Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Asansol Stampede Case: কম্বল কাণ্ডের তদন্ত চলবে কিন্তু গ্রেফতার করা যাবেনা জিতেন্দ্র-জায়াকে, জানাল হাইকোর্ট

    Asansol Stampede Case: কম্বল কাণ্ডের তদন্ত চলবে কিন্তু গ্রেফতার করা যাবেনা জিতেন্দ্র-জায়াকে, জানাল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগেই আসানসোলে (Asansol Stampede Case) বিজেপির এক সভায় কম্বল নিতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল তিন জনের। এই ঘটনায় আয়োজনে গাফিলতির অভিযোগ ওঠে বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রীর বিরুদ্ধে। সেই মামলা কলকাতা হাইকোর্টে বিচারাধীন। তদন্ত চালিয়ে গেলেও, এখনই গ্রেফতার করা যাবে না, জিতেন্দ্র-জায়া চৈতালি তিওয়ারি। আজ মামলার শুনানিতে এমনই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।

    আরও পড়ুন: দৃশ্যে বদল! ‘পাঠান’ নিয়ে বড় নির্দেশ দিল্লি হাইকোর্টের 

    বুধবার আসানসোলে (Asansol Stampede Case) পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনার শুনানি ছিল কলকাতা হাই কোর্টে। আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ জানায়, চৈতালি তদন্তে সহযোগিতা করছেন না। চৈতালিকে গ্রেফতার করার আর্জি জানায় পুলিশ। এর জবাবে পুলিশকে বিচারপতি মান্থা বলেন, “অভিযুক্ত তো অসত্য তথ্যপ্রমাণ দিতেই পারেন। পুলিশেরই তো কাজ সত্যি ঘটনা কী এবং আসল তথ্য খুঁজে বের করা।” তবে এর পরে চৈতালির বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার অনুমতিও দেন পুলিশকে। হাইকোর্টের তরফে এদিন চৈতালির রক্ষাকবচের মেয়াদ বাড়ানো হয়। আগেই চৈতালিকে রক্ষাকবচ দিয়েছিল হাই কোর্ট। তার মেয়াদ বুধবার আরও তিন সপ্তাহ বাড়িয়ে দেন বিচারপতি মান্থা। যার ফলে আপাতত তদন্তকারীরা এই মামলায় গ্রেফতার করতে পারবেন না চৈতালিকে। 

    কী ঘটেছিল? 

    প্রসঙ্গত, গত বছরের শেষে আসানসোলে (Asansol Stampede Case) একটি কম্বল বিতরণ কর্মসূচিতে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। ঘটনার জেরে পদপিষ্ট হয়ে মারা যান ৩ জন। ঘটনাটি যেখানে ঘটে, সেই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন বিজেপি নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন বিধায়ক জিতেন্দ্রর স্ত্রী চৈতালি। চৈতালি আসানসোল পুরসংস্থার একজন কাউন্সিলর। ওই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন রাজ্যের বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনাটি ঘটে শুভেন্দু সভা ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর। অভিযোগ, শুভেন্দু সভা ছাড়ার পরই কম্বল নেওয়া নিয়ে হুড়োহুড়ি পরে যায় ওই অনুষ্ঠানে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা না থাকায় এমন অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Mohan Bhagwat: বাঙালি খাবারেই মজেছে মন! বঙ্গ সফরের প্রথম দিন হাওড়া-হুগলিতে বৈঠক ভাগবতের

    Mohan Bhagwat: বাঙালি খাবারেই মজেছে মন! বঙ্গ সফরের প্রথম দিন হাওড়া-হুগলিতে বৈঠক ভাগবতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় এসে বাঙালি খাবারেই মন মজেছে মোহন ভাগবতের। শীতের দিনে বাংলার নলেন গুড়ের জলভরা সন্দেশ খুবই ভাল লেগেছে সংঘপ্রধানের। বুধবারই বাংলায় এসেছেন তিনি। এদিন দুপুরে চুঁচুড়ায় বিজেপি নেতার বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারেন। কাপাসডাঙায় রাজ্য বিজেপির অন্যতম সম্পাদক তথা আরএসএস কর্মী  দীপাঞ্জন গুহর মাকে দেখতে যান মোহন ভাগবত। দীপাঞ্জন একুশের বিধানসভা ভোটে চন্দননগর বিধানসভায় বিজেপির প্রার্থী ছিলেন। দীপাঞ্জনের বাড়িতেই মধ্যাহ্নভোজ সারেন তিনি। 

