Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Lalan Sheikh: লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যুর জের, সাসপেন্ড সিবিআইয়ের ৪ আধিকারিক

    Lalan Sheikh: লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যুর জের, সাসপেন্ড সিবিআইয়ের ৪ আধিকারিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লালন শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যুর জন্যে আধিকারিকদের গাফিলতিকে দায়ী করে চার কর্তাকে সাসপেন্ড করল সিবিআই। লালনের (Lalan Sheikh) মৃত্যুর সময় যে সিবিআই কর্তারা, কেন্দ্রীয় সংস্থার রামপুরহাটের অস্থায়ী শিবিরে ছিলেন, সোমবার সেই চার জনকেই সাসপেন্ড করা হল। 

    সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে, সাসপেন্ড করা হয়েছে বগটুই কাণ্ডের তদন্তকারী আধিকারিক বিলাস মাধঘুট রাহুল প্রিয়দর্শী, ভাদু শেখ হত্যা কাণ্ডের তদন্তকারী আধিকারিক রাহুল প্রিয়দর্শী, কনস্টেবল ভাস্কর মণ্ডল-সহ আরও এক আধিকারিককে। লালন শেখের (Lalan Sheikh) মৃত্যুর সময় সিবিআই ক্যাম্পেই ছিলেন ওই চার আধিকারিক। এই চার আধিকারিকের বিরুদ্ধে তদন্তে গাফিলতির প্রমাণ পেয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টেও জমা দিয়েছে রিপোর্ট।

    উত্তাল রাজ্যরাজনীতি 

    সিবিআই আধিকারিকদের সাসপেন্ডের ঘটনায় (Lalan Sheikh) এখন উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, “কীভাবে অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়, আধিকারিকদের সাসপেন্ড হওয়া দেখে শিখতে হবে রাজ্য সরকারকে।” কুণাল ঘোষ পাল্টা উত্তর দিয়ে বলেন, “আমার ধারণা এটা রুটিন পদ্ধতিতে হয়েছে। সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও লালন শেখের মৃত্যু নিয়ে যে প্রশ্নগুলি উঠেছে তার জবাব এখনও মেলেনি।”

    আরও পড়ুন: আবাস যোজনার টাকা না ফেরালে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর   

    প্রসঙ্গত, বগটুইকাণ্ডের প্রায় ন মাস পর গ্রেফতার করা হয়েছিল এই মামলার মূল অভিযুক্ত লালন শেখকে (Lalan Sheikh)। গ্রেফতারির নদিনের মাথায় ডিসেম্বরের শেষ দিকে রামপুরহাটে সিবিআই-এর অস্থায়ী ক্যাম্পের শৌচালয় থেকে লালন শেখের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। এরপরেই সিবিআই- এর বিরুদ্ধে লালনকে খুনের অভিযোগ তোলে পরিবার। তাঁদের বক্তব্য, খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল লালন শেখকে। লালনের জিভ কাটা ছিল, তাঁর পায়েও আঘাত ছিল বলে দাবি করে পরিবার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • Sukanta Majumdar: গঙ্গা আরতি করতে হিন্দুদের কেন অনুমতি নিতে হবে? প্রশ্ন সুকান্ত মজুমদারের

    Sukanta Majumdar: গঙ্গা আরতি করতে হিন্দুদের কেন অনুমতি নিতে হবে? প্রশ্ন সুকান্ত মজুমদারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে প্রচারে নামতে বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সম্প্রতি অমর্ত্য সেন দাবি করেছেন, দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা আছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এপ্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের জবাব, অমর্ত্য সেনকে অনুরোধ করবো, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে প্রচারে নামতে। রবিবার সন্ধ্য়ায় ভাটপাড়ায় গঙ্গা আরতি কার্যক্রমে যোগ দিয়ে একথা বলেন তিনি। একই সঙ্গে সুকান্ত মজুমদারের হুঁশিয়ারি, মমতা ও তাঁর পুলিশের ক্ষমতা নেই গঙ্গা আরতি বন্ধ করার। মুসলিমদের যদি রাস্তায় বসে নামাজ পড়তে কোনও অনুমতির প্রয়োজন না পড়ে, তাহলে হিন্দুদের গঙ্গা আরতি করতে গেলে কেন অনুমতি নিতে হবে? প্রশ্ন তোলেন সুকান্ত। 

