Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Calcutta High Court: প্রধান শিক্ষক বাবার স্কুলে বেআইনিভাবে চাকরি ছেলের! সিআইডি তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: প্রধান শিক্ষক বাবার স্কুলে বেআইনিভাবে চাকরি ছেলের! সিআইডি তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একই স্কুলে চাকরি করেন বাবা-ছেলে! অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক বাবা, আর তাঁরই স্কুলে জালিয়াতি করে চাকরি পেয়েছেন ছেলে। শুধু তাই নয়, তিন বছর ধরে বেতনও পেয়েছেন। অথচ তাঁর নিয়োগপত্রও নেই, আর এই অবাক করা ঘটনা জানা নেই জেলা স্কুল পরিদর্শকের! এই ঘটনা সামনে আসতেই চক্ষু চড়কগাছ বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর। তাই এবারে এই মামলায় সিআইডি (CID) তদন্তের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এই মামলায় সিআইডি ডিআইজিকে তলব করে মামলার তদন্তের রিপোর্ট ২ সপ্তাহের মধ্যে জমা দিতে বলেছেন বিচারপতি। সেই সঙ্গে অভিযুক্ত ‘ভুয়ো’ শিক্ষকের স্কুলে প্রবেশ ও বেতন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ২ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি।

     মামলাটি ঠিক কী?

    মুর্শিদাবাদের গোথা এয়ার হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারি। অভিযোগ, তাঁরই স্কুলে চাকরি করেন তাঁর ছেলে অনিমেষ তিওয়ারি। এক আরটিআই থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমা রায় নামে এক চাকরিপ্রার্থী মামলা করেছেন হাইকোর্টে। মুর্শিদাবাদের ওই ‘ভুয়ো’ ভূগোল শিক্ষক অন্য এক প্রার্থী অরবিন্দ মাইতির নিয়োগপত্রের মেমো নম্বর নকল করেই চাকরিতে যোগ দিয়েছেন বলে অভিযোগ। এ বিষয়ে মামলাকারী সোমা রায়ের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন তাঁর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং ফিরদৌস শামিম। এর পরেই আদালত অনিমেষের বেতন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। এমনকী, ওই শিক্ষক স্কুলে ঢুকতে পারবেন না বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    বিচারপতির প্রশ্নের মুখে ডিআইরা

    এই নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ মামলায় স্কুল পরিদর্শকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি। তাঁর কথায়, “ডিআইয়ের (জেলা স্কুল পরিদর্শক) কাছে এই নিয়োগের তথ্য নেই। মানে ডিআই সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়। নিয়োগে দুর্নীতি মানা যাবে না। এর পর এমন তথ্য সামনে এলে রাজ্যের বিপক্ষে যাবে।” তিনি প্রশ্ন করেন, “আমি দেখে অবাক হচ্ছি যে, জেলা স্কুল পরিদর্শক এই নিয়োগ নিয়ে কিছু জানেন না। অথচ ওই শিক্ষক গত ৩ বছর ধরে বেতন পাচ্ছেন। কী করে এ বিষয়ে কেউ কিছু জানেন না!”

    আরও পড়ুন: ২০১৬-এর পর স্কুলের সমস্ত নিয়োগ খতিয়ে দেখতে হবে ডিআইদের! নির্দেশ বিচারপতি বসুর

    সিআইডি ডিআইজিকে তলব

    আজ সকাল সাড়ে দশটায় সিআইডি ডিআইজিকে তলব করেছিলেন তিনি। নির্দেশ মত হাজিরা দেন ডিআইজি-সিআইডি। এরপরই বিশেষ দল গঠনের নির্দেশ দেন বিচারপতি। আদালতের নির্দেশে বলা হয়েছে, স্কুল পরিদর্শক স্বতঃপ্রাণোদিত এফআইআর দায়ের করবে। এরপরই তাঁর নির্দেশ, ২০১৬ সালের পর থেকে যাঁরা নিয়োগ পেয়েছেন, সব জেলার স্কুল পরিদর্শকরা তাঁদের ডেটা তৈরি করবেন। ২ সপ্তাহের মধ্যে তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে হবে। ২ ফেব্রুয়ারি মামলাটি আবার শুনবে আদালত।

  • JP Nadda: ‘‘দিদি এত রাগ করো না, স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়’’, মমতাকে কটাক্ষ নাড্ডার