    জলভরা সন্দেশ ভাল লাগে

    সংঘপ্রধানের খাবার আগে তা পরীক্ষা করেন ফুড সেফটি অফিসাররা। এটাই রীতি। এই সূত্র থেকেই জানা যায়, মোহন ভাগবতের মেনুতে ছিল ভাত, ঘি, ডাল, পনির, ফুলকপি, গুড়, স্যালাড। শেষে পাতা ছিল চন্দননগরের জলভরা সন্দেশ। তাঁর জন্য কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয় গোটা এলাকা। প্রায় দেড় ঘণ্টার কাছাকাছি সময় দীপাঞ্জনের বাড়িতে ছিলেন আরএসএস প্রধান। এরপর এদিন চুঁচুড়া চকবাজারে বন্দেমাতরম ভবনে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের পদাধিকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এদিন হুগলির বৈঠকে আরএসএসের বঙ্গীয় শাখার বেশ কিছু জেলার প্রতিনিধিরা হাজির ছিলেন।  সংঘের হাওড়া গ্রামীণ, তারকেশ্বর ও হুগলির সাংগঠনিক ক্ষেত্রের পদাধিকারীদের সঙ্গে সংগঠনের বিষয়ে আলোচনা হয় ভাগবতের। বৈঠকের পর কলকাতায় কেশব ভবনে ফেরেন ভাগবত।

    আরও পড়ুন: রাজ্যপালকে ‘ম্যানেজ’ করতে মরিয়া মুখ্যমন্ত্রী! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    সংগঠনের দক্ষিণবঙ্গ প্রান্ত থেকে জানানো হয়েছে এখন কলকাতায় থাকবেন সরসংঘচালক। দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা নিয়ে গঠিত আরএসএসের দক্ষিণবঙ্গ প্রান্ত। সংঘের নিয়ম অনুযায়ী সরসংঘচালক বছরে দু’বার প্রান্ত প্রবাস করেন। সে কারণেই এখন কলকাতায় থাকবেন তিনি। ছ’দিনের রাজ্য সফরের মধ্যে একদিকে যেমন দফায়-দফায় সাংগঠনিক বৈঠক করবেন, তেমনই শহিদ মিনারে জনসভাও করবেন মোহন ভাগবত। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে শ্রদ্ধা জানিয়েই তাঁর জন্মদিনে জনসভার আয়োজন করা হয়েছে। সেই জনসভায় রাজ্য BJP নেতারাও উপস্থিত থাকবেন বলে সূত্রের খবর। শহিদ মিনারে জনসভা করার আগে সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গেও মোহন ভাগবতের দেখা করার কথা রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Didir Doot: তৃণমূলের বিক্ষোভের মুখে দলবদলু ‘দিদির দূত’ জয়প্রকাশ, বিশ্বজিৎ, দেখে নিন সম্পূর্ণ তালিকা  

    Didir Doot: তৃণমূলের বিক্ষোভের মুখে দলবদলু ‘দিদির দূত’ জয়প্রকাশ, বিশ্বজিৎ, দেখে নিন সম্পূর্ণ তালিকা  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলায় জেলায় বিক্ষোভের মুখে দিদির দূতরা (Didir Doot)! যত দিন যাচ্ছে, ততই দীর্ঘ হচ্ছে এই তালিকা। বুধবার বাঁকুড়ার (Bankura) তালডাংরা বিধানসভার সিমলাপালের মাচাতোড়ায় দিদির দূত হয়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষোভের মুখে পড়েন দলবদলু জয়প্রকাশ মজুমদার। তৃণমূলের (TMC) সহ সভাপতিকে হাতের কাছে পেয়ে দলেরই একটি গোষ্ঠী ক্ষোভ উগরে দেন। তাঁদের দাবি, পুরানো তৃণমূল কর্মীরা দলে গুরুত্ব পাচ্ছেন না। পরিস্থিতি না বদলালে তৃণমূল ছাড়ার হুঁশিয়ারিও দেন তাঁরা।

    ক্ষোভের আগুন…

    এদিনই উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতের দত্তপুকুর জয়পুল এলাকায় দিদির দূত হিসেবে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা সৌগত রায়। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা সহ নানা দুর্নীতি নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। কেবল এদিনই নয়, বস্তুত দিদির দূত কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে প্রথম থেকেই পদে পদে হোঁচট খেতে হয়েছে তৃণমূল নেতাদের। পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন অর্জুন সিং, রামপুরহাটের মাড়গ্রামে শতাব্দী রায়, বীরভূমের বালিজুড়ির কুখুটিয়া গ্রামে দেবাংশু ভট্টাচার্য, বাঁকুড়ায় সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, মুর্শিদাবাদে সাংসদ আবু তাহের, ময়ূরেশ্বরে সাংসদ অসিত মাল ও বিধায়ক অভিজিৎ রায়, গলসিতে বিধায়ক নেপাল ঘোরুই, পটাশপুরে বিধায়ক জুন মাল্য। বিক্ষোভের জেরে পশ্চিম মেদিনীপুরে কর্মসূচি বাতিল করেন কুণাল ঘোষ। নদিয়ায় গিয়ে জনরোষের মুখে পড়েন খোদ বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।

