Category: খেলা

Get updates on Sports News Cricket, Football, Tennis, from the Madhyom news portal madhyom.com, West Bengal leading news portal Madhyom.com

  • Australian Open 2024: অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে ইতিহাস, বিশ্বের ২৭ নম্বরকে হারালেন ভারতের নাগাল

    Australian Open 2024: অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে ইতিহাস, বিশ্বের ২৭ নম্বরকে হারালেন ভারতের নাগাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের প্রথম রাউন্ডে ইতিহাস গড়লেন ভারতের সুমিত নাগাল। পুরুষদের সিঙ্গলসে প্রথম রাউন্ডে বিশ্বের ২৭ নম্বর খেলোয়াড় অ্যালেক্সান্ডার বুবলিককে হারিয়ে দিলেন ভারতের টেনিস তারকা। ঙ্গলবার মেলবোর্নে ছয় নম্বর কোর্টে কাজাখস্তানের অ্যালেক্সজান্ডার বুবলিককে ৬-৪, ৬-২, ৭-৬ (৭-৫) ব্যবধানে পরাজিত করেন ভারতীয় তারকা। যিনি আপাতত এটিপির ক্রমপর্যায়ে ১৩৯ নম্বরে রয়েছেন। কেরিয়ারের নাগালের সর্বোচ্চ র‍্যাঙ্কিং ছিল ১২২।

    সুমিতের রেকর্ড

    ১৯৮৯ সালের পর প্রথম কোনও ভারতীয় টেনিস তারকা গ্র্যান্ড স্ল্যামে বাছাই খেলোয়াড়কে হারিয়ে দিলেন। নাগালের আগে এই কীর্তি গড়েছিলেন রমেশ কৃষ্ণণ। হারিয়েছিলেন সেই সময়কার ক্রমতালিকায় এক নম্বর ম্যাটস উইল্যান্ডারকে। সেই ম্যাচটিও ছিল অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের।  ৩৫ বছর পরে গ্র্যান্ডস্ল্যামে কোনও বাছাই খেলোয়াড়কে হারানোর নজির গড়েছেন সুমিত। যিনি কোয়ালিফায়ার-পর্বের গণ্ডি পেরিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের মূলপর্বে খেলার সুযোগ পেয়েছেন। আর তাতেই বাজিমাত করলেন।

    মঙ্গলবার কাজাখস্তানের অ্যালেক্সান্ডার বুবলিককে স্ট্রেট সেটে হারিয়ে দেন নাগাল। টেনিস বিশ্বে সাসা নামে পরিচিত বুবলিক। ক্রমতালিকায় তিনি ২৭ নম্বর। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে তিনি ৩১ নম্বর বাছাই। প্রথম রাউন্ডে শুরুটা দুর্ধর্ষ করেন নাগাল। ম্যাচের প্রথম গেমেই বুবলিকের সার্ভিস ব্রেক করেন। কিন্তু পরের গেমে নিজের সার্ভ ধরে রাখতে ব্যর্থ হন। ফলে দ্বিতীয় গেমের শেষে স্কোর দাঁড়ায় ১-১। তারপর ফের দু’বার কাজাখস্তানের খেলোয়াড়ের সার্ভিস ব্রেক করে ৪২ মিনিটেই ৬-৪ গেমে প্রথম সেট জিতে ফেলেন ২৬ বছরের নাগাল। নাগাল জেতেন ৬-৪, ৬-২, ৭-৬ গেমে। শেষ সেট গড়ায় টাইব্রেকারে, সেখানে নাগাল জেতেন ৭-৫ ব্যবধানে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lionel Messi: অটুট রইল মুকুট! এমবাপ্পে-হালান্ডকে পিছনে ফেলে অষ্টমবার ফিফার বর্ষসেরা মেসি

    Lionel Messi: অটুট রইল মুকুট! এমবাপ্পে-হালান্ডকে পিছনে ফেলে অষ্টমবার ফিফার বর্ষসেরা মেসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃদ্ধ রাজা, তবু মুকুট টলল না। গত ৪ বছরে মোট ৩ বার ফিফার বিচারে বর্ষসেরার (Fifa Award) তকমা পেলেন লিওনেল মেসি (Lionel Messi)। ২০২২ সালের সেরা ফুটবলার হয়েছিলেন তিনি। ২০২৩ সালের নিরিখেও সেই পুরস্কার পেলেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। তাঁর সঙ্গে কড়া টক্কর ছিল আর্লিং হালান্ডের। হালান্ড ও মেসির সঙ্গে লড়াইয়ে ছিলেন ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপ্পেও। শেষ পর্যন্ত তাঁদের টেক্কা দিলেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। অষ্টম বার ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলার হলেন লিয়োনেল মেসি।

