Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • SSC Scam: অঙ্কিতার থেকে প্রাপ্ত টাকা  ববিতাকে আলাদা করে রাখার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট

    SSC Scam: অঙ্কিতার থেকে প্রাপ্ত টাকা ববিতাকে আলাদা করে রাখার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মন্ত্রী কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর (Ankita Adhikari) কাছ থেকে পাওয়া ১৫ লক্ষ টাকা ববিতা সরকারকে আলাদা করে রাখার পরামর্শ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বৃহস্পতিবার ববিতা সরকারের চাকরির নিয়োগ মামলায় শুনানিতে বিচারপতি নির্দেশ দেন, অঙ্কিতা অধিকারীর বেতন বাবদ তাঁর থেকে পাওয়া ১৫ লাখ টাকা ববিতা যেন আলাদা করে ব্যাঙ্কে ফিক্সড ডিপোজিট করে রাখেন। কোনও কারণে মামলায় হার হলে ওই টাকা তাঁকে ফেরত দিতে হবে। ওই টাকা জমা দিতে হবে আদালতে। মামলার পরবর্তী শুনানি সোমবার।

    নম্বরে গরমিল

    হাইকোর্টের নির্দেশে সম্প্রতি চাকরি প্রার্থীদের নম্বরের তালিকা প্রকাশ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। তার পরই নম্বর নিয়ে বিভ্রাটের বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে আসে। দেখা যায়, মেরিট লিস্টে ববিতা সরকারের মোট প্রাপ্ত নম্বর ৭৭, যার মধ্য়ে অ্যাকাডেমিক স্কোর ৩৩। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী ববিতা সরকারের অ্য়াকাডেমিক স্কোর ৩১ হওয়ার কথা। সেখানে তাঁকে ৩৩ নম্বর দিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। এই দু’নম্বর হেরফের হওয়ার জন্য মেধা তালিকায় অনেক পরিবর্তন ঘটে যেতে পারে। ববিতা সরকারের বদলে উঠে আসতে পারে অন্য় কোনও দাবিদার চাকরিপ্রার্থীর নাম। তখনই ববিতা নন, তিনি চাকরির দাবিদার বলে এগিয়ে আসেন অনামিকা। মামলাও দায়ের করেন। অনামিকার বলেন, “২ নম্বর কমলে ১৪ জনের পিছনে চলে যাচ্ছেন ববিতা। ২১ নম্বরে আমার নাম রয়েছে। সেই নিরিখে চাকরিটি আমারই প্রাপ্য। 

    আরও পড়ুন: আরও ৫৯ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল, বন্ধ হবে বেতনও! নির্দেশ হাইকোর্টের

    এ প্রসঙ্গে ববিতা বলেন, “মিলিয়ে দেখলাম, ২ নম্বর বেশি হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে আমার আইনজীবীকে জানাই আমি। কমিশন কেন করল, জানি না। বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হবে। কারণ ২ নম্বর বেশি হলে আমার লড়াইটার বাস্তবতা থাকে না। আমার লড়াইটা অন্যায়ের বিরুদ্ধে, বেনিয়মের বিরুদ্ধে। আমি চাকরির দাবি কিন্তু করিনি।” ইতিমধ্যেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ববিতা। আদালত যা সিদ্ধান্ত নেবে, মেনে নেবেন বলে জানিয়েছেন। এদিনের শুনানি শেষে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী কী ভাবে অ্যাকাডেমিক বিভাগে পার্সেন্টেজ দেওয়া হয়, আর সংরক্ষিত প্রার্থীদের ৫ নাম্বার করে ছাড় কোন সময়ে দেওয়া হয়, সেই সব জানিয়ে হলফনামা জমা দিতে হবে এসএসসিকে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Vande Bharat Express: মজা করেই পাথর নিক্ষেপ বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে! জেরায় জানাল ধৃত তিন নাবালক

    Vande Bharat Express: মজা করেই পাথর নিক্ষেপ বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে! জেরায় জানাল ধৃত তিন নাবালক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিউ জলপাইগুড়ির কাছে মঙ্গলবার আপ বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে (Vande Bharat Express) পাথর ছোড়ার ঘটনায় (stone pelting case) গ্রেফতার (arrest) হল তিন নাবালক। তদন্ত শুরুর মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বিহারের (Bihar) কিষানগঞ্জ থেকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ এবং রেল সুরক্ষা বাহিনী (আরপিএফ) যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। এরপর তাদের কাটিহারের জুভেনাইল কোর্টে হাজির করা হয়।

