Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Saradha Scam: সারদা মামলায় বাজেয়াপ্ত প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক, ইস্টবেঙ্গল কর্তা, নলিনী চিদম্বরমের সম্পত্তি

    Saradha Scam: সারদা মামলায় বাজেয়াপ্ত প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক, ইস্টবেঙ্গল কর্তা, নলিনী চিদম্বরমের সম্পত্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খবরের শিরোনামে ফের উঠে এল সারদা মামলা। আজ, শুক্রবার সারদা মামলায় সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক দেবেন বিশ্বাস, ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার, পি চিদম্বরমের স্ত্রী নলিনী-সহ একাধিক ‘সুবিধাভোগী’র সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডি সূত্রে খবর, বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তির মোট অর্থমূল্য ৬ কোটি টাকারও বেশি। এনারা সকলেই সারদা সংস্থার জালিয়াতিতে লাভবান হয়েছিলেন।

    ইডির তরফে কী জানানো হল?

    এদিন ইডি জানিয়েছে, তহবিল তছরুপ প্রতিরোধ আইন বা পিএমএলএ-র অধীনে, সব মিলিয়ে ৬ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩.৩০ কোটি টাকার অস্থাবর সম্পত্তি এবং ৩ কোটি টাকার স্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই সকল সম্পত্তি সারদা গোষ্ঠী এবং তাদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সুবিধা লাভ করেছেন এরকম ব্যক্তিদের মালিকানাধীন ছিল।

    সুবিধাভোগীদের মধ্যে অন্যতম হলেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের স্ত্রী নলিনী চিদম্বরম। নলিনী চিদম্বরম ছাড়াও আরও যে সকল বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে আছেন – ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাবের কর্তা দেবব্রত সরকার, প্রাক্তন আইপিএস অফিসার তথা সিপিআইএম-এর প্রাক্তন বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, অনুভূতি প্রিন্টার্স অ্যান্ড পাবলিকেশনের মালিক, অসমের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রয়াত অঞ্জন দত্ত প্রমুখ। সব মিলিয়ে এই মামলায় এখনও পর্যন্ত মোট ৬০০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করল ইডি।

    আরও পড়ুন: মেঘালয় বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ বিজেপির

    ইডি বিবৃতিতে জানিয়েছে, সারদা গোষ্ঠীর আওতাধীন বিভিন্ন সংস্থা, বিরাট মুনাফার লোভ দেখিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্রায় ২,৪৫৯ কোটি টাকা তুলেছিল। এর মধ্যে প্রায় ১,৯৮৩ কোটি টাকা এখনও পর্যন্ত ফেরত পাননি আমানতকারীরা। শুধু কিছু সুদের অর্থ ফেরত দেওয়া হয়েছে।

    উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের এপ্রিলে এই চিটফান্ড কেলেঙ্কারি ধরা পড়েছিল। এই কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস সংসদ কুণাল ঘোষ, শ্রীঞ্জয় বসু, পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন পুলিশ কর্তা রজত মজুমদার, ইস্টবেঙ্গল ফুটবল ক্লাবের কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার, তৎকালীন ক্রীড়া এবং পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্র-সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Kuntal Ghosh: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত কুন্তল ঘোষের

    Kuntal Ghosh: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত কুন্তল ঘোষের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন পেলেন না হুগলির যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। আগামী ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল ব্যাঙ্কশাল আদালত। আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি ফের আদালতে পেশ করা হবে তাঁকে। জেল হেফাজতে থাকাকালীন জেলে গিয়ে তাঁকে জেরা করতে পারবেন ইডি আধিকারিকরা। তদন্তকারীদের আর্জিতে সায় দিয়ে এমনই জানাল আদালত।

    জামিনের আবেদন কুন্তলের আইনজীবীর

    কুন্তলের আইনজীবী আদালতে জানান, কুন্তলের বাড়ি থেকে কোনও টাকা মেলেনি। সরকারি নথি ও রেকর্ড পাওয়া গিয়েছে, কিন্তু নগদ টাকা ছাড়া পিএমএল অ্যাক্ট দেওয়া যায় না বলে জানিয়েছেন কুন্তলের আইনজীবী। এরপর আইনজীবী তাঁর মক্কেল অর্থাৎ কুন্তল ঘোষের জামিনের আবেদন জানান।

    কুন্তলের ২টি অ্যাকাউন্টে সাড়ে ৬ কোটি টাকার হদিশ!