    মেসি ভোট দেন হালান্ডকে

    লন্ডনে সোমবার রাতে ‘দা বেস্ট ফিফা ফুটবল অ্যাওয়ার্ডস’ উপলক্ষে জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনেকেই ভেবেছিলেন এবার হয়তো মেসিকে (Lionel Messi) হারিয়ে সেরার শিরোপা উঠবে হালান্ডের মাথায়। অবশ্য দুই প্রজন্মের দুই সেরা ফুটবলারের মধ্য়ে ভোটিংয়ের ময়দানে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইও হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি হাসলেন বিশ্বজয়ী অধিনায়ক। ৩৭ বছর বয়সে এসেও এখনও তিনি পাল্লা দিয়ে লড়ে যাচ্ছেন তরুণ প্রজন্মের তাককাদের সঙ্গে। বুঝিয়ে দিলেন তাঁর সাম্রাজ্য-আধিপত্য এখনও অটুট। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই মেসি জানিয়েছিলেন যে আসন্ন কোপা আমেরিকা পর্যন্ত আপাতত খেলা চালিয়ে যাওয়াই লক্ষ্য তাঁর। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, ”যত দিন মন থেকে ফুটবলটা উপভোগ করছি, তত দিনই খেলব। আমার লক্ষ্য এখন শুধু ২০২৪ সালের কোপা আমেরিকা। সময় বলবে আমি পরের বিশ্বকাপে থাকব কি না। সেই সময় আমার বয়স ৩৯ বছর হবে। তাতে বিশ্বকাপ খেলা কঠিন।”

    সুনীলের পছন্দ মেসি

    ছেলেদের ‘দ্য বেস্ট’ বেছে নিতে ভোট দিয়েছেন জাতীয় দলের কোচ, অধিনায়ক, সংবাদকর্মী ও বিশ্বব্যাপী ভক্তরা। মেসি এবং হালান্ড দুজনেই ৪৮ পয়েন্ট পেয়েছেন ভোটে। কিন্তু জাতীয় দলের অধিনায়কদের ভোটে সেরা মনোনীত হন মেসি। উল্লেখ্য, মেসি নিজে হালান্ডকে ভোট দিয়েছিলেন। অন্যদিকে, ভারত অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী ভোট দিয়েছিলেন মেসিকে। যদিও এদিন লন্ডনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না মেসি। তাঁর হয়ে অ্যাওয়ার্ড নেন থিয়েরি অঁরি। মেয়েদের ফুটবলের বর্ষসেরা (Fifa Award) হয়েছেন স্পেন ও বার্সেলোনার মিডফিল্ডার আইতানো বনমাতি। ছেলেদের ‘দ্য বেস্ট’ কোচের পুরস্কার ওঠে পেপ গুয়ার্দিওলার হাতে। ফেয়ার প্লে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে ব্রাজিল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Prakhar Chaturvedi: ফাইনালে অপরাজিত ৪০৪! ভারতীয় ক্রিকেটে নতুন ইতিহাস প্রখর চতুর্বেদীর

    Prakhar Chaturvedi: ফাইনালে অপরাজিত ৪০৪! ভারতীয় ক্রিকেটে নতুন ইতিহাস প্রখর চতুর্বেদীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অপরাজিত ৪০৪ রান! ভারতীয় ক্রিকেটে ইতিহাস তৈরি করলেন কর্নাটকের ব্যাটার প্রখর চতুর্বেদী (Prakhar Chaturvedi)। কোচবিহার ট্রফির ফাইনালে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে নজির গড়লেন প্রখর। অনূর্ধ্ব ১৯ এই টুর্নামেন্টে তাক লাগানো ব্যাটিং করলেন তিনি। যুবরাজ সিংয়ের ২৪ বছর পুরনো রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন প্রখর।

    প্রখর-তেজ

    কোচবিহার ট্রফির ফাইনালে মুখোমুখি মুম্বই ও কর্নাটক। বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে কোনও টিমকে শক্তিশালী দুর্বল বলা যায় না। এই ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে  ফিল্ডিং নেয় কর্নাটক। ব্যাট করে মুম্বই। হার্দিক রাজের ৪ উইকেট, রাহুল দ্রাবিড়-পুত্র সমিতের ২ উইকেট। মুম্বইয়ের ইনিংস শেষ হয় ৩৮০ রানে। ফাইনালে এত বড় রান সামনে থাকলে অনেক ক্ষেত্রেই প্রতিপক্ষ টিম আত্মবিশ্বাস হারায়। যদিও কর্নাটকের ক্ষেত্রে হল উল্টো। ওপেনার প্রখর চতুর্বেদী (Prakhar Chaturvedi) শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করলেন। ম্যাচ অমীমাংসিত থাকলেও প্রথম ইনিংস লিডে কোচবিহার ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হল কর্নাটক।