    ধর্মীয় বিভাজন

    মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে রবিবার সন্ধ্যায় ভাটপাড়া নাগরিক বৃন্দের পরিচালনায় সেখানকার বলরাম সরকার ঘাটে গঙ্গা আরতির আয়োজন করা হয়। সেখানে যোগ দিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার প্রশ্ন তোলেন, রাজ্যে হিন্দুদের ধর্মাচরণে এত বাধা দেওয়া হয় কেন? মুসলিমদের যদি রাস্তায় বসে প্রার্থনা করতে কোনও অনুমতির প্রয়োজন না পড়ে, তাহলে হিন্দুদের গঙ্গা আরতি করতে গেলে কেন অনুমতি নিতে হবে? এদিনের এই অনুষ্ঠানে সুকান্ত ছাড়াও ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ অখিল ভারতীয় সন্ত সমাজের পরমাত্মাজী মহারাজ, ব্যারাকপুর সংগঠনিক জেলার সভাপতি সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজেপির রাজ্য সম্পাদিকা ফাল্গুনী পাত্র, রাজ্য যুব মোর্চার সম্পাদক উত্তম অধিকারী, হিন্দু জাগরণ মঞ্চের ব্যারাকপুর জেলার সম্পাদক রোহিত সাউ, রাহুল বিশ্বাস, ব্যারাকপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক আবিষ্কার ভট্টাচার্য, জেলার অফিস সম্পাদক প্রণব মন্ডল, যুব নেতা কুন্দন সিং ও বিট্টু জয়সওয়াল-সহ অন্যান্য কার্যকর্তারা।

    আরও পড়ুন: গত পাঁচ বছরে বিমান দুর্ঘটনার খতিয়ান, জেনে নিন মৃত্যুর পরিসংখ্যানও

    অমর্ত্য সেনকে আর্জি 

    এদিনের অনুষ্ঠান শেষে ভাঙড়ে প্রাক্তন বাম বিধায়কের পুত্রকে অস্ত্র-সহ গ্রেফতার প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ভাঙর অস্ত্রের ডাম্পিং গ্রাউন্ডে পরিণত হয়েছে। ওখানে তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র রয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য নিয়ে ওই অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা উচিত। এটা রাজ্য পুলিশের কাজ নয়। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে নোবেল জয়ী র্অথনীতিবিদ অমর্ত্য সেন (Amartya Sen) জানান, দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা আছে মমতা  বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। আঞ্চলিক দলগুলিকে একজোট হওয়ার কথাও বলেন তিনি। এ প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন উনি পণ্ডিত ব্যাক্তি । ওনার মত উনি প্রকাশ করতেই পারেন। একই সঙ্গে অর্মত্য সেনকে মমতার হয়ে প্রচার করার কথাও বলেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • Mid Day Meal: এতদিনে চেতনা! মিড ডে মিল পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় দল আসার আগে সক্রিয় রাজ্য

    Mid Day Meal: এতদিনে চেতনা! মিড ডে মিল পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় দল আসার আগে সক্রিয় রাজ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিড ডে মিল নিয়ে যাবতীয় অভিযোগ সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসছে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। তার আগে পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নেমেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মিড ডে মিলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিরা। রবিবার সেই মর্মে নির্দেশিকা জারি করেছে স্কুল শিক্ষা দফতর। ইতিমধ্যেই প্রত্যেক জেলায় পৃথক ভাবে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। সোমবার থেকে ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত এই প্রতিনিধিদল জেলা স্তরের বিভিন্ন মিড মে মিল কেন্দ্রে নজরদারি করতে যাবে।

    রাজ্যের দল

    নবান্ন সূত্রের খবর, আগামী ২০ জানুয়ারি, রাজ্যে এসে পৌঁছবেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। মূলত, কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক কেন্দ্র ও রাজ্যের প্রতিনিধিদের নিয়ে যে জয়েন্ট রিভিউ মিশন তৈরি করেছে, তার পরিদর্শন প্রক্রিয়া আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। এই দলের সদস্যেরাই বিভিন্ন জেলায় জেলায় গিয়ে মিড ডে মিল সংক্রান্ত পরিদর্শন সারবেন। তার ঠিক এক দিন আগেই শেষ হবে রাজ্যের প্রতিনিধিদের নজরদারি। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের সফর সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্যের শিক্ষা সচিব মণীশ জৈনকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারের ডেপুটি সেক্রেটারি দীপা আনন্দ। ওই চিঠিতে কেন্দ্র জানিয়েছে, ২০ তারিখ থেকে পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মিড ডে মিলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হবে। মোট ২৬টি বিষয়ে আলোকপাত করবেন তাঁরা। এই নজরদারিতে মিড ডে মিলের মান খতিয়ে দেখা হবে। যেখানে মিড ডে মিল তৈরি হয়, সেই হেঁশেলেও নজরদারি করা হবে।

    কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল যা যা দেখবে

    সম্প্রতি মিড ডে মিল পরিষেবা নিয়ে একগুচ্ছ অভিযোগ তুলে কেন্দ্রে নালিশ চিঠি ঠুকেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর চিঠির জেরেই যে, মিড ডে মিল পরিষেবা খতিয়ে দেখতে রাজ্যে প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে কেন্দ্র, তা-ও একপ্রকার নিশ্চিত।  প্রথমত, মিড ডে মিলের জন্য স্কুলগুলিকে যে অর্থ বরাদ্দ করছে রাজ্য, তা কতটা কাজে লাগানো হচ্ছে, গোটা প্রকল্পটি পরিচালনা করার জন্য রাজ্য, জেলা এবং ব্লক স্তরে কী ধরনের পরিকাঠামো আছে এ সবই খতিয়ে দেখবে এই দল। কী ভাবে খাদ্যদ্রব্য রাজ্যের কাছ থেকে স্কুলগুলিতে অর্থ বরাদ্দ পৌঁছয়, তার পদ্ধতি কী, তা-ও দেখা হবে এই প্রক্রিয়ায়। কীভাবে এই প্রকল্প সুষ্ঠুভাবে কোনও বাধা ছাড়াই কার্যকর করা হয়, পরিদর্শনকারী দলের নজরে থাকবে সেটাও।

