Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Test Paper Controversy: ‘মানচিত্রে আজাদ কাশ্মীর চিহ্নিত করো’!, পর্ষদের মাধ্যমিক টেস্ট পেপারের প্রশ্নে বিতর্ক

    Test Paper Controversy: ‘মানচিত্রে আজাদ কাশ্মীর চিহ্নিত করো’!, পর্ষদের মাধ্যমিক টেস্ট পেপারের প্রশ্নে বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাধ্যমিকের টেস্ট পেপারে ইতিহাসের প্রশ্নপত্রে ‘আজাদ কাশ্মীর’-এর উল্লেখ! ভারতের ম্যাপ পয়েন্টিংয়ে চিহ্নিত করতে বলা হল ‘আজাদ কাশ্মীর’! পাকিস্তানের ভাষা কেন মাধ্যমিকের টেস্ট পেপারে? আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। এই বিতর্কিত প্রশ্ন নিয়ে সরব হয়েছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। ওই টেস্ট পেপার সংশোধন করা হোক, দাবি তাঁর। আবার এই বিষয়টি সামনে আসা মাত্রই এ নিয়ে ট্যুইট করেছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। ১৩২ নম্বর পাতার ওই অংশের ছবি ট্যুইট করে তিনি লিখেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সমর্থন করছে।

    মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রশ্ন নিয়ে তোলপাড় রাজ্য

    বিভিন্ন স্কুলের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নিয়ে সদ্যই প্রকাশিত হয়েছে মাধ্যমিকের টেস্ট পেপার। আর সেই টেস্ট পেপারের এক প্রশ্ন নিয়েই বিতর্ক তুঙ্গে। অভিযোগ, মালদহের রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দির পরীক্ষার্থীদের ভারতের মানচিত্রে ‘আজাদ কাশ্মীর’ চিহ্নিত করতে বলেছে। টেস্ট পেপারে রাখা হয়েছে সেই প্রশ্ন। আজ,মঙ্গলবার সেই প্রশ্নমালা প্রকাশ্যে আসতেই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    এই নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। তিনি বলেন, “এ নিয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীকে খোঁজ নিতে হবে। কে বা কারা এর পিছনে রয়েছেন, জানতে হবে। অভিযোগ যদি সত্যি হয়, প্রকাশকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এটি রাজ্যের তোষণ নীতির পরিণাম। এর মধ্যে জাতীয়তাবাদ বিরোধী একটা প্রচ্ছন্ন সুর রয়েছে। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের উৎসাহিত করবে এ সব।” তিনি আরও জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার আলাদা ভাবে স্বাধীন তদন্ত করবে। আবার এই প্রশ্ন নিয়ে মমতার সরকারকে একহাত নিয়েছেন বিজেপি সাংসদ তথা দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি লেখেন, “বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির সমর্থক হল মমতার সরকার। পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরকে আজাদ কাশ্মীর হিসেবে চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে পড়ুয়াদের।”

    মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রতিক্রিয়া

    পর্ষদের এমন প্রশ্ন নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলে। বিষয়টি নিয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “এটা যখন নজরে এসেছে, আমরা পুরো বিষয়টা জানার চেষ্টা করছি। জেনে নিয়ে বাকি পদক্ষেপ করব। যদি আমরা সংশোধন করতে পারি, তাহলে সংশোধন করব। নাহলে প্রয়োজনীয় তথ্য জানানো যাবে।”  তিনি আরও বলেন, “যাঁরা প্রশ্নপত্র তৈরি করেছেন, তাঁরা কেন এরকম প্রশ্ন রেখেছেন, তা আমরা জানি না। আমরা পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখব এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করব।”

    স্কুলের কী প্রতিক্রিয়া?

    প্রশ্ন নিয়ে বিতর্ক শুরু হলে মালদহের সেই স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ থেকে যোগাযোগ করা হয়। ‘আজাদ কাশ্মীর’ নিয়ে তাঁরা কোনও ভুল করেননি বলেই দাবি করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। মালদহের রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষক স্বামী তপহারানন্দ মহারাজ বলেন, “আমাদের প্রশ্নপত্র নিয়ে একটা বিতর্ক হয়েছে। যিনি প্রশ্নপত্রটি করেছেন তাঁর সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তিনি যেটা বলেছেন, সেটাই আমি বলছি। এখানে বইতে যে তথ্য রয়েছে সেই তথ্যই প্রশ্নপত্রে তুলে ধরা হয়েছে। যে প্রশ্নটা নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে, সেটি ইতিহাসের একটা অংশ। সিলেবাস থেকেই প্রশ্ন তুলে ধরা হয়েছে। সরকারি বইতে ওরকম ধরণের উল্লেখ আছে। পরীক্ষায় ম্যাপ পয়েন্টিং থাকে। সেখানে এমন একটা জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে, সেই জায়গাটাকে ভারত সরকার মান্যতা দেয় না। ‘আজাদ কাশ্মীর’টা কিন্তু পাঠ্যপুস্তক থেকেই উল্লেখ করা হয়েছে।”