    ভাঙল যুবির রেকর্ড

    ১৯৯৯ সালের ডিসেম্বরে মহেন্দ্র সিং ধোনির বিহারের বিরুদ্ধে জামশেদপুরের ম্যাচে ৩৫৮ রান করেছিলেন যুবরাজ। এদিন সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন প্রখর (Prakhar Chaturvedi)। তিনি অপরাজিত ৪০৪ করেছেন ৬৩৮ বলে। ইনিংসে ৪৬টি চার এবং ৩টি ছয় মেরেছেন তিনি। প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে হোক বা টেস্ট। সর্বাধিক স্কোরের রেকর্ড কিংবদন্তি ব্রায়ান চার্লস লারার দখলে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং কিংবদন্তি ব্রায়ান লারা সেন্ট জনসে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অপরাজিত ৪০০ রান করেছিলেন। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ওয়ারউইকশায়ারের হয়ে লারা ১৯৯৪ সালে ডারহ্যামের বিপক্ষে অপরাজিত ৫০১ রান করেছিলেন তা-ও রেকর্ড।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Mohun Bagan: শহরে এলেন কোচ হাবাস, সুপার কাপের শেষ চারে যেতে ডার্বি জিততেই হবে মোহনবাগানকে 

    Mohun Bagan: শহরে এলেন কোচ হাবাস, সুপার কাপের শেষ চারে যেতে ডার্বি জিততেই হবে মোহনবাগানকে 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড় ম্যাচের তিনদিন আগে কলকাতা এসে গেলেন মোহনবাগান (Mohun Bagan) কোচ আন্তনিও লোপেজ হাবাস (Antonio Lopez Habas)। মঙ্গলবার দলের সঙ্গে যোগ দেবেন তিনি। কলিঙ্গ সুপার কাপের ডার্বি শুক্রবার। তার আগে টিমের সঙ্গে হাবাসের যোগ দেওয়া নিশ্চিত ভাবেই মনোবল বাড়াবে সবুজ-মেরুন শিবিরের। সুপার কাপের (Super Cup) সেমিফাইনালে পৌঁছতে হলে ডার্বি জিততেই হবে মোহনবাগানকে। অন্যদিকে  ডার্বি ড্র হলেই শেষ চারে চলে যাবে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। 

    ডার্বিতে সুবিধা জনক জায়গায় ইস্টবেঙ্গল

    সুপার কাপে এখনও পর্যন্ত মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল  দু’দলই নিজেদের দু’টি ম্যাচ জিতেছে। ফলে দু’দলেরই পয়েন্ট ৬। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার ডার্বিতে মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের মধ্যে যে দল জিতবে তারা যাবে সুপার কাপের সেমিফাইনালে। সহজ হিসাব। কিন্তু ম্যাচ ড্র হলে সেমিফাইনালে উঠবে ইস্টবেঙ্গল। সুপার কাপের নিয়ম অনুযায়ী, গ্রুপের দু’দলের পয়েন্ট সমান থাকলে দেখা হয় গোলপার্থক্য। দু’দলেরই গোলপার্থক্য সমান (২)। অর্থাৎ, ডার্বি ড্র হলে গোলপার্থক্য একই থাকবে। তখন দেখা হবে কোন দল বেশি গোল করেছে। আর সেখানেই এগিয়ে লাল-হলুদ। গ্রুপের দুই ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল গোল করেছে ৫টি। গোল খেয়েছে ৩টি। ফলে গোলপার্থক্য ২। অন্য দিকে মোহনবাগান গোল করেছে ৪টি। খেয়েছে ২টি। ফলে তাদেরও গোলপার্থক্য ২। যদি ডার্বি ড্র হয় তা হলে বেশি গোল করার নিরিখে মোহনবাগানকে টপকে সুপার কাপের সেমিফাইনালে উঠবে ইস্টবেঙ্গল। 

    আরও পড়ুন: চিন্তায় রাখলেন রোহিত-বিরাট! শিবম-যশস্বীর দাপটে সিরিজ ভারতের

    মোহন-শিবিরে যোগ দিচ্ছেন হাবাস

    কার্যত কোচ ছাড়াই সবুজ-মেরুন সুপার কাপের প্রথম দুটো ম্যাচ খেলেছে। সহকারী কোচ ক্লিফোর্ড মিরান্ডা টিম সামলেছেন। প্রথম ম্যাচে শ্রীনিদি ডেকানকে ২-১ হারিয়েছিল টিম। পরের ম্যাচে হায়দরাবাদ এফসিকে একই স্কোরলাইনে হারিয়েছে। পর পর দুটো ম্যাচ জেতায় মনোবল তুঙ্গে টিমের। হাবাস যোগ দিলে ডার্বির ছকও সাজিয়ে নিতে পারবেন। সুপার কাপের এই গ্রুপ নিশ্চিত ভাবে কঠিন। গ্রুপ থেকে একটিই টিম যাবে সেমিফাইনালে। মোহনবাগানের কাছে ডার্বি যে কারণে খুব গুরুত্বপূর্ণ।  কলকাতার দুই বড় টিমের পয়েন্ট সমান। এমনকি গোল পার্থক্য দুই টিমের সমান। কিন্তু গোল করার নিরিখে এগিয়ে লাল-হলুদ। তাই কিছুটা হলেও ডার্বিতে এগিয়ে ইস্টবেঙ্গল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • India vs Afghanistan: চিন্তায় রাখলেন রোহিত-বিরাট! শিবম-যশস্বীর দাপটে সিরিজ ভারতের