    আরও পড়ুুন: নথি জাল করে বাবার স্কুলে চাকরি! ভূগোল শিক্ষকের কাণ্ডে সিআইডি ডাকল হাইকোর্ট

    কোচবিহারের দিনহাটায় বিক্ষোভের মুখে পড়েন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ এবং বুলুচিক বরাইক, সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী, নানুরের তৃণমূল বিধায়ক বিধান মাঝি, ইলামবাজারে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, খড়িবাড়ি ব্লকের বিন্নাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা কমিটির চেয়ারম্যান অলোক চক্রবর্তী, সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশ বর্মা বাসুনিয়া, খড়দহে শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়। বিক্ষোভের মুখে পড়েন বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসও। তবে তাঁকে অপ্রস্তুত হতে হয় সম্পূর্ণ অন্য কারণে। অন্যদের কাছে যেমন নানা অভাব-অভিযোগ, তৃণমূল নেতাদের একাংশের সীমাহীন দুর্নীতি নিয়ে ক্ষোভ জানাতে দেখা গিয়েছিল স্থানীয়দের, বাগদায় দলবদলু বিশ্বজিৎকে জিজ্ঞাসা করা হয়, দল বদল করলেন কেন? দৃশ্যতই অপ্রস্তুতে পড়ে যান বিশ্বজিৎ। প্রসঙ্গত, বিজেপির টিকিটে জিতে বাগদার বিধায়ক হয়েছিলেন বিশ্বজিৎ। পরে দল বদলে তিনি যোগ দেন তৃণমূলে। এদিন তারই কৈফিয়ত চাইলেন বাগদাবাসী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Mohan Bhagwat: সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ! ৬ দিনের সফরে রাজ্যে এলেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ! ৬ দিনের সফরে রাজ্যে এলেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শহরে পা রাখলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। বুধবার কাকভোরে হাওড়া স্টেশনে এসে পৌঁছান তিনি। মোহন ভাগবতের জন্য হাওড়া স্টেশনে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এদিন ভোরে ৫টা ১৫ মিনিট নাগাদ ১৮০০৬ সমলেশ্বরি এক্সপ্রেসে RSS প্রধান হাওড়া স্টেশনের (Howrah Station) ২২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে এসে নামেন। সেখান থেকে তিনি কলকাতার (Kolkata) উদ্দেশ্যে রওনা হন।

    মোহন ভাগবতের কর্মসূচি

    দলীয় সূত্রে খবর, কলকাতায় আর এসএস-এর সাংগঠনিক বৈঠক আছে, আর এই কর্মসূচিতে অংশ নিতেই মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) কলকাতা (Kolkata) পৌঁছেছেন।  ৬ দিনের সফরে রাজ্যে এসেছেন তিনি। এই সফরে মোহন ভগবত (Mohan Bhagwat) বৃহস্পতিবার রাজ্যের বিশিষ্টদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন। মোহন ভাগবত পৌছনোর সময়, হাওড়া স্টেশনে (Howrah Station) কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। মোহন ভাগবত ট্রেন থেকে নেমে ব্যাটারি চালিত গাড়ি ব্যবহার না করে হেঁটে নিজের গাড়ির সামনে পৌঁছন। তারপর চলে যান সংগঠনের কাজে।

    আরও পড়ুন: ‘‘মোদি এলেই জিতব এটা ভাববেন না, সংগঠনে জোর দিন’’, বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশে বার্তা মোদির

    ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত রাজ্যে থাকবেন সংঘ প্রধান। এই ৬ দিনের মধ্যে একদিকে যেমন বেশ কয়েকবার সাংগঠনিক বৈঠক করবেন, তেমনই শহিদ মিনারে জনসভাও করবেন মোহন ভাগবত। আগামী ২৩ জানুয়ারি শহিদ মিনারে জনসভা করবেন ভাগবত। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে শ্রদ্ধা জানিয়েই তাঁর জন্মদিনে জনসভার আয়োজন করা হয়েছে। সেই জনসভায় রাজ্য বিজেপির নেতারাও উপস্থিত থাকবেন বলে সূত্রের খবর। বুধবার রাতেই বাংলায় আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডা (Jagat Prakash Nadda)। সূত্রের খবর, আজ বুধবার বঙ্গ সফরে এসে নাড্ডা, নদিয়ার (Nadia) উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। সেখানে বেথুয়াডহরিতে সভা করার কথা রয়েছে তাঁর। পাশাপাশি রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকও করবেন তিনি। জানা গিয়েছে, আগামী ২০ জানুয়ারি ও ২১ জানুয়ারি দুর্গাপুরে (Durgapur) রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন নাড্ডা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • West Bengal Weather: শহরে ফের চড়ল পারদ! রাজ্য জুড়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস, কোন কোন জেলায় বর্ষণের সম্ভাবনা?