    JP Nadda: ‘‘দিদি এত রাগ করো না, স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়’’, মমতাকে কটাক্ষ নাড্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২২ তে ৫৭ শতাংশ মোবাইল ভারতে তৈরি হয়। অ্যাপল মোবাইলেও লেখা থাকে মেড ইন ইন্ডিয়া। ভারত আজ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ওষুধ রফতানি করছে। প্রতিরক্ষা দফতরে আগে প্রচুর দুর্নীতি হত। ডুবোজাহাজ কিনতে দুর্নীতি, হেলিকপ্টার কিনতে দুর্নীতি হত। এখন ভারত বিভিন্ন দেশে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি করছে। এটাই পরিবর্তিত ভারত। নদিয়ার বেথুয়াডহরির সভায় এভাবেই মোদি সরকারের জয়গান গাইলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। একই সঙ্গে আবাস থেকে শুরু করে কেন্দ্রের সমস্ত প্রকল্পে রাজ্য দুর্নীতি করছে বলে দাবি করেন তিনি। নাড্ডা বলেন, “কেন্দ্র কাজের জন্য টাকা পাঠাচ্ছে আর এখানে ঘোটালা হচ্ছে। গরু, বালি, কয়লা এমনকী শৌচাগার থেকেও টাকা খাচ্ছে তৃণমূল। ওরা সংবিধান পর্যন্ত মানেন না।” হুঁশিয়ারির শুরে বলেন, “সংবিধান না মানলে জনতা বিচার করবে।”

    দিদি রাগবেন না!

    নাড্ডার মতে, এখন সবকিছুতে দিদি রেগে যাচ্ছেন। বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, ‘‘আবাস নিয়ে তদন্ত হলে রেগে যান। আপনারা বলেন কাজ করতে দিচ্ছে না। মনরেগায় কৃষকদের টাকা খাওয়ার তদন্ত হলে তাতেও চিন্তায় পড়ে যান। এখানে সবথেকে বেশি মানব পাচার হয় কি না বলুন? সবথেকে বেশি মহিলাদের উপর অত্যাচার হয় কি না বলুন?’’ নাড্ডা বলেন, ‘‘একটা বৈঠকে দিদি আমার পাশে বসেছিলেন। আমি বললাম, দিদি এত রেগে যাবেন না। আপনি সংবিধান মেনে কাজ করুন, নিয়ম অনুযায়ী চলুন, দুর্নীতির সঙ্গ ছাড়ুন। আপনাকে ভগবান সুযোগ দিয়েছেন। আমি দিদিকে বলতে চাই, দিদি এত রাগ করো না। স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়।’’

    দুর্নীতির সরকার

    এদিনে সভায় রাজ্যের শাসক দলের দুর্নীতির কথা তোলেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি। নাড্ডা বলেন, ‘‘কেন্দ্র টাকা পাঠায়, এখানে দুর্নীতি হয়। আর তদন্ত হলেই মোদি সরকারের নামে বলতে থাকে। মোদি সরকার সততার সরকার, আপনার সরকার বেইমানের সরকার, এটা বুঝতে হবে।’’  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেন জগৎ প্রকাশ নাড্ডা। বেথুয়াডহরি সভা থেকে তিনি বলেন, ‘‘পয়সা পাঠাচ্ছেন মোদি আর তুমি এখানে দুর্নীতি করছ? আর যখনই তদন্ত হবে, বলবে সরকার শত্রুতা করছে। চুরিও করবে, গায়ের জোরও খাটাবে?’’

    আরও পড়ুুন: ড্রেস কোড না মেনে বোরখা পরে হিন্দু কলেজে! ঢুকতেই দিলেন না কর্তৃপক্ষ

    নাড্ডার মতে, এসবের থেকে রাজ্যবাসীর মুক্তির একটাই পথ। তা হল, তৃণমূলকে সরিয়ে বিজেপিকে আনা। তিনি বললেন, ‘‘এসব থেকে মুক্তির একটাই রাস্তা, তা হল বিজেপি। তা পঞ্চায়েত ভোট হোক বা লোকসভা ভোট। বলুন, লোকসভা ভোটে এখানে পদ্ম ফুটবে কি না?’’ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সুরে সুর মিলিয়ে নাড্ডা বলেন, ‘‘পদ্মে ছাপ দাও, চোর ধরেও দেব, জেলে ভরেও দেব। পদ্মে ভোট দিন, বাকিটা দেখে নেব।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Anubrata Mandal: নতুন বছরেও জেলে কেষ্ট! গরুপাচার মামলায় ফের জামিন খারিজ অনুব্রত, সায়গলের

    Anubrata Mandal: নতুন বছরেও জেলে কেষ্ট! গরুপাচার মামলায় ফের জামিন খারিজ অনুব্রত, সায়গলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনুব্রতকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিল আদালত। ওই দিনই গরুপাচারকাণ্ডে আবার শুনানি হবে। চোদ্দ দিন পর বৃহস্পতিবার আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে অনুব্রতকে পেশ করা হয়। এই মামলায় জামিনের জন্য কলকাতা হাই কোর্টে আগেই আবেদন করেছিলেন অনুব্রত। উচ্চ আদালত তৃণমূল নেতার জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। খারিজ হয়ে গিয়েছে অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের জামিনের আবেদনও। ভার্চুয়াল শুনানিতে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী সায়গলের আইনজীবীর আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। সেই সঙ্গে সিবিআইকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতিও দেওয়া হয়েছে।