    India vs Afghanistan: চিন্তায় রাখলেন রোহিত-বিরাট! শিবম-যশস্বীর দাপটে সিরিজ ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা দুই ম্যাচে শূন্য হাতে ফিরলেন ভারত অধিনায়ক। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ফিরে শুরুটা ভাল করলেও বড় রান তুলতে ব্যর্থ বিরাটও।  তবে যশস্বীর শুরুর ঝড় এবং শিবম দুবের টানা দ্বিতীয় ম্যাচ জেতানো ইনিংসে ভর করে আফগানিস্তানের (India vs Afghanistan) বিপক্ষে সহজেই সিরিজ পকেটে পুরল ভারত। তরুণদের ব্যাটিং সাজঘরে বসে দেখলেন রোহিত এবং বিরাট। তিন ম্যাচের সিরিজে পর পর দু’ম্যাচে জিতে সিরিজ জিতে নিল ভারত।

    কবে রানে ফিরবেন রোহিত

    রোহিতের প্রত্যাবর্তনে হতাশার ধাক্কা দ্বিতীয় ম্যাচেও জারি রইল। গত ম্যাচে শুভমনের ভুলে রান আউট হলেও এই ম্যাচে প্রথম বলে আড়াআড়ি ব্যাট চালিয়ে বোল্ড হলেন অধিনায়ক। প্রথম বল ফেস করতে গিয়েই বড় শট খেলার চেষ্টা নিয়ে সমালোচিতও হচ্ছেন রোহিত। ১৪ মাস পর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ফেরা বিরাট কোহলিও বড় রান তুলতে পারলেন না। ভাল শুরু করেও ক্যাচ তুলে দেন নবীন উল হকের বলে। ১৬ বলে ২৯ রান করে আউট হয়ে যান বিরাট। তাঁরা জেতাতে না পারলেও যশস্বী জয়সওয়াল এবং শিবম ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেললেন। 

    দুরন্ত তরুণ ব্রিগেড

    হার্দিকের অভাব এক বিন্দুও টের পেতে দিচ্ছেন না শিবম। আফগানিস্তানের দেওয়া ১৭৩ রানের লক্ষ্য ১৬ ওভারের মধ্যেই পেরিয়ে গেল ভারত। শিবম আগের ম্যাচে ৬০ রান করে অপরাজিত ছিলেন। দলকে জিতিয়েছিলেন। এই ম্যাচে ৩২ বলে ৬৩ রান করলেন শিবম। অপরাজিত রইলেন এই ম্যাচেও। সঙ্গে রইলেন রিঙ্কু সিং। তিনি ৯ রানে অপরাজিত রইলেন। শুরুতে  ছ’টি ছক্কার সাহায্যে ৩৪ বলে ৬৮ রান করেন যশস্বী। এদিন টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। প্রথমে ব্যাট করে ১৮২ তুলেছিল আফগানিস্তান। গত ম্যাচের তুলনায় এই ম্যাচে দুরন্ত ব্যাটিং উপহার দেয় আফগানরা। আফগানিস্তানের হয়ে সব থেকে বেশি রান করলেন গুলবাদিন নইব। ৩৫ বলে ৫৭ রান করলেন তিনি। শেষ বেলায় মুজিব উর রহমান ৯ বলে ২১ এবং করিম জনত ১০ বলে ২০ রান করে আফগানিস্তানকে লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছে দেন। ভারতের হয়ে ৩ উইকেট নেন অর্শ্বদীপ। রবি বিষ্ণোই এবং অক্ষর প্যাটেল এই ম্যাচে দু’টি করে উইকেট নিয়েছেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • AFC Asian Cup:  লড়াই করে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ২ গোলে হার ভারতের

    AFC Asian Cup:  লড়াই করে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ২ গোলে হার ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফিফা ব়্যাঙ্কিংয়ে ২৫ নম্বরে অস্ট্রেলিয়া। ভারত ১০২এ। ফলও হল সেরকমই। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ২-০ গোলে হেরে এশিয়ান কাপে যাত্রা শুরু করল ভারত। তবে ইগর স্টিমাচের ছেলেরা এদিন যে ফুটবল উপহার দিল তা মনে থাকবে অনেক দিন। প্রথমার্ধ ছিল ভারতের অনুকূলেই। চারগুণ এগিয়ে থাকা টিমের বিরুদ্ধেও দুরন্ত ফুটবলই উপহার দিচ্ছিলেন সন্দেশ ঝিঙ্গান, নিখিল পূজারীরা। প্রথমার্ধে গোলের দরজা খুলতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া।