    মজার ছলেই পাথর নিক্ষেপ

    আগেই পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এনে জানিয়েছিল, বাংলা নয়, বন্দে ভারতে পাথর ছোড়া হয়েছিল বিহার থেকে। চিহ্নিত করা হয় চার অভিযুক্তকেও। পরে রেলের কাটিহার শাখার তরফে জানা যায়, বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পাথর ছোড়ার ঘটনায় প্রথমে ৪ জনকে আটক করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এক জন পালিয়ে গিয়েছে বলেই দাবি রেল সূত্রে। ধৃতেরা সকলেই কিষানগঞ্জের পোঠিয়া থানার নিমলা গ্রামের বাসিন্দা। বয়স চোদ্দর মধ্যে। ট্রেনে পাথর ছোড়ার ঘটনার পর আরপিএফের পক্ষ থেকে অমিতকুমার বর্মা পোঠিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে তদন্তে নেমে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: রেকর্ড শীত কলকাতায়! মরশুমের শীতলতম দিনে কাঁপুনি ধরাল হাড়ে

    পুলিশি জেরায় ধৃতরা যা দাবি করেছে, তা শুনে রীতিমতো তাজ্জব অফিসাররা। নাবালকরা বলেছে, নেহাতই মজা করার জন্য ট্রেনে পাথর ছুড়ে মেরেছিল তারা। এছাড়া আর কোনও উদ্দেশ্য ছিল না। তবে এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই বন্দে ভারতের নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠে গেছে। ট্রেনে পাথর ছুড়ে মজা করার ঘটনা নতুন নয়। আগেও বহুবার এরকম ঘটেছে। কিন্তু রেলের তরফে সচেতনতা প্রচার চালিয়ে এই ঘটনা কিছুটা হলেও কমানো হয়। ১ জানুয়ারি থেকে বাংলায় চালু হয়েছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। কিন্তু এরপরই সোমবার এবং মঙ্গলবার পরপর দু’দিন ট্রেন লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ার ঘটনা ঘটে। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়। এনআইএ তদন্তের দাবি তোলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। যদিও তদন্তে নেমে দেখা যায়, ট্রেনে পাথর ছোড়ার পুরনো অভ্যেস থেকেই এই কাণ্ড ঘটেছে। তবে প্রথম দিন মালদার কাছে কারা বন্দে ভারত লক্ষ্য করে পাথর ছুড়েছিল তা এখনও সামনে আসেনি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Cattle Smuggling: ১৫০ অ্যাকাউন্টে সই একজনেরই! সিউড়ির ব্যাঙ্কে সিবিআই হানা, এখানেও কেষ্ট-যোগ?

    Cattle Smuggling: ১৫০ অ্যাকাউন্টে সই একজনেরই! সিউড়ির ব্যাঙ্কে সিবিআই হানা, এখানেও কেষ্ট-যোগ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বীরভূমের ব্যাঙ্কে হানা দিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি সিবিআই (CBI)। এর আগে গরু পাচার মামলার তদন্তে বোলপুরের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে হানা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বৃহস্পতিবার সিবিআইয়ের একটি বড় টিম পৌঁছল সিউড়ি সমবায় ব্যাঙ্কে। সূত্রের খবর, ওই ব্যাঙ্কে এমন অনেকগুলি অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে, যা বেনামে খোলা হয়েছে। প্রায় ১৫০টি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে বলে অভিযোগ। ওই সব অ্যাকাউন্টে প্রায় ১০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। তবে অবাক করা ব্যাপার, প্রতিটি অ্যাকাউন্টে সই একজনেরই। ফলে এই অ্যাকাউন্টগুলির সঙ্গেও তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের যোগ আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে কি এই অ্যাকাউন্টগুলোর সাহায্যেও গরু পাচারের (Cattle Smuggling) কালো টাকা সাদা করা হত? এমনটাই প্রশ্ন উঠছে রাজ্যবাসীর মনে।

    আরও পড়ুন: আরও ৫৯ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল, বন্ধ হবে বেতনও! নির্দেশ হাইকোর্টের

    খাদ্য দফতরেরও যোগসূত্র রয়েছে?

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই ব্যাঙ্কের আর্থিক লেনদেনে খাদ্য দফতরের যোগসূত্রও পাওয়া গিয়েছে। গরু পাচারের (Cattle Smuggling) কালো টাকা সাদা করার জন্য খাদ্য দফতরকেও ব্যবহার করা হয়েছে কিনা সেই প্রশ্নই সামনে আসছে। সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, গরীব মানুষদের কাছ থেকে অল্প দামে নগদে ধান কেনা হত ওই সব অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে। খাদ্য দফতরে যে চাল বিক্রি হয়েছিল অনুব্রতর মিল থেকে, সেই টাকা জমা পড়েছে এই অ্যাকাউন্টগুলিতে। কিন্তু কার সইয়ে এই লেনদেন হত, তা জানা যায়নি। এভাবে গরু পাচারের টাকা দিনের পর দিন সাদা করা হত বলে সন্দেহ গোয়েন্দাদের। আর এই সব তথ্য সংগ্রহ করতে এদিন ব্যাঙ্কে পৌঁছে যায় সিবিআই।