    সিবিআইয়ের দাবি

    আদালতে সিবিআই দাবি করে, বীরভূম কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্কে ২৩১টি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট পাওয়া গিয়েছে। যার মধ্যে ২০০টি অ্যাকাউন্ট একজনের সই দিয়ে খোলা হয়েছিল বলে সিবিআইয়ের দাবি। এ ছাড়াও আদালতে বাফারিং অ্যাকাউন্টের কথাও তুলে ধরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। অর্থাৎ, এই ভুয়ো অ্যাকাউন্ট থেকে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে আর্থিক লেনদেনের হদিস পেয়েছে সিবিআই। আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, সম্প্রতি ১৭৭টি সমবায় ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট সিজ করা হয়। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি অ্য়াকাউন্টের টাকা আরও কয়েকটি অ্যাকাউন্টে ঘুরে জমা পড়েছে দুটি চালকল সংস্থার অ্যাকাউন্টে, যে ২টি চালকলের সঙ্গে অনুব্রতর যোগ রয়েছে। 

    আরও পড়ুুন: ড্রেস কোড না মেনে বোরখা পরে হিন্দু কলেজে! ঢুকতেই দিলেন না কর্তৃপক্ষ

    সায়গল প্রসঙ্গ

    বীরভূমের ডিসট্রিক্ট সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে যে সমস্ত ভুয়ো অ্যাকাউন্টের হদিস মিলেছে, সে বিষয়ে অনুব্রতের দেহরক্ষী সায়গলকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই। বৃহস্পতিবার আসানসোলের সিবিআই আদালতে সায়গলের মামলার ভার্চুয়াল শুনানি ছিল। সায়গল এখন তিহাড় জেলে। এদিন বিচারক সায়গলের জামিনের আবেদনও খারিজ করে দেন। তার পরেই সিবিআই জানায়, কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে পাওয়া ভুয়ো অ্যাকাউন্টগুলির সঙ্গে অনুব্রতের দেহরক্ষীর যোগ রয়েছে বলে মনে করছে তারা। সিবিআইয়ের অভিযোগ, সায়গলের প্রভাবেই ব্যাঙ্কে মোট ২৩১টি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল। এই সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্যের জন্য তিহাড় জেলে গিয়ে সায়গলকে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআইয়ের আবেদনে সাড়া দেন বিচারক। তিনি জানান, ভুয়ো অ্যাকাউন্ট নিয়ে সায়গলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যে কোনও সময়ে তিহাড়ে হাজির হতে পারবেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: রাজ্যপালকে ‘ম্যানেজ’ করতে মরিয়া মুখ্যমন্ত্রী! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: রাজ্যপালকে ‘ম্যানেজ’ করতে মরিয়া মুখ্যমন্ত্রী! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘রাজ্যপাল থাকাকালীন মাননীয় জগদীপ ধনখড় (Ex Governor Jagdeep Dhankar) আইন-সংবিধানকে ভঙ্গ করার জন্য রাজ্য সরকারকে (state government) চেপে ধরেছিলেন। তাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনৈতিক কাজে সমস্যা হয়েছিল’। তাই ‘এবার তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম দিন থেকে রাজ্যপালকে ম্যানেজের জন্য মরিয়া।’ এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য় করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari)। 

    রাজ্যপালের উপর আস্থা প্রকাশ

    বুধবার একটি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার পর রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘বর্তমান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস একজন শিক্ষাবিদ এবং পশ্চিমবঙ্গ সম্পর্কে তাঁর স্বচ্ছ ধারণা রয়েছে। তবে তাঁর কাজ এবং চলার পথ ভিন্ন হতে পারে, সে ব্যাপারে আমি কোনও মন্তব্য করতে চাই না। তবে মুখ্যমন্ত্রী যে ওনাকে প্রথম দিন থেকে ম্যানেজ করতে মরিয়া চেষ্টা করে যাচ্ছেন তা স্পষ্ট।” শুভেন্দুর দাবি, ‘‘কিছুদিন আগে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেদিনের বৈঠকে রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীকে জানান যে, সিকিউরিটি কমিশন নোটিফিকেশন, লোকায়ুকত বিল ও অন্যান্য বেশ কিছু বিষয়ে ছাড়পত্র দেওয়া যাবে না। রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীকে এও বলেন, আপনি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরানোর জন্য যে বিল আনতে চাইছেন, তাতেও আমি ছাড়পত্র দিতে পারব না। কারণ এক্ষেত্রে ইউজিসি এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করার প্রসঙ্গ জড়িয়ে রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালের কাছে আত্মসমর্পণ করে বলেন, আমি লোকায়ুত প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। আগের রাজ্যপালের সঙ্গে আমার বিরোধ ছিল, তাই আমি ওনাকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদ থেকে সরাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আপনার সঙ্গে আমার কোনও বিরোধ নেই, তাই আচার্য পদ পরিবর্তন বিল নিয়ে আমি আর আপনাকে কিছু বলব না।’’

    আরও পড়ুন: সাগরদিঘিতে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা কমিশনের, কবে?

