Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Birupaksha Biswas: ‘বদলির আশ্বাস দিয়ে দফায় দফায় টাকা হাতিয়েছেন বিরূপাক্ষ’, বিস্ফোরক চিকিৎসক

    Birupaksha Biswas: ‘বদলির আশ্বাস দিয়ে দফায় দফায় টাকা হাতিয়েছেন বিরূপাক্ষ’, বিস্ফোরক চিকিৎসক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাস্থ্য দুর্নীতিতে চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের কুকীর্তি ক্রমশ সামনে আসছে। শাসকদলের ওই চিকিৎসক নেতার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে এসেছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। নিজেকে প্রভাবশালী দেখিয়ে পোস্টিং করে দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিরূপাক্ষের (Birupaksha Biswas) বিরুদ্ধে। এমনকী পদোন্নতির নামে বহু চিকিৎসকের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতানোর অভিযোগ উঠেছে বিরূপাক্ষের বিরুদ্ধে। প্রতারণার মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি হয়েছিল। কিন্তু, তিনি এতটাই প্রভাবশালী ছিলেন যে, প্রকাশ্যে নীলবাতি লাগানো গাড়ি নিয়ে ঘুরলেও বিরূপাক্ষকে ছোঁয়ার সাহস দেখায়নি পুলিশ। এবার এক চিকিৎসক তাঁর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন। শুধু তাই নয় বিরূপাক্ষর বিরুদ্ধে থানায় বর্ধমান লিখিত অভিযোগও জানিয়েছেন তিনি।

    চিকিৎসকের ঠিক কী অভিযোগ? (Birupaksha Biswas)

    মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার শক্তিপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের তৎকালীন চিকিৎসক অনুপম মণ্ডল ২০২৩ সালের ১৩ মে বর্ধমান (Burdwan) থানায় বিরূপাক্ষের (Birupaksha Biswas) বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বদলির জন্য বিরূপাক্ষ তাঁর কাছ থেকে দফায় দফায় মোটা টাকা নিয়েছেন বলেই অভিযোগ করেন তিনি। তৃণমূলের চিকিৎসক নেতা ও প্রাক্তন সাংসদ শান্তনু সেনকেও লিখিতভাবে অভিযোগের কথা জানিয়েছিলেন অনুপম। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ২০২৩ সালের ১৮ মে তারিখে বর্ধমান থানায় বিরূপাক্ষর বিরুদ্ধে মামলা নথিভুক্ত করা হয়। অভিযোগ পত্রে অনুপম লেখেন, স্বাস্থ্য দফতরের উত্তরবঙ্গের ওএসডি, একজন বিধায়ক চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য দফতরের বড় কর্তাদের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ আছে বলেই জানিয়েছিলেন বিরূপাক্ষ। সেই মর্মে নিশ্চিত বদলি হবে আশ্বাস পেয়েই টাকা দিয়েছিলেন অনুপম। কিন্তু, পরে তাঁর কাজ হয়নি। টাকা ফেরতের কথা বলতেই হুমকির মুখে পড়তে হয় তাঁকে। এই ঘটনার সুবিচার দাবি করেছেন ওই চিকিৎসক।

    আরও পড়ুন: ‘থ্রেট কালচার’-এর অভিযোগ! আন্দোলনকারীদের প্রবল চাপে সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ ৫১ জনকে নোটিস

    দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি

    বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের এক চিকিৎসক বলেন, এলাকায় সিন্ডিকেট রাজ চালাতেন বিরূপাক্ষ (Birupaksha Biswas)। বহু চিকিৎসক তাঁর খপ্পরে পড়ে  প্রতারিত হয়েছে। আমরা চাই, এই সব প্রতারণার ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা দরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • ED: রয়েছে দুর্নীতির তথ্যপ্রমাণ! ইডির হাতে এল সন্দীপ ঘোষের ল্যাপটপ, লুকানো ছিল কোথায়?

    ED: রয়েছে দুর্নীতির তথ্যপ্রমাণ! ইডির হাতে এল সন্দীপ ঘোষের ল্যাপটপ, লুকানো ছিল কোথায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতির ঘটনায় আরও বড় তথ্যপ্রমাণ হাতে এল। এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে এল সন্দীপ ঘোষের ব্যবহার করা একটি ল্যাপটপ। জানা গিয়েছে, সংশ্লিষ্ট ল্যাপটপটি নিজের বেলেঘাটার বাড়ি থেকে অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে সরিয়ে রেখেছিলেন সন্দীপ। সন্দীপের ওই আত্মীয়ের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে তাঁর ব্যবহার করা সেই ল্যাপটপটি বাজেয়াপ্ত করেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটর (ED) গোয়েন্দারা।

    কোথায় কোথায় তল্লাশি? (ED)

    আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বেলেঘাটার বাড়ির পাশাপাশি তাঁর শ্বশুরবাড়িতে পর্যন্ত তল্লাশি চালিয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা (ED)। বাদ যায়নি শ্যালিকার বাড়ি। সেই তল্লাশিতে একাধিক নথি উদ্ধার হয়েছে। আর সেই তল্লাশিতেই উদ্ধার হয়েছে একটি ল্যাপটপ। ইতিমধ্যেই সেটি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। জানা যাচ্ছে, এই ল্যাপটপেই রয়েছে দুর্নীতির তথ্য। সূত্রের খবর, টেন্ডার সংক্রান্ত নথি রয়েছে ল্যাপটপে। এক্সেল ফাইলে রয়েছে প্রচুর টাকার হিসেব। ঘেঁটে দেখা হচ্ছে ই মেল। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মুছে ফেলার আশঙ্কাও করছে এজেন্সি। কোনও প্রমাণ মুছে হয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইডি-র দাবি, তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ ডিজিটাল নথি পেয়েছে তারা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দাদের অনুমান, এই ল্যাপটপে হয়তো রাখা হত যাবতীয় হিসেব। তাই, হিসেব বহির্ভূত আয়ের হিসেব এবং একাধিক নথিপত্র সংশ্লিষ্ট ল্যাপটপ থেকে পাওয়া যেতে পারে।

    আরও পড়ুন: ‘থ্রেট কালচার’-এর অভিযোগ! আন্দোলনকারীদের প্রবল চাপে সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ ৫১ জনকে নোটিস

    আরজি করের দুর্নীতির তদন্তে সিবিআই-ও

    প্রসঙ্গত, সন্দীপ ঘোষ আরজি করের অধ্যক্ষ থাকাকালীন অনেক দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। বিভিন্ন সময়ে সে সব অভিযোগ সামনে এলেও তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর পর অভিযোগ আরও জোরালো হয়, নতুন করে মামলাও হয় কলকাতা হাইকোর্টে। সন্দীপের বিরুদ্ধে হওয়া দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। এরপরই সন্দীপকে গ্রেফতার করে সিবিআই। বর্তমানে সিবিআই হেফাজতেই রয়েছেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ। এই ঘটনায় নতুন ভাবে এফআইআর দায়ের করে তদন্তে নামেন সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখার গোয়েন্দারা। এবার সিবিআই-এর পাশাপাশি সন্দীপের হাসপাতালে দুর্নীতির তদন্তে নেমেছে ইডি (ED)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2024: স্বপ্নদীপের মৃত্যুই অনুপ্রেরণা, ফেলে দেওয়া পেন-পেন্সিল দিয়ে অভিনব দুর্গাপ্রতিমা

    Durga Puja 2024: স্বপ্নদীপের মৃত্যুই অনুপ্রেরণা, ফেলে দেওয়া পেন-পেন্সিল দিয়ে অভিনব দুর্গাপ্রতিমা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথায় বলে, কোনও কিছুই ফেলে দিতে নেই। ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়েই গড়ে উঠতে পারে অনেক কিছু। এবার হাজার হাজার কালি ফুরানো পেন ও পেন্সিল দিয়ে দৃষ্টিনন্দন দুর্গাপ্রতিমা তৈরি করলেন নদিয়ার এক গৃহবধূ। প্রায় ৯ মাসের প্রচেষ্টায় এখন পুরোপুরি সম্পূর্ণ দুর্গাপ্রতিমা (Durga Puja 2024) তৈরির কাজ। হ্যাঁ, এমনই এক দুর্গাপ্রতিমা তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিলেন নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণগঞ্জ বাজার সংলগ্ন সত্যনগর পাড়ার গৃহবধূ পাপিয়া কর। তিনি একজন পেশায় হস্তশিল্পী। যদিও সামাজিক দায়বদ্ধতা রয়েছে তাঁর অনেক। সমাজের পিছিয়ে পড়া পরিবারের শিশুদের দেখাশোনা করেন তিনি এবং নির্দিষ্ট সময় বের করে শিক্ষা প্রদান করে। এই নিয়েই বর্তমানে দিন কাটে পাপিয়ার।

    স্বপ্নদীপের মৃত্যুই নাড়িয়ে দিয়েছিল (Durga Puja 2024)

    প্রায় এক বছর আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছিল নদিয়ার যুবক স্বপ্নদ্বীপের। তরতাজা প্রাণ চলে যাওয়ার কারণে তাঁর মনে উঠে এসেছিল প্রতিবাদের ভাবনা। তিনি মনে মনে ভেবেছিলেন, এমন কিছু করে দেখাবেন যেখানে দুর্গামূর্তির মধ্যে দিয়ে প্রতিবাদ তুলে ধরতে পারেন। এরপর থেকেই সংগ্রহ করতে থাকেন কালি ফুরিয়ে যাওয়া পেন ও পেন্সিল। তার পর থেকেই শুরু করেন দুর্গাপ্রতিমা তৈরির কাজ।

