Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • West Bengal Weather: শীতপ্রেমীদের জন্য সুখবর! চলতি সপ্তাহেই জাঁকিয়ে শীত শহরে

    West Bengal Weather: শীতপ্রেমীদের জন্য সুখবর! চলতি সপ্তাহেই জাঁকিয়ে শীত শহরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে খুশির খবর শহরবাসীর জন্য। বড়দিন ও নতুন বছরের শুরুতে শীত না থাকলেও আবহাওয়া দফতর থেকে জানানো হয়েছে, আগামী বৃহস্পতিবার থেকে তাপমাত্রা অনেকটাই কমবে। আজ, মঙ্গলবারও তাপমাত্রা সামান্য কমল। অর্থাৎ পারদ নিম্নমুখী এবং তাপমাত্রা পতনের ধারা জারি থাকবে কয়েকদিন। মঙ্গলবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকেছে গোটা বাংলা (West Bengal Weather)।

    কলকাতার আবহাওয়া

    মঙ্গলবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রয়েছে ১৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবারের তুলনায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি কমলেও তা স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। আলিপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকতে পারে। সকালের দিকে কুয়াশার দেখা মিললেও বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তা পুরোপুরি কেটেও যাবে। আকাশ মূলত পরিস্কার থাকবে। বাতাসের জলীয় বাষ্পের ন্যূনতম পরিমাণ ৪৭ শতাংশ। আবহাওয়া দফতর থেকে জানা গিয়েছে, শনি-রবিবারের মধ্যে ১৩ ডিগ্রিতে নেমে যেতে পারে কলকাতার তাপমাত্রা। জেলার তাপমাত্রা আরও তিন চার ডিগ্রি নীচে থাকবে (West Bengal Weather)।

    আরও পড়ুন: ফের টাকার পাহাড়ের খোঁজ কলকাতায়, ৫৬ লক্ষ নগদ টাকা সহ গ্রেফতার ৯

    কবে থেকে জাঁকিয়ে শীত?

    আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ৩ দিন এ রকম তাপমাত্রা বজায় থাকলেও ধীরে ধীরে ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমতে পারে। আবহাওয়াবিদদের অনুমান, নতুন বছরের সপ্তাহান্তে তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে নেমে যেতে পারে। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে পারদ নামতে শুরু করবে কলকাতায়। দেরিতে হলেও কনকনে শীত পড়তে চলেছে শহরে, অনুমান আবহবিদদের। কলকাতার পাশাপাশি জেলায় জেলায় তাপমাত্রা আরও তিন থেকে চার ডিগ্রি নিচে থাকবে। পশ্চিমাঞ্চলের জেলার তাপমাত্রা নামতে পারে ১০ ডিগ্রির নিচে। ফলে শীত উপভোগ করা এখন কেবলমাত্র সময়ের অপেক্ষা (West Bengal Weather)।

    উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া

    আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, ৪ জানুয়ারি বুধবার সকালের মধ্যে দার্জিলিং ও কালিম্পং-এ হাল্কা বৃষ্টির সঙ্গে হাল্কা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকতে পারে। এছাড়া জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে হাল্কা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকার সম্ভাবনা। বাকি জেলাগুলির আবহাওয়া শুকনো থাকবে। আগামী দুদিন রাতের তাপমাত্রার সেরকম কোনও পরিবর্তন না হলেও, এরপরের দুদিনে তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে (West Bengal Weather)।

    দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় গত ক’দিন ধরে ঘন কুয়াশার দাপট দেখা গিয়েছে। সারা দিন আকাশে থাকছে হালকা মেঘ। এই পরিস্থিতি বজায় থাকবে আগামী দুই দিন। উত্তরবঙ্গের মত দক্ষিণবঙ্গেও আগামী দুদিন রাতের তাপমাত্রার সেরকম বড় কোনও পরিবর্তন না হলেও, পরের দুদিনে তাপমাত্রা ২-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে (West Bengal Weather)।

  • Vande Bharat Express: বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পাথর বৃষ্টি মালদায়! ভাঙল জানলার কাচ, তদন্তে রেল

    Vande Bharat Express: বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পাথর বৃষ্টি মালদায়! ভাঙল জানলার কাচ, তদন্তে রেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আক্রান্ত বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। নতুন বছরেই সাধারণের জন্য চালু হয়েছে এই ট্রেন। যাত্রা শুরুর দ্বিতীয় দিনেই দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই ট্রেনকে লক্ষ্য করে পাথরবৃষ্টি হল মালদায়। দুষ্কৃতীদের মুহুর্মুহু পাথরের হামলায় ভেঙে যায় ট্রেনের কাচ। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। যদিও দ্রুত হামলার জায়গা পেরিয়ে এগিয়ে চলতে শুরু করে বন্দে ভারত। তবে কে বা কারা এই ট্রেনকে টার্গেট করল, খুঁজে বের করতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।