    শুভেন্দু  প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা বর্তমানে দেশের উপ রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের প্রশংসাও করে বলেন, ‘‘উনি থাকাকালীন রাজভবনকে একটা উচ্চতর পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন।’’বর্তমান রাজ্যপালের প্রতি পূর্ণ আস্থা রেখে বিরোধী দলনেতা জানান, ‘‘রাজ্যপালের সঙ্গে যে সমস্ত উপাচার্যরা বৈঠক করেছেন তাঁদের মধ্যে অনেকেই যোগ্যতা অনুযায়ী উপাচার্য হননি। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে টাকা দিয়ে উপাচার্য পদে অনেকেই নিয়োগ পেয়েছেন। সমস্ত  উপাচার্যদের নিয়োগ বেআইনিভাবে হয়েছে। সুযোগ পেলে রাজ্যপালকে আমি একথা জানাব। ওনাকে তৃণমূল সম্পর্কে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করব। রাজ্যপালের উপর বিশ্বাস আছে যে, তিনি বেআইনি কাজে মুখ্যমন্ত্রীকে সঙ্গ দেবেন না, যদি সেটা হয়, তাহলে সংবিধানের রীতি মেনে যেখানে অভিযোগ জানানোর জানাব।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Mamata Banerjee: ইউটিউব দেখেই মেঘালয়ের তিনটে ভাষা শিখে নেবেন! কী বললেন মমতা?

    Mamata Banerjee: ইউটিউব দেখেই মেঘালয়ের তিনটে ভাষা শিখে নেবেন! কী বললেন মমতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেঘালয়ে একাধিকবার প্রচারে গেলেও এখনও শিখে উঠতে পারেননি খাসি, গারো, পাঁর– মেঘালয়ের এই তিন ভাষা। তাই এবার ইউটিউব দেখেই মেঘালয়ের ভাষা শিখতে শুরু করবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেঘালয়বাসীর কাছে আপাতত সেরকমই অঙ্গীকার করলেন মমতা।

    অন্য ভাষা শিখতে আগ্রহ

    অন্য রাজ্যে প্রচারে গেলে সেখানকার ভাষায় কথা বলটা জনসংযোগের একটা ধাপ। রাজনীতিকরা চেষ্টা করেন ভিন রাজ্যে প্রচারের সময় সেই রাজ্যের ভাষা বলার। পুরো না হলেও নিদেন পক্ষে দু-এক লাইন। মমতা বন্দ্যোপাধায়ের ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয় না। কিন্তু মেঘালয়ে সেই তাল কেটেছে। বুধবার মেঘালয়ের এক জনসভায় মমতা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি এই পাহাড়ি রাজ্যের ভাষা জানেন না। তাঁর কথায়, ‘পরের বার যখন আসব আপনাদের এলাকায় আপনাদের ভাষা শিখুতে চাই। আমায় শেখান প্লিজ! এর মধ্যে আমি ইউটিউব থেকে শিখতে আরম্ভ করব।’ আপতত ইউটিউব ভরসা হলেও তিনি মেঘালয়ের মানুষের কাছ তাঁদের ভাষা শিখতে পারলেই সবচেয়ে খুশি হবেন। তিনি বলেন, ‘আমি খুশি হব, আপনাদের কাছ থেকে আপনাদের ভাষা শিখলেই।’ 

    আরও পড়ুুন: নথি জাল করে বাবার স্কুলে চাকরি! ভূগোল শিক্ষকের কাণ্ডে সিআইডি ডাকল হাইকোর্ট

    অন্য ভাষা শেখার আগ্রহ মমতার বরাবরের। এমনই দাবি করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বছর কয়েক আগে বাংলায় বাণিজ্য সম্মেলনে সেই কথা নিজেই জানিয়েছিলেন। তিনি নিজে কতগুলি ভাষা জানেন, বিভিন্ন সভায় তার খতিয়ানও দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। যখন তিনি ভিয়েতনামে গিয়েছিলেন ভিয়েতনামি ভাষা শিখেছিলেন। রাশিয়ার গিয়ে রাশিয়ান ভাষা শিখেছেন। এছাড়া তাঁর জানা ভাষার তালিকায় রয়েছে, গুজরাটি, আসমিজ, মণিপুরী, ওড়িয়া, পঞ্জাবি, মারাঠি, বাংলা, হিন্দি, গোর্খা, নেপালি। এবার সেই তালিকায় ঢুকবে খাসি, গারো, পাঁর ভাষা।  বুধবারই নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছে, আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি মেঘালয়ে বিধানসভা ভোট। মঙ্গলবারই সে রাজ্যে ভোটপ্রচারে গিয়েছেন মমতা এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার মেঘালয়ের মেদিপাথরের জনসভায় মমতা  জানান মেঘালয় তাঁর মনে। তাই সেখানকার ভাষাও রপ্ত করতে চান তিনি।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Bye Election: সাগরদিঘিতে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা কমিশনের, কবে?