    লক্ষ্য, শিক্ষিত অসুরদের বিনাশ

    প্রায় ৩০ হাজার পেন ও পেন্সিল দিয়ে তৈরি করে ফেলেন দুর্গাপ্রতিমা (Durga Puja 2024), সঙ্গে রয়েছে মা দুর্গার চার সন্তান। কার্তিক, গণেশ, সরস্বতী ও  লক্ষ্মী-প্রত্যেকটি মূর্তি পেন ও পেন্সিল দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। নাম দিয়েছেন অশুভ শক্তির বিনাশ হোক, শুভ শক্তির আগমন হোক, অর্থাৎ কলমকারী দুর্গা। এ প্রসঙ্গে গৃহবধূ পাপিয়ার কথায়,, স্বপ্নদ্বীপের মৃত্যুতে তিনি খুবই ভেঙে পড়েছিলেন, ভেবেছিলেন হয়তো সবাই ঝাঁপিয়ে প্রতিবাদে নামবে। তার পরও ঘটে গেল আরজি করের ডাক্তারি পড়ুয়ার সঙ্গে নৃশংস ঘটনা। তাই শিক্ষিত অসুরদের বিনাশ করতে তিনি প্রতিবাদের মধ্য দিয়ে দুর্গাপ্রতিমার নাম দিয়েছেন কলমকারী দুর্গা (Durga Puja 2024)। তাঁর তৈরি দুর্গাপ্রতিমা পাড়ি দেবে নদিয়ার রানাঘাট পাইকপাড়া ব্রতী সঙ্ঘের পুজো মণ্ডপে। জানা গিয়েছে, ওই মণ্ডপের থিম তৈরির কাজ প্রায় শেষের দিকে, এখন শুধু পুজো আসার অপেক্ষা। একটা সময় কাজের প্রতিভার মধ্যে দিয়ে তিনি জায়গা করে নিয়েছিলেন দিদি নম্বর ওয়ান এবং দাদাগিরির মঞ্চ জি বাংলার রান্নাঘরের মতো জায়গায়। তাঁর পরিচিতি এখন গোটা বাংলা জুড়ে, কারণ তিনি শুধু হস্তশিল্পী নন, প্রতিদিনই অনেক দুঃস্থ পরিবারের ৩০ থেকে ৪০টি বাচ্চার দেখাশোনা করেন। হাতে-কলমে শেখানো হয় পড়াশুনো, পাশাপাশি তাদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বলের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • North Bengal Medical: আন্দোলনের ঝাঁঝ! নম্বর দুর্নীতিতে প্রাক্তন ডিন সহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

    North Bengal Medical: আন্দোলনের ঝাঁঝ! নম্বর দুর্নীতিতে প্রাক্তন ডিন সহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের মতো উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল (North Bengal Medical) কলেজেও টিএমসিপি নেতাদের ‘থ্রেট কালচার’-এর ফলে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। সেই সঙ্গে পরীক্ষায় কারচুপির বিস্তর অভিযোগ ছিল। বিশেষ করে নম্বর দুর্নীতির বিষয়টি সামনে আসতেই জুনিয়র ডাক্তার ও পড়ুয়াদের আন্দোলনের চাপে ১২ জনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিল কলেজ কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে প্রাক্তন ডিন ও অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিন ও একজন আরএমও রয়েছেন।

     কীভাবে চলত থ্রেট কালচার? (North Bengal Medical)

    আন্দোলনকারী পড়ুয়া-চিকিৎসকদের অভিযোগ, টিএমসিপি নেতাদের হাতের পুতুল হয়েছিলেন মেডিক্যাল কলেজ (North Bengal Medical) কর্তৃপক্ষ। থ্রেট কালচারের পাশাপাশি টিএমসিপি নেতাদের নির্দেশে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে (Siliguri) এতদিন চলে এসেছিল পরীক্ষায় নম্বরে কারচুপি, নকলে মদত দেওয়ার ঘটনা। কলেজ অনুষ্ঠানে টাকা তোলার জন্য জুলুম ও হুমকি দেওয়া হত। সেই টাকার কোনওদিন অডিট হয়নি। ৫২ নম্বর পাওয়া এক পড়ুয়ার নম্বর বাড়িয়ে ৮২ করে দেওয়া হয়েছিল।

    গত ৪ সেপ্টেম্বর এর প্রতিবাদে পড়ুয়া ও জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের চাপে একথা স্বীকার করে পদত্যাগ করেন মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন ডিন সন্দীপ সেনগুপ্ত, সহকারি ডিন সুদীপ্ত শীল। এই দু’জনের সঙ্গে মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিত সাহার পদত্যাগের দাবিতে গত ৪ সেপ্টেম্বর আন্দোলনকারীরা তাঁদের ঘেরাও করে রাখেন। রাতে সন্দীপ সেনগুপ্ত, সহকারি ডিন সুদীপ্ত শীল পদত্যাগ করলেও আশ্চর্যজনকভাবে অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিত সাহার পদত্যাগের দাবি থেকে সরে আসেন জুনিয়র ডাক্তাররা।

    আরও পড়ুন: ‘থ্রেট কালচার’-এর অভিযোগ! আন্দোলনকারীদের প্রবল চাপে সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ ৫১ জনকে নোটিস

     প্রাক্তন ডিন সহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা!