    ভারতের লড়াই নজর কাড়ল

    অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে রক্ষণ জমাট রাখাই ভারতের কাছে চ্যালেঞ্জ ছিল। সেই পরীক্ষা সসম্মানে পাস তারা। প্রথমার্ধে ভারত যে গোল করতে দেবে না অস্ট্রেলিয়াকে, এটা অনেকেই ভাবতে পারেননি। শুধু তাই নয়, গোল করেও দিতে পারতেন সুনীল ছেত্রীরা। তবে বুদ্ধিতেই টেক্কা দিল অস্ট্রেলিয়া। প্রথমার্ধে প্রচুর কর্নার পেলেও গোল করতে পারেননি হ্যারি সাউটাররা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে অস্ট্রেলিয়ার গতির কাছে পরাস্ত হলেন গুরপ্রীতরা। দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরুর পাঁচ মিনিটের মধ্যে গোল করে অস্ট্রেলিয়া। বাঁ দিক থেকে ক্রস ভেসে এসেছিল। গোলকিপার গুরপ্রীত বল না ধরে ভাসিয়ে দিয়েছিলেন। বক্সের মাথায় দাঁড়িয়েছিলেন জ্যাকসন ইরভিন। তিনি বল রিসিভ করে বাঁ পায়ের শটে গোল করেন। সেই গোলের নেপথ্যে গুরপ্রীতকে দোষ দিলে ভুল হবে না। তিনি বলটি যদি ধরতেন বা আরও দূরে ফিস্ট করে দিতেন, তা হলে গোল হতই না। ম্যাচের ৭২ মিনিটে দুই পরিবর্ত প্লেয়ারের সৌজন্যে দ্বিতীয় গোল অস্ট্রেলিয়ার। রাইলি ম্যাকগ্রির মাইনাস, আনমার্কড জর্ডন বসের হালকা টাচে গোল। ২-০ এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া। 

    এদিন এশিয়ান কাপের ইতিহাসে প্রথম দেখা গেল মহিলা রেফারি। সেটাও আবার ভারতের ম্যাচেই। ফলে এই ম্যাচ থেকে গেল ইতিহাসের পাতায়। পরাজয় সত্ত্বেও, এই ম্যাচে ভারতের প্রাপ্তি অনেক। যে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ২০১১ সালের এশিয়ান কাপে ০-৪ গোলে হেরেছিল ভারত, তাদের বিরুদ্ধে ইগর স্টিমাচের টিম দুরন্ত পারফর্ম করছিলেন। ম্যাচ ড্র করতে পারলে ভারতের নৈতিক জয় হিসেবেই দেখা হতো। কিন্তু মেসির মঞ্চে ইতিহাস তৈরি করা হল না সুনীল ছেত্রীর ভারতের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India vs England: ইংল্যান্ড সিরিজের প্রথম দুই টেস্টের দল ঘোষণা, ভারতীয় স্কোয়াডে নতুন কিপার

    India vs England: ইংল্যান্ড সিরিজের প্রথম দুই টেস্টের দল ঘোষণা, ভারতীয় স্কোয়াডে নতুন কিপার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আসন্ন টেস্ট সিরিজের দল ঘোষণা করল বিসিসিআই। প্রথম দুই টেস্টের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বিসিসিআই।  স্কোয়াডে নেই বাংলার পেসার মহম্মদ শামি। চোটের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা সফরেও ছিলেন না তিনি। সদ্য অর্জুন পুরস্কার পাওয়া শামিকে প্রথম দু-ম্যাচেও পাওয়া যাবে না। স্কোয়াডে সুযোগ দেওয়া হল নতুন কিপার ব্যাটার ধ্রুব জুড়েলকে।

    ‘শাস্তি’ বাদ ঈশান

    ভারতীয় দলে নতুন উইকেটকিপার হিসেবে নেওয়া হয়েছে উত্তরপ্রদেশের ধ্রুব জুড়েলকে। ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেই উঠে এসেছেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর আগে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল ঈশান কিশনকে। রিজার্ভ উইকেটকিপার হওয়ায় দলের সঙ্গে থাকতে চাননি। দেশে ফিরে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলার বদলে তিনি প্রথমে দুবাইয়ে পার্টি করেন। তার পরে ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’র সেটে চলে যান। এতে নির্বাচকেরা ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন। তরুণ ক্রিকেটারকে ‘সহবত’ শেখাতে তাঁকে আগেই দল থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। দলে ফিরেছেন শ্রেয়স আয়ার। 

    টেস্ট স্কোয়াডে কুলদীপ

    ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারত চার স্পিনার রেখেছে স্কোয়াডে। দীর্ঘ সময় পর টেস্ট স্কোয়াডে চায়নাম্যান কুলদীপ যাদব। ইংল্যান্ডের বাঁ হাতি ব্যাটারদের কথা ভেবেই তাঁকে নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সঙ্গে অশ্বিন, জাডেজা এবং অক্ষর। প্রথম তিন পেসার হিসাবে রাখা হয়েছে বুমরা, সিরাজ এবং মুকেশকে। সঙ্গে ব্যাক-আপ হিসেবে নেওয়া হয়েছে আবেশকে।তবে ধ্রুবের সুযোগ পাওয়া উল্লেখযোগ্য। উত্তরপ্রদেশের ক্রিকেটারের গত বছরই প্রথম শ্রেণিতে অভিষেক হয়েছে। এর মধ্যেই ১৫টি ম্যাচে করেছেন ৭৯০ রান। তার মধ্যে ২৪৯ রানের একটি ইনিংস রয়েছে। ঘরোয়া ক্রিকেটে দুরন্ত পারফরম্যান্সের সুবাদে জাতীয় দলের দরজা খুলে গেল তাঁর জন্য।

    আরও পড়ুন: দেশের মাটিতেই হবে সপ্তদশ আইপিএল! লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গেই চলবে খেলা?

