Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Arup Chakraborty: এ কোন সংস্কৃতি! সুকান্ত-সুভাষকে কুরুচিকর আক্রমণ তৃণমূলের, তীব্র প্রতিক্রিয়া বিজেপির

    Arup Chakraborty: এ কোন সংস্কৃতি! সুকান্ত-সুভাষকে কুরুচিকর আক্রমণ তৃণমূলের, তীব্র প্রতিক্রিয়া বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুকান্তবাবু শুনে রাখুন, তৃণমূল কর্মীরা যেদিন হাত তুলবে, সেদিন আপনাদের জায়গা হবে হাসপাতালে। প্রকাশ্য সভায় এই ভাষায়ই বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumder) হুমকি দিলেন বাঁকুড়ার তালডাংরার বিধায়ক তৃণমূলের (TMC) অরূপ চক্রবর্তী (Arup Chakraborty)। সোমবার নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন অরূপ। পরে যোগ দেন প্রকাশ্য সভায়। সেই সভা থেকেই হুমকি দেন রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির সুকান্ত মজুমদারকে। ঘটনায় সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছে রাজ্যজুড়ে। রাজনৈতিক মহলের মতে, হুমকি দিয়ে বিরোধীদের দমিয়ে রাখার বাম জমানার সেই ট্র্যাডিশন চলছে তৃণমূল জমানায়ও।

    সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি…

    সোমবার বিকেলে নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন অরূপ (Arup Chakraborty)। তিনি বলেন, সুকান্তবাবুকে আমি বলি, আপনি অধ্যাপক, আপনি বাংলায় অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছেন। আপনি আপনাদের কর্মীদের উসকানি দিচ্ছেন। আপনি আগুনে ঘি ঢালছেন। এর পরেই তিনি বলেন, সুকান্তবাবু শুনে রাখুন, তৃণমূল কর্মীরা যেদিন হাত তুলবে, সেদিন আপনাদের জায়গা হবে হাসপাতালে।  

    এদিন সভা শেষে স্বপক্ষ সমর্থন করতে গিয়ে অরূপ বলেন, সুকান্তবাবুকে সংযত হওয়ার জন্য সতর্ক করা হল। আপনি নিজে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে ঘুরে বেড়িয়ে কর্মীদের লেলিয়ে দিচ্ছেন। বাংলায় অশান্তি হলে আপনাদের দেখা পাওয়া যাবে না। রাজ্য সরকারকেই তা সামলাতে হবে। অতি সম্প্রতি অরূপের (Arup Chakraborty) বিরুদ্ধে একাধিকবার প্ররোচনামূলক বক্তব্য রাখার অভিযোগ উঠেছে। গত সপ্তাহে আবাস যোজনা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বিডিওকে নিশানা করেন তিনি। তার আগেও একবার বিজেপির বিরুদ্ধে প্ররোচনামূলক বক্তব্য রাখতে শোনা গিয়েছিল তাঁকে। তার পরেও অবশ্য অরূপ রয়েছেন বহাল তবিয়তে। কোনও পদক্ষেপ করেনি তাঁর দল। ওই মঞ্চেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূলের ইন্দপুর ব্লক সভাপতি রেজাউল খাঁ নিশানা করেন  সাংসদ বিজেপির সুভাষ সরকারকে। তিনি বলেন, আপনি যদি কোথাও যান সেখানের জনগণ আপনার প্যান্ট খুলে নেবে।

    আরও পড়ুুন: ত্রিপুরা বিধানসভায় অর্ধেক আসনে লড়বে তৃণমূল, ‘পর্যটক’ বলে কটাক্ষ বিজেপির

    তৃণমূল নেতা অরূপের এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছে বিজেপি। পদ্ম নেতা রাহুল সিনহা বলেন, পুলিশকে পকেটে পুরে এই ধরণের বক্তব্য রাখা সহজ। পনের মিনিটের জন্য পুলিশকে সরিয়ে দিন, তার পর বোঝা যাবে অরূপবাবুদের পাশে কটা লোক আছে। তিনি বলেন, এভাবে পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে হিংসায় কার্যত উসকানি দিচ্ছেন তৃণমূলের নেতারা। দোরগোড়ার পঞ্চায়েত নির্বাচন। ওয়াকিবহালের মতে, সেই কারণেই বিরোধীদের চমকে, ধমকে এক তরফা ম্যাচ বের করতে চাইছে তৃণমূল। সেই কারণেই বিরোধীদের হুমকি দিচ্ছেন অরূপের (Arup Chakraborty) মতো পুলিশ পরিবৃত শাসক দলের নেতারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে গোপাল-কুন্তলকে মুখোমুখি জেরা! ১২ ঘণ্টা পর ইডির দফতর ছাড়লেন তাপসরা

    SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে গোপাল-কুন্তলকে মুখোমুখি জেরা! ১২ ঘণ্টা পর ইডির দফতর ছাড়লেন তাপসরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে প্রায় ১২ ঘণ্টা জেরার পর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট (ইডি)-র দফতর থেকে বেরোলেন মানিক ভট্টাচার্যের ‘ঘনিষ্ঠ’ তাপস মণ্ডল এবং গোপাল দলপতি। ইডি  সূত্রে খবর গোপাল দলপতির কাছে বেশ কিছু নথি চাওয়া হয়েছে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে সেই সমস্ত নথি জমা করতে হবে। 

    তাপস মণ্ডলের কথা

    রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে ইডি-র মুখোমুখি হতে মঙ্গলবার সকালে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে একসঙ্গে হাজির হন গোপাল এবং তাপস। মঙ্গলবার গভীর রাতে দু’জনকে ইডির অফিস থেকে বার হতে দেখা যায়। রাতে বেরোনোর সময় গোপাল প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তাপস মণ্ডল বলেন, “গোপালের সঙ্গে আমার দীর্ঘ চার বছর পর দেখা। ও যে বাইরে আছে সেটাও আমি জানতাম না।” তারপরই বিস্ফোরক অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, “ওর একটা অর্থলগ্নি সংস্থা ছিল। এরপর গ্রেফতার হয়ে তিহার জেলে চলে যায়। পরবর্তীকালে অফিসারাই আমায় জানান যে গোপাল বাইরে আছে। আপনি খোঁজ করুন।” একই সঙ্গে তাপস বলেন, “গোপাল আমার গ্রামের ছেলে। ২৮ জানুয়ারি আমি গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলাম মেদিনীপুরে, আমি ওর খোঁজ করে নিয়ে এসেছি। গোপালকে কুন্তলের সঙ্গে বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।”

    আরও পড়ুন: মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা! ইডির দফতরে গিয়ে দাবি গোপাল দলপতির

    গোপালের দাবি

    অন্যদিকে ইডির (ED) অফিস থেকে বেরোনোর সময় গোপাল বলেন, ‘‘তদন্তে আমি সাহায্য করছি। আবার যে দিন আমায় ডাকবে সে দিনই আসব।’’ কুন্তল বা শান্তনুর সঙ্গে লেনদেন সংক্রান্ত কোনও রকম চুক্তি হয়েছিল কি না সে প্রশ্নে গোপাল (gopal) বলেন, ‘‘এই রকম কোনও ডিল কখনও হয়নি। আমি এর আগে কুন্তলকে চিনতাম না। তাপসদাই পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন।’’ তিনি আরও জানান, কুন্তল (kuntal) এবং তাঁকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়েছে মঙ্গলবার। গোপাল বলেন, ” ও ওর বক্তব্য পেশ করেছে আমি আমারটা। কুন্তল বা শান্তনুর সঙ্গে কোনও রকমের চুক্তি ছিল না। কুন্তলের থেকে কোনও টাকা পেতাম না।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Mid Day Meal: কোথাও আরশোলা, তো কোথাও ঝুল! মিড ডে মিল অব্যবস্থায় ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয় দল

    Mid Day Meal: কোথাও আরশোলা, তো কোথাও ঝুল! মিড ডে মিল অব্যবস্থায় ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয় দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাপের পর এবার মিড ডে মিলের (Mid Day Meal) খাবারে পাওয়া গেল আরশোলা! মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনার এক অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের মিড ডে মিলের খিচুড়িতে পাওয়া গেল আরশোলা! এই মুহূর্তে যখন মিড ডে মিলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এসেছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল, ঠিক সেই সময় এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।  

    ঘটনাটি ঘটেছে চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের কুঁয়াপুর পঞ্চায়েতের ধামকুড়িয়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। ওই স্কুলের এক পড়ুয়ার বাবা সুমনবাবুর অভিযোগ, তাঁর ছেলের জন্য অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে কৌটোয় করে মিড ডে মিলের খিচুড়ি বাড়িতে নিয়ে যান। বাড়িতে গিয়ে কৌটো খুলতেই দেখ যায় খিচুড়ির মধ্যে আস্ত একটা আরশোলা (Mid Day Meal) পড়ে আছে! ওই অভিভাবক সঙ্গে সঙ্গে আরশোলা সমেত খিচুড়ি তিনি সঙ্গে সঙ্গে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে দেখান। সুমন রায়ের দাবি, তাঁর অভিযোগ পেয়ে ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সহায়িকা ও রাঁধুনি অন্যান্য শিশুদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মিড ডে মিলের খিচুড়ি খেতে নিষেধ করেন। এই ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়ায় ধামকুড়িয়া এলাকায়।

    এদিকে পরিদর্শনে গিয়ে স্কুলগুলির রান্নাঘরের (Mid Day Meal) পরিস্থিতি দেখে হতাশ কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। প্রতিনিধি দলের আসার কথা শুনে কর্মীরা অ্যাপ্রন, গ্লাভস পরে থাকলেও রান্নাঘরের বেহাল দশা। কারও হাতে আবার উলের গ্লাভল দেখে খুলে ফেলতে বললেন, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্য। আজ, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের স্কুলে নজরদারির সময় এরকমই নানা ছবি উঠে এল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার, রাজবল্লভপুর রঙ্গিলাবাঁধ রামলার মেমোরিয়াল হাইস্কুলে গিয়ে দেখা গেল চালের প্যাকেটে ঝুল রয়েছে।