    Bye Election: সাগরদিঘিতে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা কমিশনের, কবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি সাগরদিঘিতে উপনির্বাচনের (Bye Election) দিন ঘোষণা করল নির্বাচন করমিশন। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সাগরদিঘি থেকে জিতেছিলেন তৃণমূলের সুব্রত সাহা। এই বিধায়ককে মন্ত্রীত্বও দেয় রাজ্যের শাসক দল। রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং উদ্যানপালন দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন সুব্রত বাবু। ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় রাজ্য সরকারের এই মন্ত্রীর। সুব্রত সাহার মৃত্যুর জেরেই উপনির্বাচন হবে সাগরদিঘি বিধানসভায়।

    সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রের টানা তিন বার জিতে বিধায়ক হয়েছিলেন (Bye Election) সুব্রত সাহা। ২০১১ সালে তিনি ছিলেন মুর্শিদাবাদ জেলার এক মাত্র তৃণমূল বিধায়ক। এর পর ২০১৬ এবং ২০২১ সালেও জিতেছিলেন। সাগরদিঘিতে সুব্রতের বিধানসভার নয়া শাসক বেছে নেওয়া হবে ২৭ ফেব্রুয়ারি। ২ মার্চ প্রকাশিত হবে সেই উপনির্বাচনের ফল। সাগরদিঘি-সহ দেশের মোট ৬টি বিধানসভা এবং একটি লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে ২৭ ফেব্রুয়ারি। এর মধ্যে রয়েছে লাক্ষাদ্বীপ লোকসভা কেন্দ্র, অরুণাচল প্রদেশের লুমলা বিধানসভা কেন্দ্র, ঝাড়খণ্ডের রামগড়, তামিলনাড়ুর ইরোদে পূর্ব, পশ্চিমবঙ্গের সাগরদিঘি, মহারাষ্ট্রের কেশব পীঠ ও চিচওয়াড়। 

    ৩১ জানুয়ারি সাগরদিঘি উপনির্বাচনের (Bye Election) নোটিফিকেশন প্রকাশ করার দিন ধার্য করেছে কমিশন। ৭ ফেব্রুয়ারি নমিনেশন জমা দেওয়ার শেষ দিন। ৮ ফেব্রুয়ারি নমিনেশনের স্ক্রুটিনি হবে। ১০ ফেব্রুয়ারি প্রার্থীপদ বাতিলের শেষ দিন। ২৭ ফেব্রুয়ারি উপনির্বাচন এবং ২ মার্চ নির্বাচনের ফলপ্রকাশিত হবে।

    আরও পড়ুন: কম্বল কাণ্ডের তদন্ত চলবে কিন্তু গ্রেফতার করা যাবেনা জিতেন্দ্র-জায়াকে, জানাল হাইকোর্ট

    তৃণমূলের প্রার্থী অভিজিৎ?  

    এদিকে সাগরদিঘি বিধানসভার উপনির্বাচনে (Bye Election) তৃণমূলের হয়ে লড়তে পারেন প্র‍য়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ছেলে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়৷ ১৬ জানুয়ারি সাগরদিঘির ধুমারপাহাড়ে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভামঞ্চে অভিজিতের উপস্থিতি তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছিল। বক্তব্য রাখতে উঠে মুখ্যমন্ত্রী অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের নাম নেন ৷ সেই সময় তিনি নিজের আসন ছেড়ে হাতজোড় করে উঠে দাঁড়ান। এরপরেই সাগরদিঘির প্রার্থী হিসেবে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের নাম নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
     

     

     

  • Mohan Bhagwat: নেতাজি জন্ম-জয়ন্তী পালন! কালই রাজ্যে আসছেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: নেতাজি জন্ম-জয়ন্তী পালন! কালই রাজ্যে আসছেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার কলকাতায় আসছেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। থাকবেন আগামী সোমবার পর্যন্ত। ছ’দিনের সফরের বেশিটা জুড়েই থাকবে সাংগঠনিক বৈঠক। তার মধ্যেই বৃহস্পতিবার পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশিষ্টদের সঙ্গে কলকাতায় দেখা করবেন ভাগবত। সবটাই একান্তে। রুদ্ধদ্বার। শেষ দিন শহিদ মিনারে প্রকাশ্য কর্মসূচি। এমনই হয়ে থাকে আরএসএস তথা ভাগবতের যে কোনও রাজ্য সফরের কর্মসূচিতে। অতীতে বাংলা তথা কলকাতাতেও হয়েছে। মঙ্গলবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে সঙ্ঘের তরফে ভাগবতের সফরসূচি ঘোষণা করা হয়।