    West Bengal Weather: শহরে ফের চড়ল পারদ! রাজ্য জুড়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস, কোন কোন জেলায় বর্ষণের সম্ভাবনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাঘের শুরুতেই বৃষ্টিতে ভিজবে বাংলা! এমনই পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের। মকর সংক্রান্তির আগে উধাও হয়েছিল শীত। কিন্তু সংক্রান্তি কাটতেই ফের শীতের ব্যাটিং শুরু হয়েছে। তবে আগের মত হাড়কাঁপানো ঠা্ন্ডা নেই। মঙ্গলবার থেকে আজ তাপমাত্রার পারদ সামান্য বেড়েছে। রয়েছে হালকা শীতের আমেজ। তবে উত্তরবঙ্গে জাঁকিয়ে বসেছে শীত। আগামী কয়েকদিনে আরও নামতে পারে তাপমাত্রা। তার মধ্যেই হাওয়া অফিসের আভাস, বুধবার রাজ্যের বেশ কিছু জেলায় বৃষ্টি হতে পারে।

    কলকাতার আবহাওয়া

    বুধবার সকালে ঘন কুয়াশায় ঢাকা ছিল কলকাতার আকাশ। পরে ধীরে ধীরে আকাশ পরিষ্কার হয়েছে। শহরে সকালের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি। মঙ্গলবার কলকাতার এই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ থাকবে ৫৩ থেকে ৮৩ শতাংশের মধ্যে। পশ্চিমি ঝঞ্ঝার কারণে উত্তুরে হাওয়ার দাপট কমে যাওয়ায় তাপমাত্রার পারদ উপরের দিকে চড়েছে।

    আরও পড়ুন: রাত থেকে রাজ্যের বেশ কিছু জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা, জানাচ্ছে হাওয়া অফিস

    বাংলা জুড়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস

    দক্ষিণবঙ্গে ফের ঊর্ধ্বমুখী পারদ। আজ ও বৃহস্পতিবার রাজ্যের উপকূলে হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। কলকাতা, হাওড়া ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় সামান্য বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আজ, ১৮ জানুয়ারি পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এদিকে আজ দক্ষিণ ২৪ পরগনায় হালকা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই তিন জেলা ছাড়া দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। আগামী পাঁচদিনে দক্ষিণের জেলাগুলিতে আবহাওয়ার তেমন কোনও পরিবর্তন ঘটবে না।

    উত্তরবঙ্গে আগামী ২৪ ঘন্টায় দিনের তাপমাত্রা অনেকটাই কম থাকবে। আগামী দু’ তিন দিন হালকা বৃষ্টি থাকবে দার্জিলিং, কালিম্পং-এ। ১৮ ও ১৯ জানুয়ারি দার্জিলিং-ও হালকা বৃষ্টি হতে পারে। আজ হালকা বৃষ্টি হতে পারে কালিম্পং-এ। আলিপুরদুয়ারেও আজ বৃষ্টি হতে পারে। ঘন কুয়াশা থাকবে উত্তরবঙ্গে। কোচবিহার,  উত্তর দিনাজপুর, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়িতে বেশি কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে।

  • Justice Abhijit Ganguly: পরীক্ষা না নিয়েই পুরো নম্বর, পর্ষদ সভাপতির কাছে জবাব চাইল হাইকোর্ট

    Justice Abhijit Ganguly: পরীক্ষা না নিয়েই পুরো নম্বর, পর্ষদ সভাপতির কাছে জবাব চাইল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানিক ভট্টাচার্য জমানার আরও এক দুর্নীতি এল কলকাতা হাইকোর্টের নজরে! অ্যাপটিটিউড পরীক্ষা না নিয়েই ‘ফুল মার্কস’ পেয়েছেন পরীক্ষার্থীরা! ৬ পরীক্ষার্থীর বয়ান নিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পর্যবেক্ষণ, “২০১৬ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও অ্যাপটিটিউড টেস্ট হয় নি।” প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতির হলফনামা আকারে কৈফিয়ত তলব হাইকোর্টের। ৭ দিনে এই মামলার হলফনামা তলব করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। আদালত হলফনামায় জানতে চান, অ্যাপটিটিউড টেস্ট না হলে নম্বর বন্টন কী ভাবে হল? ফের অস্বস্তিতে পড়ল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।

    কী অভিযোগ?         