    এর আগে, উস্তির শেরপুর রামচন্ত্রপুর হাইসকুলে যান কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি (Mid Day Meal) দলের সদস্যরা। এখানেও, হাতে উলের গ্লাভস পরে, রান্না করতে দেখা যায় মিড ডে মিলের কর্মীদের। যদিও তাঁদের বক্তব্য, তাঁরা সারা বছর একরম ভাবেই কাজ করে। এই গ্লাভসই দেওয়া হয় তাঁদের। মিড ডে মিলের নোডাল টিচারের কথায়, ব্লক থেকে আমাদের এগুলোই দেওয়া হয়েছে, তাই আমরা এগুলোই দিই। যেন রাতারাতি ভোল বদলে গিয়েছে রাজ্যের স্কুলগুলির।

    রাতারাতি ভোলবদল 

    এর আগে, সোমবার রাজারহাট এলাকার স্কুলে পরিদর্শন করতে গেলে কেন্দ্রীয় দল দেখতে পায়, যাঁরা রান্না করছেন, তাঁদের পরনে মাস্ক, টুপি, গ্লাভস, এমনকি অ্যাপ্রনও। স্কুলের রান্নাঘরও ঝাঁ-ঝকঝকে। কিন্তু মঙ্গলবারই সেই রান্নাঘরগুলির চেহারায় বিস্তর বদল এল। সেখানে পড়ুয়াদের জন্য খাবার তৈরির রান্নাঘরের মলিনতা চোখে পড়ল। অ্যাপ্রন, গ্লাভস, টুপি বা মাস্কের নামগন্ধ নেই কর্মীদের। সোমবার রান্নাঘর ও রন্ধনকর্মীদের অত্যুজ্জ্বল সাজসজ্জা যতটা আকস্মিক ও অস্বাভাবিক ঠেকেছিল, মহানগরীর অদূরের স্কুলে এ দিন যে-মলিনতা স্পষ্ট হল, তা-ও একই ভাবে অবাক করেছে।

    আরও পড়ুন: আইসিইটি- র আনুষ্ঠানিক সূচনা করলেন জ্যক সুলিভান এবং অজিত ডোভাল

    সোমবার আগাম জানান দিয়ে পরিদর্শনে গিয়েছিল কেন্দ্রীয় দল (Mid Day Meal) । মঙ্গলবার সাড়ে ১২টায় রাজারহাটেরই থাকদাঁড়ি অবৈতনিক প্রাথমিক স্কুলের রান্নাঘরে পৌঁছে দেখা গেল, রান্নায় ব্যস্ত দুই কর্মীর অ্যাপ্রন, টুপি, গ্লাভসের বালাই নেই। কেন নেই, প্রশ্ন করায় কর্মীরা জানালেন, সবই রাখা আছে। ভাত হয়ে গেলে, ডিমের ঝোল রান্নার আগে অ্যাপ্রন আর গ্লাভস পরে নেবেন। তাহলে কী কেন্দ্রকে বোকা বানাতে চাইছে রাজ্য সরকার? আর তাতেই রাতারাতি স্কুলগুলির রান্নাঘরের ভোল বদল? এখন সেই প্রশ্নই মুখে মুখে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Sukanta Majumdar:  রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুতে সরব সুকান্ত! জানেন কী বললেন তিনি?

    Sukanta Majumdar: রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক ইস্যুতে সরব সুকান্ত! জানেন কী বললেন তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় হারে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘ্য ভাতা দেওয়া নিয়ে সওয়াল করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “হাইকোর্ট একাধিকবার রাজ্য সরকারের গালে থাপ্পড় মারলেও সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ দিচ্ছে না রাজ্য।”

    সুকান্তর দাবি

    সোমবার গঙ্গা আরতি মামলায় জামিন পেলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (BJP Sukanta Majumdar)। সেই মামলায় আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে এই মত ব্যক্ত করেন তিনি। গত ১০ জানুয়ারি বাবুঘাটে বিজেপির গঙ্গা আরতি কর্মসূচি ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। এই ঘটনায় গ্রেফতার হন সুকান্ত মজুমদার-সহ ৮১ জন বিজেপি নেতা কর্মী। ঘটনার দিন থানা থেকে জামিন নিয়েছিলেন তাঁরা। তবে জামিনের শর্ত ছিল, বিচার ভবন থেকে নিয়ম মেনে জামিনের আবেদন করে জামিন নিশ্চিত করতে হবে। সেইমতো এদিন ৪৪ জন জামিন পেলেন। এদিন জামিন নিয়ে বেরিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের কী অবস্থা দেখুন। গঙ্গা আরতি করতে গেলেও তার জন্য মামলা হচ্ছে। আমি গঙ্গা আরতি করেছি বলে আমার নামে মামলা করা হয়েছে। তার জামিন আজ হল। আমার সঙ্গে আরও কয়েকজন কর্মীরও জামিন হল। এখনও ২৩ জনের জামিন হয়নি। আগামিদিনে হবে। আমরা দেখেছি ঔরঙ্গজেবও এক সময় এরকম করত। তবে আমরা লড়াই করতে জানি।”