    নেতাজি জয়ন্তী পালন

    মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে মূল বক্তা ছিলেন সঙ্ঘের সাংগঠনিক পূর্ব ক্ষেত্রের (পূর্ব ভারত) সঙ্ঘচালক (সভাপতি) অজয়কুমার নন্দী। ছিলেন দক্ষিণবঙ্গের প্রচার প্রমুখ বিপ্লব রায়, কলকাতার প্রচার প্রমুখ শুভ্রজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্যান্যরা।  রাজ্যের প্রচার প্রমুখ বিপ্লব বলেন, ‘‘সঙ্ঘ তো বরাবরই পরিবর্তনের পক্ষে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্যই প্রায় শতবর্ষ বয়স হতে চলা সঙ্ঘ এখনও সমান ভাবে প্রাসঙ্গিক এবং জীবন্ত। আমরা বিশ্বাস করি, আদর্শ অটুট রেখে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বহিরাঙ্গে বদল আনতে হয়।’’ আগামী বৃহস্পতিবার শহরের কোনও হোটেলে বিশিষ্টদের নিয়ে একান্তে কথা বলবেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত।  তবে সেখানে কে কে আসবেন তা এখনও প্রকাশ করেনি সঙ্ঘ। তবে অনুমান করা হচ্ছে কলকাতার বাসিন্দা তিন বিখ্যাত ধ্রুপদী শিল্পী অজয় চক্রবর্তী, রাশিদ খান এবং তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার আমন্ত্রণ পেতে পারেন। কারণ, গত কয়েক বছরে ‘সম্পর্ক তৈরি করতে’ এঁদের বাড়িতে গিয়েছিলেন ভাগবত।

    আরও পড়ুন: চলতি বছরের অক্টোবরেই সম্পন্ন হবে রাম মন্দিরের প্রথম তলার নির্মাণ!

    এ বার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিনে কলকাতায় থাকছেন ভাগবত। সেই কারণে ২৩ জানুয়ারি শহিদ মিনারে সঙ্ঘ ‘নেতাজি লহ প্রণাম’ অনুষ্ঠান করবে। থাকবেন ভাগবত। এই কর্মসূচি প্রসঙ্গে অজয়কুমার বলেন, ‘‘নেতাজি জয়ন্তী পালন সঙ্ঘের কাছে নতুন কিছু নয়। স্বয়ংসেবকদের দৈনিক প্রাতঃস্মরণ মন্ত্রেই নেতাজি রয়েছেন। সঙ্ঘস্থান মানে শাখায় জন্মদিন অনুষ্ঠানও হয়।’’ ওই অনুষ্ঠানে মোহন ভাগবতের থাকা প্রসঙ্গে অজয়কুমার জানান, ‘‘এটা ঘটনাচক্র। এক বছর আগে থেকেই সরসঙ্ঘচালক কবে, কোন রাজ্যে যাবেন সেটা ঠিক হয়ে থাকে। এটাই আমাদের ধারা। এমন একটা দিনে তাঁকে কলকাতায় পাওয়া যাচ্ছে দেখেই ওই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Calcutta High Court: ২০১৬-এর পর স্কুলের সমস্ত নিয়োগ খতিয়ে দেখতে হবে ডিআইদের! নির্দেশ বিচারপতি বসুর

    Calcutta High Court: ২০১৬-এর পর স্কুলের সমস্ত নিয়োগ খতিয়ে দেখতে হবে ডিআইদের! নির্দেশ বিচারপতি বসুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভুয়ো শিক্ষক নিয়োগ মামলা নিয়ে আরও কড়া পদক্ষেপ নিল কলকাতা হাইকোর্ট। ২০১৬ সালের পরে রাজ্যের সমস্ত জেলায় যত সরকারি স্কুল আছে, তাতে যতজন নিয়োগ হয়েছেন, তাদের সকলের নিয়োগ পদ্ধতি সংশ্লিষ্ট জেলার ডিআই-কে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। বিচারপতির এই নির্দেশে রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে শিক্ষামহলে। মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক বাবার স্কুলে জালিয়াতি করে চাকরি করছেন ছেলে। এই মামলার শুনানিতেই আজ এমন নির্দেশ দিলেন বিচারপতি বসু। শুধু তাই নয়, রাজ্যের মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে গত ছ’বছরে যত শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে, তাদের হিসাব রাজ্যের কাছে চাইলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। পাশাপাশি বিচারপতি জানিয়ে দিয়েছেন, ওই হিসাব বা রিপোর্ট আগামী ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আদালতে জমা দিতে হবে।

    মুর্শিদাবাদের ভুয়ো শিক্ষক মামলায় প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি

    বৃহস্পতিবার একটি মামলার শুনানি চলাকালীন এই নির্দেশ দেন বিচারপতি। মুর্শিদাবাদের গোথা এয়ার হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস তিওয়ারির পুত্র অনিমেষের বিরুদ্ধে এক পাস করা শিক্ষকের নিয়োগপত্র জাল করে প্রধান শিক্ষক বাবার স্কুলে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। গত তিন বছর ধরে তিনি বেতনও পেয়েছেন। অথচ জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে তাঁর নিয়োগের কোনও নথিই ছিল না! ঘটনাটি জানার পরেই বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “একজন ভুয়ো শিক্ষক তিন বছর ধরে চাকরি করছেন, আর সেই জেলার ডিআই তা জানেন না? কীভাবে সম্ভব?” নিয়োগপত্রে নাম না থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে ওই ‘শিক্ষক’ এতদিন বেতন পেলেন?  এরপরই গোটা ঘটনার তদন্তভার সিআইডিকে দিয়েছেন বিচারপতি বসু। বিচারপতি আরও বলেন, “তবে তো এমন অনেক জালিয়াতিই হয়ে থাকতে পারে, যার এখনও খবরই নেই রাজ্যের কাছে!” তার পরেই এমন নির্দেশ দিলেন ডিআইয়ের।