    তবে এখানেই বিতর্ক থামছে না। কীভাবে এই রকম একটি স্পর্শকাতর ও বিতর্কিত শব্দ পর্ষদের মাধ্যমিক টেস্টপেপারে জায়গা পেল ও তা নিয়ে কী পদক্ষেপ নিতে চলেছে পর্ষদ, সেটিই এখন দেখার। 

  • Justice Rajasekhar Mantha: হাইকোর্ট চত্বরে মিটিং-মিছিলে ‘না’, গুচ্ছ নির্দেশিকা বৃহত্তর বেঞ্চের

    Justice Rajasekhar Mantha: হাইকোর্ট চত্বরে মিটিং-মিছিলে ‘না’, গুচ্ছ নির্দেশিকা বৃহত্তর বেঞ্চের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) চত্বরে করা যাবে না মিটিং-মিছিল। সাঁটানো যাবে না পোস্টারও। মঙ্গলবার এই মর্মে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের তিন সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চ। কেবল তাই নয়, এই নির্দেশ কার্যকর করার ভার দেওয়া হয়েছে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের ওপর।

    বিচারপতি মান্থা…

    গত সোমবার থেকে বিচারপতি মান্থার (Justice Rajasekhar Mantha) বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন আইনীজীবীদের একাংশ। পরে বার কাউন্সিলের একাংশও বিচারপতি মান্থার এজলাস বয়কটের ডাক দেন। এই সোমবারও মান্থার এজলাসে উপস্থিত হননি আইনজীবীদের একাংশ। তাই থমকে গিয়েছে বহু মামলার শুনানি। বিচারপতি মান্থার বিরুদ্ধে যেভাবে হাইকোর্টে আইনজীবীদের বিক্ষোভ, বয়কট হয় এবং পোস্টার সাঁটানো হয়, তার সমালোচনা করেন বহু আইনজ্ঞ। মঙ্গলবার মামলাটি ওঠে হাইকোর্টের বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম, বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় এবং বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাশের বৃহত্তর বেঞ্চে। বেঞ্চ (Justice Rajasekhar Mantha) মামলাটির শুনানিতে বলে, খবর কাগজে পড়লাম যে কোর্ট চত্বরে প্রতিবাদ করা হয়েছে। তিনজন আইনজীবীকে দেখেছি প্ল্যাকার্ড নিয়ে। এটা ঠিক নয়। সবার আগে এটাই আপাতত মাথায় রাখা দরকার।

    এদিন বেঞ্চ গুচ্ছ নির্দেশ দিয়েছে। নির্দেশে বলা হয়েছে, হাইকোর্ট চত্বরে কোনও মিটিং-মিছিল করা যাবে না। পোস্টারও মারা যাবে না। এই নির্দেশ কার্যকর করার ভার দেওয়া হয়েছে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের ওপর। কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে বিচারপতির বাড়ির সামনে পোস্টার মারার ঘটনায় তদন্ত কত দূর। ২ ফেব্রুয়ারি মামলার শুনানি। তার আগে লেক থানা এবং কলকাতা হাইকোর্টের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অফ পুলিশের কাছে রিপোর্ট তলব।

    বিচারপতি মান্থার এজলাসের সামনে ৯ জানুয়ারির ঘটনায় সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে কিনা, তা জানতে তলব করা হয় রেজিস্ট্রার জেনারেলকে। তিনি জানিয়েছেন, ৯, ১০ ও ১১ জানুয়ারির ফুটেজ চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছে। সিসিটিভির ফুটেজ এবং স্টিল ছবি সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। বিচারপতির মান্থার বাড়ির সামনে পোস্টারিংয়ের ঘটনায় লেক থানার পুলিশকে তদন্তের যাবতীয় রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে। হাইকোর্ট চত্বর ও বিচারপতির বাড়ির সামনে যে পোস্টার লাগানো হয়েছিল, সেসব কোথায় ছাপানো হয়েছে, কারা সেগুলি লাগিয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তাও রিপোর্ট আকারে দিতে হবে পুলিশকে।