    আরও পড়ুন: সরকারি বাসভবনে থেকেও পুলিশকর্তাদের একাংশ বাড়িভাড়া ভাতা পান কীভাবে? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    আদালত সূত্রে খবর, গঙ্গা আরতির সময় সুকান্ত মজুমদার-সহ ৮১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। তাতে সকলেই গ্রেফতার হয়েছিলেন। পরে পুলিশের কাছ থেকে জামিন পান। এদিন ৪৪ জন আত্মসমর্পণ করে, ‘রেগুলার বেল’ পেলেন। নিয়ম অনুযায়ী থানা থেকে ‘পিএস বেল’ পেলে ‘রেগুলার বেল’-এর জন্য আবেদন করতে হয়। সেখানে জামিন নিশ্চিত হয়। এদিন ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পান সুকান্তরা। এদিন তিনি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে কটাক্ষ করে বলেন, “বিজেপি গত নির্বাচনে ক্ষতায় আসার পর বলা হয়েছিল মুসলিমদের স্বার্থে আঘাত আসবে। তাদের মসজিদে ঢুকতে দেওয়া হবে না। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে মুসলিমদের অবস্থা দেখলেই বোঝা যাবে, এগুলি অপপ্রচার। “

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Gopal Dalapati: ‘আমি কলকাতাতেই আছি’, ইডি দফতরে নিজে ফোন করে জানালেন গোপাল দলপতি

    Gopal Dalapati: ‘আমি কলকাতাতেই আছি’, ইডি দফতরে নিজে ফোন করে জানালেন গোপাল দলপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নয়া মোড়। সোমবার দুপুরে গোপাল দলপতি (Gopal Dalapati) নিজেই ইডি দফতরে ফোন করে বলেন, “আমি কলকাতাতেই আছি”। তদন্তকারীদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন তিনি। ফোনে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বয়ান রেকর্ড করাতেও চান তিনি। এর পরই মঙ্গলবার সকাল ১০:৩০ মিনিটে তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করেন ইডি।

    কী জানা গেল?  

    ইডি তরফে জানা গিয়েছে, সোমবার বেলা ১টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে ফোন করেন গোপাল দলপতি (Gopal Dalapati)। ইডির তদন্তকারী আধিকারিকের সঙ্গে কথা হয় তাঁর। গোপাল বলেন, “কলকাতাতেই রয়েছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে কুন্তল ঘোষের তোলা যাবতীয় অভিযোগ ভিত্তিহীন।” ইডির কাছে বয়ান রেকর্ড করাতে চান তিনি। তদন্তকারী অফিসাররা মঙ্গলবার  সামনাসামনি কথা বলার কথা বলেন। 

    কুন্তল ঘোষের গ্রেফতারির পর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় উঠে আসে গোপাল দলপতির (Gopal Dalapati) নাম। কুন্তলের দাবি, তাপস মণ্ডল ও গোপাল দলপতি তাঁকে ফাঁসিয়েছে। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেন তাপস। তিনি জানান, গোপাল দলপতি পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দা, তাঁর পূর্ব পরিচিত। তাঁকেই চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা তোলার জন্য এজেন্ট নিয়োগ করেছিলেন কুন্তল ঘোষ।  

    এর পর বার বার কুন্তলের মুখে উঠে এসেছে গোপালের (Gopal Dalapati) নাম। এরপরেই গোপালের খোঁজে তল্লাশি চালায় গোয়েন্দা সংস্থা। জানা যায় জি নেট চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে ২০২০ সালের ১১ ডিসেম্বর তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। তার পর থেকে তিনি দিল্লির তিহাড় জেলের বাসিন্দা ছিলেন। গত বছর জামিনে মুক্তি পান গোপাল। তার পর থেকে তার অবস্থান জানে না কেউ। গোপালের হদিশ পেতে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুন: ‘মোদির জন্যেই সম্ভব হয়েছে’, কাশ্মীরে রাহুলের পতাকা উত্তোলনের পর দাবি বিজেপির

    কুন্তলের দাবি, গোপালের (Gopal Dalapati) মাধ্যমেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে টাকা পাঠাতেন তিনি। গোপালের সঙ্গে মাঝে মাঝে দেখা করতেন পার্থবাবুর সচিব। বিভিন্ন শপিং মলে হত সাক্ষাৎ। তখন টাকা ভর্তি ব্যাগ তাঁর হাতে তুলে দিতেন গোপাল। এবার দেখার মঙ্গলবার সিজিও কমপ্লেক্সে এসে কী বোমা ফাটান?