    সিবিআইয়ের ধমক ব্যাঙ্কের ম্যানেজারকে

    ওই সমবায় ব্যাঙ্কে গিয়ে ম্যানেজারকে ধমক দেন গরু পাচার কাণ্ডের তদন্তকারী সিবিআই আধিকারিক সুশান্ত ভট্টাচার্য। তিনি ম্যানেজারকে বলেন, ‘‘এক জন অপরাধীকে কালো টাকা সাদা করতে সাহায্য করছেন আপনি!” তিনি প্রশ্ন করেন, “কার নির্দেশে তা করা হয়েছে? অ্যাকাউন্ট খুলতে কে এসেছিলেন? আপনি নাম বলুন।” আবার সুশান্তবাবু ম্যানেজারকে সহযোগিতা না করলে গ্রেফতার করারও হুঁশিয়ারি দেন। ইতিমধ্যেই ব্যাঙ্কের সব লেনদেনও আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। এখনও পর্যন্ত প্রায় ১০ কোটির লেনদেনের তথ্য সামনে এলেও পরবর্তীতে টাকার পরিমাণ আরও বাড়বে বলে মনে করছে সিবিআই।

  • Kalyanmoy Ganguly: জামিনের আবেদন প্রত্যাহার করলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়

    Kalyanmoy Ganguly: জামিনের আবেদন প্রত্যাহার করলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন প্রত্যাহার করলেন শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় (Kalyanmoy Ganguly)। জামিনের আর্জি জানিয়ে মামলা করেছিলেন তিনি। কিন্তু শুনানি শেষ হওয়ার আগেই সেই মামলা প্রত্যাহার করে নিলেন তিনি। গতকাল মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতিকে (Kalyanmoy Ganguly) আবেদন প্রত্যাহারের সুযোগ দেয় আদালত। এর পরেই বৃহস্পতিবার আবেদন প্রত্যাহার করলেন তিনি।

    জামিনের আবেদন প্রত্যাহার কল্যাণময়ের

    গতকাল মৌখিক পর্যবেক্ষণে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী জানিয়েছিলেন, সিবিআই এই মুহূর্তে আর্থিক দুর্নীতির দিকটি খতিয়ে দেখছে, তাই কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে দুটি বিকল্প দেওয়া হল। হয় তিনি মামলা প্রত্যাহার করুন, না হলে তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করা হবে। তিনি কী করতে চান, সেটা বৃহস্পতিবারের মধ্যে আদালতে জানাতে হবে। তারপরই আজ জামিনের আবেদন প্রত্যাহার করলেন কল্যাণময় গাঙ্গুলি (Kalyanmoy Ganguly)। নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতির জামিনের আবেদন প্রত্যাহার নিয়ে ইচ্ছাপ্রকাশের কথা বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চে জানানো হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: গরু পাচার মামলায় ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত কেষ্ট ও সায়গলের

    প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের ভূমিকা এবং আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে তিনি যুক্ত কিনা, তা খুঁজে দেখার জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। কল্যাণময়ের বিরুদ্ধে এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চার্জশিট দিয়েছে সিবিআই। অযোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান ভূমিকা ছিল কল্যাণময়ের। এছাড়াও জানা গিয়েছিল, শান্তিপ্রসাদ সিনহার কাছ থেকে সুপারিশপত্র নিয়ে নিজেই সরাসরি নিয়োগপত্র দিতেন, এমনই অভিযোগ উঠেছে কল্যাণময়ের বিরুদ্ধে। আর এর ভিত্তিতেই গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে সিবিআই। ১০০ দিনেরও বেশি সময় ধরে জেলে রয়েছেন তিনি। এর পর সম্প্রতি হাইকোর্টে তিনি জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু আদালতের তরফে জামিন খারিজের কথা বলা হলে তিনি আগেই তাঁর জামিনের আবেদন প্রত্যাহার করে নেন।     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Contai Tender Scam: এবার ‘ভুয়ো’ এফআইআর! কাঁথি টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-নির্দেশ হাইকোর্টের

    Contai Tender Scam: এবার ‘ভুয়ো’ এফআইআর! কাঁথি টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার কাঁথি টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই মামলায় শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দুর ঘনিষ্ঠ রামচন্দ্র পান্ডার গ্রেফতারির ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। এই মর্মে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে আগামী পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে আদালতে রিপোর্ট জমার নির্দেশ দিয়েছে বেঞ্চ। যে এফআইআর-এর ভিত্তিতে রামচন্দ্রকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, সেই তৃতীয় এফআইআরের ওপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিয়েছে বেঞ্চ। রামচন্দ্রের জামিন মঞ্জুর করা হয়। একইসঙ্গে, অভিযোগকারিনীকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে আদালত।

    ঘটনার প্রেক্ষাপট কী?