    কবে কবে টেস্ট

    ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২৫ জানুয়ারি হায়দ্রাবাদে প্রথম টেস্ট। এর পরের চারটি টেস্ট যথাক্রমে ২-৬ ফেব্রুয়ারি (বিশাখাপত্তনম), ১৫-১৯ ফেব্রুয়ারি (রাজকোট), ২৩-২৭ ফেব্রুয়ারি (রাঁচী) এবং ৭-১১ মার্চ (ধর্মশালা)।

    ভারতীয় দল: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুভমন গিল, যশস্বী জয়সওয়াল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়স আয়ার, কেএল রাহুল (উইকেটকিপার), কেএস ভরত (উইকেটকিপার), ধ্রুব জুড়েল (উইকেটকিপার), রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাডেজা, অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব, মহম্মদ সিরাজ, মুকেশ কুমার, যশপ্রীত বুমরা (সহ-অধিনায়ক) এবং আবেশ খান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ranji Trophy 2024: চালকের আসনে বাংলা! শামির ভাইয়ের দাপটে ৬০ রানে অল আউট উত্তরপ্রদেশ

    Ranji Trophy 2024: চালকের আসনে বাংলা! শামির ভাইয়ের দাপটে ৬০ রানে অল আউট উত্তরপ্রদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  দাদা ভারতের অত্যন্ত সফল পেসার। বিশ্বকাপে প্রথম চারটে ম্যাচে টিমে সুযোগ পাননি। পরের ম্য়াচে নেমে ইতিহাস তৈরি করে ফেলেছিলেন। সেই মহম্মদ শামির ভাই মহম্মদ কাইফ (Mohammed Kaif) রীতিমতো চমকে দেওয়া পারফর্ম করছেন রঞ্জি ট্রফিতে (Ranji Trophy)। দাদার মতো দুরন্ত বোলিংয়েই উত্তর প্রদেশকে ৬০ রানে শেষ করে দিলেন কাইফ। কানপুরের সবুজ পিচে শুক্রবার দাপট দেখাল বাংলার পেসাররা। 

    দুরন্ত বোলিং বাংলার

    কানপুরের গ্রিন পার্কে উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে নেমেছে বাংলা। অন্ধ্র প্রদেশের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে ১ পয়েন্ট নিয়েই থামতে হয়েছে মনোজ তিওয়ারির টিমকে। তাই উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে ৭ পয়েন্টের লক্ষ্য রয়েছে লক্ষ্মীরতন শুক্লার টিমের। সেই লক্ষ্যে পৌঁছনোর প্রথম ধাপ পূরণ করে ফেলল বাংলা। উত্তরপ্রদেশকে মাত্র ৬০ রানে অল আউট করে দিলেন বাংলার ছেলেরা। গ্রিন পার্কের গ্রিন টপ উইকেটে মহম্মদ কাইফ, সুরজ সিন্ধু জয়সওয়াল আর ঈশান পোড়েলরা দুরন্ত পারফর্ম করলেন। এদিন কুয়াশার কারণে ম্যাচ দেরিতে শুরু হয়।  টসে জিতে বোলিং নিয়েছিলেন মনোজ।  হতাশ করেননি তাঁর সতীর্থরা। অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা সূরজ সিন্ধু জয়সওয়াল এবং ঈশান পোড়েল নতুন বলে পর পর উইকেট তুলে নেন। সেই সঙ্গে যোগ দেন মহম্মদ কাইফ। তাঁরা তিন জনে মিলে ২০.৫ ওভার করে ৬০ রানে অলআউট করে দেন উত্তরপ্রদেশকে। বাংলার বোলারদের মধ্যে দুরন্ত পারফরম্যান্স শামির ভাইয়ের। ওপেনার সমর্থ সিংকে (১৩) ফিরিয়ে প্রথম উইকেট নিয়েছিলেন কাইফ। তারপর আর রোখা যায়নি তাঁকে। মাত্রা ৫.৫ ওভার বল করেছেন। ১৪ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট। 

    আরও পড়ুন: দেশের মাটিতেই হবে সপ্তদশ আইপিএল! লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গেই চলবে খেলা?