    কুন্তলের আইনজীবীকে পাল্টা জবাব দেন ইডির আইনজীবী। ইডির আইনজীবীর তরফে বলা হয়, কুন্তলের দু’টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সাড়ে ছয় কোটি টাকার হদিশ পাওয়া গিয়েছে। সেই টাকার উৎস জানতে চায় ইডি। ৩০ কোটি টাকা যেটা তিনি রিসিভ করেছেন সেটারও প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। যদিও অভিযুক্ত তা অস্বীকার করেছেন। ফলে আইনজীবীর প্রশ্ন, ‘কুন্তলের আয় কি? কোথা থেকে এল এত তাকা?’ দু’টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সাড়ে ছয় কোটি টাকা তোলার হদিশ পাওয়া গিয়েছে। যা তুলে অন্যত্র পাঠানো হয়ে গিয়েছে। বেআইনিভাবে ওই টাকার লেনদেন হয়েছে বলে জানিয়েছে ইডি। এই বিপুল পরিমাণের টাকা ব্যাঙ্ক থেকে তোলার পর তিনি কাদের কাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন, এখন সেটাই জানার জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন ইডি আধিকারিকরা।

    ইডির আরও দাবি, ১৩০ জন প্রার্থীর থেকে ৮ লক্ষ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। পার্থর বাড়ি থেকে যে ৫০ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে তার মধ্যে কুন্তলের দেওয়া টাকাও আছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কুন্তলের যোগাযোগ বর্তমান ছিল বলে দাবি ইডির। ১২০০ প্রার্থীর কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা করে নেওয়া হয়েছে। আদালত থেকে চাকরির অর্ডার করিয়ে দেবে বলে টাকা নেওয়া হয়। কুন্তল এবং তার সহযোগীদের মাধ্যমে পার্থ চট্টাপাধ্যায় ও অন্যান্য প্রভাবশালীদের কাছে টাকা গিয়েছে। বাকি নামগুলি তদন্তের স্বার্থে বলা হচ্ছে না। ফলে আজ দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর কুন্তলের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।

    নিয়োগ দুর্নীতির টাকা টলিউডে ব্যবহার করা হয়েছে!

    নিয়োগ দুর্নীতির টাকা টলিউডেও? টালিগঞ্জে টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন কুন্তল, আদালতে বিস্ফোরক দাবি করল ইডি। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে এমনই তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা৷ জানা গিয়েছে, পার্টনারশিপের মাধ্যমে টলিউডে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন কুন্তল ঘোষ। ইডির দাবি, একটি বিশেষ মিউজিক ও কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন কুন্তল ও তাঁর তৎকালীন পার্টনার। নিয়োগ দুর্নীতিতে কুন্তলের নাম উঠে আসার পর একের পর এক তথ্য উঠে আসছে, ভবিষ্যতে আর কী কী চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে আসবে, সেটাই এখন দেখার।

     

  • Anubrata Mondal: কেষ্ট কাণ্ডে নয়া মোড়! ১১৫ টি বাফার অ্যাকাউন্টের হদিশ, বিস্ফোরক দাবি সিবিআইয়ের

    Anubrata Mondal: কেষ্ট কাণ্ডে নয়া মোড়! ১১৫ টি বাফার অ্যাকাউন্টের হদিশ, বিস্ফোরক দাবি সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার কাণ্ডে এল নয়া মোড়। কেষ্টর বিরুদ্ধে আরও এক বিস্ফোরক তথ্য আদালতে জানিয়েছে সিবিআই। গরুপাচারের টাকা লেনদেনের জন্য আরও ১১৫টি বাফার অ্যাকাউন্টের হদিশ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। আরও অবাক করা বিষয়, এই অ্যাকাউন্টগুলি করোনা কালে মাত্র ২ দিনে খোলা হয়েছিল। আরও জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের জন্য পঞ্চায়েতে যে নথি জমা করেছিলেন উপভোক্তারা, সেই নথি দিয়েই এই অ্যাকাউন্টগুলি খোলা হয়েছিল। লক্ষ-লক্ষ টাকা এই অ্যাকাউন্টগুলিতে ঢুকেছে। ইতিমধ্যেই এই অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত সমস্ত নথি সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে আসানসোল সিবিআই আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। ফের এমন বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য দিল সিবিআই

    এদিন আসানসোল আদালতে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ জানায় সিবিআই। আদালতে কেন্দ্রীয় সংস্থা দাবি করেছে আরও ১১৫টি ভুয়ো অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। এই সব অ্যাকাউন্টের তথ্য জমা দেওয়া হয়েছে আদালতে। সিবিআই আদালতকে জানিয়েছে, ওই ভুয়ো অ্যাকাউন্টগুলি থেকে চারটি নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে নিয়মিত টাকা পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আদালতকে জানিয়েছে, করোনা অতিমারির সময় দু’দিনের মধ্যে এই ১১৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল।