    গত বছর, কাঁথি পুরসভার একটি টেন্ডার দুর্নীতি নিয়ে সরগরম হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। কারণ, ওই দুর্নীতির অভিযোগের তির ছিল শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দুর দিকে। ২০১৯-২০২০ সালে কাঁথি পুরসভার শ্মশানের সংস্কারের বরাত পেয়েছিলেন ঠিকাদার রামচন্দ্র পান্ডা, যিনি শুভেন্দু এবং অধিকারী পরিবারের ঘনিষ্ঠ বলে দাবি। অভিযোগ ওঠে, ভুয়ো শংসাপত্রের মালিক রামচন্দ্রকে বরাত দেওয়া হয়। রামচন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ, টেন্ডার পেয়েও তিনি কাজ শেষ করেননি। আরও অভিযোগ, ওই টেন্ডারে দেড় কোটির টাকার দুর্নীতি হয়েছে। 

    তৃতীয় এফআইআর ঘিরে সন্দেহ

    এই অভিযোগের ভিত্তিতে রামচন্দ্র পান্ডার বিরুদ্ধে তিনটি এফআইআর দায়ের হয়। প্রথম দুটি আগে দায়ের হয়েছিল। এরপর গত ২৮ ডিসেম্বর তৃতীয় এফআইআর দায়ের হয়। আর এই তৃতীয় এফআইআর ঘিরে তৈরি হয় যাবতীয় সন্দেহ। কেন? জানা যায়, তৃতীয় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ফ্রেন্ডস ইঞ্জিনিয়ার কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সম্পাদক কাকলি পান্ডা। যিনি আবার কাঁথি পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার শান্তনু পান্ডার স্ত্রী। আদালতে রাজ্য জানায় যে, কাকলির অভিযোগের ভিত্তিতেই রামচন্দ্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    আদালতে রামচন্দ্রের দাবি

    আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করেন রামচন্দ্র। হাইকোর্টে তিনি জানান, এই অভিযোগের পিছনে রাজনৈতিক কারণ রয়েছে। এর আগেও কয়েক বার অভিযোগ করা হয়েছিল। এখন যে এফআইআর করা হয়েছে তা সাজানো বলেও দাবি করেন তিনি। তিনি আরও জানান, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত হওয়ার দরুন তাঁকে রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার হতে হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ফের আরও এক রুশ নাগরিকের মৃত্যু হল রাশিয়ায়, এবার দেহ মিলল জাহাজে  

    কাকলির হলফনামা তলব আদালতের

    রামচন্দ্রের দাবির প্রেক্ষিতে অভিযোগকারিনী কাকলির হলফনামা তলব করে আদালত। তাতেই বেরিয়ে পড়ে আসল সত্য। রামচন্দ্রের দাবির সত্যতা রয়েছে বলে বুধবার আদালতে স্বীকার করে নেন কাকলি। তৃতীয় এফআইআর (Contai Tender Scam) সম্পর্কে আদালতে জমা দেওয়া হলফনামায় কাকলি জানিয়েছেন, গত বছর ২৫ ডিসেম্বর কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি তাঁকে জোর তুলে নিয়ে গিয়ে অভিযোগপত্র লিখিয়েছেন এবং তাতে সই করতে বাধ্য করেছেন। তিনি এও জানান, ওই অভিযোগপত্রে যা লেখা রয়েছে, তা তাঁর নিজের অভিযোগে ছিলই না। 

    আদালতের নির্দেশ

    কাকলির হলফনামার প্রেক্ষিতে পুলিশের ভূমিকায় বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি। তাঁর প্রশ্ন, “টেন্ডার দুর্নীতি নিয়ে পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারের স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার! এও কি সম্ভব?” এরপরই দায়ের হওয়া মামলার মামলার উপর স্থগিতাদেশ দেয় আদালত। সেইসঙ্গে, ভুয়ো এফআইআর-এর পিছনে প্রভাবশালী যোগ খুঁজতে সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি। পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে সেই রিপোর্ট আদালতে জমা দেবে সিবিআই। এদিকে, রামচন্দ্র পান্ডাকে নিঃশর্তে জামিন দেয় বিচারপতি মান্থার বেঞ্চ। একইসঙ্গে, এদিন থেকে রামচন্দ্র ও কাকলিকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা ২৪ ঘণ্টা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Adibasi: ‘আমরা অবহেলা ও চূড়ান্ত বঞ্চনার শিকার’, প্রতিবাদে ‘চাক্কা জ্যাম’ কর্মসূচি আদিবাসীদের

