে ৬০৪ রান করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে ৬টি অর্ধশতরান। এত কিছু সত্ত্বেও জাতীয় দলে তাঁর জায়গা না হওয়ায় বিস্মিত ক্রিকেট মহলের একাংশ। তাঁদের প্রশ্ন, একজন ব্যাটারকে আর কী করলে জাতীয় দলে নেওয়া হবে?

    ১৫ সদস্যের স্কোয়াড (Asia Cup 2025)

    এশিয়া কাপের (Asia Cup 2025) জন্য ভারতের সম্ভাব্য ১৫ সদস্যের স্কোয়াড: সূর্য কুমার যাদব (সি), শুভমান গিল (ভিসি), অভিষেক শর্মা, তিলক ভার্মা, হার্দিক পান্ডিয়া, শিবম দুবে, অক্ষর প্যাটেল, জিতেশ শর্মা (ডব্লিউকে), জসপ্রিত বুমরা, আরশদীপ সিং, বরুণ চক্রবর্তী, কুলদীপ যাদব, সঞ্জু স্যামসন (ডব্লিউকে), হর্ষিত রানা ও রিঙ্কু সিং। ভারতীয় দল তাদের (Asia Cup) প্রথম ম্যাচ ১০ সেপ্টেম্বর দুবাইতে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে খেলবে।

  • Asia Cup 2025: দল ঘোষণা আগামী মঙ্গলবার, এশিয়া কাপে ভারতের ব্যাটন কার হাতে?

    Asia Cup 2025: দল ঘোষণা আগামী মঙ্গলবার, এশিয়া কাপে ভারতের ব্যাটন কার হাতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এশিয়া কাপে (Asia Cup 2025) শুভমন নন ভারতীয় দলের ব্যাটন থাকছে সূর্যকুমার যাদবের হাতে। এমনই খবর শোনা যাচ্ছে। আগামী মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ঘোষিত হতে পারে এশিয়া কাপের জন্য ভারতীয় দল। সূত্রের খবর, অজিত আগরকরের নেতৃত্বে নির্বাচক প্যানেল দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে। এশিয়া কাপে ভারতের দলে তিন তারকা জায়গা না-ও পেতে পারেন। তাঁদের মধ্য নাম রয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্সের তারকা রিঙ্কু সিং-এর।

    অধিনায়ক সূর্য

    সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ১৯ অগাস্ট এশিয়া কাপের (Asia Cup 2025) দল নির্বাচন হবে। মুম্বইয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কার্যালয়ে দল নির্বাচন করবে অজিত আগরকরের নেতৃত্বাধীন কমিটি। বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের। আপাতত বেঙ্গালুরুতে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে রয়েছেন সূর্য। সেখান থেকে মুম্বইয়ে যাবেন তিনি।

    কে কোথায় খেলবে

    ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এক আধিকারিক বলেছেন, “১৯ অগাস্ট দল নির্বাচন হবে। তার পরে নির্বাচক প্রধান এক সাংবাদিক বৈঠক করবেন। সেখানে দল ঘোষণা করবেন তিনি।” রিপোর্টে বলা হয়েছে, সূর্যকুমারই অধিনায়ক থাকছেন। টেস্ট দলের পর শুভমনকে টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক করার জল্পনা শোনা যাচ্ছিল। তবে সূর্যের উপরেই আস্থা রয়েছে গম্ভীর ও আগরকরের। ওই আধিকারিক বলেছেন, “ওপেনার হিসাবে সঞ্জু স্যামসন ও অভিষেক শর্মার উপরেই ভরসা করছেন নির্বাচকেরা। ফলে শুভমনকে কোথায় খেলানো হবে তা নিয়ে ভাবা হচ্ছে। যশস্বী জয়সওয়ালকে বলা হয়েছে, লাল বলের ক্রিকেটে মন দিতে। লোকেশ রাহুলেরও খেলার সম্ভাবনা কম। এই তিন তারকাকে এশিয়া কাপের দলে না-ও দেখা যেতে পারে।”

    সুযোগ কী পাবে রিঙ্কু

    বেশ কয়েক বছর আগে যশ দয়ালের ওভারে টানা পাঁচটি ছক্কা মেরে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে জিতিয়ে প্রচারের আলোয় চলে এসেছিলেন রিঙ্কু। তাঁকে ভারতীয় দলে একজন ফিনিশার হিসেবেই দেখা হত। তবে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জন্য ভারতীয় দলে জায়গা না পাওয়ার পর থেকে রিঙ্কুর কেরিয়ারের গ্রাফ কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। উল্লেখ্য, আলিগড়ের এই ক্রিকেটারকে স্ট্যান্ডবাই হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ২০২৪ সালের আইপিএলে মাত্র ১১৩ বল খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন রিঙ্কু। এমনকী গত আইপিএলেও পরিস্থিতির খুব একটা বদল হয়নি। খেলেছিলেন মাত্র ১৩৪ বল। মজার বিষয় হল, ২০২৪ সালে গম্ভীরই ছিলেন কেকেআরের মেন্টর। সেই গম্ভীর এখন টিম ইন্ডিয়ার হেডকোচ। সেই কারণে রিঙ্কুতে কতটা আস্থা রাখবেন গম্ভীর , তা প্রশ্নাতীত।

     

     

     

  • Commonwealth Games 2030: অলিম্পিক্স-স্বপ্নের পথে দেশ, ২০৩০ কমনওয়েলথ গেমস আয়োজনের দাবি জানাল ভারত

    Commonwealth Games 2030: অলিম্পিক্স-স্বপ্নের পথে দেশ, ২০৩০ কমনওয়েলথ গেমস আয়োজনের দাবি জানাল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতা দিবসের আগে ভারতের ক্রীড়া মহলে খুশির হাওয়া। ক্রীড়াক্ষেত্রে অমৃতকালের পথে এগিয়ে চলেছে ভারত। মিলেছে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০ বছর পর আবার ভারতে বসতে চলেছে কমনওয়েলথ গেমসের আসর। ভারতীয় অলিম্পিক্স অ্যাসোসিয়েশনের অনুমতি মেলায় আনুষ্ঠানিক ভাবে এই প্রতিযোগিতা আয়োজনের প্রস্তাব দিল ভারত। আমেদাবাদ শহরে কমনওয়েলথ গেমস (Commonwealth Games 2030) আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। চূড়ান্ত প্রস্তাব জমা করতে হবে ৩১ অগাস্টের মধ্যে। কমনওয়েলথ গেমসের খরচ বহন করবে কেন্দ্রের মোদি সরকার।