    সিবিআই আদালতে আরও দাবি করেছে, গরু পাচারের টাকাই এই অ্যাকাউন্টগুলিতে রাখা হয়েছিল। তদন্তকারী সংস্থা আদালতকে জানিয়েছে, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তৈরির জন্য পঞ্চায়েত অফিসে জমা হওয়া নথি থেকে এই ভুয়ো অ্যাকাউন্টগুলি খোলা হয়েছে। সিবিআই দাবি করেছে, এখনও পর্যন্ত ১৬ জন অ্যাকাউন্ট হোল্ডারকে চিহ্নিত করা গিয়েছে, তাঁদের প্রত্যেকেরই দাবি অ্যাকাউন্টগুলি তাঁদের খোলা নয় এবং টাকাও তাঁদের নয়। তাঁরা কেবল ছাপ দিয়েছেন।

    রাজীব চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    গরু পাচার কাণ্ডে উঠে এসেছে রাজীব চট্টোপাধ্যায়র নাম। সিবিআই জানিয়েছে, এই অ্যাকাউন্টগুলি থেকে অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ রাজীব ভট্টাচার্যের অ্যাকাউন্টে ৬৬ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছে। তদন্তকারীরা আদালতে জানিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের স্ত্রীর চিকিৎসায় টাকা দিয়েছিলেন যে রাজীব চট্টোপাধ্যায় তাঁর অ্যাকাউন্টেও গিয়েছে গরু পাচারের টাকা। এই সব সমবায় ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকেই ঘুর পথে গরু পাচারের টাকা ঢুকেছে কেষ্টর অ্যাকাউন্টে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন তদন্তকারীরা।

    অন্যদিকে এই অ্যাকাউন্টগুলি যে প্রভাব খাটিয়ে তৈরি করা হয়েছে সেকথা স্বীকারও করে নিয়েছেন ব্যাঙ্কের ম্যানেজার। উল্লেখ্য, এর আগে অনুব্রত মণ্ডলের গরু পাচার কাণ্ডে ১৭৪ টি এবং ৫৪টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছিল।

    ফের ১৪ দিনের জেল কেষ্টর

    এদিন গরু পাচার মামলায় বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। শুক্রবার অনুব্রতকে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করা হয়। সওয়াল জবাব শেষে আদালত কেষ্টর ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। অর্থাৎ আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি অবধি অনুব্রতকে আসানসোল কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বন্দি হয়ে থাকতে হবে। এদিন আদালতে অনুব্রতের জামিনের আবেদন করেননি তাঁর আইনজীবীরা। ১৭ ফেব্রুয়ারি কেষ্টকে আবার আদালতে পেশ করা হবে।

  • Kolkata Weather: শেষবেলায় শীতের ঝড়ো ব্যাটিং! আগামী কয়েকদিন পারদ পতনের সম্ভাবনা

    Kolkata Weather: শেষবেলায় শীতের ঝড়ো ব্যাটিং! আগামী কয়েকদিন পারদ পতনের সম্ভাবনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ লগ্নে শীতের ঝড়ো ইনিংস। গত বুধবার রাত থেকেই তাপমাত্রার পারদ পতন ঘটছে। বৃহস্পতিবার বইছিল হিমেল হাওয়াও। শুক্রবারও তার ব্যতিক্রম হল না।  আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, শুক্রবার কলকাতা শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে দুই ডিগ্রি কম। বৃহস্পতিবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, আগামী এক সপ্তাহ পর্যন্ত দিনের ও রাতের তাপমাত্রার মধ্যে ফারাক কমবে। ফলে শহরের তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে আসতে পারে। ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শহরের তাপমাত্রা নিম্নগামীই থাকবে।

    চলছে পারদের ওঠা-নামা

    তাপমাত্রার হেরফেরে  জ্বর, সর্দি, কাশির মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। শিশুরা তো বটেই, জ্বর-কাশি থেকে রেহাই পাচ্ছেন না বয়স্করাও। আবহাওয়ার এই রকমফের দেখে রোগ-জ্বর বালাই সম্পর্কে সতর্ক থাকতে বলছেন চিকিৎসকরা। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে এই সময় বাড়তি সতর্কতা ও যত্ন প্রয়োজন বলে পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিত্‍সকরা। এই পরিস্থিতিতে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আপাতত কোনও কোনও জেলায় শীতের আমেজ সামান্য কমবে। তবে আগামী সপ্তাহে আরও একটু নিচে নামতে পারে পারদ। ৭, ৮ এবং ৯ ফেব্রুয়ারি পারদ ঊর্ধ্বগামী হবে। ১০, ১১ ফের তা ফের নিম্নগামী হবে। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে এই মরসুমে আর তাপমাত্রা পতনের কোনও সম্ভাবনা নেই। 