     

     

  • Justice Rajasekhar Mantha: ‘দোষী’ আইনজীবীদের চিহ্নিত করে মামলা, বিচারপতি মান্থা বিক্ষোভকাণ্ডে বলল হাইকোর্ট

    Justice Rajasekhar Mantha: ‘দোষী’ আইনজীবীদের চিহ্নিত করে মামলা, বিচারপতি মান্থা বিক্ষোভকাণ্ডে বলল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাঁরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছিলেন, সেই আইনজীবীদের চিহ্নিত করে বিচার করা হবে। মঙ্গলবার জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এদিন হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Justice Rajasekhar Mantha) বিরুদ্ধে আইনজীবীদের একাংশের বিক্ষোভের ঘটনার মামলার শুনানি ছিল হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে। সেই বেঞ্চেই এ বিষয়ে মন্তব্য করেন বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। তিনি বলেন, আমরা প্রথমে ওই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখব। কোন কোন আইনজীবী ওই দিনের ঘটনায় যুক্ত ছিলেন, তা চিহ্নিত করা হবে। নির্দিষ্ট করে তাঁদের বিরুদ্ধেই আদালত অবমাননার মামলা করা হবে। বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় বলেন, নির্দিষ্ট করে কোনও আইনজীবীকে এখনও পর্যন্ত শনাক্ত করা হয়নি। ওই আইনজীবীদের শনাক্ত করতে সিসিটিভি ফুটেজ দেখা হবে।

    নেপথ্য কথন…

    প্রসঙ্গত, গত সোমবার থেকে বিচারপতি মান্থার (Justice Rajasekhar Mantha) বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন আইনীজীবীদের একাংশ। পরে বার কাউন্সিলের একাংশও বিচারপতি মান্থার এজলাস বয়কটের ডাক দেন। এই সোমবারও মান্থার এজলাসে উপস্থিত হননি আইনজীবীদের একাংশ। তাই থমকে গিয়েছে বহু মামলার শুনানি। অথচ বিচারপতি মান্থার এজলাসেই রয়েছে রাজ্যের বিচারাধীন বেশ কয়েকটি মামলা। তার অনেকগুলি বেশ গুরুত্বপূর্ণও। এমতাবস্থায় আদালত চত্বরে বিচারপতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানোর বিচারপ্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে জানিয়ে গত মঙ্গলবার আদালত অবমাননার রুল জারি করেন বিচারপতি মান্থা। তার জেরে মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে।

    এদিকে, এদিন রেজিস্ট্রার জেনারেলকে এজলাসে ডেকে পাঠায় বিশেষ বেঞ্চ। তাঁকে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, পুলিশের অ্যাসিস্টান্ট কমিশনার সিসিটিভির ফুটেজ দিয়েছেন মুখবন্ধ খামে। তবে তথ্য প্রযুক্তি আইন মেনে তা দেওয়া হয়নি। এদিন বিচারপতি মুখোপাধ্যায় বলেন, যা হয়েছে খুবই খারাপ ঘটনা। আমাদের সবাইকে চিহ্নিত করা দরকার। তবে কোনও ভুল ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হন। এদিনই অবশ্য হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল এসে রিপোর্ট জমা দেন। এদিকে বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার প্রতিনিধি দল কলকাতা হাইকোর্ট ও যোধপুর পার্কে বিচারপতি মান্থার (Justice Rajasekhar Mantha) বাড়ির আশপাশের এলাকা পরিদর্শন করে গিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।

     

  • C V Ananda Bose: আজ উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকে আচার্য্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস! কী নিয়ে আলোচনা?

    C V Ananda Bose: আজ উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকে আচার্য্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস! কী নিয়ে আলোচনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ কিছুক্ষণের মধ্যেই রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় রাজভবনে রাজ্যপাল এবং উপাচার্যদের বৈঠকে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও উপস্থিত থাকবেন। রাজ্যের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে নিয়ে বৈঠকে বসার আগ্রহ আগেই প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যপাল। উচ্চশিক্ষা দফতরের আইন মেনে উচ্চশিক্ষা দফতরের মাধ্যমে উপাচার্যদের বৈঠকে আমন্ত্রণ জানান রাজ্যপাল। ইতিমধ্যে উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফে ই-মেইল করে সব উপাচার্যদের একথা জানানো হয়েছে।

