Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • RG Kar Incident: ‘‘আমার বাড়িতে আর কোনওদিন…’’, মমতার উৎসব-মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় নির্যাতিতার মা

    RG Kar Incident: ‘‘আমার বাড়িতে আর কোনওদিন…’’, মমতার উৎসব-মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় নির্যাতিতার মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর ঠিক এক মাস পরে পুজো। মা, আসবেন আগমনীর সুরে। শহরের বাতাসে কিন্তু এখনও বিদায়ের বিষাদ সুর। আরজি কর (RG Kar Incident) হাসপাতালের নৃশংস ঘটনারও এক মাস হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বিচার পায়নি ‘অভয়া’। বিচারের দাবিতে এখনও পথে নেমে আন্দোলন অব্যাহত। কেউ পুজো বয়কটের ডাক দিয়েছেন, আবার কারও কথায় পুজো পুজোর জায়গায়, তবে আন্দোলন চলবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য সোমবার সকলকে আসন্ন উৎসবে সামিল হওয়ার বার্তা দিয়েছেন। তাঁর এই মন্তব্যেই ভেঙে পড়েছেন নির্যাতিতার মা। তাঁর কথায়, ‘‘আমার দুর্গার বিসর্জন হয়ে গিয়েছে। আমার ঘরের প্রদীপ নিভে গিয়েছে।’’

    কী বললেন নির্যাতিতার মা

    আরজি করের (RG Kar Incident) নির্যাতিতার মা বলেন, ‘‘দেশের মানুষ আমার মেয়েকে নিজেদের মেয়ে বলে মেনেছে। এখন যদি তাঁরা উৎসবে ফিরতে চান তাহলে ফিরতে পারেন। আমার কিছুই বলার নেই। কিন্তু আমার বাড়িতে আর কোনওদিন দুর্গাপুজো হবে না। আগে হত, মেয়ে পুজোয় থাকত। আমার বাড়িতে আর কখনও পুজোর আলো জ্বলবে না।  প্রদীপের আলো চিরকালের মতো নিভে গিয়েছে।’’ এই প্রসঙ্গে তাঁর স্পষ্ট কথা, যতদিন বিচার পাবেন না, ততদিন তিনি পথে থাকবেন। একই সঙ্গে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে আবার ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘পুলিশ প্রশাসন আন্দোলনকে থামাতে উঠে-পড়ে লেগেছে। এক মাসে ২৩ জন রোগীর মৃত্যুর কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু সাধারণত আরও অনেক রোগী অনেক সময়ই মারা যায়। এর সঙ্গে আন্দোলনের কোনও সম্পর্ক থাকার কথা নয়।’’

    মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য

    নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, পুজোকে কেন্দ্র করে অনেক গরিবলোকের রুজি-রোজগার হয়। মনে রাখতে হবে অনেক বিদেশি অতিথিরা আসেন। সারা দেশ থেকে অনেক মানুষ আসেন। উৎসব কিন্তু সবার। তিনি বলেন, ‘‘এক মাস তো হয়ে গেল। আজ নয় তারিখ। এক মাস একদিন। ৩১ দিনের মাস গিয়েছে। আমি অনুরোধ করব, পুজোতে ফিরে আসুন, উৎসবে ফিরে আসুন।’’ 

    আরও পড়ুন: হাসপাতালে ‘থ্রেট কালচার’ ছড়ানোর অভিযোগে সন্দীপ ঘনিষ্ঠ ৫১ জনকে নোটিস

    ‘আন্দোলনই এখন জনসাধারণের মহোৎসব’  

    মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য কেউ ভালভাবে নেননি। ক্ষোভে ফেটে পড়েছে আম জনতা থেকে আন্দোলনকারীরা। রাত দখলের ডাক দিয়েছিলেন রিমঝিম সিং। মমতার সোমবারের বক্তব্য নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘জনসাধারণ এখন মহোৎসবেই রয়েছেন। কারণ, আন্দোলনকেই তাঁরা মহোৎসব বলে মনে করছেন। তাঁরাই তো ঠিক করবেন কোনটা উৎসব।’’ একই সঙ্গে রিমঝিমের দাবি, ‘‘এই আন্দোলন তো এই একটি ঘটনার জন্য নয়। ভবিষ্যতেও যাতে এমন না ঘটে, সেই দাবিতেই মানুষ পথে নেমেছেন। আন্দোলন থেকে যে সব দাবি উঠেছে, তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত রাজ্য প্রসাশন কোনও পদক্ষেপ করেনি। তাই মানুষই ঠিক করবেন, কোন উৎসবকে বেছে নেবেন তাঁরা।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: ‘থ্রেট কালচার’-এর অভিযোগ! আন্দোলনকারীদের প্রবল চাপে সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ ৫১ জনকে নোটিস