    আরও পড়ুন: গঙ্গা আরতি করতে হিন্দুদের কেন অনুমতি নিতে হবে? প্রশ্ন সুকান্ত মজুমদারের

    সম্প্রতি বেশ কিছু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিলের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গত বুধবার মালদহের চাঁচলের বিদ্যানন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিলের মজুত করা চালে মরা টিকটিকি এবং ইঁদুর দেখতে পান অভিভাবকেরা। অভিযোগ খতিয়ে দেখে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক, সাব-ইন্সপেক্টর অফ স্কুলস্ (স্কুল পরিদর্শক)কে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা দফতর। তাই মিড ডে মিল রান্নার ঘর বা স্টোরগুলি কীভাবে তৈরি হয়, তা পরিচ্ছন্ন রাখা হয় কি না, সেসব ব্যবস্থাও খতিয়ে দেখবে এই পরিদর্শনকারী দল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Jhalda: ঝালদা পুরসভায় বোর্ড গঠন কংগ্রেসের, আদালতে তৃণমূল

    Jhalda: ঝালদা পুরসভায় বোর্ড গঠন কংগ্রেসের, আদালতে তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে ঝালদা পুরসভায় (Jhalda) বোর্ড গঠন করল কংগ্রেস। চেয়ারপার্সনের আসনে বসলেন শিলা চট্টোপাধ্যায়। সোমবার ৭–০ ভোটে জিতে ঝালদা পুরসভা দখল করে কংগ্রেস। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে ভোটাভুটিতে কংগ্রেসের ঝুলিতে আসে ৭টি ভোট। তবে এতেই শেষ হয়ে যায়নি জটিলতা। আদালতের দ্বারস্থ তৃণমূল কংগ্রেস।     

    কীভাবে বোর্ড বঠন করল কংগ্রেস? 

    ‌আজ ঝালদা (Jhalda) পুরসভার ১২টি আসন। ৬ জন কংগ্রেস কাউন্সিলর এবং ১ জন নির্দল কাউন্সিলের ভোট আসে কংগ্রেসের ঝুলিতে। ৫ তৃণমূল কাউন্সিলর ভোটদান থেকে বিরত থাকেন।  শীলা চট্টোপাধ্যায় নির্দল কাউন্সিলর হিসাবে কংগ্রেসকে সমর্থন করেন। ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায় চেয়ারপার্সন হিসেবে নির্বাচিত হন। এর আগে শীলা চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থন পেয়েই বোর্ড গঠন করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার ঝালদা পুরসভা গেল কংগ্রেসের দখলে। পুরপ্রধান হওয়ার লোভে কংগ্রেসকে সমর্থন করেছেন শীলা, এই দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল। 

    এর আগে এই পুরসভায় (Jhalda) নির্বাচনে পাঁচটি আসন তৃণমূল কংগ্রেস এবং পাঁচটি আসন কংগ্রেস পায়। দুই নির্দল প্রার্থীর সমর্থন নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস পুরবোর্ডের দখল করেছিল। তারপর চেয়ারম্যান সুরেশ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে কংগ্রেস। কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করলে সুরেশ আগরওয়াল চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য হন। আস্থাভোটে জয়লাভ করে কংগ্রেস। কিন্তু বোর্ড গঠন করতে পারেনি। কারণ সরকারের পক্ষ থেকে সেখানে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের এক কাউন্সিলর জবা মাছুয়াকে প্রশাসক হিসাবে নিয়োগ করা হয়।

    আরও পড়ুন: প্রজাতন্ত্র দিবসের পরে শাসক দলের নেতাকে খুনের ছক কষেছিল দিল্লিতে ধৃত জঙ্গিরা!  

    এই জবা মাছুয়া, অপসারিত চেয়ারম্যান সুরেশ আগরওয়ালের ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করে কংগ্রেস। তৃণমূলের প্রশাসক(Jhalda) বসানোর সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে যায় কংগ্রেস। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা রাজ্য সরকারের প্রশাসকের নিয়োগের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেন। পুনরায় নির্বাচনের নির্দেশ দেন। আজ ১৬ জানুয়ারি ঝালদার পুরপ্রধান নির্বাচনের দিন ছিল। অবশেষে বোর্ড গঠন কংগ্রেসের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Food Destination: বিশ্বব্যাপী খাদ্য রসিকদের পছন্দের তালিকায় কলকাতা, দেশের মধ্যে একমাত্র