    Adibasi: ‘আমরা অবহেলা ও চূড়ান্ত বঞ্চনার শিকার’, প্রতিবাদে ‘চাক্কা জ্যাম’ কর্মসূচি আদিবাসীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাঁওতালি (Santali Language) মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নের দাবিতে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছিল আদিবাসী (Adibasi) সংগঠন ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল। তারা আরও জানিয়েছিল, সমস্যার সমাধান না হলে আন্দোলনে নামবে তারা। সেই মতো বুধবার ১২ ঘণ্টার চাক্কা জ্যাম কর্মসূচি পালন করল আদিবাসীদের ওই সংগঠন। এদিন সকাল ৬টায় শুরু পথ অবরোধ ওঠে সন্ধে ৬টায়। ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহলের চাক্কা জ্যাম কর্মসূচির জেরে এদিন স্তব্ধ হয়ে রইল পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়ার বিভিন্ন এলাকা। রাস্তা অবরোধের জেরে ভোগান্তির শিকার হন ওই চার জেলার বাসিন্দারা।

    ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল…

    ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহলের মূল দাবিগুলির মধ্যে রয়েছে সাঁওতালি মাধ্যমের স্কুলগুলিতে স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ, ভলান্টারি শিক্ষকদের পার্শ্বশিক্ষক হিসেবে নিয়োগ, প্রতিটি জেলায় সাঁওতালি মাধ্যমে কলেজ স্থাপন, সাধু রামচাঁদ মুর্মু বিশ্ববিদ্যালয়ে সাঁওতালি (Adibasi) মাধ্যমে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি কোর্স চালু, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সাঁওতালি নাচ ও গানের কোর্স চালু। ঝাড়গ্রামের প্রতিটি ব্লকে সাঁওতালি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন, বন্ধ হয়ে যাওয়া আদিবাসী হস্টেল চালু করা, ভুয়ো তফশিলি জাতি ও উপজাতির সংশাপত্র অবিলম্বে চিহ্নিত করে বাতিল করার দাবিও জানিয়েছে আদিবাসীদের ওই সংগঠন। বীরভূমের দেউচা-পাঁচামিতে কয়লা খনির জন্য আদিবাসীদের উচ্ছেদের বিরোধিতাও করেছে আদিবাসীদের ওই সংগঠন।     

    আরও পড়ুুন: “অযোগ্যদের চাকরি নিশ্চয়ই ভালোবেসে দেওয়া হয়নি”, কল্যাণময়ের জামিন প্রসঙ্গে বিচারপতি 

    ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহলের নেতা রাইসেন হাঁসদা বলেন, ২০০৮ সাল থেকে সাঁওতালি (Adibasi) মাধ্যমে পঠনপাঠন শুরু হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত পৃথক কোনও সাঁওতালি শিক্ষা বোর্ড নেই। এই ভাষায় শিক্ষার কোনও সঠিক পরিকাঠামো নেই। কোথাও স্কুলের ভবন নেই, কোথাও আবার শিক্ষক নেই। যার জন্য পঠন পাঠনে ব্যাঘাত ঘটছে। তাই আমরা রাজ্যজুড়ে পথ অবরোধের ডাক দিয়েছি। সংগঠনের নেতা বিপ্লব সোরেন বলেন, আমাদের দাবিগুলি নিয়ে আমরা বার বার প্রশাসন, রাজ্য সরকার, এমনকি  মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছি। কিন্তু কোনও দাবিই পূরণ হয়নি। তিনি বলেন, আমরা অবহেলা ও চূড়ান্ত বঞ্চনার শিকার। জঙ্গলমহলকে এ রাজ্যের পরিচালকেরা উপনিবেশ মনে করেন। সেই কারণেই আমাদের এই আন্দোলন।

    মুখ্যমন্ত্রী শুনতে পাচ্ছেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Mominpur Incident: মোমিনপুর কাণ্ডের তদন্তে নেমে জেএমবি যোগ পেল এনআইএ, উদ্ধার ৩৫ লক্ষ টাকা

    Mominpur Incident: মোমিনপুর কাণ্ডের তদন্তে নেমে জেএমবি যোগ পেল এনআইএ, উদ্ধার ৩৫ লক্ষ টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোমিনপুর হিংসার (Mominpur Incident) তদন্তে নেমেছে এনআইএ। আর তদন্তে নেমেই হাতে এল বড় প্রমাণ। বুধবার সকালে মোমিনপুরের ভূকৈলাশ রোডের একাধিক বাড়ি-সহ মোট ১৭ জায়গায় তল্লাশিতে যায় এনআইএ-এর প্রতিনিধিদল। অভিযানে সঙ্গী ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। ওই এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর টাকা উদ্ধার করেছেন এনআইএ গোয়েন্দারা। শুধু ভুকৈলাস রোডের চারটি বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা। গোয়েন্দাদের অনুমান এই ৩৫ লক্ষ টাকা হিংসার কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল। তাই কোথা থেকে এই টাকা এসেছে, কোন পথ থেকে টাকা আনা হয়েছে তার তদন্ত করা হচ্ছে।

    কী জানা গেল? 

    শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, একবালপুর থানায় উপস্থিত হয়েছেন এনআইএ আধিকারিকরা। সালাউদ্দিন নামের এক অভিযুক্তের পরিবারের সদস্যকে আটক করা হয়েছে। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, মোমিনপুর হিংসার (Mominpur Incident) তিনটি মামলায় সালাউদ্দিনের নাম উঠে এসেছিল। সেই সূত্রেই তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। গোয়েন্দাদের দাবি, এই ব্যক্তিই অন্যতম অভিযুক্ত। জানা গিয়েছে, ভূকৈলাস রোড এলাকায় সালাউদ্দিনের ব্যবসা রয়েছে। সালাউদ্দিনের কোনও খোঁজ পাননি গোয়েন্দারা।

    এনআইএ গোয়েন্দারা মোমিনপুরের ঘটনায় (Mominpur Incident) জেএমবি যোগের অনুমান করছেন। জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ বা জেএমবি হল একটি জঙ্গি সংগঠন। বাংলাদেশ, ভারত সহ একাধিক দেশে এই সংগঠন নিষিদ্ধ। ১৯৯৮ সালের এপ্রিলে ঢাকা বিভাগের পলমপুরে শায়খ আব্দুর রহমান এটি প্রথম প্রতিষ্ঠা করে। মূলত বাংলাদেশে হলেও আফগানিস্তান, ভারত, পাকিস্তানে রয়েছে এই জঙ্গি গোষ্ঠির সংগঠন। এরা আলকায়দার শাখা সংগঠন হিসেবে কাজ করে থাকে।

    আরও পড়ুন: “অযোগ্যদের চাকরি নিশ্চয়ই ভালোবেসে দেওয়া হয়নি”, কল্যাণময়ের জামিন প্রসঙ্গে বিচারপতি 

    এদিকে এদিন তল্লাশিতে নেমেই বাধার মুখে পড়েন গোয়েন্দারা। বেশ কয়েকটি জায়গায় স্থানীয়রা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকদের বাধা দেন। তদন্তকারীদের গাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়রা। ময়ূরভঞ্জ রোড এবং ভুকৈলাস রোডে বাধাপ্রাপ্ত হতে হয় তাঁদের। বেশ কিছুক্ষণ আটকে থাকতে হয় এনআইএ কর্তাদের। তবে, সেসব উপেক্ষা করেই শেষপর্যন্ত মোমিনপুর (Mominpur Incident) এবং বন্দর এলাকার মোট ১৭ জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় এনআইএ।

    ঘটনার প্রেক্ষাপট

    গত বছর কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর রাত ও তার পরদিন কলকাতার মোমিনপুর-একবালপুরে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ায়। ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ ওঠে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেমে গুরুতর আহত হন কলকাতা পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক। এর পর ঘটনার তদন্তে নেমে মোট ৫টি এফআইআর দায়ের করে কলকাতা পুলিশ। মোট ৪৫ জনকে গ্রেফতার করে তারা। ঘটনার এনআইএ তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। আদালত জানায়, ঘটনার বিস্তারিত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে দেবে রাজ্য সরকার। সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে এনআইএ তদন্তের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। গত ১৪ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জাননো হয় এই হিংসার তদন্ত করবে এনআইএ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Recruitment Scam: “অযোগ্যদের চাকরি নিশ্চয়ই ভালোবেসে দেওয়া হয়নি”, কল্যাণময়ের জামিন প্রসঙ্গে বিচারপতি

    Recruitment Scam: “অযোগ্যদের চাকরি নিশ্চয়ই ভালোবেসে দেওয়া হয়নি”, কল্যাণময়ের জামিন প্রসঙ্গে বিচারপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের জামিন পেলেন না কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। জামিনের আর্জি খারিজ করে দিল আদালত। আজ দুই হেভিওয়েট কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় ও সুবীরেশ ভট্টাচার্যর জামিন মামলার (Recruitment Scam) শুনানি ছিল বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে। সিবিআইকে বিচারপতি বাগচীর পরামর্শ, “নিয়োগ দুর্নীতিতে আর্থিক লেনদেনের ভাল করে তদন্ত করুন। অযোগ্যদের তো আর ভালবেসে চাকরি দেওয়া হয়নি!” জামিনের আর্জি খারিজ করলেও সিবিআইকে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “জোরালো যুক্তি না থাকলে এক জনকে কত দিন বন্দি করে রাখতে পারবেন?”

    কী বলেন বিচারপতি?  