    প্রাথমিকে অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়াই ২০১৬ সালে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে! কলকাতা হাইকোর্টে সাক্ষী দেন ৬ জন চাকরিপ্রার্থী। এ বিষয়ে ৭ দিনের মধ্যে আদালতে হলফনামা জমা দিতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতিকে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) নির্দেশ, ২৪ জানুয়ারির মধ্যে পর্ষদ সভাপতিকে জানাতে হবে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অ্যাপটিটিউড টেস্ট হয়েছিল কি না। পাশাপাশি, তিনি হলফনামা দিয়ে জানাবেন এ বছর কী পদ্ধতিতে অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়া হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: ‘মানচিত্রে আজাদ কাশ্মীর চিহ্নিত করো’!, পর্ষদের মাধ্যমিক টেস্ট পেপারের প্রশ্নে বিতর্ক     
     
    প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে ইন্টারভিউর অংশ হিসাবে অ্যাপটিটিউড টেস্ট করা হয়। তার জন্যে আলাদা নম্বর নির্ধারিত ছিল। নিয়ম অনুযায়ী (Justice Abhijit Ganguly) অ্যাপটিটিউড টেস্ট বাধ্যতামূলক। মূলত চক পেনসিল, ব্ল্যাকবোর্ডের ব্যবহারের মাধ্যমে অ্যাপটিটিউড টেস্ট করা হয়। কিন্তু অভিযোগ এই অংশটিকে বাদ দিয়েই শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে।

    এই মামলায় প্রিয়ঙ্কা নস্কর-সহ কয়েক জন চাকরিপ্রার্থীর থেকে সাক্ষ্য গ্রহণ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। চাকরিপ্রার্থীরা সাক্ষী দিয়ে জানা যায়, বেশির ভাগ জেলাতেই অ্যাপটিটিউড টেস্ট করা হয়নি। অনেক জায়গায় শ্রেণিকক্ষের পরিবর্তে বারান্দায় ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। একজন পরীক্ষার্থী জানান, সব নিয়ে ৪টে প্রশ্ন করা হয়। ঘরে দুজন ছিলেন ইন্টারভিউ নেওয়ার সময়। কোনও ব্ল্যাকবোর্ড ছিল না।

    মামলাকারীদের আইনজীবী (Justice Abhijit Ganguly) তরুনজ্যোতি তিওয়ারি জানান, “অধিকাংশ জেলায় অ্যাপটিটিউড টেস্ট নেওয়াই হয়নি। পরীক্ষার্থী অ্যাপটিটিউড টেস্ট ছাড়া নম্বর কী ভাবে পেলেন, তা জানতে চায় আদালত। এক্ষেত্রেই দুর্নীতি, বেছে বেছে অ্যাপটিটিউড টেস্টের নম্বর বসানো হয়েছে। আমার মামলাকারীদের অনেককে ২ বা ৩ নম্বর দেওয়া হয়েছে। অথচ চাকরি প্রাপকদের সেই নম্বর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে৷”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
     
  • CV Ananda Bose: রাজ্য-রাজভবন সংঘাতে ইতি! উপাচার্যদের বৈঠক শেষ কী বললেন রাজ্যপাল?

    CV Ananda Bose: রাজ্য-রাজভবন সংঘাতে ইতি! উপাচার্যদের বৈঠক শেষ কী বললেন রাজ্যপাল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষাক্ষেত্রের উন্নতির জন্য সদা ব্যস্ত রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। উন্নয়নের স্বার্থে মানুষকেই প্রাধান্য দিতে চান রাজ্যপাল। কোনওরকম রাজনীতি নয় যা ঠিক তাই করতে আগ্রহী রাজ্যপাল। মঙ্গলবার, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য ও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে বৈঠক শেষে এমনই ইঙ্গিত দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে রাজ্য-রাজভবন সংঘাতে ইতিও টানলেন শিক্ষামন্ত্রী। রাজ্য-রাজভবন-বিকাশভবন এবার থেকে একসঙ্গে কাজ করবে বলে জানালেন ব্রাত্য বসু। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকেই ‘ আচার্য’ সম্বোধন করেন তিনি।