    আরও পড়ুন: কোনও কথা বললেন না, কর্তব্যে অবিচল! সবুজ পতাকা নেড়ে বন্দে ভারতের সূচনা মোদির

    কী ঘটেছিল

    ভারতের গর্ব বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই ট্রেনের উদ্বোধন করেছেন। বাংলায় বন্দে ভারতের সূচনা লগ্নে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সেই ট্রেনের চাকা গড়াতেই এমন কাণ্ড। রেল সূত্রে খবর, তখন সবেমাত্র সন্ধে নেমেছে। এনজেপি থেকে হাওড়ার দিকে যাচ্ছিল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। মালদার কুমারগঞ্জ স্টেশন পার করার সময়ে ট্রেনে সি ১৩ কোচে পাথর ছোড়া হয়। পাথরের আঘাতে দরজার কাচে চিড় ধরেছে। এরপর ট্রেন যখন মালদা টাউন স্টেশনে থামে, তখন ঘটনাটি নজরে পড়ে। কিন্তু কারা এ কাজ করল? কেনই বা করল? তা স্পষ্ট নয়।  ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হননি।

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী গোটা ঘটনাটিকে দুর্ভাগ্যজনক হিসেবে উল্লেখ করে ট্যুইটে লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলায় ভারতের গর্ব বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে পাথর ছোড়া হয়েছে। এই ঘটনা কি উদ্বোধনের দিনে জয় শ্রীরাম স্লোগানের প্রতিশোধ?’ পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে এই হামলার ঘটনায় এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিয়ে দ্রুত অপরাধীদের শনাক্ত করে শাস্তির দাবি জানান তিনি। পূর্ব রেলের তরফে বলা হয়, ট্রেনে পাথর ছোড়া একটা সামাজিক ব্যাধি। সারা বছর এ নিয়ে সচেতনতা কর্মসূচি চালান হয়। আরপিএফের সঙ্গে এটা জিআরপিরও দেখার কথা। রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে রেলের তরফে এটা নিয়ে কথা বলা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Mamata Banerjee: বিধানসভায় ভাঙচুর, সিঙ্গুর থেকে টাটাকে বিদায় কি গঠনমূলক কাজ ছিল? মমতাকে প্রশ্ন বিরোধীদের

    Mamata Banerjee: বিধানসভায় ভাঙচুর, সিঙ্গুর থেকে টাটাকে বিদায় কি গঠনমূলক কাজ ছিল? মমতাকে প্রশ্ন বিরোধীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধী থাকাকালীন তিনি কখনও ডেসট্রাক্টিভ (ধ্বংসাত্মক) কিছু করেননি। সব সময় কনস্ট্রাক্টিভ (গঠনমূলক) কাজ করেছেন। এখন বিরোধীরা ধ্বংসাত্মক রাজনীতি করছে।  গঠনমূলক রাজনীতি চোখে পড়ছে না। নজরুল মঞ্চে তৃণমূলের কর্মী সম্মেলনে এমনই দাবি করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্য়মন্ত্রী আরও বলেন এ রাজ্য়ে বিরোধীরা সরকারকে আক্রমণ করতে গিয়ে যে ধরনের কুকথার ব্য়বহার করে, তা গোটা দেশে কোথাও হয় না। 

    বিরোধীদের কটাক্ষ

    যদিও মুখ্য়মন্ত্রীর এই দাবিকে পাল্টা কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। তাদের পাল্টা প্রশ্ন, ধ্বংসাত্মক রাজনীতি না করলে বিধানসভায় ভাঙচুর কারা করেছিল? বিধানসভা ভবন ভাঙচুরে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। সিঙ্গুরে টাটাদের কারখানা করতে দেননি মমতা। এখন শিল্পায়নের কথা বললেও টাটা বিদায়ের জন্য মুখ্য়মন্ত্রী যা করেছিলেন তা বাংলা ভুলবে না। কামতাপুরীদের সঙ্গে নিয়ে একসময় বাংলা ভাঙারও চক্রান্ত করেছিলেন মমতা। বিরোধী আসনে থাকার সময় পাহাড়েও অশান্তির বীজ বপন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধীদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী এখন ক্ষমতায় এসে যদি এমন কিছু বলেন যা একশো শতাংশ মিথ্য়ে, হাস্য়কর, তাহলে তা রাজ্য়ের সম্পর্কে ধারণা আরও খারাপ করে দেবে।

    আরও পড়ুন: ‘‘গণতন্ত্র বিপন্ন’’! দার্জিলিং পুরসভায় দল ক্ষমতায় আসার দিনেই তৃণমূল ছাড়লেন বিনয়