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) আপাতত সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন অভিযুক্ত কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবার জামিনের আর্জি খারিজ হয়ে গেলেও বৃহস্পতিবার আবার মামলাটির  শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্ত।  

    গত ১৩ ডিসেম্বর কলকাতা হাই কোর্টে জামিনের (Recruitment Scam) আর্জি জানান কল্যাণময়। আদালত এই প্রসঙ্গে সিবিআই- এর কাছে তাদের বক্তব্য শুনতে চেয়েছিল। ২২ শে ডিসেম্বর সিবিআই- এর জবাবে সন্তুষ্ট হয়নি আদালত।

    নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Recruitment Scam) ১১৩ দিন বন্দি রয়েছেন কল্যাণময়। তাঁর শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়ে জামিনের আবেদন করেছিলেন তিনি। এ প্রসঙ্গে কল্যাণময়ের আইনজীবী বলেন, “তাঁর  মক্কেলের শারীরিক সমস্যা রয়েছে। তা ছাড়া স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ কমিটির উপদেষ্টা ছিলেন শান্তিপ্রসাদ সিনহা। তাঁর দেওয়া সুপারিশপত্র মেনেই নিয়োগ করা হয়েছে।” সিবিআইয়ের তরফে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের জামিনের বিরোধিতা করা হয়। সিবিআই-এর পক্ষে আইনজীবী অরুণ মাইতি বলেন, “আদালতের নির্দেশে তদন্ত হচ্ছে। অনুসন্ধানের সময় বেনিয়ম পেয়েছি বলে গ্রেফতার করা হয়েছে।”

    সিবিআই-এর তরফে আদালতে উল্লেখ করা হয়, শান্তিপ্রসাদ সিনহার সঙ্গে চক্রান্তে যুক্ত ছিলেন কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। শান্তিপ্রসাদ সিনহার কাছ থেকে সুপারিশপত্র নিয়ে নিজেই সরাসরি নিয়োগপত্র দিতেন। প্যানেলের (Recruitment Scam) মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে নিয়োগপত্র দেওয়া হত।

    আরও পড়ুন: ১৪৩ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করল হাইকোর্ট, বেতন বন্ধের নির্দেশ

    দুতরফের সওয়াল-জবাব শোনার পরে (Recruitment Scam) বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী মন্তব্য বলেন, “আমরা এই দুর্নীতির কার্যপ্রণালী এবং এই দুর্নীতিতে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের ভূমিকা জানতে চাই। কোন আর্থিক লেনদেন হয়েছে? কত জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে?” তিনি আরও বলেন, “চাকরি নিশ্চয়ই ভালোবাসার কারণে দেওয়া হয়নি? টাকার লেনদেন আছে কিনা খুঁজে দেখুন। কতদিন জেলবন্দি করে রাখতে পারবেন? গোটা বিচারপ্রক্রিয়া ঠিক সময়ের মধ্যে শেষ করতে পারবেন? তদন্ত দ্রুত চালান।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Human Rights: বাংলায় লঙ্ঘিত হচ্ছে মানবাধিকার, অভিযোগের সারবত্তা খুঁজতে আসছে ল ইয়ার্স ফর জাস্টিস

    Human Rights: বাংলায় লঙ্ঘিত হচ্ছে মানবাধিকার, অভিযোগের সারবত্তা খুঁজতে আসছে ল ইয়ার্স ফর জাস্টিস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় লঙ্ঘিত হচ্ছে মানবাধিকার (Human Rights)। এ অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এবার সেই অভিযোগের সারবত্তা খুঁজতে বাংলায় আসছে ল ইয়ার্স ফর জাস্টিস। এটি একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। মানবাধিকার, বিশেষত মহিলা, দরিদ্র এবং সমাজের পিছিয়ে পড়া অংশের জন্য কাজ করে এই সংস্থা। এই সংস্থাই গঠন করেছে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। সেই কমিটিই আসবে বঙ্গ দর্শনে। তদন্ত করবে মানবাধিকার  লঙ্ঘনের অভিযোগের। সংগঠন জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ থেকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রচুর অভিযোগ পেয়েছে তারা। সংগঠনের তরফে আরও জানানো হয়েছে, ধর্ষণ, খুন, লুঠ, অগ্নিসংযোগের একাধিক অভিযোগ পেয়েছে। এও জানিয়েছে, এসবের নেপথ্যে রয়েছে রাজ্যের শাসক দলের হাত। সংগঠন জানিয়েছে, দ্য ল ইয়ার্স ফর জাস্টিস খুন, ধর্ষণ, লুঠ, অগ্নিসংযোগ সহ নানা অভিযোগ পেয়েছে। সরকারি মেশিনারি কাজে লাগিয়ে এসবই করেছে রাজ্যের শাসক দল।

    ল ইয়ার্স ফর জাস্টিস…

    ল ইয়ার্স ফর জাস্টিস নামের ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে সাধারণ মানুষ, বিশেষত মহিলাদের কোনও নিরাপত্তা নেই। তাদের অভিযোগ, এ রাজ্যে মানবাধিককার (Human Rights) লঙ্ঘনের ঘটনা রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে সংগঠন গড়েছে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটিতে রয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এল নরসিংহ রেড্ডি, প্রাক্তন আইপিএস আধিকারিক রাজপাল সিং, মহিলা ওমেন্স রাইটস ল ইয়ার চারু ওয়ালি খান্না, আইনজীবী ওম প্রকাশ ব্যাস, সাংবাদিক সঞ্জীব নায়ক এবং আইনজীবী রোজি টাবা।