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Chicken Pox: বসন্ত না আসতেই জল বসন্তের প্রকোপ শহরে! জানেন কীভাবে একে ঠেকাবেন?

    Chicken Pox: বসন্ত না আসতেই জল বসন্তের প্রকোপ শহরে! জানেন কীভাবে একে ঠেকাবেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিকেন পক্সের (chickenpox) সংক্রমণ বাড়ছে কলকাতা। গত এক মাসে এই ভাইরাসঘটিত রোগে অন্তত সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট বলছে, শুধুমাত্র কলকাতাতেই গত এক বছরে চিকেন পক্সে প্রাণ গেছে ৩৫ জনের। আক্রান্ত দু’হাজারেরও বেশি। বাঁকুড়া, উত্তরবঙ্গ থেকেও সংক্রমণ ও মৃত্যুর খবর আসছে।

    রোগ সংক্রমণ

    আগে বলা হত, ছোটবেলায় একবার চিকেন পক্স হয়ে গেলে আর হবে না, শরীরে জীবনভরের জন‌্য তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধক্ষমতা তৈরি হয়ে যাবে। কিন্তু গত তিন বছরে ভিজেডভি (ভারিসেলা-জোস্টার ভাইরাস, যা কিনা চিকেন পক্সের জন‌্য দায়ী) সেই ধারণাকে ভুল প্রমাণ করেছে। তথ‌্য বলছে, রাজ্যের একমাত্র সংক্রামক ব‌্যাধির হাসপাতাল বেলেঘাটা আইডি’তে ভরতি জলবসন্ত রোগীদের ৯০ শতাংশই আগে এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছিল। চিকিৎসকদের মত, রোগীর সংস্পর্শে আসা অন্তত ৮০ শতাংশ মানুষ জলবসন্তে আক্রান্ত হতে পারে। তাই সচেতনতা ও সাবধানতাই আসল দাওয়াই।

    উপসর্গ

    চিকেন পক্স হলে আগে জ্বর হবে। পরের ২-৩ দিনের মধ্যে জ্বরের মাত্রা বাড়তে থাকবে। সেই সঙ্গে সারা শরীরে ব্যথা হবে। ছোট ছোট গুটির মতো র‍্যাশ বের হবে। খসখসে হয়ে যাবে ত্বক, চুলকানি হবে। সারা শরীর, মুখেও র‍্যাশ ছড়িয়ে পড়বে। ৫-৭ দিন পর্যন্ত র‍্যাশ বের হবে। পরে ধীরে ধীরে সেগুলিই জলভরা ফোস্কার মতো আকার নেবে। ফোস্কার ভিতরের রস ঘন হয়ে পুঁজের মতো হয়ে শুকিয়ে উঠবে।

    কীভাবে ঠেকাবেন

    তাপমাত্রার পারদ ওঠানামা করছে। কখনও ঠান্ডা লাগছে, কখনও আবার গরম। প্রকৃতির এই খামখেয়ালি আবহাওয়ায় শীতের শেষে বসন্তের হাত ধরে আসে চিকেন পক্স। এই সময়ে বাইরে বেরোলে মাস্ক ব্যবহার করলে ভাল। বাইরে বেরোলে লম্বাহাতা পোশাক পরা জরুরি। 

    আরও পড়ুন: অ্যান্টি এজিং জিন ১০ বছর পর্যন্ত কমাতে পারে হৃদয়ের বয়স, জানাচ্ছে গবেষণা

    চিকেন পক্সের ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলে এই রোগের প্রকোপ থেকে রেহাই মেলে।  চিকেন পক্স ঠেকাতে জন্মের ১০ বছরের মধ্যে টিকা নিতে হয়। তবে পোলিও, ডিপিটি-র মতো টিকাকরণের জাতীয় কমর্সূচি নেই। বেসরকারি হাসপাতাল বা স্বাস্থ‌্যকেন্দ্রে টিকা দেওয়া হয়। দু’বছর বয়সের আগে দু’টি ডোজ, ২ বছরের পরে একটা। এই তিনটি ডোজ দশ বছর বয়সের মধ্যে নিতে হবে