    বিরোধীদের বক্তব্য, মমতা এখন কুকথার প্রসঙ্গ টানছেন। অথচ, মুখ্য়মন্ত্রী যখন বলেন, বিরোধীদের জিভ টেনে ছিঁড়ে ফেলব, তার থেকে বড় কুকথা আর কী হতে পারে? বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘এ রাজ্যে যা দুর্নীতি হয়েছে, ভারতবর্ষে কোথাও তা হয়নি। তৃণমূল যে দুর্নীতি করেছে, তাতে তিনটি প্রজন্মের ভবিষ্য়ৎ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এর পর তৃণমূল পঞ্চায়েত ভোটের আগে নতুন যে প্রকল্পই নিয়ে আসুক না কেন, মানুষ আর তা গ্রহণ করবে না।’

    উল্লেখ্য, এদিনের সভা থেকে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ নামে একটি অ্যাপের উদ্বোধন করেন তৃণমূলনেত্রী। তিনি বলেন, দুয়ারে সরকার তার মতো চলবে। কিন্তু তার বাইরেও মানুষ দলের কাছে অনেক অভিযোগ জানায়। সেই অভিযোগ জানানোর মঞ্চ হয়ে উঠবে এই অ্যাপ। সঙ্গে তিনি বলেন, রাজ্য সরকারের ১৫টি প্রকল্পের সুবিধা মানুষ পাচ্ছে কি না তা জানতে এই অ্যাপ সহায়ক হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Anubrata Mondal: গরু পাচার মামলায় ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত কেষ্ট ও সায়গলের

    Anubrata Mondal: গরু পাচার মামলায় ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজত কেষ্ট ও সায়গলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও জামিন হল না কেষ্টর। গরুপাচার মামলায় (cattle smuggling case) ১৪ দিনের জেল হেফাজত বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)। একই মেয়াদের জেল হেফাজত সায়গল হোসেনেরও (Saigal Hossain)। আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত এই নির্দেশ দিয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, আজ অনুব্রতর তরফে জামিনের কোনও আবেদনই করা হয়নি। আবার ১৪ দিনের জেল হেফাজতের পাশাপাশি অনুব্রত মণ্ডলকে সংশোধনাগারে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করতে পারবেন সিবিআই আধিকারিকরা। বৃহস্পতিবার শুনানি চলাকালীন সিবিআইকে এমনটাই অনুমতি দিলেন আসানসোলের বিশেষ আদালত। আগামী ১৯ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি।

    ফের জেল হেফাজতে ‘বীরভূমের বাঘ’ 

    বুধবারেই হাইকোর্টে খারিজ হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) জামিনের আবেদন। শুধু আবেদন খারিজই নয়, পর্যবেক্ষণে যে সব কড়া বাক্য বিচারপতিরা লিখেছেন তাতে ভবিষ্যতে তাঁর জামিনের সম্ভাবনা কমই রয়েছে। ফলে আজও তাঁকে ফের জেলে পাঠানে হবে, তা আগে থেকেই জানা ছিল। ফলে হলও তাই, ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত ‘বীরভূমের বাঘ’কে ফের জেল হেফাজতে পাঠালেন বিচারক। এদিন অনুব্রতর আইনজীবীকে তাঁর জামিনের আবেদনের পরিবর্তে ভোলে ব্যোম রাইস মিলের অ্যাকাউন্ট ডি ফ্রিজের আবেদন করতে দেখা যায়।

    এদিন আসানসোল সংশোধনাগার থেকে সকাল ১১টা নাগাদ আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে নিয়ে যাওয়া হয় অনুব্রতকে (Anubrata Mondal)। আজ আদালতে অনুব্রতর কোনও অনুগামীকেই দেখা যায়নি। সাধারণত আদালতে নিয়ে আসলে কিছু অনুগামীদের দেখা যায়। কিন্তু আজকের দৃশ্য পুরোটাই উল্টো ছিল। আদালত চত্বর ছিল শুনশান। শুনানি শেষ হতেই অনুব্রতকে নিয়ে জেলের উদ্দেশে রওনা হয় গাড়ি। এই প্রথম এমন দৃশ্য দেখা গেল আসানসোল আদালতে।