    আরও পড়ুন: খারিজ জামিন-সওয়াল, ফের ১৪ দিন জেল হেফাজতে পার্থ, সুবীরেশ সহ ৭

    ২০১৬-এর পর স্কুলের সমস্ত নিয়োগ খতিয়ে দেখতে হবে ডিআইদের

    গত ছ’বছরে অর্থাৎ ২০১৬ সালের পর থেকে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক স্তরে স্কুলে নিয়োগের একটিই পরীক্ষা হয়েছে। তবে বেশ কয়েক দফায় নিয়োগ হয়েছে প্রায় সাড়ে ২৩ হাজার শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীর। এদের মধ্যে নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষকের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি— ১১,৪২৫ জন। এ ছাড়াও একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির সাড়ে ৫ হাজার শিক্ষক, ৪৪৮৭ জন গ্রুপ-ডি কর্মী এবং ২,০৩৭ জন গ্রুপ-সি কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। বিচারপতি বসুর নির্দেশে এ বার এই সমস্ত চাকরিই নিয়োগপত্র পেয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখবেন জেলা স্কুল পরিদর্শক বা ডিআইরা।

  • Mithun Chakraborty: ‘‘নাম তুফান, যখন আসি তখন প্রলয় ঘটে’’, নিজস্ব স্টাইলে বাসন্তী মাতালেন মিঠুন

    Mithun Chakraborty: ‘‘নাম তুফান, যখন আসি তখন প্রলয় ঘটে’’, নিজস্ব স্টাইলে বাসন্তী মাতালেন মিঠুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি লিডার নন, সাধারণের মতই ক্যাডার। এমনটাই বলতে শোনা গেল ‘মহাগুরু’কে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে ব্যস্ত বঙ্গ বিজেপি। বিজেপির এই ভোট প্রচারের অন্যতম প্রধান সৈনিক হিসেবে দেখা যাচ্ছে মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তীকে (Mithun Chakraborty)। জেলায় জেলায় জনসংযোগে মেতেছেন তিনি। ফলে গতকাল, বুধবার বাসন্তীতে দেখা গেল অভিনেতাকে। আর সেখানে গিয়ে বক্তৃতা নয়, ডায়লগেই জনগণের মন জয় করলেন মহাগুরু। তিনি বলেন, “আমি লিডার নই, আপনাদের মতোই ক্যাডার। আমাকে বক্তৃতা দিতে বললে পারব না। আমি বক্তৃতা দিই না।” এর পাশাপাশি তিনি আজ এক বিস্ফোরক দাবি করলেন। তিনি জানালেন, তাঁর সঙ্গে ২১ জনের বেশি তৃণমূল নেতা ক্রমাগত যোগাযোগ রাখছেন। আর এর পরেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা।

    ভোট প্রচারে ডায়লগেই বাজিমাত ‘মহাগুরু’-র

    রাজ্যে সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তবে এখনও এর নির্ঘণ্ট ঘোষণা করা হয়নি। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলি এর প্রস্তুতি জোরকদমে শুরু করেছে। আবার লোকসভা নির্বাচনেরও দেরী আছে, তার আগেই পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ভোট প্রচারে ব্যস্ত বিজেপি (BJP)। ফলে কাল তিনি পৌঁছে যায় বাসন্তীতে। প্রথমে রোড শো করেন ও পরে সভাতেও অংশ নেন। বাসন্তীর সোনাখালির সভায় হাজির ছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালও।

    তার পর এক দলীয় কর্মীর বাড়িতেই মধ্যাহ্নভোজ সারেন। এর পর তিনি সমাবেশে বলতে উঠে প্রথমেই জানিয়ে দেন, “আমি লিডার নই, আপনাদের মতোই ক্যাডার। আমাকে বক্তৃতা দিতে বললে পারব না। আমি বক্তৃতা দিই না।” কিন্তু সেখানে উপস্থিত মানুষজন মিঠুনের ডায়লগ শুনতে চান। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন “আমি একটি ডায়লগই বলব।” বক্তৃতার শেষে তিনি একথা বলেই বলেন, “নাম তুফান। বছরে এক আধবার আসি। যখন আসি তখন প্রলয় ঘটে। আর যখন যাই তখন সবাই তার অস্তিত্ব খুঁজে বেরায়।” এর পর জনতার হাততালিতে মুখরিত হয় জনসভা।

    আরও পড়ুন: মিড-ডে মিলের টাকায় জেলা সফর মুখ্যমন্ত্রীর! কীভাবে? নথি প্রকাশ শুভেন্দুর

    আবার তিনি সিএএ-এর প্রসঙ্গ এনেও বলেন, “আপনার কাছে আসল আধারকার্ড, আসল ভোটার পরিচয়পত্র থাকলে নাকে তেল দিয়ে ঘুমোন। কেউ আপানাকে এ দেশ থেকে বের করতে পারবে না।” মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের কাছেও ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান অভিনেতা। তিনি বলেন, “গুজরাট নির্বাচনে মুসলমান ভাইবোনরা ভোট না দিলে এত ভোটে জিতে আসত পারত। উত্তরপ্রদেশেও মুসলমানরা ভোট না দিলে এত আসন পাওয়া যেত।”