    RG Kar Incident: ‘থ্রেট কালচার’-এর অভিযোগ! আন্দোলনকারীদের প্রবল চাপে সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ ৫১ জনকে নোটিস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্দোলনকারীদের প্রবল চাপের মুখে কার্যত বাধ্য হয়ে সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ ৫১ জনের বিরুদ্ধে নোটিশ পাঠালেন আরজি কর কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ, এঁরা হাসপাতালের ভিতরে-বাইরে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করেছিলেন। এঁদের আচরণ হাসপাতালের গণতান্ত্রিক পরিবেশ রক্ষা করার পক্ষে অনুকূল নয়। এরকম ৫১ জন ডাক্তারের বিরুদ্ধে নোটিস জারি করল আরজি কর হাসপাতাল (RG Kar Incident) কর্তৃপক্ষ। তাঁদের ১১ সেপ্টেম্বর এনকোয়ারি তথা অনুসন্ধান কমিটির কাছে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে, কমিটির অনুমতি ছাড়া হাসপাতালের ক্যাম্পাসে তাঁরা ঢুকতেও পারবেন না। বুধবার তাঁদের সঙ্গে কথা বলে ওই চিকিৎসকদের নিয়ে পরবর্তী কথা ভাববে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

    ওই চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    সোমবার হাসপাতালে (RG Kar Incident) স্পেশাল কাউন্সিলের বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে একাংশ চিকিৎসক ও ছাত্রের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কলেজ কাউন্সিলিংয়ের বিশেষ বৈঠকে সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ সৌরভ পাল, আশিস পাণ্ডে, রোহন কুণ্ডু-সহ ৫১ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল, এই ৫১ জন সন্দীপ ঘোষের হয়ে আরজি করে থ্রেট কালচার তৈরি করেছিলেন। দাবির প্রেক্ষিতে ৫১ জনকে বুধবার তদন্ত কমিটির সামনে হাজির হ‌ওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ক্যাম্পাসে ভয়ের পরিবেশ তৈরি, পরীক্ষায় ছাত্রছাত্রীদের ফেল করানো, আর্থিক অনিয়ম, বিভাগীয় প্রধানদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। 

    আরও পড়ুন: লক্ষ্য পাক-চিনের মোকাবিলা, ১ লক্ষ ৪৫ হাজার কোটির অস্ত্র আসছে সেনার হাতে

    হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নোটিস

    হাসপাতাল (RG Kar Incident) কর্তৃপক্ষ যে নোটিস দিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে ৫১ জনের মধ্যে ২০ জন হলেন হাউজ স্টাফ। দুজন সিনিয়র রেসিডেন্ট, একজন রিসার্চ সায়েন্টিস্ট, এগারো জন ইন্টার্ন। ওই নোটিসেই বলা হয়েছে, এই ৫১ জন ডাক্তার হাসপাতালের মধ্যে কোনও কার্যকলাপে আপাতত থাকতে পারবেন না। একমাত্র এনকোয়ারি কমিটি ডাকলে তবেই তাঁরা হাসপাতালে ঢুকতে পারবেন। ক্যাম্পাসে ঢোকার ক্ষেত্রেও তাঁদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘টাকার কথা বলিনি’ মন্তব্য মমতার, ‘মিথ্যাবাদী মুখ্যমন্ত্রী,’ প্রমাণ দিলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘টাকার কথা বলিনি’ মন্তব্য মমতার, ‘মিথ্যাবাদী মুখ্যমন্ত্রী,’ প্রমাণ দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিচার না চেয়ে উৎসবে ফিরতে বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর এই কথায় ফুঁসছে রাজ্য। অনেকেই বলতে শুরু করেছেন পুজোর অনুদান দেন বলে মুখ্যমন্ত্রী এমন ঔদ্ধত্যের কথা বলতে পারেন না। অন্যদিকে টাকার কথা বলিনি, মমতার এমন মন্তব্যে তাঁকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মিথ্যাবাদী বলে নিশানা করেছেন বিরোধী দলনেতা। এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন দুটি ভিডিও। একটিতে মমতা দাবি করছেন ১০ লাখ টাকা নির্যাতিতার পরিবারকে দিতে চেয়েছিলাম। অন্যটিতে মমতার দাবি, কোনও টাকার কথা বলেননি তিনি। এই দুটো ভিডিও পোস্ট করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লেখেন, ‘‘বাঙালির দুর্ভাগ্য, আপনার মতো একজন মিথ্যাবাদী, মুখ্যমন্ত্রীর পদে আসীন রয়েছেন। আর কতো মিথ্যে কথা বলবেন আপনি, এবার থামুন।’’

    নিজের আগের বক্তব্যই অস্বীকার করছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) পোস্ট করা ভিডিও (সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম) দেখে বোঝাই যাচ্ছে পুরোপুরি নিজের আগের অবস্থান থেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নিজের আগের বক্তব্যই অস্বীকার করছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।

    আপনি কি জনগণকে হাতের (RG kar Issue) পুতুল পেয়েছেন?