    আরও পড়ুন: নতুন বছরেও জেলেই অনুব্রত! জামিনের আবেদন খারিজ করল হাইকোর্ট

    সিবিআইকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি

    কেষ্টকে (Anubrata Mondal) জেল হেফাজতে পাঠানোর পাশাপাশি এদিন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী নির্দেশ দিয়েছেন, সিবিআই আধিকারিকরা চাইলে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতিকে সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সংশোধনাগারে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। সিবিআইয়ের তরফে সংশোধনাগারে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন জানানো হয়েছিল। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে এই অনুমতি দিয়েছে আদালত। আরও জানা গিয়েছে, বিচারকের কাছে নতুন কেস ডায়েরি জমা দেয় সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়, চার নম্বর চার্জশিট জমা দেওয়ার পর ৪৮ জন সাক্ষীর বয়ান পাওয়া গিয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৯ জানুয়ারি।

    সায়গলেরও ১৪ দিনের জেল হেফাজত

    আবার অন্যদিকে, এদিন অনুব্রতের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকেও একই মেয়াদে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। তিহার জেল থেকে ভার্চুয়ালি আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করা হয় তাঁকে। সায়গল হোসেন বিচারককে জানান, এখানে খুব ঠান্ডা। তাই তাঁকে আসানসোলে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হোক। বিচারক জানান, এ বিষয়ে আলাদাভাবে আবেদন করতে হবে। আবেদনের পর দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে নেওয়া হবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত। এর পর সায়গল হোসেনকেও ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

  • Awas Yojana: রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল! প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার দুর্নীতি খতিয়ে দেখাই লক্ষ্য

    Awas Yojana: রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল! প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার দুর্নীতি খতিয়ে দেখাই লক্ষ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার কাজ খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের দুই প্রতিনিধিদল। প্রাথমিক পর্যায়ে পূর্ব মেদিনীপুর এবং মালদায় যাবে তারা। দুই জেলায় গিয়ে নিয়ম মেনে বাড়ি দেওয়া হয়েছে কিনা তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখবে কেন্দ্রীয় দল। বুধবার কেন্দ্রের তরফে চিঠি দিয়ে নবান্নকে একথা জানানো হয়েছে। নবান্নে পাঠানো চিঠিতে জানানো হয়েছে, ৩ জন করে ২টি দল চলতি সপ্তাহেই রাজ্যে পৌঁছবে। দলে থাকবেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের পদস্থ কর্তারা। একটি দল পূর্ব মেদিনীপুর ও অপর দলটি মালদায় প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখবে। চিঠিতে জানানো হয়েছে, গ্রামে গ্রামে গিয়ে প্রকল্পের সুবিধাভোগী হিসাবে নির্বাচিতদের সঙ্গে কথা বলবেন তাঁরা। তাঁরা প্রকৃতই আবাস যোজনার ঘর পাওয়ার যোগ্য কি না তাও খতিয়ে দেখবেন। এমনকী এর আগে প্রকল্পের অধীনে নির্মিত বাড়িগুলির অবস্থাও পরীক্ষা করবে এই দল। নির্মান সামগ্রীর মানে কোনও আপস হয়েছে কি না খতিয়ে দেখবে তা-ও। নবান্নর তরফে সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

    শুভেন্দুর ট্যুইট

    কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে ট্যুইটারে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংকে ধন্যবাদ জানিয়ে শুভেন্দু লিখেছেন, গরিব মানুষদের যাঁরা বঞ্চিত করেছেন, তাঁদের জেলে পাঠানো দরকার।

    নবান্নকে চিঠি কেন্দ্রের

    পর্যবেক্ষক দলের আসার বিষয়টি ইতিমধ্যেই রাজ্যকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আন্ডার সেক্রেটারি অনিলকুমার সিং এই চিঠি পাঠিয়েছেন। নবান্নে পাঠানো চিঠি থেকে জানা যাচ্ছে, দুটি দল আসবে বাংলায়। একটি দল পূর্ব মেদিনীপুরে যাবে এবং দ্বিতীয় দল মালদা জেলায় মূলত আবাস যোজনার কাজ খতিয়ে দেখবে। পুরো পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকে তাঁরা রিপোর্ট জমা দেবেন। 

    আরও পড়ুুন: নতুন বছরে রেলমন্ত্রকের উপহার পরিবেশ বান্ধব হাইড্রোজেন ট্রেন

    তিনজন করে সদস্য প্রতি দলে

    চিঠি থেকে জানা গিয়েছে, প্রতিটি দলে তিন জন করে সদস্য থাকবেন। একটি দলের দায়িত্বে থাকবেন গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের ডিরেক্টর শৈলেশ কুমার। সিনিরয়র স্ট্যাটিস্টিক্যাল অফিসার সুভাষ দ্বিবেদী এবং আন্ডার-সেক্রেটারি অনিলকুমার সিং নিজেও থাকবেন। এই টিম পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন অংশে যাবে। অন্যদিকে,মালদার টিমের নেতৃত্বে থাকবেন মন্ত্রকের ডেপুটি সেক্রেটারি শক্তিকান্ত সিং। এছাড়াও থাকবেন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার চাহাত সিং এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট সেকশন অফিসার গৌরব আহুজা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • TET Scam: ১৪৩ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করল হাইকোর্ট, বেতন বন্ধের নির্দেশ