    ভারতের সম্ভাবনা উজ্জ্বল

    ২০৩৬ সালে ভারতে অলিম্পিক্স আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে আগেই। তার আগে ২০৩০ সালে কমনওয়েলথ গেমসের (Commonwealth Games 2030) আসর ভারতে বসার সম্ভাবনা উজ্জ্বল। ২০৩০ সালের গেমস আয়োজনের দায়িত্বে ছিল কানাডার। কিন্তু তারা সরে দাঁড়ানোয় ভারতের সম্ভাবনা উজ্জ্বল। যেহেতু ২০১০ সালে ভারত কমনওয়েলথ গেমস আয়োজন করেছিল, তাই অভিজ্ঞতার বিচারে ভারত সুযোগ পেতে পারে। ভারতের লড়াই নাইজেরিয়ার সঙ্গে। এ ছাড়া আয়োজনের প্রস্তাব দিতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকাও। তবে, সম্প্রতি কমনওয়েলথ স্পোর্টসের ডিরেক্টর অফ গেমস ড্যারেন হল আমেদাবাদে গিয়ে ভেন্যুগুলো ঘুরে দেখেন। এর পর গুজরাট সরকারের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলতেও দেখা যায় তাঁদের। চলতি মাসের শেষের দিকে আরও বড় দল আমেদাবাদে যেতে পারেন বলে খবর।

    দ্রুত প্রস্তুতি শুরু

    ২০৩০ সালের কমনওয়েলথ গেমস (Commonwealth Games 2030) আয়োজন করতে আগেই আগ্রহ দেখিয়েছিল ভারত। বুধবার ভারতীয় অলিম্পিক্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভায় সেই প্রস্তাব পাশ হয়ে যায়। এবার গেমস আয়োজনের পুরোদস্তুর প্রস্তুতি দ্রুত শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন ভারতের অলিম্পিক্স কমিটির (আইওএ) যুগ্ম সচিব কল্যাণ চৌবে। ভারতে ২০৩০ সালে কমনওয়েলথ গেমসের আসর বসবে কি না, তা জানা যাবে নভেম্বর মাসে। কমনওয়েলথ স্পোর্টের জেনারেল অ্যাসেম্বলি গ্লাসগো থেকে ঘোষণা করবেন সে কথা। ভারতে কমনওয়েলথ গেমসের আয়োজন হলে সমস্ত খরচ বহন করতে হবে সরকারকে। সূত্রের খবর, দেশের মাটিতেই যাতে কমনওয়েলথের আসর বসে, সেই কারণে এখন থেকেই পরিকাঠামো ঢেলে সাজানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে গুজরাট সরকার।

    কমনওয়েলথ দেশে হলে বেশি পদকের সম্ভাবনা

    অলিম্পিক্স কর্মসমিতির সদস্য রোহিত রাজপাল বলেছেন, “২০৩০-এর কমনওয়েলথ গেমস হবে পূর্ণাঙ্গ মাপের। আমরা যে খেলাধুলোয় ভাল সেগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে যাতে পদকের সংখ্যা অনেকটাই বাড়ে।” উল্লেখ্য, ২০২৬-এর গ্লাসগো গেমসে হকি, ব্যাডমিন্টন, কুস্তি এবং শুটিংয়ের মতো ইভেন্ট নেই, যেগুলো থেকে ভারত নিয়মিত পদক জিতেছে। রাজপাল আরও বলেছেন, “গেমসে তিন ধরনের খেলা থাকে। প্রথমত, কমনওয়েলথ গেমসের মূল খেলা যা প্রতি বারই হয়। দ্বিতীয় ভাগে থাকে আয়োজক দেশের পছন্দের খেলা এবং তৃতীয় ভাগে অতিরিক্ত খেলা। ২০৩০-এর কমনওয়েলথ গেমসে (Commonwealth Games 2030) ঐতিহ্যশালী এবং স্বদেশি খেলাধুলো রাখব আমরা। শুটিং, তিরন্দাজি, কুস্তি, কবাডি, খো খো-র মতো খেলা থাকবে।”

    দুর্নীতি-মুক্ত স্বচ্ছ্ব গেমস

    এখনও পর্যন্ত ভারত এক বারই কমনওয়েলথ গেমস (Commonwealth Games 2030) আয়োজন করেছে। সেটা ২০১০ সালে। সে বার খেলাধুলো ছাপিয়ে শিরোনামে এসেছিল অব্যবস্থা এবং আর্থিক দুর্নীতি। অ্যাথলিটস্‌ ভিলেজ, স্টেডিয়াম–সহ একাধিক পরিকাঠামো তৈরিতে অনেক দেরি হয়, বাজেট বেড়ে যায়, নেহরু স্টেডিয়ামে ফুটব্রিজ ভাঙায় অনেক শ্রমিক আহত হন। এ সব দেখে অনেক খেলোয়াড় নাম তুলে নিয়েছিলেন। এর পাশাপাশি বিপুল আর্থিক দুর্নীতি হয়েছিল সে বার। আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান সুরেশ কালমাডিকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়েছিল। স্কটল্যান্ড, কানাডার মতো দেশ অব্যবস্থা দেখে দেরিতে ক্রীড়াবিদদের পাঠিয়েছিল। গেমস আয়োজনের জন্য যেই সরঞ্জাম আনা হয়েছিল সেগুলো বাজারের থেকে অনেক বেশি টাকার বিনিময়ে বেনামি সংস্থার মাধ্যমে কেনা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, একদম সাধারণ জিনিস যেমন টয়লেট পেপার কিনতেও দুর্নীতি করা হয়েছিল। আলোচনায় এসেছিল পরিকাঠামোও। গেমস ভিলেজ থেকে হোটেল ছিল অনেক দূরে। পাশাপাশি গেমস ভিলেজে ন্যূনতম পরিকাঠামো ছিল না। অ্যাথলিটদের ভিলেজেও ছিল পরিকাঠামোর অভাব। দিল্লিতে যেখানে অ্যাথলিট ও তাঁদের কোচদের রাখা হয়েছিল সেখানে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অভাব ছিল। সব মিলিয়ে দুর্নীতি থেকে বিতর্ক সবকিছুতেই ২০১০ সালের কমনওয়েলথ গেমসে নাক কেটেছিল ভারতের। এ বার ভালো করে আয়োজন করে সেই ছবি বদলানোই লক্ষ্য। আর তাই খুব সাবধানে ২০৩০ সালের জন্য পা ফেলতে চাইছে ভারত।