    সোমবার এক্স হ্যান্ডলে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) লিখেছেন, ‘‘মাননীয়া, আপনি কি জনগণকে হাতের পুতুল পেয়েছেন? আপনি উঠতে বললে উঠবে, বসতে বললে বসবে, উৎসবে মেতে উঠতে বললে মেতে উঠবে, আন্দোলন বন্ধ করতে বললে বন্ধ করে দেবে। এখনও তো দেবী পক্ষের সূচনা হয়নি, অসুরের বিনাশ বাকি রয়েছে। একটু ধৈর্য ধরুন, মাতৃশক্তি জাগ্রত (RG kar Issue) হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গকে স্বচ্ছ করেই ছাড়বেন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ! ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা

    Weather Update: বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ! ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত (Weather Update) ইতিমধ্যে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। সোমবারেই পুরীর উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। তাই যাঁরা বেড়াতে যাবেন ভেবেছেন, তাঁদের জন্য প্রবল বৃষ্টিপাতের সর্তকতা জারি করা হয়েছে। এদিকে শহর কলকাতায় সোমবারে সকাল থেকে বৃষ্টি নেমেছে। দক্ষিণবঙ্গের উপকূলের জেলাগুলিতে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে বলে জানা গিয়েছে। কলকাতায় সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

    উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা (Weather Update)

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ (Weather Update) ক্রমশ বাড়ছে। রাজস্থান থেকে ছত্তিশগড় পর্যন্ত একটি ঘূর্ণাবর্ত বিস্তৃত হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে বাঁকুড়া, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। একই ভাবে বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আবার উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, দুই দিনাজপুরে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। অপর দিকে সমুদ্র উপকূলে মৎস্যজীবীদের যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

    পুরী উপকূলে এই নিম্নচাপ

    মৌসম ভবন জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে তৈরি ঘূর্ণাবর্ত (Weather Update) ধীরে ধীরে উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে। প্রথমে গতিবেগ ৮ কিমি বেগে ঘণ্টায় থাকলেও শেষ ছয় ঘণ্টায় শক্তি অনেকটাই বাড়িয়েছে। আবার আইএমডি তরফ থেকে জানা গিয়েছে, পুরী উপকূলে এই নিম্নচাপ রয়েছে ৫০ কিমি দূরে। ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ৯০ কিমি দক্ষিণ এবং দক্ষিণ পূর্ব, গোপালপুর থেকে ১৪০ কিমি পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্বে, চাঁদবালি থেকে ১৭০ কিমি দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্বে, অন্ধ্রপ্রদেশের কলিঙ্গপতনম থেকে ২৪০ কিলোমিটার পূর্ব ও উত্তর পূর্ব এবং পশ্চিমবঙ্গের দিঘা উপকূল থেকে ২৯০ কিমি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত নিম্নচাপ। ওড়িশা এবং ছত্তিশগড়ে বৃষ্টির ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ অভয়ার গবেষণাপত্র ‘জোর করে’ দেওয়া হয় অন্যজনকে! এটাই কি বিবাদের কারণ?

    ৫৫ থেকে ৬৫ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া

    ইতিমধ্যে,পুরীর জন্য লাল সর্তকতা (Weather Update) জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। ২৪ ঘণ্টা ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ৫৫ থেকে ৬৫ কিমি বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। তবে কোথাও কোথাও ৭৫ কিমি বেগেও বইতে পারে হাওয়া। জগৎসিংহপুর, খুরদা, কটক এবং ঢেঙ্কানলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে না বলে জানিয়েছে। ৭ থেকে ২০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে গড়ে। ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবহাওয়া প্রতিকূল থাকবে। ফলে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে নামতে বারণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে পর্যটকদের সমুদ্রের জলে না নামার কথা বলা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: অভয়ার গবেষণাপত্র ‘জোর করে’ দেওয়া হয় অন্যজনকে! এটাই কি বিবাদের কারণ?