    অতীতের সংঘাতে ইতি

    জগদীপ ধনখড় বাংলার রাজ্যপাল থাকাকালীন তাঁর জমানায় রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত বারবার শিরোনামে উঠে এসেছে। ধনখড়ের আমলেই রাজ্যপালের পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করার জন্য বিল আনা হয়েছিল বিধানসভায়। উল্লেখ্য, শিক্ষা দফতরের প্রচুর ফাইল আটকে রয়েছে রাজভবনে। তাই রাজ্যপালের সাহায্য কাম্য রাজ্য শিক্ষা দফতরের। এদিন বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন,‘‘আমাদের মহামহিম রাজ্যপাল তথা সব বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের সঙ্গে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের ঐতিহাসিক বৈঠক হয়েছে। এই প্রথম রাজভবনে রাজ্যপালের অনুজ্ঞায় আমি, আমার বিভাগীয় প্রধান এবং সরকার পোষিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব উপাচার্যদের নিয়ে রাজভবনে বৈঠক করেছি। আচার্য সব হালহকিকত খুঁটিনাটি জেনেছেন। প্রত্যেক উপাচার্যের সঙ্গে মাননীয় আচার্য আলাদা ভাবে কথা বলেছেন। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের খবর নিয়েছেন।” 

    আরও পড়ুন: ‘দোষী’ আইনজীবীদের চিহ্নিত করে মামলা, বিচারপতি মান্থা বিক্ষোভকাণ্ডে বলল হাইকোর্ট

    রাজ্যপালের অভিমত

    মঙ্গলবারের বৈঠক যে ফলপ্রসূ হয়েছে সে কথা জানিয়েছেন খোদ রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসও। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের খুবই উৎসাহজনক, অনুপ্রেরণাদায়ক আলোচনা হয়েছে। আলোচনার সারমর্ম, নতুন প্রজন্মের কাছে শিক্ষার সব দরজা খুলে দেওয়া। যাতে নতুন প্রজন্ম বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। শিক্ষা সব থেকে শক্তিশালী হাতিয়ার। সমাজে পরিবর্তনের জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ। উপাচার্যেরা অসাধারণ পরামর্শ দিয়েছেন। সব নিয়েই ভাবনাচিন্তা হবে। নতুন বাংলা হবে, সেই বাংলা দেশকে এবং দেশ বিশ্বকে পথ দেখাবে। যা গুরুদেব বলেছেন, চিত্ত যেথা ভয়শূন্য, উচ্চ যেথা শির।’ এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “কুড়িজন উপাচার্যকে ইউজিসির নির্দেশ না মেনে রাজ্যপালকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে তাঁরা নিয়োগ করেছিলেন। সেই মামলা চলছে। সমস্ত জায়গায় আচার্য হিসাবে মুখ্যমন্ত্রীকে বসানোর চেষ্টা করেছিলেন ব্রাত্য বসুরা। তবে বাস্তবায়িত হয়নি। আমরা চাই সংঘাতের আবহ না থাকুক। এটাই স্বাভাবিক যে রাজভবন-রাজ্য-নবান্ন একসঙ্গে কাজ করবে। এই পরিবেশ তৃণমূলই নষ্ট করেছিল।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Mithun Chakraborty: পাখির চোখ পঞ্চায়েত নির্বাচন, বেকায়দায় পড়া তৃণমূলকে জব্দ করতে আসরে মিঠুন

    Mithun Chakraborty: পাখির চোখ পঞ্চায়েত নির্বাচন, বেকায়দায় পড়া তৃণমূলকে জব্দ করতে আসরে মিঠুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঙালির চোখে এখনও তিনি সুপার স্টার। সম্প্রতি প্রজাপতি সিনেমাও নানা কারণে মাইলেজ দিয়েছে তাঁকে। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ তাঁর সমালোচনায় মুখর হয়েছেন। তবে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁর সহ অভিনেতা তথা শাসক দলের নেতা অভিনেতা দেব (Deb)। এহেন মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun Chakraborty) জনপ্রিয়তাকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে অন্যতম হাতিয়ার করতে চাইছে পদ্ম শিবির (BJP)। ইতিমধ্যেই গ্রাম বাংলায় একপ্রস্ত প্রচার করে ফেলেছেন মিঠুন। আজ, বুধবার থেকে দ্বিতীয় দফার প্রচারে নামবেন তিনি। এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে জনসভা করবেন মহাগুরু। মিঠুনের সঙ্গে থাকবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল সহ অন্য নেতৃবৃন্দ। এদিন এলাকায় প্রতিবাদ মিছিলেও অংশ নেবেন ‘অন্যায় অবিচারে’র নায়ক। পরে যোগ দেবেন ওই জেলারই দলের সাংগঠনিক বৈঠকে। কারণ মিঠন দলের ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্যও বটে।