    আরও পড়ুন: হাইকোর্টে স্বস্তি শুভেন্দুর! রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের শোকজ নোটিসের উপর স্থগিতাদেশ

    আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রার এমন ওঠানামা চলতে থাকবে। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ২-৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমতে পারে। পার্বত্য ও সমতল, তরাই, ডুয়ার্সেও রবিবার পর্যন্ত দুই থেকে তিন ডিগ্রি পারাপতনের পূর্বাভাস। সমতলের জেলা অর্থাৎ মালদা, জলপাইগুড়ি এবং দুই দিনাজপুরে সকালে হালকা কুয়াশা থাকবে। বেলা বাড়লে পরিষ্কার হবে আকাশ।  আপাতত রাজ্যে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: ‘রাষ্ট্রবাদী সংখ্যালঘু মুসলিমদের সঙ্গে বিজেপির কোনও বিরোধ নেই’, সাফ জানালেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘রাষ্ট্রবাদী সংখ্যালঘু মুসলিমদের সঙ্গে বিজেপির কোনও বিরোধ নেই’, সাফ জানালেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রবাদী সংখ্যালঘু মুসলিমদের সঙ্গে বিজেপির (BJP) কোনও বিরোধ নেই। সাফ জানিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আইএসএফ (ISF) বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির গ্রেফতারি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নওশাদ ভাইয়ের দম আছে। অর্জুন সিংয়ের দলবদল প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু বলেন, অর্জুন সিংকে আনুগত্য বদল করতে বলা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, ঠিক করো জেলে থাকবে নাকি বাইরে থাকবে। যাদের দম নেই, তারা সারেন্ডার করেছে। এর পরেই তিনি বলেন, নওশাদ ভাইয়ের দম আছে, তাই সারেন্ডার করেনি। একজন জন-প্রতিনিধির সঙ্গে যে ধরনের আচরণ করা হচ্ছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

    শুভেন্দু বলেন…

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, যাঁরা বিধায়ক, সাংসদ, তাঁরা মানুষের ভোটে জেতা প্রতিনিধি। তাঁদের সঙ্গে সাধারণ চোর-ডাকাতদের মতো করে আচরণ করা উচিত নয়। বিধানসভার অধিবেশন চলাকালীন নিজেরা না বলে তাঁরা যে নওশাদকে সুযোগ করে দেন, এদিন সেকথাও স্মরণ করিয়ে দেন শুভেন্দু। বলেন, বিধানসভায় বিরোধী শিবিরে একমাত্র অ-বিজেপি বিধায়ক উনি। আমরা পাঁচ মিনিট নিজেরা না বলে আইএসএফের একমাত্র বিধায়ককে দিয়ে দিই। শুভেন্দু বলেন, নওশাদের দল আইএসএফের সঙ্গে বিজেপির এজেন্ডা এক নয়, অনেক বিষয়ে ভিন্ন মত রয়েছে। কিন্তু বহুদলীয় গণতন্ত্রে সব রাজনৈতিক দলেরই মিটিং মিছিল করার অধিকার রয়েছে।

    আরও পড়ুুন: ‘১০ লাখ চাকরির কথা বলা হয়েছিল, এবার কী হবে?’, আদানিকাণ্ডে রাজ্যকে প্রশ্ন শুভেন্দুর

    এদিন বিজেপির তারকা নেতা মিঠুন চক্রবর্তীও বলেন, বিজেপি কবে সংখ্যালঘু বিরোধী ছিল? একটা ন্যারেটিভ তৈরি করা হয়েছিল। বিজেপি মানেই সংখ্যালঘু বিরোধী, এ রকম ইমেজ তৈরি করা হয়েছিল। এটা বলে মার্কেটে ছাড়া হয়েছিল। এই সমস্ত ভুল কথা। মিঠুন বলেন, বিজেপি মুসলিমদের বিরোধী নয়। আমরা এখন পর্যন্ত হিন্দুস্তানি মুসলিমদের জন্য চিন্তিত। পশ্চিমবঙ্গের মুসলমান ভাইবোনেরা ভাল থাকুক, আমরা এটা চাই।

    প্রসঙ্গত, প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে গত ২১ জানুয়ারি ধর্মতলায় আইএসএফের কর্মসূচিকে ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠেছিল কলকাতা। রাস্তা অবরোধকে কেন্দ্র করে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন আইএসএফ নেতা-কর্মীরা। পরে পুলিশকে লক্ষ্য করে করে পাথর ছোড়া হয়। এর পরেই গ্রেফতার করা হয় নওশাদকে। আদালতে পেশ করা হলে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তারপর ফের আদালতে পেশ করা হলে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নওশাদকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Tripura: ত্রিপুরা জয়ের অভিযানে বঙ্গ বিজেপি, তারকা প্রচারকের তালিকায় শুভেন্দু-দিলীপ-মিঠুন