    অলিম্পিকের পথে

    ২০৩৬ সালের অলিম্পিক্সও আয়োজন করতে চায় ভারত। সেটাও গুজরাটের আমেদাবাদে। ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক অলিম্পিক্স কমিটির সঙ্গে দেখা করেছেন ভারতীয় অলিম্পিক্স সংস্থার প্রতিনিধিরা। সরকারি ভাবে আবেদন করা হয়েছে। ২০২৮ সালে আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলস এবং ২০৩২ সালের অলিম্পিক্স হবে অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে। তার পরের অলিম্পিক্স নিজেদের দেশে করতে চায় ভারত। সেই চেষ্টাই চলছে। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, কমনওয়েলথ-এর দায়িত্ব পেলে অলিম্পিক্স আয়োজন করার ক্ষেত্রে ভারতের দাবি আরও জোরাল হবে।

  • WTC Points Table: ওভালে ঐতিহাসিক জয়, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ পয়েন্ট টেবিলে ইংল্যান্ডকে টপকে গেল ভারত

    WTC Points Table: ওভালে ঐতিহাসিক জয়, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ পয়েন্ট টেবিলে ইংল্যান্ডকে টপকে গেল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহম্মদ সিরাজের সাহসী বোলিংয়ে ওভাল টেস্ট জিতেছে ভারত। হারের মুখ থেকে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে শুভমন ব্রিগেড। গুরু গম্ভীরের পরামর্শে এখন হারার আগে হার মানতে জানে না টিম ইন্ডিয়া। ওভালে জিতে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের (WTC Points Table) তালিকায় এক ধাপ উঠে এসেছে ভারত। সরিয়ে দিয়েছে ইংল্যান্ডকে। শুভমন গিলের দল এখন রয়েছে তিন নম্বরে। ওভালে জিতে ১২ পয়েন্ট পেয়েছে ভারত। এই টেস্টের আগে তিনে ছিল ইংল্যান্ড। তারা নেমে গিয়েছে চারে।

    বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দৌড়

    ভারত এবং ইংল্যান্ড, দুটো দলের কাছেই এটা পরবর্তী বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের (World Test Championship) প্রথম সিরিজ ছিল। দুই দলই দুটো করে ম্যাচ জিতেছে। একটি ড্র হয়েছে। তবে লর্ডসে মন্থর ওভার রেটের কারণে আইসিসি ইংল্যান্ডের দু’পয়েন্ট কেটে নিয়েছে। তাই ভারতের নীচে চলে গিয়েছে তারা। পাঁচ টেস্টে ভারতের ২৮ পয়েন্ট। শতাংশের বিচারে পয়েন্ট ৪৬.৬৭। ইংল্যান্ডের ২৬ পয়েন্ট এবং পয়েন্ট শতাংশ ৪৩.৩৩। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তিনটে টেস্টেই হারানোর কারণে শীর্ষে অস্ট্রেলিয়া। তাদের ৩৬ পয়েন্ট। পয়েন্ট শতাংশ ১০০। দ্বিতীয় শ্রীলঙ্কা। তাদের পয়েন্ট শতাংশ ৬৬.৬৭। পঞ্চম এবং ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ (পয়েন্ট শতাংশ ১৬.৬৭) এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ (০)। নিউ জিল্যান্ড, পাকিস্তান এবং দক্ষিণ আফ্রিকা নতুন চক্রে এখনও কোনও টেস্ট খেলেনি।

    টিম ইন্ডিয়ার নজর হোম সিরিজের দিকে

    ওভাল টেস্ট জিতে মাঠ ছাড়বে ভারত, অতিবড় ভক্তও বোধ হয় সেটা ভাবতে পারেননি। তবে সেই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন শুভমান গিলরা। অ্যান্ডারসন-তেন্ডুলকর ট্রফি ড্র করে করে দেশে ফিরছে টিম ইন্ডিয়া। শুভমনের নতুন ভারতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ গাভাসকর থেকে তেন্ডুলকর। তরুণ তুর্কিদের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত রোহিত-বিরাটরাও। সেই সঙ্গে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলেও উপরে উঠে এসেছে শুভমনরা। ভারতের পরবর্তী টেস্ট সিরিজ ঘরের মাঠে। ঠিক দু’ মাস পরে, ২ অক্টোবর থেকে ভারত এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে দুই টেস্টের সিরিজ শুরু হবে। এর পরে টিম ইন্ডিয়া দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে। এই সিরিজটিও ভারত ঘরের মাঠে খেলবে। এই দু’টি সিরিজ জিতে পয়েন্ট টেবলের শীর্ষে ওঠার সুযোগ রয়েছে শুভমনদের। এদিকে ইংল্যান্ড এবার অস্ট্রেলিয়া সফরে যাবে, ২১ নভেম্বর থেকে দুই দলের মধ্যে ৫ টেস্টের অ্যাশেজ সিরিজ শুরু হবে।

  • India vs England: ‘সিরাজ-কৃষ্ণা জুটিতে ধরাশায়ী ইংল্যান্ড! ‘কখনওই আশা ছাড়িনি’’, বললেন অধিনায়ক গিল

    India vs England: ‘সিরাজ-কৃষ্ণা জুটিতে ধরাশায়ী ইংল্যান্ড! ‘কখনওই আশা ছাড়িনি’’, বললেন অধিনায়ক গিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ টেস্ট জয়ের জন্য ভারতের দরকার ছিল ৪ উইকেট। ইংল্যান্ডের (India vs England) প্রয়োজন ছিল ৩৫ রান। সোমবার দিনের শুরুতেই পর পর দুটি ৪ মেরে ভারতীয় সমর্থকদের মনোবল দুর্বল করে দেন ওভারটন। কিন্তু নাটকের তখন অনেকটা বাকি। নায়কের নাম মহম্মদ সিরাজ। ইংল্যান্ডের মুখের গ্রাস কেড়ে নিলেন সিরাজ। ওভালের ঐতিহ্য বজায় থাকল। পরিসংখ্যান বলছে, ওভালে কখনও ২৫৩-এর বেশি স্কোর তাড়া করে জেতার রেকর্ড নেই। এদিনও হল না। তীরে এসে ডুবল ব্রিটিশ আর্মাডা। ৬ রানে জিতল ভারত। এই টেস্ট ম্যাচই ভারতের সবথেকে কম রানের ব্যবধানে জেতা টেস্ট ম্যাচ। মাত্র ৬ রানে জিতেছে টিম ইন্ডিয়া। এর আগে ২০০৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১৩ রানে জিতেছিল ভারত। ১৯৭২ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২৮ রানে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল ভারতীয় দল এবং ২০১৮ সালে অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৩১ রানে জয় পেয়েছিল ভারত।