    আন্দোলনের (North Bengal Medical) চাপে সুপারের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন অধ্যক্ষ। তদন্তে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে আলোকপাত করা হয়নি। থ্রেট কালচারের হুমকি নিয়ে তদন্ত কমিটি সবপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সোমবার রিপোর্ট জমা দেয়। সেই রিপোর্টেই তিন আধিকারিক সহ মোট ১২ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ৯ ছাত্র নেতা। আধিকারিকদের মধ্যে প্রাক্তন ডিন সন্দীপ সেনগুপ্ত, সহকারি ডিন সুদীপ্ত শীল ও আরএমও নিলাব্জ ঘোষকে আপাতত ছুটিতে পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছে কলেজ কাউন্সিল। অধ্যক্ষ বলেন, তিন হাউসস্টাফ শাহিন সরকার, শাহিনুল ইসলাম ও রিতুরম্ভ সরকার, সোহম মণ্ডল, জয় লাকড়া, তীর্থঙ্কর রায়, অরিত্র রায়, ঐশি চক্রবর্তী, শ্রীজা কর্মকারকেও বহিষ্কার করার সুপারিশ করা হয়েছে। সোহম মণ্ডল সহ যাদের নম্বর কারচুপি করার অভিযোগ রয়েছে, তাদের সকলের খাতা ফের মুল্যায়ন করা হবে। এদের মধ্যে তৃণমূল ছাত্র নেতা সোহম মণ্ডল ইন্টার্ন। অরিত্র ও তীর্থঙ্কর ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র। ঐশি, শ্রীজা ও জয় লাকড়া তৃতীয় বর্ষের পার্ট-১ এর ছাত্র।

    অধ্যক্ষ কেন তদন্তের বাইরে?

    অন্যতম অভিযুক্ত টিএমসিপির বরখাস্ত নেতা অভীক দে এখানে অবৈধভাবে অডিটোরিয়াম (North Bengal Medical) দখল করে তাঁর জন্মদিন পালন করেছিলেন। অধ্যক্ষ সেই অনুষ্ঠানে থেকেছেন। অভীকের হাত থেকে কেকও খেয়েছেন তিনি। সেকথা স্বীকার করেছেন অধ্যক্ষ। তাতেই প্রশ্ন, অধ্যক্ষ কেন তদন্তের বাইরে? এই প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিত সাহা বলেন, ‘‘এখানে সবাই আমার অধস্তন। তাই আমার বিরুদ্ধে যা অভিযোগ রয়েছে, তার সবটাই রাজ্য স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।’’ এ প্রসঙ্গে আন্দোলনকারীদের তরফে শাহরিয়ার আলম বলেন,  ‘‘আমরা অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবি থেকে সরে আসছি না। তাঁর ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কী সিদ্ধান্ত নেয় দেখে আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandip Ghosh: বহরমপুরেও রয়েছে এক জোড়া ফ্ল্যাট! সন্দীপ ঘোষের নয়া সম্পত্তির হদিশ

    Sandip Ghosh: বহরমপুরেও রয়েছে এক জোড়া ফ্ল্যাট! সন্দীপ ঘোষের নয়া সম্পত্তির হদিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর মেডিক্যাল দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর পরই  দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের নারায়ণপুরে সন্দীপ ঘোষের বাংলোর আর কয়েকশো বিঘা জমির হদিশ পাওয়া গিয়েছিল। পরে বেলেঘাটা, নিউটাউনেও তাঁর সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। এবার সন্দীপের (Sandip Ghosh) নতুন ঠিকানার হদিশ পাওয়া গেল মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে। সেখানে একটি আবাসনের পাঁচতলায় রয়েছে সন্দীপের ফ্ল্যাট। যা নিয়ে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে।

    কী বললেন আবাসনের আবাসিকরা? (Sandip Ghosh)

    আবাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কর্মসূত্রে যখন মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে ছিলেন সন্দীপ, সেই সময় ফ্ল্যাটটি কিনেছিলেন তিনি। বহরমপুরের গোরাবাজার এলাকার ‘সবিতা রেসিডেন্সি’ নামে একটি আবাসনের পাঁচতলায় রয়েছে ফ্ল্যাটটি। তবে এই ফ্ল্যাটে তিনি (Sandip Ghosh) নিয়মিত যেতেন না বলে জানিয়েছেন আবাসিকরা। এক আবাসিকের দাবি, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে বদলি হয়ে আসার পর একবার মাত্র ওই ফ্ল্যাটে এসেছিলেন সন্দীপ। আবাসনের এক নিরাপত্তারক্ষী বলেন, ‘গত চার বছরের মধ্যে একবারও চোখে দেখিনি ডাক্তারবাবুকে (সন্দীপ)। তবে অনেকের মুখে জেনেছিলাম, এই আবাসনে তাঁর ফ্ল্যাট রয়েছে। ফ্ল্যাটে না এলেও আবাসনের রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ প্রতি মাসের খরচ অনলাইনে মিটিয়ে দিতেন সন্দীপ। ইলেকট্রিকের বিলও অনলাইনে মিটিয়ে দিতেন, এমনটাই জানিয়েছেন আবাসিকরা।

    আরও পড়ুন: ‘থ্রেট কালচার’-এর অভিযোগ! আন্দোলনকারীদের প্রবল চাপে সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ ৫১ জনকে নোটিস

    ‘স্বর্ণময়ী’ এলাকায় ফ্ল্যাট!