    শীত ও বসন্তের এই সন্ধিক্ষণে মাঝেমাঝেই সজনে ফুল, বাঁধাকপি, গাজর, নিম পাতা, টক দই খেতে পারেন। এই সময় বায়ুবাহিত নানা অসুখ ঠেকাতে ও শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এই খাবারগুলো অত্যন্ত উপকারী। প্রতি দিন অল্প করে হলেও খাদ্য তালিকায় এগুলি রাখুন। উপকার পাবেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Recruitment Scam: ‘কিছু দুষ্কৃতী মিলে রাজ্যটাকে ধ্বংস করে দেবে’, কুন্তল ঘোষ প্রসঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    Recruitment Scam: ‘কিছু দুষ্কৃতী মিলে রাজ্যটাকে ধ্বংস করে দেবে’, কুন্তল ঘোষ প্রসঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বলাগড়ের তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষের (Recruitment Scam) বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সম্প্রতি ইডির তল্লাশিতে কুন্তলের চিনার পার্কের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে টেটের ওএমআর শিট। সঙ্গে পাওয়া গিয়েছে অ্যাডমিট কার্ডও। আর তা দেখে বিস্মিত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়! মামলার শুনানি চলাকালীন তিনি বলেন, “কিছু দুষ্কৃতী রাজ্যটাকে ধ্বংস করে দেবে? কী হচ্ছে এটা? কী করে কুন্তলের কাছে ওএমআর সিট, অ্যাডমিট কার্ড পাওয়া যায়! ইডিকে ডেকে জিজ্ঞাসা করব।” সোমবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানিতে প্রাথমিক পর্ষদের তরফের  আইনজীবী জানান, কুন্তলের বাড়ি থেকে পাওয়া গিয়েছে ১৮৬টি ওএমআর সিট ও অ্যাডমিট কার্ড। বিষয়টি শুনেই ফুঁসে ওঠেন বিচারপতি। প্রশ্ন তোলেন, “কারা বসে রয়েছে পর্ষদে? কী করে হয় দুর্নীতি? কেউ নিজে কিছু করবে না, আবার আদালত করলে তাকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে। কাউকে রেয়াত করা হবে না। অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে দুর্নীতি ঢাকার চেষ্টা বরদাস্ত করা হবে না৷”

    তাপসের বয়ানেই গ্রেফতার কুন্তল 

    প্রসঙ্গত, গত ২০ জানুয়ারি বলাগড়ের আরেক তৃণমূল যুবনেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Recruitment Scam) বাড়িতে প্রায় ১২ ঘণ্টা তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি (Recruitment Scam)৷ একই দিনে তৃণমূত্র যুবনেতা কুন্তল ঘোষের নিউটাউনের দু’টি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালানো হয়৷ এরপর ২১ জানুয়ারি গ্রেফতার হন কুন্তল ঘোষ ৷ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে আগেই গ্রেফতার হয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য৷ তাঁর ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে একাধিকবার জেরা করেছে ইডি৷ তাঁর কাছ থেকেই হুগলির এই দুই তৃণমূল যুবনেতার সন্ধান পেয়েছেন তদন্তকারীরা। গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে একাধিকবার তাপস মণ্ডলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন কুন্তল। সাংবাদিকদের কাছে তিনি বার বার অভিযোগ করেন, “তাপস মণ্ডলকে ঘুষ দিইনি বলেই আজ আমার এই হাল হল৷” তাপস মণ্ডল তদন্তকারীদের কাছে জানিয়েছেন, নিয়োগ দুর্নীতির ১৯ কোটি টাকা কুন্তলের কাছে গিয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডির আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, কুন্তলের হাতেই রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে অন্তত ৩৫ জনের অবৈধ চাকরি হয়েছে।

    আরও পড়ুন: মমতার পাশে নেই কেষ্ট! অনুব্রত-হীন বীরভূমে মুখ বাঁচাতে নয়া কৌশল তৃণমূলের? 

    উল্লেখ্য, কুন্তল ঘোষ হুগলির বলাগড় অঞ্চলের (Recruitment Scam) প্রভাবশালী তৃণমূল যুবনেতা। নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে গত 21 অক্টোবর চিনারপার্কের একটি আবাসন থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। কুন্তলের হুগলি-সহ রাজ্যের অন্যান্য জেলাতে একাধিক বিএড কলেজ রয়েছে। সেই সুত্রেই মানিক ভট্টাচার্য-‘ঘনিষ্ঠ’ বিএড কলেজ সংগঠনের সভাপতি তাপস মণ্ডলের সঙ্গে পরিচয় হয় কুন্তলের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Justice Abhijit Ganguly: কুন্তলের বাড়ি থেকে উদ্ধার ওএমআর শিট! সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Justice Abhijit Ganguly: কুন্তলের বাড়ি থেকে উদ্ধার ওএমআর শিট! সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে ইডি ওএমআর শিট বাজেয়াপ্ত করল ধৃত হুগলির যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের বাড়ি থেকে। এর মধ্যে ৩০টি ওএমআর শিট ২০২২ সালের। বেশ কিছু পুরনো ওএমআর শিটও বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত তৃণমূল যুব নেতা কুন্তলের বিরুদ্ধে এই চাঞ্চল্যকর দাবি করে ইডি জানিয়েছে, কুন্তলের বাড়িতে তল্লাশি চলাকালীন তারা ১৮৯টি ওএমআর শিট পেয়েছে। আর এই বিষয়ে জানতেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পৃথকভাবে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেন। অন্যদিকে নিয়োগ দুর্নীতিতে এক অভিনেত্রীর নাম প্রকাশ্যে এসেছে, যাকে তিনটি ফ্ল্যাট কিনে দিয়েছেন কুন্তল। সেই প্রসঙ্গ এনেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন যে, সেই অভিনেত্রীর নাম জানিয়ে ইডিকে আদালতে হলফনামা জমা দিতে হবে।