    Food Destination: বিশ্বব্যাপী খাদ্য রসিকদের পছন্দের তালিকায় কলকাতা, দেশের মধ্যে একমাত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতাকে বলে City of Joy, খাদ্য রসিক বাঙালির পছন্দের সমস্ত খাবারই পাওয়া যায় এই শহরে। শুধুই কী বাঙালি খাবার? কর্মসূত্রে এ শহরে সারা দেশের প্রতিটি রাজ্যেরই মানুষ থাকেন। তাঁদের নিজেদের পছন্দের খাবারও সহজলভ্য হয় এই শহরে। তাই এই শহরকে City of Food বলা যেতেই পারে।

    দেশের একমাত্র শহর কলকাতা যেটি বিশ্বব্যাপী খাদ্য রসিকদের পছন্দের তালিকায় স্থান পেল। ওয়ার্ল্ড বেস্ট ফুড ডেস্টিনেশন (Food Destination) ২০২৩ এর তালিকায় স্থান পেল কলকাতা। Eaters নামের ওই ওয়েবসাইটে পৃথিবীর ১১ টি স্থানকে দেখানো হয়েছে খাদ্য রসিকদের পছন্দের জায়গা হিসেবে। তারমধ্যে কলকাতা সেই তালিকার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। তালিকাটি ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করা হয়েছে। কলকাতা ছাড়াও এই লিস্টে রয়েছে Tamaki Makaurau (নিউজিল্যান্ড), Asheville (উত্তর ক্যারোলিনা), Albuquerque (নিউ মেস্কিকো), Guatemala City (গুয়াতেমেলা), and Cambridge (ইংল্যান্ড)

    কলকাতার জনপ্রিয় স্ট্রিটফুড গুলোর সঙ্গে আপনাদের পরিচয় করাই

    ১) কাঠি রোল

    কাঠিরোল হল কলকাতার অন্যতম জনপ্রিয় একটি স্ট্রিট ফুড।

    এগুলি সাধারণত চিকেন অথবা মটন দিয়ে মোড়ানো হয়ে থাকে, এগুলোকে হালকা ভাজা হয়।

    ২) ফুচকা

    ফুচকা নিয়ে তো নতুন করে কিছু বলার নেই।

    জল ফুচকা, দই ফুচকা কত রকমের ফুচকা! রাস্তার ধারের এই আইটেম খুবই জনপ্রিয়।

    ৩) কলকাতা বিরিয়ানি

    যাঁরা আমিষ খাবার পছন্দ করেন তাঁদের জন্য বিরিয়ানির তো কোন বিকল্পই হয় না। আর দেশের বাকি জায়গা থেকে কলকাতার বিরিয়ানির একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। কারণ, আর কোথাও, বিরিয়ানিতে মাংসের সঙ্গে আলু ও ডিম থাকে না। 

    এই ডিশের স্বাদ নেবার জন্য নাম করা অনেক রেস্টুরেন্ট বা দোকান রয়েছে শহরে। কলকাতা দম বিরিয়ানি যারা চেখে দেখেছেন, তাদের মুখে অন্য কিছু উঠবে না।

    ৪) তেলেভাজা

    চপ, মুড়ি, কাঁচালঙ্কা! এর যেন স্বাদই আলাদা! শীতের ঠান্ডায় হোক! অথবা বর্ষার বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যায়!

    বেগুনি,চপ তার সঙ্গে চা। কলকাতায় এই ধরনের তেলেভাজার দোকান অজস্র রয়েছে। রাস্তার গলিতে গলিতে।

    ৫) ঘুগনি

    রাস্তার ধারে ঘুগনির স্বাদ এককথায় অতুলনীয়।

    বিট লবণ মাখিয়ে ঘুগনি খুবই জনপ্রিয় কলকাতাতে।

    ৬) ডিমের ডেভিল

    ডিমটিকে ভাল করে সিদ্ধ করে এইটি তৈরি করা হয়।

    ভাজা মাংসের কিমা হল এটির অন্যতম উপাদান।

    ৭) ঝাল মুড়ি

    ঝালমুড়ি নিয়ে তো নতুন করে আর কিছু বলার নেই।

    চানাচুর মাখিয়ে লঙ্কা, পিঁয়াজ, মসলা, তেল এবং লেবু দিয়ে এই ঝাল মুড়ি সন্ধ্যাবেলায় খুব ভালো লাগে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • TMC BJP: “পিঠের চামড়া তুলে নেবে…”, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে বেলাগাম বাঁকুড়ার তৃণমূল নেতা, পাল্টা বিজেপি

    TMC BJP: “পিঠের চামড়া তুলে নেবে…”, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে বেলাগাম বাঁকুড়ার তৃণমূল নেতা, পাল্টা বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকাশ্য সভামঞ্চে ফের বেলাগাম মন্তব্য করতে দেখা গেল শাসকদলের নেতাকে। তৃণমূল নেতা তথা বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার আইএনটিটিইউসি সভাপতি সোমনাথ মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্য করার অভিযোগ উঠল। বিজেপির নেতাদের উদ্দেশ্যে তুই-তোকারির সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর পিঠের চামড়া তোলার হুঁশিয়ারিও দিতে দেখা গেল তাঁকে। গত শনিবার বিকেলের দিকে বাঁকুড়ার বড়জোড়া ফুটবল মাঠে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের উপস্থিতিতে এক সভায় বক্তব্য রাখছিলেন সোমনাথ মুখোপাধ্যায়। সেই সময়েই বিরোধী নেতাদের বিরুদ্ধে একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করতে শোনা যায় তাঁকে। সেদিন সেই মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন আসানসোলের তৃণমূল সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহাও।

    বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্য তৃণমূল নেতার

    সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে আইএনটিটিইউসি সভাপতি সোমনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, বিজেপি মানে ‘পাগল দিলীপ’, ‘চিটিং সৌমিত্র খাঁ’ আর ‘মিরজাফর শুভেন্দু অধিকারী’। এই সব মন্তব্যেই শোরগোল পড়ে যায়। তিনি শুভেন্দু অধিকারীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “উস্কানিমূলক কথা বললে, বড়জোড়ার মানুষ পিঠের চামড়া তুলে নেবে।” তিনি আরও বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল নাকি তাদের বাধা দেবে। আমি শুভেন্দু অধিকারীকে বলছি, তোদের প্রার্থী দেওয়ার ক্ষমতা আছে? বিজেপি বলে এখানে কিছু নেই। তাঁদের প্রার্থী দেওয়ার ক্ষমতা নেই। শান্ত বাঁকুড়াকে আজ যদি অশান্ত করার চেষ্টা করে ওই সৌমিত্র খাঁ, শুভেন্দু অধিকারীকে বলে রাখছি আমরা তৃণমূল হাতে চুড়ি পরে বসে নেই। যদি পরবর্তীতে এমন উস্কানিমূলক কথা বলেন, তাহলে বড়জোড়ার মানুষ শুভেন্দুকে চাবকে পিঠের চামড়া তুলে দেবে।”

    আরও পড়ুন:রাতভর নদীতে আটকে গঙ্গাসাগর ফেরত ভেসেল, ভোগান্তি পুণ্যার্থীদের

    প্রসঙ্গত, শুক্রবার বিকালেই বাঁকুড়ার বড়জোড়ায় সভা করে বিজেপি। আর তার পর শনিবার সেই একই জায়গায় পালটা সভা করে তৃণমূল। আর সেই সভামঞ্চ থেকেই একের পর এক উস্কানিমূলক মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর এই সব মন্তব্যের পরেই জোর জল্পনা শুরু হয়ে যায় ও তাঁকে নিন্দাও করা হচ্ছে রাজনৈতিক মহলে।

    সোমনাথের সমালোচনা করে বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নিলাদ্রীশেখর দানা যোগ্য জবাব দিয়ে বলেন, “তৃণমূল বরাবরই হিটলার রাজ চালাচ্ছে। তৃণমূল এ রাজ্যে আসায় রাজ্যের মানুষ ভেবেছিল সিপিএম-এর অপশাসন থেকে মুক্তি পাবে। কিন্তু চোর তাড়াতে গিয়ে ডাকাতকে এ রাজ্যের ক্ষমতায় বসানো হয়েছে। তৃণমূল আপাদমস্তক চুরি দুর্নীতিতে ডুবে যাওয়ায় মানুষ তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সেই সত্যটা বুঝতে পেরে এই সমস্ত কথা বলে তৃণমূল পাগলের প্রলাপ বকছে।” 

  • Gangasagar Mela 2023: মকর সংক্রান্তিতে গঙ্গাসাগরে জনজোয়ার, পুণ্যস্নানে প্রায় ৪০ লক্ষ ভক্ত সমাগম

    Gangasagar Mela 2023: মকর সংক্রান্তিতে গঙ্গাসাগরে জনজোয়ার, পুণ্যস্নানে প্রায় ৪০ লক্ষ ভক্ত সমাগম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ মকর সংক্রান্তি। পুণ্য তিথিতে মকরস্নান সারতে গঙ্গাসাগরে লক্ষ লক্ষ ভক্ত সমাগম৷ এ বছর, তিথি অনুযায়ী শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৫৩ মিনিটে শুরু হয়ে গিয়েছে মকর সংক্রান্তি। চলবে রবিবার সন্ধ্যার একই সময় পর্যন্ত। ফলে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে শনিবারেই পুণ্যার্থীদের ভিড় দেখা গিয়েছিল। তবে গতকাল থেকে স্নান পর্ব শুরু হলেও রবিবারের ভোরে আলো ফুটতে না ফুটতে মানুষের চাদরে যেন ঢাকা পড়েছে গোটা গঙ্গাসাগর। ভোর থেকে গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নানে উপচে পড়া ভিড়। মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নান সারছেন কাতারে-কাতারে পূণ্যার্থী। এরাজ্য তো বটেই ভিনরাজ্য থেকেও লক্ষ-লক্ষ পুণ্যার্থীর ভিড় সাগরতটে। রবিবার দিনভর গঙ্গায় ডুব দিয়ে পুণ্যস্নান পর্ব চলবে। জানা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত ৪০ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয়েছে গঙ্গাসাগরে৷