    ‘খলনায়ক’ থেকে নায়ক সিরাজ

    রবিবার যেন হঠাৎ করেই ‘খলনায়ক’ হয়ে গিয়েছিলেন। তারও আগে লর্ডসে (India vs England) আউট হয়েও ক্রিকেটপ্রেমীদের হৃদয় ভেঙে দিয়েছিলেন। সোমবার এক ঘণ্টায় ৩ উইকেট তুলে নিয়ে ইংল্যান্ডের স্বপ্নভঙ্গ করে সিরিজ শেষে সেই সিরাজই নায়ক। লর্ডস টেস্টে ভারত হেরে গিয়েছিল ২২ রানে। সিরাজ আউট হওয়ায় শেষ হয়ে গিয়েছিল রবীন্দ্র জাদেজা এবং জসপ্রীত বুমরার নাছোড় লড়াই। সিরাজ নিজেও ৩০ বলের ইনিংসে ঠেকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিলেন ইংল্যান্ডের জয়। পারেননি। পারেননি সেই হারের পর দু’রাত ঘুমোতে। সেই লন্ডনের মাটিতেই পারলেন। পারলেন ওভালে। ইংল্যান্ডের প্রতিরোধ ভাঙলেন বল হাতে। শেষ দিন ৩ উইকেট নিয়ে রুদ্ধশ্বাস জয় এনেদিলেন ভারতকে। চাপে থাকা দলকে জেতানোর লক্ষ্য নিয়েই সোমবার মাঠে নেমেছিলেন সিরাজ। খেলার শেষ হওয়ার পর দীনেশ কার্তিককে বলেছেন, ‘‘খুব সাধারণ পরিকল্পনা ছিল। আলাদা কিছু ভাবিনি। লক্ষ্য ছিল শুধু সঠিক জায়গায় বল রাখার। তাতে আউট হলে হবে। ছয় হলে হবে। ঠিক জায়গায় বল রেখেই সাফল্য এসেছে।’’

    ‘আশা ছাড়িনি, তাই সাফল্য’ 

    গোটা সিরিজে ভারতীয় দল (India vs England) লড়াই চালিয়ে গিয়েছে। অপেক্ষাকৃত নতুন একটা দল নিয়ে এবার ইংল্যান্ডে এসেছিলেন শুভমান গিল। অধিনায়ক হিসেবেও তিনি নতুন। সেই দল কিন্তু ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডকে রীতিমতো বেগ দিয়েছে। ম্যাচ শেষে গর্বিত অধিনায়ক তথা সিরিজের সেরা প্লেয়ার শুভমানের কথাতেই পরিষ্কার নব ভারতের মনোভাব। সিরাজ বললেন, ‘‘আমরা কখনওই আশা ছাড়িনি। তাই সাফল্য এসেছে।’’ বুমরাহ না থাকলে সিরাজই ভারতের রক্ষাকর্তা। ওভালে আরও একবার তা প্রমাণিত হল। ওভালে সিরাজ নিলেন চার-চারটি উইকেট। বুমরাহ ছাড়া ভারতের বোলিং লাইন আপ অনভিজ্ঞ। অনভিজ্ঞতায় মোড়া এই বোলিং শক্তির নেতা মহম্মদ সিরাজই। অধিনায়কও বললেন, ‘‘যে কোনও দলের জন্যই সিরাজ সম্পদ।’’

    দুরন্ত জয় ভারতের

    এই সিরিজে (India vs England) একমাত্র সিরাজ কিন্তু টানা পাঁচটি টেস্ট ম্যাচই খেলছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী এতদিন ছিলেন ক্রিস ওকস। ইংল্যান্ডের সেই বোলারও পঞ্চম টেস্টে ছিটকে যান ওভাল টেস্ট থেকে। ফলে দু’দলের মধ্যে সিরাজ একাই পাঁচটি টেস্ট ম্যাচ খেলছেন। অনেকেই মনে করেন সিরাজ নিজেকে উজাড় করে দেওয়ার ফলে খুব তাড়াতাড়ি ক্ষয়ে যাচ্ছেন, শেষ হয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু তিনি তো মহম্মদ সিরাজ। বাইরের কথায় তিনি কর্ণপাত করেন না। তিনি তাঁর কাজ করে চলেন। তাঁর ও প্রসিধ কৃষ্ণার দৌলতেই ইংল্যান্ডের মাটিতে শেষ টেস্টে দুরন্ত জয় ছিনিয়ে নিল ভারত। এই জয়ের ফলে সিরিজে ২-২ ব্যবধানে ড্র করল ভারত। পঞ্চম দিনে সিরাজ একাই ৩ উইকেট নেন। ১টি উইকেট পান প্রসিধ কৃষ্ণা। ইংল্যান্ডের জেমি স্মিথ, ওভারটন এবং গাস অ্যাটকিনসন আউট হন সিরাজের বলে। জশ টাং-র উইকেট নেন কৃষ্ণা। শেষ টেস্টে সিরাজ ৫টি এবং প্রসিধ কৃষ্ণা ৪টি উইকেট নেন। ১টি উইকেট পান আকাশ দীপ। এই সিরিজে সর্বাধিক উইকেটের মালিকও হলেন সিরাজ। তিনি মোট ২৩টি উইকেট নিয়েছেন।

  • India vs England: সিরাজ-প্রসিধের আগুন বোলিংয়ের সামনে স্তব্ধ ব্রিটিশরা, ওভাল টেস্টে এবার ব্যাটারদের পালা

    India vs England: সিরাজ-প্রসিধের আগুন বোলিংয়ের সামনে স্তব্ধ ব্রিটিশরা, ওভাল টেস্টে এবার ব্যাটারদের পালা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়াল টিম ইন্ডিয়া (India vs England)। সৌজন্যে মহম্মদ সিরাজ ও প্রসিধ কৃষ্ণ। প্রথম ইনিংসে শুভমন গিলরা মাত্র ২২৪ রানে অল আউট হওয়ার পর, জবাবে ব্যাট করতে নেমে একটা সময় ইংল্যান্ডের স্কোর ছিল ১ উইকেটে ১২৯। সেখান থেকে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ২৪৭ রানে। মহম্মদ সিরাজ ৮৬ রান দিয়ে ৪টি ও প্রসিধ কৃষ্ণ ৮০ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নেন। টেস্ট সিরিজে পিছিয়ে থাকা ভারত যদি এই ম্যাচ জেতে, তাহলেই সিরিজে সমতা আসবে। সেই লক্ষ্যেই দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করছে ভারত। উইকেটে রয়েছেন দুই ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল এবং কেএল রাহুল।