    TET Scam: ১৪৩ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করল হাইকোর্ট, বেতন বন্ধের নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক দুর্নীতি (TET Scam) মামলায় বড় পদক্ষেপ নিল হাইকোর্ট। ফের ১৪৩ জন ভুয়ো শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন ১৪৬ জন শিক্ষকের আবেদনের শুনানি ছিল আদালতে। তাঁদের মধ্যে ১৪৩ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ বহাল রাখা হল। বিচারপতি সাফ জানিয়ে দেন, এঁদের চাকরি বাতিল করতে হবে। অবিলম্বে বেতন বন্ধের নির্দেশও দেন বিচারপতি।

    আরও পড়ুন: প্রিয়জনদের অস্থি গঙ্গায় ভাসাতে পারবে পাকিস্তানের হিন্দুরা! নয়া নীতি মোদি সরকারের  

    প্রসঙ্গত, প্রত্যেকের চাকরির স্বপক্ষে নথি খতিয়ে দেখে চাকরি (TET Scam) বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই ৫৩ জনের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এই পর্যন্ত সবমিলিয়ে ১৯৬ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিল উচ্চ আদালত। 

    গত ২৩ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। এর আগে এই মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (TET Scam) নির্দেশে ২৬৯ জনকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। ২৩ ডিসেম্বরের শুনানিতে বরখাস্ত হওয়া প্রাথমিক শিক্ষকদের হলফনামা খতিয়ে দেখে প্রথম দফায় তাঁদেরই ৫৩ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এঁদের মধ্যে একজনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

    বরখাস্ত হওয়া ২৬৯ জনের মধ্যে চাকরি ফিরে পাওয়ার দাবিতে হাই কোর্টে পাল্টা আবেদন করেন ১৪৬ জন (TET Scam)। এঁদের মধ্যে বুধবারই চাকরি গিয়েছে ১৪৩ জনের। বাকি ৩ জনের মামলার শুনানি ছিল। সেই শুনানিতে প্রাথমিকের দুই শিক্ষক তরুণ কারক এবং প্রসেনজিৎ ভট্টাচার্যকে চাকরিতে বহাল রাখার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি, ওই দুই শিক্ষকের বেতন আবার চালু করার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। নথি খতিয়ে দেখে আবার শুনানি হবে এক জন আবেদনকারীর। 

    অন্য দিকে, বুধবার আরও ৫৯ জন প্রাথমিক শিক্ষক নিজেদের চাকরি বাঁচাতে আদালতে গিয়েছিলেন। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তাঁদের মামলাটি বৃহস্পতিবার শুনবেন তিনি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

  • Vande Bharat Express: মালদার পর এবার নিউ জলপাইগুড়ি! ইটবৃষ্টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে, আতঙ্কে যাত্রীরা

    Vande Bharat Express: মালদার পর এবার নিউ জলপাইগুড়ি! ইটবৃষ্টি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে, আতঙ্কে যাত্রীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন ঘুরতে না ঘুরতেই ফের হামলা বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে। মালদার পর এবার নিউ জলপাইগুড়ি। গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস লক্ষ্য করে দুবার পাথর ছোঁড়া হল। জনসাধারণের জন্য যাত্রা শুরুর তিন দিনের মধ্যেই পরপর দুবার হামলার মুখে পড়ল দেশের গর্ব এই ট্রেন।

    এবার ইটবৃষ্টি

    মঙ্গলবার নিউ জলপাইগুড়ি ঢোকার মুখে দুপুরে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে ট্রেনের উপর আছড়ে পরে ইটবৃষ্টি।  যার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সি-৩, সি-৬ কামরা। জানলার কাচে চিড় ধরতেও দেখা গেছে। পরপর আক্রমণে, স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত সাধারণ যাত্রীরা। ইতিমধ্যেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে রেল। ঘটনায় হাওড়া স্টেশনে নেমে যাত্রীদের অনেকেই নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এর ফলে বড়সড় প্রশ্নের মুখে সেমি হাইস্পিড ট্রেনের যাত্রী সুরক্ষা। কেন বার বার এই হামলা উঠছে প্রশ্ন। এদিনের ঘটনাতেও অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীদের নামে এফআইআর দায়ের করেছে নর্থ রেল ফ্রন্টিয়ার। তদন্ত করে দেখবে কাটিহার ডিভিশনে তৈরি কমিটি।