    পঞ্চায়েত নির্বাচন…

    দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষের পরে পরেই হতে পারে এই নির্বাচন। নানা কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ায় এবার রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল বেশ খানিকটা ব্যাকফুটে। তাই এখনই শক্তি বাড়িয়ে নেওয়ার সময়। রাজনৈতিক মহলের মতে, শাসক দল ব্যাকফুটে চলে যাওয়ায় অ্যাডভান্টেজ বিজেপি। এর সঙ্গে ‘মহাগুরু’র ((Mithun Chakraborty)) ইমেজ যোগ হলে বিজেপির জয় হবে অনায়াস। আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনের আগে যা পদ্ম শিবিরকে বাড়তি মাইলেজ দেবে বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    আরও পড়ুুন: ভোটের আশা না করেই মুসলিমদের সঙ্গেও যোগাযোগ বাড়ান! বিজেপি কর্মীদের বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    এই লক্ষ্যেই গত নভেম্বর মাসের আগেও জনসংযোগের লক্ষ্যে মিঠুনকে প্রচারের কাজে লাগিয়েছে বিজেপি। গত ২৩ নভেম্বর থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত মিঠুন দক্ষিণবঙ্গে একাধিক সভা করেছেন। বিজেপির সেই সভাগুলিতে ভিড় ছিল উপচে পড়ার মতো। বিজেপির সভায় ভিড় দেখে চোখ কপালে ওঠে তৃণমূলের। তার পরেই প্রজাপতি সিনেমা নিয়ে তীব্র আক্রমণ শানান তৃণমূল নেতৃত্ব। যার জবাব দিয়েছেন মিঠুনও। বিজেপি সূত্রের খবর, বুধবার বাসন্তীর পর জেলায় জেলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারের কাজেও লাগানো হবে মিঠুনকে। দিন দুয়েক আগে বঙ্গ বিজেপির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বাংলায় বিজেপি নেতাকর্মীরা যেভাবে লড়ছেন, তাকে উৎসাহিত করেছেন তিনি। বলেছেন, লড়াই চলবে। সেই লড়াইয়ের লক্ষ্যেই কোমর কষে মাঠে নেমে পড়েছেন বিজেপির বঙ্গ বাহিনী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Sukanta Majumdar: ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বাংলায়  ২৫টি আসন পাবে বিজেপি! দাবি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ২৫টি আসন পাবে বিজেপি! দাবি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের আর বাকি ৪০০ দিন। বছর ঘুরলেই বাজবে লোকসভা নির্বাচনের দামামা। তার আগে দিল্লিতে দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক শেষে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়ে দিলেন, ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় অন্তত ২৫টি আসন পাবে বিজেপি। 

    ২৫ টি আসনের ঘোষণা

    সুকান্তের দাবি, ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপি ২০১৯-এর থেকে বেশি আসন পাবে। তিনি বলেন, “২০১৯-এর নির্বাচনে আমরা অনেক ভালো ফল করেছিলাম। এবার তার থেকেও ভালো ফল করব। ২০১৯-এর নির্বাচনে বিজেপি বাংলায় ১৮টি আসনে জিতেছিল। ২ থেকে বেড়ে ১৮ হয়েছিল।” তাঁর কথায়, এবার ২৫-এর কাছাকাছি পৌঁছবে বিজেপির আসন, এটা তাঁর ব্যক্তিগত মতামত।

    প্রসঙ্গত, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বিপুল আসন নিয়ে কেন্দ্রে ক্ষমতায় এসেছিল। একাই বিজেপি পেরিয়ে গিয়েছিল ৩০০ আসনের গণ্ডি। বিরোধীরা কেউ ধরা-ছোঁয়ার মধ্যে ছিল না। এবার বিজেপি ২০১৯-এর ফলাফলকেও টপকে যাবে বলে দাবি করছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ২০১৪ সালে প্রথম বার দিল্লির মসনদে বসেছিলেন মোদি। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দ্বিতীয় বারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন নরেন্দ্র মোদি। এ বার লক্ষ্য ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন। ‘হ্যাটট্রিক’ করতে মরিয়া বিজেপি। দলীয় সূত্রে খবর, দেশ জুড়ে মোট ১৬০টি লোকসভা আসনকে চিহ্নিত করেছেন মোদি, শাহ, নড্ডারা। সেই আসনগুলির জন্য নেওয়া হচ্ছে বিশেষ কৌশল। প্রচারে ঝড় তুলতে খতিয়ে দেখা হচ্ছে সমস্ত দিক।