    অবিশ্বাস্য বোলিং সিরাজ-কৃষ্ণার

    ওভালের পিচে একটানা বৃষ্টির পর দ্বিতীয় দিনের খেলা যত এগিয়েছে, ততই জমে উঠেছিল ভারত-ইংল্যান্ডের (India vs England) পঞ্চম টেস্ট। ভারতীয় দল প্রথম ইনিংসে ২২৪ রানে শেষ হওয়ার পর, অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন ইংল্যান্ড হয়ত ব্যাটে দাপট দেখিয়ে বড় লিড তুলে নেবে। কিন্তু সেটা হতে দিল না ভারতের দুই পেসার মহম্মদ সিরাজ এবং প্রসিধ কৃষ্ণ। ইংল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংস শেষ করল মাত্র ২৪৭ রানে। ভারতকে টপকে মাত্র ২৩ রানে এগিয়ে থেকে। দ্বিতীয় দিনে লাঞ্চের পর অবিশ্বাস্য বোলিং করে টিম ইন্ডিয়া। লাঞ্চে যাওয়ার সময় মনে হচ্ছিল, ওভালে ভরাডুবি হতে চলেছে শুভমন গিলদের। এদিন মাত্র ২০ রান যোগ করেই ভারতের শেষ ৪টি উইকেট পড়ে যায়। করুণ নায়ার ৫৭ রানে আউট হন। ব্রিটিশ পেসার গাস অ্যাটকিনসন ৩৩ রান দিয়ে নেন ৫টি উইকেট, জোস টাঙ তিনটি উইকেট নেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুণ করেন ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার জ্যাক ক্রাউলি ও বেন ডাকেট। কিন্তু ইনিংসের মাঝামাঝি হঠাৎই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন ভারতের দুই পেসার। দুজনেই পেয়েছেন চারটি করে উইকেট। ইংল্যান্ডের হয়ে হ্যারি ব্রুক করেন সর্বোচ্চ ৫৩ রান, কিন্তু বৃষ্টির পরে খেলা শুরু হতেই তাঁকে ফিরিয়ে দেন সিরাজ। এই সময়েই দ্রুত কয়েকটি উইকেট পড়ে যায় এবং ভারত ম্যাচে ফিরে আসে।

    কার হাতে ম্যাচের রাশ

    এই মুহূর্তে ম্যাচের রাশ পুরোপুরি কোনও দলের হাতে নেই। ভারতীয় পেসাররা যেমন ম্যাচে ফিরে এসেছেন, তেমনি ইংল্যান্ডের পেসাররাও দ্বিতীয় ইনিংসে প্রতিশোধ নিতে প্রস্তুত। সিরিজ বাঁচাতে হলে ওভালে চলতি পঞ্চম টেস্টে জিততেই হবে শুভমন গিলদের। এই ম্য়াচ ড্র হলে, সিরিজ জিতবে ইংল্যান্ড। তবে দ্বিতীয় দিনের শেষে যে জায়গায় ম্য়াচ দাঁড়িয়ে, তাতে অসম্ভব বৃষ্টি ছাড়া ড্রয়ের সম্ভাবনা প্রায় নেই।

  • Lionel Messi: কোহলি-ধোনিদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলবেন? ডিসেম্বরে ভারতে আসছেন মেসি

    Lionel Messi: কোহলি-ধোনিদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলবেন? ডিসেম্বরে ভারতে আসছেন মেসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় ক্রীড়ামোদীদের জন্য বড় খবর। ভারতে আসেছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার লিওনেল মেসি। শুধু আসছেনই না শোনা যাচ্ছে আগামী ডিসেম্বরে ভারতে এসে বিরাট কোহলি, মহেন্দ্র সিং ধোনির সঙ্গে ওয়াংখেড়েতে ক্রিকেট খেলবেন ফুটবলের রাজপুত্র মেসি। সূত্রের খবর, আগামী ১৩ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে মেসি কলকাতা, দিল্লি ও মুম্বাই; এই তিন শহরে একাধিক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। কলকাতায় ইডেন গার্ডেন্সে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

    ক্রিকেট কী খেলবেন?

    মেসি ১৪ ডিসেম্বর একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আসছেন। অনুষ্ঠানটি টিকিট কেটে দেখা যাবে বলে জানা গিয়েছে। এর জন্য আয়োজক সংস্থা অনুমতি চেয়েছে। মুম্বাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের অ্যাপেক্স কাউন্সিলের সাম্প্রতিক এক সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয় এবং অনুমতি প্রদান করা হয়, বলে খবর। এই অনুষ্ঠানে কয়েকজন সুপারস্টার ক্রিকেটারও উপস্থিত থাকতে পারেন। ভারতীয় ক্রিকেটারদের ভক্ত বিশ্বজুড়েই রয়েছে। দেশে ক্রিকেট নিয়ে ভক্ত-সমর্থকদের কী পরিমাণ আবেগ, তা হয়তো কারোরই অজানা নয়। মেসি ১৪ ডিসেম্বর ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে থাকবেন। তিনি প্রাক্তন ও বর্তমান ক্রিকেটারদের সঙ্গে একটি প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচেও অংশ নিতে পারেন। সবকিছু চূড়ান্ত হলে আয়োজকরা সম্পূর্ণ সূচি প্রকাশ করবে, বলে খবর।

    কলকাতায় মেসি

    আগামী ১৩ ডিসেম্বর মাসে নাকি ‘ঈশ্বরের বরপুত্র’ কলকাতায় পা রাখতে চলেছেন। তবে এখানে রয়েছে একটি ‘ছোট্ট টুইস্ট’। মেসি নাকি ভারতীয় ফুটবলের মক্কা কলকাতার বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে আসবেন না। তিনি আসবেন ক্রিকেটের নন্দনকানন ইডেন গার্ডেন্সে। শোনা যাচ্ছে, মেসির আগমন উপলক্ষ্যে একটি প্রীতি ম্য়াচের আয়োজন করা হতে পারে। নাম দেওয়া হয়েছে ‘গোট কাপ’। দুই দলে ৭ জন করে ফুটবলার খেলবেন। যদিও সেই ম্য়াচে মেসি খেলবেন না। তিনি শুধুমাত্র বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এর আগে ২০১১ সালে প্রথমবার কলকাতায় এসেছিলেন লিওনেল মেসি। সেইসময় ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে একটি প্রীতি ম্য়াচ খেলেছিলেন তিনি। সেই ম্য়াচে মেসি গোল করতে না পারলেও, তাঁকে একটাবার স্বচক্ষে দেখার জন্য গোটা ভারতবর্ষ কার্যত কলকাতায় ভিড় জমিয়েছিল।