    রেকর্ড ভিড় গঙ্গাসাগরে

    আট থেকে আশি, সকলের একটাই উদ্দেশ্য, পুণ্যার্জন। মকর সংক্রান্তির আগেই এবারের সাগরমেলায় রেকর্ড ভিড়। গত দু’বছর করোনার কারণে মেলায় ভিড় হয়নি। তাই এবছর গঙ্গাসাগর মেলায় প্ৰচুর মানুষের ভিড় দেখা গেছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ৪০ লক্ষের বেশি ভক্ত এসেছে এই মেলায়। বেলা যত বাড়ছে পুণ্যার্থীর সংখ্যা তত বাড়ছে গঙ্গাসাগরে। স্নান সেরে বহু পুণ্যার্থীই রওনা দিচ্ছেন কপিল মুনির মন্দিরের উদ্দেশ্যে। সেখানে চলছে পুজো-অর্চনা। এখানেও ভিড় করেছেন লাখো লাখো মানুষ। এবারের গঙ্গাসাগর মেলার ভিড় ৫০ লক্ষ ছাড়িয়ে যাবে বলে অনুমান পুলিশের।

    তবে এই উৎসবের আনন্দে মিশেছে বিষাদ। পুণ্যস্নান করতে এসে এখনও পর্যন্ত ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, দুজনেই ৭০ উর্দ্ধ। একজন বিহারের ভাগলপুরের বাসিন্দা, অন্যজন ওড়িশার বাসিন্দা। হৃদযন্ত্ৰ বিকল হয়ে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।

    আরও পড়ুন: জানেন সনাতন ধর্মে মকর সংক্রান্তি এত গুরুত্বপূর্ণ কেন?

    দুর্ঘটনা এড়াতে তৎপর প্রশাসন

    এবছর ভিড় সামাল দিতে আগেই তৎপর প্রশাসন৷ মেগা কন্ট্রোলরুম, স্পিডবোট, ড্রোন, ওয়াচ টাওয়ার সহ একাধিক ব্যবস্থা নিয়ে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা৷ কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে তৎপর পুলিশ কর্মীরা। এছাড়াও একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যও তৎপর রয়েছেন। কুকুর নিয়ে গঙ্গাবক্ষে টহল দিচ্ছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল। চলছে ৭ টি ভাষায় মাইকিং। দুর্ঘটনা এড়াতে সাগরতটে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। NDRF-র তিনটি ব্যাটিলিয়ানের মোট ৭৫ জন কর্মীকে এবারের গঙ্গাসাগর মেলায় মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া আকাশপথেও চলছে নজরদারি।

  • Dharmendra Pradhan: অভিযোগ করেছিলেন শুভেন্দু, মিড-ডে মিলের ‘পর্যালোচনা’ করতে রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় দল

    Dharmendra Pradhan: অভিযোগ করেছিলেন শুভেন্দু, মিড-ডে মিলের ‘পর্যালোচনা’ করতে রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকার ও সরকার পোষিত স্কুলগুলিতে মিড-ডে মিলে নানা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল বাংলায়। তা নিয়ে কেন্দ্রের কাছে নালিশ করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তার জেরে রাজ্যে মিড-ডে মিলের পর্যালোচনা করতে টিম পাঠাচ্ছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। দিন কয়েক আগে আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এসেছিল কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। এবার আসছে মিড-ডে মিল কেমন চলছে, তা দেখতে। চলতি মাসেই বৈঠক হবে রাজ্যের সঙ্গে। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান (Dharmendra Pradhan) বলেন, সম্প্রতি জাতীয় স্তরের বেশ কিছু সংবাদপত্রে বাংলার মিড-ডে মিল (Mid-day meal) প্রকল্পে নানা অনিয়ম নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তা ছাড়া বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও বেশ কিছু তথ্য ভারত সরকারের গোচরে এনেছিলেন। তার পরেই কেন্দ্রীয় সরকার এই বিশেষজ্ঞ দল পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

    কেন্দ্রের এই দল…

    জানা গিয়েছে, চলতি মাসেই আসছে কেন্দ্রের এই দল। দলে থাকবেন পুষ্টিবিদ, কেন্দ্রীয় আধিকারিক এবং রাজ্যের আধিকারিকরা। রাজ্যের জন্য বরাদ্দ অর্থ স্কুলগুলিতে ঠিক মতো পৌঁছচ্ছে কিনা, প্রধানমন্ত্রী পোষণ শক্তি মিশন প্রকল্পে রাজ্যে পরিকাঠামো কেমন, রান্নাঘরের পরিকাঠামো সহ একাধিক বিষয় খতিয়ে দেখতে এই দলটি আসছে বলে সূত্রের খবর।

    আরও পড়ুুন: আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন ‘ডু অর ডাই ম্যাচ’! প্রতিটি বুথকে দুর্গ বানানোর কথা বললেন শুভেন্দু