    আইন মেনে বৈঠক

    রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে উপাচার্য নিয়োগ থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির প্রশাসনিক কাজকর্ম নিয়েও রাজভবনের সঙ্গে বারে বারে সংঘাতে জড়িয়েছে রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতর তথা রাজ্য।তবে এবার উপাচার্যদের বৈঠকে ডাকা নিয়ে আইন মেনে চলায় রাজভবনের তরফে আর কোন বিতর্ক থাকছে না। এক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, “উচ্চশিক্ষা দফতর মারফত ই-মেল এসেছে বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য। অবশ্যই আমরা যাব। নিয়ম মেনেই তো বৈঠক ডাকা হয়েছে।” 

    আরও পড়ুন: কলেজিয়ামে সরকারি প্রতিনিধি রাখতে চায় কেন্দ্র, প্রধান বিচারপতিকে চিঠি রিজিজুর

    রাজ্যের শিক্ষা দুর্নীতি নিয়ে সরব বিরোধীরা। এমনকী এই নিয়ে সদ্য রাজ্যপালের কাছে নালিশ ঠুকে এসেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তারপরই সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে নিয়ে বৈঠকে বসার আগ্রহ দেখালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনি গোটা বিষয়টি সরেজমিনে বুঝে নিতে চান। তাও শান্তিপূর্ণ আবহে। সংঘাতের আবহ ত্যাগ করে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে বিশ্বাসী তিনি। তাই আইন মেনে উচ্চশিক্ষা দফতরের মাধ্যমে উপাচার্যদের বৈঠকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রাজ্যপাল। রাজভবন সূত্রে খবর বিশ্ববিদ্যালয় গুলি সম্পর্কে রাজ্যপাল পরিচিত হতে চাইবেন এই বৈঠকে। রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী উপাচার্য নেই। সার্চ কমিটির মাধ্যমে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য নিয়োগের জন্য ফের তৎপরতা শুরু করেছে রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতর। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের জন্য ইতিমধ্যে সার্চ কমিটি গঠনও হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Weather Forecast: রাত থেকে রাজ্যের বেশ কিছু জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা, জানাচ্ছে হাওয়া অফিস

    Weather Forecast: রাত থেকে রাজ্যের বেশ কিছু জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা, জানাচ্ছে হাওয়া অফিস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ রাত থেকেই ভিজতে পারে দক্ষিণবঙ্গ (Weather Forecast)। দুই মেদিনীপুর-সহ দক্ষিণ ২৪ পরগণায় ১৭ এবং ১৮ জানুয়ারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে আগামী পাঁচ দিন বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। ১৭, ১৮, ১৯ জানুয়ারি দার্জিলিঙে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। ১৮ জানুয়ারি হালকা বৃষ্টি হতে পারে কালিম্পঙে। পাহাড় ছাড়া উত্তরবঙ্গের সমতলের জেলাগুলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।

    কী জানাচ্ছে হাওয়া অফিস? 

    আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদায় আগামী এক সপ্তাহে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। সিকিমে তুষারপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর (Weather Forecast)। 

    আগামী কয়েকদিনে উত্তরবঙ্গে ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস নামতে পারে রাতের তাপমাত্রা। কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, মালদায় হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা দেখা যেতে পারে। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আগামী কয়েকদিন হালকা কুয়াশা (Weather Forecast) থাকবে। গাঙ্গেও পশ্চিমবঙ্গে তাপমাত্রায় খুব একটা পার্থক্য হবে না। 

    আগামী ১৮ জানুয়ারি কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকতে পারে। সকালের আকাশ থাকবে কুয়াশাচ্ছন্ন (Weather Forecast)। এরপর ১৯  এবং ২০ জানুয়ারিতেও সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কোনও হেরফের হবে না। এই দুই দিন কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে যথাক্রমে ২৫ ও ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  

    আগামী ২১ জানুয়ারি শহর কলকাতায় পারদ চড়তে পারে। শনিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (Weather Forecast) বেড়ে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে। সেইদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২২ জানুয়ারি রবিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যেতে পারে ২৮ ডিগ্রির কাছে। আগামী ১৯ থেকে ২২  জানুয়ারি কলকাতার আকাশ মূলত পরিষ্কার থাকবে।

    আরও পড়ুন: মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী! আবদুল রহমান মাক্কিকে ‘গ্লোবাল টেরোরিস্ট’ ঘোষণা রাষ্ট্রসংঘের