    আরও পড়ুন: গুজরাট-পাকিস্তান সীমান্তে স্থায়ী বাঙ্কার তৈরি করতে চলেছে ভারত

    প্রসঙ্গত, সোমবার সন্ধ্যায় মালদা জেলার কুমারগঞ্জে হাওড়াগামী বন্দে ভারতে পাথর ছোড়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ জানান, ছোড়া পাথরের আঘাতে সি-১৩ কামরার ডানদিকের একটি দরজা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। রাতের অন্ধকারের পর এবার দিনদুপুরেই বন্দে ভারত লক্ষ্য করে ইট ছোড়ার অভিযোগ উঠল। এদিন নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনের আগে কারশেড এলাকায় এই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ।  কে বা কারা কী উদ্দেশে এই ঘটনা বার বার ঘটাচ্ছে তা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। শাসক বিরোধী দুই দলেরই দাবি পরিকল্পনা করেই এই ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছএন, রাজ্যকে বদনাম করতেই এই ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারীর নিশানায় তৃণমীল সরকার। তিনি উচ্চপর্যায়ের তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Manik Bhattacharya: টাকা নিয়ে রসিদ দিতেন না মানিক, বিস্ফোরক দাবি একদা ঘনিষ্ঠ তাপসের

    Manik Bhattacharya: টাকা নিয়ে রসিদ দিতেন না মানিক, বিস্ফোরক দাবি একদা ঘনিষ্ঠ তাপসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেট দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবার প্রথম মানিক ভট্টাচার্য- ঘনিষ্ঠ (Manik Bhattacharya) তাপস মণ্ডলকে জেরা করল সিবিআই। প্রথম দিনের জেরাতেই মানিকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন তাপস মণ্ডল। এদিন তিনি বলেন, “টাকা নিলেও রসিদ দিতেন না মানিক ভট্টাচার্য।” এদিকে সংবাদমাধ্যমের সামনে তাপস বলেন, “ইডিকে যা বলেছিলাম সিবিআইকে তাই বলেছি।”

    মঙ্গলবার সকালে সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআইয়ের দফতরে হাজিরা দেন তাপস মণ্ডল। ঢোকার আগেই তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “সিবিআই আমাকে দেখা করতে বলেছিল। আমি চিকিৎসার জন্য চেন্নাইয়ে ছিলাম। ফিরে জানাই। তারা মঙ্গলবার আমাকে দেখা করতে বলেন।” 

    প্রায় ৩ ঘণ্টা সিজিও কমপ্লেক্সের ভেতরে কাটান তাপসবাবু। জেরার পর বেরিয়ে তাপস মণ্ডল বলেন, “ইডিকে যা বলেছিলাম সিবিআইকেও তাই বলেছি। মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya) অফলাইন রেজিস্ট্রেশনের জন্য ছাত্র পিছু ৫,০০০ টাকা করে নিতেন। ডিএলএড কলেজ সংগঠনের প্রধান হিসাবে সেই টাকা আমি মানিকবাবুকে তুলে দিতাম। কিন্তু তিনি কোনও দিন কেনও রসিদ দেননি। তবে কাজে কোনও বাধা আসত না। ফলে কখনও এই নিয়ে কোনও প্রশ্ন ওঠেনি। এখন সংসদ অফলাইন ভর্তির জন্য ৩০০০ টাকা করে নিচ্ছে। তারা বলেছে রসিদ দেবে।” তিনি আরও বলেন, “আমার কাছে যে ২১ কোটি টাকার হিসাব চাওয়া হয়েছিল তা আমি মিটিয়ে দিয়েছি।”

    আরও পড়ুন: জেলে বসেও গরুপাচারের মূল অভিযুক্ত এনামুলের সঙ্গে কথা হয়েছে অনুব্রতর, দাবি সিবিআই- এর

    প্রসঙ্গত, টেট নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এর আগে একাধিকবার ইডির ডাকে হাজিরা দিয়েছেন তাপস মণ্ডল। ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাতে দাবি করা হয়েছে, মানিকের সঙ্গে দুর্নীতিতে হাত মিলিয়েছিলেন তাপসও। জানা গিয়েছে, এই মামলায় মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya) জেরা করতে পারে সিবিআই। আর তার পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবেই তাপসকে জেরা করার এই পদক্ষেপ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    চন্দন মণ্ডলের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস

    এবার এই একই মামলায় এবার তৃণমূল নেতা চন্দন মণ্ডলের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করেছে ইডি। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে তৃণমূল নেতা চন্দন মণ্ডলের বাড়িতে ইডি আধিকারিকরা নোটিস লাগিয়ে আসেন। যেখানে বলা হয় টেট দুর্নীতির তদন্তে তাঁকে ৩০শে ডিসেম্বর হাজিরা দিতে হবে ইডির অফিসে। কিন্তু চন্দন মণ্ডল সেই নোটিসে কোনো সাড়া দেন নি। আর তারপরেই জারি করা হয় এই লুকআউটি নোটিস। প্রসঙ্গত, টেট পরীক্ষা নিয়ে বাগদার প্রাক্তন বিধায়ক উপেন বিশ্বাসের বক্তব্যে চন্দন মণ্ডলের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। আর তারপরেই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। হাইকোর্টের তরফ থেকে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়। সেই সময় সিবিআই চন্দন মণ্ডলের বাড়িতে তল্লাশি করা থেকে শুরু করে চন্দন মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। কিন্তু এবার ইডি ডাক পাঠাতেই চন্দন মণ্ডল নিরুদ্দেশ হয়ে যান। ইডির নোটিসের পর অস্বস্তিতে রাজ্যের শাসক দল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Babita Sarkar: এসএসসি-র ভুলে চাকরি? নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ খোদ ববিতা

    Babita Sarkar: এসএসসি-র ভুলে চাকরি? নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ খোদ ববিতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের প্রশ্নের মুখে স্কুল সার্ভিস কমিশন (School Service Commission)। নম্বর ভুল দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এসএসসি-র বিরুদ্ধে। মেধা তালিকা প্রকাশ্যে আসতেই ববিতা সরকারের (Babita Sarkar) চাকরি ঘিরে বাঁধল নতুন বিতর্ক। কমিশনের ভুলে ২ নম্বর তিনি বেশি পেয়েছেন বলে দাবি। এসএসসি-র নম্বর বিভ্রাটের জন্যই তাঁর চাকরি হয়েছে, এমন অভিযোগেই মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। ববিতার নম্বর-বিভ্রাট প্রকাশ্যে আসতেই, চাকরির দাবি তুলেছেন, মেধাতালিকায় পরবর্তী নাম থাকা, অনামিকা রায়। আবার তাঁর নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে আদালতের দ্বারস্থ হলেন খোদ ববিতা সরকার। নম্বর সত্যি কম পেলে তাঁর চাকরি চলে যেতে পারে, এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “নিশ্চয়ই, তাঁর লড়াই অন্যায়ের বিরুদ্ধে।”

    ঠিক কী ঘটেছে?

    স্কুল সার্ভিস কমিশন শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে রাজ্যের মুখ হয়ে উঠেছিলেন ববিতা সরকার। তাঁর দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতেই এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডের ওপর থেকে পর্দা সরে। কিছু দিন আগেই দুর্নীতির অভিযোগে চাকরি গেছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতার। আর সেই চাকরি দেওয়া হয়েছিল ববিতা সরকারকে (Babita Sarkar)। কিন্তু এবারে সেই ববিতার চাকরি পাওয়া নিয়েই ফের বিতর্ক তৈরি হল। ফের একবার প্রশ্নের মুখে এসএসসির ভূমিকা। ভুলবশত তাঁকে অতিরিক্ত ২ নম্বর দিয়েছে এসএসসি, দাবি ববিতা সরকারের।

    আরও পড়ুন: ‘‘কোনও ভুল করেননি নরেন্দ্র মোদি’’, নোটবন্দির সিদ্ধান্তকে সিলমোহর সুপ্রিম কোর্টের

    এসএসসি-র কাছে জমা দেওয়া ববিতার আবেদনপত্রে দেখা যাচ্ছে, স্নাতক স্তরে ৮০০ নম্বরের মধ্যে ৪৪০ নম্বর পেয়েছেন ববিতা। অর্থাৎ, শতকরা হিসাবে ৫৫ শতাংশ। স্নাতকস্তরের প্রাপ্ত নম্বরের শতকরা হিসাব ৬০ শতাংশ বা তার বেশি উল্লেখ করা হয়েছে আবেদনপত্রে। যে কারণে ববিতার ‘অ্যাকাডেমিক স্কোর’ গণনায় ভুল হয়েছে। নিয়োগের দাবিতে আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থাকা চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের দাবি, এই অভিযোগ যদি সত্যি হয়, সে ক্ষেত্রে ববিতার ‘অ্যাকাডেমিক স্কোর’ ৩৩-এর বদলে কমে ৩১ হবে। এতে র‌্যাঙ্কিংয়েও অনেকটাই পিছিয়ে পড়বেন ববিতা। আর এই নিয়ে প্রশ্ন উঠলেই এসএসসির তরফে ব্যাখ্যা চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন ববিতা।