    প্রসঙ্গত, গত বছরই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা প্রধানমন্ত্রী পোষণ প্রকল্পের পক্ষে মত দেয়। এই প্রকল্পে দেশের ১১ লক্ষ ২০ হাজারেরও বেশি সরকারি এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের পড়ুয়াদের মিড-ডি মিল দেওয়া হয়। পাঁচ বছরের জন্য এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পের জন্য ১ লক্ষ ৩১ হাজার কোটি টাকা খরচের কথাও জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। সরকারের মিড-ডে নামের যে প্রকল্প রয়েছে, তার সঙ্গে যুক্ত করা হয় এই প্রকল্পকে। রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই প্রকল্পের সিংহভাগ ব্যয় বহন করে কেন্দ্র। সেখানেই দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় আসছে কেন্দ্রীয় দল।

    কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী (Dharmendra Pradhan) বলেন, মিড-ডে মিলের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে স্কুল পড়ুয়াদের দৈহিক বৃদ্ধি। যা সামগ্রিকভাবে বৌদ্ধিক বৃদ্ধিকে প্রভাবিত করে। তাই বিশেষজ্ঞ দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন শুভেন্দু। এ নিয়ে ট্যুইটও করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Gangasagar Mela: কুয়াশার দাপটে বন্ধ লঞ্চ-বাস, প্রশাসনের অব্যবস্থায় সমস্যায় গঙ্গাসাগর পুণ্যার্থীরা

    Gangasagar Mela: কুয়াশার দাপটে বন্ধ লঞ্চ-বাস, প্রশাসনের অব্যবস্থায় সমস্যায় গঙ্গাসাগর পুণ্যার্থীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুয়াশার দাপটে বন্ধ হল গঙ্গাসাগরের (Gangasagar Mela) সমস্ত বাস পরিষেবা। আর সে কারণেই মিলেনিয়াম পার্ক থেকে ছাড়ল না গঙ্গাসাগরের লঞ্চ। আর তার জেরে কচুবেড়িয়ার ৮ নম্বর লটেও লঞ্চ এবং ভেসেল পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। বাবুঘাটেও বাস পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। প্রশাসনের এমন অব্যবস্থায় ভয়ঙ্কর অসুবিধায় পড়লেন পুণ্যার্থীরা। লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী গঙ্গাসাগরে স্নান করার জন্য লঞ্চের অপেক্ষা করছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁদের সেখানে পৌঁছনোর ব্যবস্থা করা হলেও, বাধ সেধেছে কুয়াশা। অন্য কোনও বিকল্প ব্যবস্থাও নেই। এই মুহূর্তে তীর্থযাত্রীদের অপেক্ষা করা ছাড়া আর কিছু করার নেই। 
      
    কুয়াশার জেরে কাকদ্বীপের লট নম্বর–৮ থেকে ভেসেল পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত বন্ধ ছিল লট নম্বর–৮ এবং কচুবেড়িয়ার মধ্যে ভেসেল পরিষেবা। গতকাল রাত থেকে প্রচুর পুণ্যার্থী অপেক্ষা করছেন এই এলাকায় (Gangasagar Mela)। ঘন কুয়াশার দাপটে এদিন সকাল থেকে নামখানা–বেনুবন পয়েন্টের লঞ্চ–বাস পরিষেবাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মিলেনিয়াম পার্ক থেকে শনিবার সকালে ক্রুজ ছাড়ার কথা থাকায় মিলেনিয়াম পার্কের কাছে জেটি ঘাটে উপস্থিত হন কমপক্ষে ২২১ জন তীর্থযাত্রী। যদিও ঘন কুয়াশার জেরে বন্ধ ভেসেল।

    ভোর সাড়ে ৫টায় এই ক্রুজ ছাড়ার কথা ছিল মিলেনিয়াম পার্ক (Gangasagar Mela) থেকে। নির্দিষ্ট সময়ে তাঁরা সেখানে পৌঁছেও যান। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখেন, বেসরকারি সংস্থার কাউন্টার বন্ধ। কোনও কর্মী সেখানে নেই। এরইমধ্যে কারও কারও ফোনে মেসেজ আসে ঘন কুয়াশার কারণে ক্রুজ ছাড়া সম্ভব হচ্ছে না। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন পুণ্যার্থীরা।

    এক অভিযোগকারী জানান, গঙ্গাসাগরে (Gangasagar Mela) যাওয়ার জন্য একটি বেসরকারি সংস্থার ক্রুজ বুক করেছিলেন তাঁরা। অনলাইনে বুকিং প্রক্রিয়া চলে। ই-টিকিটও পেয়েছিলেন। সেই টিকিটের প্রিন্ট আউট সঙ্গে নিয়ে শনিবার মিলেনিয়াম পার্ক জেটি ঘাটে তাঁরা পৌঁছে যান। সকাল ৫টায় ছিল মিলেনিয়াম পার্কে পৌঁছনোর সময়। সকাল সাড়ে ৫টায় লঞ্চ ছাড়ার কথা। এদিকে নির্ধারিত সময় পার করে গেলেও কাউকে দেখতে পাননি তাঁরা।

    আরও পড়ুন: জানেন সনাতন ধর্মে মকর সংক্রান্তি এত গুরুত্বপূর্ণ কেন? 