    জানা গিয়েছে, ওই আবাসনের পার্কিং লটে একটি গ্যারেজ রয়েছে সন্দীপের নামে। তবে বর্তমানে গ্যারেজটি ইসলামপুরের এক ব্যক্তিকে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সূত্রের খবর, গোরাবাজারের ফ্ল্যাট ছাড়াও মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের সামনে ‘স্বর্ণময়ী’ এলাকায় ২০০০ স্কোয়ার ফুটের আরেকটি ফ্ল্যাট রয়েছে সন্দীপের (Sandip Ghosh) নামে। স্থানীয় এক দোকানদার বলেন, নতুন হাসপাতালে (মেডিক্যাল কলেজ) থাকার সময় ডাক্তারবাবু গোরাবাজের ফ্ল্যাটে থাকতেন। তখন আমার দোকানে জিনিসপত্র কিনতে আসতেন। সেই সময় তাঁকে দেখেছিলাম। এখান থেকে চলে যাওয়ার পর আর তাঁকে দেখিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arindam Sil: ‘যৌন হেনস্থা’র ঘটনায় দায়ের হল এফআইআর, আরও বিপাকে পরিচালক অরিন্দম শীল

    Arindam Sil: ‘যৌন হেনস্থা’র ঘটনায় দায়ের হল এফআইআর, আরও বিপাকে পরিচালক অরিন্দম শীল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে হত্যার আবহে টলিউডের পরিচালক অরিন্দম শীলের (Arindam Sil) বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার (Sexual Harassment) অভিযোগ উঠেছে। সেই ঘটনায় আরও বিপাকে পড়লেন পরিচালক। এবার তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হল এফআইআর। এর আগে, এই অভিযোগে তাঁকে সাসপেন্ড করে ডিরেক্টর্স গিল্ড। অরিন্দমের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগে দায়ের করেছেন এক অভিনেত্রী। সম্প্রতি, অরিন্দমের বিরুদ্ধে মহিলা কমিশনেও অভিযোগ জানিয়েছিলেন ওই অভিনেত্রী। যদিও এই ঘটনার কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত এই পরিচালক। ‘অভয়া’র ন্যায় বিচারের দাবিতে রাস্তায় হেঁটেছিলেন অরিন্দম। এবার তাঁর বিরুদ্ধেই গুরুতর অভিযোগ ওঠায় উত্তাল টলিউড।

    বিষ্ণুপুর থানায় এফআইআর (Arindam Sil)

    জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানায় এফআইআর করা হয়েছে অরিন্দম শীলের বিরুদ্ধে (Arindam Sil)। ওই এলাকায় একটি রিসর্টে শুটিং চলছিল। ফলে নিকটবর্তী জায়গায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। রাজ্যের মহিলা কমিশনের কাছেও অভিযোগ জানিয়ে সরব হয়েছিলেন অভিনেত্রী। এরপর টলিউডের ডিরেক্টর্স গিল্ডের পক্ষ থেকে অরিন্দম শীলকে  সাসপেন্ড করা হয়েছে।

    অভিযোগকে অস্বীকার (Sexual Harassment)

    যদিও প্রথম থেকেই অরিন্দম (Arindam Sil) অভিযোগকে অস্বীকার করে আসছেন। তিনি এফএইআর দায়ের হওয়ার কথা শুনে বলেন, “আইন আইনের পথে চলবে। যা যা দরকার তাই তাই করব। আমি সব সময় আমার অবস্থান নিয়ে একই কথা বলেছি। একটি দৃশ্য অভিনয় করার সময় আমার শিল্পী যদি অস্বস্তি অনুভব করে থাকেন, তাহলে তখন কেন বলেননি? আর যদি সত্যই অস্বস্তি বোধ করে থাকেন, তাহলে তার জন্য আমি দুঃখিত। এই ঘটনা অনভিপ্রেত।”

    আরও পড়ুনঃ আরজি কর কাণ্ডে এবার ইডির নজরে সন্দীপের ‘অতি পরিচিত’ নার্গিস, কে এই মহিলা?

    দৃশ্যে কী ছিল?

    ছবির ‘দৃশ্য’ সম্পর্কে অরিন্দম (Arindam Sil) আরও বলেন, “ছবি পরিচালনার সময় একটি দৃশ্যের অভিনয় চলছিল। কোলে তথা হাঁটুতে বসিয়ে দেখাতে হত দৃশ্যটা। ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের অভিনয় দেখানোর কথা ছিল। এই দৃশ্যটা যখন দেখাতে গিয়েছি, তখন আমার মুখটা ওনার গালে ছুঁয়ে যায়। সেটা নিয়েই বলা হচ্ছে আমি নাকি চুমু খেয়েছি। তবে শুটিং-এর সময় অভিনেত্রী কোনও অভিযোগ করেননি। আমার পাশেই বসে ছিলেন।” উল্লেখ্য অরিন্দমের বিরুদ্ধে আগেও একাধিক অভিনেত্রী অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন। অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্রও অভিযোগ করেছিলেন। চিত্রনাট্য পড়ার জন্য নিজের অফিসে ডেকে নাকি তাঁকে যৌন হেনস্থা (Sexual Harassment) করেছিলেন অরিন্দম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: আরজি কর কাণ্ডে এবার ইডির নজরে সন্দীপের ‘অতি পরিচিত’ নার্গিস, কে এই মহিলা?