    RG Kar: অভয়ার গবেষণাপত্র ‘জোর করে’ দেওয়া হয় অন্যজনকে! এটাই কি বিবাদের কারণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar) কাণ্ডে সিবিআইয়ের কাছে তদন্তের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হল নির্যাতিতার গবেষণাপত্র। এই গবেষণার বিষয়ে জানতে সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা মৃতার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে কথাও বলেছেন বলে জানা গিয়েছে। মৃতার ওই গবেষণাপত্র জোর করে অন্যজনকে দিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলেই খবর। তদন্তকারীরা জানতে চেষ্টা করছেন সেখান থেকেই কি গন্ডগোলের সূত্রপাত! প্রসঙ্গত নির্যাতিতার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু জানিয়েছেন, স্নাতকোত্তর স্তরে একটি থিসিস পেপার তাঁদের জমা (RG Kar) দিতে হয়। ওই পেপারটি জমা দেওয়ার নিয়ম থার্ড ইয়ারে। কিন্তু প্রথম বছর থেকেই সেই কাজ শুরু করে দিতে হয়। নিয়ম অনুযায়ী, কোনও সহকারী অধ্যাপককে জানাতে হয় থিসিস লেখার বিষয়টি এবং লিখিত আকারে তা এথিক্স কমিটিতে পাঠানো হয়। এথিক্স কমিটি পাশ করলে গবেষণার সারমর্ম পাঠানো হয় স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখান থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পরেই শুরু করা যায় মূল গবেষণা। নির্যাতিতার এক বন্ধু ইতিমধ্যে দাবি করেছেন, দ্বিতীয় বর্ষের মাঝামাঝি হয়ে যাওয়ার পরে নির্যাতিতার থিসিস পেপারের কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তারই মধ্যে তা হাত বদল করে দেওয়া হয় এবং জোর করে অন্য একজনকে দিয়ে দেওয়া হয়। 

    ওই অধ্যাপক ও জুনিয়র ডাক্তার সিবিআইয়ের আতস কাচের তলায়

    ওই থিসিস পেপার অন্য একজনকে দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন এক অধ্যাপক। যাঁকে ওই থিসিস পেপার দেওয়া হয়েছিল এবং ওই অধ্যাপক- দুজনেই এখন সিবিআই-এর আতসকাচের তলায় (CBI)। জানা গিয়েছে, প্রভাবশালী এক ব্যক্তির ছেলেই এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। এখানেই বারবার সন্দেহ দানা বাঁধছে যে জোর করে থিসিস পেপার অন্য কাউকে দিয়ে দেওয়ার হল সেখান থেকেই কি গন্ডগোলের সূত্রপাত? মৃতার এক বিশেষ বন্ধুর বলছেন, ‘‘প্রভাবশালী এক জনের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ একটি ছেলে নানা কলকাঠি নেড়েছে। নানা দিক দিয়ে প্রভাব খাটিয়ে চাপ তৈরির চেষ্টা করেছে। এর প্রতিবাদ করার খেসারত দিতে হল কি না, সেটা তদন্ত করে বার করা হোক।’’

    কী বলছেন মৃতার বাবা

    মৃতার বাবা এ বিষয়ে বলেন, ‘‘অনেকেই জানতে চেয়েছেন, সন্দেহজনক কিছু দেখেছি কি না। মেয়ে কিছু বলত কি না। একটাই বিষয় আমাদের ভাবাচ্ছে। মেয়ে বলেছিল, ওর লেখা থিসিস পেপার (RG Kar) অন্য এক জনকে দিয়ে দেন ভিপি (ভিজিটিং প্রফেসর)। মেয়েকে তিনি হঠাৎ করে বলেন, তুই অন্য একটা বানিয়ে নিস। প্রথমে কিছু মনে হয়নি। আমার মেয়ে পড়াশোনায় যেমন ভালো ছিল, তাতে নতুন পেপার করা ওর জন্য কোনও ব্যাপার নয়। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, কী উদ্দেশ্যে এটা করা হতে পারে? তবে কি কারও নিশানায় পড়ে গিয়েছিল মেয়ে?’’

    ভেঙে পড়েছিলেন নির্যাতিতা (RG Kar)

    নির্যাতিতার অন্য এক বন্ধুর দাবি, ‘‘দ্বিতীয় বর্ষের মাঝামাঝি সময় হয়ে গিয়েছে বলে কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিল ওর গবেষণাপত্রের। এর মধ্যে হঠাৎ ওকে (মৃতাকে) ডেকে বলা হয়, তুই অন্য একটা বানিয়ে নিস। এই বিষয়টা ভালো, ওকে (মৃতা যে বর্ষের পড়ুয়া ছিলেন, সেই বর্ষেরই আর এক জনের নাম করে) দিয়ে দিচ্ছি। স্বাভাবিক ভাবেই ভেঙে পড়েছিল ও (মৃতা)।’’ তাঁর আরও দাবি, ‘‘সিনিয়রদের অনেক গবেষণাপত্র নিয়ে একটু অদলবদল করে কাজ চালিয়ে দিতেও দেখা গিয়েছে। কিন্তু এক জনের নিজস্ব ভাবনা অন্য এক জনকে দিয়ে দেওয়ার এই ব্যাপার আগে দেখিনি।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: ‘ডাক্তারদের এখন কোনও বদলির নির্দেশ নয়, নিশ্চিত করুক রাজ্য’, বলল শীর্ষ আদালত