    ভুবনেশ্বরের ভেলকি

    উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে সবুজ উইকেটে বাংলার পেসারদের দাপটের পর এবার শুরু ভুবি-ম্যাজিক। উত্তরপ্রদেশ দলে ফিরেছেন অভিজ্ঞ পেসার ভুবনেশ্বর কুমার। সবুজ পিচে বাংলার ব্যাটাররা তাঁর সুইং সামলাতে পারলেন না। দিনের শেষে মাত্র ৯৫ রানেই পাঁচ উইকেট হারিয়েছে বাংলা। পাঁচটি উইকেটই নিয়েছেন ভুবনেশ্বর কুমার।  লাল বলের ক্রিকেটে ফিরে নিজের জাত চেনাচ্ছেন ৩৩ বছরের পেসার। উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে প্রথম দিনের শেষে ৩৫ রানে লিড নিল বাংলা। নীতীশদের তোলা ৬০ রান টপকাতে বাংলা নেয় ২১ ওভার। বাংলার ব্যাটারদের মধ্যে ওপেনার শ্রেয়াংশ ঘোষ শুরু থেকেই ক্রিজে ধরে খেলার চেষ্টা করেন। তবে উল্টো দিক থেকে একের পর এক উইকেট হারায় বাংলা। দিনের শেষে ক্রিজে রয়েছেন ওপেনার শ্রেয়াংস (অপরাজিত ৩৭)। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন করণ লাল (অপরাজিত ৮)।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India vs Afghanistan: দুরন্ত দুবে, আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম টি-২০ ম্যাচে সহজ জয় ভারতের

    India vs Afghanistan: দুরন্ত দুবে, আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম টি-২০ ম্যাচে সহজ জয় ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে দাপুটে জয় ভারতের। কনকনে মোহালিতে আফগানদের ৬ উইকেটে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেলেন রোহিতরা।‌ প্রথমে ব্যাট করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রান তোলে আফগানিস্তান। জবাবে ১৭.৩ ওভারে জয়সূচক রানে পৌঁছে যায় ভারত। ৬০ রানে অপরাজিত শিবম দুবে। টি-২০ বিশ্বকাপের আগে শেষ সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের সিরিজ এটা। এখানেই দলের কম্বিনেশন দেখে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে কোচ দ্রাবিড়ের সামনে।

    রোহিতের প্রত্যাবর্তন

    গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর জাতীয় দলে এই ফর্ম্যাটে ফিরেছেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। ব্যাটার রোহিতের শুরুটা যদিও ভালো হল না। শুভমনের ভুলে শূন্য হাতে রান আউট হয়ে ফেরেন তিনি।  ১৪ মাস পর টি-টোয়েন্টিতে ভারতের হয়ে খেলতে নেমে শূন্য রানে ফিরলেন রোহিত। তা-ও আবার রান আউট হয়ে। মাঠেই শুভমনের উপর ক্ষোভ উগরে দেন রোহিত।

    দুরন্ত দুবে

    ব্যাটে, বলে দাপট দেখালেন শিবম দুবে। তিনি ২ ওভার বল করে ৯ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন। সেই সঙ্গে ব্যাট হাতে অর্ধশতরান। পেস বোলিংয়ের সঙ্গে তাঁর ব্যাটিং ভারতকে ভরসা দিচ্ছে। হার্দিক পাণ্ডিয়া চোট পেলে এবার দুবের কথা ভাবা যেতেই পারে। ৪০ বলে ৬০ রান করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত থেকে ম্যাচও জেতান। ভারতীয় দলে পেসার অলরাউন্ডার হিসাবে হার্দিকের অভাব ঢাকার এক জনকে প্রয়োজন ছিল। চোটপ্রবণ হার্দিক মাঝে মধ্যেই খেলতে পারেন না। সেই জায়গা নিতে ব্যর্থ হয়েছেন শার্দূল ঠাকুর। শিবম যদি ধারাবাহিক ভাবে খেলতে পারেন তাহলে আগামী দিনে তাঁকে নিয়মিত দলে দেখা যেতেও পারে। ম্যাচের সেরা হন দুবে।

    ম্যাচে ভারতের দাপট 

    এদিন টসে জিতে আফগানিস্তানকে ব্যাট করতে পাঠান অধিনায়ক রোহিত শর্মা। শুরু থেকে উইকেট না পেলেও রান দিচ্ছিলেন না ভারতীয় বোলারেরা। সেই চাপেই উইকেট দিয়ে যান ওপেনার রহমনুল্লা গুরবাজ। অক্ষর প্যাটেলের বলে স্টাম্পড হন তিনি। অধিনায়ক ইব্রাহিম জাদরান করেন ২৫ রান। তাঁর উইকেট নেন শিবম দুবে। শেষ দিকে নবি ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। ভারতের হয়ে ২ উইকেট নেন মুকেশ কুমার। তিনি ৪ ওভারে ৩৩ রানও দেন। রবি বিষ্ণোই ৩ ওভারে ৩৫ রান দেন। তিনি কোনও উইকেট পাননি।

    এদিন ঠান্ডায় বল করা বেশ কঠিন হচ্ছিল বোলারদের পক্ষে। বল ধরা কঠিন হচ্ছিল। তার মধ্যেও রিঙ্কু সিং দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন। পাঞ্জাবের এই মাঠে ঠান্ডায় কাঁপতে দেখা যায় সকলকে। ম্যাচের দিন আম্পায়ারদের দেখা গেল গ্লাভস পরে থাকতে। ভারতীয় ক্রিকেটারেরাও ম্যাচের আগে গ্লাভস পরেছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • IPL 2024: দেশের মাটিতেই হবে সপ্তদশ আইপিএল! লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গেই চলবে খেলা?