  • India vs England: ভারত-ইংল্যান্ড চূড়ান্ত লড়াই, বাড়ছে উত্তেজনা! ওভালে পিচ কিউরেটরের সঙ্গে বচসায় গম্ভীর

    India vs England: ভারত-ইংল্যান্ড চূড়ান্ত লড়াই, বাড়ছে উত্তেজনা! ওভালে পিচ কিউরেটরের সঙ্গে বচসায় গম্ভীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চম তথা শেষ টেস্টের (India vs England) আর বেশি দেরি নেই। রাত পোহালেই শুরু হবে অ্যান্ডারসন-তেন্ডুলকর ট্রফির অন্তিম যুদ্ধ। ম্যাঞ্চেস্টারে (Manchester Test) দুর্দান্ত ড্রয়ের পর সিরিজে সমতা ফেরানোর বড় সুযোগ টিম ইন্ডিয়ার (Team India) সামনে। কিন্তু তার আগেই ফের বিতর্ক। মঙ্গলবার দুপুরে ওভালের প্রধান পিচ কিউরেটর (Oval Pitch Curator) লি ফোর্টিসের (Lee Fortis) সঙ্গে তর্কাতর্কি শুরু হয় ভারতীয় দলের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরের (Gautam Gambhir)। ম্যাঞ্চেস্টার টেস্ট নাটকীয় লড়াইয়ে ড্র হয়েছে। সিরিজে সমতা ফেরানোর লক্ষ্য ওভালে নামবে গম্ভীর ব্রিগেড। সোমবারই লন্ডনে পৌঁছেছে ভারতীয় দল। মঙ্গলবার প্রথম অনুশীলন ছিল। কিন্তু জানা যাচ্ছে, মাঠের পরিষেবা নিয়ে অখুশি টিম ইন্ডিয়া। সেই নিয়ে পিচ কিউরেটর ফর্টিসের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন গম্ভীর।

    গম্ভীর-ফর্টিস বিতর্ক

    ভারতীয় দলের ব্যাটিং কোচ সীতাংশু কোটাক বলেছেন, ‘‘মাঠে আইস বক্স রাখার সময় ফর্টিস প্রথমে চিৎকার করে আমাদের সাপোর্ট স্টাফদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁর বলার ধরন পছন্দ হয়নি গম্ভীরের। কোচ বিরক্ত হন। তিনি আপত্তি জানান। তা থেকেই প্রথম উত্তেজনা তৈরি হয়।’’ গম্ভীর বলেন, “আমরা কী করব, সেটা আপনি বলার কেউ নন।” জানা যাচ্ছে, ওভালের পিচ কিউরেটর ও অন্যান্য মাঠকর্মীরা গম্ভীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার হুমকি দেন। যার উত্তরে গম্ভীর বলেন, “যা খুশি করুন। যেখানে অভিযোগ করতে হয় করুন। আপনি একজন মাঠকর্মীর বেশি নন।” এ প্রসঙ্গে কোটাক আরও বলেছেন, ‘‘আমরা যখন পিচ দেখছিলাম, তখন ফর্টিস এক জন মাঠকর্মীকে পাঠান। তিনি আমাদের আড়াই মিটার দূর থেকে পিচ দেখতে বলেন। মানে আমাদের প্রধান কোচকে দড়ির বাইরে থেকে পিচ দেখতে বলা হয়! আমার ক্রিকেটজীবনে এমন কখনও দেখিনি। আমরা জগার্স পরেছিলাম। রবারের স্পাইক পরে পিচের কাছে যাওয়া যায়। আমরা ভুল কিছু করিনি। ওর বক্তব্য আমাদের অদ্ভুত লেগেছে। আমরা মাঠের কোনও ক্ষতি করতে যাইনি। আমরা পিচ দেখছিলাম। প্রাচীন মূল্যবান কোনও সামগ্রী দেখছিলাম না।’’ তিনিও বলেছেন, ‘‘এটা থেকেই উত্তেজনার শুরু। গম্ভীর এমন একজন মানুষ, যে খুব বেশি কথা বলে না। কারও সঙ্গে অপ্রয়োজনীয় কথাও বলে না। আমরা সব জায়গায় খেলতে যাই। সব পিচ প্রস্তুতকারকই আমাদের সঙ্গে কথা বলেন। হয়তো অনেক সময় আমরা ঘাস কাটা হবে কি না জানতে চাই। তাঁরা তাঁদের মতো করে ভাল ভাবে উত্তর দেন।’’

    টেস্টে অভিষেক হতে পারে অর্শদীপের

    সিরিজে (India vs England) হার এড়াতে ওভালে জিততেই হবে শুভমন গিলদের। এই পরিস্থিতিতে প্রস্তুতি এবং পরিকল্পনায় ফাঁক রাখতে চাইছে না ভারতীয় শিবির। সিরিজের শেষ টেস্টের প্রথম একাদশ নিয়েও ভাবনা-চিন্তা শুরু করে দিয়েছেন গৌতম গম্ভীরেরা। ভারতীয় শিবির সূত্রে খবর, ওভালে অভিষেক হতে পারে এক ক্রিকেটারের। ব্যাটিং ভাল হলেও বোলিং নিয়ে ভারতীয় শিবিরে উদ্বেগ রয়েছেই। প্রতিপক্ষের ২০ উইকেট নেওয়া যাচ্ছে না। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ, অংশুল কম্বোজ, শার্দূল ঠাকুরেরা প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি বল হাতে। তাই অন্য একজনকে খেলানোর কথা ভাবছেন গম্ভীর। তিনি অর্শদীপ সিং। সব কিছু ঠিক থাকলে ম্যাঞ্চেস্টারেই অভিষেক হতে পারত বাঁহাতি জোরে বোলারের। অর্শদীপ বাঁহাতি হওয়ায় ভারতের বোলিং আক্রমণের বৈচিত্র্য বাড়বে। তিনি খেলতে না পারলে প্রথম একাদশে ফিরবেন আকাশদীপ। খেলবেন মহম্মদ সিরাজ। কম্বোজের জায়গায় অভিষেক হতে পারে অর্শদীপের। ভারতের ৩১৯ নম্বর ‘টেস্ট ক্যাপ’ তুলে দেওয়া হবে ২৬ বছরের বোলারের হাতে। অর্শদীপ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভারতের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। দেশের হয়ে এক দিনের ম্যাচও খেলেছেন।

  • India vs England: জাদেজা-সুন্দরের শতরান, ম‍্যাচ বাঁচাল ভারত! ম্যাঞ্চেস্টারে ইংল্যান্ড কে কড়া টক্কর, সিরিজে টিকে শুভমনেরা