    অন্যদিকে মেধাতালিকায় পরবর্তী নাম থাকা অনামিকা বলেন, “যদি অ্যাকাডেমিকে ২ নম্বর কমে যায়, তা হলে র‌্যাঙ্কও পিছিয়ে যাবে। মেরিট লিস্টে অন্তত ১৪ জনের পিছনে চলে যাওয়ার কথা। সে ক্ষেত্রে চাকরিটা তাঁর (ববিতা) কোনও ভাবেই প্রাপ্য নয়। এই ভাবে দেখলে পরবর্তী প্রার্থী হিসাবে এই চাকরিটা আমারই পাওয়ার কথা। আমি চাই, চাকরিটা আমায় দেওয়া হোক।”

    হাইকোর্টের দ্বারস্থ ববিতা

    ববিতা (Babita Sarkar) অ্যাকাডেমিক স্কোরে ২ নম্বর বেশি পাওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়ে বলেন, “আমি এতদিন বুঝতে পারিনি কমিশন ২ নম্বর বেশি দিয়েছে ভুল করে। আপনারা জানেন আমরা নম্বরই জানতাম না। র‌্যাঙ্ক- এর লিস্ট দেওয়া হয়েছিল।” তিনি আরও বলেন, “বিষয়টি যাতে বিচারপতির নজরে আনা হয়, তার জন্য বলেছি আমাদের আইনজীবীকে। আমার লড়াইটা এসএসসি কমিশনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে। অতীতেও লড়েছি, আগামী দিনেও লড়ব। কোর্ট যা নির্দেশ দেবে, সেই অনুযায়ীই সব হবে।” পরশু অর্থাৎ আগামী বুধবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে।

     

  • TET Scam: প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতিতে নয়া রহস্য! টেট প্রার্থীকে কে ফোন করেছিল জানাল সিবিআই

    TET Scam: প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতিতে নয়া রহস্য! টেট প্রার্থীকে কে ফোন করেছিল জানাল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিকে চাকরি দেওয়ার জন্য পর্ষদ অফিস থেকে ফোন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক চাকরি প্রার্থী। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে কয়েক ঘণ্টায় সেই ফোন নম্বর রহস্য ভেদ করে ফেলল সিবিআই। রহস্যময় ফোন নম্বরের প্রসঙ্গে মুখ খুলল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ওই নম্বর পর্ষদের কারও নয়। জেলার কারও হতে পারে বলেই মত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের। সিবিআইয়ের দাবি, ওই নম্বরটি সম্ভবত নদিয়া জেলা প্রাইমারি কাউন্সিলের। ওই ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই। কার নির্দেশে তিনি ফোন করে চাকরির কথা বলেন, তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। 

    কী অভিযোগ

    শিল্পা চক্রবর্তী নামে এক টেট পরীক্ষার্থী বুধবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে দাবি করেন, ২০১৭ সালের ৬ ডিসেম্বর তাঁর কাছে একটি ফোন এসেছিল। পর্ষদ অফিস থেকে ফোন করার কথা ফোনে বলা হয়েছিল। জানতে চাওয়া হয়েছিল, তিনি টেট পরীক্ষা দিয়েছেন কি না। ওই প্রার্থী অভিযোগে জানান, তাঁকে চাকরি হয়ে যাবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার জন্য পর্ষদের অফিসে গিয়ে পর্ষদ সভাপতির সঙ্গে দেখা করার কথা বলা হয়েছিল। কোন পর্ষদের অফিসে যাওয়ার কথা বলা হয়েছিল, তা স্পষ্ট ছিল না ওই প্রার্থীর কাছে।

    আরও পড়ুন: ১৫০ অ্যাকাউন্টে সই একজনেরই! সিউড়ির ব্যাঙ্কে সিবিআই হানা, এখানেও কেষ্ট-যোগ?

    কী বলল সিবিআই

    বৃহস্পতিবারই সিবিআই-এর তরফে আদালতে জানানো হয়েছে, ফোন নম্বরটি কার, তা চিহ্নিত করা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার আদালতে সিবিআই-এর আইনজীবী জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ওই নম্বরটি তৎকালীন নদিয়া জেলার প্রাথমিক শিক্ষা কাউন্সিলের চেয়ারম্যানের। এ কথা শুনে বিচারপতি বলেন, ‘আপনারা তদন্ত চালিয়ে যান। যা পদক্ষেপ করার করুন।’ উল্লেখ্য, এই নদিয়ার নাকাশিপাড়ার বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলে রয়েছেন।  প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে বুধবার আরও ১৪০ জনকে চাকরি থেকে পাকাপাকিভাবে বরখাস্ত করেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। অন্যদিকে, প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় আরও একটি নতুন অভিযোগ সামনে এসেছে। একই দিনে, একই সময়ে বেশ কয়েকজন প্রার্থীর কাছে একটি বিশেষ এসএমএস এসেছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। এসএমএসে চাকরি দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে সিবিআই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share