    কলকাতা ও তার আশেপাশের অঞ্চলে মঙ্গলবার সকালে আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন (Weather Forecast) থকাবে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আকাশ পরিষ্কার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ২৪ ডিগ্রির কাছাকাছি। আগেরদিন অর্থাৎ সোমবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৩.৬ ডিগ্রি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার সর্বোচ্চ পরিনমাণ ৮৮ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন পরিমাণ ৫০ শতাংশ ছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

         

  • Didir Doot: বিক্ষোভের মুখে ‘দিদির দূত’, জনরোষের ভয়ে গাড়ি থেকে নামলেনই না বিধায়ক

    Didir Doot: বিক্ষোভের মুখে ‘দিদির দূত’, জনরোষের ভয়ে গাড়ি থেকে নামলেনই না বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জনরোষের ভয়ে দিদির দূত (Didir Doot) কর্মসূচিতে গিয়ে গাড়ি থেকে নামলেনই না বীরভূমের মুরারই বিধানসভার বিধায়ক (MLA) মোসারফ হোসেন। তাই অভিযোগই জানাতে পারলেন না স্থানীয়রা। ঘটনার জেরে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ মুরারইয়ের গোপালপুর গ্রামে।

    পুলিশের বাধায় দিদির দূত…

    এদিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের হেড়োভাঙা এলাকায় দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচির প্রচারে বেরিয়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন দিদির দূতেরা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার সকালে হেড়োভাঙা এলাকায় দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচির প্রচারে গিয়েছিলেন দিদির দূতেরা। অভিযোগ, সেখানে আগে থেকেই মোতায়েন করা হয়েছিল পুলিশের বিশাল বাহিনী। এলাকায় যাতে দিদির দূতেরা ঢুকতে না পারেন, তার জন্য হেড়োভাঙা বাজারে কয়েকজন তাঁদের বাধা দেন। যাঁরা বাধা দিচ্ছিলেন তাঁরা তৃণমূলেরই অন্য একটি গোষ্ঠীর লোকজন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠি উঁচিয়ে দিদির দূতেদের তাড়া করে পুলিশ। ঘটনার জেরে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তৃণমূলের একাংশ। গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মদন নস্কর বলেন, দিদি-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে দায়িত্ব আমাদের ওপর দিয়েছে, সেগুলিতে বাধা দিচ্ছে প্রশাসনই। দিদিকে আমি অভিনন্দন জানাই, হাততালি দিই। তিনি বলেন, দিদি এই ভিডিও ওখানে বসে বসে দেখুন, কারা অত্যাচার করছে আমাদের প্রতি। পুলিশ প্রশাসন আমাদের কুকুরের মতো তাড়া করছে, দিদি দেখুন।

    আরও পড়ুুন: ‘জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে সবই করবে ভারত’, চিনকে ফের হুঁশিয়ারি জয়শঙ্করের

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জনসংযোগ বাড়াতে দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচি হাতে নেয় তৃণমূল। দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশে এই কর্মসূচি রূপায়নে মাঠে নেমে পড়েন দিদির দূতেরা (Didir Doot)। নানা জায়গায় বিক্ষোভের মুখেও পড়ছেন তাঁরা। পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন অর্জুন সিং। বীরভূমের রামপুরহাটের মাড়গ্রামে গিয়ে একই পরিস্থিতির শিকার হন শতাব্দী রায়। বীরভূমেরই বালিজুরি গ্রাম পঞ্চায়েতের কুখুটিয়া গ্রামে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন দেবাংশু ভট্টাচার্য।  বাঁকুড়ায় বিক্ষোভের মুখে পড়েন তৃণমূলের তারকা নেত্রী সায়ন্তিকা ব্যানার্জি। মুর্শিদাবাদের সাংসদ আবু তাহের, ময়ূরেশ্বরের সাংসদ অসিত মাল ও বিধায়ক অভিজিৎ রায়ও পড়েন স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে। জন-ক্ষোভের সামনে পড়েছেন গলসিতে বিধায়ক নেপাল ঘোরুই, পটাশপুরে বিধায়ক অভিনেত্রী জুন মাল্য, নদিয়ায় বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং কোচবিহারের দিনহাটায় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ ও বুলুচিক বরাইক। বিক্ষোভের জেরে পশ্চিম মেদিনীপুরে কর্মসূচি বাতিল করে দেন কুণাল ঘোষ।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Gangasagar: আটকে থাকা গঙ্গাসাগর ফেরত ভেসেল যাত্রীদের উদ্ধার করল উপকূলরক্ষী বাহিনী