    RG Kar Incident: আরজি কর কাণ্ডে এবার ইডির নজরে সন্দীপের ‘অতি পরিচিত’ নার্গিস, কে এই মহিলা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Incident) মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতির দায়ে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন সেখানকার প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh)৷ এবার সন্দীপেরই পরিচিত এক মহিলা নার্গিসকে জেরা করতে চলেছে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, হাসপাতাল চত্বরেই নার্গিসের নামে ছিল ক্যাফে। অভিযোগ, নার্গিসকে অনেক ক্ষেত্রে নানা সুবিধা পাইয়ে দিয়েছিলেন সন্দীপ। এই মহিলার নামে বেশ কয়েকটি সংস্থাও রয়েছে। 

    কে এই নার্গিস

    ইডি সূত্রে খবর, সন্দীপ ঘোষের (Sandip Ghosh) বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্তে নেমে নার্গিস খাতুন নামে এক মহিলার সম্পর্কে একাধিক তথ্য পাওয়া গিয়েছে৷ ওই মহিলার নামে একাধিক সংস্থার হদিশ পেয়েছেন তদন্তকারীরা৷ এই নার্গিস খাতুন হলেন আফসার আলি খানের স্ত্রী। আলি খান ছিলেন সন্দীপ ঘোষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী৷ তাঁকে ইতিমধ্য়েই সিবিআই গ্রেফতার করেছে৷ আলি খান সন্দীপের খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন৷ সেই সূত্রেই নার্গিসের সঙ্গে বেশ ভালো পরিচয় গড়ে ওঠে সন্দীপের৷ আফসারের নামে এক সময় আরজি করে বাঘে-গরুতে একঘাটে জল খেত, এমনটাই শোনা যায়। 

    আরও পড়ুন: ‘‘আমার বাড়িতে আর কোনওদিন…’’, মমতার উৎসব-মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় নির্যাতিতার মা

    নার্গিসের নামে ক্যাফে

    ইডি সূত্রে খবর, নার্গিসের নামে আরজি কর হাসপাতাল (RG Kar Incident) চত্বরে ক্যাফে খুলেছিলেন আলি খান ৷ শুধু তাই নয়, ক্যাফের বরাত পাওয়ার জন্য যে অর্থ নার্গিসের নামে জমা পড়েছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে, পরে তা প্রভাব খাটিয়ে সন্দীপ (Sandip Ghosh) ফিরিয়ে দেন৷ অথচ এই অর্থ নন-রিফান্ডেবল (ফেরত যোগ্য নয়) হিসেবেই জমা নেওয়া হয়৷ কেন এই বাড়তি সুবিধা পেলেন নার্গিস? আপাতত সেটাই জানতে চান ইডির তদন্তকারীরা৷ সেই কারণে শীঘ্রই নার্গিসকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে৷ নার্গিসের নামে একাধিক সংস্থা রয়েছে৷ তাঁর একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও রয়েছে৷ সেই অ্যাকাউন্টগুলিতে যে লেনদেন হতো, যে সংস্থাগুলির সঙ্গে নার্গিসের নাম জড়িয়ে, সেগুলিতে সন্দীপের ‘অবদান’ কতটা সেই বিষয়েও ইডির তদন্তকারীরা জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন নার্গিস খাতুনকে ৷

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: ‘‘টাকা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যা কথা বলছেন’’, মমতাকে তোপ নির্যাতিতার মায়ের

    RG Kar Incident: ‘‘টাকা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যা কথা বলছেন’’, মমতাকে তোপ নির্যাতিতার মায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Incident) ইস্যুতে দেশজুড়ে আন্দোলন চলছে। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সোমবার সুপ্রিম শুনানির পর নবান্নে  সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, আরজি করে নির্যাতিতার পরিবারকে টাকা দেওয়ার কোনও প্রস্তাব দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে পরিবার মিথ্যা কথা বলছে। মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে পাল্টা নিশানা করলেন নির্যাতিতার মা। যা নিয়ে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে।

    টাকা দেওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যা কথা বলছেন (RG Kar Incident)

    নির্যাতিতার মা (Sodepur) বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যা কথা বলছেন। মুখ্যমন্ত্রী বাড়িতে এসে আমাদের বলেছিলেন, আপনারা তো একটা টাকা পাবেন। মেয়ের স্মৃতির জন্য কিছু একটা তৈরি করে রাখবেন। আমি তখন বলেছিলাম, যখন আমার মেয়ে বিচার (RG Kar Incident) পাবে, তখন আপনার দফতরে গিয়ে সেই টাকা নিয়ে আসব। আর পুলিশের থেকে আমাদের কাছে টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।’’ নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর লোকজন এই আন্দোলনকে গলা টিপে হত্যা করতে চাইছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমার মেয়েকে যেভাবে গলা টিপে মারা হয়েছে, প্রমাণ লোপাট করা হয়েছে, ঠিক সেই ভাবে মুখ্যমন্ত্রী আন্দোলনের গলা টিপে হত্যা করতে চেয়েছেন। কারণ, আন্দোলনটা থেমে গেলে তিনি নিজের জায়গায় ভালোভাবে টিকে থাকতে পারবেন।’’ অভয়ার মায়ের কথায়, ‘‘যতদিন না বিচার পাব, ততদিন আমরা পথে থাকব, আন্দোলনে থাকব।’’

    কাজে ফেরা নিয়ে সরব নির্যাতিতার মা?