    RG Kar Case: ‘ডাক্তারদের এখন কোনও বদলির নির্দেশ নয়, নিশ্চিত করুক রাজ্য’, বলল শীর্ষ আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Case) হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে কাজে যোগদানের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সোমবার নির্যাতিতার মামলার শুনানিতে এমন কথা বললেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। উল্লেখ্য গত ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ করে মহিলা চিকিৎসককে হত্যা করার পর থেকেই লাগাতার আন্দোলন করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। প্রায় এক মাস ধরে ন্যায় বিচারের দাবিতে লালবাজার অভিযান, স্বাস্থ্য ভবন অভিযান, অভয়ার ক্লিনিক, আলো বন্ধ করে প্রদীপ প্রজ্বলন এবং জনতার আদালত সহ একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করতে দেখা গিয়েছিল। তাঁদের সঙ্গে পা মিলিয়েছেন সাধারণ মানুষ।

    রাজ্য কোনও কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে না (RG Kar Case)  

    প্রধান বিচারপতি (Supreme Court) ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, সোমবার আরজি কর হত্যাকাণ্ড মামলার শুনানিতে বলেন, “ডাক্তারদের কাজ হল চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া। তাঁদের সুরক্ষার নির্দেশ আমরা দিয়েছি। জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে যোগদান করতে হবে, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ হবে না। আমরা আগেই একই কথা ঘোষণা করেছি। আগামিকাল মঙ্গলবার সকলকে কাজে যোগদান করতে হবে। রাজ্য সরকার তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবেন না। এরপর যদি কোনও চিকিৎসক কাজে যোগদান না করেন এবং রাজ্য সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন, তাহলে আমরা কোনও বাধা দিতে পারব না। কাজে যোগদান না করলে আমরা প্রত্যকের বিরুদ্ধে নোটিশ ইস্যু করব।’’

    ডাক্তারদের নিরাপত্তায় রাজ্যকে একগুচ্ছ নির্দেশ (Supreme Court)

    একইসঙ্গে ডাক্তারদের (RG Kar Case) নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্দেশে একগুচ্ছ নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। বলা বলেছে, আন্দোলনরত চিকিৎসকদের প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধার কথা জেনে রাজ্যকে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এদিন রাজ্যকে বলেন, “উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে হবে, যাতে চিকিৎসকরা আত্মবিশ্বাস ফিরে পান। ডিস্ট্রিক্ট কালেকটর ও পুলিশ সুপারকে নজর রাখতে হবে হাসপাতালগুলিতে। সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করবে।”  প্রধান বিচারপতি (Supreme Court) নির্দেশ দিয়েছেন, পুরুষ ও মহিলা চিকিৎসকদের জন্য পৃথক ডিউটি রুম রাখতে হবে। আলাদা টয়লেটের ব্যবস্থা করতে হবে। সিসিটিভি ক্যামেরা বসাতে হবে। প্রধান বিচারপতি রাজ্যকে বলেন, “নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। আমরা জানি, কী হচ্ছে না হচ্ছে। একইসঙ্গে নিশ্চিত করতে হবে, চিকিৎসকরা কাজে যোগ দিলে, তাঁদের বিরুদ্ধে বদলি বা এমন কোনও ব্যবস্থা যেন না নেওয়া হয়।”

    আরও পড়ুনঃ “চালান কই, চালান ছাড়া ময়নাতদন্ত হল কীভাবে?” প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের

    সুপ্রিম নির্দেশের পর বৈঠকে জুনিয়র ডাক্তাররা (RG Kar Case)

    অপর দিকে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) শুনানির প্রেক্ষিতে এইমসের ডাক্তাররা সাড়া দিয়ে আগেই কাজে ফিরলেও আরজি কর হাসপাতালের ডাক্তাররা (RG Kar Case) ন্যায় বিচারের দাবিতে অনড় ছিলেন। পশ্চিমবঙ্গের মেডিক্যাল কলেজ গুলিতে এখনও আন্দোলন এখনও চলছে। সোমবার ফের একবার জুনিয়র ডাক্তাররা জনিয়েছেন, “আমরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করিনি। শুনানিতে কিছুটা হতাশ আমরা। তা সত্ত্বেও, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েই বিবেচনা করতে হবে। কী সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়, তা এখনও স্থির হয়নি। আপাতত প্রতিটি কলেজ এবং হাসপাতালের আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা পৃথক পৃথক ভাবে একটি প্রাথমিক বৈঠক করবেন। এর পর বিকাল ৫টা নাগাদ আরজি কর-সহ সমস্ত মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক মিলে একটি সম্মিলিত জেনারেল বডি বৈঠক (জিবি) করা হবে। সেই বৈঠকের পরেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে।” আইএমএ-র সভাপতি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে মাথায় রেখে কাজে ফেরার অনুরোধ করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: যুবকের মৃত্যুতে মিথ্যাচার! ‘নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে অভিষেককে’, দাবি ডাক্তারদের