    আরও পড়ুুন: ‘লড়াই চলবে’, বঙ্গ বিজেপির প্রশংসা করে জানিয়ে দিলেন মোদি

    সুকান্তের যুক্তি

    এই আবহেই সুকান্ত মজুমদার দাবি করেন বাংলায় ২৫টি আসন পাবে বিজেপি। তাঁর যুক্তি, আগে বাংলায় ১০ থেকে ১১ শতাংশ ভোট পেত বিজেপি। এখন সেই ভোটের হার বেড়ে হয়েছে ৩৯ থেকে প্রায় ৪০ শতাংশ। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ঝুলিতে ২ কোটি ৩০ লক্ষ ভোট এসেছিল বলে দাবি করেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি।  তিনি আরও বলেন, “২০১৪ সালের আগে আমাদের দল রাজ্যে সেভাবে দাগ কাটতে পারেনি। তবে তারপর থেকে আমাদের ভোট বেড়েছে জেপি নাড্ডার নেতৃত্বে।” জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে প্রত্য়েক বিজেপি নেতা তাঁদের বক্তব্যে পশ্চিমবঙ্গের নাম উল্লেখ করেছেন বলে দাবি করেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ” পশ্চিমবঙ্গে জয় পেতে প্রত্যেক নেতাই সংকল্পবদ্ধ। “

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Accident: রেফার চক্রে ঘুরপাক! ৩ সরকারি হাসপাতাল ঘুরে মৃত্যু যুবকের, কাঠগড়ায় পরিষেবা

    Accident: রেফার চক্রে ঘুরপাক! ৩ সরকারি হাসপাতাল ঘুরে মৃত্যু যুবকের, কাঠগড়ায় পরিষেবা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেফারের গেরোয় পড়ে আবারও ২৬ বছরের যুবকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটল এ রাজ্যে। মৃতের নাম মেঘনাথ চন্দ্র। জানা যাচ্ছে যে রোগীর পরিবার মেঘনাথকে নিয়ে একের পর এক হাসপাতালে ঘুরছিলেন কিন্তু কোথাও ভর্তি হতে না পেরে শেষ পর্যন্ত ভোরবেলায় এনআরএস হাসপাতালে মৃত্যু হয় যুবকের।

    কী বলছেন পরিবারের লোক

    মর্মান্তিক এই ঘটনায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছে যুবকের পরিবারের লোক। তাঁরা বলেন, চিকিৎসাক্ষেত্রে এমন গুরুত্বহীনতার জন্য একজনের প্রাণ চলে গেল আর কবে টনক নড়বে? 
    পরিবার সূত্রে আরও জানা যাচ্ছে যে মেঘনাথ চন্দ্র একজন উঠতি ফুটবলার ছিলেন এবং নিয়মিতভাবে মাঠে যেতেন প্র্যাকটিস করতে। কয়েকদিন আগে অনুশীলনের সময় কুঁচকিতে চোট লাগে, ঘটনাক্রমে ওই একই জায়গায় ক’দিন আগেই তিনি বাইক থেকে পড়ে গিয়ে (Accident) আঘাত পান। এরপর থেকেই নাকি চরম যন্ত্রণার মধ্যে ছিলেন ওই যুবক। বাধ্য হয়ে পরিবারের লোকেরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নেন। 

    অসুস্থ যুবকের ঠাঁই হয়নি কোনও হাসপাতালে

    এদিন সন্ধ্যা বেলায় মেঘনাথকে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে ছুটে বেড়ালেও কোথাও একটি বেড জোগাড় করা করা যায়নি, এমনটাই বলছেন পরিবারের লোকেরা।  প্রথমে বাঙ্গুরে নিয়ে যাওয়া হয় ওই যুবককে। সেখান থেকে এসএসকেএম, তারপর চিত্তরঞ্জন। কিন্তু ঠাঁই হয়নি কোথাও। এভাবেই ঘুরপাক খেতে থাকেন অসুস্থ যুবক। অবশেষে আজকে ভোরে মৃত্যু হয় ওই যুবকের। 

    কী বলছেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা

    এই ঘটনায় রাজ্যের চিকিৎসা পরিষেবায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে মৃত মেঘনাদের পরিবার এবং তার প্রতিবেশীরা। এ ব্যাপারে এক স্বাস্থ্য অধিকর্তা বলেন রোগীকে প্রাথমিক পরিষেবা এবং চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে কিনা তা আমরা খতিয়ে দেখছি। তিনটি হাসপাতাল থেকেই রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে, যেগুলিতে তাকে ভর্তি নেওয়া হয়নি। রোগীর আঘাতের মাত্রা কতটা ছিল তা খতিয়ে দেখা হয়েছে। ময়নাতদন্তে রিপোর্টও খতিয়ে দেখা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share