    IPL 2024: দেশের মাটিতেই হবে সপ্তদশ আইপিএল! লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গেই চলবে খেলা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অন্য জায়গায় নয়, দেশেই আইপিএল (IPL 2024) আয়োজন করতে বদ্ধপরিকর ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড। লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গেই চলবে আইপিএল। তার জন্য বিভিন্ন বিকল্প তৈরি রাখছে বিসিসিআই। একাধিক সূত্রের খবর অনুযায়ী, মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে আইপিএল শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে বোর্ডের। হোম এবং অ্যাওয়ে ফরম্যাটেই হবে এই প্রতিযোগিতা। অন্য দেশে প্রতিযোগিতা আয়োজনের কথা ভাবাই হচ্ছে না। 

    লোকসভা ভোট নিয়ে সমস্যা

    ২০২৪ শুরু হতে না হতেই আইপিএল-এর সপ্তদশ মরসুমের দিকে তাকিয়ে সারা বিশ্বের ক্রিকেটপ্রেমীরা। গত নভেম্বর থেকেই তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে আইপিএলের (IPL)। বিশ্বকাপ ফাইনালের ঠিক এক সপ্তাহ পর, অর্থাৎ ২৬ নভেম্বর নিজেদের রিলিজ ও রিটেনশন তালিকা প্রকাশ করেছিলো দলগুলি। ১৯ ডিসেম্বর ছিল আইপিএল-এর নিলাম। তবে এবার আইপিএল আয়োজনে কয়েকটি সমস্যা রয়েছে। সামনেই রয়েছে লোকসভা ভোট। আইপিএল ম্যাচগুলিতে নিরাপত্তা প্রদানের ব্যাপারে প্রশাসনিক জটিলতা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। যদি কোনও রাজ্য সংস্থা নির্বাচনের কারণে আইপিএল ম্যাচের দিন পুলিশি নিরাপত্তা দিতে না চায় তা হলে কী হবে? মনে করা হচ্ছে, অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতেই এই সমস্যা হবে।

    বিকল্প ব্যবস্থা বোর্ডের

    কোনও রাজ্যে নির্বাচন চলাকালীন সেই রাজ্যে আইপিএলের ম্যাচ পড়লে যদি পুলিশ মোতায়েন নিয়ে সমস্যা হয়, তা হলে সেই ম্যাচ অন্য কোনও মাঠে আয়োজন করা হতে পারে। যে রাজ্যে আইপিএলের দল নেই এবং সেই সময়ে নির্বাচন নেই, সেই রাজ্যগুলিকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে এ ক্ষেত্রে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে, যদি কলকাতায় কেকেআরের ম্যাচের সময় ভোট পড়ে তাহলে সেই ম্যাচ গুয়াহাটি বা কটকে করা হতে পারে যদি সেই সময় সেই শহরে ভোট না থাকে। বোর্ডের মতে, আইপিএলের ম্যাচ যে মাঠে হবে সেখানেই লাভ। বরং আইপিএল দল না থাকা রাজ্যগুলিতে (যেমন অসম) ম্যাচ আয়োজন করা হলে তা আরও জনপ্রিয়তা পাবে।  ১০ শহরের বাইরেও আইপিএলের ম্যাচ হলে তা আখেড়ে লাভজনকই হবে।

    আরও পড়ুন: মলদ্বীপ বিতর্কে প্রধানমন্ত্রীর পাশে ‘অর্জুন’ শামি, কী বললেন তারকা পেসার

    আইপিএল ও বিশ্বকাপ

    প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে ২৪ মার্চ থেকে ২৬ মে পর্যন্ত হবে আইপিএল। কিন্ত এখনও কোনও কিছুই চূড়ান্ত করা সম্ভব হচ্ছে না ভোট ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত। তবে লোকসভা ভোট ছাড়াও টি-২০ বিশ্বকাপের (T20 World Cup 2024) কথা মাথায় রাখতে হচ্ছে বিসিসিআই-কে। দিনকয়েক আগে কুড়ি-বিশের বিশ্বকাপের সূচি ও গ্রুপ বিন্যাস প্রকাশ করেছে ক্রিকেট দুনিয়ার সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। ২ জুন থেকে শুরু হচ্ছে প্রতিযোগিতা। তার অন্তত এক সপ্তাহ আগে আইপিএল (IPL) শেষ করতেই হবে বিসিসিআই-কে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে মে মাসের চতুর্থ সপ্তাহের মধ্যে টুর্নামেন্ট শেষ করতে পারে ভারতীয় বোর্ড।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share