    আরও পড়ুুন: আফগানিস্তানে হামলা করলে ’৭১-এর পুনরাবৃত্তি হবে! পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি তালিবানের

    এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ল ইয়ার্স ফর জাস্টিস জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্যরা রাজ্যে যাবেন বলে প্রস্তাব দিয়েছেন। এটাই হবে স্বাধীন, উচ্চ পর্যায়ের সিভিল সোসাইটি কমিটির প্রথমবারের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সফর। কমিটির সদস্যরা কথা বলবেন যাঁরা ভুক্তভোগী, তাঁদের সঙ্গে। গোটা দেশে তাঁদের স্বর তুলে ধরা এবং তাঁদের সুরক্ষা দেওয়াই কমিটির কাজ। প্রসঙ্গত, এর আগে বাংলায় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। ১৩ সেপ্টেম্বর বিজেপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে ওই পাঠানো হয়েছিল ওই টিম। সেই টিম রিপোর্ট দিয়েছে দিল্লিতেে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Suvendu Adhikari: ‘ডিসেম্বরে বড় ডাকাতকে জেলে  ঢোকাতে পারিনি, এইবার তুলব’, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর 

    Suvendu Adhikari: ‘ডিসেম্বরে বড় ডাকাতকে জেলে ঢোকাতে পারিনি, এইবার তুলব’, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিসেম্বরে বড় ডাকাতকে জেলে ঢোকাতে পারিনি, এইবার তুলব। সোমবার পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরের সভা থেকে এই হুঁশিয়ারি দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ছোট ডাকাতকে আপনারা উপড়ে নেবেন তো? এদিন রাজ্য সরকারকেও একহাত নিয়েছেন শুভন্দু। তিনি বলেন, চোরদের গ্রাম থেকে তাড়াতে হবে, রাজ্যে ডবল ইঞ্জিন সরকার তৈরি হবে। আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগেও এদিন সরব হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, যাঁরা ঘর পাননি, তাঁদের একজোট করুন, জনস্বার্থ মামলা করব। এক সপ্তাহের মধ্যে তালিকা তৈরি করতে হবে, টাকা ফেরত করাবই।

    শুভেন্দু বলেন…

    নানা দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ রাজ্য সরকার। রাজ্যে কয়লা পাচার, গরু পাচার মামলার তদন্ত করছে সিবিআই, ইডি। গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল  (Anubrata Mondal)। গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। এহেন আবহে এদিন শুভেন্দু বলেন, এই চোরদের সাফাই  করতে হবে। বড় চোর-ডাকাতটাকে ডিসেম্বরে পারিনি, এর মধ্যে ধরব। বড় ডাকাতটাকে আমরা তুলব। ছোটগুলোকে আপনারা উপড়াবেন তো? সব গ্রাম রেডি তো? নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন (Suvendu Adhikari), সব গ্রাম থেকে চোরেদের তাড়াতে হবে। চোরদের তাড়াতে হবে। চোরদের তাড়িয়ে পশ্চিমবাংলায় রাষ্ট্রবাদী সরকার, ডবল ইঞ্জিন সরকার তৈরি হবে।

    আরও পড়ুুন: ‘মুকুল রায় বিরোধী দলনেতা হোন, চেয়েছিলেন মমতা’, তোপ শুভেন্দুর

    শুভেন্দু বলেন, পশ্চিমবঙ্গ আবাস যোজনায় স্টিকার মেরে দিয়েছে। আশাকর্মীর ইজ্জত লুঠ করেছে তৃণমূল গুন্ডা শাহজাহানের বাহিনী। টাকা অনেকের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। আমরা জনস্বার্থ মামলা করব। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, বঞ্চিতদের একজোট করুন। আইন হাতে না তুলে এগোতে হবে। যাতে পশ্চিমবঙ্গের ছাদহীন মানুষ এই সুবিধা পান। তৃণমূলের বড়লোক গীতাঞ্জলি, ইন্দিরা আবাস পেয়েছেন। চাকরি করেন, অর্থনৈতিকভাবে উন্নত এমন তালিকা তৈরি করুন। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikar) অভিযোগ, ৪ লক্ষ ৯ হাজার ভুয়ো জবকার্ড হয়েছে। আমি কলকাতা হাইকোর্টে গিয়ে মামলা করেছি। শুভেন্দু বলেন, পশ্চিমবঙ্গে ডবল ইঞ্জিন সরকার করতে হবে। সামনে পঞ্চায়েত, ২৪ এ লোকসভা। আমরা কাঁথি, তমলুক মোদিজিকে উপহার দেব। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনীতি আমরা খতম করবই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

LinkedIn
Share