    মিঠুনের বিস্ফোরক দাবি

    তৃণমূলের ২১ জন বিধায়কই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। এই দাবি আজকে নয়, বহুদিন আগে থেকেই এই দাবি করে আসছেন মিঠুন চক্রবর্তী। এদিন আবারও একসুর শোনা গেল মিঠুনের গলায়। সুকান্ত মজুমদার আবার একবার দাবি করেছিলেন, “মিঠুনদার সঙ্গে ২১ জন যোগাযোগ রাখলে আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে ৪১ জন যোগাযোগ রাখছেন।” মিঠুন চক্রবর্তী আরও বলেন, “তৃণমূলে অনেকে রয়েছেন, যাঁরা সবাই সমান নন, দমবন্ধ অবস্থা রয়েছেন। আমাদের সঙ্গে অনেকেই যোগাযোগ রাখছেন। তার মধ্যে ২১ জন আমরা সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখছেন। আমি প্রোটোকল ছাড়া কাজ করি না। যা বলার বলে দিয়েছি। যে কোনও সময়ে, যা কিছু হতে পারে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Recruitment Scam: নথি জাল করে বাবার স্কুলে চাকরি! ভূগোল শিক্ষকের কাণ্ডে সিআইডি ডাকল হাইকোর্ট

    Recruitment Scam: নথি জাল করে বাবার স্কুলে চাকরি! ভূগোল শিক্ষকের কাণ্ডে সিআইডি ডাকল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাবা একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক। পাশ করা এক শিক্ষকের সুপারিশপত্র জাল (Recruitment Scam) করে সেই স্কুলেই চাকরি করছিলেন ছেলে। এক আধ বছর নয়, টানা তিন বছর। শেষমেশ ফাঁস হল কেলেঙ্কারির পর্দা। বুধবার অনিমেষ তিওয়ারি নামের ওই শিক্ষকের স্কুলে ঢোকা ও বেতন বন্ধের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর বেঞ্চে শুনানি ছিল মামলাটির। এই মামলার পরবর্তী শুনানিতে সিআইডির ডিআইজিকে উপস্থিত থাকার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।

    কেলেঙ্কারি…

    বছর তিনেক আগে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সুতির এক নম্বর ব্লকের গোথা এয়ার স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি পান ওই স্কুলেরই প্রধান শিক্ষকের ছেলে অনিমেষ। এতে সন্দেহ হয়ে অনেকেরই। দায়ের হয় মামলা। তথ্য জানার অধিকার আইনেও অনিমেষের নিয়োগ নিয়ে তথ্য জানতে চান অনেকে। তার পরেই জানা যায়, অনিমেষ ওই স্কুলে দীর্ঘ দিন ধরে চাকরি করলেও, জেলার স্কুল পরিদর্শকের কাছে তাঁর নামে কোনও নিয়োগপত্রই নেই। ভূগোলের শিক্ষক অনিমেষ ভূগোল বিষয়ে পরীক্ষাই দেননি (Recruitment Scam) বলে অভিযোগ। এদিন আদালতে মধ্য শিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, মেধা তালিকায় নাম ছিল না অনিমেষের, কোনও সুপারিশও হয়নি তাঁর নামে। আসলে আতাউর রহমানের নামে সুপারিশ করা হয়েছিল বলে দাবি পর্ষদের। শুধু তাই নয়, অরবিন্দ মাইতি নামে অন্য এক চাকরি প্রার্থীর নিয়োগপত্র জাল করে অনিমেষ চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ।

    আরও পড়ুুন: পাখির চোখ পঞ্চায়েত নির্বাচন, বেকায়দায় পড়া তৃণমূলকে জব্দ করতে আসরে মিঠুন

    জানা গিয়েছে, প্রত্যেক নিয়োগপত্রের একটি মেমো নম্বর থাকে। অনিমেষের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সেই মেমো নম্বর এক রেখে নিজের নাম বদলে দেন নিয়োগপত্রে (Recruitment Scam)। সেই নকল মেমো নম্বরের নিয়োগপত্রেই ভূগোল শিক্ষক হিসেবে চাকরি পান গোথা এলাকায় স্কুলে। আরটিআইয়ের মাধ্যমে স্কুলের কাছে অনিমেষের ব্যাপারে তথ্য চাওয়া হলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানিয়ে দেন, অনিমেষ কর্মশিক্ষার শিক্ষক। অভিযোগ শুনে বিচারপতি বসু বলেন, দেখে অবাক হচ্ছি। এমন আর কত হয়েছে? হেড মাস্টার জানেন না, যাঁকে নিয়োগ করা হয়েছে, তিনি তথ্য বিকৃত করছেন কি না? তাহলে ছাত্রদের ভবিষ্যৎ কী?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share