    Gangasagar: আটকে থাকা গঙ্গাসাগর ফেরত ভেসেল যাত্রীদের উদ্ধার করল উপকূলরক্ষী বাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মকর সংক্রান্তির পবিত্র স্নান সেরে গতকাল রাতে কচুবেড়িয়া থেকে গঙ্গাসাগর (Gangasagar) ফেরত যাত্রীদের নিয়ে কাকদ্বীপের ৮ নম্বর লটে আসছিল তিনটি ভেসেল। রাত দশটা নাগাদ যাত্রা শুরু করে ভেসেলগুলি। কিন্তু ঘন কুয়াশার কারণে সেগুলি মুড়িগঙ্গা নদীতে পথ হারিয়ে ফেলে এবং ঘোড়ামারা দ্বীপের কাছে একটি চড়ায় আটকে পড়ে এগুলি। গভীর রাতে ভেসেলের সন্ধান পায় প্রশাসন। প্রায় ৫০০ অধিক যাত্রী ব্যাপক শীতে গাদাগাদি করে খুবই কষ্টে রাত কাটায়। 

    আরও পড়ুন: রাতভর নদীর চড়ায় আটকে গঙ্গাসাগর ফেরত ভেসেল, ভোগান্তি পুণ্যার্থীদের

    যাত্রীদের কীভাবে উদ্ধার করা গেল

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এদিন সকাল সোয়া নটা নাগাদ দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসকের দফতর থেকে হলদিয়ায় উপকূলরক্ষী বাহিনীর (Indian Coast Guard) দফতরে ফোন যায়। সেখানে বলা হয়, কাকদ্বীপের কাছে চড়ায় দুটি ভেসেল আটকে পড়েছে। তাতে সওয়ার আছেন প্রায় ৫০০-৬০০ পুণ্যার্থী।  প্রসঙ্গত যে দুটি ভেসেল আটকে পড়েছিল – এমভি লচ্চামতী ও এমভি আগ্রামতী। সাগর মেলা প্রাঙ্গণ থেকে পুণ্যার্থীদের নিয়ে ওই দুটি ভেসেল কাকদ্বীপে ফিরছিল।

    আরও পড়ুন: মানত করে পুত্রলাভ! পশুপতিনাথে পুজো দিতে গিয়ে আর ফেরা হল না উত্তরপ্রদেশের সোনুর 

    তথ্য পেয়েই গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর (Indian Coast Guard) টিম। পৌনে দশটা নাগাদ আটকে পড়া ভেসেলগুলোর কাছে পৌঁছয় উদ্ধারকারী দল। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে তারা। স্থির হয় হোভারক্রাফটে করে পুণ্যার্থীদের উদ্ধার করা হবে। এর জন্য যারা আটকে পড়েছিলেন, তাদের গিয়ে আশ্বস্ত করে উপকূলরক্ষী বাহিনী। 

    হলদিয়া ও ফ্রেজারগঞ্জ থেকে দুটি হোভারক্রাফটে করে পালা পালা করে আটকে পড়া পুণ্যার্থীদের বের করে কাকদ্বীপে নিয়ে আসা হয়। দুপুর ১টা নাগাদ উদ্ধারকার্য শেষ হয়। মোট ৫১১ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে উপকূল রক্ষী বাহিনী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: আবাস যোজনার টাকা না ফেরালে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: আবাস যোজনার টাকা না ফেরালে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবাস যোজনার টাকা ফেরত না দিলে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার, হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মিড ডে মিল নিয়ে রাজ্য সরকারের (State Government) বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন তিনি। শুভেন্দুর অভিযোগ, মিড ডে মিলের জন্য পাঠানো কেন্দ্রের টাকা নিয়ে রাজ্য সরকার দুয়ারে সরকার ক্যাম্প (Duare Sarkar Camp) চালাচ্ছে। 