    RG Kar Case: যুবকের মৃত্যুতে মিথ্যাচার! ‘নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে অভিষেককে’, দাবি ডাক্তারদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্ষমা চাইতে হবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee)। তিনি মিথ্যাচার করেছেন। ঠিক এই দাবিতে গর্জে উঠেছেন আন্দোলনরত আরজি করের (RG Kar Case) জুনিয়র ডাক্তাররা। হুগলির কোন্নগরের এক যুবকের আরজি কর হাসপাতালে মৃত্যু হলে, তা নিয়ে সামজিক মাধ্যমে পোস্ট করেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। তিনি বলেন, যুবক নাকি বিনা চিকিৎসায় মারা গিয়েছেন, আর তাকে ঘিরেই ব্যাপক বিতর্কের দানাবাঁধে।

    অভিষেকের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ (RG Kar Case)

    জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টর্স, ওয়েস্ট বেঙ্গলের পক্ষ থেকে জুনিয়র ডাক্তাররা, তৃণমূল সাংসদ তথা সাধারণ সম্পাদক অভিষেকের (Abhishek Banerjee) বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলার অভিযোগ তুলেছেন। একই ভাবে নিঃশর্তে ক্ষমা চাওয়ার দাবিও করেছেন ডাক্তার সংগঠন। তৃণমূল নেতার বিনা চিকিৎসার তত্ত্বকে অস্বীকার করে বলেছেন, “সকাল ৯টা ১০ মিনিট থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত যুবকের দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যর সময় পর্যন্ত চিকিৎসা চলছিল। কাজেই তৃণমূল নেতার দেওয়া তথ্য ভুল।” অপর দিকে আরজি কর (RG Kar Case) হাসপাতালে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়নি বলে দাবি করেছেন সুপার সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “যুবককে নিয়ম মেনে প্রয়োজনীয় সমস্ত চিকিৎসা করানো হয়েছিল। সমস্ত চিকিৎসার পরিষেবা তাঁকে দেওয়া হয়েছিল। অস্থিবিশারদ ও ট্রমা কেয়ারের টিমের সিনিয়র চিকিৎসকরা যুবকের চিকিৎসা শুরু করেছিলেন৷ বেশ কয়েকটি পরীক্ষাও করা হয়েছিল৷ সেই সংক্রান্ত যাবতীয় নথিও রয়েছে আমাদের কাছে।” জুনিয়র ডাক্তাররা সেইসঙ্গে বলেন, “আমাদের কর্মবিরতি চললেও পরিষেবা কোনও রকম ভাবে বন্ধ নেই।”

    আরও পড়ুনঃ ‘‘মানুষকে কথা দিয়েছি…’’, মমতার অনুরোধ ফেরালেন জহর, জানিয়ে দিলেন কারণও

    অভিষেক কী বলেছিলেন?

    ৬ সেপ্টেম্বর নিজের এক্স হ্যান্ডলে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) বলেন, “৩ ঘণ্টা কোনও চিকিৎসা ছাড়াই আরজি করের রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন দুর্ঘটনায় আহত কোন্নগরের ওই যুবক। জুনিয়র ডাক্তারদের (RG Kar Case) দাবি ন্যায্য হলেও, প্রতিবাদ এমন ভাবে করা উচিত, যাতে জরুরি পরিষেবা ব্যাহত না হয়।” উল্লেখ্য যুবককে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় শ্রীরামপুর হাসপাতালে। সেখানে শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালের সুপার বলেন, বিক্রম ভট্টাচার্য নামে ওই যুবককে আরজি কর মেডিক্যালে (RG Kar Case) রেফার করাই হয়নি। তাঁকে পাঠানো হয়েছিল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে।” ফলে অভিষেকের মন্তব্যে ডাক্তার মহলে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jawhar Sircar: ‘‘মানুষকে কথা দিয়েছি…’’, মমতার অনুরোধ ফেরালেন জহর, জানিয়ে দিলেন কারণও

    Jawhar Sircar: ‘‘মানুষকে কথা দিয়েছি…’’, মমতার অনুরোধ ফেরালেন জহর, জানিয়ে দিলেন কারণও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মানুষকে কথা দিয়েছি। তাই আর ফেরা সম্ভব নয়।” মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) মুখের ওপর এ কথা বলে দিলেন প্রাক্তন আমলা তথা তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার (Jawhar Sircar)। রবিবার সাংসদ পদে ইস্তফা ও রাজনৈতিক জীবনে ইতি টানার কথা ঘোষণা করেন জহর। তার পরেই তাঁকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং।