    ডাক্তারদের আন্দোলন (RG Kar Incident) থেকে কাজে ফিরতে চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী যে আবেদন জানিয়েছেন তা নিয়ে নির্যাতিতার মা বলেন, ‘‘ডাক্তারেরা যদি নিজেদেরকে নিরাপদ না মনে করেন তাহলে তাহারা কীভাবে কাজে যোগ দেবেন?’’ ডাক্তারদের আন্দোলনে স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হওয়ার কারণে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন মমতা। তা নিয়ে মা বলেন, ‘‘হাসপাতালে অনেক ক্রিটিকাল রোগী মারা যান। আমার মেয়ে যখন হাসপাতালে রোগী দেখত, তখন ওর কাছেই জানতাম। কিন্তু, তার সঙ্গে আন্দোলনের কী সম্পর্ক?’’

    উৎসবে ফেরা নিয়ে কী বললেন নির্যাতিতার মা?

    রাজ্যের মানুষকে উৎসবে ফেরার যে আহ্বান মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন, তা নিয়ে নির্যাতিতার মা বলেন, ‘‘আমার কাছে অমানবিক মনে হচ্ছে, কারণ আমি তো মেয়ের মা। আমি তো সন্তান হারিয়েছি, তাই আমার অমানবিক মনে হচ্ছে। গোটা দেশের মানুষ যদি ভাবে উৎসবে ফিরবে তাহলে তারে ফিরতেই পারেন। কিন্তু তাঁরা আমার মেয়েকে (RG Kar Incident) নিজের পরিবারের সদস্য বলে মনে করছেন। তাঁরা যদি উৎসবে ফিরতে পারেন, আমার কিছু বলার নেই। আমার বাড়িতেও দুর্গাপুজো হত, মেয়ে ঘরে করত। কিন্তু আমার বাড়িতে আর কোনওদিন দুর্গাপুজোর আলো জ্বলবে না। আমার ঘরের বাতি নিভে গিয়েছে। আমি কি করে মানুষকে বলব উৎসবে ফিরতে?’’ মায়ের প্রশ্ন ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারে যদি এমন ঘটনা ঘটত তাহলে কি উনি একথা বলতে পারতেন?’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: মমতার উৎসব-মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতায় সুকান্ত-শমীকরা, ধিক্কার জানালেন জুনিয়র ডাক্তাররাও

    RG Kar: মমতার উৎসব-মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতায় সুকান্ত-শমীকরা, ধিক্কার জানালেন জুনিয়র ডাক্তাররাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতার ‘উৎসব মন্তব্য’-এর তীব্র বিরোধিতা (RG Kar) করছেন রাজ্য বিজেপির নেতারা। গতকালই মমতার এমন মন্তব্যের জেরে ফুঁসছে রাজ্যের নাগরিক সমাজের বড় অংশ। এবার এনিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া শোনা গেল গেরুয়া শিবিরের নেতাদের (West Bengal BJP) গলায়। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এনিয়ে বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী নিজেকে কী মনে করেন? গোটা রাজ্যের মানুষ কি ওঁর দলের চাকর বাকর নাকি! উনি ঠিক করে দেবেন মানুষ কখন আন্দোলন শেষ করবে?’’

    উনি ওনার ভাইপো ভাতিজাকে নিয়ে উৎসব পালন করবেন

    মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে সুকান্তর বক্তব্য, ‘‘গোটা বাংলা ভারাক্রান্ত (RG Kar)। জীবনে কখনও যে মা মিছিলে হাঁটেননি, তিনিও পথে। নির্যাতিতাকে সকলে কন্যা, মা, সহোদরা মনে করে আন্দোলনে নেমেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর উচিত সমব্যথী হয়ে রাজ্যের মানুষকে সমবেদনা জানানোর। তা না করে আন্দোলনকে ভয় পেয়ে তিনি মানুষকে পুজোর আনন্দে মাততে বলছেন! এটা নিন্দনীয়।’’ সুকান্ত মজুমদারের আরও সংযোজন, ‘‘বাংলার মানুষ এই উৎসব মন খারাপ নিয়েই পালন করবে। দেবী দুর্গা আসেন, উমাকে নিজের ঘরের মেয়ের মত বরণ করি আমরা। এবার বাঙালি মন খারাপ করেই পালন করবেন পুজো। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর আনন্দ উচ্ছ্বাস হয়েছে। উনি ওনার ভাইপো ভাতিজাকে নিয়ে পালন করবেন কোনও অসুবিধা নেই।’’

    মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা শমীক ভট্টাচার্যের

    মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে তীব্র আক্রমণ করেছেন বিজেপির (West Bengal BJP) রাজ্যসভা সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘‘এই কথায় স্বৈরাচারীর স্বর রয়েছে। উৎসব তো হয় মনের আনন্দে। মনে আনন্দ থাকলে (RG Kar) তবেই তো উৎসব। উনি তো মানুষের আনন্দটাই কেড়ে নিয়েছেন। তাই মানুষই মানুষের পথ ঠিক করবে।’’ শমীক ভট্টাচার্যের আরও দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর নিজের দলের নিচু তলার কর্মী-সমর্থকেরাও বিচারের দাবিতে পথে নেমেছেন।

    মমতার মন্তব্যকে ধিক্কার জানালেন জুনিয়র ডাক্তাররা (RG Kar)

    মুখ্যমন্ত্রীর এমন কাণ্ডজ্ঞানহীন মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররাও। তাঁদের একজনের কথায়, ‘‘আমরা সেদিনই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করব, সেদিনই দেবী দুর্গাকে আহ্বান করতে পারব যেদিন আমাদের অভয়া বিচার পাবে। তাঁর আগে আমাদের কোনও উচ্ছ্বাস নেই।’’ আরেক আন্দোলনকারীদের কথায়, ‘‘খুবই দুঃখজনক। আমরা এই বক্তব্যকে ধিক্কার জানাই। যেখানে সারা বিশ্ব জাস্টিসের দাবিতে কথা বলছে, আর উনি খেলা-মেলা-উৎসব দিয়ে মানুষকে ভোলাতে চাইছেন। আর কিছু বলার ভাষা নেই।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: দাবি মানলে তবেই কাজে ফেরার কথা বিবেচনা! আজ ফের স্বাস্থ্যভবন অভিযান জুনিয়র ডাক্তারদের

    RG Kar: দাবি মানলে তবেই কাজে ফেরার কথা বিবেচনা! আজ ফের স্বাস্থ্যভবন অভিযান জুনিয়র ডাক্তারদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar) ইসুতে ক্রমশই ঝাঁঝ বাড়ছে আন্দোলনের। এরই মধ্যে গতকাল সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উৎসবে ফেরার মন্তব্য আন্দোলনকারীদের ক্ষোভের আগুনে ঘৃতাহুতি দিয়েছে বলেই মনে করছেন অনেকে। ঠিক এই আবহে আজ মঙ্গলবার করুণাময়ী থেকে স্বাস্থ্যভবন পর্যন্ত অভিযানের (Swasthya Bhawan Rally) ডাক দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। প্রসঙ্গত ৯ অগাস্ট আরজি করের মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর থেকেই তীব্র আন্দোলন তৈরি করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। বিচারের দাবিতে তাঁরা পথে নেমেছেন। এর আগে লালবাজারের অভিযানও করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আরজি কর (RG Kar) হাসপাতালের সামনে ১ মাস ধরেই চলছে লাগাতার অবস্থান।

    মমতা সরকার দাবি মানলে তবেই কাজে ফেরার কথা বিবেচনা (RG Kar) 

    প্রসঙ্গত, সোমবার জেনারেল বডির বৈঠকের পরে রাত ১১টা নাগাদ সাংবাদিক বৈঠক করে জুনিয়র ডাক্তাররা (RG Kar) জানিয়ে দেন, তাঁরা যে পাঁচ দফা নিয়ে আন্দোলন করছেন, সেই দাবি পূরণ করতে হবে রাজ্য সরকারকে। যদি আজ মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার (সুপ্রিম কোর্ট সেই ডেডলাইন দিয়েছে) মধ্যে রাজ্য সরকার তাঁদের (জুনিয়র ডাক্তারদের) দাবি মেনে নেয়, তবেই কর্মবিরতি (Swasthya Bhawan Rally) তোলার বিষয়টি বিবেচনা করে দেখা হবে। প্রসঙ্গত আগেই জুনিয়র ডাক্তাররা পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছিলেন। এর পাশাপাশি এ বার রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিকর্তা (ডিএইচএস) এবং স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা (ডিএমই)-র ইস্তফাও চাইলেন তাঁরা।

    জুনিয়র ডাক্তাররা প্রথম থেকে যে পাঁচ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন করছেন

    পাঁচ দফা দাবিগুলি হল— 

    ১) আরজি কর (RG Kar) মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়া ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত সমস্ত দোষীদের দ্রুত চিহ্নিত করতে হবে এবং অপরাধের উদ্দেশ্য সামনে এনে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। 

    ২) তথ্যপ্রমাণ লোপাটের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে যাঁরা জড়িত তাঁদের চিহ্নিত করতে হবে। 

    ৩) সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণে ‘ব্যর্থ প্রমাণিত’ কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েলকে ইস্তফা দিতে হবে। 

    ৪) রাজ্যের (RG Kar) সব মেডিক্যাল কলেজ, হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। 

    ৫) রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভয়মুক্ত ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ সুনিশ্চিত করতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share