    Tripura: ত্রিপুরা জয়ের অভিযানে বঙ্গ বিজেপি, তারকা প্রচারকের তালিকায় শুভেন্দু-দিলীপ-মিঠুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন। আর তার জন্যেই জোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক দলের। ত্রিপুরায় ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে এবারে ময়দানে নেমেছে বাংলার বিজেপি নেতারাও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি প্রচারে ঝড় তুলতে বাংলার স্টার প্রচারকদের তালিকাও প্রকাশ করেছে গেরুয়া শিবির। তালিকায় শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, মিঠুন চক্রবর্তী ও লকেট চট্টোপাধ্যায় রয়েছেন। আবার এরই মধ্যে রাজ্যের শাসকদলও ২৮ আসনে প্রার্থী দিয়েছে ত্রিপুরায়। তবে মোট ৩৭ জন তারকা প্রচারকের তালিকা প্রকাশ করেছে তৃণমূল। প্রার্থী সংখ্যার থেকে প্রচারকের সংখ্যাই বেশি। ফলে এই নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি গেরুয়া শিবির।

    ত্রিপুরায় প্রচারে বাংলার বিজেপি নেতারা

    কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ৪০ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে, তাতে বাংলার কয়েকজন বিজেপি নেতাও রয়েছেন, যাঁরা পর্যায়ক্রমে ত্রিপুরা গিয়ে ভোটের প্রচারে অংশ নেবেন। আজ শুক্রবার, বাংলার পদ্ম নেতাদের প্রচার কর্মসূচি রয়েছে ত্রিপুরায়। শুভেন্দু অধিকারীর আজ ত্রিপুরায় দু’টি জনসভা রয়েছে। প্রথমটি কমালাসাগর এবং দ্বিতীয়টি তেলিয়ামুরাতে। দিলীপ ঘোষও অংশ নেবেন পৃথক দু’টি জনসভায়। প্রথমটি দক্ষিণ ত্রিপুরার শান্তি বাজারে। তারপর উত্তর ত্রিপুরার বিশালগড়ে। বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ত্রিপুরার মাটিতে একাধিক মেগা প্রচার কর্মসূচিতে একে একে অংশ নেবেন বাংলার নিশীথ প্রামাণিক, শান্তনু ঠাকুর সহ বঙ্গ বিজেপির অন্যান্য নেতারা।

    আরও পড়ুন: হাইকোর্টে স্বস্তি শুভেন্দুর! রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের শোকজ নোটিসের উপর স্থগিতাদেশ

    ত্রিপুরায় তৃণমূল প্রার্থীর থেকে তারকা প্রচারকই বেশি! কটাক্ষ বিজেপির

    যেখানে ২৮ আসনে প্রার্থী, সেখানে তারকা প্রচারক ৩৭ জন! এই বিষয়েই কটাক্ষ করেছে বিজেপি (BJP)। ত্রিপুরা নির্বাচনের প্রচারের জন্য বাকি আর ১৩ দিন। এরই মধ্যে এই তারকা প্রচারক নিয়েই জোর তরজা। এই বিষয়ে ত্রিপুরা বিজেপির রাজ্য সম্পাদক অস্মিতা বণিকের মন্তব্য, ‘ত্রিপুরায় পরিবর্তনের দাবি তোলার আগে সব আসনে প্রার্থী দিক তৃণমূল।’ ৬০ আসনের বিধানসভার মাত্র ২৮ আসনে প্রার্থী কেন তৃণমূলের? এই নিয়েও  বিজেপি সহ বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় শাসকদলকে। আবার রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘এটা তৃণমূলের পলিটিক্যাল ট্যুরিসম। বেড়াতে যাওয়ার জন্য তৃণমূল ত্রিপুরায় যেতেই পারে। কিন্তু, ভোটের আশা যেন না করে।’ 

  • Suvendu Adhikar: অমর্ত্য সেনের জমি বিতর্কে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikar: অমর্ত্য সেনের জমি বিতর্কে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অমর্ত্য সেনের জমি বিতর্কে বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (CM Mamata Banerjee) কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে বিরোধী দলনেতা দাবি করেছেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কাগজগুলি দেখিয়েছেন, তা ভুয়ো।’’ এই প্রসঙ্গে তাঁর কটাক্ষ, ‘‘এই জন্য রাজ্য সরকারকে সবাই ভুয়ো বলছে।’’