    আবাস যোজনা নিয়ে সরব

    বিজেপি সূত্রে খবর, রাজ্য কমিটির বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় জেলায় জেলায় বঞ্চিতদের তালিকা তুলে ধরে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়ানোর পাশাপাশি আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে শাসক দল তৃণমূল তথা সরকারকে কার্যত অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। নির্দিষ্ট গাইডলাইন উপেক্ষা করে গরিব মানুষদের বঞ্চিত রেখে তথাকথিত বড় লোকরা আবাস যোজনার বাড়ি পেয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির। এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “তৃণমূল নেতা-মন্ত্রী ঘনিষ্ঠরাই কাটমানির বিনিময়ে ঘর পেয়েছে শুধু নয়, আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পঞ্চায়েত এলাকার অনেক তৃণমূল নেতাও বাড়ি নিয়েছে। যাঁরা আবাস যোজনার আসল দাবিদার তাঁদেরকে বাদ দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী গরিবের বন্ধু, গরিবের জন্য বাড়ি, শৌচালয় দিয়েছেন। কিন্তু তৃণমূল, নিজের দলের লোক ছাড়া কাউকে আবাসের বাড়ি দেয়নি। যাঁদের পাকা বাড়ি, তাঁদের থেকে কাটমানি খেয়ে আবাসের তালিকায় নাম তুলেছে। প্রকৃত গরিবের সঙ্গে বঞ্চনা করা হয়েছে।” তিনি বলেন, মামলা করে বঞ্চিতদের সুযোগ পাইয়ে দেওয়ার লড়াই করবে বিজেপি। শুভেন্দুর কথায়, “কী করে টাকা ফেরত করাতে হয়,আমরা জানি। টাকা না ফেরালে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হবে।”

    আরও পড়ুন: গঙ্গা আরতি করতে হিন্দুদের কেন অনুমতি নিতে হবে? প্রশ্ন সুকান্ত মজুমদারের

    মিড ডে মিল দুর্নীতি প্রসঙ্গ

    ব্যারাকপুরে সাংগঠনিক জেলার অঞ্চল সম্মেলনে শুভেন্দু মিড ডে মিল নিয়েও তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হন। এদিন তিনি বলেন, “দু’বছর করোনা পর্বে সাড়ে ৯ কোটি কেজির চাল,স্যানিটাইজার,মাস্ক কেনার ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। মিড ডে মিলের অ্যাকাউন্টের টাকা ভারত সরকারের। এই টাকা পড়ে থাকলে সুদ হয়। সেই সুদের টাকাতে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকে আরও বিভিন্ন কর্মসূচি চালাচ্ছে রাজ্য সরকার”। এই বিষয়ে এদিন শুভেন্দু বলেন, “অপেক্ষা করুন। একের পর এক সব দুর্নীতি বেরিয়ে আসবে। এ নিয়ে কেন্দ্র থেকে প্রতিনিধি দল আসছে। তারা মিড ডে মিল সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখে সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেবে।” শুভেন্দু জানান, কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক এই বিষয়ে অডিট টিম পাঠিয়ে অনুসন্ধান করবেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • West Bengal Weather: ফের নামল পারদ! মাঘের শুরুতেই বৃষ্টির পূর্বাভাস

    West Bengal Weather: ফের নামল পারদ! মাঘের শুরুতেই বৃষ্টির পূর্বাভাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীত এখনই শেষ না। মকর সংক্রান্তিতে শহরে শীত উধাও থাকলেও ফের নিম্নমুখী পারদ। তবে পৌষ সংক্রান্তির পর তাপমাত্রার পারদ খানিকটা নামলেও, গত সপ্তাহের মত জাঁকিয়ে ঠান্ডার আমেজ একেবারেই নেই। রয়েছে হালকা শীতের আমেজ। আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবার এর সঙ্গে রয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাস। নতুন সপ্তাহে উত্তর থেকে দক্ষিণ, বাংলার সব প্রান্তে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে কলকাতায় তেমন বৃষ্টি হবে না বলে জানা গিয়েছে।

    কলকাতার আবহাওয়া

    সকালের দিকে কুয়াশা থাকবে। পরে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৬ ও ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। রবিবার এই তাপমাত্রা ছিল ১৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ এদিন এক ধাক্কায় তাপমাত্রা নেমেছে ৩ ডিগ্রি।

    বৃষ্টির পূর্বাভাস এই জেলাগুলোতে

    আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মাঘের শুরুতেই রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে।  আগামী ১৭ এবং ১৮ জানুয়ারি দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়াও উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া এই দুই জেলাতেও বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। এদিন গাঙ্গের পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। তবে বুধবার থেকে তাপমাত্রা ফের ঊর্ধ্বগামী হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

    আরও পড়ুন: মকর সংক্রান্তিতে উধাও শীতের আমেজ! বৃষ্টির পূর্বাভাস রাজ্যের এই জেলাগুলিতে

    অন্যদিকে উত্তরবঙ্গে ১৬, ১৭, ১৮ জানুয়ারি দার্জিলিং-এ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। ১৬, ১৭ জানুয়ারি হালকা বৃষ্টি হতে পারে কালিম্পং-এ। শুধুমাত্র আলিপুরদুয়ারে হালকা বৃষ্টি হতে পারে আজ, ১৬ জানুয়ারি। এছাড়া উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদায় আগামী এক সপ্তাহ আবহাওয়া প্রায় শুষ্ক থাকবে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ঘন কুয়াশার দাপট দেখা যাব। তবে আপাতত উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে রাতের তাপমাত্রার তেমন কোনও পরিবর্তন হবে না।

    তাপমাত্রা নামলেও জাঁকিয়ে ঠান্ডা নেই কেন?

    আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই একটি শক্তিশালী পশ্চিমী ঝঞ্ঝা রয়েছে। নতুন করে পরপর দুটি শক্তিশালী পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকবে উত্তর-পশ্চিম ভারতে। একটি বুধবার ও আরেকটি শুক্রবার। এছাড়াও উত্তর বঙ্গোপসাগরে রয়েছে একটি উচ্চচাপ বলয়। এই উচ্চচাপ বলয় থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম বাতাসে ভর করে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে। ফলে হাড়কাঁপানো শীত অনুভব করা যাচ্ছে না।

  • Dharmendra Pradhan: ‘এ রাজ্যের সরকারকে পরাস্ত করে প্রগতিশীল সরকার গড়ে তুলতে হবে’, বললেন ধর্মেন্দ্র প্রধান

    Dharmendra Pradhan: ‘এ রাজ্যের সরকারকে পরাস্ত করে প্রগতিশীল সরকার গড়ে তুলতে হবে’, বললেন ধর্মেন্দ্র প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী নির্বাচনে এ রাজ্যের সরকারকে পরাস্ত করে নতুন প্রগতিশীল সরকার গড়ে তুলতে হবে। সেই লক্ষ্যেই এ রাজ্যের বিজেপি (BJP) দল কার্যকর্তারা সঠিক কাজ করে চলেছেন বলে মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান (Dharmendra Pradhan)। রবিবার তিনি একথা বলেন। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এ রাজ্যের সরকারি ব্যবস্থা সঠিকভাবে কাজ করছে না। স্বচ্ছতা বজায় রাখছে না। এ জন্য বাংলায় ভ্রষ্টাচার বেড়েই চলেছে। বাংলার সরকারের ভ্রষ্টাচারী নীতি এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    জীবনের অধিকার সুরক্ষিত নয়…

    বঙ্গবাসীর জীবনের অধিকার সুরক্ষিত নয় বলেও মন্তব্য করেন ধর্মেন্দ্র প্রধান (Dharmendra Pradhan)। তিনি বলেন, এখানে মানুষের জীবনের অধিকার সুরক্ষিত নয়। ভারতবর্ষের গণতান্ত্রিক কাঠামোয় এ ধরনের ভ্রষ্টাচারি সরকারের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে বিরোধী আওয়াজ তুলতে হবে। আগামী নির্বাচনে এ রাজ্যের সরকারকে পরাস্ত করে নতুন প্রগতিশীল সরকার গড়ে তুলতে হবে। সেই লক্ষ্যেই এরাজ্যের বিজেপির কার্যকর্তারা কাজ করে চলেছেন।

    ভারতীয় জনতা পার্টির দক্ষিণ কলকাতা জেলা লোকসভা প্রভাস কার্যক্রমের জন্য শহরে উপস্থিত হয়েছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী। মন্ডল স্তর থেকে শুরু করে বিভিন্ন শাখা সংগঠনের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে এই বৈঠকে রুপরেখা তৈরি করা হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার যে সব জনকল্যাণমুখী কেন্দ্রীয় প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ হাতে নিয়েছে, সেই কাজের গতি এবং কাজ কতদূর সম্পন্ন হয়েছে, তা নিয়েও পর্যালোচনা করবেন তিনি।

    আরও পড়ুুন: বিক্ষোভের মুখে ‘দিদির দূত’, জনরোষের ভয়ে গাড়ি থেকে নামলেনই না বিধায়ক

    এদিকে, দেশে প্রধানমন্ত্রী পদের ভ্যাকেন্সি নেই বলে ট্যুইট করেছেন ধর্মেন্দ্র প্রধান (Dharmendra Pradhan)। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার এমনই মন্তব্য করেছিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অর্মত্য সেন। তবে তৃণমূল নেত্রীর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ নেই বলেই মন্তব্য করেন ধর্মেন্দ্র। ট্যুইটবার্তায় তিনি লেখেন, দেশে প্রধানমন্ত্রী পদের ভ্যাকেন্সি নেই। তৃণমূল নেত্রীর যোগ্যতা রয়েছে কিনা, সরাসরি সে প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে তালিকা অনেক বড় বলেও মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

LinkedIn
Share