    আজ শনিবার ভোরে শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় ট্রেন চলাচলও বন্ধ ছিল। রাত ৩টে ৪৫ মিনিটের আপ ক্যানিং–শিয়ালদা লোকাল হঠাতই চম্পাহাটি স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে। ট্রেনটির ইঞ্জিনে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ে। ট্রেনের ইঞ্জিনে এই সমস্যার কারণেই শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার ক্যানিং (Gangasagar Mela) আপ লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুর্ভোগে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। পরে তা আবার স্বাভাবিক হয়। বাবুঘাট থেকে বাস পরিষেবাও বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। সিএসটিসি, সিটিসি, এসবিএসটিসি’‌র প্রায় ৪০টি বাস এখনও বাবুঘাট বাসস্ট্যান্ডেই রয়েছে।  

    কী জানা গিয়েছে? 

    বেলা গড়াতে আবহাওয়ার সামান্য উন্নতি হওয়ায় আসতে আসতে ভেসেল পরিষেবা স্বাভাবিক হয়েছে। তবে এখনও লট নম্বর–৮ এর কাছে বিপুল সংখ্যক পুণ্যার্থীরা আটকে রয়েছেন। শনিবার সন্ধ্যেবেলায় শুরু হচ্ছে মকর সংক্রান্তির স্নান। কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গঙ্গাসাগর মেলা (Gangasagar Mela) প্রাঙ্গণ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Didir Doot: ‘দিদির সুরক্ষা কবচে’ অভিযোগ জানাতে গিয়ে জুটল তৃণমূল নেতার চড়, সঙ্গে হুমকিও  

    Didir Doot: ‘দিদির সুরক্ষা কবচে’ অভিযোগ জানাতে গিয়ে জুটল তৃণমূল নেতার চড়, সঙ্গে হুমকিও  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘দিদির সুরক্ষা কবচে’ অভিযোগ জানাতে গেলে যে তৃণমূল নেতার চড় খেতে হবে, কশ্মিনকালেও তা ভাবেননি উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরের সাগর বিশ্বাস। মন্ত্রীর সামনে তৃণমূল নেতার হাতে সজোরে চড় খেয়ে অবশ্য সম্বিত ফিরল। বুঝতে পারলেন, দিদির সুরক্ষা কবচ দিতে যে দিদির দূতেরা (Didir Doot) আসছেন, তাঁরা আসলে ‘ভূত’। সাগরের কাছে হাত জোড় করে ক্ষমা চেয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। তাতে অবশ্য ক্ষোভ প্রশমিত হয়নি সাগরের। তবে সাগর যাতে সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে না পারেন, তাই তৃণমূলের তরফে তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

    পঞ্চায়েত নির্বাচন…

    দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে জনসংযোগ বাড়াতে দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি ঘোষণা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের তরফে জানানো হয়, এই কর্মসূচি রক্ষণাবেক্ষণে থাকবেন দিদির দূত। এও ঘোষণা করা হয়, এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হবে বাংলার ১০ কোটি মানুষ ও দু কোটি বাড়ির সমস্যা, অভাব, অভিযোগের কথা দলের শীর্ষ স্তরে, এমনকি নেত্রীর কাছে পৌঁছে দেওয়া। এই কর্মসূচিরই নাম দেওয়া হয়েছে দিদির সুরক্ষা কবচ।

    দলীয় কর্মসূচি পালনের নির্দেশ পেয়ে পথে নেমে পড়েন দিদির দূতেরা (Didir Doot)। বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে যান জন প্রতিনিধিরা। এদিন ইছাপুর নীলগঞ্জ পঞ্চায়েতের সাইবনা এলাকায় এই কর্মসূচিতে যোগ দেন রথীন। সেখানেই বেহাল রাস্তা নিয়ে অভিযোগ জানাতে এসেছিলেন স্থানীয় মন্দির কমিটির সদস্য সাগর। তাঁকেই কষিয়ে থাপ্পড় মারা হয়। ধাক্কা মারতে মারতে সেখান থেকে সরিয়েও দেওয়া হয় তাঁকে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘নিরপেক্ষ থাকুন, না হলে পদপিষ্ট হতে হবে’’! পুলিশকে সতর্কবার্তা সুকান্তর

    এদিকে, এদিন ময়ূরেশ্বরের ষাটপলসা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ঘুরে দেখার সময় বোলপুরের সাংসদের সামনেই স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক অভিজিৎ রায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন দলীয় কর্মীরা। উচপুর গ্রামেও স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তৃণমূল সাংসদ অসিত মাল। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, কখনও সখনও এলাকায় বিধায়কের গাড়ি দেখা যায়। তবে তিনি জানালার কাচ তুলে চলে যান। এলাকার কোনও উন্নয়নে শামিল হন না।  এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, মানুষ দু্র্নীতির কথা জানলেও, ভয়ে বলত না। আমরা সাহস জোগানোয় মানুষ মুখ খুলতে শুরু করেছে। হিসেব চাইছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
LinkedIn
Share