    শুভেন্দু-মমতা তরজা

    জমি দখলের অভিযোগ ঘিরে অমর্ত্য সেন এবং বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংঘাত চরমে উঠেছে। এই সময়ে বীরভূম সফরে গিয়ে প্রথমে অমর্ত্য সেনের বাড়িতে যান মুখ্যমন্ত্রী।  তারপর তিনি বলেন, ‘‘যে জমিটা লিজে দেওয়া হয়েছিল তা ১.৩৮৮ একর। আর ওরা বলছে ১.২৫ একর। ‘এল আর’ রেকর্ড বলছে, ১.৩৮ একর। তাই অমর্ত্য সেন ঠিক বলছেন। ১৯৫৬ সালের ‘আরএস’ রিপোর্টেও একই তথ্য রয়েছে।’’ মুখ্যমন্ত্রীর ওই সরকারি নথি ‘ভুয়ো’ বলে বৃহস্পতিবার দাবি করলেন শুভেন্দু। তাঁর বক্তব্য, ‘‘লিজ জমি হস্তান্তরযোগ্য নয়। লিজটা ছিল স্বর্গীয় আশুতোষ সেনের (অমর্ত্য সেনের বাবা)। তিনি মারা যাওয়ার পর লিজ খতম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কাগজগুলি দেখিয়েছেন, সেগুলি ভুয়ো। এই জন্য রাজ্য সরকারকে সবাই ভুয়ো বলছে।’’ 

    আরও পড়ুন: হাইকোর্টে স্বস্তি শুভেন্দুর! রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের শোকজ নোটিসের উপর স্থগিতাদেশ

    জমি বিতর্কে মুখ্যমন্ত্রী যে নথি দেখিয়েছেন তা ‘অপ্রাসঙ্গিক’ বলে আগেই দাবি করেছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এক্ষেত্রে বিশ্বভারতীতে গৈরিকীকরণের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে মমতাকে কটাক্ষ করেছেন দিলীপ ঘোষ। ট্যুইটারে বিজেপির সর্বভারতীয়-সহ সভাপতি লিখেছেন, ‘‘ওয়াশিং পাউডার দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ধুয়ে দিয়েছে বিশ্বভারতী। এত অপমানিত আগে কখনও হননি। বহিরাগত হয়ে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করেছেন। অনাহুত হয়ে গিয়েছেন ওখানে। জমি মাফিয়াদের বাঁচাতে বীরভূমে গিয়েছেন তিনি।’’

    বিশ্বভারতী-রাজ্য সম্পর্ক

    প্রসঙ্গত, বিশ্বভারতী কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়। প্রধানমন্ত্রী পদাধিকার বলে তার আচার্য। দেশের রাষ্ট্রপতি হলেন পদাধিকার বলে পরিদর্শক। অতীতে বাংলায় যখন বামফ্রন্ট সরকার চলছে, তখন পদাধিকার বলে বিশ্বভারতীর আচার্য কখনও ছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী বা মনমোহন সিং। আচার্য হিসাবে বিশ্বভারতীতে এসেছিলেন ইন্দিরা গান্ধীও। কিন্তু দিল্লির শাসকের স্নেহ ও আচ্ছাদন নিয়ে বাংলায় বাম সরকারের সঙ্গে বিবাদ বা এ ধরনের বাকযুদ্ধে কখনও জড়াতে দেখা যায়নি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে। কিন্তু বর্তমান সরকারের সঙ্গে ক্রমশ দূরত্ব বেড়েছে বিশ্বভারতীর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Anubrata Mondal: আরও ১৪ দিন জেলের অন্ধকার কুঠুরিতেই থাকতে হবে অনুব্রত মণ্ডলকে

    Anubrata Mondal: আরও ১৪ দিন জেলের অন্ধকার কুঠুরিতেই থাকতে হবে অনুব্রত মণ্ডলকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও ১৪ দিন জেলের অন্ধকার কুঠুরিতেই থাকতে হবে তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal)। গরু পাচার (Cow Smuggling) মামলায় আজ, শুক্রবার আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত এই নির্দেশ দিয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৭ ফেব্রুয়ারি। ১৯ জানুয়ারিও অনুব্রতকে তোলা হয়েছিল আদালতে। সেদিন বিচারকের কাছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই দাবি করেছিল, আরও বেনামি অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে।

    বেনামি অ্যাকাউন্ট…

    বীরভূমের কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের ১৭৭টি বেনামি অ্যাকাউন্টের কথা জানা গিয়েছিল আগেই। পরে আরও ৫৪টি বেনামি অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। সিবিআইয়ের (CBI) তরফে এমনই তথ্য তুলে ধরা হয়েছিল বিচারকের কাছে। সিবিআইয়ের আইনজীবী সেদিন আদালতে জানিয়েছিলেন, ওইগুলি সব বাফার অ্যাকাউন্ট। ওই অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমে অনুব্রত (Anubrata Mondal) ও তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল ঘুরপথে কোটি কোটি টাকা লেনদেন করেছেন। ওই দিনের পর ফের তল্লাশি চালায় সিবিআই। হদিশ মেলে ১৫০টি নয়া অ্যাকাউন্টের। এই সব তথ্যই তুলে ধরা হয় বিচারকের কাছে।