    কী বললেন জহর? (Jawhar Sircar)

    বেশ কিছুক্ষণ কথা হয় দুজনের মধ্যে। তৃণমূল সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে পদত্যাগ না করতে অনুরোধ করেন। মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ সবিনয়ে প্রত্যাখ্যান করেন তিনি। সাফ জানিয়ে দেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে তাঁর পক্ষে আর সাংসদ পদে থাকা সম্ভব নয়। তাঁর ফিরতে না পারার কারণও ব্যাখ্য করেন প্রাক্তন আমলা।জানা গিয়েছে, ১১ সেপ্টেম্বর দিল্লি যাবেন তিনি। সেখানে উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করে ইস্তফাপত্র তুলে দেবেন জহর। তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে তাঁর কী কথা হয়েছে, সে বিষয়ে মুখ খোলেননি এই প্রাক্তন আমলা। শুধু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী আমায় ফোন করেছিলেন। আমার সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা হয়েছে। কিন্তু তাঁর সঙ্গে আমার এ বিষয়ে কী আলোচনা হয়েছে বা কী কথা হয়েছে, তা আমি প্রকাশ্যে বলব না।”

    সেই মমতা কই?

    দলনেত্রীকে পাঠানো চিঠিতে জহর (Jawhar Sircar) লিখেছেন, “গত এক মাস ধৈর্য ধরে আরজি কর হাসপাতালের ঘৃণ্য ঘটনার বিরুদ্ধে সবার প্রতিক্রিয়া দেখেছি আর ভেবেছি, আপনি কেন সেই পুরানো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে সরাসরি জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলছেন না। এখন সরকার যেসব শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে, তা এক কথায় অতি অল্প এবং অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।” প্রাক্তন এই আমলা লিখেছেন, “আমার বিশ্বাস, এই আন্দোলনে পথে নামা মানুষরা অরাজনৈতিক ও স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রতিবাদ করছেন। তাই রাজনৈতিক তকমা লাগিয়ে এই আন্দোলনকে প্রতিরোধ করা সমীচীন হবে না। এঁরা কেউ রাজনীতি পছন্দ করেন না। শুধু এক বাক্যে বিচার ও শাস্তির দাবি তুলেছেন।” জহর (Jawhar Sircar) লিখেছেন, “আমি আমার দায়িত্ব পালন করলাম। তবে আমার রাজ্যে (Mamata Banerjee) দুর্নীতি আর দলীয় নেতাদের একাংশের অন্যায় দাপট দেখে আমি হতাশাগ্রস্ত।”

    আরও পড়ুন: ‘সরকারের সিদ্ধান্তে সম্পূর্ণ সমর্থন’, বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের ইঙ্গিত ভাগবতের?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mohan Bhagwat: ‘সরকারের সিদ্ধান্তে সম্পূর্ণ সমর্থন’, বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের ইঙ্গিত ভাগবতের?

    Mohan Bhagwat: ‘সরকারের সিদ্ধান্তে সম্পূর্ণ সমর্থন’, বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের ইঙ্গিত ভাগবতের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Issue) উত্তাল হয়েছে রাজ্য। প্রশ্নের মুখে পড়েছে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা। এই আবহে কলকাতায় এসে আরজি কর কাণ্ড নিয়ে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। প্রসঙ্গত, রবিবারই সঙ্ঘ প্রধান হাজির ছিলেন জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়ির এক অনুষ্ঠানে সেখানেই তিনি বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন। তখনই একজন সঙ্ঘ প্রধানকে প্রশ্ন করেন, ‘‘আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Issue) রাজ্যের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়েছে। চিকিৎসকরা নিরাপত্তার অভাবে ভুগছেন, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে একাধিক দুর্নীতি সামনে আসছে। এনিয়ে কেন্দ্র সরকারের কি করা উচিত?’’ এই প্রশ্নের জবাবে সঙ্ঘ প্রধান (RSS) বলেন, ‘‘আরজি কর নিয়ে অনেকেই রাষ্ট্রপতি শাসনের কথা বলছেন, এবিষয়ে যা সিদ্ধান্ত কেন্দ্র নেবে। কেন্দ্রীয় সরকার যা সিদ্ধান্ত নেবে তাতে সম্পূর্ণ সমর্থন থাকবে সঙ্ঘের।’’ এনিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা, তবে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের ইঙ্গিত করলেন মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)? তবে সরাসরি তিনি অবশ্য রাষ্ট্রপতি শাসন নিয়ে কিছু বললেননি। সবটাই ছেড়েছেন কেন্দ্রের ওপর। উল্লেখ্য, আর জি কর হাসপাতালের ঘটনায় উত্তাল গোটা দেশ। নারী সুরক্ষা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বিরোধীরা পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তুলেছে। সেই প্রেক্ষিতে, মোহন ভাগবতের এই মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বটে।