    কুন্তলের বাড়ি থেকে ওএমআর শিট উদ্ধার

    এদিন ইডি জানিয়েছে, কুন্তলের বাড়িতে তল্লাশি চলাকালীন ১৮৯টি ওএমআর শিট পাওয়া গিয়েছে। সূত্রের খবর, আরটিআই-এর মাধ্যমে এই ওএমআর শিট পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন কুন্তল। তবে কেন আরটিআই করেছিলেন, তার কোনও জবাব দেননি কুন্তল। এই খবর জানতে পেরেই বিস্মিত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, “কিছু দুষ্কৃতী রাজ্যটাকে ধ্বংস করে দেবে। কী করে কুন্তলের কাছে গেল ওএমআর শিট, অ্যাডমিট কার্ড? কারা বসে রয়েছে পর্ষদে? কী করে হয় দুর্নীতি? কেউ নিজে কিছু করবে না, আদালত করলে তাকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে। কাউকে রেয়াত করা হবে না। অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে দুর্নীতি ঢাকার চেষ্টা বরদাস্ত নয়।”

    আরও পড়ুন: ‘কিছু দুষ্কৃতী মিলে রাজ্যটাকে ধ্বংস করে দেবে’, কুন্তল ঘোষ প্রসঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    এর পরেই তিনি এই বিষয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের স্পষ্ট নির্দেশ, কুন্তলকে হেফাজতে নিয়ে তদন্ত করতে হবে। কাদের ওএমআর শিট ওখানে মিলেছে, তাঁদের নাম ও রোল নম্বর ধরে তদন্ত করতে হবে। সবটাই তিন দিনের মধ্যে করতে হবে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে। হাইকোর্ট জানিয়েছে, প্রয়োজনে যাঁদের ওএমআর শিট মিলেছে তাঁদেরও হেফাজতে নিতে পারবে সিবিআই।

    অভিনেত্রীর প্রসঙ্গ এনে বিচারপতি কী বললেন?

    নিয়োগ দুর্নীতিতে এক অভিনেত্রীর নাম প্রকাশ্যে এসেছে বলে শুনেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সোমবার আদালতে তিনি নির্দেশ দেন, সেই অভিনেত্রীর নাম জানিয়ে ইডিকে আদালতে হলফনামা জমা দিতে হবে। আজ স্কুলে নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি চলাকালীন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডিকে এই নির্দেশ দেন তিনি। সম্প্রতি জানা গিয়েছে, কুন্তল এক অভিনেত্রীকে তিনটি ফ্ল্যাট কিনে দিয়েছেন, যা ভেঙে একটি বড় ফ্ল্যাট তৈরি করা হয়েছে। বিচারপতি সোমবার এজলাসে সেই প্রসঙ্গই টেনে এনেছেন। তিনি প্রশ্ন করেছেন, “নিয়োগ দুর্নীতিতে কোন অভিনেত্রী জড়িত? এই অভিনেত্রীকে দেখতে চাই। তাঁর সিনেমাও দেখতে চাই।”  

  • Amartya Sen: অমর্ত্যর বাড়ি সম্পর্কিত যে কাগজ মমতা দেখাচ্ছেন, তা অপ্রাসঙ্গিক, সাফ জানালেন উপাচার্য

    Amartya Sen: অমর্ত্যর বাড়ি সম্পর্কিত যে কাগজ মমতা দেখাচ্ছেন, তা অপ্রাসঙ্গিক, সাফ জানালেন উপাচার্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের (Amartya Sen) বাড়ি সম্পর্কিত যে কাগজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) দেখাচ্ছেন, তা প্রাসঙ্গিক নয়। মঙ্গলবার এই দাবি করলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Visva Bharati) কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বলেন, যে নথিপত্র মুখ্যমন্ত্রী দিয়েছেন, তা ভুল। কারণ এই জমিটা তাঁর বাবা আশুতোষ সেনের নামে। লিজ হোল্ড জমি কখনও যিনি গত হয়েছেন তাঁর নামে ট্রান্সফার হয় না। যে তথ্যটা মুখ্যমন্ত্রীর স্তাবকেরা তাঁকে দেয়নি।

    উপাচার্য বলেন…

    উপাচার্য বলেন, জমির মিউটেশন হয় ২০০৬ সালে। জমিটির মিউটেশন বাবদ ও প্রতি বিঘায় কর বাবদ রাজ্যকে দিয়েছেন ১৮ হাজার ৯৪০ টাকা। ৩৩ ডেসিমেলে এক বিঘা। যদি অমর্ত্য সেনের কাছে সেই জমিটা থাকতো, তাহলে উনি ১৩৮ ডেসিমেলের কর দিতেন। কিন্তু উনি তা দেননি। তাই উনি ভাল করে জানতেন যে ওঁর কতটা জমি রয়েছে। ২০০৬ সালে জমিটা ট্রান্সফার হয়। তখন সেই ডকুমেন্ট আমরা রাজ্য সরকারকে পাঠিয়ে দিই। উপাচার্য বলেন, গতকাল মুখ্যমন্ত্রী যে ডকুমেন্ট দেখিয়েছেন, সেখানে কোথায় অমর্ত্য সেনের নাম রয়েছে? সবটাই আছে আশুতোষ সেনের নামে। অমর্ত্য সেন আশুতোষ সেনের উত্তরাধিকার হওয়ার জন্য সেই জমিটা পেয়েছেন। জানি না মুখ্যমন্ত্রী কী করে বলছেন জমিটা অমর্ত্য সেনের নামে আছে? সরকারের সব তথ্য ভুল। জমিটা কিন্তু আমাদের। রাজ্য বলছে জমিটা ল্যান্ড ব্যাঙ্ক থেকে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু জমিটা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কিনেছিলেন।