    আরও পড়ুুন: ‘১০ লাখ চাকরির কথা বলা হয়েছিল, এবার কী হবে?’, আদানিকাণ্ডে রাজ্যকে প্রশ্ন শুভেন্দুর

    এদিকে, এবার দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন অনুব্রত। দিল্লির রাউস অ্যাভেনিউ কোর্টে তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে। তার পরেই দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি। বৃহস্পতিবার অনুব্রতর জামিনের আর্জিতে ইডির বক্তব্য জানতে চেয়ে নোটিশ জারি করে দিল্লি হাইকোর্ট। গরু পাচার মামলায় আসানসোল জেলে থাকাকালীনই অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) গ্রেফতার করেছিল ইডি। পরে তাঁকে দিল্লিতে হাজির করানোর পরোয়ানা জারি করেছিল দিল্লির রাউস অ্যাভেনিউ কোর্ট।

    ইডি যাতে অনুব্রতকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে, তাই। ওই পরোয়ানার বিরুদ্ধে এবং রাউস অ্যাভেনিউ কোর্টের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলে আগেই দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেছেন অনুব্রত। ইডি তাঁকে গ্রেফতারের পরে কারণ দর্শিয়ে কোনও নথি দেয়নি বলে অভিযোগ জানিয়েও মামলা করা হয়েছে। এই মোট চারটি মামলায়ই এদিন ইডির বক্তব্য জানতে চেয়ে নোটিশ জারি করেছেন দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি অনুপ জয়রাম ভাম্বানি। ৮ ফেব্রুয়ারি হবে এই মামলার পরবর্তী শুনানি। এর মধ্যেই ফের ১৪ দিন বাড়ল অনুব্রতের জেল হেফাজতের মেয়াদ। শুক্রবার আদালতে পেশ করার সময় অনুব্রতকে অসুস্থ লাগছিল। তবে আদালতে পেশ করার আগে প্রাথমিক পরীক্ষার পর চিকিৎসকরা জানান, তিনি সুস্থই রয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
  • Adani Group: ‘১০ লাখ চাকরির কথা বলা হয়েছিল, এবার কী হবে?’, আদানিকাণ্ডে রাজ্যকে প্রশ্ন শুভেন্দুর

    Adani Group: ‘১০ লাখ চাকরির কথা বলা হয়েছিল, এবার কী হবে?’, আদানিকাণ্ডে রাজ্যকে প্রশ্ন শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৫ হাজার কোটি বিনিয়োগের কথা বলা হয়েছিল। ১০ লাখ চাকরি দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। সেই প্রতিশ্রুতির এবার কী হবে? আদানিকাণ্ডের (Adani Group) পর এসব প্রশ্নই তুলে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আদানি শিল্পগোষ্ঠীর শেয়ারে পতন ও তাদের সম্পত্তি মূল্য কমে যাওয়ার রিপোর্ট নিয়ে হইচই শুরু হয়েছে দেশজুড়ে। এর প্রেক্ষিতে বাংলায় আদানি গোষ্ঠীর ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। এক সংবাদ মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে শুভেন্দু বলেন, আমরা সকলেই জানি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর (আদানি) সঙ্গে একটা গোপন আঁতাঁত করেছিলেন। আমি তাজপুর বন্দর নিয়ে ইতিমধ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। এর পরেই শুভেন্দু বলেন, ২৫ হাজার কোটি বিনিয়োগের কথা বলা হয়েছিল। ১০ লাখ চাকরি দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। সেই প্রতিশ্রুতির এবার কী হবে?

    বিশবাঁও জলে প্রকল্পের ভবিষ্যৎ?

    প্রসঙ্গত, পূর্ব মেদিনীপুরে তাজপুর বন্দর ও বীরভূমে ডেউচা পাঁচামির খনি প্রকল্পে বিনিয়োগ করার কথা আদানি গোষ্ঠীর (Adani Group)। এখানে প্রচুর পরিমাণে গ্রানাইট পাথর থাকায় আগ্রহ দেখিয়েছে এই শিল্পগোষ্ঠী। কৃষিভিত্তিক শিল্পেও আগ্রহ রয়েছে আদানিদের। বর্তমানে তাজপুরে চলছে সমীক্ষার কাজ। এসবের জেরে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে আদানিদের উপস্থিতি বড় করে তুলে ধরা হয়েছিল রাজ্য সরকারের তরফে। তবে বর্তমানে  আদানিদের বিপর্যয়ের খবর প্রকাশ্যেই প্রমাণ গুণছে তৃণমূল। এদিন শুভেন্দু বলেন, আমি ভাবিত আমাদের তাজপুর গভীর সমুদ্র বন্দর নিয়ে। আমি ভাবিত ডেউচা পাঁচামির পাথর কে কিনবে, তাই নিয়ে। তিনি বলেন, ভাইপো নতুন বন্ধু নিয়ে এসেছিল। এ বার নির্বাচনী বন্ড কোথা থেকে আসবে?