    গোটা দেশ এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন (RSS)  

    আরজি কর নিয়ে কড়া পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের করা উচিত বলেও জানিয়েছেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। সরসঙ্ঘচালকের বক্তব্য, ‘‘যারা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব সরকারের।’’ আরএসএস (RSS) প্রধানের আরও দাবি, যে বা যারাই দোষী হোক, তাদের অবিলম্বে খুঁজে বের করে কঠোর সাজা দিতে হবে। মোহন ভাগবত বলেন, ‘‘গোটা দেশ এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন। যারা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব সরকারের। দোষীদের শাস্তি দিতে সরকার যা পদক্ষেপ করবে, তাতে পূর্ণ সমর্থন থাকবে।’’

    ভারতীয় সংস্কৃতি চিরকাল মাতৃশক্তির বন্দনা করে এসেছে

    সাংগঠনিক কাজে দু’দিনের সফরে শনিবারই কলকাতায় এসেছিলেন মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। বাংলায় এসে তিনি বলেন, ‘‘ভারতীয় সংস্কৃতি চিরকাল মাতৃশক্তির বন্দনা করে এসেছে। যখন সীতাহরণ হয়েছে, তখন রামায়ণ হয়েছে। দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ হওয়ায় মহাভারত হয়েছে। সেই ভারতে কী করে এই ঘটনা ঘটে?’’ সরসঙ্ঘচালকের স্পষ্ট কথা, ‘‘সাধারণ নাগরিকদের আরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: ‘‘বিনীতের অপসারণ নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিন’’, মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে নির্দেশ রাজ্যপালের

    RG Kar Incident: ‘‘বিনীতের অপসারণ নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিন’’, মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে নির্দেশ রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকে দ্রুত কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের অপসারণ নিয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার সন্ধ্যায় এমনই নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। রাজভবন সূত্রে খবর, রাজ্যপাল রবিবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তখনই এ কথা বলেছেন। রাজ্যপাল জানিয়েছেন, আরজি করে (RG Kar Incident) মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় প্রথম থেকেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তাই জনগনের দাবি মতো, পুলিশ কমিশনারকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক।

    সিদ্ধান্ত নিক নবান্ন

    প্রসঙ্গত, ঘটনার দিন নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। দেরি করে এফআইআর দায়ের করা হয় বলেও অভিযোগ। এর পর প্রতিবাদ কর্মসূচি চলাকালীন আরজি করে (RG Kar Incident) যখন ভাঙচুর চালানো হয়, তখনও পুলিশের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগের দাবি ক্রমে জোরালো হয়েছে। কিছু দিন আগে আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে সিপির পদত্যাগ চেয়ে লালবাজার অভিযান করেছিলেন চিকিৎসকেরা। লালবাজারের সামনে ধর্নায় বসেছিলেন তাঁরা। দীর্ঘ অপেক্ষার পর সিপির সঙ্গে তাঁরা দেখা করেন এবং স্মারকলিপি জমা দেন। রবিবার রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) সে বিষয়েই সিদ্ধান্ত নিতে বলেছেন রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী মমতাকে। আরজি কর আবহে জনতার দাবি প্রসঙ্গে সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে নবান্নকে। 

    আরও পড়ুন: ‘‘আশা করছি, বিচার পাব’’, সুপ্রিম-শুনানির আগে মন্তব্য নির্যাতিতার মায়ের

    মুখ্যমন্ত্রীকে নির্দেশ

    রাজ্যপাল জানিয়েছেন, আরজি করের (RG Kar Incident) ঘটনাকে কেন্দ্র করে সারা রাজ্যে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সরকার তাতে চুপ করে থাকতে পারে না। সরকারকে সংবিধান এবং আইনের শাসন মেনেই চলতে হবে। জনগণের দাবি মেনে নিতে হবে। রাজ্যপাল মনে করেন যে রাজ্য সরকার নিজেদের দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারে না। রাজ্যপাল বোস (CV Ananda Bose) বলেন, ‘সংবিধান ও আইনের মধ্যে থেকে রাজ্যের কাজ করা উচিত। সাধারণ মানুষের সমস্যার সমাধান করা উচিত রাজ্য সরকারের।’ মৃত মহিলা চিকিৎসকের বিচারের আশায় সাধারণ মানুষ যে দাবি জানিয়েছেন, সেটা নিয়ে আলোচনা করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল বোস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share