    আরও পড়ুুন: ‘সবার আগে দেশ, সব থেকে আগে দেশবাসী’, বাজেট প্রসঙ্গে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    বিশ্বভারতীর উপাচার্য জানান, তাঁদের কাছে যে নথি রয়েছে, তাতে অমর্ত্য সেনের ১.২৫ একর জমিই রয়ছে। তিনি বলেন, অমর্ত্য সেনের কোনও অপমান হোক, সেটা চাই না। কারণ তিনি এখনও পর্যন্ত আলোচনায় বসে সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। উপাচার্য বলেন, সরকার পক্ষ, প্রশাসনের লোকজন থাকুন। বিশ্বভারতীর লোকজনও থাকুন। সবার উপস্থিতিতে জমির মাপজোক করা হোক। উপাচার্যের দাবি, বিশ্বভারতীর বিপুল পরিমাণ জমি দখল হয়ে গিয়েছে। নিয়ম মেনে সেগুলি উদ্ধারের চেষ্টাই তিনি করছেন বলে দাবি উপাচার্যের। সেই কারণেই উপাচার্য চান, ওই জমি ফিরিয়ে দিয়ে অন্যদের বার্তা দিন অমর্ত্য (Amartya Sen)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • SSC Scam: মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা! ইডির দফতরে গিয়ে দাবি গোপাল দলপতির

    SSC Scam: মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা! ইডির দফতরে গিয়ে দাবি গোপাল দলপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডির দফতরে হাজিরা দিলেন নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে বহুল চর্চিত নাম গোপাল দলপতি। মঙ্গলবার দুপুর ২টো নাগাদ ইডি দফতরে পৌঁছন তিনি। মুখে নীল মাস্ক, চোখে চশমা, পরনে সাদা শার্ট। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাপস মণ্ডল। নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ বারবার অভিযোগ করেছিলেন, টাকা নেননি তিনি। এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন গোপাল দলপতি। সেই গোপাল এবার নিজেই এলেন ইডির দফতরে বয়ান নথিভুক্ত করতে।

    গোপালের দাবি

    এদিন ইডি দফতরে ঢোকার আগে গোপাল বলেন,”আমি কারও কাছ থেকে কোনও টাকা নিইনি। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও চিনি না। আমার সঙ্গে কুন্তলের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন তাপসবাবু। কুন্তল আমার নামে যা বলছে সবই মিথ্যে ও ভিত্তিহীন।” গত ২১ জানুয়ারি কুন্তল ঘোষের গ্রেফতারির পর তাঁর মুখেই প্রথমবার প্রকাশ্যে আসে গোপাল দলপতির নাম। তার পর থেকে গোপালের খোঁজে ছিল ইডি। সোমবার নিজেই ইডি দফতরে ফোন করে বয়ান রেকর্ড করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি। মঙ্গলবার তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলেন ইডির গোয়েন্দারা। এর পর জানা যায় তাপস মণ্ডলের মধ্যস্থতায় গোপালের খোঁজ পেয়েছে ইডি। মঙ্গলবার সেই তাপস মণ্ডলের সঙ্গেই ইডি দফতরে ঢুকলেন গোপাল।

    আরও পড়ুন: বিপুল জনসমাগম! নেতাইয়ের সভা থেকে মমতা-অভিষককে আক্রমণ শুভেন্দুর

    মুখোমুখি জেরা

    বছর খানেক আগে এক চিটফান্ড মামলায় দিল্লি পুলিশ গ্রেফতার করে গোপাল দলপতিকে। সেই থেকে তিহার জেলে বন্দি ছিলেন তিনি। জানা যায়, পরে অবশ্য জামিনে মুক্ত পান তিনি। ইডি সূত্রের খবর, গোপাল দলপতি, তাপস মণ্ডল ও কুন্তল ঘোষকে এবার মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে। কী ভাবে কুন্তলের টাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছত, এই তিন জনকে জেরা করে সেই ছবি স্পষ্ট হবে বলে মনে করছেন ইডি আধিকারিকেরা। এদিন গোপালের বয়ান রেকর্ড করা হয়। তিনি যে বয়ান দেবেন সেটিকে সামনে রেখেই পরের দিকে কে সত্যি বলছেন সেটা জানার চেষ্টা করা হবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share