    আরও পড়ুুন: মতুয়া ধর্মগুরুদের নাম বিকৃতি, মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর, কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    এই প্রথম নয়, আদানি (Adani Group) প্রসঙ্গে এর আগেও রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেছিলেন শুভেন্দু। নিউ টাউনের ইকোপার্কে গৌতম আদানির পুত্র কিরণ আদানির হাতে তাজপুর বন্দরের কাজ শুরুর অনুমতি তুলে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময়ও সমালোচনায় মুখর হয়েছিলেন শুভেন্দু। তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন, রাজ্য সরকার তো নীতিগতভাবে বেসরকারি সংস্থার জন্য জমি অধিগ্রহণের বিরোধী। তাহলে পাঁচ হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করবে কে? সেই সময় তিনি এও বলেছিলেন, একেবারে ঢপের চপ। আমি বারে বারে বলি একটি গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরি করতে গেলে যেখানে লক গেট হবে, তার পাশে ন্যূনতম পাঁচ হাজার একর জমি লাগে। চার লেনের জাতীয় সড়ক লাগে। রেলের লাইন লাগে। রেললাইন হল না, জাতীয় সড়কের কাজও তো শেষ হল না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Suvendu Adhikari: মতুয়া ধর্মগুরুদের নাম বিকৃতি, মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর, কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    Suvendu Adhikari: মতুয়া ধর্মগুরুদের নাম বিকৃতি, মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর, কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মতুয়া (Matua) ধর্মগুরুদের নাম বিকৃতির অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব বিজেপি (BJP)। মঙ্গলবার মালদহের গাজোলের একটি জনসভায় মতুয়া প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মতুয়া ধর্মগুরুদের নাম ভুল বলেছিলেন। এর পরই কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বিজেপি। বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের (Shantanu Thakur) দাবি, ইচ্ছাকৃতভাবে নাম বিকৃত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এজন্য মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন শান্তনু। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীও  (Suvendu adhikari)।  

    মতুয়া সমাজের গুরু…

    মতুয়া সমাজের গুরুর আসনে রয়েছেন দুজন। একজন হরিচাঁদ ঠাকুর, অন্যজন গুরুচাঁদ ঠাকুর। গাজোলের ওই জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের নাম ‘রঘুচাঁদ’ ও ‘গরুচাঁদ’ বলে উল্লেখ করেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য ছড়িয়ে পড়তেই সমালোচনায় মুখর হয়েছে বিজেপি।

    শান্তনু বলেন, গুরুচাঁদকে গরুচাঁদ বলছেন মুখ্যমন্ত্রী। ওঁর ভুলে যাওয়া রোগ রয়েছে কিনা, জানি না। ভাষণের সময় পিছনে নামটি জেনেও ভুল বললেন মুখ্যমন্ত্রী। এটা সমগ্র মতুয়া সমাজ ও আমাদের আরাধ্য দেবতাকে অপমান করা। ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যঙ্গাত্মক শব্দ ব্যবহারের জন্যও ওঁকে মতুয়াদের সামনে ক্ষমা চাইতে হবে। যতক্ষণ না ক্ষমা চাইবেন, ততক্ষণ ওঁকে আমাদের সমাজ ক্ষমা করবে না। আগামিদিনে মতুয়ারা ভোটবাক্সে ওঁকে জবাব দেবে।

    তোপ দেগেছেন শুভেন্দুও (Suvendu Adhikari)। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, গুরুচাঁদের নাম বিকৃত করে মতুয়া ও নমঃশুদ্র সমাজকে অপমান করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সারাজীবন মতুয়া সমাজকে ভোট ব্যাঙ্ক ভেবেছেন, মন থেকে সম্মান করেননি।  

    দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে মতুয়া মনজয়ের চেষ্টা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই কারণেই তুলেছিলেন মতুয়া আখ্যান। সে যে তাঁর পক্ষে বুমেরাং হয়ে ফিরবে, তা বোধহয় স্বপ্নেও ভাবেননি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুুন: ‘‘এত ‘গোপন প্রেম’ কীসের? জেলে গিয়ে মানিককে জিজ্ঞাসাবাদ করুন’’, সিবিআইকে নির্দেশ আদালতের 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share