    India vs England: জাদেজা-সুন্দরের শতরান, ম‍্যাচ বাঁচাল ভারত! ম্যাঞ্চেস্টারে ইংল্যান্ড কে কড়া টক্কর, সিরিজে টিকে শুভমনেরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হারার আগে হারতে নেই! বাইশ গজে তা ফের প্রমাণ করে দিল ভারতের তরুণ ব্রিগেড। ম্যাঞ্চেস্টারে ইংল্যান্ডের (India vs England) মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়ে ম্যাচ বাঁচিয়ে দিল ভারত। প্রথমে অধিনায়ক গিলের শতরান, লোকেশ রাহুলের লড়াকু ইনিংস আর পরে জাদেজা-সুন্দরের দাপটে সিরিজে টিকে থাকল ভারত। বহুদিন পর টেস্ট ফিরল পুরনো মহিমায়। টি-টোয়েন্টির যুগেও টেস্ট যে এখনও ক্রিকেটের ভিত তা বুঝিয়ে দিল শুভমন-ব্রিগেড। ভারত-ইংল্যান্ড পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ফয়সালা হবে শেষ ম্যাচেই।

    হারের মুখ থেকে ড্র

    খেলা যা-ই হোক, শেষ পর্যন্ত পড়ে থাকলে জয় আসবেই। তবে এ ক্ষেত্রে ড্র হলেও, রবি শাস্ত্রী ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় বলে দিলেন, ম্যাঞ্চেস্টারে (Manchester Test) ভারতের ‘নৈতিক জয়’ হয়েছে। হারের আশঙ্কা দূরে ঠেলে চা-বিরতিতেতই ড্র’য়ের পথে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছিল ভারত। তবে চাপা উদ্বেগ ছিলই। সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে চতুর্থ টেস্টের অন্তিম সেশনে সামান্য উদ্বেগটুকুও গ্যালারিতে পাঠালেন রবীন্দ্র জাদেজা এবং ওয়াশিংটন সুন্দর। দুই ব্যাটারের ২০৩ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটিতে সম্মানের সঙ্গে ম্যাঞ্চেস্টার টেস্ট ড্র করল ‘মেন ইন ব্লু’।

    স্টোকসের আর্জি ফেরালেন জাদেজা

    ভারতের (India vs England) দ্বিতীয় ইনিংসের বয়স তখন ১৩৮ ওভার। স্কোর ৩৮৬-৪। ক্রি‌জে ছিলেন ওয়াশিংটন সুন্দর (৮০) এবং রবীন্দ্র জাদেজা (৮৯)। তখনও ম্যাচ শেষ হতে প্রায় দেড় ঘণ্টা বাকি। হঠাৎই জাদেজার দিকে এগিয়ে এসে হাত মেলাতে গেলেন বেন স্টোকস। প্রস্তাব দিলেন ড্র করার। ভারতের দুই ব্যাটার সসম্মানে সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেন। জানালেন, তাঁরা আরও ব্যাট করতে চান। প্রতিপক্ষ রাজি না হলে অপারগ আম্পায়ারেরাও। তাঁরাও খেলা চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিলেন। জাদেজা এবং সুন্দর, তখন তাদের সেঞ্চুরির কাছাকাছি ছিলেন, সেই কারণেই ম্যাচ শেষ করতে চাননি। ড্রেসিংরুম থেকে খেলা দেখছিলেন শুভমান গিল, কোনও প্রতিক্রিয়া ছাড়াই চুপচাপ বসে ছিলেন। বেন স্টোকস ভারতের সিদ্ধান্তে খুব রেগে যান। আম্পায়ার এবং ব্যাটারদের সগে দীর্ঘক্ষণ কথা বলার পর, তিনি রণে ভঙ্গ দেন। ম্যাচের পর খেলোয়াড়রা একে অপরের সঙ্গে হাত মেলালেও, স্টোকস, জাদেজা এবং সুন্দরের সঙ্গে হাত মেলাননি। সেই ভিডিওটিও ভাইরাল হয়েছে।

    জাদেজার যাদু

    তৃতীয় টেস্টে (India vs England) একাই লড়েছিলন কিন্তু ব্যর্থ হয়েছিলেন। ম্যাচ বাঁচাতে পারেননি। চতুর্থ টেস্টে ওল্ড ট্র্যাফোডে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দলকে হারের হাত থেকে বাঁচালেন সেই রবীন্দ্র জাদেজা। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দিলেন ওয়াশিংটন সুন্দর। যদিও ইনিংসের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন ভারতের অধিনায়ক শুভমন গিল ও লোকেশ রাহুল। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত যখন ব্যাট করতে নামে তখন পিছিয়ে ৩১১ রানে পিছিয়ে। শুরুতেই শুভমন গিলদের ধাক্কা দেয় ইংল্যান্ডের বোলাররা। শূন্যতেই আউট হয়ে যান যশস্বী জয়সওয়াল ও সাই সুদর্শন। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে ভারতের ইনিংসের হারের সম্ভাবনা তৈরি হয়। যদিও তখনই হাল ধরেন অধিনায়ক গিল ও লোকেশ রাহুল। টানা ব্যাট করে দলকে ঠিকঠাক জায়গায় পৌঁছে দেন তাঁরা। দ্বিতীয় ইনিংসে রাহুল ও গিলের স্কোর, যথাক্রমে ৯০ ও ১০৩। তারপরেই ইংল্যান্ডের বোলারদের তুলোধনা করেন জাদেজা ও সুন্দর।

    ওয়াশিংটনের সুন্দর ইনিংস

    তামিলনাড়ুর এই ক্রিকেটারকে বারবার পরীক্ষা দিতে হয়। কিন্তু যখনই সুযোগ পান নিজের কাজটা করে দেখান ওয়াশিংটন সুন্দর। ওয়াশিংটন যখনই সুযোগ পেয়েছেন, বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি অন্য জাতের ক্রিকেটার। লাল বলের ক্রিকেট তাঁর বরাবরই প্রিয়। কিন্তু রবিবার যে লড়াইটা করলেন, তা বহু দিন ভারতীয় ক্রিকেটের সমর্থকদের মনে থেকে যাবে। ইংল্যান্ডের ইনিংসে ৬৮তম ওভারে বল করতে এসে পর পর দু’টি উইকেট নিয়েছিলেন ওয়াশিংটন। তার আগের টেস্টে তিনি চারটি উইকেট পেয়েছিলেন। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের মতো আচমকা ব্যাটারদের বিভ্রান্ত করার মতো বল করতে পারেন সুন্দর। আর ব্যাটটা! ওয়াশিংটন প্রতি বারই মুখ বুজে নিজের কাজটা করেন। রবিবারের ইনিংসটাও তেমনই। গোটা ইনিংসে একটাও সুযোগ দিলেন না বিপক্ষকে। তিনি ভালই জানতেন, একটা ভুল পদক্ষেপ মানে বিপদ অনিবার্য। তাই তাড়াহুড়ো বা ঝুঁকির রাস্তাতেই গেলেন না। ধীর গতিতে শতরান করে দলের হার আটকালেন।

    ধ্রুপদী ঘরানায় টেস্টের জয়

    শুভমন, ওয়াশিংটন, জাদেজা— ভারতের এই ত্রয়ী নিশ্চিত হারের মুখ থেকে ড্র করলেন। বছর তিনেক আগে সিডনিতে এ ভাবেই হারা টেস্ট বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন হনুমা বিহারি এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তারও আগে, ২০০১-এ ইডেন গার্ডেন্সে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভিভিএস লক্ষ্মণ এবং রাহুল দ্রাবিড়ের সেই জুটি ইতিহাসের পাতায় স্থান পেয়েছে। তবে রবিবার (Manchester Test) ভারতের লড়াই সে সবের থেকে খুব একটা পিছিয়ে থাকবে না। দ্বিতীয় ইনিংসে কোনও দল ১৪৩ ওভার ব্যাট করে ম্যাচ ড্র করছে, এই উদাহরণ সাম্প্রতিক অতীতে নেই। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টির ধুমধাড়াক্কা যুগে, যেখানে লাল বলের ক্রিকেটটাই ভুলতে বসেছেন অধিকাংশ ক্রিকেটার। এই নিয়ে একটি সিরিজের চারটি টেস্টেরই ফয়সালা হল পঞ্চম দিনে, যা আর এক বিরল দৃষ্টান্ত। আর একই সঙ্গে দ্য ওভালে ৩১ অগাস্ট থেকে শুরু হতে চলা শেষ টেস্ট পাঁচ ম্যাচের সিরিজের নির্ণায়ক হয়ে দাঁড়াল ।

  • Chess World Cup Final 2025: দিব্যা বনাম হাম্পি! মেয়েদের দাবা বিশ্বকাপ ফাইনালে দুই ভারতীয় কন্যা

    Chess World Cup Final 2025: দিব্যা বনাম হাম্পি! মেয়েদের দাবা বিশ্বকাপ ফাইনালে দুই ভারতীয় কন্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথমবারের জন্য মেয়েদের দাবা বিশ্বকাপ ফাইনালে (Chess World Cup Final 2025) দুই ভারতীয়। যার অর্থ, মেয়েদের প্রথম বিশ্বকাপ আসছে ভারতে। কয়েক বছর ধরেই ৬৪ খোপে রমরমা ভারতীয় দাবাড়ুদের। ভারতের এই নতুন প্রজন্মকে সমীহ করে চলেন বিশ্বের তাবড় গ্র্যান্ডমাস্টাররা। ছেলেরা ছাপ ফেলেছিলেন আগেই, এ বার মেয়েরাও দাপট দেখাচ্ছেন। তারই একটা নতুন অধ্যায় লেখা শুরু হবে শনিবার থেকে। জর্জিয়ার বাতুমিতে শুরু হচ্ছে মেয়েদের বিশ্বকাপের ফাইনাল। সেখানে মুখোমুখি কোনেরু হাম্পি ও দিব্যা দেশমুখ (Koneru Humpy vs Divya Deshmukh)।

    হাড্ডাহাড্ডি লড়াই-এর অপেক্ষা

    প্রায় তিন দশক ধরে তিনি উজ্জ্বল দাবার আকাশে। এবার ৩৮ বছরের হাম্পির সামনে কেরিয়ারের সেরা সুযোগ বিশ্বকাপ জেতার। বিজয়ওয়াড়ার হাম্পিকে বিশ্বকাপ ফাইনালে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছেন যিনি, তাঁর বয়স হাম্পির ঠিক অর্ধেক। নাগপুরের ১৯ বছরের দিব্যা দেশমুখ। এই বিশ্বকাপে দুই ভারতীয়ই বড় জয় পেয়েছেন চিনা গ্র্যান্ডমাস্টারদের বিরুদ্ধে। তবে দিব্যার প্রাপ্তি বেশি। ফাইনালে ওঠার সুবাদে এই ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার পেয়েছেন প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার নর্ম। পেয়েছেন ক্যান্ডিডেটস দাবায় নামার সুযোগ। হাম্পিও পেয়েছেন ক্যান্ডিডেটসে খেলার টিকিট। তবে শনিবার বাতুমিতে এ সব কিছু নিশ্চয়ই মাথায় থাকবে না দু’জনের। শ্রেষ্ঠত্বের জন্য তাঁদের চোখ থাকবে ৬৪ খোপে। হাতে দুটো দিন। রবিবার দ্বিতীয় গেমে ফয়সালা না হলে সোমবার বরাদ্দ টাইব্রেকারের জন্য।

    চ্যাম্পিয়ন ভারত-ই

    মহিলাদের বিশ্বকাপ দাবার আগে দিব্যা দেশমুখের নাম খুব বেশি মানুষ জানতেন না। মহিলা গ্র্যান্ডমাস্টার এবং আন্তর্জাতিক মাস্টার দিব্যা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আগেও সাফল্য পেয়েছেন। দাবা অলিম্পিয়াডে তিনটি সোনার পদক রয়েছে তাঁর। তবু নির্দিষ্ট গণ্ডির বাইরে তেমন পরিচিতি ছিল না এত দিন। বিশ্বকাপ দাবার সেমিফাইনালে জয় তাঁকে হঠাৎই তারকার মর্যাদা দিচ্ছে। দাবা বিশ্বাপ ফাইানলে যদিও ফেভারিট হিসেবেই নামবেন অভিজ্ঞ হাম্পি। তবে দিব্যা যে , শক্ত প্রতিপক্ষ তা জানেন কোনেরু হাম্পি। ভারতে মহিলা দাবার মুখ দীর্ঘ দিন ধরে হাম্পি। তিনিই দেশের এক নম্বর। ঘটনাচক্রে তাঁর বিরুদ্ধেই বিশ্বকাপ ফাইনাল দিব্যার। যিনি ফাইনাল জিতবেন তিনি পুরস্কার স্বরূপ পাবেন ৪৩ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা। অন্যদিকে যিনি রানার্স হবেন তিনি পাবেন ৩০ লক্ষ ২৬ হাজার টাকা। তবে ফলাফল যাই-হোক না কেন ৬৪ খোপের খেলায় ভারত পাবে প্রথম মহিলা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন।

LinkedIn
Share